বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

দুর্নীতি ও বৈষম্য মুক্তির নির্দেশনা নেই: সিপিবি

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ১ জুন, ২০২৩ ২২:৪৭

নিম্ন প্রবৃদ্ধি, সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, সর্বনিম্ন বৈদেশিক মুদ্রার কর্তৃত্বপরায়ণতা ও বৈদেশিক চাপের মুখে প্রদত্ত বাজেটে সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি বলে মনে করছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি- সিপিবি। দলটি বলছে, বাজেটে দুর্নীতি ও বৈষম্য মুক্তির নির্দেশনা নেই, বরং জনগণের কাঁধে নানাভাবে করের বোঝা চাপবে- যা সাধারণ মানুষের জীবনকে আরও বিপর্যস্ত করে তুলবে।

সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জাতীয় সংসদে উত্থাপিত বাজেট সম্পর্কে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় আরও বলেছেন, ‘নয়া উদারনীতিবাদী অর্থনৈতিক দর্শনের ভিত্তিতে প্রণীত বাজেট বড় লোকের স্বার্থই রক্ষা করবে।’ বাজেটে পাচারের টাকা ফেরত আনা ও খেলাপি ঋণ উদ্ধারে বিশেষ নির্দেশনা না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয়, সাধারণ মানুষের উপার্জিত অর্থই লুট হয়ে যাচ্ছে, অথচ এটি উদ্ধারে কোনো ভূমিকা নেই।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই বাজেটে ঘাটতি আরও বৃদ্ধি পাবে ও আরও নির্ভরতার ঝুঁকি থেকে যাবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ধারায় এ বাজেট প্রণীত হয়নি। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সংবিধানের নির্দেশনা মানা হয়নি। মুক্তবাজারের নামে লুটপাটের ধারা আমাদের সংবিধান অনুমোদন দেয় না, অথচ ওই ধারায় বাজেট প্রণীত হয়েছে। এ বাজেট আমলা ও লুটেরানির্ভর। এটা প্রণয়নে জনগণের মতামত গ্রহণ করা হয়নি। বাজেটের ঘাটতি পূরণের জন্য সাধারণ মানুষ, মধ্যবিত্তের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করের বোঝা চাপানো হবে। এই বাজেট আয় বৈষম্য, সম্পদ বৈষম্য, খাদ্য-শিক্ষা-স্বাস্থ্য বৈষম্য, আঞ্চলিক বৈষম্য দূর করতে কোনো ভূমিকা নেবে না বরং বৈষম্য আরও বাড়াবে।’

বিষয়:

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে গোপালগঞ্জ-৩ আসনের মনোনয়নপত্র দাখিল

আপডেটেড ২৯ নভেম্বর, ২০২৩ ১৮:৪৭
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া, সংসদীয় আসন-২১৭) আস‌নে আওয়ামী লীগ সভাপ‌তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনার প‌ক্ষে ম‌নোনয়নপত্র জমা দি‌য়ে‌ছেন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

বুধবার প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার চাচাতো ভাই সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলমের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়।

এসময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মো. শহিদ উল্লা খোন্দকার, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম. কামাল হোসেন, সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়, কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ ফজলে নাঈম, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী নাজমা আক্তার, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-০২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জিএম সাহাব উদ্দিন আজম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুন্সি আতিয়ার রহমান, পৌর মেয়র শেখ রকিব হোসেন, কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুলসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

গোপালগঞ্জ-৩ আসনে এ পর্যন্ত দুটি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। একটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবং অপরটি এনপিপির শেখ আবুল কালামের।


১২৩ আসনে প্রার্থী দিল তরীকত ফেডারেশন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়তে ১২৩ আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন। মঙ্গলবার দলটির যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র মো. আলী ফারুকী এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১২৩ আসনের প্রার্থীদের নাম জানান।

আরও বেশ কিছু আসনের জন্য আরও প্রার্থী অপেক্ষমাণ তালিকায় আছেন বলে জানিয়েছেন দলটির মুখপাত্র।

তাদের দেয়া তালিকা অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে ৩৮ আসনে, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৮ আসনে, রাজশাহী বিভাগে ১৬ আসনে, বরিশাল বিভাগে ১৪ আসনে, ময়মনসিংহ বিভাগে ১১ আসনে, রংপুর বিভাগে আট আসনে এবং খুলনা ও সিলেট বিভাগে চারটি করে আসনে প্রার্থী দিয়েছে তরীকত ফেডারেশন।

তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।


পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির বিষয় সমন্বয় হবে: কাদের

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৮ নভেম্বর, ২০২৩ ১৬:৫৩
বাসস

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির বিষয়টি সমন্বয় করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ৩০০ আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী থাকবে। তবে সমঝোতা হলে জোটের শরিকদের জন্য কিছু আসন ছেড়ে দেয়া হবে।

শরিক দলের মধ্যে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। এর মধ্যে আমরা পর্যবেক্ষণ করবো, সমন্বয় করবো। যেখানে যা প্রয়োজন তা করবো। ১৭ তারিখের মধ্যে সবকিছু ফাইনাল করা হবে।’

