নওগাঁর মান্দায় জন্মের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মায়ের অবহেলায় হাসপাতালের বেডেই অসহায় হয়ে পড়ে থাকে এক নবজাতক কন্যা। নিজের মায়ের হাতেই ফেলে যাওয়া এ শিশুকে বুকে তুলে নিতেও পারেননি হতবাক বাবা। শনিবার বিকেলে এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ভুক্তভোগী তৌহিদ ইসলাম ঘটনার সুরাহা চেয়ে শনিবার সন্ধ্যার দিকে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগী বাবা তৌহিদ ইসলাম (২৫) নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চকহরি বল্লভ গ্রামের বাসিন্দা। প্রায় দুই বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে মান্দার সাহাপুর (ফজিদারপাড়া) গ্রামের লছের আলী মণ্ডলের মেয়ে সাথী আক্তারকে বিয়ে করেছিলেন তিনি।
তৌহিদের ভাষ্য অনুযায়ী, স্ত্রী সাথী আক্তার তিন মাস ধরে বাবার বাড়িতে ছিলেন। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) প্রসব বেদনা শুরু হলে খবর পেয়ে তিনি শ্বশুরবাড়িতে যান। পরে স্ত্রী ও শাশুড়িকে নিয়ে তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ভর্তি করেন। ওইদিন সন্ধ্যার দিকে স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন সাথী আক্তার।
কিন্তু সুখের সেই মুহূর্তের আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ আনতে বাজারে গেলে তৌহিদ ইসলাম ফিরে এসে দেখেন- স্ত্রীর কোলে নয়, হাসপাতালের বেডেই পড়ে আছে তাদের নবজাতক কন্যা। মা সাথী আক্তার ও নানী নবজাতককে ফেলে পালিয়ে গেছেন।
আবেগাপ্লুত তৌহিদ ইসলাম বলেন, “সন্তান জন্মের আনন্দে ভেসে যাচ্ছিলাম। অথচ ফিরে এসে দেখি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় আনন্দই পরিণত হয়েছে দুঃস্বপ্নে। স্ত্রী ও শাশুড়ির এমন আচরণ আমাকে হতবাক করেছে। অসহায় শিশুকে বুকে নিয়ে এখন আমি দিশেহারা।
অভিযোগ প্রসঙ্গে সাথী আক্তার জানান, “বিয়ের পর থেকেই স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল। আমি সন্তান চাইনি, কিন্তু হয়ে গেছে। যেহেতু আর সংসার করব না, তাই সন্তানও পালন করব না।
বিষয়টি নিয়ে কথা হলে মান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সামছুর রহমান বলেন, “তৌহিদ ইসলামের লিখিত অভিযোগ আমরা পেয়েছি। স্ত্রী সাথী আক্তার জানিয়েছেন, তিনি স্বামীর সঙ্গে সংসার করবেন না এবং সন্তানের দায়িত্বও নেবেন না। বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে এ ঘটনায় অসহায় নবজাতক কন্যার দিকে তাকিয়ে এলাকাবাসী এখন একটি প্রশ্নই করছেন— মায়ের আঁচল ফেলে যাওয়া এই শিশুটি কী ভবিষ্যত বরণ করবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মাঝে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া গতকাল রোববার পর্যন্ত এই সংঘর্ষে প্রায় ১৫০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌথ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হাটহাজারী উপজেলার নির্বাহী অফিসার ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
এক অফিস আদেশে বলা হয়, যেহেতু অদ্য ৩১ আগস্ট ২০২৫ তারিখে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলাধীন ফতেপুর ইউনিয়নের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নং গেট বাজারের পূর্ব সীমা থেকে পূর্বদিকে রেলগেইট পর্যন্ত রাস্তার উভয়পার্শ্বে সকাল আনুমানিক সাড়ে ১১টায় স্থানীয় জনসাধারণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরস্পর মুখোমুখি ও আক্রমণাত্মক হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং বর্তমানে পক্ষসমূহ আক্রমণাত্মক অবস্থায় রয়েছে।
সেহেতু, আমি মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুমিন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আমার উপর অর্পিত ক্ষমতাবলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, জনসাধারণের জীবন, সম্পদ রক্ষা ও শান্তি শৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলাধীন ফতেপুর ইউনিয়নের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নং গেট বাজারের পূর্ব সীমা থেকে পূর্বদিকে রেলগেইট পর্যন্ত রাস্তার উভয়পার্শ্বে অদ্য দুপুর ২টা থেকে ১ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারার আদেশ জারি করলাম। ওই সময়ে উল্লিখিত এলাকায় সকল প্রকার সভা সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, গণজমায়েত, বিস্ফোরক দ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র ও সকল প্রকার দেশী অস্ত্র ইত্যাদি বহনসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় ৫ বা ততোধিক ব্যক্তির একত্রে অবস্থান কিংবা চলাফেরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করলাম। ১৪৪ ধারা জারির পর বিকাল ৪ টায় সংঘর্ষ এলাকায় যৌথবাহিনী অভিযান শুরু করে।
