বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

এস এ মালেকের মৃত্যুতে গভীর শোক রাষ্ট্রপতির

প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৩:৩৬

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা, সাবেক সংসদ সদস্য ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এস এ মালেক এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

এক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, ডা. এস এ মালেক বাংলাদেশের ভাষা আনন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও সকল গণতান্ত্রিক আনন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন, তার মৃত্যুতে দেশ একজন বরেণ্য ব্যক্তিকে হারাল।

রাষ্ট্রপতির মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে মারা যান এস এ মালেক


ঢাকায় চীনের ভিসা সেন্টার চালু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের মানুষকে ভিসা-সংক্রান্ত আরও উন্নত সেবা দিতে ঢাকায় ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার চালু করেছে চীনা দূতাবাস। এই সেন্টার চালু হওয়ার ফলে সাধারণ পাসপোর্টধারীদের ভিসার জন্য আর দূতাবাসে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানী কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের প্রাসাদ ট্রেড সেন্টারের তৃতীয় তলায় এই ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের উদ্বোধন করেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।

অনুষ্ঠানে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সব পর্যায়ে সম্পর্ক দিন দিন বাড়ছে। দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক বাড়ছে। সে কারণে চীনা ভিসা আরও সহজীকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে এই ভিসা সেন্টার চালু করা হলো।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়) তৌফিক হাসান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫২ সালে চীন সফর করেন। তিনি ‘আমার দেখা নয়া চীন’ বইয়ে তার সেই অভিজ্ঞতা লিখেছেন। আমাদের দেশের জনগণেরও চীন সম্পর্কে আগ্রহ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, চীনের এই নতুন স্মার্ট সেন্টারের মাধ্যমে ভিসা পাওয়া আরও সহজ হবে। ভিসা সহজ হলে দুই দেশের জনগণের সম্পর্ক আরও বাড়বে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

ঢাকার চীনা দূতাবাস জানায়, ভিসা সেন্টার চালুর পর থেকে বাংলাদেশের সাধারণ পাসপোর্টধারীরা এখানে ভিসার আবেদন জমা দিতে পারবেন। তবে কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের ভিসার আবেদন দূতাবাসে গিয়েই করতে হবে।

ছুটির দিন ছাড়া রবি থেকে বৃহস্পতিবার ভিসা সেন্টার খোলা থাকবে। আবেদন জমা এবং ফি জমা দেওয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত। আর পাসপোর্ট সংগ্রহের সময় সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা।

আবেদনকারীকে ভিসা আবেদন কেন্দ্রের ওয়েবসাইটে (www.visaforchina.cn) লগ ইন করে অনলাইনে আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়) তৌফিক হাসান, অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) সভাপতি এস এন মঞ্জুর মোর্শেদ মাহবুব প্রমুখ।


এক বন্ধুরাষ্ট্রকে খুশি করতে অন্যের বিরাগভাজন হতে পারি না: সেনাপ্রধান

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এক বন্ধুরাষ্ট্রকে খুশি করতে গিয়ে অন্য রাষ্ট্রের বিরাগভাজন হতে পারি না। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইস্কাটনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে প্রতিরক্ষা কূটনীতি বিষয়ক এক সেমিনারে মিয়ানমারের সঙ্গে সামরিক সম্পর্কের প্রসঙ্গে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সেনাপ্রধান বলেন, মিয়ানমারের নেতৃত্বের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। কিন্তু আপনারা জানেন, মিয়ানমারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাটা নিজেদের ঝুঁকিতে ফেলে দেওয়ার মতো। কারণ, সব দেশই আমাদের বন্ধু। কাজেই একটি বন্ধুরাষ্ট্রকে খুশি করতে গিয়ে অন্য রাষ্ট্রের বিরাগভাজন হতে পারি না। এই বাস্তবতা আমাদের বিবেচনায় রাখতে হয়। নিরপেক্ষতা বজায় রেখে এমন অবস্থায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষে যেটুকু করা সম্ভব, তা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, যেকোনো দেশের জাতীয় নীতিই নির্ধারণ করে, কেমন হবে প্রতিরক্ষা কূটনীতি। এটি অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। তবে একা একা সফলতা অর্জন করা অসম্ভব। কীভাবে সবার সঙ্গে সহযোগিতা করা যায়, সেটি হচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ।

এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, অভিপ্রায় হঠাৎ করে বদলে যেতে পারে, কিন্তু সক্ষমতা হঠাৎ করে বদলায় না। আজ একজন বন্ধু আছে কিন্তু কাল সে বন্ধু নাও থাকতে পারে। জাতীয় স্বার্থ ও মাতৃভূমি সুরক্ষার জন্য আমাদের তৈরি থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সামরিক বাহিনীর মূল কাজ হচ্ছে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। আমরা এটি কখনও ভুলি না। আমরা সব সময় এর জন্য তৈরি।

তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সামরিক বাহিনীর পুনর্গঠনের সক্ষমতা আছে। জাতীয় স্বার্থ ও বিশ্ব শান্তি রক্ষায় সামরিক বাহিনী সদাপ্রস্তুত এবং জাতিসংঘের শান্তিরক্ষায় সঠিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। বৈদেশিক নীতি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তার সর্বোচ্চটুকু করছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিআইআইএসএসের চেয়ারম্যান এবং রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গওসোল আযম সরকার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইআইএসএসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আবু বকর সিদ্দিক খান। সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

সেমিনারে চারটি বিষয়ভিত্তিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। এসব প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম আলী আশরাফ, বিআইআইএসএসের রিসার্চ ফেলো এ এস এম তারেক হাসান শিমুল, দক্ষিণ সুদান জাতিসংঘ মিশনের সাবেক ডেপুটি ফোর্স কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব.) মাইন উল্লাহ চৌধুরী এবং ব্রুনাইয়ের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) মাহমুদ হোসেন। অধিবেশন শেষে একটি মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রবন্ধ উপস্থাপক ও আলোচকরা বলেন, একটি দেশের বৈদেশিক ও নিরাপত্তা নীতির উদ্দেশ্য পূরণে এবং কূটনৈতিক সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রতিরক্ষা কূটনীতি একটি কার্যকর কূটনৈতিক হাতিয়ার এবং সংকট প্রতিরোধের ব্যবস্থা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বাংলাদেশের দৃষ্টিকোণ থেকে প্রতিরক্ষা কূটনীতিকে বিশ্বশান্তি রক্ষার্থে সশস্ত্র বাহিনীর ব্যবহার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা দেশের জাতীয় স্বার্থ ও পররাষ্ট্র নীতির লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে।

তারা আরও বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সশস্ত্র বাহিনীর অংশগ্রহণ প্রতিরক্ষা কূটনীতির একটি দৃষ্টান্ত। এটি বাংলাদেশকে বৈশ্বিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতি তার প্রতিশ্রুতি প্রদর্শনের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী এর গুরুত্ব ও প্রভাব বৃদ্ধি করার সুযোগ করে দিয়েছে। বাংলাদেশের কূটনৈতিক অঙ্গনে প্রতিরক্ষা কূটনীতির ধারণা ও আবেদন বিস্তৃত হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-সংস্থার পদস্থ কর্মকর্তা, বিদেশি দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধি, সামরিক কর্মকর্তা, সাবেক কূটনীতিক, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের প্রতিনিধি এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্ব অংশ নেন। তারা মুক্ত আলোচনায় তাদের মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন।


মুজিবনগর সরকার এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা একই সূত্রে গাঁথা: রাষ্ট্রদূত ইমরান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণের ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মরণ করে আজ (বুধবার) ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব মোহাম্মদ ইমরান কর্তৃক দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্ণারে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচী শুরু হয়। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পরে বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান মিনিস্টার (কর্মাস) মোঃ সেলিম রেজা ও ফার্স্ট সেক্রেটারি অহিদুজ্জামান নুর।

এরপর ‘মুজিবনগর: বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী’ শীর্ষক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে ‘বাংলাদেশের অভ্যূদয়ে মুজিবনগর সরকার’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারের আলোচনায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রদূত ইমরান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা এবং ত্রিশ লক্ষ শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, মুজিবনগর দিবস বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অনন্য এক দিন এবং মুজিবনগর বাঙালি জাতির বীরত্বের প্রতীক।

তিনি আরো বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানের ক্ষেত্রে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠা, দক্ষতা এবং আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করেছে এবং স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক মতামতকে সুসংহত করেছে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, মুজিবনগর সরকার ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা একই সূত্রে গাঁথা, এবং মুজিবনগর সরকারের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সকল ক্ষেত্রে অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এই সাফল্য গাঁথা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রদূত ইমরান বাঙালি জাতির হাজার বছরের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস নতুন প্রজন্মসহ সকলের ভালোভাবে জানার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এটি জাতিকে মাথা উঁচু করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শক্তি ও প্রেরণা জোগাবে।

তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে একসাথে কাজ করার অনুরোধ জানান।

কাউন্সেলর (পলিটিক্যাল) আরিফা রহমান রুমা সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং ঐতিহাসিক এই দিবসের প্রেক্ষাপট ও গুরুত্ব বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।

তিনি মন্তব্য করেন বাংলার শোষিত, নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের মুক্তির আকাঙ্ক্ষাকে সঠিক খাতে প্রবাহিত করে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক সমর্থনের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন ছিল মুজিবনগর সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য।

এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধে জীবনদানকারী সকল শহীদের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত এবং বাংলাদেশের উত্তরোত্তর শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে একটি বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচী শেষ হয়। কর্মসূচী পরিচালনা করেন ফার্স্ট সেক্রেটারি আতাউর রহমান।


