শনিবার, ৩ মে ২০২৫
২০ বৈশাখ ১৪৩২

ঢাকায় জামায়াতের সমাবেশ: প্রশ্নের মুখে আওয়ামী লীগ, প্রশ্ন বিরোধীদেরও

আপডেটেড
১২ জুন, ২০২৩ ১১:২১
আমানউল্লাহ আমান ও আহমেদ দীপ্ত
প্রকাশিত
আমানউল্লাহ আমান ও আহমেদ দীপ্ত
প্রকাশিত : ১২ জুন, ২০২৩ ১১:২০

উচ্চ আদালতের আদেশে স্থগিত রয়েছে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন। রাজধানীসহ সারা দেশে কোথাও প্রকাশ্যে সমাবেশ করতে না পারলেও ঘরোয়া রাজনীতিতে সক্রিয় ছিল দলটি। এক দশক পর এবার সরকারের অনুমতি নিয়ে রাজধানীর বুকে সমাবেশ করল জামায়াত। সমাবেশ থেকে সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদারের হুমকিও দিয়েছেন দলটির নেতারা। আর এ নিয়েই রাজনীতির অঙ্গনে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। নানা প্রশ্নের মুখে পড়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। প্রশ্ন উঠেছে সরকারবিরোধীদের মনেও।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, নিবন্ধন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত জামায়াতকে অপরাধী করা যায় না। উচ্চ আদালতের চূড়ান্ত আদেশ আসার আগ পর্যন্ত দল হিসেবে জামায়াতকে সরকার কর্মসূচি করার অনুমতি দিতে পারে। পাশাপাশি সংঘর্ষ ও সহিংসতা এড়াতে জামায়াতকে সমাবেশে অনুমতি দেয়া হয়েছে। গণতন্ত্রে বিশ্বাসীদের অনুমতি দেয়ার পাশাপাশি জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দিতে হয়েছে বলে দাবি আওয়ামী লীগ নেতাদের।

জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দেয়ায় সন্দেহ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটে। কেন জামায়াতকে রাজধানীতে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে কারণ জানেন না জোট নেতারা। ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলছেন, দেশের রাজনীতিতে পাকিস্তানপন্থার প্রত্যাবর্তনের পথকে সুগম করবে। সরকারের আইনমন্ত্রীর এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়া উচিত। এমন সিদ্ধান্তের জন্য সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রভাবের পাশাপাশি দিতে হবে খেসারত। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে এখনই এ বিষয়ে ভাবতে হবে বলেও মত ১৪-দলীয় জোট নেতাদের।

অন্যদিকে দীর্ঘ এক দশক পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে সমাবেশের অনুমতি দেয়া নিয়ে সরকারের প্রতি প্রশ্ন তুলেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তারা বলছেন, বিরোধী দলগুলোর চলমান আন্দোলনকে ‘জামায়াতি ব্র্যান্ডিং’ করে দেশি-বিদেশি পক্ষগুলোকে তুষ্ট করতে চায় সরকার। এই ঘটনা সরকারের অসংলগ্ন আচরণের বহিঃপ্রকাশ।

বিএনপি মনে করছে, কোনো রাজনৈতিক দল ভালো কি মন্দ করল তার বিচার করবে জনগণ। বর্তমানে জামায়াত দেশের সমস্যা নয়। সমস্যা হচ্ছে বর্তমান সরকার। ফলে বর্তমান সরকারবিরোধী আন্দোলন কেউ করলে তার বিরোধিতা বিএনপি করবে না। তবে জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দেয়ার বিষয়টি সরকারের।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দৈনিক বাংলাকে বলেন, সমাবেশের অনুমতি দেয়ার ক্ষমতা সরকারের, ক্ষমতা তো বিএনপির হাতে নেই। অনুমতি দেয়ায় সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে বলে আমি মনে করি। কোনো রাজনৈতিক দলকে সভা-সমাবেশ করতে না দেয়া সংবিধানসম্মত নয়। সভা-সমাবেশ করা সাংবিধানিক অধিকার। কোনো দল ভালো করল কি মন্দ করল তার বিচার করবে জনগণ।

তিনি বলেন, জামায়াত বর্তমানে সমস্যা নয়। বর্তমানে সমস্যা এই অবৈধ সরকার। এই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে যারা আন্দোলন করবে আমরা তো তাদের বাধা দিতে পারি না।

জামায়াতকে সভা করার অনুমতির বিষয়ে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে সরকারের কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এটি রাজনৈতিক ব্যাপার। রাজনৈতিক কারণে। এটি একটি পলিটিক্যাল ডিসিশন, এটি সময়ই আমাদের বলে দেবে। তারা রাজনৈতিক দল, হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল সংবিধানের সঙ্গে তাদের গঠনতন্ত্র সাংঘর্ষিক, গ্রহণযোগ্য না। তাদের তো অনেক জনসমর্থনও আছে। এ পরিস্থিতির আলোকে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। আপনারা একটু অপেক্ষা করেন, আরও দেখবেন কী হয়।

রাজধানীর রাজারবাগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে গতকাল রোববার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘জামায়াতের সমাবেশ এটিই প্রথম নয়। তারা প্রায়ই বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে কর্মসূচি পালন করে। সমাবেশ থেকে ভাঙচুরের মতো ঘটনাও ঘটায়। এবার তারা মাঠে সমাবেশ করতে অনুমতি চেয়েছে। কিন্তু আমরা পারমিশন দিইনি। পরে তারা আবদ্ধ স্থানে অর্থাৎ ইনডোরে মিটিং করতে চেয়েছে। পরে মৌখিকভাবে কমিশনার তাদের অনুমতি দিয়েছেন। তার মানে এই নয় যে আমরা আমাদের নীতি থেকে সরে এসেছি।’

রাজধানীতে অন্য এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘জামায়াতকে দল হিসেবে যুদ্ধাপরাধে বিচার করার জন্য আইন সংশোধন করার কথা আমি আগে বলেছি, সেই প্রক্রিয়া চলমান। সংশোধনের জন্য যে আইন, সেটি কেবিনেটে কিছু দিনের মধ্যে যাবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই (সমাবেশের) অনুমতি দিয়ে থাকে। ওনারা কী বিবেচনায় দিয়েছেন আমার মনে হয় যে, এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষকে আপনারা যদি প্রশ্ন করেন সেটি বেটার হবে।’

অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি না এটি সাংঘর্ষিক, তার কারণ হচ্ছে, বিচার করার পরে যতক্ষণ পর্যন্ত রায় না হয়, দোষী সাব্যস্ত না করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত তো আমি বলতে পারব না যে জামায়াত দোষী। বিচারের প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং বিচারের প্রক্রিয়ায় আমি আজকেই বলব না যে কী হবে। অবশ্যই বিচারের প্রক্রিয়া শুরু হবে এই কারণে যে, আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যে বিচার করেছি সেখান থেকে যে তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে, দেখা গেছে যে জামায়তকে দল হিসেবে যুদ্ধাপরাধে বিচার করার জন্য যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত আছে; কিন্তু বিচার করার পরেই বলা যাবে তারা দোষী কি না। সে জন্য আমি মনে করি না এটি সাংঘর্ষিক।’

রাজধানীতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জামায়াত এখনো যেহেতু নিষিদ্ধ হয়নি, রাজনৈতিক দল হিসেবে আবেদন করেছে, সে জন্য তাদের সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে গতকাল তাদের সমাবেশ থেকে আস্ফালন করে যেভাবে বক্তব্য দেয়া হয়েছে, এগুলো আসলে বিএনপিরই বক্তব্য। ২০১৪ সালে তারা যেভাবে নির্বাচন প্রতিহত করতে গিয়ে শত শত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছিল, সেটিরই ইঙ্গিত তারা দিয়েছে। বিএনপি জোটের প্রধান শরিক জামায়াতকে দিয়ে তারা এই কথাগুলো বলিয়েছে। তাদের সুযোগ দিলে তারা কী করতে পারে, সেটি তাদের বক্তব্যে পরিষ্কার হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতা দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিএনপি ও জামায়াত অভিন্ন। সরকার মূলত জামায়াতের সহিংস রূপটা জনসমক্ষে ও বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে চাইছে। সেই সঙ্গে যদি বিএনপিও সহিংস হয়ে ওঠে তাহলে তারা আবারও পরাজিত হবে। আমরা যেহেতু সরকারে আছি, আমরা তো নির্বাচন করার পক্ষেই থাকব। যারা বিরোধিতা করবে তাদের কৌশল মোকাবিলায় আমরা পাল্টা কৌশল গ্রহণ করব- এটিই স্বাভাবিক।’

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম দৈনিক বাংলাকে বলেন, অনুমতি দেয়ার মূল কারণটি হচ্ছে গণতান্ত্রিক ধারায় নির্বাচন সামনে। প্রত্যেকটি গণতান্ত্রিক ধারা বা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যারা বিশ্বাস করে, সবাইকে অনুমতি দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে জামায়াতকেও অনুমতি দেয়া হয়েছে। সরকার যখন জামায়াতকে অনুমতি দিয়েছে, তখন অনেকে সমালোচনা করেছে। এই কথা বলেছে যে, সরকার নিশ্চিত জামায়াতের সঙ্গে কোনো আঁতাত করে জামায়াতকে অনুমতি দিয়েছে। এই কথাটা কিছু দুষ্টু লোক বাজারে ছড়িয়েছে।

তিনি বলেন, ‘অবশ্যই জামায়াত আমাদের সব থেকে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী- এইটা ঠিক। কিন্তু গতকাল জামায়াতের এত বড় সমাবেশ থেকে প্রমাণ হয়েছে জামায়াত-বিএনপি মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। জামায়াতকে বিএনপির থেকে আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। জামায়াত যে হুংকার দিয়েছে গতকাল এতে সরকারের বোধগম্য হয়েছে যে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের কোনো দূরত্ব নেই। তারা আসলে এক এবং অভিন্ন। আগামী দিনে যে পদ্ধতি অবলম্বন করবে বিএনপি, জামায়াতকে সঙ্গে নিয়েই করবে। এই সতর্কতা গতকালকের সমাবেশ থেকে সরকারের অভিজ্ঞতা হলো বলে আমি মনে করি। এরপর দেখেন কী হয়।’

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের নেতা ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘এটা আমাদের কেন জিজ্ঞেস করছেন? আইনমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেন। আইনমন্ত্রী বারবার করে বলেছেন যে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার যে দাবি আছে, সেটা নিয়ে সরকার কাজ করছে। তাই যদি হয়, তাহলে জামায়াত কেমন করে প্রকাশ্যে সমাবেশ করে এবং সেই সমাবেশে বিএনপির মতো একই ধরনের উচ্চারণ করে এটা কীভাবে হয় আমি জানি না।’ তিনি বলেন, জামায়াতের সঙ্গে যতই সমঝোতার চেষ্টা করা হোক, এটা সাপের মুখে চুমু দেয়ার শামিল হবে।

১৪-দলীয় জোটের অন্যতম নেতা ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী আপাদমস্তক অর্থাৎ নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত সাম্প্রদায়িক, স্বাধীনতাবিরোধী একটি দল। সুতরাং তার নিবন্ধন যখন বাতিল হয়ে গেছে, উচ্চ আদালতে যেহেতু একটা মামলা আছে দল নিষিদ্ধ করার, সেখানে জামায়াতকে সভা করার অনুমতি দেয়াটা আমরা সঠিক মনে করছি না।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আবার পাকিস্তানপন্থার আনুষ্ঠানিক প্রত্যাবর্তনের রাস্তা পরিষ্কার করবে।

সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া দৈনিক বাংলাকে বলেন, সরকার যা করেছে সেটি আত্মঘাতী।

তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী দৈনিক বাংলাকে বলেন, এর সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। জঙ্গিবাদের উত্থান নতুন করে ঘটবে। যেখানে নিবন্ধন নেই ওদের, নিবন্ধনবিহীন দল জামায়াতের প্যাডে কীভাবে তারা অনুমতি পায়? আজকে হোক, কালকে হোক এর খেসারত সরকারকে দিতে হবে। এর জন্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি যারা আছে, তাদের এখনই চিন্তা করার সময়।

এই বিশেষ মুহূর্তে অনুমতি দেয়ার পেছনে অবশ্যই কারণ থাকতে পারে বলে মনে করেন ১৪-দলীয় জোটের একজন নেতা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘এটা সরকার বলবে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বিষয়ে অবশ্যই ব্যাখ্যা দেয়া উচিত। যতই বলুক যে বিএনপি ওদেরকে (জামায়াত) নামাইছে, ঠিক আছে ওদেরকে নামাইছে। তুমি (সরকার) তো অনুমতি দিয়েছ। সরকারের দায় এড়ানোর সুযোগ নেই।’

জামায়াত নিয়ে সরকারের ভেতরে অস্থিরতা আছে বলে মনে করেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘জামায়াতের ব্যাপারটা বিস্ময়কর। সরকার এতটাই দ্বিধান্বিত যে, কী করবে বুঝতেই পারছে না। কারণ জামায়াতের লোকজন যখন অনুমতি চাইতে গেছে, তখন তাদের গ্রেপ্তার করা হলো। আবার দেড় ঘণ্টার মধ্যে ছেড়েও দিয়েছে। পরে সমাবেশের অনুমতিও দিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এর চাইতে সরকারের অস্থিরতা বেশি কী দেখবেন? রাজনৈতিকভাবে তারা একটা সমস্যাও মোকাবিলা করতে পারেনি। তারা আবার গায়ের জোরে নির্বাচন করতে চায়।’

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘গণতন্ত্র মঞ্চ সে রকম লড়াই করতে চায়, যেখানে সবার অধিকার নিশ্চিত হবে। এটাকে ধর্মের ভিত্তিতে বিভেদ করা হবে না। জামায়াতকে তারা এতদিন কেন অনুমতি দেয়নি? এই প্রশ্নগুলো মানুষের মধ্যে নতুন করে দেখা দিয়েছে। আমরা সরকারের কাছে এর উত্তর চাই।’

জামায়াতকে সমাবেশ করার অনুমতির বিষয়টি সরকারের অসংলগ্ন আচরণ বলে মনে করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেন, ‘সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক বললেন, বিএনপির উসকানি ও মদদ পেয়ে জামায়াত সমাবেশ করেছে। প্রশ্ন হচ্ছে- আপনি তাদের ১০ বছর পর অনুমতি (সমাবেশ) দিয়েছেন, আবার বলছেন বিএনপি তাকে উসকানি দিয়ে রাজপথে নামাচ্ছে। সরকার যে অসংলগ্ন আচরণ করছে, নানা বিষয়ে সরকারের যে অস্বস্তি, এটা তার বহিঃপ্রকাশ।’

সরকার যেকোনো চলমান আন্দোলনকে ‘জামায়াতি ব্র্যান্ডিং’ করছে বলে মনে করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ‘এখানে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটা হলো, ১৫ বছর ধরে আমরা সরকারের একটি রাজনৈতিক অবস্থান দেখছি পাচ্ছি। সেটি হলো জামায়াতকে তাদের শত্রু বলে চিহ্নিত করে আসছে। তারা যেকোনো আন্দোলনকে জামায়াতি নাম দিয়ে ব্র্যান্ডিং করেছে।’

