বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

দেশে কোনো সংকট নেই: কাদের

ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আপডেটেড
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২২:১২
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২২:১২

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার দাবি করে তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, সরকার বা বাংলাদেশ কোনো সংকটে নেই।

শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভাষ্যমতে, দুর্নীতির বরপুত্র, একুশে আগস্টের খুনি, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক, দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তারেক রহমান নাকি তাদের তথাকথিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের পথপ্রদর্শক! এর মধ্য দিয়েই প্রমাণিত হয়, বিএনপি নীতি ও আদর্শের রাজনীতির পথে না চলে অন্ধকারের কানাগলিতে অপরাজনীতির কূটকৌশলকে বেছে নিয়েছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, সরকার বা বাংলাদেশ কোনো সংকটে নেই। বরং ভয়াবহ সংকটে রয়েছে বিএনপি। দেশবাসী ভালো করেই জানে, বহুমাত্রিক সংকটে পর্যুদস্ত বিএনপি এখন জনগণ দ্বারা লাল কার্ড খেয়ে রাজনীতির মাঠে বাউন্ডারির বাইরে অবস্থান করছে। লাগাতারভাবে ভুল রাজনীতির চোরাবালিতে আটকে থাকা বিএনপি ক্রমেই দেউলিয়া সংগঠনে পরিণত হচ্ছে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “মির্জা ফখরুল ইসলাম অর্থনীতি ধ্বংসের কথা বলেছেন! তিনি কিছুদিন আগে ‘পাকিস্তান আমলে ভালো ছিলাম’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। আজ তাদের সেই পেয়ারে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা কী? আর তার বিপরীতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগগ্রতি কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে! ১৯৯৬-২০০১ সময়কালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার বঙ্গবন্ধকুন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে অর্থনৈতিক অগ্রগতির সুবর্ণধারা রচনা করেছিল, ২০০১-০৬ সময়কালে বিএনপি আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে সেই অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারাকে অধঃপতনের দিকে ঠেলে দিয়েছিল।”

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজ অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে বিএনপির কথা বলা জাতির সঙ্গে তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে বৈশ্বিক মন্দা ও সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি তুলনামূলকভাবে ভালো অবস্থানে রয়েছে। মির্জা ফখরুল ইসলামের মনোবেদনা আমরা বুঝি, বাংলাদেশ পাকিস্তান কিংবা শ্রীলঙ্কার মতো দেউলিয়া না হওয়ায় তাদের সুপ্ত বাসনা মুখ থুবড়ে পড়েছে। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে বিভোর বিএনপির ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন ফিঁকে হয়ে পড়েছে।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে বিএনপি নেতারা উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে আজ সারা বিশ্বে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। মানবসভ্যতার জন্য হুমকিস্বরূপ এই সংকটকে পুঁজি করে বিএনপি ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপতৎপরতা চালাচ্ছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে জনগণের যে কষ্ট হচ্ছে, আমরা সবাই তা জানি। জনগণের কষ্ট লাঘবের জন্যই সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের উপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। স্বল্প আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে সরকার ফ্যামিলি কার্ড ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে সুলভ মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহ করছে।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সর্বদা সব দুর্যোগে ও সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সচেষ্ট থেকেছে। অন্যদিকে বিএনপি সংকটকে পুঁজি করে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারায় লিপ্ত থেকেছে; জনদুর্ভোগকে ঘনীভূত করেছে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, জাতির কাণ্ডারি হিসেবে সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের ও দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে বিগত সময়ের সব সংকট উত্তরণে সফল হয়েছেন। এ দেশের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা ও দুর্ভোগ লাঘবে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কোনো বিকল্প নেই।’


পাঠক কখনো ঘোষক হতে পারে না: ওবায়দুল কাদের

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

স্বাধীনতা ঘোষণার পাঠক কখনও ঘোষক হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘আজ আমাদের দেশের স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে বিতর্ক হয়। এত বছর পরও সেই বিতর্ক চলছে। আমাদের বক্তব্য, ঘোষণার পাঠক ঘোষক হতে পারে না।’

