বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫
৫ ভাদ্র ১৪৩২

আওয়ামী লীগ একা কিছু করবে এটা ভাবলে ভুল: মেনন

রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির বিভাগীয় সমাবেশে বক্তব্য দেন দলের সভাপতি রাশেদ খান মেনন। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২২:০৭
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশিত
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশিত : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২২:০৫

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ‘১৪ দল একত্রে নির্বাচন করবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে এ ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু সম্প্রতি রাজশাহীর জনসভায় তিনি নৌকায় ভোট চেয়েছেন। ভোট চাইবার বেলায় নৌকার সঙ্গে হাতুড়ি, মশাল থাকে না। ১৪ দলের মূল শরিক আওয়ামী লীগ একা সবকিছু করবে এটা ভাবলে তারা ভুল করবে।’

রাজশাহী নগরের ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে শনিবার বিকেলে ওয়ার্কার্স পার্টির বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেনন এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি বলেন, ‘আপনারা ভুলে গেছেন; আপনাদের পাশে যখন কেউ ছিল না তখন ১৪ দল আর ওয়ার্কার্স পার্টি ছিল। এখনো আমরা মনে করি ১৪ দল প্রাসঙ্গিক। আমাদের সামনে শত্রু বিভীষণ। সুতরাং আমাদের নতুন রাজনীতি, নতুনভাবে গড়তে হবে। সামনে এর কোনো বিকল্প নেই।’

মেনন বলেন, ‘মূল শরিক আওয়ামী লীগ, ১৪ দলকে কোনো কিছু জিজ্ঞাসা না করে, না জানিয়ে যদি মনে করে এককভাবে শত্রুর মোকাবিলা করবে, তবে তারা ভুল করবে। কারণ তারা একই ফাঁদ ও ষড়যন্ত্রের মুখে আগেও পড়েছিল। আমরা তা ভুলে যাইনি। ওই যে রাজনৈতিক বিজয় আমরা করেছিলাম। তা ছিল ঐক্যবদ্ধ শক্তি।’

দেশে উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে মেনন বলেন, ‘বাংলাদেশ উন্নয়নের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু বৈষম্যও বেড়েছে। আজ দেশের সিংহভাগ সম্পদ ৫ শতাংশ মানুষের হাতে। গরিবের উন্নয়ন হয়নি। উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন হয়নি। উন্নয়ন হয়েছে ধনিক শ্রেণির। এ ছাড়া মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল হয়েছে। কিন্তু দেশের টাকা আর দেশে থাকছে না।’
বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি রাজশাহী বিভাগের আয়োজনে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন, দলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। এ সময় তিনি রাজশাহী অঞ্চলে আগামী নির্বাচনে হাতুড়ি মার্কাকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান।
দলের কেন্দ্রীয় সদস্য ও রাজশাহী মহানগর শাখার সভাপতি লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় পলিট ব্যুরো সদস্য আনিসুর রহমান, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।


দেশের মানুষ পিআর পদ্ধতি চায় না: মির্জা ফখরুল

রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নির্বাচনের বিকল্প নেই
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনে জনগণের অধিকার পরিপূর্ণ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। থাইল্যান্ড থেকে চিকিৎসা শেষে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের পক্ষ নয় বিএনপি এমনটা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, পিআর পদ্ধতিতে এদেশের মানুষ অভ্যস্ত নয়, এতে জনগণের অধিকার পরিপূর্ণ হবে না। দেশে যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট আছে তা থেকে উদ্ধারের একমাত্র পথ হচ্ছে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।

তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ নির্বাচন চায়, সংকট নিরসনের একমাত্র পথ দ্রুত নির্বাচন। যারা সংস্কার চাচ্ছে না, সেটা তাদের দলের ব্যাপার।

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘সবার অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হোক, এটাই প্রত্যাশা।’

এর আগে গত বুধবার সকালে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে স্ত্রীসহ চিকিৎসার জন্য ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি। দেশে ফিরে সুস্থ আছেন বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।


প্রচলিত রাজনীতির ধারার গুণগত পরিবর্তন ঘটাতে হবে: তারেক রহমান

‘প্রতিরোধ, প্রতিহিংসা ও কথামালার রাজনীতির পরিবর্তে বাস্তবধর্মী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে’ 
আপডেটেড ২০ আগস্ট, ২০২৫ ০২:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রতিরোধ, প্রতিহিংসা ও কথামালার রাজনীতির পরিবর্তে বাস্তবধর্মী পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রচলিত রাজনীতির ধারার গুণগত পরিবর্তন ঘটাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনাসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, ‘প্রত্যেক মা-বাবা তার সন্তানের জন্য একটি নিরাপদ ভবিষ্যৎ রেখে যেতে চান। প্রত্যেক মা-বাবার চাওয়া-পাওয়া কিংবা প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্য নিয়েই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল আগামী দিনের রাজনৈতিক পরিকল্পনা এবং কর্মসূচি গ্রহণ করছে।

