শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
১২ পৌষ ১৪৩২

বিএনপির ছেড়ে দেয়া ৬ আসনে ভোট আজ

বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনে উপনির্বাচন হবে বুধবার। আগের দিন মঙ্গলবার বগুড়া শহরের পৌর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ভোটের সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড
১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০৯:০৩
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০৩

বিএনপির সংসদ সদস্যদের ছেড়ে দেয়া ছয় সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন আজ বুধবার। আসনগুলো হলো- ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪, বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২। আসনগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪০ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে ১০টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী আছেন ২৩ জন, বাকি ১৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়েও ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হয়েছেন ছয়জন। বিএনপি ভোট বর্জনের আহ্বান জানালেও দলটির চার নেতা ভোট করছেন এই নির্বাচনে।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছে, ছয়টি আসনে একযোগে আজ সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট নেয়া হবে। ছয় আসনের ৮৬৭ কেন্দ্রের সবগুলোতে ভোট নেয়া হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে। গতকাল মঙ্গলবার আসনগুলোতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে ইভিএম মেশিনসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের নির্বাচনী সরঞ্জাম। নিজেদের প্রথম সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে ব্যবহার করলেও এবার ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা ব্যবহার করছে না ইসি।

সংসদীয় আসনগুলোতে সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্ন ভোট আয়োজনের সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে ভোট হবে আশাবাদ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, ‘সুষ্ঠু ভোটের জন্য সব প্রস্তুতি আছে। কেবল সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করিনি। বাকি সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন করার জন্য যা যা দরকার, আমরা সব করেছি। ভোটকেন্দ্রে নিরবচ্ছিন্নভাবে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোট চলবে। ইভিএমে ভোট দেয়ার জন্য ভোটার এডুকেশন যথেষ্ট করা হচ্ছে।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২

ছয় আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নানা ধরনের চমক দেখাচ্ছে এই আসনটি। বিএনপির যে সংসদ সদস্যের পদত্যাগে আসনটি শূন্য হয়েছে, সেই উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়াই আবার দল থেকে পদত্যাগ করে এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে চমকে দেন সবাইকে। পরে দল তাকে বহিষ্কার করে। এদিকে এই আসনে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী দেয়নি, শরিক দলগুলোর কোনো প্রার্থীকে সমর্থনও দেয়নি। বরং প্রতীক বরাদ্দের পর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই আব্দুস সাত্তারের নির্বাচনী প্রচারণা এগিয়ে নিয়ে গেছেন। দলটির কেন্দ্রীয় নেতারাও তার পক্ষে জনসভা করেছেন।

এদিকে নির্বাচনের পাঁচ দিন আগে গত শুক্রবার এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা আবু আসিফ আহমেদ নিখোঁজ হয়েছেন বলে অভিযোগ তোলে তার পরিবার। এখন পর্যন্ত তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ফোনালাপে তার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি সাজানো কি না, সে প্রশ্ন উঠেছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না করায় সে সন্দেহ আরও জোরালো হয়। শেষ পর্যন্ত ভোটের আগের দিন গতকাল দুপুরে আবু আসিফের স্ত্রী মেহেরুন্নিছা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তার স্বামীর নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। এ ঘটনায় নির্বাচন কমিশন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তবে সার্বিক ঘটনা বিশ্লেষণে আবু আসিফ আত্মগোপনে থাকতে পারেন বলেও নির্বাচন কমিশন মনে করছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান।

এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩১৩ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ১৩২টি। আসনটিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পাঁচজন। আব্দুস সাত্তার ও আবু আসিফ ছাড়া বাকি প্রার্থীরা হলেন জাতীয় পার্টির আব্দুল হামিদ ভাসানী (লাঙ্গল) ও জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুল হক (গোলাপ ফুল) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির সাবেক দুই মেয়াদের সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা (আপেল)। জিয়াউল হক অবশ্য প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময়সীমা শেষ হওয়ার পর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

এই আসনে পুলিশ, আনসার সদস্য ও গ্রাম পুলিশের পাশাপাশি চার প্লাটুন বিজিবি ও র‌্যাবের ১০টি টিম আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবে। এ ছাড়া ১৭টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে একজন করে মোট ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দুজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ও সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ করবেন। এই আসনের উপনির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, ‘আবু আসিফকে খুঁজে বের করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করতে সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।’

