নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারে আগুন জ্বলছে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেছেন, বর্তমান জনসম্মতিহীন কর্তৃত্ববাদী সরকার জনগণের জীবন নিয়ে তামাশা করছে।
রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে গণসংহতি আন্দোলন, ঢাকা জেলার প্রথম সম্মেলনের উদ্বোধনী সমাবেশে শুক্রবার সাকি আরো বলেন, শ্রমজীবী ও মধ্যবিত্ত মানুষ হাঁস-ফাঁস করছে। মানুষের হাতে টাকা নেই কিন্তু বাজারদর বাড়ছে প্রতিনিয়ত।
সাকি বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে বর্তমান সরকার চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হচ্ছে। সরকার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে না সিন্ডিকেটই সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করছে তা নিয়ে মানুষের মাঝে প্রশ্ন তৈরী হয়েছে। তিনি বলেন, ‘অন্যদিকে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে আদানি গ্রুপের সাথে অবৈধ বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি করছে। যা ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর ভারতের সমর্থন পাবার জন্যই করা হয়েছে বলে জনগণ মনে করে। এই ধরণের কর্তৃত্ববাদী সরকার সামনের নির্বাচনেও জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায় কিন্তু সে সুযোগ তাদের আর জনগণ দেবে না।’
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আমরা জনগণের ভোটাধিকার ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের লক্ষ্যে যুগপৎ আন্দোলন করছি, এই লড়াইয়ের মধ্য দিয়েই বর্তমান সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করবো আমরা। সবাইকে সেই লড়াইয়ে আরো ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানাই।’
অন্তর্বর্তী সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নিয়ে ‘সংস্কারের’ নামে কেবল ‘কলা দেখাচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
আজ শনিবার রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কৃষক দল।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘‘সংস্কারের এই নাটক কতবার উদ্বোধন করবেন? প্রথম দফায় উদ্বোধন, তারপর দ্বিতীয় দফায় আবার। এখন তৃতীয় দফায় আরেকটা উদ্বোধন! এটি আসলে সংস্কারের নামে ‘কলা দেখানো’ ছাড়া কিছু নয়।’’
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ২ জুন আরেক দফা সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন। ‘আমরা আগেই বলেছি—যা আলোচনা হয়েছে, সব একত্র করে জাতির সামনে উপস্থাপন করুন। কিন্তু আপনারা শুধু আনুষ্ঠানিকতা করছেন, কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ২ জুন আবার নতুন করে আলোচনার কী প্রয়োজন?’
তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কারের চেয়েও বড় অগ্রাধিকার হওয়া উচিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিশ্চিত করা—ফ্যাসিস্টদের বিচারের দাবিই এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।’
সালাহউদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে সরকারের আগের প্রতিশ্রুতি থেকে তারা সরে এসেছে। ‘আপনারা বলেছিলেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হবে। এখন আবার পিছু হটলেন—এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’
২০১৫ সালের ১০ মার্চ উত্তরার বাসা থেকে গোয়েন্দা পরিচয়ে অপহরণের শিকার হওয়া সালাহউদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীরা রক্ত দিয়েছে, নির্যাতনের শিকার হয়েছে, কারাবরণ করেছে, ‘আয়নাঘরে’ বন্দী হয়েছে। এসব কিছু কি শুধু গল্প? আমরা এসব ভোগ করেছি এমনি এমনি।’
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা এবং বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার লক্ষ্যেই বিএনপি আন্দোলন করছে বলে মন্তব্য করেন দলটির এই নেতা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রতি ইঙ্গিত করে সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ‘আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকারের কথা বললেই যদি আপনি অস্বস্তি বোধ করেন, তবে সেটা অত্যন্ত হতাশাজনক। সংস্কারের নামে কতদিন আর নির্বাচন বিলম্ব করবেন?’
