বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’, জাতিসংঘের রেজুলেশনে যুক্ত হলো

১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৩:৩০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
কূটনৈতিক প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৩:১৭

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’ এই ঐতিহাসিক উক্তিটি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে রেজুলেশন আকারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বুধবার ‘ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার অব ডায়ালগ অ্যাজ এ গ্যারান্টি অব পিস-২০২৩’ শিরোনামে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ১৪তম অনুচ্ছেদে প্রস্তাব আকারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন এক বিবৃতিতে এ খবর জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, কোভিড-পরবর্তী বিশ্ব ব্যবস্থা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের প্ল্যানারিতে তুর্কমেনিস্তান এই রেজুলেশনটি উত্থাপন করলে সর্বসম্মতিতে গৃহীত হয়।

এতে লেখা আছে, ‘দারিদ্র্য, ক্ষুধা, রোগ, নিরক্ষরতা এবং বেকারত্বের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেয়া এবং গঠনমূলক সহযোগিতা, সংলাপ এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার চেতনায় সকলের সাথে বন্ধুত্ব এবং কারও সাথে বৈরিতা না করার বিষয়ে জোর দেয়া— এই উদ্দেশ্যগুলো অর্জনে সহায়তা করবে।’

এই বক্তব্যটি ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বঙ্গবন্ধুর প্রথম ভাষণের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল, যেখানে বঙ্গবন্ধু বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছিলেন।

বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ মোট ৭০টি দেশ এই রেজুলেশনে কো-স্পন্সর করে।

বিষয়:

উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে আকস্মিক বন্যার সতর্কতা

ফাইল ছবি।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে। আসন্ন এই হুমকির উল্লেখ করে বন্যা মোকাবিলায় স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্দেশে সতর্কতা জারিসহ বেশকিছু সুপারিশ করেছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি)।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর পরিচালিত এফএফডব্লিউসি পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছে।

সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলোর নদীগুলোতে পানির স্তর দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা বেশ কয়েকটি অঞ্চলে আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি তৈরি করছে।

নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মৌলভীবাজারসহ ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোর নদীর তীরে পানি উঠায় দ্রুতই প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আগামী ৪৮ ঘণ্টায় সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে প্রাক-বর্ষার পানিপ্রবাহ অতিক্রম করতে পারে। বাসিন্দাদের তাৎক্ষণিক সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

সবশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত থাকতে বাসিন্দারা বিডব্লিউডিবি বন্যা অ্যাপ এবং এফএফডব্লিউসি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে www.fwc.gov.bd ও www.ffwc.gov.bd/flashflood রিয়েল-টাইম আপডেট এবং বন্যার পূর্বাভাস ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও জরুরি প্রয়োজনে সমন্বয়ের জন্য হটলাইন ১০৯০ (টোল-ফ্রি) ও ০১৮৪১-০০২২৯৯ নম্বরে কল করতে পারেন।

বন্যাপ্রবণ এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে এবং তাদের সম্প্রদায়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারি নির্দেশিকা অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।


আইপিডিআই ফাউন্ডেশন হৃদরোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে: স্পিকার

ছবি: বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, আইপিডিআই ফাউন্ডেশন হৃদরোগ চিকিৎসায় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে দেশের স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।

তিনি বলেন, জীবন ধারণ পদ্ধতি পরিবর্তনের মাধ্যমে হৃদরোগ সমস্যার সমাধান করা যায়, তাই প্রত্যেক কমিউনিটিকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।

স্পিকার আজ রাজধানী ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের গ্রান্ড বলরুমে 'বাংলাদেশ লাইভ ২০২৪: আইপিডিআই কার্ডিওভাস্কুলার কনফারেন্স' এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী। আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের পরিচিতি তুলে ধরেন ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর ড. মহসিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ড. মো. তৌহিদুজ্জামান এমপি এবং প্রফেসর ড. প্রাণ গোপাল দত্ত এমপি বক্তব্য রাখেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের চিকিৎসাক্ষেত্রে অসাধারণ অবদান রেখে গেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জনসের দক্ষ চিকিৎসকরা কার্ডিওভাস্কুলার রোগের চিকিৎসায় নিরলস কাজ করে চলেছেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থপেডিক রিহ্যাবিলিটেশন এ দেশের মেডিকেল সেক্টরকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে।

