রোববার, ১৬ জুন ২০২৪

রমজান মাসেও বাধ্য হয়ে কর্মসূচি: ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
আপডেটেড
২৪ মার্চ, ২০২৩ ২১:৩৪
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২৪ মার্চ, ২০২৩ ২১:৩৩

বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আওয়ামী লীগ সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে এবং পূর্বঘোষিত ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আবারও নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘এই রমজান মাসেও যেসব কারণে মানুষের কষ্ট হচ্ছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির চলমান আন্দোলন অব্যাহত রাখব। যদিও রমজান মাসে আমাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি দেয়ার কথা নয়।’

রাজধানীর বেইলি রোডের একটি ক্লাবে ওলামা-মাশায়েখ এবং এতিমদের সম্মানে বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে শুক্রবার ফখরুল আরও বলেন, ‘আজকে দেশের যে অবস্থা তৈরি হয়েছে, আমরা বাধ্য হয়েছি এ রমজান মাসেও সাধারণ মানুষকে, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার যে আন্দোলন তা চলমান রাখতে এ কর্মসূচি দিয়েছি। আমরা আশা করব, সেই কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষ অংশ নেবে।’

মির্জা ফখরুল ঘোষিত কর্মসূচিগুলো হলো, ১ এপ্রিল সারা দেশের সব মহানগর ও জেলায় বেলা ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি; ৮ এপ্রিল সারা দেশের সব মহানগরের থানা পর্যায়ে ও জেলার উপজেলা পর্যায়ে বেলা ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি; ৯ থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বিভাগীয় শহরগুলোতে বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারা দেশের সব ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রচারপত্র বিলি ও মানববন্ধন করা হবে।

এর মধ্যে ৯ এপ্রিল রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগ, ১০ এপ্রিল রাজশাহী ও সিলেট বিভাগ, ১১ এপ্রিল খুলনা ও কুমিল্লা বিভাগ, ১২ এপ্রিল ঢাকা ও বরিশাল বিভাগ, ১৩ এপ্রিল ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর বিভাগে এসব কর্মসূচি পালন করা হবে।

এ ছাড়া ২৮ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশের সব জেলা/মহানগর, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় সভা, দুস্থ, অসহায় ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তাসহ বিভিন্ন গণসংযোগমূলক কর্মসূচিতে বিএনপির সব পর্যায়ের নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করবেন।

ইফতারে অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ও শায়রুল কবির খান প্রমুখ।

ইফতারে আগে বিশেষ মোনাজাত করেন ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা নেছারুল হক। ২০১৮ সালে খালেদা জিয়ার কারাগারে যাওয়ার পর তার সম্মানে বিএনপি আয়োজিত প্রতিটি ইফতারের মঞ্চে একটি আসন ফাঁকা রাখা হতো। কিন্তু গতকালের ইফতারে সেটি রাখা হয়নি।


আমরা আক্রান্ত হলে ছেড়ে দেবো না: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনীর অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে প্রায়ই মর্টার শেল ও ভারী গোলার বিকট আওয়াজে কেঁপে ওঠে কক্সবাজারের প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমরা আক্রান্ত হলে ছেড়ে দেবো না। তবে আমরা আক্রমণ করব না, কিন্তু আমাদের প্রস্তুতি আছে।’

আজ শনিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার পরিবর্তনের জন্য গণঅভ্যুত্থান বা নির্বাচন করতে হবে। আমাদের দেশের সরকার পরিবর্তনের মাধ্যমটা নির্বাচন। জনগণের ভোটে সরকার পরিবর্তিত হয়। ২০২৪ সালের ৭ই জানুয়ারি নির্বাচন হয়ে গেছে। এখন প্রসঙ্গ হলো গণঅভ্যুত্থান। তারা তো বলে কয়েকদিনের মধ্যেই সরকারের পতন ঘটবে। এটা হাস্যকর। তাদের নেতা-কর্মীরা তো এখন আন্দোলন করছেন না। তাদের পার্টির নেতাকর্মীদের আন্দোলনের মানসিকতা নেই। জনগণ যে আন্দোলনের সম্পৃক্ত থাকবে না, সেটা কোনদিন গণঅভ্যুত্থান হতে পারে না।

এদেশের ৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, এরপর কোনো গণঅভ্যুত্থান হয়নি। ’৯০ এর আন্দোলনকে আমি গণআন্দোলন বলব, এরশাদ সরকারকে যে আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে হয়।