নির্বাচন পেছানোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন বিলম্ব করার কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। আপনার (ড. ইউনূস) কোনো যুক্তি নেই। ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজন না করার একটি কারণও যদি থাকে—তা জাতির সামনে তুলে ধরুন।’
সংস্কারকে একটি চলমান প্রক্রিয়া বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, সংস্কারকে অজুহাত বানিয়ে নির্বাচন পেছানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ‘সংস্কার কখনও সম্পন্ন করার মতো কাজ নয়, সময় ও দেশের প্রয়োজন অনুযায়ী তা বিকশিত হয়। কিন্তু তাই বলে এর অর্থ এই নয় যে, আপনি এটিকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে দিতে পারেন।’
কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদি আমিন, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়ালসহ কৃষক দলের নেতারা।
অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা ছিলেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতা নাহিদ ইসলাম। পরে পদত্যাগ করে নতুন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা হন নাহিদ। তবে নাহিদ ইসলামের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) উপদেষ্টা পদে থাকাবস্থায় লক করে রেখেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এনআইডির তথ্য ফাঁসের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সংস্থাটি।
তবে অভিযোগের প্রমাণ না মেলায় ৫ দিন পর আনলক করে দেওয়া হয় নাহিদের এনআইডি।
জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগকে এনটিএমসি জানায়, ‘ভণ্ডবাবা’ গ্রুপের অ্যাডমিন নাহিদ ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। তার এনআইডির নম্বরও দেওয়া হয় জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগকে। এরপর তদন্তে নামে অনুবিভাগ। গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর লক করা হয় নাহিদের এনআইডি।
তদন্তে বেরিয়ে আসে, ‘ভণ্ডবাবা’ হোয়াটসঅ্যাপের কোনো গ্রুপ নয়। এটি টেলিগ্রামের একটি গ্রুপ। আর নাহিদ ওই গ্রুপের অ্যাডমিন নন।
তার এনআইডির বিপরীতে কোনো তথ্য পাচারের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায়, গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর এনআইডি আনলক করে দেয় সংস্থাটি।
এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটিও করা হয়। ওই তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, যেহেতু এই ভোটার কর্তৃক ডাটা সরবরাহ করার বিষয়ে কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি এবং অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে, সেহেতু মো. নাহিদ ইসলামের এনআইডি আনলক করার জন্য সুপারিশ করে কমিটি। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নথি উত্থাপন করা হলে ২২ সেপ্টেম্বর এনআইডির মহাপরিচালক তখন এনআইডিটি আনলক করার সিদ্ধান্ত দেন।
এভাবেই পাঁচ দিনের জন্য লক থাকে সাবেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের এনআইডি।
বর্তমান এনআইডি মহাপরিচালক এসএম হুমাযুন কবীর গণমাধ্যমকে বলেন, সে সময় আমি ছিলাম না। তাই সেটি আমার বিবেচনার বিষয় নয়। আর পুরোনো বিষয় যেটির সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই, সেটির মতামতও দিতে চাই না।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী পৃথিবীর যেকোনো বাহিনীকে টেক্কা দেওয়ার সক্ষমতা রাখলেও অতীতে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা তাদের জিম্মি করে রেখেছিল।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে লালমনিরহাটের পাটগ্রামের চৌরাঙ্গী মোড়ে এক পথসভা এ মন্তব্য করেন তিনি।
সারজিস আলম বলেন, ‘হাসিনার কারণে বিজিবি এত দিন ভারতের বিরুদ্ধে তাদের শক্তিমত্তা প্রকাশ করতে পারেনি। সীমান্তে পুশইনের ঘটনা বাংলাদেশবিরোধী ভারতের ষড়যন্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এখনো সন্তোষজনক নয়। যে ব্যক্তি (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশের হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন, তাকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে। তাই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে প্রতিবেশীর মতো আচরণ করতে হবে। যত দিন পর্যন্ত শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রিত থাকবেন তত দিন বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না।’
সারজিস আলম বলেন, সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে হলে প্রতিবেশীর মতো শ্রদ্ধা ও সম্মানের সম্পর্ক হতে হবে। এখন পর্যন্ত ভারত যে আচরণ বাংলাদেশের সঙ্গে করেছে তা সন্তোষজনক নয়। এই আচরণ দিয়ে ভারত কখনোই প্রতিবেশীর মতো সম্পর্ক পাবে না।
