বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৯৩৭ কোটি টাকা অনিরীক্ষিত মুনাফা অর্জন করেছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
গতকাল সোমবার মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) এ. বি. এম. রওশন কবীর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, এই মুনাফার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠার ৫৫ বছরের ইতিহাসে বিমান এক অনন্য রেকর্ড গড়েছে। বিগত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আগে বিমানের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জিত হয় ২০২১-২২ অর্থবছরে, যার পরিমাণ ছিল ৪৪০ কোটি টাকা।
এবারের আর্থিক সাফল্যের জন্য যাত্রী ও গ্রাহকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিমান বলছে, তাদের আস্থা ও সমর্থনই এ রেকর্ড মুনাফা অর্জনে সবচেয়ে বড় শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। এই সাফল্য এসেছে দক্ষ সম্পদ ব্যবস্থাপনা, কার্যকর কৌশল গ্রহণ এবং যাত্রীসেবার ধারাবাহিক উন্নয়নের ফল হিসেবে।
রাষ্ট্রায়ত্ত পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সটি বলছে, ১৯৭২ সালে মাত্র ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা আয় দিয়ে যাত্রা করা বিমান যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের সীমিত অবকাঠামো ও সম্পদের মধ্যে ধীরে ধীরে আধুনিক ও প্রতিযোগিতামূলক এয়ারলাইন্সে পরিণত হয়েছে।
বিমানের হিসাব অনুযায়ী, বিদায়ী অর্থবছরে ১১ হাজার ৬৩১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা আয় হয়েছে কোম্পানির। এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিমান প্রথমবারের মতো ১০ হাজার কোটির বেশি আয় করা কোম্পানিতে পরিণত হয়।
১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘ ৫৫ বছরের যাত্রায় বিমান সবমিলিয়ে ২৬ বছর লাভের মুখ দেখেছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০০৭ সালে করপোরেশন থেকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরের পর গত ১৮ বছরে বিমানের পুঞ্জীভূত মোট মুনাফা হয়েছে ৫৮৯ কোটি টাকা।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিমানের বহরে ২১টি উড়োজাহাজ ছিল, যার মধ্যে বর্তমানে ১৯টি নিজস্ব মালিকানাধীন উড়োজাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক ও জ্বালানি-সাশ্রয়ী চারটি বোয়িং ৭৮৭-৮ এবং দুটি বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার।
বিমান কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, কোম্পানির আরেকটি বড় শক্তি হল নিজস্ব বহর রক্ষণাবেক্ষণ সক্ষমতা। লাইন রক্ষণাবেক্ষণ থেকে শুরু করে বড় ধরনের পরীক্ষা (চেক) পর্যন্ত সবই দেশেই সম্পন্ন করতে পারে বিমান। তাতে বিপুল ব্যয় সাশ্রয় হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিমান যাত্রী পরিবহন করেছে ৩৪ লাখ, কার্গো পরিবহন হয়েছে ৪৩ হাজার ৯১৮ টন এবং কেবিন ফ্যাক্টর ৮২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ‘উল্লেখযোগ্য’ বৃদ্ধি। তাছাড়া ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে বিমানের ইতিহাসে সর্বোচ্চ টিকেট বিক্রির নজিরও তৈরি হয় বলে ভাষ্য বিমানের।
বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) এ. বি. এম রওশন কবীর জানান, বিমানের লক্ষ্য হলো জাতীয় গৌরবকে ধারণ করে বিশ্বমানের সেবা, নির্ভরযোগ্যতা এবং সম্মানিত যাত্রীগণের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার একটি শীর্ষস্থানীয় এয়ারলাইন্সে পরিণত হওয়া।
রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিটির ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় রয়েছে—নতুন জনপ্রিয় গন্তব্যে রুট সম্প্রসারণ, যাত্রীসেবা ও পরিচালনায় ডিজিটাল রূপান্তর এবং কার্গো সেবা শক্তিশালীকরণ। সেবা, নির্ভরযোগ্যতা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার একটি শীর্ষস্থানীয় এয়ারলাইন্সে পরিণত হওয়া লক্ষ্যের কথাও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষক মাহেরীন চৌধুরী, মাসুকা বেগম ও মাহফুজা খানম মানবতা ও সাহসিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে এ জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিমান দুর্ঘটনায় নিহত তিন শিক্ষক পরিবারের সদস্যরা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষক মাহেরীন চৌধুরীর স্বামী মনসুর হেলাল, দুই ছেলে আদিল রশিদ ও আয়ান রশিদ, বোন মেহেতাজ চৌধুরী, ভাই মুনাফ মজিব চৌধুরী ও নিকট আত্মীয় কাওসার হোসেন চৌধুরী; শিক্ষক মাসুকা বেগমের বোন পাপড়ি রহমান ও ভগ্নিপতি খলিলুর রহমান এবং শিক্ষক মাহফুজা খাতুনের মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা, বোন মুরশিদা খাতুন, ভাগ্নে মো. মাইদুল ইসলাম ও নিকট আত্মীয় হুমায়ূন কবির।