ঠাকুরগাঁও-৩

এই আসনে মোট ৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৪১ জন ভোটার। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫৩১ জন, পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৫ হাজার ২১০ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ১৩৮টি। এর মধ্যে ৭২টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ, যদিও নির্বাচন কমিশন এই কেন্দ্রগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ না বলে গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিহিত করছে।

এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ছয় প্রার্থী। দলীয় প্রার্থীরা হলেন ওয়ার্কার্স পার্টির ইয়াসিন আলী (হাতুড়ি), জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দীন আহমেদ (লাঙ্গল), জাকের পার্টির এমদাদুল হক (গোলাপ ফুল), বাংলাদেশ ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সাফি আল আসাদ (আম), বাংলাদেশ ন্যাশনাল ফ্রন্টের (বিএনএফ) সিরাজুল ইসলাম (টেলিভিশন)। এই আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়নি। একতারা প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোপালচন্দ্র রায় দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে ‘বিদ্রোহী’ হিসেবে ভোট করছেন এই আসনে।

এ আসনে প্রতিটি কেন্দ্রে চারজন অস্ত্রধারী পুলিশ, দুজন নারী পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবেন। এ ছাড়া সাত প্লাটুন বিজিবি সদস্য, ১৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী এলাকা নজরদারিতে রাখবেন। আঞ্চলিক রিটার্নিং কর্মকর্তা জি এম সাহাতাব উদ্দীন বলেন, ‘নির্বাচনী পরিবেশ ঠিক রাখতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পর্যাপ্তসংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন থাকবে।

বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬

বগুড়া-৪ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ২৮ হাজার ৪৬৯ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৬৫ হাজার ৪৩৪ জন, পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৩ হাজার ৩৫ জন। এই আসনের ১১২টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ৭৯টি। কেবল কাহালুতেই ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ৫৬টি।

এই আসনে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৯ জন। এ আসনে আওয়ামী লীগ নিজে প্রার্থী না দিয়ে সমর্থন দিয়েছে ১৪ দলীয় জোট থেকে জাসদ প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেনকে (মশাল)। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির শাহীন মোস্তফা কামাল (লাঙ্গল), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. তাজ উদ্দীন মণ্ডল (ডাব) ও জাকের পার্টির মো. আব্দুর রশিদ সরদার (গোলাপ ফুল) রয়েছেন দলীয় প্রার্থী। পাঁচ স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে কুড়াল প্রতীকে নির্বাচন করছেন সাবেক বিএনপি নেতা কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল, ট্রাক প্রতীকে নির্বাচন করছেন সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা মো. মোশফিকুর রহমান কাজল। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আরও আছেন মো. ইলিয়াস আলী, (কলার ছড়ি), মো. গোলাম মোস্তফা, (দালান) ও আলোচিত আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম, (একতারা)।

এদিকে বগুড়া-৬ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ১০ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৮ হাজার ২৫৯ জন, পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২ হাজার ৪৮৪ জন। এই আসনের ১৪৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৭৯টিই ঝুঁকিপূর্ণ।

এই আসনে দলীয় প্রার্থী ছয়জন হলেন- আওয়ামী লীগের রাগেবুল আহসান রিপু (নৌকা), জাসদের মো. ইমদাদুল হক ইমদাদ (মশাল), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. নজরুল ইসলাম (বটগাছ), জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম ওমর (লাঙ্গল), জাকের পার্টির মোহাম্মদ ফয়লাস বিন শফিক (গোলাপ ফুল) ও গণফ্রন্টের মো. আফজাল হোসেন (মাছ)। পাঁচ স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ আব্দুল মান্নান (ট্রাক) ও বিএনপির ‘বিদ্রোহী’ সরকার বাদল (কুড়াল)। এ আসনেও প্রার্থী হয়েছেন হিরো আলম। এ ছাড়া মাছুদার রহমান হেলাল (আপেল) ও রাকিব হাসান (কুমির) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।

বগুড়া জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানান, ‘দুই আসনের উপনির্বাচনে তিনজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ৩৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন। পাশাপাশি মোতায়েন থাকবে ১৬ প্লাটুন বিজিবি। এ ছাড়া ভোটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সাড়ে ৪ হাজার নিরাপত্তাকর্মী কাজ করবেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৫ হাজার ৪৫০ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৪ হাজার ২৮০ জন, পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১ হাজার ১৭০ জন। আসনটির ১৮০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের সংখ্যা ১২২।