নৌকা মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতারাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে বিশৃঙ্খলা হবে কি না প্রশ্নের জবাবে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা দেখছি কারা কারা (নির্বাচনে অংশ নিতে) চাইছে। আমাদের কৌশলগত সিদ্ধান্ত আছে, ১৭ তারিখ পর্যন্ত সময় আছে। এর ভেতরে আমরা পরিবর্তন, সংশোধন করতে পারবো। আমাদের কৌশলগত দিক থাকবে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপিকে নির্বাচনে আনার কৌশল আমাদের নেই। তারা এলে স্বাগতম। তাদের দলের কেউ কেউ আসতে পারেন। কেউ কেউ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছেন। ৩০ তারিখের পর সব ঠিক হয়ে যাবে।’

সুষ্ঠু-অবাধ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা দলের মনোনীত প্রার্থী ও নেতা-কর্মীদের নির্বাচনী আচরণবিধি মানার নির্দেশ দিয়েছেন। আমাদের টার্গেট হলো শান্তিপূর্ণ, অবাধ-সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।’


নৌকার প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের কেউ কাজ করলে ব্যবস্থা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঢাবি প্রতিনিধি

আসন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন বঞ্চিত নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করলে তাদের প্রতি আওয়ামী লীগ কঠোর না হলেও এসব স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কোন ছাত্রলীগ নেতা কাজ করলে তাদের প্রতি কঠোর হবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

সোমবার সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এই তথ্য জানিয়েছেন।

শেখ ওয়ালী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিরেক্ট ফোর্স বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী নৌকার প্রার্থীদের বিজয়ী করতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কাজ করবে। শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের বাইরে কেউ গিয়ে থাকে তাদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে গতকাল রোববার আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন দলটির সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে দ্বাদশ নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করার তাগিদ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ পাশ করে আসতে পারবেন না। অন্য দলের প্রার্থী না থাকলে প্রত্যেক প্রার্থীকেই একজন করে দলীয় ডামি প্রার্থী রাখতে হবে।

নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতে নৌকার প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা অন্যান্য দলের কেউ প্রার্থী হলে তাকেও সহযোগিতা ও উৎসাহ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রধান।

এরপর থেকে দলের মনোনয়ন বঞ্চিত অনেকেই স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিচ্ছেন।

এদিকে অনেক মনোনয়ন বঞ্চিত নেতা দীর্ঘদিন সংসদ সদস্য থাকায় স্থানীয় ছাত্রলীগ এসব সাংসদদের অনুগত। ফলে এই সংসদ সদস্যরা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়ালে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতারা দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গতকালের মনোনয়ন চূড়ান্তের পর আজ নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে তৈরি করা বিভাগীয় সমন্বয়ক টিমের সভা ডেকেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। সভায় উপস্থিত চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়ক টিমের সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ বলেন, আজকের সভায় কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকও এই বিষয়ে আমাদের কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। স্থানীয় কোন ছাত্রলীগ নেতা নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে গিয়ে অন্য কারও পক্ষে কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।


দলের নেতাদের জন্য নির্বাচন উন্মুক্ত রাখল আওয়ামী লীগ

আপডেটেড ২৭ নভেম্বর, ২০২৩ ০৫:৩৫
বিশেষ প্রতিনিধি

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং অংশগ্রহণমূলক করতে মনোনয়নবঞ্চিত দলের নেতাদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার পথ উন্মুক্ত রাখল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। গতকাল রোববার দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীর পাশাপাশি দলের অন্য যেকোনো নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দলীয় প্রতীকের প্রার্থীর পাশাপাশি দলের যেকোনো নেতা বা যেকোনো ব্যক্তি স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারবেন বলে দলীয় সভাপতির নির্দেশনা রয়েছে বলে জানান বৈঠকে উপস্থিত একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী। সুতরাং স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে কোনো বাধা থাকছে না দলের পক্ষ থেকে। সভায় উপস্থিত একজন জানান, নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে প্রয়োজনে ডামি প্রার্থী রাখতে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। একই সঙ্গে নির্বাচনের সময় ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসতেও নির্দেশ দেন তিনি।

পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোটারকে ভোটকেন্দ্রে আনতে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তাগাদা দিয়ে আওয়ামী লীগ প্রধান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ নির্বাচিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে সতর্ক করে দিয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ পাস করে আসতে পারবেন না। অন্য দলের প্রার্থী না থাকলে প্রত্যেক প্রার্থীকেই একজন করে দলীয় ডামি প্রার্থী রাখতে হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতে নৌকার প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা অন্যান্য দলের কেউ প্রার্থী হলে তাকেও সহযোগী ও উৎসাহ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।

আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে আসতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

সভায় আওয়ামী লীগের প্রধান সবার কাছে ৩০০ প্রার্থীর নাম দেয়ার আহ্বান জানান। কিন্তু উপস্থিত সবাই সে দায়িত্ব সভানেত্রীকেই প্রদান করেন। সেই সঙ্গে আরও জানা যায়, যে কেউ চাইলেই নির্বাচন করতে পারবেন। কোনো বাধা নেই। এ সময় মনোনয়প্রত্যাশীদের পাশাপাশি দলের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

