বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট ২০২৫
৬ ভাদ্র ১৪৩২

ডাকসু নির্বাচনে লড়বে ৯ প্যানেল

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২১ আগস্ট, ২০২৫ ১১:৪৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে ঢাবি ক্যাম্পাসে সরব হয়ে উঠেছে ছাত্রসংগঠন ও শিক্ষার্থীরা। নির্বাচনে ২৮টি পদের বিপরীতে ৫০৯টি ফরম জমা পড়েছে। বিতরণকৃত ফরমের মধ্যে ১৪৯টি ফরম জমা পড়েনি। অন্যদিকে এখন পর্যন্ত ১২টি হলের হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৬৮৯ জন প্রার্থী। গতকাল বুধবার বিকালে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।

এদিকে হল সংসদে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ৬২টি, ফজলুল হক মুসলিম হলে ৬৫, জহুরুল হক হলে ৮০, মুহসিন হলে ৬৪, শামছুন্নাহার হলে ৩৬, জিয়াউর রহমান হলে ৭৮, শেখ মুজিবুর রহমান হলে ৬৮, সুফিয়া কামাল হলে ৪০, কুয়েত মৈত্রী হলে ৩১, ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ৩৬, বিজয় একাত্তর হলে ৬৭, এফ রহমান হলে ৬৭টি জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।

ডাকসু ইলেকশন রিটার্নিং অফিসার কাজী মারুফুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনের দিন, এর আগের দিন এবং পরেরদিন ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ করেছি।

ডাকসুর তফসিল অনুযায়ী, গত ১২ আগস্ট থেকে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হয় যা ১৮ আগস্টে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পরে এক দিন বৃদ্ধি করে ১৯ আগস্ট করা হয়। মনোনয়ন জমাদানের শেষ সময়ও ১ দিন বাড়িয়ে ২০ আগস্ট করা হয়। মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের শেষ দিন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সংসদে ১০টি প্যানেল ও স্বতন্ত্রভাবে মোট মনোনয়ন নিয়েছেন ৬৫৮ জন এবং ১৭টি হল সংসদে মনোনয়ন বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৪২৭টি। যাচাই-বাছাই শেষে আজ বেলা ১টায় চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।

২৫ আগস্ট মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর ২৬ আগস্ট চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে ৯ সেপ্টেম্বর এবং সেদিনই ফলাফল প্রকাশ করা হবে। এবারই প্রথমবারের মতো হলের বাইরে ছয়টি কেন্দ্রে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ইতোমধ্যে ডাকসু এবং হল সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। চূড়ান্ত তালিকায় মোট ভোটার ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০ হাজার ৮৭১ জন ও ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯০২ জন।

৯টি প্যানেলের জমজমাট লড়াই

এদিকে ডাকসু নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা করেছে বেশ কয়েকটি ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন। এর মধ্যে রয়েছে- ছাত্রদল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস), ছাত্রশিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনসহ একাধিক স্বতন্ত্র প্যানেল।

এবারের ডাকসু নির্বাচনের প্যানেলগুলোতে এসেছে নতুনত্বের ছোঁয়া। শিবিরের ‘ইনক্লুসিভ প্যানেরের বিপরীতে ছাত্রদল স্থান দিয়েছে তরুণ ও পরীক্ষিতদের। আসন্ন ডাকসুতে শীর্ষ তিন পদসহ সভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাঁচ নারী শিক্ষার্থী। এছাড়া প্যানেলগুলোতে নারী প্রার্থীর সংখ্যাও চোখে পড়ার মতো।

এবাবের ডাকসুতে লড়ছে- গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’, ছাত্রদলের প্যানেল, ছাত্রশিবিরের ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’, উমামা ফাতেমার নেতৃত্বে ‘স্বতন্ত্র ঐক্যজোট’, বামপন্থি শিক্ষার্থীদের ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’, ছাত্র অধিকার পরিষদের ‘ডাকসু ফর চেঞ্জ’, ইসালামী ছাত্র আন্দোলনের ‘সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ’, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মাহিন সরকারের স্বতন্ত্র প্যানেল ‘ডিইউ ফার্স্ট’ এবং তিনটি বাম জোটের ‘অপরাজেয় ৭১-অদম্য ২৪’ প্যানেলসহ অন্যান্য স্বতন্ত্র প্যানেল ও প্রার্থীরা।

এবারের ডাকসুতে ভিপি পদে লড়ছেন দুইজন নারী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সর্বপ্রথম স্বতন্ত্র প্যানেল গঠনের ঘোষণা দেন তিনি। এই স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম ঘোষিত না হলেও বর্তমানে ডাকসুর অন্যতম আলোচিত প্রার্থী উমামা।

এদিকে আরেক নারী শিক্ষার্থী ভিপি প্রার্থী তাসনিম আফরোজ ইমি। তিনি বামপন্থি সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গঠিত জোট ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ প্যানেল থেকে নির্বাচন করবেন। এদিকে ছাত্র অধিকার পরিষদের প্যানেল থেকে জিএস পদে একমাত্র নারী প্রার্থী সাবিনা ইয়াসমিন। এছাড়া গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের প্যানেল থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র আশরেফা খাতুন ও স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতেহা শারমিন অ্যানিসহ সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে লড়ছেন। এছাড়া বিভিন্ন প্যানেলের সম্পাদক ও সদস্য পদে রয়েছেন একাধিক নারী প্রার্থী।

তবে গত বছরের ১৫ জুলাইয়ে আহত সানজিদা আহমেদ তন্বীর সম্মানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে প্রার্থী দেয়নি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস)।

ডাকসু নির্বাচনের পূর্ণ প্যানেল ঘোষণা করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলা ভাস্কর্যের সামনে থেকে ছাত্রদলের ২৮ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ প্যানেলটি ঘোষণা করেন দলটির কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।

সংগঠনটি সহসভাপতি (ভিপি) হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের আবিদুল ইসলাম খান ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে কবি জসীম উদ্দীন হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের শেখ তানভীর বারী হামিমকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া এজিএস পদে বিজয় একাত্তর হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদকে মনোনয়ন দিয়েছে সংগঠনটি।

ছাত্রদলের প্যানেলে সদস্য প্রার্থী হিসেবে একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে রেখেছে সংগঠনটি। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ওই শিক্ষার্থীর নাম ইবনু আহমেদ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করছেন। এছাড়া সংগঠনটির প্যানেলে ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক পদে মনোনয়ন পেয়েছেন চিম চিম্যা চাকমা।

প্যানেল ঘোষণার সময়, দলটির কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, এবারের ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল তুলনামূলক জুনিয়র, নিয়মিত শিক্ষার্থী এবং ছাত্রসমাজের কাছে পরিচিত ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের মনোনীত করেছে।

অন্যদিকে ডাকসু নির্বাচনে সাদিক কায়েমকে ভিপি ও এসএম ফরহাদকে জিএস পদে প্রার্থী করে ২৮ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। এই প্যানেলে সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে মহিউদ্দিন খান নির্বাচন করবেন।

প্যানেলে দলীয় নেতা-কর্মীদের বাইরে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, ৪ জন নারী, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থী, অ্যাপ বাংলাদেশ এবং ইনকিলাব মঞ্চের শিক্ষার্থীদের রাখা হয়েছে।

গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের তৃতীয় তলায় ডাকসুর প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কক্ষের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্যানেল ঘোষণা করে সংগঠনটি।

