মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

জনশক্তি রপ্তানি বেড়েছে, রেমিটেন্স কমেছে: রামরু

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
কূটনৈতিক প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ২১:১২

করোনা পরবর্তী সময়ে চলতি বছর বাংলাদেশি অভিবাসীর সংখ্যা অতীতের সমস্ত রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। তবে কমেছে রেমিট্যান্স আসার হার। এছাড়া এ বছর পুরুষের তুলনায় নারী কর্মী যাওয়ার সংখ্যাও কমেছে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘আন্তর্জাতিক শ্রম অভিবাসনের গতি-প্রকৃতি ২০২২ অর্জন এবং চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় রিফুইজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু)।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান তাসনিম সিদ্দিকী। তিনি বলেন, বিএমইটি তথ্য অনুযায়ী ২০২১ সালে বাংলাদেশ থেকে মোট ছয় লাখ ১৭ হাজার ২০৯ জন কাজের উদ্দেশে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গেছেন। ২০২২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ১০ লাখ ২৯ হাজার ৫৪ জন বাংলাদেশি অভিবাসন করেন। ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ধারা অব্যাহত থাকলে এ বছর অভিবাসন প্রবাহ ৮১.৮৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।

তাসনিম বলেন, ২০২২ সালে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক অভিবাসী গিয়েছেন সৌদি আরবে। চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার ৫০৭ জন কাজে যোগদান করেন। যা মোট অভিবাসনের ৫৬ শতাংশ।

অভিবাসন বাড়লেও সে হারে রেমিট্যান্স বাড়ছে না জানিয়ে তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, ২০২২ সালে নভেম্বর পর্যন্ত মোট ১০ লাখ ২৯ হাজার ৫৪ জন কর্মী আন্তর্জাতিক অভিবাসন করেন। অথচ এই বছর রেমিটেন্স প্রবাহের প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক। এ বছরের নভেম্বর পর্যন্ত রেমিটেন্স এসেছে ১৯ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই ধারা অব্যাহত থাকলে গত বছরের তুলনায় রেমিট্যান্স কমবে ৩ দশমিক ১৭ শতাংশ।

তাসনিম বলেন, এখন ডলারের দাম বাড়তি, সে হিসেবে রেমিটেন্স বাড়ার কথা। এক্ষেত্রে প্রণোদনা অন্তত ১০ শতাংশ বাড়ানো উচিত। ট্যাক্স পলিসির ভুল সংশোধন করতে হবে। এই ভূল পলিসির কারণেই হুন্ডি আমদানি বাড়ে। হুন্ডি অপারেটরদের সুযোগ নেয়া বন্ধ করতে হবে।

অভিবাসীরা বিভিন্ন দেশে গিয়ে বেশিরভাগ সময় চরমভাবে নিগৃহীত হচ্ছে জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, তারা তাদের প্রাপ্য অধিকার পাচ্ছে না। এটা দুর্ভাগ্যজনক এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। এ বছর ৮১ শতাংশ অভিবাসন বেড়েছে গত বছরের তুলনায়। সেই তুলনায় কি তারা রেমিট্যান্স পাঠাতে পারছেন? অভিবাসন বৃদ্ধির হারের সঙ্গে রেমিট্যান্সের হার তুলনামূলক যথার্থ? অভিবাসী শ্রমিক খাতটি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম একটি বড় খাত। তাদের অনেক বেশি পরিচর্যা করতে হবে, সুযোগ দিতে হবে, তাদের সমস্যাগুলো সমাধান করতে হবে।

এই সংকট মোকাবিলায় ছয়টি সুপারিশ করেছে জানিয়েছে রামরু। এগুলো হলো-অভিবাসীদের ব্যাংকের ওপর আস্থা ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ গ্রহণ, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর (টিটিসি) পচিালনায় সরকার এনজিওদের একযোগে কাজ করা, নিরাপদ অভিবাসন সুনিশ্চিত করতে অভিবাসন সম্পর্কিত মোবাইল অ্যাপগুলোর প্রয়োগে তরুণ শিক্ষার্থীদের সংযুক্ত করা, অভিবাসীদের সন্দেহজনক অস্বাভাবিক মৃত্যুর কিছু কিছু কেস পুনরায় ময়নাতদন্তের পদক্ষেপ গ্রহণ করা, বায়রাতে যে অভিযোগ সেল গঠন করা হয়েছে তা অতিদ্রুত সক্রিয় করে অভিবাসীদের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করা এবং মানব পাচার সংক্রান্ত মামলাগুলো প্রসিকিউশনের হার বৃদ্ধি করা।


দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২২ এপ্রিল, ২০২৪ ২৩:১৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছে। আজ সোমবার রাত ৯টায় ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

বিদ্যুৎ বিভাগের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশব্যাপী চলছে তীব্র তাপদাহ। এই মুহূর্তে বিদ্যুৎ বিভাগ জনজীবনে স্বস্তি বজায় রাখতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

এর আগে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড ছিল গতকাল ১৫ হাজার ৬৬৬ মেগাওয়াট।


ফেসবুকের লাইভ শো ফিরিয়ে দিল ৩০ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া বোনকে

হারিয়ে যাওয়া বড় বোন রাশিদার সাথে ছোট বোন রহিমা খাতুন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ০৩:৪১
ইমতিয়াজ সনি

এ যেন রূপকথার কল্পকাহিনি। বাস্তব জীবনের এক অবিশ্বাস্য গল্প! ৩০ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া বোনকে খুঁজে পাওয়ার গল্প। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রচার হওয়া একটি ভিডিওর সূত্র ধরে তিন দশক পর দেখা হলো দুই বোনের। অঝোরে কাঁদলেন ওরা। এই কান্না হারানো স্বজনকে ফিরে পাওয়ার। এই কান্না আনন্দের।

