ভারতের ভূখণ্ডে বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে, এমন কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের মাটিতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যালয় ও কার্যক্রম বন্ধের জন্য দিল্লিকে অনুরোধ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে রণধীর জয়সওয়াল এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ভারতের মাটিতে কথিত আওয়ামী লীগের সদস্যদের বাংলাদেশবিরোধী কোনো ধরনের কর্মকাণ্ড বা ভারতের আইনবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডের বিষয়ে তারা অবগত নন।’
তিনি আরো বলেন, ‘ভারত সরকার অন্য দেশের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানোর অনুমতি দেয় না। সুতরাং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুচিত।’
সেসময় রণধীর জয়সওয়াল পুনর্ব্যক্ত করেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছা ও ম্যান্ডেট নির্ধারণের জন্য শিগগিরই অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করছি।’
এর আগে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতি দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, ‘নিষিদ্ধ’ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের অফিস ভারতের রাজধানী দিল্লি এবং কলকাতায় স্থাপনের খবরে বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যালয়গুলো অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
এছাড়া ভারতের মাটি ব্যবহার করে বাংলাদেশবিরোধী কোনো কার্যক্রম যাতে কেউ চালাতে না পারে, বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য ভারত সরকারের প্রতি বাংলাদেশ অনুরোধ জানায়।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অপো অত্যন্ত উচ্ছ্বাসের সাথে ঘোষণা করছে যে, রেনো১৪ সিরিজ ফাইভজি ফ্যান ও সকল অপো রেনো-প্রেমীদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা, বহুল প্রতীক্ষিত ‘নাইটলাইফ রেনোগ্রাফি কনটেস্ট’ শুরু হয়েছে। এই প্রতিযোগিতা কেবল চ্যালেঞ্জ নয়; বরং একইসাথে, উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতার মধ্য দিয়ে উঠে আসা রাতের সৌন্দর্য গভীরভাবে উপলব্ধির এক আমন্ত্রণ।
শহরের ঝলমলে আলো থেকে শুরু করে মধ্যরাতের উদযাপন, তারকাময় আকাশের নিচে ধারণ করা পোর্ট্রেট থেকে শুরু করে অন্ধকার রাস্তায় ফিসফিসিয়ে বলা গল্প – রাতের অনন্য ভঙ্গিকে নিজেদের মতো করে উপস্থাপন করতে এখানে প্রতিযোগীদের উৎসাহিত করা হয়েছে। শহরের প্রাণবন্ত দৃশ্য, বিয়ে ও রাস্তায় আড্ডার আনন্দ, সন্ধ্যার পর পোর্ট্রেটের সৌন্দর্য, অন্ধকারে গতিশীলতার শক্তি, রাতের প্রাকৃতিক শোভা এবং অন্ধকারে স্থাপত্যের চিরন্তন মহিমা – এরকম বিভিন্ন থিমে প্রতিযোগিতাটি আয়োজিত হবে। প্রতিটি ছবি অবশ্যই অপো স্মার্টফোনে ধারণ করা মৌলিক সৃষ্টি হতে হবে। শিল্পকৌশল বাড়াতে সীমিত পরিসরে এডিটিং অনুমোদিত থাকলেও, খুব বেশি পরিবর্তন গ্রহণযোগ্য নয়; যেন প্রতিটি সাবমিশনেই মৌলিকত্ব অটুট থাকে।
প্রতিযোগিতাটি শুরু হয়েছে গত ১৯ আগস্ট, চলবে আগামী ২৭ আগস্ট পর্যন্ত; এরপর আগামী ৩১ আগস্ট বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। সৃজনশীলতার মানদণ্ডে সেরা কাজগুলোকে পুরস্কৃত করা হবে। এতে গ্র্যান্ড উইনার একটি একদম নতুন অপো রেনো স্মার্টফোন জিতবেন, দ্বিতীয় স্থান অধিকারী পাবেন একটি অপো এনকো এয়ার৪ প্রো। তৃতীয় স্থান অধিকারী পাবেন এক্সক্লুসিভ অপো টি-শার্ট ও ফ্রেমড ফটো স্বীকৃতি। চতুর্থ থেকে বিশতম স্থান অধিকারী প্রতিযোগীরা প্রত্যেকে তাদের বিজয়ী ছবির ফ্রেমড ফটোর মাধ্যমে স্বীকৃত হবেন।
এই প্রতিযোগিতার কেন্দ্রে রয়েছে অপো রেনো১৪ সিরিজ ফাইভজি, যা এআই-চালিত ফটোগ্রাফি ও অসাধারণ নাইট ইমেজিংয়ের মাধ্যমে ক্রিয়েটরদের আরও সক্ষম করে তোলে। এর এআই লো লাইট ফটোগ্রাফি এমনকি সবচেয়ে কম আলোতেও প্রতিটি ডিটেইল ও ইমোশন নিখুঁতভাবে ধারণ করতে সক্ষম। এর ৫০ মেগাপিক্সেল ট্রিপল ক্যামেরা সিস্টেম এবং এআই লাইভফটো ২.০, এআই ইরেজার ও এআই রিফ্লেকশন রিমুভারের মতো অত্যাধুনিক এআই ফিচার প্রতিটি ফ্রেমকেই শিল্পকর্মে রূপান্তরিত করে; পাশাপাশি, এর এআই এডিটর ২.০ মাত্র এক ট্যাপে সহজ ও সাবলীল এডিটের সুযোগ করে দেয়। রেনো১৪ সিরিজ ফাইভজির প্রতিটি ফিচার রাতের ফটোগ্রাফিকে অসীম সম্ভাবনার ক্যানভাসে রূপান্তরিত করার ক্ষেত্রে অপোর প্রতিশ্রুতিই তুলে ধরে।
