মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩

৪০ বছরে ইসলামী ব্যাংক

রিয়াজ উদ্দিন
প্রকাশিত
রিয়াজ উদ্দিন

ইসলামী ব্যাংক দেশের ব্যাংকিং খাতের অন্যতম একটি নাম। ১৯৮৩ সালের ৩০ মার্চ প্রতিষ্ঠিত এ ব্যাংক ৪০ বছর অতিক্রম করছে। সুদের অভিশাপ থেকে মুক্তি, বণ্টনমূলক সুবিচার ও সামাজিক কল্যাণমুখী অর্থনীতি গড়া ছিল ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার অন্যতম লক্ষ্য। দেশীয় উদ্যোক্তা ও বিদেশি শেয়ারহোল্ডারদের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এ ব্যাংক ইসলামি শরিয়াহর ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালনা করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রভূত খ্যাতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

ইসলামী ব্যাংক একের পর এক নতুন সাফল্য নিয়ে আমানত, বিনিয়োগ, আমদানি, রপ্তানি, রেমিট্যান্স আহরণ, শিল্পায়ন, এসএমই বিনিয়োগ, উদ্যোক্তা উন্নয়ন, পল্লি উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, নারীর ক্ষমতায়নসহ প্রায় সব ক্ষেত্রে দেশে-বিদেশে, বিশেষত উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য সাফল্যের মডেলে পরিণত হয়েছে। জাতীয় প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের অংশীদার ইসলামী ব্যাংক রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অন্যতম বৃহৎ করদাতা প্রতিষ্ঠান।

দেশের ব্যাংকিং খাতের মোট আমানত ও বিনিয়োগের প্রায় ১০ শতাংশ, বৈদেশিক বাণিজ্যের বড় অংশ এককভাবে এ ব্যাংক পরিচালনা করছে। বৈদেশিক রেমিট্যান্সের প্রায় ২২ শতাংশ এ ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে আসে। এ ব্যাংকের হাত ধরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা, গড়ে উঠেছে বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান। দেশের ছয় হাজারের বেশি শিল্পকারখানা ইসলামী ব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে, কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ৮৫ লাখ মানুষের। বাংলাদেশের উন্নয়নের অন্যতম দুই স্তম্ভ তৈরি পোশাকশিল্প ও বৈদেশিক রেমিট্যান্সপ্রবাহ ইসলামী ব্যাংকের হাত ধরেই গড়ে উঠেছে।

বিগত ৪০ বছরে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। বৈধ পথে রেমিট্যান্স আহরণের জন্য ইসলামী ব্যাংক সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, সৌদি আরব, কাতার, জর্ডান ও সিঙ্গাপুরে ৩১ জন প্রতিনিধির মাধ্যমে কাজ করছে। বিশ্বের ৫৯৪টি ব্যাংকের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে। এ ছাড়া ১৫৫ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ইসলামী ব্যাংকের রেমিট্যান্স অ্যারেঞ্জমেন্ট রয়েছে।

প্রবাসীদের অধিকাংশই মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত। এসব দেশ থেকে বাংলাদেশে আগে টাকা পাঠানোর সহজ, নিরাপদ ও দ্রুত উপায় না পেয়ে প্রবাসীরা অবৈধ উপায় গ্রহণ করতেন। ইসলামী ব্যাংক নিয়মিত বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মানুষকে বৈধ চ্যানেলে ব্যাংকিং সেবা গ্রহণের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে উৎসাহিত করে। যার সুফল ভোগ করছে আমাদের জাতীয় অর্থনীতি। প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ দেশে আসছে নিরাপদে। বিনিয়োগ হচ্ছে জাতীয় উন্নয়ন নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ খাতে।

ধর্ম-বর্ণ, শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে সব মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের অনন্য প্রতিষ্ঠান ইসলামী ব্যাংক। বর্তমানে ব্যাংকের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় দুই কোটি। এই ব্যাংকের ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা ব্যবহারকারীর সংখ্যা দেশের ব্যাংকিং খাতের শীর্ষে। গ্রাহকদের অবিচল আস্থা, ভালোবাসা ও সহযোগিতার ফলেই ইসলামী ব্যাংক আজকের এই অবস্থানে।