হারিয়ে যাওয়া বড় বোনের নাম রাশিদা। তার বর্তমান ঠিকানা সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামে সোনার বাংলা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩৫ নম্বর ঘর। আর তাকে খুঁজে পাওয়া ছোট বোনের নাম রহিমা খাতুন।

রহিমার ঠিকানা ঢাকার মোহাম্মদপুরে ইকবাল রোডের একটি বাড়ি। এখানে গৃহকর্মী হিসেবে থাকেন তিনি। তার মায়ের বাড়ির স্থায়ী ঠিকানা কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামে। সেখানে থাকেন তার মা মোছাম্মৎ বেগম ও ছোট ভাই ইউনুস।

সন্তানদের ছোট রেখেই মারা যান তাদের বাবা আকুব্বর। এরপর ওদের মা পুনরায় বিয়ে করেন। সেই বাবাও মারা গেছেন সাত বছর আগে।

রাশিদা তার পরিবারের খোঁজ না জানলেও তার অবস্থানস্থলের সঙ্গে মা ও ভাইবোনের দূরত্ব খুব বেশি ছিল না। এক পাশে কুষ্টিয়া, অন্য পাশে সিরাজগঞ্জ। মাঝখানে শুধু পাবনা জেলা।

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার এনায়েতপুর গ্রাম থেকে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার দূরত্ব ৯৫ কিলোমিটার। গাড়িতে এই দূরত্ব পাড়ি দিতে সময় লাগে মাত্র ৩ ঘণ্টা ১২ মিনিট। অথচ এই পথটুকুর দূরত্ব ঘুচতে লেগে গেছে দীর্ঘ ৩০টি বছর।

এনায়েতপুর গ্রামে ছোট্ট একটি বাড়িতে মা মোছাম্মৎ বেগম, তার দুই মেয়ে সাত বছর বয়সি রাশিদা ও চার বছর বয়সি রহিমা এবং দুই বছর বয়সি ছেলে ইউনুসকে নিয়ে ছিল তাদের সংসার।

মা মোছাম্মৎ বেগম সে সময় পরিবারের সদস্যদের দুমুঠো খাবারের সংস্থান করতে বড় মেয়ে রাশিদাকে কাজে পাঠান কুমারখালীর লতিফ নামের এক ব্যক্তির ঢাকার বাসায়। এরপর হঠাৎ একদিন গৃহকর্তা লতিফের কাছ থেকে খবর আসে যে রাশিদা তার ঢাকার বাসা থেকে পালিয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। মা আত্মীয়-স্বজনসহ আশপাশের অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করেও মেয়ের খোঁজ পাননি। নিজের নামে থাকা সামান্য জমিটুকু বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে রাশিদাকে খুঁজতে থাকেন মা। একপর্যায়ে সেই টাকাও শেষ হয়ে যায়। আর নিখোঁজই থেকে যান রাশিদা। এই পর্যায়ে নিজ বাড়িতে বসে মেয়ের ফিরে আশায় পথ চেয়ে চোখের জল ফেলা ছাড়া আর কিছু করার ছিল না মায়ের।

ছোট দুই ভাই-বোন রহিমা ও ইউনুস বোড় বোন রাশিদা হারিয়ে যাওয়ার মর্ম না বুঝলেও মায়ের প্রতিটি দিন কাটতে থাকে বড় মেয়ের আশায় পথ চেয়ে থেকে। এভাবেই রাশিদার পথ চেয়ে মায়ের কেটে যায় ৩০টি বছর।

এনায়েতপুর গ্রামের ছোট্ট বাড়িটিতে এখন একাই থাকেন রাশিদার মা। সাত বছর পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে বিছানায় শুয়ে দিন কাটে তার। একমাত্র ছেলে ইউনুস থাকে কুষ্টিয়া শহরে। আর ছোট বোন রহিমা কাজ করে ঢাকার মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডের একটি বাসায়।

যেভাবে রাশিদার খোঁজ পান রহিমা

রহিমা ঢাকায় যে বাসায় কাজ করেন তাদের গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ শহরের আদর্শপাড়ায়। ঈদের ছুটিতে তারা ঝিনাইদহে যান। আর রহিমা চলে যান কুমারখালীতে। ১৭ এপ্রিল তাদের ঢাকায় ফেরার কথা। তাই ১৬ তারিখে কুমারখালী থেকে ঝিনাইদহে গৃহকর্তার বাসায় অবস্থান করেন রহিমা।

রহিমা এই প্রতিবেদককে জানান, “১৬ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১টার সময় হঠাৎ আমাদের গ্রাম থেকে এক চাচা ফোনে জানান যে ফেসবুকে আর জে কিবরিয়ার ‘আপন ঠিকানা, পর্ব-৫৭৫’ নামের এক অনুষ্ঠানে হারিয়ে যাওয়া এক মেয়ে আমাদের গ্রামের নাম বলে নাকি আমার বোন দাবি করছে। সে সময় চাচা আমাকে ওই ‘আপন ঠিকানা’ নামের অনুষ্ঠান দেখতে বলেন।”

রহিমা বলেন, ‘এরপর আমি বাসার লোকজনে সহযোগিতায় ফেসবুকের ওই অনুষ্ঠানের ভিডিওটা দেখি। ভিডিওর ওই মেয়েকে প্রথম দেখায়ই আমার বুকের মধ্যে একটা বাড়ি মারে! সব কিছু কেমন যেন ওলট-পালট হয়ে যায়। আমার গা তখন কাঁপছিল! মুখ দিয়ে কোনো কথা আসছিল না।’

‘তবে প্রথম দেখায়ই আমি চিনে ফেলি যে এটা আমারই বড় বোন রাশিদা। চিনব না? আমার রক্ত, আমি এক দেখায়ই চিনব। একদম আমার মতো দেখতে। তা ছাড়া ভিডিওতে সে বলছে তার ছোট বোনের নাম রহিমা, ভাইয়ের নাম ইউনুস, মায়ের নাম বেগম। সবই মিলে যায়।’

রহিমা বলতে থাকেন, ‘তখন সব কিছুই আমার কাছে স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছিল। কী বলব বুঝতে পারছিলাম না। শুধু আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছিল। আমি কল্পনাও করিনি আমি আমার বড় বোনকে আর খুঁজে পাব!’