স্পিকার বলেন, দেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তি এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, চিকিৎসকদের সংখ্যা রোগীদের তুলনায় অপ্রতুল হলেও দেশের মেধাবী ও দক্ষ চিকিৎসকরা রোগীদের সেবা দিচ্ছেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের চিকিৎসাক্ষেত্রের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। প্রত্যন্ত এলাকাতেও ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে টেলিমেডিসিন সেবা দেওয়া হচ্ছে। ১২ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে বিভিন্ন রোগের ৩২ ধরণের ঔষধ বিনামূল্যে রোগীদের মাঝে সরবরাহ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, কার্ডিওভাসকুলার রোগের চিকিৎসায় ডিজিটাল বিজ্ঞানকে কাজে লাগানো অত্যাবশ্যক। এই সেমিনার স্বাস্থ্যসেবায় ডিজিটাল বিজ্ঞানের সাথে ঐতিহ্যগত পদ্ধতির সেতুবন্ধন তৈরির একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করবে।

স্পিকার বলেন, কার্ডিওভাসকুলার রোগীর চিকিৎসায় এই সেমিনার উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে। সেমিনারে অংশগ্রহণকারীগণ নেটওয়ার্কিং এবং আইডিয়া শেয়ারের মাধ্যমে কার্ডিওলজি চিকিৎসাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এসময় স্পিকার ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজির বিকাশে অসাধারণ অবদানের জন্য প্রফেসর আবু জাফর, প্রফেসর মো. আমানুল্লাহ এবং সিঙ্গাপুর হার্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর তান হুয়ে চীমকে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের সদস্যবৃন্দ, দেশ ও বিদেশের কার্ডিওলজির ফ্যাকাল্টি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রফেসর ও শিক্ষার্থী, আমন্ত্রিত অতিথি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


বাংলাদেশ-সৌদির যৌথ উদ্যোগে ইউরিয়া সার কারখানার সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন

ছবি: বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে ইউরিয়া সার কারখানার সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তারা এখন কারিগরি বিষয় নিয়ে কাজ করছেন এবং বাংলাদেশের কারিগরি দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি’র সঙ্গে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সৌদি আরবের সহকারী জ্বালানি মন্ত্রী ইঞ্জিঃ মোহাম্মদ আল ইব্রাহিম এ কথা জানান।

আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার রাতে সৌদি আরবের সহকারী জ্বালানি মন্ত্রীর অফিস কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় তারা দুই দেশের মধ্যকার অংশীদারিত্বের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

বৈঠকে সৌদি সহকারী জ্বালানী মন্ত্রী বাংলাদেশকে তাদের জ্বালানি সহযোগিতার আগ্রহের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিলম্বিত অর্থপ্রদান পদ্ধতিতে অপরিশোধিত তেল কেনার যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে তা সৌদি সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে। বৈঠকে তারা জেভি পিএপি সার প্ল্যান্ট নিয়েও আলোচনা করেন।

একই দিনে উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সৌদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিআইএফ) এর চিফ অফ স্টাফ এবং বোর্ড অফ ডিরেক্টর্সের সেক্রেটারি জেনারেল সাদ আল কোরডের সাথেও তার অফিসে বৈঠক করেন।

এসময় পিআইএফ মহাসচিব উপদেষ্টাকে তার কার্যালয়ে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। মহাসচিব পতেঙ্গা বন্দরে সৌদি কোম্পানি রেড সি গেটওয়ে টার্মিনালের (আরএসজিটি) বিনিয়োগে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

এছাড়াও তারা বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী ৮০টি সৌদি কোম্পানির তালিকা শেয়ার করেন এবং পিআইএফ তাদের কোম্পানির মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক যাত্রায় যোগ দেবে বলে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বিশেষ সভায় যোগদান শেষে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি এসব দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন।


দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন কাল

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ মে, ২০২৪ ১৯:৩১
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলমান দ্বাদশ জতীয় সংসদের ২০২৪ সালের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায়। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে গত ১৫ এপ্রিল এ অধিবেশন আহ্বান করেন।

অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ ভবনে সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হবে। বর্তমান সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির এটিই হবে প্রথম বৈঠক। বৈঠকে আসন্ন অধিবেশনের মেয়াদ নির্ধারণ ছাড়াও আলোচ্যসূচি ও কার্যবিবরণী নিয়ে আলোচনা হবে।

অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিমণ্ডলী মনোনয়ন দেবেন। এরপর শোকপ্রস্তাব উত্থাপিত হবে। ঝিনাইদহ-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আবদুল হাই মৃত্যুবরণ করায় রেওয়াজ অনুযায়ী তার ওপর আনা শোকপ্রস্তাবের ওপর আলোচনা হবে। শোকপ্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর অধিবেশন মুলতবি করা হবে।

জুনে বর্তমান সরকার ও দ্বাদশ সংসদের প্রথম বাজেট অধিবেশনের আগে অনুষ্ঠেয় এ দ্বিতীয় অধিবেশন তেমন দীর্ঘ হবে না বলে জানা গেছে।

চলমান সংসদের কোনো সদস্যের মৃত্যুতে সংসদে শোকপ্রস্তাবের ওপর আলোচনা শেষে তার সম্মানে অধিবেশন মুলতবি করার রেওয়াজ রয়েছে।

এদিকে, আগামীকাল দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন উপলক্ষে সংসদে অধিবেশন চলাকালে জাতীয় সংসদ ভবন ও এর পাশ্ববর্তী এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

গতকাল মঙ্গলবার ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

আদেশে বলা হয়, আজ বুধবার রাত ১২টা থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সব ধরণের অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়াও যে কোন প্রকার সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষেধ করা হয়েছে।

যেসব এলাকায় এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে–

ময়মনসিংহ রোডের মহাখালী ক্রসিং থেকে পুরাতন বিমান বন্দর হয়ে বাংলামোটর ক্রসিং পর্যন্ত, বাংলামোটর লিংক রোডের পশ্চিম প্রান্ত থেকে হোটেল সোনারগাঁও রোডের সার্ক ফোয়ারা পর্যন্ত, পান্থপথের পূর্বপ্রান্ত থেকে গ্রীন রোডের সংযোগস্থল হয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত, মিরপুর রোডের শ্যামলী মোড় থেকে ধানমন্ডি-১৬ (পুরাতন-২৭) নম্বর সড়কের সংযোগস্থল, রোকেয়া সরণির সংযোগস্থল থেকে পুরাতন ৯ম ডিভিশন (উড়োজাহাজ) ক্রসিং হয়ে বিজয় সরণির পর্যটন ক্রসিং, ইন্দিরা রোডের পূর্ব প্রান্ত থেকে মানিক মিয়া এভিনিউ এর পশ্চিম প্রান্ত, জাতীয় সংসদ ভবনের সংরক্ষিত এলাকা এবং এই সীমানার মধ্যে অবস্থিত সবগুলো রাস্তা ও গলিপথ।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ২য় অধিবেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।

বিষয়:

শ্রমিকদের কল্যাণে বিশেষ নজর দেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ মে, ২০২৪ ১৭:১৪
বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কল-কারখানা মালিকদের প্রতি বিলাসিতা কিছুটা কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে বিশেষ নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আজ বুধবার দুপুরে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ঐতিহাসিক মহান মে দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে শ্রমিকরা তাদের কঠোর শ্রম দিয়ে উৎপাদন বাড়িয়ে মালিকদের জীবন জীবিকা উন্নত করা অথবা বিলাসবহুল জীবন যাপনের সুযোগ করে দিচ্ছে সেখানে তারা বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের দিকে বিশেষভাবে নজর দেবেন সেটাই আমি চাই।’

সরকার প্রধান বলেন, আমি জানি বাংলাদেশে কিছু ভাড়াটে লোক কথায় কথায় শ্রমিকদের নিয়ে রাস্তায় নামার চেষ্টা করে। এখন যে কারখানা আপনাদের ভাত কাপড়ের ব্যবস্থা করছে কাজের ব্যবস্থা করছে জীবন জীবিকার ব্যবস্থা করছে এই কারখানা নিজেরা যদি ধ্বংস করতে যান, ভাঙচুর করেন তাহলে ক্ষতিটা কার হচ্ছে? এতে নিজের যেমন ক্ষতি হচ্ছে, পরিবারের ক্ষতি হচ্ছে তেমনি দেশেরও ক্ষতি হচ্ছে। মালিকদেরও ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু মালিকদের তো আর একটা ব্যবসা থাকে না আরও অনেক ব্যবসা থাকে। তারা হয়তো ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু আপনাদের নিজেদের ক্ষতি তো আপনারা নিজেরা করেন।

