জাতীয় পার্টিতে ফের গৃহদাহ শুরু হয়েছে। এতদিন দেবর জি এম কাদেরের সঙ্গে ভাবি রওশন এরশাদের দ্বন্দ্বে এবার যুক্ত হয়েছেন রওশনপুত্র রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ। সম্প্রতি সম্মেলনের প্রস্তুতি হিসেবে দলকে চাঙা করতে সারা দেশ সফরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রওশনপন্থিদের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি। এ উপলক্ষে আয়োজিত জরুরি সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাদ এরশাদ। এদিকে এরশাদের মৃত্যুর আগেই বিবাহবিচ্ছেদ নেয়া বিদিশা সিদ্দিকও জাতীয় পার্টির উত্তরাধিকার দাবি করছেন। তবে এসব কর্মকাণ্ডকে পাত্তা দিচ্ছেন না জাতীয় পার্টিতে জি এম কাদেরের অনুসারী নেতারা।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. শান্তনু মজুমদার দৈনিক বাংলাকে বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল এবং দল তৈরি করার যে সংস্কৃতি, তাতে এই দলটা কতটুকু টিকে থাকবে, সেটা আগামী নির্বাচনে বোঝা যাবে। আগে ছিল দলের ভেতর, এখন ঘরের ভেতর গৃহদাহ। এই ধরনের দল গণতন্ত্রের বিকাশে কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না। বড় দলগুলো চায় যত বেশি ছোট দলকে নিজেদের পক্ষে রাখা যায়। তাই তাদের একটি অংশ হয়তো চাচ্ছে যত বেশি শক্ত অবস্থান নেয়া যাবে, তত বেশি ভাগ নেয়া যাবে। আরেকটা অংশ হয়তো ভাবছে চাপের মধ্যে রাখি, না হলে হয়তো কিছুই পাব না। এদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, এদের কোনো আইকন নেই। যতদিন পর্যন্ত তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন, ততদিন উনি কোনোভাবে চালিয়েছেন। উনি চলে যাওয়ার পর কেউ কাউকে মান্য করে না, মান্য করার সংস্কৃতিও নেই।
জি এম কাদেরপন্থি নেতারা মনে করছেন, জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব নিয়ে রওশন-জি এম কাদেরের মাঝে একটা প্রতিযোগিতা রয়েছে। তার অংশ হিসেবেই সম্মেলন ডাকা হয়েছিল। কিন্তু সেটা সমঝোতা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে রওশনের কার্যকলাপে মনে হচ্ছে তিনি নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে চাচ্ছেন না। রওশনের সঙ্গে জাতীয় পার্টির একটি গ্রুপ মিশে গেছে, যারা সরকারের সঙ্গে থাকতে চায়। রওশনকে সামনে রেখে সরকারের সুদৃষ্টি পেতে চায়। তবে বিষয়টি এত সহজ নয়।
ওই নেতারা বলছেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সভা মনে করে, এখন যেভাবে চলছে, সেভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকার কোনো অর্থ নেই। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে সম্মানজনকভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট হতে পারে। বিএনপির সঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। জাতীয় পার্টির ৮০ শতাংশ নেতা-কর্মী জি এম কাদেরের সঙ্গে আছে। সেই হিসাবে সাংগঠনিকভাবে জি এম কাদের অনেক শক্তিশালী।
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনে অংশ নেয়া হবে- রওশন এরশাদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে জাতীয় পার্টির একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘ম্যাডাম তো কথা বলতে পারেন না ঠিকভাবে। ওই দিন দেখলাম রাঙ্গা ভাই জোর করে ওনাকে দিয়ে এ কথা বলালেন। এইটা আমাদের প্রেসিডিয়াম সভা অনুমোদন করে না। নির্বাচনের বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়া।’
দলীয় সূত্র বলেছে, গত রোববার রাজধানীর বারিধারায় বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের মুখপাত্রের বাসভবনে ঈদ পুনর্মিলনী ও জরুরি সভা করে রওশনপন্থি জাতীয় পার্টির জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি। সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্যসচিব ও বিরোধীদলীয় নেতার রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ। ওই সভায় মে মাসকে সাংগঠনিক মাস ঘোষণা করে ৭৮টি সাংগঠনিক জেলা সফরের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর জুনের যেকোনো সুবিধাজনক সময়ে প্রতিনিধি সভা করার পক্ষে চূড়ান্ত মত গ্রহণ করা হয়। জেলা সফর সম্পন্ন করার জন্য চারটি কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক টিম গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ফয়সল চিশতী দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘দলে বিভক্তি এনে কেউ লাভবান হবেন না। উল্টো দলের ক্ষতি হবে, কর্মীরা বিপদে পড়বে। আমাদের দলের ঐক্য অটুট রাখতে হবে।’
এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘জাতীয় পার্টির রাজনীতি যে মানুষের জন্য তা আমরা তুলে ধরছি। আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। যারা জাতীয় পার্টির নাম ব্যবহার করে নিজেদের আলাদা দাবি করে, তাদের এসব করে লাভ হবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, কিছু লোক এমন করছে। যারা জাতীয় পার্টিকে দুর্বল করতে চায়, নিজেদের পকেটে রাখতে চায় তারা এসব করছে। আমি তো মূল ধারার কাউকে এমন করতে দেখছি না। এসব করে লাভ হবে না।’
এ প্রসঙ্গে রওশনপন্থি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্যসচিব ও বিরোধীদলীয় নেতার রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ্ দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘আমাদের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির বর্ধিত সভা আগামী মাসে হবে। ম্যাডাম চাচ্ছেন সবাইকে নিয়ে সম্মেলন করে নির্বাচনের আগে দলকে ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী করতে। কিন্তু ওনারা (জি এম কাদের) কেন চাচ্ছেন না তা আমি জানি না।’ এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ থাকবে। আমাদের মধ্যে কোনো বিভক্তি হবে না।’