‘তখন শুধুই ভাবছিলাম- হারিয়ে যাওয়ার পর আমার বোনের কত কষ্টই না হয়েছে। কত আপদ-বিপদই না তার পার করতে হয়েছে। তখন থেকেই মনের মধ্যে দুমড়ে-মুছড়ে যাচ্ছে, কখন আমি আমার বোনকে সামনা-সামনি দেখতে পাবে? কখন বোনকে একটু জড়িয়ে ধরব? বলেন রহিমা।

রহিমা আরও বলেন, “ওই রাতেই আমাদের বাসা থেকে ফেসবুকের ওই ‘আপন ঠিকানা’ নামের অনুষ্ঠান যারা করেন তাদের মধ্যে তানভীর ও আরিফ নামের দুজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারা আমাদের ঢাকায় যেতে বলেন। এরপর আমি কুমারখালীতে মাকে ফোন করে ঘটনা জানাই।”

এরপর, তানভীর ও আরিফের সঙ্গে কথা অনুযায়ী আর জে কিবরিয়ার ফেসবুক শো ‘আপন ঠিকানা’র মহাখালীস্থ স্টুডিওতে গতকাল সোমবার বিকেলে রহিমার সঙ্গে দেখা হয় ৩০ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া বড় বোন রাশিদার। প্রথম দেখাতেই দুই বোন পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

এ সময় কুষ্টিয়ার কুমারখালীর এনায়েতপুর গ্রামে থাকা রহিমার মা বেগমের সঙ্গেও ভিডিও কলে দেখা ও কথা হয় রাশিদার। সে সময় মা-মেয়ে দু’জনই অঝোরে কাঁদতে থাকেন। ফিরে পাওয়া মেয়েকে উদ্দেশ করে মা বলতে থাকেন- ‘তুই তাড়াতাড়ি বাড়ি আয়। আমি তোকে ছুঁয়ে দেখব।’

রাশিদা স্টুডিও থেকে বের হয়ে রহিমাকে জড়িয়ে ধরে বলেন, ‘তোর তো নাকফুল ছিলো না, এখন তোর নাকে নাকফুল। তুই কত বড় হয়ে গেছিস। আমার ছোট ভাইটাও মনে হয় অনেক বড় হয়ে গেছে। মাকে একটু ছুঁয়ে দেখতে খুব মন চাচ্ছে।’

৩০ বছর আগে রাশিদার হারিয়ে যাওয়ার গল্প জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ছোট বেলায় মা যে বাড়িতে আমাকে কাজ করতে পাঠিয়েছিল সেখানে বাসার লোকজন আমাকে খুব মারত। একদিন মেরে তারা আমার মাথা দিয়ে রক্ত বের করে দিয়েছিল। সেদিনই রাগ করে ওই বাসা থেকে পালিয়ে একটা বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার গাড়িতে উঠে বসি।

‘ওই বাসে ওঠার বিশেষ কারণও ছিল। বাসের লোকজন বলছিল যে উল্লাপাড়ায় একটা এনায়েতপুর আছে। সে সময় আমার মনে ছিল যে আমার বাড়িও এনায়েতপুরে। কিন্তু আমার জেলা কুষ্টিয়া, থানা কুমারখালী সেটা তখন মনে ছিল না।’

রাশিদা বলেন, ‘উল্লাপাড়ার এনায়েতপুরে গিয়ে দেখি এটা আমার বাড়ির এনায়েতপুর না। তখন ওই এনায়েতপুরের এক মহিলা তাদের বাড়িতে থাকতে দেয়। তাদেরও কোনো মেয়ে সন্তান ছিল না। এর কিছুদিন পর তারা আমাকে তাদের পারিচিত একজনের ঢাকার শ্যামলীর বাসায় কাজ করতে পাঠায়। সেখানে আমি অনেক বছর থাকি।’

রাশিদা জানান, শ্যামলীর ওই বাসার লোকজন তাকে একসময় বিয়ে দিয়ে দেন। তার স্বামীর বাড়িও সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে তিনি উল্লাপাড়ায় চলে যান। তখন থেকে তিনি এখানেই ছিলেন।

তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারীর সময় আমার স্বামী করোনায় মারা যায়। তারপর সরকার আমার থাকার জন্য এনায়েতপুরের এক আশ্রয়ণ প্রকল্পে একটা বাড়ি বরাদ্দ দেয়। এখন আমার দুই ছেলে ও এক মেয়ে। বড় ছেলে টিউবওয়েল বসানোর কাজ করে এবং মেঝো ছেলে এতিমখানায় থাকে। আর ছোট সন্তান মেয়েটা আমার সাথেই থাকে। আমি মানুষের বাসায় কাজ করি।’

ফেসবুক শো ‘আপন ঠিকানা’র খোঁজ পেলেন কীভাবে জানতে চাইলে রাশিদা বলেন, ‘আমি যে বাড়িতে কাজ করি ওই বাড়ির মেয়ে আমাকে এই অনুষ্ঠানের খোঁজ দেয়। সেই আমাকে এখানে নিয়ে আসে।’

রাশিদা বলেন, ‘এখন আমার একটাই চাওয়া আমার ভিটেয় (বাড়ি) যাওয়া। আমি আজ সিরাজগঞ্জ চলে যাব। তবে দুই-একদিনের মধ্যেই ছেলে-মেয়েদের নিয়ে কুষ্টিয়ায় মায়ের কাছে যাব। মায়েরে ছুঁয়ে দেখব।’

