শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

বিএনপির ছেড়ে দেয়া ৬ আসনে ভোট আজ

বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনে উপনির্বাচন হবে বুধবার। আগের দিন মঙ্গলবার বগুড়া শহরের পৌর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ভোটের সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড
১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০৯:০৩
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০৩

বিএনপির সংসদ সদস্যদের ছেড়ে দেয়া ছয় সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন আজ বুধবার। আসনগুলো হলো- ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪, বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২। আসনগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪০ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে ১০টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী আছেন ২৩ জন, বাকি ১৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়েও ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হয়েছেন ছয়জন। বিএনপি ভোট বর্জনের আহ্বান জানালেও দলটির চার নেতা ভোট করছেন এই নির্বাচনে।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছে, ছয়টি আসনে একযোগে আজ সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট নেয়া হবে। ছয় আসনের ৮৬৭ কেন্দ্রের সবগুলোতে ভোট নেয়া হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে। গতকাল মঙ্গলবার আসনগুলোতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে ইভিএম মেশিনসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের নির্বাচনী সরঞ্জাম। নিজেদের প্রথম সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে ব্যবহার করলেও এবার ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা ব্যবহার করছে না ইসি।

সংসদীয় আসনগুলোতে সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্ন ভোট আয়োজনের সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে ভোট হবে আশাবাদ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, ‘সুষ্ঠু ভোটের জন্য সব প্রস্তুতি আছে। কেবল সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করিনি। বাকি সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন করার জন্য যা যা দরকার, আমরা সব করেছি। ভোটকেন্দ্রে নিরবচ্ছিন্নভাবে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোট চলবে। ইভিএমে ভোট দেয়ার জন্য ভোটার এডুকেশন যথেষ্ট করা হচ্ছে।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২

ছয় আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নানা ধরনের চমক দেখাচ্ছে এই আসনটি। বিএনপির যে সংসদ সদস্যের পদত্যাগে আসনটি শূন্য হয়েছে, সেই উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়াই আবার দল থেকে পদত্যাগ করে এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে চমকে দেন সবাইকে। পরে দল তাকে বহিষ্কার করে। এদিকে এই আসনে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী দেয়নি, শরিক দলগুলোর কোনো প্রার্থীকে সমর্থনও দেয়নি। বরং প্রতীক বরাদ্দের পর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই আব্দুস সাত্তারের নির্বাচনী প্রচারণা এগিয়ে নিয়ে গেছেন। দলটির কেন্দ্রীয় নেতারাও তার পক্ষে জনসভা করেছেন।

এদিকে নির্বাচনের পাঁচ দিন আগে গত শুক্রবার এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা আবু আসিফ আহমেদ নিখোঁজ হয়েছেন বলে অভিযোগ তোলে তার পরিবার। এখন পর্যন্ত তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ফোনালাপে তার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি সাজানো কি না, সে প্রশ্ন উঠেছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না করায় সে সন্দেহ আরও জোরালো হয়। শেষ পর্যন্ত ভোটের আগের দিন গতকাল দুপুরে আবু আসিফের স্ত্রী মেহেরুন্নিছা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তার স্বামীর নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। এ ঘটনায় নির্বাচন কমিশন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তবে সার্বিক ঘটনা বিশ্লেষণে আবু আসিফ আত্মগোপনে থাকতে পারেন বলেও নির্বাচন কমিশন মনে করছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান।

এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩১৩ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ১৩২টি। আসনটিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পাঁচজন। আব্দুস সাত্তার ও আবু আসিফ ছাড়া বাকি প্রার্থীরা হলেন জাতীয় পার্টির আব্দুল হামিদ ভাসানী (লাঙ্গল) ও জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুল হক (গোলাপ ফুল) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির সাবেক দুই মেয়াদের সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা (আপেল)। জিয়াউল হক অবশ্য প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময়সীমা শেষ হওয়ার পর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

এই আসনে পুলিশ, আনসার সদস্য ও গ্রাম পুলিশের পাশাপাশি চার প্লাটুন বিজিবি ও র‌্যাবের ১০টি টিম আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবে। এ ছাড়া ১৭টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে একজন করে মোট ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দুজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ও সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ করবেন। এই আসনের উপনির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, ‘আবু আসিফকে খুঁজে বের করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করতে সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।’