জাতীয় পার্টির জি এম কাদেরপন্থিরা বলছেন, নির্বাচন সামনে রেখে এখন পর্যন্ত ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তারা। কিন্তু চূড়ান্ত কর্মপরিকল্পনা ঠিক হবে আরও পরে। ঈদের পর দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যদের বৈঠক ডাকার কথা রয়েছে। সেখানে মূলত জাতীয় পার্টি এককভাবে নাকি জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে তা ঠিক করা হবে। জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নিলেও এখানে দুটি বিষয় রয়েছে। একটি হচ্ছে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়া, অন্যটি হচ্ছে জাতীয় পার্টিসহ অন্য কয়েকটি দলকে সঙ্গে নিয়ে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়া। অর্থাৎ রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে জি এম কাদের তার কর্মপরিকল্পনা ঠিক করবেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জি এম কাদেরপন্থি এক প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান-আমেরিকা সফরের পর আগামী নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি কতটা সরকারের অনুকূলে থাকবে, সেটার পরিষ্কার বার্তা পাওয়া যাবে। তখন পরিস্থিতি বলবে সরকারের সঙ্গে থাকব, নাকি ভিন্ন চিন্তা করব। আর সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে জি এম কাদের তার রাজনৈতিক অবস্থান ঠিক করবেন। তবে মুখে বিরোধিতা করলেও এখন পর্যন্ত জি এম কাদেরও সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেই আসছেন।
জি এম কাদেরপন্থিরা বলছেন, রওশন এরশাদের সঙ্গে জি এম কাদেরের নিয়মিত কথা হয়। তার পক্ষ থেকে অনেক সুপারিশ আসে, যেগুলো জি এম কাদের মেনে চলছেন। এরপর রওশনপন্থি হয়ে যারা দ্বন্দ্ব তৈরি করে রাখছেন, তাদের বিষয়টিও দলের প্রেসিডিয়াম সভা ডেকে সুরাহা করা হবে। এই ক্ষেত্রে রওশন এরশাদ যদি প্রেসিডিয়ামের সভায় নেয়া সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত না হন, তাহলেও তার বিষয়ে কী করণীয় তাও পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত হবে। তবে রওশনপন্থি হিসেবে পরিচিত যাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তাদের কাউকে ফিরিয়ে না নেয়ার সিদ্ধান্তে অটল আছেন জি এম কাদের।
রওশনপন্থি নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগ পরপর দুবার রওশন এরশাদকে বিরোধীদলীয় নেতা বানিয়েছে। ফলে সেই কৃতজ্ঞতা থেকে এবং বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিলে আগামীতেও সরকার গঠন করার সম্ভাবনা বেশি আওয়ামী লীগেরই। তাই রওশন এরশাদ ও তার অনুসারীরা আগামী নির্বাচনেও সরকারের সঙ্গে থাকবেন। আর এখন যারা রওশন এরশাদের সঙ্গে আছেন, তাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়ন নিশ্চিত করা। এ জন্য জি এম কাদেরকে চাপে রেখে দলে ফেরা এবং সমঝোতা করাই মূল লক্ষ্য। এ ছাড়া জি এম কাদেরের সঙ্গে যারা আছেন, তারাও অনেকে প্রকাশ্যে ও গোপনে রওশন এরশাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন। যাতে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন নিয়ে কোনো ঝামেলায় পড়তে না হয়।
এদিকে ২০২১ সালে রওশন এরশাদ ও জি এম কাদেরের মধ্যে পদ-পদবি নিয়ে দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করলে তখন জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে নতুন করে আবির্ভাব ঘটে এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিকের। তখন তার সঙ্গে ছিলেন কাজী মামুনুর রশীদসহ দলছুট অনেক নেতা-কর্মী। এরপর ওই বছরের ১৪ জুলাই এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে এরশাদের ছেলে এরিক এরশাদ জাতীয় পার্টির ‘নতুন কমিটি’ ঘোষণা করেন। সেই অনুষ্ঠানে এরশাদের আরেক ছেলে সাদ এরশাদ যোগ দেন। ওই কমিটিতে রওশনকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানও করা হয়। সে সময় রওশনের সঙ্গে বিদিশার সখ্য গড়ে ওঠে। রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি রওশনকে দেখতেও যান বিদিশা। কিন্তু ওই বছরের ৪ নভেম্বর বিদিশা নিজেকে জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা করলে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ফলে তারা জাতীয় পার্টি পুনর্গঠন প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে আসেন। বর্তমানে বিদিশা সিদ্দিক ২০১৭ সালে এরশাদ ঘোষিত ৫৮ দলীয় সম্মিলিত জাতীয় জোটের চেয়ারম্যান। এই জোটকে নিয়ে সরকারের সঙ্গে থেকে আগামী নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।
বিদিশা সিদ্দিক দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘সারা দেশে জাতীয় পার্টিকে আড়াই বছর ধরে পুনর্গঠন করছি। আমি মনে করি তরুণদের ছাড়া রাজনীতি এগোতে পারবে না। আগামীতে তরুণদের নিয়ে সংসদে যাওয়ার বিষয়ে আমি আশাবাদী। জাতীয় পার্টি পুনর্গঠনে সারা দেশে ৪৭টি জেলায় কমিটি আছে। সাংগঠনিক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য শিগগিরই জেলা সফরে নামব।’ তিনি জানান, এরশাদ ঘোষিত ৫৮ দলীয় সম্মলিত জাতীয় জোটে এখন ৬০ দল আছে এবং ওই জোটের চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা ১০০টি আসনকে লক্ষ্য করে কাজ করছি। আগামী নির্বাচনে সরকার সহযোগিতা করবে। তার পরও আলাপ-আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেব।’
দেশের আলোচিত কন্টেন্ট নির্মাতা আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম আবারও জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন। আগেই ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি এবার ঢাকা-১৭ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তবে এখানেই থেমে নেই তিনি—বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসন থেকেও প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
হিরো আলম বলেন, ‘এর আগেও দুই আসন থেকে আমি নির্বাচন করেছি। এই আসনগুলোর মানুষের সঙ্গে আমার আলাদা সম্পর্ক আছে। কাল যখন ঢাকায় নির্বাচনের ঘোষণা দিলাম সেটা দেখে অনেকেই আমাকে কল দিয়েছেন। তারা আমাকে উৎসাহ দিচ্ছেন। তখন চিন্তা করলাম, জনগণ তো চায় আমি নির্বাচন করি। তাহলে আমি কেন দুই জায়গা থেকে করব না? তাই রাতে সিদ্ধান্ত নিয়েছি-আমি দুই আসন থেকেই নির্বাচন করবো।’