মনোনয়নের ক্ষেত্রে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিরোধী দল না আসা সাপেক্ষে প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন করতে প্রয়োজনে আসন উন্মুক্ত করা হবে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ যেন নির্বাচিত হতে না পরে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য জানান, দলীয় প্রার্থী হিসেবে যাদের মনোনয়ন দেয়া হবে, তাদের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি সবাই যেন ঐক্যবদ্ধভাবে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান জানান, সেই বিষয়টিও মনিটরের কথা বলা হয়েছে। মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীর পাশাপাশি ডামি ক্যান্ডিডেটও (বিকল্প প্রার্থী) রাখতে বলেছেন, যেন কারও মনোনয়ন বাতিল বা মনোনয়ন প্রত্যাহার করলে যেন ডামি ক্যান্ডিডেট নির্বাচন করতে পারে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ গণমাধ্যমকে জানান, নেত্রী সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য বলেছেন। বিকল্প প্রার্থী রাখতে বলেছেন, নির্বাচনে যাতে কেউ কোনো ধরনের অনিয়ম করতে না পারে। ভোটারের উপস্থিতি যাতে বাড়ে, সে জন্যও কাজ করতে বলেছেন।

এদিকে দলীয় সভাপতির বক্তব্যের বিষয়ে সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতেই চলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের কোনো মুরব্বি নেই, আমাদের মুরব্বি জনগণ। আমাদের অগণিত নেতা-কর্মী আছে, জনগণের সমর্থন আছে। কারও তোষামোদি করে ক্ষমতায় থাকতে হবে- সেই রাজনীতি বঙ্গবন্ধুকন্যা করে না।’

মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কাছে টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের করা বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ টানা ক্ষমতায় থাকায় দেশের মানুষ শান্তি পেয়েছে, স্বস্তি পেয়েছে, মানুষ ভালো থাকতে শুরু করেছে। আগামী নির্বাচনে জনগণ আমাদেরকে ভোট দিলে, আমরা সরকার গঠন করতে পারলে উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে। জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করছি। দলমত নির্বিশেষে সবার দায়িত্ব আমার। তারা আমার পরিবার।

এ সময় বিএনপিকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের ওপর তাদের আস্থা-বিশ্বাস নেই। সে জন্য তারা ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করছে। এ সময় নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশও প্রদান করেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত দুষ্টচক্র যেন মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলতে না পারে, সে জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

আওয়ামী লীগ সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। এ মাটি আমাদের। এখানে কারও খবরদারি বরদাশত করা হবে না। জনগণই আমাদের শক্তি এবং আমরা কারও ওপর নির্ভরশীল নই।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘দেশের প্রধানমন্ত্রী ও জাতির পিতার মেয়ে হিসেবে তিনি দলমত নির্বিশেষে সবার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর দল গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় দেশের উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান।’

এর আগে সকাল থেকেই গণভবনের প্রবেশ পথে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মতবিনিময় করতে সকাল থেকে নিরাপত্তাবেষ্টনী পার হয়ে তারা সারিবদ্ধভাবে গণভবনে প্রবেশ করেন। নেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে ভেবেই উচ্ছ্বসিত ছিলেন তারা।

গত ১৮ থেকে ২১ নভেম্বর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমা নেয়ার কাজ চলে। পরে গত বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার দলের মনোনয়ন বোর্ড বসে ৩০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করে। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে কারা ভোটের মাঠে নামছেন, তা রোববার বিকেলে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এর আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, প্রার্থী বাছাইয়ে নতুন মুখ যেমন এসেছে, তেমনি আগের কেউ কেউ বাদ পড়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সাল থেকেই মহাজোট গঠন করে নির্বাচন করছে আওয়ামী লীগ। এবারও তারা জোটবদ্ধ হয়ে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিলেও কারা জোটে থাকবে এবং জোটের কারা কোন আসন পাচ্ছেন, এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট তথ্য মেলেনি।

এর আগে গত ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। সেখানে ৭ জানুয়ারি ভোটের তারিখ রেখে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ রাখা হয়েছে ৩০ নভেম্বর। এরপর মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি তারিখ ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর।


৭২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরিবর্তন

আপডেটেড ২৭ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০১
বিশেষ প্রতিনিধি

আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য কুষ্টিয়া-২ ও নারায়ণগঞ্জ-৫ বাদে সর্বমোট ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮ আসনের প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। গতকাল রোববার দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নৌকার প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। বাকি দুটি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম পরে ঘোষণা করা হবে।

ঘোষিত আসনে বর্তমান সংসদের অনেক সদস্যকে বাদ দিয়ে নতুন মুখসহ দলের বেশ কিছু সাবেক এমপি ও ত্যাগী নেতাকে মনোনয়ন দিয়ে অন্তত ৭০টিরও বেশি আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করেছে দলটি। তিনজন প্রতিমন্ত্রীসহ বর্তমান সংসদের ৭২ জন সদস্য আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে ব্যর্থ হয়েছেন। সেই সঙ্গে মনোনয়ন দৌড়ে যোগ হয়েছেন নতুন বেশ কিছু মুখ।