সারজিস বলেন, ‘ভারত তাদের নাগরিক কিংবা এজেন্টদের বাংলাদেশে পুশইনের মাধ্যমে ষড়যন্ত্র করছে। এ কারণে শুধু বিজিবি নয়, এই অঞ্চলের প্রতিটি নাগরিককেই সজাগ থাকতে হবে।’
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যখনই দেশের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র দেখবেন, তখনই তা প্রতিহত করুন।’
তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হাজারের অধিক হত্যা ও লাখের অধিক মানুষকে রক্তাক্ত করার নির্দেশদাতা শেখ হাসিনাকে তারা (ভারত) আশ্রয় দিয়েছে। দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবিকে শেখ হাসিনা সরকার জিম্মি করে রেখেছিল। তাদের শক্তি সামর্থ্যকে প্রকাশ করতে দেয়নি। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের কাছে সবসময় ছোট করে রেখেছিল। অস্ত্রের সক্ষমতা নয়, কলিজার সক্ষমতা থাকতে হবে। ১৯৭১ সালে এ দেশ স্বাধীন করে বাংলাদেশ সেটার প্রমাণ দিয়েছে। এসময় তিনি দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে বিন্দু মাত্র আপস না করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় এনসিপির উত্তরাঞ্চলের যুগ্ম-মুখ্য সংগঠক সাদিয়া ফারজানা, কেন্দ্রীয় সংগঠক উত্তরাঞ্চলের রাসেল আহমেদ, লালমনিরহাট জেলা সমন্বয়ক রকিবুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দেশে গণতন্ত্রের নিরবচ্ছিন্ন যাত্রা পদে পদে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দেয়া ভিডিও বার্তায় একথা বলেন তিনি।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শহীদ দিয়া আমৃত্যু যে গণতন্ত্রের জন্য কাজ করে গেছেন, সেই গণতন্ত্রের নিরবচ্ছিন্ন যাত্রা প্রতি পদে পদে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।’
‘প্রতি বছর মে মাসের এই দিনটি আমাদের পরিবারে বেদনাবিধুর স্মৃতি নিয়ে আসে। এই দিনে শুধু আমাদের পরিবার নয়, বরং সমগ্র দেশই হয়ে ওঠে বেদনার্ত ও অভিভাবকহীন,’ বলেন তিনি।ঢ়
সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এক অবিচ্ছেদ্য নাম শহীদ জিয়াউর রহমান। যে চট্টগ্রাম থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা করে তিনি এ দেশের সঙ্গে তার নাম অবিচ্ছেদ করেছিলেন, সেই চট্টগ্রামেই এক সফল, সৎ, দূরদর্শী ও প্রকৃত দেশপ্রেমিক প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন।’
শিগগিরই দেশে গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত হবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে খালেদা বলেন, দেশে গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত করাই যেন হয় শহীদ জিয়ার শাহাদাত বার্ষিকীর দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ লক্ষ্যে নেতা-কর্মীদের নিরলস কাজ করার আহ্বান জানান দলটির চেয়ারপারসন।
রাজধানীর ধানমন্ডি থানা থেকে বিশৃঙ্খলার অভিযোগে আটক তিন ব্যক্তিকে ছাড়িয়ে আনার অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দেওয়া কারণ দর্শানোর অভিযোগে নিজের ভুল স্বীকার করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ।
এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২১ মে হান্নানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল এনসিপি। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তিনি কারণ দর্শানো নোটিশের লিখিত ও মৌখিক জবাব ‘রাজনৈতিক পর্ষষের’ কাছে পেশ করেন।
নোটিশের জবাবে হান্নান ধানমন্ডির কর্মকাণ্ড ভুল ছিল বলে স্বীকার করেন এবং আগামীতে এই ধরনের ভুলের পুনরাবৃত্তি হবে না মর্মে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
পাশাপাশি থানায় আটক হওয়া ব্যক্তিদের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে হান্নানের সম্পৃক্ততা না থাকায় রাজনৈতিক পর্ষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তার ওপর আরোপিত কারণ দর্শানো নোটিশ প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনসিপি।
এর আগে হান্নানকে দেওয়া কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয় বলা হয়, ২০ মে ধানমন্ডি থানার আওতাভুক্ত একটি আবাসিক এলাকায় ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে বিশৃঙ্খলা করার অভিযোগে তিনজন ব্যক্তিকে আটক করে থানা-পুলিশ।