কারণ বিএনপি মনে করে বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে একটি নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে চাইলে অবশ্যই আমাদের প্রচলিত ধারার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিরোধ, প্রতিহিংসা ও কথামালার রাজনীতির পরিবর্তে বাস্তবধর্মী পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রচলিত রাজনীতির ধারার গুণগত পরিবর্তন ঘটাতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমানে সমগ্র বিশ্ব আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) যুগে প্রবেশ করছে। এই সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কিন্তু আমাদের পিছিয়ে থাকার কোনো রকম সুযোগ নেই।

এই সময়ের চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে বিএনপি ইতোমধ্যেই বিভিন্ন সেক্টরকে চিহ্নিত করে সুনির্দিষ্ট এবং সুচিন্তিত পরিকল্পনা নির্ধারণ করছে।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করার পর অথবা কোনো কারণে ড্রপআউট (পড়াশোনা শেষ করতে না পারলে) হলে তাকে যাতে বেকার জীবন কাটাতে না হয় সেই পরিকল্পনাকে সামনে রেখেই শিক্ষা কারিকুলামে স্কুল পর্যায় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত অন্তত একাডেমিক স্টাডির পাশাপাশি ব্যাবহারিক এবং কারিগরি শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।’

তারেক রহমান বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করেছে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণ দেড় দশকের বেশি সময় পর নিজেদের এজেন্ডা-ম্যানিফেস্টো বাস্তবায়নের সুযোগ পাবে।

তবে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোর কিছু সদস্যের বক্তব্যে গণতন্ত্রকামী জনগণের মনে নানা প্রশ্ন জন্ম দিয়েছে।’

দেশের সব রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দূরত্ব তৈরি হলে রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে পতিত, পরাজিত ফ্যাসিস্ট চক্রের পুনর্বাসনের পথ সহজ হয়ে উঠবে, তাদের সুযোগ তৈরি হবে। তাই সতর্ক ও সজাগ থাকতে গণতন্ত্রকামী জনগণের প্রতি বিনীত আহ্বান জানাই।’


চোখের চিকিৎসা নিতে ব্যাংককের পথে মির্জা ফখরুল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চোখের চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে যাচ্ছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ বুধবার সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগমও তার সঙ্গে রয়েছেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, চিকিৎসকদের পরামর্শে ফলোআপ চিকিৎসার জন্য ফখরুল আবারও ব্যাংককের রুটনিন আই হাসপাতালে যাচ্ছেন। এর আগে গত ১৪ মে একই হাসপাতালে তার চোখের রেটিনায় অস্ত্রোপচার করা হয়।

ব্যাংকক যাওয়ার আগে গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ফখরুল। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনও উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি তখন তারা খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজখবরও নেন।


উদ্বোধন হলো নওগাঁ জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন; কারা আসবে নেতৃত্বে?

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁ জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার ১১ আগষ্ট দুপুর ১ টায় নওগাঁ কনভেনশন সেন্টারে এই সম্মেলনের অধিবেশনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম

উদ্বোধনের শুরুতেই জাতীয় সংগীত ও দলীয় গান পরিবেশন করে সন্মান প্রদর্শন করা হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে সকল শহীদ ও জুলাই আন্দোলনে সকল শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি নতুনভাবে দল পরিচালনার পাশাপাশি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন।

প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম ও এ এইচ এম ওবায়দুর রহমান চন্দন।

এদিন বিকেল ৩টা থেকে শুরু হবে ভোট গ্রহণ। চলবে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত। কাউন্সিলে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং দুটি সাংগঠনিক সম্পাদক পদে জেলার ১৪টি ইউনিটের ১ হাজার ৪১৪ ভোটার গোপন ব্যালটে জেলা বিএনপির নেতৃত্ব নির্ধারণ করবেন।

কাজেই সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের গুরুত্বপূর্ণ পদ কারা পাচ্ছেন, কারা হাসবে জয়ের হাসি, কাদের নেতৃত্বে চলবে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক কার্যক্রম তা নিয়ে চলছে গুঞ্জন।

