সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
১ পৌষ ১৪৩২

যেকেউ সরকারের সমালোচনা করতে পারছেন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
২০ মার্চ, ২০২৫ ১৩:৩২
ইউএনবি
প্রকাশিত
ইউএনবি
প্রকাশিত : ২০ মার্চ, ২০২৫ ১২:৫২

কোনো ভয়ভীতি ছাড়াই যেকেউ অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘নিজেদের কার্যক্রম নিয়ে সরকারকে প্রায়ই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়, এটিই বর্তমান প্রশাসনের সফলতা। কেউ বর্তমান সরকারের সমালোচনা করতে ভয় পান না।’

বুধবার রাজধানীর গুলশান শুটিং ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিক্যাব) ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ইফতার ও নৈশভোজে অংশ নিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সবার প্রতি প্রশ্ন রেখে উপদেষ্টা বলেন, ‘বছরখানেক কিংবা আট মাস আগে ক্ষমতাসীন সরকারের সমালোচনা কী আপনি করতে পারতেন, যেটা আপনি বর্তমানে করতে পারছেন? যদি আর কিছু না হয়, তবুও সরকারের অন্তত একটি সফলতা হচ্ছে, যে কেউ ইচ্ছা করলেই নির্ভয়ে সরকারের সমালোচনা করতে পারেন। এটাই গণতন্ত্রের মূলকথা।’
এ সময়ে সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিন, বিম্‌সটেক সেক্রেটারি জেনারেল ইন্দ্রা মনি পান্ডেসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।
ডিক্যাব সভাপতি এ কে এম মঈনুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান মামুনও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘জাতীয় জীবনের এক কঠিন সময় পার করছে বাংলাদেশ। জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুসারে সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। তবে অন্তর্বর্তী সরকার সব আকাঙ্ক্ষাই যে পূরণ করতে পারছে, তা বলছি না। তবে এমন একটি পথ তৈরি করতে হবে, যা সত্যিকার অর্থে বৈষম্যমুক্ত এবং গণতান্ত্রিক সমাজের চূড়ান্ত লক্ষ্যে নিয়ে যাবে দেশকে।’
‘কিছু কিছু সংস্কার নির্বাচনের আগেই করতে হবে। যেটা সরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে করতে চেষ্টা করছে, যাতে নির্বাচন দিয়ে গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা যায়। আর কিছু সংস্কার পরবর্তী সময়ে অব্যাহত থাকবে,’ বলেন তিনি।


আনিস আলমগীর ও শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযোগ, ডিবি হেফাজতে সাংবাদিক আনিস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাংবাদিক আনিস আলমগীর, অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন, মারিয়া কিশপট্ট এবং ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজ—এই চারজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় জুলাই রেভ্যুলশনারি অ্যালায়েন্সের কেন্দ্রীয় সংগঠক আরিয়ান আহমেদ বাদী হয়ে এই অভিযোগটি দায়ের করেন। এদিকে একই রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।

উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মোহাম্মদ রফিক আহমেদ অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অভিযোগটি গ্রহণ করা হয়েছে এবং এটি মূলত ‘সাইবার রিলেটেড ইস্যু’। তাই প্রাথমিক সত্যতা যাচাই ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনার সাপেক্ষে এটিকে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুসারীরা বিভিন্ন কৌশলে দেশে অবস্থান করে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্টের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। অভিযোগকারীর দাবি, গত ৫ আগস্টের পর থেকে অভিযুক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন টেলিভিশন টক শোতে অংশ নিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠনকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রচারণা চালাচ্ছেন, যার মূল উদ্দেশ্য আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করা। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, তাদের এসব বক্তব্য ও অনলাইন কার্যক্রমের ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা উসকানি পাচ্ছে এবং রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র, সহিংসতা ও অবকাঠামো ধ্বংসের মতো কর্মকাণ্ডে জড়িত হচ্ছে।

অন্যদিকে, অভিযোগ দায়েরের রাতেই ধানমন্ডি এলাকার একটি জিম থেকে ব্যায়াম শেষে বের হওয়ার সময় সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়। ডিবির প্রধান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে এবং এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন টেলিভিশন টক শোতে দেওয়া বক্তব্যের কারণে সাংবাদিক আনিস আলমগীর বেশ আলোচনায় ছিলেন।