এই তিনজনের অন্যতম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মোহাম্মদপুর থানার আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম রাব্বিকে নৈতিকতা স্খলনের কারণে অব্যাহতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। তা সত্ত্বেও আবদুল হান্নান মাসউদ সংশ্লিষ্ট থানায় উপস্থিত হয়ে আটক তিনজনকে মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়েছেন।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আবদুল হান্নান মাসউদকে ব্যাখ্যা এবং তার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার লিখিত বিবরণ তিন দিনের মধ্যে এনসিপির শৃঙ্খলা কমিটির প্রধানের কাছে উপস্থাপন করার জন্য নির্দেশনা দেয় দলটি।
বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন— ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের তারুণ্যের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে আজ। এই সমাবেশে ১৫ লাখ তরুণ-তরুণী জমায়েত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বুধবার (২৮ মে) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানি জানিয়েছেন, সমাবেশে ঢাকাসহ সিলেট, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহের তরুণ-তরুণীরা অংশ নেবেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি দেশের যুবসমাজের উদ্দেশে দলের রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা ও ভবিষ্যৎ কৌশল তুলে ধরবেন বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এ ছাড়া খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদসহ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত থাকবেন।
এর আগে, সোমবার (২৬ তারিখ) এক সংবাদ সম্মেলনে জিলানি বলেন, চট্টগ্রামে আমাদের সমাবেশে তরুণদের বিপুল সমাগম হয়েছে। খুলনা ও বগুড়ায়ও আমাদের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। এতে আমরা সমাজের সব স্তরের তরুণদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরেছি।
ঢাকার সমাবেশে ১৫ লাখ তরুণ অংশ নিয়ে আগের সব রেকর্ড ভেঙে দেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সেচ্ছাসেবক দলের এই শীর্ষ নেতা বলেন, সমাবেশে অংশ নিতে তরুণরা উদগ্রীব হয়ে আছে। তাদের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন এই সমাবেশ সফল করবে। সেখানে ১৭ বছর ধরে ভোটাধিকার-বঞ্চিত যুবকরা গণতন্ত্র পুনর্প্রতিষ্ঠার প্রধান দাবি উত্থাপন করবে।
তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার চলমান আন্দোলনে এই সমাবেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে, গত ২৯ এপ্রিল দেশের ১০টি বিভাগের তরুণদের নিয়ে চারটি সেমিনার ও চারটি সমাবেশ করার ঘোষণা দেয় বিএনপির এই তিন অঙ্গসংগঠন।
৯ মে তারিখে চট্টগ্রাম থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয় এবং আজ (বুধবার) ঢাকায় তা শেষ হবে। এর মধ্যে খুলনা ও বগুড়ায় সেমিনার ও সমাবেশ করেছে দল তিনটি।
বিএনপির তিনটি অঙ্গসংগঠন—যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল—আগামী বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বড় ধরনের যুব সমাবেশ আয়োজন করতে যাচ্ছে। এতে অন্তত ১৫ লাখ তরুণ অংশ নেবেন বলে দাবি করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী।
তিনি বলেন, ‘আমরা চট্টগ্রামের সমাবেশে তরুণদের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। খুলনা ও বগুড়াতেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। ঢাকায় আমরা আশা করছি অন্তত ১৫ লাখ তরুণ অংশ নেবেন, যা পূর্বের সব রেকর্ড ভেঙে দেবে।’
তিনি জানান, ‘ঢাকা, সিলেট, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহ থেকে তরুণরা সমাবেশে যোগ দেবেন।’
জিলানী বলেন, ‘তরুণরা ১৭ বছর ধরে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। এই সমাবেশে তারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবি তুলবে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে তারেক রহমানের নেতৃত্বে চলমান আন্দোলনে তরুণদের অংশগ্রহণ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।’
১০টি বিভাগ থেকে তরুণদের সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে গত ২৮ এপ্রিল চারটি সেমিনার ও চারটি যুব সমাবেশের ঘোষণা দেয় বিএনপির এই তিন অঙ্গসংগঠন। এই কর্মসূচির শুরু হয় ৯ মে চট্টগ্রামে। এরপর খুলনা ও বগুড়ায় সমাবেশ হয়। শেষ সমাবেশটি হবে ২৮ মে (বুধবার) ঢাকায়।
ঢাকার সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি তরুণদের উদ্দেশ্যে দলের রাজনৈতিক রূপরেখা ও ভবিষ্যৎ কৌশল উপস্থাপন করবেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদও সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। সংবাদ সম্মেলনে যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুনা লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি জানান, ‘এই দুই দিনের কর্মসূচি তরুণ প্রজন্মকে ঘিরেই তৈরি করা হয়েছে।’