দীর্ঘ ১৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জেলা বিএনপির সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এতদিন নানা সীমাবদ্ধতায় সম্মেলন করতে না পারলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বেশ ঘটা করে সম্মেলনের আয়োজন করেছে দলটি। তাই সম্মেলন ঘিরে পুরো শহর সেজেছে নতুন কমিটির নেতৃত্বে আসা নেতাদের ছবি, ব্যানার, ফেস্টুন আর বিলবোর্ডে। এই সম্মেলন ঘিরে ১৭ বছর হামলা, মামলা, নির্যাতন ও কারাবরনে জর্জরিত নেতাকর্মীরা ফিরে পেয়েছেন প্রাণচাঞ্চল্য। কর্মীরাও মুখে আছেন নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ে।

এই সম্মেলনে নেতৃত্বে কারা আসছেন এ নিয়ে তৃনমূল থেকে শুরু করে শহরের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। অনেক নেতাকর্মী ভাবছেন নতুন নেতৃত্ব আসবে, আবার কেউ কেউ ভাবছেন ধারাবাহিক নেতার মধ্যে দুই একজন জয়ী হতে পারেন।

তবে নেতাকর্মীরা বলছেন, যারা বিএনপির রাজনীতিতে রাজপথে ছিলেন, রাজপথ থেকে উঠে এসেছেন, রাজনীতিতে যাদের দলীয় পরিচয় বেশি, যারা কর্মী বান্ধব তারাই আসুক নেতৃত্বে। দলের দুর্দিনে যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন, নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন তারা যেন সঠিক মূল্যায়ন পান। এছাড়াও সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নতুন করে দলকে পুনরুজ্জীবিত ও সুসংগঠিত করে আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে বিজয়ী করতে ভূমিকা রাখবে এমন নেতৃত্ব চান নেতাকর্মীরা।

দলীয় সুত্রে জানা যায়, সর্বশেষ ২০১০ সালে জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হন সামসুজ্জোহা খান, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন মামুনুর রহমান রিপন। ২০১৫ সালে ওই কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার পর সম্মেলনের মাধ্যমে আর কোনো কমিটি গঠন হয়নি।

এরপর ২০২২ সালে আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নুকে আহ্বায়ক ও বায়েজিদ হোসেন পলাশকে সদস্য সচিব করে গঠিত আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম চলছিল।

পট পরিবর্তনের পর বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুসারে, ঘোষিত সম্মেলন উপলক্ষে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। গত রোববার (৩ আগষ্ট) তফসিল ঘোষণা করেন সম্মেলন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী ও বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা। পরের দিন সোমবার জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক এই দুইটি পদপ্রত্যাশী প্রার্থীদের মধ্যে মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়। একই দিনে মনোনয়নপত্র জমা, যাচাই-বাছাই ও চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ, সভাপতি পদপ্রত্যাশীরা হলেন- জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজমুল হক সনি, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মাষ্টার হাফিজুর রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান তুহিন, পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবদুস শুকুর, জেলা বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ এস এম মামুনুর রহমান ও জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য এ বি এম আমিনুর রহমান।

সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়ার জন্য লড়ছেন চারজন। তারা হলেন- জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশ, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রহমান রিপন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম ও আমিনুল হক বেলাল। এবং সাংগঠনিক সম্পাদকের দুটি পদের জন্য আটজন মনোনয়ন তুলেছেন। তারা হলেন শফিউল আজম (ভিপি) রানা, নূর-ই আলম, ফরিদুজ্জামান, খায়রুল আলম, শবনম মোস্তারী, সুলতান মামুনুর রশিদ, কামরুজ্জামান কামাল ও জহুরুল হক।

এদিকে এই সম্মেলনের আগের দিন রোববার (১০ আগস্ট) দুপুর ২টায় নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে সম্মেলনের কাউন্সিলর বা ভোটার তালিকাকে ‘বিতর্কিত’ উল্লেখ করে সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম বেলাল।


হাসিনা-ইউনূস দ্বন্দ্বে আমি ‘বলির পাঁঠা’ হয়েছি: টিউলিপ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশে দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পর নিজেকে ‘বলির পাঁঠা’ বলে দাবি করেছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য ও প্রাক্তন ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ জানিয়েছেন, মামলাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন তিনি। ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন টিউলিপ।

৪২ বছর বয়সি এই লেবার পার্টির নেত্রী জানান, তিনি গত সপ্তাহে এক সাংবাদিকের মাধ্যমে জানতে পারেন, ঢাকার পূর্বাচলে জমি বরাদ্দে প্রভাব খাটানোর অভিযোগে তাকে ও আরও ২০ জনকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলার শুনানি ১১ আগস্ট ধার্য করা হয়েছে।

