মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩

বিজয় ছিনিয়ে আনা ছাড়া কেউ ফিরবে না: তথ্যমন্ত্রী

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: দৈনিক বাংলা
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ রাজপথের দল। দিয়াশলাইয়ের কাঠিতে যেমন খোঁচা দিলে জ্বলে ওঠে, তেমনি আমাদের নেতা-কর্মীদের একটা গুণ হলো খোঁচা দিলে জ্বলে ওঠেন। আমরা রাজপথে নেমেছি। আগামী নির্বাচনে বিজয় ছিনিয়ে আনা ছাড়া নেতা-কর্মীরা আর ঘরে ফিরে যাবে না।’

শনিবার বিকেলে নগরীর আন্দরকিল্লা মোড়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘বিএনপি জানে নির্বাচনে তাদের কোনো সম্ভাবনা নাই, তাই তারা অনেক ষড়যন্ত্র এঁকেছে, তারা নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা করার ষড়যন্ত্র করেছে। তারা এখন যদিওবা নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের বাহানা করছে, সুযোগ পেলেই তারা আবার নাশকতা করবে, জনগণকে ছোবল মারবে। তাই নেতা-কর্মীদের অনুরোধ জানাব, সতর্ক থাকতে হবে। রাজপথে নেমেছি, নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে থাকব।’

এদিন পৃথকভাবে আওয়ামী লীগের সমাবেশ হয়েছে সিলেট, খুলনা ও বরিশালে।

চট্টগ্রামে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

সমাবেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জেলে যাওয়ার আগে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস সাহেবরা বক্তব্য দিয়েছেন সরকারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেব। আওয়ামী লীগের ভিত বহু গভীরে প্রোথিত, আওয়ামী লীগকে কেউ ধাক্কা দিলে সে নিজে পড়ে যায়। সুতরাং তারা ধাক্কা দিতে গিয়ে কোমর ভেঙে পড়ে গেছে।’

এদিকে সিলেটে দলটির সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘সরকারের ওপর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। তবে কোনো রক্তচক্ষু দেখিয়ে শেখ হাসিনাকে দমানো যাবে না।’

বিএনপি নেতাবিহীন উল্লেখ করে নানক বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী চক্র জামায়াতে ইসলামীর সন্ত্রাসীদের নিয়ে বিএনপি বারবার বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছে। তাদের নৈরাজ্য আর অগ্নিসন্ত্রাসের কথা মানুষ ভোলেনি। জনসমর্থন হারিয়ে বিএনপি নেতারা আজ আবোলতাবোল বকছেন।’

সিলেটে মাত্র এক কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করে। নগরজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয় দুই দলের সমাবেশ।

খুলনায় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ হয় নগরীর শিববাড়ী মোড়ের পাবলিক হল চত্বরে। প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশের সব ক্ষমতা ক্যান্টনমেন্ট থেকে ফিরিয়ে এনে জনগণের হাতে তুলে দিয়েছে। বিএনপি দেশে উন্নয়ন বিশ্বাস করে না, তাই বিদেশের মাটিতে গিয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে।’

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে সমাবেশে সম্মানিত অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনর রশীদ।

সমাবেশ সফল করতে বেলা ২টার পর থেকে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতারা মিছিলসহকারে সমাবেশে যোগদান করেন।

[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়েছেন চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনা ব্যুরো]


মারধরে কৃষক নিহত: গ্রেপ্তার ৩ জন কারাগারে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিনিধি, গাইবান্ধা

গাইবান্ধায় মাটির গাড়ি জমির ওপর দিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বের জের ধরে মারধরে কৃষক জাহাঙ্গীর আলম (৪০) নিহত হয়েছেন। হত্যায় জড়িত অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছিল পুলিশ। হত্যা মামলায় সেই তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