তিন প্রতিমন্ত্রী হলেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।

খুলনা-৩ আসনে মন্নুজান সুফিয়ানের পরিবর্তে এস এম কামাল হোসেন, ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে কে এম খালিদের পরিবর্তে আবদুল হাই আকন্দ এবং কুড়িগ্রাম-৪ আসনে জাকির হোসেনের পরিবর্তে বিপ্লব হাসানকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন তালিকা প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, মন্ত্রিসভার সদস্যদের তিনজন ছাড়া সবাই মনোনয়ন পেয়েছেন।

মনোনয়নের তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, অন্য যেকোনোবারের তুলনায় এবার বেশি নতুন মুখ মনোনয়ন পেয়েছেন। নতুনদের মধ্যে পোড় খাওয়া ত্যাগী নেতাদের পাশাপাশি একঝাঁক তরুণ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, তারকা ক্রিকেটার, চলচ্চিত্র অভিনেতা, স্বনামধন্য কিছু পেশাজীবীও রয়েছেন।

আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত তালিকা অনুসারে, একাদশ জাতীয় সংসদে থাকা যশোর-২ আসনের সাবেক সেনা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন, মাগুরা-১ আসনের সাইফুজ্জামান শিখর, ঢাকা-৭ আসনে হাজী মো. সেলিম ও ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মনোনয়ন পাননি। এ ছাড়া বাদ পড়েছেন সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও মহীউদ্দীন খান আলমগীর।

পঞ্চগড়-১ মাজহারুল হক প্রধানের বদলে এবার মনোনয়ন পেয়েছেন মো. নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া। দবিরুল ইসলামের বদলে ঠাকুরগাঁও-২ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মো. মাজহারুল ইসলাম। রংপুর-৫ আসনে এইচ এন আশিকুর রহমানের পরিবর্তে রাশেক রহমান। কুড়িগ্রাম-৩ আসনে এম এ মতিনের বদলে মনোনয়ন পেয়েছেন সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে। এদিকে, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের এমপি ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের বদলে মনোনয়ন পেয়েছেন মো. বিপ্লব হাসান। গাইবান্ধা-৪ আসনে মনোয়ার হোসেনের বদলে আবুল কালাম আজাদ।

বগুড়া-৫ আসনে মো. হাবিবর রহমানের পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন মো. মজিবুর রহমান মজনু। নওগাঁ-৩ আসনে মো. ছলিম উদ্দীন তরফদারের বদলে মনোনয়ন পেয়েছেন সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী। নওগাঁ-৪ আসনে মুহা. ইমাজ উদ্দিন প্রাং-এর বদলি হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে মো. নাহিদ মোর্শেদকে। মো. আয়েন উদ্দিনের বদলে রাজশাহী-৩ আসনে এবার আওয়ামী লীগের বাছাই মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ। রাজশাহী-৪ আসনে এনামুল হকের বদলে মনোনয়ন পেয়েছেন মো. আবুল কালাম আজাদ। পরিবর্তন আছে রাজশাহী-৫ আসনেও। মনোনয়ন পাননি বর্তমান এমপি মো. মনসুর রহমান। মো. হাবিবে মিল্লাতের বদলে সিরাজগঞ্জ-২ আসনে নৌকার মাঝি এবার মোছা. জান্নাত আরা হেনরী। পরিবর্তন আছে সিরাজগঞ্জ-৪ আসনেও। তানভীর ইমামের বদলে মনোনয়ন পেয়েছেন মো. শফিকুল ইসলাম। সিরাজগঞ্জ-৬ আসনেও মেরিনা জাহানের বদলে মনোনয়ন পেয়েছেন চয়ন ইসলাম। পাবনার একমাত্র পরিবর্তন ৪ নম্বর আসনে। মো. নুরুজ্জামান বিশ্বাসের পরিবর্তে প্রয়াত ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর ছেলে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গালিবুর রহমান শরীফ নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন।

মেহেরপুর-২ আসনে মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামানের বদলে মনোনয়ন পেয়েছেন আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক। ঝিনাইদহ-৩ আসনে মো. শফিকুল আজম খাঁনের বদলে নৌকার মাঝি মো. সালাহ উদ্দিন মিয়াজী। যশোর-২ মো. নাসির উদ্দিনের পরিবর্তে মো তৌহিদুজ্জামান এবং যশোর-৪ আসনে রনজিত কুমার রায়ের বদলে এনামুল হক বাবলা নৌকার মাঝি। বাগেরহাট-৪ আসনে মো. আমিরুল আলম মিলনের পরিবর্তে নতুন মুখ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ। খুলনা-১ আসনে পঞ্চানন বিশ্বাসের বদলে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ননী গোপাল মণ্ডল। খুলনা-৩ আসনে বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের বদলে এস এম কামাল হোসেন এবং খুলনা-৬ আসনে মো. আক্তারুজ্জামানের পরিবর্তে মো রশীদুজ্জামান এবার নৌকার মাঝি। এদিকে সাতক্ষীরা চার আসনের মধ্যে ৩ আসনেই পরিবর্তন রয়েছে। সাতক্ষীরা-১ মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাতক্ষীরা-২ মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এবং সাতক্ষীরা-৪ আসনে এস এম জগলুল হায়দারের কেউই পাননি নৌকার মনোনয়ন।

