হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লালনগীতি শিল্পী ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বৃহস্পতিবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সকে ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়ে জানানো কথা বললে প্রিন্স বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাতেই হাসপাতালে যান এবং লালন গীতি শিল্পী ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স আজ শুক্রবার এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ম্যাডাম বেগম খালেদা জিয়ার একজন প্রিয় শিল্পী ফরিদা পারভীন। তার লালন গানের ভক্ত। ফরিদা পারভীনের অসুস্থতার কথা শুনে ম্যাডাম খুবই উদ্বিগ্ন। ম্যাডাম আমাকে বলেছেন, তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে। উনার অবস্থা কেমন, উন্নতি হচ্ছে কিনা জেনে যেন ম্যাডামকে জানাই।
প্রিন্স বলেন, বৃহস্পতিবার রাতেই হাসপাতালে গিয়েছিলাম। চিকিৎসক ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি, শিল্পীকেও আইসিইউতে গিয়ে দেখেছি এবং উনার শারীরিক অবস্থা নিয়ে ম্যাডাম খালেদা জিয়ার উদ্বেগের কথা বলেছি।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, শিল্পীর অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা উন্নতি দেখা গেছে। ম্যাডামকে শিল্পীর সর্বশেষ অবস্থা রাতেই জানিয়েছি। ম্যাডাম বলেছেন, শিল্পীর শারীরিক অবস্থার যেন সবসময় আমরা খোঁজ-খবর রাখি।
সত্তর বছর বয়সী দেশের জনপ্রিয় লালন শিল্পী ফরিদা পারভীন কিডনি, ডায়াবেটিস রোগসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ৫ জুলাই থেকে মহাখালীর ইউনির্ভাসেল মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালের (আয়শা মোমোরিয়াল হসপিটাল) আইসিইউতে ভর্তি আছেন।
উল্লেখ্য, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত ৯ জুলাই হাসপাতালে গিয়ে শিল্পীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন। অবকাঠামো ও শিল্প থেকে শুরু করে সবক্ষেত্রে তাদের সেবা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা আমাদের আধুনিক অর্থনীতির ভিত্তি তৈরিতে ব্যাপক অবদান রাখছে।
তিনি বলেন, একটি বৃহত্তর পেশাজীবী সংগঠন হিসেবে আইডিইবি এই দক্ষ কর্মীবাহিনীকে লালন-পালন, কারিগরি শিক্ষার প্রচার এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করছে।
‘গণপ্রকৌশল দিবস ও আইডিইবি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী’ উপলক্ষ্যে আজ এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গণপ্রকৌশল দিবস-২০২৫ ও ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি)’র ৫৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সংগঠনের সকল সদস্যকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
আইডিইবি প্রতিবছর ৮ নভেম্বর ‘গণপ্রকৌশল দিবস’ পালন করে থাকে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হলো ‘দক্ষ জনশক্তি-দেশ গঠনের মূল ভিত্তি’।
প্রতিপাদ্যটি অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, একটি জাতির প্রকৃত শক্তি কেবল তার প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যেই নয়, বরং তার জনগণের জ্ঞান, দক্ষতা ও সৃজনশীলতার মধ্যেও নিহিত।
তিনি বলেন, অব্যাহত প্রতিশ্রুতি, পেশাদারিত্ব এবং উদ্ভাবনের চেতনার মাধ্যমে আইডিইবি’র সদস্যরা আমাদের জাতি গঠনের প্রচেষ্টার অগ্রভাগে থাকবেন। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন এবং আমাদের জাতীয় আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে অবদান রাখবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
প্রধান উপদেষ্টা ‘গণপ্রকৌশল দিবস ও আইডিইবি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। সূত্র: বাসস
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, তার স্ত্রী পারভীন চৌধুরী এবং ছেলে রাশেদুল ইসলামের নামে থাকা ৮১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
এর মধ্যে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার ১৬টি, তার স্ত্রী পারভীন চৌধুরীর ৩৬টি ও ছেলে রাশেদুল ইসলামের ২৯টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন।
তিনি আরও জানান, দুদকের পক্ষে আবেদনটি করেছেন সংস্থাটির উপপরিচালক মোজাম্মিল হোসেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, তার স্ত্রী পারভীন চৌধুরী ও ছেলে রাশেদুল ইসলামের নামে উল্লিখিত অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে। অভিযুক্তদের এই সম্পদ হস্তান্তর অথবা স্থানান্তর বা অন্য কোনো পন্থায় মালিকানা পরিবর্তন করে বা হস্তান্তর করে দেশের বাইরে গিয়ে আত্মগোপনের সম্ভাবনা রয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলমান অবস্থায় যাতে আত্মসাৎকৃত অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত না হতে পারে, তার পরিপ্রেক্ষিতে উল্লিখিত ব্যাংক হিসাবসমূহ অবরুদ্ধ করা একান্ত আবশ্যক বলে এই আবেদন করেছে দুদক।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) অক্টোবর মাসে নগরজুড়ে মোট ১ লাখ ২৫ হাজার অবৈধ ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার নগরভবনে ‘ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ কার্যক্রম’ বিষয়ক এক বিভাগীয় পর্যালোচনা সভা শেষে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ এ তথ্য জানান।
ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, গত এক মাসে আমরা প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার ব্যানার ও ফেস্টুন অপসারণ করেছি। অনুরোধ করছি– দয়া করে শহরটিকে ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে আর নোংরা করবেন না। আমাদের নগরকর্মীদের জন্য এটি অত্যন্ত কষ্টসাধ্য কাজ।
সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১০টি অঞ্চলের ৫২টি ওয়ার্ডে পরিচালিত ব্যানার ও ফেস্টুন অপসারণ কার্যক্রমের বিস্তারিত পরিসংখ্যান উপস্থাপন করা হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, অঞ্চল-৩ এ সর্বাধিক ২৯ হাজার ৪৪১টি ব্যানার ও ফেস্টুন অপসারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া অঞ্চল-২ থেকে প্রায় ২৫ হাজার, অঞ্চল-৪ থেকে ১৮ হাজার, অঞ্চল-৫ থেকে ১২ হাজার এবং অঞ্চল-৯ থেকে প্রায় ১১ হাজার ব্যানার ও ফেস্টুন উচ্ছেদ করা হয়েছে।
গত মাস থেকেই ডিএনসিসি নগরের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৩০টি স্থানে বিনামূল্যে পোস্টার লাগানোর জন্য নির্ধারিত স্থান ঘোষণা করে। এরপরই অবৈধভাবে স্থাপিত ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন অপসারণে একযোগে অভিযান শুরু করে ডিএনসিসি। ডিএনসিসির আওতাধীন ১০টি অঞ্চলের ৫২টি ওয়ার্ডে মাসব্যাপী এ অভিযান পরিচালিত হয়।
শহর পরিচ্ছন্নতার এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পূর্ণ প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
কমিশনের জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বাসসকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, 'নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে ইসির এখন কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা নেই। আমাদের প্রস্তুতি শতভাগ সম্পন্ন। ফেব্রুয়ারির প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে নির্বাচন হলে আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত।'
তিনি বলেন, সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী বিদেশ থেকে আনা ভোটের কালি এসে পৌঁছেছে। এটি নির্বাচন প্রস্তুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ভোটের আগে প্রয়োজনীয় প্রায় সব মৌলিক কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে।
দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, 'আইনশৃঙ্খলার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ শুধু নির্বাচনের জন্য নয়, বরং দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য। যখন রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থী ঘোষণা করেছে, তখন থেকেই ভোটের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। ভোটের মাঠে সবাই নেমে গেলে পরিস্থিতি আরও ভালো হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচিত সরকার ও গণতান্ত্রিক ধারার প্রবর্তন ছাড়া দেশে স্থিতিশীলতা ও টেকসই উন্নয়ন আসবে না। তাই এবারের নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হতে হবে।
গত কয়েকটি জাতীয় নির্বাচনে অনিয়মের কারণে জনগণের মধ্যে যে অনাস্থা তৈরি হয়েছে, সেটি কাটিয়ে ওঠাই এবারের কমিশনের প্রধান লক্ষ্য বলেও উল্লেখ করেন আব্দুর রহমানেল মাছউদ।
তিনি আরও বলেন, 'ভালো নির্বাচন করা ছাড়া বিকল্প নেই। জাতির স্বার্থে, দেশের স্বার্থে এবং জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য আমাদের অবশ্যই একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। এবারের ভোটকে জনগণের জন্য উৎসবে পরিণত করাই আমাদের লক্ষ্য।
ইসি সচিবালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বাসসকে জানান, নির্বাচনী সামগ্রী সংগ্রহ, আইন সংশোধন, ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ মৌলিক প্রস্তুতির সবকিছুই নভেম্বরের মধ্যেই সম্পন্ন হবে। ডিসেম্বরের শুরুতে নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার আগেই সব প্রস্তুতি শেষ হয়ে যাবে।
ইসির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৭৬ লাখ ১২ হাজার ৩৮৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার ৩৮২ জন, নারী ভোটার ৬ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার ৭৭২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার রয়েছেন ১ হাজার ২৩০ জন। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দুই মাসে ভোটার বেড়েছে ১৩ লাখ ৪ হাজার ৮৮০ জন।