জাতিসংঘ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতিসংঘ এখন নখদন্তহীন। তাদের কথা ইসরায়েল শোনে না। বড় বড় দেশগুলোও শোনে না।

রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, রোহিঙ্গা পুনর্বাসনে এদেশ প্রশংসিত হলেও বিশ্ব সংকটের কারণে রোহিঙ্গাদের বিষয়টি এ দেশের জন্য বাড়তি চাপ। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে সরকার।

এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম উপস্থিত ছিলেন।


সড়কে যানজট নেই তবে চাপ আছে: ওবায়দুল কাদের

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদযাত্রায় সড়কে যানজট নেই তবে চাপ আছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আজ শুক্রবার এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, এবার চাপ আছে, যানজট নেই। সড়কে চাপ হবে। তবে রাস্তার জন্য যানজট হয়নি। গত কয়েকটি বছর ঈদ যাত্রা স্বস্তিকর হয়েছে। ফিরতি যাত্রা কয়েকটি দুর্ঘটনা হয়েছে। এবার আমরা আরও সতর্ক হয়েছি। রাস্তার জন্য যানজট হয়নি। কোরবানি ঈদের সময় পশুর হাট চাপ সৃষ্টি করে। পশুবাহী গাড়ি, পশুর হাট যত্রতত্র বসিয়ে জনদুর্ভোগ করবেন না।

সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, বৃষ্টি হলে দুর্ভোগ এড়ানো খুব কঠিন। গতবারও বৃষ্টি ছিল। গতকালও হঠাৎ বৃষ্টি হয়েছে। যে ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর থেকে এসেছি ৩২ মিনিট নামতে পারেনি।

তিনি বলেন, আজকে আমাদের দেশে বাজেট সেশন চলছে। এই বাজেট নিয়ে আলোচনা আছে, সমালোচনা আছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও বাজেট আছে। এই বছর ৬৪ দেশে নির্বাচন হওয়ার কথা। আমাদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও নির্বাচন শেষ হয়েছে। বাজেট বাস্তবতা ভারসাম্যমূলক বাজেট।

এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, উপ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আবার আ.লীগের উপকমিটির সদস্য হলেন সাজ্জাদ চিশতী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সদস্য হলেন সাংবাদিক সাজ্জাদ চিশতী।

সম্প্রতি আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ও সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ ও দলটির সাধারণ সম্পাদক ও যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষরিত কাগজের মাধ্যমে টানা দ্বিতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সদস্য হিসেবে মনোনীত হলেন সাবেক ছাত্রনেতা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য ও সাংবাদিক জগতের পরিচিত মুখ সাজ্জাদ হোসেন চিশতী।

ছাত্রজীবন থেকে (৭ম শ্রেণির ছাত্র) বাবার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সাজ্জাদ হোসেন চিশতি ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করে ছাত্রজীবন থেকে দলের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলেন।

তিনি যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন, ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপকমিটির সদস্যও।

দীর্ঘ ২০ বছর রাজধানীর রামপুরায় থেকে তিনি নানা রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। সাজ্জাদ হোসেন রাজনীতিতে যেমন সক্রিয় ছিলেন সাংবাদিকতায়ও বাংলাদেশের মধ্যে তিনি একটি পরিচিত মুখ।

সাংবাদিকতা পেশায় থেকেও তিনি আওয়ামীপন্থি সাংবাদিক রাজনীতি করেন। বর্তমানে তিনি সদস্য, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)সহ নানা সাংবাদিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। সহসভাপতি, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটি। ভাইস চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল।

কর্মজীবনে সাজ্জাদ হোসেন চিশতি বর্তমানে রাইজিং বিডি ডটকম এ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। তার দীর্ঘ ২৪ বছরে গণমাধ্যমে কর্মজীবনে তিনি কাজ করেছেন দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যম ডেইলি অবজারভার, দৈনিক আজকালের খবর, দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক আজকের বিজনেস বাংলাদেশ, আমাদের সময় ডট কম, দৈনিক মানবকণ্ঠ, দৈনিক যায়যায়দিনসহ দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য মিডিয়ায়।

বিষয়:

দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নজির বিএনপিতে নেই: নানক

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যবস্থা নিলেও বিএনপিতে এমন নজির নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘ইতিহাসের গতিধারায় বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা’ শীর্ষক সংবাদচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘যেই দুর্নীতি করুক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নেওয়ার নজির সৃষ্টি করতে পারেননি।’