তবে টিউলিপ জানিয়েছেন, তিনি এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক সমন পাননি এবং অভিযোগপত্রও দেখেননি। তার ভাষ্যে, ‘আমি যেন এক অদ্ভুত দুঃস্বপ্নের মাঝে আটকে আছি, যেখানে বিচার শুরু হতে যাচ্ছে কিন্তু আমি জানি না আমার বিরুদ্ধে আসল অভিযোগ কী।’

বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায় প্রয়োজনে তার অনুপস্থিতিতেই বিচার হতে পারে।

টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, গত বছরের জুলাইয়ে লেবার পার্টির নির্বাচনী জয় লাভের পর তিনি অর্থনৈতিক সচিব ও সিটি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন এবং তার কাজ উপভোগ করছিলেন। কিন্তু একই সময়ে বাংলাদেশে ছাত্র নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভে শেখ হাসিনার সরকার পতন হয়। ক্ষমতা পরিবর্তনের পর অর্থনীতিবিদ ও হাসিনার দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষমতায় আসার পর তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ শুরু হয়।

প্রথমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে, যা টিউলিপ ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। পরে ২০০৪ সালে লন্ডনের কিংস ক্রসে একটি ফ্ল্যাট উপহার পাওয়ার অভিযোগও আসে, যা তিনি ব্যাখ্যা করেছেন।

নিরাপত্তাজনিত কারণে অন্য কারো মালিকানাধীন বাড়িতে থাকার প্রসঙ্গ নিয়েও সমালোচনার মুখে পড়েছেন টিউলিপ। তবে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীদের নীতিগত আচরণবিধি পর্যালোচনার স্বাধীন উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস তার আর্থিক বিষয়াদি খতিয়ে দেখে অভিযোগ থেকে তাকে মুক্তি দেন।

টিউলিপ অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের ক্ষমতা পরিবর্তনের পর ‘নোংরা রাজনীতি’ তার ওপর চালানো হচ্ছে। তার কথায়, ‘এটি মুহাম্মদ ইউনূস ও আমার খালা শেখ হাসিনার মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের ফলাফল, আর আমি এর বলি হয়েছি। বাংলাদেশে যারা অপরাধ করেছে, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত, কিন্তু আমি তাদের মধ্যে নই।’


গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ উৎসর্গকারী সবাই জাতীয় বীর: সালাহউদ্দিন আহমদ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ উৎসর্গকারী সবাই জাতীয় বীর।

তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানে যারা প্রাণ দিয়েছেন, শুধু তারাই জাতীয় বীর নন। ১৬ বছরে গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য যারা প্রাণ দিয়েছেন তারাও জাতীয় বীর বলে গণ্য হবেন।’

আজ রোববার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত, ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী ও অসহায় অসুস্থ ব্যক্তিদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান উপলক্ষে এই অনুষ্ঠান হয়।

মানসিক ও দৃষ্টিভঙ্গির সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাষ্ট্র কাঠামো পরিবর্তন করলেই হবে না, যারা রাষ্ট্র চালাবেন এবং যারা নাগরিক উভয়ের মানসিক পরিবর্তন জরুরি। শুধু সরকারের কাছ থেকে সব আশা না করে জনগণকেও দেশের জন্য কি করা যায় তা ভাবতে হবে।

তিনি বলেন, ‘সংস্কারের মধ্য দিয়ে আমরা একটা গণতান্ত্রিক সংবিধান পেলাম। সেই গণতান্ত্রিক সংবিধানের মাধ্যমে যে সরকার ব্যবস্থা গঠিত হবে তাদেরকে সেই ব্যবস্থা যারা পরিচালনা করবে তাদেরকে মানসিক সংস্কার এবং দৃষ্টিভঙ্গি না পাল্টায় এবং অপরপক্ষে যারা রাষ্ট্রের জনগণ যারা বেনিফিশিয়ারি য্রাা সরকার যাদের কাছে দায়বদ্ধ, সমাজের কাছে দায়বদ্ধ তাদেরও যদি দৃষ্টি ভঙ্গি না-পাল্টায় তাহলে মানবিক রাষ্ট্র হবে কীভাবে?’