ঢাকা-১৭ আসনে হিরো আলমের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বেশ কিছু শক্ত প্রার্থীর সঙ্গে। এ আসনের অন্যতম আলোচিত প্রার্থী আন্দালিব রহমান পার্থ, যিনি বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এছাড়া জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ, এনসিপিসহ আরও কয়েকটি দলের প্রার্থীরাও এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
অন্যদিকে, বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে বিএনপি থেকে মোশারফ হোসেনকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এখানেও একাধিক দলের প্রার্থী থাকার কথা জানা গেছে। হিরো আলম সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানিয়েছেন।
হিরো আলম বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেওয়া আমার কাছে শুধু জয়ের বিষয় নয়, এটা একটি প্রতিবাদের মাধ্যমও। দেশে এখন একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক, এটাই সবার প্রত্যাশা। আমি ১০০ ভোট পেলেও কোনো সমস্যা নেই। মানুষ আসুক, ভোট দিন, উৎসব করুন।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক দলের প্রধানের সঙ্গে কথা হচ্ছে। আমি কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি। দলগুলো যেসব প্রস্তাব দিচ্ছে সেগুলো আমি মানতে পারব কি না সেটা ভেবে দেখছি। ব্যাটে-বলে মিললে কোনো দলে যাব। নইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হব।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস বলেছেন, বিশাল নির্বাচনী যাত্রাপথে নেমেছি। সবাই মিলে কাজ করে ঐক্যবদ্ধ থেকে দলকে জয়ী করতে হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, স্বচ্ছ নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিতে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
মনোনয়ন নিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, সুন্দর মনোনয়ন হয়েছে, অনেকে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন, কষ্ট পেয়েছেন, তারেক রহমান ভেবেচিন্তে করেছেন। বিশাল নির্বাচনী যাত্রাপথে নেমেছি। সবাই মিলে কাজ করে ঐক্যবদ্ধ থেকে দলকে জয়ী করতে হবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন সর্বোচ্চ তিনটি আসন থেকে নির্বাচন করতে পারবেন। এমন বিধান যুক্ত করে নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিও (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ছিল একাধিক আসনে কোনো ব্যক্তির প্রার্থী হওয়ার বিধান বাতিল করা। কমিশন জানায়, মূলত দুটি কারণে এই সুপারিশ করা হয়েছে। প্রথমটি হচ্ছে উপনির্বাচনের ব্যয় কমানো। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে প্রভাবশালী কোনো প্রার্থীকে একাধিক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না দিয়ে সংশ্লিষ্ট আসনের প্রকৃত প্রার্থীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করা।
নির্বাচন কমিশনের সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলি বলেন, ১৯৮৬ সালে প্রথমবারের মতো পাঁচটি আসনে একজনের প্রার্থী হওয়ার বিধান যুক্ত করা হয়। আরপিওতে আগে একজন কয়টি আসনে ভোট করবেন, তা উল্লেখ ছিল না; নতুন দফা যুক্ত করে ১৯৮৬ সালে পাঁচটি আসন সীমাবদ্ধ করা হয়। ২০০৮-২০০৯ এ এসে তা তিনটি আসনে সীমাবদ্ধ করা হয়।
১৯৮৬ সালে সর্বোচ্চ পাঁচটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ রাখা হয়
২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ড. এ টি এম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন সংসদ নির্বাচনে এক ব্যক্তির দুই বা ততোধিক আসনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি নিরুৎসাহী করার চেষ্টা করে। ওই সময় নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী আইন সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে লিখিতভাবে জানায়, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনে কোনো ব্যক্তি দুই বা ততোধিক আসনে প্রার্থী হতে পারেন। তবে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন করে ১৯৮৬ সালে সর্বোচ্চ পাঁচটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ রাখা হয়।
ইসি থেকে জানা গেছে, অনেক প্রার্থী একের অধিক, এমনকি সর্বোচ্চ পাঁচটি আসনে প্রার্থী হয়েছেন। কোনো প্রার্থী একাধিক আসনে নির্বাচিত হলে পরে সংবিধানের ৭১ অনুচ্ছেদের (২) (ক) দফার বিধান অনুযায়ী তাকে একটিমাত্র আসন রেখে বাকি সব আসন ছেড়ে দিতে হয়। তিনি ছেড়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শূন্য ঘোষিত আসনগুলোতে পুনর্নির্বাচন করতে হয়।
এসব পুনর্নির্বাচনে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হয় এবং প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়। এই প্রেক্ষাপটে সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সর্বোচ্চ তিনটি আসনে প্রার্থিতার সুযোগ রাখাই যুক্তিযুক্ত এবং পুনর্নির্বাচনের সম্ভাব্য ব্যয়ের একটি অংশ এরূপ প্রার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা সমীচীন।
সেসময় নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে প্রস্তাব রাখে, ‘কোনো ব্যক্তি একই সময়ে তিনটির অধিক নির্বাচনী এলাকার জন্য প্রার্থী হতে পারবেন না। একাধিক আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করলে অতিরিক্ত প্রতিটি আসনের জন্য পাঁচ লাখ টাকা জমা দিতে হবে এবং জয়লাভ করে এরূপ আসন ছেড়ে দিলে এই জামানত বাজেয়াপ্ত করা হবে।’