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, আগামী ১৮ নভেম্বর প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। এর আগে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত দাবি-আপত্তি জানানোর সুযোগ থাকবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচনী আইন সংশোধনের কাজও সম্পন্ন করেছে ইসি। গত ৩ নভেম্বর সরকার 'গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশ, ২০২৫' এর গেজেট প্রকাশ করেছে। এতে যুক্ত হয়েছে বেশ কিছু যুগান্তকারী বিধান।
সংশোধনের মূল দিকগুলো হলো— আদালত ঘোষিত ফেরারি আসামি প্রার্থী হতে পারবেন না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনী (সেনা, নৌ, বিমান ও কোস্টগার্ড) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। একক প্রার্থীর আসনে ‘না ভোট’ পুনরায় চালু করা হয়েছে। সমান ভোট পেলে লটারির পরিবর্তে পুনঃভোট অনুষ্ঠিত হবে। জোটগত নির্বাচনে নিজ দলের প্রতীকে ভোট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নির্বাচনী জামানত নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। আচরণবিধি লঙ্ঘনের সর্বোচ্চ শাস্তি দেড় লাখ টাকা জরিমানা বা ছয় মাসের কারাদণ্ড।
অনিয়ম প্রমাণিত হলে পুরো আসনের ভোট বাতিলের ক্ষমতা ইসিকে দেওয়া হয়েছে। আইটি সাপোর্টে পোস্টাল ভোটিং পদ্ধতি যুক্ত হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারে অনিয়ম হলে সেটি নির্বাচনী অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। হলফনামায় অসত্য তথ্য দিলে নির্বাচনের পরও ইসি ব্যবস্থা নিতে পারবে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নতুন তিনটি রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দিয়েছে ইসি। এগুলো হলো— জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি।
জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) ‘শাপলা কলি’, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলকে (মার্ক্সবাদী) ‘কাঁচি’ এবং বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টিকে ‘হ্যান্ডশেক’ প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে। তিন দলের নিবন্ধন সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ১২ নভেম্বর পর্যন্ত দাবি-আপত্তি জানানোর সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইসি চূড়ান্তভাবে দেশের ৬৪ জেলায় ৩০০ আসনে ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে। পুরুষদের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ১৩৭টি এবং মহিলাদের জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি কক্ষসহ মোট ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯টি ভোটকক্ষ চূড়ান্ত করা হয়েছে।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য এবার প্রথমবারের মতো পোস্টাল ভোটিংয়ের সুযোগ থাকছে। এ লক্ষ্যে 'পোস্টাল ভোট রেজিস্ট্রেশন অ্যাপ' চালু করা হচ্ছে। এটি উদ্বোধন করা হবে ১৬ নভেম্বর।
ইসি সচিব জানিয়েছেন, অ্যাপে নিবন্ধন করে প্রবাসী ভোটাররা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন। কতদিন পর্যন্ত নিবন্ধন প্রক্রিয়া খোলা থাকবে, সেটি উদ্বোধনের সময় ঘোষণা করা হবে।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহ থেকেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচনী সংলাপ শুরু হতে পারে।
সংলাপে অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতকরণে সহযোগিতা করতে আহ্বান জানানো হবে।
আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, 'আমরা চাই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক উৎসবে পরিণত হোক। জনগণ যেন স্বাধীনভাবে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে—এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।' সূত্র: বাসস
আজ ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসে ৭ নভেম্বর একটি অনন্য এবং ঐতিহাসিক দিন। এদিনটি জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস নামে পরিচিত- যেদিন দেশের সেনা সদস্য এবং সাধারণ জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে এক ঐতিহাসিক আন্দোলন গড়ে তোলে, যার ফলশ্রুতিতে শহীদ মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বন্দিদশা থেকে মুক্তি পান এবং জাতীয় জীবনে এক নতুন রাজনৈতিক ধারার সূচনা ঘটে।
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের ঘটনাকে কেবল একটি সামরিক অভ্যুত্থান হিসেবে দেখা যায় না; এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলার এক সমাপ্তি, একটি জাতির পুনর্জাগরণের মুহূর্ত। এই দিনে সেনা ও জনতা মিলে রাষ্ট্রের অস্তিত্ব, স্বাধীনতার চেতনা ও জাতীয় সংহতির পক্ষে এক অভিন্ন অবস্থান তৈরি করে।