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বেশ কিছুদিন পার হলেও এই স্মৃতি এখনো সবার মধ্যে দগদগে হয়ে আছে। আমি ঘটনা জানা মাত্রই আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আপনারা যে দুঃসময়ের মধ্যে ছিলেন, সেসময়ে দেখা করা সমীচীন হতো না। আমরা আপনাদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করতে পারি, কিন্তু এই দুঃসহ স্মৃতি মুছে দেয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই। তবে এটুকু বলতে পারি, এ শোক আপনাদের একার নয়। জাতি হিসেবে আমরা এই শোককে ধারণ করি।’
এসময় তিন শিক্ষক পরিবারের কাছে তাঁদের স্মৃতিকথা শুনতে চান প্রধান উপদেষ্টা।
শিক্ষক মাহেরীন চৌধুরীর স্বামী মনসুর হেলাল বলেন, “তাঁকে যখন হাসপাতালে নেয়া হচ্ছিল তখন ফোনে আমার সাথে কথা হয়। সেদিন বার্ন ইনস্টিটিউটে যে দৃশ্য দেখেছি, তা ভাষায় বর্ণনা করার মতো নয়। জীবনে যেন কারো সেই অভিজ্ঞতা না হয়। আমি তাঁকে দেখলাম, একপাশ পুরোটা পুড়ে গেছে। সেখানে কয়েকজন সামান্য দগ্ধ বাচ্চা চিকিৎসা নিতে নিতে আমাকে বলল, ‘মিসই আমাদের টেনে টেনে বের করে আনল! মিস তো সুস্থ ছিল! এমন হলো কেন!’ আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘তুমি বের হয়ে এলে না কেন? তোমার নিজের দুই সন্তানের কথা একবারও ভাবলে না?’ সে আমাকে বলল, ‘ওরাও তো আমার সন্তান। ওদের একা রেখে আমি কী করে চলে আসি?’ পৃথিবীর সকল মানুষ ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে তার জন্য দোয়া করেছে। সবার জন্যই সে নিবেদিত প্রাণ ছিল।”
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ২৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১৪ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন শিক্ষক মাহফুজা খাতুন। মায়ের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা।
তিনি বলেন, ‘আমার মা অনেকখানি সুস্থ হয়ে উঠেছিল। আমি ভেবেছিলাম, মা’কে নিয়ে বাড়ি ফিরব। মাকে যেদিন হুইলচেয়ারে বসাই সেদিন মনে হলো আমি বিশ্বজয় করেছি। মা ছাড়া একেকটা দিন আমার স্বপ্নের মতো মনে হয়। আমার তো বাবা নেই, এখন মাও চলে গেল। আমি এতিম হয়ে গেলাম। এখন পর্যন্ত নিজের বাসায় ফিরতে পারিনি। মা ছাড়া সে বাসায় ফিরব কী করে?’
শিক্ষক মাসুকা বেগমের ভগ্নিপতি খলিলুর রহমান বলেন, ‘দুর্ঘটনায় আহত হয়ে অনেক দিন ধরেই তাঁর বোন অসুস্থ। চোখে কিছুটা কম দেখেন। মাসুকা সবসময় তাঁর বাবা ও বোনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত, তাঁদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চটুকু দেয়ার চেষ্টা ছিল। বাবাকে নিয়মিত হাতখরচ পাঠাত। আমার ছেলে-মেয়েদের ও নিজের সন্তানের মতো মনে করত। প্রতিদিন তাঁদের সঙ্গে ওর কথা হতো। আমরা আর তার স্কুল—এই ছিল তাঁর জীবন।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তাঁদের কথা শুনতে কষ্ট লাগে। একইসঙ্গে গর্ববোধ হয় যে আমাদের দেশে এমন নাগরিক আছে যারা অন্যের জীবন বাঁচাতে আগুনে ঝাঁপ দিয়েছে। মানবতার এই দৃষ্টান্ত তারা প্রমাণ করে গেছে। আমরা ক্ষুদ্র মানব ছিলাম, তারা আমাদের বড় করেছে। সবার ভেতরে নাড়া দিয়েছে। সবাই এটা নিজের মধ্যে অনুভব করেছে যে, ‘আমি যদি সেই অবস্থানে থাকতাম, আমি কী করতাম? আমি কি জীবনের পরোয়া না করে এভাবে ছোট শিশুদের প্রাণ বাঁচাতে আত্মবিসর্জন দিতাম? এই প্রশ্ন সবার মনে এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘এই শিক্ষকগণ আমাদের গর্ব, আমাদের আদর্শ। তাঁদের স্মৃতি আমাদের ধরে রাখতে হবে। এজন্য যা কিছু করা প্রয়োজন, আমরা তা করব’।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার, গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।
প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
নির্বাচনের সময় নিয়ে দলগুলোর বক্তব্য রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ বলে মন্তব্য করে ড. আসিফ নজরুল বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠান কোনো দলের দায়িত্ব না এটা সরকারের দায়িত্ব। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলছি আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন সম্পন্ন হবে।