এ বিষয়ে অপো বাংলাদেশ অথোরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, “অপোতে আমরা বিশ্বাস করি, ফটোগ্রাফি কেবল ছবি তোলার বিষয় নয়; এটি আবেগ, স্মৃতি ও শিল্প ধারণের মাধ্যম। রেনো১৪ সিরিজ ফাইভজি আমাদের ব্যবহারকারীদের রাতের অন্ধকারেও নিজেকে প্রকাশের সুযোগ দেয়। ‘নাইটলাইফ রেনোগ্রাফি কনটেস্ট’ সৃজনশীলতার প্রতি একটি শ্রদ্ধা, যেখানে প্রতিটি রাতকে মাস্টারপিস করে তুলতে সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।”
এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে প্রযুক্তির সাথে শিল্পের সমন্বয় অব্যাহত রাখলো অপো; যেখানে রাতের অসামান্য সৌন্দর্যের অনন্য সব গল্প খুঁজে বের করা, তৈরি করা বা শেয়ার করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সকল ব্যবহারকারীকে অনুপ্রাণিত করা হচ্ছে।
এই প্রতিযোগিতা এবং অপো রেনো১৪ সিরিজ ফাইভজি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে অপো বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ facebook.com/OPPOBangladesh বা www.oppo.com/bd ভিজিট করুন
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে বিষ পানে তানজু আক্তার (২৭) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২০ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরির বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তানজু আক্তার উপজেলার করলডেঙ্গা ইউনিয়নের ২ নাম্বার ওয়ার্ডের মধ্যম করলডেঙ্গা গ্রামের প্রবাসী মো.নুরুন্নবীর স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, তানজু আক্তারের স্বামী মো.নুরুন্নবী সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই রয়েছেন। রাতে তানজুকে প্রবাস থেকে নুরুন্নবী মুঠো ফোনে না পেয়ে, পাশের বাড়ির এক বয়স্ক মহিলাকে মুঠো ফোনে জানান তার স্ত্রী কল ধরছে না, ঘরে গিয়ে একটু খবর নিতে। ওই মহিলাসহ প্রতিবেশীরা তানজুকে অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকেন। এরপর তানজু বিষ পান করেছে জানালে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫’ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে বিজিবি সদর দপ্তর, পিলখানায় ‘বিজিবির মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫’ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বৃহস্পতিবার সকালে পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরের শহীদ ক্যাপ্টেন আশরাফ হল সংলগ্ন পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করে এ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন।
‘অভয়াশ্রম গড়ে তুলি, দেশি মাছে দেশ ভরি’ জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ এর এই প্রতিপাদ্যের কথা উল্লেখ করে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, আমরা ঐতিহ্যগতভাবে মাছে ভাতে বাঙালি। আমাদের আমিষের চাহিদার ৬০ শতাংশ মাছ থেকে আসে। মাছের আমিষ অন্য যেকোনো প্রাণীজ আমিষের চেয়ে অধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এবং স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। শুধু আমিষের ঘাটতি পূরণই নয়, মাছ চাষ আয়বর্ধক কর্মসংস্থানেরও একটি অন্যতম উৎস। বিজিবি মহাপরিচালক বিজিবির প্রতিটি স্থাপনার পুকুর-জলাশয় সংস্কার করে সেখানে মাছ চাষের আহ্বান জানান। এছাড়াও, বিজিবি’র প্রতিটি সদস্যকে দেশের সকল মহৎ কাজে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশ গঠনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখারও আহবান জানান। পরিশেষে, বিজিবি মহাপরিচালক আমাদের ‘মাছে ভাতে বাঙালি’ ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখতে দেশি মাছ চাষ করে আমিষের ঘাটতি পূরণের মাধ্যমে মেধাসম্পন্ন জাতিনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ সফল করার আহ্বান জানান।