ওবায়দুল কাদের আজ মঙ্গলবার সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আবুল কাশেম, এম এ হান্নান, অনেকেই ঘোষণা পাঠ করেছেন। সেখানে জেনারেল জিয়াও বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণার পাঠ করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কে ঘোষক? এ বিতর্কের অবসান তখনই হবে যখন আমরা সত্যের অনুসন্ধান করতে যাব। সেটা হচ্ছে ১৯৭০ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা ঘোষণার ম্যান্ডেট এই অঞ্চলের জনগণের পক্ষ থেকে একমাত্র বঙ্গবন্ধুই পেয়েছিল। আর কারো কোনো বৈধ অধিকার নেই স্বাধীনতার ঘোষক হাওয়ার।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে এত বছর পর আমাদের ভাবতে হচ্ছে এ দেশেরই মানুষ, এ দেশেরই অগণতান্ত্রিক সাম্প্রদায়িক শক্তিকে নিয়ে। যারা আমাদের বিজয়, আমাদের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অন্তরায় সৃষ্টি করে যাচ্ছে। আজ আমাদের শপথ, বিএনপির নেতৃত্বে যে সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তি বিষয়টিকে সংহতকরণে বাধা বা অন্তরায় হয়ে আছে, এই অপশক্তিকে আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরাজিত করব, প্রতিহত করব।’

বিএনপি নেতাদের ভারত বিরোধী বিভিন্ন বক্তব্যের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিরোধিতা আগেও হয়েছে, এখনও হচ্ছে। এটা নতুন কিছু না। এই বিরোধিতা পাকিস্তান আমল থেকেই হয়ে আসছে। যখন কোনো ইস্যু থাকে না, তখনই ভারত বিরোধিতা ইস্যু সামনে আসে।’


ভারতীয় পণ্য বর্জনের নামে বিএনপি দেশের অর্জনকে ধ্বংস করতে চায়: ওবায়দুল কাদের

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ভারতীয় পণ্য বর্জনের নামে বিএনপি এখন দেশের অর্জনকে ধ্বংস করতে চায়।’

আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যানবাহন চলাচলের জন্য ৭টি ফ্লাইওভার উন্মুক্তকরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। বাস রাপিড ট্রানজিট (বিআরটি, এয়ারপোর্ট-গাজীপুর) প্রকল্পের সওজ অংশের আওতায় এই ফ্লাইওভারগুলো নির্মিত হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পণ্য বর্জন এটা কি সম্ভব? বাংলাদেশ ও ভারতের যে অবস্থা, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যে লেনদেন, যে আদান-প্রদান হয়ে থাকে, তার মধ্যে এমন বর্জনের প্রস্তাব বাস্তব সম্মত কিনা! আসলে তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের নামে দেশের অর্জনকে ধ্বংস করতে চায়।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি নেতারা ব্যর্থতার জন্য তারা নিজেরাই ক্লান্ত, তাদের কর্মীরা হতাশ। নেতাদের কারো সাথে কারো কথার মিল আমরা দেখি না। মঈন খান ভারতের সহযোগিতা চান, রিজভী আবার ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেন।’

দেশের তরুণ প্রজন্মকে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম-এর বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি আন্দোলন করার লোক পায় না, সামরিক প্রশিক্ষণ কাকে দেবে। এটি প্রতারণাপূর্ণএকটি কৌশল। আসলে দলটির নেতারা একেকজনে একেক কথা বলেন। এখন আমরা শুনতে চাই দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কী বলেন। তিনিই দলের মহাসচিব।’

মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মধ্যবর্তী নির্বাচনের চিন্তা সরকার কেন করবে? এর কোনো যুক্তিও নেই, বাস্তবতাও নেই। নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে হবে। আমাদের সংবিধানে মধ্যবর্তী নির্বাচনের কোনো কথা বলা নেই।’

ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সবাইকে যার যার কাজ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সবাই যার যার কাজ নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন প্রত্যাশা করছি। এবার ঈদযাত্রা পুরোপুরি স্বস্তিদায়ক হবে বলে আশা করছি।’

ফ্লাইওভার যান চলাচলে উন্মুক্তকরণ অনুষ্ঠানে ঢাকা প্রান্তে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিনুল্লাহ নূরী, সেতু বিভাগের সচিব মনজুর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


বিএনপি সস্তা ইস্যু বানিয়ে ভারতবিরোধিতা করছে: নানক

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জনবিচ্ছিন্ন হয়ে বিএনপি এখন সস্তা ইস্যু তৈরি করতে ভারতীয় পণ্য এবং ভারতের বিরোধিতা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা একটি কঠিন লড়াইয়ে রয়েছি। আমাদের এখন খুব সহজ সময় যাচ্ছে না। আবার এ বিএনপি মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে।’ শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগের এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. মঈন খানরা যখন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বেকায়দায় পড়েছেন, তখনই সস্তা ইস্যু তৈরি করে ভারতবিরোধিতা করে ভারতীয় পণ্য বর্জনের কথা বলেছেন। এই ভারতীয় পণ্য বর্জন, ভারতবিরোধিতা হলো ওদের রাজনৈতিক হালে পানি পাওয়ার জন্য অপচেষ্টা মাত্র; কিন্তু তারা জানে না জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়া ভারত ইস্যুকে ঘিরে যে ‘ভারত জুজুর রাজনীতি’ করেছিলেন সেই বাংলাদেশ আজকে আর নেই।’

তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে খুনিদের অবাধ বিচরণ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। যাদের আমরা মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত করেছিলাম, সেই ঘাতকদের অবাধ চারণভূমিতে পরিণত করেছিলেন জিয়াউর রহমান ও জেনারেল এরশাদ। আজকের দিনে বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।’

আবার ষড়যন্ত্র হচ্ছে মন্তব্য করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘জামায়াত-শিবির কিন্তু বসে নেই, ছাত্রলীগকে মনে রাখতে হবে ওরা নিঃশেষ হয়ে যায়নি। যখন আমি জিয়াউর রহমান, এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি, তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এবং সারা দেশে বলেছি- একটি জাতিসাপ আমাদের পাশে পাশে চলছে। এই সাপটি যখন সুযোগ পাবে তখনই ছোবল দেবে। এই জাতিসাপ জামায়াতকে শুধু পিটুনি দিলে চলবে না, মাথায় আঘাত করে এই দেশ থেকে নিঃশেষ করতে হবে।’

ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত প্রমুখ।

বিষয়:

‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে সাহায্য করেছিল ভারত’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৩ মার্চ, ২০২৪ ১৪:৩৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের যে ষড়যন্ত্র হয়েছিল সে সময়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পাশে ছিল ভারত’ বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করেছে। ৪১ ভাগেরও বেশি ভোট নির্বাচনে পড়েছে, যেটা অনেক উন্নত দেশেও এ পরিমাণ ভোট পড়ে না। তার পরও বলে, এখানে ইন্ডিয়া আমাদের নির্বাচিত করল। কোথায় ইন্ডিয়া? ভোটকেন্দ্রে আমাদের জনগণ, আমাদের ভোটাররা ভোট দিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইন্ডিয়াসহ বন্ধুদের যারা আছে, তারা দেশে-বিদেশে নির্বাচন বানচালের যে ষড়যন্ত্র, তখন আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। এটা সত্য। তারা আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেনি। তারা আমাদের ভোট বানচালের ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করার সময় আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিদেশে বসে বিবৃতি দিচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব সিঙ্গাপুরে। আবার প্রতিদিনই দেখি একেকটা বিবৃতি দেয়। আমি অবাক হই, কোনো দলের সেক্রেটারি জেনারেল, নেতৃত্ব বিদেশে গিয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কথা বলে। আমি এ পর্যায়ে অনেকবার চেকআপে সিঙ্গাপুর গেছি, কিন্তু আমি কোনোদিনও কোনো বিবৃতি, মন্তব্য বিদেশ থেকে দিইনি। এটা নিয়ম নয়।’


‘বিএনপি দেশকে মগের মুল্লুক বানাতে ব্যর্থ হয়ে খেই হারিয়েছে’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি দেশকে মগের মুল্লুক বানাতে চেয়েছিল। সে জন্য তারা নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে খেই হারিয়ে ফেলেছে।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চলমান রাজনীতি প্রসঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির বেগে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন যে অপশক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পটভূমি তৈরি করেছিল, হত্যায় জড়িত ছিল, শুধু বঙ্গবন্ধু নয় স্বাধীনতারও বিরোধিতা করেছিল, সেই অপশক্তির ধারাবাহিক অপশক্তি এখন দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি ভেস্তে দিতে, দেশকে পেছেনে নিয়ে যেতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা প্রকাশ্যেই দেশকে পেছনে নেওয়ার জন্য ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ স্লোগান দেয়।

তিনি বলেন, এই রাজনৈতিক অপশক্তি বারবার দেশে গণতন্ত্র নস্যাৎ করতে চেয়েছে, সেই চক্রান্তেই বিএনপি গত নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে দিবাস্বপ্নের চূড়া থেকে ধপাস করে পড়ে গিয়ে এখন হাঁটছে, লিফলেট বিতরণ করছে।

মন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘আপনারা হাঁটেন, দৌড়ান কিন্তু আবার যদি মানুষ পোড়ানোর অপচেষ্টা করেন, জনগণ উচিত শিক্ষা দেবে।