সবশেষে তিনি বলেন, ‘সামান্য জেলা আর থানার নাম মনে না থাকায় আজ ৩০ বছর আমি আমার পরিবার থেকে আলাদা। আমার শুধু মনে ছিল এনায়েতপুর গ্রামের কথা। কুমারখালীর এনায়েতপুরের খোঁজে বের হয়ে আমি এখনও সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় আরেক এনায়েতপুরের বাসিন্দা হয়ে আছি।’


ঢাকায় কাতারের আমির

বিমানবন্দরে লাল গালিচা অভ্যর্থনা
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-সানি দুই দিনের সরকারি সফরে আজ সোমবার বিকেলে ঢাকায় এসেছেন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা জানানো হয়। পরে সেখানে তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।

আমির ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিশেষ বিমান বিকেল ৫টার দিকে বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

বিমানবন্দরে আমিরের অবতরণের সময় ২১ বার তোপধ্বনি করা হয়।

এরপরে আমিরকে অস্থায়ী অভিবাদন মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মানের অংশ হিসেবে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এ সময় দুই দেশের জাতীয়সংগীত বাজানো হয়।

পরে কাতারের আমির প্যারেড পরিদর্শন করেন।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন কাতারের আমিরকে প্রেজেন্টেশন লাইনে অপেক্ষমাণদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন এবং আমিরও তার প্রতিনিধিদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতিকে পরিচয় করিয়ে দেন।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. নসরুল হামিদ বিপু, তিন বাহিনীর প্রধান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিব এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আমন্ত্রণে ঢাকায় এসেছেন কাতারের আমির।

বিমানবন্দরে অনুষ্ঠান শেষে কাতারের আমির তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে অবস্থান করবেন।

আগামীকাল সকালে কাতারের আমিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এরপর সকাল সোয়া ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন।

পরবর্তীতে এই সফরে দুই দেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

চুক্তিগুলো হলো- দ্বৈত কর ও কর ফাঁকি পরিহার, আইনি বিষয়ে সহযোগিতা, সমুদ্র পরিবহন, পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা, দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের স্থানান্তর এবং একটি যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদ প্রতিষ্ঠা।

এর বাইরে শ্রমশক্তি, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতাসহ পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

দুপুরে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনের দরবার হলে কাতারের আমিরের সম্মানে মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করবেন। সন্ধ্যায় বিশেষ বিমানে করে আমিরের নিজ দেশ কাতারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার কথা রয়েছে।


মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেওয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন দেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে তত্ত্বীয় ক্লাসগুলো অনলাইনে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে ক্লিনিক্যাল ক্লাসগুলো সশরীরে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে নিতে বলেছেন তিনি।

আজ সোমবার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘মেডিকেল কলেজগুলোর অধ্যক্ষদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। সেখানে শিক্ষার্থীরা কীভাবে থাকছে, তাদের হোস্টেলে কী অবস্থা- সে বিষয়ে খোঁজ নিয়েছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, তাদের ক্লাসগুলো অনলাইনে হবে। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে রোগীদের এনে ক্লিনিক্যাল ক্লাসগুলো নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’

গরমে হাসপাতালগুলোতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে- এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সারা দেশের হাসপাতালগুলোর পরিচালক ও সিভিল সার্জনদের সঙ্গে কথা হয়েছে। সব হাসপাতালে নির্দেশ দিয়েছি, আপাতত অপারেশন না করলেও চলে এমন রোগীদের ভর্তি না নিয়ে হাসপাতাল খালি রাখতে- যাতে করে শিশু ও বয়স্ক, যারা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে যেন তারা সুযোগ পায়।

তিনি বলেন, করোনার সময় ডিএনসিসির যে হাসপাতাল ছিল, তা আমরা প্রস্তুত রেখেছি। যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে আমরা সেই হাসপাতালটি ব্যবহার করব। তবে আশা করছি আবহাওয়া ঠিক হয়ে যাবে।

এ সময়ে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।


পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কিরগিজস্তানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

বাংলাদেশে সফররত কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপমন্ত্রী আভাজবেক আতাখানভ আজ সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ সাক্ষাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান দুই দেশের মধ্যে প্রথম ফরেন অফিস কনসালটেশনের (এফওসি) সফলভাবে সমাপ্তিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন বার্তার জন্য কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতির প্রতি ধন্যবাদ জানান।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সাবেক ইউএসএসআরের অংশ হিসেবে কিরগিজ জনগণের মূল্যবান সমর্থনের কথা স্মরণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে। তিনি কিরগিজস্তানকে পোশাক, ওষুধ, পাটজাত পণ্য, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ফল, সিরামিক, আইটি পণ্য ও সেবা আমদানির অনুরোধ জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের স্বদেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে ও ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ বন্ধে কিরগিজস্তানের সহায়তা কামনা করেন।

একই সাথে ইউরেশিয়ান ইকোনমিক কমিশনের সাথে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরে বাংলাদেশকে সমর্থন দান এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে দেশের প্রার্থীদের সমর্থনের জন্যও কিরগিজস্তানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।

বৈঠকে কিরগিজ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আভাজবেক আতাখানভ কৃষিখাতসহ বিভিন্ন অঙ্গনে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেন এবং জানান তার দেশে প্রায় এক হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। তিনি জানান, কিরগিজস্তান বিপুল বিদ্যুৎ শক্তি ও বছরে প্রায় ২২ থেকে ২৪ টন স্বর্ণ উৎপাদন করছে যেখানে ব্যাপক জনশক্তি নিয়োগের সুযোগ রয়েছে।

কিরগিজস্তান ইউরেশিয়ান ইকোনমিক কমিশনের সাথে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরে বাংলাদেশকে সমর্থন দেবে এবং জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে বাংলাদেশের সমর্থন প্রত্যাশা করে উল্লেখ করলে উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আভাজবেক আতাখানভকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ‘রিসিপ্রোসিটি’র ভিত্তিতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।


কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অপসারণ

কাল জিজ্ঞাসাবাদ করবে ডিবি
মো. আলী আকবর খান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সনদ জালিয়াতি ও বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়েছে। আজ সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। অন্যদিকে শিক্ষা বোর্ডের পরিচালক (আইসিটি) অধ্যাপক মো. মামুন উল হককে চেয়ারম্যান হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের আদেশ জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবার খানকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহিত দিয়ে কারিগরি অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হলো। কারিগরি শিক্ষা বোর্ড অব্যাহতিপ্রাপ্ত ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সংযুক্ত নতুন কর্মস্থলে যোগদানের জন্য পদ থেকে অবমুক্ত করা হলো।

অন্য প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরিচালক (আইসিটি) অধ্যাপক মো. মামুন উল হককে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর আগে গত ২১ এপ্রিল জাল সার্টিফিকেট চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবর খানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযোগ উঠে, জাল সনদের সঙ্গে চেয়ারম্যান, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কিছু কর্মকর্তাসহ আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছেন।

জিজ্ঞাসাবাদ করবে ডিবি

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সদ্য অপসারিত চেয়ারম্যান আলী আকবর খানকে আগামীকাল মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদ করবে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগ। আজ সোমবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, সনদ-বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে আলী আকবর খানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনকে গত শনিবার গ্রেপ্তার করা হয়। স্ত্রীকে গ্রেপ্তারের পর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবর খানকে রোববার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তাকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে ডিবি অফিসে ডাকা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এতে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে গ্রেপ্তার করা হবে। এ ছাড়া এ ঘটনায় যাদের নাম এসেছে পর্যায়ক্রমে সবাইকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

প্রসঙ্গত, ডিবি লালবাগ বিভাগ সনদ জালিয়াতির অভিযোগে গত ১ এপ্রিল গ্রেপ্তার করা হয় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামানকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত বোর্ডসংশ্লিষ্ট অনেক ছোট-বড় কর্মকর্তা ও দেশের কয়েকটি কারিগরি স্কুল ও কলেজের প্রধান এবং অধ্যক্ষসহ আরও কয়েকজনের নাম। সবশেষ গত শনিবার শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার করা হয় বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনকে।

শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদে সেহেলা পারভীনের নাম উঠে আসে। গত ৪ এপ্রিল এক সংবাদ সন্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে বলেন, সনদ বাণিজ্যের নানা প্রক্রিয়ায় তার কাছে গ্রাহক নিয়ে আসতেন দেশের বিভিন্ন কারিগরি স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষক ও প্রিন্সিপালরা। যেসব প্রধান শিক্ষক ও প্রিন্সিপাল মধ্যস্ততা করে গ্রাহক নিয়ে আসতেন, তাদের নামের দীর্ঘ তালিকা এসেছে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে। এ ছাড়া সনদবাণিজ্যের বিষয়ে জানতেন বোর্ডের ছোট-বড় সব কর্তাই।


কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের সুযোগ রেখে শ্রম আইন সংশোধন: আইনমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

যেকোনো কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার সুযোগ রেখে শ্রম আইন সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ সোমবার সচিবালয়ে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তারা বাংলাদেশের শ্রম আইন, শ্রমিকদের অধিকার এবং তা নিয়ে আমরা কী কাজ করছি, তা নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ছিল- বাংলাদেশ শ্রম আইনের যে সংশোধন হচ্ছে, সেটার বর্তমান পরিস্থিতি কী, কী করা হচ্ছে? ১১টা ব্যাপারে তাদের জানার ইচ্ছা ছিল এবং এ ব্যাপারে কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে, তা তাদের জিজ্ঞাসায় ছিল।’

‘তাদের প্রথম জিজ্ঞাসা ছিল, থ্রেসহোল্ড (ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের সম্মতির হার) নিয়ে। অর্থাৎ ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার জন্য কত শতাংশ শ্রমিক প্রয়োজন, সেটা নিয়ে। প্রথমে ২০১৬ সালের দিকে ৩০ শতাংশ ছিল। ২০১৭ সালে যখন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সম্মেলনে যাই, তখন এ থ্রেশহোল্ড ২০ শতাংশে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল’- বললেন আনিসুল হক।

তিনি আরও বলেন, ‘এবার যখন সংশোধনী হয়, তখন প্রথম প্রস্তাব ছিল এটাকে ২০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে নিয়ে আসব। কিন্তু সেখানে একটা ক্যাভিয়েট (শর্ত) ছিল, এটা শুধু যে-সব কারখানায় তিন হাজার বা তার চেয়ে বেশি শ্রমিক কর্মরত, তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে। কিন্তু সেই সীমাও উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ’

মন্ত্রী বলেন, ‘শ্রম আইন নিয়ে সমস্যা যখন হয়েছিল, রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে ফেরত আনা হয়েছিল, তার পরের আলোচনায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা এটা সবার জন্য করবো, কোনো ক্যাপ (সীমা) থাকবে না। সেটাও আমরা মার্কিন প্রতিনিধিদের জানিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘শ্রম আইন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ যেটা হচ্ছে, সেখানে প্রযোজ্য হবে। আগে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনে শ্রম আইন প্রযোজ্য হওয়ার কথা ছিল। সেই সংশোধনী আমরা করেছি। যে ১১টি বিষয় তারা জানতে চেয়েছিলেন তাতে এগুলো ছিল।’

‘কোন দেশ কী আমাদের দেবে, কী আমাদের দেবে না- সেটার ওপর নির্ভর করে আমরা শ্রমিকদের অধিকারের ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করবো না। সবসময় শ্রমিকদের অধিকার যা আছে, তার থেকে বেশি যাতে তারা পায় এবং অধিকার বাস্তবায়ন করা, তারা যাতে সেটা ভোগ করতে পারে, সেটা নিশ্চিত এ সরকার করবে’- বললেন মন্ত্রী।