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে খুব শিগগিরই দেশের সব জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিতে যাচ্ছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই নতুন ডিসিদের নিয়োগ চূড়ান্ত করা হবে। এরই মধ্যে নতুন ফিটলিস্ট তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ইতোমধ্যে সিলেট জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এবার ডিসি নিয়োগে কোনো ধরনের রাজনৈতিক সুবিধাভোগী বা বিতর্কিত কর্মকর্তাকে স্থান দেওয়া হবে না। কেউ ছলচাতুরী বা তথ্য গোপন করে ডিসি পদে নিয়োগ পেলে এবং পরে তা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইতোমধ্যে গত সোমবার সিলেটের নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ পেয়েছেন প্রশাসনের আলোচিত সেই ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম। উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা সারওয়ার আলম বর্তমানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের একান্ত সচিব (পিএস) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি থেকে নতুন ফিটলিস্ট তৈরির কাজ শুরু করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর অংশ হিসেবে ছয় ধাপে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ২৫তম ও ২৭তম ব্যাচের ২৬৯ জন উপসচিবের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। এর মধ্যে থেকে অর্ধশতাধিক কর্মকর্তাকে ফিটলিস্টে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে ২৮তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের মৌখিক পরীক্ষা চলছে।
জনপ্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে ২৪তম ব্যাচের ২৬ জন, ২৫তম ব্যাচের ২৫ জন এবং ২৭তম ব্যাচের ১২ জন কর্মকর্তা ডিসির দায়িত্বে রয়েছেন। তবে ২৪তম ব্যাচের ২১ জন কর্মকর্তা গত ২০ মার্চ যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পেলেও এখনও মাঠ প্রশাসন থেকে তাদের প্রত্যাহার করা সম্ভব হয়নি।
এর আগে ২০২৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ১০৮ জন কর্মকর্তার একটি ফিটলিস্ট থেকে ৬১ জেলায় ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। সেই নিয়োগ নিয়ে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়। অনেক কর্মকর্তা নিজেদের ‘বঞ্চিত’ দাবি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। মারামারি ও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে, যা সরকারের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করেছিল।
তাছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সুবিধা পাওয়া একাধিক কর্মকর্তা গত বছরের ৫ আগস্টের পরও ডিসি পদে নিয়োগ পেয়েছেন। এসব নিয়ে সমালোচনার পর এবার সরকার অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করছে।
কেবল ডিসি নিয়োগই নয়, বর্তমানে একাধিক মন্ত্রণালয় ও বিভাগে সচিব নেই এবং ভারপ্রাপ্ত সচিব দিয়ে চলছে। কর্মকর্তাদের দাবি, প্রশাসনের শীর্ষ পদগুলোতে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া ছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সবচেয়ে বড় ভুল।
তাদের মতে, এক দশক বা দেড় দশক আগে অবসরে যাওয়া কর্মকর্তারা বর্তমানের ডিজিটাল প্রশাসন ব্যবস্থায় খাপ খাওয়াতে পারছেন না। তারা দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণেও সাহস পান না। এর ফলে প্রশাসনে শৃঙ্খলার অভাব দেখা দিয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ অনুবিভাগ) মো. এরফানুল হক ইউএনবিকে বলেন, ‘ডিসি নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। কবে নাগাদ নিয়োগ হবে তা জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। তবে আমরা আশা করছি দ্রুতই নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হবে।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান জানান, ‘ডিসি ফিটলিস্ট থেকেই নিয়োগ দেওয়া হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে যোগ্য ও দক্ষ কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে, যাতে কোনো প্রশ্ন না ওঠে।’