এমন পরিবর্তন রয়েছে দেশজুড়ে। রাজধানী ঢাকাতেও রয়েছে বেশ কিছু পরিবর্তন। ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য সাদেক খানের পরিবর্তে এবার দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। পাশাপাশি ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীনের পরিবর্তে এবার নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ। আর ঢাকা-১১ আসনে রহমতুল্লাহর পরিবর্তে নৌকার টিকিট পেয়েছেন ওয়াকিল উদ্দিন।

ঢাকা-৫ আসনে কাজী মনিরুল ইসলামকে এ বছর মনোনয়ন দেয়নি আওয়ামী লীগ। এ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন হারুনর রশীদ মুন্না। এ ছাড়া ঢাকা-৪ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা খানম। আসনটির বর্তমানে সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। আর ঢাকা-৮ আসনে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমকে। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ১৪ দলের শরিক ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনকে এবার ঢাকা-৬ আসনে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ। পাশাপাশি ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকায় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তার বড় ছেলে সোলায়মান সেলিমকে। আর ঢাকা-১৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন যুবলীগ নেতা মাইনুল হাসান খান নিখিল। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের আগা খান।

এ ছাড়াও মনোনয়ন না পাওয়ার তালিকায় আছেন টাঙ্গাইল-৫ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সানোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান, ফরিদপুর-১ আসনে মঞ্জুর হোসেন ও ফরিদপুর-৩ আসনের এমপি খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
চট্টগ্রাম বিভাগে বাদ পড়েছেন চাঁদপুর-১ আসনের সাবেক মন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর, চাঁদপুর-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য নুরুল আমীন। পাশাপাশি চট্টগ্রাম-১ আসনে বাদ পড়েছেন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা মোশাররফ হোসেন। যদিও মোশাররফ হোসেন আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন অসুস্থতার কারণে তিনি আর নির্বাচনে অংশ নেবেন না। আর চট্টগ্রাম-৪ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য দিদারুল আলমও এ বছর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি।

বরিশাল-৪ আসনে সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথকে এ বছর মনোনয়ন দেয়নি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এ ছাড়াও মনোনয়ন না পাওয়ার তালিকায় আরও আছেন বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান। সুনামগঞ্জ-১ আসনের মোয়াজ্জেম হোসেন, সিলেট-৫ আসনের হাফিজ আহম্মেদ মজুমদার ও সুনামগঞ্জ-২ আসনের জয়া সেন।

আওয়ামী লীগে নতুন যত মুখ

ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, বেশকিছু নতুন মুখের পাশাপাশি গত নির্বাচনে মনোনয়নবঞ্চিত হেভিওয়েট নেতাদের মধ্যে তৎকালীন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক ত্রাণমন্ত্রী ও বর্তমান সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসাইন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এবার দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। দলের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক এবারও মনোনয়ন পাননি।
মনোনয়ন তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অন্য যেকোনোবারের তুলনায় বেশি নতুন মুখ এবার মনোনয়ন পেয়েছেন। তাঁরা হলেন পঞ্চগড়-১ নাইমুজ্জামান ভুইয়া, ঠাকুরগাঁও-২ মো. মাজহারুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও-৩ মো. ইমদাদুল হক, নীলফামারী-৩ মো. গোলাম মোস্তফা, নীলফামারী-৪ জাকির হোসেন বাবুল, লালমনিরহাট-৩ মো. মতিয়ার রহমান, রংপুর-১ রেজাউল করিম রাজু, রংপুর-৩ তুষার কান্তি মণ্ডল, রংপুর-৫ রাশেক রহমান, কুড়িগ্রাম-২ জাফর আলী, কুড়িগ্রাম-৩ সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে, কুড়িগ্রাম-৪ বিপ্লব হাসান, গাইবান্ধা-১ আফরোজা বারী ও গাইবান্ধা-৪ থেকে আবুল কালাম আজাদ।

এ ছাড়া বগুড়া-২ তৌহিদুর রহমান মানিক, বগুড়া-৩ সিরাজুল ইসলাম খান, বগুড়া-৪ হেলাল উদ্দিন কবিরাজ, বগুড়া-৫ মজিবর রহমান মজনু, বগুড়া-৭ মো. মোস্তফা আলম, নওগাঁ-৩ সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, নওগাঁ-৪ নাহিদ মোরশেদ, রাজশাহী-২ মোহাম্মদ আলী, রাজশাহী-৩ আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজশাহী-৪ আবুল কালাম আজাদ, রাজশাহী-৫ মো. আব্দুল ওয়াদুদ, সিরাজগঞ্জ-২ জান্নাত আরা হেনরী, সিরাজগঞ্জ-৪ শফিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ-৬ চয়ন ইসলাম, পাবনা-৪ গালিবুর রহমান শরীফ, মেহেরপুর-২ আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক এবং ঝিনাইদহ-৩ সালাউদ্দিন মিরাজী এবার মনোনয়ন পেয়েছেন।

