সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
১০ চৈত্র ১৪৩১

বিদেশ ভ্রমণ-ভুয়া ডিগ্রি: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ২২:১৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ২২:১২

রাষ্ট্রীয় শত শত কোটি কোটি টাকা অপচয় করে বিদেশ ভ্রমণ ও ভুয়া ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনে সাবেক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ার পর প্রকাশ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

দুদক জানায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশ সফরে গেলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজ ভাড়া করতেন সরকারি টাকায়। নিয়ে যেতেন সফরসঙ্গীদের বিশাল বহর। টানা ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকাকালে প্রায় প্রতি জাতিসংঘের অধিবেশনে সরকার প্রধান হিসেবে যোগ দিয়েছেন তিনি। প্রতিবারই নিউইয়র্ক নিয়ে যেতেন বিশাল বহর। শেখ হাসিনা ২০১৫ সালে ২২৭ জনের একটি দল নিয়ে নিউইয়র্কে ৭০তম সাধারণ অধিবেশন এবং টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে যান। ২০১৪ সালে ৬৯তম সাধারণ অধিবেশনে এই সংখ্যা ছিল ১৭৮ এবং ২০১৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৩৪।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে বিমানের বোয়িং ৭৭৭ ও ৭৮৭ সিরিজের অত্যাধুনিক উড়োজাহাজে যেতেন। ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত গত পাঁচ বছরে রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ সংস্থাটি ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৮টি ভিভিআইপি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। এসব সফরে শেখ হাসিনা ব্যয় করেছেন প্রায় ২০০ কোটি টাকা। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে স্থানীয় সময় বিকেলে হেলসিঙ্কি-ভান্তা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ভিভিআইপি ফ্লাইট বিজি-১৯০২ যোগে নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভুয়া ডক্টরেট সংগ্রহ করেছেন। দেশের সরকারি টাকা লবিস্ট এর পিছনে ব্যয় করে মানদন্ড ভংগ করে সংগ্রহকৃত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ভুয়া ডক্টরেট হলো-ভারতের ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়, বেলজিয়ামের ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয় অব ব্রাসেলস, ভারতের বিশ্ব-ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।


দৈনিক বাংলার নাম ব্যবহার করে ফেসবুকে একাধিক ভুয়া গ্রুপ!

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

সম্প্রতি লক্ষ্য করা গেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দৈনিক বাংলার নাম ও লোগো ব্যবহার করে কিছু ব্যক্তি বা গোষ্ঠী সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে বিভিন্ন প্রোফাইল, পেইজ ও গ্রুপ পরিচালনা করছে। এসব প্ল্যাটফর্ম থেকে নিয়মিত সংবাদ ও ভিডিও কন্টেন্ট প্রকাশ করা হচ্ছে। অথচ সেগুলোর সঙ্গে দৈনিক বাংলার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

এসব বেআইনি কার্যক্রমের ফলে দৈনিক বাংলার ভাবমূর্তি ভীষণভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে। দৈনিক বাংলা এসব ভুয়া প্রোফাইল, পেইজ ও গ্রুপের অ্যাডমিনদের প্রতি অবিলম্বে তাদের কার্যক্রম বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

দৈনিক বাংলার সকল পাঠক, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং ফেসবুক পেজের ফলোয়ারদের শুধু দৈনিক বাংলার অফিশিয়াল পেইজ ও প্রোফাইল থেকে প্রকাশিত তথ্য ও সংবাদ অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে। ভুয়া পেজ ও গ্রুপের বিভ্রান্তিকর তথ্য এড়িয়ে চলুন এবং দৈনিক বাংলার আসল প্ল্যাটফর্ম থেকে সঠিক ও নির্ভরযোগ্য সংবাদ গ্রহণ করুন।

দৈনিক বাংলার অফিশিয়াল ফেইসবুক পেজ: https://www.facebook.com/DainikBangla21

ফেইসবুক প্রোফাইল: https://www.facebook.com/profile.php?id=61570107698422

ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল: https://www.instagram.com/dainikbangla/

ইউটিউব প্রোফাইল: https://www.youtube.com/@DainikBangla

এক্স (সাবেক টুইটার): https://x.com/dainik_bangla


অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-ছাত্রীদের সম্মানে সেনাবাহিনীর ইফতার