সাবেক সচিব ও প্রশাসন বিশেষজ্ঞ এ কে এম আব্দুল আউয়াল মজুমদার বলেন, ‘১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়নি। বর্তমান প্রশাসনের দুর্বলতা দ্রুত সমাধান করতে হবে। একটি সৎ, দক্ষ ও পেশাজীবী আমলাতন্ত্র ছাড়া রাষ্ট্র পরিচালনা সম্ভব নয়। এখনো সময় আছে- সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ পদে যোগ্য লোক নিয়োগ দিয়ে প্রশাসনের প্রাণ ফিরিয়ে আনতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এ আমলাতন্ত্রের ওপর ভর করে রাষ্ট্র পরিচালনা করা সত্যিই অসাধ্য। তাই এখনো সময় আছে প্রশাসনের প্রাণ ফিরে আনতে হবে। মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও ডিসি সহ প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যোগ্য ও দক্ষ লোক নিয়োগ দিতে হবে।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, যুগ্ম সচিব ও তদূর্ধ্ব পদে নিয়োগ, বদলি ও শৃঙ্খলাজনিত বিষয়ে পরামর্শ প্রদানের জন্য চারজন উপদেষ্টা, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং জনপ্রশাসন সচিবকে নিয়ে ‘জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিই ডিসি নিয়োগসহ অন্যান্য বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন।
বর্তমানে প্রযুক্তি-নির্ভর সেবায় প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু হার্ডওয়্যার ক্রয় করেই দায়িত্ব শেষ করে না, বরং সেই ডিভাইসের নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতেই বেছে নেয় অ্যানুয়াল মেইনটেন্যান্স কনট্রাক্ট (এএমসি) সেবা। এ ধরনের কনট্রাক্টের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সার্ভার, স্টোরেজ, নেটওয়ার্কিং ডিভাইস ও অন্যান্য আইটি ডিভাইসসমূহ নিরাপদ এবং কার্যক্ষম থাকে। এই এএমসি সার্ভিসকে আরো সহজলভ্য করছে ‘সার্ভিসিং২৪ ক্লায়েন্ট’ অ্যাপ। ওয়েব ও মোবাইলভিত্তিক এই অ্যাপ সল্যুশন্সের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক সেবা পাচ্ছেন গ্রাহকরা।
সাধারণত অরিজিনাল ইকুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার কোম্পানিগুলোর এএমসি সেবা বেশ ব্যয়বহুল ও নির্দিষ্ট শর্তাধীন হয়। সেখানে এসএলএ, রেসপন্স টাইম, অথবা হার্ডওয়্যার রিপ্লেসমেন্ট ইত্যাদি বিষয়গুলো অনেক সময় সীমাবদ্ধতার মধ্যে পড়ে। তাছাড়া পুরোনো মডেলের ইকুইপমেন্টগুলোর জন্য স্পেয়ার পার্টস পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে, যা সিস্টেম ডাউনটাইমের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া- একই ডেটা সেন্টারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের হার্ডওয়্যার থাকলে ওইএম সাধারণত কেবল তাদের নিজস্ব ব্র্যান্ড নিয়েই কাজ করে। এতে কো-অর্ডিনেশন প্রবলেম হয়।
আরও যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তা হলো, অতিরিক্ত খরচ, দীর্ঘ ডাউনটাইম, সীমিত কভারেজ (শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ব্র্যান্ড বা মডেল), স্পেয়ার পার্টস দীর্ঘ ডেলিভারি টাইম, অন-সাইট সাপোর্টে দেরি, পুরোনো মডেলের ইওএল/ইওএসএল পণ্যে সাপোর্ট না থাকা ইত্যাদি।
তাই থার্ড পার্টির সেবার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সার্ভার, স্টোরেজ, নেটওয়ার্কিং ডিভাইস ও অন্যান্য আইটি ডিভাইসসমূহ নিরাপদ এবং কার্যক্ষম রাখতে ঝুঁকছে কোম্পানিগুলো। সার্ভিসিং২৪ এর থার্ড-পার্টি এএমসি সেবা হচ্ছে, একটি কাস্টমাইজড ও ব্যয় সাশ্রয়ী সেবা, যা শুধু হার্ডওয়্যার মেইনটেন্যান্স নয়, বরং গ্রাহকের হাতে পুরো সিস্টেমের স্মার্ট কন্ট্রোল তুলে দিচ্ছে।
এর মাধ্যমে তারা পাচ্ছেন- রিয়েল টাইম সার্ভিস ট্র্যাকিং, সার্ভিস রিপোর্ট ও এএমসি স্ট্যাটাস মনিটরিং, স্পেয়ার পার্টস রিকোয়েস্ট ও টিকিট ম্যানেজমেন্ট, দ্রুত ও সহজ ইন্টারফেস, বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও মডেলের সার্ভার, স্টোরেজ ও নেটওয়ার্ক ডিভাইসের জন্য একীভূত এএমসি সাপোর্ট।
গ্রাহকরা আরো পাবেন- ইওএল/ইওএসল, প্রোডাক্টের জন্য বিশেষায়িত সাপোর্ট ও স্পেয়ার পার্টস, দ্রুত অন-সাইট সার্ভিস — এসএলও অনুযায়ী, পার্ট রিপ্লেসমেন্ট, ট্রাবলশু্যটিং ও ফার্মওয়্যার আপডেট সহ সম্পূর্ণ কভারেজ, ২৪/৭ হেল্পডেস্ক ও টেলি-সাপোর্ট, দক্ষ ও অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারদের দ্বারা সার্ভিস প্রদান, ব্যয় সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব টেক সল্যুশন ইত্যাদি।