‘আওয়ামী লীগ এখন ভোটাধিকার ও অবাধ নির্বাচনের প্রধান বাধা’ বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, হাওয়া ভবনের তারেক রহমান হাজার হাজার কোটি টাকা অর্থ পাচার করেছেন। লন্ডনে বসে রাজপ্রাসাদ থেকে দেশের টাকা লুটপাট করে উপভোগ করছেন। আর বিএনপি নেতাকর্মীদের ভুল-ভ্রান্তির দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।

নানক বলেন, ফখরুল সাহেবের ভেতরের কথা বের হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের সরকার বিএনপির প্রধান শত্রু। কারণ এই সরকার জনগণের সরকার, এই সরকার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের সরকার, এ সরকার দেশের উন্নয়নের সরকার। কারণ এই সরকার আপনাদের (বিএনপি) বন্ধু একাত্তরের মানবতাবিরোধী ওই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে, বিচারের রায় কার্যকর করেছে।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শওকত শাহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক হালিমা আক্তার লাবণ্য ও হাবিবুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।


‘আ. লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আমন্ত্রিত হবে’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনে দেশের সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ সোমবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন। মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, ঢাকা সিটির দুই মেয়র এবং ঢাকা জেলার সংসদ সদস্যদের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কে প্রতিপক্ষ তা বিবেচ্য নয়। প্লাটিনাম জয়ন্তীতে সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানাবে আওয়ামী লীগ। ডিজিটাল বাংলাদেশের পর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রস্তুতি গ্রহণের এই সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপিত হতে যাচ্ছে। ২৩ তারিখ সকালে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে প্লাটিনাম জন্মজয়ন্তী উদ্‌যাপনের শুভ উদ্বোধন করবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।’

তিনি বলেন, ২৩ তারিখ বিকেল তিনটায় আলোচনা সভা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। শুরুতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকবে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাজধানীর রবীন্দ্র সরোবরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও হাতির ঝিলে নৌকা বাইচ ও সাইকেল র‌্যালি অনুষ্ঠিত হবে।

সারা দেশে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপিত হবে বলেও জানান কাদের। বৈঠকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও মির্জা আজম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, দলের কার্যনির্বাহী সদস্য সাঈদ খোকন এমপি ও ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন চৌধুরী নিখিল এমপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


খালেদা জিয়াও কালো টাকা সাদা করেছেন: কাদের

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত যৌথসভায় রোববার বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

খালেদা জিয়াও কালো টাকা সাদা করেছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপির সময়ের অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানও কালো টাকা সাদা করেছেন। তাহলে তারাও কি দুর্বৃত্ত?’

‘দুর্বৃত্তদের সুযোগ দিতে বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে’- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত যৌথসভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বাজেটটা করা হয়েছে রাঘব-বোয়ালদের লুটপাট বন্ধ করার জন্য। বিএনপি আমলে যে লুটপাটের রাজত্ব সৃষ্টি হয়েছিল, দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গিয়েছিল, তা থেকে দেশকে রক্ষা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। লুটপাট করে কেউ এখানে পার পাবে না। নিজের লোকদের শায়েস্তা করার সাহস বিএনপি নেই।’

বিএনপির সময়ে লুটপাটকারীদের বিচার হয়নি মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আমলে কেউ দুর্নীতি করে পার পাবে না, সে যেই হোক।’

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি আগুন সন্ত্রাসের যে সংস্কৃতি চালু করেছে, এর বিরুদ্ধে জনগণের জানমাল রক্ষায় আমাদের অবশ্যই শান্তি সমাবেশ করতে হবে। প্রতিরোধ করতে হবে। রাজপথে প্রস্তুত থাকতে হবে।’

ফিলিস্তিনে দখলদার ইসরায়েলিদের গণহত্যা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘চারজন অপহৃত ইসরায়েলিকে উদ্ধার করতে গিয়ে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ২১৩ জন বেসামরিক ফিলিস্তিনিকে হত্যার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া আর কেউ বলেননি। এসব শিশুর অপরাধ কী? এদের হত্যার বিচার হবে না? মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ নিয়ে একটি কথাও বলেননি। আর আরব বিশ্ব মনে হয় তারা ঘুমাচ্ছে।’

যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ, জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।


