রোববার, ৪ জুন ২০২৩

১০ দফা শিগগির এক দফায় পরিণত হবে: নোমান

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান। ছবি: দৈনিক বাংলা
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, ‘আমরা এখনো কোনো হরতাল বা সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করিনি। ১০ দফা বাস্তবায়নে মিছিল করে যাচ্ছি। এই ১০ দফা শিগগির এক দফায় পরিণত হবে।’

রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের মওলানা আকরাম খাঁ হলে বুধবার বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ‘জাতীয় নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা কেন?’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নোমান এসব কথা বলেন।

বিএনপির এ ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘(দলীয় প্রধান) খালেদা জিয়াকে কারাগারে কেন রাখা হয়েছে? তার নেতৃত্বে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, সেটার কার্যকারিতা কমাতেই তাকে কারারুদ্ধ রাখা হয়েছে।’

নোমান বলেন, “আওয়ামী লীগ বলছে, সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো বিষয় নিয়ে তারা আলোচনা করতে রাজি নয়। কিন্তু সেই সংবিধান কি অক্ষত রয়েছে? পরিবর্তিত সংবিধানে নির্বাচন বা আলোচনা কোনোটাই হবে না। যেখানে দিনের ভোট রাতে হয়, ব্যালটবিহীন নির্বাচন হয়, সেখানে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’ পরিস্থিতি তৈরি না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা নির্বাচন করতে দেব না।”

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে চাইলেও তারা তৃণমূল ও জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে দাবি করে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি, এবারও পারবে না। এই সরকারকে উৎখাতে প্রয়োজন নির্দলীয় সরকার। আমরা চাই, দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। এই নির্বাচন কমিশন বা সরকার নয়–নতুন একটি ব্যবস্থা তৈরি করে নির্বাচন করতে হবে।’

আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কেয়ারটেকার সরকার চায় না। অথচ তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মানুষ এখন বাজারে গিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারছে না।’

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার হলো জাতীয় ঐক্যমতের প্রতীক। স্বৈরাচারকে কেউ গ্রহণ করেনি। গত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ যা করেছে তার সবই অবৈধ। এখন নতুন নির্বাচন কমিশন দিয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে।’

ইয়ুথ ফোরামের উপদেষ্টা এম নাজমুল হাসানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান, বিএনপির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বুলবুল, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন প্রমুখ।


আমেরিকা না গেলে কিচ্ছু আসে যায় না: শেখ হাসিনা

ছবি: ফোকাস বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

কারও মুখাপেক্ষী হয়ে নয়, বাংলাদেশ নিজের পায়ে চলবে বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা নিজের পায়ে চলব। নিজের দেশকে গড়ে তুলবো। কে আমাদের ভিসা দেবে না, নিষেধাজ্ঞা দেবে- ও নিয়ে মাথা ব্যথা করে লাভ নাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০ ঘণ্টা প্লেনে জার্নি করে, আটলান্টিক পার হয়ে ওই আমেরিকায় না গেলে কিচ্ছু আসে যায় না। পৃথিবীতে আরও অনেক মহাসাগর আছে, অনেক মহাদেশ আছে। সেখানেই আমরা যাতায়াত করব। তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করব। আমাদের অর্থনীতি আরও উন্নত হবে, মজবুত হবে, আরও চাঙা হবে।’

শনিবার বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন (ঢাকা জেলা ও ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যালয়) উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইঙ্গিত করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘ভোট যারা চুরি করে, ভোট নিয়ে যারা চিরদিন খেলছে, জনগণের ভাগ্য নিয়ে যারা খেলছে, আমি তাদের (আমেরিকা) বলবো— ওই সন্ত্রাসী দলের দিকে নজর দিন। কানাডার হাইকোর্ট বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। সন্ত্রাসী ও দুর্নীতির দায়ে আমেরিকা তারেক জিয়াকে ভিসা দেয় নাই। তারা (বিএনপি) আবার তাদের (আমেরিকা) কাছে ধরনা দেয়। এতকিছু বলতে চাই না। শুধু এটাই বলব— যারা অর্থনীতিবিদ, জ্ঞানী-গুণী আছেন… আমরা তো লেখাপড়া এত বেশি জানি না। শুধু দেশের মাটি মানুষকে চিনি। বাংলাদেশ, নদী-নালা, খাল-বিল চিনি। বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণ কোথায়, কী করলে ভালো হবে সেটা জানি। সেটাই মাথায় রেখে দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় নিয়েছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ওপর বারবার আঘাত, হামলা হয়েছে। আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। ইয়াহিয়া খান চেষ্টা করেছে, জিয়াউর রহমান চেষ্টা করেছে, এরশাদ-খালেদা জিয়াও চেষ্টা করেছে আওয়ামী লীগকে কীভাবে ধ্বংস করা যায়? আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের সংগঠন হিসেবে গড়ে উঠেছে। তাই এই সংগঠনকে কেউ ধ্বংস করতে পারেনি, পারবেও না।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু একটি দল নয়, আওয়ামী লীগ ইনস্টিটিউটের মতো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে এদেশের উন্নতি হয়, এটাই বাস্তব। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়েই বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলে স্বল্প সময়ের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলেন। আওয়ামী লীগ নামক সংগঠন এদেশের মানুষের জন্য আন্দোলন সংগ্রামে সবসময় ভূমিকা পালন করেছে।

সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের কল্যাণ হয়। মানুষের কল্যাণে সেটা আমরা প্রমাণ করেছি। আমরা যেসব কাজ করি, আওয়ামী লীগ যেসব পরিকল্পনা নেয়, প্রকল্প নেয়, তা সুপরিকল্পিতভাবেই করা হয়। আমাদের মাটি, মানুষ, পরিবেশ, আমাদের দেশের ভৌগলিক অবস্থান, প্রাকৃতিক অবস্থা, সবকিছু বিবেচনা করেই আমরা প্রকল্প গ্রহণ করি। তার ফলে আমাদের প্রতিটি প্রকল্পই সাফল্য অর্জন করে। মানুষ তার সুফল পায়।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ এর বাংলাদেশ কী ছিল, এখন বাংলাদেশ কী অবস্থায় আছে, কেউ তুলনাটা বিবেচনা করলেই পরিবর্তনটা দেখতে পারবেন। একই দিনে ১০০ সড়ক উদ্বোধন করা, এটা কী কোনো সরকার আগে করেছে, পারেনি। কে পেরেছে? আওয়ামী লীগ। আজকে আমরা বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি, এখন আমাদের বেকারত্ব মাত্র ৩ শতাংশ। সেটাও থাকবে না। যদি কেউ উদ্যোগ নেয় সেও কাজ করতে পারবে। আমরা সেই ব্যবস্থাটাও করে দিয়েছি। আমাদের গ্রামের অর্থনীতি অনেক মজবুত। গ্রামের দারিদ্র্যের হার হ্রাস পেয়েছে।

তিনি বলেন, কৃষকদের আমরা সব ধরনের প্রণোদনা দিচ্ছি, দুই কোটি ১০ লাখ কৃষককে কার্ড দিয়েছি। ভর্তুকির টাকাটা তার ব্যাংকে চলে যায়। ১০ টাকা দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ আমরা করে দিয়েছি। এক কোটি ২ লাখ ৭০ হাজার ১৪৩ জন কৃষক পুরো বাংলাদেশে অ্যাকাউন্ট খুলেছে। এখন তারা সেখানে বসে টাকা পেয়ে যায়। ধান কাটার মৌসুমে মানুষ পাওয়া যায় না, মজুরের দাম বেড়ে গেছে। আমি আহ্বান করেছি আমার ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী মাঠে চলে গেছে, কৃষকের ধান কেটে ঘরে পৌঁছে দিয়েছে।

সরকারপ্রধান বলেন, আমরা বিদ্যুৎ শতভাগ দিতে পেরেছি, এখন যেহেতু তেলের দাম বেড়ে গেছে, গ্যাসের দাম বেড়ে গেছে, কয়লার দাম বেড়ে গেছে, কয়লাও পাওয়া যাচ্ছে না। আগে এক সময় যারা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা করেছিল, তারাই এখন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করছে। তার কারণে কয়লা কিনে আনতে সমস্যা হচ্ছে। আমি জানি মানুষের অনেক কষ্ট হচ্ছে, আমরা তো লোডশেডিং একেবারে দূর করে দিয়েছিলাম, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ যদি না হতো আর করোনাভাইরাস যদি না দেখা দিতো, আজকে যদি বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা না দেখা দিতো, মুদ্রাস্ফীতি না দেখা দিতো, তাহলে মানুষের কষ্ট হতো না। আজকে আমরা ভেতরে যতই চেষ্টা করি, যে জিনিসটা বাইরে থেকে আনতে হচ্ছে, সেটা কষ্ট করে আমাদেরকে জোগাড় করতে হচ্ছে।