নিজেদেরকেই নিজস্ব খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের পোলট্রি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে নিজেদেরই নিজস্ব খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি চাই বেসরকারি খাত এগিয়ে আসুক। বেসরকারি খাতকেই উদ্যোক্তা হিসেবে দেখতে চাই। তাদের সবরকম সহযোগিতা করতে চাই। এর ফলে আমার দেশের মানুষের কর্মসংস্থান বাড়বে। আমরা তাই চাই।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের (বিআইসিসি) পাশে শেরেবাংলা নগরের পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‘প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৪’-এর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, এটা দুর্ভাগ্যের বিষয় যে, বাংলাদেশ বিস্তীর্ণ সমুদ্রসীমা অর্জন করলেও এখনো গভীর সমুদ্র থেকে সম্পদ আহরণ করতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘আসলে আমরা এ উদ্দেশ্যে কোনো উদ্যোক্তা পাচ্ছি না। এটাই বাস্তবতা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বেসরকারি খাতকেই বেশি উৎসাহিত করতে চাই। তাদেরকেই বেশি সুবিধা দিতে চাই। কারণ এগুলো সব সরকারিভাবে হয় না। এটা বেসরকারি খাতে হলে তাতে কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হয়। আমাদের শিক্ষিত যুব সমাজ এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আসুক সেটাই আমরা চাই।

তার সরকারের দেওয়া সুযোগ-সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে যুব সমাজকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে ওঠার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শুধু একটা পাস করে চাকরির পেছনে না ছুটে যুব সমাজ যদি নিজের উদ্যোগে একটু ব্যবসা-বাণিজ্য করে তাহলে কিন্তু আমরা যথেষ্ট এগিয়ে যেতে পারব। এসব ক্ষেত্রে আমাদের যুব সমাজকে এগিয়ে আসার জন্য আরও উৎসাহিত করতে হবে, যাতে কখনো আমাদের কারও ওপর নির্ভরশীল হতে না হয়। খাদ্য নিরাপত্তার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের নিজস্ব পুষ্টির ব্যবস্থা আমরা নিজেরাই করতে পারি, সে বিশ্বাস আমার আছে।

প্রধানমন্ত্রী উৎপাদন বৃদ্ধিতে গবেষণার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, এ ক্ষেত্রে আমাদের গবেষণা আরও বাড়াতে হবে। আজ আমরা ৪০ ভাগের ওপরে পেঁয়াজ উৎপাদন করতে পারি। আমরা কারও মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে চাই না। প্রতিটি পণ্য আমরা নিজেরাই উৎপাদন করব। তার সরকার খামারিদের সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে উৎসাহিত করে যাচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইমরান হোসেন দেশের ডেইরি খাতের প্রতিনিধি হিসেবে এবং বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রি সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান পোল্ট্রি খাতের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

শুরুতে প্রাণিসম্পদ খাতে বর্তমান সরকারের অগ্রগতি ও অর্জনের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এ আয়োজনের এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘প্রাণি সম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ।’ উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী প্রদর্শনীর বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার একটি প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। যেসব পশু পালন করা হয় তা স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পালনের ব্যবস্থা নিতে হবে। মাছ, হাঁস-মুরগি, পশু পালন এবং উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে করতে হবে। এটাও গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে আরও যত্নবান হতে হবে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে হালাল মাংস রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ আমাদের রয়েছে।

সরকারপ্রধান বলেন, অনেক দেশ হালাল মাংস আমাদের থেকে ক্রয় করতে চায়। সেই সুযোগ আমাদের নিতে হবে। আর সে জন্য আমাদের পশু-পাখিগুলোকে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে লালন-পালন ও নিয়ম মেনে জবাই করতে হবে এবং প্যাকেটজাত করার ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে হচ্ছে কি না সে বিষয় আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এভাবে যদি করতে পারি তাহলে দেশের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে আমরা বিদেশেও রপ্তানি করতে পারব।

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে কিছু কিছু রপ্তানি হচ্ছে। কিন্তু আরও বেশি রপ্তানি করার সুযোগও আমাদের আছে, অনেক দেশের কাছ থেকে আমরা সেই অনুরোধও পাচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী পশু জবাইয়ের ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আমরা যাতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারি সে জন্য কিছু আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন বুচার হাউস (কসাইখানা) আমাদের তৈরি করা দরকার। বিশেষ করে কোরবানির সময় রাস্তাঘাটে যেখানে সেখানে ফেলে পশু জবাই করা আমাদের বন্ধ করতে হবে। সুনির্দিষ্ট একটি স্থান থাকবে, যেখানে পশু জবাই হবে এবং যার যার চিহ্নিত পশু সে নিয়ে যাবে। তাহলে পুরো প্রক্রিয়া যেমন স্বাস্থ্যসম্মত হবে তেমনি পশুর পরিত্যক্ত অংশ এবং চামড়া যথাযথভাবে কাজে লাগানো যাবে। না হলে চামড়ার মান নষ্ট হয় তেমনি অনেক কিছুই অপচয় হয়ে যায়।

