বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩

নারীর সম-অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিতের দাবি

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সমানে মানববন্ধন করে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ। ছবি: দৈনিক বাংলা
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

নারীর সম-অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএসপিএস)। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়। এশিয়া ফ্লোর ওয়েজ অ্যালায়েন্সের সহযোগিতায় এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরেও নারীর প্রতি বৈষম্য বিদ্যমান রয়েছে। লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা থেকে নারী ও কন্যা শিশুরা কার্যকর সুরক্ষা পাচ্ছে না। নারীর প্রতি সহিংসতার বড় কারণ হলো, প্রচলিত বৈষম্যমূলক উত্তরাধিকার আইন এবং নারীর প্রাপ্য মর্যাদা নিশ্চিতের অভাব। তাই নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সম-অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।

তারা আরও বলেন, দেশে পোশাক শিল্পের কর্মশক্তির ৮৫ শতাংশ নারী শ্রমিক। সারা বিশ্বের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ গার্মেন্টস শ্রমিক নারী। বাংলাদেশে ৭৫ শতাংশ নারী শ্রমিক কর্মক্ষেত্রে মৌখিক নির্যাতনের শিকার, শারীরিক নির্যাতনের শিকার ২০ শতাংশ নারী শ্রমিক। অথচ কর্মক্ষেত্রে নারীদের অধিকার রক্ষার প্রচেষ্টা তুলনামূলকভাবে কম। ক্ষুদ্র থেকে জাতীয়, যেকোনো পরিসরে নারী বারবার নিজের কৃতিত্বের পরিচয় দিলেও তার স্বীকৃতি মেলে না।

নারীর অধিকার নিশ্চিতে সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে পোশাক শ্রমিক সালেহা খাতুন বলেন, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, যা নারী শ্রমিকরা প্রতিদিনই অনুভব করেন। এই লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা ও বৈষম্য উপড়ে ফেলতে হবে। নারীদের প্রতি সংগঠিত যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সকল স্তরের জনগণের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে সাইবার স্পেসে নারী নির্যাতন ও নারীর ওপর শারীরিক নির্যাতন বন্ধ করার দায়িত্ব সরকারের।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে রাষ্ট্র পরিচালনায় নারীর উপস্থিতি মাত্র ২৫ শতাংশ, অথচ সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের খাতে ৬০ শতাংশ শ্রমিকই নারী। বহুমাত্রিক সাফল্য অর্জন করলেও বিদ্যামান পরিস্থিতিতে পুরুষের কর্তৃত্বের ঊর্ধ্বে উঠতে নারীর প্রচেষ্টা নিরন্তর। সংবিধান লেখ্য বিধি অনুযায়ী নারীর প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

প্রতিবছর ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পালিত হয় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ। ১৯৯১ সাল থেকে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ ও নির্মূলের লক্ষ্যে বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়ে আসছে।


র‌্যাব হেফাজতে মৃত্যু: অভিযানে থাকা সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ ‘চলছে’

সুলতানা জেসমিন।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিশেষ প্রতিনিধি, দৈনিক বাংলা

নওগাঁয় র‌্যাব হেফাজতে স্থানীয় ভূমি অফিসে কর্মরত সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযানে থাকা র‌্যাব সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সংস্থাটির সদর দপ্তরের তদন্ত কমিটি।

বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটির সদস্যরা রাজশাহী র‌্যাব-৫ এর কার্যালয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। একই সঙ্গে তারা ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের সঙ্গেও কথা বলেছেন। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি জানান, তদন্ত কমিটির সদস্যরা রাজশাহীতে অবস্থান করছেন। তারা অভিযানে থাকা র‌্যাব-৫ এর জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। তদন্ত শেষ হলে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নওগাঁয় ওই নারীকে আটক করেছিল র‌্যাব-৫ এর জয়পুরহাটের ক্যাম্প। ওই ক্যাম্পের দায়িত্বে রয়েছেন মেজর পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা। র‌্যাবে এই পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে কোম্পানি কমান্ডারের দায়িত্ব দেয়া হয়। ওই অভিযানের বিষয়ে কোম্পানি কমান্ডারসহ অভিযানে থাকা চালক থেকে শুরু করে সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

গত ২২ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় নওগাঁর নওজোয়ান মাঠের সামনে থেকে স্থানীয় ভূমি অফিসে কর্মরত সুলতানা জেসমিনকে আটক করে র‌্যাব-৫ এর জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা। আটকের প্রায় দুই ঘণ্টা পর দুপুরে সুলতানাকে অসুস্থ অবস্থায় নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সন্ধ্যা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন থাকার পর তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। গত ২৪ মার্চ সকালে রামেক হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এর আগে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে একটি মামলা দায়ের করেন এনামুল হক নামে যুগ্নসচিব পদমর্যাদার স্থানীয় সরকার বিভাগের এক কর্মকর্তা। সেসময় স্বজনরা অভিযোগ করেন, জেসমিনকে র‌্যাব সদস্যরা হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন করায় তার মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি হাইকোর্ট অব্দিও গড়িয়েছে। সুলতানাকে এভাবে আটক করার বিষয়ে র‌্যাবের এখতিয়ার নিয়েও প্রশ্নও তুলেছেন হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চ।


রাজধানীতে অষ্টম শ্রেণির ৪ শিক্ষার্থী নি‌খোঁজ

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ৩০ মার্চ, ২০২৩ ১৯:৫৮
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

রাজধানীর মিরপু‌রে মাদ্রাসা ও স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি চার শিক্ষার্থী। গত মঙ্গলবার সকাল থেকে তারা নিখোঁজ রয়েছে। তাদের খুঁজে না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেছে পরিবার। নিখোঁজ ছাত্রীরা হলো কুলসুম, তারমিন আক্তার কল্পনা, সামিয়া ও খুশি।