ইসলামী ব্যাংকের বিনিয়োগ কার্যক্রমে অধিকসংখ্যক মানুষের কল্যাণের বিষয়টি বিবেচনা করা হয়। সবুজ ও পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ কার্যক্রমকে এ ব্যাংক অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এমন কোনো পণ্যে ইসলামী ব্যাংক বিনিয়োগ করে না। বিলাসদ্রব্যের চেয়ে এ ব্যাংক মৌলিক প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিনিয়োগ পরিচালনা করে। সর্বসাধারণের কল্যাণের বিষয়টি বিবেচনা করেই ইসলামী ব্যাংক বিনিয়োগ করে থাকে।

ইসলামী ব্যাংক ১৯৯৫ সালে পল্লি উন্নয়ন প্রকল্প (আরডিএস) চালু করে। এ প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি, দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ, সঞ্চয় গঠন, বিভিন্ন আয়-উৎসারী কর্মকাণ্ডে বিনিয়োগ কার্যক্রম রয়েছে। শহর এলাকার বস্তিবাসীসহ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ২০১২ সাল থেকে ‘নগর দরিদ্র উন্নয়ন প্রকল্প’ কাজ করছে। ৩১ হাজার গ্রামে বিস্তৃত এ প্রকল্পের সদস্য ১৬ লাখ। যার ৯৪ শতাংশই নারী।

আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক সেবা ইসলামী ব্যাংকের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। দেশের মোট স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্টের ২১ শতাংশ এখন ইসলামী ব্যাংকের। হজ সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট, ক্যাশ ওয়াক্ফ অ্যাকাউন্ট, কারখানা শ্রমিক হিসাবসহ নানা সঞ্চয় হিসাবের মাধ্যমে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় এনেছে ইসলামী ব্যাংক। ইসলামী ব্যাংক বর্তমানে ৩৯৪টি শাখা, ২২৯টি উপশাখা, ২ হাজার ৭০০টি এজেন্ট আউটলেট, ২ হাজার ৫০০টি এটিএম/সিআরএম বুথের মাধ্যমে গ্রাহকদের সেবা প্রদান করছে।

ইসলামী ব্যাংকের কার্যক্রম নিজস্ব সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরিচালিত। ব্যাংকের কোর ই-আইবিএস সফটওয়্যার এই ব্যাংকের তরুণ প্রকৌশলীদের দ্বারা নির্মিত। ইসলামী ব্যাংক তার গ্রাহকদের জন্য ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, বিকল্প ব্যাংকিং চ্যানেল, ই-কমার্স ইত্যাদি প্রযুক্তিনির্ভর সেবা বাড়াচ্ছে। এ ছাড়া ইসলামী ব্যাংকের সেলফিন অ্যাপ ব্যবহার করে গ্রাহকরা সব ধরনের লেনদেন করতে পারেন সহজেই।

ইসলামী ব্যাংকিং মূলত একটি সামাজিক দায়বদ্ধ উদ্যোগ। গরিব, দুস্থ, অসহায় মানুষের কল্যাণে ১৯৮৪ সালে ‘সাদাকাহ ফান্ড’ গঠিত হয়। পরে ব্যাপকভিত্তিক কাজের জন্য ‘ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। যার অধীন ১৯টি হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, নার্সিং ইনস্টিটিউটসহ নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে অগণিত মানুষ। সব মানুষের কাছেই পৌঁছে যাচ্ছে ইসলামী ব্যাংকের কল্যাণমুখী সেবা।

ইসলামী ব্যাংকের সফলতার অন্যতম নিয়ামক হলো এ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সততা, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠা। ইসলামী ব্যাংকের দক্ষ পরিচালনা পরিষদ ও নিবেদিত জনশক্তির পাশাপাশি গ্রাহকদের অকুণ্ঠ ভালোবাসা ও সমর্থন, সব রেগুলেটরি অথরিটির পরামর্শ ও সহায়তায় ইসলামী ব্যাংক সফলতার শীর্ষে আরোহণ করতে সক্ষম হয়েছে।

এ ব্যাংকের যাত্রার শুরুতে অনেক অনিশ্চয়তা, অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠাকালে একজন খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ বলেছিলেন, ‘ইসলামী ব্যাংক তাত্ত্বিক যুদ্ধে বিজয়ী হয়েছে, এখন পরিচালনগত যুদ্ধে জয়ী হতে হবে।’ বিগত ৪০ বছরের পথচলায় নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এ ব্যাংক সামনে এগিয়ে চলেছে। ইসলামী ব্যাংকিং এখন সফল বাস্তবতা। ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকরা এ ব্যাংককে নিজেদের সন্তানের মতো ভালোবাসেন। তারা ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। অনেক গ্রাহকের কাছে ইসলামী ব্যাংকিং অক্সিজেনের প্রবাহের মতো অনুভূত হয়।

