মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩

যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচন হবে, অংশ নেবে জাতীয় পার্টি: রওশন

রওশন এরশাদ। ফাইল ছবি
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

সাংবিধানিক ধারা মেনেই যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচন হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনমুখী দল অভিহিত করে রওশন বলেন, ‘প্রতিষ্ঠার পর থেকে জাতীয় পার্টি সব নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। পার্টি আগামী নির্বাচনেও অংশ নেবে।’

সোমবার রাজধানীর গুলশানে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা ও ইফতার অনুষ্ঠানে এক লিখিত বক্তব্যে রওশন এরশাদ এসব কথা বলেন।

নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে মাঠপর্যায়ে দলকে সংগঠিত করার আহ্বান জানিয়ে রওশন এরশাদ বলেন, ‘এখন থেকেই সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিজ নিজ আসনে গণসংযোগ শুরু করতে হবে। দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভেদ নেই উল্লেখ করে রওশন বলেন, ‘এরশাদের রেখে যাওয়া নির্দেশনামতো পার্টি চলবে। যারা তার নির্দেশনা মানবেন না, তারা পার্টি ও নিজের ক্ষতি ডেকে আনবেন।’

রওশন এরশাদ বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চেষ্টায় উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী পবিত্র রমজানের সিয়াম সাধনাকে তোয়াক্কা না করে সব নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি করে চলছেন। দ্রব্যমূল্যের ভয়াবহ ঊর্ধ্বগতি নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন-জীবিকা দুর্বিষহ করে তুলছে। তাদের জন্য দেশের গণতন্ত্র, স্থিতিশীলতা আর উন্নয়নের উজ্জ্বলতা ম্লান হয়ে পড়ছে। এতে করে স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মাহুতি দানকারী শহীদদের আত্মা কষ্ট পাচ্ছে। সর্বগ্রাসী দুর্নীতি এখন ক্যানসারের রূপ নিয়েছে।’

আলোচনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন দলের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য দেলোয়ার হোসেন খান, মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা, মসিউর রহমান রাঙা, কাজী মামুনুর রশীদ, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, গোলাম কিবরিয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য নাজমা আক্তার, এস এম ফয়সাল চিশতী, হাবিবুল্লাহ বেলালী, উপদেষ্টা রওশন আরা মান্না, সাবেক উপদেষ্টা রফিকুল হক, জিয়াউল হক মৃধা, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন, নুরুল ইসলাম প্রমুখ।


নির্বাচনে না আসলে বিএনপির কবর রচনা হবে: নানক

সোমবার বিকালে রাজধানীর শ্যামলি ক্লাব মাঠে ঢাকা-১৩ আসনের যুবলীগের ১০৪ ইউনিটের সম্মেলনে বক্তব্য রাখের আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৫ জুন, ২০২৩ ২২:০১
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেছেন, ‘আপনারা যদি সন্ত্রাসের পথ পরিহার করে নির্বাচনের পথে না আসেন, তাহলে রাজনৈতিকভাবে আপনাদের কবর রচনা হবে।

সোমবার বিকালে রাজধানীর শ্যামলি ক্লাব মাঠে ঢাকা-১৩ আসনের আটটি ওয়ার্ডে যুবলীগের ১০৪ ইউনিটের সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যের কটূক্তি করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় আসার আগে তাদের প্রতিষ্ঠান খুনি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর ছয়শোর বেশি সামরিক সদস্যকে ফাঁসির কাষ্টে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিলেন তারা নাকি রাষ্ট্রকাঠামোকে মেরামত করবে। তাদের কথা শুনে ঘোড়াও হাসে।’

নানক বলেন, ‘যারা রাষ্ট্রের মধ্যে আরেকটি হাওয়া ভবন রাষ্ট্র গঠন করেছিল। ওই বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে এবং তাদের ষড়যন্ত্রের ‘বিষদাত’ ভেঙে দিতে হবে।’

বিএনপির নানক বলেন, ‘লজ্জা করে না আপনাদের? বিএনপি নেতারা বলেছিলেন আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা কোনো দিন পদ্মাসেতু করতে পারবে না। শুধু তাই নয়, বিএনপি পদ্মাসেতু নির্মাণ বন্ধে নানা ষড়যন্ত্র করেছে। আর এই ষড়যন্ত্রের পেছনে ড. ইউনূসের হাত রয়েছে।’

সরকার বিরোধীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। ষড়যন্ত্র চলছে চলবে কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের উন্নয়ন থেমে থাকবে না। শেখ হাসিনা নেতৃত্বে সরকার কোনো অপশক্তিকে ভয় পায় না।’

দলের বার্তা পাওয়া মাত্রই আগামী নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়তে যুবলীগকে নির্দেশনা দিয়ে নানক বলেন, ‘আপনাদের ফোনে যদি কোনো মেসেজ পান। সে মেসেজ পেয়ে আপনারা ঝাঁপিয়ে পড়তে পারবেন না? আমাদের মাঝে কোনো বিবেধ নেই। শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দেবেন, তার পক্ষে আমরা সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ব।’