নির্বাচন কমিশনের সর্বোচ্চ তিনটি আসনের প্রস্তাব সেসময় আইনে পরিণত হয়। তবে অতিরিক্ত প্রতিটি আসনের জন্য পাঁচ লাখ টাকা জামানত এবং নির্বাচনে জয়ের পর সেই আসন ছেড়ে দিলে ওই জামানত বাজেয়াপ্ত করার প্রস্তাবটি গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। এদিকে সংসদ নির্বাচনের আইন বা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে এক ব্যক্তির একাধিক আসনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হলেও সংবিধানে এ বিষয়ে কোনো সংশোধনী আনা হয়নি।
সংবিধানের ৭১ অনুচ্ছেদের (১) দফায় বলা আছে, ‘কোনো ব্যক্তি একই সময়ে দুই বা ততোধিক নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য হইবেন না।’ (২) দফায় বলা আছে, ‘কোনো ব্যক্তির একই সময়ে দুই বা ততোধিক নির্বাচনী এলাকা হইতে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় এই অনুচ্ছেদের (১) দফায় বর্ণিত কোনো কিছুই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করিবে না, তবে তিনি যদি একাধিক নির্বাচনী এলাকা হইতে নির্বাচিত হন তাহা হইলে (ক) তাহার সর্বশেষ নির্বাচনের ৩০ দিনের মধ্যে তিনি কোন নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধিত্ব করিতে ইচ্ছুক, তাহা জ্ঞাপন করিয়া নির্বাচন কমিশনকে একটি স্বাক্ষরযুক্ত ঘোষণা প্রদান করিবেন এবং তিনি অন্য যেসব নির্বাচনী এলাকা হইতে নির্বাচিত হইয়াছিলেন, অতঃপর সেই সব এলাকার আসনসমূহ শূন্য হইবে।’
২০১৮ সালের জাতীয় সংসদে এ বিষয়ে সংশোধনী প্রস্তাব দেওয়া হয়। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী এই সংশোধনীর প্রস্তাবে উল্লেখ করেন, ‘সংবিধানে বলা আছে, একই সময়ে এক ব্যক্তি দুই বা ততোধিক নির্বাচনী এলাকা থেকে প্রার্থী হতে পারবেন। অর্থাৎ একই ব্যক্তি একই সময়ে ১০০ বা ২০০ যে কয়টি আসন থেকে ইচ্ছা নির্বাচন করতে পারবেন।’
আবার গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) বলা আছে, ‘একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ তিনটি নির্বাচনী এলাকা থেকে প্রার্থী হতে পারবেন। এতে সংবিধান ও আরপিওর বিধানে সাংঘর্ষিক অবস্থা তৈরি হয়েছে। এজন্য সংবিধানের ৭১ অনুচ্ছেদটি সংশোধন প্রয়োজন।’ সেসময় এই প্রস্তাব পরীক্ষা করে বিবেচনার জন্য আইন মন্ত্রণালয়কে বলা হলেও পরে আর অগ্রগতি হয়নি।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত ও নিজ ভোটার এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি চাকরিজীবী এবং আইনি হেফাজতে থাকা ভোটাররা আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন।
গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে প্রচারের জন্য জনস্বার্থমূলক বার্তায় এ কথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, আগামী সংসদ নির্বাচনে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি ভোটার, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত ও নিজ ভোটার এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি চাকরিজীবী এবং আইনি হেফাজতে থাকা ভোটাররা আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেবেন।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে www.ecs.gov.bd ওয়েবসাইট ভিজিট করতে এবং নির্বাচন কমিশনের ইউটিউব চ্যানেল @BangladeshECS এ চোখ রাখতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, এবার প্রথমবারের মত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য পোস্টাল ভোটিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যেসব প্রবাসী ভোটার ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপে নিবন্ধিত থাকবেন, তারা ডাকযোগে ভোট দিতে পারবেন।
তিনি আরও জানান, আগামী ১৬ নভেম্বর প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন অ্যাপের উদ্বোধন করা হবে। এই অ্যাপের মাধ্যমে কত তারিখ পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে তা সেদিন জানানো হবে।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের। তবে সরকার উদ্যোগী না হলে রেফারির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে- এমন আশঙ্কাও জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল সোমবার আট দলের সাথে বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় দলগুলোর নেতারা আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন৷ সমাবেশ ও গণমিছিলের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তারা৷
দাবি আদায়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কার্যালয়ে জরুরি সভা করেন আন্দোলনরত দলগুলোর প্রতিনিধিরা৷ সভা শেষে করা হয় যৌথ সংবাদ সম্মেলন৷
যৌথ সংবাদ সম্মেলন সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘উচ্চকক্ষে পিআরের ব্যাপারে আট দলের সবাই, জনগণ ও সরকার একমত। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে এ চাওয়া পূরণ হবে না। প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানে অন্যরা সাড়া দিলে আমরাও আলোচনা বসতে রাজি৷’
তাহের আরও বলেন, ‘যদি উপদেষ্টা পরিষদ কিছু না করে আমাদের ওপরই ছেড়ে দেয়, তবে রেফারির দায়িত্ব পালন করবে কে?’
তাহের বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা করে একমত হওয়ার বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। কিন্তু এ বিষয়ে সরকারকে রেফারির ভূমিকা পালন করতে হবে। সমমনা আটদল সব রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করতে চায়।’
বিএনপির এক এক নেতা এক এক বক্তব্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন-এ কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনের দিনে গণভোট হলে সেই ভোটের কোনো মূল্যায়ন থাকবে না৷
বিএনপির একেকজন সংস্কার নিয়ে একেক রকম বক্তব্য দিচ্ছেন-সনদের জন্য গণভোট অপরিহার্য বলেও জানান তিনি। একই অনুষ্ঠানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, ‘জুলাই সনদ আইনি ভিত্তি না পেলে পরবর্তী নির্বাচন বৈধতা পাবে না৷ একই দিনে গণভোট ও নির্বাচন হলে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন হুমকির মুখে পড়বে। একই দিনে গণভোট ও নির্বাচনের ইতিহাস নেই।’