জ্বালানির সুখবর জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কাতার ও ওমানের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়ে গেছে। আমরা আরো কয়েকটা দেশের সঙ্গে করছি যাতে গ্যাস কিনতে পারি। এই কষ্ট দূর করতে পারি। একবার অভ্যাস হয়ে গেলে মানুষের কষ্ট বাড়ে, বিএনপি-জামায়াতের আমলে তো বিদ্যুৎ ছিলই না। তখন মানুষ হাহাকার করত। বিদ্যুৎ চাওয়ার কারণে কানসার্টে খালেদা জিয়া গুলি করে মানুষ হত্যা করেছিল। সারের দাবি করেছিল বলে ১৮জন কৃষক হত্যা করছিল। শ্রমিকের মজুরি দাবি করেছিল বলে ২৭ জন শ্রমিককে রোজার সময় তাদের হত্যা করেছিল।

বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতা নিয়ে শঙ্কা দূরে সরিয়ে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট যথোপপযুক্ত হয়েছে বলে বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘(বাজেট সম্পর্কে) কে কী বলছে তা নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর দরকার নেই। আমরা একটি উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করার জন্য আমরা একটি উপযুক্ত বাজেট ঘোষণা করেছি।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের মানুষ আমাদের পক্ষে আছে। তাই, আমরা বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারব, ইনশাআল্লাহ। প্রায় ৭.৬২ লাখ কোটি টাকার এত বিশাল বাজেটের বাস্তবায়নে যারা শঙ্কিত, তাদের কড়া সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর বাজেট পাশের আগে কেউ কেউ বলেন, আমরা বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারব না। কিন্তু, আমরা প্রতিটি মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।


সরকার বাজেটের নামে জনগণের সঙ্গে মশকরা করেছে: ফখরুল

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৩ জুন, ২০২৩ ১৯:৫৩
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘সরকার বাজেটের নামে জনগণের সঙ্গে মশকরা করেছে। এটা গরিব মারার বাজেট।’

রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শনিবার বিকেলে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমান উল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে মামলার রায়ে সাজা প্রদানের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) বিএনপি।

সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখনো সময় আছে ক্ষমতা ছেড়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। সরকারের পেছনে আজরাইল দাঁড়িয়ে গেছে, তাদের সময় শেষ।’

সরকার মিথ্যা মামলায় বিরোধী দলকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে চায় উল্লখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বিরোধীদলীয় নেতাদের রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে চায়। এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়ার মাধ্যমে।’

বিএনপি নেতাদের সাজা দিয়ে জনগণের আন্দোলন দমানো যাবে না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এভাবেই নেতাদের কারাগারে রেখে নির্বাচনে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায় আওয়ামী লীগ। কিন্তু তাদের সেই আশায় গুড়েবালি। কারণ মানুষ জেগে উঠেছে।’

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘দেশের মানুষ জেগে উঠেছে পালানোর পথ পাবে না আওয়ামী লীগ।’

সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘সরকার মরণ কামড় দেবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে। আর আমরাও মরণ কামড় দেবো তাদের বিদায় করতে।’ আগামী ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত আন্দোলনের ঘোষণা আসবে বলে জানান বিএনপির এই নেতা।

স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আন্দোলন এবং নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তার ও জেলে পাঠানো হচ্ছে।

বিষয়:

গণতন্ত্র মঞ্চের ঢাকা থেকে দিনাজপুর রোডমার্চ রোববার

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শনিবার বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সংহতি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচির কথা জানানো হয়। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৩ জুন, ২০২৩ ১৭:৫৭
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

রাজধানী ঢাকা থেকে দিনাজপুরের উদ্দেশে আগামী রোববার রোডমার্চ শুরু করতে যাচ্ছে গণতন্ত্র মঞ্চ। রোডমার্চ শুরুর আগে সকাল ৯টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনটি এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করবে।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সংহতি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে শনিবার এই কর্মসূচির কথা জানানো হয়। এই কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরেন গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি জানান, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, জাতীয় সংসদ বিলুপ্তি, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীন জাতীয় নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কারসহ ১৪ দফা দাবিতে এই রোডমার্চের ডাক দেয়া হয়েছে। ধারাবাহিক আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে ৪ থেকে ৭ জুন পর্যন্ত এই রোডমার্চ পালন করা হবে।