পাশাপাশি সার্ভিসিং২৪ এর এই অ্যাপ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে গ্রাহকরা খুব সহজেই টিকিট তৈরি করা থেকে শুরু করে আইটি সিস্টেমের সকল ধরনের আপডেট, রিয়েল-টাইম ট্র্যাকিং ও মনিটরিং—সবকিছু এক জায়গা থেকেই জানতে ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
এই অ্যাপভিত্তিক সেবা সম্পর্কে ‘সার্ভিসিং২৪’-এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) নাসির ফিরোজ বলেন, “আমাদের সার্ভিস আরো নির্বিঘ্ন করতে আমরা অ্যাপভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ সুল্যশন্স এনেছি। এতে সেবাগ্রহীতাদের আর কোনো বাড়তি ভোগান্তি পোহাতে হবে না। ক্লায়েন্ট ও ইউজারদের ফিডব্যাক এই অ্যাপের পরবর্তী হালনাগাদের জন্য আমাদের কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি তারা এই সলুশ্যন এর মাধ্যমে উপকৃত হবেন।”
পাঁচ বছরে দেশে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৭ দশমিক ৪১ লাখ টন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে উৎপাদন ছিল ৪২ দশমিক ৭৭ লাখ টন। ২০২৩-২৪ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৫০ দশমিক ১৮ লাখ টনে।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) আয়োজিত মৎস্য সপ্তাহের সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। গতকাল বুধবার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে এই সেমিনার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
বিএফআরআইয়ের মহাপরিচালক অনুরাধা ভদ্রের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন। সম্মানিত অতিথি ছিলেন মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান ফারাহ শাম্মী ও মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুর রউফ। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএফআরআইয়ের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরিদা আখতার বলেন, ‘আমরা প্রাকৃতিকভাবে এমন স্থানে আছি, যেখানে মাছ না খেয়ে বাঁচার উপায় নেই। দেশে ৬৪ প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। সেখানে বিএফআরআইয়ের গবেষণার ফলে ৪১ প্রজাতির মাছ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।’
তিনি বলেন, সারাদেশে জলাশয়গুলো চিহ্নিত করে দেশি মাছের প্রজাতি রক্ষা করতে হবে। বিভিন্ন জলাশয়ে মাছের নানা প্রজাতি রয়েছে। এসব জলাশয় চিহ্নিত করে দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণ ও বৃদ্ধি করতে হবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা আরও বলেন, অভয়াশ্রম গড়ে তোলা ও রক্ষা করা মৎস্যসম্পদ উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা মুক্ত জলাশয়ের পরিমাণ দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে কমছে।
এর পেছনের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এখানে আগে নীতি-নির্ধারণীতে হয়তোবা মনোযোগ কম ছিল, তাই আমরা এ খাতে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের মুক্ত জলাশয় গড়ে তোলতে যা করণীয়, তা করতেই হবে।
জিনগত বিলুপ্তি রোধ করা দরকার উল্লেখ করে মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, মাছের প্রজাতিগুলো রক্ষা করা শুধু বাংলাদেশের জন্যই নয়, বরং আন্তর্জাতিক মৎস্যসম্পদের প্রয়োজনেও করতে হবে। কারণ আমরা প্রাকৃতিকভাবে এমন এক স্থানে রয়েছি, যেখানে মাছ না খেয়ে বাঁচার কোনো উপায় নেই।
মাছ শিকারে বিষ ও বিদ্যুতের ব্যবহারকে উদ্বেগের কারণ হিসেবে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, মানুষ কত নিষ্ঠুর। তারা মাছ শিকারে বিষ ও বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে। এটি হচ্ছে মানুষের লোভ ও তাৎক্ষণিক লাভের কারণে।
প্লাস্টিক দূষণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে উল্লেখ করে ফরিদা আখতার বলেন, মৎস্যসম্পদ ধ্বংসের পেছনে পানি ও প্লাস্টিক দূষণ অন্যতম ক্ষতির কারণ। সম্প্রতি প্লাস্টিক বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কোনো সমঝোতায় আসতে পারেনি। প্লাস্টিক চুক্তি প্রকৃতির জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় বাংলাদেশও স্বাক্ষর না করে চলে এসেছে।