আলোচনার পর মার্কিন প্রতিনিধিরা আইনমন্ত্রীকে বাংলাদেশের শ্রম আইন ও অধিকারের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে উল্লেখ করেন।


এবার ভারী বৃষ্টিপাতের কবলে সৌদি, ডুবে গেছে রাস্তাঘাট

সৌদির রাজধানী রিয়াদে ভারী বৃষ্টিতে ডুবে গেছে রাস্তাঘাট। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর এবার ভারী বৃষ্টিপাতের কবলে সৌদি আরব। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির রাজধানী রিয়াদের কিছু অঞ্চলসহ দেশটির অনেক এলাকা তলিয়ে গেছে, ডুবে গেছে অনেক রাস্তাঘাট। আগামী কয়েকদিন বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে, এমন সতর্কতা জারি করেছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। সতর্কতার অংশ হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সৌদি আরবের আবহাওয়া দপ্তর বলছে, শনিবার থেকে রাজধানী রিয়াদসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে। এতে তলিয়ে গেছে অনেক এলাকা। বৃষ্টিতে ভেসে গেছে বেশ কয়েকটি গাড়ি। ভারী বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে রাজধানী রিয়াদ, দিরিয়াহ, হুরায়মালা, ধুর্মা থেকে কুয়াইয়াহ পর্যন্ত।

আবহাওয়ার চলমান এ পরিস্থিতি মঙ্গলবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এই সময় দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী ও শিলাবৃষ্টি হবে বলে সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর।

এদিকে সতর্কতার অংশ হিসেবে সৌদি আরবের বিভিন্ন জায়গায় স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। বৃষ্টির সময় উপত্যকা এবং জলাবদ্ধ এলাকা থেকে নাগরিকদের দূরে থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরেই প্রতিকূল আবহাওয়ার মুখোমুখি হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। সবশেষ গেল সপ্তাহে ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হয় সংযুক্ত আরব আমিরাত। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি দেখা যায় দুবাই ও শারজাহতে।


বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের জাহাজে ফিরবে ২৮৫ সেনা-বিজিপি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধের মধ্যে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের ফেরত পাঠানোর দিন পিছিয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, আজ সোমবার ২৮৫ জনকে ফেরত পাঠানোর কথা ছিল; কিন্তু মিয়ানমার তাদের নিতে পারছে না। তাই তাদের পাঠাতে ২৫ এপ্রিল নতুন তারিখ রাখা হয়েছে। ওইদিন মিয়ানমারে বন্দি ও আটকা পড়াসহ ১৪৪ জন বাংলাদেশিকেও দেশে আনা হবে।

আজ সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘২৪ এপ্রিল মিয়ানমারের জাহাজ বাংলাদেশে আসবে। ১৪৪ জন বাংলাদেশি নাগরিক মিয়ানমারে নানাভাবে আটকা পড়েছিল, অনেকে বন্দিও ছিল, তাদের নিয়ে আসবে মিয়ানমারের জাহাজ। ২৪ এপ্রিল তো পরশুদিন। পরদিন মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যদের নিয়ে যাবে।’

দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে, যার আঁচ লেগেছে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকাতেও। সীমান্তের ওপারের মর্টার শেল ও গুলি এসে এপারে হতাহতের ঘটনাও প্রায়ই ঘটছে।

ওই সংঘাতের মধ্যে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ ৩৩০ জনকে প্রথম দফায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ফেরত পাঠিয়েছিল সরকার।

তাদের মধ্যে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপি ৩০২ জন, তাদের পরিবারের চার সদস্য, দুজন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য এবং চারজন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন।

এরপর বান্দরবান ও কক্সবাজার সীমান্ত নিয়ে কয়েক দফায় মোট ২৮৫ জন এসেছেন বাংলাদেশে, যাদের মধ্যে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য ছাড়াও সেনা সদস্য রয়েছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অনুবিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, ১৭০ জনের মতো বাংলাদেশি বিভিন্ন সময়ে মিয়ানমারে গিয়ে আটকা পড়েছেন। তাদের কেউ জেলে আছেন এবং কারও বিচার প্রক্রিয়া চলমান। এর মধ্যে কেউ কেউ মাছ ধরতে গিয়েও মিয়ানমার সীমান্তে ঢুকে আটক হয়েছিলেন। তাদের মধ্যেই ১৪৪ জনকে ফেরানোর বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে।


বাংলাদেশে আরও বেশি বিনিয়োগে আগ্রহী চীন: রাষ্ট্রদূত

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

বাংলাদেশের নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত এইচ হি ইয়াও ওয়েন‌ বলেছেন, বাংলাদেশে বড় বড় অনেক প্রকল্পের অংশীদার হতে পেরেছে চীন। বিশেষ করে পদ্মা সেতু। বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ্মা সেতুতে পাশে থেকে সর্বোচ্চ সহায়তা করেছে চীন। আমরা বিশ্বাস করি এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বদলে গেছে। তাই বাংলাদেশে আরও বেশি বিনিয়োগে আগ্রহী চীন।

আজ সোমবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেল নিয়েও আমরা কাজ করেছি। আমাদের আরও অনেক মেগা প্রকল্প রয়েছে। অবকাঠামো খাতেও আমাদের বিনিয়োগ রয়েছে। আইসিটি হাইটেক পার্ক, শিল্প ও শিক্ষা খাতেও বিনিয়োগ রয়েছে।

বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বহুদিনের দাবি করে এইচ হি ইয়াও ওয়েন‌ আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা তৈরি করতে চেয়েছিলেন। তার সেই স্বপ্ন পূরণে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার কাজ করে চলেছেন। সেই কাজে চীনের সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে বলেও জানান তিনি।