তিনি আরও বলেন,‘আপনাদের যদি কোন অসুবিধা হয়, আমার দুয়ার আপনাদের জন্য সবসময় খোলা। আপনার আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। সেগুলো আমরা দেখব এবং আমাদের শ্রমিক সংগঠন ও রয়েছে।’

শ্রমিকদের শুধু নয় কৃষক, এমনকি বর্গা চাষীদের বিনা জামানতে ঋণ প্রদানের সুযোগ তার সরকার করে দিয়েছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, শিশু শ্রম বন্ধের উদ্যোগ সরকার নিয়েছে। আজকে শতকরা ৯৮ শতাংশ শিশু স্কুলে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের বৃত্তি দিচ্ছি, খাবারের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। বিনা মূল্যে বছরের প্রথম সপ্তাহে বই দিচ্ছি এবং কারিগরি ও ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্য ব্যাপকহারে বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দিয়েছি। এটা আগে ছিল না, আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর আমরা করেছি। যাতে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে।

শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমাদের বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ নেমে এসেছে। যা প্রায় ২ থেকে ৩ গুণ বেশি ছিল। কর্মসংস্থান ব্যাংকের উদ্যোক্তা সৃষ্টির জন্য যুবকদের বিনা জামানাতে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করেছি।

সরকার প্রধান বলেন, ‘কোন সমস্যা হলে সেটা বলবেন কিন্তু কারো প্ররোচনায় বা কারো উস্কানিতে যেটা থেকে নিজের রুটি-রুজি ও ভাত কাপড় আসবে সেটাকে যেন ধ্বংস করা না হয়। সেটার প্রতি আপনারা অবশ্যই যত্নবান বান হবেন। আর মালিকদেরকে বলবো আপনারা আপনাদের বিলাসিতার কিছু অংশ ছেড়ে দিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণ দেখবেন।’

তিনি এ সময় ক্রেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, এখন তো সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। কাজেই আপনারা যদি পণ্য মূল্য কিছুটা বাড়িয়ে দেন, তাহলে আমি নিজেও মালিকদের আরও চাপ দিতে পারি আমাদের শ্রমিকদের সুবিধা দেওয়ার জন্য। আমি আশা করি আইএলও শুধু শ্রমিক নয়, মালিকদের এই বিষয়ও দেখবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশেও নারীরা পুরুষের সমান মজুরি পায় না কিন্তু বাংলাদেশে পাচ্ছে। বর্তমানে আমাদের কর্মজীবী মহিলার সংখ্যা ৪৩.৪১ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা ছিল মাত্র ২২.৮১ ভাগ। এখন মেয়েরা সর্বক্ষেত্রে কাজ করতে পারছে, সে সুযোগ আমরা সৃষ্টি করে দিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী এর আগে কয়েকটি শ্রমিক পরিবারের নিকট আর্থিক সহায়তার চেক হস্তান্তর করেন। পরে তিনি বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এইচ এম ইব্রাহিম, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর তুওমো পুতিয়ানেন, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি আরদাশির কবির ও জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নূর কুতুব আলম মান্নান আলোচনায় অংশ নেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব হোসেন।


৭ জেলায় বইছে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

৭ জেলায় বইছে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস। বুধবার (১ মে) নিয়মিত বুলেটিনে সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার বার্তায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।

এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এতে আরও বলা হয়- যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা, রাজশাহী, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার উপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এদিকে, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ, নওগা, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

এছাড়া দেশের অন্যত্র মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। অধিদপ্তর জানিয়েছে, সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে আবহাওয়া অফিস জানায়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

গতকালকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় যশোরে এবং আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় দিনাজপুরে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ৫৩ মিলিলিটার রেকর্ড করা হয় সিলেটে।


প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফর নিয়ে কাল সকালে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন

ছবি: বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল সকালে তাঁর সাম্প্রতিক থাইল্যান্ড সফরের ফলাফল সম্পর্কে প্রেস ব্রিফিং করবেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে ‘বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।’

থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী ২৯ এপ্রিল ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরেছেন।

সফরকালে শেখ হাসিনা গভর্ণমেন্ট হাউসে (থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত বিষয় এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) আলোচনার বিষয়ে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি সই হয়।

পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রাণী সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

এছাড়াও, তিনি ব্যাংককের জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন।


আইএমএফের প্রতিবেদন: প্রবৃদ্ধি অর্জনে চীন, মালয়েশিয়ার চেয়েও এগিয়ে বাংলাদেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জনের দৌড়ে চীন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডসহ আরও অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। প্রবৃদ্ধির দোড়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতের পরেই থাকবে বাংলাদেশের অবস্থান। ভারতের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ।

গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর ‘রিজিওনাল ইকোনমিক আউটলুক, এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চল’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশের জন্য আগের পূর্বাভাস থেকে দশমিক ৩ শতাংশ কমিয়েছে। এর আগে আইএমএফ বলেছিল, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৬ শতাংশ। আলোচ্য প্রতিবেদনে ওই প্রবৃদ্ধির হার কমিয়ে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ করেছে।

আইএমএফ প্রতিবেদনে বলা হয়, ডলার সংকটে আমদানি ব্যাহত হওয়ায় ও মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি অনুসরণ করায় অনেক দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতি প্রত্যাশার চেয়ে কম হয়েছে। যে কারণে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা আগের তুলনায় কমানো হয়েছে।

আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি আরও বলেছে, গত অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ শতাংশ। এবারও ৬ শতাংশের প্রক্ষেপণ করা হয়েছিল। কিন্তু অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতি প্রত্যাশার তুলনায় কম হওয়ায় প্রবৃদ্ধির হারও কমবে। আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে।

এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অনেক দেশের চেয়ে বেশি হবে। এর মধ্যে চীন, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের চেয়ে বেশি হবে বাংলাদেশের। তবে ভারত ও ভিয়েতনামের চেয়ে কম হবে।

চলতি বছরে চীনের প্রবৃদ্ধি হবে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ, ভারতের ৬ দশমিক ৮ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ৫ শতাংশ, মালয়েশিয়ার ৪ দশমিক ৪ শতাংশ, মিয়ানমারের প্রবৃদ্ধি হবে দেড় শতাংশ, নেপালের ৩ দশমিক ১ শতাংশ, ফিলিপাইনের ৬ দশমিক ২ শতাংশ, থাইল্যান্ডের ২ দশমিক ৭ শতাংশ, ভিয়েতনামের ৫ দশমিক ৮ শতাংশ।

শ্রীলংকা ইতোমধ্যে অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরলেও আইএমএফ তাদের ব্যাপারে প্রবৃদ্ধির কোনো পূর্বাভাস দেয়নি।


মহান মে দিবস আজ

কার্গোশিপ থেকে নির্মান সামগ্রী নামাচ্ছেন শ্রমিকেরা। রাজধানীর গাবতলি এলাকা থেকে মঙ্গলবার তোলা ছবি। ছবি: সৈয়দ মাহামুদুর রহমান
আপডেটেড ১ মে, ২০২৪ ০০:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের ঐতিহাসিক দিন আজ। শ্রমিকদের আত্মত্যাগের এই দিনকে সারা বিশ্বে একযোগে ‘মহান মে দিবস’ হিসেবে পালিত হবে। ১৮৮৬ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা শ্রমের উপযুক্ত মূল্য ও দৈনিক অনধিক আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে আন্দোলনে নামেন। ওই দিন আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর পুলিশ গুলি চালায়। এতে অনেক শ্রমিক হতাহত হন। তাদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে দৈনিক কাজের সময় আট ঘণ্টা করার দাবি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর পর থেকে দিনটি মে দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। দিবসটির এবারের নির্ধারিত প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক মালিক গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ।’

মহান মে দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। মহান দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বের শ্রমজীবী মেহনতি মানুষকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়েছে।

বিশ্বের দেশে দেশে পালিত হয়ে আসছে মহান মে দিবস। দিবসটি হয়ে ওঠে বিশ্বের সকল শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের চিরঞ্জীব অনুপ্রেরণার দিন।

