রোববার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
৬ পৌষ ১৪৩২

ঢাকায় জামায়াতের সমাবেশ: প্রশ্নের মুখে আওয়ামী লীগ, প্রশ্ন বিরোধীদেরও

আপডেটেড
১২ জুন, ২০২৩ ১১:২১
আমানউল্লাহ আমান ও আহমেদ দীপ্ত
প্রকাশিত
আমানউল্লাহ আমান ও আহমেদ দীপ্ত
প্রকাশিত : ১২ জুন, ২০২৩ ১১:২০

উচ্চ আদালতের আদেশে স্থগিত রয়েছে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন। রাজধানীসহ সারা দেশে কোথাও প্রকাশ্যে সমাবেশ করতে না পারলেও ঘরোয়া রাজনীতিতে সক্রিয় ছিল দলটি। এক দশক পর এবার সরকারের অনুমতি নিয়ে রাজধানীর বুকে সমাবেশ করল জামায়াত। সমাবেশ থেকে সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদারের হুমকিও দিয়েছেন দলটির নেতারা। আর এ নিয়েই রাজনীতির অঙ্গনে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। নানা প্রশ্নের মুখে পড়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। প্রশ্ন উঠেছে সরকারবিরোধীদের মনেও।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, নিবন্ধন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত জামায়াতকে অপরাধী করা যায় না। উচ্চ আদালতের চূড়ান্ত আদেশ আসার আগ পর্যন্ত দল হিসেবে জামায়াতকে সরকার কর্মসূচি করার অনুমতি দিতে পারে। পাশাপাশি সংঘর্ষ ও সহিংসতা এড়াতে জামায়াতকে সমাবেশে অনুমতি দেয়া হয়েছে। গণতন্ত্রে বিশ্বাসীদের অনুমতি দেয়ার পাশাপাশি জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দিতে হয়েছে বলে দাবি আওয়ামী লীগ নেতাদের।

জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দেয়ায় সন্দেহ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটে। কেন জামায়াতকে রাজধানীতে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে কারণ জানেন না জোট নেতারা। ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলছেন, দেশের রাজনীতিতে পাকিস্তানপন্থার প্রত্যাবর্তনের পথকে সুগম করবে। সরকারের আইনমন্ত্রীর এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়া উচিত। এমন সিদ্ধান্তের জন্য সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রভাবের পাশাপাশি দিতে হবে খেসারত। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে এখনই এ বিষয়ে ভাবতে হবে বলেও মত ১৪-দলীয় জোট নেতাদের।

অন্যদিকে দীর্ঘ এক দশক পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে সমাবেশের অনুমতি দেয়া নিয়ে সরকারের প্রতি প্রশ্ন তুলেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তারা বলছেন, বিরোধী দলগুলোর চলমান আন্দোলনকে ‘জামায়াতি ব্র্যান্ডিং’ করে দেশি-বিদেশি পক্ষগুলোকে তুষ্ট করতে চায় সরকার। এই ঘটনা সরকারের অসংলগ্ন আচরণের বহিঃপ্রকাশ।

বিএনপি মনে করছে, কোনো রাজনৈতিক দল ভালো কি মন্দ করল তার বিচার করবে জনগণ। বর্তমানে জামায়াত দেশের সমস্যা নয়। সমস্যা হচ্ছে বর্তমান সরকার। ফলে বর্তমান সরকারবিরোধী আন্দোলন কেউ করলে তার বিরোধিতা বিএনপি করবে না। তবে জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দেয়ার বিষয়টি সরকারের।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দৈনিক বাংলাকে বলেন, সমাবেশের অনুমতি দেয়ার ক্ষমতা সরকারের, ক্ষমতা তো বিএনপির হাতে নেই। অনুমতি দেয়ায় সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে বলে আমি মনে করি। কোনো রাজনৈতিক দলকে সভা-সমাবেশ করতে না দেয়া সংবিধানসম্মত নয়। সভা-সমাবেশ করা সাংবিধানিক অধিকার। কোনো দল ভালো করল কি মন্দ করল তার বিচার করবে জনগণ।

তিনি বলেন, জামায়াত বর্তমানে সমস্যা নয়। বর্তমানে সমস্যা এই অবৈধ সরকার। এই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে যারা আন্দোলন করবে আমরা তো তাদের বাধা দিতে পারি না।

