কাদের বলছেন, বিএনপি আসলে কী চায়, এখন সেই প্রশ্ন জনগণেরও।
আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও করলে সমুচিত জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি।
টাকা পাচার নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের টাকা পাচারের বিষয়টি সামনে এনেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে ২২ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন তারেক রহমান, যা আদালতেও প্রমাণিত।
রোববার নিজের বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারেক রহমান দণ্ডিত, পলাতক আসামি। তারেক রহমান ২২ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে পাচার করেছেন, যা আদালতে প্রমাণিত। তাহলে নিজেদের এত ধোয়া তুলসীপাতা ভাবার কোনো কারণ আছে কি?
বিদেশে টাকা পাচার নিয়ে তার বক্তব্যকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিকৃত করে উপস্থাপন করছেন বলে দাবি করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বিএনপি আসলে কী চায়? তারা একবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার, কখনও নিরপেক্ষ আবার কখনও চায় জাতীয় সরকার। এটা এখন জনগণেরও প্রশ্ন বিএনপি আসলে কী চায়? যারা আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ, এমনকি দলের চেয়ারপারসনের মুক্তির জন্য একটা মিছিলও বের করতে পারেনি, সেই দলের দিকে জনগণের তাকিয়ে থেকে লাভ নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নেতিবাচক রাজনীতি করতে করতে বিএনপি এখন খাদের কিনারায়। আসলে দেশ ও জাতি নয়, ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে বিএনপি। বিদেশে গোপন ষড়যন্ত্র বাদ দিয়ে বিএনপি রাজপথে আসুক। তাদের যেকোনো শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচিকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু আন্দোলনের নামে যদি আবারও জ্বালাও-পোড়াও করা হয়, আগুন সন্ত্রাস চালানো হয়, পেট্রোল বোমা মেরে নিরীহ মানুষ পুড়িয়ে মারা হয়, সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা চালানো হয় তবে দেশবাসীকে নিয়ে সমুচিত জবাব দেয়া হবে।
গত এক সপ্তাহে সাতটি লেগুনা ভাঙচুরের অভিযোগ
ঝামেলা মিঠিয়ে দেওয়ার নামে গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ ছাত্রলীগেরও চাঁদা দাবি
হাত খরচের জন্য মাসে দেড় লাখ টাকা চেয়ে না পাওয়ায় লেগুনা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে গত এক সপ্তাহে তিন দফায় সাতটি লেগুনা ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে লেগুনা মালিক সমিতির এক সদস্য।
অভিযোগ উঠেছে, গত এক সপ্তায় কয়েক দফায় সাতটি লেগুনা ভাঙচুর, চালকদের মারধর এবং নীলক্ষেত স্ট্যান্ডে লেগুনা দাঁড়াতে দেননি ছাত্রলীগের নেতারা। সর্বশেষ শুক্রবার বিকেলে ১০-১২ তরুণ লাঠিসোঁটা নিয়ে চারটি লেগুনায় ভাঙচুর চালান এবং চালকদের মারধর করে তাদের সঙ্গে থাকা নগদ টাকা নিয়ে চলে যান বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। নীলক্ষেত থেকে এসব লেগুনা মূলত চকবাজার, খোলামোড়া এবং গুলিস্তান যায়।
লেগুনা মালিক সমিতির এক সদস্য অভিযোগ করেছেন, ‘১০-১২ দিন আগে সন্ধ্যায় এ এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মোনেম শাহরিয়ার মুন হলের পাশে একটি চায়ের দোকানে লেগুনা মালিক সমিতির কয়েকজন নেতাকে চায়ের দাওয়াত দেন। এ দিনই মূলত তারা দেড় লাখ টাকা হাত খরচ দাবি করেন। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মালিক সমিতির সদস্য রফিক। নীলক্ষেত থেকে চকবাজার রোডে তার দুটি লেগুনা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে বসার পর হল ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা এখন নতুন কমিটি পাইছি। আমাদের কিছু হাত খরচ দিয়েন। এরপর আমাদের একজন বলেন, কত দিতে হবে ভেঙে বলেন। তখন রিয়াজ ভাই বলেন, দেড় লাখ টাকা দিয়েন। এই কথা শুনে আমাদের সবাই উঠে চলে আসছি। তাদের প্রোগ্রাম থাকায় তারাও চলে যায়। এই ঘটনার চার-পাঁচ দিন তাদের সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি। তারাও কোনো ঝামেলা করেনি। কিন্তু চার-পাঁচদিন যেতে না যেতেই তারা গাড়ি ভাঙচুর এবং চালকদের মারধর করা শুরু করেন। স্ট্যান্ডে কোনো গাড়িই তারা রাখতে দেন না।’
অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ গত ২৫ তারিখ রিয়াজ ভাই আমাকে ফোন দিয়ে তাদের সঙ্গে বসতে বলেন। বৃহস্পতিবার তাদের সঙ্গে বসার কথা ছিল। কিন্তু মালিকপক্ষ না বসায় তারা শুক্রবার ফের ভাঙচুর চালান। গত এক সপ্তাহে তিন দফায় তারা আমাদের সাতটি লেগুনা ভাঙচুর করেছেন।’
এই লেগুনা মালিক বলেন, ‘এর মধ্যে আবার গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ ছাত্রলীগের নেত্রীরাও ডিস্টার্ব করা শুরু করছেন। তাদের সামনেই আমাদের গাড়িগুলো চলে। চার-পাঁচ দিন আগে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আমি এবং খোলামোড়া রোডের সভাপতি মানিক ভাই বসেছি।
