ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এরপর ওই আন্দোলনের সময় নিহতের ঘটনায় সারা দেশে শত শত মামলা হয়েছে। ঢালাওভাবে দায়ের করা মামলায় ২০০ থেকে ৩০০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত হিসেবে আসামি করা হচ্ছে আরও কয়েকশ জনকে। এর মধ্যে বেশ কিছু মামলায় অনেক নিরপরাধ-নিরীহ মানুষদেরও আসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি ঢালাওভাবে করা এসব মামলায় এরই মধ্যে আসামি করে অথবা আসামি করার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি, কিংবা মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার নামে বাণিজ্যের অভিযোগ দিনে দিনে বেড়েই চলছে।
অভিযোগ রয়েছে, পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে এখন মামলাগুলো নিয়ে বাণিজ্য শুরু করেছে এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন চক্র। টাকার বিনিময়ে গ্রেপ্তার করিয়ে দেওয়া, গ্রেপ্তারের পর পুলিশের হেফাজত থেকে ছাড়িয়ে নেওয়া, মামলার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া অথবা আসামির তালিকায় নাম যোগ করা ইত্যাদি কথা বলে চক্রটি নিরীহ লোকজনের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ।
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলকে বিষয়টি স্বীকার করে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবারই বক্তব্য দিয়েছেন। ভুয়া মামলার অভিযোগ প্রমাণিত হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
অনেক মামলার বাদী চিনেন না আসামিকে, আসামি চিনেন না বাদীকে। পারিবারিক কলহ থেকে ও পূর্বশত্রুতার জেরে অনেক নিরীহ মানুষকে এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে। ঘটনার দিন এলাকায় ছিলেন না, রোগে ভোগে মারা গেছেন, এমনকি মৃত ব্যক্তির নামও রয়েছে আসামির তালিকায়। এ ছাড়া অজ্ঞাত আসামি করে ব্যবসায়ীসহ অনেকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে নিরীহ মানুষকে মামলায় জড়িয়ে মানবাধিকার চরম লঙ্ঘন হওয়ার শঙ্কা থাকছে। যেভাবে মামলা হয়েছে এতে সুবিচার হবে কি না, এটা নিয়েই সন্দেহ সৃষ্টির পাশাপাশি প্রকৃত অপরাধীরা পার পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও সৃষ্টি হয়েছে।
এসব বিষয়ে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ দৈনিক বাংলাকে বলেন, মামলা হবে অপরাধীর জন্য। আর অপরাধ শনাক্ত হবে বিচারের মাধ্যমে। যেভাবে মামলা হয়েছে, সেখানে তো বাদী অনেকেই বলতেছেন, আমরা আসামিকে চিনি না। বিচারে আর কি শাস্তি হবে!
অন্যদিকে যেসব ঘটনাগুলি (ছাত্রদের হত্যা) ঘটেছে এসব কারণে তার সুবিচার হবে কি না, এটা নিয়েই সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। বিচারে আইন-কানুনের মারপ্যাচে মামলা অ্যাপ্রুভাল করা কঠিন হবে।
সম্প্রতি জুলাই অভ্যুত্থানে ঢাকা বিভাগে শতাধিক শহীদ পরিবারকে দ্বিতীয় ধাপে আর্থিক সহায়তার চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, মামলা বাণিজ্য শুরু হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধ, হত্যার বিচারের দাবিতে ব্যবসা শুরু হয়েছে আমাদের সমাজে। এদের আমরা চিহ্নিত করব। অবশ্যই তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণ আদালতে মামলা নিয়ে অনেক অসংগতি হচ্ছে। মামলা নিয়ে ব্যবসা করছে। কোনো কোনো স্বার্থান্বেষী মহল ভুল মামলা দিচ্ছে। প্রকৃত অভিযুক্তের পাশাপাশি অনেক লোককে আসামি করে মামলা হালকা করার চেষ্টা করছে। এটা আমরা কীভাবে সমাধান করব?’