জানা গে‌ছে, নি‌খোঁজ শিক্ষার্থীরা মিরপুর ১৩ নম্বরের বাসিন্দা। তিনজন মিরপুর ১৩ নম্বরের আল জাহারা গার্লস একাডেমির অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। আর একজন কাজী আবুল হোসেন হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। নিখোঁজ চারজনই বান্ধবী।

মঙ্গলবার সকালে মাদ্রাসা ও স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বেরিয়ে আর ফেরেনি ওই চার শিক্ষার্থী। পরে ওই দিন রাতে চার শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা কাফরুল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। প্রাথমিকভাবে বেশ কয়েকটি বিষয় সামনে রেখে কাজ করছে পুলিশ।

নিখোঁজ এক ছাত্রীর বাবা ইসলাম উদ্দিন জিডিতে উল্লেখ ক‌রে‌ছেন, মঙ্গলবার সকালে তার মেয়ে মাদ্রাসায় যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়। দুপুরের পর তিনি জানতে পারেন, তার মেয়ে মাদ্রাসায় যায়নি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর জানতে পারেন, তার মেয়ের তিন বান্ধবীও বাসা থেকে একইভাবে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেনি।

এ বিষয়ে কাফরুল থানার ওসি হাফিজুর রহমান দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘নিখোঁজ চার শিক্ষার্থীর কারও কাছে মোবাইল ফোন নেই। এ জন্য সহজে তাদের ট্রেস করা যাচ্ছে না। পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পাওয়া গেছে, তারা সরদার বাড়ির মোড়ে একত্রিত হয়। এরপর একসঙ্গে রওনা হয়। কিন্তু কোথায় গেছে তা এখনো জানা যায়নি। তবে তাদের এক বান্ধবীর কাছ থেকে জানা গেছে, একটা বিষয়ে চার বান্ধবীকে পরিবারের পক্ষ থেকে গালমন্দ করা হয়। সে কারণে হয়তো তারা পালিয়ে যেতে পারে।

ওসি আরও বলেন, ‘তারা মানব পাচারকারীর হাতে পড়েছে কি না বা জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে পালিয়েছে কি না, তাও দেখা হচ্ছে। এ জন্য আমরা কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সলেশন ক্রাইম ইউনিটকে (সিটিটিসি) জানিয়েছি। সব বিষয় মাথায় রেখেই তদন্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি), র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে কাজ করছে। সব থানা ও পুলিশ ইউনিটে তাদের ছবিসহ বিস্তারিত জানিয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে।’


সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা

তলবী সভায় নতুন করে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে
আপডেটেড ৩০ মার্চ, ২০২৩ ১৯:৫০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও হামলা-মামলার মধ্য দিয়ে গত ১৫-১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে ‘কলঙ্কজনক নির্বাচন’ উল্লেখ করে নতুন করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিশিষ্ট আইনজীবী ও সংবিধাণ প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলামের সভাপতিত্বে এক তলবী সভায় এ ঘোষণা দেয়া হয়। সভায় বলা হয়, আগামী ১৪-১৫ জুন নতুন করে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সমিতির সাধারণ সদস্যদের পক্ষ থেকে এ তলবী সভার আয়োজন করা হয়। সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, ‘১৫-১৬ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।’

পরে সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদকে আহ্বায়ক এবং আইনজীবী শাহ্ আহমেদ বাদলকে সদস্য সচিব করে সুপ্রিম কোর্ট বারে ১৪ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন কমিটি গঠন করা হয়।

এই কমিটি সমিতির সংবিধান অনুযায়ী ফরম বিতরণ করে ১৫ মের মধ্যে নতুন ভোটার তালিকা প্রণয়ন করবে এবং ১৪ ও ১৫ জুন সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ১ নম্বর হল রুমে সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতির সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৭(৩)(এ) অনুযায়ী সদস্যদের তলবী সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এম আমীর-উল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় সমিতির সাবেক সভাপতি, সম্পাদক, সিনিয়র আইনজীবীসহ বহু আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।

সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে যোগাযোগ করে বারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ রুটিন কার্যক্রম পরিচালনা করবে অন্তবর্তীকালীন কমিটি। ১ এপ্রিল থেকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত বারের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী তথা বারের অফিস অন্তবর্তীকালীন কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

তলবী সভায় গঠিত ১৪ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন কমিটির সদস্যরা হলেন— সিনিয়র আইনজীবী আলহাজ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক, মো. নজরুল ইসলাম, ড. রফিকুল ইসলাম মেহেদী, ড. এম খালেদ আহমেদ, তৈমূর আলম খন্দকার, এস এম খালেকুজ্জামান, মির্জা আল মাহমুদ, মো. সাইফুর রহমান, ব্যারিস্টার সরওয়ার হোসেন, ড. শামসুল আলম ও এস এম জুলফিকার আলী জুনু।

এছাড়া অন্তবর্তীকালীন কমিটির উপদেষ্টা কমিটিতে রাখা হয়েছে, সংবিধান প্রণেতা ও প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার এম আমির-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, ব্যারিস্টার জমীর উদ্দিন সরকার, এফ এম হাসান আরিফ, জয়নুল আবেদীন, বিচারপতি হাবিবুর রহমান ভূইয়া, এ জে মোহাম্মদ আলী, এম কে রহমান ও আবু সাইদ সাগরকে।

সভায় সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ রেজুলেশন পাঠ করেন এবং এই রেজুলেশন সদস্যদের সর্বম্মতিক্রমে অনুমোদন হয়।