এই প্যানেলে চমক হিসেবে রয়েছে সর্ব মিত্র চাকমার অন্তর্ভুক্তি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এ ছাড়াও শিবিরের প্যানেল থেকে নির্বাচন করছেন ৪ নারী শিক্ষার্থী। এই প্যানেলে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ফাতেমা তাসনিম জুমা, কমন রুম, রিডিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে উম্মে সালমা এবং সদস্য পদে সাবিকুন নাহার তামান্না ও আফসানা আক্তার মনোনয়ন পেয়েছেন। প্যানেল থেকে জুলাই আন্দোলনে চোখ হারানো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খান জসিম আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে লড়বেন।

এছাড়া গতকাল বুধবার বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ নামে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে।

প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে নির্বাচন করবেন আব্দুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে মো. আবু বাকের মজুমদার এবং সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে আশরেফা খাতুন প্রার্থী হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলটি ঘোষিত হয়।

অন্যদিকে ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেল ঘোষণা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। গত সোমবার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন তিনি। এখনো পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষিত না হলেও এই প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে উমামা ফাতেমা, জিএস পদে ঢাবি সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি আল সাদী ভূইয়া এবং সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে বর্তমান সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহী থাকতে পারেন বলে জানা গেছে।

‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ নামে বাম জোটের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। এই প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ইতি আফরোজ ইমি, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসু এবং সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রার্থী বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল।

ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, ছাত্র কাউন্সিল, ছাত্র যুব আন্দোলন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও গণতান্ত্রিক ছাত্র মঞ্চ এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই প্যানেলে রয়েছেন।

‘ডাকসু ফর চেঞ্জ’ নাম ও ‘ভোট ফর চেঞ্জ’ স্লোগান সামনে রেখে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। এই প্যানেলে ভিপি পদে দলটির কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, জিএস পদে সাবিনা ইয়াসমিন এবং এজিএস পদে ঢাবি শাখার সদস্য সচিব রাকিবুল ইসলামের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

ডাকসু নির্বাচনে ‘সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ’ নামের প্যানেল ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন।

সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত নির্বাচনে সহসভাপতি বা ভিপি পদে, সাধারণ সম্পাদক বা জিএস পদে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সহসম্পাদক খায়রুল আহসান মারজান এবং ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইফ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন সহসাধারণ সম্পাদক পদে লড়বেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও এনসিপি নেতা মাহিন সরকারকে সঙ্গে নিয়ে ‘ডিইউ ফার্স্ট’ প্যানেল ঘোষণা করেছে স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক জামালুদ্দীন মুহাম্মাদ খালিদ।

এই প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে জামালুদ্দীন মুহাম্মাদ খালিদ, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে মো. মাহিন সরকার লড়বেন। এজিএস পদে ফাতেহা শারমিন অ্যানি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

এদিকে ডাকসু নির্বাচনে এই প্যানেল থেকে জিএস পদে প্রার্থী হওয়ায় এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মাহিন সরকারকে নিজের পদ ও দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ‘গুরুতর শৃঙ্খলাভঙ্গের’ অভিযোগে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানায় এনসিপি।

এদিকে গতকাল দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে তিনটি বামপন্থি ছাত্রসংগঠন। ছাত্রসংগঠনগুলো হলো- ছাত্র ইউনিয়ন (মাহির-বাহাউদ্দিন), সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (বাসদ) ও ছাত্রলীগ-বিসিএল (জাসদ)। প্যানেল ঘোষণা করেন ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজা।

‘অপরাজেয় ৭১-অদম্য ২৪’ নামের এই প্যানেলে মো. নাইম হাসানকে (হৃদয়) সহসভাপতি (ভিপি), এনামুল হাসান অনয়কে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও অদিতি ইসলামকে সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী করা হয়েছে।


শেখ হাসিনাসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে সেই সুখরঞ্জন বালির অভিযোগ দাখিল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

এক যুগ আগে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া সেই সুখরঞ্জন বালি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছেন।

২১ আগস্ট সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর অভিযোগ দাখিল করে তিনি বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।

শেখ হাসিনার ছাড়াও যাদের বিরুদ্ধে সুখরঞ্জন বালি অভিযোগ করেছেন, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন- সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম, সাবেক আইন মন্ত্রী শফিক আহমেদ, সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, ট্রাইব্যুনালের সাবেক বিচারক বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির, ট্রাইব্যুনালের সাবেক তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন, পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম আউয়াল, সাবেক চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, সাবেক প্রসিকিউটর রানা দাস গুপ্ত ও তৎকালীন তদন্ত সংস্থার প্রধান মো. সানাউল হক।

সুখরঞ্জন বালি জামায়াতে ইসলামীর নেতা প্রয়াত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর যুদ্ধাপরাধের মামলায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ছিলেন।

তিনি ২০১২ সালের ৫ নভেম্বর ঢাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল চত্বর থেকে নিখোঁজ হন।

সুখরঞ্জন বালী তার অভিযোগে বলেন, আমার ভাই বিশাবালীকে (বিশেশ্বর বালী) ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকিস্তানি সেনারা হত্যা করে। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে ২০১০ সালের জুলাই-আগস্ট মাসের দিকে তৎকালীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন আমাকে পিরোজপুরের পাড়েরহাটের রাজলক্ষ্মী স্কুলে ডেকে ৭১-এ আমার ভাই বিশাবালীর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চায়। আমি তাকে প্রকৃত ঘটনা খুলে বলি। কিন্তু হেলাল উদ্দিন আমাকে আমার ভাইয়ের হত্যাকারী হিসাবে প্রকৃত হত্যাকারীদের নামের সঙ্গে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নামও বলতে বলে এবং তার বিরুদ্ধে ট্রাইবুনালে গিয়ে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে বলে।

আমি হেলাল সাহেবকে তখনই স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিই যে, সাঈদী হুজুর আমার ভাই বিশাবালী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত ছিলেন না। সুতরাং তার বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।

কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল সাহেব আমাকে জোরপূর্বক রাজি করাতে সেখানেই আমাকে শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে।

এরপর হেলাল উদ্দিন আমাকে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে রাজি করাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ এমপি এ. কে. এম. আব্দুল আউয়াল ও পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেককে ডেকে আনে।

তারা আখতারুজ্জামান ফুলু ও কানাই লালা বিশ্বাসের নেতৃত্বে সাইদুল্লাহ লিটন, রেজাউল করিম শিকদার মন্টু, মিজানুর রহমান তালুকদার, সুমন সিকদার, দিলীপ মাঝি, রাজ্জাক খান বাদশা, মতিউর রহমান, মৃধা, শাহজাহান খান তালুকদার, মাসুদ আহম্মেদ রানা, শেখ ফিরোজ আহম্মেদ, গোলাম মাওলা নকিব, আমিনুল ইসলাম মিরন, ইরতিজা হাসান রাজু, খায়রুল ইসলাম মিঠু, মজনু তালুকদার, মৃধা মো. মনিরুজ্জামান, কে. এম. মোস্তাফিজুর রহমান বিপ্লব ও রাসেল পারভেজ রাজাসহ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের আরো কিছু লোককে রাজলক্ষ্মী স্কুলে হাজির করায়।

তারা সেখানে উপস্থিত হয়েই আমাকে নানা রকম চাপ ও হুমকি দিতে থাকেন। আমি সাক্ষ্য দিতে রাজি না হলে, আউয়াল ও মালেক সাহেব আমাকে হত্যার হুমকি দেয়।

