বিদায়ী সপ্তাহে ধারাবাহিক দরপতনের মধ্যেও দেশের শেয়ারবাজারে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রায় সোয়া ৪ হাজার কোটি টাকা ফিরেছে। আলোচ্য সময়ে ডিএসইর সব সূচকের পাশাপাশি টাকার অঙ্কে লেনদেন কমেছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৪ হাজার ২৩৭ কোটি ৪৯ লাখ ২০ হাজার টাকা বা ০.৬৪ শতাংশ।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সব সূচকের পতনেও টাকার অঙ্কে লেনদেন বেড়েছে।
সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৩.৬৩ পয়েন্ট বা ১.০৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১১২.৯০ পয়েন্টে।
অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৯.১৯ পয়েন্ট বা ০.৪৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯০৩.৮৫ পয়েন্টে।
ডিএসই শরিয়াহসূচক ডিএসইএস ২৭.৮৭ পয়েন্ট বা ২.৪০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৩৩.৯৮ পয়েন্টে।
এ ছাড়া ডিএসএমইএক্স সূচক ৮.৬৪ পয়েন্ট বা ০.৭৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৫.৬৮ পয়েন্টে। বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৮টি, কমেছে ২৭২টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টি প্রতিষ্ঠানের।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৭১ কোটি ২৩ লাখ ৭০ হাজার শেয়ার ৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৪৬ বার হাতবদল হয়।
টাকার অঙ্কে যার বাজারমূল্য দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৯৪ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৬৩ কোটি ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার।
অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৩৬৮ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা বা ১৭.৮৫৫ শতাংশ।
বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৬০ হাজার ৫৮৭ কোটি ৬০ লাখ ২০ হাজার টাকা।
আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৮২৫ কোটি ৯ লাখ ৪০ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৪ হাজার ২৩৭ কোটি ৪৯ লাখ ২০ হাজার টাকা বা ০.৬৪ শতাংশ।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৫৪.৯৭ পয়েন্ট বা ১.০৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ২৯৪.০৭ পয়েন্টে।
সিএসইর অপর সূচক সিএসসিএক্স ৯৬.৪১ পয়েন্ট বা ১.০৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৭০০.৯৭ পয়েন্টে।
অপর ২টি সূচকের মধ্যে সিএসই-৫০ সূচক ১০.৯৩ পয়েন্ট বা ০.৯৯ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক ১৬.৫৭ পয়েন্ট বা ১.৭৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৯৬.৭২ পয়েন্টে এবং ৯২৩.০৩ পয়েন্টে।
এ ছাড়া সিএসই-৩০ সূচক ৯.৫২ পয়েন্ট বা ০.০৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৮৬৮.১৯ পয়েন্টে।
সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩০৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে।
এর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৯টি, কমেছে ১৮৬টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টির। সপ্তাহটিতে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৭১ কোটি ৯৮ লাখ ৯৪ হাজার ৫৮০ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২১ কোটি ৫২ লাখ ১৩ হাজার ৮৮ টাকার।
অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ৫০ কোটি ৪৬ লাখ ৮১ হাজার ৪৯২ টাকা বা ২৩৪.৫০ শতাংশ।
সাপ্তাহিক রিটার্নে ১৬ খাতে লোকসান
বিদায়ী সপ্তাহে সাপ্তাহিক রিটার্নে দর কমেছে ১৬ খাতে। এর ফলে এই ১৬ খাতের বিনিয়োগকারীরা লোকসানে রয়েছে। একই সময়ে সাপ্তাহিক রিটার্নে দর বেড়েছে ৪ খাতে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে পাট খাতে। বিদায়ী সপ্তাহে এই খাতে দর কমেছে ৮.২০ শতাংশ। ৪.৭০ শতাংশ দর কমে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তথ্য প্রযুক্তি খাত। একই সময়ে ৪.৪০ শতাংশ দর কমে তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে আর্থিক খাত।
লোকসান হওয়া অন্য খাতের মধ্যে- মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ৩.৬০ শতাংশ, প্রকৌশল খাতে ৩.১০ শতাংশ, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ২.৭০ শতাংশ, সিরামিক খাতে ২.৫০ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে ২.৪০ শতাংশ, ট্যানারি খাতে ১.৮০ শতাংশ, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১.৭০ শতাংশ, কাগজ ও প্রকাশনা খাতে ১.১০ শতাংশ, জেনারেল ইন্স্যুরেন্স খাতে ১.০০ শতাংশ, বিবিধ খাতে ০.৬০ শতাংশ, বস্ত্র খাতে ০.৫০ শতাংশ, লাইফ ইন্স্যুরেন্স খাতে ০.৪০ শতাংশ এবং ব্যাংক খাতে ০.১০ শতাংশ দর কমেছে।