আজকের আধুনিক সভ্যতার ভিত্তি হলো শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের নিরলস পরিশ্রম। হাজার বছর ধরে শ্রমজীবী মানুষের রক্ত-ঘামে যে মানবসভ্যতার উৎকর্ষ সাধিত হয়েছে তা থেকে সেই শ্রমজীবী জনগোষ্ঠীই থেকেছে উপেক্ষিত। আজকের উন্নত-সমৃদ্ধ পৃথিবীর কারিগর এসব অবহেলিত, নির্যাতিত, নিপীড়িত, অধিকার বঞ্চিত শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ে অব্যাহত রয়েছে নিরন্তর সংগ্রাম। সময়ের পরিক্রমায় ‘অধিকার’ শব্দটির সুদৃঢ় শক্তি সামাজিক ও রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনা, ধ্যান-ধারণা ও দর্শনকে প্রভাবিত করেছে এবং পরিবর্তন সাধিত করেছে। শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনের প্রবণতা পৃথিবীর দেশে দেশে অধিকার বঞ্চিত মেহনতি মানুষের মধ্যে এক নবতর জাগরণের প্রস্ফুটন ঘটায়।

শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন-সংগ্রামের পথপরিক্রমায় গতিশীল হয়েছে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় গণতান্ত্রিক আদর্শের অগ্রযাত্রা। স্বাধীনতা, সাম্য, ভ্রাতৃত্ববোধে সঞ্চারিত হয়েছে বিশ্বের বিবেকমান নাগরিকদের মানবিকসত্তায়। মানবাধিকার, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও মানবিক বিশ্বের আদর্শ প্রতিষ্ঠায় মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে শ্রমজীবী মানুষের আত্মনিবেদন।

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন লাঞ্ছিত-নিপীড়িত শোষিত-বঞ্চিত-অবহেলিত গরিব-দুঃখী মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের দৃঢ় সংকল্পে বাঙালি জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল আদর্শের আনুসারী নেতা-কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত হয় আওয়ামী লীগ। জন্মলগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ এ দেশের শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম চালিয়ে আসছে। স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন শোষিত-বঞ্চিত নির্যাতিত-নিপীড়িত মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যেমন ছিলেন বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার, তেমনি তিনি ‘দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর’ জন্য ছিলেন নিবেদিত প্রাণ। বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে এ দেশের শ্রমজীবী মানুষ গৌরবোজ্জ্বল বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।

স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে মে দিবস পালন শুরু হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের প্রতি সম্মান জানিয়ে ১ মে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধু পরিত্যক্ত কল-কারখানা জাতীয়করণ করে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী ও শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। ফলে সে সময় হাজার হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়। জাতির পিতা দীপ্ত কণ্ঠে উচ্চারণ করেছিলেন, ‘বিশ্ব আজ দুই ভাগে বিভক্ত। একদিকে শোষক, অন্যদিকে শোষিত। আমি শোষিতের দলে।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যখনই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তখন শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে গ্রহণ করেছেন বহুমাত্রিক উদ্যোগ। ব্যাপক শিল্পায়নের মধ্য দিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, গণতান্ত্রিক শ্রমনীতি প্রণয়ন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় নামে দুটি স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় সৃষ্টি, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ও কর্মংসংস্থান ব্যাংকের মাধ্যমে শ্রমজীবী মানুষের সহায়তা প্রদান, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গড়ে তোলার সুযোগ সম্প্রসারিত করাসহ শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে অসংখ্য কল্যাণকর উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়।

আওয়ামী লীগ মনে করে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষই দেশের উন্নয়নের প্রধান চালিকাশক্তি। শ্রমজীবী মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। বাংলাদেশ উন্নীত হয়েছে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে। আর তাদের নিরবচ্ছিন্ন পরিশ্রমের মধ্যেই নিহিত রয়েছে দেশের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ। মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির সব প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের মহিমান্বিত আত্মত্যাগের ইতিহাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে অনুপ্রেরণার চিরন্তন আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবে। মহান মে দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ প্রতি বছর বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে থাকে।

মহান মে দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শ্রমিক সমাবেশ, শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

মহান মে দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে জাতীয় পত্রিকাগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো দিনটি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান ও টকশো সম্প্রচার করবে।

মহান মে দিবস উপলক্ষে আগামীকাল সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখবেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন শ্রম ও কর্মসস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন ও কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে দুস্থ শ্রমিকদের আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান করা হবে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