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের দৃষ্টি ভঙ্গি এমন হবে সরকার আমাদের জন্য কী করে তা নয়। জনগণ দেশের জন্য কী করবে সেটাও ভাবতে হবে? এটাই হচ্ছে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। তাহলেই আমরা জনগণ এবং দায়বদ্ধ সরকার জনগণের কাছে এই উভয়ে মিলে একটা আমাদের কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্র ব্যবস্থা, সরকার ব্যবস্থা, সমাজ ব্যবস্থা গতিশীল করতে পারবে।’

তিনি বলেন, যেই স্বপ্ন ছিল স্বাধীনতার শহীদদের, মুক্তিযোদ্ধাদের, যেই স্বপ্ন ছিল ২০২৪ সালের আমাদের ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের যারা রক্তদান করেছেন, যারা জীবন দিয়েছেন, যারা পঙ্গুত্ববরণ করেছেন তাদের। আমরা যাতে সেই সমাজ নির্মাণ করতে পারি যারা আজকে পঙ্গুত্ববরণ করেছে, তাদের সন্তানরা যেন তাদের কাঙ্ক্ষিত সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা দেখে যেতে পারে। আমরা সবসময় বলি শত সহস্র শহীদদের রক্তের আকাঙ্ক্ষা আমাদের পূর্ণ করতে হবে।’

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা দেখি, সেই ফ্যাসিস্টের মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই, বেদনা নেই, কোনো পরাজয়ের স্বীকারোক্তি নেই বরং দেখি দাম্ভিকতা।

আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে ও সদস্য জাহিদুল ইসলাম রনির সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন বকুল উপস্থিত ছিলেন।


ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন : সিইসি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন সে লক্ষ্য সামনে রেখে কাজ করছে।

আজ শনিবার বিকেলে রংপুর বিভাগীয় সদর দপ্তরে প্রশাসনের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে সিইসি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের কাজ এগিয়ে নেয়ার জন্যই বিভাগওয়ারি প্রশাসন ও ইলেকশন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করা হচ্ছে। ভোটের সময় কোন একটি কেন্দ্রে গন্ডগোল হলেই ওই আসনের নির্বাচন বন্ধ করে দেয়া হবে। কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না। যে সব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে তাদেরকে নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করতে দেয়া হবে না। গত নির্বাচনে যে সকল প্রিজাইডিং অফিসার সমস্যা তৈরি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থার উপর মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে গেছে, মানুষকে কেন্দ্র নিয়ে আসা একটা বড় চ্যালেঞ্জ।

এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘এখনই নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা নয়। তফশিল ঘোষণার দুই মাস আগে নির্বাচনের তারিখ জানানো হবে। তবে স্বল্প সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন।’

এর আগে সকালে আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন কর্মকর্তা রংপুর অঞ্চল ও রংপুর অঞ্চলের সকল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং জেলা-উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন কমিশন, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও প্রশাসন মিলে যে একটা ভালো নির্বাচন করা সম্ভব এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের হারানো আস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব-এই বিষয়ে আমরা কাজ করছি। তাই আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করাটাই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রধান চ্যালেঞ্জ।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো। আমরা চাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও উন্নত হোক। যাতে করে শান্তিপূর্ণ ও নির্ভয়ে মানুষ তার পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে পারে। মানুষ ভোট কেন্দ্রে যাওয়া ভুলে গেছে। নির্বাচনের দিন অনেক মানুষ ভোট দিতে কেন্দ্রে যায় না, বাসায় আরাম আয়েস করে। অনেকেই মনে করে, ভোট দিতে গিয়ে কি হবে। কেউ না কেউ তো আমার ভোটটা দিয়ে দেবে। এই রকম মানসিকতা তৈরি হয়েছে। এই মানসিকতা দূর করাই নির্বাচন কমিশনের চ্যালেঞ্জ। আমরা সেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছি। এজন্য সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে। আর এই সচেতনতা তৈরীতে সাংবাদিকদের ভুমিকা রয়েছে। আমরা সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা চাই। পরামর্শ চাই।

এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, অস্ত্রের চেয়ে এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে এআই এর ব্যবহার। এআই হচ্ছে বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার। এটা আমাদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা সাংবাদিকদের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছি না। সাংবাদিকরা আমাদের পক্ষ। যারা প্রফেশনাল সাংবাদিক তারা আমাদের হয়ে কাজ করবেন, স্বচ্ছ ইলেকশনের জন্য কাজ করবে এই প্রত্যাশা আমাদের আছে। কিন্তু যারা ফেসবুক দিয়ে সাংবাদিকতা করে, যাদের কোনো ট্রেনিং নাই, কোনো দক্ষতা নেই। কোনো এথিকস নাই। তাদের নিয়ে আমাদের সমস্যা। কেননা তারা প্রধান উপদেষ্টা ও আমাকে নিয়ে নানা ধরনের ভিডিও বানিয়ে একটা লিখে দিয়ে ছেড়ে দেয়। অনেক মানুষ এসব বোঝে না। রাতে শুয়ে শুয়ে এসব ভিডিও দেখে। এগুলো কেউ যাচাই বাছাই করে না। আর্টিফিসিয়াল ভিডিও দেখে আর আমাদের ভুল বোঝে। তাই সবার কাছে অনুরোধ এগুলো যাছাই বাছাই ছাড়া কেউ শেয়ার করবেন না। এই বিষয়ে সাংবাদিক ভাইদের সহযোগিতা দরকার। কেননা এটা আমাদের জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব বন্ধে যা যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার আমাদের পক্ষ থেকে আমরা নিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, অতীতে যে সব প্রিজাইডিং অফিসার এবং প্রশাসনের লোকজন নির্বাচনের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলো তাদেরকে আগামী নির্বাচনে না রাখার চেষ্টা চলছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন কমিশন আগামী নির্বাচনে কারো পক্ষে ও বিপক্ষে কাজ করবে না। ১৮ কোটি মানুষের হয়ে কাজ করবে। এআইএ এর মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষকে বিভ্রান্ত ছড়ানো হচ্ছে; এটা মোকাবেলা করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। নাগরিকদের উদ্দেশ্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোট দেয়া যেমন নাগরিক দায়িত্ব; তেমন ঈমানী দায়িত্বও বটে।


