মাকাল ফল—বাংলায় অতি প্রচলিত একটি কথা, যার অর্থ উপরে সুন্দর হলেও ভিতরে অন্তঃসারশূন্য ছাঁই। ঢাকার আবহাওয়ারকে আজ এই শব্দের সঙ্গে তুলনা করলে মন্দ হয় না! কারণ আজ সকালে ঢাকার পরিবেশ ছিল বেশ মনোরম, মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, সঙ্গে ঠান্ডা মৃদু বাতাস।
ধারণা করা হচ্ছিল, এই সুন্দর আবহাওয়ায় ঢাকার বাতাসের মানে উন্নতি দেখা যাবে। তবে দেখা গিয়েছে তার পুরোপুরি উল্টোচিত্র। ঢাকার বাতাসের মানে বরং গতকালের তুলনায় অনেকটা অবনতি হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর হলো ৮৯। এই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার চতুর্দশ স্থানে উঠে এসেছে ঢাকা।
গতকাল (সোমবার) একই সময়ে একিউআই স্কোর মাত্র ৫৪ নিয়ে তালিকার ৬৪তম স্থানে নেমে গিয়েছিল ঢাকা।
যদিও বায়ুমান সূচক অনুযায়ী গতকালের মতো আজও ঢাকার বাতাসের মান ‘মাঝারি পর্যায়ে রয়েছে, তবে স্কোর অনুযায়ী গতকাল বায়ুমান ‘ভালো’র কাছাকাছি থাকলেও আজ কিন্তু তা নেই। বরং আজ ‘সংবেদনশীলদের জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে ওঠার কাছাকাছি চলে গেছে ঢাকার বাতাস। তাই এই মনোরম আবহাওয়াতেও প্রাণখুলে নিশ্বাস নিতে ঢাকাবাসীর স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে।
কারণ একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। অন্যদিকে, এই স্কোর ৫০ থেকে ১০০ মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ বলে গণ্য করা হয়। এরপর একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এদিকে, আজও দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে কঙ্গোর কিনশাসা। শহরটির একিউআই স্কোর ১৯৪। তাছাড়া ১৭১ ও ১৭০ স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে চিলির সান্তিয়াগো ও ভিয়েতনামের হ্যানয়।
কণা দূষণের এই সূচক ১৫১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, তিস্তা নদীর ভাঙন রোধে সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে। তিনি বলেন- স্বল্প সময়ে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে তীর সংরক্ষণের কাজ করা হচ্ছে। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙা খিতাবখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন তিস্তা নদীর চলমান তীররক্ষা বাঁধ পরিদর্শনের সময় এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন- তিস্তা নদীর স্থায়ী বাঁধের দাবি যৌক্তিক, তবে তা বাস্তবায়নে দীর্ঘ সময় ও পরিকল্পনা প্রয়োজন। তিনি বলেন, তিস্তার সর্বোচ্চ ভাঙনপ্রবণ ৪৫ কিলোমিটার এলাকায় ইতোমধ্যে ১৯ কিলোমিটার তীররক্ষা বাঁধের কাজ চলছে এবং বাকি ২৬ কিলোমিটারের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গেছে- এই অংশের কাজ শিগগিরই শুরু হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, তিস্তা চুক্তি বাংলাদেশের মানুষের অধিকার। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এই চুক্তির লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।
তিনি জানান, তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য ইতোমধ্যে পাঁচটি গণশুনানি সম্পন্ন হয়েছে, যাতে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরাও অংশগ্রহণ করেছেন। এসব মতামত ও সুপারিশ বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহে পাঠিয়েছে এবং সবার মতামতের ভিত্তিতেই পরিকল্পনাটি চূড়ান্ত করা হবে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মো. এনায়েত উল্লাহ, রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মো. মাহবুবর রহমান, কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা, পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান, রংপুর অঞ্চলের বন সংরক্ষক মো. সুবেদার ইসলাম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নুর আলম, কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে উপদেষ্টা রাজারহাট উপজেলার গতিয়াসাম ক্লিনিক সংলগ্ন তিস্তার বাঁধ এবং রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলার পাঞ্জরভাঙ্গা রেলসেতুর উজানে ডান তীররক্ষা বাঁধের চলমান কাজ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময়ও করেন।