রেজুলেশেনে বলা হয়েছ, তলবী সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, সুপ্রিম কোর্ট বার অফিস সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির এবং সেক্রেটারি আবদুন নুর দুলালের আদেশে কাজ করবে না। ১ এপ্রিল থেকে সমিতির অফিস শুধুমাত্র অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের আদেশে পরিচালিত হবে। অ্যাডহক কমিটি শুধুমাত্র সমিতির রুটিন কাজগুলি করবে।

গত ১৫ ও ১৬ মার্চ দুই দিন ব্যাপি সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের প্রথম দিনে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ অনেক আইনজীবী আহত হয়। এরপর আওয়ামী ও বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার মধ্যে দিয়ে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। যদিও বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা দাবি করে তারা এ ভোটগ্রহণ থেকে বিরত ছিলেন। দুই দিন ব্যাপি ভোটগ্রহণ শেষে সভাপতি-সম্পাদকসহ ১৪টি পদে আওয়ামী সমর্থিত আইনজীবীরা বিজয় লাভ করেন।

সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনায় আইনজীবীসহ সারাদেশের মানুষের মধ্যে সমলোচনার ঝড় ওঠে। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার নতুন করে তলবী সভা করে আবার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হলো।


ডলারের সংকট কাটিয়ে উঠছে: জ্বালানি উপদেষ্টা

ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশের (এফইআরবি) একটি প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৩০ মার্চ, ২০২৩ ১৮:৪০
বিশেষ প্রতিনিধি, দৈনিক বাংলা

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, দেশে কিছু দিন আগে ডলারের বাজার কিছু্টা ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছিল। ডলার সংকট এখন আমরা কাটিয়ে উঠেছি। জ্বালানি আমদানিতে এখন আর তেমন সমস্যা হচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশের (এফইআরবি) একটি প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জ্বালানি উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, বিদ্যুতের দাম নির্ভর করে জ্বালানির ওপর। দেশে যে পরিমান জ্বালানি উৎপাদন হয় তার পরিমাণ খুব অল্প। বাংলাদেশ জ্বালানির জন্য আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভরশীল। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম স্থিতিশীল না হলে ভবিষ্যতে এটি কী হবে না-হবে তা এখনি বলা কঠিন। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ না হলে জ্বালানি তেলের দাম কমানো সম্ভব না। দাম একবারে বেশি পরিমাণে বাড়লে মানুষের সমস্যা হতে পারে। তাই অল্প অল্প করে বাড়ানো হয়েছে।

গভীর সমুদ্রে তেল গ্যাস অনুসন্ধান প্রসঙ্গে তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘কনকো ফিলিপস চলে গেল দামের ইস্যু তুলে। আমরা পসকো দাইয়ু ডেকে এনেছি। এখন এক্সন মবিল আগ্রহ দেখাচ্ছে। আমার মনে হয় ওরা কৌশলগত কারণে আসতে চায়। এ বছরের মধ্যে কিছু একটা হতে পারে।’

দেশের কয়লা উত্তোলনে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আপাতত কয়লা উত্তোলনের কোনো পরিকল্পনা নেই। উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা তুলতে হবে। কয়লার ওপরে পানির স্তর রয়েছে। এই পানির স্তর বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে। এর সঙ্গে কয়লা উত্তোলনের জন্য প্রচুর জমি দরকার হয়।

সারা পৃথিবীতে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের তুলনায় বাংলাদেশ ভাল আছে দাবি করে তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ভাগ্যবান, অন্যান্য দেশের তুলনায় ভালো আছি। সাউথ আফ্রিকা, বিটেনে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং হয়েছে। আমরা তাদের তুলনায় ভালো আছি।’

এফইআরবির চেয়ারম্যান শামীম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান, ঢাকা ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাওসার আমির আলী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এফইআরবির নির্বাহী পরিচালক রিশান নাসরুল্লাহ।

বিষয়:

সাংবাদিকের বিরুদ্ধে নয়, মামলা অন্যায়ের বিরুদ্ধে: আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ফাইল ছবি
আপডেটেড ৩০ মার্চ, ২০২৩ ১৭:৪২
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা হলেও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নয়, মামলা হয়েছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে।

সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী। তার আগে নিজের দপ্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

শামসের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে এক প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, যে মামলা করা হয়েছে... এটা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নয়, এটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে। আপনারা নির্ভীক সাংবাদিক আমি এটা স্বীকার করি। আপনারা যদি জনগণকে সত্য তথ্য প্রকাশ করেন কোনো মতেই এই সরকার সাংবাদিকদের বাধা দেবে না।

কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা দায়েরের আগে এজহার একটি সেলে পাঠানোর নির্দেশনা রয়েছে। এরপরেও কেন শামসের বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত হয়েছে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন আইনমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মামলায় যখন তথ্য দেয়া হবে, তখন যদি প্রাইমাফেসি কেস (প্রাথমিক সত্যতা) না থাকে তখন প্রাইমাফেসি কেস নির্ধারণের জন্য আগে সেলে পাঠানো হবে এবং সেলের পরীক্ষার পর মামলা নেয়া হবে। কিন্তু গত বুধবার ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে যে মামলা হয়েছে তার যে বিবরণী, সেটা যদি দেখে থাকেন, তাহলে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে যে মামলা হয় সেটার তথ্য-উপাত্ত কিন্তু সেই বিবরণীর মধ্যে ছিল। সেক্ষেত্রে পরীক্ষার জন্য পাঠানোর প্রয়োজন পড়ে না বলে এই মামলা গ্রহণ করা হয়েছে।

কয়েক দিন আগে নওগাঁয়ও এক নারীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা নিয়ে এক প্রশ্নে আনিসুল হক বলেন, সেটা হলো নওগাঁ থেকে যে ভদ্র মহিলাকে তুলে নেয়া হয়, তখন কিন্তু তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মামলা ছিল না।