নাচোল, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে দলীয় প্রার্থী চারজন, স্বতন্ত্র দুজন। দলীয় প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের মু. জিয়াউর রহমান (নৌকা), জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক (লাঙ্গল), জাকের পার্টির গোলাম মোস্তফা (গোলাপ ফুল) ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) নবীউল ইসলাম (টেলিভিশন)। এ আসনে স্বতন্ত্র দুজনই আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী। তারা হলেন- মোহাম্মদ আলী সরকার (আপেল) ও খুরশিদ আলম বাচ্চু (মাথাল)।

অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ১১ হাজা ৪৯৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৫ হাজার ৬১২ জন, পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫ হাজার ৮৮৩ জন। আসনটির ১৭২টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ৯৭টি।

এই আসনে প্রার্থী মাত্র তিনজন। তাদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের আব্দুল ওদুদ (নৌকা), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) কামরুজ্জামান খান (টেলিভিশন) এবং আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী সামিউল হক লিটন (আপেল)।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান জানান, ৩৩ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন।

[প্রতিবেদনটি তৈরিতে তথ্য দিয়েছেন দৈনিক বাংলার ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঠাকুরগাঁও, বগুড়া ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি]


জামায়াতে যোগ দিলেন শিবিরের সদ্য বিদায়ী সভাপতি জাহিদুল ইসলাম

আপডেটেড ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সদ্য বিদায়ি কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেছেন। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধরায় অবস্থিত জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি দলটির রাজনীতিতে যুক্ত হন। এ সময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের উপস্থিতিতে জাহিদুল ইসলাম সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে সংগঠনের প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ করেন।

জাহিদুল ইসলাম ইসলামী ছাত্রশিবিরের ২০২৫ সেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন শেষে সম্প্রতি বিদায় নেন। এর আগে তিনি সংগঠনের প্রকাশনা সম্পাদকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। কুমিল্লার সন্তান জাহিদুল ইসলাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের একজন কৃতি শিক্ষার্থী ছিলেন। দীর্ঘ ছাত্রজীবন শেষে সরাসরি জামায়াতে ইসলামীর মূল ধারার রাজনীতিতে তাঁর এই অন্তর্ভুক্তি দলটির ভবিষ্যৎ সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে ডা. শফিকুর রহমান তাঁকে স্বাগত জানান এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে নিবেদিত হওয়ার আহ্বান জানান।


ছোট ভাই আরাফাত রহমানের কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান

আপডেটেড ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪:৫১
নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচন কমিশনের দাপ্তরিক কাজ শেষ করে ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা ২২ মিনিটের দিকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে গিয়ে তিনি মরহুম ভাইয়ের আত্মার মাগফিরাত কামনায় ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

বনানী কবরস্থানে যাওয়ার আগে দুপুর ১টার দিকে তারেক রহমান রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) যান। সেখানে তিনি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) নিবন্ধনের জন্য নিজের আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ প্রদান করেন। তাঁর সাথে কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমানও উপস্থিত ছিলেন এবং তিনিও একই সাথে ভোটার নিবন্ধনের বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। নির্বাচন কমিশনের দাপ্তরিক আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনি সরাসরি বনানী কবরস্থানের উদ্দেশ্যে রওনা হন।

এর আগে আজ সকাল ১০টার দিকে গুলশানের বাসভবন থেকে বের হয়ে তারেক রহমানের দিনের প্রথম কর্মসূচি শুরু হয়। তিনি শুরুতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম শহীদ ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করেন। সেখান থেকে তিনি নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত দপ্তরে যান। দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরে নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং পারিবারিক শোকের স্মৃতিচারণে তাঁর আজকের কর্মসূচিগুলো ছিল বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।

বনানীতে কবর জিয়ারত শেষে তারেক রহমান ধানমন্ডিতে তাঁর শ্বশুরের বাসভবন ‘মাহবুব ভবনে’ যাওয়ার কথা রয়েছে। এরপর বিকেলের শেষভাগে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন তাঁর চিকিৎসাধীন মা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর মায়ের শয্যাপাশে বেশ কিছুটা সময় কাটাবেন তিনি। দিনের সকল কর্মসূচি শেষে রাতে তিনি পুনরায় গুলশানের বাসভবনে ফিরে যাবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। তারেক রহমানের এই ব্যস্ততম দিনটিতে তাঁর সাথে দলের শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা ছায়ার মতো ছিলেন।