সম্মেলনে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে আপনারা দেশপ্রেমিক ও ত্যাগী নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। সামনের সকল নির্বাচন অবাদ- সুষ্ঠু ও প্রতিযোগীতামূলক হবে। সকল নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগকে আবারও নির্বাচিত করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে দলীয় নেতা-কর্মীর উদ্দেশে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ‘আমাদের মাঠে ময়দানে থাকতে হবে। যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে তৈরি থাকতে হবে। এটা সম্ভব হবে যখন আমরা নিজেদের মধ্যে গ্রুপিং বন্ধ করতে পারব।’

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য সাদেক খান, যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দি, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুল, উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ।


ফারুকের আসনে মামুনুর রশিদকে প্রার্থী করলেন রওশন

কাজী মো. মামুনুর রশিদ
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

আসন্ন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে কাজী মো. মামুনুর রশিদকে লাঙল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ঘোষণা করেছেন দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ।

সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে মামুনুর রশিদের দলীয় মনোনয়ন ফরমে স্বাক্ষর করেন তিনি। বিরোধী দলীয় নেতার রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ্ এক বার্তায় এ তথ্য জানান।

মামুনুর রশিদ জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য, বিরোধী দলীয় নেতার মুখপাত্র ও এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান।

তার প্রার্থিতা ঘোষণার সংবাদ বিবরণীতে জানানো হয়, আগামী ১৭ জুলাই অনুষ্ঠেয় ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে কাজী মো. মামুনুর রশিদের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন বিরোধী দলীয় নেতা। যা অবিলম্বে দলীয় সিদ্ধান্ত হিসেবে কার্যকরের নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।


আওয়ামী লীগ দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে: প্রধানমন্ত্রী

সোমবার গণভবনে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ছবি: ফোকাস বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

বিএনপি দেশে গুম, খুন ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু করেছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশকে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।

সোমবার গণভবনে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, বিএনপি দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে তারা দেশে গুম, খুন ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু করে। জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডের পর আমার বিচার চাওয়ার, বিচার পাওয়ার অধিকার ছিল না। এটা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন। সেই বিচার না পাওয়ার অবস্থা থেকে আজ দেশকে মুক্ত করতে পেরেছি। আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় ন্যায়বিচারে বিশ্বাস করে।

শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ যেন ন্যায়বিচার পায়, সে ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ সরকার করে দিয়েছে। স্বল্প সময়ে বিনা ভোগান্তিতে মানুষ যেন বিচার পায়, সেজন্য আমাদের সরকার বিচারব্যবস্থাকে ডিজিটাল করে দিয়েছে। করোনা মহামারির সময়ে ভার্চুয়াল করে দিয়েছি, যাতে মানুষ ঘরে বসেই স্বল্প সময়ে বিচার পায়।

সরকারপ্রধান আরও বলেন, দেশে ধারাবাহিক গণতন্ত্র আছে বলেই গত সাড়ে ১৪ বছরে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমান তাপদাহ পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের কারণে মানুষের কিছুটা কষ্ট হচ্ছে, আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করছি, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ১৪ বছরের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। আমরা বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে কাজ করে যাচ্ছি।

এ সময় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।


দেশ চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ প্লাস: জি এম কাদের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, বাকশালের আদলে দেশ চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ প্লাস। আওয়ামী লীগের প্রধান যারা তারা এখন আওয়ামী লীগ প্লাস পরিচালনা করছেন।

রোববার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সরকারের সমালোচনা করে সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ প্লাসের মধ্যে আওয়ামী লীগ, প্রশাসন, পুলিশ, প্রতিরক্ষা বাহিনীসহ সবাই। কয়েক দিন আগে আওয়ামী লীগের এক শিক্ষিত ও মার্জিত নেতা যেভাবে প্রধান বিচারপতিকে সরিয়ে দেয়ার কথা বলেছেন, তাতে মনে হচ্ছে, বিচার বিভাগও আওয়ামী লীগ প্লাসের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা চলছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, তারা এতটাই শক্তিশালী যে, আওয়ামী লীগ প্লাসের নির্দেশনা মেনে চলা সবার জন্য বাধ্যতামূলক। কেউ না মানলে তাকে শাস্তি পেতে হবে। মনে হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশনও আওয়ামী লীগ প্লাসের সদস্য হয়েছে। এতে দেশের মানুষের জন্য স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা কারোই নেই।’