তিনি বলেন, পশুর কেবল মাংসই আমাদের প্রয়োজন হয় না এর হাড়, রক্ত, চামড়া এমনকি বর্জ্যও আমাদের কাজে লাগে। আমরা যদি এগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাত করে ব্যবহার করতে পারি তাহলে আমাদের অনেক কাজে আসতে পারে। এগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণ এবং কাজে লাগানোর ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে । এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নেওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার বলে আমি মনে করি এবং সংশ্লিষ্ট মহল এ উদ্যোগ নেবেন বলে আমি আশা করি।

তিনি বলেন, তার সরকার ৪৭০টি উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ পশু চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে।

এই ভেটেরনারি সেক্টরটার দিকে আরও দৃষ্টি দেওয়া দরকার উল্লেখ করে তিনি আটটি বিভাগ ও ৬৪টি জেলায় ভেটেরনারি ফার্ম, পশু চিকিৎসালয় ও সংরক্ষণাগার গড়ে তোলার ওপরও জোর দেন।

তিনি বলেন, ধান-চালের পাশাপাশি পশু সম্পদ সংরক্ষণাগার গড়ে তুলে কোনো সম্পদই যেন অপচয় না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে এগুলোকে যেন আমাদের আর্থিক কাজে আমরা ব্যবহার করতে পারি, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।

মৎস্য ও পশু-পাখির খাদ্যও যেন নিরাপদ হয় এবং এগুলো যাতে পরবর্তীতে মানবদেহে কোনো রোগের সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখার ওপরও তিনি গুরুত্ব দেন।

বাংলাদেশে ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প অনেক দূর এগিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা পশু-পাখির জন্য নিজেরাই নানা রকম ভ্যাকসিন তৈরি করে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারি।

তিনি ১৯৯৮ সালের প্রলয়ঙ্করী বন্যার উল্লেখ করে বলেন, তার সরকারের প্রচেষ্টায় বীজ ও কীটনাশকসহ প্রয়োজনীয় কৃষি সামগ্রী কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ায় এরপরই বাম্পার ফসল উৎপাদন হয়। যেখানে বিভিন্ন বিদেশি মিডিয়া বলেছিল এক কোটি মানুষ এই বন্যায় না খেতে পেয়ে মারা যাবে সেখানে একটি মানুষও না খেয়ে মরেনি। অথচ তিনি সরকার প্রধান হিসেবে সংসদে যখন দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার ঘোষণা দিলেন তখন বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে তার সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান সংসদে দাঁড়িয়ে বলেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ভালো না, তাহলে বিদেশি সাহায্য পাওয়া যাবে না। আসলে এটা হচ্ছে নীতির বিষয়। তারা দেশকে অন্যের মুখাপেক্ষী করেই রাখতে চায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার প্রতি ইঞ্চি অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনার মাধ্যমে সার্বিক উৎপাদন বাড়ানোর প্রচেষ্টা চালানোর পাশাপাশি পরিত্যক্ত চরাঞ্চলে মহিষ, ভেড়া, হাঁস-মুরগি চাষে উৎসাহিত করছে।

তিনি বলেন, এমনকি ভাসানচরে যে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি সেখানেও প্রচুর ভেড়া ও মহিষ লালন পালন হচ্ছে। হাঁস-মুরগি প্রতিপালন ও মাছের চাষ হচ্ছে। আমরা এভাবে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের যেটুকু মাটি ও সম্পদ রয়েছে তা ব্যবহার করেই আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারব।

জনগণ মৎস্য, পশু ও হাঁস-মুরগি পালনে আরও এগিয়ে আসবেন এবং আমাদের খামারগুলো আরও উন্নত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।


‘অপপ্রচার রোধে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হলে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেব’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

অপপ্রচার রোধে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হলে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অপপ্রচার রোধে ভারতের কিছু প্রতিষ্ঠান কাজ করে। তারা কীভাবে কাজ করে, তাদের অভিজ্ঞতা এবং প্রক্রিয়া-পদ্ধতি বিনিময় জানা-বোঝার চেষ্টা করব। এক্ষেত্রে কোনো প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হলে আমরা তাদের কাছ থেকে সহায়তা নেব।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে যেসব কো-অপারেশন আছে, সেসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে বিটিভিতে দুই ঘণ্টার একটি চাংক নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সংবাদ বিশ্লেষণ, চলমান ঘটনাপ্রবাহ এবং সংবাদ উপস্থাপনা শুরু করতে যাচ্ছি। সেক্ষেত্রে ভারতের যে সংবাদ সংস্থাগুলো আছে, বিশেষ করে এএনআইয়ের সঙ্গে কোলাবরেশন করা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