‘আমি ক্ষমা প্রার্থী’: ধানের শীষে লড়তে গণঅধিকার পরিষদ ছাড়লেন রাশেদ খান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচনী কৌশলের অংশ হিসেবে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন মো. রাশেদ খান। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে বিএনপির প্রতীক ‘ধানের শীষ’ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার লক্ষ্যেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দল বদলের এই মুহূর্তে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহযোদ্ধাদের কাছে আবেগঘন এক বার্তায় ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন তিনি।

আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বরাবর পাঠানো এক পদত্যাগপত্রে রাশেদ খান তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু করে দীর্ঘ সময় তাঁরা রাজপথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছেন। এই দীর্ঘ পথচলায় তাঁর কোনো আচরণ বা বক্তব্যে যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন, তবে তিনি সবার কাছে বিনম্রভাবে ক্ষমা চেয়েছেন।

রাশেদ খান তাঁর চিঠিতে আরও লেখেন, “দলের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করার বিষয়ে আপনার সম্মতি পাওয়ায় আমি ধন্য। আমরা যেখানেই থাকি না কেন, আমাদের ভ্রাতৃত্বের বন্ধন অটুট থাকবে।” ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করলেও মূলত ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করার বিষয়টিই ছিল এই পরিবর্তনের মূল অনুঘটক।

এর আগে শুক্রবার রাতে গণঅধিকার পরিষদের এক সভায় রাশেদ খানকে বিএনপিতে যোগ দিয়ে নির্বাচন করার আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেওয়া হয়। এ বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর জানান, যেহেতু বর্তমান গণ-আন্দোলন বিএনপির নেতৃত্বে একটি সামগ্রিক সমন্বয়ের মাধ্যমে সফল হয়েছে, তাই তাঁরা আগামী দিনেও বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ থাকতে চান। তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, বর্তমান আরপিও (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) অনুযায়ী জোটভুক্ত দলগুলো নিজ নিজ প্রতীকে ভোট করতে বাধ্য, কিন্তু সব এলাকায় ছোট দলগুলোর প্রতীকে জয়লাভ করা কঠিন। তাই কৌশলগত কারণে রাশেদ খানকে বিএনপির হয়ে ধানের শীষ প্রতীকে লড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

দীর্ঘদিনের রাজপথের সহযোদ্ধার এমন দলবদল রাজনৈতিক মহলে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তবে রাশেদ খান ও নুরুল হক নুর—উভয় পক্ষই বিষয়টিকে একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্যের অংশ হিসেবে দেখছেন। ঝিনাইদহ-৪ আসনে রাশেদ খানের এই প্রার্থিতা ওই এলাকার নির্বাচনী সমীকরণে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মূলত আন্দোলনের সুফল ধরে রাখতে এবং একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতেই এই ‘নির্বাচনী সমঝোতা’র পথ বেছে নিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ ও বিএনপি।


ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করলেন ডা. জোবায়দা ও জাইমা রহমান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান এবং কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে সশরীরে উপস্থিত হয়ে তাঁরা ভোটার নিবন্ধনের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। এর মাধ্যমে দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে দেশে ফিরে নাগরিক অধিকারের প্রথম ধাপটি পূর্ণ করলেন তাঁরা।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ডা. জোবায়দা রহমান ও জাইমা রহমান কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ইটিআই ভবনে পৌঁছান। এরপর ১২টা ২৬ মিনিটে তাঁরা ভবনের ভেতরে প্রবেশ করেন। সেখানে নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত বুথে তাঁদের ছবি তোলা হয় এবং বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙুলের ছাপ গ্রহণসহ ভোটার হিসেবে প্রয়োজনীয় তথ্য যাচাইয়ের সব কাজ সম্পন্ন হয়। নিবন্ধনের এই পুরো প্রক্রিয়া শেষে দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে জাইমা রহমান নির্বাচন কমিশন প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।