এরপর তাদের নির্দেশে রেজাউল করিম শিকদার মন্টু, সুমন সিকদার, দিলীপ মাঝি, রাজ্জাক খান বাদশা, শাহজাহান খান তালুকদার, মৃধা মো. মনিরুজ্জামান, মাসুদ আহম্মেদ রানা, মজনু তালুকদার ও মিজানুর রহমান তালুকদার মিলে আমাকে নির্দয়ভাবে পিটাতে থাকে। তাদের নির্যাতন শেষ হলে সাইদুল্লাহ লিটন, শেখ ফিরোজ আহম্মেদ, গোলাম মাওলা নকিব, আমিনুল ইসলাম মিরন, মতিউর রহমান, ইরতিজা হাসান রাজু, খায়রুল ইসলাম মিঠু ও মোস্তাফিজুর রহমান বিপ্লবরা আমাকে চর, থাপ্পড় ও ঘুসি মারতে থাকে ও লাঠি দিয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করতে থাকে।

তারপরও আমি হুজুরের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আগামীকাল তাদের কথা মত সাক্ষ্য দিতে রাজি না হলে, আগামীকালই আমার জীবনের শেষ দিন বলে শাসিয়ে চলে যায়।

আমি তাদের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে আত্মগোপনে চলে যাই। দীর্ঘদিন আমি বিভিন্ন বাড়িতে লুকিয়ে থাকি। হেলাল উদ্দিন, এ. কে. এম. আব্দুল আউয়াল, হাবিবুর রহমান মালেক, আখতারুজ্জামান ফুলু, কানাই লালা বিশ্বাস, মিজানুর রহমান তালুকদারের নেতৃত্বে আমাকে করা নির্যাতনের অনেক দিন পর একদিন সাঈদী হুজুরের ছেলে জনাব মাসুদ সাঈদী আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং আমার ভাই বিশাবালী হত্যার প্রকৃত ঘটনা জানতে চান। আমি তাকে প্রকৃত ঘটনা খুলে বলি। তখন মাসুদ সাঈদী জানতে চান, এই সত্য ঘটনা আমি ট্রাইবুনালে এসে বলতে রাজি আছি কি-না? জবাবে আমি সম্মতি প্রকাশ করলে, জনাব মাসুদ সাঈদী আমার ভাইয়ের হত্যার প্রকৃত ঘটনা ট্রাইব্যুনালে এসে বলার জন্য অনুরোধ জানান।

আমি তার অনুরোধ গ্রহণ করি এবং সত্য ঘটনা তুলে ধরার জন্য সাঈদী হুজুরের পক্ষে সাক্ষ্য দিতে রাজি হই। সেই মর্মে আমি, সুখরঞ্জন বালি, সাঈদী হুজুরের পক্ষে সাক্ষ্য দিতে ৩ নভেম্বর ২০১২ সালে বিকালের দিকে ঢাকায় আসি এবং জনাব মাসুদ সাঈদীর সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি আমাকে ৪ তারিখ ট্রাইব্যুনালে অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম স্যারের কাছে নিয়ে আসেন। উনাকে আমি আমি সব খুলে বলি।

এরপর ৫ নভেম্বর ২০১২ এর সকালে অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলামের অফিসে মাসুদ সাঈদী আমাকে নিয়ে যান। তখন অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম সাহেব আমাকে তার গাড়িতে করে ট্রাইব্যুনালের দিকে রওয়ানা দেন। তার গাড়িতে আরও ২ জন আইনজীবী- জনাব মনজুর আহমেদ আনসারী ও জনাব হাসানুল বান্না সোহাগ ছিলেন, যাদের নাম আমি পরে জানতে পারি।

আমার সামনের গাড়িতে জনাব মাসুদ সাঈদী ছিলেন এবং তার সঙ্গেও একজন আইনজীবী ছিলেন। তার নাম আবু বকর সিদ্দিক, যা আমি পরে জানতে পারি। ট্রাইবুনালের গেটের বাইরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ দেখতে পাই। ট্রাইব্যুনালের মূল গেটের কাছে আমাদের গাড়ি এসে পৌঁছালে পুলিশ আমাদের গাড়ি আটকে দেয়।

আটকে দেওয়ার পর সামনের গাড়ি থেকে নেমে মাসুদ সাঈদী পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। এর মধ্যে কিছু বুঝে উঠার আগেই সাদা পোশাকে থাকা অনেক লোক ও পুলিশ মিলে এড. মিজান স্যারের গাড়ি ঘিরে ফেলে।

সেখানে আমাকে দেখে তারা বলে ‘শুয়োরের বাচ্চা, তোকেই তো আমরা খুঁজছি। নাম নিচে নাম।’ এই কথা বলেই একজন পুলিশ আমার কানের নিচে প্রচণ্ড জোরে থাপ্পড় মারে। এরপর আমার শার্টের কলার ধরে আমাকে মারতে মারতে জোরপূর্বক গাড়ি থেকে নামিয়ে একটা সাদা রঙের পুলিশ পিকআপে তুলে নেয়।

আমার সাথে থাকা আইনজীবী ও মাসুদ ভাই তাদেরকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও পুলিশের আগ্রাসী ভূমিকার কারণে তারা আর আমার কাছেই আসতে পারেননি।

গাড়িতে উঠিয়েই তারা আমার চোখ ও হাত বেঁধে ফেলে। এ অবস্থাতেই তারা আমাকে অজানা একটি স্থানে নিয়ে যায়। এটি ছিল একটি জানালাবিহীন অন্ধকার ঘর, যেখানে প্রায় দুই মাস আমাকে বন্দি রাখা হয় এবং খাদ্য ও আলো থেকে বঞ্চিত করে প্রচণ্ড শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়।

পরবর্তীতে আমাকে আরেকটি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে ক্যামেরা ও আলো ছিল। সেখানে সাঈদী হুজুরের- বিরুদ্ধে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় করতে চাওয়া হয়।

আমি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিই যে, আমার ভাইয়ের হত্যার সঙ্গে সাঈদী হুজুরের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই এবং আমি প্রকৃত হত্যাকারীদের চিনি এবং তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে প্রস্তুত আছি।

কিন্তু আমি তাদের কথা মত সাঈদী হুজুরের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষী দিতে রাজি না হওয়ায়, তারা আমাকে দিনের পর দিন বৈদ্যুতিক শক দিয়ে শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে। আমার শরীরের এমন কোন জায়গা নেই যেখানে তারা বৈদ্যুতিক শক দেয়নি (বিশেষ করে আমার গোপনাঙ্গে তারা বেশি শক দেয়)।

এরপর তারা আমাকে কোটি টাকা ও একটি বাড়ি দেওয়ার প্রলোভনের মাধ্যমে আমার মনোবল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আমি তাতেও রাজি না হওয়ায়, আমাকে প্রায় দুই মাস ঐ গোপন জায়গায় আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়।

তাদের চরম নির্যাতনের মুখে আমি অসুস্থ ও অজ্ঞান হয়ে পড়লে, আমাকে বিভিন্ন সময়ে হাসপাতালে নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা দেয়া হত।

আমার জ্ঞান ফিরে এলে, আবার তারা আমাকে ঐ গোপন স্থানে নিয়ে যেত। নিয়ে গিয়ে আবারো পূর্বের ন্যায় তারা আমার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালাতো।

এরপর একদিন আমাকে চোখ বেঁধে একটি গাড়িতে তোলা হয় এবং কয়েক ঘণ্টার দীর্ঘ যাত্রার পর যখন গাড়ি থামে। তখন আমি বাথরুমে যাওয়ার কথা বললে, তারা আমার চোখ খুলে দেয়। তখন দেখতে পাই আমাকে সীমান্ত এলাকায় আনা হয়েছে।