‘যেহেতু বিটিভি ইন্ডিয়াতে দেখানো হয়, সেহেতু দুই ঘণ্টার এ চাংক আমরা ধীরে ধীরে দুই, তিন, চার ঘণ্টা পর্যন্ত বাড়াব। আমরা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী করতে চাচ্ছি, যেখানে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের খবর থাকবে, এর বাইরেও বিভিন্ন দেশের খবর থাকবে। এখানে আমরা চেষ্টা করব ভারতীয় দর্শকদের আকৃষ্ট করতে। এ ছাড়া ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন নিয়ে ইনস্টিটিউশন আছে, তাদের সঙ্গে কোলাবরেশন করা, বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম ও ট্রেনিং করা। সম্প্রতি ‘মুজিব’ শিরোনামের যে সিনেমাটি সহ-প্রযোজনা হয়েছে, এমন অন্য কোনো সিনেমায় সহ-প্রযোজনার সুযোগ আছে কি না তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে’- যোগ করে বললেন প্রতিমন্ত্রী।

ভারতের সিনেমা যেহেতু বাংলাদেশের বাজারে চলে সেহেতু বাংলাদেশেরও ভালো মানের সিনেমা ভারতে চালানোর বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দর্শককে জোর করে কিছু দেখানো যায় না। বাজারে কোনো জিনিসের চাহিদা থাকলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই যাবে-আসবে। সিনেমা যেহেতু প্রোডাক্ট, সেহেতু ভারতের বাজারে দর্শক থাকলে অবশ্যই যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যে বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের আরও কো-অপারেশনের সুযোগ আছে, সেসব নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমি মনে করি- বাংলাদেশ এ বিষয়ে বেশি লাভবান হবে। কারণ ভারতের ফিল্মে, টেলিভিশনে বা অন্যান্য জায়গায় যে অভিজ্ঞতা আছে, তা আমরা যত বেশি নেয়ার চেষ্টা করা যায়। এসব দেশের উন্নয়নের জন্য জরুরি।’


বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে চায় বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানীর পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে চায় বাংলাদেশ। প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানীর পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান অতিথি হিসেবে দেয়া বক্তব্যে খাদ্যে ঘাটতি পূরণে সরকারের ব্যবস্থা তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, “১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকার গঠন করি, আমরা দেখলাম ৪০ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যঘাটতি। আর তা ছাড়া প্রাণী, পশুর খাদ্যের তো অভাবই। এই অবস্থায় আমরা যাত্রা শুরু করেছিলাম। তখন রিজার্ভ মানিও তেমন ছিল না। আবার ইনফ্লেশনও (মূল্যস্ফীতি) অনেক বেশি ছিল।

তিনি আরও বলেন, “এশিয়াতে তখন খাদ্যমন্দা। ওই অবস্থায় যাত্রা শুরু করে আমাদের লক্ষ্য ছিল যে, আমরা কারও কাছে হাত পেতে চলব না। নিজের ফসল নিজে উৎপাদন করব। তার কারণ হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সবসময় বলতেন যে, ‘আমরা কারও কাছে ভিক্ষা চাইব না। কারণ ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না।’”

তিনি বলেন, ‘ভিক্ষুক জাতির কখনও ইজ্জত থাকে না। কাজেই আমরা মান-সম্মান নিয়েই বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে চাই। আর সেই আদর্শ নিয়েই কিন্তু আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি।’


দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে আয়োজিত ‘আওয়ার ওশান কনফারেন্সে’ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল বৈঠকে দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি পরিবেশ সংরক্ষণ এবং সমুদ্রের উপকূলে বসবাসকারী মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য সমুদ্রের টেকসই ব্যবস্থাপনার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন।

আজ বুধবার এথেন্সে আয়োজিত ‘আওয়ার ওশান কনফারেন্সে’র নবম আসরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের উচ্চ পর্যায়ের প্যানেলে আলোচনায় এ কথা বলেন ড. হাছান মাহমুদ।

বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনা এবং সামুদ্রিক সম্পদের ব্যবহার নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশের গৃহীত উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বিবিএনজে চুক্তি অনুমোদন এবং মহাসাগরের জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারের জন্য তহবিল বরাদ্দের জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাস্তুতন্ত্রের সার্বিক উন্নয়ন এবং গ্রিন শিপিং (যা তুলনামূলক পরিবেশের ক্ষতি কম করে) ব্যবস্থার জন্য বিভিন্ন দেশ প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা) প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল।

এই প্যানেল আলোচনায়, গ্রিস, কোস্টারিকা, কেপ ভার্দে, সাও টোমে এবং প্রিন্সেপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও বক্তব্য দেন।