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আজ বাংলাদেশের আন্দোলন হচ্ছে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের আন্দোলন, সংবিধান সংস্কার করার আন্দোলন। সেই আন্দোলনকে আবারও জামায়াতি ব্র্যান্ডিং দেয়ার চেষ্টা শুরু হয়েছে, যেটা আজকের সংবাদমাধ্যমে এসেছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, জামায়াতকে অগ্নিসন্ত্রাসের জন্য নামানো হয়েছে। এর মানে বিরোধী দলের পুরো আন্দোলনকে আবারও জামায়াতের ব্র্যান্ডিং করে, সন্ত্রাসের ব্যান্ডিং করে সরকার তার দেশি এবং বিদেশি পক্ষগুলোকে তুষ্ট করতে চাচ্ছে।’


আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করে কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে : নাহিদ ইসলাম

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এবি পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বক্তব্য দেন এনসিপি’র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করে অতিদ্রুত তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এবি পার্টির ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ৫ আগস্ট বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একটি রায় দিয়েছে, তারা এ দেশে আর কখনো রাজনীতি করতে পারবে না। আমরা যখন বলি জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে আওয়ামী লীগের ব্যাপারে তখন উপায় হচ্ছে একটি ভোটের মাধ্যমে, অন্যটি রাজপথে তাদের অবস্থান জানান দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে, যা ৫ আগস্টে হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে একটি গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। সেখানে এ দেশের জনগণ মুজিববাদ ও আওয়ামী লীগকে অস্বীকার করেছে। জনরোষে পড়ে আওয়ামী লীগের নেতারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। এরপরে আওয়ামী লীগ এ দেশে রাজনীতি করতে পারবে কি পারবে না এ আলোচনা আসতে পারে না। তারা রাজনীতির নৈতিক ভিত্তি হারিয়েছে। এখন তার আইনি বন্দোবস্ত কি হবে, সেটাই বিষয়। এ বিষয়ে একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যেতে পারি সে পথ আমাদের বের করতে হবে উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করে অতি দ্রুত তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে এবং বিচারের মাধ্যমে আমরা তাদের বিষয়ে একটি চূড়ান্ত ফয়সালা পাবো।


নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ চাইলেন রিজভী

বরিশালে অশ্বীনী কুমার হল চত্বরে জেলা ও মহানগর শ্রমিক দল আয়োজিত মহান মে দিবসের র‍্যালি। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা ও নির্বাচনের মাধ্যমে জনগনের অধিকার জনগনের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

আজ বৃহস্পতিবার বরিশালে অশ্বীনী কুমার হল চত্বরে জেলা ও মহানগর শ্রমিক দল আয়োজিত মহান মে দিবসের র‍্যালিপূর্ব সমাবেশে এই দাবি জানান তিনি।

রিজভী বলেন, পালিয়ে গিয়েও দেশে হত‍্যার রাজনীতি অব‍্যাহত রেখেছেন ফ‍্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। ২৬২ জনকে হত‍্যার হুমকি দি‍য়ে তার দেওয়া বক্তব্য ফরেনসিক রিপোর্টে প্রমাণিত হয়েছে। গোয়েন্দারা প্রমাণ পেয়েছে যে ওই বক্তব্যের কন্ঠ তারই ছিল।

তিনি বলেন, একটি কথা মনে রাখতে হবে, এদেশে আবারো ফ‍্যাসিস্ট ফিরে এলে আপনার আমার কারো রেহাই নেই। অতএব দ্রুত নির্বাচন দিয়ে জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে। কেবল তাহলেই সম্ভব হবে পতিত ফ‍্যাসিস্টকে চিরতরে নির্মূল করা। জনগণই পারবে ফ‍্যাসিস্ট ঠেকাতে।

সমাবেশ শেষে মহান মে দিবস উপলক্ষে রিজভীর নেতৃত্বে শ্রমিক দলের র‌্যালিটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণের পর পূনরায় সদর রোডে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

জেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ফয়েজ আহম্মেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মোহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান ও আবু নাসের রহমতউল্লাহসহ স্থানীয় নেতারা।


৩১ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে জাকসু নির্বাচন

জাকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জাবি প্রতিনিধি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন আগামী ৩১ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে।

গতকাল বুধবার রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে জাকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান।

উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (জাকসু) গঠনতন্ত্রের ৮ (খ) ধারা অনুযায়ী আগামী ৩১ জুলাই ২০২৫ তারিখ সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) এবং হল সংসদ নির্বাচন একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে।’


ভোটে নির্বাচিত সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে: আমীর খসরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে, সেটা যে সরকারই হোক।

রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে জোটেরর মিত্র শরিক দল ন্যাপ-ভাসানী, আমজনতার দল ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টির সাথে আলাদা আলাদা বৈঠকের পর সংবাদ ব্রিফিং-এ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন।

তিনি বলেন, ‘গত ১৬ বছরের যুদ্ধটা ছিল বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অবস্থার অর্ডারটা ফিরিয়ে আনার জন্য, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য, জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে আনার জন্য। সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে, জবাবদিহিতা থাকবে সেটা যে সরকারই হোক।'

‘বাংলাদেশের জনগণ এখনো অন্তর্বর্তী সরকারকেই ভালো সমাধান মনে করছে’.. আল-জাজিরায় দেয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস যে জনগণের কথা বলেছেন ‘সেই জনগণ কারা’ তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, কোনো মহামানব দেশের গণতন্ত্রের সমাধান দেবে তার জন্য বাংলাদেশের মানুষকে অপেক্ষা করতে হবে, সেটা বিশ্বাস করার কোনো কারণ নাই।'

নির্বাচন প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যারা ফ্যাসিবাদ অবসানে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাস্তায় লড়াই করেছে, আমাদের সাথে যারা রাস্তায় ছিল ইতিমধ্যে ৫০টি দল পরিস্কারভাবে ব্যক্ত করেছে ডিসেম্বরে আগে নির্বাচন দিতে হবে এবং সাথে সাথে সংস্কারের যে কথা বলা হয়, যে সংস্কারগুলোতে ঐকমত্য হবে সেই সংস্কারগুলো ইমিডিয়েটলি করে নির্বাচন কমিশনকে বলা হোক নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করে রোডম্যাপ দিয়ে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়াটা।'

গুলশানে সোমবার তিনটি রাজনৈতিক দলের সাথে আলাদা আলাদাভাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বৈঠকে বসেন।

ন্যাপ-ভাসানীর নেতৃত্বে দেন দলটির চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম।

আমজনতার দলের নেতৃত্ব ছিলেন দলটির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মশিউজ্জামান এবং বাংলাদেশ পিপলস পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নাজমা আখতার।


ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে নতুন দল, মহাসচিব শওকত মাহমুদ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের অগ্রদূত ও খ্যাতিমান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন একটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। দলটির নাম রাখা হয়েছে ‘জনতার পার্টি বাংলাদেশ’। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় রাজধানীর শাহবাগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের রূপসী বাংলা গ্র্যান্ড বলরুমে (নিচতলা) এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দলটির আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দেওয়া হয়।

দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘গড়ব মোরা ইনসাফের দেশ’- এ স্লোগানকে সামনে রেখে রাজনীতির মাঠে যাত্রা শুরু করেছে ‘জনতার পার্টি বাংলাদেশ’। দলটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন এবং মহাসচিবের দায়িত্বে আছেন বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ।