সেখান থেকে বিজিবির সহায়তায় আমাকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণার স্বরূপনগর থানার অন্তর্গত বৈকারী বাজার সীমান্তে বিএসএফ-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়।

বিএসএফ আমাকে কোনো প্রশ্ন ছাড়াই নির্মমভাবে মারধর করে, আমাকে হাত বেঁধে নির্যাতন করে। পরে তারা আমাকে বশিরহাট নিয়ে যায়। বশিরহাট সাবজেলে ২২ দিন রাখার পর সেখান থেকে দমদম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয় এবং সেখানে আমাকে মোট ৫ বছর আটক রাখে।

পরে জানতে পারি, দমদম কেন্দ্রীয় কারাগারে আমার থাকার বিষয়টি জনাব মাসুদ সাঈদী জানতে পারেন এবং আমার ছেলেকে ভারত পাঠিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হন। এরপর তারই উদ্যোগে এবং মানবাধিকার সংস্থা ও ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের সহায়তায় আমি কারাগার থেকে মুক্ত হতে সক্ষম হই।

কারাগারে থাকার সময় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আমার সঙ্গে কারাগারে সাক্ষাৎ করে এবং আমার নির্যাতনের বিবরণ নথিভুক্ত করে।

দেশে ফিরে এলেও আমি পিরোজপুরের নিজ গ্রামে নিরাপত্তার কারণে যেতে পারিনি, বরং আত্মগোপনে নিজ জেলার বাইরে অবস্থান করি।

আমি আমার ছেলে-মেয়ের মাধ্যমে কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর জানতে পারি যে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গেট থেকে আমাকে অপহরণের পর আমার আইনজীবীগণ ট্রাইব্যুনালের বিচারকগণের নিকট তাৎক্ষণিকভাবে আমার অপহরণের বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন বিচারকগণ, তৎকালীন চিফ প্রসিকিউটর, শাহবাগ থানার ওসি, রমনা জোনের ডিসি ও অন্যান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনায় মিলিত হয়ে ষড়যন্ত্র মূলকভাবে সিদ্ধান্ত দেন যে, আমাকে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণ থেকে অপহরণ করা হয়নি। অথচ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে অসংখ্য সিসি ক্যামেরা ছিল। বিশেষ করে আমাকে যেখান থেকে অপহরণ করা হয়েছিল সেই গেটের সামনেই দুটি সিসি ক্যামেরা ছিল। সেই ক্যামেরা দুটিসহ স্থাপিত সিসি টিভি ক্যামেরায় পুরো বিষয়টি রেকর্ড হওয়ার কথা।

আমার পক্ষের আইনজীবীদের দাবি স্বত্বেও ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান নিজামুল হক নাসিম সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে বা দেখাতে অস্বীকৃতি জানান। সেটি না করে জনাব নাসিম আমার বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করার দায়ে আমার আইনজীবীদের বিরুদ্ধে উল্টা আদালত অবমাননার অভিযোগ আনায়ন করেন।

আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, আমি নিজ চোখে মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার ভাইকে হত্যার ঘটনা দেখেছি। সেখানে সাঈদী হুজুর ছিলেন না। বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলায় মিথ্যা সাক্ষ্য না দেয়ায় এবং সত্য সাক্ষী দিতে ট্রাইবুনালে আসার কারণে আমাকে গুম, অপহরণ, নির্যাতন ও প্রায় পাঁচ বছর ভারতে অবৈধভাবে কারাবন্দি করে রাখার হয়।

তার বিরুদ্ধে করা মামলা ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সাজানো। তাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার, দীর্ঘদিন কারারুদ্ধ রাখা এবং শেষ পর্যন্ত পরিকল্পিতভাবে কারাগারে তাকে হত্যা করা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল।

সুখরঞ্জন বালি বলেন, আমাকে করা গুম, অপহরণ, শারীরিক মানসিক নির্যাতন ও আমাকে জোর করে ভারতে পাচারের ঘটনা-সবই ছিল পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ। আমাকে অপহরণ করে শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে আমার মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে আর এর সবই ছিল একটি বৃহৎ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও মানবতা বিরোধী অপরাধ হিসেবে বিবেচ্য।

আমি এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় আমাকে করা অপহরণ, গুম এবং ৫ বছর অবৈধভাবে কারাবন্দি রাখাসহ আমার সাথে ঘটে যাওয়া সকল অন্যায়ের আমি বিচার চাই।


অপো নিয়ে এলো ‘ রেনো১৪ সিরিজ ফাইভজি নাইটলাইফ রেনোগ্রাফি’ প্রতিযোগিতা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অপো অত্যন্ত উচ্ছ্বাসের সাথে ঘোষণা করছে যে, রেনো১৪ সিরিজ ফাইভজি ফ্যান ও সকল অপো রেনো-প্রেমীদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা, বহুল প্রতীক্ষিত ‘নাইটলাইফ রেনোগ্রাফি কনটেস্ট’ শুরু হয়েছে। এই প্রতিযোগিতা কেবল চ্যালেঞ্জ নয়; বরং একইসাথে, উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতার মধ্য দিয়ে উঠে আসা রাতের সৌন্দর্য গভীরভাবে উপলব্ধির এক আমন্ত্রণ।

শহরের ঝলমলে আলো থেকে শুরু করে মধ্যরাতের উদযাপন, তারকাময় আকাশের নিচে ধারণ করা পোর্ট্রেট থেকে শুরু করে অন্ধকার রাস্তায় ফিসফিসিয়ে বলা গল্প – রাতের অনন্য ভঙ্গিকে নিজেদের মতো করে উপস্থাপন করতে এখানে প্রতিযোগীদের উৎসাহিত করা হয়েছে। শহরের প্রাণবন্ত দৃশ্য, বিয়ে ও রাস্তায় আড্ডার আনন্দ, সন্ধ্যার পর পোর্ট্রেটের সৌন্দর্য, অন্ধকারে গতিশীলতার শক্তি, রাতের প্রাকৃতিক শোভা এবং অন্ধকারে স্থাপত্যের চিরন্তন মহিমা – এরকম বিভিন্ন থিমে প্রতিযোগিতাটি আয়োজিত হবে। প্রতিটি ছবি অবশ্যই অপো স্মার্টফোনে ধারণ করা মৌলিক সৃষ্টি হতে হবে। শিল্পকৌশল বাড়াতে সীমিত পরিসরে এডিটিং অনুমোদিত থাকলেও, খুব বেশি পরিবর্তন গ্রহণযোগ্য নয়; যেন প্রতিটি সাবমিশনেই মৌলিকত্ব অটুট থাকে।

প্রতিযোগিতাটি শুরু হয়েছে গত ১৯ আগস্ট, চলবে আগামী ২৭ আগস্ট পর্যন্ত; এরপর আগামী ৩১ আগস্ট বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। সৃজনশীলতার মানদণ্ডে সেরা কাজগুলোকে পুরস্কৃত করা হবে। এতে গ্র্যান্ড উইনার একটি একদম নতুন অপো রেনো স্মার্টফোন জিতবেন, দ্বিতীয় স্থান অধিকারী পাবেন একটি অপো এনকো এয়ার৪ প্রো। তৃতীয় স্থান অধিকারী পাবেন এক্সক্লুসিভ অপো টি-শার্ট ও ফ্রেমড ফটো স্বীকৃতি। চতুর্থ থেকে বিশতম স্থান অধিকারী প্রতিযোগীরা প্রত্যেকে তাদের বিজয়ী ছবির ফ্রেমড ফটোর মাধ্যমে স্বীকৃত হবেন।