ঢাকার ২০ আসনের মধ্যে ১৪ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। এর মধ্যে ঢাকা-৬ থেকে ইশরাক হোসেন ও ঢাকা-৮ আসন থেকে লড়বেন মির্জা আব্বাস।
গতকাল সোমবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে সারাদেশে ধানের শীষের ২৩৭ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি জানান, ঢাকা-১ আসন থেকে খন্দকার আবু আশফাক, ঢাকা-২ আসনে আমানউল্লাহ আমান, ঢাকা-৩ বাবু গয়েশর চন্দ্র রায়, ঢাকা-৪ তানভীর আহমেদ রবিন, ঢাকা-৫ নবীউল্লাহ নবী, ঢাকা-৬ ইশরাক হোসেন, ঢাকা-৮ মির্জা আব্বাস উদ্দীন আহমেদ, ঢাকা-১১ এম এ কাইয়ুম, ঢাকা-১২ সাইফুল আলম নিরব, ঢাকা-১৪ সানজিদা ইসলাম তুলি, ঢাকা-১৫ শফিকুল ইসলাম খান, ঢাকা-১৬ আমিনুল হক, ঢাকা-১৯ ড. দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন এবং ঢাকা-২০ আসনে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পেয়েছেন মঞ্জুরুল করিম রনি।
এর আগে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে দলীয় প্রার্থীদের নামের প্রাথমিক তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আছেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির পক্ষ থেকে ২৩৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, যেসব আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়নি সেগুলো পরে ঘোষণা করা হবে। এর বাইরে কিছু আসন শরিকদের ছাড়া হবে।
দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বগুড়া-৭, দিনাজপুর-৩ ও ফেনী-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এছাড়া ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন। মির্জা ফখরুল নিজে ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
অন্যান্য আসনে প্রার্থী হলেন যারা তারা হলেন- ঢাকা-১ খন্দকার আবু আশফাক; ঢাকা-২ আমানউল্লাহ আমান; ঢাকা-৩ গয়েশ্বর চন্দ্র রায়; ঢাকা-৪ তানভীর আহমেদ রবিন; ঢাকা-৫ নবী উল্লাহ নবী; ঢাকা-৫ ইশরাক হোসেন; ঢাকা-৮ মির্জা আব্বাস; ঢাকা-১২ সাইফুল আলম নীরব; ঢাকা-১৪ সানজিদা তুলি; ঢাকা-১৬ আমিনুল হক।
চট্টগ্রাম-১ নুরুল আমিন; চট্টগ্রাম-২ সরোয়ার আলমগীর; চট্টগ্রাম-৪ কাজী সালাউদ্দিন; চট্টগ্রাম-৫ মীর হেলাল উদ্দিন; চট্টগ্রাম-৭ হুম্মাম কাদের চৌধুরী; চট্টগ্রাম-৮ এরশাদ উল্লাহ; চট্টগ্রাম-১০ আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী; চট্টগ্রাম-১২ এনামুল হক; চট্টগ্রাম-১৩ সরোয়ার জামাল নিজাম; চট্টগ্রাম-১৬ মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা।
কক্সবাজার-১ সালাহউদ্দিন আহমদ; কক্সবাজার-৩ লুৎফুর রহমান কাজল; কক্সবাজার-৪ শাহজাহান চৌধুরী; বান্দরবন- সাচিং প্রু; রাঙামাটি- দীপেন দেওয়ান; খাগড়াছড়ি- আবদুল ওয়াদুদ ভুঁইয়া।
বরিশাল-১ জহির উদ্দিন স্বপন; বরিশাল-২ সরদার সরসুদ্দিন আহমেদ সান্টু; বরিশাল-৪ মো. রাজীব আহসান; বরিশাল-৫ মো. মজিবুর রহমান সরোয়ার; বরিশাল-৬ আবুল হোসেন খান।
কুমিল্লা-১ ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন; কুমিল্লা-৩ কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ; কুমিল্লা-৪ মঞ্জুরুল আহসান মুলী; কুমিল্লা-৫ মো. জসিম উদ্দিন; কুমিল্লা-৬ মো. মনিরুল হক চৌধুরী; কুমিল্লা-৮ জাকারিয়া তাহের; কুমিল্লা-৯ মো. আবুল কালাম; কুমিল্লা-১০ মো. আব্দুল গফুর জুঁইয়া; কুমিল্লা-১১ মো. কামরুল হুদা।
নোয়াখালী-১ এ এম মাহবুব উদ্দিন; নোয়াখালী-২ জয়নাল আবেদীন ফারুক; নোয়াখালী-৩ মো. বরকত উল্লাহ বুলু; নোয়াখালী-৪ মো. শাহজাহান; নোয়াখালী-৫ মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম; নোয়াখালী-৬ মোহাম্মদ মাহবুবের রহমান শামীম।
ময়মনসিংহ-১ সৈয়দ এমরান সালেহ; ময়মনসিংহ-২ মোতাহের হোসেন তালুকদার; ময়মনসিংহ-৩ এম ইকবাল হোসেইন; ময়মনসিংহ-৪ মো. আবু ওয়াহাব আখন্দ ওয়ালিদ; ময়মনসিংহ-৫ মোহাম্মদ জাকির হোসেন; ময়মনসিংহ-৬ মো. আখতারুল আলম; ময়মনসিংহ-৭ ডা. মো. মাহবুবুর রহমান; ময়মনসিংহ-৮ লুতফুল্লাহেল সাজেদ; ময়মনসিংহ-৯ ইয়াসের খাঁন চৌধুরী; ময়মনসিংহ-১১ ফকর উদ্দিন আহমেদ।
পঞ্চগড়-১ ব্যারিস্টার মোহাম্মদ নওশাদ অসির; পঞ্চগড়-২ ফরহাদ হোসেন আজাদ; ঠাকুরগাঁও-১ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর; ঠাকুরগাঁও-৩ মো. জাহিদুর রহমান জাহিদ; দিনাজপুর-১ মো. মনজুরুল ইসলাম; দিনাজপুর-২ মো. সাদিক রিয়াজ; দিনাজপুর-৩ বেগম খালেদা জিয়া; দিনাজপুর-৪ মো. আকারুজ্জামান মিয়া; দিনাজপুর-৬ অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
নীলফামারী-২ এ এইচ মো. সাইফুল্লাহ রুবেল; নীলফামারী-৪ মো. আব্দুল গফুর সরকার; লালমনিরহাট - ১ মো. হাসান রাজিব প্রধান; লালমনিরহাট -৩ আসাদুল হাবিব দুলু; রংপুর- ১ মো. মোকাররম হোসেন সুজন; রংপুর-২ মোহাম্মদ আলী সরকার; রংপুর-৩ মো. সামসুজ্জামান সামু; রংপুর -৪ মোহাম্মদ এমদাদুল হক ভরসা; রংপুর-৫ মো. গোলাম রব্বানী; রংপুর-৬ মো. সাইফুল ইসলাম।
কুড়িগ্রাম-১ সাইফুল ইসলাম রানা; কুড়িগ্রাম- ২ মো. সোহেল হোসেন কায়কোবা; কুড়িগ্রাম-৩ তাজভীর উল ইসলাম; কুড়িগ্রাম-৪ মো. আজিজুর রহমান; গাইবান্ধা-১ খন্দকার জিয়াউল ইসলাম মোহাম্মদ আলী; গাইবান্ধা-২ মো. আনিসুজ্জামান খান বাবু; গাইবান্ধা-৩ অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মইনুল হাসান সাদিক; গাইবান্ধা -৪ মোহাম্মদ শামীম কায়সার; গাইবান্ধা-৫ মো. ফারুক আলম সরকার।
জয়পুরহাট-১ মো. মাসুদ রানা প্রধান; জয়পুরহাট-২ আব্দুল বারী; বগুড়া-১ কাজী রফিকুল ইসলাম; বগুড়া-৩ আব্দুল মুহিত তালুকদার; বগুড়া-৪ মো. মোশারফ হোসেন; বগুড়া-৫ গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ; বগুড়া-৬ তারেক রহমান; বগুড়া-৭ বেগম খালেদা জিয়া; চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ মো. সাজাহান মিয়া; চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ মো. আমিনুল ইসলাম; চাঁপাইনবাবগঞ্জ -৩ মো. হারুনর রশিদ।