অন্যদিকে, যশোর-২ তৌহিদুজ্জামান, যশোর-৪ এনামুল হক বাবু, মাগুরা-১ সাকিব আল হাসান, বাগেরহাট-৪ বদিউজ্জামাল সোহাগ, খুলনা-১ ননি গোপাল মন্ডল, খুলনা-৩ এসএম কামাল হোসেন, খুলনা-৬ মো. রশীদুজ্জামান, সাতক্ষীরা-১ ফিরোজ আহমেদ স্বপন, সাতক্ষীরা-২ মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সাতক্ষীরা-৪ এসএম আতাউল হক, বরগুনা-২ সুলতানা নাদিরা, বরিশাল-২ তালুকার মোহাম্মদ ইউনুস, বরিশাল-৩ খালেদ হোসাইন, বরিশাল-৪ ড. শাম্মী আহমদ, বরিশাল-৬ আব্দুল হাফিজ মল্লিক, পিরোজপুর-২ কানাই লাল বিশ্বাস, পিরোজপুর-৩ মো. আশরাফুর রহমান, টাঙ্গাইল-৩ কামরুল হাসান খান, টাঙ্গাইল-৪ মো. মাজহারুল ইসলাম তালুকদার, টাঙ্গাইল-৫ মো. মামুনুর রশিদ, টাঙ্গাইল-৮ অনুপম শাহজাহান জয়, জামালপুর-১ নুর মোহাম্মদ, জামালপুর-৪ মাহবুবুর রহমান, জামালপুর-৫ আবুল কালাম আজাদ, শেরপুর-৩ শহিদুল ইসলাম, ময়মনসিংহ-৩ নিলুফা আনজুম, ময়মনসিংহ-৪ মোহাম্মদ মোহিত উর রহমান, ময়মনসিংহ-৫ আব্দুল হাই আকন্দ, ময়মনসিংহ-৮ আব্দুস সাত্তার, ময়মনসিংহ-৯ আব্দুস সালাম, নেত্রকোনা-১ মোস্তাক আহমেদ রুহী, নেত্রকোনা-৫ আহমদ হোসেন, কিশোরগঞ্জ-২ আব্দুর কাহার আকন্দ, কিশোরগঞ্জ-৩ মো. নাসিরুল ইসলাম খান, মানিকগঞ্জ-১ মো. আব্দুস সালাম, মুন্সীগঞ্জ-১ থেকে মহিউদ্দিন আহমেদ মনোনয়ন পেয়েছেন।

এ ছাড়াও ঢাকা-৪ সানজিদা খানম, ঢাকা-৫ হারুনুর রশিদ মুন্না, ঢাকা-৬ সাঈদ খোকন, ঢাকা-৭ সোলাইমান সেলিম, ঢাকা-৮ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা-১০ ফেরদৌস আহমেদ, ঢাকা-১১ মো. ওয়াকিল উদ্দিন, ঢাকা-১৩ জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা-১৪ মাইনুল হোসেন খান নিখিল, গাজীপুর-৩ রুমানা আলী, নরসিংদী-৩ ফজলে রাব্বী খান, নারায়ণগঞ্জ-৩ আব্দুল্লাহ আল কায়ছার, ফরিদপুর-১ আব্দুর রহমান, ফরিদপুর-৩ শামীম হক, সুনামগঞ্জ-১ রনজিত চন্দ্র সরকার, সুনামগঞ্জ-২ চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, সুনামগঞ্জ-৪ মো. সাদিক, সিলেট-২ শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট-৫ মাসুক উদ্দিন আহমেদ মনোনয়ন পেয়েছেন।

মৌলভীবাজার-২ শফিউল আলম চৌধুরী, মৌলভীবাজার-৩ মোহাম্মদ জিল্লর রহমান, হবিগঞ্জ-১ ডা. মো. মুশফিক হোসেন চৌধুরী, হবিগঞ্জ-২ ময়েজ উদ্দিন শরিফ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ ফয়জুর রহমান, কুমিল্লা-১ ইঞ্জি. আব্দুস সবুর, কুমিল্লা-৮ আবু জাফর মো. শফিউদ্দিন, চাঁদপুর-১ ড. সেলিম মাহমুদ, চাঁদপুর-২ মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ফেনী-১ আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ফেনী-৩ আবুল বাশার, নোয়াখালী-৬ মোহাম্মদ আলী, লক্ষ্মীপুর-৪ ফরিদুন্নাহার লাইলী, চট্টগ্রাম-১ মাহবুব উর রহমান, চট্টগ্রাম-২ খাদিজাতুল আনোয়ার, চট্টগ্রাম-৪ এসএম আল মামুন, চট্টগ্রাম-৫ মো. আব্দুস সালাম, চট্টগ্রাম-১২ মোতাহেরুল ইসলাম এবং কক্সবাজার-১ আসনে সালাউদ্দিন আহমেদ এবার নৌকার মাঝি হয়েছেন।