জানা গেছে, গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এক নারী শিক্ষার্থী ২নং গেটসংলগ্ন এলাকায় রাত ১২টায় বাসায় ঢুকতে চাইলে দারোয়ানের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে দারোয়ান মেয়েটিকে মারধর করে। ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থীর নাম সাকিফা খাতুন। এরপর আশেপাশে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা তা দেখে এগিয়ে যায়। তখন সেই নারী শিক্ষার্থী তার এক ছেলে বন্ধুকে মুঠোফোনে ডেকে আনলে তাকেও লাঞ্চিত করা হয়। এসময় ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জড়ো হয়ে যায়। একপর্যায়ে স্থানীয়রা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
পরে স্থানীয় বাসিন্দারা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানোর জন্য লোকজন জড়ো করার ঘটনা ঘটে। এসময় ২ নং গেটসংলগ্ন বাচামিয়ার দোকানের সামনে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলে হামলা চালায় স্থানীয়রা। এতে অন্তত ৭০ জন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। যার মধ্যে ২৪ জন শিক্ষার্থীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়েছিল। পরে সারারাত ধরে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় অবস্থান করে। পরে রাত সাড়ে তিনটার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এদিকে গতকাল রোববার সকাল এগারোটায় আবারও শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নং গেইট সংলগ্ন এলাকায় ২য় দফায় সংঘর্ষ শুরু হয়। এই সংঘর্ষে প্রায় ৭০-৮০ জন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার তথ্য জানা গেছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ এবং উপাচার্যসহ আরও ১০ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
হামলায় আহতদের দাবি সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর টার্গেট করে আক্রমণ করা হয়েছে। যেটি পুঁজি করেছে স্থানীয় সন্ত্রাসী হানিফ গং। যারা গণঅভ্যুত্থানের কারণে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসার দখল হারিয়েছে। পুরো হামলায় ধারাল অস্ত্র, রাম দা, চাপাতি, ছুরি, বটি ও দা ব্যবহার ও সরবরাহ করেছে তাদের প্রশিক্ষিত লোকরা।
ঘটনার প্রেক্ষিতে উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, আমার ছাত্ররা আহত হয়েছে। প্রত্যেকটা ছাত্রকে তারা দা দিয়ে কোপিয়েছে। এটা কোন জগতে আছি আমরা। আপনারা আমাদের ছাত্রদের উদ্ধার করুন। আমাদের প্রক্টর, প্রো-ভিসি (অ্যাকাডেমিক) আহত, আমাদের প্রায় সব শিক্ষক-ছাত্র আহত। আমরা মেডিকেলে জায়গা দিতে পারছি না।
চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) বেলায়েত হোসেন জানান, বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৫১ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। আরও অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনি বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসা আহত শিক্ষার্থীদের কারও মাথায় জখম, কারও শরীর রক্তাক্ত, কেউ হাতে কিংবা শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত পেয়েছেন।
রোববারের সংঘর্ষের ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নির্মমভাবে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুই ছাত্রকে ভবনের ছাদে কুপিয়ে সেখান থেকে ফেলে দেওয়া হয়। দুই ছাত্রের মধ্যে একজনের নাম রাজিউর রহমান রাজু। তিনি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র, তবে বিভাগের নাম জানা যায়নি। আরেকজনের নাম জানা যায়নি। পরে কয়েক শিক্ষার্থী তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের কথা বিবেচনায় নিয়ে রোববারের সব পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলার ঘটনায় বহু শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকের গতকাল রোববার পরীক্ষা ছিল। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
