দেশব্যাপী পুলিশি নৈরাজ্য বন্ধের হুশিয়ারি
আটককৃত ছাত্রদল নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যকে ‘কুরুচিপূর্ণ’ আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। একইসঙ্গে ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের ওপর সাদা পোশাকে পুলিশের হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা।
গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এই প্রতিবাদ জানানো হয়। এর আগে মধুর ক্যান্টিন থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহবায়ক আক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমানউল্লাহ আমানের সঞ্চালনায় কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহইয়াসহ কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে আক্তার হোসেন বলেন, ‘অবৈধভাবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ জায়গায় থেকে শেখ হাসিনা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। অথচ ১৯৮৬ সালে শেখ হাসিনার উপরে হামলার প্রতিবাদে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল হয়েছিলো। ওয়ান ইলেভেনে শেখ হাসিনার মুক্তির জন্য তিনি রাজপথে ভূমিকা রেখেছিলেন। আওয়ামীলীগ সভানেত্রীকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে আহবান জানাচ্ছি। একইসঙ্গে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের হয়রানি ও নৈরাজ্য বন্ধের আহবান জানাচ্ছি। কক্সবাজারের ওসি প্রদীপ থেকে পুলিশ বাহিনী শিক্ষা নেওয়ার আহবান জানাচ্ছি।’
আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে শেখ হাসিনা যে মন্তব্য দিয়েছেন তা সভত্য বিবর্জিত। এমন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। পুলিশ প্রশাসনকে বলতে চাই, আপনাদের বেতন হয় জনগণের ট্যাক্সের টাকায়। তাই জনগণের পক্ষে থাকুন। এখন থেকে ছাত্রদলের কোনো নেতাকর্মীকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করতে আসলে প্রতিহত করতে বাধ্য হবো।’
বর্তমান সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থ মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন জনগণের দুর্ভোগ থাকবে।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর বনানীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন ফখরুল। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর ৫৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে কোকোর কবর জিয়ারত করতে গিয়েছিলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, মানুষের দুর্ভোগও বাড়বে। জ্বালানি ও পানিসহ সবকিছুর দাম বেড়েছে। সরকারের দুর্নীতি এখন আকাশচুম্বী। এই সরকার এরই মধ্যে রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থ হয়েছে।
বিএনপিকে রাজপথে মোকাবিলা করা হবে- সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্য নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারা সবসময় পুরোনো বক্তব্যই দিয়ে যাচ্ছে। রাজপথে পরাজিত হয়েছে আওয়ামী লীগ। আগামী দিনেও জনগণের আন্দোলনে পরাজিত হবে।
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, সদস্যসচিব আমিনুল হক, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর প্রমুখ।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে পদ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। তাঁরা অর্থের বিনিময়ে অন্তত পাঁচ থেকে আট শ জনকে পদ দিয়েছেন বলে খোদ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেছেন।
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বলছেন, গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে কমিটির কলেবর বাড়াতে পদ দেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে এখন কতজন সদস্য আছেন তা স্বয়ং সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও বলতে পারবেন না। গত ৩১ জুলাই সহসভাপতি, সহসম্পাদক, বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক উপসম্পাদক ও সদস্য পদ দিয়ে অনেককে চিঠি দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, কমিটির মেয়াদের শেষ দিকে এসে বঞ্চিতদের পদ দেওয়া একটা রেওয়াজ। কিন্তু এবার যা হয়েছে, তা ন্যাক্কারজনক।
কতজনকে পদ দেওয়া হয়েছে তা জানতে চাইলে সঠিক সংখ্যা জানাতে পারেননি লেখক ভট্টাচার্য। বলেছেন, সংখ্যাটা তালিকা দেখে বলতে হবে।
পদ বাণিজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘বিগত কমিটিগুলোও আকারের বাইরে অনেককে পদ দিয়েছে। এটা ছাত্রলীগে দীঘদিনের প্র্যাকটিস। তবে সবাইকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ দেওয়া সম্ভব হয় না। বাদ পড়াদের বিভিন্ন কমিটিতে পদায়নের চেষ্টা করা হয়। তারপরও যারা বাকি আছেন তাদের রাজনৈতিক স্বীকৃতি দেওয়ার জন্যই এসব পদ দেওয়া হয়েছে।’
গত ৩১ জুলাই কতজনকে পদ দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে সঠিক সংখ্যা জানাতে পারেননি লেখক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘সেটা তালিকা দেখে বলতে হবে।’ আর আল নাহিয়ান খানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
ছাত্রলীগের দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত চার নেতার একজন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান। কমিটির সদস্য সংখ্যার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোনোভাবেই ৩০১ জনের বেশি সদস্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকতে পারে না।’
