সংঘর্ষে গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে
হামলায় সাংবাদিকসহ ২১ ছাত্রদল নেতাকর্মী আহত হওয়া খবর পাওয়া গেছে
কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশের সময় ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর ফের হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। রামদা, চাপাতি, রড, হকিস্টিক, পাইপ ও লাঠিসোটা দিয়ে হামলার পাশাপাশি গুলি চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এদিন ছাত্রদলের নেতাকর্মীদেরকেও পাল্টা সংঘর্ষে জড়াতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে ) বেলা বারোটার দিকে কার্জন হল সংলগ্ন হাইকোর্ট মোড় এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে ছাত্রদলের ২১ নেতাকর্মী ও এক সাংবাদিক আহতের খবর জানা গেছে।
আহতদের মধ্যে সাত জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন ছাত্রদল। এই ঘটনায় হাইকোর্ট এলাকা থেকে সন্দেহভাজন দুইজনকে আটক করেছে শাহবাগ পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত কয়েকদিনে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ। পূর্বঘোষিত ওই কর্মসূচী পালন করতে বেলা বারোটার দিকে হাইকোর্ট মোড় এলাকায় জড়ো ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহবায়ক আক্তার হোসেন, সদস্য সচিব আমানউল্লাহ আমান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিরসহ তিন শতাধিক নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে হাইকোর্ট মোড় থেকে কার্জন হলের পাশের রাস্তা দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করে। এদিন ছাত্রদলের মিছিলে অংশ নেয়া নেতাকর্মীদেরকে বাঁশ, রড ও লাঠিসোটা প্রদর্শন করতে দেখা যায়।
ছবি: ছাত্রদলের নেতাকর্মীরাও লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া দেয়।
মিছিলটি কিছুদূর অগ্রসর হতেই দোয়েল চত্বরে আগে থেকেই অবস্থান নেয়া ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মিছিলে বাঁধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রথমে ছাত্রদলের ধাওয়ায় কিছুটা পিছু হটে ছাত্রলীগ। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা পাল্টা ধাওয়া দিলে হাইকোর্ট, প্রেসক্লাব ও গুলিস্তানের দিকে দৌড়ে পালিয়ে যায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এসময় হাইকোর্টের মধ্যে ঢুকে পড়া ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে রড, পাইপ দিয়ে বেধড়ক পেটায় ছাত্রলীগ। এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্য থেকে একজনকে গুলি বর্ষণ করতে দেখা যায়। তবে গুলিবর্ষণকারী ওই নেতার নাম পরিচয় জানা যায় নি।
সংঘর্ষে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেয়। পরে হাইকোর্ট মোড়ে অবস্থান নিয়ে বেশ কিছুসময় বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ছাত্রলীগ। হামলায় ছাত্রদলের অন্তত ২১ নেতকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন তারা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল ছাত্রদলের সহ সভাপতি তানভীর আজাদী, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সম্পাদক রিজভী, যুগ্ম আহবায়ক আবু জাফর, শাকের, ইডেন কলেজ শাখার যুগ্ম আহবায়ক জান্নাতী, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল কর্মী শাহাবুদ্দিন শিহাব গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।