শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
৫ পৌষ ১৪৩২

জাতীয় পার্টির অশান্তির নেপথ্যে: জোটের রাজনীতিতে কদর বাড়াতে নতুন কৌশল

জাতীয় পার্টির লগো। ছবি: সংগৃহীত
আমানউল্লাহ আমান
প্রকাশিত
আমানউল্লাহ আমান
প্রকাশিত : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০৭:৫১

জাতীয় পার্টির সাম্প্রতিক গৃহদাহের পেছনে দলের নীতিনির্ধারকদের ভবিষ্যৎমুখী রাজনীতির কৌশল হিসেবে ভাবছেন দলটির নেতা-কর্মী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আগামী নির্বাচনে দলটির ভূমিকা কী হবে সেটা নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে দেবর জি এম কাদের ও ভাবি রওশন এরশাদের মধ্যে মতভেদ সাম্প্রতিক অশান্তির কারণ বলে মনে করছেন অনেকে।

গত কিছু দিন যাবত দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর কণ্ঠে সরকারের সমালোচনা প্রকটভাবে শোনা যায়। অনেকে মনে করছেন, জোট আর ভোটের রাজনীতিতে নিজেদের কদর বাড়াতেই তারা সরকারবিরোধী ভূমিকা নিচ্ছেন।

অন্যদিকে দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও এরশাদপত্নী রওশন এরশাদ অনেকটাই সরকারঘেঁষা হিসেবে পরিচিত। জি এম কাদেরসহ সরকারবিরোধী অংশের তৎপরতা ঠেকাতে অসুস্থ হয়ে দেশের বাইরে চিকিৎসাধীন হঠাৎই সক্রিয় হয়ে উঠেছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সাব্বির আহমেদ দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘এ ধরনের দলগুলোতে স্বার্থের দ্বন্দ্বই প্রকট থাকে। মূলত নিজেদের স্বার্থ ঠিক রাখতেই দলের ভেতর এই জটিলতা।’

রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি জাতীয় পার্টি গঠন করেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ১৯৮২ সালে সামরিক শাসনের মাধ্যমে ক্ষমতা নেয়া এরশাদ দেশ শাসন করেছেন ১৯৯০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।

রাষ্ট্রপতি থেকে পদত্যাগে বাধ্য হওয়ার পরও আমৃত্যু নির্বাচনী রাজনীতিতে অনেকটা শক্ত অবস্থান নিয়েই বেঁচে ছিলেন তিনি। রাজনীতির নানা মেরুকরণে তার জীবদ্দশাতেই জাতীয় পার্টি ভেঙেছে ৯ বার। দলটির বর্তমান চেয়ারম্যান ও এরশাদের ছোট ভাই জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টিতে আবারও বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকে আশঙ্কা করছেন, নতুন করে আবারও ভাঙনের মুখে পড়তে যাচ্ছে দলটি। তবে জাতীয় পার্টি মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, যখন আমাদের চেয়ারম্যান জি এম কাদের জাতীয় পার্টির রাজনীতির কৌশল পরিষ্কার করছেন, যখন তিনি বলছেন, আমরা এখন আর কোন জোটে নেই, জাতীয় পার্টি কারও দালালি করবে না, তখন হয়তো কারও কারও কষ্ট হতে পারে।

চুন্নু বলেন, যারা দালালি করতে চায় তারা কখনোই সফল হবে না। দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কারণে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনীতি থেকে দেশের মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। দেশের মানুষ জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায়।

জাতীয় পার্টির নেতারা বলছেন, ৯০ সালের পর এত বড় সংকটে কখনো পড়তে হয়নি দলটিকে। ভোটের রাজনীতিতে নিজেদের যেমন প্রভাব ছিল, তেমনি দলও ছিল চেয়ারম্যানের একক নিয়ন্ত্রণে। ২০১৪ সালের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাতীয় পার্টি নতুন সংকটে পড়ে। সেবার এরশাদ নির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও রওশন এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির একটি অংশ ওই নির্বাচনে অংশ নেয়। নির্বাচনের পর রওশন এরশাদ হন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা।

