জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া ভাষণ বাঙালি জাতিকে উদ্দীপ্ত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ইতিমধ্যেই বিশ্বসভায় স্বীকৃত এবং উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আমরা শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও ভিশনারি নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছি।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে জ্ঞানভিত্তিক উন্নত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়দীপ্ত ভাষণ দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়ে আজ শনিবার দেয়া এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত, সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ, কল্যাণকর ও নিরাপদ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। যার অন্তর্নিহিত লক্ষ্যে হলো- বাংলাদেশকে জলবায়ু-সহিষ্ণু ব-দ্বীপে রূপান্তরিত করা। এ দেশের জনগণের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা এবং আগামী প্রজন্মের জন্য একটি কল্যাণকর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বাঙালি জাতির স্বাপ্নিক নেতৃত্ব শেখ হাসিনা সময়োপযোগী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছেন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণেও তার সুস্পষ্ট প্রতিফলন ঘটেছে।
বিশ্ব নেতাদের সামনে সফল রাষ্ট্রনায়কোচিত বার্তা ও দিক-নির্দেশনা তুলে ধরায় শেখ হাসিনাকে অভিবাদন জানান কাদের।
জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব নেতাদের সামনে দুর্যোগের সংকটপূর্ণ সময়ে সমাধানের সূত্র তুলে ধরেছেন বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা, খাদ্য ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের আহ্বান জানিয়েছেন। এ ছাড়া অস্ত্র প্রতিযোগিতা, যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞা বন্ধ করারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
কাদের আরও বলেন, শুধু বর্তমান সংকট সমাধানের বার্তাই নয় বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পৃথিবী প্রতিষ্ঠার দিক-নির্দেশনা থাকায় শেখ হাসিনার ভাষণ বিশ্বসভায় বাংলাদেশের জনগণের মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা মহামারি থেকে উত্তরণে টিকা প্রদান করায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও এর কোভ্যাক্স ব্যবস্থা এবং সহযোগী দেশসমূহকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের গৃহীত সময়োপযোগী পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেছেন। একই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি থেকে মানবজাতিকে রক্ষার জন্য জলবায়ু নিয়ে প্রতিশ্রুতি দেয়া আর ভাঙার দুষ্টচক্র থেকে বেরিয়ে আসতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম এই বাংলার মাটি থেকে মুছে ফেলার সাধ্য কারো নেই।’ বলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘উত্তাল সমুদ্রে অমানিশায় বঙ্গবন্ধু আমাদের বিশ্বাসের বাতিঘর। এই বাতিঘর চিরদিন আমাদের চলার পথ দেখাবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে সোনার বাংলা গড়ার লড়াই চলছে সে লড়াইকে আমরা নিয়ে যাব বিজয়ের সোনালী বন্দরে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এদেশে বঙ্গবন্ধু পরিবারই সবচেয়ে বড় আদর্শের জায়গা। সততা ও সাহস রাজনীতির প্রধান দুটি গুণ। বঙ্গবন্ধু পরিবারের চরিত্র হননের অপচেষ্টা জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে অনেকেই করে গেছেন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পচাত্তরে যখন ফিরে যাই জাতির পিতার রক্তাক্ত লাশ ৩২ নম্বরের পড়েছিল সিঁড়িতে। সেই লাশ ২দিন পর টুঙ্গিপাড়া ৫৭০ সাবান আর রিলিফের কাপড় বঙ্গবন্ধু দাফনে ব্যবহৃত হয়েছিল। ১৮/১৯ লোককে জানাজা পড়ার অনুমতি দিয়েছিল। টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুকে দাফন দিয়ে তারা ভেবেছিল, বঙ্গবন্ধুকে মানুষ ভুলে যাবে। তাদের হিসাবের অংক কত যে ভুল, আজ টুঙ্গিপাড়া বাঙালির তীর্থকেন্দ্র।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার লিগ্যাসি ও অর্থনৈতিক মুক্তির লিগ্যাসির মৃত্যু হবে না। প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় দেশে নীরবে আসেন, নিঃশব্দে চলে যান। তার নেতৃত্বেই দেশে আইসিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক বিপ্লব ঘটেছে। এই বিপ্লবের স্থপতি হচ্ছে জয়। দেশে এসে তার প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নীরবে আবার চলে যাচ্ছে। কোনো সাড়া-শব্দ নেই। এই হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর পরিবার।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে জাতির পিতার কাছে আমরা কী শিখবো? আমাদের রাজনীতিতে আমরা কীভাবে শিক্ষাগ্রহণ করব, আমাদের রাজনীতিতে কী যোগ্যতা প্রয়োজন আমরা সেটা কীভাবে শিখবো? আমি বলবো, এদেশে বঙ্গবন্ধুর পরিবারই সবচেয়ে বড় আদর্শের জায়গা। সততা ও সাহস, রাজনীতির প্রধান দুটি গুণ।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘একটি পরিবার ক্ষমতার ১৫ বছরে ক্ষমতার কোনো বিকল্প সেন্টার এই পরিবার করেনি। এদেশে হাওয়া ভবন নেই। এই পরিবারের সন্তানেরা মেধাবী। যে যেখানে আছে সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই পরিবার সবাই সততার প্রতীক।’
আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও ডা. দীপু মনি, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
শর্তে মুক্তির মেয়াদ শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তির আবেদন জানিয়েছে তার পরিবার। স্থায়ী মুক্তির পর চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশ নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্ত একটি আবেদন গত ৬ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসনের পরিবার। খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কাদারের পক্ষে আবেদনপত্রটি পৌঁছে দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম সাত্তার।
আজ রোববার এ বি এম সাত্তার বলেন, ‘ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। ম্যাডামের ছোট ভাই (শামীম ইস্কাদার) অসুস্থ থাকায় আমি চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দিয়েছি।’
আবেদনপত্রে শামীম ইস্কাদার উল্লেখ করেন, ‘বেগম জিয়ার জীবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষায় দরকার দেশের বাইরে চিকিৎসা।’
সম্প্রতি স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। এক দিন চিকিৎসা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার বাসায় ফেরেন তিনি। এরপর তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, মেডিকেল বোর্ড আবারও বিএনপি চেয়ারপারসনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর সুপারিশ করেছে।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা হয়। সে দিন থেকে কারাবন্দি হন তিনি।
এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার আরও সাত বছরের সাজা হয়। দুটি দুর্নীতির মামলায় কারাদণ্ড পাওয়া খালেদা জিয়া শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পান। তার মুক্তির দুই শর্তে রয়েছেন, তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশে যেতে পারবেন না।
দেশে করোনাভাইরাস মহামারির শুরুর দিকে ২০২০ সালের মার্চে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। তখন থেকে তিনি গুলশানের বাড়িতে রয়েছেন। তখন থেকে প্রতি ছয় মাস পরপর সরকার থেকে তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত পথই আমাদের পথ। বঙ্গবন্ধুর জন্ম মানেই হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্ম।’
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা স্বাধীনতা দিয়ে যে উত্তরাধিকার রেখে গেছেন, তিনি বেঁচে না থাকলেও তার উত্তরাধিকারের কোনোদিন মৃত্যু হবে না। তার উত্তরাধিকার সারা জীবন বেঁচে থাকবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্ম হতো কি-না সন্দেহ যদি এই জনপদে বঙ্গবন্ধুর মতো নেতার জন্ম না হতো।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আজ রোববার সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু বঙ্গবন্ধু চিরদিন আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস। তিনি আছেন, থাকবেন। আমাদের সকল দুর্যোগে, সংকটে বঙ্গবন্ধু আমাদের চলার পথে পাথেয় হয়ে থাকবেন। তিনি বাঙালির দুঃখ কষ্টে একমাত্র বাতিঘর। যিনি আমাদের অবিরাম পথ দেখিয়ে যাচ্ছেন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, “আজকে বঙ্গবন্ধু নেই। তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা অবিরাম লড়াই করে যাবো। আজকের দিনে আমাদের অঙ্গীকার ‘উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভিযাত্রা অব্যাহত রাখব।”
ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইন সিটিজেনশিপ এমেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট-সিএএ তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। যেহেতু বাংলাদেশ প্রতিবেশী রাষ্ট্র সেই হিসেবে আমরা বিষয়টির দিকে নজর রাখছি বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর লেনস্থ ওয়াইএনটি সেন্টারে মতবিনিময় কালে ভারতের নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিভিন্ন দেশ উদ্বেগ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের অবস্থান জানাতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি দপ্তর আবারও বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছে-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো দপ্তর তাদের মতামত দিতেই পারে। তারা বলেছে, বিরোধী দল অংশগ্রহণ করেনি। বাংলাদেশে ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৯টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। এবং কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ করা না করা, সেটি সরকারের ওপর বর্তায় না, সেটি সেই দলের দায়িত্ব।’
তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বলেছে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব এবং সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাবার লক্ষ্যে তারা কাজ করছে। আমরাও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে আরও ঘনিষ্ঠ করার জন্য এবং আমাদের যে বহুমাত্রিক সম্পর্ক, সেটিকে আরও বিস্তৃত করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। সামনের দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একসঙ্গে কাজ করার লক্ষ্যে আমরা আলোচনা করছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশিরভাগ রাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে ভবিষ্যতে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে। পৃথিবীর প্রায় ৮০টি দেশের সরকার এবং রাষ্ট্রপ্রধান আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে সম্পর্ক দ্বিতীয় পর্যায়ে উন্নিত করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। সুতরাং আমাদের বিবেচনায় এই অঞ্চলের নিরিখে অত্যন্ত সুন্দর, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে।’
সোমালিয়ায় জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ এবং জাহাজের ২৩ নাবিককে মুক্ত করে আনার উদ্যোগ বিষয়ে সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের টেলিভিশনে কি দেখাচ্ছে, কি হচ্ছে সেটা কিন্তু যারা হাইজ্যাক করেছে তারা দেখে, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশের সব টেলিভিশন দেখার সুযোগ আছে। যখন এই বিষয়টাকে অতি গুরুত্ব দেয়া হয়, জিম্মিদের পরিবারের প্রতিক্রিয়া যখন ওরা দেখে, তখন হাইজ্যাককারীদের অবস্থান আরও অনমনীয় হয় এবং হচ্ছে। এই নেগেটিভ ইম্পেক্টটা হচ্ছে।’
রমজান কিংবা ঈদ উপলক্ষে কোনো পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার কোনো কারণ নেই জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাকিদের বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য যাতে মানুষের নাগালের মধ্যে থাকে, অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করতে না পারে সেজন্য সরকার নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। রমজান উপলক্ষে ন্যায্যমূল্যে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এক কোটি মানুষকে ন্যায্যমূল্যে চালসহ অন্যান্য সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। এরপরও দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় অসাধু ব্যবসায়ীরা, এমনকি খুচরা বিক্রেতারাও একটি বাজারে একটি পণ্যের দাম একরকম, আরেক বাজারে অন্যরকম করে ইচ্ছেমতো দাম নেওয়ার একটা প্রবণতা তৈরী হয়েছে। খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যে এই প্রবণতা আগে দেখা যায়নি।’
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যাদুকরী নেতৃত্বে দেশের আর্থিক সংকট অতিক্রম করে যাবো আমরা। মহান আল্লাহ আমাদের সহায়’ বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে সিংড়া উপজেলা সরকারি খাদ্য গোডাউন চত্বরে মাহে রমজান উপলক্ষে সৌদি আরবের বাদশাহর পক্ষ হতে প্রাপ্ত উপহার সামগ্রী বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় পাঁচশত অসহায় পরিবারের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। ১০ কেজি চাল, ৭ কেজি মসুরের ডাল, ৩ লিটার সয়াবিন তেল, ৩ কেজি চিনি এবং ২ কেজি লবন নিয়ে প্রতিটি উপহারের প্যাকেট তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে করোনা মহামারীর বিস্তার, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ফিলিস্তিনী মুসলিমদের উপর অমানুষিক নির্যাতন ও হত্যার কারণে সারা বিশ্বে আর্থিক সংকট তৈরী হয়েছে। বৈশ্বিক এ সংকটের জন্যে আমরা দায়ী নই, কিন্তু আমরা ভুক্তভোগী। জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আমরা এ সংকট অতিক্রম করে যেতে চাই। এ লক্ষ্যে তিনি প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন। ইফতার মাহফিলের মতো ব্যয়বহুল আনুষ্ঠানিকতা পরিহার করতে বলেছেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের এ রমজানে অসহায় মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা সক্রিয় রয়েছি। ব্যক্তিগত সামর্থ্য এবং সাংগঠনিকভাবে আমরা অসহায় মানুষের অভাব মেটাতে কার্যকর পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করেন। তিনি সারা দেশে এক কোটি ৩০ লক্ষ পরিবারকে টিসিবির স্মার্ডকার্ড প্রদান করে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী ন্যায্য মূল্যে সরবরাহ করে যাচ্ছেন। আমৃত্যু আমরা অসহায় মানুষের জন্যে কাজ করে যাবো।