তিতাস গ্যাস কর্তৃক গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত ১৪ জুলাই (সোমবার) ২০২৫ তারিখে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব হাছিবুর রহমান, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ -রুপগঞ্জ -এর আওতাধীন আতলাসপুর, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ এলাকার ২টি স্পটে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে আনুমানিক ১.৫ কিলোমিটার বিতরণ লাইনের আনুমানিক ৫৫০ টি বাড়ির ১,০০০ টি আবাসিক ডাবল চুলার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় ২" ব্যাসের আনুমানিক ৮০ ফুট লাইন পাইপ অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে।
একই দিনে, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মুনিজা খাতুন এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস টি এন্ড ডি পিএলসি -এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ -সাভার, জোবিঅ-সাভার -এর আওতাধীন বলিয়ারপুর, হেমায়েতপুর, ঋষিপাড়া, বাগবাড়ী, তেঁতুলঝোড়া, সাভার এলাকার ৩টি পয়েন্টে অবৈধ গ্যাস লাইনের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে কে এস ফ্যাশন এন্ড ওয়াশিং প্ল্যান্ট, মেসার্স লেটেস্ট ওয়াশিং প্ল্যান্ট ও মিটারবিহীন আবাসিক সংযোগ (গ্রাহকের নাম: রেজাউল ইসলাম, গ্রাহক সংকেত নং: ১৩৮-৪৩০৫৫) হতে মেসার্স এ ওয়ান ডিজাইন নামক ওয়াশিং নামক ০৩ টি শিল্প প্রতিষ্ঠানে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন ব্যাসের ৪৮০ ফুট লাইন পাইপ অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। এতে মাসিক ২০,৭০,৭৬৯/- গ্যাস চুরি রোধ করা সম্ভব হয়েছে। এ সময় উক্ত ০৩ টি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে মোট ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ ) টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়া, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর জোবিঅ -টাঙ্গাইল -এর বিশেষ অভিযানে আকুর টাকুর পাড়া ও বিশ্বাস বেতকা, টাঙ্গাইল এলাকার অতিরিক্ত চুলা ব্যবহারের কারণে ১১ টি রাইজারের ৩১টি ডাবল চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় সংস্কারে ভূমিকা রাখায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে 'জাতীয় সংস্কারক' ঘোষণা করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে গতকাল সোমবার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ রুল জারি করেছেন।
এর প্রেক্ষিতে সরকার আজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অধ্যাপক ইউনূস নিজে এমনভাবে ঘোষিত হতে ইচ্ছুক নন এবং সরকারও তাঁকে এ ধরনের কোনো উপাধি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে না।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে 'জাতীয় সংস্কারক' ঘোষণা করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট থেকে যে রুল জারি করা হয়েছে, সেটি সরকারের নজরে এসেছে এবং আদেশের অনুলিপি পাওয়ার পর সরকার যথাসময়ে এই রুলের জবাব দেবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার স্পষ্ট করতে চায় যে, অধ্যাপক ইউনূস নিজে এমনভাবে ঘোষিত হতে ইচ্ছুক নন এবং সরকারও তাঁকে এ ধরনের কোনো উপাধি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে না। আবেদনকারী নিজ উদ্যোগে এই রিটটি দায়ের করেছেন বলে মনে হয় এবং কীসের ভিত্তিতে এই নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে-তা পরিষ্কার নয়। অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা যুবদলের আওতাধীন টবগী ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম মজনু কে জড়িয়ে একটি শালিশ কে কেন্দ্র করে অবৈধভাবে টাকা লেনদেনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে টবগী ইউনিয়ন যুবদল।
সংবাদ সম্মেলনে দাবী করা হয় গত ৮ জুলাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। উদ্দেশ্যে প্রনোদিতভাবে বিএনপি ও যুবদলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে একটি মহল ওই ভিডিওটি প্রকাশ করে। ওই ভিডিওটি টবগী ইউনিয়ন যুবদলের নজরে আসলে অভিযোগকারী মনিরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। মনিরকে না পেয়ে টবগী যুবদলের পক্ষ থেকে ভিডিওর সত্যতা জানতে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি ওই ভিডিওর অভিযোগের বিষয়ে কোনো সত্যতা খুঁজে পায়নি।