তিনি জানান, মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে ‘তরুণদের ভবিষ্যৎ ভাবনা, ভবিষ্যতের বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি সেমিনার। এতে ঢাকা, ফরিদপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহের তরুণ প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। বুধবার হবে ‘তরুণদের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার’ সমাবেশ।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জনগণ শিগগিরই দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন দেখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এখনকার প্রত্যাশা হলো জনগণ শিগগিরই সবচেয়ে অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন দেখতে পাবে, যা হবে দক্ষ, যোগ্য এবং আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত এক অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের নেতৃত্বে।’
জাতীয় পিপলস পার্টির (এনপিপি) ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার(২৫ মে) রাজধাণীর ইন্সটিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো আবারও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে এবং জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ও সময় স্পষ্টভাবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে। বিএনপি দাবি করেছে, জাতীয় নির্বাচন আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে হতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, বিএনপি এবং যারা দীর্ঘদিন ধরে রাস্তায় আন্দোলন করছে, তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে পুরোপুরি সহযোগিতা করে যাচ্ছে—যাতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করা যায়।
বিএনপি নেতা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘জনগণের ভোটের মাধ্যমে জনগণের কাছে জবাবদিহির সরকার প্রতিষ্ঠায় যেকোনো অজুহাত বা অপ্রয়োজনীয় বিলম্বের সুযোগ নিয়ে পতিত, পলাতক এবং পরাজিত স্বৈরশাসক জেগে ওঠার জন্য অপেক্ষা করছে।’
তবে, তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে ফ্যাসিস্ট, ধ্বংসাত্মক ও অপশক্তির পুনর্বাসন রোধ করা সম্ভব।’
তারেক বলেন, ‘যদিও আমরা আমাদের দলীয় মতাদর্শ ও কর্মসূচি অনুযায়ী ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রক্রিয়া ও পদ্ধতিগত পার্থক্য দেখতে পাই। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি বাংলাদেশের গণতন্ত্রপ্রেমী জনগণ এখন ৫ আগস্টের মতোই ঐক্যবদ্ধ। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে ও জনগণের স্বার্থে ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধের জন্য একটি ইস্যুতে এই ঐক্য হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের নাগরিকদের মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি করা হচ্ছে, যার ফলে বিভিন্ন পেশা এবং শ্রেণির মানুষ প্রতিদিন বিভিন্ন দাবিতে রাস্তায় নামছে। ‘দুর্ভাগ্যবশত, তাদের দাবির প্রতি কেউ কান দিচ্ছে না।’
তারেক রহমান বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের শাসনকালে রাজনৈতিক দলগুলো নানা নির্যাতন, ষড়যন্ত্র এবং দমন-পীড়নের শিকার হয়েছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘এখন সব রাজনৈতিক দলের লক্ষ্য হওয়া উচিত পরাজিত ফ্যাসিস্টের রাজনৈতিক পুনরুত্থান রোধ করা। এর জন্য জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন দেশের জনগণ রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাবান হবে, তখন কোনো সরকারই স্বৈরাচারী হতে পারে না। এজন্য জনগণের একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করা জরুরি।’
তারেক রহমান সরকারের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পুনর্গঠন করার হঠাৎ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন। উদ্যোগটি জাতীয় বাজেটের আগে নেওয়া হয়েছে এবং এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে রাজস্ব সংগ্রহ ও সামগ্রিক অর্থনীতিতে—সতর্ক করেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বিএনপি যে নির্বাচনী রোডম্যাপ দাবি করেছে, সেটিকে কিছু উপদেষ্টা ‘মহাপাপ’ হিসেবে দেখছেন বলে মন্তব্য করছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
নির্বাচনের জন্য অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব হচ্ছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘স্পষ্ট সময়সীমার মধ্যে নির্বাচনের আহ্বান জানানো কি মহাপাপ? কিছু উপদেষ্টার মন্তব্য থেকে মনে হচ্ছে যে, তারা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন মানুষের মধ্যে এই ধারণা উসকে দিচ্ছেন।’