জামায়াতকে সভা করার অনুমতির বিষয়ে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে সরকারের কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এটি রাজনৈতিক ব্যাপার। রাজনৈতিক কারণে। এটি একটি পলিটিক্যাল ডিসিশন, এটি সময়ই আমাদের বলে দেবে। তারা রাজনৈতিক দল, হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল সংবিধানের সঙ্গে তাদের গঠনতন্ত্র সাংঘর্ষিক, গ্রহণযোগ্য না। তাদের তো অনেক জনসমর্থনও আছে। এ পরিস্থিতির আলোকে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। আপনারা একটু অপেক্ষা করেন, আরও দেখবেন কী হয়।

রাজধানীর রাজারবাগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে গতকাল রোববার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘জামায়াতের সমাবেশ এটিই প্রথম নয়। তারা প্রায়ই বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে কর্মসূচি পালন করে। সমাবেশ থেকে ভাঙচুরের মতো ঘটনাও ঘটায়। এবার তারা মাঠে সমাবেশ করতে অনুমতি চেয়েছে। কিন্তু আমরা পারমিশন দিইনি। পরে তারা আবদ্ধ স্থানে অর্থাৎ ইনডোরে মিটিং করতে চেয়েছে। পরে মৌখিকভাবে কমিশনার তাদের অনুমতি দিয়েছেন। তার মানে এই নয় যে আমরা আমাদের নীতি থেকে সরে এসেছি।’

রাজধানীতে অন্য এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘জামায়াতকে দল হিসেবে যুদ্ধাপরাধে বিচার করার জন্য আইন সংশোধন করার কথা আমি আগে বলেছি, সেই প্রক্রিয়া চলমান। সংশোধনের জন্য যে আইন, সেটি কেবিনেটে কিছু দিনের মধ্যে যাবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই (সমাবেশের) অনুমতি দিয়ে থাকে। ওনারা কী বিবেচনায় দিয়েছেন আমার মনে হয় যে, এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষকে আপনারা যদি প্রশ্ন করেন সেটি বেটার হবে।’

অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি না এটি সাংঘর্ষিক, তার কারণ হচ্ছে, বিচার করার পরে যতক্ষণ পর্যন্ত রায় না হয়, দোষী সাব্যস্ত না করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত তো আমি বলতে পারব না যে জামায়াত দোষী। বিচারের প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং বিচারের প্রক্রিয়ায় আমি আজকেই বলব না যে কী হবে। অবশ্যই বিচারের প্রক্রিয়া শুরু হবে এই কারণে যে, আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যে বিচার করেছি সেখান থেকে যে তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে, দেখা গেছে যে জামায়তকে দল হিসেবে যুদ্ধাপরাধে বিচার করার জন্য যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত আছে; কিন্তু বিচার করার পরেই বলা যাবে তারা দোষী কি না। সে জন্য আমি মনে করি না এটি সাংঘর্ষিক।’

রাজধানীতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জামায়াত এখনো যেহেতু নিষিদ্ধ হয়নি, রাজনৈতিক দল হিসেবে আবেদন করেছে, সে জন্য তাদের সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে গতকাল তাদের সমাবেশ থেকে আস্ফালন করে যেভাবে বক্তব্য দেয়া হয়েছে, এগুলো আসলে বিএনপিরই বক্তব্য। ২০১৪ সালে তারা যেভাবে নির্বাচন প্রতিহত করতে গিয়ে শত শত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছিল, সেটিরই ইঙ্গিত তারা দিয়েছে। বিএনপি জোটের প্রধান শরিক জামায়াতকে দিয়ে তারা এই কথাগুলো বলিয়েছে। তাদের সুযোগ দিলে তারা কী করতে পারে, সেটি তাদের বক্তব্যে পরিষ্কার হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতা দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিএনপি ও জামায়াত অভিন্ন। সরকার মূলত জামায়াতের সহিংস রূপটা জনসমক্ষে ও বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে চাইছে। সেই সঙ্গে যদি বিএনপিও সহিংস হয়ে ওঠে তাহলে তারা আবারও পরাজিত হবে। আমরা যেহেতু সরকারে আছি, আমরা তো নির্বাচন করার পক্ষেই থাকব। যারা বিরোধিতা করবে তাদের কৌশল মোকাবিলায় আমরা পাল্টা কৌশল গ্রহণ করব- এটিই স্বাভাবিক।’