২০১৮ সালের নির্বাচনে মনোনয়নবঞ্চিত হন ৫৬ জন সংসদ সদস্য। তার আগে ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনেও বাদ পড়েন ৪৯ জন সংসদ সদস্য। বর্তমান পরিস্থিতিতে টানা চতুর্থবারের মতো দলের জয়যাত্রা অব্যাহত রাখতে এবার জনপ্রিয় নেতাদের হাতেই তুলে দেয়া হয় দলীয় প্রতীক নৌকা। এ লক্ষ্যে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা দফায় দফায় জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তার ভিত্তিতে তিনশ আসনে জনপ্রিয় নেতারাই মনোনয়নের ক্ষেত্রে প্রাধান্য পেয়েছেন।


আওয়ামী লীগ তোষামোদ করে ক্ষমতায় থাকতে চায় না: প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ তোষামোদ করে ক্ষমতায় থাকতে চায় না, কারণ জনগণই আমাদের শক্তি।’

তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণ ছাড়া আমাদের আর কোনো অভিভাবক নেই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা হয়ে আমি ক্ষমতায় থাকার জন্য তোষামোদের রাজনীতি করতে পারি না।’

প্রধানমন্ত্রী আজ গণভবনে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে একথা বলেন।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

আওয়ামী লীগ সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এ মাটি আমাদের। এখানে কারো খবরদারি বরদাস্ত করা হবে না। জনগণই আমাদের শক্তি এবং আমরা কারো ওপর নির্ভরশীল নই।’

দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গত ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো সংক্ষেপে বর্ণনা করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় জনগণ শান্তিতে রয়েছে। দেশের জনগণ আবারও আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।’

এ সময় তিনি আরও উল্লেখ করেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী ও জাতির পিতার মেয়ে হিসেবে তিনি দলমত নির্বিশেষে সবার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর দল গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় দেশের উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান।


কোন আসনে কে পেলেন নৌকার মনোনয়ন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের নামের তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে।

রোববার বিকেলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ নামের তালিকা ঘোষণা করেন।

এ সময় মোট ২৯৮টি আসনের মনোনীত প্রার্থীদের নামের তালিকা ঘোষণা করা হয়।

মনোনীত প্রার্থীদের নামের তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন


আ.লীগের মনোনয়ন পেলেন সাকিব আল হাসান ও নায়ক ফেরদৌস

আপডেটেড ২৬ নভেম্বর, ২০২৩ ১৬:৫২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন অলরাউন্ডার ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এবং ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়ক ফেরদৌস।

রোববার বিকেলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলের মনোনীত প্রার্থীদের নামের তালিকা ঘোষণা করেন।

ঘোষণাকালে কাদের জানান, মাগুরা-১ আসনে সাকিব আল হাসান এবং ঢাকা-১০ আসনে ফেরদৌসকে দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।


নির্বাচন করতে বাধা দিলে ব্যবস্থা: ইসি

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চট্টগ্রাম ব্যুরো

নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেছেন ‘সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। কোনো ধরনের পক্ষপাতমূলক আচরণ ও শৈথিল্যতা প্রদর্শন করা যাবে না। দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। যদি কারো পক্ষপাতমূলক আচরণে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয় তাহলে তিনিই দায়ী থাকবেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রোববার (২৬ নভেম্বর) সকালে চট্রগ্রাম সার্কিট হাউসে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা-না করার এখতিয়ার সবার আছে। কিন্তু নির্বাচন বানচাল করা বা অন্যকে নির্বাচন করতে না দেওয়ার অধিকার আইন কাউকে দেয়নি।

‘এরকম কেউ করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ নির্বাচন না করার অধিকার তাদের একক কিংবা দলীয় সিদ্ধান্ত। তাই বলে কাউকে বাধা দেওয়া যাবে না। ভোটের পরিবেশ সৃষ্টিতে যা যা দরকার সেদিকে আমরা নজর দিচ্ছি।’

ইসি আরও বলেন, ‘কমিশন বরাবরই বলে আসছে, আমরা সুষ্ঠু অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই এবং এর জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করতে যা যা দরকার সবই করা হবে।’

নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো শঙ্কা প্রকাশ করেছে- এই প্রশ্নে আনিছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কাছে কেউ এখনও শঙ্কা প্রকাশ করেনি। এরই মধ্যে ছোট-বড় বিভিন্ন দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এতে মনে হচ্ছে, এবারের নির্বাচনে অনেকেই মাঠে থাকবেন এবং প্রতিদ্বন্দ্বীতাও হবে। এই নির্বাচন আমরা আমাদের চোখ দিয়ে দেখছি না। বিশ্ববাসীও দেখছে। কাজেই নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করার কোনো বিকল্প নাই। যে কোনো মূল্যে গ্রহণযোগ্য করতে হবে।’

বিএনপি নির্বাচনে এলে তফসিল পুনর্বিবেচনা করা হবে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও কারো কাছ থেকে কোনো আবেদন পাইনি। যদি কেউ নির্বাচনে আসে বা নির্বাচনের সময় নিয়ে যদি কারো কথা থাকে তবে সেক্ষেত্রে আমরা বিবেচনা করবো। সেই বিবেচনা করার মত যথেষ্ট সময় আমাদের আছে।’