অনুষ্ঠানে দলের নাম ও ইশতেহার পাঠ করেন শওকত মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, প্রতিটি গণঅভ্যুত্থান, বিপ্লব ও আন্দোলনের পর সংগ্রামী চেতনায় নতুন রাজনৈতিক দলের জন্ম হয়েছে। তিনি মনে করেন, রাষ্ট্রকে একাত্তরের ও ২০২৪ সালের গণজাগরণের চেতনায় পুনর্গঠন করতে হলে নতুন রাজনৈতিক দলের আবির্ভাব সময়ের দাবি। এ প্রেক্ষাপটে সব ধরনের বৈষম্য, ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে, জনকল্যাণ, ইনসাফ ও সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে এবং গর্বিত জাতীয়তাবোধ দৃঢ় করতে তারা এ নতুন দল গঠনের ঘোষণা দিচ্ছেন।’

অনুষ্ঠানে দলের ২৭ সদস্যের অ্যাডহক কমিটি ঘোষণা করেন ইলিয়াস কাঞ্চন, যিনি ‘নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। ঘোষিত কমিটির তথ্য অনুযায়ী, ইলিয়াস কাঞ্চন চেয়ারম্যান এবং গোলাম সারোয়ার মিলন নির্বাহী চেয়ারম্যান ও মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন রফিকুল হক হাফিজ, ওয়ালিউর রহমান খান, রেহানা সালাম, মো. আবদুল্লাহ, এম এ ইউসুফ এবং নির্মল চক্রবর্তী। মহাসচিব শওকত মাহমুদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এম আসাদুজ্জামান। যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন এ বি এম রফিকুল হক তালুকদার রাজা, আল আমিন রাজু ও নাজমুল আহসান।

সমন্বয়কারীর দায়িত্বে রয়েছেন নুরুল কাদের সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মুরাদ আহমেদ, প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক গুলজার হোসেন এবং প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন হাসিবুর রেজা কল্লোল।

দলটির সম্মানিত সদস্য হিসেবে রয়েছেন মেজর (অব.) ইমরান এবং কর্নেল (অব.) সাব্বির। উপদেষ্টা পরিষদে রয়েছেন শাহ মো. আবু জাফর, মেজর (অব.) মুজিব, ইকবাল হোসেন মাহমুদ, ডা. ফরহাদ হোসেন মাহবুব, জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, আউয়াল ঠাকুর, তৌহিদা ফারুকী ও মামুনুর রশীদ।

নতুন দল গঠনের ঘোষণার আগেই ইলিয়াস কাঞ্চনের কাছে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন ‘জনতার বাংলাদেশ পার্টি’র চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম সবুজ খান। গতকাল বৃহস্পতিবার পাঠানো ওই নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ১৩ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ‘জনতার বাংলাদেশ পার্টি’র আত্মপ্রকাশ করা হয়। এরপর ২০ এপ্রিল দলের নিবন্ধনের জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনে কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। তবে মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারা যায়, ‘জনতার পার্টি বাংলাদেশ’ নামে একটি নতুন দল গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। এতে ‘জনতার বাংলাদেশ পার্টি’ ও ‘জনতার পার্টি বাংলাদেশ’ নাম দুটি প্রায় একই হওয়ায় সারা দেশে দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। তারা হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। এতে দলটির জন্য ক্ষতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে এবং গণতান্ত্রিক চর্চার সৌন্দর্য বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, ইতোমধ্যে ‘জনতা’ শব্দ ব্যবহার করে যেসব রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করেছে, তার মধ্যে রয়েছে ‘জনতার বাংলাদেশ পার্টি’, ‘জাতীয় জনতা পার্টি’ ইত্যাদি। নামের এই সাদৃশ্য সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে জনসচেতনতা তৈরিতে সক্রিয় ভূমিকা রেখে আসছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। ১৯৯৩ সালে এক সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রী জাহানারা কাঞ্চন নিহত হওয়ার পর থেকেই তিনি ‘নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’ আন্দোলনের মাধ্যমে এ ইস্যুতে দেশজুড়ে জনমত গঠনে কাজ করে আসছেন। বিভিন্ন সময় তাকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হলেও এবারই তিনি প্রথমবারের মতো সরাসরি রাজনীতির মাঠে নামলেন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন দল গঠনের প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সাড়ে ছয় মাসে অন্তত ১৬টি নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করেছে। সে ধারাবাহিকতায় এবার নতুন দল গঠনের মাধ্যমে যুক্ত হলেন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।


সংস্কার নাকি নির্বাচন এই খেলা বাদ দিন, সবার আগে বিচার: সারজিস

জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম
আপডেটেড ২৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১৪:১৬
প্রতিনিধি, ঢাবি

দেশের রাজনৈতিক দলগুলো সময়ের বিবেচনায় আগে সংস্কার নাকি আগে নির্বাচন এই প্রতিযোগিতায় নেমেছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।

তিনি বলেন, আপনারা একটি কথা মাথায় ঢুকিয়ে রাখুন। সংস্কার নাকি নির্বাচন এই খেলা বাদ দিয়ে সবার আগে হতে হবে হত্যাকাণ্ডের বিচার। পিলখানা, শাপলা ও জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের অন্য কোন কিছুর নাম নেওয়া প্রাসঙ্গিক হতে পারে না।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে অনুষ্ঠিত শহীদি সমাবেশে বক্তব্যে এই কথা বলেন তিনি।

ইনকিলাব মঞ্চ এই সমাবেশের আয়োজন করেন।

সারজিস আলম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে বলবো, এই জেনারেশনকে ভয় করুন। যদি এই জেনারেশনের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে যদি তাদের ইমোশন নিয়ে খেলেন তাহলে তারা কাউকে টেনে নামাতে পারে। কুয়েটের ভিসিই তার প্রমাণ।

সারজিস বলেন, আগে বাংলাদেশের মানুষ তাকিয়ে থাকতো কখন যুক্তরাষ্ট্র স্যাংশন দিবে, কখন হাসিনা মারা যাবে বা কখন নতুন নির্বাচন হবে। এরপর তারা মাঠে নামার প্রস্তুতি নিতো। আর যখন ছাত্র জনতা হাসিনাকে বিদায় করেছে সেই হাসিনার খুনের বিচার হওয়ার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ অন্য কোন কিছুর নাম নেওয়া এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মুখে মানায় না।

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করার জন্য বিভিন্ন মহল নানা কারণ দেখাচ্ছে ও পায়তারা করছে বলেও অভিযোগ করেন সারজিস।

বলেন, এই মহল আমাদেরকে শোনায় বহির্বিশ্বে তাদের ইমেজ ক্ষুন্ন হতে পারে। এই স্টেক হোল্ডার ও বিভিন্ন মহলকে আমরা বলতে চাই, বিগত ১৬ বছরে যখন পিলখানা, শাপলা হত্যাকাণ্ড আর সর্বশেষ জুলাই হত্যাকাণ্ড হয়েছে তখন এই বহির্বিশ্বে কোথায় ছিল? তারা আমাদেরকে পশ্চিমাদের দৃষ্টিভঙ্গি দেখায়। সেই পশ্চিমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কোথায় ছিল, যখন হেলিকপ্টার থেকে ছোট ভাইদের হত্যা করা হয়েছে।

সারজিস বলেন, এই ভারত বাংলাদেশে অনেকগুলো খুনের হুকুমদাতা। এই ভারত আশ্রয় দিয়েছে খুনি শেখ হাসিনাকে। শেখ হাসিনাকে ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে পারে না। খাতা-কলমের সম্পর্ক জনগণের সম্পর্ক এক নয়।

ভারতকে উদ্দেশ্য করে সারজিস বলেন, ভারত যদি বাংলাদেশের সাথে প্রতিবেশীর সম্পর্ক দেখতে চায় তাহলে যেসব খুনিকে তারা আশ্রয় দিয়েছে তাদেরকে বাংলাদেশে পাঠাতে হবে।