মূল প্রবন্ধে মো. মশিউর রহমান বলেন, দেশে ৬৬৯টি অভয়াশ্রম আছে- জমির পরিমাণ ১ হাজার ১৬৯ হেক্টর। তিনি বলেন, পাঁচ বছরে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৭ দশমিক ৪১ লাখ টন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এখন থেকে নিজেরাই অভয়াশ্রম ঘোষণা করতে পারবে। সে জন্য আইন সংশোধন করা হয়েছে।
ঢাকার কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গার তীরের জায়গা দখল করে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে দুই দিনের অভিযান শুরু করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। অভিযানের প্রথম দিনে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের অবৈধভাবে নির্মাণ করা একটি বাগানবাড়ি (বাংলো) গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযানে প্রায় দেড় একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কাউটাইল মৌজায় কোন্ডা ইউনিয়নের কাউটাইল এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বুড়িগঙ্গা নদীর তীর দখল করে নির্মিত বাগানবাড়ির তিনটি দোতলা ভবন ও একটি ডকইয়ার্ডের প্রায় ২০০ ফুট সীমানা প্রাচীরও ভেঙে ফেলা হয়।
বিআইডব্লিউটিএর ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সরকার এরই মধ্যে ঢাকার চারপাশের বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু নদের সীমানা নির্ধারণ করে ৮০ কিলোমিটার এলাকায় পিলার স্থাপন করেছে। ২০০৯ সালে এসব নদীতীরে অবৈধভাবে গড়ে তোলা স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়। গত বছরের ৫ আগস্টের পর নানা প্রতিকূলতার কারণে উচ্ছেদ অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আজ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়। বুড়িগঙ্গার স্বাভাবিক প্রবাহ রক্ষায় এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। দখলদার যত প্রভাবশালীই হোক না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আজ কাউটাইল ও দোলেশ্বর এলাকায় নদীতীরের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
অভিযানে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিআইডব্লিউটিএর ঢাকা নদীবন্দরের উপপরিচালক আবু সালেহ এহতেশাম, ভৈরব নদীবন্দরের উপপরিচালক নুর হোসেন ও মেঘনা নদীবন্দরের উপপরিচালক রেজাউল করিম অংশ নেন।
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে দ্রুতগতির একটি প্রাইভেট কার উল্টে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকাল ৬টার দিকে শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর এলাকায় এক্সপ্রেসওয়ের যাত্রী ছাউনির পাশে ঢাকামুখী লেনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক সফিকুল ইসলাম জানান, ঢাকামুখী বেপরোয়া গতির প্রাইভেট কারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজনের রেলিংয়ের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। গাড়িটিতে চারজনই ছিলেন।
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। অন্য দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে চিকিৎসকরা আরও একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ দুর্ঘটনার কারণে প্রায় এক ঘণ্টা ওই সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের উদ্ধার অভিযানের পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
হাসাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জানান, গাড়িটি সরিয়ে নেওয়ার পর সকাল সোয়া ৭ টার দিকে ঢাকামুখী লেনে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
শ্রীনগর ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার দেওয়ান আজাদ হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় প্রাইভেট কারটির ভাঙা অংশের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে রক্ত। পড়ে আছে দুটি মরদেহ, আর আহত একজনের কান্না শোনা যাচ্ছিল।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউছুফ উপস্থিত সকলের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় যে গতিতে এগোচ্ছে আরও গতি বাড়াতে সমন্বয় টিমের মাধ্যমে কাজ করতে চাই। আমি সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যাবতীয় সেবা দরিদ্র, দুঃস্থ, অসহায়, অসচ্ছল মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে সকলের সহযোগিতা চাই। এজন্য আমরা সবাই একসাথে কাজ করবো।