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা জানান, রোববার সকাল ৯টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে রোডমার্চের যাত্রা শুরু হবে। বেলা ১১টায় গাজীপুর চৌরাস্তায় এবং বিকেল ৪টায় টাঙ্গাইলের করাতিপাড়া বাইপাস মোড়ে সমাবেশ হবে। পরদিন সোমবার বেলা ১১টায় সিরাজগঞ্জের শহীদ মিনারসংলগ্ন মুক্তি সোপানে এবং বিকেল ৪টায় বগুড়ার শিবগঞ্জের মোকামতলায় সমাবেশ হবে। আর মঙ্গলবার (৬ জুন) একই সময়ে সকালে প্রথমে বগুড়ার সাতমাথায় এবং বিকেলে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সমাবেশ করবে সংগঠনটি। আর শেষ দিন বুধবারও বেলা ১১টা ও বিকেল ৪টায় পর্যায়ক্রমে দিনাজপুরে ইনস্টিটিউট চত্বর এবং রংপুরে টাউন হল চত্বরে সমাবেশ হবে। এ ছাড়া রোডমার্চের সময় অনির্ধারিত পথসভাতেও নেতারা বক্তব্য দেবেন বলেও জানানো হয়েছে।

সাইফুল হক আরও বলেন, দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রোডমার্চ হতে যাচ্ছে। এই জোট যেকোনো ধরনের উসকানি পরিহার করে শান্তিপূর্ণভাবে এই কর্মসূচি শেষ করতে চায়। তাই এতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহযোগিতার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

রোডমার্চে নেতৃত্ব দেবেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামালউদ্দিন পাটোয়ারীসহ গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতারা।

বিষয়:

কর্মসূচিতে বাধা দেয়া ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহে বিএনপির কমিটি

আপডেটেড ৩ জুন, ২০২৩ ১৫:৫৯
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

সারা দেশে বিএনপির চলমান কর্মসূচিতে বাধা দেয়া ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহে বিএনপি একটি কমিটি গঠন করেছে বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শনিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। কমিটিতে রিজভীকে আহ্বায়ক করা হয়েছে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন– বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন-নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, আকরামুল হাসান, মো. আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, কামরুজ্জামান দুলাল, যুবদলের সহ সভাপতি রফিকুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান ও সালাহ উদ্দিন খান।

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, ‘গায়েবি মামলা, মিথ্যা মামলা, গুম, খুন, সহিংস আক্রমণ, অগ্নিসংযোগসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বাধা দেয়া ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ করবে বিএনপি। সহিংসতায় লিপ্ত ব্যক্তিদের নাম ও ভিডিও-অডিও রেকর্ড, ফটোগ্রাফ ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহের জন্য বিএনপির একটি তথ্য সংগ্রহ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি সংগৃহীত তথ্য পরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে যথাসমীচীন ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে তা সংরক্ষণ করবে।’


গণতন্ত্র ফেরানোর লড়াই চূড়ান্ত পরিণতির দিকে যাচ্ছে: ফখরুল

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দলের পক্ষ আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

দেশে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার লড়াই চূড়ান্ত পরিণতির দিকে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে তার অধীনে নির্বাচন করাই বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের একমাত্র পথ।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) শনিবার দুপুরে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে এই আয়োজন করা হয়।

জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য এই বাংলাদেশের মানুষ যে সংগ্রাম, যে লড়াই শুরু করেছে, সেই লড়াই এখন তীব্র গতিতে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে যাচ্ছে।’

গণতন্ত্রের জন্য সাধারণ মানুষ লড়াই-সংগ্রাম করছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ করেছেন, ইতোমধ্যে ১৭ জন মানুষ রাজপথে রক্ত দিয়েছে, লক্ষ লক্ষ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, গুম হয়েছে, তারপরও মানুষ থেমে নেই। গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছে, লড়াই করছে। জিয়াউর রহমানকে মনে করে তারেক রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে আমাদের আবার উঠে দাঁড়াতে হবে। উঠে আমরা দাঁড়িয়েছি, সেটা সংগঠিত করতে হবে’।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আজকে দেখুন আমাদের আন্দোলন কতটা সফল হয়েছে, বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত যে এই সরকার গত ১৪ ও ১৮ সালে যে নির্বাচন হয়েছে তাতে এই সরকার জালিয়াতি করেছে এবং জনগণের মতামতকে সেখানে প্রাধান্য দেয়া হয়নি। প্রমাণিত হয়েছে বলেই আজকে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য...আমার গণতন্ত্রের জন্য, ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমরা জানি আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে এই বাংলাদেশে কোনো দিনই অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না যদি আওয়ামী লীগের এই সরকার ক্ষমতায় থাকে।’

