রোববার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিএনপির সঙ্গে মুখোমুখি বসে আলোচনা করে দেখতে চাই: আমু

ছবি: ফোকাস বাংলা
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ৬ জুন, ২০২৩ ২১:২৬

নির্বাচন ও গণতন্ত্রের স্বার্থে আওয়ামী লীগের প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেছেন, ‘আমরা বিএনপির সঙ্গে মুখোমুখি বসে আলোচনা করে দেখতে চাই।’

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ১৪ দলীয় জোটের সমাবেশে মঙ্গলবার আমু আরও বলেন, সু্ষ্ঠু নির্বাচন করার বাধা কোথায়? কীভাবে সেটা নিরসন করা যায়? এটা আলোচনার মধ্য দিয়েই সুরাহা হতে পারে। অন্য কোনো পথে নয়। অন্য কোনো পথে চেষ্টা করে যারা নির্বাচন বানচাল করে অসাংবিধানিক অবস্থা সৃষ্টি করতে চায়, অসাংবিধানিক জিনিস আনতে চায়, তাদের প্রতিহত করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি আসুক। বগল বাজাবার কোনো সুযোগ নেই, বাহবা দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করার ফন্দিফিকির গত দিনেও (অতীতে) আপনারা করেছেন। আজকেও করার অপচেষ্টা করছেন। বিগত সময় যেমন জাতিসংঘ তারানকো সাহেবকে পাঠিয়েছিল, আমাদের দুই দলকে একসঙ্গে নিয়ে মিটিং করে বুঝেছিলেন। আজকেও প্রয়োজনে এই ধরনের গড়াগড়ি না করে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিদল আসুক।’

গণতন্ত্র রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যয়ের কথা উল্লেখ করে আমু বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, সংবিধানের ভিত্তিতে দেশ পরিচালিত হচ্ছে। সংবিধানকে সামনে রেখে যেকোনো সমাধান, যেকোনো কিছু করতে আমরা প্রস্তুত। আপনারা আসুন। এগিয়ে আসুন। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখবার স্বার্থে, গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আপনাদের সঙ্গে বসতে রাজি আছি। আলোচনার দ্বার খোলা। শেখ হাসিনা প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন, যেকোনো অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে তিনি প্রস্তুত।’

বিগত নির্বাচনগুলোতে বিএনপির অংশ না নেয়ার প্রসঙ্গ তুলে আওয়ামী লীগের এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘২০১৪ সালে নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করলেন কিন্তু সফল হলেন না। এবার নানা রকম অজুহাত তুলছেন। বিদেশিদের কাছে নানা রকম সাহায্য-সহযোগিতা চাচ্ছেন। ভিসা নীতিকে আশ্রয় করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। ভিসা নীতি কী, বৃক্ষ তোমার নাম কী, ফলেই পরিচয়। আজকে এটা বলার প্রয়োজন নেই। যখন এ বৃক্ষের ফল পড়বে, তখন দেখা যাবে এ বৃক্ষ কী, তখন আপনারা সবাই উপলব্ধি করবেন।’

আবারও ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগের প্রসঙ্গ টেনে আমির হোসেন আমু বলেন, ‘২০১৩ সালে প্রথম যখন জিকির তুললেন নির্বাচনের ব্যাপারে, জাতিসংঘের পক্ষ থেকে তারানকো সাহেবকে পাঠানো হলো। তিনি এসে আলাদা আলাদা বৈঠক করলেন, বিএনপির সঙ্গে, আমাদের সঙ্গে। পরবর্তী সময়ে যখন দুই দলকে নিয়ে যৌথ মিটিং করলেন, তখন প্রমাণিত হলো তাদের কথা কতটা অযৌক্তিক। আমরা কতটা যৌক্তিক ছিলাম।’

সমাবেশে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি দুরভিসন্ধিমূলক। এর মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে বিএনপি বা সুশীল সমাজের কাছে ক্ষমতা তুলে দেয়া যায়। মার্কিন ভিসা নীতির কারণে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তবে বিএনপিকে বলব-সাহস থাকলে সেই নির্বাচনে আপনারা আসেন।

সমাবেশে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, আওয়ামী লীগ সংবিধানের বাইরে যাবে না। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করবে। শেখ হাসিনার অধীনে যথাসময়ে নির্বাচন হবে।

বিষয়:

পুতুলের রাজনীতিতে আসা নিয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের রাজনীতির শীর্ষ নেতৃত্বে আসার তেমন সম্ভাবনা দেখছেন না। গত শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের স্থায়ী মিশনে সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর এবারের জাতিসংঘ সফরে সার্বক্ষণিক সঙ্গী হিসেবে রয়েছেন তাঁর মেয়ে এবং ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) বিষয়ভিত্তিক রাষ্ট্রদূত সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। ফলে তিনিও শেখ হাসিনার হাত ধরে রাজনীতির বড় মঞ্চে আসছেন কিনা তা নিয়ে সাংবাদিক মহলে চলছে জল্পনা-কল্পনা। বিষয়টি জানতে ওই সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হয় প্রধানমন্ত্রীকে। নিউইয়র্কে সেই বিষয়টি খোলাসা করলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রায় ঘণ্টাখানেকের বেশি সময় ধরে চলা মিট দ্য বাংলাদেশ প্রেসের এই আয়োজনের অধিকাংশ জুড়েই ছিল নিষেধাজ্ঞা আর নির্বাচনের প্রসঙ্গ। মার্কিন ভিসানীতির ঘোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনার আশ্বাস, ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

এ সময় অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ পুতুল দলের নেতৃত্বে আসছেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে শেখ হাসিনা জানান, তার (পুতুল) নেতৃত্বে আসার সম্ভাবনা খুবই কম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে কে নেতৃত্বে আসবে সেটা বাংলাদেশের জনগণ আর আমার দলই ঠিক করবে। আমার ছেলে ও মেয়েকে শিক্ষা দিয়েছি। তাদের শিক্ষাটাই একমাত্র সম্পদ। তাদের বলেছি, যে শিক্ষা দিয়েছি সে শিক্ষা অনুযায়ী দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, পুতুল একজন অটিজম বিশেষজ্ঞ। বিশ্বজুড়েই সে অটিস্টিক শিশুদের অধিকারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া আজকে যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছি, সেটা জয়ের কাছ থেকে শেখা। জয়ই আমাকে এ ব্যাপারে সবরকম পরামর্শ দিয়েছিল।


আ.লীগ ভিসা নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করে না: কাদের

ওবায়দুল কাদের সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভিসানীতি ও নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করে না আওয়ামী লীগ।

সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশের আসন্ন গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা দিলে তাতে জড়িতদের ভিসা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

গতকাল শুক্রবারের মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই ঘোষণা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভিসানীতি, নিষেধাজ্ঞা হলে ক্ষতিটা তাদেরই, যারা নির্বাচনে বাধা দিতে চায় এবং প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। ভিসানীতি ও নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করে না আওয়ামী লীগ।’

‘ভিসানীতি বাস্তবায়নের বাস্তবতাটা কী সেটা দেখার বিষয়। আওয়ামী লীগ চায় অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার এ নিয়ে জনগণের কাছে অঙ্গীকার করেছেন।’

আসন্ন নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্তের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ভোট দেবে দেশের জনগণ। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। বিদেশিদের পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়টি তাদের ব্যাপার। এখানে পর্যবেক্ষক পাঠানোর নিয়ম আছে। ভিয়েনা কনভেনশন আছে।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করতে ক্ষমতার মঞ্চে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচন হতে দেবে না বলে দলটির নেতাদের বক্তব্যের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির ইচ্ছাতেই কি নির্বাচন হবে? বিএনপি নির্বাচন চায় না। তারা যদি নির্বাচন বয়কট করতে চায় করবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ চায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন। বিএনপির নির্বাচনে আসাটা তাদের অধিকার। তবে নির্বাচনে না এসে নির্বাচনবিরোধী যে কোনো ষড়যন্ত্র করলে জনগণ তা প্রতিরোধ করবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়কের কোনো যৌক্তিকতা নেই। উচ্চ আদালত এটা বাতিল করে দিয়েছেন।’

বিএনপির উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রাখেন, তারা কেন সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে দেশকে? সারা বিশ্বে গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবে হবে।

অক্টোবরে বিএনপির আন্দোলনের মরণকামড়ের হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মরণকামড় দিতে গিয়ে বিএনপিই মরে ভূত হয়ে যাবে।’

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুই সেলফিতে রাজনীতির সব ফয়সালা হয়ে গেছে। দুই সেলফিতে বিএনপির রাতের ঘুম শেষ।’


যে দলের নেতা পলাতক খুনি, তাদের কেন মানুষ ভোট দেবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় এক নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন। ছবি: ফোকাস বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তার দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছেন। এসময় লন্ডনে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, পলাতক খুনি যে দলের নেতা, সেই দলকে মানুষ কেন ভোট দেবে?