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট ওহিদুর রহমান শেখ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার রোজী এবং সিংড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ডালিম আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচির কথা জানানো হয়।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আগামীকাল সকাল সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারাদেশে সংগঠনের সকল কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন।
এদিকে ১৭ মার্চ সকাল ১০টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় নেতারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। একইসঙ্গে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং শিশু সমাবেশে অংশগ্রহণ করবেন তারা।
এদিকে জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষে মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের সকল মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়াও সন্ধ্যা ৬টায় মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চ (৩/৭-এ সেনপাড়া, পবর্তা, মিরপুর-১০)-এ খ্রিস্টান সম্প্রদায়, সকাল ১০টায় সবুজবাগ ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহার ও সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডাস্থ আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনা সভার আয়োজন করেছে।
এছাড়াও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আগামী ১৮ মার্চ সোমবার সকাল তেজগাঁওস্থ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে দলের পক্ষ্য থেকে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করে সারাদেশে যথাযথ মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপনের জন্য আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।
পবিত্র রমজান মাসে ইফতার পার্টি না করে সাধ্যমতো সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে অসহায় ছিন্নমূল মুসল্লীদের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সেহরি বিতরণ করা হয়ে আসছে।
শুক্রবার পবিত্র মাহে রমজানের চতুর্থ দিনেও অসহায় ছিন্নমূল মুসল্লীদের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সেহরি বিতরণ করা হয়।
সেহরি বিতরণ করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডু।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ১৭ মার্চ। দিনটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালিত হয়। দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য আওয়ামী লীগ দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। গতকাল শুক্রবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ১৭ মার্চ রোববার সকাল সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারা দেশে সংগঠনের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বর রোডে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন।
এদিন টুঙ্গিপাড়ায় সকাল সাড়ে ১০টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলটির নেতারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং শিশু সমাবেশে অংশগ্রহণ করবেন।
এ ছাড়া মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচি পালন করা হবে। এর অংশ হিসেবে বাদ জোহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, সন্ধ্যা ৬টায় মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে খ্রিস্টান সম্প্রদায়, সকাল ১০টায় সবুজবাগ ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহার এবং সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডাস্থ আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনা সভার আয়োজন করেছে।
