মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

আজ থেকে চালু হচ্ছে ঈদযাত্রার বিশেষ ট্রেন

ছবি: সংগৃহীত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ৩১ মে, ২০২৫ ১৪:১৭

ঈদ উপলক্ষে আজ শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে বিশেষ ট্রেন যাত্রা। এ সময় ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখা ও শিডিউল বিপর্যয় নিরসনে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

এরমধ্যে নিরাপদ ও সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনা নিশ্চিত করে যাত্রী সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সময়ানুবর্তিতা রক্ষার জন্য ডিভিশনাল ও জোনাল কন্ট্রোলে পৃথক পৃথক মনিটরিং সেল গঠন করে কর্মকর্তাদের ইমার্জেন্সি ডিউটি প্রদান করা হবে। ঈদ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের নেওয়া কর্মপরিকল্পনা থেকে এ সিদ্ধান্ত জানা গেছে।

কর্মপরিকল্পনায় বলা হয়েছে, সময়ানুবর্তিতা রক্ষায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও জংশন স্টেশন এবং সিগন্যাল কেবিনে কর্মকর্তা ও পরিদর্শকদের তদারকির মাধ্যমে ট্রেন পরিচালনা করা হবে। দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও ট্রেন শিডিউল অড়্গুন্ন রাখার স্বার্থে রেলপথ পেট্রোলিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।

এতে আরো বলা হয়, ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত যাত্রী চাহিদা পূরণের জন্য পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ থেকে ২৯টি এমজি ও সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ থেকে ১৫টি বিজি কোচসহ সর্বমোট ৪৪টি কোচ যাত্রীবাহী সার্ভিসে যুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ঈদ উপলক্ষে মোট ২৭টি (পূর্বাঞ্চলে এমজি ১৮টি ও পশ্চিমাঞ্চলে বিজি ৯টি) লোকোমোটিভ যাত্রীবাহী ট্রেনে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখা হবে।


রং-টং দিয়ে ফিটনেস বিহীন গাড়ি চলতে দেয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

ঈদ যাত্রায় রং-টং দিয়ে ফিটনেস বিহীন কোনো গাড়ি কোনো অবস্থাতেই রাস্তায় চলতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (৩ জুন) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অফিস কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘অনেক সময় দেখা যায় ফিটনেস বিহীন গাড়িগুলো মালিকেরা রং-টং করে রাস্তায় নামান। রং-টং দিয়ে ফিটনেস বিহীন কোনো গাড়ি কোনো অবস্থাতেই চলতে দেয়া হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘অনেক সময় দেখা যায় একজন ড্রাইভার রাজশাহীতে একটি গাড়ি নিয়ে গেলে সেখান থেকে সাথে সাথে ফিরে আসতে হয়। আমরা তাদের বলেছি, ড্রাইভারদের পর্যাপ্ত বিশ্রামের ব্যবস্থা করতে হবে।’

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, ’মানুষের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সকল ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ঢাকা সহ সারা দেশে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন যাতে কোথাও কোনো ধরনের সমস্যা না হয়। আমরা পুরোপুরি সজাগ রয়েছি।’

তিনি বলেন, ’পুলিশের জন্য শুধু জরুরি ছুটিই রাখা হয়েছে, বাকি সব ছুটি বাতিল করা হয়েছে।’


বৈষম্যহীন আদর্শের সঙ্গে নতুন বাজেটের সামঞ্জস্য নেই: সিপিডি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

জুলাই অভ্যুত্থানের বৈষম্যহীন আদর্শের সঙ্গে বাজেট প্রস্তাবনার সাযুজ্য নেই বলে দাবি করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। বাজেটের অনেক ক্ষেত্রে বিশেষ করে করখাতে এখনো বৈষম্য বিদ্যমান রয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।

মঙ্গলবার (৩ জুন) সকালে রাজধানীর লেক শোর হোটেলে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সিপিডি নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান ও প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য গবেষক উপস্থিত ছিলেন।