এই প্রতিযোগিতার কেন্দ্রে রয়েছে অপো রেনো১৪ সিরিজ ফাইভজি, যা এআই-চালিত ফটোগ্রাফি ও অসাধারণ নাইট ইমেজিংয়ের মাধ্যমে ক্রিয়েটরদের আরও সক্ষম করে তোলে। এর এআই লো লাইট ফটোগ্রাফি এমনকি সবচেয়ে কম আলোতেও প্রতিটি ডিটেইল ও ইমোশন নিখুঁতভাবে ধারণ করতে সক্ষম। এর ৫০ মেগাপিক্সেল ট্রিপল ক্যামেরা সিস্টেম এবং এআই লাইভফটো ২.০, এআই ইরেজার ও এআই রিফ্লেকশন রিমুভারের মতো অত্যাধুনিক এআই ফিচার প্রতিটি ফ্রেমকেই শিল্পকর্মে রূপান্তরিত করে; পাশাপাশি, এর এআই এডিটর ২.০ মাত্র এক ট্যাপে সহজ ও সাবলীল এডিটের সুযোগ করে দেয়। রেনো১৪ সিরিজ ফাইভজির প্রতিটি ফিচার রাতের ফটোগ্রাফিকে অসীম সম্ভাবনার ক্যানভাসে রূপান্তরিত করার ক্ষেত্রে অপোর প্রতিশ্রুতিই তুলে ধরে।

এ বিষয়ে অপো বাংলাদেশ অথোরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, “অপোতে আমরা বিশ্বাস করি, ফটোগ্রাফি কেবল ছবি তোলার বিষয় নয়; এটি আবেগ, স্মৃতি ও শিল্প ধারণের মাধ্যম। রেনো১৪ সিরিজ ফাইভজি আমাদের ব্যবহারকারীদের রাতের অন্ধকারেও নিজেকে প্রকাশের সুযোগ দেয়। ‘নাইটলাইফ রেনোগ্রাফি কনটেস্ট’ সৃজনশীলতার প্রতি একটি শ্রদ্ধা, যেখানে প্রতিটি রাতকে মাস্টারপিস করে তুলতে সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।”

এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে প্রযুক্তির সাথে শিল্পের সমন্বয় অব্যাহত রাখলো অপো; যেখানে রাতের অসামান্য সৌন্দর্যের অনন্য সব গল্প খুঁজে বের করা, তৈরি করা বা শেয়ার করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সকল ব্যবহারকারীকে অনুপ্রাণিত করা হচ্ছে।

এই প্রতিযোগিতা এবং অপো রেনো১৪ সিরিজ ফাইভজি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে অপো বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ facebook.com/OPPOBangladesh বা www.oppo.com/bd ভিজিট করুন


বোয়ালখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর বিষপানে মৃত্যু

আপডেটেড ২১ আগস্ট, ২০২৫ ১৪:২২
বোয়ালখালী(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে বিষ পানে তানজু আক্তার (২৭) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২০ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরির বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তানজু আক্তার উপজেলার করলডেঙ্গা ইউনিয়নের ২ নাম্বার ওয়ার্ডের মধ্যম করলডেঙ্গা গ্রামের প্রবাসী মো.নুরুন্নবীর স্ত্রী।

স্থানীয়রা জানান, তানজু আক্তারের স্বামী মো.নুরুন্নবী সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই রয়েছেন। রাতে তানজুকে প্রবাস থেকে নুরুন্নবী মুঠো ফোনে না পেয়ে, পাশের বাড়ির এক বয়স্ক মহিলাকে মুঠো ফোনে জানান তার স্ত্রী কল ধরছে না, ঘরে গিয়ে একটু খবর নিতে। ওই মহিলাসহ প্রতিবেশীরা তানজুকে অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকেন। এরপর তানজু বিষ পান করেছে জানালে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।


‘বিজিবির মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫’ কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন বিজিবি মহাপরিচালক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫’ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে বিজিবি সদর দপ্তর, পিলখানায় ‘বিজিবির মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫’ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বৃহস্পতিবার সকালে পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরের শহীদ ক্যাপ্টেন আশরাফ হল সংলগ্ন পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করে এ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন।

‘অভয়াশ্রম গড়ে তুলি, দেশি মাছে দেশ ভরি’ জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ এর এই প্রতিপাদ্যের কথা উল্লেখ করে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, আমরা ঐতিহ্যগতভাবে মাছে ভাতে বাঙালি। আমাদের আমিষের চাহিদার ৬০ শতাংশ মাছ থেকে আসে। মাছের আমিষ অন্য যেকোনো প্রাণীজ আমিষের চেয়ে অধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এবং স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। শুধু আমিষের ঘাটতি পূরণই নয়, মাছ চাষ আয়বর্ধক কর্মসংস্থানেরও একটি অন্যতম উৎস। বিজিবি মহাপরিচালক বিজিবির প্রতিটি স্থাপনার পুকুর-জলাশয় সংস্কার করে সেখানে মাছ চাষের আহ্বান জানান। এছাড়াও, বিজিবি’র প্রতিটি সদস্যকে দেশের সকল মহৎ কাজে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশ গঠনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখারও আহবান জানান। পরিশেষে, বিজিবি মহাপরিচালক আমাদের ‘মাছে ভাতে বাঙালি’ ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখতে দেশি মাছ চাষ করে আমিষের ঘাটতি পূরণের মাধ্যমে মেধাসম্পন্ন জাতিনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ সফল করার আহ্বান জানান।


নির্বাচন সামনে রেখে সব জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দিতে যাচ্ছে সরকার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে খুব শিগগিরই দেশের সব জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিতে যাচ্ছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই নতুন ডিসিদের নিয়োগ চূড়ান্ত করা হবে। এরই মধ্যে নতুন ফিটলিস্ট তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ইতোমধ্যে সিলেট জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এবার ডিসি নিয়োগে কোনো ধরনের রাজনৈতিক সুবিধাভোগী বা বিতর্কিত কর্মকর্তাকে স্থান দেওয়া হবে না। কেউ ছলচাতুরী বা তথ্য গোপন করে ডিসি পদে নিয়োগ পেলে এবং পরে তা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইতোমধ্যে গত সোমবার সিলেটের নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ পেয়েছেন প্রশাসনের আলোচিত সেই ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম। উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা সারওয়ার আলম বর্তমানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের একান্ত সচিব (পিএস) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি থেকে নতুন ফিটলিস্ট তৈরির কাজ শুরু করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর অংশ হিসেবে ছয় ধাপে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ২৫তম ও ২৭তম ব্যাচের ২৬৯ জন উপসচিবের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। এর মধ্যে থেকে অর্ধশতাধিক কর্মকর্তাকে ফিটলিস্টে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে ২৮তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের মৌখিক পরীক্ষা চলছে।

জনপ্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে ২৪তম ব্যাচের ২৬ জন, ২৫তম ব্যাচের ২৫ জন এবং ২৭তম ব্যাচের ১২ জন কর্মকর্তা ডিসির দায়িত্বে রয়েছেন। তবে ২৪তম ব্যাচের ২১ জন কর্মকর্তা গত ২০ মার্চ যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পেলেও এখনও মাঠ প্রশাসন থেকে তাদের প্রত্যাহার করা সম্ভব হয়নি।