যারা নির্বাচনে ভয় পায়, তারাই পি আর পদ্ধতি চায়: শামসুজ্জামান দুদু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জহির রায়হান সোহাগ- চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

যারা পিআর পদ্ধতি নিয়ে গোঁ ধরছেন তারা সাধারনত নির্বাচন দেখে ভয় পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

আজ শনিবার সকালে চুয়াডাঙ্গার নিজ বাড়িতে নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, তাদের (যারা পিআর পদ্ধতি চায়) নির্বাচনে ভয় পাওয়ার বাস্তব কারণও আছে। অনেক ইসলামী দল আছে যাদের প্রার্থীরা কখনো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারেননি। এর মধ্যে অন্যতম ইসলামী আন্দোলন। আওয়ামী লীগের কাছে এই দলটি যেভাবে নাস্তানাবুদ হয়েছে, বিশেষ করে বরিশালের সবশেষ নির্বাচনে তাদের পীর রক্তাক্ত হওয়ার পর এখন তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগের সময় যতগুলো নির্বাচন হয়েছে সবগুলোতেই তারা অংশগ্রহন করেছে, আওয়ামী লীগকে তারা পেয়ারের সংগঠন মানতো।

বিএনপি নেতা দুদু বলেন, যারা পিআর পদ্ধতি চায়, তারা যদি মনে করে এটি খুবই জনপ্রিয় বিষয় তাহলে বিষয়টি তাদের কর্মসূচিতে নিয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করে তারপর সিদ্ধান্ত নিক। কেননা এই পদ্ধতি চালুর জন্য সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাগবে। পৃথিবীর যেসব দেশে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়েছে সেসব দেশে তিন বছরের মধ্যে অন্তত ১০ বার সরকারের পতন হয়েছে। নেপালই যার বড় দৃষ্টান্ত। একটি যেকোন দেশের সমৃদ্ধি, উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা বাধাহীনভাবে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়, তাহলে সরকারের স্থিতিশীলতা খুব জরুরী। সেটির নিশ্চয়তা পিআর পদ্ধতিতে থাকে না।

ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে অন্যান্য দলের অংশগ্রহন প্রসঙ্গে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, এখন দেশে সরকারি দল নেই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ও যদি কোন রাজনৈতিক দল স্ব উদ্যোগে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে তাহলে এটি হবে তাদের জন্য ব্যর্থতা। হ্যাঁ, বিভিন্ন দলের বিভিন্ন দাবি থাকবে। দাবিগুলো নির্বাচনের কর্মসূচিতে উল্লেখ করে জণগণের কাছে পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমই নির্বাচন। যদি সেসব দাবি জনপ্রিয় হয় তাহলে তারা নির্বাচিত হবে। কিন্তু নিজেদের দাবি প্রতিষ্ঠিত করতে অন্যের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়া ঠিক হবে না।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চুযাডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলাসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।


সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারেক রহমান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গত এক বছরে অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও গণতন্ত্রের পথকে সুগম করার উদ্যোগ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য এবং এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

বিএনপির চেয়ারপার্সনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আজ এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানান।

তিনি বলেন, লন্ডনে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনূসের বৈঠকে নির্বাচনের সময় ২০২৬ এর ফেব্রুয়ারি মাসে নির্ধারণের ঘোষণাকে স্বাগত জানাচ্ছে বিএনপি। বিএনপি মনে করে এই ঐতিহাসিক ঘোষণায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠবে এবং গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে সুগম করবে।