ঢাকা সেনানিবাসের সেনা মালঞ্চে রোববার জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থীদের সম্মানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আয়োজনে ইফতার অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-ছাত্রীদের সম্মানে রোববার সন্ধ্যায় ঢাকা সেনানিবাসস্থ সেনামালঞ্চে ইফতার ও নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। এ সময় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং তাঁদের খোজ খবর নেন।

ইফতার ও নৈশভোজে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ, সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বেসামরিক পরিমন্ডলের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের পরিচালকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাদের হাতে ঈদ উপহার তুলে দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ৪২১৫ জনকে অদ্যাবধি দেশের বিভিন্ন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে এবং এর মধ্যে ৯৮৯ জন আহতের সফলভাবে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করা হয়েছে। বর্তমানে, ৩৯ জন ঢাকার সিএমএইচ-এ চিকিৎসাধীন রয়েছেন।


এখন জনগণের ইস্যু নিয়ে কথা বলা উচিত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, একটি পরিবর্তনের জন্য জনগণ রাজনৈতিক দলগুলোকে সমর্থন দিয়েছে বলেই স্বৈরাচার মাফিয়া বিদায় নিতে বাধ্য হয়েছে। এখন জনগণের ইস্যুগুলো নিয়ে কথা বলা উচিত আমাদের, এটাই রাজনীতি। আসুন জনগণের আশা, আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা নিয়ে কাজ করি।

রোববার রাজধানীর পুরানা পল্টনের ফারস হোটেলে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাকারী সব শক্তি মিলে দুই বছর আগে আমরা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা দিয়েছি। (ফ্যাসিবাদ) দেশে প্রথম ধ্বংস করেছে ভোটের ব্যবস্থা। দেশের সব সেক্টরকে মেরামত করতে হবে। দেশের কাঠামো মেরামতের কথা সবার আগে আমরাই বলেছিলাম।

ইফতার ও দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেছেন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়কারী ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। ইফতার মাহফিলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ কামাল হোসেনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


আন্তর্জাতিক ইনকামিং কলের আড়ালে ৮০০ কোটি টাকা পাচার

৪ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র
প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইন্টারন্যাশনাল ইনকামিং ও আউটগোয়িং ফোন কল সেবার আড়ালে ৮৬৮ কোটি ২৮ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগে করা দুই মামলায় দুটি গেটওয়ে প্রতিষ্ঠানের চারজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট বা অভিযোগপত্র অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শিগগিরই দুই অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এক অভিযোগপত্রের আসামি হলেন- আন্তর্জাতিক গেটওয়ে প্রতিষ্ঠান অ্যাপল গ্লোবাল টেল কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অভিউর রহমান খান ও চেয়ারম্যান মহি উদ্দিন মজুমদার।

অন্য অভিযোগপত্রের আসামি হলেন- আন্তর্জাতিক গেটওয়ে প্রতিষ্ঠান ভিশন টেল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল মির্জা এবং চেয়ারম্যান এম বদিউজ্জামান। অ্যাপল গ্লোবালটেল কমিউনিকেশন্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আন্তর্জাতিক ইনকামিং কলের (সেবা রপ্তানি) মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বার্থ থাকা সত্ত্বেও ৪৬৩ কোটি ৩৭ লাখ ৪৬ হাজার ১৪৯ টাকা মূল্যের ৬ কোটি ১ লাখ ৭৮ হাজার ৫২১ মার্কিন ডলার অর্থপাচার করা হয়েছে।

এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে অভিযোগপত্রে প্রতিষ্ঠানটির অ্যাপল গ্লোবাল টেল কমিউনিকেশন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অভিউর রহমান খান ও চেয়ারম্যান মহি উদ্দিন মজুমদারকে আসামি করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ইনকামিং ও আউটগোয়িং কলের মাধ্যমে ওই অর্থপাচারের অভিযোগে ২০২২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি মামলা করেন দুদকের পরিচালক জালাল উদ্দিন আহম্মদ। পরে তিনি নিজেই এ মামলার তদন্ত করেন।

অন্যদিকে ভিশন টেল লিমিটেডের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক ইনকামিং কলের (সেবা রপ্তানি) মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বার্থ থাকা সত্ত্বেও এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারম্যান অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করে ৪০৪ কোটি ৯০ লাখ ৯৬ হাজার ২৯৩ টাকা মূল্যের ৫ কোটি ১৯ লাখ ৬৭ হাজার ৪৬৪ মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা পাচার করেছেন।