এদিকে চবি শিক্ষার্থীর সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় শিক্ষার্থীদেরকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দেওয়া বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য উদয় কুসুম বড়ুয়াকে বহিষ্কার করেছে দলটি। রোববার বিকেলে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে তাকে বহিষ্কারের তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিসহ দলের নির্দেশনা অমান্য করে সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার জন্য গঠনতন্ত্রের বিধান মোতাবেক বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য উদয় কুসুম বড়ুয়াকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে, রোববার সকালে চবির শিক্ষার্থীদের ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিল তিনি।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনার তদন্ত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্র দল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নং গেটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি করেন।
অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী মোড়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এরপর জিরো পয়েন্টে এসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন ও শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসজুড়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গতকাল (৩১ আগস্ট) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার পরপরই বাকৃবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক, সদস্য সচিব এবং যুগ্ম আহ্বায়ক পৃথকভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদ জানান।
ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আতিকুর রহমান তার নিজস্ব ফেসবুক প্রোফাইলে লেখেন, ‘তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ষড়যন্ত্রের হয়নি শেষ, সজাগ থাকো বাংলাদেশ।’
সদস্য সচিব মো. শফিকুল ইসলাম লেখেন, ‘বহিরাগতদের হামলা এই ক্যাম্পাসে মানবো না। ১৯শে সেপ্টেম্বর বিসিএস প্রিলি পরীক্ষা। প্রিলি পরীক্ষার্থীরা হল ছেড়ে যাবে কোথায়? ছেলে–পেলেদের কিছু করে খেতে দেন।’
এ ছাড়া শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মো. তরিকুল ইসলাম তুষার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ধিক্কার জানাই এই প্রশাসনকে। অযোগ্য ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগ চাই।’
এদিকে, আজ (সোমবার) সকালে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের বাকৃবি শাখাও এক বিবৃতিতে এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে। বহিরাগতদের বর্বরোচিত হামলা এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস ও হল বন্ধের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সংগঠনটি।
বিবৃতিতে সংগঠনটির নেতারা বলেন, বহিরাগতদের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে আশ্রয় নিলেও সেখানে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। নারী শিক্ষার্থী হেনস্তাসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজন ময়মনসিংহের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ওপর এ ধরনের ন্যাক্কারজনক হামলা নিন্দনীয় ও অনভিপ্রেত। এই ঘটনার জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস ও হল বন্ধ ঘোষণা শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ অনাকাঙ্ক্ষিত ও অযৌক্তিক।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, যা প্রবল আশঙ্কার জন্ম দিচ্ছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়াও, গতকাল (রোববার) মধ্যরাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলার বিচার, ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার, শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরির দাবিতে বিবৃতি দিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের বাকৃবি শাখার নেতারা।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম আকাঙ্ক্ষা সন্ত্রাস–দখলদারিত্বমুক্ত গণতান্ত্রিক শিক্ষা অঙ্গন। কিন্তু আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা সে আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী। শত শহীদের রক্তের অর্জনকে এভাবে ভূলুণ্ঠিত হতে দেওয়া হবে না।