এদিকে সাপ্তাহিক রিটার্নে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে সেবা ও আবাসন খাতে। এ খাতে সাপ্তাহিক রিটার্নে ১.৮০ শতাংশ দর বেড়েছে। অন্য তিন খাতের মধ্যে টেলিকমিউনিকেশন খাতে ০.৮০ শতাংশ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ০.৬০ শতাংশ এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ০.৩০ শতাংশ দর বেড়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর (ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ) পিই রেশিও (সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত) কমেছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশেও বেড়েছে ০.১৫ পয়েন্ট বা ১.৬০ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ৯.৫১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯.৩৬ পয়েন্ট।
খাতভিত্তিক হিসাবে পিই রেশিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্যাংক খাতে ৬.৬ পয়েন্ট, সিমেন্ট খাতে ১৩.২ পয়েন্ট, সিরামিকস খাতে ৩০১.৯ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতে ১৮.৫ পয়েন্ট, আর্থিক খাতে ২৬.৩ পয়েন্ট, খাদ্য খাতে ১৪.০ পয়েন্ট, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৫.৭ পয়েন্ট, সাধারণ বিমা খাতে ১২.৬ পয়েন্ট, আইটি খাতে ১৯.৩ পয়েন্ট, পাট খাতে ৩৭.১ পয়েন্ট, বিবিধ খাতে ৩১.৯ পয়েন্ট, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ৬.৯ পয়েন্ট, কাগজ খাতে ৪৭.৪ পয়েন্ট, ওষুধ খাতে ১১.১ পয়েন্ট, সেবা ও আবাসন খাতে ৯.৫ পয়েন্ট, ট্যানারি খাতে ৪২.৫ পয়েন্ট, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ৩১.৮ পয়েন্ট, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ১৩.৪ পয়েন্ট ও বস্ত্র খাতে ১৩.৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আগের সপ্তাহে খাত ভিত্তিক পিই রেশিও ছিল- ব্যাংক খাতে ৬.৬ পয়েন্ট, সিমেন্ট খাতে ১৩.৫ পয়েন্ট, সিরামিকস খাতে ৩৩৩.২ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতে ১৯.২ পয়েন্ট, আর্থিক খাতে ২৭.৭ পয়েন্ট, খাদ্য খাতে ১৩.৯ পয়েন্ট, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৫.৭ পয়েন্ট, সাধারণ বিমা খাতে ১২.৯ পয়েন্ট, আইটি খাতে ২০.৭ পয়েন্ট, পাট খাতে ৪৬.২ পয়েন্ট, বিবিধ খাতে ৩৩.১ পয়েন্ট, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ৫.১ পয়েন্ট, কাগজ খাতে ৩৬.৬ পয়েন্ট, ওষুধ খাতে ১১.৬ পয়েন্ট, সেবা ও আবাসন খাতে ১০.৩ পয়েন্ট, ট্যানারি খাতে ২৮.৩ পয়েন্ট, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ৬৭.৭ পয়েন্ট, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ১৩.৪ পয়েন্ট ও বস্ত্র খাতে ১৪.৫ পয়েন্ট।
ব্লক মার্কেটে ১০ কোম্পানির ৯১ কোটি টাকার বেশি লেনদেন
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ১০ কোম্পানির।
কোম্পানিগুলো হলো এসিআই, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স, রেনেটা, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, লাভেলো আইস্ক্রিম, বিচ হ্যাচারি, ফাইন ফুডস, রিলায়েন্স ওয়ান, মিডল্যান্ড ব্যাংক এবং রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে ব্লক মার্কেটে এই ১০ কোম্পানির মোট ৬৬ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, কোম্পানিগুলোর মধ্যে ব্লক মার্কেটে এসিআই লিমিটেডের সবচেয়ে বেশি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে ব্লক মার্কেটে কোম্পানিটির ২৪ কোটি ৯২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ১৪৯ টাকা ৪০ পয়সা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের ৮ কোটি ৬২ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ৫৪ টাকা ৭০ পয়সা।
তৃতীয় সর্বোচ্চ রেনেটার ৮ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ৪৯৯ টাকা ৩০ পয়সা।
সপ্তাহজুড়ে ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া অন্য ৭টি কোম্পানির মধ্যে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ৬ কোটি ৬৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা, লাভেলো আইস্ক্রিমের ৪ কোটি ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা, বিচ হ্যাচারির ৩ কোটি ৯৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ফাইন ফুডসের ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা, রিলায়েন্স ওয়ানের ২ কোটি ৮২ লাখ ৪০ হাজার টাকা, মিডল্যান্ড ব্যাংকের ১ কোটি ৮১ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১ কোটি ৩৯ লাখ ৯০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
লেনদেনের শীর্ষে এডিএন টেলিকম
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেনে শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আলোচ্য সপ্তাহে লেনদেন তালিকার শীর্ষস্থান দখল করেছে এডিএন টেলিকম।
সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৫২ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৩.১১ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৫৫ লাখ ২০ হাজার টাকার। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ৯০ টাকা ৩০ পয়সায়।
লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অগ্নি সিস্টেমস। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৪০ কোটি ৬৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ২.৪০ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ১২ লাখ ৯০ হাজার টাকার। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ২৬ টাকা ৭০ পয়সায়।
সাপ্তাহিক লেনদেন তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে খান ব্রাদার্স। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৪০ কোটি ৫১ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ২.৩৯ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকার। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ১৭৪ টাকা ৭০ পয়সায়।
এছাড়া, সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংকের ৩৯ কোটি ৪৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ড্রাগন সোয়েটারের ৩৯ কোটি ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ওরিয়ন ইনফিউশনের ৩৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, মালেক স্পিনিংয়ের ৩২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা, মিডল্যান্ড ব্যাংকের ৩১ কোটি ৭৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ফারইস্ট নিটিংয়ের ২৯ কোটি ৬৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং এসিআই লিমিটেডের ২৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
দরপতনের শীর্ষে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের। সপ্তাহজুড়ে প্রতিষ্ঠানটির দর কমেছে ২১.২৯ শতাংশ।
আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ২৬ টাকা ৩০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৭০ পয়সা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ৫ টাকা ৬০ পয়সা।
সাপ্তাহিক দরপতন বা লুজার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিডি থাই ফুডের শেয়ার দর কমেছে ১৭.৮৮ শতাংশ।
আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ১৫ টাকা ১০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেস কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৪০ পয়সায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ২ টাকা ৭০ পয়সা।
১৩.০৫ শতাংশ দর কমে সাপ্তাহিক লুজার তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে রেনেটার।
আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ৫৭৯ টাকা ৫০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেস কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৯৯ টাকা ৩০ পয়সায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ৮০ টাকা ২০ পয়সা।
সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে এডিএন টেলিকমের ১৩.৫১ শতাংশ, বিবিএস ক্যাবলসের ১২.৭২ শতাংশ, সালভো কেমিক্যালের ১২.১৩ শতাংশ, ক্যাপিটেক গ্রোথ ফান্ডের ১১.৮৪ শতাংশ, গোল্ডেন সনের ১১.১১ শতাংশ, ওরিয়ন ইনফিউশনের ১০.৪৫ শতাংশ এবং ইভিন্স টেক্সটাইলের ১০.৩১ শতাংশ দর কমেছে।
দর বৃদ্ধির শীর্ষে ডেল্টা স্পিনার্স
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ডেল্টা স্পিনার্সের। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৩৯.১৩ শতাংশ।
আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ৪ টাকা ৬০ পয়সা।
গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৪০ পয়সা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ১ টাকা ৮০ পয়সা।
ডিএসইর গেইনার তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা খুলনা প্রিন্টিংয়ে শেয়ার দর বেড়েছে ২৫.৭১ শতাংশ।
আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ২১ টাকা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬ টাকা ৪০ পয়সা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৫ টাকা ৪০ পয়সা।
২১.৫৭ শতাংশ দর বেড়ে সাপ্তাহিক গেইনার তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে তাল্লু স্পিনিং।
আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রতিষ্ঠানটির দর ছিল ৫ টাকা ১০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ২০ পয়সায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ১ টাকা ১০ পয়সা।
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রাইম টেক্সটাইলের ১৫.৬৩ শতাংশ, হাক্কানি পাল্পের ১৩.৬২ শতাংশ, গ্লোবাল হেভিকেমিক্যালের ১২.১৪ শতাংশ, সোনারগাঁও টেক্সটাইলের ১০.১৪ শতাংশ, চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৯.৭৪ শতাংশ, এসবিএসি ব্যাংকের ৮.৮৬ শতাংশ এবং খুলনা পাওয়ারের ৮.২০ শতাংশ দর বেড়েছে।