‘তার অবশ্যই দুর্ভাগ্য তিনি যখন মারা যান তখনও কিন্তু ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মামলা ছিল না। সেই মামলা করা হয়েছে তার পরের দিন। তাহলে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের এখানে অপব্যবহার করা হয়েছে। এই মামলার কোনো প্রসিকিউট করা হয়নি। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট দিয়ে মহিলাকে ধরা হয়নি।’

আনিসুল হক বলেন, ‘দু-একটা কেসে (ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অপব্যবহার) হচ্ছে। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। যেখানেই আমরা দেখছি যে এই আইনের অপব্যবহার হচ্ছে সেখানেই তা বন্ধ করার জন্য যে ব্যবস্থা নেয়ার সেটা নিচ্ছি।’

বিষয়:

২৬ মার্চের ঘটনা বাসন্তীকে জাল পরানোর মতোই: তথ্যমন্ত্রী

সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) প্রকাশিত ‘সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনে বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ৩০ মার্চ, ২০২৩ ১৭:৫৭
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

গত ২৬ মার্চে প্রথম আলোর প্রকাশিত সংবাদ বাসন্তীকে জাল পরিয়ে সংবাদ পরিবেশনের মতোই ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আগে বাসন্তীর গায়ে জাল পরিয়ে ছবি তুলে সেটি প্রকাশ করা হয়েছিল। তখন জালের দাম কিন্তু কাপড়ের দামের চেয়ে বেশি ছিলো, এখনো জালের অনেক দাম। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে বাসন্তীর গায়ে জাল পরিয়ে ছবি তুলে প্রকাশ করা হয়েছিল। ২৬ মার্চে প্রথম আলোর এ ঘটনাটি বাসন্তীকে জাল পরানোর মতোই। রাষ্ট্র, সমাজ, স্বাধীনতার বিরুদ্ধে এ ধরনের অসত্য সংবাদ পরিবেশন একটি ডিজিটাল অপরাধ।’

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনে বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

গণমাধ্যমের ভূমিকায় প্রশ্ন রেখে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবসে স্বাধীনতাকে এভাবে কটাক্ষ করে যে সংবাদ প্রচার করা এবং একটা শিশুকে ১০ টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে যেটি বলানোর চেষ্টা করা সে না বললেও সেটিকে ছাপানো -এটি কি সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতার পরিপন্থি নয়? সে জন্যই এটার প্রচণ্ড সমালোচনা হয়েছে, এটি ঠিক নয় বিধায় আপলোড হওয়ার পরে সেটি তারা সরিয়েও ফেলেছিলো। কিন্তু সেটির ‘স্ক্রিনশট’ তো বিভিন্ন জায়গায় ছিলো, অনেকে শেয়ার করেছে, সেগুলো রয়েও গেছে। সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়িয়েছে, ঘুরছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা মামলা করেছে, মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিককে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। পুলিশের তদন্তে সব বেরিয়ে আসবে এবং আইনের গতিতে আইন চলবে।’

বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) প্রকাশিত ‘সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনে বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ছবি: দৈনিক বাংলা

অপরাধ আর সাংবাদিকতা এক জিনিস নয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘কোনো সাংবাদিক যদি অপরাধ করে তার কি শাস্তি হবে না? কেউ যদি অপসাংবাদিকতা করে, স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করে এবং একটি ছেলের হাতে ১০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে তার নামে অসত্য লেখে, চাইল্ড এক্সপ্লয়টেশন (শিশু নিগ্রহ) করে, সেটার কি বিচার হবে না? আমরা কি কেউ বিচারের ঊর্ধ্বে, আইনের ঊর্ধ্বে? তা তো নয়।’

সাংবাদিকের মুক্তি চেয়ে বিএনপি’র দেয়া বিবৃতির বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এটি কোনো কিছু পেলেই বিএনপি’র বিবৃতি দেয়ার অপচেষ্টা ছাড়া সেটি অন্য কিছু নয়। বাংলাদেশে মতপ্রকাশের যে স্বাধীনতা সেটি অনেক উন্নয়নশীল দেশে নাই। আপনারা যদি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কথা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হচ্ছে সমগ্র দেশের সব মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তা দেয়ার জন্য, সাংবাদিকদেরও ডিজিটাল নিরাপত্তা দেয়ার জন্য। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করে অনেক সাংবাদিকও মামলা করেছে। ক’দিন আগে একজন নারী সাংবাদিক বিদেশ থেকে চরিত্র হননের দায়ে আরেক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।’

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের উদাহরণ দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরনের আইন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হয়েছে। যুক্তরাজ্যে সাইবার সিকিউরিটি ল’জ অ্যান্ড রেগুলেশন ২০২২, যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার ল’ অ্যান্ড পানিশমেন্ট এবং এ ধরনের আইন বিশ্বের বহু দেশে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের অপরাধের শাস্তি হচ্ছে ২০ বছর কারাদণ্ড। এবং ডিজিটাল মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর কারণে যদি কারো মৃত্যু হয় তবে সেই ডিজিটাল অপরাধের শাস্তি হচ্ছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। আমাদের দেশের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য অনেক দেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনেক বেশি কঠিন।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এ ঘটনায় অবশ্যই মিথ্যা বলে রাষ্ট্রের ভিত্তিমূলে আঘাত হানা হয়েছে, স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করা হয়েছে। স্বাধীনতা দিবসের দিন জাতীয় স্মৃতিসৌধ যেটি আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক, সেখানে একটা ছেলেকে ১০ টাকা দিয়ে ফুসলিয়ে তাকে দিয়ে কথা বলানোর চেষ্টা করা হয়েছে এবং সে যেটি বলেনি সেটা প্রচার করা হয়েছে। এটি ঠিক হয়নি বলেই তারা সরিয়েছে। সুতরাং অবশ্যই এখানে রাষ্ট্রের ওপর আঘাত হানা হয়েছে।’