এ ছাড়া গত ৯ ডিসেম্বর মিথ্যা মামলা ও মামলা দিয়ে চাঁদাবাজির ঘটনায় কঠিন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় মামলা নিয়ে বাণিজ্য হচ্ছে। রাজধানীসহ সারা দেশে মিথ্যা মামলা দিয়ে নিরপরাধ মানুষকে হয়রানির ঘটনা বেড়েছে। ওই সব মামলায় আসামি হলেই গ্রেপ্তার কিংবা বাসায় বাসায় গিয়ে হয়রানি করা যাবে না। তদন্তে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলেই কেবল আইনের আওতায় আনা যাবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমার সব লোক (পুলিশ সদস্য) যে ভালো তা বলব না। আমার কাছে যাদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট এসেছে, আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। আমি অলরেডি একজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি, যিনি আমার লোক, এই কাজে লিপ্ত ছিল।’
উল্লেখ্য, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের ঘটনায় করা এক মামলায় আসামিদের হয়রানি ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ৮ ডিসেম্বর আদাবর থানার উপপরিদর্শককে (এসআই) শাহীন পারভেজকে প্রত্যাহার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
এ ছাড়া সম্প্রতি লালবাগে আসামির তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার কথা বলে দুই লাখ টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন সাবেক সেনাসদস্য সিরাজুল ইসলাম। এ বিষয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তিনি জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তিনি চাঁদা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। এ ছাড়া চাঁদা নেওয়ার সময় উপস্থিত থাকা এক র্যাব সদস্যের নামও তিনি জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছেন।
গত ১৭ অক্টোবর মো. বাকের নামের এক ব্যক্তি তার ছেলে আহাদুল ইসলামকে হত্যাচেষ্টার একটি মামলা করেন খিলগাঁও থানায়। সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দল কাদেরসহ ১৮০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। আসামির তালিকায় কয়েকজন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৬ নম্বর আসামি পরিদর্শক পার্থ প্রতিম ব্রহ্মচারী, ৩২ নম্বর আসামি এসআই রাশেদুর রহমান এবং ৩৩ নম্বর আসামি এসআই অনুপ বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন। তারা বলেন, ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও তাদের আসামি করা হয়েছে এবং এখন মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার কথা বলে এক থেকে দুই লাখ টাকা চাঁদাদাবি করা হচ্ছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) ইনামুল হক সাগর দৈনিক বাংলাকে বলেন, যাদেরই আসামি করা হোক না কেন, তদন্তে বেরিয়ে আসবে আসলে কারা সম্পৃক্ত ছিল এবং কাদের সম্পৃক্ততা নেই। যদি দেখা যায়, যাদের সম্পৃক্ততা নেই অযথা হয়রানি করার জন্য মামলা দেওয়া হয়েছে, সেক্ষেত্রে আমাদের নির্দেশনা একেবারেই স্পস্ট, যাদের সম্পৃক্ততা নেই তাদের শঙ্কার কোনো কারণ নেই।
তিনি আরও বলেন, ‘মামলা বাণিজ্যের বিষয়টি আমাদের নজরদারির মধ্যে রেখেছি। আমাদের পুলিশ সদস্যদের মধ্যে যদি কেউ মামলা বাণিজ্যে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গত ২৯ আগস্ট মিরপুর মডেল থানায় একমাত্র মেয়েকে হত্যার অভিযোগে একটি মামলা (নম্বর-২৫) করেন মো. আশরাফ আলী নামে এক ব্যক্তি। মামলায় তিনি অভিয়োগ করেন, তার একমাত্র মেয়ে মোছা. রিতা আক্তার (১৭) রূপনগর দুয়ারিপাড়া সরকারি কলেজের এইচএসসি নিয়মিত ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিল। সে তার সহপাঠীদের সঙ্গে ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। গত ৫ আগস্ট সে আন্দোলনে গিয়ে রিতা আক্তার মিরপুর মডেল থানার পাশে মিরপুর শপিংমলের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন। সেদিন বিকেলেই সে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় আশরাফ আলী সাবেক প্রধানমন্ত্রী সেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল ও পুলিশের আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ৩৯৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও অজ্ঞাত ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন।