তারা আরও বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই অবিলম্বে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন, ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুন, ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে তাদের ন্যায্য দাবি মেনে নিয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনুন।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই বলে তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন।
আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, তিনি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে নির্বাচনের যে সময় ঘোষণা করেছেন সেই সময়ের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রেস সচিব জানান, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন— “কেউ যদি নির্বাচনের কোন বিকল্প নিয়ে ভাবে সেটা হবে এই জাতির জন্য গভীর বিপজ্জনক। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে উৎসবমুখর পরিবেশে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”
প্রফেসর ইউনূস জোর দিয়ে বলেছেন-অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠ নির্বাচন আয়োজন করা। প্রেস সচিব বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা বারবার উল্লেখ করেছেন যে, এ নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম সেরা নির্বাচন। ”
তিনি আরও জানান, বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জুলাই সনদ বাস্তবায়ন বিষয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন। এ সময় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. আলী রিয়াজ এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মুনির হায়দার প্রধান উপদেষ্টাকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন।
শফিকুল আলম বলেন, আজ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকগুলো খুবই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন নিয়ে নিজেদের উদ্বেগ ও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।
সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উদ্যাপনের বিষয় আলোচনায় উঠে আসে। দুর্গাপূজাকে ঘিরে কেউ যেন দেশে ষড়যন্ত্র বা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে সকল রাজনৈতিক দলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে প্রেস সচিব বলেন, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের চিকিৎসার জন্য ইতোমধ্যে বিশেষ মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে এবং প্রয়োজন হলে তাঁকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত রয়েছে সরকারের।
মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশের চাকরি পেয়ে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে জবেদা আক্তারের। বাবা-মায়ের আদর স্নেহ না পেয়ে বেড়ে ওঠা জবেদা আক্তার সরকারি চাকরি পেয়ে এবার নিজেই নিজের স্বপ্ন পূরণ করবেন। দেড় বছর বয়সে জবেদা আক্তারের বাবা-মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। প্রথমে বাবা মো: জামিনুর ও কয়েক বছর পরে মা মোছা: ঝর্না আক্তার অন্যত্র বিয়ে করে আলাদা সংসার শুরু করেন। বাবা-মা থেকে বিচ্ছিন্ন শিশু জবেদা আক্তারের ঠাই হয় নানা-নানীর কাছে। নানা জয়নাল, নানী মোছা: লাইলী ও মামাদের আশ্রয়ে বেড়ে উঠে জবেদা আক্তার। জামালপুরে এবারের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে চাকরি পেয়েছেন জবেদা আক্তার (১৮)।