‘জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬ সিপিডির পর্যালোচনা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে ফাহমিদা খাতুন বলেন, এবারের বাজেটের মূল্য উদ্দেশ্য ছিল বাজেটকে প্রবৃদ্ধিমুখী ও ভৌত কাঠামগত উন্নতির দিকে না নিয়ে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও জনবান্ধব করা। কিন্তু অর্থ উপদেষ্টা যে বাজেট উত্থাপন করেছেন, তার সঙ্গে বাজেটের প্রত্যয়ের প্রতিফলন ঘটেনি।

করমুক্ত আয়সীমা প্রসঙ্গে সিপিডি বলছে, ‘৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। কিন্তু এই আয়সীমা কার্যকর হবে ২০২৬-২৭ এবং ২০২৭-২৮ অর্থবছর থেকে। সেই সময়ের মূল্যস্ফীতির সঙ্গে তুলনা করলে কর আদায়ে যে ছাড় দেওয়া হয়েছে তা নিতান্ত নগণ্য।’

অন্যান্য বাজেটের মতো এবারের বাজেটেও করের বড় চাপ পড়বে নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত মানুষের ওপর। বিশেষ করে যাদের বার্ষিক আয় ৬ লাখ থেকে ১৬ লাখের মধ্যে তাদেরকে গুণতে হবে বড় করহার। অন্যদিকে যাদের আয় ৩০ লাখের ওপরে তাদের ওপর আরোপিত কর অপেক্ষাকৃত কম—যা পরিষ্কার বৈষম্য বলে মনে করে সিপিডি।

এবারের বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক পাঁচ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যা উচ্চাকাঙ্খী উল্লেখ করে ফাহমিদা বলেন, ‘বছরের বিগত মাসের মূল্যস্ফীতির হার দেখে মনে হচ্ছে না এটি ৬ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে রাখা সম্ভব। বার্ষিক মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ রাখা সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে।’

পাশাপাশি বাজেটে যে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা পূরণ করাও কষ্টসাধ্য উল্লেখ করে মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘রাজস্ব বিভাগ আগের মতোই আছে। এই বিভাগকে এখন পর্যন্ত পুনর্গঠন করা সম্ভব হয়নি। এবারের বাজেটে সরকার রাজস্ব বিভাগের কাছে এক রকমের আত্মসমর্পণ করেছে।’

‘বাজেটে প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, ঋণমানের যে কাঠামো নির্ধারণ করেছে সরকার এবং করহারে যে বৈষম্য আছে; তা নতুন অর্থবছরের বাজেট থেকে পূর্ব অনুমিত হলেও প্রত্যাশিত ছিল না।’

কালো টাকা সাদা করার সুযোগের কড়া সমালোচনা করে ফাহমিদা বলেন, ‘প্রথমত নৈতিকতার জায়গা থেকে এটি মেনে নেওয়া যায় না। তার ওপর আবাসন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিচ্ছে সরকার, অন্যদিকে এই খাতের নানা পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর ওপর চরম বৈষম্য।’

এখন পর্যন্ত দেশে ২০টি মেগা প্রকল্পের কাজ চলমান আছে, যার ৮টি প্রকল্পের কাজ ২০২৬ সালে শেষ হওয়ার কথা। তবে সিপিডি ধারণা করছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হবে না এবং ব্যয় বাড়বে, যা বাজেটের এডিপি খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের ওপর চাপ ফেলবে।

খাতভিত্তিক বরাদ্দের সমালোচনা করে ফাহমিদা বলেন, ‘এবারের বাজেটেও শিক্ষাখাতে বরাদ্দ জিডিপির ২ শতাংশের কম এবং স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ এক শতাংশ কম। এ ধরনের বরাদ্দ দিয়ে এই দুই খাতের উন্নতি আশা করা যায় না।’