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম দৈনিক বাংলাকে বলেন, অনুমতি দেয়ার মূল কারণটি হচ্ছে গণতান্ত্রিক ধারায় নির্বাচন সামনে। প্রত্যেকটি গণতান্ত্রিক ধারা বা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যারা বিশ্বাস করে, সবাইকে অনুমতি দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে জামায়াতকেও অনুমতি দেয়া হয়েছে। সরকার যখন জামায়াতকে অনুমতি দিয়েছে, তখন অনেকে সমালোচনা করেছে। এই কথা বলেছে যে, সরকার নিশ্চিত জামায়াতের সঙ্গে কোনো আঁতাত করে জামায়াতকে অনুমতি দিয়েছে। এই কথাটা কিছু দুষ্টু লোক বাজারে ছড়িয়েছে।

তিনি বলেন, ‘অবশ্যই জামায়াত আমাদের সব থেকে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী- এইটা ঠিক। কিন্তু গতকাল জামায়াতের এত বড় সমাবেশ থেকে প্রমাণ হয়েছে জামায়াত-বিএনপি মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। জামায়াতকে বিএনপির থেকে আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। জামায়াত যে হুংকার দিয়েছে গতকাল এতে সরকারের বোধগম্য হয়েছে যে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের কোনো দূরত্ব নেই। তারা আসলে এক এবং অভিন্ন। আগামী দিনে যে পদ্ধতি অবলম্বন করবে বিএনপি, জামায়াতকে সঙ্গে নিয়েই করবে। এই সতর্কতা গতকালকের সমাবেশ থেকে সরকারের অভিজ্ঞতা হলো বলে আমি মনে করি। এরপর দেখেন কী হয়।’

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের নেতা ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘এটা আমাদের কেন জিজ্ঞেস করছেন? আইনমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেন। আইনমন্ত্রী বারবার করে বলেছেন যে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার যে দাবি আছে, সেটা নিয়ে সরকার কাজ করছে। তাই যদি হয়, তাহলে জামায়াত কেমন করে প্রকাশ্যে সমাবেশ করে এবং সেই সমাবেশে বিএনপির মতো একই ধরনের উচ্চারণ করে এটা কীভাবে হয় আমি জানি না।’ তিনি বলেন, জামায়াতের সঙ্গে যতই সমঝোতার চেষ্টা করা হোক, এটা সাপের মুখে চুমু দেয়ার শামিল হবে।

১৪-দলীয় জোটের অন্যতম নেতা ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী আপাদমস্তক অর্থাৎ নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত সাম্প্রদায়িক, স্বাধীনতাবিরোধী একটি দল। সুতরাং তার নিবন্ধন যখন বাতিল হয়ে গেছে, উচ্চ আদালতে যেহেতু একটা মামলা আছে দল নিষিদ্ধ করার, সেখানে জামায়াতকে সভা করার অনুমতি দেয়াটা আমরা সঠিক মনে করছি না।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আবার পাকিস্তানপন্থার আনুষ্ঠানিক প্রত্যাবর্তনের রাস্তা পরিষ্কার করবে।

সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া দৈনিক বাংলাকে বলেন, সরকার যা করেছে সেটি আত্মঘাতী।

তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী দৈনিক বাংলাকে বলেন, এর সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। জঙ্গিবাদের উত্থান নতুন করে ঘটবে। যেখানে নিবন্ধন নেই ওদের, নিবন্ধনবিহীন দল জামায়াতের প্যাডে কীভাবে তারা অনুমতি পায়? আজকে হোক, কালকে হোক এর খেসারত সরকারকে দিতে হবে। এর জন্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি যারা আছে, তাদের এখনই চিন্তা করার সময়।

এই বিশেষ মুহূর্তে অনুমতি দেয়ার পেছনে অবশ্যই কারণ থাকতে পারে বলে মনে করেন ১৪-দলীয় জোটের একজন নেতা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘এটা সরকার বলবে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বিষয়ে অবশ্যই ব্যাখ্যা দেয়া উচিত। যতই বলুক যে বিএনপি ওদেরকে (জামায়াত) নামাইছে, ঠিক আছে ওদেরকে নামাইছে। তুমি (সরকার) তো অনুমতি দিয়েছ। সরকারের দায় এড়ানোর সুযোগ নেই।’