নিহত জাহাঙ্গীর আলম উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গয়েশপুর (কামাড়পাড়া) গ্রামের লাল মিয়া ওরফে কোনা মিয়ার ছেলে। যে তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে তারা হলেন একই এলাকার মৃত আমান উল্লাহর ছেলে আব্দুর রেজ্জাক (৬৫) ও নান্নু মিয়া আকন্দ (৫৫) এবং দারাজ মিয়ার ছেলে সাজ্জাম মিয়া (২২)।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মাহাবুব আলম জানান, সোমবার সন্ধ্যায় মারধরে আহত জাহাঙ্গীরকে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। পরে এ ঘটনায় তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, ওই এলাকার রুহুল আমিন নামের এক ব্যক্তির আবাদি জমির ওপর দিয়ে ট্রাক্টরে করে মাটি নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীরের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এর পর্যায়ে সেখানে মারধরে গুরুতর আহত হন জাহাঙ্গীর। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে তিনজনকে আটক করে পুলিশ।

এ ঘটনায় জাহাঙ্গীরের ছোট ভাই লিখন আকন্দ সাদুল্লাপুর থানায় রেজ্জাক, নান্নু ও সাজ্জাতকে প্রধান আসামী হিসেবে উল্লেখ করে ২১ জনের নামে হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরে তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সাদুল্লাপুর থানার ওসি (তদন্ত) মাহাবুব আলম বলেন, সোমবার রাতে রেজ্জাকের বাড়ি থেকে জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মরদেহ দাফন করা হয়েছে। তদন্ত ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

বিষয়:

ধর্ষণচেষ্টায় অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের ভাতিজা, গ্রেপ্তার দাবি

এলাকাবাসীর মানববন্ধন। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিনিধি, টেকনাফ (কক্সবাজার)

কক্সবাজারের টেকনাফে শহিদ উল্লাহ নামে একজনের বিরুদ্ধে এক নারীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। শহিদ উল্লাহ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ছিদ্দিক আহমদের ভাজিতা। ভুক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় ইউপি সদস্য ছিদ্দিকের প্রশ্রয় রয়েছে।

এরই মধ্যে এ ঘটনায় আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী। সিদ্দিকসহ শহিদকে ওই মামলায় গ্রেপ্তারের দাবিতে মঙ্গলবার বিকেলে সাবরাং আলীর ডেইল এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাকাবাসী।

ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী নারী মামলা করেছেন কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল (৩) আদালতে। মামলায় শহিদকে মূল আসামি এবং তার চাচা ইউপি সদস্য ছিদ্দিককে ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী নারী বলেন, শহিদ আমাকে দীর্ঘ দিন ধরে আমার সঙ্গে সম্পর্ক করার প্রস্তাব দিয়ে আসছে। আমি রাজি না হওয়ায় বলত, আমাকে নির্যাতন করবে। শেষ পর্যন্ত আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে এখন এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমার পরিবারকে নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছে। আমি আমার পরিবারের নিরাপত্তা চাই, আমার ওপর যে নির্যাতন হয়েছে তার সুষ্ঠু বিচার চাই।

মামলার প্রধান আসামি শহিদ ছাড়াও তার চাচা ছিদ্দিককেও গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন ওই মেয়ের পরিবারের সদস্যরা। তারা বলেন, আলীর ডেইল এলাকায় সংঘটিত প্রায় সব অপরাধের ক্ষেত্রেই অপরাধীরা কোনো না কোনোভাবে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় পার পেয়ে যায়। ফলে এলাকায় দিন দিন অপরাধ বেড়ে চলেছে।

মানববন্ধনে উপস্থিত স্থানীয়রা বলেন, ওই ইউপি সদস্য দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডকে প্রশ্রয় দিয়ে আসছেন। এতে তরুণদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তারা শহিদ ও ইউপি সদস্য ছিদ্দিককে গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানান। পরে সবাই এ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শহিদ উল্লাহর মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তার চাচা ইউপি সদস্য ছিদ্দিক আহমদ তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেন। বলেন, ঘটনা সত্য কি না, আপনারা এলাকায় এসে তদন্ত করে দেখেন।