তিনি আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
নতুন সচিব বলেন,
আমি এই মন্ত্রণালয়ের সুনাম কাজের মাধ্যমে, আইন কানুন মেনে মানুষের সেবা দ্রুত নিশ্চিত করতে আপনাদের সহযোগিতা চাই। তিনি বলেন, সচিবের রুম আপনাদের জন্য সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে এবং ফাইল দ্রুত নিষ্পত্তি করে কাজের যথার্থতা নিশ্চিত করবেন। আপনারা নির্ভয়ে কাজ করবেন, আমার সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি আমিও আপনাদের থেকে শিখতে চাই এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশের নয়টি সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আয়োজন করা হচ্ছে জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতা ২০২৫। জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতা ২০২৫ এর প্রতিপাদ্য "বাংলাদেশ ২.০: তারুণ্যের নেতৃত্বে আগামীর পথে " নির্ধারণ করা হয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা ধারণাপত্র জমা দিয়ে শুরু করবে এবং নির্বাচিত দলসমূহ পূর্ণাঙ্গ নীতিপত্র প্রস্তুত ও উপস্থাপনা করবে। বিজয়ীরা পুরস্কৃত হওয়ার পাশাপাশি তাদের নীতি প্রস্তাবগুলো সরকারিভাবে পলিসি প্রণয়নের ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।
নীতি প্রতিযোগিতার বিষয়গুলো হল-
১. রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণ ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ
২. জুলাই পরবর্তীতে সময়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি: জাতীয় স্বার্থ ও বৈদেশিক সম্পর্কের পুনঃসংজ্ঞায়ন
৩. নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ: শিক্ষা ও দক্ষতার রূপান্তর
৪.দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সাংস্কৃতিক সংযোগ: জুলাই অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশী তরুণদের ভূমিকা
৫. গুজব প্রতিরোধে বাংলাদেশের করণীয় ও বাংলাদেশের বৈশ্বিক ভাবমূর্তি
৬. জুলাই গণভুত্থান ও সাংবিধানিক পুনর্গঠন: তরুণদের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ
৭.বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণ: সম্ভাবনার ব্যবহার ও নতুন চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা প্রস্তুতি
৮. সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা অর্জনের পথে: ব্যবস্থা পুনর্গঠন ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ
৯. চতুর্থ শিল্প বিপ্লব: বাংলাদেশের উদ্বোধনী সম্ভাবনা ও প্রয়োগের ক্ষেত্র
রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণী বিষয়সহ রাষ্ট্র পরিচালনার সকল ক্ষেত্রে তারুণ্যের অন্তর্ভুক্তি ও অংশগ্রহণ অপরিহার্য। আমাদের কাঙ্ক্ষিত দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন নীতিগতভাবে অগ্রসর হওয়া। তরুণদের চিন্তাপ্রক্রিয়া, মননশীলতা এবং গবেষণাধর্মী সক্ষমতাকে সামনে রেখে এক নতুন পরিবর্তনের সূচনা করা সম্ভব আর সেটি হতে হবে রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণী প্রক্রিয়ায় তারুণ্যের অন্তর্ভুক্তির মধ্য দিয়ে।
এ সময় যুব ও ক্রীড়া সচিব বলেন, এই প্রতিযোগিতা কেবল একটি প্রতিযোগিতা নয় এটি আগামী প্রজন্মের নেতৃত্বে বিনিয়োগ। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, তরুণদের বুদ্ধিবৃত্তিক অংশগ্রহণই আমাদের রাষ্ট্রকে দীর্ঘমেয়াদি টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেবে এবং বাংলাদেশ ২.০-কে বাস্তবায়নের ভিত্তি গড়ে তুলবে।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ বুধবার ইসির উপ-সচিব মো. মাহবুব আলম শাহ স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে, যা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২৫’ কমিশনে অনুমোদিত হয়েছে এবং তা ২৬ জুন ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ৮ (১) ও (২) অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রের তালিকা সংরক্ষণ ও চূড়ান্তকরণের জন্য গেজেটে কমপক্ষে ২৫ দিন পূর্বে তা প্রকাশ করার বিধান রয়েছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে এলাকা ভিত্তিক ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশ, এই তালিকার ওপর দাবি/আপত্তি গ্রহণ এবং তা নিষ্পত্তির মাধ্যমে নীতিমালা অনুযায়ী চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