তারেক রহমানের পরিবারের সদস্যদের এই উপস্থিতি ঘিরে আজ সকাল থেকেই নির্বাচন কমিশন ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়। ইসি প্রাঙ্গণে পুলিশ ও র‍্যাবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করার পাশাপাশি প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথে ব্যারিকেড দেওয়া হয়। নিরাপত্তাজনিত কারণে সাংবাদিকসহ সাধারণ কাউকে ভবনের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি, ফলে সংবাদকর্মীদের ইসি চত্বরের বাইরে অবস্থান নিতে দেখা যায়।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, প্রচলিত নিয়ম মেনেই সাধারণ নাগরিকদের মতো ডা. জোবায়দা রহমান ও জাইমা রহমানের ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী তাঁদের নাম অন্তর্ভুক্তিতে কোনো ধরনের আইনি বাধা বা জটিলতা ছিল না। উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৭ বছর তিন মাস লন্ডনে নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে গত ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমানের সঙ্গে তাঁরা সপরিবারে দেশে ফেরেন। আজ ভোটার হওয়ার মাধ্যমে তাঁরা দেশের নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় সরাসরি অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করলেন।


ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ২০ মিনিটে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে পৌঁছে এই দুই কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতেহা পাঠ করেন।

এর আগে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে তারেক রহমান তাঁর গুলশানের বাসভবন থেকে যাত্রা শুরু করেন। তাঁর এই সফরকে কেন্দ্র করে পথে পথে নেতাকর্মীদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বনানী ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে তাঁর বহরটি মগবাজার ফ্লাইওভার দিয়ে নামার সময় হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের সামনে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর সমাগমে কিছুটা বিলম্ব হয়। সেখানে তেজগাঁও থানা যুবদলের নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে তাঁদের প্রিয় নেতাকে স্বাগত জানান। পরবর্তীতে শাহবাগ মোড় হয়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পৌঁছান।

কবর জিয়ারতের সময় তারেক রহমান প্রথমে শহীদ ওসমান হাদির কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা জানান। এরপর তিনি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও ওসমান হাদির কবরের পাশে দাঁড়িয়ে ফাতেহা পাঠ করেন এবং তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন।

এই জিয়ারত অনুষ্ঠানে তারেক রহমানের সাথে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ দলের কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান, উপ-উপাচার্যবৃন্দ, প্রক্টর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ভিপি সাদিক কায়েম উপস্থিত ছিলেন।

কবর জিয়ারতের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তারেক রহমান তাঁর ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) প্রয়োজনীয় কার্যাদি সম্পন্ন করতে সরাসরি নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে রওনা হন। যদিও আজ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কথা ছিল, তবে অনিবার্য কারণে সেই কর্মসূচিটি বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন থেকে তিনি ধানমন্ডিতে তাঁর শ্বশুরের বাসভবন ‘মাহবুব ভবনে’ যাবেন এবং সেখান থেকে আবারও এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁর মা বেগম খালেদা জিয়াকে দেখে গুলশানের বাসভবনে ফিরবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। মূলত দেশে ফেরার পর সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা পালনের অংশ হিসেবেই তিনি এই কর্মসূচিগুলো পালন করছেন।


দেশের ইতিহাসে এমন রাজকীয় প্রত্যাবর্তন বিরল: মির্জা ফখরুল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফিরে আসা প্রসঙ্গে দেশের ইতিহাসে এমন রাজকীয় প্রত্যাবর্তন বিরল বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, বিশ্ব গণমাধ্যম বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী বলে মনে করছেন যাকে, সেই তারেক রহমান দেশে ফিরে এসেছেন রাজকীয় প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে। সমগ্র বাংলাদেশ তাকে সংবর্ধনা জানিয়েছে, সমগ্র বাংলাদেশ আনন্দিত হয়েছে, উৎসাহিত হয়েছে, জনগণ তাদের প্রাণপ্রিয় নেতাকে ফিরে পেয়েছে। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলানগরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এই ধরনের রাজকীয় প্রত্যাবর্তন এবং জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সংবর্ধনা খুব কম নেতার পক্ষে পাওয়া সম্ভব হয়েছে। আজকে তাদের মধ্যে একটা নতুন আশা সঞ্চারিত হয়েছে। যেটা তিনি শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) জনগণের কাছে তুলে ধরেছেন যে, তার একটি পরিকল্পনা আছে। অর্থাৎ জনগণের উন্নয়নের জন্য, বাংলাদেশকে একটি সুদৃঢ় অবস্থায় নেওয়ার জন্য, একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণ করার জন্য তিনি একটি পরিকল্পনা নিয়ে এসেছেন। সেই পরিকল্পনা তিনি ইনশাআল্লাহ জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন নিয়ে বাস্তবায়ন করবেন।