জানতে চাইলে সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি এলাকার লোক মারফত শুনেছি। এখন পর্যন্ত উভয় পক্ষের কেউ আমার কাছে অভিযোগ করেনি। ভুক্তভোগী আদালতে মামলা করছে শুনেছি। আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম বলেন, থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। এ ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।


চাঁদপুরে রোগীদের হয়রানি, আটক চার দালাল

আটক চারজন
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিনিধি, চাঁদপুর

গ্রামাঞ্চল থেকে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা সহজ-সরল রোগীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করার কারণে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল থেকে চারজনকে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে তাদের হাসপাতাল থেকে আটক করেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মেহরাজ মাহমুদ।

গ্রেপ্তার ৪ ব্যক্তি হলেন- শহরের পুরানবাজার পশ্চিম শ্রীরামদী মৃত মিরাজ ব্যাপারীর ছেলে মাসুদ (২৬), কোড়ালিয়া রোডের দুলালের ছেলে সবুজ (২২), ঘোষপাড়ার বিষু দের ছেলে দীপ দে (২৩) ও পুরানবাজার মেরকাটিজ রোডের কানাই দাসের ছেলে হৃদয় দাস (২৫)।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিন সকালে হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসাসেবা নেয়ার জন্য শত শত রোগী আসেন। রোগীরা যখন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন টিকিট কিংবা ওষুধ নেয়ার জন্য তখনই দালালরা গিয়ে সিরিয়াল ছাড়া আগে টিকিট নিয়ে দেবেন বলে টাকা নেন। আবার যারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চেম্বার থেকে বের হন, তাদের এক রকম জোর করে নিয়ে যান হাসপাতালের সামনে থাকা বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। যে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোয় দালাল হিসেবে কাজ করেন তারা।

এএসআই মেহরাজ মাহমুদ জানান, চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের হয়রানি করার কারণে তারা মোবাইলে ফোনে থানায় অভিযোগ করেন। তাৎক্ষণিক হাসপাতালে এসে এই চারজনকে আটক করা হয়।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, রোগীদের একশ্রেণির দালাল বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে। তারা রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার নাম করে তাদের পছন্দের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায়। তাদের ফাঁদে পড়ে অনেকেই সঠিক চিকিৎসাসেবা পান না। রোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে চারজনকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিষয়:

চার্জার ফ্যানের দাম বেশি রাখায় জরিমানা

আপডেটেড ৬ জুন, ২০২৩ ২০:৩০
প্রতিনিধি, মাদারীপুর

মাদারীপুরে চার্জার ফ্যান অতিরিক্ত দামে বিক্রি করায় খান ইলেকট্রনিক্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার বিকেলে অভিযান পরিচালনা করে ওই প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সদর উপজেলার পুরান বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকার অধিপ্তর মাদারীপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদাউস।

জান্নাতুল ফেরদাউস জানান, লোডশেডিং ও তাপমাত্রা বেশি থাকার সুযোগে কিছু ব্যবসায়ী চার্জার ফ্যানের দাম বেশি নিচ্ছে বলে অভিযোগ আসে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে খান ইলেকট্রনিক্সকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তাদেরসহ অন্য দোকানদারদের সতর্ক করা হয়।

বিষয়:

৬ ঘণ্টা পর নওগাঁয় অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলাচল শুরু

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৬ জুন, ২০২৩ ১৫:৫৮
প্রতিনিধি, নওগাঁ

মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন দেয়াকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে ছয় ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর নওগাঁয় অভ্যন্তরীণ সকল রুটের বাস চলাচল শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টিকালের জন্য শ্রমিক ইউনিয়নের একাংশ দাবি আদায়ে বাস ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়। তবে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দুপুর ১২টার পর থেকে বাস চলাচল শুরু হয়।

শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৫ মার্চ জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই মাস পার হলেও বর্তমান কমিটি সাধারণ সভা ও নির্বাচনের কোনো আয়োজন করছে না। সাধারণ শ্রমিকরা বারবার সভা ও নির্বাচনের দাবি জানালেও বর্তমান কমিটি কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯ মে ইউনিয়নের একটি অংশ সাধারণ সভার ডাক দেয়। ওই সভা থেকে সভা ও নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার জন্য বর্তমান কমিটিকে সাত দিনের আল্টিমেটাম দেয়া হয়। বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হওয়ায় নির্বাচনের দাবি তোলা শ্রমিকরা জেলার অভ্যন্তরীণ রুটে সকাল থেকে ধর্মঘট শুরু করে।

জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘২০২০ সালের জানুয়ারিতে ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচিত কমিটি দায়িত্ব পায় ওই বছরের মার্চে। কিন্তু করোনার কারণে ঠিক মতো তখন কাজ করতে পারেনি কমিটি। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে গত জানুয়ারিতে সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়েছিল। ওই সভায় ইউনিয়নের সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে বর্তমান কমিটির মেয়াদ বাড়ানো হয় এবং এটা রেজুলেশন করা রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিছু লোক বর্তমান কমিটিকে অবৈধ বলে যে অভিযোগ করছে, তা মিথ্যা। সময় হলেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে। এসব আন্দোলনের ডাকে আমরা ভয় করি না। আমাদের সঙ্গেও সাধারণ শ্রমিকরা আছেন। এরই মধ্যে কিছু বাস চলাচল শুরু করেছে। ধীরে ধীরে সব বাস চলাচল স্বাভাবিক হবে।’

এদিকে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়তে হয়েছে অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রীদের। বিশেষ করে চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী এবং শিক্ষার্থীরা বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন। তবে বাস চলাচল শুরু হওয়ায় তাদের দুর্ভোগ কিছুটা লাঘব হয়েছে বলে জানান তারা।

বিষয়:

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল শুরু

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিনিধি, কুমিল্লা

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় দেড় ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পুনরায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে। সংঘর্ষ বন্ধ হলে মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এদিকে সংঘর্ষে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের ২৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর বাকিদের চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে শো-ডাউন আয়োজনকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা ১১ আসনের সংসদ সদস্য মুজিবুল হক ও চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এরপর প্রায় আড়াই ধরে চলে এ সংঘর্ষ। এ সময় থেমে থেমে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া, গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

মিয়া বাজার হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ লোকমান হোসেন বলেন, চৌদ্দগ্রাম বাজারে যানজট ছিল। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

বিষয়:

মোংলা বন্দর দিয়ে ঢাকার গার্মেন্টস পণ্য গেল পোল্যান্ডে

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৬ জুন, ২০২৩ ১৫:০১
প্রতিনিধি, মোংলা (বাগেরহাট)

বাগেরহাটের মোংলা বন্দর দিয়ে আবারও গার্মেন্টস পণ্য নিয়ে পোল্যান্ডের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে সিঙ্গাপুর পতাকাবাহী জাহাজ এমভি মারেস্ক কিনঝো। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বন্দরের ৫ নম্বর জেটি থেকে গার্মেন্টস পণ্যবোঝাই ২০ ফিটের ১০টি কনটেইনার নিয়ে ছেড়ে যায় জাহাজটি।

পদ্মা সেতু চালুর পর থেকেই ঢাকার গার্মেন্টস পণ্য মোংলা বন্দর দিয়ে রপ্তানি শুরু হয়। পদ্মা সেতু চালুর পর সর্বপ্রথম গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি শুরু হয় গত বছরের ২৭ জুলাই। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার পঞ্চম চালানে গার্মেন্টস পণ্য গেল বিদেশে।