সামাজিক নিরাপত্তা খাতের প্রসঙ্গে এই খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের পেনশন এবং কৃষি ভর্তুকি বাদ দিয়ে আসল সুবিধাভোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধির ওপর জোর দেয় প্রতিষ্ঠানটি।

সিপিডির পক্ষ থেকে বলা হয়, সামগ্রিক বিচারে এবারের বাজেট বৈষম্যহীন বাংলাদেশের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ। অর্থ উপদেষ্টাকে বাজেটের নানা দিক পুর্নমূল্যায়নের আহ্বান জানিয়েছে সিপিডি।


দাম বাড়তে-কমতে পারে যেসব পণ্যের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
করপোরেট ডেস্ক

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল সোমবার বিকালে অর্থ মন্ত্রণালয়ে তিনি এই বাজেট পেশ করেন।

বাজেটে নিম্নোক্ত পণ্যের দাম বাড়ানো ও কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

দাম বাড়বে

সিগারেট, অনলাইন কেনাকাটা, রড, প্রসাধনী সামগ্রী, সাবান-শ্যাম্পু, শিশুদের খেলনা, দেশে তৈরি মোবাইল ফোন, গৃহস্থালি প্লাস্টিক সামগ্রী, এলপিজি, দেশে তৈরি এলপিজি সিলিন্ডার, ফ্ল্যাট, বলপয়েন্ট কলম, হেলিকপ্টার সার্ভিস, দেশে তৈরি ওয়াশিং মেশিন, দেশে তৈরি মাইক্রো ওভেন, দেশে তৈরি ইলেকট্রিক ওভেন, দেশে তৈরি ব্লেন্ডার-জুসার-মিক্সার-গ্রাইন্ডার, দেশে তৈরি ইলেকট্রিক কেটলি-ইস্ত্রি, দেশে তৈরি রাইস কুকার-প্রেসার কুকার, ব্লেড, দেশে তৈরি লিফট, দেশে তৈরি ফোর স্ট্রোক থ্রি-হুইলার যান, ওটিটি কনটেন্ট, বাণিজ্যিক ভবন (কমার্শিয়াল স্পেস), সেলফ-কপি পেপার-ডুপ্লেক্স বোর্ড-কোটেড পেপার, সুতা, ম্যানমেড ফাইবার, স্ক্রু-নাট-বোল্ট, সার্জিক্যাল কিটস, শিপ স্ক্র্যাপস গুডস, সিমেন্ট শিট, ক্রেডিট রেটিং সার্ভিস, থ্রি-হুইলার ব্যাটারি, সেটআপ বক্স ইত্যাদি।

দাম কমবে

চিনি, স্যানিটারি ন্যাপকিন, আইসক্রিম, ভূমি নিবন্ধন ফি, নিউজপ্রিন্ট পেপার, ক্যানসারের ওষুধ, ইনসুলিন, এলএনজি, টায়ার, দেশি তৈরি ই-বাইক, মাটির পাত্র-পেপার প্লেটস-অন্যান্য, কম্পিউটারের দেশে তৈরি বড় মনিটর, উড়োজাহাজ ভাড়া, লিথিয়াম-গ্রিফিন ব্যাটারি ইত্যাদি।

জুলাই অভ্যুত্থানে বদলে যাওয়া বাংলাদেশে ভিন্ন বাস্তবতায় এবার সংসদের বাইরে বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে ভিন্ন আঙ্গিকে। অর্থ উপদেষ্টার বাজেট বক্তৃতা রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বিটিভিসহ অন্যান্য বেসরকারি গণমাধ্যমে একযোগে প্রচার করা হয়।

১ জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া নতুন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের এই বাজেট প্রস্তাব পাস হবে আগামী ৩০ জুন।


বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক
    * ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ * রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা * জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ৫.৫ শতাংশ নির্ধারণ * মোট ঘাটতি ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও নতুন কর্মসংস্থান তৈরি, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক সুরক্ষায় ভাতা ও উপকারভোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগ আকর্ষণে ব্যবসায় পরিবেশের উন্নয়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন।

জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার করে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশের অর্থনীতির জন্য একটি বৈষম্যহীন ও টেকসই ভিত্তি নিশ্চিত করা এখন সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। গতকাল সোমবার বিকালে অর্থ উপদেষ্টা টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই বাজেট পেশ করেন।

প্রথমবার বাজেট দিতে গিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের চেয়ে ব্যয় কমিয়েছেন ৭ হাজার কোটি টাকা। স্বাধীনতার পর এই প্রথম বাজেটের আকার আগের অর্থবছরের চেয়ে কমল। বাস্তবতার সঙ্গে মিল রাখতেই ঘাটতি কমিয়ে বাজেটের আকার ছোটো রাখার কথা বলেছেন তিনি। উপদেষ্টা বলেছেন, আন্দোলনের ডামাডোলের মধ্যে নতুন বাজেটে স্বল্প আয়ের মানুষকে ‘স্বস্তি’ দেওয়ার চেষ্টার পরিকল্পনা থাকছে বাজেটে।

বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, দুস্থ ভাতা, প্রতিবন্ধীদের ভাতার মতো অনেক সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি চালু থাকছে; অল্প হলেও ‘বাড়বে’ ভাতার পরিমাণ ও সুবিধাভোগীর সংখ্যা। ‘জুলাই আন্দোলনে’ সম্পৃক্ত ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য বড় আকারে ব্যবস্থা থাকা ‘দরকার’ মনে করছে সরকার।

প্রস্তাবিত বাজেটে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে মোট ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা জিডিপির ৯ শতাংশ। যার সংস্থান হবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য উৎস হতে ৬৫ হাজার কোটি টাকা । আর ঘাটতি বাজেটের প্রস্তাব করা হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা।

এই ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা। বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করা হবে ৩৯ হাজার কোটি টাকা। এতে নিট বৈদেশিক ঋণ দাঁড়াবে ৯৬ হাজার কোটি টাকা।

২০২৫-২৬ অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ঋণ নেওয়া হবে এক লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক থেকে নেওয়া হবে এক লাখ ৪ হাজার কোটি টাকা। ব্যাংকবহির্ভূত ঋণ নেওয়া হবে ২১ হাজার কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার।

প্রস্তাবিত বাজেটে ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ এক লাখ কোটি টাকা। এছাড়া বৈদেশিক ঋণের সুদ ২২ হাজার কোটি টাকা।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৫.৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছে, যা চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা বা ৫.২৫ শতাংশ থেকে কিছুটা বেশি।

অর্থ উপদেষ্টা তার বাজেট বক্তৃতায় বলেন, মূল্যস্ফীতির সঙ্গে এ লড়াইয়ের ফলে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা কম হতে পারে। ইতোমধ্যে চলতি অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি সাময়িক হিসাবে ৩.৯৭ শতাংশ হয়েছে, যা চূড়ান্ত হিসাবে কিছুটা বাড়তে পারে। তবে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এটি বৃদ্ধি পাবে এবং মধ্যমেয়াদে ৬.৫ শতাংশে উন্নীত হবে বলে আমরা আশা করছি।

সরকার আশা করছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রাক্কলিত (সংশোধিত) প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ হতে পারে। আর ২০২৬-২৭ অর্থবছরে তা ৬ শতাংশ এবং ২০২৭-২৮ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ হতে পারে।

গত বছর বাজেটের সময় ক্ষমতায় ছিল আওয়ামী লীগ সরকার। তখনকার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরেছিলেন।

বাজেটে প্রথমবারের মতো যুব উদ্যোক্তা সৃষ্টির জন্য ১০০ কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া ‘তারুণ্যের উৎসব’ উদযাপনের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা।তিনি বলেন, তরুণ-যুবাদের দেশের উন্নয়নে আরও গভীরভাবে সম্পৃক্ত করার জন্য এই বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে সারা দেশে সফল যুব উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণের সিলিং বৃদ্ধি করে ৫ লাখ টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব করেছেন তিনি।