বর্তমান সরকারে পদত্যাগের দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, অবিলম্বে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে। সেটাই রাজনৈতিক সংকট উত্তরণের একমাত্র পথ। এই জাতিকে রক্ষা করার একমাত্র পথ’।


আফছারুল আমীনের মৃত্যু দলের জন্য ক্ষতি: তথ্যমন্ত্রী

আপডেটেড ৩ জুন, ২০২৩ ১৪:২৯
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘অজাতশত্রু রাজনীতিক আফছারুল আমীনের মৃত্যু দলের জন্য ক্ষতি।’

শনিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শুক্রবার প্রয়াত চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীনের জানাজা শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এ কথা বলেন।

চট্টগ্রাম-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আফছারুল আমীন একজন অজাতশত্রু মানুষ ছিলেন। তার অকাল মৃত্যুতে আমাদের দল, বিশেষ করে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।’

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘ডা. আফছারুল আমীন যেভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে কারাগারে গেছেন, সেখান থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। এবং তার নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম শহরে শিক্ষা ক্ষেত্রে, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে তিনি অনেক কাজ করেছেন, যা থেকে মানুষ উপকৃত হচ্ছে।’

গত শুক্রবার বিকেলে ঢাকায় একটি হাসপাতালে ক্যান্সারের চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭২ বছর বয়সে মারা যান শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আফছারুল আমীন। চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আফছারুল আমীন ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নৌপরিবহন এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।


অনেক চিন্তা করে বাজেট প্রণয়ন হয়েছে, বিরোধী দল একটা ধন্যবাদও দেয় না: কাদের

ছবি: ফোকাস বাংলা
আপডেটেড ৩ জুন, ২০২৩ ১৩:৫৯
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

বিশ্ব অস্থিরতার মধ্যেও প্রস্তাবিত বাজেটে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ম্যাজিক লিডারশিপের’ পরিচয় দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাজেট উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এবারের বাজেট সংকটে ঘুরে দাঁড়াবার বাজেট। বিশ্ব অস্থিরতার মধ্যেও বাংলাদেশে শেখ হাসিনা ম্যাজিক লিডারশিপের পরিচয় দিয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি সমাধানের লক্ষে কাজ করছে সরকার।’

তিনি বলেন, ‘অনেক চিন্তা করে এবারের বাজেট করা হয়েছে। বিএনপির নেতাদের কথা শুনলে মনে হয় দেশে দুর্ভিক্ষ হচ্ছে।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সারা বিশ্ব সংঘাতময়, অস্থির পরিস্থিতি বিরাজমান। বিশ্ব অস্বস্তিকর অবস্থার পাশাপাশি ডলার সংকট রয়েছে। সোমালিয়াসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে খাদ্য সংকট।’

গত বৃহস্পতিবার সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। প্রস্তাবিত বাজেটে বিশ্ব অর্থনীতির নানা সংকটের মধ্যে অনেক আমার বাণী শুনিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। বাজেট নিয়ে সমালোচনাকে ‘গৎবাঁধা’ বলে আখ্যা দিচ্ছেন সরকারসংশ্লিষ্টরা।

সংবাদ সম্মেলনে কাদের বলেন, যাদের অর্থনীতিই ছিলো লুটপাটের সে বিএনপি এ বাজেটকে লুটপাট বাজেট বলে কি করে? তাদের সময় কী পরিমান বাজেট ছিল? আজকে তা কী হয়েছে? আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে ধারাবাহিক অগ্রগতির ফলে জিডিপির উন্নয়ন হয়েছে। ৮-৯ অর্থবছরে কী ছিল, বাংলাদেশ আজ ৩৫ তম অবস্থানে আছে। বাজেটের কৃচ্ছ্র সাধন করে জিডিপির অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে।’

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘স্বাধীনতার পর রিজার্ভ কী ছিলো? শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৪৮.৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছিলো কিন্তু বিশ্ব সংকটে এটার কিছুটা তারতম্য আছে তবে সব সংকটই সমাধান হয়ে যাবে দ্রুত। বিশ্বের অনেক দেশেই অর্থনৈতিক সঙ্কট সমাধানে অস্থির অবস্থা।’

অনেক দেশের নেতারাই শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকতেই পারে কিন্তু প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি আর উন্নয়ন অবদান অস্বীকার এগুলো কি মানা যায়? অনেক দেশের নেতারাই শেখ হাসিনাকে ফলো করেন এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। সারা বিশ্ব শেখ হাসিনার প্রসংশা করলেও এদেশের বিরোধী দলের লোকরা একটা ধন্যবাদও দিতে পারে না। এদেশের বিরোধী দলের রাজনীতি বিশ্বে বিরল। বিরোধীদল শুধু সমালোচনা আর বিরোধিতা করে কিন্তু ভালো কোনো পরামর্শ দিতে পারে না ‘