জামায়াত নিয়ে সরকারের ভেতরে অস্থিরতা আছে বলে মনে করেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘জামায়াতের ব্যাপারটা বিস্ময়কর। সরকার এতটাই দ্বিধান্বিত যে, কী করবে বুঝতেই পারছে না। কারণ জামায়াতের লোকজন যখন অনুমতি চাইতে গেছে, তখন তাদের গ্রেপ্তার করা হলো। আবার দেড় ঘণ্টার মধ্যে ছেড়েও দিয়েছে। পরে সমাবেশের অনুমতিও দিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এর চাইতে সরকারের অস্থিরতা বেশি কী দেখবেন? রাজনৈতিকভাবে তারা একটা সমস্যাও মোকাবিলা করতে পারেনি। তারা আবার গায়ের জোরে নির্বাচন করতে চায়।’

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘গণতন্ত্র মঞ্চ সে রকম লড়াই করতে চায়, যেখানে সবার অধিকার নিশ্চিত হবে। এটাকে ধর্মের ভিত্তিতে বিভেদ করা হবে না। জামায়াতকে তারা এতদিন কেন অনুমতি দেয়নি? এই প্রশ্নগুলো মানুষের মধ্যে নতুন করে দেখা দিয়েছে। আমরা সরকারের কাছে এর উত্তর চাই।’

জামায়াতকে সমাবেশ করার অনুমতির বিষয়টি সরকারের অসংলগ্ন আচরণ বলে মনে করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেন, ‘সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক বললেন, বিএনপির উসকানি ও মদদ পেয়ে জামায়াত সমাবেশ করেছে। প্রশ্ন হচ্ছে- আপনি তাদের ১০ বছর পর অনুমতি (সমাবেশ) দিয়েছেন, আবার বলছেন বিএনপি তাকে উসকানি দিয়ে রাজপথে নামাচ্ছে। সরকার যে অসংলগ্ন আচরণ করছে, নানা বিষয়ে সরকারের যে অস্বস্তি, এটা তার বহিঃপ্রকাশ।’

সরকার যেকোনো চলমান আন্দোলনকে ‘জামায়াতি ব্র্যান্ডিং’ করছে বলে মনে করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ‘এখানে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটা হলো, ১৫ বছর ধরে আমরা সরকারের একটি রাজনৈতিক অবস্থান দেখছি পাচ্ছি। সেটি হলো জামায়াতকে তাদের শত্রু বলে চিহ্নিত করে আসছে। তারা যেকোনো আন্দোলনকে জামায়াতি নাম দিয়ে ব্র্যান্ডিং করেছে।’

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আজ বাংলাদেশের আন্দোলন হচ্ছে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের আন্দোলন, সংবিধান সংস্কার করার আন্দোলন। সেই আন্দোলনকে আবারও জামায়াতি ব্র্যান্ডিং দেয়ার চেষ্টা শুরু হয়েছে, যেটা আজকের সংবাদমাধ্যমে এসেছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, জামায়াতকে অগ্নিসন্ত্রাসের জন্য নামানো হয়েছে। এর মানে বিরোধী দলের পুরো আন্দোলনকে আবারও জামায়াতের ব্র্যান্ডিং করে, সন্ত্রাসের ব্যান্ডিং করে সরকার তার দেশি এবং বিদেশি পক্ষগুলোকে তুষ্ট করতে চাচ্ছে।’


তারেক রহমানসহ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের ১৫১ সদস্যের কমিটি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল কর্তৃক জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট (আংশিকভাবে ঘোষিত ১০১ সদস্য) কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির ১ নম্বর সদস্য হিসেবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং ২ নম্বর সদস্য হিসেবে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর নাম রয়েছে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাত স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অনুমতিক্রমে এই আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে পূর্বে ঘোষিত সকল জেলা ও মহানগর কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সকল নেতাকর্মীকে মুক্তিযোদ্ধা দলের জেলা ও মহানগর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে সমন্বয় করে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনী কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে, গত ২৪ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে বিএনপি নেতা ও ঢাকা-৬ আসনে দলের সংসদ সদস্য প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে আহ্বায়ক এবং অ্যাডভোকেট কে এম কামরুজ্জামান নান্নুকে সদস্য সচিব করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের ১০১ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