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার (২৫ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপি নেতা এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি এবং অন্যান্য গণতান্ত্রিক দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে বলেছে। শেখ হাসিনা জনগণের এই ভোট দেওয়ার অধিকার বিলম্বিত করেছিলেন, বঞ্চিত করেছিলেন।’
‘আমাদের সব বিক্ষোভ ও আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল এই পরিস্থিতির উত্তরণ। প্রকৃত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা এবং একটি মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা। কিন্তু এখন, নির্বাচনকে ঘিরে অনেক চক্রান্ত চলছে,’ যোগ করেন রিজভী।
নিজেদের এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে কিছু উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব। এ কারণেই রাজনৈতিক সংকট বাড়ছে বলে তিনি মনে করেন।
রিজভী বলেন, ‘যদি উপদেষ্টারা তাদের দায়িত্বের বাইরে কোনো গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেন—তাহলে জনগণ তা মেনে নেবে না। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের ভূমিকা পরিবেশ রক্ষা এবং উন্নত করা, কিন্তু তিনি বরং নির্বাচনের কথা বলেন ‘
‘বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যা নদী রক্ষার জন্য রিজওয়ানা কী করেছেন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও বিষাক্ত বাতাসে শ্বাস নিচ্ছি কেন? দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে, পরিবেশ দূষণমুক্ত করতে তার কোনো উদ্যোগ বা কর্মসূচি আমরা দেখিনি।’
দুই ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগের জন্য তার দলের আহ্বানকে সমর্থন করে রিজভী বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা হলো নিরপেক্ষ থাকা। কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল গঠনে সহায়তা করা বা এর বিকাশে সহায়তা করা অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নয় ‘
রিজভী বলেন, ‘অবশ্যই নিরপেক্ষভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে, যদি একজন উপদেষ্টা (কুমিল্লার) এসপিকে ফোন করে বিএনপির লোকজনকে গ্রেপ্তার করার এবং দলটিকে সেখানে কোনো কার্যকলাপ পরিচালনা করতে বাধা দেওয়ার নির্দেশ দেন—তাহলে কেন তার পদত্যাগের দাবি উঠবে না?’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারে যে দুই ছাত্র উপদেষ্টা রয়েছেন, তাদের সঙ্গে এনসিপির কোনো সম্পর্ক নেই। তারা যদি রাজনীতি ও নির্বাচন করতে চান তাহলে সরকার থেকে বের হয়ে তাদের মতো সিদ্ধান্ত নেবেন। একই সঙ্গে জনগণের ভোগান্তি কমাতে আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি জানান তিনি। পাশাপাশি জুলাই আন্দোলনে হত্যাকারীদের বিচার, সংস্কার ও জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ এক সঙ্গে ঘোষণার দাবি তোলেন তিনি।
গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। নাহিদ ইসলাম বলেন, তারা (উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজ) গণঅভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে অভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে সেই সময়ের সরকারে গিয়েছিলেন। আমিও তাদের সঙ্গে ছিলাম। এখন দুই উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক না থাকার পরও তাদেরকে জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গে যুক্ত করে এক ধরনের অপপ্রচার চলছে এবং তাদের হেয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা বলব এটি খুবই উদ্দেশ্যমূলক। গণঅভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে যারা গিয়েছেন সরকার থেকে তারা বের হবেন কি না সেটা তাদের সিদ্ধান্ত। আমাদের প্রত্যাশা, গণঅভ্যুত্থানের বৈধতাসহ আকাঙ্ক্ষাগুলো বাস্তবায়নে ছাত্র উপদেষ্টাসহ সব উপদেষ্টা একত্রে কাজ করবেন। ছাত্র উপদেষ্টাদের জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গে যুক্ত করে যে অপপ্রচার করা হচ্ছে আমরা তার নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা ফিরিয়ে আনতে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। সরকারের মধ্যে নতুন দলের কয়েকজন রয়ে গেছেন অভিযোগ করে তিনি বলেন, এই দলের প্রতি আমাদের অনেক আশাবাদ ছিল। তাদের দুজন উপদেষ্টা এই সরকারে থেকে অনেক কিছুতে হস্তক্ষেপ করছে।
অপরদিকে ওই দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছে গণঅধিকার পরিষদও। দলটির নেতাদের ভাষ্য, এই দুই উপদেষ্টা এনসিপির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজের বিষয়ে দলীয় বক্তব্য তুলে ধরেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ।