তিনি বলেন, এখন রাজনৈতিক দল তো বিভিন্ন উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কথা বলে এবং ওইটা তো একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া। আপনারা তো এটা সব সময় দেখেছেন। বাংলাদেশে ট্রেডিশনালি এসব রাজনৈতিক কথাবার্তা হতো, এখনো ঠিক ওরকমভাবেই কথাবার্তা হচ্ছে। কথাবার্তায় খুব বেশি গুণগত পরিবর্তন হয়নি। ফলে নির্বাচনের সময় নিয়ে কে কী বলবেন এটা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই দেখবেন।
আইন উপদেষ্টা বলেন ‘সরকারের পক্ষ থেকে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ আছি। আমাদের স্যার (প্রধান উপদেষ্টা) সর্বজন স্বীকৃত একজন বিশ্বপর্যায়ে নন্দিত মানুষ। উনি নিজে ঘোষণা করেছেন, তার এ ঘোষণা থেকে আমাদের পিছিয়ে আসার বিন্দুমাত্র চিন্তা নেই।’
ড. আসিফ নজরুল বলেন, জমি অধিগ্রহণ নিয়ে অনেক সময় বেশি মূল্য ধরা হয়, এরপরে পিডিবির বিষয় নিয়ে অনেক কথা হয়। আপনারা জানেন বালিশ কাণ্ডে কি হয়েছিল। আমরা আরো এরকম বালিশ কাণ্ড চাই না। এজন্য দুদক সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাব দিয়েছে সেগুলো আমরা আইনের পরিবর্তনের চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে একজন অভিজ্ঞ কনসালটেন্ট নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি আজ থেকে কাজ শুরু করবেন।
আইন উপদেষ্টা বলেন, প্রকল্প ব্যয় বাড়িয়ে দুর্নীতি করা হয় এগুলো আসলে আমাদের বিষয় না এটার জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় রয়েছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের রয়েছে তারা এগুলো দেখবে।
আমরা সর্বোচ্চ দুর্নীতির বিষয়গুলো দেখতে পারবো। এজন্যই দুর্নীতি দমন কমিশনকে আরো শক্তিশালী করা হচ্ছে।
গত জুলাই মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪৪৩টি। এতে প্রাণ ঝরেছে ৪১৮ জনের এবং আহত হয়েছেন ৮৫৬ জন। এর মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন সবচেয়ে বেশি ১০৯ জন, যা মোট নিহতের ২৬.০৮ শতাংশ।
বেসরকারি সংস্থা রোড সেফটি ফাউন্ডেশন মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে জুলাই মাসে সড়ক দুর্ঘটনার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, জুলাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে নারী ৭২ জন, যা মোট নিহতের ১৭.২২ শতাংশ এবং শিশু রয়েছে ৫৩টি, ১২.৬৭ শতাংশ।
সবচেয়ে বেশি ঘটেছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। ১৩১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহতও হয়েছেন সবচেয়ে বেশি মানুষ,১০৯ জন; যা মোট নিহতের ২৬.০৮ শতাংশ। আর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার মোট দুর্ঘটনায় ২৯.৫৭ শতাংশ।
দুর্ঘটনায় অন্যান্যভাবে নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ৯২ জন পথচারী (২২ শতাংশ), যানবাহনের চালক ও সহকারী ৫৬ জন (১৩.৪০ শতাংশ), ৪টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৬ জন এবং ২১টি রেল ট্র্যাক দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
যানবাহনভিত্তিক নিহতের চিত্র
দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেলচালক ও আরোহী মিলিয়ে নিহত হয়েছেন ১০৯ জন। এ ছাড়া বাসের যাত্রী ৪১ জন (৯.৮০ শতাংশ), ট্রাক-পিকআপের আরোহী ৩০ জন (৭.১৭ শতাংশ), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স আরোহী ২০ জন (৪.৭৮ শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী (সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান) ১০৮ জন (২৫.৮৪ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-পাখিভ্যান-মাহিন্দ্র) ১২ জন (২.৮৭ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল-রিকশা আরোহী ৬ জন (১.৪৪ শতাংশ) নিহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনাসমূহ ঘটেছে ভোরে ৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ, সকালে ২৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ, দুপুরে ২১ দশমিক ৮৯ শতাংশ, বিকালে ১৭ দশমিক ১৫ শতাংশ, সন্ধ্যায় ১১ দশমিক ০৬ শতাংশ এবং রাতে ১৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