আহ্বায়ক ইশরাক হোসেন বলেন, ‘দেশের এই সংকটময় সময়ে একটি মহল রাজনৈতিক সুবিধা পাবার আশায় মহান মুক্তিযুদ্ধকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম এই জাতির জন্মের প্রকৃত ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে দৃঢ়ভাবে কাজ করবে এবং ইতিহাস বিকৃতির সকল অপচেষ্টা রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে প্রতিহত করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জনাব তারেক রহমান ও আরাফাত রহমানের পিতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরউত্তম নিজে এবং তার পরিবারের সদস্যদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং রণাঙ্গনে নেতৃত্ব প্রদান করেন। অন্যদিকে, আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার মতো কয়েক লাখ মুক্তিযোদ্ধা জীবনের মায়া ত্যাগ করে শক্তিশালী পাকিস্তানি বাহিনীকে বিতাড়িত করে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে স্বাধীন করেছিলেন।’


ওসমান হাদিকে হত্যার পেছনে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র রয়েছে : সালাহউদ্দিন আহমদ

আপডেটেড ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২৩:২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের পেছনে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র রয়েছে।’

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘একটি মহল দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে গণতন্ত্র এবং নির্বাচনের পথকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে। নির্বাচন প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার হীন উদ্দেশে পতিত স্বৈরাচারী শক্তির সঙ্গে দেশি-বিদেশি দোসররা এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা হাদির এই বর্বর হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। তবে, যারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়, তারা যেন এই ঘটনাকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে না পারে। এ বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। নির্বাচন পেছানো বা বানচালের কোনো ষড়যন্ত্র যাতে সফল না হয়, এজন্য দেশের জনগণকে সজাগ থাকতে হবে।’

আগামী দিনের বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সমাবেশের মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হবে। সেই সমাবেশের মধ্য দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে যে, দেশে আর কোনো ষড়যন্ত্র দানা বাঁধতে পারবে না।’

এসময় আসন্ন নির্বাচনে দলের বাকি প্রার্থীদের মনোনয়নের বিষয়ে খুব দ্রুতই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে জানান সালাহউদ্দিন আহমদ।


রোববার জরুরি সভা ডেকেছে ছাত্রদল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল জরুরি সভা আহ্বান করেছে। আগামীকাল রবিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটায় রাজধানীর নয়াপল্টনে অবস্থিত ভাসানী ভবনের তৃতীয় তলায় এই সভা অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক (সহসভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির কেন্দ্রীয় সংসদের সব পর্যায়ের নেতাদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

এছাড়া একই স্থানে বিকেল সাড়ে ৪টায় আরও একটি জরুরি সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এবং ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ কলেজগুলোর (ঢাকা কলেজ, তেজগাঁও কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ) নেতারা অংশ নেবেন। পাশাপাশি ঢাকা মহানগর (উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম), ঢাকা জেলা (উত্তর ও দক্ষিণ), গাজীপুর জেলা ও মহানগর, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মুন্সীগঞ্জ এবং নরসিংদী জেলা শাখার ‘সুপার ফাইভ’ নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সংসদের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।


তারেক রহমানকে স্মরণীয় সংবর্ধনা দিতে প্রস্তুত বিএনপি: ইশরাক হোসেন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা-৬ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে তাকে স্মরণীয় সংবর্ধনা দিতে দল ও জনগণ সম্পূর্ণ প্রস্তুত। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর গোপীবাগে সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এক প্রস্তুতি সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ইশরাক হোসেন বলেন, ‘তারেক রহমানের আগমনকে ঘিরে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ থাকবে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতা-কর্মীদের আমরা সুশৃঙ্খল ও সংগঠিতভাবে বরণ করে নেব। এটি হবে ইতিহাসের একটি স্মরণীয় সংবর্ধনা।’

দেশের বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের ‘চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের’ জামিনে বের হওয়ার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তিনি অভিযোগ করেন, বিরোধী মত দমনে সহিংসতার রাজনীতি থেকে আওয়ামী লীগ এখনও সরে আসেনি।

আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে ইশরাক হোসেন বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে জয়লাভের লক্ষ্য নিয়েই। জয়ের জন্য কেন্দ্রভিত্তিক শক্তিশালী ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা এবং ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কড়া নজরদারি বজায় রাখার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া চান এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে দল ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ঢাকা-৫ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নবীউল্লাহ নবী, ঢাকা-১০ আসনের শেখ রবিউল আলম, ঢাকা-৭ আসনের হামিদুর রহমান হামিদ এবং ঢাকা-৯ আসনের হাবিবুর রশিদ হাবিব প্রমুখ।