১৯৭১ সালে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার পর জাতির সামনে ছিল এক বিশাল পুনর্গঠনের চ্যালেঞ্জ। কিন্তু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্নির্মাণের পথে নানা অন্তর্দ্বন্দ্ব, রাজনৈতিক অনৈক্য ও প্রশাসনিক অদক্ষতা পরিস্থিতিকে জটিল করে তোলে। ১৯৭৪ সালের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ, একদলীয় ‘বাকশাল’ শাসনব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা এবং রাজনৈতিক স্বাধীনতার সীমাবদ্ধতা-এসব মিলে রাষ্ট্রব্যবস্থা ক্রমেই অসন্তোষের দিকে গড়ায়।
যা পরবর্তীতে গভীর রাজনৈতিক সংকট তৈরি করে। এই পরিস্থিতিতেই আসে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর। ইতিহাসে যেটি পরিচিত ‘সিপাহী-জনতার বিপ্লব’ বা ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ নামে।
এই দিনটি কেবল ইতিহাসে সীমাবদ্ধ নয়; এটি আজও জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
দিনটি উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি। ৭ নভেম্বর মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ওইদিন সকাল ৬টায় নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে দলীয় কার্যালয়গুলোতে দলীয় প্রতাকা উত্তোলন করা হবে।
এরপর সকাল ১০টায় দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতাকর্মী মহান স্বাধীনতার ঘোষক সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান, বীর উত্তম এর মাজারে পুস্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন। বেলা ৩টায় নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালি অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিনই সারাদেশে বিএনপির উদ্যোগে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে র্যালি অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন স্ব স্ব উদ্যোগে আলোচনা সভা ও অন্যান্য কর্মসূচি পালন করবে।
এদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ পালন করবে। দলটির কেন্দ্রীয় মিডিয়া বিভাগের সদস্য মুজিবুল আলম গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানান।
জামায়াত জানায়, দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জামায়াত ইসলামী। এ উপলক্ষে সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার সকল মহানগরী ও জেলা শাখাকে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নয়— এমন নির্বাচনে সহযোগিতা করা থেকে সরে আসতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছে আওয়ামী লীগ। দলটির এই চিঠিতে কোনো কাজ হবে না বলে মনে করছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এমন অভিমত ব্যক্ত করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তৌহিদ হোসেন বলেন, জাতিসংঘে পাঠানো আওয়ামী লীগের চিঠিতে কোনো কাজ হবে না।
গত শনিবার ঢাকায় জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) প্রতিনিধি স্টেফান লিলার বরাবর পাঠানো চিঠিতে বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নয়— এমন নির্বাচনে সহযোগিতা করা থেকে সরে আসতে আহ্বান জানায় আওয়ামী লীগ। দলের পক্ষে চিঠিটি পাঠান সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
চিঠিতে বলা হয়, অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা জাতিসংঘ এবং ইউএনডিপির প্রতি নির্বাচনী সহযোগিতা স্থগিত, সব রাজনৈতিক পক্ষের সঙ্গে জাতীয় সংলাপ ও সমঝোতাকে উৎসাহিত করা এবং যেকোনো নির্বাচনী সম্পৃক্ততার মূলভিত্তি হিসেবে মানবাধিকার ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। আর বাংলাদেশে ইউএনডিপির নির্বাচনী সহযোগিতা, ব্যালট প্রজেক্ট এবং আসন্ন নির্বাচনের বিষয়ে সংস্থার প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তার বিষয়ে আমরা গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করছি, যে নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলকও নয়, বিশ্বাসযোগ্যও নয়।
এ ধরনের সম্পৃক্ততা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘের মূলনীতি এবং অবাধ, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রসারের ক্ষেত্রে ইউএনডিপির ম্যান্ডেট লঙ্ঘনের ঝুঁকি তৈরি করে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেলের পদে থেকেও নির্বাচন করা যায় এবং সংবিধানে কোনো বাধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেছেন, অ্যাটর্নি জেনারেল সরকারি কোনো কর্মচারী নন। তিনি সংবিধানের ৬৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রের আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বৃহস্পতিবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল শুনানি শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি।
মো. আসাদুজ্জামান আরও বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল রাষ্ট্রপক্ষের। অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব হলো—যদি তিনি মনে করেন কোনো ঘটনায় সরকারের কোনো পদক্ষেপ সমর্থনযোগ্য নয় বা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর, তাহলে সেটার বিরোধিতা করা।