প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশে সংস্কার করে আসছে বিএনপি: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশে সংস্কার করে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল বৃহস্পতিবার দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলায় বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক কমিটির উদ্যোগে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তারেক রহমান বলেন, জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালনে বিএনপি বদ্ধপরিকর। শুধু ঢাকায় নয়, দলের ঘোষিত ৩১ দফা নিয়ে প্রান্তিক পর্যায়ে কাজ করছে বিএনপি।

বিএনপি মানুষের আস্থা ধরে রাখতে দীর্ঘ ত্যাগ স্বীকার করেছে উল্লেখ করে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকবে, কিন্তু ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। কোনোভাবে যেন এ দেশের মানুষের ভোটের ও গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। জনগণের ভোটের আর রাজনৈতিক অধিকার বাধাগ্রস্ত হলে সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে।

তারেক রহমান বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিরোধী দলগুলোর ত্যাগকে বৃথা যেতে দেওয়া হবে না। আমাদের সফলতা অর্জন করতে হলে এখনো অনেক পরিশ্রম করতে হবে। যেকোনো মূল্যে এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

দলের ৩১ দফা প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দিতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, এই ৩১ দফা জনগণের কাছে পৌঁছতে পারলেই দলের প্রতিশ্রুতি পূরণ করা যাবে।

রাজনীতিকে টিকিয়ে রাখতে হলে জনগণ ছাড়া কোনো উপায় নেই বলেও মন্তব্য করেন তারেক রহমান। তিনি আরও বলেন, আমরা জুলুম করব না, প্রতিশোধ নেব না। আমরা প্রতিশোধ নিতে চাই ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে। আমরা দেশের জনগণের কাছে রাষ্ট্রের আগামী কাঠামো তুলে ধরব। জনগণ যাতে আগামী দিনে বিএনপির ওপর আস্থা রাখতে পারে। তাই জনগণের আস্থা ধরে রাখতে প্রতিটি বিএনপি নেতা-কর্মীকে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষিত বেকারদের জন্য ভাতা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ছাড়া কৃষিকে আধুনিকায়ন, কৃষকদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হবে।

তারেক রহমান আরও বলেন, ভোট যদি আপনার পক্ষে আনতে হয় তাহলে আপনাকে জনগণের কাছে যেতে হবে, আপনার সংস্কার যদি চলমান রাখতে হয়, সেটিকে বাস্তবায়ন করতে হয়, তাহলে আপনাকে জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণ ছাড়া আপনাদের কোনো বিকল্প নেই। বিএনপি আজ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, বাংলাদেশে যেকোনো মূলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে হবে, যেকোনো মূল্যে মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

বিগত সরকারের বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিগত ফ্যাসিস্টের আমলে দেশের বিচার ব্যবস্থা, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থা সব ধ্বংস হয়েছে। বিষয়টি অনেকটাই ডায়াবেটিসের মতো।


আ.লীগ কীভাবে রাজনীতি করবে, সেটা নির্ধারণের দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকারের: রিজভী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
unb

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত দল আওয়ামী লীগ কীভাবে রাজনীতি করবে, সেই দায়িত্ব বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার চারু শিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের অগ্নিদগ্ধ বাড়ি পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘সমস্ত গণতন্ত্রকামী মানুষ আপনাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) সমর্থন দিয়েছে। কিন্তু কনস্টিটিউশনালি বা আইনগতভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো ভিত্তি নেই।’

‘যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন, তারা প্রত্যেকেই আপনাদের সমর্থন করেছে। সে অনুযায়ী আপনারা দেশ চালাচ্ছেন। এখন আওয়ামী লীগ কীভাবে রাজনীতি করবে, সে দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকারের,’ যোগ করেন তিনি।

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘প্রশাসন আপনাদের হাতে, অন্য সব স্টেট মেশিনারি আপনাদের হাতে। আওয়ামী লীগকে নিয়ে আপনারা কী করবেন, সেটা আপনাদেরই ঠিক করতে হবে।’

‘আওয়ামী লীগের দোসরদের অনুসারীরা ঘাপটি মেরে আছে নানা জায়গায়। ওদের কাছে পেট্রোল কিনে বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার যে অর্থ, মানুষকে হত্যা করার জন্য যে অস্ত্র লাগে, সেসব তাদের কাছে আছে।’

তিনি বলেন, ‘সেটাকে দমন করতে আপনাদের কী আইন প্রণয়ন করতে হ,বে সেটা আপনারা জনগণের কাছে খোলাসা করুন। যেহেতু প্রশাসন আপনাদের হাতে। দোসরদের অনেকেই পালিয়ে গেছে পার্শ্ববর্তী দেশসহ অনেক জায়গায়। কিন্তু যারা নৈরাজ্য ছড়াচ্ছে তারা প্রশ্রয় পাচ্ছে কার দ্বারা?’

‘যারা ১৫ বছর যাবত শেখ হাসিনাকে পাহারা দিয়েছে, ব্যাংক লুট করেছে, অন্যের সম্পদ লুট করেছে, টাকা পাচার করেছে, তারা আজ এই জনসমুদ্রের ভিতর কোথায় লুকিয়ে আছে। অন্তর্বর্তী সরকার যদি খুঁজে বের করতে না পারে, তাহলে তো এই সরকারকে মানুষ ব্যর্থ সরকার বলবে,’ ভাষ্য রিজভীর।

এ সময় মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক সভাপতি আফরোজা খানম রিতা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আজাদ খান, গোলাম আবেদীন কায়সার, বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া হাবু, যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক তুহিনুর রহমান তুহিন, মাসুদ পারভেজ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জিন্নাহ খান, ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল খালেক শুভ, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম খান সজীব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


প্রাথমিক শিক্ষার পাশাপাশি সংস্কৃতি ও খেলাধুলা বাধ্যতামূলক করা দরকার: তারেক রহমান

লালমনিরহাট জেলা পরিষদ মিলনায়তন অডিটোরিয়ামে বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালায় দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে কথা বলছেন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
লালমনিরহাট প্রতিনিধি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষার পাশাপাশি সংস্কৃতি ও খেলাধুলা একটি বড় বিষয়। পড়াশোনার পাশাপাশি শিশুরা যাতে বাধ্যতামূলকভাবে সংস্কৃতি ও খেলাধুলাসহ সব অ্যাক্টিভিটিসে যুক্ত থাকে। এর ফলে শিশুদের যেমন মানসিক বিকাশ ঘটবে তেমনই তাদের শারীরিক বিকাশও ঘটবে।

তিনি আরও বলেন, পত্র-পত্রিকা খুললেই সংস্কার আর সংস্কার। সংস্কার কিন্তু শুরু করেছে বিএনপি। শহীদ জিয়া প্রথম সংস্কার শুরু করেছেন খাল খননের মধ্য দিয়ে। বিএনপি যদি জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সব খাল খনন করে জীবিত করা হবে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রথম কাজ হবে খাল খনন কর্মসূচি। নদীগুলোও খনন করা হবে।

গতকাল মঙ্গলবার লালমনিরহাট জেলা পরিষদ মিলনায়তন অডিটোরিয়ামে বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালায় দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।

কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক কমিটির আয়োজিত এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালার শেষ বেলায় বিকেলে ভার্চুয়ালি যোগ দেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