ঠাকুরগাঁও-৩

এই আসনে মোট ৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৪১ জন ভোটার। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫৩১ জন, পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৫ হাজার ২১০ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ১৩৮টি। এর মধ্যে ৭২টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ, যদিও নির্বাচন কমিশন এই কেন্দ্রগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ না বলে গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিহিত করছে।

এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ছয় প্রার্থী। দলীয় প্রার্থীরা হলেন ওয়ার্কার্স পার্টির ইয়াসিন আলী (হাতুড়ি), জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দীন আহমেদ (লাঙ্গল), জাকের পার্টির এমদাদুল হক (গোলাপ ফুল), বাংলাদেশ ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সাফি আল আসাদ (আম), বাংলাদেশ ন্যাশনাল ফ্রন্টের (বিএনএফ) সিরাজুল ইসলাম (টেলিভিশন)। এই আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়নি। একতারা প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোপালচন্দ্র রায় দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে ‘বিদ্রোহী’ হিসেবে ভোট করছেন এই আসনে।

এ আসনে প্রতিটি কেন্দ্রে চারজন অস্ত্রধারী পুলিশ, দুজন নারী পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবেন। এ ছাড়া সাত প্লাটুন বিজিবি সদস্য, ১৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী এলাকা নজরদারিতে রাখবেন। আঞ্চলিক রিটার্নিং কর্মকর্তা জি এম সাহাতাব উদ্দীন বলেন, ‘নির্বাচনী পরিবেশ ঠিক রাখতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পর্যাপ্তসংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন থাকবে।

বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬

বগুড়া-৪ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ২৮ হাজার ৪৬৯ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৬৫ হাজার ৪৩৪ জন, পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৩ হাজার ৩৫ জন। এই আসনের ১১২টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ৭৯টি। কেবল কাহালুতেই ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ৫৬টি।

এই আসনে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৯ জন। এ আসনে আওয়ামী লীগ নিজে প্রার্থী না দিয়ে সমর্থন দিয়েছে ১৪ দলীয় জোট থেকে জাসদ প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেনকে (মশাল)। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির শাহীন মোস্তফা কামাল (লাঙ্গল), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. তাজ উদ্দীন মণ্ডল (ডাব) ও জাকের পার্টির মো. আব্দুর রশিদ সরদার (গোলাপ ফুল) রয়েছেন দলীয় প্রার্থী। পাঁচ স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে কুড়াল প্রতীকে নির্বাচন করছেন সাবেক বিএনপি নেতা কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল, ট্রাক প্রতীকে নির্বাচন করছেন সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা মো. মোশফিকুর রহমান কাজল। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আরও আছেন মো. ইলিয়াস আলী, (কলার ছড়ি), মো. গোলাম মোস্তফা, (দালান) ও আলোচিত আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম, (একতারা)।

এদিকে বগুড়া-৬ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ১০ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৮ হাজার ২৫৯ জন, পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২ হাজার ৪৮৪ জন। এই আসনের ১৪৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৭৯টিই ঝুঁকিপূর্ণ।

এই আসনে দলীয় প্রার্থী ছয়জন হলেন- আওয়ামী লীগের রাগেবুল আহসান রিপু (নৌকা), জাসদের মো. ইমদাদুল হক ইমদাদ (মশাল), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. নজরুল ইসলাম (বটগাছ), জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম ওমর (লাঙ্গল), জাকের পার্টির মোহাম্মদ ফয়লাস বিন শফিক (গোলাপ ফুল) ও গণফ্রন্টের মো. আফজাল হোসেন (মাছ)। পাঁচ স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ আব্দুল মান্নান (ট্রাক) ও বিএনপির ‘বিদ্রোহী’ সরকার বাদল (কুড়াল)। এ আসনেও প্রার্থী হয়েছেন হিরো আলম। এ ছাড়া মাছুদার রহমান হেলাল (আপেল) ও রাকিব হাসান (কুমির) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।

বগুড়া জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানান, ‘দুই আসনের উপনির্বাচনে তিনজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ৩৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন। পাশাপাশি মোতায়েন থাকবে ১৬ প্লাটুন বিজিবি। এ ছাড়া ভোটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সাড়ে ৪ হাজার নিরাপত্তাকর্মী কাজ করবেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৫ হাজার ৪৫০ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৪ হাজার ২৮০ জন, পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১ হাজার ১৭০ জন। আসনটির ১৮০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের সংখ্যা ১২২।