এর আগে ‘সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনে বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনকালে বঙ্গবন্ধুর কর্ম, বঙ্গবন্ধুর আন্দোলনকে সমর্থন করে ১৯৭১ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের সংকলন প্রকাশ করার জন্য পিআইবিকে ধন্যবাদ জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, আশা করি এই সংকলনের মাধ্যমে সবাই বঙ্গবন্ধুর অজানা আরো অনেক তথ্য জানতে পারবে। এই সংকলন প্রকাশিত না হলে এই কথাগুলো হারিয়ে যেতো। স্বাধীনতার পূর্বেও বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা, স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলনকে সমর্থন করে প্রকাশিত বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ বিজ্ঞাপনের সংকলন একটি অসাধারণ প্রকাশনা।’


প্রথম আলো সম্পাদকের বিচার দাবিতে শাহবাগ অবরোধ

প্রথম আলোর সম্পাদকের বিচার দাবিতে শাহবাগ অবরোধ করা হয়। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৩০ মার্চ, ২০২৩ ১৭:২৬
প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

‘হলুদ সাংবাদিকতার’ অভিযোগে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানকে বিচারের আওতায় আনার দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভ ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর পৌনে ১টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এই কর্মসূচি হলেও কর্মসূচিতে উপস্থিত প্রায় সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক এসে তাদের অবরোধ থেকে সরিয়ে নেয়। এ সময় শাহবাগ মোড়ের আশেপাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। অনেক মানুষকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা যায়।

অবরোধ কর্মসূচির ব্যানারে লেখা ছিল, হলুদ ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সাংবাদিকতার প্রতিবাদে এবং বাসন্তীকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় জাকিরকাণ্ডের হোতা, গুজবরাজ, শিশু নিপীড়নের দায়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনকারী, রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের শিশু হত্যায় দায়ী মতিউর রহমানের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবরোধ কর্মসূচি।

ব্যানার নিয়ে নেতাকর্মীরা মিছিল করেন। ছবি: দৈনিক বাংলা

কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশিক অমি বলেন, ‘জাকিরকাণ্ডের মতো ১৯৭৪ সালে বাসন্তীকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। আমরা আজকে এখানে সমবেত হয়েছি যেন আগামীতে কখনো কোনোভাবে যেন কেউ তথ্য সন্ত্রাস বা গুজব সন্ত্রাসের মাধ্যমে তার নিজ স্বার্থ হাসিল করতে না পারে বা কারও এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে না পারে।’

তিনি বলেন, ‘প্রথম আলোর মতো যারা হলুদ সাংবাদিকতা করে তাদের আমরা বয়কট করতে চাই। প্রথম আলো বারবার এই কাজ করছে। আমরা রাষ্ট্রের কাছে জানতে চাই, কেন তারা বারবার এটি করার পরও পার পেয়ে যাচ্ছে? কেন তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না। প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের শিশু হত্যায়ও দায়ী। আমাদের দাবি তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।’

আরেকজন নারী শিক্ষার্থী বলেন, ‘এটা সত্য যে দ্রব্যমূল্যের দাম আজকে ঊর্ধ্বগতি। কিন্তু তাই বলে আমরা এটি বলতে পারিনা যে আমাদের স্বাধীনতার দরকার নেই বা এই স্বাধীনতা দিয়ে আমরা কি করব। আমার দেশ না থাকলে বা দেশ স্বাধীন না হলে আমি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে কথা বলবো কিভাবে? তাই আমাদের দেশ দরকার, স্বাধীনতা দরকার।’

অবরোধের কারণে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির বিষয়ে প্রশ্ন করলে আরেক ছাত্রলীগ নেত্রী বলেন, ‘আমরা তো সাধারণ মানুষের ভালোর জন্যে এই প্রোগ্রামটা করছি। তাদের যেন পরবর্তীতে ভুয়া সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে না হয় সেজন্যই আমাদের আজকের এই প্রোগ্রাম। আল্টিমেট লাভটা তো তাদেরই। আমরা চাই দেশের বর্তমান যা পরিস্থিতি গণমাধ্যম আমাদের সামনে প্রকাশ করুক কিন্তু মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে যদি কোনো গুজব ছড়ানো হয় তাহলে আমরা রুখে দিতে প্রস্তুত।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘এদেশে সাম্রাজ্যবাদের এশীয় দালাল যারা তারা বাসন্তীকাণ্ডসহ আরও বিভিন্ন উপায়ে ১৯৭২-৭৪ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারকে হত্যার পরিবেশ তৈরি করেছে। সর্বশেষ স্বাধীনতা দিবসের দিন প্রথম আলোর সেই নিউজের মাধ্যমে আমরা একই ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি দেখেছি।’

তিনি বলেন, দশ টাকায় শিশুকে দিয়ে এই ধরনের মন্তব্য তৈরি করা সাংবাদিকতার নৈতিকতা পরিপন্থী। যারা এটি করেছে প্রথম আলোর সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে সবার দাবির সঙ্গে সঙ্গে আমরা একমত।

বিষয়:

ঈদে ৬ দিন ফেরিতে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান পারাপার বন্ধ

বৃহস্পতিবার নৌ-মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আয়োজিত বৈঠকে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৩০ মার্চ, ২০২৩ ১৬:২১
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগের তিন দিন ও পরের তিন দিন ফেরিতে সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান পারাপার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও দ্রুত পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করতে পারবে।