এর আগে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরের অর্থ বিল অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ও অন্যান্য উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।

সংসদ না থাকায় আগামী ৩০ জুন রাষ্ট্রপতি বাজেট অধ্যাদেশে সই করবেন, ১ জুলাই কার্যকর হবে নতুন বাজেট। তবে বাজেটের অনেক অংশ, বিশেষ করে ট্যাক্স ও কাস্টমস সংক্রান্ত বিষয়গুলো উপস্থাপনের দিন (২ জুন) থেকেই কার্যকর হবে।

এর আগে সবশেষ সংসদের বাইরে বাজেট দেওয়া হয়েছিল ২০০৮ সালে। তখন ক্ষমতায় ছিল সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ওই বছরের ৯ জুন তখনকার অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম ২০০৮-০৯ অর্থবছরের জন্য ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিলেন।

জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের হাল ধরা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের এটি প্রথম বাজেট।


সারা দেশে একযোগে ২৫২ বিচারককে বদলি

৩০ জেলা ও দায়রা জজকে বদলি
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সারা দেশের বিভিন্ন আদালতের ২৫২ জন বিচারককে একযোগে বদলি করা হয়েছে।

আজ সোমবার আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে এ বিষয়ে পৃথক পাঁচটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

আইন ও বিচার বিভাগের উপসচিব (প্রশাসন-১) এ এফ এস গোলজার রহমান এসব প্রজ্ঞাপনে সই করেন। প্রজ্ঞাপনের ভাষ্যমতে, দেশের বিভিন্ন জেলার ৩০ জন জেলা ও দায়রা জজ এবং সম-মর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ও সম-পদমর্যাদার ৩৮ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ও সম পদ মর্যাদার ২২ জন বিচারক এবং সিনিয়র সহকারী জজ ও সহকারী জজ এবং সম-পদ মর্যাদার ১৬২ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে জেলা ও দায়রা জজ/মহানগর দায়রা জজ/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট/পরবর্তী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা/দপ্তর প্রধান মনোনীত কর্মকর্তার কাছ আজ ৩ জুন বর্তমান পদের দায়িত্বভার অর্পণ করে অবিলম্বে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদানের জন্য অনুরোধ করা হয়। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

১২ সিনিয়র সহকারী জজকে যুগ্ম জেলা জজ পদে পদোন্নতি

এদিকে অপর এক প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের ১৩ জন বিচারককে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ, ২০১৬ এর বেতন স্কেলের ৩য় গ্রেডে ৫৪৩৭০-৭৪৪৬০ টাকা বেতনস্কেলে সিনিয়র সহকারী জজ পদ থেকে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ পদে পদোন্নতি দিয়ে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের বর্ণিত পদে ও কর্মস্থলে নিয়োগ/বদলি করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, এসব বিচারককে জেলা ও দায়রা জজ/চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট/দপ্তর প্রধানের মনোনীত কর্মকর্তার কাছে আজ মঙ্গলবার বর্তমান পদের দায়িত্বভার অর্পণ করে অবিলম্বে পদোন্নতিপ্রাপ্ত পদে যোগদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।

তবে তাদের মধ্যে একজন বিচারককে মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষে জেলা ও দায়রা জজ মনোনীত কর্মকর্তার কাছে বর্তমান পদের দায়িত্বভার অর্পণ করে অবিলম্বে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।

জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

৩০ জেলা ও দায়রা জজকে বদলি

সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের ৩০ জন জেলা ও দায়রা জজকে বদলি করা হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে সই করেছেন উপসচিব (প্রশাসন-১) এ এস এম গোলজার রহমান।

এদিকে, অপর একটি আদেশে ৩৮ জন অতিরিক্ত জেলা জজ, ১৬২ সহকারী ও সিনিয়র সহকারী জজকে বদলি এবং ১২ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