ফখরুল আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে, তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে এলো এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক আকাশে সুবাতাস বইতে শুরু করল। আমরা সবাই—বাংলাদেশে শুধু তার দল নয়, গোটা বাংলাদেশের গণতান্ত্রকামী মানুষ আজকে অপেক্ষা করে আছি এই নেতার নেতৃত্বে একটা সত্যিকার অর্থেই সুখী, সমৃদ্ধ, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে খুব কম নেতার পক্ষেই এমন স্বতঃস্ফূর্ত জনসমর্থন ও গণঅভ্যর্থনা পাওয়া সম্ভব হয়েছে। তরুণ ও সম্ভাবনাময় নেতৃত্ব হিসেবে তারেক রহমানকে আজ দেশের মানুষ শুধু নয়, বিশ্ব গণমাধ্যমও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখছে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক আকাশে এখন সুবাতাস বইতে শুরু করেছে- উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরা শুধু একটি ব্যক্তিগত প্রত্যাবর্তন নয়; এটি দেশের রাজনীতিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা। এর মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের প্রত্যাশা বাস্তবায়নের পথ আরও সুগম হবে।


তারেক রহমানের আগমনে সব ষড়যন্ত্রের সমাপ্তি ঘটেছে : গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনকে ঘিরে দেশবাসী দীর্ঘ প্রতীক্ষায় ছিল। তার আগমনকে নিয়ে নানা গুঞ্জন ছিল, তার আসার মধ্য দিয়ে সব ষড়যন্ত্র ও সব গুঞ্জনের সমাপ্তি ঘটেছে।’

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘যে লড়াইটা তিনি বিদেশের মাটিতে বসে জনগণের জন্য করেছেন, একটা অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। এখন সেই লড়াইটা প্রত্যক্ষভাবে দেশের মাটিতে বসে জনগনকে নেতৃত্ব দেবেন।’

তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষই তাকে সংবর্ধনা দিয়েছে, বিএনপি একা সংবর্ধনা দেয়নি। দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে, বিএনপি, বিএনপি নেতাকর্মী, শুভানুধ্যায়ী, শুভাকাঙ্ক্ষী, দেশের মানুষই তাকে শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সংবর্ধনা দিয়েছে। তিনি এখন জগণের নেতা এবং মানুষের ভবিষ্যৎ কর্ণধার তারেক রহমান।’

এদিকে শুক্রবার জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জাতীয় স্মৃতিসৌধে আগমন উপলক্ষে হাজার হাজার নেতাকর্মী জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় অবস্থান নেয়।

এ ছাড়া জাতীয় স্মৃতিসৌধে তারেক রহমানের আগমনকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সব ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করে। একই সাথে তার আগমনকে কেন্দ্র করে জাতীয় স্মৃতিসৌধে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয় বলেও জানিয়েছেন জাতীয় স্মৃতিসৌধের ইনচার্জ গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার খান আনু।

দীর্ঘ ১৭ বছর পর গত বৃহস্পতিবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সপরিবারে দেশে ফেরেন। তাকে অভ্যর্থনা জানাতে সারাদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ ঢাকায় সমবেত হন। এতে ঢাকা মহানগরী কার্যত জনসমুদ্রে পরিণত হয়।


ছাত্রশিবিরের নতুন সভাপতি সাদ্দাম, সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন নুরুল ইসলাম সাদ্দাম। আর সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন সিবগাতুল্লাহ সিবগা। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলনে নতুন নেতৃত্ব পান তারা।

নুরুল ইসলাম সাদ্দাম এর আগে ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি তিনি সংগঠনটির কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।

শিক্ষাজীবনে তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত উদ্যোক্তা অর্থনীতিতে পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা কোর্সে অধ্যয়নরত রয়েছেন।