বাজেট প্রসঙ্গে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ- সিপিডির বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা তো গতানুগতিক ধারায় কথা বলে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের দামের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে বিশ্বের সবাই কষ্টে আছে। বিশ্ব পরিস্থিতি কারণেই মানুষ কষ্টে আছে। সরকার মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে না। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার চেষ্টা করছে।

বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপির সময় আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে হামলা করা হতো আওয়ামী লীগের সময় বিএনপির কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ কখনো হামলা করেনি।

কাদের বলেন, বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগ বারবার নির্যাতিত হয়েছে কিন্তু বর্তমানে বিএনপি অবাধ ভাবে রাজনীতি করার সুযোগ পাচ্ছে।


বাজেটের কারণে দরিদ্রের সংখ্যা আরও বাড়বে: জি এম কাদের

শুক্রবার রাজধানীর উত্তরার বিসিক মিলনায়তনে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২ জুন, ২০২৩ ২২:২৫
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

প্রস্তাবিত বাজেটের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো সম্পর্ক নেই বলে মনে করছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তিনি বলেছেন, নিজেদের স্বার্থে ও আইএমএফ-এর পরামর্শে যেভাবে ট্যাক্স ধরা হয়েছে তাতে সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকাটা কষ্টের হয়ে উঠবে। এই বাজেটের কারণে সাধারণ মানুষ ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা আশা করছি, মানুষের ক্ষতি যেন কম হয়।

রাজধানীর উত্তরার বিসিক মিলনায়তনে উত্তরা কালচারাল সোসাইটির ১৫তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শুক্রবার জি এম কাদের আরও বলেন, মূল্যস্ফীতি লাগামছাড়া হয়ে উঠবে। এখনই মানুষের জীবন বাঁচাতে ত্রাহি অবস্থা। বাজেট বাস্তবায়ন হলে মানুষের অবস্থা কেমন হবে তা জানি না। এই বাজেটের কারণে দরিদ্রের সংখ্যা আরও বাড়বে। যারা মধ্যবিত্ত হিসেবে সম্মানের সঙ্গে আছেন, তাদের দরিদ্র হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই বাজেটের কারণে দেশে বিপর্যয় নেমে আসবে।

তিনি বলেন, চাপিয়ে দিয়ে এই বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারবে না। সম্পূর্ণ ঋণনির্ভর বাজেট বাস্তবায়ন হয় না। মানুষের গলায় রশি লাগিয়ে সরকার বাজেট অনুযায়ী ট্যাক্স আদায় করতে পারবে না। রিজার্ভসংকটের কারণে বিদেশি ঋণ পাওয়াও সহজ হবে না। দেশি ব্যাংকগুলো এখনই ঋণ দিতে পারছে না। সরকারকে টাকা ছাপিয়ে টাকার সংকুলান করতে হচ্ছে। টাকা আরও ছাপাতে হবে, এতে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, জাতীয় সংসদে সার্কাস চলছে। সংসদে গণমানুষের কথা বলা যায় না। গণমানুষের কথা বললে অবান্তর মনে করা হয়। এমন বাস্তবতা থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে।


অর্থনৈতিক-সামাজিক নৈরাজ্য আরও বিস্তৃত করবে: গণতন্ত্র মঞ্চ

আপডেটেড ২ জুন, ২০২৩ ২২:০২
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারের বেসামাল অবস্থারই প্রতিফলন ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। এই জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাজেট প্রস্তাবনায় জনগণের প্রতি সরকারের দায়িত্বহীনতা ও অসংবেদনশীলতারও বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। বাজেট প্রস্তাবনায় বিপর্যস্ত অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে আসার যেমন কোনো নির্দেশনা নেই, তেমনি বাজারের নৈরাজ্য থেকে জনগণকে রক্ষারও কোনো কার্যকরী ও বিশ্বাসযোগ্য প্রস্তাব নেই।

শুক্রবার গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।

প্রস্তাবিত বাজেট জনগণের অসহনীয় দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়ে অর্থনৈতিক ও সামাজিক নৈরাজ্য ও বৈষম্য আরও বিস্তৃত করবে বলেও দাবি করেন জোটের নেতারা।