ওই অর্থপাচারের অভিযোগে এর আগে ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর ভিশন টেল লিমিটেডের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল দুদকের পরিচালক জালাল উদ্দিন আহম্মদ। পরে তিনি নিজেই এ মামলার তদন্ত করেন। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন- ২০১২ এর ৪(২) (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।


মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদলের ইঙ্গিত ফারুকীর

বাংলা নববর্ষে আয়োজিত মঙ্গল শোভাযাত্রা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদলানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। নতুন নাম নির্ধারণের বিষয়ে আগামীকাল (সোমবার) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বৈঠক হবে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।

আজ রোববার সচিবালয়ে জাতীয়ভাবে বাংলা নববর্ষ এবং চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষ উদযাপন নিয়ে সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।

উপদেষ্টা বলেন, ‘সব জাতিসত্তার অংশগ্রহণে এবারের নববর্ষের শোভাযাত্রায় নতুন রঙ, গন্ধ ও সুর পাওয়া যাবে। এবার চারুকলা থেকে যে শোভাযাত্রা বের হবে সেখানে আপনারা সত্যিকার অর্থেই নতুন জিনিস দেখবেন। নিজেদের চোখেই অনেক পরিবর্তন দেখতে পাবেন।’

তবে কী ধরনের পরিবর্তন দেখা যাবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। বলেন, ‘এটি সারপ্রাইজ হিসেবেই থাকল। ইটস এ টিজার। যারা অংশগ্রহণ করবেন তারা নিজেরাই নিজেদের চোখে দেখতে পারবেন—পরিবর্তনগুলো কীভাবে ঘটছে।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আসলেই (শোভাযাত্রায়) নতুন কিছু দেখতে পাবেন। নতুন রঙ দেখবেন, নতুন গন্ধ পাবেন, নতুন সুর পাবেন।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘নতুন কী নামে শোভাযাত্রা হবে, সেটি আগামীকাল ঢাবিতে আয়োজিত একটি সভায় নির্ধারণ করা হবে।’

এই শোভাযাত্রাটি প্রথমে ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামে শুরু হয়েছিল উল্লেখ করে উপদেষ্টা আরও জানান, পরবর্তীতে নামটি পরিবর্তিত হয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা হিসেবে প্রচলিত হয়েছে। যে নাম একবার পরিবর্তিত হয়েছে, সবাই যদি সম্মত হন তবে আবার পরিবর্তন হতে পারে বলে মত দেন তিনি।

তবে সবাই সম্মত না হলে পরিবর্তন নাও হতে পারে বলেও উল্লেখ করেন উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘এবারের শোভাযাত্রাটি শুধু বাঙালিদের নয়, বরং চাকমা, মারমা, গারোসহ প্রত্যেকেরই হবে। তাই এমন একটা নাম দিতে হবে যেন সেটি সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। বাঙালি বাদে অন্যরা যেন ব্র্যাকেটে না পড়ে যায় সেটি নিশ্চিত করা হবে।


১০ শতাংশ দাম কমছে ইন্টারনেটের

প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

বাংলাদেশে সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম ১০ শতাংশ কমছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

শনিবার (২২ মার্চ) কোম্পানির বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। এর ফলে মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড সার্ভিস দুই ক্ষেত্রেই কোম্পানিগুলোর খরচ কমে আসবে বলে জানান তিনি।

ফয়েজ আহমদ জানান, ইন্টারনেটের দাম কমানোর জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। মানুষ যেন সাশ্রয়ে ইন্টারনেট পায় সেজন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

পাইকারি পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম কমানো এই উদ্যোগগুলোর মধ্যে অন্যতম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ সিদ্ধান্তের ফলে ইন্টারনেটের আন্তর্জাতিক গেটওয়ে লেভেলে সব ব্যান্ডউইথের দাম ১০ শতাংশ কমে আসবে। এছাড়া ব্যাকবোন পর্যায়ে মোবাইল কোম্পানিগুলোকে ডিডাব্লিউডিএম সুবিধা দেওয়ার কথা হচ্ছে।’

এতে ট্রান্সমিশন বাবদ টেলিকম কোম্পানিগুলোর খরচ ৩৯ শতাংশ কমে যাবে বলে মত দেন প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী।