তিনি দাবি করেন, তার নির্বাচন করা নিয়ে গত বুধবার সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি সঠিকভাবে প্রচার হয়নি।
এর আগে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানির সময় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় সমাজকে কুঠারাঘাত করেছে। এর ফলে আমাদের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস হয়েছে। সমাজ ব্যবস্থাকে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া, মৃত ব্যক্তিকে ভোটের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার পথে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরার রায় একটি মাইলফলক হবে। জনগণ যেভাবে চাইবেন সেভাবেই আইন হবে।
গত বুধবার অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ থেকে পদত্যাগ করে জাতীয় নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন মো. আসাদুজ্জামান। তিনি জানিয়েছিলেন, ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন চেয়েছেন তিনি। তবে এর একদিন পর পদে থেকেই নির্বাচন করার ইঙ্গিত দিলেন তিনি।
সরকার ‘জাতীয় লজিস্টিকস নীতি-২০২৫’ অনুমোদন দিয়েছে। নীতিমালাটি দেশের পরিবহন, সরবরাহ ও বাণিজ্য ব্যবস্থাকে আধুনিক, দক্ষ ও টেকসই করার লক্ষ্যে প্রণীত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের ৪৭তম বৈঠকে এই নীতি অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, একটা নীতিমালা থাকলে সরকার তার কাজগুলো ঠিকভাবে করতে পারে, একটা নির্দেশনা পায়। আজকের নীতিমালাটি লজিস্টিক খাতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক-নির্দেশনা।
তিনি আরো বলেন, এই নীতিমালার ফলে বাংলাদেশের বেসরকারি ও সরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়বে। বিদেশি বিনিয়োগ আসবে এবং বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের তুলনায় আরো বৃদ্ধি পাবে।
প্রেস সচিব জানান, বর্তমানে দেশের প্রধান নৌবন্দর চট্টগ্রাম বন্দরে কোনো কোনো সময় পণ্য রপ্তানিতে ১১ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। এই লজিস্টিকস নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে পারলে পণ্য পরিবহন ও প্রাপ্যতা অনেক দ্রুত হবে এবং রপ্তানি কার্যক্রম আরো সহজ হবে।
তিনি আরো বলেন, ২০২৪ সালে এ ধরনের একটি নীতি করা হয়েছিল। পরে তা পুনর্মূল্যায়ন করে দেখা যায়, সেটি প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। পরবর্তীতে জনপ্রশাসন সচিব এহসানুল হকের নেতৃত্বে একটি কমিটি নতুনভাবে খসড়া প্রণয়ন করে।
নীতিমালার মূল লক্ষ্য সম্পর্কে প্রেস সচিব বলেন, ২০৫০ সালের মধ্যে লজিস্টিক খাতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে রেলওয়ে ও নৌপরিবহন খাতে। দেশের প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার নৌপথ রয়েছে, যার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।
তিনি জানান, নীতিমালায় সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) মডেলে বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছে। এর মাধ্যমে লজিস্টিক খাতকে একটি ডিজিটাল ইকোসিস্টেমে আনা হবে, যেখানে শুল্ক, ফি ও কাগজপত্রসহ সব কার্যক্রম তাৎক্ষণিকভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, এই নীতির মূল উদ্দেশ্য হলো—আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হওয়ার পর বাংলাদেশ বিশ্ববাজারে বর্তমানে যে শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা পাচ্ছে, তা ধীরে ধীরে কমে আসবে। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের দাম বাড়বে। এই অতিরিক্ত ব্যয় সামাল দেওয়া ও অন্যান্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রপ্তানি খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নীতিটি সহায়তা করবে। সূত্র: বাসস
গত বছরের চেয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু উভয় হারই কম হলেও সম্প্রতি ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে জরুরি সভা আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোঃ মাহমুদুল হাসান এনডিসি এর সভাপতিত্বে ডিএসসিসির স্বাস্থ্য বিভাগ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে এ্যডাল্টিসাইডিং এবং লার্ভিসাইডিংয়ে ব্যবহৃত ঔষধের কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিতকরণে স্থানীয় নাগরিকদের অন্তর্ভুক্তপূর্বক ওয়ার্ডভিত্তিক তদারকি টিম গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। ওয়ার্ড ভিত্তিক এই টিম স্থানীয়ভাবে ঔষধ প্রয়োগের সময়সূচি প্রণয়ন ও নিশ্চিতকরণে কাজ করবে। এছাড়া, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও নাগরিক সম্পৃক্ততার মাধ্যমে এলাকা ভিত্তিক এডিস মশার প্রজনন স্থল ধ্বংসে কাজ করবে।