পরদিন সোমবার বেলা ১১টায় তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করে সারা দেশে যথাযথ মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপনের জন্য দল এবং দলের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন। তার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি বলে জানান তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা। লিভার প্রতিস্থাপনসহ ফুসফুস ও কিডনি জটিলতার জন্য খালেদাকে আবারও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছে মেডিকেল বোর্ড। তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে গত বুধবার সন্ধ্যায় তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসা ফিরোজার উদ্দেশে রওনা দেন বিএনপির চেয়ারপারসন।
এসব তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনকে আপাতত বাসায় রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হবে। হাসপাতালে তার চিকিৎসক শাহাবুদ্দিন তালুকদার ও এফ এম সিদ্দিকীসহ মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও ডায়াবেটিকের পরীক্ষা করান। পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, তার কোনো রোগেরই উন্নতি হয়নি।
দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে নেওয়া হয়। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন। পরে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে তাকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয়। তখন থেকে ছয় মাস পরপর তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য মাহে রমজান একটি বিশেষ মাস। বছরের বিশেষ এ মাসটিতে তারা আত্মশুদ্ধির সাধনায় নিবেদিত থাকেন। এই মাসটিতে শিক্ষার্থী,অসহায় ও সাধারণ মানুষের জীবনকে প্রতিদিন আরো একটু স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের উদ্যোগের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আমির হামজার নেতৃত্বে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পলাশীর মোড় ইফতার বিতরণ করা হয়।
সম্প্রতি রমজান মাসে ইফতার পার্টি না করে সেই অর্থ দিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই নির্দেশনার অংশ হিসেবেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সারা দেশ জুড়ে ইফতার বিতরণের এই কার্যক্রম শুরু করেছে।
এ প্রসঙ্গে আমির হামজা বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই পবিত্র রমজান মাসে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর যে নির্দেশনা দিয়েছেন তারই অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ। আমরা পুরো মাস জুড়েই এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখবো।
বাজার সিন্ডিকেট ও মজুদদারির সাথে কারা জড়িত এবং তাদের সাথে বিএনপির কোনো যোগসাজস আছে কিনা- সেটি খতিয়ে দেখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ যুব মহিলা লীগ এবং মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখন রমজান মাসে সরকারকে বিব্রত করার জন্য সিন্ডিকেট থাকতে পারে। খতিয়ে দেখতে হবে যে এ ধরনের অপকর্মের সাথে বিএনপির সম্পৃক্ততা আছে কিনা। তারাই এসব সিন্ডিকেট করে সরকারকে বিব্রত ও নির্বাচিত সরকারের অগ্রযাত্রাকে বাঁধাগ্রস্থ করার অপচেষ্টা চালাতে পারে। সিন্ডিকেটের সঙ্গে বিএনপির সংযোগ আছে কিনা- তা খতিয়ে দেখতে হবে।’
বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘চলমান বৈশ্বিক যে পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক সংকট সারা বিশ্বে আজকে যে অস্থিরতা চলছে তার প্রভাব প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশেও পড়বে। কথা হচ্ছে সরকার বিষয়টিকে কিভাবে মোকাবিলা করছে। শেখ হাসিনা ক্রাইসিস ম্যানেজার হিসেবে যথাযথ দায়িত্ব পালন করছেন। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণেও তিনি বিভিন্নভাবে প্রয়াস অব্যাহত রেখেছেন।’
কোন দেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে এসেছে- এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সিঙ্গাপুরে রুটিন হেলথ চেকআপে গিয়েও আমি দেখেছি, সেখানে জিনিসপত্রের দাম দিগুণ তিন গুণ বেড়েছে। আমাদের দেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা হচ্ছে, সরকার নিষ্ক্রিয় নেই। প্রধানমন্ত্রী সারাক্ষণ সংকট মোকাবিলায় সময় দিচ্ছেন। আমাদের কোনো অবহেলা নেই। সরকার সব পদক্ষেপ যথাযথভাবে চেষ্টা করছে। গ্যাস, জ্বালানি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মুখোমুখি সারা দুনিয়াই। আমেরিকা, ইউরোপ, উন্নত-অনুন্নত বিশ্বে সর্বত্র এই সংকট চলছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে এই সংকটের মধ্যেও বিএনপি নির্বাচনে আসেনি। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে, নির্বাচন যখন হয়েই যাচ্ছে তখন তারা বলেছিল- বাংলাদেশে নির্বাচনের পর মার্চ মাসে দুর্ভিক্ষ হবে। আমাদের ক্রয় ক্ষমতা আছে। একটা লোকও কি না খেয়ে মারা গেছে?’