সেই সুবাদেই জাতীয় পার্টিতে একক নিয়ন্ত্রণ হারান দলটির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এতে জাতীয় পার্টি যেমন সাধারণ মানুষের কাছে ইমেজ সংকটে পড়েছে তেমনি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ হয়েছেন হাস্যরসের পাত্র। তাই জাতীয় পার্টির হারানো ইমেজ পুনরুদ্ধার ও দলে চেয়ারম্যানের একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছেন জি এম কাদের।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, জি এম কাদেরের উদ্যোগে পার্টির সরকারঘেঁষা অংশটি পড়েছে বেকায়দায়। ওই অংশটি এরশাদের নেতৃত্ব অস্বীকার করে রওশনের নেতৃত্বে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। জি এম কাদের দলের চেয়ারম্যান হওয়ায় তারাই সবচেয়ে বড় বিপদে পড়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজেদের স্বার্থরক্ষায় ওই অংশটিই আবার ভর করেছে অসুস্থ রওশনের ওপর।

রওশন এরশাদ-জি এম কাদেরের দ্বন্দ্ব পুরোনো। এরশাদ তার মৃত্যুর আগে সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ভাগ করে দিয়ে যান। গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা করে একটি প্রেস রিলিজ প্রকাশ করেন এরশাদ। তবে ওই সময়ে রওশনপন্থিদের অভিযোগ ছিল, অসুস্থ এরশাদকে ব্ল্যাকমেইল করে ওই স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে।

এরশাদের মৃত্যুর পর জাতীয় পার্টির দ্বিধাবিভক্ত কমিটি ঘোষণা হয়। ওই সময় জি এম কাদেরপন্থিদের দাবি ছিল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার দুটি পদই পাবেন জি এম কাদের। তবে ঐক্যের স্বার্থে বৈঠকে বসেন ভাবি আর দেবর। জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিরোধীদলীয় নেতার পদ রওশনকে দিয়ে সমঝোতা হয় দুজনের। পার্টির চেয়ারম্যান পদে থেকে যান জি এম কাদের।

এরশাদের সময় থেকে জি এম কাদের পর্যন্ত দলটির মহাসচিব পরিবর্তন করা হয় বারবার। সাবেক মহাসচিবদের নেতৃত্বে কয়েকটি উপদল সক্রিয় রয়েছে নিজেদের অবস্থান ঠিক রাখার জন্য। আর জি এম কাদের চেয়ারম্যান হওয়ায় অনেক নেতাই পড়ে গেছেন সাইডলাইনে। রওশন এরশাদকে কেন্দ্র করে জি এম কাদেরের সঙ্গে দরকষাকষি করতে চান ওই নেতারা।

গত ৩০ আগস্ট জাতীয় পার্টির সম্মেলন আহ্বান করে চিঠি পাঠান দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। গত ১ সেপ্টেম্বর দলের ২৩ জনের সংসদ সদস্যের স্বাক্ষর নিয়ে রওশনকে বিরোধীদলীয় নেতার পদ থেকে সরাতে স্পিকারকে চিঠি দেন জি এম কাদের। তবে ওই চিঠির বিষয়ে সব সংসদ সদস্য একমত ছিল না বলে গণমাধ্যমে প্রকাশ করায় দলের সব পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় মসিউর রহমান রাঙ্গাকে।

এ বহিষ্কারের পর নতুন করে আলোচনায় আসে জাতীয় পার্টির গৃহবিবাদ। এ প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির সূত্রগুলো বলছে, মসিউর রহমান রাঙ্গাসহ কিছু নেতা রওশন এরশাদকে সামনে রেখে জাতীয় পার্টিতে নিজেদের অবস্থান পোক্ত করতে চান।

দলের বেশির ভাগ নেতা জি এম কাদেরের সিদ্ধান্তে একমত বলে সূত্র জানিয়েছে। তারা বলছেন, সুবিধাবাদীদের বাদ দিয়ে জাতীয় পার্টিকে চালাতে হবে। রওশন এরশাদ যে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি ঘোষণা করেছেন তাতে জাতীয় পার্টির সাবেক কয়েকজন সংসদ সদস্য ও প্রেসিডিয়াম সদস্য আছেন। এদের কেউ কেউ ২০১৮ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারেননি। তারাই রওশন এরশাদের ওপর ভর করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছেন বলে দলীয় সূত্রের অভিযোগ।