বৃহস্পতিবার নৌ-মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নৌপথে স্টিমার, লঞ্চসহ জলযান সুষ্ঠুভাবে চলাচল, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে যথাযথ কর্মপন্থা গ্রহণের লক্ষ্যে বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এ ছাড়া রাতের বেলায় স্পিডবোট এবং বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে। বৈঠকে বলা হয়, ঈদের আগের পাঁচ দিন এবং ঈদের পরের পাঁচ দিন সার্বক্ষণিক (দিন এবং রাত) সব বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বৈঠকে জানান, পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ রয়েছে। শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি রুটে মোটরসাইকেল পারাপারে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করা হচ্ছে। এপ্রিলে আবহাওয়া খারাপ থাকে; কালবৈশাখীর হওয়ার শঙ্কা থাকে। সে সময় সবাইকে আবহাওয়া বার্তা মেনে চলতে হবে। ঢাকা সদরঘাট এলাকায় যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার জন্য ঢাকা সিটি করপোরেশন ও নৌ-পুলিশ আরও সতর্কতার সঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

এ ছাড়া সদরঘাট এলাকায় ছোট ছোট নৌযানে করে লঞ্চে যাতে যাত্রী ওঠানামা করতে না পারে, সে জন্য কঠোর নজরদারি করতে হবে। নদীবন্দরগুলোতে যাত্রী সেবার জন্য যেসব ওয়াশরুমের সুবিধা আছে, সেগুলোর সংখ্যা ও সেবার মান বাড়াতে হবে। পাটুরিয়া, দৌলতদিয়া, আরিচা, কাজিরহাট, হরিনা, আলুবাজার ফেরিরুটে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হবে। সন্দ্বীপ ও হাতিয়ার মতো উপকূলীয় অঞ্চলে যাত্রী পারাপারে সি-ট্রাক চালু থাকবে। ফিটনেসবিহীন নৌযান যাতে চলাচল করতে না পারে, সে জন্য নৌপরিবহন অধিদপ্তর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রীসাধারণের সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে যাতায়াতের লক্ষ্যে ঢাকা ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় গার্মেন্টস ও নিটওয়্যার সেক্টরের নিয়োজিত কর্মীদের এলাকাভিত্তিক পর্যায়ক্রমে ছুটি প্রদানের জন্য বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে নৌ-সেবাটা নিতে পারে, সে বিষয়ে আমরা আন্তরিক। পদ্মা সেতু আমাদের অনুভূতির জায়গাটা দখল করে নিয়েছে। অনেকে মনে করেছিল পদ্মা সেতু হয়ে গেলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষরা আর লঞ্চ ব্যবহার করবে না। এটা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। নৌপথে আগ্রহ কমে যায়নি বরং আগ্রহ বেড়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে নৌ-সেবা নিতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। সেবা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।


মেট্রোরেলের আরও দুই স্টেশন খুলছে কাল, এপ্রিল থেকে চলবে ৬ ঘণ্টা

মেট্রোরেল। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৩০ মার্চ, ২০২৩ ১৬:২৫
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

মেট্রোরেলের আরও দুই স্টেশন চালু হচ্ছে আগামীকাল। শুক্রবার থেকে উত্তরা দক্ষিণ ও শেওড়াপাড়া স্টেশন খুলে দেয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে বাড়তে যাচ্ছে ট্রেন চলাচলের সময়। এতদিন সকালে চার ঘণ্টা চললেও আগামী ৫ এপ্রিল থেকে ছয় ঘণ্টা চলবে ট্রেন। নতুন সময় অনুযায়ী, সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ট্রেন চলবে।

বৃহস্পতিবার ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

এর আগে গত ১৫ মার্চ মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর-১১ নম্বর স্টেশন খুলে দেয়া হয়। বর্তমানে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত সাতটি স্টেশনে ট্রেন থামছে। এই পথে মোট ৯টি স্টেশন আছে।

এম এ এন ছিদ্দিক জানান, জুলাই মাস থেকে মেট্রোরেল পুরোদমে চলাচল শুরু করবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে মতিঝিল পর্যন্ত ট্রেন চলবে। আগের মতোই ট্রেন চালানোর আধা ঘণ্টা আগে স্টেশন খুলবে এবং বন্ধ হবে।

ডিমটিসিএলের এই কর্মকর্তা আরও জানান, বুধবার পর্যন্ত আয় হয়েছে ৬ কোটি ২০ লাখ টাকা। এই সময়ে যাত্রী পরিবহন করা হয়েছে ১০ লাখ ৭৭ হাজার। খরচ হয়েছে ৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকার মতো। খরচের বেশির ভাগ গিয়েছে বিদুৎ খাতে। এ ছাড়া রক্ষণাবেক্ষণ, বেতন ও অন্যান্য খাতে খরচ রয়েছে।

মেট্রোরেলের যাত্রা শুরু হয় উত্তরা ও আগারগাঁও স্টেশনের মধ্য দিয়ে। তখন মাঝের অন্য কোনো স্টেশনে ট্রেন থামত না। পরের ধাপে পর্যায়ক্রমে উত্তরা সেন্টার, পল্লবী ও মিরপুর-১০ স্টেশন চালু হয়েছে। চলিত মাসে আগারগাঁও-দিয়াবাড়ী অংশের বাকি আরও স্টেশন চালু হতে যাচ্ছে।

এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, ‘আমরা দেশবাসীকে কথা দিয়েছিলাম মার্চের মধ্যে সব স্টেশন খুলে দেয়া হবে। আমরা সেই কথা রাখতে পেরেছি। এখন উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশে সব স্টেশন চালু হচ্ছে। প্রথম দিকে নতুন চালু হওয়া স্টেশনগুলোও বর্তমানের নিয়মিত সময়ে চালু হবে। এপ্রিলের পাঁচ তারিখ থেকে সময় বাড়বে। জুলাই থেকে পুরোদমে শুরু হবে মেট্রোরেল চলাচল। তখন ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ট্রেন চলবে।