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এক নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের একটি হোটেলে নিউইয়র্ক মেট্রাপলিটন আওয়ামী লীগ এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন।

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি কি আসলেই নির্বাচন চায়? তাদের নেতা কে?’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘পলাতক আসামি, অর্থ চোর, অস্ত্র চোরাচালানকারী, খুনি ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাকারী—এই যদি একটি দলের নেতা হয়, তবে মানুষ কেন সেই দলকে এবং তাকে ভোট দেবে?’

তিনি বলেন, ‘তারা ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভোট পায়নি এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেনি।’

নির্বাচন ঠেকানোর নামে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কত প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এখনো সেই পোড়া মানুষের মুখ দেখলেই বোঝা যাবে যে কী জঘন্য কাজ হয়েছে। যারা এটি করেছে, তাদের মতো আর কেউ ঘৃণ্য হতে পারে না।’

আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। জনগণ সঠিকভাবে ভোট দেবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের অন্তত অনুধাবন করা উচিত যে- তারা নৌকায় (আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক) ভোট দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করেছে এবং নৌকার পক্ষে ভোট দেয়ায় আজ জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘নৌকায় (দেশের জনগণ) ভোট দেওয়ার কারণে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা বিদেশে থাকেন তাদের বুঝতে হবে বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে বিদেশে কারও সঙ্গে কথা বলা যেত না, এখন মানুষ বাংলাদেশকে সম্মানের চোখে দেখে।

প্রধানমন্ত্রী অপপ্রচারে কর্ণপাত না করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যেন সবসময় উজ্জ্বল হয়-তা আপনাদের সবাইকে সর্বদা মনে রাখতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজ যখন বিশ্বনেতারা (বাংলাদেশের সাফল্য) স্বীকৃতি দিচ্ছেন, তখন আমাদের কিছু পাপাচারী যা বলছে তাতে মনোযোগ দেওয়ার দরকার নেই।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিভিন্ন অপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্তরা এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে ও তাদের অপকর্ম ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ও অ্যাপসের মাধ্যমে বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে।’

নিন্দুকদের মুখোশ উন্মোচন করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিথ্যা অপপ্রচার করলে তাদের মুখ উন্মোচিত করতে হবে। মানুষের সামনে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা দরকার।’

এই চোরচক্র থেকে সবাইকে সচেতন হওয়ারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।


ভিসা নিষেধাজ্ঞা সরকারের জন্য অশনি সংকেত: জেএসডি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা সরকারের প্রতি অশনি সংকেত বলে মনে করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি। তারা ‘প্রহসনমূলক ও একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা পরিহার করে’ অবিলম্বে পদত্যাগ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্তও করেছে।

শনিবার জেএসডি ‌সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা, ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং সহিংসতার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বিঘ্ন সৃষ্টি, সুশীল সমাজ বা গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রকাশে বাধা দেয়াসহ প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার সরকারের নীল নকশার এহেন কর্মকাণ্ডের ফলশ্রুতিতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি।’

“গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও আইনের শাসনের অভাবে ক্ষমতাসীনদের তথাকথিত ‘বিশ্বের রোল’ মডেল বাংলাদেশ আজ নাইজেরিয়া, সোমালিয়া, উগান্ডা, নিকারাগুয়া ও বেলারুশের সমমর্যাদায় চিহ্নিত হচ্ছে।”

জেএসডির শীর্ষ দুই নেতা বলেন, ‘সরকারের দীর্ঘদিনের অগণতান্ত্রিক অপশাসন মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের মর্যাদাকে ধুলিস্যাৎ করে দিয়েছে।’

বিবৃতিতে আ স ম আবদুর রব ও শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে, সংসদ ভেঙে দিয়ে, সরকারের পদত্যাগ ও জাতীয় সরকার গঠন করাই হবে বিদ্যমান বহুমুখী সংকটের আপৎকালীন সমাধান।’


অক্টোবরে এ সরকারের সঙ্গে দেনা-পাওনার সব মীমাংসা হয়ে যাবে: দুদু

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের এক প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