সভায়, ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বিবেচনায় এলাকাভিত্তিক হটস্পট নির্ধারণ ও হটস্পট ভিত্তিক চিরুনি অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে প্রশাসক বলেন, "এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব যেমন সিটি কর্পোরেশনের তেমন সম্মানিত নাগরিকদেরও কিছু দায়িত্ব রয়েছে।" মাঠ পর্যায়ে হঠাৎ ও দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, "মশক নিয়ন্ত্রণে সিটি কর্পোরেশন কর্মীদের যথাযথ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নাগরিকদের সচেতনতা জোরদার করা প্রয়োজন।"
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঔষধ প্রয়োগ ও পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ডিএসসিসি কাজ করেছে উল্লেখ করে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, "সংবাদপত্রে গণবিজ্ঞপ্তি, টেলিভিশনে টিভিসি প্রচার, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারসহ মসজিদ-মন্দিরে ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিশেষ বার্তা প্রচার করা হচ্ছে।" এছাড়া, এলাকাভিত্তিক বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযান নতুন উদ্যমে শুরু হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সভায় ডেঙ্গু সন্দেহ হলে ডিএসসিসির তিনটি হাসপাতাল, যথাঃ ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা মহানগর শিশু হাসপাতাল ও নাজিরা বাজার মাতৃসদনে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া ডিএসসিসি এলাকার ডেঙ্গু সম্পর্কিত তথ্য ০১৭০৯-৯০০৮৮৮ নম্বরে জানানোর অনুরোধ করা হয়।
সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আবদুর রউফ আজ (৬ নভেম্বর, ২০২৫) মতলব উত্তর (চাঁদপুর) এবং গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলার সংযোগস্থলে মেঘনা-ধনাগোদা নদীর উপর সেতু নির্মাণ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ সময় সেতু বিভাগ, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ, প্রকল্প পরিচালক, প্রকল্পের কর্মকর্তাগণ এবং উভয় প্রান্তের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সকাল ১০.৩০ টায় সচিব মহোদয় বর্ণিত সেতুর মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলাস্থ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের (N-1) এর ভবেরচর হতে শুরু করে চাঁদপুরের মতলব উত্তর পর্যন্ত প্রকল্পের অ্যালাইনমেন্ট এবং নদীশাসন এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এসময় প্রকল্পের প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ (যেমন: নদীর গভীরতা, স্রোতের গতি এবং ভূতাত্ত্বিক অবস্থা) সঠিকতা চিহ্নিত করার জন্য গুরুত্ব আরোপ করেন।
পরিদর্শনকালে সেতু সচিব বলেন, বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য বৈষম্যহীন, ব্যয় সাশ্রয়ী কানেক্টিভিটি গড়ে তোলা। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবেই এই সেতুটি নির্মাণ। এটি শুধু একটি সেতু নয়, এটি চাঁদপুরের অর্থনৈতিক প্রবেশদ্বার। বর্তমানে সড়কপথে ঢাকার সাথে এই অঞ্চলের যে দীর্ঘ এবং সময় সাপেক্ষ যোগাযোগ ব্যবস্থা, এই সেতুর মাধ্যমে তা হ্রাস পাবে এবং বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপিত হবে। বিশেষ করে, চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর অঞ্চলের মৎস্য ও কৃষিজ পণ্যগুলো দ্রুত রাজধানীতে পৌঁছানো সম্ভব হবে, যা প্রান্তিক চাষি ও ব্যবসায়ীদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করবে।
তিনি আরও বলেন, সেতুটি নির্মিত হলে এটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওপর চাপ কমাবে এবং এই অঞ্চলকে সরাসরি জাতীয় অর্থনীতির মূল স্রোতে নিয়ে আসবে। সচিব মহোদয় আশ্বাস দেন, জনগণের মতামতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিশ্বমানের প্রকৌশল ও পরিবেশবান্ধব নকশা অনুসরণ করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে প্রকল্পের ডিটেইল্ড ডিজাইন চূড়ান্ত করা হয়েছে, ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এসময় তিনি মতলব উত্তর অংশের বিদ্যমান সড়কের প্রয়োজনীয় সম্প্রসারণের জন্য সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এর নির্বাহী প্রকৌশলীদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
পরিদর্শন শেষে সচিব, সেতু বিভাগ, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক, মতলব উত্তর এর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্থানীয় স্টেকহোল্ডারদের সাথে এ প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় ভূমি অধিগ্রহণ বিষয়ে আলোচনা করেন এবং উপস্থিত সকলকে এই জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়নে সেতু কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানান। উল্লেখ্য, এই সেতুটি হবে ১.৮৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং চার লেন বিশিষ্ট ক্যাবল স্টেইড সেতু, যার স্প্যানের দৈর্ঘ্য বাংলাদেশে অন্যতম বৃহৎ হবে।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়। সিসি ক্যামেরা রয়েছে এমন ভোটকেন্দ্রগুলোর একটি বিস্তারিত তালিকা প্রস্তুত করে দ্রুত পাঠাতে জেলা নির্বাচন অফিসারদের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
বুধবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্বাচন কমিশন থেকে পাঠানো চিঠিতে সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার/জেলা নির্বাচন অফিসারদের আগামী ১২ নভেম্বরের মধ্যে এই তালিকা সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে 'নির্বাচন সহায়তা-১ শাখায় প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তালিকাটির হার্ডকপি এবং নিকস ফন্টে সফটকপি উভয়ই নির্ধারিত ছক মোতাবেক জমা দিতে হবে।
আসন্ন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও ত্রুটিমুক্ত রাখতে এবং যেকোনো ধরনের অনিয়ম তাৎক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য সিসি ক্যামেরার ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইসি মনে করছে, এই তালিকা হাতে পেলে সিসি ক্যামেরার সার্বিক চিত্র সম্পর্কে তারা ওয়াকিবহাল থাকবে এবং নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় নজরদারি আরও জোরদার করা সম্ভব হবে।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলা-৩ (তজুমদ্দিন-লালমোহন) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে পুনরায় মনোনয়ন পাওয়ায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তজুমদ্দিন উপজেলার মলংচড়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বনানীতে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদের বাসভবনে এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। এতে মলংচড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূর হাসান তন্ময় এর নেতৃত্বে কয়েক শতাধিক নেতা-কর্মী অংশ নেন।
এসময় সাধারণ সম্পাদক তন্ময় শিকদার বলেন, “ভোলার চারটি সংসদীয় আসনে একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাশী থাকলেও ভোলা-৩ আসনে আমাদের মনে একটিই নাম—আমাদের প্রিয় নেতা মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমদ। তিনি গত ১৭ বছর ধরে আমাদের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের পিতৃস্নেহে আগলে রেখেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “ভোলা-৩ আসন অতীতেও আমাদের নেতার দখলে ছিলো, ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও থাকবে। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা নেতাকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করে সংসদে পাঠাবো।”
শেষে তিনি মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদকে পুনরায় মনোনয়ন দেওয়ার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান।
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের টানা নবম দিনের শুনানি শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকাল ৯টা ৫০ মিনিট থেকে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
এর আগে গতকাল ৪ নভেম্বর, ২ নভেম্বর এবং ২৯, ২৮, ২৩ ও ২২ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের টানা শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
গত ২১ অক্টোবর নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের শুনানি শুরু হয়।
এর আগে গত ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়।
এরপর ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আপিল করেন।
সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম. সলিমউল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ এ রিট খারিজ করেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করেন।
এই সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম. সলিমউল্লাহসহ অন্যরা ১৯৯৮ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দেন। হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট রায় দেন।
এ রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০০৫ সালে রিট আবেদনকারী পক্ষ আপিল করে। এই আপিল মঞ্জুর করে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।
ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ–সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।
৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি। অন্য চারজন হলেন তোফায়েল আহমেদ, এম. হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান।
আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ১৬ অক্টোবর একটি আবেদন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এছাড়া রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত বছরের ২৩ অক্টোবর আরেকটি আবেদন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
পরবর্তীতে নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত বছর একটি আবেদন করেন।