সবচেয়ে ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৬ দশমিক ৪১ শতাংশ, আর সবচেয়ে কম ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ৭ দশমিক ২২ শতাংশ। ঢাকা বিভাগে ১১৭টি দুর্ঘটনায় ১০৫ জন নিহত হয়েছেন। একক জেলা হিসেবে ঢাকা জেলায় ৪৭টি দুর্ঘটনায় ৩৪ জন নিহত হয়েছেন। রাজধানীতে ২৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ৩৮ জন আহত হয়েছেন।
সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের মতে, সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণসমূহ হলো: ১. ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন ২. ত্রুটিপূর্ণ সড়ক ৩. বেপরোয়া গতি ৪. চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা ৫. বেতন-কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট না থাকা ৬. মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল ৭. তরুণ-যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো ৮. জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা ৯. দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ১০. বিআরটিএ-র সক্ষমতার ঘাটতি এবং ১১. গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি।
সুপারিশ
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন দুর্ঘটনা কমাতে বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরেছে। এগুলো হলো- ১. দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে ২. চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে ৩. বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে ৪. পরিবহন মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে ৫. মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা পার্শ্ব রাস্তা (সার্ভিস রোড) তৈরি করতে হবে ৬. পর্যায়ক্রমে সকল মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে ৭. গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে ৮. রেল ও নৌ-পথ সংস্কার করে সড়ক পথের উপর চাপ কমাতে হবে ৯. টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে ১০. সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির বিরোধিতা করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, জনগণ এ ধরনের নির্বাচনী পদ্ধতির জন্য প্রস্তুত নয়। বাংলাদেশের জন্য পিআর পদ্ধতি উপযোগী নয়। যারা পিআর দাবি করে তাদের উদ্দেশ্য নিয়েই সন্দেহ থেকে যায়।
গতকাল সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে নীলফামারী জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির উদ্যোগে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রশাসন থেকে ‘আওয়ামী ক্যাডারদের’ অপসারণের দাবি জানিয়েছেন।
রিজভী বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে। কিন্তু আওয়ামী আমলের প্রশাসন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। তাই প্রশাসন থেকে আওয়ামী ক্যাডারদের অপসারণ করতে হবে। মাঠ পর্যায়ে নিরপেক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সব মতের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকে। ছাত্র প্রতিনিধিরা থাকলেই শিক্ষাঙ্গনে গণতান্ত্রিক চর্চা টিকে থাকে।
নীলফামারীর বিএনপি নেতাকর্মীদের নিপীড়নের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, নীলফামারী এমন একটি জেলা যে জেলায় বিগত ১৬ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে অসংখ্য নেতাকর্মী হত্যা, গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। একজন মন্ত্রীর নির্দেশে গোটা নীলফামারী জেলাকে রক্তাক্ত প্রান্তরে পরিণত করা হয়েছিল।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা এমন একটি রাজত্ব কায়েম করেছেন, যাতে কেউ একটি শব্দও করতে না পারে। আওয়ামী লীগের ব্যবসায়ীরা ৪০ হাজার কোটি টাকা এবং তাদের রাজনৈতিক নেতারা লাখো কোটি টাকা পাচার করেছে।
রিজভী দাবি করেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ থেকেছে।
এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, নীলফামারী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মীর সেলিম, সদস্য সচিব সাইফুল্লাহ রুবেল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহারিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনসহ দলের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে উন্নয়ন প্রকল্পের এক টাকাও খরচ করতে পারেনি ১২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।
গতকাল সোমবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) জুলাইয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হালনাগাদ চিত্রে এই তথ্য উঠে এসেছে।