একটি চক্রান্তকারী মহল পরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে: সুলতান সালাউদ্দিন টুকু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনীত এমপি প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু অভিযোগ করেছেন, একটি চক্রান্তকারী মহল পরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, যারা গণতন্ত্র এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না, তারাই মূলত নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এবং দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়।

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বিন্যাফৈর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা এবং দাইন্যা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ফারুকের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, আগামী ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে সব ষড়যন্ত্র ম্লান হয়ে যাবে এবং দেশের মানুষ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাবে।

আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, সব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত সময়েই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, ইনশাআল্লাহ। তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। তবে এবার মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদের সব দোসর এবং দেশে সংঘটিত সব হত্যাকাণ্ডের বিচার এই বাংলার মাটিতেই নিশ্চিত করবে জনগণ।

রফিকুল ইসলাম ফারুক স্মৃতি সংঘের সভাপতি আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাবেক সদস্যসচিব মাহমুদুল হক সানু, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার রাশেদুল আলম রাশেদ, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক দুর্জয় হোড় শুভ এবং জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মনিরুল হকসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।


মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য এ কে খন্দকার চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন: মির্জা ফখরুল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিমান বাহিনী প্রধান এবং সাবেক মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকার, বীর উত্তমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য এ কে খন্দকার জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দলের সহ-দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. তাইফুল ইসলাম টিপুর সই করা এক শোকবার্তায় বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের প্রতি মমত্ববোধ এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এ কে খন্দকারের নিবেদিতপ্রাণ ভূমিকা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তিনি স্মরণ করেন যে, ১৯৭১ সালে গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিসেবে এ কে খন্দকার মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ও সাহসী ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি ছিলেন মুক্তি বাহিনীর উপ-প্রধান এবং পরবর্তীতে স্বাধীন দেশের বিমান বাহিনীর প্রথম প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ‘বীর উত্তম’ খেতাব এবং ২০১১ সালে স্বাধীনতা পদক লাভ করেন।

শোকবার্তায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, পৃথিবী থেকে তার চিরবিদায়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে ব্যথিত ও মর্মাহত। তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

উল্লেখ্য, শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে বার্ধক্যজনিত কারণে ৯৫ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন এ কে খন্দকার।


ক্ষমতায় গেলে খেলাধুলাকে ‘পেশা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেবে বিএনপি: আমিনুল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামীতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে খেলাধুলাকে একটি সম্মানজনক পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা এবং তৃণমূল পর্যায় থেকে উঠে আসা প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের রাষ্ট্রীয়ভাবে দায়িত্ব নেওয়ার মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বিএনপি। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান দলের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক।

এদিন তিনি সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে বাংলাদেশের হয়ে রৌপ্য পদক জয়ী এবং অনূর্ধ্ব–১৯ বালিকা চ্যাম্পিয়ন খই খই সাই মারমার হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেন। এ সময় আমিনুল হক জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ব্যক্তিগতভাবে খই খই সাই মারমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। যতদিন এই অ্যাথলেট নিজের পায়ে না দাঁড়াবেন বা প্রতিষ্ঠিত না হবেন, ততদিন দল তার পাশে থাকবে।

বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক দেশের ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বলেন, “চতুর্থ শ্রেণি থেকে খেলাধুলা বাধ্যতামূলক করা এবং খেলাধুলাকে পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। এজন্য ‘নিউ কুঁড়ি স্পোর্টস’ নামে একটি বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের খুঁজে বের করা হবে। তাদের পড়াশোনা ও খেলাধুলার যাবতীয় ব্যয়ভার সরকারিভাবে বহন করা হবে।”

তিনি আরও জানান, দেশের খেলার মাঠের সংকট নিরসনে যেখানেই খালি জায়গা পাওয়া যাবে, সেখানেই সরকারি উদ্যোগে খেলার মাঠ তৈরি করা হবে। কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে সাবেক এই জাতীয় ফুটবলার বলেন, প্রতিটি উপজেলায় ক্রীড়া কর্মকর্তা এবং প্রতিটি স্কুলে বিষয়ভিত্তিক ক্রীড়া শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া খেলোয়াড়দের বয়সসীমা থাকলে সরকারি চাকরিতে এবং বয়সসীমা না থাকলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে।

নারী ক্রীড়াবিদদের প্রসঙ্গে আমিনুল হক বলেন, ছেলে ও মেয়েদের সমান সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার পাশাপাশি নারী ক্রীড়াবিদদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই বিএনপির অঙ্গীকার। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করতে পারলে ক্রীড়াঙ্গনে কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