এর আগে আয়োজিত সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরেআলম মিনা, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, বিজিবির রিজিওনাল কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজিদুর রহমান, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ইউনুছ আলী, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এনামুল হক।


রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ হয়, আগুনসন্ত্রাসীদের সাথে নয় : তথ্যমন্ত্রী

ছবি: বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

চট্টগ্রাম, ২৫ নভেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ পোড়ায়, হাসপাতালে হামলা চালায়, কোরআন শরীফ পোড়ায়, গাড়ি ও স্কুল ঘর পোড়ায়, ওরা কোন রাজনৈতিক দল নয়, রাজনৈতিক কর্মসূচিও এগুলো নয়। ওরা যতদিন এভাবে ফণা তুলবে ততদিন দেশ ও সমাজ হুমকির মুখে থাকবে।'

তিনি বলেন, 'রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ হয়, আগুন সন্ত্রাসীদের সাথে সংলাপ করা যায় না। বরং, তাদেরকে নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর। যারা তাদের সাথে সংলাপের কথা বলেন, তাদের কাছে প্রশ্ন- সন্ত্রাসীদের সাথে কি আলোচনা হয়? সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে হয়।'

আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের জামালখান সড়কে পুণস্থাপিত ‘বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ’ শীর্ষক ম্যুরাল ও তথ্যচিত্র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

গত ১৪ জুন বিএনপির সমাবেশে যাবার সময় চট্টগ্রামের জামালখান সড়কে মিছিলকারীদের ভাংচুর করা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও ইতিহাস ঐতিহ্যের তথ্যচিত্রগুলো পুনস্থাপনের এ অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী উদ্বোধক ও দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও তথ্যচিত্রগুলো নতুন আঙ্গিকে পুনঃস্থাপনের জন্য জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন এবং পৃষ্ঠপোষক ডায়মন্ড সিমেন্ট ও দৈনিক আজাদীকে ধন্যবাদ জানিয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, 'আসলে বিএনপি-জামাত শুধু ধ্বংসই করতে জানে। এই ম্যুরাল ও ইতিহাস ঐতিহ্যের তথ্যচিত্রগুলো কি অপরাধ করেছিল, সেগুলো যে ভাঙচুর করল? যদি জনগণের রায়ে আমরা আবার সরকার গঠন করতে পারি, এই দেশ থেকে শেষ আগুনসন্ত্রাসী পর্যন্ত ইনশাল্লাহ নির্মূল করা হবে।'

বিএনপি-জামায়াতের টানা অবরোধ প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, 'বিএনপি-জামাতের এই অবরোধ কেউ মানছে না। রাস্তায় গাড়ি-ঘোড়া চলছে, অফিস আদালত খোলা। স্কুল-কলেজও খোলা। তারা কিছু কিছু জায়গায় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষের মাঝে ভয় সঞ্চার করা ছাড়া আর কিছু করতে পারেনি। মাঝখানে বিরতি দিয়ে দুইদিন পরপর তাদের এই অবরোধ-হরতালের কথা শুনে এখন হনুমানও ভেংচি কাটে।'


জোটের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি: কাদের

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জোটের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘প্রয়োজন না হলে জোট নয়। জোটের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। একটি জোটের বিপরীতে আরেকটি জোট হয়। সেক্ষেত্রে জোটের প্রয়োজন না পড়লে কেন জোট করতে যাব?’

ওবায়দুল কাদের আজ শনিবার দুপুরে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

শরিকদের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত কী? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শেখ হাসিনা ১৪ দলীয় জোটের চেয়ারম্যান। আমরা শরিকদের বিষয়ে এখনো ঠিক করিনি। কারণ জোটের বিপরীতে জোট হয়। আমাদের প্রতিপক্ষের যদি একটা বড় জোট হয় সেটার বিপরীতে আমাদেরও জোট হবে। তাছাড়া আমরা কেন অহেতুক জোট করতে যাব। প্রয়োজন না থাকলে জোট করব না। জোট করব যাদের নিয়ে মানুষের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নতুন মুখ কেমন আসছে? সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নতুন-পুরাতন মিলিয়েই আমরা মনোনয়ন দিচ্ছি। যেখানে পুরোনোরা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে সেখানে আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে। ইলেকট্যাবল ক্যান্ডিডেট যারা সেটাই হচ্ছে বিচারের মানদন্ড। এছাড়া কতজনকে বাদ দেব, কতজন রাখব এ ধরনের সংখ্যা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। আমাদের মাথায় রয়েছে কাকে দিলে আমাদের দল নির্বাচনে জনগণের কাছে অধিকতর যোগ্য হবে।’


আগামীকাল আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন শেখ হাসিনা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।

রোববার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ কথা জানানো হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্বাচন উপলক্ষে গঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সব সদস্য এবং আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সব প্রার্থীকে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, মনোনয়ন পত্রের রিসিভ কপি, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অনলাইন ফরমের ফটোকপিসহ যথাসময়ে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।


banner close