১২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ হলো—পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, পার্বত্যবিষয়ক মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইএমইডি, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন ও সংসদবিষয়ক সচিবালয়।
জুলাই মাসে ১ শতাংশের বেশি অর্থ ব্যয় করেছে মাত্র ১২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।
সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। তারা বরাদ্দের ১১ দশমিক ৩০ শতাংশ অর্থ ব্যয় করেছে। এছাড়া বড় আকারের বরাদ্দ পাওয়া মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বরাদ্দের ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ অর্থ ব্যয় করেছে।
এছাড়া এ তালিকায় আছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় (৩.৫১ শতাংশ), কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ (৩.৪৬ শতাংশ), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ (১.৪৩ শতাংশ), দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় (১.৪৯ শতাংশ), মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় (১.৩৮ শতাংশ), ভূমি মন্ত্রণালয় (২.০১ শতাংশ), নির্বাচন কমিশন (১.৪৯ শতাংশ), মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ (৭ শতাংশ), অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (২.৭২ শতাংশ), লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ (২.৩৪ শতাংশ)।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন আশুলিয়ায় গুলি করে হত্যার পর ছয়জনের লাশ তুলে স্তুপ করা হয় ভ্যানে; আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সেই ঘটনার ভিডিও চলার সময় নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না এনাব নাজেজ জাকি। সাক্ষীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছয়টি লাশের একটি দেখিয়ে বললেন, ‘এটাই আমার ছেলে’।
এরপর কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি। আদালত কক্ষে তখন পিনপতন নীরবতা। নাজেজ জাকি আশুলিয়ায় পুলিশের গুলিতে নিহত আস-সাবুরের বাবা। সরকার পতনের দিন আশুলিয়ায় যে ছয়টি লাশ পোড়ানো হয়েছিল, তার একটি ছিল সাবুরের।
গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ সাক্ষ্য চলার সময় সেই ঘটনার ভিডিও দেখানো হয়। নাজেজ জাকি ছিলেন সাক্ষীর কাঠগড়ায়।
আন্দোলনে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন তিনি।
গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এ তিনজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয় এদিন। নাজেজ জাকি বাদে অপর দুজন হলেন যাত্রাবাড়ীর রবিউল আওয়াল ভূঁইয়া এবং রাজশাহীর জসিম উদ্দিন।
অবসরপ্রাপ্ত গার্মেন্টস কর্মকর্তা নাজেজ জাকি (৬০) তার সাক্ষ্যে বলেন, তার ছেলে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানার সামনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। পুলিশ তার ছেলে ও আরও পাঁচজনের লাশ পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেয়।
ঘটনার বিবরণে তিনি বলেন, ৫ অগাস্ট সকাল ১০টার দিকে আস-সাবুর বাসা থেকে বের হয়ে মিছিলে যায়। মিছিলটি জামগড়া থেকে বাইপাইলে গেলে সেখান থেকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বড় ভাই রেজোয়ানকে ফোন দেয় সে।
‘দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে আস-সাবুর আবার তার বড় ভাইকে ফোন দিয়ে বলে অনেক লোক গুলিবিদ্ধ হচ্ছে এবং পড়ে যাচ্ছে। তার ভাই তাকে সেখান থেকে চলে আসতে বলে। কিন্তু সে আসে না। সে মিছিলের সঙ্গে বাইপাইল থেকে আশুলিয়া থানার দিকে যায়। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সে একটি বাসায় আশ্রয় নেয়, কারণ ওই সময় ওখানে প্রচণ্ড গোলাগুলি চলছিল। তারপর আমরা তার কোনো খোঁজ পাইনি। বিকেল ৪টার পর থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। সেই দিন আমার ছেলে আর ফেরত আসেনি।’
নাজেজ জাকি বলেন, পরদিন ৬ অগাস্ট বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমরান নামের এক সমন্বয়ক তার বড় ছেলেকে বলেন, ‘আশুলিয়া থানার সামনে কয়েকটা পোড়ানো লাশ রয়েছে, সেখানে আপনার ভাইয়ের লাশ আছে কি না এসে শনাক্ত করেন’।
বড় ছেলে রেজোয়ান তখন কান্নায় ভেঙে পড়ে জানিয়ে এ সাক্ষী বলেন, এরপর তিনি তার ভাগনে হুমায়ন কবিরকে ঘটনাস্থলে পাঠান। সঙ্গে তার দূরসম্পর্কের খালাতো ভাই মেহেদী হাসান ছিলেন।