‘সে সময় তারা বলেছেন, তাদের কলেজের পাশ থেকে ভার্সিটির পোলাপান গাড়ি খেদিয়ে দেবে সেটি তারা হতে দেবেন না। ছাত্রলীগ সভাপতি জয় আল নাহিয়ান খান ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে তারা এই ঝামেলা মিটিয়ে দেবেন বলে বলেছিলেন। তবে তাদের দাবি ছিল, আমরা যেন তাদের দেখি। আমরা বলেছি, আপনারা ভার্সিটির ঝামেলাটা বন্ধ করতে পারলে আমরা আপনাদের দেখব। কিন্তু তারা এটি বন্ধ করতে পারেনি।’
এ সব ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে রফিক বলেন, ‘শুনেছি, মালিক সমিতির পক্ষ হয়ে খোলামোড়া রোডের সভাপতি মানিক ভাই এবং ইকবাল ভাই লালবাগ থানার ওসি স্যারকে জানাইছে। এখন বাকিটা জানি না।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি প্রতিবারই কল কেটে দেন।
সাধারণ সম্পাদক মুনেম শাহরিয়ার মুন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। এই ঘটনার সঙ্গে হল ছাত্রলীগ জড়িত নয়। লেগুনা মালিকদের সঙ্গে আমরা কখনো বসিইনি। এই লেগুনা মালিকদের আমরা চিনিও না। কোনো দিন দেখিনি। কথাও হয়নি।’
লেগুনা মালিক সমিতির সঙ্গে বসেছেন কি না- এমন প্রশ্নে গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সভাপতি শারমিন সুলতানা সনি বলেন, ‘আমরা তাদের ডাকিওনি আর বসিওনি।’
সার্বিক বিষয়ে লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম মোরশেদ বলেন, ‘আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে বিষয়টি আমরা শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’
বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান প্রধানমন্ত্রীর
রোহিঙ্গা ইস্যুতে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ফিনল্যান্ডের
বাংলাদেশের টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সহযোগিতা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ফিনল্যান্ড।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তার দেশের এ আগ্রহের কথা জানান বাংলাদেশে ফিনল্যান্ডের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত রিতভা কাউক্কু-রন্ডে।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
নয়াদিল্লিতে অবস্থানরত রাষ্ট্রদূত ফিনল্যান্ড-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সান্না মিরেল্লা মারিনের শুভেচ্ছা পত্র হস্তান্তর করেন। একই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
রিতভা কাউক্কু-রন্ডে বলেন, বাংলাদেশ এবং ফিনল্যান্ডের বহুজাতিক টেলিযোগাযোগ কোম্পানি নকিয়ার মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদার করা যেতে পারে।
ফিনল্যান্ড জাতিসংঘের সংস্থাগুলোতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কাজ করবে বলেও প্রতিশ্রতি দেন।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য স্থানীয় জনগণ অনেক কষ্ট পাচ্ছে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমরা মিয়ানমার সীমান্তে কোনো ধরনের বিদ্রোহ মেনে নিব না।’
প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৭ সালে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর এবং ১৮০০ সশস্ত্র ক্যাডার সেই সময় তাদের অস্ত্র সমর্পণ করেন বলে উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ অনেক হাই-টেক পার্ক স্থাপন করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ফিনল্যান্ডের কোম্পানিগুলো এসব হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগ করতে পারে।
বৈঠকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে, ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আগে বিদেশ থেকে সার সংগ্রহ করতো, কিন্তু এখন যুদ্ধের কারণে শিপিং খরচ অনেক বেড়ে গেছে।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, বাংলাদেশের নিজস্ব উন্নয়নের জন্য উন্নত দেশগুলোর সহায়তা প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কৃষি গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে এবং দেশে কোনো আবাদি জমি অনাবাদি থাকবে না।
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিনল্যান্ডের অনারারি কনসাল জেনারেল মুহাম্মদ আজিজ খান উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান প্রধানমন্ত্রীর
রোহিঙ্গা ইস্যুতে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ফিনল্যান্ডের
বাংলাদেশের টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সহযোগিতা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ফিনল্যান্ড।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তার দেশের এ আগ্রহের কথা জানান বাংলাদেশে ফিনল্যান্ডের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত রিতভা কাউক্কু-রন্ডে।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