বাগেরহাটের দুই আসনে বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত: জাকির ও ফরিদুল পেলেন ধানের শীষ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দীর্ঘদিনের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট জেলার দুটি সংসদীয় আসনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে মনোনয়নপ্রাপ্ত দুই নেতা তাদের ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বাগেরহাট-২ (সদর ও কচুয়া) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে প্রার্থিতার বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি সবার দোয়া ও ভালোবাসা কামনা করেছেন। ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ‘সম্প্রীতি বাগেরহাট’-এর চারটি আসন রক্ষার আন্দোলনে এবং দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া রাজনৈতিক মামলাগুলো আইনিভাবে মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন।

অন্যদিকে, বাগেরহাট-৩ (মোংলা–রামপাল) আসনে ধানের শীষের টিকিট পেয়েছেন বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম। মনোনয়ন পাওয়ার পর এক ফেসবুক পোস্টে তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও নীতি-নির্ধারণী নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তিনি দলের অভ্যন্তরীণ সব বিভাজন ভুলে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান এবং ধানের শীষের বিজয়ের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। ড. ফরিদুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন।

এদিকে বাগেরহাট জেলার বাকি দুটি আসন, বাগেরহাট-১ ও বাগেরহাট-৪-এ বিএনপির প্রার্থী এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন রয়েছে যে, বাগেরহাট-১ আসনে বাবু কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল এবং বাগেরহাট-৪ আসনে সোমনাথ দে দলীয় মনোনয়ন পেতে পারেন।


যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইবে তাদের প্রতিহত করা হবে: মির্জা আব্বাস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইবে, প্রয়োজনে তাদের প্রতিহত করা হবে। তিনি বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান যেভাবে বাকশাল ভেঙে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান যেভাবে জনগণের পাশে ছিলেন, আগামীতেও বিএনপি ঠিক সেভাবেই মানুষের পাশে থাকবে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পুরান ঢাকার গোপীবাগের সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আয়োজিত এক প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস ষড়যন্ত্রকারীদের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, যারা দেশের ভালো চায় না এবং দেশকে ভালোবাসে না, তারা দেখতে মানুষের মতো হলেও আসলে ‘মানুষরূপী শয়তান’। এরা ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের বিরোধিতা করেছিল এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছিল। কিছুদিন চুপ থাকলেও এখন তাদের নখ ও বিষদাঁত আবার দৃশ্যমান হচ্ছে এবং তাদের কার্যক্রম খুবই ধারাবাহিক। তবে গণতন্ত্রের সামনে অগণতান্ত্রিক শক্তি কখনোই টিকে থাকতে পারে না বলে তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের সতর্ক করে দেন।

সাবেক এই মন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের রক্ষক, ভক্ষক নয়। বিএনপি হত্যা, গুম বা ‘মব জাস্টিস’-এর রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। তবে তার মানে এই নয় যে, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে রক্ত দিয়ে অর্জিত অধিকার কেউ ছিনিয়ে নিতে চাইলে বিএনপি হাত গুটিয়ে বসে থাকবে। দেশের সর্বত্র এখন অসহায়ত্বের ধ্বনি শোনা যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শহীদ জিয়ার হাতে প্রতিষ্ঠিত এবং বেগম খালেদা জিয়ার লালিত সেই গণতন্ত্র সাথে নিয়ে দেশে ফিরছেন তারেক রহমান। তারেক রহমানের দেশে ফেরা মানেই গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন, আর দেশের জনগণ তাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা-১০ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শেখ রবিউল আলম, ঢাকা-৬ আসনের ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, ঢাকা-৭ আসনের হামিদুর রহমান হামিদ, ঢাকা-৯ আসনের হাবিবুর রশিদ হাবিব, ঢাকা-৫ আসনের নবী উল্লাহ নবী এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আ ন ম সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।


ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের পেছনে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র রয়েছে: সালাহউদ্দিন আহমেদ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের পেছনে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, একটি মহল দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে গণতন্ত্র এবং নির্বাচনের পথকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে। নির্বাচন প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার হীন উদ্দেশ্যে পতিত স্বৈরাচারী শক্তির সঙ্গে দেশি-বিদেশি দোসররা জড়িত থাকতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