ভারতে পলাতক শুটার মাসুদ, ব্যবহৃত ভারতীয় নম্বর ফাঁস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি চালানোর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর একটি সেলফি তুলেছেন, যা সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন।

জুলকারনাইন সায়েরের পোস্ট অনুযায়ী, হামলাকারী ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান এবং তার সহযোগী মোটরসাইকেল চালক আলমগীর হোসেন গত ১২ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। এরপর তাদের জাহাঙ্গীর কবির নানকের পিএস মো. মাসুদুর রহমান বিপ্লব এই ভারতীয় মোবাইল নম্বরটি (+৯১৬০০১৩৯৪০**) ফয়সাল করিম মাসুদকে জোগাড় করে দেন বলে বিশেষ গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে তিনি জানান।

ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান এই ভারতীয় নম্বর ব্যবহার করে গত রাতে কয়েকটি নম্বরে নিজেদের সেলফি পাঠান, যার মধ্যে একটি ইন্টারসেপ্ট করে ছবিটি পাওয়া যায়। ছবিটি ভারতের আসাম রাজ্যের গুয়াহাটিতে তোলা হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের পর রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেলে করে এসে চলন্ত রিকশায় থাকা ওসমান হাদির মাথায় গুলি করা হয়। এই হত্যাচেষ্টার ঘটনায় তাঁর পরিবার মামলা দায়ের করেছে। এই হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক, মানবপাচার চক্রের দুজন সহযোগী, সন্দেহভাজন শুটার ফয়সালের স্ত্রী, শ্যালক এবং বান্ধবী।


পাকিস্তানের শেষ ২৪ ঘণ্টা: ভুট্টোর চোখে জল ও আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

১৫ ডিসেম্বরের নাটকীয় মুহূর্ত: ভুট্টোর জাতিসংঘ ত্যাগ

১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর, নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সদরদপ্তর থেকে পাকিস্তানের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো এক আবেগঘন বিদায় নেন। সেদিন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া ছিল। নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর চোখে জল ছিল বলে মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে উঠে আসে। ভুট্টো সেদিন অধিবেশনে জাতিসংঘের বিরুদ্ধে আগ্রাসনকে বৈধতা দেওয়ার অভিযোগ তুলে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং বলেন, “রাখুন আপনাদের নিরাপত্তা পরিষদ। লজ্জাজনক আত্মসমর্পণের সঙ্গে আমি যুক্ত হবো না। আমি কোনো ইঁদুর নই। পালাচ্ছি না, পরিষদ ছেড়ে চলে যাচ্ছি।” ভুট্টোর এই নাটকীয় প্রস্থান পরদিন নিউইয়র্ক টাইমসের পাতায় স্থান পায়। এই সময়ে ফ্রান্স ও ব্রিটেনের যৌথ প্রস্তাব এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের উত্থাপিত প্রস্তাবে যুদ্ধবিরতি ও পূর্ব পাকিস্তানের কথিত ‘বিদ্রোহী’দের সাথে রাজনৈতিক সমঝোতার আহ্বান জানানো হয়, যা কূটনীতিকদের কাছে ঢাকার আসন্ন পতনের ইঙ্গিত দেয়।

ষোলো ঘণ্টার আলটিমেটাম এবং আত্মসমর্পণের বার্তা চালাচালি

গুরুত্বপূর্ণ শহর ও ঘাঁটি হারানোর পর পাকিস্তানের শাসকরা পরাজয় নিশ্চিত হয়ে পড়েন। এর আগে ১৪ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজিকে চিঠি পাঠিয়ে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ এবং সৈন্যদের জীবন রক্ষার্থে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। ইয়াহিয়া খান উল্লেখ করেন যে তিনি ইতিমধ্যেই জাতিসংঘে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপরতা শুরু করেছেন।