আজ মঙ্গলবার ( ১৫ জুলাই ) দুপুর ১টায় টবগী ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সিনিয়র সহ সভাপতি খোকন হাওলাদার।
এসময় তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান , বিএনপি ও টবগী ইউনিয়ন যুবদলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে। তারা টবগী ইউনিয়ন বিএনপির কর্মকান্ডে ঈর্শান্বিত হয়ে যুবদলের সভাপতিকে টার্গেট করেছে।
তিনি জানান, অভিযোগকারী মনির ও তার পরিবারের সদস্যরা টবগী ইউনিয়নের ভোটার নয়। তারা ৫ই আগষ্টের পূর্বে চট্টগ্রামে ছিলো ওখানে বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে গা ঢাকা দিতে এখন এইখানে এসে আত্নগোপন করেছে। মনির নেশাগ্রস্ত ও বখাটে প্রকৃতির। মনির ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক খারাপ কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। গত কয়েকদিন আগে একটি চোরাই মোবাইল উদ্ধার করতে মনিরের বাড়িতে পুলিশ এসে তাকে আটক করতে গেলে তার পরিবারের সদস্যরা ওই সময়ের ভিডিও ধারন করে রাখে। ওই ভিডিওটি চালিয়ে এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যুবদল সভাপতি মঞ্জু বয়াতী তার উপর হামলা করেছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। ওই ভিডিওতে পুলিশ সদস্যদের স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যা ভিডিওটি দেখলেই আপনারা বুঝতে পারবেন।
তিনি আরো জানান, রুহুল আমিন নামে জনৈক ব্যক্তি বিদেশে বসে উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে মিথ্যা ভিডিও ছড়াচ্ছে। ওই ভিডিওটি সহকারী এ্যার্টনী জেনারেল এবি এম ইব্রাহিম খলিল রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে অসিন থেকে তথ্যের যাচাই বাছাই না করে পুলিশের গ্রেফতারের সময়ের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে যুবদল সভাপতিকে অভিযুক্ত করে। যা অতি দুঃখজনক। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির এমন আচরনে আমরা মর্মামহ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
আমাদের দলের কেউ কোনো অপকর্মের সাথে জড়িত থাকলে আমরা দলীয়ভাবে তাকে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনছি। ইনশাআল্লাহ্ ভবিষ্যতে আমাদের এই পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে।
যেসব বিষয়ে মতভিন্নতা রয়েছে, স্বল্প সময়ের মধ্যে সেগুলো নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি তাদের দায়দায়িত্ব অনুভব করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের চতুর্দশ দিনের আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।
এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনায় কিছু বিষয়ে একমত হয়েছে, দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায়ও কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। এখনো যেসব বিষয়ে মতভিন্নতা রয়েছে তা নিয়ে স্বল্পতর সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘কমিশন কোনো আলাদা সত্ত্বা নয়, এটি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রচেষ্টার অংশীদার। তাই, আমরা যদি ব্যর্থ হই, এই ব্যর্থতা কমিশনের একার নয়, আমাদের সকলের। কাজেই ব্যর্থতার কোনো সুযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘সকলের সহযোগিতায় আমাদের সফল হতে হবে। এই সাফল্যের মাপকাঠি হচ্ছে একটা কাঠামোগত সংস্কারে আমরা কতটুকু একমত হতে পারছি তার ওপর।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আজকের আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।
দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (১৫ জুলাই) বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি।
বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়াসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান সম্পর্কে এবং কোন স্কুলগুলো ভালো করছে, সে ব্যাপারে মূল্যায়ন জানতে চান প্রধান উপদেষ্টা।
এ সময় উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষাখাতে অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য অনেক অর্থ ব্যয় হয়েছে। কিন্তু মূল যে উদ্দেশ্য—শিক্ষার মান বৃদ্ধি, সেটি সাধন হয়নি। আমরা মূল্যায়ন করে স্কুলগুলোকে র্যাংকিং করছি। যেসব স্কুলের বাচ্চারা পিছিয়ে আছে, তাদের জন্য বিশেষ কর্মসূচি নিচ্ছি।’