এর আগে গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে চীনা রাষ্ট্রদূত টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে বঙ্গবন্ধুসহ ৭৫-এর ১৫ আগস্টের শহীদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী ৩০ লাখ শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া মোনাজাতে অংশ নেন।

এ সময় গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, পুলিশ সুপার আল বেলী আফিফা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মো. গোলাম কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) খায়রুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) উকিং মে, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মঈনুল হক, থানার ওসি খন্দকার আমিনুর রহমানসহ চীন দূতাবাসের উচ্চ পদের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু সমাধি সৌধের প্রশাসনিক ভবনে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন।


৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রেয়াত সুবিধা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এ সিদ্ধান্তের ফলে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া। আগামী ৪ মে থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে। বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার বাদে অন্যান্য রুটের যাত্রীরা ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণে ভাড়ায় ২০ শতাংশ রেয়াত পান। ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরত্বে রেয়াত পান ২৫ শতাংশ। ৪০০ কিলো‌মিটারের বে‌শি ভ্রমণে ৩০ শতাংশ রেয়াত পান। রেলওয়ে বিজ্ঞ‌প্তিতে জা‌নিয়েছে, দূরত্ব‌ভি‌ত্তিক রেয়াত সুবিধা আর থাকছে না।

গত মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনা রেয়াত প্রত্যাহারের প্রস্তাব অনুমোদন করেন। য‌দিও সে সময়ে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হা‌কিম ভাড়া বৃ‌দ্ধির খবরকে গুজব বলে‌ দাবি করেন।

রেল সূত্র জানিয়েছে, ঈ‌দযাত্রার কারণে এত ‌দিন ভাড়া বৃ‌দ্ধি করা হয়‌নি। আগামী ২৪ এপ্রিল থেকে ব‌র্ধিত ভাড়ায় টি‌কিট বি‌ক্রি করা হবে।

যাত্রীর আবেদনে সংযোজন করা অতিরিক্ত বগির ভাড়াও বাড়বে। সংযোজিত বগির শোভন শ্রেণিতে ২০ শতাংশ এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (স্নিগ্ধা) ও অন্যান্য উচ্চ শ্রেণিতে ৩০ শতাংশ রিজার্ভেশন সার্ভিস চার্জ যোগ করা হবে ভাড়ার সঙ্গে।

ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব ৩২১ কিলোমিটার। ১০০ কিলোমিটারের পর ২০ শতাংশ এবং ২৫০ কিলোমিটারের পর ২৫ শতাংশ ছাড় পান যাত্রীরা। এই রুটে শোভন চেয়ারের ভাড়া ৩৪৫ টাকা। বিরতিহীন সোনার বাংলা ট্রেনে এই শ্রেণিতে ভাড়া ৪০৫ টাকা; কিন্তু রেয়াত সুবিধাবিহীন এবং বিরতিহীন পর্যটক এক্সপ্রেসে ভাড়া ৪৫০ টাকা। রেয়াত সুবিধা উঠে গেলে সাধারণ ট্রেনেও শোভন চেয়ার শ্রেণিতে ভাড়া হবে ৪০৫ টাকা।

যাত্রী ভাড়ায় রেয়াত সুবিধা বাতিল হলেও পণ্য পরিবহনে তা অব্যাহত থাকবে। কারণ, পরিবহন করার মতো পণ্যের সংকট রয়েছে। তাই ব্যবসায়ীদের আগ্রহ ধরে রাখতে পণ্য পরিবহনে বিদ্যমান সুবিধা বহাল রাখা হবে। ১৯৯২ সালে ট্রেনের ভাড়ায় রেয়াত সুবিধা দেওয়া হয়। লোকসান কমাতে রেয়াত বাতিল করছে রেলওয়ে। আয় বাড়াতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রেলকে বাড়তি গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রায়ত্ত এই পরিবহন সংস্থার উন্নয়নে ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় করা হয়েছে। এর মধ্যে পরিচালন ব্যয় ৪০ হাজার কোটি টাকার মতো। বিপরীতে রেল আয় করেছে ১৬ হাজার কোটি টাকা। ১ টাকা আয় করতে ২ টাকা ৭৮ পয়সা খরচ করছে রেল। এ ব্যবধান কমাতেই ভাড়া বাড়াতে যাচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ।

সর্বশেষ ২০১২ ও ২০১৬ সালে ভাড়া বাড়িয়েছিল রেল। ২০১৬ সালে ভাড়া বাড়ানো হয় ৭ থেকে ৯ শতাংশ। নতুন নির্মিত পদ্মা সেতু রেল সংযোগ এবং চট্টগ্রামের দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথে পন্টেজ চার্জ যোগ করে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন রেলসেতুর প্রতি কিলোমিটারকে ২৫ কিলোমিটার এবং ভায়াডাক্ট বা রেল ফ্লাইওভারের প্রতি কিলোমিটারকে পাঁচ কিলোমিটার হিসাব করে বাণিজ্যিক দূরত্ব নির্ধারণ করা হয়। এতে বাণিজ্যিক দূরত্ব বেড়েছে। রেয়াত সুবিধা না থাকায় বাণিজ্যিক দূরত্বের কারণে ভাড়া বাড়বে।


টিকা নেওয়ার সময় স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট লাগবে হজযাত্রীদের