কমিশন নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী : খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, দাবি/আপত্তি গ্রহণের শেষ তারিখ: ২৫ সেপ্টেম্বর, দাবি/আপত্তি নিষ্পত্তির শেষ তারিখ: ১২ অক্টোবর, সম্ভাব্য চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুত ও প্রকাশ: ২০ অক্টোবর।
উল্লেখিত সময়সূচি অনুযায়ী এবং ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা অনুসারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে জেলা পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নির্ধারিত ছকের আলোকে খসড়া ও সম্ভাব্য চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের সংখ্যাগত তথ্য (সফটকপিসহ) আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন সহায়তা-১ শাখায় পাঠাতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, সারাদেশ জলাশয়গুলো চিহ্নিত করে দেশি মাছের প্রজাতি রক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন জলাশয়ে মাছের নানান প্রজাতি রয়েছে। এসব জলাশয় চিহ্নিত করে দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণ ও বৃদ্ধি করতে হবে।
উপদেষ্টা বুধবার (২০ আগষ্ট) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে 'টেকসই মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনায় অভয়াশ্রমের গুরুত্ব ও ভবিষ্যত করণীয়' -শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। সেমিনারটির আয়োজন করে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই)।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, অভয়াশ্রম গড়ে তোলা ও রক্ষা করা মৎস্যসম্পদ উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা মুক্ত জলাশয়ের পরিমাণ দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে কমছে।
এর পেছনের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এখানে আগে নীতি-নির্ধারণীতে হয়তোবা মনোযোগ কমছিল। তাই আমরা এখাতে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের মুক্ত জলাশয় গড়ে তুলতে যা করণীয় তা করতেই হবে।
জিনগত বিলুপ্তি রোধ করা দরকার উল্লেখ করে মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, মাছের প্রজাতিগুলো রক্ষা করা এটি শুধু বাংলাদেশের জন্য নয় বরং আন্তর্জাতিক মৎস্যসম্পদের প্রয়োজনে করতে হবে। কারণ আমরা প্রাকৃতিকভাবে এমন স্থানে রয়েছি যেখানে মাছ না খেয়ে বাঁচার উপায় নেই।
৪১ প্রজাতির মাছ ফিরিয়ে আনা হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, দেশে ৬৪ প্রজাতির মাছ বিলুপ্তপ্রায় হয়ে গিয়েছিল। সেখানে বিএফআরআইর গবেষণার ফলে ৪১ প্রজাতির মাছ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
মাছ শিকারে বিষ ও বিদ্যুতের ব্যবহারকে উদ্বেগের কারণ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষ কত নিষ্ঠুর তারা মাছ শিকারে বিষ ও বিদ্যুতের ব্যবহার করছে। এটি হচ্ছে মানুষের লোভ ও তাৎক্ষণিক লাভের কারণে।
প্লাস্টিকদূষণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মৎস্যসম্পদ ধ্বংসের পেছনে পানি ও প্লাস্টিকদূষণ অন্যতম ক্ষতির কারণ। সম্প্রতি প্লাস্টিক বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কোন সমঝোতায় আসতে পারেনি। প্লাস্টিক চুক্তি মানুষের পক্ষে ও প্রকৃতির জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় বাংলাদেশও স্বাক্ষর না করে চলে এসেছে।
বিএফআরআইর মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্রের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. তোফাজ্জেল হোসেন, সম্মানিত অতিথি ছিলেন মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান ফারাহ শাম্মী ও মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএফআরআইর ঊধ্বর্তন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মশিউর রহমান। এসময় বিএফআরআই এর বিজ্ঞানীবৃন্দ, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, মৎস্যজীবী ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।