জি এম কাদের আরও বলেন, ‘এমন বাস্তবতায় মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, মেধার ভিত্তিতে চাকরি পাওয়া বা মানবাধিকার রক্ষার জন্য কাজ করা আওয়ামী লীগ প্লাসের বাইরে চিন্তা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগ প্লাসের বাইরে বের হতে না পারলে দেশে সঠিক রাজনীতি সম্ভব হবে না।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘যে কাঠামোতে বাকশাল তৈরি করা হয়েছিল ঠিক তেমন করেই আওয়ামী লীগ প্লাস সৃষ্টি করা হয়েছে। সংবিধান সংশোধন করে বাকশাল করা হয়েছিল কিন্তু আওয়ামী লীগ প্লাস আইনগতভাবে করা হয়নি। যেমন বাকশালের জন্য কিছু আইন করা হয়েছিল যা আওয়ামী লীগ প্লাসের জন্য নেই। তাছাড়া সব সংস্থাই ওই দলের সদস্যের মত কাজ করছেন। তারা যাকে যেখানে কাজ করতে বলবেন, সে সেখানেই কাজ করবেন। অথবা যাকে নির্বাচন করতে বলবেন তিনি নির্বাচিত হবেন। এভাবেই আওয়ামী লীগ প্লাস একটি দল দাঁড়িয়ে গেছে।’

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘সদস্য হোক বা না হোক, ইচ্ছায় হোক আর না হোক, সবাই সেই দলের নিয়ন্ত্রণে যেতে বাধ্য হচ্ছে। প্রধান বিচারপতিকে সরিয়ে দেয়ার কথা যিনি বলেছেন তিনি উচ্চ শিক্ষিত এবং ঠান্ডা মাথায় বলেছেন। এখন সবাই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছেন, এর বাইরে যাওয়ার ক্ষমতা কারো নেই। এই ধরনের শাসন ব্যবস্থা কখনোই কল্যাণকর হতে পারে না। এমন বাস্তবতায় গণতন্ত্র আশা করা অসম্ভব।’

বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে জি এম কাদের বলেন, ‘যখন সমস্ত কিছুই আওয়ামী লীগ প্লাস বা সেই দলের নেতাদের নিয়ন্ত্রণে সেখানে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে নির্বাচনে ফলাফল অসম্ভব এবং তারা কখনোই পরাজিত হতে চাইবে না। আমেরিকার ভিসানীতি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সহায়ক হবে। যারা এই নীতি ঘোষণা করেছেন তারা কতটা কার্যকর করেন তার ওপর নির্ভর করবে সব কিছু।’


সরকার বদল হলেও বিনিয়োগ অব্যাহত চায় জাপান: আমীর খসরু

রোববার সকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়
আপডেটেড ৪ জুন, ২০২৩ ১৩:২১
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

বাংলাদেশ ও জাপানের অংশীদারিত্ব অনেক পুরোনো উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘তারা (জাপান) দেখতে চায়, সরকার বদল হলেও এটা যেন অব্যাহত থাকে। স্বাভাবিকভাবেই তারা এটা দেখতে চাইবে। বাংলাদেশের নির্বাচনব্যবস্থা, মানবাধিকার এসব নিয়ে আজ সবার উদ্বেগ। স্বাভাবিকভাবে তাদেরও উদ্বেগ আছে। তারা জানতে চায়, কী হচ্ছে, আগামীতে কী হতে যাচ্ছে। এটাই তারা বোঝার চেষ্টা করছেন।’

রোববার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আমির খসরু। এর আগে সেখানে জাপানি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের আমীর খসরু বলেন, ‘জাপান বাংলাদেশের মানুষের কাছে খুবই গ্রহণযোগ্য একটি দেশ। জাপানের অনেক বিনিয়োগ বাংলাদেশে আছে। তাদের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশ সরকারের অবকাঠামোগত প্রকল্পগুলোতে বিনিয়োগ করছে। সুতরাং জাপান বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক লম্বা।’

জাপানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে আলাপ হয়েছে কি না, জানতে চাইলে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘জাপানের রাষ্ট্রদূত কিছুদিন আগে এখানে নতুন এসেছেন। তিনি সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছেন। স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশ জাপানের বন্ধুত্ব ও পার্টনারশিপ অনেক পুরোনো। বাংলাদেশের সঙ্গে যাদের পার্টনারশিপ, তার মধ্যে জাপান অন্যতম।’

জাপান বাংলাদেশের সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, ‘আমরা যখন ক্ষমতায় ছিলাম, তখন প্রচুর বিনিয়োগ জাপান থেকে এসেছে। প্রচুর অবকাঠামোগত বিনিয়োগ হয়েছে বিএনপির সময়। একদলীয় শাসনের পরে মুক্তবাজার অর্থনীতি, যেটা বিএনপি বাংলাদেশে শুরু করেছে, তারপর থেকে জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক বেশি হয়েছে।’