নওগাঁ-১ মো. মোস্তাফিজুর রহমান; নওগাঁ-২ মো. সামসুজোহা খান; নওগাঁ-৩ মো. ফজলে হুদা বাবুল; নওগাঁ-৪ ইকরামুল বারী টিপু; নওগাঁ-৬ শেখ মো. রেজাউল ইসলাম; রাজশাহী-১ মো. শরীফ উদ্দীন; রাজশাহী-২ মো. মিজানুর রহমান মিনু; রাজশাহী-৩ মোহাম্মদ শফিকুল হক মিলন; রাজশাহী-৪ ডি.এম.ডি. জিয়াউর রহমান; রাজশাহী -৫ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম; রাজশাহী-৬ আবু সাঈদ চাঁদ।
নাটোর-১ ফারজানা শারমিন; নাটোর-২ রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু; নাটোর-৪ মো. আব্দুল আজিজ; সিরাজগঞ্জ -২ ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু; সিরাজগঞ্জ-৩ ভিপি আয়নুল হক; সিরাজগঞ্জ-৪ এম আকবর আলী; সিরাজগঞ্জ-৫ মো. আমিরুল ইসলাম খান; সিরাজগঞ্জ-৬ এম এ মুহিত; পাবনা-২ এ কে এম সেলিম রেজা হাবিব; পাবনা-৩ মো. হাসান জাফির তুহিন; পাবনা-৪ হাবিবুর রহমান হাবিব; পাবনা-৫ মো. শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
মেহেরপুর-১ মাসুদ অরুন; মেহেরপুর-২ মো. আমজাদ হোসেন; কুষ্টিয়া -১ রেজা আহম্মেদ; কুষ্টিয়া-২ রাগীব রউফ চৌধুরী; কুষ্টিয়া-৩ মো. জাকির হোসেন সরকার; কুষ্টিয়া-৪ সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি; চুয়াডাঙ্গা-১ মো. শরীফুজ্জামান; চুয়াডাঙ্গা-২ মাহমুদ হাসান খান; ঝিনাইদহ-৩ মোহাম্মদ মেহেদী হাসান; যশোর-১ মো. মফিকুল হাসান তৃপ্তি; যশোর-২ মোছা. সাবিরা সুলতানা; যশোর-৩ অনিন্দ্য ইসলাম অমিত; যশোর-৪ টি.এস. আইয়ুব; যশোর-৬ কাজী রওনকুল ইসলাম।
মাগুরা-১ মো. মনোয়ার হোসেন; মাগুরা-২ নিতাই রায় চৌধুরী; নড়াইল-১ বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম; খুলনা -২ নজরুল ইসলাম মঞ্জু; খুলনা-৩ রকিবুল ইসলাম বকুল; খুলনা-৪ আজিজুল বারী হেলাল; খুলনা-৫ মোহাম্মদ আলী আসগর; খুলনা-৬ মনিরুল হাসান বাপ্পী; সাতক্ষীরা-১ মো. হাবিবুল ইসলাম হাবিব; সাতক্ষীরা-২ আব্দুর রউফ; সাতক্ষীরা-৩ কাজী আলাউদ্দীন; সাতক্ষীরা-৪ মো. মনিরুজ্জামান।
বরগুনা-১ মো. নজরুল ইসলাম মোল্লা; বরগুনা-২ নুরুল ইসলাম মনি; পটুয়াখালী- ১ এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী; পটুয়াখালী - ৪ এ বি এম মোশাররফ হোসেন; ভোলা-১ গোলাম নবী আলমগীর; ভোলা- ২ মো. হাফিজ ইব্রাহীম; ভোলা- ৩ মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বীক্রম; ভোলা- ৪ মো. নুরুল ইসলাম নয়ন।
ঝালকাঠি- ২ ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্ট; পিরোজপুর-২ আহমেদ সোহেল মঞ্জুর; পিরোজপুর ৩ মো. রুহুল আমিন দুলাল; টাংগাইল-১ ফকির মাহবুব আনাম স্বপন; টাংগাইল-২ আব্দুস সালাম পিন্টু; টাংগাইল-৩ এসএম ওবায়দুল হক নাসির; টাংগাইল-৪ মো. লুৎফর রহমান মতিন; টাংগাইল-৬ মো. রবিউল আউয়াল লাবলু; টাংগাইল-৭ আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী; টাংগাইল-৮ আহমেদ আজম খান; জামালপুর-১ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত; জামালপুর-২ এ ই সুলতান মাহমুদ বাবু; জামালপুর-৩ মো. মুস্তাফিজুর রহমান বাবুল; জামালপুর-৪ মো. ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম; জামালপুর-৫ শাহ মো. ওয়ারেস আলী মামুন।
শেরপুর-১ সানসিলা জেবরিন; শেরপুর-২ মোহাম্মদ ফাহিম চৌধুরী; শেরপুর-৩ মো. মাহমুদুল হক রুবেল; ময়মনসিংহ-১ সৈয়দ এমরান সালেহ; ময়মনসিংহ-২ মোতাহের হোসেন তালুকদার; ময়মনসিংহ-৩ এম ইকবাল হোসেইন; ময়মনসিংহ-৫ মোহাম্মদ জাকির হোসেন; ময়মনসিংহ-৬ মো. আখতারুল আলম; ময়মনসিংহ-৭ ডা. মো. মাহবুবুর রহমান; ময়মনসিংহ-৮ লুতফুল্লাহেল মাজেদ; ময়মনসিংহ-৯ ইয়াসের খাঁন চৌধুরী; ময়মনসিংহ-১১ ফকর উদ্দিন আহমেদ।
নেত্রকোনা-১ ব্যারিস্টার কায়সার কামাল; নেত্রকোনা-২ মো. আনোয়ারুল হক; নেত্রকোনা-৩ রফিকুল ইসলাম হিলালী; নেত্রকোনা-৪ মো. লুৎফুজ্জামান বাবর; নেত্রকোনা-৫ মো. আবু তাহের তালুকদার; কিশোরগঞ্জ-২ এডভোকেট মো. জালাল উদ্দিন; কিশোরগঞ্জ-৩ ড. ওসমান ফারুক; কিশোরগঞ্জ-৪ মো. ফজলুর রহমান; কিশোরগঞ্জ-৫ মো. শরীফুল আলম; মানিকগঞ্জ-২ মঈনুল ইসলাম খাঁন; মানিকগঞ্জ-৩ আফরোজা খান রিতা; মুন্সীগঞ্জ-১ শেখ মো. আবদুল্লাহ; মুন্সীগঞ্জ-২ মিজানুর রহমান সিনহা; গাজীপুর -২ এম মঞ্জুরুল করিম রনি; গাজীপুর-৩ অধ্যাপক ডা. এসএম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু; গাজীপুর-৪ শাহ রিয়াজুল হান্নান; গাজীপুর -৫ ফজলুল হক মিলন।
নরসিংদী-১ খায়রুল কবির খোকন; নরসিংদী-২ ড. আব্দুল মঈন খান; নরসিংদী-৩ সরদার মো. সাখাওয়াত হোসেন; নরসিংদী-৪ ইঞ্জি. মো. আশরাফ উদ্দিন বকুল; নরসিংদী-৫ মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দীপু; নারায়ণগঞ্জ-১ নজরুল ইসলাম আজাদ; নারায়ণগঞ্জ -২ মো. আজহারুল ইসলাম মান্নান; নারায়ণগঞ্জ-৫ মো. মাসুদুজ্জামান; রাজবাড়ী- ১ আলি নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম; ফরিদপুর- ২ শ্যামা ওবায়েদ ইসলাম; ফরিদপুর- ৩ নায়াব ইউসুফ আহমেদ; ফরিদপুর- ৪ শহীদুল ইসলাম বাবুল; গোপালগঞ্জ - ১ মো. সেলিমুজ্জামান মোল্লা, গোপালগঞ্জ -২ ডা. কে এম বাবর আলী; গোপালগঞ্জ-৩ এস এম জিলানী।
মাদারীপুর- ১ কামাল জামান মোল্লা; মাদারীপুর- ৩ আনিসুর রহমান; শরীয়তপুর - ১ সাইদ আহমেদ আসলাম; শরীয়তপুর- ২ মো. শফিকুর রহমান কিরণ; শরীয়তপুর-৩ মিয়াঁ নুরুদ্দিন আহমেদ অপু; সুনামগঞ্জ-১ আনিসুল হক; সুনামগঞ্জ-৩ মোহাম্মদ কয়সর আমমেদ; সুনামগঞ্জ-৫ কলিম উদ্দিন মিলন; সিলেট-১ খন্দকার আব্দুল মোক্তাদির চৌধুরী; সিলেট-২ মোছা. তাহসিনা রুশদীর; সিলেট-৩ মোহাম্মদ আবদুল মালিক; সিলেট-৬ এমরান আহমেদ চৌধুরী।
মৌলভীবাজার-১ নাসির উদ্দিন আহমেদ মীঠু; মৌলভীবাজার-২ সওকত হোসেন সকু; মৌলভীবাজার-৩ নাসের রহমান; মৌলভীবাজার-৪ মো. মজিবর রহমান চৌধুরী; হবিগঞ্জ-২ আবু মনসুর সাখাওয়াত হাসান জীবন; হবিগঞ্জ-৩ আলহাজ মো. জি কে গউস; হবিগঞ্জ-৪ এস এম ফয়সাল; ব্রাহ্মনবাড়িয়া- ১ এম এ হান্নান; ব্রাহ্মনবাড়িয়া- ৩ মো. খালেদ হোসেন মাহবুব; ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৪ মুশফিকুর রহমান; ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৫ মো. আব্দুল মান্নান।