তিনি আরও বলেন, ‘মেট্রোরেল লাইন-৬-এর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। স্টেশনের কাজ প্রায় শেষ। এক্সিট ও এন্ট্রির নির্মাণকাজ চলছে। প্রকল্পের অধীনে নতুন করে কোনো জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে না।’

৩৩ হাজার ৪৭৩ কোটি টাকা খরচ করে রাজধানীর উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১.২৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের প্রথম মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ এখনো চলমান রয়েছে। প্রকল্পটি ২০১২ সালে হাতে নেয় সরকার। গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর এই পথের প্রথমাংশ উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১.৭৩ কিলোমিটার চালু করা হয়। দ্বিতীয় অংশ আগারগাঁও থেকে মতিঝিল ২০২৩ সালের শেষ দিকে চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। আর মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত বর্ধিতাংশ ২০২৫ সালে চালুর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।


সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

শামসুজ্জামান শামসকে আদালতে নেয়া হচ্ছে। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৩০ মার্চ, ২০২৩ ১৫:৫০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেন এ আদেশ দেন।

আদালতের রমনা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক নিজাম উদ্দিন ফকির দৈনিক বাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিজাম উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শামসকে হাজির করা হয়। এ সময় তাকে রাখা হয় আদালতের হাজতখানায়। আদালতে তোলার পর কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও রমনা মডেল থানার পরিদর্শক আবু আনছার। অপরদিকে মামলায় জামিন চেয়ে শামসের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আটক রাখার আবেদনে আবু আনছার উল্লেখ করেন, আসামি শামসুজ্জামান জামিনে মুক্তি পেলে তদন্তে বিঘ্ন ঘটতে পারে বিধায় তাকে কারাগারে রাখা যেতে পারে।

২৬ মার্চ প্রথম আলোর অনলাইনে প্রকাশিত একটি শিশুর ছবি ও ক্যাপশনে অসংগতি থাকার প্রেক্ষাপটে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। ১৭ মিনিটের মাথায় প্রথম আলো ছবি ও ক্যাপশনটি সরিয়ে ফেলে এবং ভুল স্বীকার করে জানান, ছবির ভুলে এই বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।

এ ঘটনায় গত বুধবার ভোর ৪টার দিকে আশুলিয়ার আমবাগান এলাকার বাসা থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই দিন দুপুরে গোলাম কিবরিয়া নামের এক ব্যক্তি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ ছাড়া বুধবার মধ্যরাতে আব্দুল মালেক নামে এক আইনজীবী একই আইনে রমনা থানায় মামলা করেন। এতে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান ও সহযোগী ক্যামেরাম্যানসহ অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়। এ মামলায় শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।


রোডম্যাপ বাস্তবায়নে কর্মকর্তাদের নির্দেশ আউয়াল কমিশনের

বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশনের মাসিক সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইসি সচিব জাহাংগীর আলম। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৩০ মার্চ, ২০২৩ ১৬:৩০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন ঘোষিত রোডম্যাপ বাস্তবায়নে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কর্মকর্তারা রোডম্যাপ বাস্তবায়নে যেন পিছিয়ে না পড়েন, সেজন্য এমন নির্দেশনা দেয় আউয়াল কমিশন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশনের মাসিক সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাংগীর আলম।

সমন্বয় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমানসহ ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইসি সচিব বলেন, ‘মাসিক সমন্বয় সভা ছিল। ইসির সব কর্মকর্তা এবং আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়ে বসেছিলাম। নির্বাচন কমিশনাররাও ছিলেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন, যেন তাদের ঘোষিত রোডম্যাপ থেকে পিছিয়ে না থাকি।’

জাহাংগীর আলম বলেন, ‘নির্বাচনের আপ টু বটম, মালামাল ক্রয় থেকে শুরু করে ভোটকেন্দ্র স্থাপন পর্যন্ত সব বিষয়ের ওপর তারা রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্দেশনা দিয়েছেন যে, কোন কোন বিষয়ে আমরা পিছিয়ে আছি।’

তিনি বলেন, ‘মাঠপর্যায় থেকে আমরা জানতে চেয়েছি, ব্যালট বাক্সগুলো কোথায় আছে, কীভাবে আছে, সেগুলো কীভাবে যাচাই করে তারা আমাদের রিপোর্ট দেবে এসব বিষয়। এগুলো বাস্তবিক অর্থেই ইসির অভ্যন্তরীণ কাজ।’

কমিশন বৈঠকে পাঁচ সিটির ভোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে জানিয়ে জাহাংগীর আলম বলেন, ‘স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, আরপিও নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়েছে। সেখানে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। নীতিগত অনুমোদন বলতে; যে প্রস্তাবনাগুলো আছে, সেগুলো আইন মন্ত্রণালয় আরও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখবে। তারপর পরবর্তী সভায় উত্থাপন করবে। কোন অংশ বাতিল বা কোনটা রাখা হবে, সেটা কিন্তু নীতিগত অনুমোদনের সময় সিদ্ধান্ত দেয়া হয় না। মিডিয়াতে দুটো বিষয়ে ভিন্ন রকম প্রতিবেদন এসেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটি জেলায় একজন রিটার্নিং কর্মকর্তা থাকে, এখন আসন শব্দটা যোগ করা হয়েছে। কিন্তু মিডিয়াতে প্রতি আসনে একজন রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। অনেকের ক্ষেত্রেই আইনের ধারাটা না পড়েই ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে।’

