বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩

আওয়ামী দুঃশাসন থেকে জনগণ মুক্তি চায়: মোস্তফা মোহসীন

রাজধানীর আরামবাগে সমাবেশে বক্তব্য রাখের গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড
১৮ মার্চ, ২০২৩ ১৬:৫১
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

দেশের জনগণ আওয়ামী লীগের দুঃশাসন থেকে মুক্তি চায় বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু। তিনি বলেছেন, ‘দেশের মানুষ ভালো নেই। আওয়ামী দুঃশাসন থেকে আমরা মুক্তি চাই, দেশের জনগণ মুক্তি চায়।’

রাজধানীর আরামবাগে শনিবার সকালে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন মোস্তফা মোহসীন মন্টু। ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি, বিদ্যুৎ-গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে নিরপেক্ষ-নির্দলীয় সরকারের দাবিতে’ এই সমাবেশ করে গণফোরাম ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, ‘সব দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। সাধারণ জনগণ একেবারেই শেষ হয়ে গেছে। ভালো আছে গুটিকয়েক দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা-কর্মচারী, সরকার দলীয় লুটেরা রাজনীতিবিদ ও দখলদার-মজুতদার ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশের মানুষ ভালো নেই।’

সাধারণ মানুষ লুটপাট ছাড়া কিছুই পায় না মন্তব্য করে গণফোরাম সভাপতি বলেন, ‘প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স রিজার্ভ ফান্ড থেকে চুরি করে দেশের বাইরে পাচার করছে। আমরা সাধারণ মানুষ লুটপাট ছাড়া কিছুই পাই না। এই দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনতার সরকার প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই।’

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সর্দার চাখারী, বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী। আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পিপলস পার্টির মহাসচিব আব্দুল কাদের, গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহিউদ্দিন আবদুল কাদের, সভাপতি পরিষদ সদস্য আব্দুল হাসিব চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা খান সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির কো চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রণো, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা কামাল, নাজমা আক্তারসহ অনেকে।

বিষয়:

বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন আবারও বিফলে যাবে: হানিফ

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৮ মার্চ, ২০২৩ ১৭:২৩
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন আগেও বিফলে গেছে, আবারও বিফলে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।

মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে সরকারি অনুদানে নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘মাইক'র বিশেষ প্রদর্শনী অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হবে- বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে হানিফ বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এখন অনেক সচেতন। তারা ইতিহাস জানে। তারা জানে এই বিএনপি একাত্তরের পরাজিত শক্তি পাকিস্তানের দোসর হিসেবে কাজ করছে। তারা স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করে না, দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান। আন্দোলন, গণ-অভ্যুত্থান করে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানো যাবে না। কারণ তারা সরকারের পতন ঘটানোর ক্ষমতা রাখে না।’

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণই মূলত স্বাধীনতার ডাক বা ঘোষণা। কারণ ভাষণের পরই গোটা বাঙালি জাতি যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছিল।’

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে কেন্দ্র করে নির্মিত 'মাইক' সিনেমার প্রশংসা করে হানিফ বলেন, ‘সিনেমাটি অসাধারণ হয়েছে। পঁচাত্তরের পরে ইতিহাসকে উল্টা পথে চলানোর চেষ্টা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নাম-নিশানা মুছে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। যার কারণে প্রজন্ম ভুল ইতিহাস জানত সঠিক ইতিহাস জানত না। মাইক সিনেমায় সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। সিনেমাটি ইতিহাসের মাইলফলক, ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।’

এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, কবি অসীম সাহা, 'মাইক' চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী তানভিন সুইটি, অভিনেতা নাদের চৌধুরী, শিশুশিল্পী সানজিদ রহমান খান, আলী আবদুল্লাহ দাইয়ান ভূঁইয়াসহ চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট কলাকুশলীরা উপস্থিত ছিলেন।


অতি দ্রুত দেশে গণঅভ্যুত্থান হবে: খন্দকার মোশাররফ

মঙ্গলবার দুপুরে ড‌্যাবের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৮ মার্চ, ২০২৩ ১৭:১৯
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