জাপানের রাষ্ট্রদূতকে বিএনপির পক্ষ থেকে কী বলা হয়েছে— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশে যা হচ্ছে, তাই বলেছি। সেগুলো বলা যাবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে আইনের শাসন, নির্বাচন, মানবাধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা, স্বাভাবিকভাবে এসব নিয়ে উদ্বেগ সারা বিশ্ববাসীর আছে, দেশের মানুষের আছে, জাপানেরও থাকার কথা। তারা এসব জানতে চাচ্ছে। আগামী দিনের বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে, এটা তারা জানতে চায়।’

রোববার সকাল ১০টায় বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়। বৈঠকে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন জাপান দূতাবাসের প্রথম রাজনৈতিক সচিব মিস ইগাই। এ ছাড়া বিএনপির পক্ষ থেকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ও দলের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।


আমেরিকা না গেলে কিচ্ছু আসে যায় না: শেখ হাসিনা

ছবি: ফোকাস বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

কারও মুখাপেক্ষী হয়ে নয়, বাংলাদেশ নিজের পায়ে চলবে বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা নিজের পায়ে চলব। নিজের দেশকে গড়ে তুলবো। কে আমাদের ভিসা দেবে না, নিষেধাজ্ঞা দেবে- ও নিয়ে মাথা ব্যথা করে লাভ নাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০ ঘণ্টা প্লেনে জার্নি করে, আটলান্টিক পার হয়ে ওই আমেরিকায় না গেলে কিচ্ছু আসে যায় না। পৃথিবীতে আরও অনেক মহাসাগর আছে, অনেক মহাদেশ আছে। সেখানেই আমরা যাতায়াত করব। তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করব। আমাদের অর্থনীতি আরও উন্নত হবে, মজবুত হবে, আরও চাঙা হবে।’

শনিবার বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন (ঢাকা জেলা ও ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যালয়) উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইঙ্গিত করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘ভোট যারা চুরি করে, ভোট নিয়ে যারা চিরদিন খেলছে, জনগণের ভাগ্য নিয়ে যারা খেলছে, আমি তাদের (আমেরিকা) বলবো— ওই সন্ত্রাসী দলের দিকে নজর দিন। কানাডার হাইকোর্ট বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। সন্ত্রাসী ও দুর্নীতির দায়ে আমেরিকা তারেক জিয়াকে ভিসা দেয় নাই। তারা (বিএনপি) আবার তাদের (আমেরিকা) কাছে ধরনা দেয়। এতকিছু বলতে চাই না। শুধু এটাই বলব— যারা অর্থনীতিবিদ, জ্ঞানী-গুণী আছেন… আমরা তো লেখাপড়া এত বেশি জানি না। শুধু দেশের মাটি মানুষকে চিনি। বাংলাদেশ, নদী-নালা, খাল-বিল চিনি। বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণ কোথায়, কী করলে ভালো হবে সেটা জানি। সেটাই মাথায় রেখে দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় নিয়েছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ওপর বারবার আঘাত, হামলা হয়েছে। আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। ইয়াহিয়া খান চেষ্টা করেছে, জিয়াউর রহমান চেষ্টা করেছে, এরশাদ-খালেদা জিয়াও চেষ্টা করেছে আওয়ামী লীগকে কীভাবে ধ্বংস করা যায়? আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের সংগঠন হিসেবে গড়ে উঠেছে। তাই এই সংগঠনকে কেউ ধ্বংস করতে পারেনি, পারবেও না।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু একটি দল নয়, আওয়ামী লীগ ইনস্টিটিউটের মতো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে এদেশের উন্নতি হয়, এটাই বাস্তব। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়েই বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলে স্বল্প সময়ের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলেন। আওয়ামী লীগ নামক সংগঠন এদেশের মানুষের জন্য আন্দোলন সংগ্রামে সবসময় ভূমিকা পালন করেছে।

সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের কল্যাণ হয়। মানুষের কল্যাণে সেটা আমরা প্রমাণ করেছি। আমরা যেসব কাজ করি, আওয়ামী লীগ যেসব পরিকল্পনা নেয়, প্রকল্প নেয়, তা সুপরিকল্পিতভাবেই করা হয়। আমাদের মাটি, মানুষ, পরিবেশ, আমাদের দেশের ভৌগলিক অবস্থান, প্রাকৃতিক অবস্থা, সবকিছু বিবেচনা করেই আমরা প্রকল্প গ্রহণ করি। তার ফলে আমাদের প্রতিটি প্রকল্পই সাফল্য অর্জন করে। মানুষ তার সুফল পায়।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ এর বাংলাদেশ কী ছিল, এখন বাংলাদেশ কী অবস্থায় আছে, কেউ তুলনাটা বিবেচনা করলেই পরিবর্তনটা দেখতে পারবেন। একই দিনে ১০০ সড়ক উদ্বোধন করা, এটা কী কোনো সরকার আগে করেছে, পারেনি। কে পেরেছে? আওয়ামী লীগ। আজকে আমরা বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি, এখন আমাদের বেকারত্ব মাত্র ৩ শতাংশ। সেটাও থাকবে না। যদি কেউ উদ্যোগ নেয় সেও কাজ করতে পারবে। আমরা সেই ব্যবস্থাটাও করে দিয়েছি। আমাদের গ্রামের অর্থনীতি অনেক মজবুত। গ্রামের দারিদ্র্যের হার হ্রাস পেয়েছে।