সরকারের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, আন্দোলনের এখনো কিছুই দেখেননি। সেপ্টেম্বরের পর অক্টোবর আসবে। অক্টোবর হবে পতনের মাস, স্বাধীনতার মাস, মানবাধিকার মাস। অক্টোবরে এ সরকারের সঙ্গে দেনা-পাওনার সব কিছু মীমাংসা হয়ে যাবে।

শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণ এবং আমান উল্লাহ আমান, সালাউদ্দিন আহমেদ, রফিকুল আলম মজনু, তানভীর আহমেদ রবিনসহ নেতাদের মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘আমাদের দেশের ৫২ বছর বয়স হয়েছে। এ ৫২ বছর বয়সে আমাদের অর্জন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ও ভিসানীতি। কেন করেছে? কারণ বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। ভোটের অধিকার নেই, মানবাধিকার নেই। আর এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র আগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল, এখন ভিসানীতি প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু করেছে। কেন বাংলাদেশের ওপর ভিসা নীতি আসবে? এটা কোনো আনন্দের সংবাদ নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘যে দেশ এক সাগর রক্তের বিনিময়ে মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে। গণতন্ত্রের জন্য, স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছে, সেই দেশে এখন গণতন্ত্র নেই স্বাধীনতা নেই।’

চারদিকের অবস্থা ভালো নয় উল্লেখ করে বিএনপির এ ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘যেদিনই বিএনপি ও বিরোধী দল মিটিং ডাকে লাখ লাখ মানুষ সেখানে উপস্থিত হয়। জনগণ শেখ হাসিনার হাত থেকে বাঁচার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। আন্দোলনের এখনো কিছু দেখেননি। হুইসেলটা বাজলে বুঝবেন আন্দোলন কাকে বলে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সেপ্টেম্বরের পর অক্টোবর আসবে। অক্টোবর হবে মুক্তির মাস। অক্টোবর হবে জালিমের পতনের মাস। অক্টোবর হবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মাস। অক্টোবর হবে ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার মাস। অক্টোবর হবে স্বাধীনতা-মানবাধিকারের মাস। এই অক্টোবরেই সরকারের সঙ্গে দেনা-পাওনার সব কিছু মীমাংসা হয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘গতকাল প্রধানমন্ত্রী আমেরিকায় থাকাবস্থায় ভিসানীতির কার্যকারিতা শুরুর ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। কারণ বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই, মানুষের ভোটাধিকার নেই, মানুষের মানবাধিকার নেই, মানুষের নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। এজন্য তারা (যুক্তরাষ্ট্র) আগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, এখন ভিসানীতি কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে। শোনা যাচ্ছে সরকারি দলের অনেক নেতা, প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তা এই ভিসানীতির আওতায় পড়েছেন।’

শামসুজ্জামান দুদু আরও বলেন, ‘আপনারা (সরকার) বহু টাকা ইতোমধ্যে লুটপাট করেছেন। লক্ষ হাজার কোটি টাকা আপনারা দেশ থেকে বিদেশে নিয়ে গেছেন। ভিসানীতির আওতায় যদি আপনি পড়ে যান, তাহলে আমেরিকায় যদি আপনার বাড়ি, টাকা থাকে, সেটা তো ভোগ করতে পারবেন না। আমি জানি আপনারা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। কিন্তু এই যে অন্যায় করেছেন, এর জন্য আমাদের লজ্জা হয়।’

রাষ্ট্র এখন দানবে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘সে (রাষ্ট্র) মানুষকে দেখে না, নাগরিককে দেখে না। সে দানবের মতো আচরণ করছে। বর্তমান সরকার যত তাড়াতাড়ি পদত্যাগ করবে, ততই তার জন্য, দেশের জন্য, মানুষের জন্য ভালো হবে। এই সরকারের পদত্যাগের কোনো বিকল্প নেই।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমেরিকায় এক-দুই দিন থাকার কথা। কিন্তু শোনা যাচ্ছে, এই পুরো মাস তিনি সেখানে থাকবেন। কেন, কীসের জন্য তিনি থাকবেন, সেটি রাষ্ট্রীয়ভাবে ও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়নি। আবার শোনা যাচ্ছে তিনি অতি তাড়াতাড়ি চলে আসবেন। আসেন, দেশে দাঁড়িয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তাহলে কিছুটা হলেও রক্ষার পথ পাওয়া যাবে। মানুষ, দেশ, জনগণ চায় আপনি পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করবেন। আর যদি না করেন, দেশের মানুষ আপনাদের বাধ্য করবে পদত্যাগ করতে।’

সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী। বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মোফাজ্জল হোসেন হৃদয়ের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ইউনূস আলী, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আবদুল্লাহ আল বাকী, যুব জাগপার সভাপতি মীর আমির হোসেন আমু, রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।


যে হাতে আগুন দেবে, সেই হাত ভেঙে দেয়া হবে: নানক

জাহাঙ্গীর কবির নানক। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করতে যে হাতে আগুন দিতে আসবে সেই হাত ভেঙে দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।

তিনি বলেছেন, ‘উন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টি করেন, অগ্রগতির পথে বাধা সৃষ্টি করেন, মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন অস্বাভাবিক করেন, তাহলে যে হাতে বোমা মারবেন, সে হাত ভেঙে দেয়া হবে।’

শুক্রবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটের সামনে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘সেদিন আমি পবিত্র ওমরাহ পালনে মক্কায় ছিলাম। আমার কানে অনেক কথা এসেছিল। আমি সেদিনও বলেছিলাম, আমার ১৭ তলা, ১৯ তলা ভবনের দরকার নেই। এখানে যে শেড ছিল, সেই শেড করেই মার্কেট চালু করতে হবে।’

ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিদের উদ্দেশে নানক বলেন, ‘রাতে কৃষি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয়, ব্যবসায়ীরা সর্বস্ব হারিয়েছেন। এটি মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের প্রাণের মার্কেট। দোকানদার ভাইদের আশ্বস্ত করার, সান্ত্বনা দেয়ার ভাষা আমার জানা নেই।’

অগ্নি নির্বাপনে সহযোগিতা করায় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশ থেকে আমরা কেউ বিচ্ছিন্ন না। এই মার্কেটে আগুন লেগেছে। আশেপাশে গরম লাগেনি? দেশে অশান্তি সৃষ্টি হলে আমরা কেউ শান্তিতে থাকতে পারব না। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই, পার্শ্ববর্তী এলাকার বিহারী ভাইদের। তারা এই কৃষি মার্কেটে দুর্ঘটনা ঘটনার পর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। আরও কৃতজ্ঞতা জানাই পুলিশ ভাইদের প্রতিও।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ‘নির্বাচন নিয়ে হুমকি’ দিয়েছেন উল্লেখ করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘কীসের হুমকি দেন? নির্বাচন হবে, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। যদি সংঘাত সৃষ্টি করেন, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করেন, উন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টি করেন, অগ্রগতির পথে বাধা সৃষ্টি করেন, মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন অস্বাভাবিক করেন, তাহলে যে হাতে বোমা মারবেন, সে হাত ভেঙে দেয়া হবে, যে হাতে আগুন দেবেন, সে হাত পুড়িয়ে দেয়া হবে।’

আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতায় আসে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বন্দুকের জোরে ক্ষমতায় আসে না, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ক্ষমতায় আসে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে। ২০০১ সালে শেখ হাসিনা একদিনও বেশি ক্ষমতায় থাকেননি, ক্ষমতা হস্তান্তর করে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন। আমরা যা বলি তা করি।’

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ সলিমুল্লাহ সলুর সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য সাদেক খান, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, যুব মহিলা লীগের সভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেইজি, ৩৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আসিফ আহমেদসহ অন্যরা।


মানবিক কারণে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইল বাংলাদেশ জাসদ

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

মানবিক কারণে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেছে বাংলাদেশ জাসদ।

শুক্রবার দলটির সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান এক বিবৃতিতে এ দাবি জানিয়েছে।

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার জীবন সংকটাপন্ন। তিনি আদালতের বিচারে কারাদণ্ড প্রাপ্ত হওয়ার পর কারাগারে আড়াই বছর ও পরবর্তীতে সাড়ে তিন বছর শর্ত মেনে বাড়িতে আছেন। আমরা মনে করি সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় খালেদা জিয়াকে মানবিক কারণে মুক্তি দেওয়া প্রয়োজন।’

সরকারকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয় বিবৃতিতে।


শনিবার দেশে ফিরছেন ওবায়দুল কাদের

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

চিকিৎসা শেষে আগামীকাল শনিবার দেশে ফিরছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে শনিবার সন্ধ্যা ছয়টায় ঢাকায় ফিরবেন ‌তিনি।

শুক্রবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, দেশে ফিরে বিমানবন্দরের সিআইপি গেটে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর যান মন্ত্রী।


আবারও খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে স্থানান্তর

আপডেটেড ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৩:১৩
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে তাকে সিসিইউতে নেয়া হয় বলে জানা গেছে।

বিএনপির চেয়াপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত চিকিৎসক বোর্ডের সিদ্ধান্ত ও পরামর্শ অনুযায়ী তাকে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে সিসিইউতে নেয়া হয়।

এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বরও একবার সিসিইউতে নেয়া হয়েছিল খালেদা জিয়াকে। তবে সেবার ১০ ঘণ্টার মতো সিসিইউতে রেখে আবার কেবিনে স্থানান্তর করা হয় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত। তার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা একাধিকবার সংবাদ সম্মেলনে করে বলেছেন, অতি দ্রুত তার লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট (প্রতিস্থাপন) করা দরকার। যেটা বাংলাদেশ সম্ভব নয়। এই জন্য তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে একাধিকবার আবেদন করে তার পরিবার। এ ছাড়া বিএনপির পক্ষ থেকে তাকে বিদেশে চিকিৎসা জন্য যেতে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ১ মাসের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া। এরআগেও বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে তাকে। এরই মধ্যে তার হার্টে ৩ টি ব্লক ধরা পড়লে একটিতে রিং পরানো হয়।


গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে সাইবার সিকিউরিটি আইন: জি এম কাদের

গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, সাইবার সিকিউরিটি আইন করা হয়েছে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে।

রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় পেশাজীবী সমাজের এক সভায় গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি এ কথা বলেন।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, বাকস্বাধীনতাকে বাধা দেয়া হলে গণতন্ত্র থাকতে পারে না। সাইবার সিকিউরিটি আইনে যেকোনো সংবাদকেই সরকার রাষ্ট্রদ্রোহ হিসেবে গণ্য করতে পারবে। গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করতে পারবে সাইবার সিকিউরিটি আইনে। এখন গণমাধ্যমে সেলফ সেন্সরশিপ চলছে, আগামীতে কোনো সেন্সর দরকার হবে না। কারণ গণমাধ্যম কোনো সংবাদই করতে পারবে না। এতে সব নিউজ চ্যানেল বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, সাইবার সিকিউরিটি আইন করা হয়েছে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে। নিউজের পরিবর্তে টেলিভিশনে গানবাজনা ও নাটক চলবে, কেউই আর সংবাদ পরিবেশন করতে পারবে না। বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্রের অভাব। দেশে এখন গণতন্ত্র নেই, গণতন্ত্র চর্চা করার পরিবেশ নেই। দেশ এখন একদলীয় শাসনব্যবস্থার দিকে চলে যাচ্ছে। সাইবার সিকিউরিটি আইনের মাধ্যমে মানুষের বাকস্বাধীনতা, ভাবপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে।

জাতীয় পেশাজীবী সমাজের সভাপতি ডা. মোস্তাফিকুর রহমান আকাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা আল মাহমুদ, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরীফা কাদের।


সালাহউদ্দিন জাকীর প্রয়াণ সাংস্কৃতিক অঙ্গণের অপূরণীয় ক্ষতি: তথ্যমন্ত্রী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প যখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তখন সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকীর চলে যাওয়াটা চলচ্চিত্র অঙ্গণের জন্য, সাংস্কৃতিক অঙ্গণের জন্য বিরাট অপূরণীয় ক্ষতি। কারণ তার মতো এ রকম গুণী নির্মাতা একদিনে তৈরি হয়নি।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সদ্যপ্রয়াত চলচ্চিত্রকার সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকীর মরদেহে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর ৭৭ বছর বয়সে প্রয়াত এই সংস্কৃতি ব্যক্তিত্বের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, “তিনি একজন গুণী চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক, পরিচালক, কাহিনীকার ছিলেন। তার প্রথম ছবি ঘুড্ডি, যা দেশে সাড়া ফেলেছিল এবং সেই সিনেমার ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ গানটি এখনো দেশের মানুষের মুখে মুখে ফেরে।”