অর্থনেতিক সংকটকালে এই বাজেট গণমুখী ও বাস্তবসম্মত: কাদের

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গত ৬ জুন জাতীয় সংসদে শেখ হাসিনা সরকারের অর্থমন্ত্রী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেছেন। অর্থনেতিক সংকটকালে এই বাজেট গণমুখী, বাস্তবসম্মত।

আজ শনিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ৪০ শতাংশ লোককে দারিদ্র্যসীমার নিচে রেখে গেছে। শেখ হাসিনা সরকার ১৮ শতাংশে আর অতিদরিদ্র ৬ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। বাংলাদেশে এখন শুধু ডালে ভাতে নয়, পুষ্টি উন্নয়নে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


বিএনপিসহ কিছু গোষ্ঠী চোখে ভালো কিছু দেখে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সংসদে প্রায় আট লক্ষ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ হয়েছে। প্রতিবার বাজেট পেশ করার পর আপনারা দেখবেন বিএনপির পক্ষ থেকে একটা সংবাদ সম্মেলন করা হয়। বলা হয়, এই বাজেট গণবিরোধী, গরীব মারার বাজেট, এই বাজেটে কোনো উপকার হবে না। বিএনপিসহ কিছু গোষ্ঠী আছে তারা চোখে ভালো কিছু দেখেন না। প্রকৃতপক্ষে গত ১৫ বছরে প্রতিটা বাজেট বাস্তবায়নের হার হচ্ছে ৯২ থেকে ৯৭ শতাংশ।’

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ৬২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাছান মামুদ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আবার যারা নিজেদের জ্ঞানী বলে মনে করেন তারা কোনো কিছুতে ভুল না ধরলে উনি যে জ্ঞানী এটা তো বোঝানো যায় না। সেজন্য সবকিছুতে ভুল ধরা ওনাদের অভ্যাস। সেজন্যই তারা বলেন, এই বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য নয়। সবকিছুতে না বলার যে অপসংস্কৃতি এটি দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির জন্য বাধা।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গত ১৫বছরে প্রতিটা বাজেট বাস্তবায়নের হার হচ্ছে ৯২ থেকে ৯৭ শতাংশ। বাজেটের আকার গত ১৫ বছরে সাড়ে ১১গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মাথাপিছু আয় সাড়ে পাঁচগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। জিডিপির আকার প্রায় ছয়গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশে দারিদ্র সীমার নিচে থাকা জনগোষ্ঠী ছিল ৪১ শতাংশ। সেখান থেকে ১৮.৭ শতাংশে নেমেছে। অতি দরিদ্রতা ২২শতাংশ ছিল, সেখান থেকে সাড়ে ৫ শতাংশে নেমেছে।

তিনি আরও বলেন, বাজেট যদি গরিবের উপকারে না আসত, তাহলে দরিদ্রতা ও অতি দরিদ্রতা কমত না। মানুষের আয় সাড়ে ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে ডলারের অঙ্কে। টাকার অঙ্কে আরও বেশি। এটি সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী ও তার নেতৃত্বাধীন সরকারের বাস্তবসম্মত বাজেট প্রণয়ন এবং সেই বাজেট বাস্তবায়নের কারণে।

সাংবাদিকরা সমাজের অগ্রসর অংশ। সমাজকে পথ দেখায়। সমাজের অনুম্মোচিত বিষয়গুলো উন্মোচিত করে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকরা সরকারের ভুলত্রুটি তুলে ধরবেন, সেটিকে আমরা স্বাগত জানাই। কাজকে পরিশুদ্ধভাবে করার ক্ষেত্রে সেটি সহায়ক হয়। তবে অনেক সময় দেখা যায় কিছু কিছু প্রতিবেদন এমনভাবে হয় সেগুলো দেশের জন্য ক্ষতিকারক।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দিন মো. রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, সিডিএর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ, জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, মহানগর পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বক্তব্য দেন।


৬ দফা স্বাধীনতা সংগ্রামের টার্নিং পয়েন্ট: কাদের

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ৬-দফা স্বাধীনতা সংগ্রামের টার্নিং পয়েন্ট। যারা ৬-দফা মানে না, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না।

ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষ্যে আজ সকালে ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ছয় দফা বাস্তবায়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর যে আহ্বান, তারই সাথে ৭ জুনের হরতালে বেশ কয়েকজন শ্রমিক নেতা নিহত হন। ছয় দফা হচ্ছে স্বাধীনতা আন্দোলনের মাইলফলক। ছয় দফার ভিত্তিতে ১১ দফা আন্দোলন শুরু করে ছাত্রসমাজ।