তিনি বলেন, কৃষকদের আমরা সব ধরনের প্রণোদনা দিচ্ছি, দুই কোটি ১০ লাখ কৃষককে কার্ড দিয়েছি। ভর্তুকির টাকাটা তার ব্যাংকে চলে যায়। ১০ টাকা দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ আমরা করে দিয়েছি। এক কোটি ২ লাখ ৭০ হাজার ১৪৩ জন কৃষক পুরো বাংলাদেশে অ্যাকাউন্ট খুলেছে। এখন তারা সেখানে বসে টাকা পেয়ে যায়। ধান কাটার মৌসুমে মানুষ পাওয়া যায় না, মজুরের দাম বেড়ে গেছে। আমি আহ্বান করেছি আমার ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী মাঠে চলে গেছে, কৃষকের ধান কেটে ঘরে পৌঁছে দিয়েছে।

সরকারপ্রধান বলেন, আমরা বিদ্যুৎ শতভাগ দিতে পেরেছি, এখন যেহেতু তেলের দাম বেড়ে গেছে, গ্যাসের দাম বেড়ে গেছে, কয়লার দাম বেড়ে গেছে, কয়লাও পাওয়া যাচ্ছে না। আগে এক সময় যারা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা করেছিল, তারাই এখন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করছে। তার কারণে কয়লা কিনে আনতে সমস্যা হচ্ছে। আমি জানি মানুষের অনেক কষ্ট হচ্ছে, আমরা তো লোডশেডিং একেবারে দূর করে দিয়েছিলাম, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ যদি না হতো আর করোনাভাইরাস যদি না দেখা দিতো, আজকে যদি বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা না দেখা দিতো, মুদ্রাস্ফীতি না দেখা দিতো, তাহলে মানুষের কষ্ট হতো না। আজকে আমরা ভেতরে যতই চেষ্টা করি, যে জিনিসটা বাইরে থেকে আনতে হচ্ছে, সেটা কষ্ট করে আমাদেরকে জোগাড় করতে হচ্ছে।

জ্বালানির সুখবর জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কাতার ও ওমানের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়ে গেছে। আমরা আরো কয়েকটা দেশের সঙ্গে করছি যাতে গ্যাস কিনতে পারি। এই কষ্ট দূর করতে পারি। একবার অভ্যাস হয়ে গেলে মানুষের কষ্ট বাড়ে, বিএনপি-জামায়াতের আমলে তো বিদ্যুৎ ছিলই না। তখন মানুষ হাহাকার করত। বিদ্যুৎ চাওয়ার কারণে কানসার্টে খালেদা জিয়া গুলি করে মানুষ হত্যা করেছিল। সারের দাবি করেছিল বলে ১৮জন কৃষক হত্যা করছিল। শ্রমিকের মজুরি দাবি করেছিল বলে ২৭ জন শ্রমিককে রোজার সময় তাদের হত্যা করেছিল।

বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতা নিয়ে শঙ্কা দূরে সরিয়ে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট যথোপপযুক্ত হয়েছে বলে বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘(বাজেট সম্পর্কে) কে কী বলছে তা নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর দরকার নেই। আমরা একটি উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করার জন্য আমরা একটি উপযুক্ত বাজেট ঘোষণা করেছি।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের মানুষ আমাদের পক্ষে আছে। তাই, আমরা বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারব, ইনশাআল্লাহ। প্রায় ৭.৬২ লাখ কোটি টাকার এত বিশাল বাজেটের বাস্তবায়নে যারা শঙ্কিত, তাদের কড়া সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর বাজেট পাশের আগে কেউ কেউ বলেন, আমরা বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারব না। কিন্তু, আমরা প্রতিটি মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।


সরকার বাজেটের নামে জনগণের সঙ্গে মশকরা করেছে: ফখরুল

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৩ জুন, ২০২৩ ১৯:৫৩
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘সরকার বাজেটের নামে জনগণের সঙ্গে মশকরা করেছে। এটা গরিব মারার বাজেট।’

রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শনিবার বিকেলে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমান উল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে মামলার রায়ে সাজা প্রদানের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) বিএনপি।

সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখনো সময় আছে ক্ষমতা ছেড়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। সরকারের পেছনে আজরাইল দাঁড়িয়ে গেছে, তাদের সময় শেষ।’

সরকার মিথ্যা মামলায় বিরোধী দলকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে চায় উল্লখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বিরোধীদলীয় নেতাদের রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে চায়। এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়ার মাধ্যমে।’