এ প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আলমগীর সিকদার লোটন দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘জাতীয় পার্টি একটা নিজস্ব ধারায় রাজনীতি করতে চাচ্ছে জি এম কাদেরের নেতৃত্বে। উনি এককভাবে দলটাকে সংগঠিত করতে চাচ্ছেন। চেয়ারম্যানের লক্ষ্য একক নির্বাচনের দিকে। যদি কোনো জোট হয় সেটা নির্বাচনী সমঝোতা হতে পারে।’

তিনি বলেন, কারও ইন্ধনে বা তৃতীয় পক্ষ জড়িত আছে। সুবিধাবাদী একটা গোষ্ঠী তো সব দলেই থাকে। আমাদের দলে সুবিধাবাদীদের সংখ্যাটা একটু বেশি। আমাদের নিজস্ব পরিচয় আছে। যদি আমাদেরকে দালাল বলে তা হলে জাতীয় পার্টি করে লাভ কী? তা হলে আওয়ামী লীগই করি।

অব্যাহতির প্রত্যাহার চান রাঙ্গা, চুন্নু বললেন এখতিয়ার চেয়ারম্যানের

দলের সব পদ থেকে নিজের অব্যাহতির আদেশে অখুশি নন জানিয়ে তা প্রত্যাহারের দাবি করেছেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা। তবে কাউকে পার্টিতে ফেরানোর এখতিয়ার শুধু জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।

পৃথক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল বৃহস্পতিবার এসব কথা বলেন দলটির দুই নেতা। গত বুধবার মসিউর রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেন দলের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।

গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে রাঙ্গার কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের রংপুরে কীভাবে রাজনীতি করে সেটা দেখে নেয়ার হুমকি প্রসঙ্গে। রাঙ্গা বলেন, অব্যাহতির আদেশ পাওয়ার পরে আমি একটু রাগান্বিত ছিলাম। এটা অস্বীকার করব না। আমি চেয়ারম্যানকে যে চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলাম, সেটা তুলে নিয়েছি। রংপুরেও আর কোনো ঝামেলা হবে না। সেটা গতকাল (বুধবার) রাতেই বলে দিয়েছি।

তিনি বলেন, আমি কোনো অন্যায় করিনি। এটা বলার জন্য আজকে এই সংবাদ সম্মেলনে ডেকেছি। আমি আমার বহিষ্কারাদেশে অখুশি নই। আমি চাই দলটা যেন সুন্দরভাবে চলে। না ভেঙে যায়। দলটাকে ছোট করা ঠিক হবে না। প্রয়োজনে আমি নিজেই দলে থাকব না।

কেন আপনাকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে জানতে চাইলে রাঙ্গা বলেন, সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদকে সরিয়ে জি এম কাদেরকে করার বিষয়ে যে চিঠি দেয়া হয়েছে তার প্রক্রিয়া সঠিক ছিল না। এটা আমি একটা টেলিভিশনকে বলেছিলাম, এই জন্য আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে মনে করছি।

আগামীতে জাতীয় পার্টির রাজনীতি না করতে পারলে অন্য কোনো দলে যাবেন না বলেও দাবি করেন তিনি। রাঙ্গা বলেন, আগামীতে জাতীয় পার্টি রাজনৈতিক দল হিসেবে থাকবে। আগামীতে শুধু দুটি রাজনৈতিক দল থাকবে। কোন দুটি থাকবে, সেটা আমি বলব না। তবে সেখানে আমরা (জাতীয় পার্টি) থাকব না।