এই বার্তা পাওয়ার পর জেনারেল নিয়াজি ও গভর্নর সামরিক উপদেষ্টা ফরমান আলী যুক্তরাষ্ট্রের কনসাল জেনারেল হার্বার্ট স্পিভ্যাকের সাথে দেখা করে 'সম্মানজনক শর্তসাপেক্ষে যুদ্ধবিরতি'র একটি বার্তা ভারতের কাছে পাঠানোর অনুরোধ জানান। স্পিভ্যাক বার্তাটি দিল্লির বদলে ওয়াশিংটনে পাঠান, যেখান থেকে তা ভারতের তৎকালীন সেনাপ্রধান শ্যাম মানেকশর কাছে পৌঁছায় ১৫ ডিসেম্বর দুপুরে।

জেনারেল মানেকশ সেই বার্তার জবাবে স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, বাংলাদেশে অবস্থানরত পাকিস্তানি সামরিক ও আধা সামরিক বাহিনী আত্মসমর্পণ করলেই কেবল তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে এবং ভারতের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তিনি ঢাকায় বিমান হামলা বন্ধের নির্দেশও দেন। আত্মসমর্পণের জন্য তিনি পরদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেন, যদিও পরে জে এফ আর জ্যাকবের লেখা অনুযায়ী এই সময়সীমা আরও কয়েক ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছিল।

যুদ্ধের শেষ দিনের চিত্র

যুদ্ধের শেষ এই দিনে একদিকে আত্মসমর্পণের বার্তা চালাচালি চলছিল, অন্যদিকে ভারতীয় যুদ্ধবিমান দিনভর পাকিস্তানি বাঙ্কার, আবাসস্থল ও কমান্ড-কেন্দ্রগুলোর ওপর বোমা বর্ষণ করতে থাকে। পাকিস্তানি সেনারা আত্মরক্ষার জন্য কিছু বাঙ্কারের ছাদে হাত-পা বেঁধে স্থানীয়দের শুইয়ে রেখেছিল, যার ফলে ভারতীয় বিমান হামলা মাঝে মাঝে ব্যর্থ হয়। একই সময়ে স্থলপথে মুক্তি ও ভারতীয় সেনারা ঢাকার দিকে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছিলেন। নিউইয়র্ক টাইমসের বর্ণনা অনুযায়ী, সেদিন মুক্তিবাহিনীর ঢাকামুখী যাত্রা ছিল বিজয়ীর মতো, পথে সাধারণ মানুষ তাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছিল, তবে নদীতে তখন লাশের স্তূপ ভাসছিল।


হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে বিশ্বরেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন বিডার আশিক চৌধুরী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের মধ্যে একজন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। তিনি ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে জাম্প করবেন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এই তথ্য জানানো হয়।

সেখানে বলা হয়, ‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে। বিজয়ের দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড ওসমান হাদির দ্রুত আরোগ্য কামনায় সবাইকে দোয়া ও প্রার্থনার আহ্বান জানাই।’

উল্লেখ্য, আগামী ১৬ ডিসেম্বর সকাল ১১টা থেকে ঢাকার তেজগাঁওয়ে পুরনো বিমানবন্দরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী পৃথকভাবে ফ্লাই পাস্ট মহড়া পরিচালনা করবে।

চলবে বিজয় দিবসের বিশেষ ব্যান্ড-শো। পরে সকাল ১১টা ৪০ মিনিট থেকে ‘টিম বাংলাদেশ’-এর ৫৪ জন প্যারাট্রুপার স্বাধীনতার ৫৪ বছর উদযাপনে পতাকা হাতে প্যারাস্যুটিং করবেন। জনসাধারণের জন্য এই বিশেষ আয়োজন উন্মুক্ত থাকবে।

এর আগে গত শুক্রবার দুপুরে ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হন ওসমান হাদি।

তিনি জাতীয় সংসদের ঢাকা-৮ আসনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। সেদিন রাত থেকে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন।


ওসমান হাদিকে গুলি: ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নান ৩ দিনের রিমান্ডে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক মো. আব্দুল হান্নানকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিদারুল আলমের আদালতে শুনানি শেষে এই আদেশ দেওয়া হয়। পল্টন থানার উপপুলিশ পরিদর্শক সামিম হাসান হান্নানকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করেন এবং পরবর্তীতে সাত দিনের রিমান্ড চান।