শিক্ষা উপদেষ্টা জানান, মূল্যায়নে দেখা গেছে, যেসব স্কুলের মান ভালো সেখানে প্রধান শিক্ষকের যোগ্যতা ও তার সঙ্গে অন্য সহকর্মীদের সম্পর্ক, ব্যবহার ইত্যাদি বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে। দেশের ৩২ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদ বর্তমানে শূন্য রয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান বলেও প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন তিনি।
এ সময় প্রধান শিক্ষক পদে পদায়নের পাশাপাশি নতুন নিয়োগের বিষয়েও নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘স্কুলগুলোতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কীভাবে যোগ্যদের নিয়ে আসা যায়, সে বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে। কয়েকটা ক্যাটাগরি করে দিতে হবে। যারা বহু বছর ধরে শিক্ষকতা করে আসছেন, অভিজ্ঞ, তারা প্রাধান্য পাবেন। এর পাশাপাশি তরুণদেরও প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য সুযোগ দিতে হবে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হবে।’
সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সঙ্গে সমন্বয় করে অতিদ্রুত বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্নের নির্দেশ দেন অধ্যাপক ইউনূস। এর পাশাপাশি শিক্ষকদের বদলির ক্ষেত্রেও নীতিমালায় পরিবর্তন আনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘অনেক সময় এক উপজেলায় নিয়োগ পেয়ে পরে অন্য উপজেলায়, শহরের কাছে কোনো স্কুলে শিক্ষকরা বদলির জন্য চেষ্টা করেন, তারা সুপারিশ-তদবির নিয়ে বিভিন্ন মহলে ঘোরেন। এ ক্ষেত্রে একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা ও প্রক্রিয়া থাকতে হবে। কেবল ওই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই তিনি বদলি হতে পারবেন।’
স্কুলগুলোতে মেয়েদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা, স্কুলের অবকাঠামো নারীবান্ধব কিনা—এসব বিষয়েও জানতে চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘স্কুলের ভবন নির্মাণের সময় কমিটিতে অন্তত একজন নারী স্থপতি রাখতে হবে যাতে নারীবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণ হয়। পরিকল্পনায়, চিন্তায় ও বাস্তবায়নে মেয়েদের বিষয়ে আলাদা করে গুরুত্ব দিতে হবে, সব ব্যবস্থা রাখতে হবে।’
এ ছাড়া দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধারাবাহিকভাবে ইন্টারনেট সংযোগ ও মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ তৈরির বিষয়েও জোর দেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
'নোটস্ অন জুলাই' পোস্টকার্ডের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিকথা সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। এ কার্যক্রমের আওতায় সোমবার (১৪ জুলাই) কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে ৭০০ জনের স্মৃতিকথা সংগ্রহ করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর-সংস্থা এবং জেলা তথ্য অফিসসমূহের মাধ্যমে আগামী ৫ই আগস্ট পর্যন্ত 'নোটস্ অন জুলাই' পোস্টকার্ডের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিকথা সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ এই পোস্টকার্ডে জুলাই গণঅভ্যুত্থান-সম্পর্কিত স্মৃতি ও মতামত প্রদান করতে পারবেন।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের সদ্য নিযুক্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট জোহানেস জুট বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির প্রতি দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।
একইসঙ্গে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত আর্থিক খাতের সংস্কারমূলক কর্মসূচির জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রশংসা করেন।
গতকাল সোমবার রাতে ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করেন। এসময় জুট এসব কথা বলেন।
সাক্ষাৎকালে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভূটানের জন্য নিযুক্ত ডিরেক্টর জ্যাঁ পেসমে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময়ে জুট বাংলাদেশের প্রতি তাঁর গভীর ভালোবাসার কথা জানান এবং ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ, ভূটান ও নেপালে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে তাঁর পূর্ববর্তী দায়িত্বকালের কথা স্মরণ করেন।