নাচোল, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে দলীয় প্রার্থী চারজন, স্বতন্ত্র দুজন। দলীয় প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের মু. জিয়াউর রহমান (নৌকা), জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক (লাঙ্গল), জাকের পার্টির গোলাম মোস্তফা (গোলাপ ফুল) ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) নবীউল ইসলাম (টেলিভিশন)। এ আসনে স্বতন্ত্র দুজনই আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী। তারা হলেন- মোহাম্মদ আলী সরকার (আপেল) ও খুরশিদ আলম বাচ্চু (মাথাল)।

অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ১১ হাজা ৪৯৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৫ হাজার ৬১২ জন, পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫ হাজার ৮৮৩ জন। আসনটির ১৭২টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ৯৭টি।

এই আসনে প্রার্থী মাত্র তিনজন। তাদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের আব্দুল ওদুদ (নৌকা), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) কামরুজ্জামান খান (টেলিভিশন) এবং আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী সামিউল হক লিটন (আপেল)।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান জানান, ৩৩ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন।

[প্রতিবেদনটি তৈরিতে তথ্য দিয়েছেন দৈনিক বাংলার ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঠাকুরগাঁও, বগুড়া ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি]


আজ স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৭ জুলাই, ২০২৪ ০০:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ শনিবার (২৭ জুলাই)। এ দিন গৌরবোজ্জ্বল সংগ্রাম ও সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে আমাদের প্রিয় সংগঠন ৩১ বছরে পদার্পণ করবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন হিসেবে ১৯৯৪ সালের ২৭ জুলাই ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের সাবেক নেতাদের সমন্বয়ে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন বর্তমানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংগঠনটি আন্দোলন, সংগ্রাম ও দুর্যোগ মোকাবিলায় সব সময় মাঠে ছিল।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আজ সকাল ৬টায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ জেলা, মহানগর, উপজেলা, ওয়ার্ডসহ সব শাখার দলীয় কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন।

আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু এই দীর্ঘ পথচলায় সর্বস্তরের নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা ও প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।

নেতৃদ্বয় বিএনপি-জামায়াতের গত কয়েক দিনের নৈরাজ্য প্রতিরোধে অংশ নেওয়া সব নেতা-কর্মীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাকের মোল্লা ও সুমন হোসেনসহ নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে আহত নেতা-কর্মীদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

এ ছাড়া চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সব কর্মসূচি স্থগিত করে সংগঠনের জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা, পৌরসভা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও বৈদেশিক শাখাসমূহকে বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডবে নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং বিপুল সংখ্যক আহত নেতা-কর্মীর সুস্থতা কামনা করে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করতে নির্দেশনা দিয়েছেন।

বিষয়:

ব্যর্থতা আড়াল করতে সরকার নির্বিচারে গ্রেপ্তার করছে: ফখরুল

পুরোনো ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকার নিজেদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ব্যর্থতা আড়াল করতে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে গ্রেপ্তার করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর সরকার দলীয় সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে হামলা চালিয়ে ইতিহাসে হতাহতের যে বর্বরোচিত নজির স্থাপন করেছে তা দেশবিদেশের সব স্বৈরাচারের নির্মম নিষ্ঠুরতাকেও হার মানিয়েছে।

অব্যাহত গতিতে দেশব্যাপী বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি হচ্ছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টুর বাসাসহ অনেক সিনিয়র নেতার বাসায় তল্লাশি চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার নেতাদের গুম করে রেখে নির্যাতন চালিয়ে তিন, চার কিংবা পাঁচদিন পর আদালতে হাজির করা হচ্ছে, যা আইন ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। দেশের নাগরিকদের গুম করে রাখার ভয়াবহ সংস্কৃতি চালু রেখে মানুষের মনে ভীতি সঞ্চার করা হচ্ছে। সরকারকে এ ধরনের লোমহর্ষক কর্মকাণ্ড পরিহারের আহ্বান জানাচ্ছি।

এ ছাড়া তিনি মানুষকে গ্রেপ্তার, কারান্তরীণ ও জুলুম-নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।