তিনি বলেন, 'ইতোমধ্যে টেলিকম অপারেটরদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। অপারেটররা ভোক্তা পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।'

তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ আরও জানান, আগামী বছরের মাঝামাঝিতে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিমিউই-৬ এর সঙ্গে যুক্ত হবে বাংলাদেশ।


গণহত্যা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে নানা কর্মসূচি গ্রহণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

আগামী ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা বাণী প্রদান করবেন। সারা দেশের স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরিসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ঐ দিন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সকাল ১০টায় অথবা সুবিধাজনক সময়ে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকাসহ সকল সিটি করপোরেশনে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে এবং গৃহীত কর্মসূচি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার প্রচার করবে। এছাড়াও ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের স্মরণে বাদ যোহর অথবা সুবিধাজনক সময়ে সকল মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য উপাসনালয়ে প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।

২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনের লক্ষ্যে সারা দেশে রাত ১০টা ৩০ মিনিট হতে ১০টা ৩১ মিনিট (১ মিনিটের) প্রতীকী ব্ল্যাক আউট (কেপিআই/জরুরি স্থাপনা ব্যতীত) পালন করা হবে।

এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবন ও স্থাপনাসমূহে কোনো অবস্থাতেই ২৫ মার্চ রাতে আলোকসজ্জা করা যাবে না।


৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৩ এপ্রিল নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. কামরুজ্জামান রবিবার যে প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন, তাতে বলা হয়, ‘সরকার আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ৩ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করল। ছুটিকালীন সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।

‘তবে জরুরি পরিষেবা, যেমন: বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং এ সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীগণ এই ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে।’

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ‘হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এ সেবার সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা এই ছুটির আওতা-বহির্ভূত থাকবে। চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মীরা এবং ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মীগণ এই ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে।

‘জরুরি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত অফিসসমূহ এই ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে। ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে। আদালতের কার্যক্রমের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবেন।’


সুন্দরবনের আগুনে পুড়ল ৪ একর বনভূমি, তদন্তে কমিটি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের একটি অংশের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

ইউএনবি জানায়, তিন কিলোমিটার দূরে মরা ভোলা নদী থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে পানি নিয়ে আগুন নেভানো হয়েছে। বনে আগুনের ওই এলাকায় মাঝেমধ্যে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে। আগুনে এরই মধ্যে প্রায় ৪ একর বনভূমি পুড়ে গেছে।

বার্তা সংস্থাটি জানায়, রবিবার সকালে সুন্দরবনের আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে বন বিভাগ এবং ফায়ার সার্ভিস নিশ্চিত করেছে।

তদন্তে কমিটি

এদিকে সুন্দরবনে আগুনের ঘটনায় বন বিভাগ রবিবার ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ওই কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম জানান, শনিবার রাতভর বন বিভাগ এবং গ্রামবাসী মিলে আগুন নেভানোর কাজ করে। ভোলা নদী থেকে পানি নিয়ে তারা জ্বলতে থাকা আগুনেব ছিটিয়েছে। রবিবার সকাল ৮টার দিকে তাদের সঙ্গে ফায়ার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজে যুক্ত হয়। ৩ কিলোমিটার দূরে মরা ভোলা নদীতে পাইপ লাইন বসিয়ে পানি নিয়ে আগুন নেভানোর কাজ চলছে। এরই মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

ডিএফও কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম আরও জানান, রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বনে আগুন জ্বলতে দেখা যায়নি। তবে বিচ্ছিন্নভাবে মাঝেমধ্যে কোনো কোনো স্থানে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে। ধোঁয়া দেখলে সঙ্গে সঙ্গে পাইপ দিয়ে সেখানে পানি ছিটানো হচ্ছে। আগুনে প্রায় ৪ একর বনের ক্ষতি হয়েছে।

ডিএফও কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিমের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৪ মে সুন্দরবনে আগুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী সুন্দরবনের ২৪, ২৫ এবং ২৭ নম্বর কম্পার্টমেন্টাল এলাকায় মৌয়ালদের পাশ (অনুমতি) দেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। এ বছর ১ এপ্রিল থেকে সুন্দরবনে মধু আহরণ মৌসুম শুরু হবে।