এ মামলার এজাহারে দেখা গেছে, আসামির তালিকায় একই ব্যক্তির নাম কয়েকবার উল্লেখ করা হয়েছে, এ ছাড়া রয়েছে মৃত ব্যক্তির নামও। মামলার এজাহারে পিয়ার নামে এক ব্যক্তিকে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী উল্লেখ করে ২৫৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পিয়ার ২০১৯ সালের ২০ আগস্ট মারা গেছেন। তিনি শাহআলী থানা যুবলীগের সভাপতি ছিলেন।
এসব বিষয়ে আশরাফ আলীকে আসামিদের চিনেন কি না, প্রশ্ন করা হলে তিনি দৈনিক বাংলাকে বলেন, তিনি সবাইকে চিনেন না, এমনকি আসামি করা মৃত ব্যক্তি পিয়ারকেও চিনেন না।
তাহলে কীভাবে আসামি করলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি লেখাপড়া তেমন জানি না আর মেয়ের মৃত্যুর পর আমি শোকে-দুঃখে বিপর্যস্ত ছিলাম। ওই সময় ছাত্ররাই সব করেছে, আমি শুধু এজাহারে সই দিয়েছি।
টাকার বিনিময়ে মামলা তুলে নেওয়া বা কোনো আসামির নাম বাদ দেওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে আশরাফ আলী বলেন, ‘নাম বলবা না, বেশ কয়েকজন টাকার বিনিময়ে আসামির তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করেছে। আমি বলেছি, আমার মেয়ে শহীদ হয়েছে, টাকার বিনিময়ে শহীদ মেয়েকে বিক্রি করব না।’
আশরাফ আলী মিরপুরে অটোরিকশা চালাতেন। পরিবার নিয়ে থাকতেন শাহআলী থানার এইচ ব্লকের একটি ভাড়া বাসায়। তার স্ত্রী গৃহকর্মী হিসেবে বিভিন্ন বাসায় কাজ করতেন। কিন্তু মেয়ের মৃত্যুর পর ঢাকা ছেড়ে তিনি জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার নিজ গ্রাম তালখুরে চলে গেছেন, এখন কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
গত ৪ আগস্ট দিনাজপুরে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রবিউল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী নিহত হন। এ ঘটনায় পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় বাদী রবিউলের ভাই। অন্য মামলাগুলোর বাদীর সঙ্গে নিহত রবিউলের কোনো আত্মীয়তার সম্পর্ক নেই। অন্যান্য মামলার বাদীদের কেউ কেউ টাকার বিনিময়ে এজাহার থেকে হলফনামার মাধ্যমে আসামির নাম বাদ দেওয়ার বাণিজ্য শুরু করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে স্থানীয় কিছু রাজনীতিবিদও জড়িত বলে জানা গেছে। রবিউল নিহতের ঘটনায় একটি মামলার বাদী রিয়াদ হোসেন নামের এক যুবক, তিনি নিজেও আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। ১০৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৬০০ জনকে আসামি করে তিনি হত্যা মামলাটি করেন। গত ২৯ আগস্ট মজিবর রহমান (৫৬) নামে এক আসামির সঙ্গে বাদী রিয়াদ যোগাযোগ করে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে নাম বাদ দেওয়ার জন্য হলফনামা করেন। এজাহার থেকে নাম বাদ দেওয়ার মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হলফনামার একটি কপি জমা দেন মজিবর।
গত ২৯ নভেম্বর কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় রবিউল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৬৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৮ জুলাই দুপুর ১২টার দিকে জেলা শহরের গৌরাঙ্গবাজার মোড় এলাকায় ছাত্রদের মিছিলে আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা আক্রমণ করে এবং এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এ সময় দুলাল রবিদাস নামে একজন মুচির বুকে গুলি লেগে গুরুতর জখম হন এবং পরে রড দিয়ে পিটিয়ে তাকে হত্যা করে।
এদিকে দুলাল রবিদাসের ছোট ভাই কাঞ্চন রবিদাস বলেন, ঘটনার দিন তার ভাই গৌরাঙ্গবাজার মোড়ে ছিলেন না। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন। আন্দোলন চলাকালীন বেশির ভাগ সময় তিনি নিজ বাড়িতেই থাকতেন। তিনি ১৯ জুলাই শ্বাসকষ্টের রোগে বাড়িতেই মারা যান। এখন শুনছি, আমার ভাই নাকি আন্দোলনের সময় গুলিতে মারা গেছেন। এ ঘটনায় মামলাও হয়েছে। তবে এ মামলার বিষয়ে আমি ও আমার পরিবারের কেউ কিছু জানি না। মামলা হওয়ার পর আসামিসহ অনেকেই এসে আমাদের এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করছে। এ নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি।
এ বিষয়ে বাদী রবিউল ইসলাম বলেন, মামলাটি আমি একা করিনি। চার-পাঁচজন মিলে পরামর্শ করে মামলাটি করেছি। তিনি আরও বলেন, শুনেছি অনেকে নাকি আমার নাম ভাঙিয়ে আসামিদের ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকাও নিচ্ছে। অথচ এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। এসব নিয়ে আমি নিজেই এখন অনেকটা বেকায়দায় আছি।
কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, প্রতিটি মামলার বিষয়ে সঠিক তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।