ইসলামী ব্যাংকের অনুসরণে মোট ১০টি পূর্ণাঙ্গ শরিয়াহভিত্তিক ইসলামী ব্যাংক পরিচালিত হচ্ছে। আর অনেকগুলো ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকিং উইন্ডো ও শাখার মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এটি ইসলামী ব্যাংকের সফলতারই অংশ। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রমাগত শক্তিশালী হচ্ছে ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা।

ইসলামী ব্যাংকিং সম্পর্কে এখনো কিছু ভুল ধারণা ও বিরূপ প্রচার-প্রচারণা রয়েছে। সম্প্রতি ইসলামী ব্যাংক নিয়ে যেসব বিরূপ প্রচারণা চোখে পড়েছে, তার উত্তরে ইসলামী ব্যাংকের পক্ষ থেকে মিডিয়ায় বলা হয়েছে ব্যাংকের সব কার্যক্রম সঠিক নিয়মে চলছে।

ইসলামী ব্যাংকের আমানত-বিনিয়োগ-বৈদেশিক বাণিজ্য-রেমিট্যান্স ও বৈদেশিক রেমিট্যান্স কার্যক্রমসহ সব কার্যক্রমে দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। সূর্যের আলো, চাঁদের কিরণ, বাতাস ও পানি যেমন সব মানুষের জন্য, ইসলামী ব্যাংকের কল্যাণমুখী সেবাও ঠিক তেমনি সব মানুষের জন্য। তাই ইসলামী ব্যাংক তার অনবদ্য সেবার মাধ্যমে হয়ে উঠেছে সর্বজনীন। সব মানুষের মাঝে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে এ ব্যাংক।

ইসলামী ব্যাংকের কল্যাণধর্মী কার্যক্রমের মাধ্যমে সামগ্রিকভাবে শক্তিশালী হচ্ছে দেশের অর্থনীতি, এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তিকে আরও মজবুত করতে ইসলামী ব্যাংকের এই অগ্রযাত্রাকে বেগবান করার দায়িত্ব এখন সরকারসহ দেশের প্রত্যেক নাগরিকের। দুই কোটি গ্রাহকের আস্থার এই ব্যাংক তার গতিতে এগিয়ে যাবে- এটিই সবার প্রত্যাশা।

লেখক: ব্যাংকার

বিষয়:

বাংলাদেশের সাত ব্যাংককে নেতিবাচক রেটিং দিল মুডি’স

আপডেটেড ৩১ মে, ২০২৩ ২১:১২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশের সাতটি বেসরকারি ব্যাংকের রেটিং নেতিবাচক করেছে আন্তর্জাতিক রেটিং সংস্থা মুডি’স।

ব্যাংক ছয়টির ‘দীর্ঘমেয়াদী ডিপোজিট’ ও ‘ইস্যুয়ার রেটিং’ অবনমন করেছে এবং আরেকটি ব্যাংকের প্রথম রেটিং করা হয়েছে, যা নেতিবাচক বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বুধবার এক প্রতিবেদনে মুডি’স বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর রেটিং বা ঋণমান কমানোর কথা জানায়।

রেটিং কমানো ব্যাংকগুলো হলো- ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেড, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড ও প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড। মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডের রেটিং নিশ্চিত করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

গত মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের ঋণমান কমানোর ঘোষণা দেয়। তবে বাংলাদেশের জন্য তাদের পূর্বাভাস স্থিতিশীল রাখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ঋণমান প্রদানকারী এই সংস্থাটি ।

গত বছরের ডিসেম্বরে মুডি’স এসব ব্যাংকের রেটিং পুনর্মূল্যায়নের ঘোষণা দিয়েছিল। পর্যালোচনার পর বুধবার নতুন রেটিংয়ের ঘোষণা এল।

গত ১২ ডিসেম্বর মুডি’স জানিয়েছিল, দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের সর্বভৌম রেটিং ‘বিএ৩’ থেকে পুনর্মূল্যায়ন করতে এসব ব্যাংকের রেটিং পুনর্মূল্যায়ন করা হচ্ছে। সংস্থাটি জানিয়েছিল, বাংলাদেশের সার্বভৌম রেটিংয়ে ব্যাংক খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। ব্যাংকের ঋণ দেয়ার সক্ষমতা সরকারের সক্ষমতাতেও প্রভাব ফেলে।

সংস্থাটি বলেছিল, পুনর্মূল্যায়নের সময় বেশ কিছু বিষয় তারা বিবেচনায় নেবে। বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভও এর মধ্যে রয়েছে, পরিস্থিতির উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপগুলোও এক্ষেত্রে বিবেচনায় নেয়া হবে।