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

হজযাত্রীদের টিকা নেওয়ার সময় স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট আনতে হবে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। গতকাল রোববার মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, সরকার নির্বাচিত মেডিকেল সেন্টারগুলোতে হজযাত্রীদের টিকা নিতে আসার সময় স্বাস্থ্য পরীক্ষার কিছু রিপোর্ট সঙ্গে আনার সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে, হজযাত্রার আগে সর্বশেষ তিন মাসের মধ্যে করা ইউরিন, আরএমই, আরবিএস, বুকের এক্স-রে (এক্স-রে চেস্ট পিএ ভিউ), ইসিজি, সিরাম ক্রিটিনিন, সিবিসি উইথ ইএসআর, ব্লাড গ্রুপিং অ্যান্ড এএইচ টাইপিং রিপোর্ট দেখাতে হবে টিকা নেওয়ার সময়।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হজযাত্রীরা মোট ৮০টি স্বাস্থ্য সেবা ও টিকাদান কেন্দ্র থেকে টিকা গ্রহণ করতে পারবে। কেন্দ্রগুলোর মধ্যে রয়েছে সব জেলার সিভিল সার্জন অফিস, ঢাকা জেলার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, ফুলবাড়ীয়া, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, রাজারবাগ, বাংলাদেশ সচিবালয় ক্লিনিক, গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বগুড়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মোহম্মদ আলী হাসপাতাল এবং দিনাজপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতাল।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখা থেকেও এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য ১৬১৩৬ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।


জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় প্রতিশ্রুত অর্থ ছাড়ের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সোমবার ‘জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ) এক্সপো’ এবং ‘বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্বের (বিসিডিপি)’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২২ এপ্রিল, ২০২৪ ১৪:২০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় উন্নত বিশ্বের প্রতিশ্রুত অর্থ ছাড়ের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলো ব্যাপক কার্বন নিঃসরণের মাধ্যমে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখে চলেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণকে রক্ষা করা তাদের নৈতিক দায়িত্ব। যুদ্ধের পেছনে অর্থ ব্যয় না করে তা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ব্যয় করলে বিশ্ব রক্ষা পেত।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সোমবার ‘জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ) এক্সপো’ এবং ‘বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্বের (বিসিডিপি)’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণে বাংলাদেশের অবস্থান দশমিক ৪৮ শতাংশের কম হলেও এর নেতিবাচক প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশসমূহের মধ্যে আমরা অন্যতম। জলবায়ু পরিবর্তনের এ বিরূপ প্রভাব আমাদের সম্ভাব্য উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে।’

আগামী ২৭ বছরে ন্যাপের গৃহীত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রায় ২৩০ বিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ জন্য সুনির্দিষ্ট তহবিল ও অতিরিক্ত আর্থিক সংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণে ধনী দেশ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাই।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সভাপতি থাকাকালে অভিযোজন এবং প্রশমন কার্যক্রমে উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুত প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রদানের বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্য বারবার আহ্বান জানিয়েছি। আমার প্রত্যাশা, উন্নত দেশসমূহ তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে। এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও বাংলাদেশসহ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের হুমকিতে থাকা অন্যান্য দেশগুলো যাতে অব্যাহতভাবে আর্থিক, বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা পায়, সে জন্য আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও ধনী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে জলবায়ু প্রভাব মোকাবিলায় তার সরকারের গৃহীত তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করেছি, যাতে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস পায়। এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ লাখ সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন এবং গ্রামাঞ্চলে ৪৫ লাখেরও বেশি উন্নত চুলা বিতরণ করা হয়েছে।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা ২০২৩ সালে মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান (এমসিপিপি) প্রণয়ন করেছি। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করে বিপদাপন্নতা থেকে সহিষ্ণুতা এবং সহিষ্ণুতা থেকে সমৃদ্ধি পর্যায়ে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এমসিপিপিতে অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রমে স্থানীয় জনগণের স্বপ্রণোদিত অংশগ্রহণ, প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান ও সমাজের সকলের অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার বৈশ্বিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় ১৯৯২ সালে, কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনেক আগেই ১৯৭২ সালে এ বিষয়ে কার্যকর ও সুদূরপ্রসারী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষার জন্য ১৯৭২ সালে তিনি উপকূলীয় বনায়নের সূচনা করেন। একই বছর ‘ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি’ প্রণয়ন করেন যা ১৯৭৩ সালে উদ্বোধন করা হয়। জীবন ও সম্পদ রক্ষায় তিনি উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেন। এসব আশ্রয়কেন্দ্র স্থানীয়দের কাছে ‘মুজিব কিল্লা’ নামে পরিচিত। ‌

“বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়টি আন্তর্জাতিক ফোরামে উত্থাপন করেছিলেন। ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে প্রদত্ত ভাষণে তিনি বলেছিলেন, দুর্যোগের কবলে পড়ে যে সকল দেশ বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাংলাদেশ তাদের অন্যতম। তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্ব সমাজকে এগিয়ে আসার উপযোগী একটি নিয়মিত প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গঠনে বাংলাদেশের বিশেষ স্বার্থ নিহিত রয়েছে।”

জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের উদ্ভিদ প্রজাতি সংরক্ষণ ও গবেষণার জন্য তিনি ১৯৭৫ সালের ১ জুলাই ন্যাশনাল হার্বেরিয়াম প্রতিষ্ঠা করেন। দেশের বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়ানোর সার্মথ্য অর্জনে তিনি বহুবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।’

বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে সরকার কার্যক্রম নিয়েছে উল্লেখ করে তার কন্যা বলেন, “আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পদাঙ্ক অনুসরণ করে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নিজস্ব সম্পদ দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। অভিযোজন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ২০০৯ সালে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড’ প্রতিষ্ঠা করেছি। এর আওতায় এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ৯৬৯টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”

তিনি বলেন, ‘সামুদ্রিক বাঁধ, সাইক্লোন শেল্টার, উপকূলীয় বনায়ন ইত্যাদি কর্মসূচিতে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ২৫টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে সংঘটিত ১৯৭০ সালে মহাপ্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল, কিন্তু ২০২৩ সালে ঘূর্ণিঝড় মোখায় কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। এটি জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বাংলাদেশের সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ।’


banner close