আগামী দিনের রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে তিনি বলেন, আগামী ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সমাবেশের মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হবে। সেই সমাবেশের মধ্য দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে যে, দেশে আর কোনো ষড়যন্ত্র দানা বাঁধতে পারবে না।

এ সময় আসন্ন নির্বাচনের জন্য দলের বাকি প্রার্থীদের মনোনয়নের বিষয়েও কথা বলেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা। তিনি জানান, দলের অবশিষ্ট মনোনয়নের বিষয়ে খুব দ্রুতই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে জানানো হবে।


মব-হামলা-ভাঙচুর একটা নীলনকশার অংশ : মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর | ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ছায়ানটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মব তৈরি করে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার ‘নীলনকশার’ একটা অংশ বলে মনে করছেন।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি ওসমান হাদিকে হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে দেশে ‘মব, হামলা, ভাঙচুর- এগুলো একটা ব্লু প্রিন্টের (নীলনকশা) অংশ বলেই আমরা মনে করি।’

এসব কর্মকাণ্ডেরা মাধ্যমে বাংলাদেশে ‘উগ্রবাদকে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা’ করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ফখরুল বলেন, ‘তবে বাংলাদেশে জোর করে চাপিয়ে, মব সৃষ্টি করে কিছু করা যাবে না। কারণ বাংলাদেশের উদার সংস্কৃতিতে এটা সম্ভব না।’

এসব ঘটনাপ্রবাহকে ‘নির্বাচন ঠেকানোর অপচেষ্টা’ বলেও বিএনপি মনে করছে বলে জানান মির্জা ফখরুল।


দেশের জনগণ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবে : আমান উল্লাহ আমান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি

দেশের জনগণ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, কারণ নির্বাচন ছাড়া কখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় না বলে মন্তব্য করেছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে কেরানীগঞ্জের তারানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ড্যাব কর্তৃক আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প পরিদর্শনপূর্বক এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। যে কোনো মূল্যে নির্বাচন হতে হবে। কোন ষড়যন্ত্র বা চক্রান্ত করে নির্বাচন প্রতিহত করা যাবে না।

আলোচনা সভা শেষে তিনি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প পরিদর্শন করেন এবং রোগীদের খোঁজখবর নেন। এ সময় ক্যাম্পে বিশজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রায় ৫ শতাধিক রোগীকে চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন এবং বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ড্যাবের কোষাধ্যক্ষ ডা. মো. মেহেদী হাসান, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মো. জাভেদ আহমেদ, ঢাকা জেলা ড্যাব সভাপতি ডা. মাহমুদ আলম তারেক, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ও কেরানীগঞ্জ ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. আলিনুর পলাশ এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফখরুল আলম বাদলসহ আরও অনেকে।


হাদি হত্যার বিচার চেয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে ছাত্রদলের স্মারকলিপি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শহীদ জুলাই বিপ্লবী ও আধিপত্যবাদবিরোধী প্ল্যাটফর্ম ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী ও গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তাসহ চার দফা দাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সংগঠনটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরসহ শীর্ষ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর হাতে এ স্মারকলিপি তুলে দেন।

স্মারকলিপিতে ছাত্রদল উল্লেখ করে, শহীদ ওসমান বিন হাদি ছিলেন একজন আপসহীন তরুণ নেতা ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সাংস্কৃতিক সংগ্রামের অগ্রপথিক। ফ্যাসিস্টদের পরিকল্পনায় তিনি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের পূর্বপ্রস্তুতি ও ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর উদ্যোগের অভাব, যোগ্যতা ও আন্তরিকতার ঘাটতি এবং ঘটনার দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও হত্যাকারী ও নেপথ্যের কুশীলবদের গ্রেপ্তারে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, এই হত্যাকাণ্ড কেবল একটি ব্যক্তির জীবন কেড়ে নেওয়ার ঘটনা নয়; বরং এটি ফ্যাসিবাদবিরোধী কণ্ঠরোধের ভয়াবহ দৃষ্টান্ত। এর মাধ্যমে গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-যুব ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের নিরাপত্তা আজ চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।

স্মারকলিপিতে ছাত্রদল নেতারা বলেন, আইনের শাসন ও নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব। দ্রুত এসব দাবি বাস্তবায়নের মাধ্যমে শহিদ ওসমান বিন হাদির আত্মত্যাগের প্রতি ন্যূনতম সম্মান প্রদর্শিত হবে এবং জনগণের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে।


banner close