জনস্বার্থে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলে জানানো হয়েছে।


জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকি মোকাবিলায় ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির গভীরতা ও গুরুত্ব বিবেচনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আগামী অর্থবছরে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

আজ সোমবার বিকালে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণায় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এ প্রস্তাব করেন।

বাজেট প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় নারীর অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধি, উপকূলীয় ইকোসিস্টেম মূল্যায়ন, জলবায়ু সহনশীলতা অর্জনে গণমাধ্যমের সক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।

এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের মাধ্যমে বায়ু, পানি ও মাটি দূষণ প্রতিরোধ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তনে প্রশমন, স্বাস্থ্য খাতে সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে বলে জানানো হয়।


বাজেটে জুলাই যোদ্ধাদের জন্য বিশেষ সুবিধা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

২০২৫-২৬ প্রস্তাবিত বাজেটে জুলাই যোদ্ধাদের জন্য বিশেষ সুবিধা রাখা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা বাড়েনি। আগের অর্থবছরের ব্যক্তি শ্রেণির করদাতার তিন লাখ ৫০ হাজার টাকাই রাখা হয়েছে এবারও।

তবে গেজেটভুক্ত জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪-এ আহত “জুলাই যোদ্ধা” করদাতাদের ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়ের সীমা ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আজ সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেছেন উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। জাতির সামনে তিনি ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন।

অর্থ উপদেষ্টা জানান, বর্তমানে স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সীমিত আয়ের জনগণের জন্য করের বোঝা হ্রাস করা, সামাজিক সুরক্ষা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করা ও মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখার লক্ষে ২০২৬-২০২৭ ও ২০২৭-২০২৮ করবর্ষের জন্য স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়িয়ে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।

একই সঙ্গে ২০২৬-২০২৭ ও ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরের জন্য নারী ও ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের করদাতাদের জন্য ৪ লাখ ২৫ হাজার, প্রতিবন্ধী করদাতার জন্য ৫ লাখ, গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা ৫ লাখ ২৫ হাজার এবং তৃতীয় লিঙ্গের করদাতার করমুক্ত আয়সীমা ৫ লাখ হাজার টাকা করা হয়েছে।


ক্যানসারসহ বিভিন্ন জটিল রোগের ওষুধের দাম কমছে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

দেশে ক্যানসারসহ বিভিন্ন জটিল রোগের চিকিৎসা সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী করতে বড় সিদ্ধান্ত নিচ্ছে অন্তবর্তী সরকার। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ক্যানসার প্রতিরোধক ওষুধসহ সব ধরনের ওষুধ তৈরির কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক ও কর অব্যাহতির সুবিধা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

এতে ভোক্তা পর্যায়ে জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দাম কমতে পারে। সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) জাতির উদ্দেশে বাজেট পেশের সময় এসব তথ্য জানান।

উপদেষ্টা বলেন, দেশীয় ওষুধ শিল্পকে শক্তিশালী করা এবং জনগণের জন্য জীবন রক্ষাকারী ওষুধ সাশ্রয়ী মূল্যে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ওষুধ তৈরির কাঁচামাল এবং অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট (এপিআই) আমদানিতে শুল্ক-কর অব্যাহতির সুযোগ বাড়ানোর প্রস্তাব করছি।

উপদেষ্টা আরও বলেন, দেশে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে রেফারেল হাসপাতালসহ ৫০ শয্যার বেশি হাসপাতাল স্থাপনের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও চিকিৎসা সরঞ্জাম আমদানিতে শুল্ক ও কর হ্রাসের প্রস্তাব করা হয়েছে।

এতে উন্নত চিকিৎসাসেবা দেশের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়েও ছড়িয়ে দেওয়ার পথ তৈরি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।