নিজের যোগ্যতায় সরকারি চাকরি হওয়ায় স্বপ্ন পূরণে জবেদা আক্তারের চোখ বেয়ে অশ্রু বইছে। জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার দুরমুট নয়াপাড়া এলাকার জবেদা আক্তার বলেন, নানা-নানী ও মামার সংসারে থেকে লেখাপড়া করেছি। সেভাবে বাবা-মায়ের আদর পাইনি, তারা থেকেও যেন নেই, আমার চলার পথ সহজ ছিলো না। মেলান্দহ উপজেলার কলাবাধা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করে এখন স্থানীয় টনকি বাজারস্থ আলেয়া আজম কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীতে লেখাপড়া করছি। আমি ভাবিনি আমার সরকারি চাকরি হবে। বাড়ি থেকে একা একাই পুলিশ লাইন্সে এসেছি চাকরির পরীক্ষা দিতে, আমার সাথে কেউ আসেনি। এখন সবাইকে ফোন করে চাকরির বিষয়টি জানাচ্ছি। মাত্র ১২০ টাকায় চাকরি পেয়ে আমি অনেক খুশি, এখন থেকে আমার আনন্দের সময় শুরু- বেশ উচ্ছাস নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন জবেদা আক্তার।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চেংটিমারী গ্রামের মো: আবু তালেবের ছেলে কোরআনে হাফেজ মো: রুহেল মিয়া (১৯) পুলিশে চাকরি পেয়েছেন। তিনি জানান, এর আগে আরও দুই বার পরীক্ষা দিয়েছিলাম, আমি দেখেছি সবারই নিজ নিজ যোগ্যতায় চাকরি হয়েছে। তাই হাল ছাড়িনি, এবার আমি তৃতীয় বারের মত পরীক্ষা দিয়েছি এবং উত্তীর্ণ হয়েছি। এবার আমার চাকরি হয়েছে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই, আলহামদুলিল্লাহ। আমি ব্র্যাক স্কুল থেকে ৫ম শ্রেণী পাশ করে আমার এলাকার মাঠেরঘাট হাফেজিয়া মাদ্রাসা থেকে হাফেজ হয়েছি। এরপর গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের জামিয়া ইবনে আব্বাস কওমী মাদ্রাসায় পড়াশুনা করেছি। বর্তমানে আমি টঙ্গী সরকারি কলেজে ইসলাম শিক্ষা বিভাগে অনার্স ১ম বর্ষে অধ্যয়নরত।
মশিউর রহমান (১৯), আনোয়ার হোসেন (১৮), তাপসী তৃষা (২০) ছাড়াও আরও কয়েকজন পুলিশে নিয়োগপ্রাপ্তরা বলেন, এত স্বচ্ছ নিয়োগ হবে জানতাম না। ভাবতাম পুলিশে চাকরি নিতে অনেক তদবীর করতে হয়, লাখ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়। চাকরি হবে কিনা সংশয় ছিলো, তবুও পুলিশ লাইন্সে এসেছি নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে। কোন অনিয়ম, দুর্নীতি, তদবীর ও লেনদেন ছাড়াই মাত্র ১২০ টাকায় যোগ্যাত ও মেধায় পুলিশে চাকরি হয়েছে।
পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বলেন, ২৪ এর জুলাই বিপ্লব তথা ৫ই আগষ্টের পর সাধারণ মানুষ যে জনআকাঙ্খার পুলিশ চায় সেই পুলিশ গড়ে তুলতে হলে সবার আগে স্বচ্ছ নিয়োগ ব্যবস্থা দরকার। সারাদেশে এভাবেই স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় পুলিশে নিয়োগ হচ্ছে। আমরা অভিভাবকদের আহবান জানাবো তারা যেন তাদের সন্তানদের পুলিশে যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করেন। ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে এবার প্রায় ১ হাজার ৪শ জন চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেন। যাচই-বাছাই শেষে এদের মধ্যে মোট ৮০৩ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। সেখান থেকে ৭৩ জন মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেয়, তাদের মধ্যে মোট ৩২ জনের নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২৯ জন পুরুষ, ৩ জন নারী, একজনকে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে, অপেক্ষমান রয়েছে ৬ জন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট মনোনীত ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের জি এস প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটের শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করা হয়েছে। বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি শেখ তাহসান আলী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এই দিন ধার্য করেন।
এর আগে বামজোট মনোনীত প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক প্রার্থী বিএম ফাহমিদা আলম এই রিট করেন। রিটকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
আদালতের আজকের কার্যতালিকার ২৮৫ নম্বর ক্রমিকে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য রাখা হয়েছিল। তবে ব্যস্ত কার্যসূচির কারণে আদালত তাৎক্ষণিক শুনানি না করে মঙ্গলবার দিন নির্ধারণ করেন।
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে অগ্নিকাণ্ডে পড়লো দুইটি পিও জুতার ফ্যাক্টরি। পরবর্তীতে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