কিছু ব্যক্তিবিশেষও এই অপশক্তির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে যারা বিশ্বের সামনে দেশকে দরিদ্র বলে অপপ্রচার চালিয়ে নিজে নানা পুরস্কার নেয় উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ড. ইউনূসের প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই, দেশের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে তার কোনো চিন্তা নাই। দেশে যখন বন্যা হয় তখন তাকে পাওয়া যায় না, দেশে যখন মানুষ পোড়ানো হয় তখন তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় না, দেশে যখন দুর্যোগ হয় তখন ড. ইউনূসকে বিদেশে পুরস্কার নিতে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। ড. ইউনূসের লবিস্ট ফার্ম পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় যত পুরস্কার দেওয়া হয় সেসব জায়গায় যোগাযোগ করে পুরস্কার আনে অথচ তিনি দেশের কাজে নেই; এটি অত্যন্ত হাস্যকর।’

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান এবং আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন। প্রতিমন্ত্রী নাহিদ খান তার বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর পরম আত্মত্যাগী জীবনের ওপর সংক্ষেপে আলোকপাত করেন।

ঢাকার সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে ও স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি জিন্নাত আলী খান ও সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েলের পরিচালনায় স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, ইসলামী চিন্তাবিদ শাইখ আকরামুজ্জামান মাদানী, যুবলীগ নেতা মানিক লাল ঘোষ, বঙ্গবন্ধু একাডেমির মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজি প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন। আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধু ও সব শহীদের আত্মার শান্তি এবং দেশ ও মানুষের কল্যাণ প্রার্থনা করে মোনাজাত করা হয়।


ভারতীয় পণ্য বয়কটের নামে বাজার অস্থির করার ষড়যন্ত্রে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ভারতীয় পণ্য বয়কটের নামে বিএনপি দেশের বাজার ব্যবস্থাকে অস্থির করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। জনগণ তাদের ডাকে সাড়া দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করার দূরভিসন্ধি বিএনপির মানসিক বৈকল্যেরই বহিঃপ্রকাশ। তাদের ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দুদেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না। যারা ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে। দেশের জনগণ তাদেরই বয়কট করবে।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘একটা রাজনৈতিক দল কতটা দেউলিয়া হলে, উগ্র মানসিকতা সম্পন্ন অবিবেচক হলে, কতটা কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত হলে প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে বয়কটের মতো কথা বলে। আজকে বিশ্ব বাস্তবতায় এবং আঞ্চলিক ভূকৌশলগত অবস্থানে দিক দিয়ে ভারত আমাদের তিনদিকেই বেষ্টিত। একদিকে শুধু মিয়ানমার। আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বড় অংশই ভারত থেকে আসে। এর সুবিধাও আছে। দূর দেশ থেকে আমদানি খরচও বেশি। কাজেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করার দুরভিসন্ধি বিএনপির মানসিক বৈকল্যরই বহিঃপ্রকাশ। নির্বাচনে না এসে তাদের মস্তবড় খেসারত দিতে হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপির এক সিনিয়র নেতা দেশের গণতন্ত্র উদ্ধারে প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্রের সহযোগিতা চাইছেন। অপরদিকে বিএনপিরই এক জুনিয়র নেতা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিচ্ছেন। আসলে বিএনপির রাজনীতি এলোমেলো, গোলমেলে। এখন কাকে খুশি করতে চাইছেন তারা এটা বুঝতে পারছি না। বিএনপি আসলে কোন পথে চলবে? তারা এখন পথহারা পথিকের মতো দিশেহারা হয়ে পড়েছে এবং দিশেহারা হয়ে যখন যা খুশি তাই বলছে, যা খুশি করছে।’

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ২১ বছর ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক বাংলাদেশেরই বেশি ক্ষতি করেছে মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সম্পর্ক ভালো রেখেই সুবিধা আদায় সম্ভব। যা করে দেখিয়েছে আওয়ামী লীগ। ছিটমহল বিনিময়, সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন করেছি। এখন তিস্তা, ফেনী নদীর পানি বন্টনসহ যেগুলো সমাধান হয়নি সম্পর্ক ভালো থাকায় এগুলো নিয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি আছে, সমাধানও সম্ভব। প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝগড়া করে লাভ নেই।’

সড়ক পরিবহন মন্ত্রী জানান, পাকিস্তান আমল থেকেই ভারত বিরোধীতার নামে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি চলছে। আজকে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক এটা তারই অবিচ্ছেদ্য অংশ।

বিএনপি নেতাদের দমন পীড়নের অভিযোগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর থেকে শুরু করে একে একে প্রায় সব নেতা জেল থেকে বের হয়ে গেছেন। অথচ মির্জা ফখরুল সিঙ্গাপুর থেকে বলছেন তাদের ওপর দমন পীড়ন চলছে। প্রায় সব নেতাই জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে গেছেন। এখানে দমন পীড়ন কোথায়? এটা কি স্ববিরোধী বক্তব্য নয়?’