বিএনপি মনে করে, এই নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য করার জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশন সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বিএনপি এই নির্বাচনকে সফল করে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া এবং একটি কার্যকরী জাতীয় সংসদ গঠনের জন্য সকল রাজনৈতিক দল ও জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, গণতন্ত্রের এই সংগ্রামে যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা, যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রতি সহানুভূতি এবং আরোগ্যের জন্য পরম করুনাময়ের কাছে প্রার্থনা করছে বিএনপি। শহীদদের পরিবারের পূর্নবাসন ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আমরা আহ্বান জানাই।

তিনি বলেন, আসুন, আমরা স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়ার স্বপ্নের, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আজীবনের সংগ্রাম-গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, তরুণ নেতা তারেক রহমানের আধুনিক, মানবিক, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলি। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করি।


জুলাই ঘোষণাপত্র অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি’র শীর্ষ ৫ নেতা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

জুলাই ঘোষণাপত্র অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন বিএনপি’র শীর্ষ ৫ জন নেতা। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির ৫ সদস্য এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।

বিএনপি’র মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অন্যান্য সদস্যরা হলেন- বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ডক্টর আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও সালাহউদ্দিন আহমদ।

এদিকে, সোমবার রাতে বিএনপি’র সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকটি রাজধানীর গুলশানে বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হয়ে রাত সাড়ে ১০টায় শেষ হয়।

বৈঠকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।


খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঘেরাও করতে চাওয়া সেই বিএনপি নেতা বহিষ্কার

বহিষ্কৃত নেতার ছবি
আপডেটেড ৩০ জুলাই, ২০২৫ ১৩:৫২
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঘেরাও করতে চাওয়া নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার বিএনপির সদস্য লুৎফর রহমান খোকাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা চিঠিতে এই বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়। তবে বহিষ্কারের বিষয়টি বুধবার সকালে প্রকাশ পায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব। তিনি বলেন, বহিষ্কারের তথ্যটি সঠিক।

চিঠিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলীয় নীতি, আদর্শ ও সংহতির পরিপন্থি কার্যকলাপের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার বিএনপির সদস্য লুৎফর রহমান খোকাকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এর আগে, গত ২৩ জুলাই বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার ফতুল্লায় সোনালি সংসদ মাঠে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন লুৎফর রহমান খোকা। তিনি বলেন, শাহ আলমের (নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী) জন্য আমরা নমিনেশন আনবো। প্রয়োজনে আমরা আত্মাহুতি দেবো কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে। তারেক রহমান ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে ও বিএনপির মহাসচিবকে ঘেরাও করবো।

তিনি বলেন, বিএনপির সর্বোচ্চ মহলকে পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, ফতুল্লাকে নিয়ে যদি কোনো ষড়যন্ত্র করা হয়, তাহলে কাউকে ছাড়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, এখানে কোনো জোট চলবে না। এই খেলা আর খেলবেন না। ধানের শীষ ছাড়া ফতুল্লায় কিছু চলবে না। ফতুল্লার জনগণের আবেগ, আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না। ফতুল্লার মানুষদের প্রিয় নেতা শাহ আলমকে বাদ দিয়ে এখানে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া মানেই জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা।

এদিকে এই ঘটনার দুই দিন পর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের ঘেরাও করার মন্তব্যটি সঠিক হয়নি বলে স্বীকার করেন লুৎফর রহমান খোকা। তিনি বলেন, মন্তব্যটি স্লিপ অব টাং বলতে পারেন। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের প্রায় ৮০ ভাগ ভোটার বিএনপির। এখানে যদি জোটের অন্য কাউকে দেওয়া হয়, তাহলে সেটা ভোটারদের জন্য কষ্টদায়ক। বিষয়টি কেন্দ্রকে বোঝাতে গিয়ে একটু বেশি বলে ফেলেছি। এটা আমার ঠিক হয়নি


নির্বাচনে ভয় পেলে রাজনীতি নয়, এনজিওতে যোগ দিন: আমীর খসরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

নির্বাচনে যারা ভয় পান, তাদের রাজনীতিতে না থেকে এনজিও বা প্রেসার গ্রুপ হিসেবে কাজ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘যারা নির্বাচনে ভয় পান, তাদের রাজনীতি করার দরকার নেই। তারা চাইলে প্রেসার গ্রুপ হিসেবে কাজ করতে পারেন, এনজিওতে যেতে পারেন। আপনি রাজনীতি করবেন, নির্বাচন এড়াবেন, আবার একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াও বাধাগ্রস্ত করবেন—এটা চলতে পারে না।’