তিনি বলেন, ৬৫’তে পাক-ভারত যুদ্ধে পূর্ব বাংলার কোনো নিরাপত্তা ছিল না। পূর্ব বাংলাকে রক্ষা করার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। সেই কারণে ছয় দফার প্রয়োজন বেশি ছিল।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ছয় দফা না হলে ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান হতো কি-না সেটিই হলো বড় কথা। এই ছয় দফা আমাদের ইতিহাসের বাক পরিবর্তন করেছে। ৭৫-এর পর ৭ জুন ও ৭ মার্চ এসব দিবসকে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা নিষিদ্ধ করে দেয়, তারা ৭৫-এ সপরিবারের বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত। তারা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেনি, তারা হত্যা করতে চেয়েছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে, আমাদের স্বাধীনতার আদর্শকে।সেই জন্য বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে জয় বাংলা, ৭ মার্চ এবং ৭ জুন নির্বাসিত হয়ে যায়।


বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে যুবলীগের আনন্দ মিছিল

বৃহস্পতিবার বিকেলে ফার্মগেট ও ২৩-বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আনন্দ মিছিল করে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নেতাকর্মীরা।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর ফার্মগেটে ও ২৩-বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলটির চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে এই আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

মিছিল ও শোভাযাত্রা শেষে বক্তারা বলেন, ‘একটি সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের এই জাতীয় বাজেট। বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার মেগা সরকারে মেগা বাজেট এটি। এ বাজেট জনগণের বাজেট, মানবতার বাজেট, মানুষের অধিকার ও কল্যাণের বাজেট।’

বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই বাজেট উপহার দেওয়ায় যুবসমাজের পক্ষ থেকে বক্তারা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও অভিবাদন জানায়।

আরও পড়ুন: সংকটের সময়ে গণমুখী বাজেট হয়েছে: কাদের

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, মুহাম্মদ বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. হেলাল উদ্দিন, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, জহির উদ্দিন খসরু, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইলর হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুক্তা আক্তার, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. আলতাফ হোসেন, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্যসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দরা।

এর আগে বিকেলে সংসদে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। যা অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। বিশেষ বৈঠকে বাজেট প্রস্তাব অনুমোদন হয়।

দুপুর ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক শুরু হয়। অনুমোদিত এ বাজেট দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ সরকারের ২৫তম এবং এ অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেট।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বিষয়:

সংকটের সময়ে গণমুখী বাজেট হয়েছে: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে সংকটের সময়ে বাস্তবসম্মত ও গণমুখী বাজেট বলে অভিহিত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বাজেট পেশের পর জাতীয় সংসদ ভবনে বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সংকটের এই সময়ে গণমুখী বাজেট হয়েছে। দলের নির্বাচনী ইশতেহারে দেওয়া অঙ্গীকার ও অগ্রাধিকার খাত বিবেচনায় নিয়ে বাজেট দেওয়া হয়েছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণেও ফোকাসটা থাকবে। বাস্তবসম্মত হয়েছে এই বাজেট।’

বাজেট প্রণয়নে আইএমএফের প্রেসক্রিপশন সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, কারো প্রেসক্রিপশন মেনে বাজেট প্রণয়ন করা হয়নি। শেখ হাসিনার সরকার কারো প্রেসক্রিপশন মেনে চলে না।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর প্রসঙ্গে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার নয়, শনিবার নরেন্দ্র মোদির শপথ উপলক্ষ্যে দিল্লি সফরে যাবেন।

এর আগে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। পরে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন।


বেনজীর-আজিজ আমাদের দলের লোক নয়: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বেনজীর ও আজিজ আমাদের দলের কোনো লোক নয়। তাদের পদায়ন হয়েছিল মেধা ও সিনিয়রিটির ভিত্তিতে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ‘৬ দফা দিবস’ এবং ২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সিনিয়রিটি ও মেধার ভিত্তিতে বেনজীর আইজিপি হয়েছিলেন। তেমনি আজিজ আহমেদও তার যোগ্যতায় ও সিনিয়রিটিতে সেনাপ্রধান হয়েছেন। এখন ভেতরে তারা যদি কোনো অপকর্ম করে এটা যখন সরকারের কাছে আসে, তখন এদের বিচার করার সৎ সাহস সরকারের আছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে লক্ষ্য করেছি, বিরোধীদল বিএনপি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছে। অর্থপাচারের বিরুদ্ধে কথা বলছে। তাদের দলের প্রধান দুর্নীতির অভিযোগে সাজা ভোগ করছে। প্রধানমন্ত্রীর উদারতায় বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী নিজেই এটা করেছেন। বিএনপি আন্দোলন করতে পারেনি, তাদের আন্দোলনে জনগণ সম্পৃক্ত হয়নি। হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনেও অংশ নেয়নি।