এ সময় ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘ভুটানের রাজা বাংলাদেশ আসছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। ভুটানের রাজার পরিবারের সাথে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর পারিবারিক সম্পর্ক আছে। ভারতের ভূমি ব্যবহার করে ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে ভারত নিমরাজী হবে না বলে মনে করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেনসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।


এরশাদের ছেলেকে জাপা থেকে অব্যাহতি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছেলে রাহগীর আল মাহি এরশাদ সাদকে দল থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

আজ বৃহস্পতিবার তাকেসহ জাপার ১০ কেন্দ্রীয় নেতাকে অব্যাহতি দেন তিনি। এসব নেতা রওশন এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাপায় যোগ দিয়েছেন। জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাপার যুগ্ম-দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

অব্যাহতিপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা এম এ কুদ্দুস খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদা রহমান মুন্নি, প্রাদেশিকবিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম খুশু, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এস এম আল জুবায়ের, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন দে, শারফুদ্দিন আহমেদ শিপু, শারমিন পারভীন লিজা, যুগ্ম-প্রচার সম্পাদক শেখ মাসুক রহমান ও যুগ্ম-মহিলাবিষয়ক সম্পাদক শাহনাজ পারভীন।


‘চাঁদাবাজি একেবারে বন্ধ সম্ভব নয়, সহনশীল পর্যায়ে রাখতে হবে’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চাঁদাবাজি অনেকের কাজ, এই চাঁদাবাজি একেবারে হয়তো বন্ধ করা সম্ভব না। তবে এটি নিয়ন্ত্রণ করে সহনশীল পর্যায়ে রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে সড়কপথে যাত্রীসাধারণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করার লক্ষ্যে রাজধানীর বনানীর বিআরটিএর সদর কার্যালয়ে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দুর্নীতি পৃথিবীর কোথায় হচ্ছে না? আমেরিকাতে হচ্ছে না? চাঁদাবাজি এমন জায়গায় দাঁড়িয়েছে যে, আজ প্রধানমন্ত্রীকেও এ নিয়ে বলতে হচ্ছে। চাঁদাবাজির প্রভাব দ্রব্যমূল্যে পড়ে।’

তিনি বলেন, ‘ঈদের সময় চাঁদাবাজি ও যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়টি আমাদের মনিটরিংয়ে আছে। যারা অতিরিক্ত ভাড়া নেয়, কর্তৃপক্ষ যেন তাদের ওয়ার্নিং দেয়।’

‘আমি যখন রাস্তা দিয়ে চলি, তখন তিন চাকার গাড়ি রাস্তায় নেই। আমি যখন রাস্তা দিয়ে যাই না, তখন অহরহ চলতে থাকে। এখানে আমরা কতটা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি? আমাদের হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি বিআরটিএর সক্ষমতা যদি বাড়াতে না পারি, তাহলে আমরা যত ভালো সিদ্ধান্ত নিই, কার্যকর করা খুবই কঠিন। এই হলো বাস্তবতা’- বলেন সেতুমন্ত্রী।

বাসের বেহাল অবস্থা নিয়ে পরিবহন নেতাদের তিনি বলেন, ‘আপনারা বলছেন ঈদে লক্কড়ঝক্কড় মার্কা বাস এই শহরে আসে। আমি তো দেখি এমন বাস শহরেই আছে। ঈদের আগে এসব বাসে রং লাগায়, যা ১০ দিনও থাকে না। বাসগুলো দেখলে লজ্জা পাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফেনী থেকে হানিফ উড়াল সড়ক আসতে যত সময় লাগে তার চেয়েও বেশি সময় লাগে উড়াল সড়ক থেকে নামতে।’

দেশের হাইওয়ে পুলিশকে ‘ঢাল নাই তলোয়ার নাই নিধিরাম সরদার’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিআরটিএ ও হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতা না বাড়ালে যতই আলোচনা করা হোক, সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক, কিছুই কাজ হবে না। পৃথিবী অনেক বদলেছে।’

‘প্রত্যেক ঈদের আগে প্রস্তুতি সভা করি। কিন্তু সভায় যেসব সিদ্ধান্ত হয়, সেগুলোর বাস্তবায়ন কতটা হয়েছে, তা ঈদের পরে আর মূল্যায়ন করি না। তাই সভায় যেসব সিদ্ধান্ত নিলাম, সেগুলো কতটুকু কার্যকর হলো, এর মূল্যায়ন করা উচিত’- যোগ করে বলেন মন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, ‘মহাসড়কে তিন চাকার যান, মোটরসাইকেল ও বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো- সব মিলিয়ে দুর্ঘটনা হয়। আমি অনেকবার বলেছি, মূল বিষয়ে হাত দেওয়া দরকার, কিন্তু হয়নি।’