এ সময় তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার কী শুধু নির্বাচনকালীন সরকার, নাকি গণঅভ্যুত্থানের সরকার। রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার এবং বিচারের মধ্য দিয়েই নির্বাচনের দিকে যেতে হবে। সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচন এই তিনটিরই সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করা উচিত। তবে আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দিকে যাওয়া উচিত। তাহলে মানুষের দুর্ভোগ দূর হবে।
গত ২০ মে বাংলামোটরে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন নাহিদ বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। তাদের কাজে ভরসা নাই। তাই দ্রুত ইসি পুনর্গঠন করতে হবে। গতকালের সংবাদ সম্মেলেনও ইসি নিয়ে আগের মন্তব্যই করেন তিনি। বলেন, ইসি আস্থা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। হয় তারা আস্থা ফিরিয়ে আনবেন, না হয় দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হবে।
৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে সেনাবাহিনীর কাছে আশ্রয় নেওয়া ৬২৬ জনের তালিকা প্রকাশ প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ৬২৬ জনের একটা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, যেটা আমরা দীর্ঘদিন ধরে শুনে আসছিলাম। এটা তো আগস্ট মাসের ঘটনা। এটা যদি আগেই প্রকাশ করা হতো তাহলে জনগণের মনে কোনো সন্দেহ তৈরি হতো না। প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কথা বলার সুযোগও পেত না। সেনাবাহিনী আমাদের দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। গণঅভ্যুত্থান এবং তার পরবর্তী সময়ে সেনাবাহিনী যে ভূমিকা পালন করেছে, সেটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।
‘আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিভিন্ন সময় দেখেছি, সেনাবাহিনীর সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক কখনো কখনো তৈরি হয়। আমরা ১/১১’র ঘটনা জানি। এসব ঘটনা কিন্তু আমাদের গণতন্ত্রের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য এবং আমাদের সেনাবাহিনী, প্রতিষ্ঠান হিসেবে, কারো জন্য কোনো ভালো ফলাফল নিয়ে আসেনি। সে বিষয়টা যেন আমরা সবাই বিবেচনা করি। যার যেটা কাজ, যার যেটা দায়িত্ব, সেটা যাতে সবাই পালন করে,’বলেন নাহিদ।
বিগত সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করা হয়েছে জানিয়ে এনসিপি নেতা বলেন, আমলাতন্ত্র, পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং তাদের দিয়ে মানবতাবিরোধী কাজ করানোর অভিযোগও রয়েছে। প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠান এই সময়ে এসে একটা বিচারের মধ্য দিয়ে যাবে এবং যারা অভিযুক্ত তাদেরকে শাস্তি দেবে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে জনগণের প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
তিনি বলেন, গুমের অভিযোগ যেসব সেনা অফিসারের বিরুদ্ধে রয়েছে তাদের মধ্যে অনেকে গ্রেপ্তার হননি। তাদের অবস্থা কী সেটা কিন্তু আমরা জানি না। এই বিষয়গুলা সুস্পষ্ট করলে সেনাবাহিনী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আরও বেশি জনগণের কাছে আস্থার জায়গা পাবে। আমরা সেই আস্থার জায়গায় সেনাবাহিনীকে দেখতে চাই।
এসময় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা প্রশমনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির একটি চার সদস্যের প্রতিনিধি দল। বৈঠকে ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্দিষ্ট রোডম্যাপ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে দলটি।
শনিবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’য় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, আলোচনায় তিনটি বিষয়—সংস্কার প্রক্রিয়া, বিচারিক কার্যক্রম ও নির্বাচন—বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ছাড়া দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আর কোনো পথ নেই। ডিসেম্বরের মধ্যে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে আমাদের আলোচনা হয়েছে। আমরা একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ চাই।’
বিএনপি প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ।
এর আগে রাজধানীর এক অনুষ্ঠানে আমীর খসরু বলেন, ‘এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—কীভাবে ও কত দ্রুত আমরা নির্বাচনের দিকে যেতে পারি। সময়ক্ষেপণের সুযোগ নেই।’