কর্মশালায় অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তারেক রহমান আরও বলেন, বাংলাদেশ যদিও ল্যান্ড ওয়াইজ (আয়তনের ক্ষেত্রে) বড় দেশ না, তবুও জনসংখ্যার ভিত্তিতে অনেক বড়। লালমনিরহাটের যেমন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কিছু বৈশিষ্ট্য আছে তেমনই কুড়িগ্রামের আছে, চট্টগ্রামের আছে, কুষ্টিয়ার ওইদিকেও আছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কৃষ্টিকালচার সংস্কৃতি আছে। সে রকম আলাদা আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্যও আছে। আর এই বৈশিষ্ট্যটাই হচ্ছে আমাদের ঐতিহ্য।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি যতবার দেশ পরিচালনার সুযোগ পেয়েছে দেশীয় কৃষ্টি-কালচারকে সামনে এগিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছে। আমরা জানি গত ১৭ বছর বহু সংস্কৃতিকর্মী কষ্টে জীবনযাপন করেছেন। চিকিৎসার অভাবে কষ্টে দিনযাপন করেছেন। যখন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার কাছে সুযোগ ছিল এমন অনেক সংস্কৃতিকর্মীকে সহযোগিতা করা হয়েছিল। আমাদের সামগ্রিক চিন্তার মধ্যে যেটি রয়েছে তা হচ্ছে আমাদের এই কালচারকে এগিয়ে নিয়ে যাব। প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রেও কালচারাল একটি বিষয় থাকবে। খেলাধুলার বিষয় থাকবে। পড়াশোনার পাশাপাশি শিশুরা যেন বাধ্যতামূলকভাবে সব অ্যাক্টিভিটিসে যুক্ত থাকে। এর ফলে তাদের যেমন মানসিক বিকাশ ঘটবে তেমনই শারীরিক বিকাশও ঘটবে।

তারেক রহমান বলেন, রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের লক্ষ্যে দেশের জনগণের স্বার্থে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি।

কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে দলের যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রাশেদা বেগম হীরা, নেওয়াজ হালিমা আরলি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা ইকবাল হোসেন শ্যামল। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় লালমনিহাট জেলার পাঁচ উপজেলার দুই শতাধিক নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।

কর্মশালায় অংশ নেওয়া বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মনে করেন, তারেক রহমানের ৩১ দফার মধ্য দিয়েই বাংলাদেশে শান্তি ফিরে আসবে, সব সেক্টর দুর্নীতিমুক্ত হবে, দেশে থাকবে না একনায়কতন্ত্র শাসন ব্যবস্থা।

এর আগে কর্মশালার প্রথম অধিবেশনে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, তারেক রহমানের ৩১ দফার মধ্য দিয়েই বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটন হবে। একদলীয় শাসনের মাধ্যমে দেশের মানুষ আর জিম্মি থাকবে না। ৩১ দফার মাধ্যমেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে।

তিনি আরও বলেন, পাশ্ববর্তী দেশ ভারত বাংলাদেশের মানুষকে মানুষ মনে করেনি, তারা তাদের মনঃপুত একটি দলকে প্রাধান্য দিয়েছে। জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ দেখিয়ে দিয়েছে, তারা বাইরের প্রভুত্ব মানে না।


ডিসেম্বর ধরেই নির্বাচনের রোডম্যাপ চায় বিএনপি : নজরুল ইসলাম খান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

আগামী ডিসেম্বর ধরেই জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ চায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। এ সময়ে ভোট আয়োজনে বাঁধা দেখছে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

তিনি বলেছেন, ‘জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ও সরকারের চাওয়ার মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। সরকার তো বলেনি ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে না। তিনি বলেন, ‘এজন্য আমরা বলেছি, ডিসেম্বরের একটা তারিখ ধরে রোডম্যাপ ঘোষণা করা হোক।’

আজ সোমবার বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে লেবার পার্টির সঙ্গে লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নজরুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। এটাকে ধরে একটা রোড ম্যাপ ঘোষণা করা হোক। সরকার বলছে যে, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। তার মানে তারা তো বলেনি যে, ডিসেম্বর নির্বাচন হবে না। কিন্তু আমরা বলছি, ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে এরকম একটা তারিখ ধরে রোড ম্যাপ ঘোষণা করা হোক। পার্থক্য তো খুব বেশি না।’

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘সরকারের কথা অনুযায়ী নির্বাচন ডিসেম্বরে হতে পারে, জানুয়ারিতে হতে পারে, ফেব্রুয়ারিতেও হতে পারে। কাজেই আমাদের সঙ্গে সরকারের পার্থক্য তো বহু মাসের না। আমরা শুধু সরকারকে বলছি, এভাবে না বলে, এভাবে বলেন।’

চলতি বছরের মাঝামাঝি নির্বাচন কমিশন ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশন তাদের দ্বায়িত্ব পূর্ণ করতে যাচ্ছেন। তাহলে ডিসেম্বরে নির্বাচনে বাধা কোথায় প্রশ্ন রেখে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, যারা ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় না তাদেরই উত্তর দিতে হবে বছরের শেষে ভোটগ্রহণে অসুবিধা কোথায়?

বিএনপি ৩১ দফা থেকে সরে যাচ্ছে কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘এখানে সরাসরি কোনো ব্যাপার নেই। ৩১ দফা বিএনপির প্রস্তাব। সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব এসেছে এর প্রেক্ষিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের মতামত প্রদান করেছে। এটা নিয়ে এখনো কোনো ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠা হয়নি। আমরা বলেছি পর পর দু’বারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না। এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, সিদ্ধান্ত হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলাম তখন আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছিলেন, এর চেয়ে ভালো কোনো প্রস্তাব যদি কারো কাছে থাকে তাহলে সেটা আমরা বিবেচনা করবো। এ কারণে আমরা দেখবো এর চেয়ে ভালো প্রস্তাব যদি কেউ দেয় সেটা যদি অধিকতর যুক্তিসংগত হয় তবে গ্রহণ করার সঙ্গে ৩১ দফার থেকে বিচ্যুত হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।’

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দাবি করছে প্রশাসন বিএনপির হয়ে কাজ করছে, সেক্ষেত্রে তারা মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে, এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে পাল্টা প্রশ্ন রেখে নজরুল ইসলাম বলেন, যারা অভিযোগ করছেন তারা সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন, তারাই বিএনপির লোক বসিয়ে এসেছেন কিনা?

তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে তো প্রশাসন থেকে উৎখাত করা হয়েছে। কোথাও বিএনপির কোনো ছিল না। যারা বৈষম্যের শিকার ছিল, যাদেরকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদের ৭’শ অফিসারকে এখনো কোথাও পদায়ন করা হয়নি। তাহলে বিএনপির লোককে বসানো হলো কোথায়?’

বৈঠক শেষে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, জনগণ ও রাজনীতিবিদদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ড. ইউনূস ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দেবেন। লেবার পাটির পক্ষ থেকে বিএনপির কাছে জাতীয় কনভেনশন করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।


জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাননি মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা কিন্তু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এখনো কোনো নির্বাচিত সরকার বা পার্লামেন্ট পাইনি। সে জন্য আমাদের দৃঢ়তা এবং সচেতনতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। আমাদের সব সময় সজাগ থাকতে হবে। এ জন্য আমাদের সংগঠনকে আরও বেশি শক্তিশালী করতে হবে।

গতকাল রোববার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ‘শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল্লাহ আল নোমানের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকের এ সময়টা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আজকে কতগুলো নির্ধারিত বিষয়কে আমরা অনির্ধারিত করে ফেলেছি। নির্বাচন ও সংস্কারের বিষয়ে সব দলের উচিত হবে বিষয়গুলো নিয়ে ধৈর্যের সঙ্গে গ্রহণযোগ্য সমাধান করা। আমাদের আশা আমরা খুবই অল্প সময়ের মধ্যে একটি কাঙ্ক্ষিত আশা পূরণ করতে পারব।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আবদুল্লাহ আল নোমান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন এ পরিচয় আমি দিতে চাই না। তিনি এর থেকেও অনেক বড় মানের নেতা ছিলেন। এ মহান মানুষটির প্রতি আমি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। তিনি চলে গেছেন তবে আমাদের জন্য রেখে গেছেন তার কাজগুলো। এ কাজগুলো যদি আমরা অনুসরণ করি তাহলে অনেক উপকার হবে।