এর আগে ২০২৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ১০৮ জন কর্মকর্তার একটি ফিটলিস্ট থেকে ৬১ জেলায় ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। সেই নিয়োগ নিয়ে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়। অনেক কর্মকর্তা নিজেদের ‘বঞ্চিত’ দাবি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। মারামারি ও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে, যা সরকারের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করেছিল।

তাছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সুবিধা পাওয়া একাধিক কর্মকর্তা গত বছরের ৫ আগস্টের পরও ডিসি পদে নিয়োগ পেয়েছেন। এসব নিয়ে সমালোচনার পর এবার সরকার অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করছে।

কেবল ডিসি নিয়োগই নয়, বর্তমানে একাধিক মন্ত্রণালয় ও বিভাগে সচিব নেই এবং ভারপ্রাপ্ত সচিব দিয়ে চলছে। কর্মকর্তাদের দাবি, প্রশাসনের শীর্ষ পদগুলোতে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া ছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সবচেয়ে বড় ভুল।

তাদের মতে, এক দশক বা দেড় দশক আগে অবসরে যাওয়া কর্মকর্তারা বর্তমানের ডিজিটাল প্রশাসন ব্যবস্থায় খাপ খাওয়াতে পারছেন না। তারা দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণেও সাহস পান না। এর ফলে প্রশাসনে শৃঙ্খলার অভাব দেখা দিয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ অনুবিভাগ) মো. এরফানুল হক ইউএনবিকে বলেন, ‘ডিসি নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। কবে নাগাদ নিয়োগ হবে তা জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। তবে আমরা আশা করছি দ্রুতই নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হবে।’

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান জানান, ‘ডিসি ফিটলিস্ট থেকেই নিয়োগ দেওয়া হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে যোগ্য ও দক্ষ কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে, যাতে কোনো প্রশ্ন না ওঠে।’

সাবেক সচিব ও প্রশাসন বিশেষজ্ঞ এ কে এম আব্দুল আউয়াল মজুমদার বলেন, ‘১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়নি। বর্তমান প্রশাসনের দুর্বলতা দ্রুত সমাধান করতে হবে। একটি সৎ, দক্ষ ও পেশাজীবী আমলাতন্ত্র ছাড়া রাষ্ট্র পরিচালনা সম্ভব নয়। এখনো সময় আছে- সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ পদে যোগ্য লোক নিয়োগ দিয়ে প্রশাসনের প্রাণ ফিরিয়ে আনতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘এ আমলাতন্ত্রের ওপর ভর করে রাষ্ট্র পরিচালনা করা সত্যিই অসাধ্য। তাই এখনো সময় আছে প্রশাসনের প্রাণ ফিরে আনতে হবে। মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও ডিসি সহ প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যোগ্য ও দক্ষ লোক নিয়োগ দিতে হবে।’

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, যুগ্ম সচিব ও তদূর্ধ্ব পদে নিয়োগ, বদলি ও শৃঙ্খলাজনিত বিষয়ে পরামর্শ প্রদানের জন্য চারজন উপদেষ্টা, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং জনপ্রশাসন সচিবকে নিয়ে ‘জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিই ডিসি নিয়োগসহ অন্যান্য বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন।


‘সার্ভিসিং২৪ ক্লায়েন্ট’ অ্যাপ দিচ্ছে এএমসি সেবার সেরা সমাধান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

বর্তমানে প্রযুক্তি-নির্ভর সেবায় প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু হার্ডওয়্যার ক্রয় করেই দায়িত্ব শেষ করে না, বরং সেই ডিভাইসের নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতেই বেছে নেয় অ্যানুয়াল মেইনটেন্যান্স কনট্রাক্ট (এএমসি) সেবা। এ ধরনের কনট্রাক্টের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সার্ভার, স্টোরেজ, নেটওয়ার্কিং ডিভাইস ও অন্যান্য আইটি ডিভাইসসমূহ নিরাপদ এবং কার্যক্ষম থাকে। এই এএমসি সার্ভিসকে আরো সহজলভ্য করছে ‘সার্ভিসিং২৪ ক্লায়েন্ট’ অ্যাপ। ওয়েব ও মোবাইলভিত্তিক এই অ্যাপ সল্যুশন্সের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক সেবা পাচ্ছেন গ্রাহকরা।

সাধারণত অরিজিনাল ইকুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার কোম্পানিগুলোর এএমসি সেবা বেশ ব্যয়বহুল ও নির্দিষ্ট শর্তাধীন হয়। সেখানে এসএলএ, রেসপন্স টাইম, অথবা হার্ডওয়্যার রিপ্লেসমেন্ট ইত্যাদি বিষয়গুলো অনেক সময় সীমাবদ্ধতার মধ্যে পড়ে। তাছাড়া পুরোনো মডেলের ইকুইপমেন্টগুলোর জন্য স্পেয়ার পার্টস পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে, যা সিস্টেম ডাউনটাইমের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া- একই ডেটা সেন্টারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের হার্ডওয়্যার থাকলে ওইএম সাধারণত কেবল তাদের নিজস্ব ব্র্যান্ড নিয়েই কাজ করে। এতে কো-অর্ডিনেশন প্রবলেম হয়।

আরও যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তা হলো, অতিরিক্ত খরচ, দীর্ঘ ডাউনটাইম, সীমিত কভারেজ (শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ব্র্যান্ড বা মডেল), স্পেয়ার পার্টস দীর্ঘ ডেলিভারি টাইম, অন-সাইট সাপোর্টে দেরি, পুরোনো মডেলের ইওএল/ইওএসএল পণ্যে সাপোর্ট না থাকা ইত্যাদি।

তাই থার্ড পার্টির সেবার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সার্ভার, স্টোরেজ, নেটওয়ার্কিং ডিভাইস ও অন্যান্য আইটি ডিভাইসসমূহ নিরাপদ এবং কার্যক্ষম রাখতে ঝুঁকছে কোম্পানিগুলো। সার্ভিসিং২৪ এর থার্ড-পার্টি এএমসি সেবা হচ্ছে, একটি কাস্টমাইজড ও ব্যয় সাশ্রয়ী সেবা, যা শুধু হার্ডওয়্যার মেইনটেন্যান্স নয়, বরং গ্রাহকের হাতে পুরো সিস্টেমের স্মার্ট কন্ট্রোল তুলে দিচ্ছে।

এর মাধ্যমে তারা পাচ্ছেন- রিয়েল টাইম সার্ভিস ট্র্যাকিং, সার্ভিস রিপোর্ট ও এএমসি স্ট্যাটাস মনিটরিং, স্পেয়ার পার্টস রিকোয়েস্ট ও টিকিট ম্যানেজমেন্ট, দ্রুত ও সহজ ইন্টারফেস, বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও মডেলের সার্ভার, স্টোরেজ ও নেটওয়ার্ক ডিভাইসের জন্য একীভূত এএমসি সাপোর্ট।

গ্রাহকরা আরো পাবেন- ইওএল/ইওএসল, প্রোডাক্টের জন্য বিশেষায়িত সাপোর্ট ও স্পেয়ার পার্টস, দ্রুত অন-সাইট সার্ভিস — এসএলও অনুযায়ী, পার্ট রিপ্লেসমেন্ট, ট্রাবলশু্যটিং ও ফার্মওয়্যার আপডেট সহ সম্পূর্ণ কভারেজ, ২৪/৭ হেল্পডেস্ক ও টেলি-সাপোর্ট, দক্ষ ও অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারদের দ্বারা সার্ভিস প্রদান, ব্যয় সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব টেক সল্যুশন ইত্যাদি।