বাংলাদেশে খুব শিগগিরই গণ-অভ্যুত্থান হবে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘সরকারকে হঠাতে হলে একটি গণ-অভ্যুত্থান প্রয়োজন আছে। গণ-অভ্যুত্থান তখনই সফল হয় যখন সব পেশাজীবী সংগঠন এবং জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়। এই গণ-অভ্যুত্থান অতিদ্রুত বাংলাদেশে হবে। এই গণ-অভ্যুত্থানে সবাই যার যার অবস্থান থেকে অবদান রাখবেন।’

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লা‌বের আব্দুস সালাম হ‌লে ডক্টরস অ্যাসো‌সি‌য়েশন অব বাংলা‌দেশ (ড‌্যাব) আয়োজিত ‘স্বাধীনতার ৫২ বছর ও বিপর্যস্ত স্বাস্থ‌্যব‌্যবস্থা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় খন্দকার মোশাররফ এসব কথা বলেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এই সরকার দেশের কোনো কিছুই মেরামত করতে পারবে না। গণতন্ত্র যারা হত্যা করেছে, তারা গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে পারে না। অর্থনীতিকে যারা হত্যা করেছে, তারা কখনো অর্থনীতি মেরামত করতে পারবে না। যারা স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করেছে, তারা কখনোই নতুনভাবে স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে সাজাতে পারবে না। অতএব তাদের যত দ্রুত বিদায় করা যায় তত দ্রুত জাতি এবং দেশের কল্যাণ হবে।’

বিগত ১৪ বছরে স্বাস্থ্যব্যবস্থার ব্যাপক বিপর্যয় হয়েছে উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, স্বাস্থ্য খাতের এ দুরবস্থা হয়েছে মূলত দলীয়করণের ফলে। এখানে সাধারণ মানুষ সরকারের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কেউ কেউ আবার দলীয় পরিচয় দিয়ে যা ইচ্ছা তাই করে। এতে সাধারণ মানুষ তাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন না। সরকারের জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই।

সরকারি হাসপাতালে ডাক্তারদের প্রাইভেট চেম্বারের বিষয়ে নিন্দা জানিয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘একটা সার্কুলার বেরিয়েছে যে, আগামী ৩০ মার্চ থেকে সরকারি হাসপাতালে বিকেল ৩টার পর থেকে ডাক্তাররা প্রাইভেট চেম্বার করতে পারবে। সরকারের দলীয় লোকদের পকেট ভারী করার জন্য সরকার এ ব্যবস্থা নিয়েছে। এতে জনগণের কোনো কাজে আসবে না।’

ড্যাবের সভাপ‌তি অধ‌্যাপক ডা. হারুন আল র‌শিদের সভাপ‌তি‌ত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব‌্য রাখেন বিএন‌পির চেয়ারপারসনের উপ‌দেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা সাংবা‌দিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপ‌তি কা‌দের গ‌নি চৌধুরী ও ড্যাবের মহাসচিব ডা. মো আব্দুস সালাম।


‘জন্মলগ্ন থেকেই দেশের মূল চেতনাবিরোধী রাজনীতি করছে বিএনপি’

ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৮ মার্চ, ২০২৩ ১৬:৫৯
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

বিএনপি জন্মলগ্ন থেকে আদর্শগতভাবে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্মের মূল চেতনা-বিরোধী রাজনীতি করে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে এই বিবৃতি দেন তিনি।

‘আওয়ামী লীগ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর প্রেতাত্মা’- মির্জা ফখরুলের এমন মন্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটি শতাব্দীর সেরা কৌতুকই শুধু নয়, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তাদের (বিএনপি) চরম বিদ্বেষ ও আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি নেতারা এমন অসংলগ্ন প্রলাপ বকছে। মনে হয় রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তাদের বিবেক-বুদ্ধিই শুধু হারায়নি, চক্ষুলজ্জাও হারিয়ে গেছে।’

কাদের বলেন, ‘বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের ইতিহাসের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ইতিহাস অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ত্রিশ লাখ শহীদের রক্ত ও আড়াই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে এ দেশের স্বাধীনতা অর্জন করে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মির্জা ফখরুলের এই ধরনের অশালীন ও ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্য শুধু আওয়ামী লীগের সুমহান ঐতিহ্যকে অসম্মানিত করেনি বরং ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মত্যাগকেও অপমানিত করেছে। একই সঙ্গে তিনি সমগ্র জাতি ও জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তার রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। মির্জা ফখরুলের ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্য সমগ্র জাতির অনুভূতিতে চরমভাবে আঘাত হেনেছে। আমরা এ বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ঐতিহাসিক সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে প্রণীত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান।’