মঞ্চের পক্ষে থেকে আরও বলা হয়, বাজেটে জীবনযাত্রার অসহনীয় ব্যয়ভার ও বাজারের আগুনে পুড়তে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য স্বস্তির কোনো খবর নেই। বরং নতুন নতুন দুর্যোগের আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে।

গণতন্ত্র মঞ্চের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, কোটি কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা যখন গুরুতর হুমকির মুখে তখন রিটার্ন জমাসহ ৪০ রকম সেবা পেতে শুরুতেই যেভাবে কর ধার্যের প্রস্তাব করা হয়েছে, তা রীতিমতো অবিশ্বাস্য ও জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার শামিল। সীমাহীন চুরি, দুর্নীতি লুটপাট ও অব্যবস্থাপনার কারণে এখন বাজেটের ঘাটতি মেটাতে সাধারণ মানুষের ওপর নতুন নতুন করের বোঝা চাপানো হচ্ছে। ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার ঘাটতি পূরণের দায়ও শেষ পর্যন্ত চাপানো হবে সাধারণ মানুষের ওপর।

বিষয়:

ঢাকাসহ ছয় বড় শহরে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ করবে বিএনপি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
আপডেটেড ২ জুন, ২০২৩ ২১:০৬
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

আন্দোলনে তরুণদের সম্পৃক্ত করতে রাজধানী ঢাকাসহ ছয় বড় শহরে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে যৌথ এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ১০ বা ১১ জুনের যেকোনো এক দিন চট্টগ্রাম থেকে এই সমাবেশ শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে ১৭ জুন বগুড়া, ৭ জুলাই খুলনা, ১৫ জুলাই বরিশাল, ২২ জুলাই সিলেট এবং ২৯ জুলাই ঢাকায় সমাবেশ করবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানি, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।

সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, “এই কর্মসূচি হবে ‘দেশ বাঁচাতে তারুণ্যের সমাবেশ’ স্লোগানে। এটি কোনো বিভাগীয় সমাবেশ নয়। প্রায় ৪ কোটি ভোটার গত ১৫ বছর ধরে ভোট দিতে পারেননি। তাদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। খালেদা জিয়া ৯ বছর আন্দোলন করে গণতন্ত্র দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের মানুষকে একটি আত্মনির্ভরশীল জাতি প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। সে জন্য দেশনায়ক তারেক রহমান বলেছেন- টেক ব্যাক বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশে সবার সমান অধিকার থাকবে।”

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আজ শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলেছে। সন্ত্রাসের কারণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জিম্মি। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে গেছে। বেকারত্ব বেড়েছে। সমগ্র দেশবাসী আজ এই সরকারের দ্বারা নির্যাতিত, নিপীড়িত। রিকশাচালক থেকে শুরু করে ছাত্র, শিক্ষক, শ্রমিক, পেশাজীবী- সবাই এই সরকারের দ্বারা নির্যাতিত। কারণ তাদের দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে সব জিনিসপত্রের সীমাহীন দাম বেড়েছে। বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক দেশ, আইনের শাসন, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা, সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী বসবাসের উপযোগী হিসেবে দেশ নির্মাণ করতে চাই।’


প্রস্তাবিত বাজেট গোঁজামিলের: মির্জা ফখরুল

শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন দলটির মহাসচিব মিজা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২ জুন, ২০২৩ ২০:৫২
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে গোঁজামিলের বাজেট বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘আবার ওই গোঁজামিল। দুইয়ে দুইয়ে চার হয়, এক-দুই-তিন এভাবে মিলিয়ে একটা করেছে।’

রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রী বলছেন যে একটা চমৎকার বাজেট হয়েছে। সরকার বলছে একটা সুন্দর বাজেট, যেটা নাকি পরিবর্তন আনবে। কিন্তু আমাদের নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া, তারাই বলছে- এই বাজেট মানুষের মধ্যে কোনো স্বস্তি আনতে পারে না। যে মূল্যবৃদ্ধি, ভয়ংকর একটা অর্থনৈতিক সংকট, এখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য যে বাজেট হওয়ার দরকার ছিল, সেই বাজেট দিতে তারা (সরকার) সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘কীভাবে টাকা আসবে, কোত্থেকে টাকা আসবে, কীভাবে প্রবৃদ্ধি অর্জন হবে, সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট কোনো কিছু নেই। এরা সব সময় মানুষকে প্রতারণা করে, বিভ্রান্ত করে। আজকেও একই কাজগুলো তারা করেছে। এখন ভিক্ষা করতে গেলেও টিন নম্বর দিতে হবে। বাজারে গেলে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। এদের (সরকার) বিদায় করতে হবে। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।’