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সালাহউদ্দীন জাকী ভাই একুশে পদকপ্রাপ্ত, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেছেন, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন। সবচেয়ে বড় বিষয়, তিনি একজন সজ্জন ভদ্র মানুষ ছিলেন। তার চলনে-বলনে কোনো বাহুল্য ছিল না, নিজেকে জাহির করার কোনো প্রবণতা তার মধ্যে কখনো দেখিনি। তার পরিবার যাতে এই শোক কাটিয়ে উঠতে পারে, সে জন্য মহান স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করি।’

রোডমার্চ বিএনপির নেতাদের চলে যাওয়া ঠেকাতে পারবে না
এ সময় সাংবাদিকরা বিএনপির রোডমার্চ কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্ন করলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নেতাদের চলে যাওয়া ঠেকানোর জন্য বিএনপি এখন রোডমার্চ দিচ্ছে, হয়ত কদিন পর আরও অন্য কর্মসূচি দেবে। এগুলো করেও বিএনপি থেকে নেতাদের সরে যাওয়া এবং অন্য দলে যোগ দেয়া কিংবা নতুন প্লাটফর্ম করা তারা ঠেকাতে পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি কিছুদিন পরপর নানা ধরণের কর্মসূচি দেয়। কর্মসূচির মধ্যে কোনো নতুনত্ব নাই। কদিন হাঁটা কর্মসূচি, কদিন বসা কর্মসূচি, কদিন গণমিছিল কর্মসূচি এগুলো গতানুগতিক। বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো তাদের দল থেকে যে নেতারা চলে যাচ্ছে সেটি নিয়ে কিছু বলার জন্য।’

তথ্য মন্ত্রণালয়ে শুদ্ধাচার পুরস্কার
এ দিন বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন সংস্থাগুলোর মধ্যে মনোনীত কর্মচারিদের হাতে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার তুলে দেন মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার ও উর্ধ্বতন কর্মচারিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান নীতিমালা ২০২১ অনুযায়ী দপ্তর প্রধান হিসেবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মুহ. সাইফুল্লাহ, ২য় থেকে ৯ম গ্রেডের অফিসারদের মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব (প্রশাসন-৪) মো. রাশিদুল করিম, ১০ম থেকে ১৬তম গ্রেডের মধ্যে প্রশাসনিক কর্মকর্তা কোহিনূর আক্তার প্রীতি, ১৭তম থেকে ২০তম গ্রেডের মধ্যে অফিস সহায়ক শেখ মো. সাইফুল্লাহ এ পুরস্কার গ্রহণ করেন।


রোডমার্চ বিএনপির নেতাদের চলে যাওয়া ঠেকাতে পারবে না: তথ্যমন্ত্রী

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সদ্যপ্রয়াত চলচ্চিত্রকার সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকীর মরদেহে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রোডমার্চ বিএনপির নেতাদের চলে যাওয়া ঠেকাতে পারবে না। মন্ত্রী বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সদ্যপ্রয়াত চলচ্চিত্রকার সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকীর মরদেহে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন।

এ সময় সাংবাদিকরা বিএনপির রোডমার্চ কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্ন করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নেতাদের চলে যাওয়া ঠেকানোর জন্য বিএনপি এখন রোডমার্চ দিচ্ছে, হয়তো ক’দিন পর আরও অন্য কর্মসূচি দেবে। এগুলো করেও বিএনপি থেকে নেতাদের সরে যাওয়া এবং অন্য দলে যোগ দেয়া কিংবা নতুন প্লাটফর্ম করা তারা ঠেকাতে পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি কিছুদিন পরপর নানা ধরনের কর্মসূচি দেয়। কর্মসূচির মধ্যে কোনো নতুনত্ব নাই। ক’দিন হাঁটা কর্মসূচি, ক’দিন বসা কর্মসূচি, ক’দিন গণমিছিল কর্মসূচি এগুলো গতানুগতিক। বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো তাদের দল থেকে যে নেতারা চলে যাচ্ছে সেটি নিয়ে কিছু বলার জন্য।’

এ সময় তিনি বলেন, ‘আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প যখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তখন সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকীর চলে যাওয়াটা চলচ্চিত্র অঙ্গণের জন্য, সাংস্কৃতিক অঙ্গণের জন্য বিরাট অপূরণীয় ক্ষতি। কারণ তার মতো এ রকম গুণী নির্মাতা একদিনে তৈরি হয়নি।’