প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে: কাদের

শুক্রবার আ. লীগের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও বিচার হবে। আজ শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সকল দাবি মেনে নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। আমরা বরাবরই শিক্ষার্থীদের দাবি সমর্থন করে আসছি। ৭১-এ যারা বেইমানি করেছে, হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তারা এখনো বেইমান। ৭১-এর খুনি, ৭৫-এর খুনি, ২১ আগস্টের খুনি, ২৪ সালেও একই খুনিরা। তারা হচ্ছে বিএনপি জামায়াত।

আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীদের হত্যা করে দায় চাপানো হচ্ছে অভিযোগ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে। নজিরবিহীন তাণ্ডব চালিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানো।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আ. লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, ইকবাল হোসেন অপু, আনিসুল হক প্রমুখ।


সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করে বিচার করতে কমিটি গঠন করা হয়েছে

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহিংসতার ঘটনায় নিহত পরিবারের সদস্যদের দায়িত্ব নেবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক সমন্বয় সভায় তিনি এ কথা জানান।

সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করে বিচার করতে কমিটি গঠন করা হয়েছে। সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হবে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করে বিএনপি-জামায়াত তাদের পরিচিত আগুন সন্ত্রাস করেছে, দেশের অর্জন ধ্বংসস্তূপে পরিণত করতে চেয়েছে। বিএনপি সারিসারি লাশের ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ নিহত ও আহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াবে। জনগণের মুক্তির জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করাই সরকারের লক্ষ্য। কোটা আন্দোলনে ভর করে বিরোধীরা যে ধ্বংসস্তূপ করেছে তা বিদেশিরা পরিদর্শন করে কম্পিত হয়ে গেছে। তারেক রহমান কোটা আন্দোলনে কুশীলব। আন্দোলন যতক্ষণ পর্যন্ত ছাত্রদের ছিল ততক্ষণ কোনো সংঘর্ষ হয়নি। পূর্বপরিকল্পিতভাবে বিএনপি-জামায়াত দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সন্ত্রাসী এনে ২০১৪ সালের অগ্নি সন্ত্রাস বাস্তবায়ন করেছে। ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কোটা নিয়ে একদিনের জন্যও আন্দোলন হয়নি। তবে কেন হঠাৎ করে এ মরণপণ আন্দোলন।

কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কী করে বলতে পারেন বিএনপি আগুন সন্ত্রাস করে না, এ মিথ্যাচারের জন্য নোবেল পুরস্কার দেওয়া উচিত। রাষ্ট্রের মেগা উন্নয়ন মেট্রোরেল, সেতু ভবন ও বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ সব সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এগুলো দেখলে বোঝা যায় কারা এসব করেছে। যারা সরকারের উন্নয়ন দেখতে চায় না তারাই করেছে।


বিএনপি এখনো ধ্বংসের সুরে কথা বলছে: কাদের

আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতাদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নেই, তারা এখনো ধ্বংসের সুরে কথা বলছেন। আজ বুধবার রাজধানীর শ্যামলী-আদাবর রিং রোডে মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সমালোচনা করে কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল এখনো মিথ্যাচার করছেন। এদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নেই। মির্জা ফখরুল এখনো ধ্বংসের সুরে কথা বলছেন, আগুনের কথা বলছেন। আপনারা (বিএনপি) এ দেশ চাননি, মুক্তিযুদ্ধ চাননি। আপনারা পদ্মা সেতু চাননি, মেট্রোরেল চাননি। আজ মেট্রোরেল বন্ধ, ধ্বংসলীলায় পরিণত হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকাবাসী চেয়েছিল মেট্রোরেল। আজ ধ্বংস হয়ে গেছে। মিরপুর স্টেশনে যে হামলা হয়েছে সেগুলো সারাতে এক বছর লাগবে। আমাদের যত অর্জন আছে, সন্ত্রাসীদের আক্রমণে সেগুলো ধ্বংসলীলায় পরিণত হয়েছে। যে সেতুভবন পদ্মাসেতু করেছে সেই সেতুভবন আক্রান্ত, দোতলায় আমার অফিস কয়লা হয়ে গেছে, বিআরটিএ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যে অর্জনগুলো বাংলাদেশকে প্রশংসিত করেছে, সম্মানিত করেছে, শেখ হাসিনার এই অর্জনগুলো আজকে অগ্নিসন্ত্রাসের আক্রমণে ধ্বংস লীলায় পরিণত হয়েছে। আজকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের মুল্যবোধ জয় বাংলা আক্রান্ত, একাত্তরের মহাবিজয় আজ আক্রান্ত।

তিনি বলেন, পদ্মাসেতু মাওয়া প্রান্ত, জাজিরা প্রান্ত বার বার আগুন দেওয়ার চক্রান্ত হয়েছে, স্থানীয় জনগণ প্রতিরোধ করেছে। আমার দেশ ও অর্জন যখন আক্রান্ত হয় আমরা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে পারি না। আমাদের ইতিহাস ও সংস্কৃতির ধারক বাহক বিটিভিকে পুড়ে ছাই করে দিয়েছে। মির্জা ফখরুল এখনো ধ্বংসের সুরে কথা বলে। আর কত ধ্বংস চান?