ডিএফও কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিমের ধারণা, মৌসুম শুরুর আগেই অবৈধ কোনো মৌয়াল সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারে। মৌয়ালের মশাল অথবা বিড়ি সিগারেটের অংশ থেকে সুন্দরবনে আগুন ধরতে পারে। এ ছাড়া আইন ভঙ্গ করে কোনো কোনো রাখাল ভোলা নদী পাড়ি দিয়ে তাদের গবাদি পশু নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করে। ওই রাখালদের ফেলে রাখা বিড়ি-সিগারেটের আগুন থেকেও সুন্দরবনে আগুনের ঘটনা ঘটতে পারে।

তিনি আরও জানান, সুন্দরবনে আগুনের সূত্রপাত এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব জানতে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) দ্বীপেন চন্দ্র দাসকে।

কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা বিপুলেশ্বর চন্দ্র দাস এবং কলমতেজি টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম।

কমিটির সদস্যদের আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান ডিএফও।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) দ্বীপেন চন্দ্র দাস জানান, সুন্দরবনে যে স্থানে আগুন লেগেছে, ওই এলাকার দেড় কিলোমিটারজুড়ে ফায়ার লেন কাটা হয়েছে। আগুন ফায়ার লেন অতিক্রম করতে পারেনি।

তিনি আরও জানান, শনিবার সকালের পর থেকে বন বিভাগের সদস্যরা একটানা আগুন নেভানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আগুনে কিছু বলা এবং নলবন পুড়ে সামান্য ক্ষতি হয়েছে।

বাগেরহাটের শরণখোলা ফায়ার স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা আফতাব-ই-আলম জানান, সুন্দরবনে জ্বলতে থাকা আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সুন্দরবনে জ্বলতে থাকা আগুন প্রায় ৯০ শতাংশ নিভে গেছে। এই মুহূর্তে কোথাও আগুন জ্বলতে দেখা যাচ্ছে না। তবে মাঝেমধ্যে বিচ্ছিন্নভাবে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে। ধোঁয়া দেখলেই সঙে সঙ্গে পানি ছিটানো হচ্ছে। সন্ধ্যার মধ্যে আগুন সম্পূর্ণ নেভানো সম্ভব হবে।

এ নিয়ে ১৯ বছরে সুন্দরবনে ২৯ বার আগুনের ঘটনা ঘটে। গত ৪ মে সুন্দরবনে আগুন লাগে।

বিভিন্ন সময়ে সুন্দরবনে আগুনে এ পর্যন্ত প্রায় ৮৫ একর বনভূমি পুড়ে গেছে।


রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় দাসের জামিন প্রশ্নে রুল শুনানি এপ্রিলে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি হবে হাইকোর্টের অবকাশকালীন ও ঈদের ছুটির পর। এই ছুটি চলবে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত। বিচারপতি আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির এ সময় নির্ধারণ করেছেন।

রবিবার (২৩ মার্চ) চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সে রুল শুনানির জন্য গত ১৯ মার্চা উপস্থাপন করা হলে হাইকোর্ট বিষয়টি অবকাশকালীন ছুটি শেষে (১৯ এপ্রিলের পর) শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য ও প্রবীর রঞ্জন হালদার। আর রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর হক ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ।

গত ২৫ অক্টোবর চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে সনাতনী সম্প্রদায়ের একটি বড় সমাবেশ হয়। এর কয়েক দিন পর গত ৩১ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। এ মামলায় আরও ১৮ জনকে আসামি করা হয়। এরপর গত ২২ নভেম্বর চিন্ময়ের নেতৃত্বে রংপুরে আরও একটি বড় সমাবেশ হয়।

এরপর রাষ্ট্রদ্রোহের সেই মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গত ২৫ নভেম্বর ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন জামিন আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।

আদালত চিন্ময়কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে সেদিন চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময়ের অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আইনজীবীর সাইফুল ইসলাম আলিফকে আদালত চত্বরের বাইরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।এরপর থেকেই কারাগারে আছেন চিন্ময়। গত ২ জানুয়ারি চিন্ময় দাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালত। পরবর্তীতে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন চিন্ময় দাস।


ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে যেসব পদক্ষেপ নিল ডিএমপি

আপডেটেড ২৩ মার্চ, ২০২৫ ১৩:৩৪
ইউএনবি

ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা স্বাচ্ছন্দ্যময় ও নির্বিঘ্ন করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

এক গণবিজ্ঞপ্তিতে ডিএমপি রবিবার এমন তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, ‌‘মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত এবং ঈদ পরবর্তী তিন দিন মহাসড়কে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ রাখা হবে। আবদুল্লাহপুর থেকে ধউর/আশুলিয়া সড়ক একমুখীকরণ করা হবে। বিআরটি লেন দিয়ে শুধু আউটগোয়িংয়ের যান চলাচলের ব্যবস্থা থাকবে।

‘এ ছাড়াও আগামী ২৫ মার্চ থেকে ঈদের আগের রাত পর্যন্ত বেশ কয়েকটি সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে, যার মধ্যে রয়েছে ঢাকা-আশুলিয়া মহাসড়কের উত্তরার আবদুল্লাহপুর থেকে কামারপাড়া হয়ে ধউর ব্রিজ পর্যন্ত সড়কটিতে শুধু ঢাকা মহানগর থেকে বের হওয়ার জন্য (একমুখী) সব ধরনের যানবাহন চলাচল করবে।’

বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা-আশুলিয়া মহাসড়কের উত্তরার আবদুল্লাহপুর থেকে কামারপাড়া হয়ে ধউর ব্রিজ পর্যন্ত সড়কে যান চলাচলের বিষয়ে বলা হয়, ‘এই সড়কে আশুলিয়া-ধউর-কামারপাড়া-আব্দুল্লাহপুর হয়ে ঢাকা প্রবেশ করবে এমন যানবাহনগুলো আশুলিয়া-ধউর-পঞ্চবটি হয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ সড়ক দিয়ে গাবতলী/অন্য এলাকায় প্রবেশ করবে।

‘এ ছাড়াও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের এয়ারপোর্ট টু গাজীপুর আসা ও যাওয়ার লেন দুটিতে শুধু ঢাকা থেকে বের হওয়ার জন্য (একমুখী ডাইভারসন) সব ধরনের যানবাহন ঢাকা থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তার দিকে চলাচল করবে। বিআরটির ঢাকায় প্রবেশের লেনটি দিয়ে কোনো যানবাহন ঢাকা অভিমুখে (ইনকামিং) আসতে পারবে না। মহাসড়কের অন্যান্য লেনের গাড়ি আগের মতো স্বাভাবিকভাবে চলাচল করবে। বিআরটির ঢাকা অভিমুখী যানবাহনগুলো অন্যান্য যানবাহনের সাথে নরমাল রাস্তায় বা লেনে ঢাকায় আগমন করবে।’

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘এ ছাড়া ঈদযাত্রায় যানবাহনের চলাচল সুগম করার জন্য জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অন্যান্য যানবাহনকে যেসব সড়ক পরিহার করতে হবে, সেগুলো হলো ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক (এয়ারপোর্ট টু আব্দুল্লাপুর), ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক (যাত্রাবাড়ী টু সাইনবোর্ড), পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে (৩০০ ফিট সড়ক), ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক (মিরপুর রোড: শ্যামলী টু গাবতলী), ঢাকা-কেরানীগঞ্জ সড়ক (ফুলবাড়িয়া টু তাঁতীবাজার টু বাবুবাজার ব্রিজ), ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক (যাত্রাবাড়ী টু বুড়িগঙ্গা ব্রিজ), মোহাম্মদপুর বসিলা ক্রসিং হতে বসিলা ব্রিজ সড়ক, আবদুল্লাপুর টু ধউর ব্রিজ সড়ক।’

গত ৯ মার্চ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সভাপতিত্বে বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলের এক সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


স্বল্প সময়ে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি সম্ভব: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে স্বল্প সময়ের মধ্যে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। শনিবার সকালে জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে খেলাফত মজলিশের বৈঠকের শুরুতে এ কথা বলেন তিনি।