পুলিশের রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, আসামির কাছ থেকে ঘটনায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও মোটর সাইকেল উদ্ধার, জড়িত অজ্ঞাত পরিচয়ের পলাতক আসামিদের নাম, ঠিকানা সংগ্রহ, অবস্থান ও গ্রেপ্তারের জন্য, মূল রহস্য উদঘাটন এবং অবৈধ অস্ত্র সংগ্রহের উৎস জানার জন্য রিমান্ড প্রয়োজন।

জানা যায়, র‍্যাব-২ হান্নানকে আটক করে পল্টন মডেল থানায় সোপর্দ করে। গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর ২টা ২৪ মিনিটে পল্টন মডেল থানাধীন বক্স কালভার্ট এলাকায় শরীফ ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে অজ্ঞাত পরিচয় দুই সন্ত্রাসী একটি মোটরসাইকেলে এসে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি গুরুতর আহত হন এবং বর্তমানে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে র‍্যাব-২ সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন নম্বর (ঢাকা মেট্রো ল-৫৪-৬৩৭৫) শনাক্ত করে এবং বিআরটিএ থেকে মালিক হিসেবে মো. আব্দুল হান্নানকে চিহ্নিত করে। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।


ইতিহাসকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে বিভাজন সৃষ্টি করা যাবে না: ঢাবি উপাচার্য

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ১৯৫২, ১৯৬৯, ১৯৭১, ১৯৯০ ও ২০২৪-এর ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো পরস্পরবিরোধী নয় বরং এগুলো বাংলাদেশের জাতীয় সত্তা ও ইতিহাস নির্মাণ করেছে। এসব ঘটনাকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে বিভাজন সৃষ্টির যে রাজনৈতিক অপচেষ্টা চলছে, সে ব্যাপারে জাতিকে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে আজ ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ রবিবার ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শহিদ গিয়াস উদ্দিন আহমদের ছোট বোন অধ্যাপক সাজেদা বানু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি আবু সাদিক কায়েমসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স এসোসিয়েশন, তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী সমিতি ও কারিগরি কর্মচারী সমিতির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।

এসময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, প্রক্টর, প্রভোস্ট, শিক্ষক, বিভিন্ন দফতরের প্রধান, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভার শুরুতে শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের লক্ষ্যে দাঁড়িয়ে ১মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ শুধু স্মরণীয় কোনো ইতিহাস নয় বরং আমাদের জাতীয় ঐক্য, পরিচয় ও অস্তিত্বের ভিত্তি। এই আত্মত্যাগ যতদিন আমাদের স্মৃতিতে জীবিত থাকবে, ততদিন জাতি হিসেবে আমাদের ঐক্য অটুট থাকবে।

উপাচার্য বলেন, শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস কেবল আনুষ্ঠানিক কোনো দিবস নয়; এটি আত্মত্যাগের দায় স্বীকার করার উপলক্ষ।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ একটি কঠিন ও ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এই সময়ে শহিদদের স্মৃতি আমাদের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। শিক্ষক, চিকিৎসক, সাংবাদিকসহ প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার মধ্য দিয়েই শহিদদের প্রতি আমাদের ঋণের কিছুটা হলেও শোধ করা সম্ভব।

শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচিতে সর্বস্তরের মানুষের আরও বেশি অংশগ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, এসব আয়োজন শুধু স্মরণ নয় বরং ঋণ স্বীকার ও দায়িত্ব পালনের একটি সম্মিলিত অঙ্গীকার।

দিবসটি উপলক্ষ্যে উপাচার্য ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভবনসমূহে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণস্থ কবরস্থান, জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণস্থ স্মৃতিসৌধ, বিভিন্ন আবাসিক এলাকার স্মৃতিসৌধ এবং মিরপুর ও রায়ের বাজার শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদসহ বিভিন্ন হল মসজিদে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয় এবং বিভিন্ন উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।


জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানালো বুয়েট

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস–২০২৫ উপলক্ষে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে দেশকে মেধাশূন্য করার নৃশংস অপচেষ্টার শিকার শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে আজ রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর সকালে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