চাঁদপুর - ১ আ ন ম এহসানুল হক মিলন; চাঁদপুর - ২ মো. জালাল উদ্দিন; চাঁদপুর - ৩ শেখ ফরিদ আহমেদ; চাঁদপুর - ৪ মো. হারুনুর রশিদ; চাঁদপুর - ৫ মো. মমিনুল হক; ফেনী-১ বেগম খালেদা জিয়া; ফেনী-২ জয়নাল আবেদীন; ফেনী-৩ আব্দুল আওয়াল মিন্টু; লক্ষ্মীপুর-২ মো. আবুল খায়ের ভূঁইয়া; লক্ষ্মীপুর-৩ মো. শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
প্রার্থী ঘোষণার আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় জরুরি বৈঠকে বসেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী চলা এই বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত এবং চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে ডিসেম্বরের শুরুর দিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, নজরুল ইসলাম খান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, মির্জা আব্বাস, হাফিজ উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সাংগঠনিক ও সহসাংগঠনিক সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী তৃণমূলের নেতা মো. সামসুল আলম এখন নির্বাচনী মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তারেক রহমানের রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারের বার্তা পৌছে দিচ্ছেন এবং ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আশা প্রকাশ করেছেন।
সতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান সামসুল আলম নির্বাচিত হয়েছেন দুইবার। দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির তৃণমূল রাজনীতিতে সক্রিয় সামসুল আলম উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়নের সময় পাশে থেকে সহযোগিতা করেছেন। গত ১৭ বছরে আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন তিনি। স্বৈরাচার হাসিনার বিরুদ্ধে ২০১১ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ অগাষ্ট পর্যন্ত আন্দোলন ও সংগ্রামে চালিয়ে আসছিলেন। এসব আন্দোলনে সিলেট টু কুমিল্লা সড়কের মিরপুর, মাধবপুর এলাকায় ছাত্র জনতা নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় রাস্তা বেরিকেটসহ অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচিও পালন করেন। এছাড়া রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি তিনি এলাকায় উন্নয়ন ও শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার উদ্যোগে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় রাস্তাঘাট, সেতু, স্কুল, মাদ্রাসা ও মসজিদের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তিনি মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়সহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং সভাপতিসহ কমিটির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে ছাত্র সংসদের সমাজসেবা সম্পাদক ছিলেন এবং পরে ঢাকার তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন; সে সময় পাক সেনারা তার বাড়িঘর জালিয়ে দেয়। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি আধুনিক উপজেলা বিনির্মানের জন্য সরকারি ভাবে বিদেশ সফরেও অংশ নেন। ১৯৮৮ সালে স্থানীয় সরকার পর্যবেক্ষণ সফরে চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে প্রতিনিধি হিসেবে ১ মাসের জন্য ইন্দোনেশিয়া গমন করা ছাড়াও থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুর সফর করেন।
এবিষয়ে বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, ‘জনগণের ভালোবাসাই আমার শক্তি। বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপির নীতি-আদর্শ প্রতিষ্ঠা ও বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়াকে আধুনিক উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলা আমার অঙ্গীকার।’ তিনি আরো জানান ২০১৪ সালে স্বৈরাচারী হাসিনার আমলে উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহণ করিলে বিএনপি থেকে তাকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।
আসন্ন এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২৩৭ আসনে প্রার্থীদের প্রাথমিক নামের তালিকা ঘোষণা করছে বিএনপি। সোমবার (৩ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম পড়ে শোনান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আসন্ন নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৪ আসন থেকে নির্বাচন করবেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বগুড়া-৬ আসন থেকে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।
আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আসন্ন নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন। এসময় তিনি ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেন।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছেন।
আসন্ন নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ঘোষিত তালিকায় তিনটি আসনে নির্বাচনের কথা রয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার। ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, দিনাজপুর-৩, বগুড়া-৭ ও ফেনী-১ আসনে লড়বেন বেগম খালেদা জিয়া।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, তার দল জুলাই সনদ ঐক্যবদ্ধভাবে বাস্তবায়ন এবং এর পূর্ণ আইনি বৈধতা নিশ্চিত করার পর ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন চায়।
গতকাল রোববার রাজধানীর বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গণভোট আমরা নির্বাচনের দিনও করতে পারি, আগেও করতে পারি। বরং এটি সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত, এটা তাদের প্রশাসনিক এবং আইন-শৃঙ্খলার ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে।