এ দিকে বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্যই মসিউর রহমান রাঙ্গাকে দলের পদ-পদবী থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, গেল এক বছর ধরে গণমাধ্যম, সংসদ ও বিভিন্ন ফোরামে মসিউর রহমান রাঙ্গা সংগঠনের নীতি ও অবস্থানবিরোধী কথা বলছিলেন। গেল এক মাস আগেও এমন একটি অবস্থার প্রেক্ষিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন মসিউর রহমান রাঙ্গা। তখন সংগঠনবিরোধী কোনো কাজ করবেন না বলেও অঙ্গীকার করেছিলেন তিনি। তবে মসিউর রহমান রাঙ্গার প্রতি পার্টির সিদ্ধান্ত গঠনতন্ত্র ও বিধি মোতাবেক হয়েছে।

তিনি বলেন, যদি জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান চান তবেই মসিউর রহমান রাঙ্গা জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে ফিরতে পারবেন। কারণ, কাউকে পার্টিতে ফেরানোর এখতিয়ার শুধু জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের। এ সময় তিনি বলেন, কেউ দল থেকে চলে যেতে পারে তাতে দলের কোনো ক্ষতি হয় না।

তিনি বলেন, এখন গঠনতন্ত্রের বিশ ধারার সমালোচনা করছেন মসিউর রহমান রাঙ্গা, কিন্তু যখন মহাসচিব ছিলেন তখন তো এই ধারার কথা কখনোই বলেননি তিনি।


ওসমান হাদিকে হত্যাকাণ্ডের পেছনে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র রয়েছে : সালাহউদ্দিন আহমদ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের পেছনে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র রয়েছে।’

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘একটি মহল দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে গণতন্ত্র এবং নির্বাচনের পথকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে। নির্বাচন প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার হীন উদ্দেশে পতিত স্বৈরাচারী শক্তির সঙ্গে দেশি-বিদেশি দোসররা এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা হাদির এই বর্বর হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। তবে, যারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়, তারা যেন এই ঘটনাকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে না পারে। এ বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। নির্বাচন পেছানো বা বানচালের কোনো ষড়যন্ত্র যাতে সফল না হয়, এজন্য দেশের জনগণকে সজাগ থাকতে হবে।’

আগামী দিনের বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সমাবেশের মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হবে। সেই সমাবেশের মধ্য দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে যে, দেশে আর কোনো ষড়যন্ত্র দানা বাঁধতে পারবে না।’

এসময় আসন্ন নির্বাচনে দলের বাকি প্রার্থীদের মনোনয়নের বিষয়ে খুব দ্রুতই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে জানান সালাহউদ্দিন আহমদ।


রোববার জরুরি সভা ডেকেছে ছাত্রদল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল জরুরি সভা আহ্বান করেছে। আগামীকাল রবিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটায় রাজধানীর নয়াপল্টনে অবস্থিত ভাসানী ভবনের তৃতীয় তলায় এই সভা অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক (সহসভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির কেন্দ্রীয় সংসদের সব পর্যায়ের নেতাদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

এছাড়া একই স্থানে বিকেল সাড়ে ৪টায় আরও একটি জরুরি সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এবং ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ কলেজগুলোর (ঢাকা কলেজ, তেজগাঁও কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ) নেতারা অংশ নেবেন। পাশাপাশি ঢাকা মহানগর (উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম), ঢাকা জেলা (উত্তর ও দক্ষিণ), গাজীপুর জেলা ও মহানগর, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মুন্সীগঞ্জ এবং নরসিংদী জেলা শাখার ‘সুপার ফাইভ’ নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সংসদের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।


তারেক রহমানকে স্মরণীয় সংবর্ধনা দিতে প্রস্তুত বিএনপি: ইশরাক হোসেন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা-৬ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে তাকে স্মরণীয় সংবর্ধনা দিতে দল ও জনগণ সম্পূর্ণ প্রস্তুত। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর গোপীবাগে সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এক প্রস্তুতি সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ইশরাক হোসেন বলেন, ‘তারেক রহমানের আগমনকে ঘিরে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ থাকবে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতা-কর্মীদের আমরা সুশৃঙ্খল ও সংগঠিতভাবে বরণ করে নেব। এটি হবে ইতিহাসের একটি স্মরণীয় সংবর্ধনা।’