নয়াদিল্লিতে অবস্থানরত রাষ্ট্রদূত ফিনল্যান্ড-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সান্না মিরেল্লা মারিনের শুভেচ্ছা পত্র হস্তান্তর করেন। একই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
রিতভা কাউক্কু-রন্ডে বলেন, বাংলাদেশ এবং ফিনল্যান্ডের বহুজাতিক টেলিযোগাযোগ কোম্পানি নকিয়ার মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদার করা যেতে পারে।
ফিনল্যান্ড জাতিসংঘের সংস্থাগুলোতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কাজ করবে বলেও প্রতিশ্রতি দেন।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য স্থানীয় জনগণ অনেক কষ্ট পাচ্ছে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমরা মিয়ানমার সীমান্তে কোনো ধরনের বিদ্রোহ মেনে নিব না।’
প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৭ সালে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর এবং ১৮০০ সশস্ত্র ক্যাডার সেই সময় তাদের অস্ত্র সমর্পণ করেন বলে উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ অনেক হাই-টেক পার্ক স্থাপন করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ফিনল্যান্ডের কোম্পানিগুলো এসব হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগ করতে পারে।
বৈঠকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে, ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আগে বিদেশ থেকে সার সংগ্রহ করতো, কিন্তু এখন যুদ্ধের কারণে শিপিং খরচ অনেক বেড়ে গেছে।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, বাংলাদেশের নিজস্ব উন্নয়নের জন্য উন্নত দেশগুলোর সহায়তা প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কৃষি গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে এবং দেশে কোনো আবাদি জমি অনাবাদি থাকবে না।
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিনল্যান্ডের অনারারি কনসাল জেনারেল মুহাম্মদ আজিজ খান উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সকল ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত করে শান্তিপূর্ণ শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। কিন্তু সেটি না করে উল্টো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সরকার সমর্থিত ছাত্রসংগঠনের পক্ষের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন সাদা দলের শিক্ষকরা।
গতকাল বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এই মন্তব্য করেন তারা। এছাড়াও সংগঠনটির পক্ষ থেকে পাঁচ দফা দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে সাদা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান খানের সঞ্চালনায় ও সাদা দলের আহবায়ক অধ্যাপক লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও সিনেট সদস্য অধ্যাপক মামুন আহমেদ, ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বিজ্ঞান অনুষদের সাদা দলের সাবেক আহবায়ক অধ্যাপক এমরান কাইয়ুম, কলা অনুষদের আহবায়ক মো আল আমিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সরকারের কাছে পাঁচ দফা দাবি জানানো হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহবায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান এই দাবি জানান। দাবিগুলো হলো, ‘ক্যম্পাসে চলমান সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ করা; ছাত্রদলের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার; ছাত্রলীগের হামলায় আহত ছাত্রদল নেতাকর্মীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা; বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হিসাবে উপাচার্যকে ক্রিয়াশীল সকল ছাত্র সংগঠনের প্রতি নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালন করা; শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত ও ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাধ পরিবেশ তৈরীতে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে।’
মানববন্ধনে অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘প্রশাসন অবশ্যই নিরপেক্ষ ভুমিকা পালন করবে কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি প্রশাসন সন্ত্রাসী কার্যক্রমে মদদ দিচ্ছে। প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা কোন দায়িত্ব পূর্ণরূপে পালন করেননি। প্রক্টর ছাত্রলীগ ও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। প্রথম দফায় হামলার ঘটনার পর আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছি। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। প্রথম দফায় ব্যবস্থা নেয়া হলে পরবর্তী সংঘাত এড়ানো যেতো। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। অবিলম্বে ক্যাম্পাসে সকল ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত করে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছি।’
অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘ক্যাম্পাসের এই চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আমরা উপাচার্যের সাথে একাধিকবার সাক্ষাত করেছি। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রশাসন ও সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’
অধ্যাপক মামুন আহমেদ বলেন, ‘ক্যাম্পাসে যে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো কার্যকর ভূমিকা পালন করেনি। যেটুকু করেছে তাও সরকার সমর্থিত ছাত্র সংগঠনের পক্ষে ভূমিকা পালন করেছে। যেসকল শিক্ষার্থী হামলার শিকার হয়েছে তাদের ওপরই মামলা দেয়া হয়েছে। আমরা এই ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি।’
অজ্ঞাতনামা আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামী করা হয়েছে
শহীদুল্লাহ হল ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম এই মামলা দায়ের করেছেন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর এলাকায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদেরকে মারধরের অভিযোগ এনে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ ১৮ নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক ছাত্রলীগ নেতা।
একইসঙ্গে মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৫০ থেকে ৬০ নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে । মামলাটি করেছেন ছাত্রলীগের শহীদুল্লাহ হল শাখার সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ।
শনিবার (২৮ মে) রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদূত হাওলাদার দৈনিক বাংলাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে একই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ নষ্ট ও ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিঘ্নিত করতে অজ্ঞাতনামা ৪০০ জনকে আসামী করে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, ‘ছাত্রলীগ কর্মীদের নিয়ে মধুর ক্যান্টিন থেকে শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে শহীদুল্লাহ হলে ফেরার পথে দোয়েল চত্বর এলাকায় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা করা হয়। হামলায় শহীদুল্লাহ হলের আট দশ নেতাকর্মীসহ ফজলুল হক ও জগন্নাথ হলের আরও অনেকেই আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। আহত নেতাকর্মীদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরী চিকিৎসা শেষে এজহার দায়ের করতে দেরি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।’
ফৌজদারি আইনের ১৪৩, ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ৩০৭, ৩২৩, ৩২৪, ৩২৫, ৪২৭ ও ১০৯ ধারায় এই মামলা করা হয়েছে। একইসঙ্গে এই মামলায় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বেআইনি জনতাবদ্ধে লাঠিসোঁটা, লোহার রডসহ হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে গুরুতর জখম ও দুষ্কর্মে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখিত ছাত্রদলের ১৮ নেতা হলেন, ‘ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক আক্তার হোসেন ও সদস্য সচিব আমানউল্লাহ আমান, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা ছাত্রদলের সভাপতি মেহেদী হাসান রুয়েল ও সিনিয়র সহসভাপতি রাজিব হোসেন, কবি নজরুল সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সাইদুর রহমান ও সিনিয়র সহ-সভাপতি ইরফান আহমেদ, সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আরিফুর রহমান ও সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহফুজুর রহমান, ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও সিনিয়র সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম, ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি শাহিনুর রহমান ও সিনিয়র সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ফয়সাল দেওয়ান ও সিনিয়র সহসভাপতি শামীম পালোয়ান।
মামলার বিষয়ে বাদী শহীদুল্লাহ হল ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ‘দৈনিক বাংলাকে’ বলেন, ‘গত ২৪ মে মধুর ক্যান্টিন থেকে শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীদেরকে হলে ফেরার পথে দোয়েল চত্বরে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে আমার আট থেকে দশ কর্মী আহত হয়। এদের মধ্যে দুজনের আঘাত গুরুতর। এছাড়াও শহীদুল্লাহ হলের গেইট ভাঙচুর করা হয়েছে। এই ঘটনার বিচার ও আইনের আশ্রয় নিতে মামলা করেছি।’
মামলার বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মওদূত হাওলাদার ‘দৈনিক বাংলাকে’ বলেন, ‘শহীদুল্লাহ হল ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ছাত্রদলের বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আমরা মামলাটি নিয়েছি। উপ-পরিদর্শক আল আমিনকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’