চিকিৎসকদের ওপর হামলা মেনে নেব না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘চিকিৎসাসেবায় চিকিৎসকদের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের আরও বেশি সচেতন হতে হবে। কোনো চিকিৎসকের ওপর হামলা যেমন আমি মেনে নেব না, তেমনি চিকিৎসায় কোনো প্রকার অবহেলা করলে সেটাও আমি মেনে নিতে পারব না।’

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে আজ বুধবার বিকেলে চিকিৎসকদের নিয়ে আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

গত মঙ্গলবার চট্টগ্রামের পটিয়ায় চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিকিৎসাকালে চিকিৎসকদের আরও বেশি মনোযোগী ও আন্তরিক হওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকদের যেমন সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব আমার তেমনি আবার রোগীদের সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্বও আমার। যদি কোনো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পেশাগত দায়িত্ব পালনে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া যায়, তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের চিকিৎসাসেবা বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের তুলনায় এগিয়ে আছে। বাংলাদেশের চিকিৎসাসেবা নিয়ে সম্প্রতি ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক ভূয়সী প্রশংসা করেন। ভুটান রাজার আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সরকার ভুটানে বার্ন হাসপাতাল করার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত করোনার টিকা নেওয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে চর্মরোগ দেখা দেওয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যেকোনো ড্রাগেই অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। তবে বিষয়টি আমি এখনও শুনিনি।’

একই উত্তরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করোনার প্রধান মুখপাত্র প্রফেসর ফলসের গবেষণায় এখনও এমন কোনো তথ্য উঠে আসেনি। তবে এমনও হতে পারে করোনার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো এখন দেখা দিচ্ছে।’

এর আগে চান্দিনার মাধাইয়া ইউনিয়নের সোনাপুর কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর একান্ত সচিব কমল কুমার ঘোষ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সারওয়ার হোসেন, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান প্রমুখ।


সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে সৃষ্ট চলমান অস্থিরতা সম্পর্কে সতর্ক থাকতে এবং এর ফলে বাংলাদেশে যেকোনো বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী (ইরান-ইসরায়েলের অস্থিরতার কারণে) মধ্যপ্রাচ্যে বিরাজমান পরিস্থিতির প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখতে এবং এর ফলে সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দিয়েছেন।’

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে বিকেলে বাংলাদেশ সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

মাহবুব আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশে সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কেও নির্দেশ দেন।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পূর্ববর্তী যেসব বাস্তবায়নাধীন সিদ্ধান্ত রয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়ন হবে কি না- তা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বাস্তবায়নাধীন সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিস্তারিতভাবে মন্ত্রিসভাকে জানাতে বলেন।
দেশে এখনো ১৬টি আইন তালিকাভুক্ত করা হয়নি উল্লেখ করে মাহবুব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শিগগিরই আইনগুলো বাদ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিসভা ‘মহেশখালী ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এমআইডিএ) অ্যাক্ট, ২০২৪’ ও ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (পারিশ্রমিক ও সুযোগ-সুবিধা) আইন, ২০২৪’-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।

তিনি বলেন, মহেশখালীর মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরকে কেন্দ্র করে চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সমন্বিত প্রক্রিয়ায় পরিচালনার জন্য একটি কর্তৃপক্ষ গঠনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব এমআইডিএ আইনের খসড়াটি মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করেন।

মাহবুব বলেন, আইনটির আওতায় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃপক্ষের গভর্নিং বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন এবং এটি ১৭ সদস্যের বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হবে।
গভর্নিং বোর্ড ছাড়াও সরকার একজন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ করবে- যিনি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে অফিসটি পরিচালনা করবেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কর্তৃপক্ষের মূল লক্ষ্য হচ্ছে প্রায় ৫৫,৯৬৮ একর জমির নির্দিষ্ট এলাকার জন্য একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন করা, সেখানে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে শৃঙ্খলা আনা, বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা এবং এলাকাটিকে উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা।

‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (পারিশ্রমিক ও সুযোগ-সুবিধা) আইন, ২০২৪’ সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি মূলত প্রচলিত ইংরেজির বাংলা সংস্করণ এবং এই সংস্করণে কোনো পরিবর্তন নেই।


২৪ এপ্রিল থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠেয় ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিকের (এসকাপ) ৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে আগামী ২৪ এপ্রিল থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসকাপ সম্মেলনটি আগামী ২২ থেকে ২৬ এপ্রিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হবে।

সরকারের সিনিয়র এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন, অর্থমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে আরও থাকবেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, সফরকালে একটি দ্বিপক্ষীয় উপাদান যুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা চলছে, যাতে অর্ধ ডজন দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নথি সই হতে পারে। আগামী ২৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