অধ্যাপক ইউনূসের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনি এবং আপনার দুর্দান্ত টিম চমৎকার কাজ করছে, তার জন্য ধন্যবাদ জানাই।’
অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের আর্থিক খাতে কিছু চ্যালেঞ্জিং বিষয়ে উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে জুট বলেন, ‘আমরা আমাদের যাত্রা চালিয়ে যেতে এবং বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা ভাগ করে নিতে প্রস্তুত।’
তিনি গত বছরের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে প্রাণ হারানো শিক্ষার্থীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের জন্য এটি এক আবেগময় মুহূর্ত ছিল।’
প্রধান উপদেষ্টা জুটের সমর্থন ও প্রশংসার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন দায়িত্ব গ্রহণ করি, তখন দেশ ধ্বংসস্তূপের মত ছিল, যেন তা ভূমিকম্প পরবর্তী ভয়াবহ পরিস্থিতি। আমাদের কোনও অভিজ্ঞতা ছিল না। তবুও সকল উন্নয়ন সহযোগী আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। এটা আমাদের অনেক সহায়তা করেছে, আমাদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে।’
অধ্যাপক ইউনূস জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তরুণদের ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, ‘তারা জাতিকে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গত জুলাইয়ে আমাদের তরুণরা যা করেছে, তা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিশেষ করে আমাদের মেয়েরা ও নারীরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। আমরা আজ জুলাই নারী দিবস পালন করছি। তাদের ত্যাগ যেন বৃথা না যায়। তরুণরাই আমাদের দেশের কেন্দ্রবিন্দু। আমাদেরকে তাদের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে হবে।’
অধ্যাপক ইউনূস বিশ্বব্যাংককে আহ্বান জানান, বাংলাদেশকে যেন তারা শুধুমাত্র ‘একটি ভৌগোলিক সীমানা’ হিসেবে না দেখে বৃহত্তর অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে বিবেচনা করে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সমৃদ্ধ হলে গোটা দক্ষিণ এশিয়া সমৃদ্ধ হবে। আমরা যদি নিজেদের আলাদা করি, তাহলে উন্নয়ন হবে না। আমাদের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সুবিধা ও পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে। আমাদের একটি সমুদ্র আছে, যা আমাদের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক দেশেই তরুণদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে, তাই আমরা তাদের বলেছি—তাদের কারখানাগুলো এখানে নিয়ে আসুক। আমরা শিল্পখাতে প্রয়োজনীয় সবকিছু সরবরাহ করবো, যেন বাংলাদেশ একটি উৎপাদন কেন্দ্র হয়ে ওঠে।’
বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট নারীর ক্ষমতায়নে অধ্যাপক ইউনূসের কাজের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাকে সমর্থন দিয়ে যাব। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বাংলাদেশে মেয়েদের শিক্ষাবৃত্তি প্রকল্প চালু হয়েছিল, যা পরবর্তীতে অন্যান্য দেশেও অনুসরণ করা হয়েছে।’
জুট জানান, ‘বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে তরুণদের জন্য সুযোগ তৈরিতে সহায়তা করবে।’
তিনি উল্লেখ করেন, গত অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অর্থায়ন করেছে এবং আগামী তিন বছরেও একই ধরনের সহযোগিতা চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।
তিনি চট্টগ্রাম বন্দর সংলগ্ন নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) সর্বশেষ তথ্য জানান।
লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, এনসিটির নতুন পরিচালন ব্যবস্থার ফলে কনটেইনার হ্যান্ডলিং উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা একে আরও কার্যকর করা। আমরা ২০২৫ সালের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে নিট বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করেছি, যা ইন্ট্রা-কোম্পানি ঋণ এবং শক্তিশালী ইকুইটি বিনিয়োগের মাধ্যমে হয়েছে।’