শনিবার (৩০ আগষ্ট) রাত পোনে ৯টার দিকে পৌর শহরের লক্ষীপুর এলাকার উসমান মোল্লার মার্কেটে অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সুত্রে জানা যায়, ভৈরব পৌর শহরের লক্ষ্রীপুর এলাকার উসমান মার্কেটের অগ্নিকান্ডে ঈগল পিও ফুটওয়ার ও চেইন্স পিও ফুটওয়ের ফ্যাক্টরির সকল যন্ত্রাংশ ও মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এছাড়া আগুন নেভাতে গিয়ে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ফায়ার সার্ভিস জানান বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এই আগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পরে। তবে কারখানা দুইটির কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতির হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। তবে ধারণা করা হচ্ছে প্রায় ১০ কোটি টাকার মালামাল ও সরঞ্জাম পুড়েছে।
স্থানীয় প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়, রাত পোনে নয়টা আগুন লাগে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে অনেক চেষ্টা করে রাত সাড়ে ১২ টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
স্থানীয় দোকানদার ইকরাম মোল্লা রানা বলেন,আমার দোকান হচ্ছে এই ফ্যাক্টরির বিপরীত পাশের এক কোণায়। যখন দেখতে পেলাম দুইটা লোক দৌড় দিয়ে এদিকে আসলো তখন আমি সামনে গিয়ে দেখি ফ্যাক্টরির দরজা জানালা বন্ধ কিন্তু ভিতরে আগুন দাঊ দাঊ করে ধরতেছে। সবাই ফায়ার সার্ভিসকে ফোন করার চেষ্টা করতেছে। কিন্তু কারও কাছে ফোন না থাকার কারণে সঠিক সময় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিতে দেরি হয়ে গেছে। যদি সঠিক সময় খবর দিতে পারতো তাহলে হয়তো বেশী আগুন লাগতো না।
ফ্যাক্টরি জায়গার মালিক আবুল বাশার বলেন, আগুন লাগার সাথে সাথেই ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। প্রথমে একটি টিম পরে আরো একটি টিম এসে কাজ করেন।
দেখাযায় আগুন প্রথমে চেইন্স ফ্যাক্টরিতে লাগে। আর ফ্যাক্টরিতে ঢোকার পরে দেখা যায় ধোয়া আর ধোয়া। পরে এই আগুন সাথের ঈগল ফ্যাক্টরি আগুন লাগলে পরে পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। তখন আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে গেছে। অনেক চেষ্টার পরে রাত সাড়ে বারোটায় নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে দেখা যায় স্থাপনা ছাড়া প্রায় ১০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হতে পারে।
ঈগল ফুটওয়্যারের সহকারী পরিচালক মো: সুহাস জানান, আরামকো, ঈগল ও চেইন্স তিনটি ফ্যাক্টরি একসাথে ছিলো। চেইন্স ফ্যাক্টরিতে ধোয়া দেখতে পেলে ফ্যাক্টরির মালিক পক্ষ না থাকায় ও ফ্যাক্টরি বন্ধ থাকায় সেখানে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভাতে দেরি হয়ে যায়। ততক্ষনে চেইন্স ফ্যাক্টরির সকল কিছু পুড়ে যায়। আর আমাদের ফ্যাক্টরিতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে আর সকল কিছু পুড়ে যায়। আমাদের প্রায় ৩-৪ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।
পাদুকা মালিক সমিতির সভাপতি মো: আল-আমিন মিয়া বলেন, আগুন লাগার খবর মোবাইল ফোনে জানতে পেরে তাড়াতাড়ি আসি। এসে দেখি দুটো ফ্যাক্টরি আগুনে পুড়ে সব শেষ হয়ে গেছে। এতে করে তাদের প্রায় ১০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হতে পারে। প্রায় সময় এসব ফ্যাক্টরিতে আগুন লাগে কিন্তু কেন এমন হয় তার কোন স্থায়ী সমাধান হয়নি। আমরা চায় যে এ-ই পর্যন্ত যতো ক্ষতি হয়েছে সরকার যেন একটু নজর দেয়।
পিও ফুটওয়্যার এসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক বাহারুল আলম বাচ্চু বলেন, খবর পেয়ে জানতে পেরে এসে দেখি আগুনে দুটো ফ্যাক্টরির সকল মালামাল পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। প্রায় ১০-১২ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সামনে শীতের সিজন হিসেবে তাদের অনেক মালামালের তৈরির কার্যক্রম ছিলো কিন্তু আগুনে সব শেষ। আমরা চাই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় এই ক্ষতি যেন অনুদানের মাধ্যমে পুষিয়ে দেয় সেই দাবী জানাচ্ছি।
ভৈরব ফায়ার সার্ভিস ওয়ারহাউজ ইন্সপেক্টর রাজন আহমেদ জানান, খবর পাওয়ার সাথে সাথেই আমাদের তিনটি ইউনিট আগুন নেভাতে চলে আসি। প্রায় দুই ঘন্টা পর আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছি। আগুনে দুটো ফ্যাক্টরি চেইন্স ফুটওয়্যার ও ঈগল ফুটওয়্যারের সকল কিছু পুড়ে শেষ হয়ে যায়। আর সামনের ৫-৬ টি দোকানের কিছু ক্ষতি হয়েছে। তবে দুটো ফ্যাক্টরির কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনো বলা যাচ্ছে না। এছাড়া কি কারণে আগুন লাগতে পারে তা এখন বলা যাচ্ছে না। তবে ধারণা করছি বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট কিংবা কোন মিশিনারিজ চালু হওয়া থাকলে হয়তো আগুন লাগতে পারে। পরে তদন্ত করে জানতে পারবো।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আজ রোববার বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিকেল ৩টায় তিনি বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করবেন। এরপর সাড়ে ৪টায় জামায়াতের সঙ্গে এবং সন্ধ্যা ৬টায় এনসিপির সঙ্গে বৈঠক হবে। শনিবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তাঁর প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