বিএনপি নেতাদের সাজা দিয়ে জনগণের আন্দোলন দমানো যাবে না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এভাবেই নেতাদের কারাগারে রেখে নির্বাচনে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায় আওয়ামী লীগ। কিন্তু তাদের সেই আশায় গুড়েবালি। কারণ মানুষ জেগে উঠেছে।’

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘দেশের মানুষ জেগে উঠেছে পালানোর পথ পাবে না আওয়ামী লীগ।’

সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘সরকার মরণ কামড় দেবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে। আর আমরাও মরণ কামড় দেবো তাদের বিদায় করতে।’ আগামী ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত আন্দোলনের ঘোষণা আসবে বলে জানান বিএনপির এই নেতা।

স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আন্দোলন এবং নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তার ও জেলে পাঠানো হচ্ছে।

বিষয়:

গণতন্ত্র মঞ্চের ঢাকা থেকে দিনাজপুর রোডমার্চ রোববার

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শনিবার বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সংহতি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচির কথা জানানো হয়। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৩ জুন, ২০২৩ ১৭:৫৭
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

রাজধানী ঢাকা থেকে দিনাজপুরের উদ্দেশে আগামী রোববার রোডমার্চ শুরু করতে যাচ্ছে গণতন্ত্র মঞ্চ। রোডমার্চ শুরুর আগে সকাল ৯টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনটি এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করবে।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সংহতি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে শনিবার এই কর্মসূচির কথা জানানো হয়। এই কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরেন গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি জানান, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, জাতীয় সংসদ বিলুপ্তি, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীন জাতীয় নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কারসহ ১৪ দফা দাবিতে এই রোডমার্চের ডাক দেয়া হয়েছে। ধারাবাহিক আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে ৪ থেকে ৭ জুন পর্যন্ত এই রোডমার্চ পালন করা হবে।

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা জানান, রোববার সকাল ৯টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে রোডমার্চের যাত্রা শুরু হবে। বেলা ১১টায় গাজীপুর চৌরাস্তায় এবং বিকেল ৪টায় টাঙ্গাইলের করাতিপাড়া বাইপাস মোড়ে সমাবেশ হবে। পরদিন সোমবার বেলা ১১টায় সিরাজগঞ্জের শহীদ মিনারসংলগ্ন মুক্তি সোপানে এবং বিকেল ৪টায় বগুড়ার শিবগঞ্জের মোকামতলায় সমাবেশ হবে। আর মঙ্গলবার (৬ জুন) একই সময়ে সকালে প্রথমে বগুড়ার সাতমাথায় এবং বিকেলে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সমাবেশ করবে সংগঠনটি। আর শেষ দিন বুধবারও বেলা ১১টা ও বিকেল ৪টায় পর্যায়ক্রমে দিনাজপুরে ইনস্টিটিউট চত্বর এবং রংপুরে টাউন হল চত্বরে সমাবেশ হবে। এ ছাড়া রোডমার্চের সময় অনির্ধারিত পথসভাতেও নেতারা বক্তব্য দেবেন বলেও জানানো হয়েছে।

সাইফুল হক আরও বলেন, দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রোডমার্চ হতে যাচ্ছে। এই জোট যেকোনো ধরনের উসকানি পরিহার করে শান্তিপূর্ণভাবে এই কর্মসূচি শেষ করতে চায়। তাই এতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহযোগিতার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

রোডমার্চে নেতৃত্ব দেবেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামালউদ্দিন পাটোয়ারীসহ গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতারা।

বিষয়:

কর্মসূচিতে বাধা দেয়া ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহে বিএনপির কমিটি

আপডেটেড ৩ জুন, ২০২৩ ১৫:৫৯
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

সারা দেশে বিএনপির চলমান কর্মসূচিতে বাধা দেয়া ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহে বিএনপি একটি কমিটি গঠন করেছে বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শনিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। কমিটিতে রিজভীকে আহ্বায়ক করা হয়েছে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন– বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন-নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, আকরামুল হাসান, মো. আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, কামরুজ্জামান দুলাল, যুবদলের সহ সভাপতি রফিকুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান ও সালাহ উদ্দিন খান।

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, ‘গায়েবি মামলা, মিথ্যা মামলা, গুম, খুন, সহিংস আক্রমণ, অগ্নিসংযোগসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বাধা দেয়া ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ করবে বিএনপি। সহিংসতায় লিপ্ত ব্যক্তিদের নাম ও ভিডিও-অডিও রেকর্ড, ফটোগ্রাফ ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহের জন্য বিএনপির একটি তথ্য সংগ্রহ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি সংগৃহীত তথ্য পরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে যথাসমীচীন ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে তা সংরক্ষণ করবে।’


গণতন্ত্র ফেরানোর লড়াই চূড়ান্ত পরিণতির দিকে যাচ্ছে: ফখরুল

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দলের পক্ষ আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