‘লিভারেজিং ডিজিটাল ইনোভেশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৮তম অধিবেশনটি টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ডিজিটাল উদ্ভাবনকে কাজে লাগাতে এই অঞ্চলে সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ জোরদার করার একটি সুযোগ তৈরি করবে।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ডিজিটাল উদ্ভাবন কীভাবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে অবদান রাখতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনার লক্ষ্যে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সরকারি নেতা ও মন্ত্রী এবং অন্যান্য মূল স্টেকহোল্ডারদের এই অধিবেশনে মিলিত করবে।
আয়োজকরা বলছেন, সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা ডিজিটাল উদ্ভাবনের রূপান্তরমূলক সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণরূপে উন্মোচনের সুযোগগুলো চিহ্নিত করা এবং টেকসই উন্নয়নে তাদের অবদান জোরদার করার পন্থাগুলো নিয়েও আলোচনা করতে সক্ষম হবেন।

একটি ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা অংশীদার এবং স্টেকহোল্ডারদের বিস্তৃত পরিসরে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ করে দেবে, যারা ইতোমধ্যে ডিজিটাল উদ্ভাবনগুলোর মাধ্যমে এই অঞ্চলজুড়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবদান রাখছে।

টেকসই উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এককভাবে অবস্থান করছে।

ইতোমধ্যে এ অঞ্চলটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডিজিটাল অর্থনীতি, গভটেক এবং ইন্টারনেট অব থিংসের মতো অগ্রণী প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় পরিচালিত উদ্ভাবনের জন্য একটি গতিশীল কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে। তবুও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাপক সম্মিলিত প্রচেষ্টা জোরদার করতে আরও দক্ষতা এবং ডিজিটাল উদ্ভাবনকে কাজে লাগাতে এ অঞ্চলের একটি পরিকল্পনা প্রয়োজন।


পান্থকুঞ্জ নান্দনিক উদ্যান হবে: মেয়র তাপস

পান্থকুঞ্জ পার্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন জুলাইয়ের আগেই পান্থকুঞ্জকে নান্দনিক উদ্যানে পরিণত করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার নগরীতে পান্থকুঞ্জ পার্কের অভ্যন্তরে পান্থপথ বক্স কালভার্টের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মেয়র এ কথা জানান।

মেয়র তাপস বলেন, পান্থকুঞ্জ উদ্যান এই এলাকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্যান। এটা উন্নয়নের জন্য ২০১৭ সালে মেগা প্রকল্পের আওতায় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক কারণে ঢাকা লিমিটেড এক্সপ্রেসওয়ে এদিক দিয়ে নওয়ার একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ফলে এই পার্কের উন্নয়ন কাজটা বন্ধ হয়ে যায়।

তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে তাদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে আলোচনা করেছি, দেন-দরবার করেছি। এর ফলশ্রুতিতে তারা সুনির্দিষ্ট জায়গায় কাজ করবে। বাকি জায়গা আমাদেরকে ছেড়ে দিয়েছে। সেই জায়গায় আমরাই কাজ শুরু করেছি। বর্তমানে এটার অবকাঠামো উন্নয়ন চলছে।

মেয়র আরও বলেন, আমরা ঢাকাবাসীকে একটি নান্দনিক উদ্যান উপহার দিতে চাই। যদিও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের কারণে উদ্যানের বড় একটা অংশ তাদের কাছে চলে যাবে। তারপরও যতটুকু রক্ষা করতে পেরেছি তা ঢাকাবাসীর জন্য অচিরেই উন্মুক্ত করে দিতে পারব। পার্কের উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। জুলাইয়ের আগে পান্থকুঞ্জকে একটি নান্দনিক উদ্যানে পরিণত করা হবে।

নিউমার্কেট এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, গত বছর কয়েকটি জায়গায় জলাবদ্ধতা হয়েছে বিশেষ করে নিউমার্কেটের সামনে ও শান্তিনগরে। যেসব কারণে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আমরা সেগুলো পরিষ্কার করেছি। আশা করি এবার আর জলাবদ্ধ থাকবে না। নিউমার্কেট এলাকার জন্য নতুন প্রকল্প নিয়েছি।

তিনি বলেন, এর মূল কারণ হচ্ছে পিলখানা ভেতর দিয়ে আগে যে পানি প্রবাহ প্রবাহের নর্দমা ছিল সেগুলো ২০০৯ সালে বন্ধ হয়ে যায়। এজন্য গত বছর সেখানে বড় ধরনের জলবদ্ধতা হয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি এবং সম্মতি পেয়েছি। আমরা পিলখানার ভেতর দিয়ে পানি প্রবাহের বড় নর্দমা করছি। এটা করতে পারলে ওই এলাকায় আর জলাবদ্ধতা থাকবে না। এভাবে প্রত্যেকটা এলাকায় বিচার-বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

ঢাকায় বিচ্ছিন্ন কয়েকটি জায়গা ছাড়া তেমন কোন জায়গায় এখন দীর্ঘ সময় জলবদ্ধতা থাকে না উল্লেখ করে মেয়র বলেন, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমের আগে সূচি অনুযায়ী বক্স কালভার্ট, খাল ও নর্দমাগুলো পরিষ্কার করে থাকি। কারণ যাতে করে বর্ষার সময় পানি প্রবাহ স্বাভাবিক থাকে। এছাড়া ঢাকা শহরে আমরা ব্যাপকভাবে নর্দমা অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলমান রেখেছি।