গত ১৮ সেপ্টেম্বর ৭৭ বছর বয়সে প্রয়াত এই সংস্কৃতি ব্যক্তিত্বের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, তিনি একজন গুণী চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক, পরিচালক, কাহিনীকার ছিলেন। তার প্রথম ছবি ঘুড্ডি, যা দেশে সাড়া ফেলেছিল। সেই সিনেমার ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ গানটি এখনো দেশের মানুষের মুখে মুখে ফেরে।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সালাহউদ্দীন জাকী একুশে পদকপ্রাপ্ত, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেছেন, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন। সবচেয়ে বড় বিষয়, তিনি একজন সজ্জন ভদ্র মানুষ ছিলেন। তার চলনে, বলনে কোনো বাহুল্য ছিল না, নিজেকে জাহির করার কোনো প্রবণতা তার মধ্যে কখনো দেখিনি। তার পরিবার যাতে এই শোক কাটিয়ে উঠতে পারে সে জন্য মহান স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করি।’

এদিন বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন সংস্থাগুলোর মনোনীত কর্মচারিদের হাতে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী। মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।


বিএনপির ১৫ দিনের কর্মসূচিতে পরিবর্তন

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্তি এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে বিএনপির আন্দোলনে ঘোষিত ১৫ দিনের কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালনের ঘোষণা থাকলেও তা আরও দুদিন বাড়িয়ে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেয়া হয়েছে।

রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা জানান। তিনি জানান, নতুন করে কর্মসূচি ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হল। একই সঙ্গে বর্তমান প্রেক্ষাপট অনুযায়ী প্রয়োজনে কিছু কর্মসূচি যোগ হতে পারে।

এর আগে গত সোমবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ১৫ দিনের এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। এটি সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনের বিএনপির সপ্তম কর্মসূচি।

কর্মসূচিতে পরিবর্তন বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকার যাত্রাবাড়ী এবং উত্তরের সমাবেশ হবে। একই দিনে বাদ জুমা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় সারাদেশের মহানগর, জেলা, উপজেলা এবং পৌরসভায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

কর্মসূচির প্রথম দিন গতকাল বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা জেলার জিনজিরা, কেরানীগঞ্জ এবং গাজীপুরের টঙ্গীতে সমাবেশ করে দলটি। বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জের ভৈরব-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-হবিগঞ্জ-মৌলভীবাজার-সিলেটে রোডমার্চ কর্মসূচি রয়েছে।

এছাড়া আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর বৃহত্তর বরিশাল পটুয়াখালী রোডমার্চ; ২৪ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানোর দাবিতে দেশের সব জেলা এবং মহানগরে প্রতিবাদ সমাবেশ; ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগরের নয়াবাজার এবং আমীনবাজারে সমাবেশ; ২৬ সেপ্টেম্বর খুলনা বিভাগের রোডমার্চ; ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর এবং নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় জনসমাবেশ; ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে ঢাকায় মহিলা সমাবেশ; ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় শ্রমজীবী কনভেনশন।

১ অক্টোবর ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জ জেলায় রোডমার্চ; ২ অক্টোবর ঢাকায় কৃষক সমাবেশ; ৩ অক্টোবর ফরিদপুর বিভাগের রোডমার্চ এবং সমাবেশ; ৪ অক্টোবর ঢাকায় পেশাজীবী কনভেনশন এবং ৫ অক্টোবর কুমিল্লা, ফেনী, মিরসরাই ও চট্টগ্রামে রোডমার্চ।

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা মনে করছি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ যা করছে এটা কোনোভাবেই একটি দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সহায়ক নয়, বরং এর বিপক্ষে যাচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’

বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপি একটি পলিটিক্যাল পার্টি। আমরা সরকারেও ছিলাম বিরোধীদলেও ছিলাম। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের সামনে এসব বিষয় বলা এবং জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা। যে কাজটা আমরা বর্তমানে করছি।’

বিএনপি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এত প্রহসন ও গ্রেপ্তার, মামলা এবং বাধার মুখেও আমরা একেবারে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছি। তবে শেষ পরিণতি কী হবে না হবে, এটা নির্ভর করছে সরকারের ওপর। পাশাপাশি আমাদের আচরণও নির্ভর করবে সরকারের আচরণের ওপর।’


banner close