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান প্রমুখ।


শিক্ষার্থীদের পরিবর্তে বিএনপি-জামায়াত মাঠে নেমেছে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৮ জুলাই, ২০২৪ ১৬:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার পর শিক্ষার্থীদের পরিবর্তে বিএনপি-জামায়াত তাদের পুরনো আগুন সন্ত্রাস নিয়ে মাঠে নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নিরাপদ জায়গা হিসেবে ব্যবহার করে ইতোমধ্যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিধানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। প্রথম থেকেই পুলিশ সহনীয় ভূমিকা পালন করেছে, যার কারণে রাষ্ট্রপতি বরাবর শিক্ষার্থীরা তাদের স্মারকলিপি সরাসরি দিতে পেরেছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আহমদ হোসেন, এস এম কামাল হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।


সন্ত্রাস-সহিংসতা সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া হবে না: কাদের

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ঘোষিত কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিকে পুঁজি করে কাউকে সন্ত্রাস ও সহিংসতা সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল বুধবার রাতে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

কাদের বলেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তাকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কোনো কর্মকাণ্ডকে সহ্য করা হবে না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সর্বস্তরের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে রাজপথে থাকবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আজ (গতকাল) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সকলকে ধৈর্য ধারণ এবং সহনশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি উচ্চ আদালতের রায় ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত ধৈর্য ধরার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত বলেছেন, আমার বিশ্বাস, আমাদের ছাত্রসমাজ উচ্চ আদালত থেকে ন্যায়বিচারই পাবে। তাদের হতাশ হতে হবে না।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুঁজি করে বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক এবং দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গে সন্ত্রাস ও সহিংসতার বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। সাধারণ শিক্ষার্থী ও দেশের জনগণ যখন প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে আশ্বস্ত হয়েছে, ঠিক তখন কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে এবং আমরা দেখতে পাচ্ছি, এই কর্মসূচিকে পুঁজি করে বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি সারা দেশে সন্ত্রাস ও অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শুরু থেকেই ছাত্রদল ও শিবিরের সন্ত্রাসী ক্যাডারবাহিনী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। এখন তারা ব্যাপক সন্ত্রাস ও অরাজকতার মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুঁজি করে বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসাত্মক অপরাজনীতির ফলে ইতোমধ্যে কয়েকটি তাজা প্রাণ ঝরে গেছে। বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির সন্ত্রাসী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সকল দেশপ্রেমিক নাগরিককে সচেতন এবং সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, এই সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর যে কোনো অপতৎপরতার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের রাজপথে থেকে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে সহযোগিতা প্রদানের জন্য সাংগঠনিক নির্দেশনা প্রদান করছি।


আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নিতে যারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারা শিগগিরই গ্রেপ্তার হবে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নিতে যারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে তারা শিগগিরই গ্রেপ্তার হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ।

আজ বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনের পর টিএসসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, কোমলমতি ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র। আগ্নেয়াস্ত্র, লাঠিসোটা, খিচুরী ও পানি সাপ্লাই দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে। যারা এগুলো করছে, তাদের নাম ও ফোন নম্বর পেয়েছি শিগগিরই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।

হারুন অর রশীদ বলেন, শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে একটি চক্র বাসে আগুন, রেলের স্লিপার তুলে দেওয়া, মেট্রো বন্ধ করার চেষ্টা করছে। এসব অপরাজনীতি করে তারা যদি মনে করে সফল হবে, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। দেশের জনগণ এসব অপরাজনীতি অতীতেও গ্রহণ করেনি এখনও করবে না।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাতে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে তাজা ককটেল, লাঠি ও দেশি-বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করেছি। এ ঘটনায় সাতজনকে আটক করা হয়েছে। তারা অনেক তথ্য দিয়েছে। কারা এসব ষড়যন্ত্র করছে, কারা খাবার, অস্ত্র ও লাঠিসোটা সাপ্লাই দিচ্ছে তাদের নাম ফোন নম্বর দিয়েছে। তারা গোয়েন্দা জালে রয়েছে, শিগগিরই গ্রেপ্তার হবে।