আলী রীয়াজ বলেন, ‘আপনারা মতামতগুলোর অনেক ক্ষেত্রে একমত পোষণ করেছেন, অনেক ক্ষেত্রে আপনাদের কিছু ভিন্ন মত আছে, বক্তব্য আছে, সেগুলো আমরা শুনব। আমরা মনে করি, আলাপ-আলোচনার মধ্যে দিয়ে আমরা একটা জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে পারব। তারই অংশ হিসেবে আপনারা আসছেন। অত্যন্ত স্বল্প সময়ের মধ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি। দীর্ঘ সময় দেওয়া যায়নি আপনাদের। কিন্তু আপনারা আন্তরিকভাবে যে মতামতগুলো জানিয়েছেন, সেই মতামতগুলোর ভিত্তিতে আমরা আলোচনাটা শুরু করব।’

বৈঠকের শুরুতে সবাইকে ঐকমত্য কমিশন ও প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান আলী রীয়াজ। এ সময় খেলাফত মজলিশের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, সংস্কার নিয়ে দ্বিমত থাকা বিষয়গুলোতে এই বৈঠকের মাধ্যমে ঐকমত্য আসবে।

সকাল সাড়ে ৯টায় খেলাফত মজলিশের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে শুরু হয় সংলাপ। সংলাপে নেতৃত্ব দেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ এবং খেলাফত মজলিশের মহাসচিব আহমদ আব্দুল কাদের। সংলাপে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ছাড়াও সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

খেলাফত মজলিশের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের নেতৃত্বাধীন ৮ সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলটির নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল, যুগ্ম মহাসচিব এ বি এম সিরাজুল মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম এবং দলটির প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু।

উল্লেখ্য, প্রথমপর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত গত ১৩ মার্চের মধ্যে জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৮টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত ১৬টি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে কমিশন মতামত পেয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় আজ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে দলীয় মতামত পাঠাবে বিএনপি। পামাপাশি সংস্কার কার্যক্রমে ঐকমত্য তৈরি করতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ শুরু হয়েছে গত ২০ মার্চ। সে অনুযায়ী গতকাল কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেয় খেলাফত মজলিশ।


কমিশন প্রস্তাবিত সুপারিশ বাস্তবায়নে কাজ করবে সরকার: তথ্য উপদেষ্টা

শনিবার তথ্য ভবনে অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, গণমাধ্যম মালিক, সম্পাদক ও অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে কথা বলে সাংবাদিকতা পেশাকে সাংবাদিকবান্ধব করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রস্তাবিত সাংবাদিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সুপারিশ বাস্তবায়নে কাজ করবে সরকার।

শনিবার রাজধানীর তথ্য ভবনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে মৃত্যুবরণকারী সাংবাদিক পরিবার এবং অসুস্থ-অসচ্ছল সাংবাদিকদের মাঝে কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ঢাকা শহরের সাংবাদিকদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়। আমি নিজেও সাংবাদিকতা করার চেষ্টা করেছি। তখন দেখেছি, ১০ হাজার, ১১ হাজার, ১২ হাজার টাকা বেতনের কথা বলে। এই ১০ হাজার, ১২ হাজার টাকা বেতনে সাব-এডিটর বা নিউজ রুম এডিটরের কাজ করতে হয়। এই টাকা দিয়ে ঢাকা শহরে একটা পরিবার তো দূরের কথা একটা ফ্ল্যাট ভাড়াও পাওয়া যাবে না।

সাংবাদিকদের কল্যাণ অনুদান প্রদানকে একটি আপৎকালীন ব্যবস্থা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের নিয়মিত বেতন-ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা থাকলে কল্যাণ অনুদান প্রদানের হয়তো প্রয়োজন হতো না। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত সাংবাদিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সুপারিশ বাস্তবায়নে কাজ করবে সরকার। উপদেষ্টা বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মপরিধি বাড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও আশ্বাস দেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তথ্য সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেন, সাংবাদিকদের কল্যাণে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। গুজব ও অপপ্রচার মোকাবিলায় সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করে গণমাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করতে হবে।

বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া, সাংবাদিক মুহাম্মদ খায়রুল বাশার, সাজিদ আরাফাত ও মীর মুশফিক আহসান।

অনুষ্ঠানে ৩৭৪ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৯৩ লাখ ৯০ হাজার টাকার অনুদানের চেক প্রদান করা হয়। এর মধ্যে মৃত্যুবরণকারী সাংবাদিক পরিবার রয়েছে ১১টি। অনুদানপ্রাপ্তদের মধ্যে বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত সাংবাদিক রয়েছেন ১৯২ জন।


banner close