‘তারা আমার ছেলে আস-সাবুরকে তার পরনের টি-শার্টের পোড়া অংশ এবং মোবাইল থেকে পাওয়া সিম দেখে লাশ শনাক্ত করে। লাশের সঙ্গে থাকা মোবাইল থেকে সিমটি বের করে অন্য একটি মোবাইলে সংযুক্ত করার পর দেখা যায় ওই সিমটি আমার ছেলে আস-সাবুরের।’
সেনাবাহিনী ও ছাত্ররা পোড়ানো ছয়টি লাশের জানাজা করে সন্ধ্যা ৬টার দিকে। পরে তাদের কাছে হস্তান্তর করে। হুমায়ন আর মেহেদী লাশ বাসায় নিয়ে যান।
ছেলের লাশ দেখে চিনতে পারছিলেন না নাজেজ জাকি। তার কথায়, ‘ছেলের লাশের দিকে এক নজর তাকিয়েছি, কিন্তু তার চেহারা এমন বীভৎস অবস্থায় ছিল যে তাকে চেনার কোনো উপায় ছিল না।’
৬ অগাস্ট দ্বিতীয় জানাজা শেষে রাত ৮টার দিকে আস-সবুরের লাশ নেওয়া হয় গ্রামের বাড়ি নওগাঁর মহাদেবপুরে। পরদিন ৭ আগস্ট সকাল ৯টায় তৃতীয় জানাজা শেsষে দাফন করা হয়।
ছেলেকে হত্যার ঘটনার দুটি ভিডিও নিজের কাছে থাকার কথা আদালতকে বলেন নাজেজ জাকি। সেসময় ভিডিও দুটি ট্রাইব্যুনালে দেখানো হয়।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আশুলিয়ায় ভ্যানের উপর চ্যাংদোলা করে তোলা হয় লাশ। দ্বিতীয় ভিডিওতে পুলিশ ভ্যানের ভেতরে সেই লাশ পোড়ানো দেখা যায়। একজন পুলিশ সদস্যকে আগুনের তীব্রতা বাড়ানোর জন্য কাঠের বেঞ্চ দিতে দেখা যায়।
সেই ভিডিও দেখানোর সময় আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহত আস-সবুরের বাবা নাজেজ জাকি।
তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের উস্কানিতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের নির্দেশে সে সময়কার আশুলিয়া থানার ওসি, এসআই, কনস্টেবল তার ছেলেকে হত্যা করেছে।
এছাড়া ঢাকা উত্তরের উপপুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ হিল কাফি, ডিবির এসআই আরাফাত হোসেন, ঢাকা-১৯ এর সাবেক এমপি সাইফুল ইসলামদের সহায়তা ও মদদে পুলিশ এ হত্যাকাণ্ড চালায়। তার ছেলেসহ আরও পাঁচজনকে পুলিশ ভ্যানে তুলে পেট্রোল ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। আদালতে সাক্ষীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছেলের হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেন তিনি।
সূত্র: বিডিনিউজ
মব জাস্টিস যত কমিয়ে আনা যায় এ লক্ষ্যে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১২তম সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘মব জাস্টিস যত কমিয়ে আনা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমি বলবো না যে মব জাস্টিস ইলিমিনেট (দূর) হয়ে গেছে। এখনও হচ্ছে, যেমন রংপুরে একটি মব জাস্টিস হয়েছে। ঢাকায় তুলনামূলক কমেছে, তবে আশেপাশে মব জাস্টিস দু-একটি হয়েই যাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি এটি যতটা কমিয়ে আনা যায়।’
গত ১৫ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর থেকে একজন রিকশাচালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে একটা ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। সেখানে (ধানমন্ডি ৩২ নম্বর) যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, এ ব্যাপারে আমাদের নির্দেশনা ছিল।’
সভায় কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকায় ১৮ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আগামীতে এমন আরও পরিকল্পনা আছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। ছুটি নেওয়া ছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিতির ৬০ দিন হলে বরখাস্ত হয়। এটি চলতেই থাকবে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি সাধারণ জনগণ বা নির্দোষ জনগণ যাতে কোনো অবস্থায় শাস্তির আওতায় না আসে। যে দোষী সে কোনো অবস্থায় ছাড়া পাবে না। আমরা সব সময় চুনোপুঁটি ধরি। রুই–কাতলা ধরা পড়ে না। রাঘব বোয়ালদের ধরার চেষ্টা চলছে।’
বহু প্রতীক্ষিত গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলাধীন পাঁচপীর বাজার- কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা সদর সড়কে তিস্তা নদীর উপর নির্মিত ১৪৯০ মিটার দীর্ঘ "মওলানা ভাসানী সেতু" উদ্বোধন হতে যাচ্ছে।
আগামী ২০ আগস্ট (বুধবার) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া গাইবান্ধায় উপস্থিত হয়ে সেতুটি উদ্বোধন করবেন।