বাংলাদেশের ইতিহাসে যত নির্বাচন হয়েছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন তার মধ্যে শান্তিপূর্ণ হয়েছে মন্তব্য করে কাদের বলেন, বিরোধীদল বিএনপি যোগ না দিলেও এ নির্বাচন সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ হয়েছে। ৭৫ পরবর্তী সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল ছিল এবারের নির্বাচন। উপজেলা নির্বাচন নিয়েও এত কথা, জনগণ নাকি ভোট দিতে যায় না। অথচ প্রথম ধাপে ৩৬, দ্বিতীয় ধাপে ৩৭ ও তৃতীয় ধাপে ৩৮ শতাংশেরও বেশি ভোটার উপস্থিতি ছিল। জাতীয় নির্বাচনেও ৪২ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি ছিল। এখানে কোনো প্রাণহানি হয়নি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে কাউকে পুলিশ, সেনাবাহিনী, র‍্যাবের, প্রশাসনের বড় পদে বসায়নি। ৮ জনকে পাশ কাটিয়ে ৯ নম্বর ব্যক্তি মঈনুল আহমেদকে সেনাপ্রধান করেছে। কে করেছে? বেগম খালেদা জিয়া। আশরাফুল, রকিবুল হুদা, কোহিনূর কার সৃষ্টি? মির্জা ফখরুল অন্ধকারে ঢিল ছুড়ছেন। ভুলে গেছেন, আপনার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অস্ত্র চোরাচালান, মানি লন্ডারিংয়ের মামলায়, দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশে বিদেশে সর্বত্রই একজন সৎ পলিটিশিয়ান হিসেবে পরিচিত। তার সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো অবকাশ নেই।

টিআইবি ও সুজনের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে টিআইবি একটা আছে, সুজন আছে, সুজন না কুজন জানি না। ফখরুল, গয়েশ্বর যে সুরে কথা বলে তারাও একই সুরে কথা বলে। আজকে মানুষের প্রশ্ন, টিআইবি সুজন কি বিএনপির ‘বি’ টিম? যে সুরে কথা বলে, কোনো পার্থক্য নেই, একই সুরে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে।

দলের নেতাকর্মীদের কারও কোনো অসুবিধা থাকলে, সচ্ছলতায় ঘাটতি থাকলে দলকে জানানো কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের অসচ্ছল, অসুস্থ লোককে খবর পেলেই তিনি ব্যবস্থা নেন। চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন, অসচ্ছলতার ব্যাপারে তার সদয় দৃষ্টি আমরা দেখতে পাই।

দলের নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, দলের বদনাম করে কেউ কোনো অপকর্ম করবেন না। সত্য সত্যই। বাইরে থেকে বেনজীরকে আমরা যেভাবে দেখেছি, তিনি যে আরেক বেনজীর ভেতর থেকে সেটা তো এখন সত্য হয়ে দেখা দিচ্ছে। একজন মানুষের চলতে ফিরতে কত লাগে? দলের নেতা যদি দলের কর্মীদের কাছে টাকা পয়সা চায় এটা খুব লজ্জার বিষয়।

প্রতিনিধি সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও সভা সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। এসময় উত্তর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


১৪ দলীয় জোটের বৈঠক আজ

আপডেটেড ৪ জুন, ২০২৪ ০০:০৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের বৈঠক আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১১টা থেকে রাজধানীর ইস্কাটনে ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমুর বাসভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।

গত ২৩ মে গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ১৪ দলীয় জোটের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে নেতারা জোটের সমন্বয় নিয়ে নানান অভিযোগে তুলেছিলেন। তবে বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, জোটের দলগুলোর মধ্যকার দূরত্ব কমে যাবে।

২৩ মে এর ফলোআপ হিসেবে আজ জোটের মুখপাত্রের বাসভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যে আলাপ-আলোচনা করেছিলাম তার ফলোআপ হিসেবে মঙ্গলবার (আজ) আমরা বৈঠক করব।’


banner close