যদি কোথাও গুরুতর অনিয়মের কারণে নির্বাচন স্থগিত করতে হয়, নির্বাচন কমিশন সেটা করতে পারেন জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘এটা আগে থেকে বলা আছে। এখন বলা হয়েছে, কোনো একটি ফলাফল তৈরির সময় যখন রিটার্নিং কর্মকর্তা বিবরণীটা কমিশনে পাঠাবে, তখন যদি গুরুতর কোনো অনিয়ম হয়, তখন নির্বাচন কমিশন যথাযথ তদন্ত করবে। তদন্তে যদি মনে হয় ফলাফল প্রকাশ করার দরকার, তাহলে তারা প্রকাশ করবে, অন্যথায় ওই গুরুতর অপরাধে ফলাফল তারা বাতিল করতে পারবেন।’


ভিকারুননিসার ২ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

আপডেটেড ৩০ মার্চ, ২০২৩ ১৫:৫৯
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় ওই প্রতিষ্ঠানের দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। মামলাটির ধার্য দিনে আসামিরা আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে এ আদেশ দিয়েছেন।

ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ-১২-এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন গত মঙ্গলবার তাদের বিরুদ্ধে এ আদেশ দেন।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা দুই শিক্ষিকা হলেন ওই কলেজের শিক্ষিকা নাজনীন ফেরদৌস ও জিনাত আক্তার।

বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. হিমেল দৈনিক বাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, মামলাটি ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে বদলি হয়ে আমাদের আদালতে আসে। এর আগে মামলাটির দিন ধার্য ছিল। ওই দিন আসামিরা আদালতে হাজির হননি। ২৮ মার্চও মামলাটির তারিখ ধার্য ছিল। এদিনও তারা আদালতে হাজির হননি। এ জন্য আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

তিনি আরও জানান, আগামী ১৮ এপ্রিল মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে। মামলাটিতে ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য হয়েছে।

অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর পল্টন থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

২০১৯ সালের ১৬ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। একই বছরের ২০ মার্চ এ দুই শিক্ষককে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার। ২০১৯ সালের ১০ জুলাই এ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শ্রেণি-শিক্ষিক হাসনা হেনাকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন করেন। এরপর বিচারক অব্যাহতির আবেদন মঞ্জুর করে মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান শিক্ষক। মোবাইল ফোনে নকল করেছে এমন অভিযোগে অরিত্রীর মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। দিলীপ অধিকারী তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে শান্তিনগরে বাসায় গিয়ে তার বাবা দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঝুলছে।

বিষয়:

সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে কারাগারে রাখার আবেদন

শামসুজ্জামান। ফাইল ছবি
আপডেটেড ৩০ মার্চ, ২০২৩ ১৫:০৫
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। এ সময় তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। এ মামলায় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হাজির করার পর কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ও রমনা মডেল থানার পরিদর্শক আবু আনছার।

আটক রাখার আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামি শামসুজ্জামান জামিনে মুক্তি পেলে তদন্তে বিঘ্ন ঘটতে পারে বিধায় তাকে কারাগারে রাখা যেতে পারে।

অন্যদিকে এ মামলায় জামিন চেয়ে তার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার আবেদন করেছেন।

এর আগে বুধবার সৈয়দ মো. গোলাম কিবরিয়া নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ডিএমপির তেজগাঁও থানায় সাংবাদিক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় শামসুজ্জামান শামসকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে বাদী ফার্মগেট আল রাজি হাসপাতালের সামনে অবস্থান করার সময় অনলাইন পোর্টাল ব্রাউজ করতে গিয়ে প্রথম আলোর ফেসবুক পেজের একটি ছবি দেখতে পান। সেই ছবিতে জাকির নামে এক শিশু ‘পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীন স্বাধীনতা দিয়ে কি করুম। বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ-মাংস আর চাইলে স্বাধীনতা লাগব।’

এজাহারে বলা হয়েছে, সামাজিক মাধ্যমে সংবাদটি ভাইরাল হয়ে যায় যা দেশ-বিদেশে অবস্থানরত হাজারো মানুষ তাদের ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ক্রিনশটসহ শেয়ার করে। এই ঘটনায় বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশের সোনালী গৌরবোজ্জ্বল ভাবমূর্তি নিয়ে বাংলাদেশের জনগণসহ বহির্বিশ্বে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবসের দিনে এই সংবাদ প্রকাশ করে বিশ্বব্যাপী দেশের ভাবমূর্তি ও স্বাধীনতার অর্জন নিয়ে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়।

এজাহারে বলা হয়েছে, পরবর্তীতে ৭১ টিভি চ্যানেলসহ তাদের অনলাইন পোর্টাল প্রকাশিত সাংবাদে জানা যায় যে প্রথম আলো উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা পরিচয় ও মিথ্যা উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদটি পরিবেশন করেছে।

এজাহারে বাদী বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং বাংলাদেশের অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার হীন উদ্দেশ্যে একটি অশুভ চক্র দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এ মিথ্যা সংবাদ তৈরি ও পরিবেশন করে অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। যার ফলে দেশের অভ্যন্তরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। মহান স্বাধীনতা দিবসে এমন মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ এবং বিশ্বব্যাপী প্রচার করায় বাংলাদেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমি ক্ষুব্ধ। এমতবস্থায় এজাহার নামীয় আসামি সহ অজ্ঞতা নামা আসামিরা অনুমতি ব্যতিরেকে মিথ্যা তথ্য উপাত্তসহ মানহানিকর তথ্য প্রকাশ ও প্রচার আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটবার উপক্রম ও সহায়তার অপরাধ করিয়াছে। আসামির নাম-ঠিকানা যাচাই করতে সময় লাগায় এজাহার করতে বিলম্ব হইলো।’

বিষয়:

banner close