আ. লীগ নেতাদের ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে প্রস্তুত হতে বললেন কাদের

আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রস্তুত হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পাশাপাশি অশুভ অপশক্তিকে প্রতিহত করতে সারা দেশে নেতাকর্মীদের সতর্ক হয়ে শক্ত অবস্থান নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

আজ বুধবার তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের এক মতবিনিময় সভায় ওবায়দুল কাদের এ নির্দেশ দেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনারা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রস্তুত হয়ে যান। যার যার এলাকায় যান। আজও তাদের ভয়াবহ তাণ্ডব সৃষ্টির এজেন্ডা আছে। বিধ্বংসী এজেন্ডা আছে। এখানে শুধু পুলিশের শক্তি নয়, আমাদের দলের যে শক্তি— যে শক্তি বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ করেছে, যে শক্তি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করেছে, সেই শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, আমাদের এ শক্তিকে আজ কাজে লাগতে হবে। যার যার দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতাকর্মীকে আমাদের নেত্রীর পক্ষ থেকে নির্দেশ দিচ্ছি, সারা দেশে সতর্ক হয়ে শক্ত অবস্থান নিয়ে অশুভ অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। কোনো অপশক্তির সঙ্গে আপস করা যাবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীদের আমরা কোনো ছাড় দেব না। স্বাধীনতাবিরোধীদের আমরা কোনো ছাড় দেব না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি-জামায়াত যদি মনে করে, এসব করে তারা ছাড় পাবে, তবে তাদের বলতে চাই, কোনো ছাড় আওয়ামী লীগ দেবে না। এখন কোটা নিয়ে আন্দোলন আর সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নেই। এখানে সরাসরি বিএনপি-জামায়াত, ছাত্রদল-ছাত্র শিবির জড়িয়ে আন্দোলনকে সরকার উৎখাতের আন্দোলনে পরিণত করতে চাইছে।

তিনি বলেন, আমরা কিছু পত্রিকার হেডিং দেখলে অবাক হয়ে যাই, সব জায়গায় ছাত্রলীগের হামলা। অথচ ধরে ধরে হল থেকে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের মেয়েদের বের করে দেওয়া হয়েছে। হলে হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পোশাক-পরিচ্ছদ, তাদের বই-পুস্তক পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখনো এ অবস্থা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ ঘটনা কোনো গুরুত্বপূর্ণ হেডিং হলো না। কাল আমরা টেলিভিশনে দেখলাম যে, শহীদ মিনার এলাকায় সহকারী প্রক্টরকে দৌড়াতে দৌড়াতে লাঠি দিয়ে পেটানো হয়েছে, কত যে বর্বর, চোখে না দেখলে বিশ্বাস হয় না।

তিনি বলেন, আমরা আশা করি, সত্যিকারভাবে যা ঘটেছে, আমাদের গণমাধ্যম তা তুলে ধরবে। এটিই আমরা চাই, সত্যকে বিকৃত করা উচিত নয়। আজ বেশিরভাগ হামলাই ছাত্রলীগের ওপর, এখনো চলছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কেন রাস্তাঘাট দখল করতে যাবে, সহিংসতায় জড়াবে? এ আন্দোলনের নেতৃত্ব নিঃসন্দেহে অশুভ শক্তির হাতে চলে গেছে। এ অবস্থায় আমরা নিশ্চুপ থাকতে পারি না। আমরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীরা চুপ করে বসে থাকতে পারি না। আমাদের অস্তিত্বের প্রতি হামলা আসছে, হুমকি আসছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলা আমাদের করতেই হবে।


ঢাবি অধ্যাপক মুহিতের ওপর হামলা: ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের নিন্দা

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের হামলার শিকার ঢাবির সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক আব্দুল মুহিত আহত। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৭ জুলাই, ২০২৪ ০০:৩৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

কোটা সংস্কার আন্দোলনে উত্তাল পুরো দেশ। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) আন্দোলনকারীদের হামলার শিকার হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক আব্দুল মুহিত। হামলার শিকার হয়েছেন আরও চার শিক্ষক।

বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটের দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদ।

মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় এই প্রতিবাদ জানানো হয়।

বার্তায় সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সরদার মাহামুদ হাসান রুবেল বলেন, ‘শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড- এই প্রবাদ সবাই জানি। জাতির উন্নতি-অগ্রগতি শিক্ষার ওপর নির্ভর করে। সেই শিক্ষা দান করেন একজন শিক্ষক। শিক্ষক হলেন জাতি গড়ার কারিগর। দুঃখজনক হলেও সত্য, আন্দোলনের নামে তারা শিক্ষকদের ওপর হামলা করেছে। এটা সমাজে এবং রাষ্ট্রের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আইনের চোখে অপরাধী যে হোক না কেন তার বিচার হওয়া উচিত। কিন্তু কেউ আইন হাতে নিয়ে বিচার করবে, লাঞ্ছিত করবে, তা কখনো কাম্য নয়। শিক্ষককে অপদস্ত করার বিরুদ্ধে সবার সোচ্চার হওয়া জরুরি।’

যা ঘটেছিল

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাবির প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা শহীদ মিনার এলাকা থেকে শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের চলে যাওয়ার জন্য লাউড স্পিকারে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিয়ে প্রক্টরিয়াল টিমের ওপর হামলা চালায়।

এ সময় ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল মুহিত পায়ে আঘাত পেয়ে রাস্তায় পড়ে যান। সেখান থেকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।


এই সরকারকে আর সময় দেওয়া যাবে না: ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

‘স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও আমাদের অধিকার নিয়ে লড়াই করতে হচ্ছে। ২০১৮ সালে কোটা ব্যবস্থা তো প্রধানমন্ত্রীই বাতিল করেছিলেন। এখন আবারও আদালতকে ব্যবহার করে একটা ইস্যু বানিয়েছেন। এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য। একটা কথা বলতে চাই, আমাদের সবাইকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। এই সরকারকে আর সময় দেওয়া যাবে না’

আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং বিএনপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মশিউর রহমান যাদু মিয়ার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, স্বাধীনতার আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানের ছাত্র সংগঠন এনএসএফ পৈশাচিক নির্যাতন করত। বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকারের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ সেটিই করছে। তারা অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমানোর চেষ্টা করছে। অথচ শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত।

ফখরুল বলেন, তারা হাসপাতালে গিয়ে হামলা চালিয়েছে। স্বাধীনতার আগে পাকিস্তানের ছাত্র সংগঠন এনএসএফ পৈশাচিক নির্যাতন করত। বর্তমানেও ছাত্রলীগ সেটিই করছে। তারা অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমানোর চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, ঘৃণা এবং ক্ষোভের সঙ্গে বলতে হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ বর্বর হামলা চালিয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এখন সবার উচিত আন্দোলন করা। আমাদের সন্তানদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। এই সময়ে রুখে দাঁড়াতে না পারলে দেশ ও জাতির অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. মাহবুবউল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাৎ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, নূর মোহাম্মদ খান প্রমুখ।

বিষয়:

ছাত্রলীগ নেতাদের পদত্যাগ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে: সাদ্দাম

ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার করা মন্তব্য ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের করা হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে ছাত্রলীগ থেকে নেতাদের পদত্যাগ করার খবর আসছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। গণমাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী অন্তত ১২৪ জন নেতাকর্মী পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। এবিষয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, ‘পদত্যাগ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।’

আজ মঙ্গলবার নেতাকর্মীদের পদত্যাগ ইস্যুতে গণমাধ্যমে কথা বলেন ছাত্রলীগ সভাপতি। তিনি বলেন, আমরা সব যাচাই–বাছাই করছি। এটি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে, এর বেশি কিছু না।

আজ বিকেল ৩টা ২০ মিনিটের দিকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, আমরা কোনো ধরনের সংঘাতে যেতে চাই না, সহযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে চাই। যেকোনো বিষয় যৌক্তিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব।

গতকাল হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা জড়িত এবং তারা অস্ত্র প্রদর্শন করেছে এরকম ছবি ও তাদের নামসহ গণমাধ্যমে এসেছে— এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা যদি এ ধরনের কার্যক্রম দেখতে পাই তাহলে সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তবে একপাক্ষিকভাবে বলার কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাত জন নেতাকর্মী গতকাল গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত পদত্যাগ করেছেন চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক-মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন এসব নেতাকর্মী।

উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে গত রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্তব্য করেন ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা কিছুই পাবে না, রাজাকারের নাতিপুতিরা সব পাবে?’