১২ কেজি এলপিজির দাম কমলো ২৮ টাকা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভোক্তা পর্যায়ে এলপি গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জুন মাসের জন্য ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৩১ টাকা থেকে ২৮ টাকা কমে ১ হাজার ৪০৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া কমেছে অটোগ্যাসের দামও। প্রতি লিটার অটোগ্যাসের দাম ১ টাকা ২৭ পয়সা কমিয়ে ৬৪ টাকা ৩০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সোমবার (২ জুন) নতুন এ মূল্যের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি), যা আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে মে মাসের জন্য প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১৯ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪৩১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া অটোগ্যাসের মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৬৫ টাকা ৫৭ পয়সা।


বাজেট ঘাটতি ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

নতুন অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ নির্ধারিত হয়েছে দুই লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। সোমবার (২ জুন) রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যমে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

নতুন অর্থবছরের জন্য সাত লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট উত্থাপন করছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। ঘাটতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আগামী অর্থবছরে সামগ্রিক ঘাটতি ও ঋণ সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।’

প্রস্তাবিত বাজেটের মোট ঘাটতির মধ্যে এক লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা আসবে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে এবং এক লাখ এক হাজার টাকা আসবে বৈদেশিক উৎস থেকে। আগামী অর্থবছরে সুদ পরিশোধ বাবদ মোট ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা।

এবারের বাজেটের মোট অর্থের ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে পরিচালন খাতে। নতুন বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন ব্যয় (এডিপি) ধরা হয়েছে, দুই লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।

প্রায় দেড় যুগ আগে গভর্নর থাকা সালেহ উদ্দিন আহমেদের এটি প্রথম বাজেট। বাস্তবতার সঙ্গে মিল রাখতেই ঘাটতি কমিয়ে বাজেটের আকার ছোটো রাখার কথা বলেছেন তিনি। উপদেষ্টা বলেছেন, আন্দোলনের ডামাডোলের মধ্যে নতুন বাজেটে স্বল্প আয়ের মানুষকে ‘স্বস্তি’ দেওয়ার চেষ্টার পরিকল্পনা থাকছে বাজেটে।

এর আগে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরের অর্থ বিল অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ও অন্যান্য উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।

সংসদ না থাকায় আগামী ৩০ জুন রাষ্ট্রপতি বাজেট অধ্যাদেশে সই করবেন, ১ জুলাই কার্যকর হবে নতুন বাজেট। তবে বাজেটের অনেক অংশ, বিশেষ করে ট্যাক্স ও কাস্টমস সংক্রান্ত বিষয়গুলো ২ জুন উপস্থাপনের দিন থেকেই কার্যকর হবে।


৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থ উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

নতুন অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে অর্থ উপদেষ্টার পূর্বধারণকৃত বাজেট বক্তব্য সম্প্রচার করা হচ্ছে।

বাজেট বক্তব্য বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকে ফিড নিয়ে অন্য সব বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও বেতারে একই সঙ্গে প্রচার করা হচ্ছে। অর্থ উপদেষ্টার ভাষ্যে, একটি টেকসই ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কিছুটা সংস্কারভিত্তিক এই বাজেটে উন্নয়নের সুফল সবার কাছে পৌঁছে দিতে পরিকল্পনা থাকছে।

দায়িত্ব নেওয়ার প্রায় ১১ মাসের মাথায় অর্থ উপদেষ্টা হিসেবে প্রথমবার বাজেট দিতে গিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের চেয়ে ব্যয় কমিয়েছেন ৭ হাজার কোটি টাকা। স্বাধীনতার পর এই প্রথম বাজেটের আকার আগের অর্থবছরের চেয়ে কমল।

প্রায় দেড় যুগ আগে গভর্নর থাকা সালেহ উদ্দিন আহমেদের এটি প্রথম বাজেট। বাস্তবতার সঙ্গে মিল রাখতেই ঘাটতি কমিয়ে বাজেটের আকার ছোটো রাখার কথা বলেছেন তিনি। উপদেষ্টা বলেছেন, আন্দোলনের ডামাডোলের মধ্যে নতুন বাজেটে স্বল্প আয়ের মানুষকে ‘স্বস্তি’ দেওয়ার চেষ্টার পরিকল্পনা থাকছে বাজেটে।

বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, দুস্থ ভাতা, প্রতিবন্ধীদের ভাতার মত অনেক সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি চালু থাকছে; অল্প হলেও ‘বাড়বে’ ভাতার পরিমাণ ও সুবিধাভোগীর সংখ্যা। ‘জুলাই আন্দোলনে’ সম্পৃক্ত ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য বড় আকারে ব্যবস্থা থাকা ‘দরকার’ মনে করছে সরকার।

এরআগে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরের অর্থ বিল অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ও অন্যান্য উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।

সংসদ না থাকায় আগামী ৩০ জুন রাষ্ট্রপতি বাজেট অধ্যাদেশে সই করবেন, ১ জুলাই কার্যকর হবে নতুন বাজেট। তবে বাজেটের অনেক অংশ, বিশেষ করে ট্যাক্স ও কাস্টমস সংক্রান্ত বিষয়গুলো ২ জুন উপস্থাপনের দিন থেকেই কার্যকর হবে।

এর আগে সবশেষ সংসদের বাইরে বাজেট দেওয়া হয়েছিল ২০০৮ সালে। তখন ক্ষমতায় ছিল সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ওই বছরের ৯ জুন তখনকার অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম ২০০৮-০৯ অর্থবছরের জন্য ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিলেন।

জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের হাল ধরা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের এটি প্রথম বাজেট।


উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরের অর্থ বিল অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মন্ত্রিসভা কক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

বাসসকে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদসহ অন্যান্য উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।


নির্ধারিত হাসিলের বাইরে অতিরিক্ত অর্থ আদায় নয় : ডিএমপি কমিশনার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কুরবানির পশু কেনাবেচায় সরকার নির্ধারিত হাসিল ছাড়া হাট ইজারাদাররা অন্য কোনো অর্থ আদায় করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মোহাম্মদ সাজ্জাত আলী।

রোববার ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে কুরবানি ঈদ উপলক্ষে পশুর হাটকেন্দ্রিক নিরাপত্তা, কুরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ, সংরক্ষণ, বিপণন ও কাঁচা চামড়া বহনকারী যানবাহনের নিরাপত্তাসহ ঢাকা মহানগর এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত বিশেষ সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ মোহাম্মদ সাজ্জাত আলী জানান, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পশুবাহী কোনো যানবাহনকে হাটে জোরপূর্বক প্রবেশ করানো যাবে না। পশুর হাট অবশ্যই সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত চৌহদ্দির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে বলেও নির্দেশ দেন তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, যত্রতত্র কুরবানির পশু লোড-আনলোড করা যাবে না। রাস্তায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটালে বা জোরপূর্বক ব্যাপারীদের পশু বিক্রয়ে বাধ্য করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হাট থেকে ক্রয় করা কুরবানির পশু পরিবহনে যেন কেউ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে না পারে সে জন্য তিনি প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।

সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার বলেন, যেকোনো ধরনের সমস্যায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন করে অভিযোগ জানাবেন। ঘটনার প্রমাণ রাখবেন, ভিডিও করে রাখবেন। রাস্তার শৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ করবেন না। অযাচিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো আচরণ করলে বা রাস্তা ব্লক করে পশুর হাট বসালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সমন্বয় সভায় অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পশুর হাটের চৌহদ্দির মধ্যে পশুর বাজার সীমিত রাখতে হবে। কোনো অবস্থাতেই রাস্তায় হাট বসিয়ে জনভোগান্তি সৃষ্টি করা যাবে না। বাজারে পশুর সংকট মর্মে গুজব ছড়িয়ে বা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কুরবানির পশুর বাজারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


banner close