অপরদিকে সিবগাতুল্লাহ ২০২৫ সেশনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ছিলেন। পাশাপাশি সংগঠনের কেন্দ্রীয় শিক্ষা সম্পাদক, প্রকাশনা ও সাহিত্য সম্পাদকসহ আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পাদকীয় পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।


শনিবার শহীদ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করবেন তারেক রহমান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামীকাল শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবেন। এদিন সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মাজার প্রাঙ্গণে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করবেন তিনি।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিএনপির মিডিয়া সেল দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের এই কর্মসূচির কথা নিশ্চিত করেছে।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, শনিবার সকাল ১১টায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সকল সদস্যসহ সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শহীদ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করতে যাবেন।

এরপর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে ভোটার হবেন এবং নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) রেজিস্ট্রেশন করবেন। তারপর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে শ্যামলীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) যাবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।


গণসংবর্ধনা পরবর্তী ৩০০ ফিট সড়কের বর্জ্য অপসারণ, ঢাকা উত্তর বিএনপির ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আয়োজিত গণসংবর্ধনা পরবর্তী বর্জ্য পরিষ্কারে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি। রাজধানীর কুড়িল থেকে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত বিস্তৃত জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে (৩০০ ফিট সড়ক) এবং এর আশপাশের এলাকায় পড়ে থাকা বিপুল পরিমাণ ময়লা-আবর্জনা আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে দলটির নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অপসারণ করেন। সকাল থেকেই স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল ও যুবদলের সদস্যদের হাতে ঝাড়ু ও বর্জ্য সংগ্রহের নানা সরঞ্জাম নিয়ে রাজপথ পরিষ্কার করতে দেখা যায়, যেখানে স্থানীয় অনেক বাসিন্দাও সংহতি জানিয়ে অংশ নেন।

পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে সরাসরি নেতৃত্ব দেওয়া ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক জানান যে, রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা পালন করা দলটির প্রধান আদর্শ। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী, জনস্বার্থ ও পরিবেশ রক্ষা নিশ্চিত করতেই এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। গতকালের বিশাল গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতির কারণে সড়কে প্লাস্টিক বোতল, কাগজের টুকরো, ব্যানার ও ফেস্টুন জমে গিয়েছিল, যা দ্রুত পরিষ্কার করার মাধ্যমে জনভোগান্তি লাঘব ও স্বাভাবিক যান চলাচল নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।

বিএনপি নেতাদের এই পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝেও ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। পথচারী ও স্থানীয়রা জানান যে, বড় কোনো রাজনৈতিক সমাবেশের পর সাধারণত সড়কগুলো নোংরা অবস্থায় পড়ে থাকে, তবে এবার দ্রুত বর্জ্য অপসারণের ফলে পরিবেশ যেমন সুরক্ষিত হয়েছে তেমনি যানবাহন চলাচলেও সুবিধা হয়েছে। দলীয় সূত্র থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, আগামী দিনেও বড় ধরনের কোনো কর্মসূচির পর এ ধরনের সামাজিক ও জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে।


বাবার কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান

আপডেটেড ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৭:৫৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তিনি জিয়া উদ্যানে প্রবেশ করেন। এরপর তিনি মরহুম পিতার কবর জিয়ারত করেন। বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে তিনি সমাধিস্থলে পৌঁছালে চন্দ্রিমা উদ্যান ও এর আশপাশের এলাকায় উপস্থিত হাজারো দলীয় নেতাকর্মী রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে তাকে উষ্ণ অভিবাদন জানান। এ সময় নেতাকর্মীদের মুহুর্মুহু স্লোগানে পুরো এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে।

এসময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় জিয়া উদ্যান ও এর সংলগ্ন এলাকায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও এপিবিএন সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা যায়।

এর আগে দুপুর ২টা ৫৪ মিনিটে তারেক রহমান গুলশান অ্যাভিনিউয়ের নিজ বাসভবন থেকে জিয়া উদ্যানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। বনানী, মহাখালী ফ্লাইওভার এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এলাকা হয়ে তিনি সরাসরি সমাধিস্থলে পৌঁছান। শ্রদ্ধা নিবেদনকালে তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। এছাড়াও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা ড. এ কে এম শামসুল রহমান শামস, উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন, বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস ছাত্তারসহ দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ জিয়ারত অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