পরে মেয়র সায়েদাবাদ টার্মিনাল সংলগ্ন সায়েদাবাদ সুপার মার্কেট, গেন্ডারিয়ার জহির রায়হান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র পাঠাগার ও ওয়ারীর তাজউদ্দীন স্মৃতি পাঠাগার পরিদর্শন করেন।


২১ নাবিক জাহাজে,২ নাবিক উড়োজাহাজে দেশে ফিরবেন

যুদ্ধজাহাজের পাহারায় আমিরাতের পথে এগিয়ে চলেছে এমভি আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রতন কান্তি দেবাশীষ,চট্টগ্রাম

জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়ার পর জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর বর্তমানে দুবাইয়ের পথে রয়েছে। সেখানে আছেন ২৩ জন নাবিক। এ ২৩ নাবিকের মধ্যে ২১ জন নাবিক ওই ওই জাহাজে করেই দেশে ফিরে আসবেন। বাকি ২ নাবিক এডেন উপসাগর হয়ে ওমান উপকূলের সামনে দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছে বিমানযোগে দেশে ফিরবেন।

নাবিকরাই এমন ইচ্ছা পোষণ করেছেন।

মালিক পক্ষের একটি সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

কেএসআরমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম জানান, নাবিকেরা তাদের ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন। ২১ নাবিক জাহাজে ও বাকি ২ জন বিমানে বাংলাদেশে আসবেন। এখনো তারা চাইলে উড়োজাহাজে আসতে পারেন। যদি তারা আমাদের সিদ্ধান্ত দেন। তবে ২১ নাবিক জানিয়েছেন তারা ওই জাহাজে করে বাংলাদেশে ফিরবেন।

দীর্ঘ ৩৩ দিন জিম্মি থাকার পর গত শনিবার জাহাজটি মুক্তি পায়। এরপর সোমালিয়ার ডেরা থেকে আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা হয় জাহাজটি। মেরিন ট্রাফিক তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, জাহাজটি আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছাবে ২০ এপ্রিল রাত ১০টায়। কিন্তু জাহাজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ২২ এপ্রিল জাহাজটি আরব আমিরাতে ভিড়বে। কারণ জাহাজটির গতি অনেক কম।

কর্তৃপক্ষ জানায়, জাহাজটি আরব আমিরাতে পৌঁছার পরপরই দুই জন বিমানযোগে বাংলাদেশে আসবেন। বাকিরা জাহাজে করে বাংলাদেশে আসবেন প্রায় এক মাস পর।

গত ১২ মার্চ সোমালিয়ার দস্যুরা ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি জিম্মি করে। দেশটির উপকূল থেকে ৫৭৬ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগর থেকে জাহাজটি ছিনতাই করা হয়। এর ৩২ দিন পর, অর্থাৎ ৩৩ দিনের জিম্মিদশা থেকে গত শনিবার দিবাগত রাতে জাহাজটি মুক্ত হয়।


বৈরী আবহাওয়ায় ঢাকা থেকে দুবাই-শারজাহর ৯ ফ্লাইট বাতিল

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ ২০:১৪
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করার কারণে ঢাকা থেকে দুবাই-শারজাহর ৯টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। আজ বুধবার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক কামরুল ইসলাম গনমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রেকর্ড বৃষ্টিপাতের কারণে ১৭ এপ্রিল এয়ার অ্যারাবিয়া এয়ারলাইন্সের পাঁচটি ফ্লাইট, ফ্লাই দুবাইয়ের দুটি ও এমিরেটস এয়ারলাইন্সের দুটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

এর আগে আকস্মিক বর্ষণে প্লাবিত হয় দুবাইয়ের বিমানবন্দর। প্রবল বজ্রঝড় ও বৃষ্টির পানিতে তলিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শহরটি। রেকর্ড করা হয়েছে ৭৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। জলমগ্ন হয়ে পড়ায় দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে অর্ধশতাধিক ফ্লাইট বাতিল ও বুধবার রাত পর্যন্ত কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আবহাওয়ার তথ্য বিশ্লেষণ করে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার গভীর রাত থেকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টায় ১৪২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে পুরো বছর জুড়ে দুবাইয়ে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হতো ৯৪ দশমিক ৭ মিলিমিটার।

প্রবল বৃষ্টির কারণে সোমবার রাত থেকেই অকার্যকর হতে থাকে বিভিন্ন পরিষেবা। প্রবল বর্ষণের এক পর্যায়ে মঙ্গলবার রাতেই দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট অবতরণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। বুধবার রাত পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে বিমানবন্দরে চেক-ইন।


banner close