কাদের আরও বলেন, ‘পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামে যে নীতি-আদর্শ শক্তি ও প্রেরণা জুগিয়েছে, তা এ রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে সংবিধানে প্রতিফলিত হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতা।’

“মির্জা ফখরুল কিছুদিন আগে মন্তব্য করেছিলেন- ‘পাকিস্তান আমলে ভালো ছিলাম’। তাদের পাকিস্তান-প্রীতি নতুন কোনো বিষয় নয়। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান এ দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূ-লুণ্ঠিত করে গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে পাকিস্তানি ভাবাদর্শে বাংলাদেশকে পরিচালিত করেছিল”, যোগ করেন কাদের।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ধারাকে পরিপুষ্ট করেছিল। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে খালেদা জিয়া একইভাবে পাকিস্তানি ভাবাদর্শে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে। ক্ষমতা দখলের নীলনকশা বাস্তবায়নে ১৯৯১ সালে জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের কাছ থেকে অর্থ সহায়তা নিয়েছিল বলে কয়েক বছর আগে সে দেশের আদালতে সংস্থাটির তৎকালীন প্রধান জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছিল।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর এক জেনারেল আসিফ নাওয়াজ জানজুয়ার মৃত্যুতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়া শোকবার্তা পাঠিয়ে জাতির ঐতিহাসিক সংগ্রামের চেতনার মূলভিত্তিতে আঘাত করেছিলেন। বিএনপি চেতনা ও মননে একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও তার প্রতিভূ পাকিস্তানকে ধারণ করে।’

সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত পাকিস্তানের গণমাধ্যমেও বাংলাদেশ ও এদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় মিলিটারি ডিক্টেটর জিয়াউর রহমানের পকেট থেকে পাকিস্তানি দর্শনের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত বিএনপি, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে এখনো মানসিকভাবে মেনে নিতে পারে নাই। এটা তাদের মানসিক দৈন্য।’

কাদের আরও বলেন, ‘আজকে যখন দেশের মানুষ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করছে, তখনো বিএনপি নেতারা স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণকারী সমগ্র দেশবাসী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ ঐক্যবদ্ধ এবং তারা আগামীতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবে, ইনশাআল্লাহ।’


যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচন হবে, অংশ নেবে জাতীয় পার্টি: রওশন

রওশন এরশাদ। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

সাংবিধানিক ধারা মেনেই যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচন হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনমুখী দল অভিহিত করে রওশন বলেন, ‘প্রতিষ্ঠার পর থেকে জাতীয় পার্টি সব নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। পার্টি আগামী নির্বাচনেও অংশ নেবে।’

সোমবার রাজধানীর গুলশানে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা ও ইফতার অনুষ্ঠানে এক লিখিত বক্তব্যে রওশন এরশাদ এসব কথা বলেন।

নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে মাঠপর্যায়ে দলকে সংগঠিত করার আহ্বান জানিয়ে রওশন এরশাদ বলেন, ‘এখন থেকেই সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিজ নিজ আসনে গণসংযোগ শুরু করতে হবে। দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভেদ নেই উল্লেখ করে রওশন বলেন, ‘এরশাদের রেখে যাওয়া নির্দেশনামতো পার্টি চলবে। যারা তার নির্দেশনা মানবেন না, তারা পার্টি ও নিজের ক্ষতি ডেকে আনবেন।’

রওশন এরশাদ বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চেষ্টায় উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী পবিত্র রমজানের সিয়াম সাধনাকে তোয়াক্কা না করে সব নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি করে চলছেন। দ্রব্যমূল্যের ভয়াবহ ঊর্ধ্বগতি নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন-জীবিকা দুর্বিষহ করে তুলছে। তাদের জন্য দেশের গণতন্ত্র, স্থিতিশীলতা আর উন্নয়নের উজ্জ্বলতা ম্লান হয়ে পড়ছে। এতে করে স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মাহুতি দানকারী শহীদদের আত্মা কষ্ট পাচ্ছে। সর্বগ্রাসী দুর্নীতি এখন ক্যানসারের রূপ নিয়েছে।’

আলোচনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন দলের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য দেলোয়ার হোসেন খান, মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা, মসিউর রহমান রাঙা, কাজী মামুনুর রশীদ, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, গোলাম কিবরিয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য নাজমা আক্তার, এস এম ফয়সাল চিশতী, হাবিবুল্লাহ বেলালী, উপদেষ্টা রওশন আরা মান্না, সাবেক উপদেষ্টা রফিকুল হক, জিয়াউল হক মৃধা, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন, নুরুল ইসলাম প্রমুখ।


বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা জাতির সঙ্গে পরিহাসের শামিল: কাদের

ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৭ মার্চ, ২০২৩ ২০:০৯
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমনই এক দলের মহাসচিব যে দলের সর্বশেষ সম্মেলন কবে হয়েছে সেটি বোধ হয় তিনি নিজেই ভুলে গেছেন। যে দলের অভ্যন্তরেই গণতন্ত্র নেই তারা আবার দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে কীভাবে? বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা ও আন্দোলন জাতির সঙ্গে পরিহাসের শামিল

সোমবার এক বিবৃতিতে কাদের আরও বলেন, ‘বন্দুকের নলের মুখে অবৈধ ও অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে গঠিত অবৈধ দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুখে গণতন্ত্র এবং ভোটাধিকারের কথা ভূতের মুখে রাম নাম ছাড়া কিছু নয়। যে দলের প্রতিষ্ঠাতা অসাংবিধানিক ও অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী সামরিক স্বৈরশাসক, যে দলের প্রতিষ্ঠা হয়েছে মিলিটারি ডিক্টেটরের পকেট থেকে, সেই দল দেশের জনগণকে কী গণতন্ত্র দেবে?’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অবৈধভাবে সেনা প্রধান, প্রধান সামরিক আইন কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রপতির পদ দখল করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য ১৯৭৭ সালে হ্যাঁ-না ভোটের নামে দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিলেন স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান। ১৯৭৮ সালের ৩ জুন একইসঙ্গে সেনা প্রধানের দায়িত্বে থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আয়োজন করে গণতন্ত্রকামী জনগণের সঙ্গে নির্মম তামাশা করেছিলেন স্বৈরাচার জিয়া। যদি মির্জা ফখরুলকে প্রশ্ন করি, স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান কোন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল?’

কাদের আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের ক্ষমতায়ন ও গণতান্ত্রিক চেতনাকে সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার গণতন্ত্রকে ক্রমান্বয়ে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম ও ত্যাগ-তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে এ দেশের জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সে ভোটাধিকার সুরক্ষা দেয়ার লক্ষে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগই সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করে আসছে। আমরা প্রত্যাশা করি, অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে এবং জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই রাষ্ট্রক্ষমতা পরিবর্তন হবে।’


দেশে ফের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটছে: ফখরুল

সোমবার ‘মুক্তিযোদ্ধা গণ সমাবেশে’ বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৭ মার্চ, ২০২৩ ১৯:২০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

যারা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের শাস্তি দেয়া হয়নি, তাই দেশে আবারও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার বিকেলে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘মুক্তিযোদ্ধা গণ সমাবেশে’ বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এ সমাবেশের আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নওগাঁয় র‌্যাব এক নারীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর তার মৃত্যু হয়েছে। ডাক্তার বলছে, নিহত ওই নারীর মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। যে র‌্যাবের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল, সেই র‌্যাবের বিরুদ্ধে আবারও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ উঠছে। নিষেধাজ্ঞার পর নাটকীয়ভাবে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমে গিয়েছিল, এখন তা আবার ঘটতে শুরু করছে। কারণ যাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।’

পাক হানাদার সরকারের সঙ্গে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো পার্থক্য নেই মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে যে সরকার অধিষ্ঠিত তা একাত্তরের পাক বাহিনীর প্রেতাত্মা। তারা সাধারণ মানুষের কথা ভাবে না। স্বাধীনতার পর বাহাত্তর সালেই এই আওয়ামী লীগের আসল মুখোশ খুলে গিয়েছিল।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মনে করে তারা একাই যুদ্ধ করেছে। এ কারণে তারা শেরেবাংলা একে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানীদের নাম স্মরণ করে না। স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের নাম তো উচ্চারণই করতে চায় না, বরং তাকে আরও দোষ দেয়।’

সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আওয়ামী লীগ স্বাধীনতাকে চিবিয়ে খাচ্ছে। স্বাধীনতা বাংলার মানুষের কাজে লাগছে না। লেবুর হালি ১০০ টাকা, কাঁচা মরিচের কেজি ৩০০ টাকা। ধনী বাংলাদেশকে গরিব বানিয়ে কিছু মানুষ বিদেশে নতুন করে ধনী হওয়ার চেষ্টা করছে। যেদিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থাকবে না সেদিন বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে যাবে।’

মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ নোমান, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামসহ অনেকে।


রাজাকারদের প্রতিষ্ঠিত করেছে জিয়া, এরশাদ, খালেদা: নৌ প্রতিমন্ত্রী

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৭ মার্চ, ২০২৩ ১৭:৩৪
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

জিয়াউর রহমান, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ আর খালেদা জিয়া মুক্তিযোদ্ধাদের পেছনে ফেলে দিয়ে রাজাকারদের প্রতিষ্ঠিত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

সোমবার রাজধানীর মতিঝিলে বিআইডব্লিউটিএ কার্যালয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু একটি সুখি, সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। যেখানে স্বাধীনতার সুখ থাকবে। স্বাধীনতার সুখ প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু সাড়ে তিন বছরে দেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। ঠিক তখনই শুরু হয় ষড়যন্ত্র।’

নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরা যখনই সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করেছি তখনই আমাদের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে।’

খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল বলেই আপামর বাঙালি জাতি লাভবান হয়েছিল। আমরা একটি জাতিসত্ত্বার পরিচয় পেয়েছিলাম। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর লাভবান হয়েছিল স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার, আলবদর-আলশামসরা। আজকে জাতীয় রাজনীতিতে বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুলরা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা না করলে এসব পরিবারের জাতীয় পর্যায়ে আসার কোনো সুযোগ ছিল না। জাতীয় পর্যায়ে আসতো মুক্তিযোদ্ধারা; মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানেরা।’

নৌ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের পেছনে ফেলে দিয়ে রাজাকারদের প্রতিষ্ঠিত করেছে জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া। সেই জায়গায় বাংলাদেশ আর কখনও ফিরে যাবে না। কারণ নতুন প্রজন্ম এখন বাংলাদেশের মূল ইতিহাস জানতে পেরেছে। তারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নাটক, চলচ্চিত্র নির্মাণ করছে, মুক্তিযুদ্ধের শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। পিছিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক, নাট্যকার ও অভিনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ।

আলোচনায় অংশ নিয়ে আরও বক্তব্য দেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) দেলোয়ারা বেগম, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মো. নিজামুল হক, বিআইডব্লিউটিসি'র চেয়ারম্যান এস এম ফেরদৌস আলম এবং বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা।


স্বাধীনতা বিরোধীদের কথায় এ দেশ আর চলবে না: নৌপ্রতিমন্ত্রী

রোববার দিনাজপুরের বিরলে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৬ মার্চ, ২০২৩ ২০:৫৪
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

‘স্বাধীনতা বিরোধীদের কথায় এ দেশ আর চলবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। রোববার দিনাজপুরের বিরল উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এ সময় আরও বলেন, ‘এ দেশ মুক্তিযোদ্ধাদের হবে। রাজাকারদের নয়।’ তিনি বলেন, ‘প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরির পাশাপাশি রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের তালিকা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার তৈরি করবে এবং প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি মসৃণ পথ তৈরি করব। এদেশ চলবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ভিত্তিতে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধারা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অমরত্ব বরণ করেছেন। আপনাদের প্রস্থান হতে পারে, শারীরিক মৃত্যু হতে পারে, কিন্তু আপনাদের কর্মের মৃত্যু হবে না। আপনারা যে ইতিহাস তৈরি করেছেন, সে ইতিহাস তৈরি করার ক্ষমতা আর কারো নাই।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার কারণে মির্জা ফখরুলদের মতো পরিবারেরা বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা না করলে মির্জা ফখরুলদের জাতীয় পর্যায়ে রাজনীতি করার সুযোগ ছিল না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার কারণে স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার আলবদর আলশামসরা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা না করলে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিত। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যার বেনিফিসিয়ারী। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনা করছে বলে বীর মুক্তিযোদ্ধারা আজকে বেনিফিসিয়ারী। তাদের সম্মান ও সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিতে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের বাড়ি হচ্ছে, ভাতা হচ্ছে, চিকিৎসা হচ্ছে, সম্মান পাচ্ছে— মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের কারণে।’