সর্বশেষ গত ২২ জুলাই বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি ও ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। গত ২১ জুলাই মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানিতে বিক্ষোভের পর দলগুলোকে বৈঠকে ডেকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে বলেন সরকারপ্রধান। পরের দুই দিনে আরও ২৫টি দল ও জোটের সঙ্গে বৈঠকে তিনি একই বার্তা দেন।
জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর গত বছরের ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। ১১ আগস্ট তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম বৈঠক করেন। পরবর্তী সময়ে যখনই রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, তখনই দলগুলোকে ডেকে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। গত এক বছরে বিএনপি এবং জামায়াত পাঁচবার করে বৈঠক করেছে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে।
শুক্রবার জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর পুলিশ ও সেনাসদস্যদের পিটুনিতে গুরুতর আহত হন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাবেক এই ভিপির মাথায় আঘাত লেগেছে, ভেঙেছে নাকের হাড়।
এ পরিস্থিতিতে দলগুলোকে আবার ডাকলেন প্রধান উপদেষ্টা। বিএনপি, জামায়াত এবং এনসিপির পর সামনে অন্য দলগুলোকেও বৈঠকে ডাকা হতে পারে। অতীতেও এ রীতি দেখা গেছে। গতকাল সরকারের বিবৃতিতে নুরের ওপর হামলার নিন্দা করে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার কথা বলা হয়েছে। বিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছে সরকার। জুলাই সনদ নিয়ে অনিশ্চয়তা এবং নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে বিরোধের কারণে ভোট নির্ধারিত সময়ে হবে কিনা– এ নিয়ে প্রশ্ন করছেন কেউ কেউ।
তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদও গতকাল বলেছেন, আল্লাহ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ঠেকানোর শক্তি কারও নেই।
বৈঠকে যাবেন বলে জানিয়েছেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব। জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, নির্বাচন ভণ্ডুলের জন্য রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করা যাচ্ছে। জামায়াতই প্রথম ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের দাবি তুলেছিল। নির্বাচনের সময় নিয়ে জামায়াতের আপত্তি নেই। তবে নির্বাচনের আগে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে। ভোট হতে হবে পিআর পদ্ধতিতে।
এর আগে প্রেস সচিব জানান, শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কয়েকজন উপদেষ্টার বৈঠক হয়। এতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টার স্বরাষ্ট্রবিষয়ক বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে নুরের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে আলোচনা হয়। এ বৈঠক থেকেই রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনায় ডাকার সিদ্ধান্ত হয়।
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে; জনগণের প্রতি যা অন্তর্বর্তী সরকারের একনিষ্ঠ অঙ্গীকার। নির্বাচন বিলম্বিত বা বানচাল করার জন্য সব ষড়যন্ত্র, বাধা অথবা প্রচেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকার এবং গণতন্ত্রপ্রেমী দেশপ্রেমিক জনগণ দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করবে।
সাম্প্রতিক সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের শহরগুলোর বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়তে দেখা গেছে। প্রায়ই আইকিউএয়ারের দেওয়া বিশ্বের দূষিত বাতাসের শীর্ষ শহরের তালিকার প্রথম সারিতে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন শহর দেখা যায়। আজ সে ধারা অব্যাহত রয়েছে, বায়ুদূষণে শীর্ষ পাঁচ শহরের চারটিই আজ মধ্যপ্রাচ্যের।