দেশের বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের ‘চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের’ জামিনে বের হওয়ার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তিনি অভিযোগ করেন, বিরোধী মত দমনে সহিংসতার রাজনীতি থেকে আওয়ামী লীগ এখনও সরে আসেনি।

আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে ইশরাক হোসেন বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে জয়লাভের লক্ষ্য নিয়েই। জয়ের জন্য কেন্দ্রভিত্তিক শক্তিশালী ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা এবং ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কড়া নজরদারি বজায় রাখার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া চান এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে দল ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ঢাকা-৫ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নবীউল্লাহ নবী, ঢাকা-১০ আসনের শেখ রবিউল আলম, ঢাকা-৭ আসনের হামিদুর রহমান হামিদ এবং ঢাকা-৯ আসনের হাবিবুর রশিদ হাবিব প্রমুখ।


একটি চক্রান্তকারী মহল পরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে: সুলতান সালাউদ্দিন টুকু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনীত এমপি প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু অভিযোগ করেছেন, একটি চক্রান্তকারী মহল পরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, যারা গণতন্ত্র এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না, তারাই মূলত নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এবং দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়।

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বিন্যাফৈর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা এবং দাইন্যা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ফারুকের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, আগামী ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে সব ষড়যন্ত্র ম্লান হয়ে যাবে এবং দেশের মানুষ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাবে।

আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, সব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত সময়েই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, ইনশাআল্লাহ। তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। তবে এবার মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদের সব দোসর এবং দেশে সংঘটিত সব হত্যাকাণ্ডের বিচার এই বাংলার মাটিতেই নিশ্চিত করবে জনগণ।

রফিকুল ইসলাম ফারুক স্মৃতি সংঘের সভাপতি আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাবেক সদস্যসচিব মাহমুদুল হক সানু, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার রাশেদুল আলম রাশেদ, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক দুর্জয় হোড় শুভ এবং জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মনিরুল হকসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।


মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য এ কে খন্দকার চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন: মির্জা ফখরুল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিমান বাহিনী প্রধান এবং সাবেক মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকার, বীর উত্তমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য এ কে খন্দকার জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দলের সহ-দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. তাইফুল ইসলাম টিপুর সই করা এক শোকবার্তায় বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের প্রতি মমত্ববোধ এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এ কে খন্দকারের নিবেদিতপ্রাণ ভূমিকা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তিনি স্মরণ করেন যে, ১৯৭১ সালে গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিসেবে এ কে খন্দকার মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ও সাহসী ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি ছিলেন মুক্তি বাহিনীর উপ-প্রধান এবং পরবর্তীতে স্বাধীন দেশের বিমান বাহিনীর প্রথম প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ‘বীর উত্তম’ খেতাব এবং ২০১১ সালে স্বাধীনতা পদক লাভ করেন।

শোকবার্তায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, পৃথিবী থেকে তার চিরবিদায়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে ব্যথিত ও মর্মাহত। তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

উল্লেখ্য, শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে বার্ধক্যজনিত কারণে ৯৫ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন এ কে খন্দকার।


ক্ষমতায় গেলে খেলাধুলাকে ‘পেশা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেবে বিএনপি: আমিনুল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামীতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে খেলাধুলাকে একটি সম্মানজনক পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা এবং তৃণমূল পর্যায় থেকে উঠে আসা প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের রাষ্ট্রীয়ভাবে দায়িত্ব নেওয়ার মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বিএনপি। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান দলের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক।

এদিন তিনি সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে বাংলাদেশের হয়ে রৌপ্য পদক জয়ী এবং অনূর্ধ্ব–১৯ বালিকা চ্যাম্পিয়ন খই খই সাই মারমার হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেন। এ সময় আমিনুল হক জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ব্যক্তিগতভাবে খই খই সাই মারমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। যতদিন এই অ্যাথলেট নিজের পায়ে না দাঁড়াবেন বা প্রতিষ্ঠিত না হবেন, ততদিন দল তার পাশে থাকবে।

বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক দেশের ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বলেন, “চতুর্থ শ্রেণি থেকে খেলাধুলা বাধ্যতামূলক করা এবং খেলাধুলাকে পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। এজন্য ‘নিউ কুঁড়ি স্পোর্টস’ নামে একটি বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের খুঁজে বের করা হবে। তাদের পড়াশোনা ও খেলাধুলার যাবতীয় ব্যয়ভার সরকারিভাবে বহন করা হবে।”

তিনি আরও জানান, দেশের খেলার মাঠের সংকট নিরসনে যেখানেই খালি জায়গা পাওয়া যাবে, সেখানেই সরকারি উদ্যোগে খেলার মাঠ তৈরি করা হবে। কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে সাবেক এই জাতীয় ফুটবলার বলেন, প্রতিটি উপজেলায় ক্রীড়া কর্মকর্তা এবং প্রতিটি স্কুলে বিষয়ভিত্তিক ক্রীড়া শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া খেলোয়াড়দের বয়সসীমা থাকলে সরকারি চাকরিতে এবং বয়সসীমা না থাকলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে।

নারী ক্রীড়াবিদদের প্রসঙ্গে আমিনুল হক বলেন, ছেলে ও মেয়েদের সমান সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার পাশাপাশি নারী ক্রীড়াবিদদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই বিএনপির অঙ্গীকার। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করতে পারলে ক্রীড়াঙ্গনে কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


বাগেরহাটের দুই আসনে বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত: জাকির ও ফরিদুল পেলেন ধানের শীষ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দীর্ঘদিনের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট জেলার দুটি সংসদীয় আসনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে মনোনয়নপ্রাপ্ত দুই নেতা তাদের ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বাগেরহাট-২ (সদর ও কচুয়া) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে প্রার্থিতার বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি সবার দোয়া ও ভালোবাসা কামনা করেছেন। ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ‘সম্প্রীতি বাগেরহাট’-এর চারটি আসন রক্ষার আন্দোলনে এবং দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া রাজনৈতিক মামলাগুলো আইনিভাবে মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন।

অন্যদিকে, বাগেরহাট-৩ (মোংলা–রামপাল) আসনে ধানের শীষের টিকিট পেয়েছেন বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম। মনোনয়ন পাওয়ার পর এক ফেসবুক পোস্টে তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও নীতি-নির্ধারণী নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তিনি দলের অভ্যন্তরীণ সব বিভাজন ভুলে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান এবং ধানের শীষের বিজয়ের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। ড. ফরিদুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন।

এদিকে বাগেরহাট জেলার বাকি দুটি আসন, বাগেরহাট-১ ও বাগেরহাট-৪-এ বিএনপির প্রার্থী এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন রয়েছে যে, বাগেরহাট-১ আসনে বাবু কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল এবং বাগেরহাট-৪ আসনে সোমনাথ দে দলীয় মনোনয়ন পেতে পারেন।


যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইবে তাদের প্রতিহত করা হবে: মির্জা আব্বাস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইবে, প্রয়োজনে তাদের প্রতিহত করা হবে। তিনি বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান যেভাবে বাকশাল ভেঙে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান যেভাবে জনগণের পাশে ছিলেন, আগামীতেও বিএনপি ঠিক সেভাবেই মানুষের পাশে থাকবে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পুরান ঢাকার গোপীবাগের সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আয়োজিত এক প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস ষড়যন্ত্রকারীদের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, যারা দেশের ভালো চায় না এবং দেশকে ভালোবাসে না, তারা দেখতে মানুষের মতো হলেও আসলে ‘মানুষরূপী শয়তান’। এরা ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের বিরোধিতা করেছিল এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছিল। কিছুদিন চুপ থাকলেও এখন তাদের নখ ও বিষদাঁত আবার দৃশ্যমান হচ্ছে এবং তাদের কার্যক্রম খুবই ধারাবাহিক। তবে গণতন্ত্রের সামনে অগণতান্ত্রিক শক্তি কখনোই টিকে থাকতে পারে না বলে তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের সতর্ক করে দেন।