পাশাপাশি সার্ভিসিং২৪ এর এই অ্যাপ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে গ্রাহকরা খুব সহজেই টিকিট তৈরি করা থেকে শুরু করে আইটি সিস্টেমের সকল ধরনের আপডেট, রিয়েল-টাইম ট্র্যাকিং ও মনিটরিং—সবকিছু এক জায়গা থেকেই জানতে ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

এই অ্যাপভিত্তিক সেবা সম্পর্কে ‘সার্ভিসিং২৪’-এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) নাসির ফিরোজ বলেন, “আমাদের সার্ভিস আরো নির্বিঘ্ন করতে আমরা অ্যাপভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ সুল্যশন্স এনেছি। এতে সেবাগ্রহীতাদের আর কোনো বাড়তি ভোগান্তি পোহাতে হবে না। ক্লায়েন্ট ও ইউজারদের ফিডব্যাক এই অ্যাপের পরবর্তী হালনাগাদের জন্য আমাদের কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি তারা এই সলুশ্যন এর মাধ্যমে উপকৃত হবেন।”


পাঁচ বছরে মাছের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঁচ বছরে দেশে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৭ দশমিক ৪১ লাখ টন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে উৎপাদন ছিল ৪২ দশমিক ৭৭ লাখ টন। ২০২৩-২৪ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৫০ দশমিক ১৮ লাখ টনে।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) আয়োজিত মৎস্য সপ্তাহের সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। গতকাল বুধবার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে এই সেমিনার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

বিএফআরআইয়ের মহাপরিচালক অনুরাধা ভদ্রের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন। সম্মানিত অতিথি ছিলেন মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান ফারাহ শাম্মী ও মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুর রউফ। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএফআরআইয়ের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরিদা আখতার বলেন, ‘আমরা প্রাকৃতিকভাবে এমন স্থানে আছি, যেখানে মাছ না খেয়ে বাঁচার উপায় নেই। দেশে ৬৪ প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। সেখানে বিএফআরআইয়ের গবেষণার ফলে ৪১ প্রজাতির মাছ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।’

তিনি বলেন, সারাদেশে জলাশয়গুলো চিহ্নিত করে দেশি মাছের প্রজাতি রক্ষা করতে হবে। বিভিন্ন জলাশয়ে মাছের নানা প্রজাতি রয়েছে। এসব জলাশয় চিহ্নিত করে দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণ ও বৃদ্ধি করতে হবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা আরও বলেন, অভয়াশ্রম গড়ে তোলা ও রক্ষা করা মৎস্যসম্পদ উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা মুক্ত জলাশয়ের পরিমাণ দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে কমছে।

এর পেছনের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এখানে আগে নীতি-নির্ধারণীতে হয়তোবা মনোযোগ কম ছিল, তাই আমরা এ খাতে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের মুক্ত জলাশয় গড়ে তোলতে যা করণীয়, তা করতেই হবে।

জিনগত বিলুপ্তি রোধ করা দরকার উল্লেখ করে মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, মাছের প্রজাতিগুলো রক্ষা করা শুধু বাংলাদেশের জন্যই নয়, বরং আন্তর্জাতিক মৎস্যসম্পদের প্রয়োজনেও করতে হবে। কারণ আমরা প্রাকৃতিকভাবে এমন এক স্থানে রয়েছি, যেখানে মাছ না খেয়ে বাঁচার কোনো উপায় নেই।

মাছ শিকারে বিষ ও বিদ্যুতের ব্যবহারকে উদ্বেগের কারণ হিসেবে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, মানুষ কত নিষ্ঠুর। তারা মাছ শিকারে বিষ ও বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে। এটি হচ্ছে মানুষের লোভ ও তাৎক্ষণিক লাভের কারণে।

প্লাস্টিক দূষণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে উল্লেখ করে ফরিদা আখতার বলেন, মৎস্যসম্পদ ধ্বংসের পেছনে পানি ও প্লাস্টিক দূষণ অন্যতম ক্ষতির কারণ। সম্প্রতি প্লাস্টিক বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কোনো সমঝোতায় আসতে পারেনি। প্লাস্টিক চুক্তি প্রকৃতির জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় বাংলাদেশও স্বাক্ষর না করে চলে এসেছে।

মূল প্রবন্ধে মো. মশিউর রহমান বলেন, দেশে ৬৬৯টি অভয়াশ্রম আছে- জমির পরিমাণ ১ হাজার ১৬৯ হেক্টর। তিনি বলেন, পাঁচ বছরে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৭ দশমিক ৪১ লাখ টন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এখন থেকে নিজেরাই অভয়াশ্রম ঘোষণা করতে পারবে। সে জন্য আইন সংশোধন করা হয়েছে।


বুড়িগঙ্গার তীরে নসরুল হামিদের অবৈধ বাংলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি

ঢাকার কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গার তীরের জায়গা দখল করে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে দুই দিনের অভিযান শুরু করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। অভিযানের প্রথম দিনে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের অবৈধভাবে নির্মাণ করা একটি বাগানবাড়ি (বাংলো) গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযানে প্রায় দেড় একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কাউটাইল মৌজায় কোন্ডা ইউনিয়নের কাউটাইল এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বুড়িগঙ্গা নদীর তীর দখল করে নির্মিত বাগানবাড়ির তিনটি দোতলা ভবন ও একটি ডকইয়ার্ডের প্রায় ২০০ ফুট সীমানা প্রাচীরও ভেঙে ফেলা হয়।

বিআইডব্লিউটিএর ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সরকার এরই মধ্যে ঢাকার চারপাশের বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু নদের সীমানা নির্ধারণ করে ৮০ কিলোমিটার এলাকায় পিলার স্থাপন করেছে। ২০০৯ সালে এসব নদীতীরে অবৈধভাবে গড়ে তোলা স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়। গত বছরের ৫ আগস্টের পর নানা প্রতিকূলতার কারণে উচ্ছেদ অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আজ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়। বুড়িগঙ্গার স্বাভাবিক প্রবাহ রক্ষায় এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। দখলদার যত প্রভাবশালীই হোক না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আজ কাউটাইল ও দোলেশ্বর এলাকায় নদীতীরের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।

অভিযানে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিআইডব্লিউটিএর ঢাকা নদীবন্দরের উপপরিচালক আবু সালেহ এহতেশাম, ভৈরব নদীবন্দরের উপপরিচালক নুর হোসেন ও মেঘনা নদীবন্দরের উপপরিচালক রেজাউল করিম অংশ নেন।


ভারতে বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের কোনো তথ্য নেই: রণধীর জয়সওয়াল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের ভূখণ্ডে বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে, এমন কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের মাটিতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যালয় ও কার্যক্রম বন্ধের জন্য দি‌ল্লি‌কে অনুরোধ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে রণধীর জয়সওয়াল এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘ভারতের মাটিতে কথিত আওয়ামী লীগের সদস্যদের বাংলাদেশবিরোধী কোনো ধরনের কর্মকাণ্ড বা ভারতের আইনবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডের বিষয়ে তারা অবগত নন।’

তিনি আরো বলেন, ‘ভারত সরকার অন্য দেশের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানোর অনুমতি দেয় না। সুতরাং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুচিত।’

সেসময় রণধীর জয়সওয়াল পুনর্ব্যক্ত করেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছা ও ম্যান্ডেট নির্ধারণের জন্য শিগগিরই অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করছি।’

এর আগে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতি দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, ‘নিষিদ্ধ’ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের অফিস ভারতের রাজধানী দিল্লি এবং কলকাতায় স্থাপনের খবরে বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যালয়গুলো অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