দেশে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার লড়াই চূড়ান্ত পরিণতির দিকে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে তার অধীনে নির্বাচন করাই বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের একমাত্র পথ।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) শনিবার দুপুরে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে এই আয়োজন করা হয়।

জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য এই বাংলাদেশের মানুষ যে সংগ্রাম, যে লড়াই শুরু করেছে, সেই লড়াই এখন তীব্র গতিতে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে যাচ্ছে।’

গণতন্ত্রের জন্য সাধারণ মানুষ লড়াই-সংগ্রাম করছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ করেছেন, ইতোমধ্যে ১৭ জন মানুষ রাজপথে রক্ত দিয়েছে, লক্ষ লক্ষ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, গুম হয়েছে, তারপরও মানুষ থেমে নেই। গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছে, লড়াই করছে। জিয়াউর রহমানকে মনে করে তারেক রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে আমাদের আবার উঠে দাঁড়াতে হবে। উঠে আমরা দাঁড়িয়েছি, সেটা সংগঠিত করতে হবে’।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আজকে দেখুন আমাদের আন্দোলন কতটা সফল হয়েছে, বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত যে এই সরকার গত ১৪ ও ১৮ সালে যে নির্বাচন হয়েছে তাতে এই সরকার জালিয়াতি করেছে এবং জনগণের মতামতকে সেখানে প্রাধান্য দেয়া হয়নি। প্রমাণিত হয়েছে বলেই আজকে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য...আমার গণতন্ত্রের জন্য, ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমরা জানি আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে এই বাংলাদেশে কোনো দিনই অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না যদি আওয়ামী লীগের এই সরকার ক্ষমতায় থাকে।’

বর্তমান সরকারে পদত্যাগের দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, অবিলম্বে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে। সেটাই রাজনৈতিক সংকট উত্তরণের একমাত্র পথ। এই জাতিকে রক্ষা করার একমাত্র পথ’।


আফছারুল আমীনের মৃত্যু দলের জন্য ক্ষতি: তথ্যমন্ত্রী

আপডেটেড ৩ জুন, ২০২৩ ১৪:২৯
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘অজাতশত্রু রাজনীতিক আফছারুল আমীনের মৃত্যু দলের জন্য ক্ষতি।’

শনিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শুক্রবার প্রয়াত চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীনের জানাজা শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এ কথা বলেন।

চট্টগ্রাম-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আফছারুল আমীন একজন অজাতশত্রু মানুষ ছিলেন। তার অকাল মৃত্যুতে আমাদের দল, বিশেষ করে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।’

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘ডা. আফছারুল আমীন যেভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে কারাগারে গেছেন, সেখান থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। এবং তার নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম শহরে শিক্ষা ক্ষেত্রে, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে তিনি অনেক কাজ করেছেন, যা থেকে মানুষ উপকৃত হচ্ছে।’

গত শুক্রবার বিকেলে ঢাকায় একটি হাসপাতালে ক্যান্সারের চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭২ বছর বয়সে মারা যান শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আফছারুল আমীন। চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আফছারুল আমীন ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নৌপরিবহন এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।


অনেক চিন্তা করে বাজেট প্রণয়ন হয়েছে, বিরোধী দল একটা ধন্যবাদও দেয় না: কাদের

ছবি: ফোকাস বাংলা
আপডেটেড ৩ জুন, ২০২৩ ১৩:৫৯
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

বিশ্ব অস্থিরতার মধ্যেও প্রস্তাবিত বাজেটে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ম্যাজিক লিডারশিপের’ পরিচয় দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাজেট উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এবারের বাজেট সংকটে ঘুরে দাঁড়াবার বাজেট। বিশ্ব অস্থিরতার মধ্যেও বাংলাদেশে শেখ হাসিনা ম্যাজিক লিডারশিপের পরিচয় দিয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি সমাধানের লক্ষে কাজ করছে সরকার।’

তিনি বলেন, ‘অনেক চিন্তা করে এবারের বাজেট করা হয়েছে। বিএনপির নেতাদের কথা শুনলে মনে হয় দেশে দুর্ভিক্ষ হচ্ছে।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সারা বিশ্ব সংঘাতময়, অস্থির পরিস্থিতি বিরাজমান। বিশ্ব অস্বস্তিকর অবস্থার পাশাপাশি ডলার সংকট রয়েছে। সোমালিয়াসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে খাদ্য সংকট।’

গত বৃহস্পতিবার সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। প্রস্তাবিত বাজেটে বিশ্ব অর্থনীতির নানা সংকটের মধ্যে অনেক আমার বাণী শুনিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। বাজেট নিয়ে সমালোচনাকে ‘গৎবাঁধা’ বলে আখ্যা দিচ্ছেন সরকারসংশ্লিষ্টরা।