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে রোববার দিবসের প্রথম প্রহরে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলা কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী। এ সময় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।

পরে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে (সেতাবগঞ্জ বড় মাঠ) মহান স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচির শুরুতেই আনুষ্ঠানিক জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে ও খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয়।


ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে আ.লীগ নজিরবিহীন দুর্নীতি করছে: ফখরুল

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নেতা-কর্মীরা। ছবি: সৈয়দ মাহামুদুর রহমান
আপডেটেড ২৬ মার্চ, ২০২৩ ১৯:০৮
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

আওয়ামী লীগ সরকার তাদের ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য নজিরবিহীন দুর্নীতি করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আজকে দেশে দ্রুত দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। একই সঙ্গে তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। তারপরও গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় সরকার তাদের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য দুর্নীতি করছে। তারা নজিরবিহীন দুর্নীতি করছে ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য।’

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রোববার দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ফখরুল।

গুম-খুনের মাধ্যমে সরকার মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজ আমরা গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য, সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন করছি। আজকের এই দিনে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আশা করছি তারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন শরিক হবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘৫১ বছর আগে স্বপ্ন ও আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, একটি সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য। আজকে সেই গণতন্ত্র নির্বাসন হয়েছে। গণতান্ত্রিক অধিকারগুলোকে কেড়ে নেয়া হয়েছে। আজকে বাংলাদেশের মানুষের ভোটের, কথা বলার, লেখার অধিকার নেই। এক কথায় কোনো অধিকার নেই।’

পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রের সমস্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ভেঙে ফেলা হচ্ছে বলেও দাবি করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার হীন প্রচেষ্টা নিয়ে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদ কায়েম করছে। তারা বাকশাল করছে। সেজন্য আজকে বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের মানুষ তার অধিকার, ভোটের অধিকার এবং শান্তিতে বসবাস করার জন্য আন্দোলন শুরু করেছে সারাদেশে।’

শ্রদ্ধা নিবেদন সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রমুখ।

বিষয়:

‘মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার প্রতিষ্ঠায় গণফোরাম প্রতিজ্ঞাবদ্ধ’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

গণফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেছেন, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে হাসিমুখে জীবন বিলিয়ে দেয়া ৩০ লাখ শহীদ ও সম্ভ্রম হারানো ২ লাখ মা-বোনদের। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানে গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটাধিকার, বৈষম্যমুক্ত সমাজ, বাক-স্বাধীনতা, ন্যায় বিচার। সর্বোপরি জনগণের শান্তি ও শোষণমুক্ত সমাজ। দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, ক্ষমতাসীন সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে কর্তৃত্ববাদী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠায় গণফোরাম প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে সোচ্চার থাকবে গণফোরাম।

রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় মহান স্বাধীনতা দিবসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় ফোরামের সাধারণ সম্পাদক জ্যেষ্ঠ অ্যাড. সুব্রত চৌধুরী বলেন, গত ১৪ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকার মুখে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের কথা বলে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কর্মকাণ্ডের মাধ্যম জনজীবন অতিষ্ট করে তুলছে। গণফোরাম জনতার পক্ষে, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের পক্ষে সকল অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তুলব, এটাই আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবসের অঙ্গীকার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সভাপতি পরিষদ সদস্য আব্দুল হাসিব চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা খান সিদ্দিকুর রহমান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী, তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক তাজুল ইসলাম, ছাত্র সম্পাদক অ্যাড. মো. সানজিদ রহমান শুভ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান বুলু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এম এ কাদের মার্শাল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজম রুপু, কামাল উদ্দিন সুমন, ইমাম হোসেন, জজ মিয়া, রিয়াদ হোসেন, মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ ফরিদুল হক, মো. মাহফুজু আহমেদ, গুলজার হোসেন, মহানগর দক্ষিণের দপ্তর সম্পাদক মরণ কুমার দাস, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এস এম সোলায়মান অয়নসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

বিষয়:

‘দেশে লুটপাটতন্ত্র জেঁকে বসেছে’

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান সিপিবির নেতারা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