এ সময় বুয়েটের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সঙ্গে উপস্থিত বুয়েট পরিবারের সকল সদস্য নীরবতা ও গভীর ভাবগম্ভীরতার মধ্য দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগকে হৃদয়ে ধারণ করে তাঁদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদের ডিনবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানগণ, ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক, রেজিস্ট্রার, প্রভোস্টবৃন্দ, অফিস প্রধানগণ, ইনস্টিটিউট ও সেন্টারের পরিচালকবৃন্দসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। উপস্থিত সবার কণ্ঠে ও চোখে ছিল জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারানোর বেদনা ও তাঁদের আদর্শে দেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়।

উল্লেখ্য, শহীদ বুদ্ধিজীবীরা জাতির বিবেক ও আলোকবর্তিকা। তাঁদের রক্তের ঋণ শোধ করা সম্ভব না হলেও বুয়েট বিশ্বাস করে—শিক্ষা, গবেষণা ও মানবিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধ জাতি গঠনের মধ্য দিয়েই তাঁদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো যায়। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সেই অঙ্গীকারই পুনর্ব্যক্ত করলো বুয়েট।


লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচন স্থগিতে আইনি নোটিশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে চলমান ভয়াবহ নিরাপত্তা সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে লুট হওয়া বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্থগিত রাখার দাবিতে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান এই নোটিশটি মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এবং র‍্যাবের মহাপরিচালকের কাছে জনস্বার্থে প্রেরণ করেন।

নোটিশে উল্লেখ করা হয় যে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ পতন হলেও পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন থানা ও নিরাপত্তা স্থাপনা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট হয়, যার একটি বড় অংশ এখনও উদ্ধার হয়নি। এসব অবৈধ অস্ত্রের কারণে আসন্ন নির্বাচনে ভোটার ও প্রার্থীদের জীবনের নিরাপত্তা মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছে।

আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান বলেন যে, ইতিমধ্যেই নির্বাচনী সহিংসতা ও প্রাণনাশের আশঙ্কা দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে এবং এই চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করলে তা ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে। নোটিশে ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ তারিখে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাকে অবৈধ অস্ত্রের উপস্থিতির প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরা হয়।

নোটিশে আরও বলা হয়, এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন আয়োজন করা হলে তা সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নাগরিকদের ‘জীবনের অধিকার’ লঙ্ঘন করবে। যদিও ‘জুলাই সনদ’ গণভোট একটি জাতীয় ঐকমত্যের বিষয় হওয়ায় তাতে সহিংসতার আশঙ্কা কম, তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক প্রক্রিয়া হওয়ায় অবৈধ অস্ত্রের উপস্থিতিতে নির্বাচন আয়োজনকে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

এমতাবস্থায়, নোটিশে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ তারিখে ‘জুলাই সনদ’ গণভোট যথাসময়ে আয়োজনের দাবি জানানো হলেও, সব লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্থগিত রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট পিটিশন দায়ের করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।


দিল্লির দায়িত্বশীল ভূমিকা চায় ঢাকা, ভারত চায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারতের অভ্যন্তরে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের পলাতক সদস্যরা বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিকল্পনা, সংগঠন ও বাস্তবায়নে সহায়তা করছে—এমন অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। এই পরিস্থিতিতে ঢাকা নয়াদিল্লির কাছ থেকে জরুরি ও কার্যকর পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেছে, যাতে এ ধরনের অপরাধমূলক তৎপরতা বন্ধ হয়। একই সাথে, প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুরক্ষায় দিল্লির পক্ষ থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশিত বলেও ঢাকা জানিয়েছে।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এসব উদ্বেগ তুলে ধরা হয়। সরকারের অভিযোগ, ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়ানোর জন্য নিয়মিত উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন, যা বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য গুরুতর হুমকি।

অন্যদিকে, জবাবে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা জানিয়েছেন যে, বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক—এটাই ভারতের প্রত্যাশা এবং এই লক্ষ্যে ঢাকাকে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে দিল্লি প্রস্তুত।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৈঠকে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে আদালতের দেওয়া দণ্ডের মুখোমুখি করতে দ্রুত প্রত্যর্পণের বিষয়েও দিল্লির প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে। এছাড়াও, ভারতে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের পলাতক সদস্যদের দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের দিকেও হাইকমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।