এ সময় মন্ত্রী ঈদের আগে সাত দিন ও পরে পাঁচ দিন সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো খোলা রাখার অনুরোধ জানান। পাশাপাশি গার্মেন্টস ছুটির বিষয়টি দেখতে সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান।

সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ, নিরাপদ সড়ক চাইয়ের (নিসচা) চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান রাঙ্গা, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।


খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ল আরও ৬ মাস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাজার মেয়াদ আরও ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছে সরকার। এর ফলে তিনি আরও ৬ মাস কারাগারের বাইরে মুক্ত অবস্থায় থাকতে পারবেন।

বুধবার সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। আইনমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মামলা ফৌজদারি কার্যবিধিমতে ৪০১ ধারায় তার সাজা স্থগিত রেখে যে দুটি শর্তে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, সেটা ৭ বার বাড়ানো হয়েছে। আবারও সেই একই শর্তে তার সাজা স্থগিত রেখে মুক্তির আদেশ আরও ৬ মাসের জন্য বাড়ানো হলো। এই মতামত দিয়ে এই ফাইল আমি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিলাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার ১ উপধারা মতে, যে আবেদন ছিল- তার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এখন আর সেই আবেদনের ওপর পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ নেই, শুধু মেয়াদ বাড়ানো ছাড়া। সে কারণে আমি মেয়াদ বাড়ানোর সুপারিশ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফাইল পাঠিয়েছি।’

যে মানবিক কারণে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে জেলের বাইরে থাকার সুযোগ দিয়েছে সরকার, সেই একই কারণে তাকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানো যায় কি না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আইনে এর কোনো সুযোগ নেই। এখন যা করতে হবে আইনের মাধ্যমেই করতে হবে।

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। এরপর এ মামলার আপিলে তার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।


বিএনপি নেতারা ক্লান্ত, কর্মীরা হতাশ: ওবায়দুল কাদের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপির নেতারা ক্লান্ত, কর্মীরা হতাশ। এ অবস্থায় গালিগালাজ করা ছাড়া তাদের করার কিছু নেই। দলটি এখন ইফতার পার্টির নামে সরকারের অন্ধ সমালোচনা করছে।’

আজ দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ শ্রমিক লীগ এবং কৃষক লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি ইফতার পার্টি করে, এটাকে ইফতার পার্টি বলবো নাকি গীবত পার্টি বলবো। আওয়ামী লীগের গীবত করার জন্যই ইফতার পার্টি। স্রষ্টার প্রশংসার জন্য নয়, ইফতার পার্টির নামে ঢালাওভাবে সরকারের সমালোচনা করে।’

তিনি বলেন, ‘এখানে বিএনপি মিথ্যা বললে, জবাব তো দিতেই হবে। তারা মিথ্যা কথা বলা বন্ধ করুক। তাহলে ক্ষমা চাওয়ার প্রয়োজন নেই। আমরা গায়ে পড়ে কিছু বলতে যাব না।’

আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিএনপিকে ভাঙ্গার অভিযোগ নিয়ে এক বিএনপি নেতার বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপিকে আমরা কেন ভাঙতে যাব? আমাদের কি কোনো দুর্বলতা আছে, যে বিএনপি থেকে লোক এনে সে ঘাটতি পূরণ করতে হবে। আওয়ামী লীগের বহু নেতা-কর্মী আছে। গত নির্বাচনে দেখেছেন প্রার্থিতা ফরম নিতে কত ভিড়। আওয়ামী লীগে কোনো দুর্ভিক্ষ নেই।’

গত জাতীয় নির্বাচনে কিংস পার্টির সৃষ্টি নিয়ে সরকারের ভূমিকা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি দল কিংস পার্টি করতে যাবে কেন? নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলের এখানে অনেক ফুল ফোটে। কোনটা কিংস পার্টি, কোনটা প্রজা পার্টি এ সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। আমরা প্রত্যেককে রাজনৈতিক দল হিসেবে দেখি। নির্বাচন কমিশন তাদের নিবন্ধন দেয়।’

আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ সদস্য ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের নির্বাচনের আগে কিংস পার্টি খ্যাত বিএনএমতে যোগদানের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমি বিষয়টি গণমাধ্যমে দেখেছি। এ সম্পর্কে আমার কিছু জানা ছিল না। এখন সাকিব আওয়ামী লীগের টিকিটে নির্বাচন করেছে, জয়লাভও করেছে। নমিনেশন পার্টির কাছে চাওয়ার সময় সে দলের প্রাথমিক সদস্য হয়েছেন। তার আগে তো সাকিব আমাদের দলের কেউ ছিল না।’

প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্রের সহযোগিতা চাওয়া নিয়ে বিএনপির এক নেতার বক্তব্যর জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা বন্ধু রাষ্ট্র বলতে ভারতকে বুঝিয়েছে। গণতন্ত্র তো আমাদের ঠিকই আছে। নির্বাচনও হয়েছে। বিএনপির বন্ধুপ্রতিম দেশের কাছে সাহায্য চাওয়ার অর্থ তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেওয়া। নির্বাচন ছাড়া তাদের কেউ ক্ষমতায় বসাবে। এটা তো হতে পারে না। ক্ষমতায় বসাবে দেশের জনগণ। জনগণের সমর্থন ছাড়া সরকার পরিবর্তন সম্ভব নয়।’

বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মানদন্ড নিয়ে মার্কিন নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের প্রতিবেদন নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের গণতন্ত্রের বিষয়ে আমাদের একটা মানদন্ড আছে। পৃথিবীর কেউ পারফেক্ট নয়। আমরাও সেই দাবি করি না। আমেরিকার এক সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আমি নির্বাচিত না হলে রক্ত বন্যা বয়ে যাবে। এটা কোন গণতন্ত্র? নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে সাবেক প্রেসিডেন্ট আজ পর্যন্ত মেনে নেয়নি। কাজেই মানদন্ড বোঝা মুশকিল।’

সড়ক পরিবহমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে ২১ বছর সামরিক শাসক এবং তার অনুসারীরা ক্ষমতায় ছিল। দেশে গণতন্ত্রের চর্চা ছিল না। গণতন্ত্রের নামে যারা ক্ষমতায় বসেছে তারা ১৫ ফেব্রুয়ারি মার্কা প্রহসনের নির্বাচন করেছে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে হ্যাঁ-না ভোট আরেকটা প্রহসন। যারা ওয়ান ইলেভেনের সময় ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার করেছে পরবর্তী নির্বাচনের জন্য। সেখান থেকে অস্বাভাবিক সরকার দুই বছর ক্ষমতায় থেকেছে। কাজে আমাদের মানদন্ড ভিন্নতর।’

২৯টি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ নিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, সরকারের বেধে দেওয়া কিছু পণ্যের দাম এরই মধ্যে কমেছে। অন্যান্য পণ্যের দামও মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সরকারের চেষ্টার কোনো কমতি নেই। অপেক্ষা করুন। চেষ্টা করলে ফল পাওয়া যাবে।’

এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী ও আনিসুল ইসলাম প্রমুখ।


বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার সাধ্য কারো নেই: ওবায়দুল কাদের

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৮ মার্চ, ২০২৪ ১৬:৫৪
বাসস

‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম এই বাংলার মাটি থেকে মুছে ফেলার সাধ্য কারো নেই।’ বলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘উত্তাল সমুদ্রে অমানিশায় বঙ্গবন্ধু আমাদের বিশ্বাসের বাতিঘর। এই বাতিঘর চিরদিন আমাদের চলার পথ দেখাবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে সোনার বাংলা গড়ার লড়াই চলছে সে লড়াইকে আমরা নিয়ে যাব বিজয়ের সোনালী বন্দরে।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এদেশে বঙ্গবন্ধু পরিবারই সবচেয়ে বড় আদর্শের জায়গা। সততা ও সাহস রাজনীতির প্রধান দুটি গুণ। বঙ্গবন্ধু পরিবারের চরিত্র হননের অপচেষ্টা জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে অনেকেই করে গেছেন।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পচাত্তরে যখন ফিরে যাই জাতির পিতার রক্তাক্ত লাশ ৩২ নম্বরের পড়েছিল সিঁড়িতে। সেই লাশ ২দিন পর টুঙ্গিপাড়া ৫৭০ সাবান আর রিলিফের কাপড় বঙ্গবন্ধু দাফনে ব্যবহৃত হয়েছিল। ১৮/১৯ লোককে জানাজা পড়ার অনুমতি দিয়েছিল। টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুকে দাফন দিয়ে তারা ভেবেছিল, বঙ্গবন্ধুকে মানুষ ভুলে যাবে। তাদের হিসাবের অংক কত যে ভুল, আজ টুঙ্গিপাড়া বাঙালির তীর্থকেন্দ্র।’