তিনি বলেন, আজকের এ সময় জাতির জন্য নোমান ভাইয়ের প্রয়োজনটা অনেক বেশি ছিল। এ ফ্যাসিবাদ পতনের পর জনগণকে সঠিক পথে নেওয়া সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর এ কাজটা নোমান ভাই সব থেকে ভালো পারতেন। তিনি সহজেই জনমতকে এক করে আন্দোলন গড়ে তুলতে পারতেন।

প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, দুঃখের বিষয় হচ্ছে আজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ত্যাগী শিক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়েছে। যারা এ হত্যাকাণ্ড করেছে তারা কখনো এ দেশের মঙ্গলের সঙ্গে থাকতে পারে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, জুলাই আগস্টের আন্দোলন বাদেও ১৫ বছরের যত আন্দোলনে শ্রমিকরা আত্মহুতি দিয়েছেন, তাদের তালিকা শ্রমিক দলের কাছে থাকা উচিত। আমি আশা করব আমাদের শ্রমিক নেতারা এ বিষয়টাকে গুরুত্ব দেবেন এবং এ তালিকা তৈরি করবেন।

সরকার পরিবর্তন হলে শ্রমিকদের নেতৃত্বও পরিবর্তন হয়ে যায় উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, যতই আন্দোলন করেন লাভ হবে না। শ্রমিকদের কথা শ্রমিকদেরই বলতে হবে। এজন্য শ্রমিকদেরই নিজেদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যাতে করে কোনো সুবিধাভোগী এসে যেন সুবিধা নিতে না পারেন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আজকে একটি পক্ষ বলছে আমাদের কোনো অবদান নেই, তাদের সব অবদান। তাই আজকে আমি বলতে চাই আসুন না আমরা সবাই একজোট হই, ঐক্যবদ্ধ হই। নিজেদের আরও দৃঢ়ভাবে তৈরি করি। যাতে করে তাদের সেই তাদের বোধ থেকে সরিয়ে দিতে পারি এবং আমাদের অধিকারকে যেন আমরা প্রতিষ্ঠিত করতে পারি। নোমান ভাইয়ের আত্মা সেদিনই শান্তি পাবে যেদিন তিনি ওপার থেকে দেখতে পারবেন এদেশে শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্র‍য়াত বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমানের ছেলে সাইদ আল নোমান দুর্জয় বলেন, আমার বাবা জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত কোনো শর্ত দিয়ে রাজনীতি করেননি। আমার বাবা মনে করতেন রাজনীতিতে নেওয়ার কিছু নেই, রাজনীতিতে দেওয়ার অনেক কিছু আছে। আমার বাবা দলকে কখনো বলেনি আমাকে কিছু না দিলে আমি কিছু করব না। আমার বাবা চট্টগ্রামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করে দিয়েছেন। এ কাজের মাধ্যমে তিনি আমাদের মাঝে সারাজীবন বেঁচে থাকবেন।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী এক পরিবার থেকে উঠে এসেছেন আবদুল্লাহ আল নোমান। তিনি তার রাজনীতি শুরু করেন শ্রমিক নেতা হওয়ার মাধ্যমে। ১৯৭৮ সালে তিনি যখন শ্রমিক দলের দায়িত্বে ছিলেন তখন তার সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় হয়। নোমান ভাইয়ের সঙ্গে আমি বহু বছর কাজ করেছি। দীর্ঘদিন তিনি সভাপতি ছিলেন আমি সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। তার সঙ্গে আমার কখনো কোনো দ্বন্দ্ব হয়নি।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, চট্টগ্রামের বিএনপির রাজনীতির ইতিহাসে নোমান ভাই ছিলেন নেতাদের নেতা। চট্টগ্রামের বহু নেতা নোমান ভাইয়ের অধীনে রাজনীতি করেছেন। এমনকি যেদিন তিনি মারা যাবেন সেদিনও তিনি চট্টগ্রামের এক জনসভায় যেতে চেয়েছিলেন। নোমান ভাইয়ের মতো আপাদমস্তক রাজনীতি করা লোক সহজে দেখা যায় না। আমরা যদি তার আদর্শ ধারণ করে চলতে পারি তাহলে তার রাজনীতি সার্থক হবে।


টানা দুবারের বেশি না পারলেও বিরতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ থাকার পক্ষে বিএনপি

* ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২১ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:৩৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
    * সংসদে নারী আসন ১০০-তে উন্নীত করার বিষয়ে একমত * সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের পরিবর্তনে সংশোধনে রাজি * নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ন্যূনতম বয়স ২১ করার প্রস্তাবে দ্বিমত * ‘একই ব্যক্তি সংসদ নেতা এবং পার্টিপ্রধান হবেন না’, সুপারিশে ভিন্নমত

কোনো ব্যক্তি দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না, সংস্কারপ্রক্রিয়ায় এ প্রস্তাবের পক্ষে একমত নয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটি মনে করছে, টানা দুবারের বেশি না পারলেও বিরতি দিয়ে কেউ আবার প্রধানমন্ত্রী হতে চাইলে, সে সুযোগ থাকতে হবে। এটা সংকুচিত করার কোনো যৌক্তিকতা নেই।

বিষয়টি নিয়ে বিএনপির এ অবস্থানের কথা জানান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল রোববার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের আলোচনার বিরতিতে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে বেলা ১১টায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় বারের মতো বৈঠক শুরু হয় বিএনপির।

আলোচনায় বিএনপির পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নিয়েছেন। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা হলেন, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাঈল জবিউল্লাহ, আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল ও সাবেক সচিব মনিরুজ্জামান খান।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিশনের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে এখনো আলোচনা হয়নি। তবে দলের অবস্থান স্পষ্ট। জনগণ যদি কোনো ব্যক্তিকে দুই মেয়াদের পর বিরতি দিয়ে আবার প্রধানমন্ত্রী করতে চায়, সেই সুযোগ সংকুচিত করা উচিত হবে না। আমরা বিষয়টি উন্মুক্ত রাখতে প্রস্তাব দিয়েছি।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, একই ব্যক্তি সরকার প্রধান ও দলীয় প্রধান হতে পারবে না- এমন চর্চা আমরা দেখি না। যুক্তরাজ্যেও আমরা দেখি, পার্টি প্রধানই সরকার প্রধান। এটি গণতান্ত্রিক চর্চা। যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রচলন হয় এবং নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রচলন করা যায়, তাহলে সেই ভোটে যারা ক্ষমতায় আসবে, মনে করতে হবে জনগণ তাদেরকে সেই ক্ষমতা দিয়েছে।

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে সংসদ সদস্যদের ক্ষেত্রে আমরা শুনেছি আস্থা বিল এবং অর্থ বিলের ক্ষেত্রে প্রায় সবাই একমত। রাষ্ট্র পরিচালনার সুবিধার্থে এবং সরকারের স্থায়ীত্ব নিশ্চিত করার স্বার্থে আমরা চারটা বিষয় এখানে উল্লেখ করেছি–অর্থ বিল, সংবিধান সংশোধনী বিল, আস্থা ভোট এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন– এই চারটা বিষয় বাদে সংসদ সদস্যরা স্বাধীনভাবে তাদের বক্তব্য এবং ভোট প্রদান করতে পারবে। তাতে তাদের সংসদ সদস্যপদ বিলুপ্ত হবে না।’