মরক্কোর এক ব্যক্তিকে আঘাতের ভিডিওকে বাংলাদেশের ঘটনা হিসেবে প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা শনাক্ত করেছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) ফ্যাক্টচেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম বাংলাফ্যাক্ট।
বাংলাফ্যাক্টের অনুসন্ধান টিম জানায়, জলাধারের ওপর এক ব্যক্তিকে আঘাতের ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি বাংলাদেশের নয় মরক্কোর।
অনুসন্ধান দলের তথ্যমতে, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে যে ‘গাজীপুরে এক ব্যক্তিকে উঁচু জলাধারের ওপর তুলে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে’। ১ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, উঁচু একটি জলাধারের ওপর এক ব্যক্তি আরেকজনকে লাঠিসদৃশ বস্তুর আঘাত করছেন। আহত ব্যক্তি হাত দিয়ে আঘাত ঠেকানোর চেষ্টা করলেও তাকে বারবার প্রহার করা হয়। এরপর আরেকজন ব্যক্তি জলাধারের অ্যাক্সেস সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে আহত ব্যক্তিকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তাকেও আঘাত করা হয় এবং তিনি নিচে নেমে আসেন।
বাংলাফ্যাক্টের যাচাইয়ে উঠে এসেছে, ভিডিওটি গাজীপুরের কোনো ঘটনার নয়। প্রকৃতপক্ষে এটি গত ১১ জুলাই মরক্কোর বেনি মেলাল শহরের ঘটনা।
দাবিটি যাচাই করতে ভিডিও থেকে নেওয়া কিছু স্থিরচিত্রের রিভার্স ইমেজ সার্চ করে দেখা যায়, মরক্কোর গণমাধ্যম ‘গার্ডিয়েন মরোক্কো’-এর ওয়েবসাইটে গত ১২ জুলাই প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ছবিটি ব্যবহার করা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১১ জুলাই বেনি মেলাল শহরের ওলাদ ইউসুফ এলাকায় এক ব্যক্তি তার বাবার মৃত্যুর তদন্তের দাবিতে উঁচু জলাধারে ১০ দিনেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ করছিলেন। ওই ব্যক্তির বিশ্বাস, তার বাবা দুর্ঘটনায় মারা যাননি বরং হত্যা করা হয়েছে। পরবর্তীতে দমকল বাহিনীর এক সদস্য টাওয়ারে উঠে বিক্ষোভকারীকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যেন নিরাপদে নেমে আসেন। কিন্তু বিক্ষোভকারী হঠাৎ দমকলকর্মীর মাথায় ও হাতে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন এবং পরে তাকে ধাক্কা দিয়ে টাওয়ার থেকে ফেলে দেন। আহত দমকলকর্মীকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় মরক্কোর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত শুরু করেছে।
বাংলাফ্যাক্টের যাচাইয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে, মরক্কোর এই ভিডিওকে গাজীপুরের ঘটনা বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
বাংলাদেশে চলমান গুজব, ভুয়া খবর ও অপতথ্য প্রতিরোধে এবং জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দিতে বাংলাফ্যাক্ট দায়িত্ব পালন করছে।
‘মুক্ত ও সুষ্ঠু’ নির্বাচন আয়োজনে সরকারের প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনকে অন্তর্ভুক্তিমূলক হিসেবে দেখার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, নির্বাচন কমিশন খুব ভালোভাবে কাজ করবে। এটাই যে তাদের উদ্দেশ্য তা পরিষ্কার। তাই আশা করছি, নির্বাচনটি যতটা সম্ভব অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে।’
তবে নির্বাচন কতটা অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে, তা প্রস্তুতির ধরন ও প্রয়োগের ওপর নির্ভর করছে বলেও এ সময় উল্লেখ করেন তিনি।
সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘অবশ্যই আমরা সবাই জানি, বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ রয়েছে। যতক্ষণ না সেই দল নিজেদের সংস্কার করছে, ক্ষমা চাইছে এবং তাদের কিছু নেতার বিচার হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত যে তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া কঠিন সেটি আমরা বুঝি।’
তার মতে, অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন মানে শুধু বড় দল নয়, স্বতন্ত্র ও ছোট দলগুলোর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ। যত বেশি দল অংশ নেবে, নির্বাচন তত বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে বলে মনে করেন তিনি।