তিনি জানান, দেশের মানুষ গত ১৬ বছর ধরে যে ত্যাগ স্বীকার করেছে, তারা এখন ভোটের মাধ্যমে সরকার নির্বাচনের সুযোগ চায়।
অন্যদিকে, ড. মঈন খান বলেন, ‘গণতান্ত্রিক রূপান্তরই এখন একমাত্র সমাধান। ১৫ বছরের স্বৈরতন্ত্র থেকে ৫ আগস্ট মুক্তির পর জনগণ নতুন এক অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এই রূপান্তর থেমে গেলে গণতন্ত্রও থেমে যাবে।’
সামরিক বাহিনীর একটি অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ও নির্বাচন প্রসঙ্গে সেনাপ্রধানের বক্তব্য এবং রাজনৈতিক দলগুলোর লাগাতার কর্মসূচি ও চাপের পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যাপক ইউনূসের পদত্যাগের গুঞ্জন উঠেছে বলেও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
আগামী সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ায় দেশে অস্থিতিশীলতা বাড়ছে উল্লেখ করে বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যদি অপমানজনকভাবে পদত্যাগ করেন—তাহলে তার দল ব্যথিত হবে।
শুক্রবার (২৩ মে) একটি প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ফারুক বলেন, ‘দেশে অস্থিরতার ঢেউ বইছে বলে মনে হচ্ছে। এই অস্থিরতার পিছনে মূলত দায়ী কারা? নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা কারা করছেন? আপনার (ড. ইউনূসের) মতো একজন সম্মানিত ব্যক্তির কাছ থেকে আমরা এই বিষয়গুলো জানতে চাই।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ফারুক বলেন, সরকার যদি একটি স্পষ্ট নির্বাচনী রোডম্যাপ দিত—তাহলে শেখ হাসিনার আমলে যারা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছেন এবং অসংখ্য মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন—তারা গঠনমূলকভাবে জড়িত হয়ে নির্বাচনমুখী হতেন।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু আপনি (ড. ইউনূস) এখনও কোনো রোডম্যাপ দেননি। যদি এই অস্থিরতা আপনার তৈরি হয়—তাহলে জেনে রাখুন, বিএনপি কখনই এর দায় নেবে না।’
সরকারকে অবিলম্বে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আহ্বান জানান সংসদের সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ফারুক।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করুন—দেশের জনগণের পক্ষে দাঁড়ান’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘অপরাজেয় বাংলাদেশ’।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সম্ভাব্য পদত্যাগ সম্পর্কে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ টেনে ফারুক বলেন, ‘যদি আপনার মতো একজন সম্মানিত ব্যক্তিত্বকে অপমানজনকভাবে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়—তাহলে তা আমাদের ক্ষতি হবে।’
তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করে যেভাবে বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদের নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে, ঠিক সেভাবে আপনার নামও লেখা থাকুক। দিনের আলোতে ভোটদানের সুযোগ দিয়ে আমাদের ভোটাধিকার রক্ষা করলে... এমন উত্তরাধিকার ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
বিএনপি নেতা প্রধান উপদেষ্টাকে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক উত্তরণ নিশ্চিত করে একটি উদাহরণ সৃষ্টির আহ্বান জানান, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জাতির একজন গ্রহণযোগ্য ও সম্মানিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে তাকে নিয়ে গর্ব করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাকে আন্তরিকভাবে অনুরোধ করছি, আপনি অবিলম্বে আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া, মাহফুজ আলম এবং খলিলুর রহমান—এই তিন ব্যক্তিকে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করার জন্য অনুরোধ করে চিঠি দেন। অন্যথায়, তাদের অপসারণের দায় আপনার উপর বর্তাবে।’
ফারুক বলেন, সংস্কার অবশ্যই করা উচিত, কিন্তু এমনভাবে নয়—যাতে মিয়ানমারের সঙ্গে একটি করিডোর তৈরি হয় বা চট্টগ্রাম বন্দর অন্যদের হাতে চলে যায়।
ষড়যন্ত্রকারীদের নির্বাচন বিলম্বিত করা ও অধ্যাপক ইউনূসের সরকারকে অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিতে পারে—এমন যেকোনা সংস্কারের বিষয়ে সতর্কও করেন তিনি।
এই অস্থিতিশীলতা দূর করতে অধ্যাপক ইউনূসকে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবি জানান ফারুক।
দেশের বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয় মগবাজারে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক জরুরি বৈঠক জামায়াত আমীর এ আহ্বান জানান।
বৈঠকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। এসময় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়।