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংসদ সদস্যরা নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দিতে পারেন না। সেখানে বলা আছে, কোনো নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হিসেবে কোনো ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি যদি ওই দল থেকে পদত্যাগ করেন বা সংসদে ওই দলের বিপক্ষে ভোট দেন, তাহলে সংসদে তার আসন শূন্য হবে।

এই বিধানের কারণে খোদ সংসদেই গণতন্ত্র চর্চা ব্যহাত হচ্ছে বলে মত প্রকাশ করে আসছেন রাজনীতির বিশ্লেষকরা। সেজন্য ৭০ অনুচ্ছেদ পুরোপুরি বিলোপের দাবিও জানিয়ে আসছে বিভিন্ন সংঠন। নির্বাচনে প্রার্থিতার বয়স নূন্যতম ২১ বছর করার প্রস্তাবনায় বিএনপির দ্বিমত প্রকাশ করেছে জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কিছু কিছু সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য পদে বিরোধী দলের সদস্যদের মধ্য থেকে চেয়ারম্যান নিয়োগ করা যায়, সবগুলোতে নয়। এক ব্যক্তি দল এবং সরকার প্রধান না হওয়ার প্রস্তাবনায় আপত্তি রয়েছে। এটি দলের স্বাধীনতা। গণতান্ত্রিক চর্চার জন্য অপশন থাকা উচিত।’

ধর্মনিরপেক্ষতা ও বহুত্ববাদের বিপক্ষে অবস্থান জানিয়ে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘আমরা এটার বিপক্ষে মতামত দিয়েছি। বিএনপি সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর আগের অবস্থায় ফিরে যেতে চায়। তবে কমিশন তাদের প্রস্তাবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে থাকা সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের কথা যুক্ত করতে বলেছেন। বিএনপি সেখানে একমত হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সংসদে নারী আসন ৫০ থেকে ১০০-তে উন্নীত করার বিষয়ে বিএনপি একমত। কিন্তু এখন যেমন আছে, সেটা আগামী সংসদ পর্যন্ত বহাল থাকতে হবে। আগামী সংসদ গঠিত হওয়ার পর তাদের (নারীদের) কোন পদ্ধতিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।

জনগণের মৌলিক অধিকার হিসেবে ইন্টারনেট প্রাপ্তির বিষয়ে বিএনপি একমত জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হয় রাষ্ট্রকে। মৌলিক অধিকার বাড়ানোর ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অবস্থার বিষয়টিও দেখতে হবে। তাই আমরা বলেছি, সংবিধানে অনেকগুলো বিষয় যুক্ত না করে, যা রাষ্ট্রের বাস্তবায়নের সক্ষমতা রয়েছে তাই করতে। সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার জনগণের মাধ্যমে নির্বাচিত নয়, তারপরও নির্বাচন আয়োজনের সময় তারা প্রয়োজনের খাতিরেই ৯০ দিনের জন্য অনির্বাচিত সরকারের হাতে দায়িত্ব দিতে চান।

‘দিস ইজ ডকট্রিন অব নেসেসিটি। আমাদের পলিটিক্যাল হিস্ট্রিতে ও কালচারে দেখা গেছে উইথআউট কেয়ারটেকার গভার্নমেন্ট আমরা কোনো ইলেকশনই অবাধ, নিরপেক্ষ সুষ্ঠু করতে পারি না।’ ‘যতদিন পর্যন্ত আমরা সেই কালচারে উন্নীত হতে না পারব, ততদিন পর্যন্ত আমাদের নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য কেয়ারটেকারের বিধানটা রাখা উচিত। এই ভোটের জন্য আমরা ১৫ বছর আন্দোলনও করেছি,’ যোগ করেন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।

সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা বলেছি যে, রাষ্ট্রপতিকে কী কী বিষয়ে ক্ষমতায়িত করে আইন প্রণয়ন করা যায় সেসব কিছু বিষয়ে এবং নিয়োগের কিছু বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। সেগুলো নতুন আইন প্রণয়ন করে সংসদ প্রণীত করা যাবে। সেক্ষেত্রে চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স এবং রাষ্ট্রপতির আরো ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা হবে।’

তবে ‘ন্যাশনাল কন্টিস্টিটিউশন কাউন্সিল’ গঠনের প্রস্তাবে বিএনপি একমত নয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা একটা নতুন ধারণা বাংলাদেশের পলিটিক্যাল কালচারে বা সংসদীয় কালচারে, যেখানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, উভয় কক্ষের স্পিকার এবং প্রধান বিচারপতিসহ আরও কয়েকজনের কথা বলা আছে। এই বডিটার হাতে রাষ্ট্রের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগের ক্ষমতা–যেমন সব কমিশন, তিন বাহিনী প্রধান থেকে শুরু করে পিএসসি, দুদকসহ আরও যেসব সাংবিধানিক পদ আছে… এগুলো আমরা একমত নই।’

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা মনে করি, তাতে রাষ্ট্রের এক্সিকিউটিভ ফাংশনটাকে এত বেশি লিমিট করা হবে যে এক্সিকিউটিভ বা প্রধানমন্ত্রী যে নামেই ডাকি, তাদের রাষ্ট্র পরিচালনা দায় হয়ে যাবে। অথচ দায়িত্বটা থাকবে নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে জনগনের কাছে এবং সংসদে কাছে, অথচ তার কাছে তেমন কোনো পাওয়ার দেওয়া থাকল না।’

বিএনপি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর রাখা পক্ষেই মত দিয়েছে বলে জানান তিনি। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা কমিশনকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করতে চাই। সংস্কার নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে আমরা কাছাকাছি এসেছি। কিছু বিষয়ে তাদের সঙ্গে দ্বিমত জানিয়েছি। গণতন্ত্রে মত-দ্বিমত থাকাই স্বাভাবিক। কারণ আমরা বাকশালে বিশ্বাস করি না।


ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় বিএনপি

রবিবার সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে বসেছে বিএনপি প্রতিনিধি দল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
unb

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের সংলাপে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। রবিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে এই সংলাপ শুরু হয়।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেওয়া রাষ্ট্রীয় সংস্কার উদ্যোগের বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করছে কমিশন।

কমিশনের সঙ্গে আজকের সংলাপে অংশ নিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বিএনপি প্রতিনিধি দল।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে আলোচনা চলছে।

সংলাপে অংশ নেওয়া প্রতিনিধি দলে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, সাবেক সচিব আবু মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এবং সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিট থেকে বিকাল পৌনে ৫টা পর্যন্ত কমিশনের সঙ্গে সংলাপ করে বিএনপি। তবে এই সময়ের মধ্যে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিও ছিল।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাবগুলোতে একটি অংশীদারিত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরির লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ২০ মার্চ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে।

এখন পর্যন্ত, কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়েছেন ১৩টি রাজনৈতিক দল।

চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিশনকে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের উপর একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় অবস্থান তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক পর্যায়ে এটি পাঁচটি সংস্কার কমিশনের মূল সুপারিশগুলো প্রস্তুত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে সাংবিধানিক, জনপ্রশাসন, নির্বাচনী, বিচার বিভাগীয় এবং দুর্নীতিবিরোধী সংস্কারগুলো। মূল সুপারিশগুলোর ওপর মতামত চেয়ে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে এর স্প্রেডশিট পাঠানো হয়েছে।

এখন পর্যন্ত ৩৪টি দল তাদের মতামত জানিয়েছে।

কমিশন মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তার প্রথম দফার আলোচনা সম্পন্ন করবে। একই মাসের মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে দ্বিতীয় দফার আলোচনা শুরু করার কথা এবং জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে একটি জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।


banner close