এনসিপি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন এবং জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়ন চায় উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা মনে করি, চলতি মাসের মধ্যেই আদেশ জারি হয়ে যাওয়া উচিত। মৌলিক সংস্কারে যে জায়গাগুলোয় ঐকমত্য হয়েছে—আমরা মনে করি, সেসব বিষয়ে গণভোটে যাওয়া উচিত। গণভোট নির্বাচনের দিন হতে পারে, আগেও হতে পারে। এটা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, গণভোট নির্বাচনের আগে নাকি নির্বাচনের দিন হওয়া উচিত, তা নিয়ে আমরা বিভ্রান্তি এবং অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক দেখছি।
গণভোট আগে হবে, না নির্বাচনের দিন হবে—এটা নিয়ে বিএনপি-জামায়াত আবার একটা দ্বন্দ্বে চলে গেছে বলে মন্তব্য করেন নাহিদ ইসলাম। এ দ্বন্দ্ব অযথা ও অপ্রয়োজনীয় বলেও জানান তিনি।
নাহিদ বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন এবং শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর নিশ্চিত করার জন্য সব রাজনৈতিক দলের ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত। সব দলের প্রতি আমাদের অনুরোধ হচ্ছে—ঐক্যবদ্ধ থাকুন। সংস্কার প্রক্রিয়া একমত হলে সম্মিলিতভাবে তা সম্পন্ন করতে হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, এনসিপি সাংবিধানিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার সম্পর্কিত ঐক্যমত্য কমিশনের প্রস্তাবগুলোকে সমর্থন করে—যার মধ্যে রয়েছে উচ্চকক্ষ গঠন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রবর্তন এবং সাংবিধানিক ও বিচারিক পদে নিয়োগ।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি—এই সংস্কারগুলো একটি গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হওয়া উচিত।
এনসিপি কোনো জোটে যাচ্ছে কি না—এ প্রশ্নে নাহিদ বলেন, যদি সংস্কারের পক্ষে কেউ না থাকে, তাহলে তাদের সঙ্গে আমাদের জোটে যাওয়া সম্ভব নয়। আমাদের মৌলিক দাবিগুলোর সঙ্গে যারা কাছাকাছি আছে, এ রকম দলের সঙ্গে আমাদের যদি ঐক্যবদ্ধ হতে হয় বা কোনো ধরনের সমঝোতায় যেতে হয়, তাহলে সেটা আমরা বিবেচনায় রাখব।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের শত্রুরা আবার মাথাচাড়া দিচ্ছে, দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে।’ তিনি বলেন, ‘আজকের যে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট সেটি একটা অনিশ্চয়তা হতাশার মধ্যে চলে যাচ্ছে এবং প্রত্যেকটি মানুষ বারবার চিন্তা করছে কি হবে? কি হতে পারে?’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখছি যে, বাংলাদেশের শত্রুরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে, তারা মাথা তুলে উঠতে শুরু করেছে, আমরা দেখছি যতই সময় যাচ্ছে ততই বাংলাদেশে একটা এনার্কি সিচুয়েশন তৈরি করে পুরোপুরি একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চলছে। দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা দেখছি যে, সোশ্যাল মিডিয়াতেও সেই প্রপাগান্ডা, মিথ্যা তথ্য প্রচার করে দেশে একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি করার প্রক্রিয়া চলছে।’
গতকাল রোববার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব শঙ্কা প্রকাশ করেন।
এরকম পরিস্থিতিতে ৭ নভেম্বর ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ দিবস হিসেবে অভিহিত করে মির্জা ফখরুল বলেন ‘ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যেভাবে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন, দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যেভাবে আমাদেরকে পরিচালিত করেছিলেন দীর্ঘ নয় বছর স্বৈরাচার বিরোধী সংগ্রামে এবং পরবর্তীকালের সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। একইভাবে আমরা দেখছি যে, আমাদের নেতা তারেক রহমান সেই সুদূর লন্ডন থেকে দেশকে ঐক্যবদ্ধ করবার চেষ্টা করছেন, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করবার কাজ করে চলেছেন, আমাদের দলকে পরিচালিত করছেন এবং জাতিকে নতুন আশা জোগাচ্ছেন।’
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন কর্মসূচি চূড়ান্ত করতে দল ও অঙ্গসংগঠনের যৌথ সভা হয় দুপুরে। এই সভায় বিএনপি মহাসচিব সভাপতিত্ব করেন। পরে নেতৃবৃন্দকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন তিনি।
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের প্রেক্ষাপট এবং জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রের দায়িত্বে আসার পটভূমি তুলে করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তার সেই শাসন আমলে দেশ একটা কর্মযজ্ঞে নেমে পড়েছিল, জন-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছিল।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে আবার বাংলাদেশের শত্রুরা নির্মমভাবে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজে হত্যা করে এবং এরপর দেশে একটি কালো অধ্যায়ের সূচনা হয়।’
একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন, প্রশাসন, বিচার বিভাগসহ অর্থনীতি, শিক্ষা, শিল্প, কৃষি, গণমাধ্যম ও নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে জিয়াউর রহমানের ব্যাপক সংস্কার কর্মসূচি তু্লে ধরে মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বারবার যে কথা বলে এসেছি যে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যে দর্শন দিয়ে গেছেন, বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদের যে দর্শন, সেই দর্শন কখনো পরাজিত হতে পারে না এবং সেই জন্যই বিএনপি কখনো পরাজিত হয়নি, বারবার জেগে উঠেছে একেবারে সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে ফিনিক্স পাখির মতই বিএনপি জেগে উঠেছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘৭ নভেম্বর আমাদের রাজনৈতিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ বলেই আমরা এই দিনটিকে স্মরণ করে রাখতে চাই এবং ৭ নভেম্বরের দর্শন ধারণ করে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, আবদুস সালাম আজাদ, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারি শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।