বাংলাদেশ সরকার (জিওবি), সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট(এসএফডি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট(ওফিড) এর অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৯২৫ কোটি টাকা। ১৪৯০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৯.৬০ মিটার প্রস্থের সেতুটির লেন সংখ্যা ২ টি এবং মোট স্প্যান সংখ্যা ৩১টি। এটি একটি প্রি-স্ট্রেসড কংক্রিট গার্ডার সেতু।
সেতুটির মাধ্যমে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সাথে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে স্বল্প সময় ও খরচে শিল্প ও কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন এবং ছোট ও মাঝারী কলকারখানা প্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়াও নদীর উভয় তীরের সংযোগসহ উন্নত রোড নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠার ফলে ঐ অঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও প্রসার ঘটবে। এলাকায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং স্থানীয় আর্থ-সামাজিক অবস্থা উন্নয়নসহ জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে। পর্যটনের সুযোগ সৃষ্টিসহ একটি নতুন পরিবহন করিডোর গড়ে ওঠায় রাজধানী ঢাকাসহ দক্ষিণাঞ্চলের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানের সঙ্গে ভুরুঙ্গামারী স্থলবন্দরসহ কুড়িগ্রাম জেলার যোগাযোগের দূরত্ব ৪০-৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত হ্রাস পাবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ‘বোরো সংগ্রহ কর্মসূচি-২০২৫ এর অধীনে’ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান ও চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
কর্মসূচিতে ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৯৪২ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টনের বেশি।
এছাড়া সিদ্ধ চাল সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪ লাখ ৬ হাজার ৫৩৩ মেট্রিক টন যা লক্ষ্যমাত্রা ১৪ লাখ মেট্রিক টনের তুলনায় বেশি।
সরকার এবার আতপ চাল সংগ্রহ করেছে ৫১ হাজার ৩০৭ মেট্রিক টন যা লক্ষ্যমাত্রা ৫০ হাজার মেট্রিক টনের তুলনায় বেশি। কর্মসূচিটি গত ১৫ আগস্ট শেষ হয়েছে।
মন্ত্রণালয় এবার ধান ৩৬ টাকা কেজি দরে এবং চাল ৪৯ টাকা কেজি দরে কিনেছে।
আলজেরিয়ায় এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ফেল করার পর এক নারী টানা ২৬ বছর নিজের ঘর থেকে বের হননি। সম্প্রতি এক প্রতিবেশীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে।
সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ জানায়, অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ওই নারীর ঘরের পরিবেশ ছিল অত্যন্ত নোংরা ও অগোছালো। বছরের পর বছর একা থাকার ফলে তাঁর বসবাসের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ে।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, কেউ তাঁর কাছে গেলে তিনি চিৎকার করতেন, এমনকি কখনো কখনো আঘাতও করতেন। একই বাড়িতে তাঁর ভাইবোনরা থাকলেও কেউ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি।
শেষ পর্যন্ত স্থানীয় এক বাসিন্দার খবরের ভিত্তিতে পুলিশ ও সিভিল ডিফেন্স টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। প্রশাসন জানিয়েছে, নারীকে নিরাপদে বাইরে আনা হয়েছে এবং প্রাথমিক চিকিৎসা ও যত্নের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আল-নাহার জানায়, নারীর নাম নাদিয়া। ১৯৯৯ সালে ১৭ বছর বয়সে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর থেকেই তিনি নিজেকে ঘরে আটকে ফেলেন। বর্তমানে তাঁর বয়স ৪৩ বছর, চুল সাদা হয়ে গেছে।
ঘটনাটি আলজেরিয়া জুড়ে ক্ষোভ ও বিস্ময় সৃষ্টি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে এত দীর্ঘ সময় ধরে একজন মানুষ ঘরবন্দি থাকতে পারেন অথচ পরিবার ও সমাজ হস্তক্ষেপ করেনি।
মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ঘাটতির বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে। এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, “ফেল করার পর যদি তিনি মনোবিজ্ঞানীর শরণাপন্ন হতেন, হয়তো সুস্থ হয়ে উঠতে পারতেন।” অন্যরা মনে করছেন, এ ঘটনায় পরিবারের দায়িত্ব ও সামাজিক সহায়তার ঘাটতি নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত।
এই ঘটনা আলজেরিয়ায় মানসিক স্বাস্থ্য, পরিবার ও সমাজের দায়িত্বশীলতা এবং দীর্ঘ সময় ধরে গৃহবন্দি থাকা মানুষের প্রতি যত্ন নেওয়ার গুরুত্বকে নতুনভাবে সামনে এনেছে।
ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম অপুকে রাজধানী ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার (১৭ আগস্ট) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে শফিকুল ইসলাম পলাতক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিএনপি অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ তিনটি মামলা রয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঝিনাইদহে নেওয়া হচ্ছে।
তাকে আজ (সোমবার) সকালে আদালতে তোলা হবে বলেও জানিয়েছে সূত্রটি।
শফিকুল ইসলাম ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে তিনি বিএনপির প্রার্থী মসিউর রহমানকে পরাজিত করেন। তবে ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহজীব আলম সিদ্দিকীর কাছে পরাজিত হন।
এরপর ২০২৪ সালের ২৪ মার্চ ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি ও ঝিনাইদহ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে পদটি শূন্য হয়। পরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শফিকুল ইসলামকে জেলা সভাপতি পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মনজুর মোরশেদ জানান, শফিকুল ইসলাম গ্রেপ্তার হয়েছেন। ডিবি পুলিশ তাকে ঢাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। আইনি প্রক্রিয়ার জন্য তাকে ঝিনাইদহে নেওয়া হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে ঝিনাইদহে মামলা আছে।আজ (সোমবার) সকালে তাকে আদালতে তোলা হবে।
তিনি বলেন, ইতোমদধ্যে পুলিশের একটি দল ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
করপোরেট ইভেন্ট, বিয়ে, প্রদর্শনী, মেলা ও সামাজিক অনুষ্ঠানের অন্যতম প্রধান গন্তব্য ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার লিমিটেড (আইসিসিএল), ঢাকা আগামী বছরের জুলাই পর্যন্ত, এক বছরের জন্য ভেন্যু বুকিংয়ে ৫০% ছাড়ের (শর্তাবলী প্রযোজ্য) সুবর্ণ সুযোগ নিয়ে এসেছে। কেবল ভেন্যু ভাড়াতেই নয়, বরং একইসাথে, এলইডি, লাইটিং ও সাউন্ড সিস্টেমের ক্ষেত্রেও এই বিশেষ অফারটি প্রযোজ্য। ফলে, এখন করপোরেট ইভেন্ট হোক বা বড় কোনো উদযাপন, আইসিসিএল হতে পারে আপনার পছন্দের গন্তব্য।
এই অফারের সবচেয়ে ভালো দিক হলো একবার বুকিং করলে, আপনি আগামী ১২ মাসের মধ্যে যে কোনো সময় ভেন্যু ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন। ফলে ইভেন্ট নিয়ে ভাবার যথেষ্ট সুযোগও থাকছে। এখন বড় কোনো বিয়ের অনুষ্ঠান হোক, করপোরেট সেমিনার হোক বা কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান; আপনার আয়োজনকে আরও মর্যাদাপূর্ণ করে তুলবে এই ভেন্যু। আইসিসিএল আপনাকে দিচ্ছে যে কোনো অনুষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত স্পেস।
১৪,০০০ বর্গফুট জায়গায় চমৎকারভাবে ডিজাইন করা স্পেসে, আইসিসিএলের দুটি প্রশস্ত হল-স্যাফায়ার ও এমেরাল্ডে, রাউন্ড-টেবিল সেটআপে ৮০০ জন ও থিয়েটার স্টাইলে ১,২০০ জন অতিথি ধারণ করতে সক্ষম; যা ছোট ও বড় উভয় ধরনের ইভেন্টের জন্য আদর্শ। এছাড়াও, এতে স্টাইলাক্স এলইডি স্ক্রিন, জেবিএল সাউন্ড সিস্টেম ও স্টাইলাক্স লাইটিং সিস্টেম রয়েছে, যা ইভেন্টের আয়োজনকে নিখুঁত করে তোলে।
আইসিসিএলের কিচেনে বিশ্ব সেরা অত্যাধুনিক সব অ্যাপ্লায়েন্স ব্যবহার করা হয়েছে। প্রক্রিয়াজাতকরণ ও ডিশওয়াশিংসহ সবই পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয়; ফলে কোনো মানুষের স্পর্শ ছাড়াই, সবকিছু থাকে সম্পূর্ণভাবে স্বাস্থ্যকর। ঢাকায় সবচেয়ে সেরা কনভেনশন হল হিসেবে স্বীকৃত আইসিসিএল আপনার ইভেন্টের অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে। পাশাপাশি, আইসিসিএলের নিবেদিত টিম আধুনিক প্রযুক্তি ও অনন্য সেবার সমন্বয়ে প্রতিটি ইভেন্টকেই নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করে।
এ বিষয়ে আইসিসিএলের চিফ অপারেটিং অফিসার শামিম বিল্লা বলেন, “আইসিসিএলে আমরা আমাদের ক্লায়েন্টদের জন্য অনন্য অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের প্রতিটি অনুষ্ঠান সাশ্রয়ী ও গ্রাহকের নাগালের মধ্যে রাখা আমাদের প্রতিশ্রুতি; আর এরই অংশ এই ৫০% ছাড়ের সুযোগ। সেবা ও সুবিধার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করতে আমরা সবসময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যেন বিশ্বমানের এই ভেন্যুটি গ্রাহকদের জন্য আরও বেশি সহজলভ্য হয়ে ওঠে। গ্রাহকদের জন্য অনন্য অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি আমরা।”