শহীদ রাষ্ট্রপতির কবর জিয়ারত ও মোনাজাত শেষে তারেক রহমানের সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। উল্লেখ্য, সাধারণ মানুষের যাতায়াতে যেন কোনো প্রকার ভোগান্তি না হয়, সেই বিষয়টি বিবেচনা করে তিনি এদিন জুমার নামাজ বাসায়ই আদায় করেন। তার যাতায়াতের পুরো পথে এবং সমাবেশস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা বলয় লক্ষ্য করা গেছে।


তারেক রহমানের দেশে ফেরা গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের ইতিবাচক প্রতিফলন : নাহিদ ইসলাম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। একজন বাংলাদেশি নাগরিক ও রাজনৈতিক নেতার নিজ ভূমিতে ফেরার এই অধিকারটি পুনরুদ্ধার হওয়া আমাদের গণতান্ত্রিক লড়াইয়েরই একটি ইতিবাচক প্রতিফলন।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম লিখেছেন, তারেক রহমান এবং তার পরিবার রাজনৈতিক ভিন্নমতের কারণে রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। তাকে দীর্ঘ সময় নির্বাসিত থাকতে হয়েছে। হাজারো শহীদের রক্তদানের মধ্য দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের ফলে এমন প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে; যেখানে তিনি ও তার পরিবার দেশে ফিরে আসতে পেরেছেন।

তার ভাষ্য, আমরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী বাংলাদেশ রাষ্ট্র চাই; যেখানে ভবিষ্যতে ভিন্নমতের কারণে কোনও রাজনৈতিক নেতাকে রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের মধ্য দিয়ে যেতে হবে না।

এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, বিগত দেড় দশকের অবরুদ্ধ রাজনৈতিক পরিবেশ ভেঙে আমরা আজ যে মুক্ত বাংলাদেশের পথে হাঁটছি, সেখানে প্রতিটি নাগরিকের আইনের শাসন ও রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।

তারেক রহমানকে স্বদেশে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন দেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চাকে আরও সুসংহত করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় সহাবস্থান এবং সুস্থ প্রতিযোগিতার সংস্কৃতি গড়ে তোলাই এখন আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ। তারেক রহমানকে স্বদেশে স্বাগত জানাই। দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে তার এই অংশগ্রহণ ফলপ্রসূ হোক।


তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে : মির্জা ফখরুল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আাগামী নির্বাচনে তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র ফিরে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পূর্বাচলের তিনশ ফিট এক্সপ্রেসওয়েতে বিএনপি আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ আমাদের একদিকে আনন্দের দিন। বাংলাদেশের মানুষের পক্ষ থেকে শহীদ জিয়ার পুত্র ও গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থেকে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। অন্যদিকে গণতন্ত্রের নেত্রী খালেদা জিয়া অসুস্থ-এটি আমাদের জন্য বেদনাদায়ক।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন তারেক রহমান দেশে এসেছেন। আমরা তাকে বাংলাদেশের মানুষের পক্ষ থেকে স্বাগত জানাই। আশা করি, আগামী নির্বাচনে তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে।’

মির্জা ফখরুল বিগত আন্দোলনের স্মৃতিচারণা করে বলেন, ‘২০২৪ সালের ৫ আগস্ট তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা ফ্যাসিস্ট বিদায় করেছি। তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা একটি কঠিন পথ পাড়ি দিয়েছি। ইনশাআল্লাহ, ২০২৬ সালে তারই নেতৃত্বে আমরা আবারও জয়ী হবো।’

এর আগে দুপুরে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তারেক রহমান। ইমিগ্রেশন আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনি দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। পরে সেখানে উপস্থিত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কিছু সময় কথা বলেন এবং লবিতে কিছুক্ষণ অবস্থান করেন। এ সময় তিনি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন বলে দলটির মিডিয়া সেল নিশ্চিত করেছে।

পরে লাল-সবুজ রঙের একটি বাসে করে নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে করতে তিনি কুড়িল বিশ্বরোডের তিনশ ফিট এলাকায় আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এ সময় তারেক রহমানের গাড়িবহরের সঙ্গে বিপুলসংখ্যক মানুষ অনুষ্ঠানস্থলে যান। সেখানে সারাদেশ থেকে আসা নেতাকর্মীরা আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন।


banner close