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার লিগ্যাসি ও অর্থনৈতিক মুক্তির লিগ্যাসির মৃত্যু হবে না। প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় দেশে নীরবে আসেন, নিঃশব্দে চলে যান। তার নেতৃত্বেই দেশে আইসিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক বিপ্লব ঘটেছে। এই বিপ্লবের স্থপতি হচ্ছে জয়। দেশে এসে তার প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নীরবে আবার চলে যাচ্ছে। কোনো সাড়া-শব্দ নেই। এই হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর পরিবার।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজকে জাতির পিতার কাছে আমরা কী শিখবো? আমাদের রাজনীতিতে আমরা কীভাবে শিক্ষাগ্রহণ করব, আমাদের রাজনীতিতে কী যোগ্যতা প্রয়োজন আমরা সেটা কীভাবে শিখবো? আমি বলবো, এদেশে বঙ্গবন্ধুর পরিবারই সবচেয়ে বড় আদর্শের জায়গা। সততা ও সাহস, রাজনীতির প্রধান দুটি গুণ।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘একটি পরিবার ক্ষমতার ১৫ বছরে ক্ষমতার কোনো বিকল্প সেন্টার এই পরিবার করেনি। এদেশে হাওয়া ভবন নেই। এই পরিবারের সন্তানেরা মেধাবী। যে যেখানে আছে সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই পরিবার সবাই সততার প্রতীক।’

আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও ডা. দীপু মনি, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।


স্থায়ী মুক্তি দিয়ে খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিতে আবেদন

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শর্তে মুক্তির মেয়াদ শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তির আবেদন জানিয়েছে তার পরিবার। স্থায়ী মুক্তির পর চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশ নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চাওয়া হয়েছে।

এ সংক্রান্ত একটি আবেদন গত ৬ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসনের পরিবার। খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কাদারের পক্ষে আবেদনপত্রটি পৌঁছে দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম সাত্তার।

আজ রোববার এ বি এম সাত্তার বলেন, ‘ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। ম্যাডামের ছোট ভাই (শামীম ইস্কাদার) অসুস্থ থাকায় আমি চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দিয়েছি।’

আবেদনপত্রে শামীম ইস্কাদার উল্লেখ করেন, ‘বেগম জিয়ার জীবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষায় দরকার দেশের বাইরে চিকিৎসা।’

সম্প্রতি স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। এক দিন চিকিৎসা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার বাসায় ফেরেন তিনি। এরপর তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, মেডিকেল বোর্ড আবারও বিএনপি চেয়ারপারসনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর সুপারিশ করেছে।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা হয়। সে দিন থেকে কারাবন্দি হন তিনি।

এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার আরও সাত বছরের সাজা হয়। দুটি দুর্নীতির মামলায় কারাদণ্ড পাওয়া খালেদা জিয়া শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পান। তার মুক্তির দুই শর্তে রয়েছেন, তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশে যেতে পারবেন না।

দেশে করোনাভাইরাস মহামারির শুরুর দিকে ২০২০ সালের মার্চে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। তখন থেকে তিনি গুলশানের বাড়িতে রয়েছেন। তখন থেকে প্রতি ছয় মাস পরপর সরকার থেকে তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।


বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত পথই আমাদের পথ: ওবায়দুল কাদের

আপডেটেড ১৭ মার্চ, ২০২৪ ১৫:০৬
বাসস

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত পথই আমাদের পথ। বঙ্গবন্ধুর জন্ম মানেই হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্ম।’

তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা স্বাধীনতা দিয়ে যে উত্তরাধিকার রেখে গেছেন, তিনি বেঁচে না থাকলেও তার উত্তরাধিকারের কোনোদিন মৃত্যু হবে না। তার উত্তরাধিকার সারা জীবন বেঁচে থাকবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্ম হতো কি-না সন্দেহ যদি এই জনপদে বঙ্গবন্ধুর মতো নেতার জন্ম না হতো।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আজ রোববার সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু বঙ্গবন্ধু চিরদিন আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস। তিনি আছেন, থাকবেন। আমাদের সকল দুর্যোগে, সংকটে বঙ্গবন্ধু আমাদের চলার পথে পাথেয় হয়ে থাকবেন। তিনি বাঙালির দুঃখ কষ্টে একমাত্র বাতিঘর। যিনি আমাদের অবিরাম পথ দেখিয়ে যাচ্ছেন।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, “আজকে বঙ্গবন্ধু নেই। তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা অবিরাম লড়াই করে যাবো। আজকের দিনে আমাদের অঙ্গীকার ‘উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভিযাত্রা অব্যাহত রাখব।”


banner close