২০২১ সালে শেষ হয় জয়-লেখক নেতৃত্বাধীন কমিটির মেয়াদ। সে সময়ও সম্মেলনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
২০১৮ মে মাসে সম্মেলন হলেও জুলাইয়ে রেজওয়ানুল হক চৌধুরীকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বনীকে সাধারণ সম্পাদক করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে তারা দুজনই পদ হারান। তাদের জায়গায় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জয়-লেখককে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তাদের ‘ভারমুক্ত’ করা হয় এবং মেয়াদের বাকি সময় দায়িত্ব চালিয়ে যেতে বলা হয়।
২০২১ সালে শেষ হয় জয়-লেখক নেতৃত্বাধীন কমিটির মেয়াদ। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে তখন সম্মেলন হয়নি। কিছুদিন পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু হয়। সে সময়ও সম্মেলনের উদ্যোগ নেননি জয়-লেখক। এ অবস্থায় সম্মেলনের দাবি ওঠে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায় থেকে।
দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ছাত্রলীগকে দ্রুত সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এরপরও সম্মেলনের তারিখ নিয়ে টালবাহানা শুরু করেন তারা।
গত এক সপ্তাহে সাতটি লেগুনা ভাঙচুরের অভিযোগ
ঝামেলা মিঠিয়ে দেওয়ার নামে গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ ছাত্রলীগেরও চাঁদা দাবি
হাত খরচের জন্য মাসে দেড় লাখ টাকা চেয়ে না পাওয়ায় লেগুনা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে গত এক সপ্তাহে তিন দফায় সাতটি লেগুনা ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে লেগুনা মালিক সমিতির এক সদস্য।
অভিযোগ উঠেছে, গত এক সপ্তায় কয়েক দফায় সাতটি লেগুনা ভাঙচুর, চালকদের মারধর এবং নীলক্ষেত স্ট্যান্ডে লেগুনা দাঁড়াতে দেননি ছাত্রলীগের নেতারা। সর্বশেষ শুক্রবার বিকেলে ১০-১২ তরুণ লাঠিসোঁটা নিয়ে চারটি লেগুনায় ভাঙচুর চালান এবং চালকদের মারধর করে তাদের সঙ্গে থাকা নগদ টাকা নিয়ে চলে যান বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। নীলক্ষেত থেকে এসব লেগুনা মূলত চকবাজার, খোলামোড়া এবং গুলিস্তান যায়।
লেগুনা মালিক সমিতির এক সদস্য অভিযোগ করেছেন, ‘১০-১২ দিন আগে সন্ধ্যায় এ এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মোনেম শাহরিয়ার মুন হলের পাশে একটি চায়ের দোকানে লেগুনা মালিক সমিতির কয়েকজন নেতাকে চায়ের দাওয়াত দেন। এ দিনই মূলত তারা দেড় লাখ টাকা হাত খরচ দাবি করেন। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মালিক সমিতির সদস্য রফিক। নীলক্ষেত থেকে চকবাজার রোডে তার দুটি লেগুনা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে বসার পর হল ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা এখন নতুন কমিটি পাইছি। আমাদের কিছু হাত খরচ দিয়েন। এরপর আমাদের একজন বলেন, কত দিতে হবে ভেঙে বলেন। তখন রিয়াজ ভাই বলেন, দেড় লাখ টাকা দিয়েন। এই কথা শুনে আমাদের সবাই উঠে চলে আসছি। তাদের প্রোগ্রাম থাকায় তারাও চলে যায়। এই ঘটনার চার-পাঁচ দিন তাদের সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি। তারাও কোনো ঝামেলা করেনি। কিন্তু চার-পাঁচদিন যেতে না যেতেই তারা গাড়ি ভাঙচুর এবং চালকদের মারধর করা শুরু করেন। স্ট্যান্ডে কোনো গাড়িই তারা রাখতে দেন না।’
অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ গত ২৫ তারিখ রিয়াজ ভাই আমাকে ফোন দিয়ে তাদের সঙ্গে বসতে বলেন। বৃহস্পতিবার তাদের সঙ্গে বসার কথা ছিল। কিন্তু মালিকপক্ষ না বসায় তারা শুক্রবার ফের ভাঙচুর চালান। গত এক সপ্তাহে তিন দফায় তারা আমাদের সাতটি লেগুনা ভাঙচুর করেছেন।’
এই লেগুনা মালিক বলেন, ‘এর মধ্যে আবার গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ ছাত্রলীগের নেত্রীরাও ডিস্টার্ব করা শুরু করছেন। তাদের সামনেই আমাদের গাড়িগুলো চলে। চার-পাঁচ দিন আগে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আমি এবং খোলামোড়া রোডের সভাপতি মানিক ভাই বসেছি।
‘সে সময় তারা বলেছেন, তাদের কলেজের পাশ থেকে ভার্সিটির পোলাপান গাড়ি খেদিয়ে দেবে সেটি তারা হতে দেবেন না। ছাত্রলীগ সভাপতি জয় আল নাহিয়ান খান ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে তারা এই ঝামেলা মিটিয়ে দেবেন বলে বলেছিলেন। তবে তাদের দাবি ছিল, আমরা যেন তাদের দেখি। আমরা বলেছি, আপনারা ভার্সিটির ঝামেলাটা বন্ধ করতে পারলে আমরা আপনাদের দেখব। কিন্তু তারা এটি বন্ধ করতে পারেনি।’
এ সব ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে রফিক বলেন, ‘শুনেছি, মালিক সমিতির পক্ষ হয়ে খোলামোড়া রোডের সভাপতি মানিক ভাই এবং ইকবাল ভাই লালবাগ থানার ওসি স্যারকে জানাইছে। এখন বাকিটা জানি না।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি প্রতিবারই কল কেটে দেন।
সাধারণ সম্পাদক মুনেম শাহরিয়ার মুন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। এই ঘটনার সঙ্গে হল ছাত্রলীগ জড়িত নয়। লেগুনা মালিকদের সঙ্গে আমরা কখনো বসিইনি। এই লেগুনা মালিকদের আমরা চিনিও না। কোনো দিন দেখিনি। কথাও হয়নি।’
লেগুনা মালিক সমিতির সঙ্গে বসেছেন কি না- এমন প্রশ্নে গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সভাপতি শারমিন সুলতানা সনি বলেন, ‘আমরা তাদের ডাকিওনি আর বসিওনি।’