দেশে লুটতন্ত্র জেঁকে বসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেছেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পর আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ, কৃষক, শ্রমিক ও প্রবাসীরা দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে গেছে। দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু এখনো আমরা গণতন্ত্রহীনতা, সাম্প্রদায়িকতা নির্মূল করতে পারিনি। লুটপাটতন্ত্র এখন জেঁকে বসেছে। দেশের সম্পদ অনবরত পাচার হচ্ছে।

রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রিন্স আরও বলেন, আমরা যখন যুদ্ধ করি, তখন দেখেছি পাকিস্তান দেশ একটা, কিন্তু অর্থনীতি ছিল দুইটা। জনগণ যে সম্পদ উৎপাদন করত, তা বিদেশে পাচার হত, বিশেষ করে পশ্চিম পাকিস্তানে। এখন এক দেশ হলেও দুই অর্থনীতি চলছে। আগে পশ্চিম পাকিস্তানে সম্পদ পাচার হত, এখন বিদেশে বিভুঁইয়ে সম্পদ পাচার হচ্ছে।

রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, এখনই আমাদের নতুন করে শপথ নিতে হবে। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রহীনতার বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম করতে হবে। আমাদের যে অর্থ পাচার হচ্ছে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। শোষণমুক্ত সমাজ গড়ার শপথ নিতে হবে। আমাদের কমিউনিস্ট পার্টি এই শপথ নিয়েই স্বাধীনতা দিবস উদযাপর করছে।

এ সময় সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করলেও আমরা অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করতে পারেনি। এ জন্য আমাদের লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে। দ্বি-দলীয় রাজনীতির ধারার বিপরীতে বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প শক্তি সমাবেশ গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, পালাক্রমে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা মানুষের মুক্তি দিতে পারেনি। আজ সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের সংগ্রাম করতে হবে।

সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. ফজলুর রহমান, আনোয়ার হোসেন রেজা, ডা. সাজেদুল হক রুবেল, আহসান হাবিব লাবলু, নিমাই গাঙ্গুলী, কাজী রুহুল আমীন, লাকী আক্তার, আবিদ হোসেন, জাহিদ হোসেন খান, ইদ্রিস আলীসহ অন্য নেতা-কর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।


জিয়া ছিলেন পাকিস্তানিদের দোসর: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানিদের দোসর হিসেবে কাজ করেছেন। বাংলাদেশের প্রথম সরকার, যে সরকার মুজিবনগরে শপথ গ্রহণ করেছিল এবং বাংলাদেশে স্বাধীনতাযুদ্ধ পরিচালনা করেছিল, সেই সরকারের অধীনে জিয়াউর রহমান একজন চাকুরে ছিলেন।’

রোববার সকালে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে দলীয় নেতাদের সঙ্গে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন এবং কেন্দ্রীয় নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় যদি কেউ মুক্তিযোদ্ধাকে পানি খাইয়েছে বা একবেলা ভাত খাইয়েছে, সেই অপরাধে পাকিস্তানিরা তাকে ধরে নিয়ে হত্যা করেছে, তার বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে, নির্যাতন করেছে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি ২১ বছর ধরে ইতিহাস বিকৃতি করেছে। সেই বিকৃতি যখন ঠেকে গেছে, তখন তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে এবং সেই কারণে মির্জা ফখরুল সাহেবরা আবোল-তাবোল বকা শুরু করেছে।’


স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও অপ্রাপ্তি: ইনু

হাসানুল হক ইনু।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিনিধি, সাভার (ঢাকা)

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছরে এসেও অপ্রাপ্তি আছে, বৈষম্য আছে, লিঙ্গ বৈষম্য আছে, এখনো সবাই সমৃদ্ধির সুফল ভোগ করতে পারছে না, আছে সাম্প্রদায়িক ছোবল, জঙ্গিবাদের তৎপরতা, তারপরও বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে জায়গা করে নিয়েছে। সুতরাং ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের যেই চেতনা, সেই চেতনার পথে বাংলাদেশ টিকে আছে, টিকে থাকবে।

রোববার সকালে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতীর সূর্য সন্তান বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, এই অর্জনকে সামনে নিয়ে যেই অপ্রাপ্তিগুলো আছে, যেমন বৈষম্য, লুটপাট, দুর্নীতি, দলবাজি সবকিছুই আমরা মোকাবিলা করব সাংবিধানিকভাবে, রাজনৈতিক পথে।

এ সময় তার সঙ্গে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


banner close