এর আগে মোংলা বন্দর দিয়ে পোল্যান্ড ও ইউরোপে যায় ঢাকার গার্মেন্টস পণ্য। এ ছাড়া আগামী ২২ জুন এমভি ‘মারস্ক মংল’ নামক আরেকটি জাহাজে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির প্রক্রিয়া চলছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপসচিব মো. মাকরুজ্জামান বলেন, গত বছরের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রীর পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গের যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম উল্ল্যেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, তার মধ্যে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ অন্যতম। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এ বন্দর দিয়ে রেডিমেড গার্মেন্টস পণ্যের রপ্তানি শুরু হয়।

তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ঢাকা থেকে মোংলা বন্দরের দূরত্ব ১৭০ কিলোমিটার। আর ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের দূরত্ব ২৬০ কিলোমিটার। তাই দূরত্ব কম হওয়াতে রাজধানীসহ আশপাশের শিল্প কলকারখানার মালিকরা মোংলা বন্দর ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে পড়েছেন। অপরদিকে মোংলা বন্দরে জাহাজ হ্যান্ডেলিং দ্রুত ও নিরাপদ হওয়ায় এবং পাশাপাশি ঢাকার সঙ্গে দূরত্ব কমে যাওয়ায় সময় ও অর্থ দুইয়েরই সাশ্রয়ের কারণে ব্যবসায়ীরা মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানিতে ঝুঁকে পড়েছেন।

তিনি জানান, মোংলা বন্দরে দ্রুত জাহাজ হ্যান্ডেলিং, জেটির অভ্যন্তরে কনটেইনার স্টাফিং সুবিধা, পর্যাপ্ত ইকুইপমেন্ট সুবিধা ও নিরাপদ বন্দর হওয়ায় ব্যবসায়ীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হচ্ছে মোংলা বন্দর।

বিষয়:

কুমিল্লায় আ. লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২৩

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৬ জুন, ২০২৩ ১৩:৫৮
প্রতিনিধি, কুমিল্লা

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২৩ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য মুজিবুল হক ও চৌদ্দগ্রামের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় একজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর বাকিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এদিকে সংঘর্ষের ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুই পাশেই প্রায় ১০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা।

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া টিপু জানান, সংঘর্ষে ২৩ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর বাকিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাসড়কের মাঝে লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে আছেন অর্ধশত লোকজন। তাদের প্রত্যেকের হাতে দেশীয় অস্ত্র।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, শো-ডাউন আয়োজনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সংসদ সদস্য মুজিবুল হক ও চৌদ্দগ্রামের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ বাধে।

মিজানুর রহমানের সমর্থকরা যেন শো-ডাউন নিয়ে বের হতে না পারে সেজন্য মুজিবুল হকের সমর্থকরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোড়ে মোড়ে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

মিয়া বাজার হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ লোকমান হোসেন বলেন, চৌদ্দগ্রাম বাজারে যানজট রয়েছে। আমরা নিরসনের চেষ্টা করছি।


গোপালগঞ্জে বয়লার বিস্ফোরণে নিহত ১, আহত ২

আপডেটেড ৬ জুন, ২০২৩ ১১:০৮
প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জে সদরে রাইস মিলের বয়লার বিস্ফোরণে একজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছে আরও ২ জন। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার হরিদাসপুর ফেরিঘাটের মনোরমা রাইস মিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নুরুল ইসলাম (৪৫) হরিদাসপুর পূর্ব পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহরা হলো নুরুল ইসলামের মেয়ে রোমানা (১১) ও ছেলে মোস্তাকিম (৫)। তাদের খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, রাইচ মিলে নূর ইসলাম মোল্লার স্ত্রী নিপা বেগম (২৫) দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হঠাৎ বয়লারে বিস্ফোরণে হলে ঘটনাস্থলেই নুরুল ইসলাম নিহত হন। আহত হয় তার দুই সন্তান। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী এবং স্থানীয়দের সহায়তায় হতাহতদের উদ্ধার করে। আহত দুই শিশুকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাসুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বিষয়:

নিখোঁজের পরদিন প্রতিবেশীর আম গাছে কৃষকের ঝুলন্ত মরদেহ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিনিধি, বরগুনা

বরগুনার আমতলী উপজেলায় নিখোঁজের পরের দিন প্রতিবেশীর একটি আম গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় এক কৃষকের মরদেহ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করেছে।

উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নে কুলাইরচর গ্রামে সোমবার সকালে উদ্ধার করা হয় কৃষক মাহাতাব মোল্লার (৫৫) মরদেহ। কুলাইরচর গ্রামের মৃত আব্দুল রশিদ মোল্লার ছেলে মাহাতাব রোববার সকাল থেকেই নিখোঁজ ছিলেন।

আমতলী থানা পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মাহাতাব মোল্লা রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এরপর আর ফিরে আসেননি তিনি। ওই দিন পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো হদিস পাননি। পরে সোমবার ভোরে মাহাতাব মোল্লার প্রতিবেশী আনছার মৃধা (চাচাতো ভগ্নিপতি) বাড়ির সামনের খালপাড়ের একটি আমগাছে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় আত্মীয় স্বজন ও স্থানীয়রা। খবর পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ মরদেহ নামিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে যায়।

মাহতাব মোল্লার মেয়ে রিয়া মনি বলেন, বাবা গতকাল (রোববার) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। কোথায় যাচ্ছেন, কেন যাচ্ছেন, এসব বিষয়ে কাউকে কিছু বলেননি। এরপর দিনভর এবং রাতেও বাবার কোনো সন্ধান আমরা পাইনি। আজ (সোমবার) প্রতিবেশী আনছার মৃধার বাড়ির সামনের একটি গাছে পাওয়া গেল বাবার লাশ। বাবা আত্মহত্যা করেছে নাকি কেউ তাকে মেরে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে, তা বলতে পারছি না।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে ‍কৃষক মাহাতাবের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে এটি হত্যা না অত্মহত্যা। এ ঘটনায় পরিবার এখনো কোনো মামলা করেনি।

বিষয়:

আন্দোলনের মুখে বেলকুচি থানার ওসিকে প্রত্যাহার

ওসি আসলাম হোসেন। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ

একেক পর এক জনপ্রতিনিধির ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও মিথ্যা মামলার ঘটনায় স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি ফোরামের আন্দোলনের মুখে অবশেষে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেনকে প্রত্যাহার সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল জানান, সোমবার বিকেলে ওসি আসলামকে প্রত্যাহার করে সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। বেলকুচি থানায় তার জায়গায় নতুন ওসি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে খায়রুল বাশারকে।

এর আগে বেলকুচি পৌর কাউন্সিলর মাহাবুবুল আজাদ তারেকের ওপর সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার ঘটনায় এখনো আসামি গ্রেপ্তার না করায় গত রোববার দুপুরে মানববন্ধন করেন জনপ্রতিনিধিরা।

উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সোনিয়া সবুর আকন্দ অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ছয় মাস ধরে বেলকুচি থানায় ওসি হিসেবে আসলাম হোসেন দায়িত্ব পালন করছেন। এই সময়ে বেলকুচি উপজেলার অন্তত ছয়জন জনপ্রতিনিধি সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হয়েছেন।

সোনিয়া সবুর আকন্দ আরও বলেন, এসব ঘটনায় থানায় মামলা পর্যন্ত নেয়া হয়নি। বরং এসব ঘটনায় আমাদের ওপর মিথ্যা মামলা সাজিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। তাই ওসির অপসারণ না করা হলে জনপ্রতিনিধিরা কলম বিরতির হুমকি দেন।

এর পরদিনই ওসিকে প্রত্যাহার করা হলো বেলকুচি থানা থেকে।

বিষয়:

ফেলে যাওয়া গামছায় মিলল ৩ কোটি টাকার সোনা

জব্দ করা সোনার বারগুলোর একাংশ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিনিধি, যশোর

যশোরের চৌগাছা সীমান্ত থেকে ভারতে পাচারের সময় ২৬টি সোনার বার জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সীমান্তরক্ষী বাহিনীটির টহল দলের ধাওয়ায় দুই ব্যক্তির ফেলে যাওয়া এক গামছায় মিলেছে এসব সোনা, যার বাজারদর তিন কোটি টাকারও বেশি।

সোমবার সকাল ১০টার দিকে চৌগাছার কাবিলপুর সীমান্ত এলাকার ক্লিনিক মোড়ে বিজিবি অভিযান চালিয়ে ওই সোনার বারগুলো জব্দ করে।

যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহমেদ হাসান জামিল জানান, ঘটনাস্থলে টহল দল দুই ব্যক্তির গতিবিধি সন্দেহজনক মনে করলে তাদের থামতে বলে। এ সময় ওই দুজন দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবি তাদের ধাওয়া দেয়।

বিজিবির এই কর্মকর্তা জানান, ধাওয়ায় একজন তার পরিহিত শার্ট ছিড়ে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের ভেতরে এবং আরেকজন বাংলাদেশের ভেতরে কাবিলপুর গ্রামের দিকে পালিয়ে যান। মাঠের কাদার মধ্যে তাদের ফেলে যাওয়া গামছা মোড়ানো একটি প্যাকেট পাওয়া যায়। ওই প্যাকেটেই মেলে তিন কেজি ২৩ গ্রাম ওজনের মোট ২৬টি সোনার বার। গামছায় স্কচ টেপে মোড়ানো অবস্থায় ছিল বারগুলো।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহমেদ হাসান জামিল বলেন, জব্দ করা সোনার বাজারমূল্য প্রায় তিন কোটি দুই লাখ ৩০ হাজার টাকা। এ ঘটনায় চৌগাছা থানায় মামলা করে সোনা ট্রেজারিতে জমা দেয়া হয়েছে।

বিষয়:

পরিবেশ দিবসে পাটলাই নদীতে নৌ র‌্যালি

পাটলাই নদীতে নৌ র‌্যালি। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরপাড়ের পাটলাই নদীতে ছোট নৌকা দিয়ে নৌ র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘সবাই মিলে করি পণ বন্ধ হবে প্লাস্টিক দূষণ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এই নৌ র‌্যালি আয়োজন করে উন্নয়ন সংস্থা সিএনআরএস।

সোমবার সকাল ১১টায় টাঙ্গুয়ার হাওরপাড়ের গ্রাম গোলাবাড়ি থেকে জনতা উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার অংশে অনুষ্ঠিত হয় এ নৌ র‌্যালি। এতে অংশ নেয়া নৌকাগুলোতে ছিল পরিবেশবিষয়ক বিভিন্ন স্লোগান-সংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন।

র‌্যালি শেষে জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকা থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন প্লাস্টিক ও পলিথিনজাতীয় পণ্য অপসারণ করা হয়। পরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সিএনআরএসের ফিল্ড ডিরেক্টর ও প্রতিবেশ অ্যাকটিভিটি কমিউনিকেশন মাজহারুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, রিজিওনাল অ্যাকটিভিটি কো-অর্ডিনেটর আশরাফুল ইসলাম, সিএনআরএস তাহিরপুর উপজেলার সমন্বয়কারী ইয়াহিয়া সাজ্জাদ, ওবায়দুল ফাত্তাহ তানভির, জনতা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মুদাচ্ছির আলম সুবল প্রমুখ।

এদিকে একই সময়ে তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ইউএনও সুপ্রভাত চাকমার সভাপতিত্বে উপজেলা বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বিশ্ব পরিবেশ দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিষয়:

banner close