সংবাদ সম্মেলনে কাদের বলেন, যাদের অর্থনীতিই ছিলো লুটপাটের সে বিএনপি এ বাজেটকে লুটপাট বাজেট বলে কি করে? তাদের সময় কী পরিমান বাজেট ছিল? আজকে তা কী হয়েছে? আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে ধারাবাহিক অগ্রগতির ফলে জিডিপির উন্নয়ন হয়েছে। ৮-৯ অর্থবছরে কী ছিল, বাংলাদেশ আজ ৩৫ তম অবস্থানে আছে। বাজেটের কৃচ্ছ্র সাধন করে জিডিপির অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে।’

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘স্বাধীনতার পর রিজার্ভ কী ছিলো? শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৪৮.৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছিলো কিন্তু বিশ্ব সংকটে এটার কিছুটা তারতম্য আছে তবে সব সংকটই সমাধান হয়ে যাবে দ্রুত। বিশ্বের অনেক দেশেই অর্থনৈতিক সঙ্কট সমাধানে অস্থির অবস্থা।’

অনেক দেশের নেতারাই শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকতেই পারে কিন্তু প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি আর উন্নয়ন অবদান অস্বীকার এগুলো কি মানা যায়? অনেক দেশের নেতারাই শেখ হাসিনাকে ফলো করেন এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। সারা বিশ্ব শেখ হাসিনার প্রসংশা করলেও এদেশের বিরোধী দলের লোকরা একটা ধন্যবাদও দিতে পারে না। এদেশের বিরোধী দলের রাজনীতি বিশ্বে বিরল। বিরোধীদল শুধু সমালোচনা আর বিরোধিতা করে কিন্তু ভালো কোনো পরামর্শ দিতে পারে না ‘

বাজেট প্রসঙ্গে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ- সিপিডির বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা তো গতানুগতিক ধারায় কথা বলে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের দামের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে বিশ্বের সবাই কষ্টে আছে। বিশ্ব পরিস্থিতি কারণেই মানুষ কষ্টে আছে। সরকার মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে না। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার চেষ্টা করছে।

বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপির সময় আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে হামলা করা হতো আওয়ামী লীগের সময় বিএনপির কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ কখনো হামলা করেনি।

কাদের বলেন, বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগ বারবার নির্যাতিত হয়েছে কিন্তু বর্তমানে বিএনপি অবাধ ভাবে রাজনীতি করার সুযোগ পাচ্ছে।


বাজেটের কারণে দরিদ্রের সংখ্যা আরও বাড়বে: জি এম কাদের

শুক্রবার রাজধানীর উত্তরার বিসিক মিলনায়তনে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২ জুন, ২০২৩ ২২:২৫
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

প্রস্তাবিত বাজেটের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো সম্পর্ক নেই বলে মনে করছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তিনি বলেছেন, নিজেদের স্বার্থে ও আইএমএফ-এর পরামর্শে যেভাবে ট্যাক্স ধরা হয়েছে তাতে সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকাটা কষ্টের হয়ে উঠবে। এই বাজেটের কারণে সাধারণ মানুষ ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা আশা করছি, মানুষের ক্ষতি যেন কম হয়।

রাজধানীর উত্তরার বিসিক মিলনায়তনে উত্তরা কালচারাল সোসাইটির ১৫তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শুক্রবার জি এম কাদের আরও বলেন, মূল্যস্ফীতি লাগামছাড়া হয়ে উঠবে। এখনই মানুষের জীবন বাঁচাতে ত্রাহি অবস্থা। বাজেট বাস্তবায়ন হলে মানুষের অবস্থা কেমন হবে তা জানি না। এই বাজেটের কারণে দরিদ্রের সংখ্যা আরও বাড়বে। যারা মধ্যবিত্ত হিসেবে সম্মানের সঙ্গে আছেন, তাদের দরিদ্র হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই বাজেটের কারণে দেশে বিপর্যয় নেমে আসবে।

তিনি বলেন, চাপিয়ে দিয়ে এই বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারবে না। সম্পূর্ণ ঋণনির্ভর বাজেট বাস্তবায়ন হয় না। মানুষের গলায় রশি লাগিয়ে সরকার বাজেট অনুযায়ী ট্যাক্স আদায় করতে পারবে না। রিজার্ভসংকটের কারণে বিদেশি ঋণ পাওয়াও সহজ হবে না। দেশি ব্যাংকগুলো এখনই ঋণ দিতে পারছে না। সরকারকে টাকা ছাপিয়ে টাকার সংকুলান করতে হচ্ছে। টাকা আরও ছাপাতে হবে, এতে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, জাতীয় সংসদে সার্কাস চলছে। সংসদে গণমানুষের কথা বলা যায় না। গণমানুষের কথা বললে অবান্তর মনে করা হয়। এমন বাস্তবতা থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে।


banner close