চলতি বছরের মে মাসে অন্তর্বর্তী সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় এক গেজেটের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও দলটির অঙ্গসংগঠনগুলোর সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। যতদিন না আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দলটির নেতাদের বিচার সম্পন্ন করছে, ততদিন এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলেও জানানো হয়।
রাষ্ট্রদূত বলেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ‘মুক্ত ও সুষ্ঠু’ নির্বাচন আয়োজনের পরিবেশ তৈরিতে কাজ করছে। এটি তাদের অঙ্গীকার। ফ্রান্স এই প্রচেষ্টাকে সমর্থন করছে। সম্ভব হলে, আমরা ইউরোপীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দল পাঠিয়েও সহায়তা করতে চাই।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে—এমন ইঙ্গিত দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
ঢাকায় ফরাসি দূতাবাসে রবিবার রাতে অনুষ্ঠিত ফ্রান্সের জাতীয় দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় রাষ্ট্রদূত মাসদুপুই বলেন, গণতন্ত্র মানে স্বাধীনতা, সমতা এবং ভ্রাতৃত্ববোধ ও অন্তর্ভুক্তি।
তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার বিচক্ষণ ও অসাধারণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন সত্যিকারের গণতান্ত্রিক নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তাতে অনেক বাধা আসবে। তবে সাহস ও দৃঢ় প্রত্যয় থাকলে বাধাগুলো কাটিয়ে ওঠা যাবে।’
এয়ারবাস বিষয়ে আলোচনা চলছে
এয়ারবাস ক্রয়সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আলোচনা এখনো চলছে। এটি বন্ধ হয়নি।’
যুক্তরাষ্ট্র থেকে বোয়িং বিমান কেনার বিষয়টি বিবেচনায় নিচ্ছে বাংলাদেশ, যাতে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো যায় এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ৩৫ শতাংশ শুল্ক (আগামী ১ আগস্ট থেকে কার্যকর) এড়ানো সম্ভব হয়।
রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য, ‘আমরা চাই সবাই সমান সুযোগ পাক। আমাদের মনে হয়, বিমানের বহরে এয়ারবাস ও বোয়িং—উভয় ধরনের উড়োজাহাজ থাকলে যাত্রীদের জন্য তা সবচেয়ে বৈচিত্র্যপূর্ণ সেবা নিশ্চিত করবে।’
গত জুনে লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এয়ারবাসের নির্বাহী সহ-সভাপতি ওয়াউটার ভ্যান ওয়ার্স। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে আমরা একটি অগ্রাধিকারমূলক দেশ হিসেবে দেখছি।’
ভ্যান ওয়ার্স আরও জানান, বছরে ৮০০টি বিমান সরবরাহ করা এয়ারবাস শুধু যাত্রীবাহী নয়, হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান তৈরিতেও দক্ষ। বাংলাদেশ যদি বিমানের বহরে এয়ারবাস যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে রপ্তানি ঋণ সংস্থা (ইসিএ) থেকে ৮৫ শতাংশ অর্থায়ন পাওয়া যেতে পারে।
সম্পর্ক ইতিবাচক রয়েছে
রাষ্ট্রদূত মাসদুপুই বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের চলমান সংস্কারের প্রতি ফ্রান্সের সমর্থন রয়েছে। সরকারের সঙ্গে আরও গভীরভাবে যুক্ত হতে আমরা আগ্রহী।
তিনি বলেন, ‘অনেক প্রকল্প পর্যালোচনার পর্যায়ে রয়েছে। তাই সেগুলোর জন্য ধৈর্য ধরতে হবে। তবে আমরা চাই, সেগুলো যেন দ্রুত বাস্তবায়ন করা যায়।’
‘আমাদের দ্বিপাক্ষীয় সম্পর্ক খুব ভালো, সবসময়ই ইতিবাচক। আমরা নানা খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছি এবং সেটা আরও বাড়াতে চাই।’
তিনি জানান, জলবায়ু পরিবর্তন পর্যবেক্ষণে স্যাটেলাইট ডেটা ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের সার্বভৌম সক্ষমতা বাড়াতে মহাকাশ প্রযুক্তি নিয়ে নতুন সহযোগিতা শুরু করছে ফ্রান্স। উন্নয়ন ও কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের ক্ষেত্রেও সহযোগিতার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
পেশা, অর্থনৈতিক অবস্থা, ব্যক্তি স্বার্থসহ নানা কারণে বিয়ে ও সন্তান গ্রহণের ক্ষেত্রে মানুষের আগ্রহ কমছে। এর অন্যতম কারণ, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও প্রজনন বিষয়ে তরুণদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতার অভাব।
সম্প্রতি ১৪টি দেশের ১৪ হাজার তরুণের মাঝে পরিচালিত এক জরিপে এমন চিত্র উঠে এসেছে। জরিপ করেছে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল ইউএনএফপিএ এবং ইউ গভ সার্ভে।
বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে গতকাল সোমবার পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর কর্তৃক ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্বে জনসংখ্যা এভাবে হ্রাস পেতে থাকলে এক সময় তা বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।
সম্প্রতি প্রকাশিত স্টেট অব ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যপী জনসংখ্যা ৮ বিলিয়নের নিচে নেমে আসাও সমস্যা নয়। প্রকৃত সমস্যা হলো প্রজনন হারে প্রভাব পড়া।
এর ফলে বিশ্বের এক বৃহৎ জনগোষ্ঠী সন্তান ধারণের সুযোগ অথবা আকাঙ্ক্ষা হতে বঞ্চিত হবে।
জরিপে দেখা গেছে, একাধিক সন্তান গ্রহণের ইচ্ছা বা প্রত্যাশা থাকলেও তা বাস্তবে রূপ পায় না। অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে; কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক সক্ষমতার অনিশ্চিয়তা, জীবনযাত্রায় উচ্চ ব্যয়ের কারণে প্রায় অর্ধেকেরও বেশি তরুণ পছন্দের সংখ্যা অনুযায়ী সন্তান গ্রহণ করতে সক্ষম হয় না।
প্রতি চারজনে একজন পছন্দ মতো সময়ে সন্তান নিতে চেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন।
এদের ৪০ শতাংশ পরবর্তীতে সন্তান ধারণের প্রত্যাশাকে বাদ দিতে বাধ্য হয়েছে। প্রায় ১৩ শতাংশ তরুণের অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ এবং একটি সময় যখন তার সন্তান চেয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। ১৪ শতাংশ তরুণ উপযুক্ত সঙ্গীর অভাবে সন্তান গ্রহণে সমর্থ হয় না। ১৮ শতাংশ জনগণ পরিবার পরিকল্পনা অথবা প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির কোনো সুযোগ নেই।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, ‘ক্ষমতায়নের পূর্বশর্ত হলো অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা অর্জন।
আর্থিকভাবে সক্ষম হলে ক্ষমতায়নের পথ সহজ হয়। একটি সম্ভাবনাময়, ন্যায্য বিশ্ব গড়তে হলে আমাদের সমতা অর্জন করতে হবে। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে যত বাধা আছে, তা আমাদের ঝেড়ে ফেলতে হবে।’
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা পছন্দের পরিবার গড়ার জন্য তারুণ্যের ক্ষমতায়নের কথা বলছি। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত শিক্ষা, সহায়ক পরিবেশ এবং সচেতনতা। তরুণদের উপযুক্তভাবে প্রস্তুত করতে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।’
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘রাষ্ট্র বিনির্মাণে তরুণ সমাজের ভূমিকা কী হতে পারে, তা জাতি দেখেছে। তরুণরাই জাতির ভবিষ্যৎ। যেভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং এবং রোবটিকসের উন্নতি হচ্ছে, তার প্রভাব পড়বে জীবনের নানা ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানেও। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন বলেন, বিশ্বে আজকে জনসংখ্যা হলো ৮২৩ কোটি ৪৫ লাখ ২৪ হাজার ৭৫০ জন। সর্বশেষ পাঁচ মিনিটে বিশ্বে ১ হাজার ২৫০ মানুষের জন্ম হয়েছে এবং এক হাজারের মতো মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
ধারণা করা হয়, এ সংখ্যা এক হাজার কোটিতে পৌঁছাবে ২০৫৬ সালে। ১ হাজার ৯০ কোটিতে পৌঁছাবে ২০৯৮ সালে। এর পর থেকে এ সংখ্যা কমবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রতি বর্গমাইলে ৩ হাজার ২৭২ জন মানুষ বসবাস করে এবং প্রতি ৫০০ বর্গমাইলে একটি করে মেডিকেল কলেজ আছে। এটিও বিশ্বে রেকর্ড। এত ঘনবসতিপূর্ণ মানুষ ও এত মেডিকেল কলেজ পৃথিবীর কোথাও নেই।’
২০২৬ সালের হজ কার্যক্রমে অংশ নিতে অনুমোদিত এজেন্সিগুলোর কাছে আবেদন আহ্বান করেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
গতকাল সোমবার এজেন্সিগুলোকে আবেদন দাখিলের অনুরোধ জানিয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
২০২৬ সালের হজ কার্যক্রমের জন্য সৌদি সরকার কর্তৃক ইতোমধ্যে রোডম্যাপ বা টাইম লাইন প্রকাশ করা হয়েছে- উল্লেখ করে চিঠিতে ধর্ম মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত যে সব হজ এজেন্সি ২০২৬ সালের হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক সে সব হজ এজেন্সির স্বত্বাধিকারী বা ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছ থেকে মন্ত্রণালয় প্রস্তুতকৃত নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে বলা হয়েছে।