মজুদদার ও সিন্ডিকেট নিয়ে তিনি বলেন, ‘মজুদদারদের খুঁজে বের করা হচ্ছে। কারা কোথায় সমস্যা সৃষ্টি করছে, এতে কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বা বিএনপির যোগসাজশ আছে কিনা- তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
সোমালিয়ায় বাংলাদেশী জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ‘জিম্মিদের উদ্ধারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খুবই সক্রিয়। জিম্মি ২৬ জনের ইন্সুরেন্সও আছে। দুর্ভিক্ষ পীড়িত সোমালিয়ায় আইন শৃঙ্খলার নাজুক পরিস্থিতি। এখানে মুক্তিপণ আদায় মূল লক্ষ্য। আমাদের পক্ষ থেকে যোগাযোগের কোনো ঘাটতি নেই।’
ড. ইউনুস এর সাজা নিয়ে মার্কিন সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ড. ইউনুস একজন ব্যক্তি। জানতে চাই তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কে? তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। বাংলাদেশের আইন আদালত আছে- যা সবার জন্য সমান। এখানে শ্রমিকরা পাওনা না পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আইন আদালত সব দেশের নিজস্ব ব্যাপার।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দাবি তো করতেই পারে। দাবির যৌক্তিকতা কতটুকু সেটাও তো আমাদের ভেবে দেখতে হবে। সরকার এখানে উদাসীন নয়। এই বিএনপি এখন বেগম জিয়াকে নিয়ে বড় বড় কথা বলে, সরকারের সমালোচনা করে। কিন্তু বছরের পর বছর তত্ত্বাবধায়কের মামলা নিয়ে আদালতে তারা আইনী লড়াই করেনি, শুধু বিচারকে প্রলম্বিত করেছে। অসুস্থ হলে হাসপাতালে যেতে হবে। আজকে এটা স্বীকার করতেই হবে যে, শেখ হাসিনার উদারতায় খালেদা জিয়া বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে পারছেন।’
মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক ও আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি, সাধারণ সম্পাদক জাহানারা বেগম, যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারোয়ার, সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আবারও হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। তবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে সে রাতেই তিনি আবার বাসায় ফেরেন।
খালেদা জিয়া সুস্থ রয়েছেন বলে সে দিন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেছিলেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রেখে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মেডিকেল বোর্ড কিছু ওষুধ দেয়। এরপর সুস্থতা বোধ করলে বোর্ডের পরামর্শে তাঁকে বাসায় আনা হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, আজ নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতেই হাসপাতালে গেছেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্যের অবস্থা জানিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, হাসপাতাল থেকে বাসায় আসা পর্যন্ত আমরা এখন পর্যন্ত যা দেখেছি, উনি অনেকটা সুস্থতা বোধ করছেন।
জাহিদ হোসেন বলেন, ‘বিদেশি চিকিৎসকদের অস্ত্রোপচারের পর উনি (খালেদা জিয়া) কিছুটা সুস্থ আছেন। তবে এতে করে তার ক্রনিক লিভার ডিজিজ এবং পোর্টাল হাইপারটেনশন যে ভালো হয়ে গেছে, তা কিন্তু নয়। সে জন্য এখনো আমরা বলি এবং মেডিকেল বোর্ড মনে করে খালেদা জিয়াকে মাল্টি ডিসিপ্লিনারি চিকিৎসাকেন্দ্রে নিতে হবে। তাহলেই কেবল লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন ও পোর্টাল হাইপারটেনশনের মতো জটিলতাগুলো নিরসন করা সম্ভব হবে। তখনই উনি সত্যিকার অর্থে সুস্থ হবেন। এটা যত দ্রুত করা যায়, ততই ওনার জন্য মঙ্গল।’
এ জন্য বরাবরের মতো আবারও দলের এবং পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে আহ্বান জানান জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার জটিলতাগুলো নিরাময়যোগ্য। যথাযথ চিকিৎসার সুযোগ দিলে উনি সুস্থ হবেন।
তবে অনেক জটিলতা ও প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে খালেদা জিয়া আগের চেয়ে অনেকটাই সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন জাহিদ হোসেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক উপকমিটির সদস্য হলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত), বর্তমান সহ-সভাপতি, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক, ভোরের পাতা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারপারসন, দৈনিক ভোরের পাতা ও দি পিপলস টাইসের সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসান, সিআইপি। মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত এ কমিটিতে মোট ২১৫ জনকে রাখা হয়েছে।
উক্ত কমিটিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর অন্যতম সদস্য খন্দকার গোলাম মওলা নকশেবন্দীকে ধর্ম বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ কমিটির চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. সিরাজুল মোস্তফাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ড. কাজী এরতেজা হাসান, সিআইপি অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ধর্ম বিষয়ক উপ কমিটিতে ঠাঁই পাওয়ায় নিজেকে ধন্য মনে করছি। আমার প্রাণপ্রিয় নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে আমাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধর্ম বিষয়ক উপকমিটিতে স্থান দিয়ে দলের কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে। আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি দেশরত্ন শেখ হাসিনাসহ দলের সব নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে আওয়ামী লীগের যেকোনো নির্দেশনা বাস্তবায়নে অতীতে যেভাবে মাঠে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকবো, ইনশাল্লাহ।