শরীফ ওসমান হাদিকে গুলি: আরও ২ জন গ্রেফতার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় পুলিশ আরও দুই জনকে গ্রেফতার করেছে, যদিও তাদের নাম-পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী আজ রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে, র‍্যাব হামলাস্থলে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নানকে আটক করেছিল। জানা যায়, আব্দুল হান্নান চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং তিনি পেশায় একজন শ্রমিক।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকায় দুর্বৃত্তরা শরীফ ওসমান হাদিকে গুলি করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে, তাঁর অবস্থা এখনও আশঙ্কামুক্ত নয়।


নির্বাচন ও গণভোট সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলকে নিরাপত্তা প্রটোকল দেবে সরকার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটকে সামনে রেখে সরকার সকল রাজনৈতিক দল এবং গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দকে নিরাপত্তা প্রটোকল প্রদান করবে বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় যে, পুলিশ এই প্রটোকল দেবে।

এই নিরাপত্তা প্রটোকলের মধ্যে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, আসন্ন নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী, তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা এবং সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকবে।

এছাড়াও, গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখসারির নেতৃত্ব এবং গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে বিশেষ বাড়তি নিরাপত্তা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয় যে, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদীর ওপর হামলার ঘটনায় হামলাকারী ও তার সহযোগীদের পুলিশ ইতোমধ্যে শনাক্ত করেছে। তাদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় অভিযান চলছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের হাতের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) পরীক্ষা করা হচ্ছে।

প্রেস উইং থেকে আরও জানানো হয় যে, প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে সীমান্ত পার হতে না পারে, সেজন্য শুক্রবার রাতেই সমস্ত ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের ছবি ও তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে এবং সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও র‍্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণভাবে একাধিকবার সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করা গেলেও স্থান পরিবর্তনের কারণে এখনো তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ প্রধান সন্দেহভাজনের চলাচলের ইতিহাস (ট্রাভেল হিস্ট্রি) সংগ্রহ করেছে, যা থেকে দেখা যায় যে তিনি আইটি ব্যবসায়ী পরিচয়ে গত কয়েক বছরে একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন; সর্বশেষ গত ২১ জুলাই সিঙ্গাপুর ভ্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে। এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে এমন আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে ইতোমধ্যে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।


হাদির অবস্থা অপরিবর্তিত, বিদেশে নেওয়ার পরিকল্পনা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। তিনি এখনও ‘ডিপ কোমা’য় রয়েছেন। তবে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তার পরিবার ও সংগঠন।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে হাদির চিকিৎসার সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ এলায়েন্সের সদস্য সচিব ডা. আব্দুল আহাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, হাদির শারীরিক অবস্থা আগের মতোই অপরিবর্তিত রয়েছে, তবে তার শরীরে কিছু অভ্যন্তরীণ সাড়া (ইন্টারনাল রেসপন্স) পাওয়া যাচ্ছে। চিকিৎসকরা তাকে ৭২ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন, যা আগামীকাল সোমবার রাতে শেষ হবে। ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট সময় পার না হওয়া পর্যন্ত তাকে এখনই আশঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না।

এদিকে, হাদির পরিবার ও রাজনৈতিক সহযোদ্ধারা তাকে বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতি নিলেও বিষয়টি পুরোপুরি নির্ভর করছে তার শারীরিক সক্ষমতার ওপর। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বিদেশে স্থানান্তরের ধকল সয়ে নেওয়ার মতো শারীরিক স্থিতিশীলতা ফিরে এলেই কেবল তাকে দেশের বাইরে পাঠানো সম্ভব হবে।


শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।

তিনি রোববার সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান ।

এ সময় ঘড়ির কাঁটায় সময় সকাল ৭টা ২২ মিনিট।

পুষ্পস্তবক অর্পণের পর জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে প্রধান উপদেষ্টা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

এ সময় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধান উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাবৃন্দ, ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

পাশাপাশি তিনি আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন ।

একাত্তরের নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ যখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে, ঠিক তখনই এই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। স্বাধীনতার সূর্য ওঠার আগমুহূর্তে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পরিকল্পিতভাবে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার চেষ্টা চালায়।

এর আগে, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সকাল আনুমানিক ৭টা ০৪ মিনিটে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।


banner close