সার্বিক বিষয়ে লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম মোরশেদ বলেন, ‘আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে বিষয়টি আমরা শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’
বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান প্রধানমন্ত্রীর
রোহিঙ্গা ইস্যুতে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ফিনল্যান্ডের
বাংলাদেশের টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সহযোগিতা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ফিনল্যান্ড।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তার দেশের এ আগ্রহের কথা জানান বাংলাদেশে ফিনল্যান্ডের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত রিতভা কাউক্কু-রন্ডে।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
নয়াদিল্লিতে অবস্থানরত রাষ্ট্রদূত ফিনল্যান্ড-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সান্না মিরেল্লা মারিনের শুভেচ্ছা পত্র হস্তান্তর করেন। একই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
রিতভা কাউক্কু-রন্ডে বলেন, বাংলাদেশ এবং ফিনল্যান্ডের বহুজাতিক টেলিযোগাযোগ কোম্পানি নকিয়ার মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদার করা যেতে পারে।
ফিনল্যান্ড জাতিসংঘের সংস্থাগুলোতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কাজ করবে বলেও প্রতিশ্রতি দেন।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য স্থানীয় জনগণ অনেক কষ্ট পাচ্ছে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমরা মিয়ানমার সীমান্তে কোনো ধরনের বিদ্রোহ মেনে নিব না।’
প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৭ সালে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর এবং ১৮০০ সশস্ত্র ক্যাডার সেই সময় তাদের অস্ত্র সমর্পণ করেন বলে উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ অনেক হাই-টেক পার্ক স্থাপন করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ফিনল্যান্ডের কোম্পানিগুলো এসব হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগ করতে পারে।
বৈঠকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে, ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আগে বিদেশ থেকে সার সংগ্রহ করতো, কিন্তু এখন যুদ্ধের কারণে শিপিং খরচ অনেক বেড়ে গেছে।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, বাংলাদেশের নিজস্ব উন্নয়নের জন্য উন্নত দেশগুলোর সহায়তা প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কৃষি গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে এবং দেশে কোনো আবাদি জমি অনাবাদি থাকবে না।
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিনল্যান্ডের অনারারি কনসাল জেনারেল মুহাম্মদ আজিজ খান উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান প্রধানমন্ত্রীর
রোহিঙ্গা ইস্যুতে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ফিনল্যান্ডের
বাংলাদেশের টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সহযোগিতা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ফিনল্যান্ড।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তার দেশের এ আগ্রহের কথা জানান বাংলাদেশে ফিনল্যান্ডের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত রিতভা কাউক্কু-রন্ডে।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
নয়াদিল্লিতে অবস্থানরত রাষ্ট্রদূত ফিনল্যান্ড-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সান্না মিরেল্লা মারিনের শুভেচ্ছা পত্র হস্তান্তর করেন। একই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
রিতভা কাউক্কু-রন্ডে বলেন, বাংলাদেশ এবং ফিনল্যান্ডের বহুজাতিক টেলিযোগাযোগ কোম্পানি নকিয়ার মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদার করা যেতে পারে।
ফিনল্যান্ড জাতিসংঘের সংস্থাগুলোতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কাজ করবে বলেও প্রতিশ্রতি দেন।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য স্থানীয় জনগণ অনেক কষ্ট পাচ্ছে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমরা মিয়ানমার সীমান্তে কোনো ধরনের বিদ্রোহ মেনে নিব না।’
প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৭ সালে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর এবং ১৮০০ সশস্ত্র ক্যাডার সেই সময় তাদের অস্ত্র সমর্পণ করেন বলে উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ অনেক হাই-টেক পার্ক স্থাপন করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ফিনল্যান্ডের কোম্পানিগুলো এসব হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগ করতে পারে।
বৈঠকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে, ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আগে বিদেশ থেকে সার সংগ্রহ করতো, কিন্তু এখন যুদ্ধের কারণে শিপিং খরচ অনেক বেড়ে গেছে।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, বাংলাদেশের নিজস্ব উন্নয়নের জন্য উন্নত দেশগুলোর সহায়তা প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কৃষি গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে এবং দেশে কোনো আবাদি জমি অনাবাদি থাকবে না।
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিনল্যান্ডের অনারারি কনসাল জেনারেল মুহাম্মদ আজিজ খান উপস্থিত ছিলেন।