প্রধানমন্ত্রীর এ মন্তব্যে ক্ষিপ্ত হন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। তারা ধরে নিয়েছেন ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ তাদেরকেই বলা হয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে রোববার মধ্যরাত থেকে আন্দোলনে নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

গতকাল সোমবার দুপুর থেকে আবারও বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগ। বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত থেমে থেমে চলা সংঘর্ষে ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। রাত ১০টার পর আন্দোলনকারীরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন এবং সারা দেশের সব পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে তাদের সমর্থনে রাস্তায় নামার আহ্বান জানান।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে রাজধানীর ১৫-২০টি স্থানে একযোগে সড়ক অবরোধ শুরু করেন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অবরোধে গোটা রাজধানী অচল হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, বগুড়াসহ দেশের প্রায় সর্বত্র শিক্ষার্থীরা সড়কে নেমে এসেছেন। দুপুরের পর থেকে ঢাকার সায়েন্সল্যাব ও চানখারপুল এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়।


প্রধানমন্ত্রী কোটা আন্দোলনের কাউকে উদ্দেশ্য করে ‘রাজাকার’ বলেননি

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য বিকৃত করা হচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ও জামায়াতের পাশাপাশি তাদের সমমমনা দলও এসবে জড়িত।প্রধানমন্ত্রী কোটা আন্দোলনের কাউকে উদ্দেশ্য করে রাজাকার বলেননি। ওবায়দুল কাদের আজ মঙ্গলবার দুপুরে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পেছনে বিএনপি-জামায়াতের ইন্ধন রয়েছে। এই আন্দোলনকারীদের একটা অংশ রাজাকারের পক্ষে কথা বলছে। এটা স্পষ্ট এর পেছনে রয়েছে বিএনপি-জামায়াত।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে বিনা উস্কানিতে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ ছাত্রলীগের ওপর নির্বিচার হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধকে টার্গেট করে যে আন্দোলন তা প্রতিহত করা হবে। ধৈর্য ধারণ করা মানে নীরবতা নয়, সময় মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, সোমবার বিনা উসকানিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। ছাত্রলীগের ওপর দোষ চাপানো একটা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। আমাদের ৫০০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতার ভুয়া ছবি ব্যবহার করে বিভিন্ন পেজে অপপ্রচার করছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, কোটা আন্দোলনের পেছনে একটি মতলবি মহল আছে। অতীতেও সড়ক আন্দোলন কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে আন্দোলনের ফসল ঘরে তুলতে চেয়েছিলো বিএনপি। তারা অগ্নি সন্ত্রাস করেছে। কিন্তু সে আন্দোলনে তারা সাড়া পায়নি। জনগণের শক্ত অবস্থানের কাছে পরাস্থ হয়।

তিনি বলেন, আজকে যে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলছে, এ আন্দোলনেরও নেতৃত্ব নিয়েছে তারেক রহমান। তার দল বিএনপি প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছে। একটা অরাজনৈতিক ইস্যুকে রাজনৈতিক আন্দোলনে পরিণত করতে চক্রান্ত করছে। একটা অপশক্তিকে এর পেছনে লেলিয়ে দিয়েছে।

কাদের বলেন, তারেক রহমান দন্ডপ্রাপ্ত আসামি। তার দল নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে অংশ নেয়নি। আন্দোলনে বার বার ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি। কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করে দলটি আন্দোলনের ফসল তুলতে চেয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের মুখপাত্র ম্যাথিও মিলার যা বলেছেন তার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের নেই। অন্যদের নিয়ে কথা বলার আগে নিজেদের চেহারা আয়নায় দেখা উচিত।

কোটার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালত ব্যতিরেকে বা বলপ্রয়োগের কোনো সুযোগ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, কোটা আন্দোলনের মধ্যদিয়ে যারা ক্ষমতায় যাওয়ার আন্দোলনের দিবাস্বপ্ন দেখছেন অচিরেই তাদের স্বপ্ন উড়ে যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড.আব্দুর রাজ্জাক ও জাহাঙ্গীর কবির নানক,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম,সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক ও এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


banner close