ব্যাংকগুলো মুডি’স এর সাথে চুক্তি করেছিল বলেই শুধু বাংলাদেশের এ সাত ব্যাংকের রেটিং করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সার্বিক আর্থিক অবস্থার ওপর রেটিংস নিতে ব্যাংকগুলো আন্তর্জাতিক রেটিং সংস্থাগুলোর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়। ওই রেটিং বা ঋণমান প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা প্রকাশ এবং আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা নির্ধারণে সহায়ক হয়।

এই সাত ব্যাংক মুডি’স এর সঙ্গে চুক্তিতে একটি নির্দিষ্ট ফি দিয়ে রেটিং নিয়ে থাকে। সেই চুক্তির আলোকেই ব্যাংকগুলোর রেটিংস নিয়মিত পর্যালোচনা করছে মুডি’স।

বিবৃতিতে মুডি’স জানিয়েছে, সাত ব্যাংকের মধ্যে চারটির ‘বেজলাইন ক্রেডিট অ্যাসেসমেন্ট’ করা হয়েছে। আর এনসিসি ও প্রিমিয়ার ব্যাংকের রেটিং বি৩ থেকে বি২ এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদী আমানত ও ইস্যুয়ার রেটিং বি২ করা হয়েছে।

অপরদিকে এবারের রেটিং মূল্যায়নের প্রভাব সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের (সিএএ১ নেগেটিভ, সিএএ২) রেটিংয়ে পড়েনি বলে বিবৃতিতে বলা হয়।

বিষয়:

নতুন উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দিল ইউসিবি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সম্প্রতি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তায় দিনাজপুরে এসএমই খাতের নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য এক মাসব্যাপী নিবিড় প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছে। দেশে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ নতুন এসএমইর অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

বিষয়:

ইসলামী ব্যাংকের সেবার ওপর কর্মশালা 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের উদ্যোগে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত ব্যাংক ও এজেন্ট আউটলেটের কর্মকর্তাদের নিয়ে রেমিট্যান্স প্রদান, বিআরইবি অটোমেশন, এমক্যাশ এজেন্ট অ্যাপ এবং পার্সোনাল রিটেইল অ্যাকাউন্ট নামে চালুকৃত নতুন প্রোডাক্টের পরিচালনবিষয়ক এক কর্মশালা মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিষয়:

এনসিসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৫০০তম সভা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

এনসিসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৫০০তম সভা মঙ্গলবার এনসিসি ব্যাংক ভবনের বোর্ডরুমে অনুষ্ঠিত হয়। সভাটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. আবুল বাশারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

বিষয়:

শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের ডিএমডি সাইফুল ইসলাম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ব্যাংকার এম এম সাইফুল ইসলাম ২৯ মে ২০২৩ইং তারিখে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) হিসেবে যোগদান করেছেন। শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডে যোগদানের আগে তিনি আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও করপোরেট বিনিয়োগ বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

বিষয়:

ব্র্যাক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মেহেরিয়ার এম হাসান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের নমিনেটেড ডিরেক্টর মেহেরিয়ার এম হাসান ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ড. আহসান এইচ মনসুরের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন, যিনি ছয় বছর ইন্ডিপেনডেন্ট ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালনের পর ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও ইন্ডিপেনডেন্ট ডিরেক্টরের পদ থেকে অবসর নিয়েছেন।

বিষয়:

এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার পেল ব্র্যাক ব্যাংক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডস-এ দুটি পুরস্কার অর্জন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। নয়টি ক্যাটাগরির মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংক ‘নারীর ক্ষমতায়ন’ এবং ‘সমতা, বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তি’ এই দুই ক্যাটাগরিতে জয়ী হয়।

গত ২৬ মে ঢাকায় একটি হোটেলে ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) অ্যান্ড হেড অব করপোরেট ব্যাংকিং তারেক রেফাত উল্লাহ খান, ডিএমডি অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন, ডিএমডি অ্যান্ড হেড অব ট্রেজারি অ্যান্ড এফআইএস মো. শাহীন ইকবাল, হেড অব কমিউনিকেশনস ইকরাম কবীর এবং হেড অব উইমেন ব্যাংকিং ‘তারা’ মেহরুবা রেজা।

বিষয়:

প্রাইম ব্যাংকের ১৭.৫০% নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

প্রাইম ব্যাংক ২০২২ সালের বার্ষিক হিসাবের ভিত্তিতে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৭.৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। গত রোববার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত ব্যাংকের ২৮তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এই ঘোষণা দেয়া হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন প্রাইম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান তানজিল চৌধুরী। সভায় অন্যদের মধ্যে ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আজম জে চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন ও নাজমা হক, নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ইমরান খান, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান আনোয়ার উদ্দিন চৌধুরী, রিক্স ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান জাইম আহমেদ এবং ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান ও রশীদ উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়:

মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ‘ওয়ারী’ ও ‘যাত্রাবাড়ী’ উপশাখার উদ্বোধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মার্কেন্টাইল ব্যাংক ঢাকায় গতকাল সোমবার ‘ওয়ারী’ ও ‘যাত্রাবাড়ী’ উপশাখার উদ্বোধন করেছে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুল ইসলাম চৌধুরী।

যাত্রাবাড়ী উপশাখায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যাংকের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান এম. আমানউল্লাহ ও ওয়ারী উপশাখায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যাংকের পরিচালক মোশাররফ হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মার্কেন্টাইল ব্যাংক সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান এম এ খান বেলাল।

বিষয়:

স্বতন্ত্র চীনা বিজনেস ডেস্ক চালু করল ইবিএল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশ-চীন দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যাংকিং সেবা প্রদানের লক্ষ্যে গতকাল রাজধানীর গুলশানে ইস্টার্ন ব্যাংক লি. (ইবিএল) প্রধান কার্যালয়ে স্বতন্ত্র চীনা বিজনেস ডেস্ক চালু করেছে।

বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী চীনা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, বিনিয়োগকারী এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ের গ্রাহকরা এই ডেস্ক থেকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগসংক্রান্ত ওয়ান স্টপ ব্যাংকিং সল্যুশন পাবেন।

ডেস্কটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, এফবিসিসিআই সভাপতি জসীম উদ্দীন, চীনা দূতাবাসের ইকোনমিক ও কমার্শিয়াল কাউন্সিলর সং ইয়াং, বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিসিআই) সাধারণ সম্পাদক আল মামুন মৃধা, সিয়াব প্রেসিডেন্ট কি চিং লিং, ইবিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী রেজা ইফতেখার এবং ইবিএল ফাইন্যান্স হংকং-এর সিইও সোহেল মোর্শেদ।

বিষয়:

ঢাকা ব্যাংকের ব্যবসায়িক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঢাকা ব্যাংকের ব্যবসায়িক পর্যালোচনা সভা-২০২৩ রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমরানুল হক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান এ টি এম হায়াতুজ্জামান খান, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আমানউল্লাহ সরকার, পরিচালক মোহাম্মদ হানিফ, আবদুল্লাহ্ আল-আহসান, মির্জা ইয়াসির আব্বাস, রাখি দাশগুপ্তা, সাবেক পরিচালক খন্দকার মোহাম্মদ শাহজাহান, স্বতন্ত্র পরিচালক আহবাব আহমেদ, ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবু জাফর, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম শাহনেওয়াজ, এ এম এম মঈন উদ্দিন, মোস্তাক আহমেদ, আখলাকুর রহমান প্রমুখ।

বিষয়:

হইচই টেকনোলজিসের সঙ্গে পার্টনারশিপ করেছে ব্র্যাক ব্যাংক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ডিজিটাল ব্যাংকিং অ্যাপ ‘আস্থা’ ব্যবহারকারীদের বিনা মূল্যে ওটিটি সাবস্ক্রিপশন প্রদানের জন্য হইচই টেকনোলজিস বাংলাদেশ-এর সঙ্গে পার্টনারশিপ করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।

গত ২২ মে ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং মাহীয়ুল ইসলাম এবং হইচইয়ের বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর সাকিব আর খান।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অব ডিজিটাল বিজনেস অ্যান্ড পেমেন্টস তানজিনা আনিস এবং ডিজিটাল বিজনেস অ্যান্ড পেমেন্টসের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সুলতান মাহমুদ সরকার।

বিষয়:

ইসলামী ব্যাংকের ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম সম্পন্ন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ একাডেমি (আইবিটিআরএ) আয়োজিত ১৫৪তম ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের সমাপনী অনুষ্ঠান গতকাল বৃহস্পতিবার সম্পন্ন হয়। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মুহাম্মদ কায়সার আলী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

আইবিটিআরএর প্রিন্সিপাল নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট কে এম মুনিরুল আলম আল-মামুন।

বিষয়:

banner close