এ ছাড়া শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার মাঠপর্যায়ের কার্যালয়গুলো জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে এ দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করবে। বিভিন্ন সড়ক দ্বীপ ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড দ্বারা সজ্জিত করা হবে।

মহান মে দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার বিকেল ৩টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে জাতীয় শ্রমিক লীগের উদ্যোগে এক শ্রমিক জনসভা হবে। জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।


দেশে সর্বোচ্চ ১৬,৪৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৬,৪৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রাত ৯টায় এ বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।

বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, বর্তমানে দেশব্যাপী চলছে তীব্র তাপদাহ। এই মুহূর্তে বিদ্যুৎ বিভাগ জনজীবনে স্বস্তি বজায় রাখতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনে কাজ করে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, এর আগে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড ছিল গত ২২ এপ্রিল। সে সময় রাত ৯টায় ১৬,২৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। এ বছর গরমে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ১৭ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট হতে পারে বলে ধারণা করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। বর্তমানে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ২৫ হাজার ৪৯১ মেগাওয়াট।


সর্বোচ্চ আনুগত্য নিয়ে কাজ করতে হবে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশে যে বুনিয়াদ, সেটি ঠিক রেখে রাষ্ট্রের প্রতি, দেশের প্রতি সর্বোচ্চ আনুগত্য নিয়ে কাজ করার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। আজ মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ৪১তম বিসিএস (তথ্য) ক্যাডারে নবযোগদানকৃত কর্মকর্তাদের পরিচিতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। ওই সময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. কাউসার আহাম্মদ, মো. মজিবুর রহমান ও তন্ময় দাস, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সুফী জাকির হোসেন, পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যে চিন্তা-চেতনা ও আদর্শ সামনে রেখে বাংলাদেশের জন্ম, সেটার প্রতি আমাদের সবার আনুগত্য থাকা বাঞ্ছনীয়। একটা দেশ তার সংজ্ঞা তৈরি করে, সে কী রকম দেশ হবে। বাংলাদেশের সংজ্ঞা তৈরি হয়ে গেছে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। এ স্বাধীন দেশে ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ নির্যাতিত মা-বোনের সম্ভ্রমের ওপর দাঁড়িয়ে যে সংজ্ঞা নির্ধারণ হয়েছে, সেই সংজ্ঞার ওপর আমাদের অটল থাকতে হবে। এই মূল জায়গায় অর্থাৎ বাংলাদেশ প্রশ্নে, বাংলাদেশের জন্মের প্রশ্নে কোনো আপস করা যাবে না। এটিকে দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে চিন্তা করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র, দেশ সবার আগে। রাষ্ট্রের স্বার্থ সংরক্ষণ সরকারি কর্মকর্তাদের মূল দায়িত্ব। তবে গণতান্ত্রিক একটি রাষ্ট্র কাঠামোতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দল ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে সরকার গঠন করে। সে দলের যে ভিশন বা ইশতেহার থাকবে, সেটা বাস্তবায়নের একটা দায়বদ্ধতা অবশ্যই থাকতে হবে। তবে, আইন-কানুন, বিধি ও পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, সরকারের যেকোনো পর্যায়ে স্বজনপ্রীতির ঊর্ধ্বে উঠে পেশাদারত্বের সঙ্গে, ন্যায্যতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি। একই সঙ্গে দেশের স্বার্থে আপসহীন দৃষ্টিভঙ্গি থাকা দরকার। নবযোগদানকৃত কর্মকর্তাদের এ বিষয়গুলো অনুশীলনের মাধ্যম শিখতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, যারা সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পেয়েছেন, তারা প্রজাতন্ত্রের সেবক হয়ে গেছেন। রাষ্ট্রের মালিক পক্ষ অর্থাৎ জনগণের সেবক হয়ে গেছেন। সে চিন্তাধারা নিয়ে নবীন কর্মকর্তাদের কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, যেকোনো প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা খুবই জরুরি। নবীন কর্মকর্তাদের প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ও পদক্রমিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। প্রশাসনিক কাজের মধ্যে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থাকা যাবে না, কিন্তু সরকারের ভিশন বাস্তবায়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে হবে। সুন্দরভাবে এই সমন্বয় করাটা সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য খুবই জরুরি।


শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘনে জরিমানার পরিমাণ বাড়ছে: আইনমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘনে মালিকদের শাস্তি বাড়ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, কারখানার মালিকদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে, তাদের বিচার হচ্ছে। যারা শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘন করে তাদের সাজা নিয়ে আইনে একটি ধারা আছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে জরিমানা ৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করা হবে। মালিক-শ্রমিক ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলাপ করেই এটা করা হবে।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, আইএলও থ্রেশহোল্ড কমিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছে। আগে ২০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছিলাম, যেখানে তিন হাজার বা তার ওপরে শ্রমিক আছে সেখানকার জন্য প্রযোজ্য হওয়ার কথা।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এটা আমরা সংশোধন করে সব কারখানার জন্য ১৫ শতাংশ থ্রেশহোল্ড অর্থাৎ ১৫ শতাংশ শ্রমিক রাজি হলেই একটি ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করতে পারবে। আমরা আইএলওর সেই প্রস্তাব মেনে নিয়েছি এবং সেটা অন্তর্ভুক্ত করছি। ১৫ শতাংশে তারা (আইএলও) এখন রাজি হয়েছে।’

শ্রম আইন সংশোধনের আগে আইএলও প্রতিনিধিদের সঙ্গে কয়েকটি বৈঠক করেছেন আনিসুল হক। এসব বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন।

আনিসুল হক বলেন, ‘আমরা কোনো দরকষাকষির মধ্যে নেই। আইএলওতে শ্রমিকদের অধিকার যাতে রক্ষা হয় তা নিয়ে আলোচনা হয় এবং সেটা নিয়েই সব সময় তাদের বক্তব্য থাকে। শ্রম আইন আমরা সংশোধন করছি। গত সংসদে এটি সংশোধন করার পর রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়েছিল। কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকায় এটি ফেরত আনা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘শ্রম আইন যখন প্রণয়ন করা হয় সারা বিশ্বের বেস্ট প্র্যাকটিসগুলো আমরা অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করি। সেই বেস্ট প্র্যাকটিস অন্তর্ভুক্ত করার যে চেষ্টা সেখানে কিন্তু আইএলওর একটি কন্ট্রিবিউশন থাকে।’

বাংলাদেশের শ্রমিক অধিকার নিয়ে ২০১৯ সালে আইএলওর গভর্নিং বডিতে নালিশ পড়েছিল জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে যে অহেতুক নালিশ করা হয়েছে সেটি শেষ হওয়া উচিত। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের শ্রম আইন নিয়ে কথা বলতে আমরা তাদের (আইএলও) সঙ্গে বসেছিলাম। শ্রম আইন সংশোধনের আগ পর্যন্ত স্টেকহোল্ডার এবং যেসব আন্তর্জাতিক সংস্থা শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কথা বলে তাদের কথা শুনব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আইএলওর সাজেশন শুনেছি। সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী ৭ মে আইএলও তাদের সাজেশন শ্রম মন্ত্রণালয়ের টেকনিক্যাল কমিটিতে উপস্থাপন করবে। ১২ মে আমরা সেটা সম্পূর্ণ করার জন্য সভা ডাকব।’


কবর খুঁড়ে লাশ ও কঙ্কাল চুরি বন্ধে কেন পদক্ষেপ নেওয়া হবে না: হাইকোর্ট

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

কবর খুঁড়ে লাশ ও কঙ্কাল চুরি বন্ধে কেন পদক্ষেপ নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একই সঙ্গে কবরস্থানগুলো যথাযথ তদারকি ও সুরক্ষায় একটি সর্বজনীন আইন প্রণয়ন করা কেন হবে না- রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থার (মওসুস) পক্ষে সংগঠনের চেয়ারম্যান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গোলাম রহমান ভূঁইয়া গত ১৪ মার্চ রিটটি দায়ের করেন। কবর খুঁড়ে লাশ ও কঙ্কাল চুরি রোধে মরদেহ সুরক্ষায় আইন তৈরির নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয় বলে জানান তিনি।

রিটে স্বরাষ্ট্রসচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী গোলাম রহমান ভূঁইয়া নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

অ্যাডভোকেট গোলাম রহমান ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘সিটি করপোরেশন এলাকা ও আঞ্চলিক এলাকার কবরস্থান থেকে লাশ ও কঙ্কাল চুরির ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে। এ বিষয়ে প্রায়শই বিভিন্ন গণমাধ্যমে সেই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তাই কবরস্থানগুলো সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশনা চেয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।’


banner close