রবিবার (৩১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছিল সৌদি আরবের রিয়াদ। শহরটির একিইআই স্কোর ছিল ১৯৬। এই স্কোরের বাতাসকে বাসিন্দাদের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়।
আইকিউএয়ারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রিয়াদের ক্রমবর্ধমান নগর এলাকাগুলোতে আরও বেশি লবণাক্ত পানি শোধনের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। কিন্তু লবণাক্ত পানি শোধনাগারগুলো (ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্ট) গ্রিনহাউস গ্যাস উৎপাদন করে। তাছাড়া, তেলের উত্তোলনও বিপুল পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গত করে। সেইসঙ্গে বনও উজার করা হচ্ছে। এসব কারণে শহরটির বায়ুদূষণের মাত্রা দিনদিন বেড়েই চলেছে।
অন্যদিকে, দ্বিতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, কুয়েতের কুয়েত সিটি ও কাতারের দোহা। শহরগুলোর স্কোর যথাক্রমে ১৫৭, ১৪২ ও ১২৭। একই সময়ে ১৫৩ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে ছিল কঙ্গোর কিনশাসা।
এদিকে, বৃষ্টি কমতেই কয়েকদিন ধরে ঢাকার বাতাসের বাতাসের দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। আজ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। যদিও গতকালের একই সময়ের তুলনায় আজ দূষণ কিছুটা কমেছে, তবে ‘ভালো’ হয়ে ওঠার ধারেকাছেও যেতে পারেনি।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৮৮। এই স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার নবম স্থানে ছিল ঢাকা।
গতকাল একই সময়ে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৯৯। এই স্কোর ‘মাঝারি’ হলেও ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হওয়ার একেবারেই কাছাকাছি। ৯৯ একিউআই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকার অষ্টম স্থানে অবস্থান করছিল ঢাকা।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত বছরের আগস্টে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হওয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলাগুলোর চূড়ান্ত নিষ্পত্তি আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত ‘ডেল্টা কনফারেন্স ২০২৫’ শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বাসস-এর সঙ্গে আলাপকালে আজ শনিবার এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘চব্বিশের জুলাই-আগস্ট’ আন্দোলনে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, তার সঙ্গে অনেক পুলিশ সদস্য জড়িত। পুলিশকে দিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাতে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে আমাদের। অনেক আলামতও নষ্ট করে ফেলা হয়েছিল। তবে, আমরা ইতোমধ্যেই বিচার প্রক্রিয়া অনেকটাই এগিয়ে নিতে পেরেছি।’
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে মিলিয়ে এমনভাবে বিচার হচ্ছে, যা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি অচিরেই হবে।’
দেশবাসী ফেব্রুয়ারির আগেই শেখ হাসিনার বিচার দেখতে পাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন চিফ প্রসিকিউটর।
দেশের বতর্মান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে আলোচনা করতে আগামীকাল রোববার বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বৈঠক করবেন।
আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও নির্বাচন নিয়ে আগামীকাল বৈঠকে আলোচনা হবে। বিএনপি, জামায়াত এবং এনসিপির সঙ্গে বৈঠক ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা। আলাদাভাবে তিনটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের চিকিৎসার খোঁজখবর নিয়েছেন।
তিনি ফোনে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন এবং প্রয়োজনীয় সব ধরনের চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাসসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা নুরুল হক নুরুর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন এবং তার পরিবারকে সাহস রাখার পরামর্শ দেন।
এদিকে, নুরুল হকের চিকিৎসায় উচ্চপর্যায়ের মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।