সাবেক এই মন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের রক্ষক, ভক্ষক নয়। বিএনপি হত্যা, গুম বা ‘মব জাস্টিস’-এর রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। তবে তার মানে এই নয় যে, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে রক্ত দিয়ে অর্জিত অধিকার কেউ ছিনিয়ে নিতে চাইলে বিএনপি হাত গুটিয়ে বসে থাকবে। দেশের সর্বত্র এখন অসহায়ত্বের ধ্বনি শোনা যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শহীদ জিয়ার হাতে প্রতিষ্ঠিত এবং বেগম খালেদা জিয়ার লালিত সেই গণতন্ত্র সাথে নিয়ে দেশে ফিরছেন তারেক রহমান। তারেক রহমানের দেশে ফেরা মানেই গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন, আর দেশের জনগণ তাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা-১০ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শেখ রবিউল আলম, ঢাকা-৬ আসনের ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, ঢাকা-৭ আসনের হামিদুর রহমান হামিদ, ঢাকা-৯ আসনের হাবিবুর রশিদ হাবিব, ঢাকা-৫ আসনের নবী উল্লাহ নবী এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আ ন ম সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।


ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের পেছনে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র রয়েছে: সালাহউদ্দিন আহমেদ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের পেছনে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, একটি মহল দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে গণতন্ত্র এবং নির্বাচনের পথকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে। নির্বাচন প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার হীন উদ্দেশ্যে পতিত স্বৈরাচারী শক্তির সঙ্গে দেশি-বিদেশি দোসররা জড়িত থাকতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

আগামী দিনের রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে তিনি বলেন, আগামী ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সমাবেশের মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হবে। সেই সমাবেশের মধ্য দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে যে, দেশে আর কোনো ষড়যন্ত্র দানা বাঁধতে পারবে না।

এ সময় আসন্ন নির্বাচনের জন্য দলের বাকি প্রার্থীদের মনোনয়নের বিষয়েও কথা বলেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা। তিনি জানান, দলের অবশিষ্ট মনোনয়নের বিষয়ে খুব দ্রুতই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে জানানো হবে।


মব-হামলা-ভাঙচুর একটা নীলনকশার অংশ : মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর | ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ছায়ানটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মব তৈরি করে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার ‘নীলনকশার’ একটা অংশ বলে মনে করছেন।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি ওসমান হাদিকে হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে দেশে ‘মব, হামলা, ভাঙচুর- এগুলো একটা ব্লু প্রিন্টের (নীলনকশা) অংশ বলেই আমরা মনে করি।’

এসব কর্মকাণ্ডেরা মাধ্যমে বাংলাদেশে ‘উগ্রবাদকে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা’ করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ফখরুল বলেন, ‘তবে বাংলাদেশে জোর করে চাপিয়ে, মব সৃষ্টি করে কিছু করা যাবে না। কারণ বাংলাদেশের উদার সংস্কৃতিতে এটা সম্ভব না।’

এসব ঘটনাপ্রবাহকে ‘নির্বাচন ঠেকানোর অপচেষ্টা’ বলেও বিএনপি মনে করছে বলে জানান মির্জা ফখরুল।


দেশের জনগণ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবে : আমান উল্লাহ আমান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি

দেশের জনগণ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, কারণ নির্বাচন ছাড়া কখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় না বলে মন্তব্য করেছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে কেরানীগঞ্জের তারানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ড্যাব কর্তৃক আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প পরিদর্শনপূর্বক এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। যে কোনো মূল্যে নির্বাচন হতে হবে। কোন ষড়যন্ত্র বা চক্রান্ত করে নির্বাচন প্রতিহত করা যাবে না।