এছাড়া ভারতের মাটি ব্যবহার করে বাংলাদেশবিরোধী কোনো কার্যক্রম যাতে কেউ চালাতে না পারে, বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য ভারত সরকারের প্রতি বাংলাদেশ অনুরোধ জানায়।


মুন্সীগঞ্জে প্রাইভেট কার উল্টে নিহত ৩

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে দ্রুতগতির একটি প্রাইভেট কার উল্টে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকাল ৬টার দিকে শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর এলাকায় এক্সপ্রেসওয়ের যাত্রী ছাউনির পাশে ঢাকামুখী লেনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক সফিকুল ইসলাম জানান, ঢাকামুখী বেপরোয়া গতির প্রাইভেট কারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজনের রেলিংয়ের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। গাড়িটিতে চারজনই ছিলেন।

তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। অন‌্য দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে চিকিৎসকরা আরও একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ দুর্ঘটনার কারণে প্রায় এক ঘণ্টা ওই সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের উদ্ধার অভিযানের পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

হাসাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁ‌ড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জানান, গাড়িটি সরিয়ে নেওয়ার পর সকাল সোয়া ৭ টার দিকে ঢাকামুখী লেনে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

শ্রীনগর ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার দেওয়ান আজাদ হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় প্রাইভেট কারটির ভাঙা অংশের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে রক্ত। পড়ে আছে দুটি মরদেহ, আর আহত একজনের কান্না শোনা যাচ্ছিল।


সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় যে গতিতে এগোচ্ছে আরও গতি বাড়াতে সমন্বয় টিমের মাধ্যমে কাজ করতে চাই: মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সচিবালয় প্রতিবেদক

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউছুফ উপস্থিত সকলের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় যে গতিতে এগোচ্ছে আরও গতি বাড়াতে সমন্বয় টিমের মাধ্যমে কাজ করতে চাই। আমি সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যাবতীয় সেবা দরিদ্র, দুঃস্থ, অসহায়, অসচ্ছল মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে সকলের সহযোগিতা চাই। এজন্য আমরা সবাই একসাথে কাজ করবো।
তিনি আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
নতুন সচিব বলেন,
আমি এই মন্ত্রণালয়ের সুনাম কাজের মাধ্যমে, আইন কানুন মেনে মানুষের সেবা দ্রুত নিশ্চিত করতে আপনাদের সহযোগিতা চাই। তিনি বলেন, সচিবের রুম আপনাদের জন্য সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে এবং ফাইল দ্রুত নিষ্পত্তি করে কাজের যথার্থতা নিশ্চিত করবেন। আপনারা নির্ভয়ে কাজ করবেন, আমার সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি আমিও আপনাদের থেকে শিখতে চাই এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।


জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতা ২০২৫ আয়োজন করতে যাচ্ছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়

আপডেটেড ২০ আগস্ট, ২০২৫ ২২:৩৬
সচিবালয় প্রতিবেদক

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশের নয়টি সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আয়োজন করা হচ্ছে জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতা ২০২৫। জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতা ২০২৫ এর প্রতিপাদ্য "বাংলাদেশ ২.০: তারুণ্যের নেতৃত্বে আগামীর পথে " নির্ধারণ করা হয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা ধারণাপত্র জমা দিয়ে শুরু করবে এবং নির্বাচিত দলসমূহ পূর্ণাঙ্গ নীতিপত্র প্রস্তুত ও উপস্থাপনা করবে। বিজয়ীরা পুরস্কৃত হওয়ার পাশাপাশি তাদের নীতি প্রস্তাবগুলো সরকারিভাবে পলিসি প্রণয়নের ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।

নীতি প্রতিযোগিতার বিষয়গুলো হল-

১. রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণ ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ

২. জুলাই পরবর্তীতে সময়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি: জাতীয় স্বার্থ ও বৈদেশিক সম্পর্কের পুনঃসংজ্ঞায়ন

৩. নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ: শিক্ষা ও দক্ষতার রূপান্তর

৪.দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সাংস্কৃতিক সংযোগ: জুলাই অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশী তরুণদের ভূমিকা

৫. গুজব প্রতিরোধে বাংলাদেশের করণীয় ও বাংলাদেশের বৈশ্বিক ভাবমূর্তি

৬. জুলাই গণভুত্থান ও সাংবিধানিক পুনর্গঠন: তরুণদের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ

৭.বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণ: সম্ভাবনার ব্যবহার ও নতুন চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা প্রস্তুতি

৮. সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা অর্জনের পথে: ব্যবস্থা পুনর্গঠন ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ

৯. চতুর্থ শিল্প বিপ্লব: বাংলাদেশের উদ্বোধনী সম্ভাবনা ও প্রয়োগের ক্ষেত্র

  1. কৃষি, নদী উন্নয়নের গতিপথ: বঙ্গীয় ব-দ্বীপের পুনরাবিষ্কার।

রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণী বিষয়সহ রাষ্ট্র পরিচালনার সকল ক্ষেত্রে তারুণ্যের অন্তর্ভুক্তি ও অংশগ্রহণ অপরিহার্য। আমাদের কাঙ্ক্ষিত দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন নীতিগতভাবে অগ্রসর হওয়া। তরুণদের চিন্তাপ্রক্রিয়া, মননশীলতা এবং গবেষণাধর্মী সক্ষমতাকে সামনে রেখে এক নতুন পরিবর্তনের সূচনা করা সম্ভব আর সেটি হতে হবে রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণী প্রক্রিয়ায় তারুণ্যের অন্তর্ভুক্তির মধ্য দিয়ে।

এ সময় যুব ও ক্রীড়া সচিব বলেন, এই প্রতিযোগিতা কেবল একটি প্রতিযোগিতা নয় এটি আগামী প্রজন্মের নেতৃত্বে বিনিয়োগ। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, তরুণদের বুদ্ধিবৃত্তিক অংশগ্রহণই আমাদের রাষ্ট্রকে দীর্ঘমেয়াদি টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেবে এবং বাংলাদেশ ২.০-কে বাস্তবায়নের ভিত্তি গড়ে তুলবে।


জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ১০ সেপ্টেম্বর খসড়া ভোট কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ বুধবার ইসির উপ-সচিব মো. মাহবুব আলম শাহ স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে, যা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২৫’ কমিশনে অনুমোদিত হয়েছে এবং তা ২৬ জুন ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ৮ (১) ও (২) অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রের তালিকা সংরক্ষণ ও চূড়ান্তকরণের জন্য গেজেটে কমপক্ষে ২৫ দিন পূর্বে তা প্রকাশ করার বিধান রয়েছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে এলাকা ভিত্তিক ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশ, এই তালিকার ওপর দাবি/আপত্তি গ্রহণ এবং তা নিষ্পত্তির মাধ্যমে নীতিমালা অনুযায়ী চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
কমিশন নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী : খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, দাবি/আপত্তি গ্রহণের শেষ তারিখ: ২৫ সেপ্টেম্বর, দাবি/আপত্তি নিষ্পত্তির শেষ তারিখ: ১২ অক্টোবর, সম্ভাব্য চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুত ও প্রকাশ: ২০ অক্টোবর।
উল্লেখিত সময়সূচি অনুযায়ী এবং ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা অনুসারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে জেলা পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নির্ধারিত ছকের আলোকে খসড়া ও সম্ভাব্য চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের সংখ্যাগত তথ্য (সফটকপিসহ) আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন সহায়তা-১ শাখায় পাঠাতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।


banner close