দেশের একটি জাতীয় পত্রিকার কার্টুন দেখিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একজন ভিক্ষুক, তার দুই পা কাটা, তিনি একটা থালা নিয়ে ভিক্ষা করছেন, আর বুকের মধ্যে একটা বোর্ডে লাগিয়েছেন তার টিন নম্বর। অর্থাৎ যারা আয়করবহির্ভূত তাদেরও ২ হাজার টাকা কর দিতে হবে। তাদের টিন নম্বর দিতে হবে। এখন ভিক্ষা করতে হলেও টিন নম্বর লাগবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, এভাবে সাধারণ মানুষকে নিঃস্ব করে পকেট কেটে উন্নয়নের নামে মেগা প্রজেক্ট করছে। আর সাধারণ মানুষ বাজারে গিয়ে হাহাকার করছে। এই পরিস্থিতিতে এটা একটা বাস্তবতাবিবর্জিত বাজেট। এই সরকারকে আর ক্ষমতায় রাখা যায় না।

সরকার পতনের আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকারকে আর ক্ষমতায় রাখা যায় না। এরা প্রতি মুহূর্তে, প্রতিদিন আমাদের জাতির ভবিষ্যৎকে নষ্ট করছে, আমাদের সম্ভাবনাকে নষ্ট করছে, সবকিছুকে বিলীন করে দিচ্ছে।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘আমাদের খুব পরিষ্কার কথা- আমরা এ কথা বলি নাই যে, বিএনপিকে ক্ষমতায় আনো। আমরা একটা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমরা একটা অবাধ নির্বাচন চাই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া সেই নির্বাচন কখনোই সুষ্ঠু হবে না।’

সরকারকে উদ্দেশ করে ফখরুল বলেন, ‘দাবি আমাদের একটাই- দয়া করে বিদায় হও। অনেক করেছ, এনাফ ইজ এনাফ। আর জাতির কষ্ট না বাড়িয়ে পদত্যাগ করে বিদায় হয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে মানে মানে বিদায় হও। তা না হলে এ দেশের মানুষ কীভাবে বিদায় করতে হয়, তা খুব ভালো করে জানে।’

বিষয়:

আওয়ামী লীগ এখন টিকটকে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

ভিডিও শেয়ারিংয়ের প্লাটফর্ম টিকটকে সক্রিয় হয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তাদের অ্যাকাউন্টে ফলো করার আহ্বানও জানিয়েছে দলটি।

শুক্রবার দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে আওয়ামী লীগের টিকটক অ্যাকাউন্টের লিংক ও একটি কিউআর কোড শেয়ার করে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের টিকটক অ্যাকাউন্ট ফলো করুন। একই সাথে বন্ধুদের ইনভাইটেশন দিন।’

‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার অঙ্গীকার দিয়ে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। তাদের সরকারের নেতৃত্বে দেশের সর্বস্তরে আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। দলটির কার্যক্রমেও লেগেছে ডিজিটাইজেশনের ছোঁয়া।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক-টুইটারে আগে থেকেই সক্রিয় আওয়ামী লীগ ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। টিকটকে পদার্পণও তাদের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’র দিকে অগ্রযাত্রারই অংশ।

বিষয়:

বড় বোঝা জনগণের ওপর চাপানো হয়েছে: বাসদ

বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

বড় বাজেটের নামে ভ্যাট-ট্যাক্সের বোঝা জনগণের ওপর চাপানো হয়েছে বলে মনে করছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ। দলটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘স্বাধীনতার পর দেশের বয়স যত বাড়ছে, বাজেটের আকার তত বড় হচ্ছে। এবারের বাজেটও তার ব্যতিক্রম নয়।’

প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে এক প্রতিক্রিয়া ফিরোজ আরও বলেন, ‘ঘাটতি বাজেট হলেও সরকারকে খরচ তো করতেই হবে। তাই ঘাটতি পূরণের উপায় হিসেবে বলা হয়েছে, ঘাটতি পূরণ (অর্থসংস্থান) করা হবে দুইভাবে- দৈশিক ঋণ ও অভ্যন্তরীণ ঋণ নিয়ে ‘

বাজেটে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বরাদ্দ তুলনামূলকভাবে না বাড়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ প্রস্তাব ৩৮ হাজার ৫২ কোটি টাকা যা গত বাজেটে ছিল ৩৬ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা। সেই ৫ শতাংশের ঘরেই থেকে গেল স্বাস্থ্য বাজেট।’

বিষয়:

banner close