আলোচনা সভা শেষে তিনি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প পরিদর্শন করেন এবং রোগীদের খোঁজখবর নেন। এ সময় ক্যাম্পে বিশজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রায় ৫ শতাধিক রোগীকে চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন এবং বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ড্যাবের কোষাধ্যক্ষ ডা. মো. মেহেদী হাসান, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মো. জাভেদ আহমেদ, ঢাকা জেলা ড্যাব সভাপতি ডা. মাহমুদ আলম তারেক, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ও কেরানীগঞ্জ ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. আলিনুর পলাশ এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফখরুল আলম বাদলসহ আরও অনেকে।


হাদি হত্যার বিচার চেয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে ছাত্রদলের স্মারকলিপি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শহীদ জুলাই বিপ্লবী ও আধিপত্যবাদবিরোধী প্ল্যাটফর্ম ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী ও গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তাসহ চার দফা দাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সংগঠনটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরসহ শীর্ষ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর হাতে এ স্মারকলিপি তুলে দেন।

স্মারকলিপিতে ছাত্রদল উল্লেখ করে, শহীদ ওসমান বিন হাদি ছিলেন একজন আপসহীন তরুণ নেতা ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সাংস্কৃতিক সংগ্রামের অগ্রপথিক। ফ্যাসিস্টদের পরিকল্পনায় তিনি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের পূর্বপ্রস্তুতি ও ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর উদ্যোগের অভাব, যোগ্যতা ও আন্তরিকতার ঘাটতি এবং ঘটনার দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও হত্যাকারী ও নেপথ্যের কুশীলবদের গ্রেপ্তারে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, এই হত্যাকাণ্ড কেবল একটি ব্যক্তির জীবন কেড়ে নেওয়ার ঘটনা নয়; বরং এটি ফ্যাসিবাদবিরোধী কণ্ঠরোধের ভয়াবহ দৃষ্টান্ত। এর মাধ্যমে গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-যুব ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের নিরাপত্তা আজ চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।

স্মারকলিপিতে ছাত্রদল নেতারা বলেন, আইনের শাসন ও নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব। দ্রুত এসব দাবি বাস্তবায়নের মাধ্যমে শহিদ ওসমান বিন হাদির আত্মত্যাগের প্রতি ন্যূনতম সম্মান প্রদর্শিত হবে এবং জনগণের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে।


সরকারকে পরিস্থিতি আন্দাজ করে আগেই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল: সালাহউদ্দিন আহমদ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজেস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুকে ঘিরে যে অরাজকতা সৃষ্টি করা হয়েছে সেই পরিস্থিতি আন্দাজ করে আগেই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বিএনপি এ ধরনের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানায়, তিনি আরও বলেন, ‘সরকারকে আমরা অনুরোধ করবো, যেন তারা সব ধরনের কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়। তবে এক্ষেত্রে সরকারের কিছু বিষয় নিয়ে সমালোচনারও জায়গা আছে। এ ধরনের পরিস্থিতি আন্দাজ করা উচিত ছিল। গোয়েন্দা প্রতিবেদন থাকা দরকার ছিল এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা আগে থেকেই নেওয়া উচিত ছিল।’

‘কিছু নির্দিষ্ট লক্ষ্যের স্থান আগে থেকেই নির্ধারণ করা হয়েছিল বলে আমরা দেখেছি। এর মাধ্যমে সারাদেশে একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার কোনো অপপরিকল্পনা বা অপকৌশল আছে কি না তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন, যোগ করেন তিনি।

তবে বিএনপির নেতা দাবি করেন, এ ধরনের কোনো কার্যকলাপের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। গণতান্ত্রিক উত্তরণকে কোনোভাবেই রুদ্ধ করা যাবে না।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, নিরাপত্তাজনিত সব বিষয় নিয়ে সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে। সরকার এক্ষেত্রে যথেষ্ট সহযোগিতা করছে।

তিনি তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচি প্রসঙ্গে বলেন, এটি কোনো জনসভা নয়। এটি ৩০০ ফুটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হবে। আজই বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। তারেক রহমান জনগণের সামনে উপস্থিত হবেন, জনগণকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাবেন। এটি সদস্যপদ বিতরণ বা জনসভা নয়।

সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, আগামী ২৫ ডিসেম্বর এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।


banner close