রবিবার (২৭ জুলাই) ঢাকার রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ভাসানী জনশক্তি পার্টি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের আয়োজিত ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান’–এর প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু বলেন, যেসব দেশে গণ-অভ্যুত্থানের পর নির্বাচন বিলম্বিত হয়েছে, সেখানে বিভাজন, গৃহযুদ্ধ ও রাষ্ট্র হিসেবে ব্যর্থতার উদাহরণ রয়েছে। কিন্তু যারা দ্রুত নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্রে ফিরে গেছে, তারা অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে উন্নতি করেছে।

জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে তিনি বলেন, এই আন্দোলন নিয়ে মতপার্থক্য থাকলেও, একে কেউ ‘হাইজ্যাক’ করার সুযোগ পাবে না। এই আন্দোলন নতুন কিছু নয়, কারণ অধিকার আদায়ের আন্দোলন বাংলাদেশের জনগণের রক্তে রয়েছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘৫ আগস্ট শেখ হাসিনা না গেলে আমরা বাড়ি ফিরতাম না। আমাদের আন্দোলন চলতেই থাকত।’

তিনি আরও বলেন, এই আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল দেশের ওপর জনগণের মালিকানা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং তাদের সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া।

যদিও বিএনপি নেতাকর্মীরা এই আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, তবে বিএনপি কখনও এর কৃতিত্ব দাবি করেনি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত একটি সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই এই গণ-অভ্যুত্থান সফল হবে।

আমীর খসরু বলেন, সব বিষয়ে পূর্ণ ঐকমত্য প্রয়োজন নেই।

‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ভিন্নমত ও বিশ্বাস থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু জাতীয় স্বার্থে ঐক্য জরুরি। মতপার্থক্য ছাড়া গণতন্ত্র টিকে না। আমরা একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করতে আসিনি।’

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার ‘পলায়নের’ পর দেশের জনগণের মনোভাবে পরিবর্তন এসেছে।

‘যারা এই পরিবর্তন বুঝতে পারছে না, তাদের কোনো রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নেই।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, একটি নির্বাচিত সরকার না থাকায় অনেক পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তাই সঠিকভাবে কাজ করছেন না এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও সিদ্ধান্ত নিতে অপেক্ষায় আছেন।


নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া প্রকৃত সংস্কার সম্ভব নয়: ফখরুল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত না করে এবং একটি সঠিক গণতান্ত্রিক কাঠামো জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা না করে কোনও প্রকৃত সংস্কার সম্ভব নয়।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) এক আলোচনাসভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি তাদের সমালোচনা করেন যারা মনে করেন, সংস্কার রাতারাতি বা কয়েকটি বৈঠকের মধ্য দিয়েই হয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, ‘সংস্কার একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন করতে হয়। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।’

বিএনপি নেতা বলেন, যদি সরকার মনে করে যে, তারা চাইলেই কাল থেকে পুলিশ ঘুষ নেওয়া বন্ধ করে দেবে, তাহলে সেটা হবে না। ‘আপনাকে এমন একটি কাঠামো তৈরি করতে হবে যেখানে ঘুষ নেওয়াকে নিরুৎসাহিত করা হয়।’

জিয়া পরিষদ এই আলোচনাসভার আয়োজন করে, যার শিরোনাম ছিল ‘জুলাই অভ্যুত্থান: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’। এটি গত বছরের গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়।

ফখরুল দেশের উন্নয়নে বাধা হিসেবে বিদ্যমান আমলাতন্ত্রকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের আমলাতন্ত্র উন্নয়নের একটি বড় বাধা। এটি একটি নেতিবাচক আমলাতন্ত্র এবং এটিকে একটি ইতিবাচক কাঠামোয় রূপান্তর করতে হবে। তা করতে হলে মূলত জনগণকে এই প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’

বিএনপি নেতা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত জনগণের কাছে ফিরে যাওয়া, তাদের চাহিদা বোঝা এবং সেই চাহিদাকে রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রতিফলিত করা।

নির্বাচন চাওয়ার কারণে বিএনপিকে ঘিরে চলমান সমালোচনার প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘আমরা নির্বাচন নিয়ে কথা বলা শুরু করতেই বলা হলো, বিএনপি শুধু নির্বাচন চায়। কিন্তু কেউ কি ভেবে দেখেছে, আমরা কেন নির্বাচন চাই?’

তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, নির্বাচন ছাড়া প্রকৃত জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করা যায় না। ‘আর যদি প্রতিনিধি না থাকে, তাহলে তারা কীভাবে সংসদে যাবে? আর যদি নির্বাচিত সংসদ না থাকে, তাহলে কীভাবে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে?’

ফখরুল বলেন, ‘আপনি দেশ চালাতে বাড়ি ও বিদেশ থেকে কয়েকজন লোক ভাড়া করে আনতে পারেন না। এটি সম্ভব নয়।’


banner close