বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
২ শ্রাবণ ১৪৩২

নির্বাচনে বাধাদানকারীদের তালিকা মার্কিন সরকারকে দেবে আ. লীগ: সালমান এফ রহমান

আপডেটেড
১১ জুলাই, ২০২৩ ২২:২৮
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ১১ জুলাই, ২০২৩ ২২:২৫

যারা নির্বাচন হতে দেবে না, আওয়ামী লীগ তাদের তালিকা মার্কিন সরকারের কাছে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, নির্বাচন বানচালের শক্তি বিএনপির নেই। নির্বাচনে বাধা দিলে বিএনপির বিরুদ্ধেই মার্কিন ভিসানীতি কার্যকর হবে।

মঙ্গলবার রাজধানীতে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি গোপনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে উল্লেখ করে সালমান এফ রহমান বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় সরকার। সেই নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে হবে।

দলীয় কোন্দল মিটিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, সারা দেশে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে হবে। উন্নয়নের বুকলেট তৈরি করে জনগণের কাছে যেতে হবে নেতা-কর্মীদের।

রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন গুজবের আশ্রয় নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাকে আমেরিকা ভিসা দেয়নি বা দুবাই থেকে ফেরত দিয়েছে- এটা মিথ্যা কথা। আমি দুবাই যাইনি, আমেরিকা তো দূরের কথা।’

বিষয়:

মিটফোর্ডে হত্যাকান্ডে তদন্ত কমিটি গঠন বিএনপির

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় এক ভাঙারি ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বিএনপি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, এই ঘটনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

দলের সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক সুবিধা নিতে ব্যবহার করার সন্দেহ রয়েছে এবং কিছু মহলের উসকানিতে জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার জন্য এই ধরনের ঘটনা দৃষ্টান্ত হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।’

সোমবার (১৪ জুলাই) বিএনপি চেয়ারম্যানের গুলশান অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডকে দেশের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি এবং দুষ্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে বিশ্বাসের যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

ফখরুল বলেন, ‘এই নির্মম হত্যার পেছনের সত্য উদঘাটন করতে আমরা একটি উপযুক্ত সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত ও তথ্য সংগ্রহ কমিটি গঠন করেছি, যারা প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করবে এবং তা জনসমক্ষে নিয়ে আসবে।’

তিনি বলেন, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এই দুঃখজনক ও অপ্রত্যাশিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে, বিশেষ করে একটি ষড়যন্ত্রমূলক প্রচারণার অংশ হিসেবে দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল ও তার শীর্ষ নেতা তারেক রহমানকে খলনায়ক হিসেবে তুলে ধরার জন্য মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে, যার বিরুদ্ধে দল কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

ফখরুল বলেন, দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি এরইমধ্যে ঢাকা মিটফোর্ড এলাকার লাল চাঁদ সোহাগ নামে একজন ভাঙারি ব্যবসায়ীর নির্মম হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

তিনি বলেন, সরাসরি কোনো প্রমাণ না থাকলেও পুলিশের অভিযোগে নাম উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা অনুযায়ী সর্বোচ্চ সাংগঠনিক পদক্ষেপ—আজীবন বহিষ্কার—গ্রহণ করেছে দল।

বিএনপি নেতা জানান, নিহতের পরিবার ইতোমধ্যে মামলার বিবৃতিতে অসঙ্গতি থাকার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

তিনি বলেন, পরিবারের বক্তব্য অনুযায়ী, আসল দোষীদের জায়গায় রিপোর্টে তিন জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই। দুঃখজনকভাবে, নির্মম হত্যায় সরাসরি যুক্ত প্রকৃত অপরাধীরা এখনও চিহ্নিত বা গ্রেফতার হয়নি এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের নাম বা পরিচয় প্রকাশ করতে পারেনি।


জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করতে সুনির্দিষ্ট চক্রান্ত হচ্ছে: মির্জা ফখরুল 

তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে সরাতে একদল দুষ্টচক্র অপপ্রচারে লিপ্ত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে লেখা একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার বিকেলে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করতে সুনির্দিষ্ট চক্রান্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এখন যে অপপ্রচার চলছে, তার পেছনে একেবারে সুনির্দিষ্ট চক্রান্ত রয়েছে। সেই চক্রান্ত হচ্ছে বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করে দেওয়া। সেই চক্রান্ত হচ্ছে যে নেতা (তারেক রহমান), যিনি উঠে আসছেন, যার একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, তাকে নিশ্চিহ্ন করা। তাকে খারাপ জায়গায় ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করা।

আজ রোববার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে লেখা একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির বিরুদ্ধে সাইবার আক্রমণ হয়েছে, এমন অভিযোগ করে অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সাইবার অ্যাটাক হয়েছে আমাদের ওপরে চতুর্দিক থেকে।...পরিকল্পিতভাবে বিএনপিকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য, বিএনপিকে উড়িয়ে দেওয়ার জন্য। এবং সবচেয়ে মারাত্মক যেটা, ফর দ্য ফার্স্ট টাইম (প্রথমবারের মতো) এবার আমাদের নেতা তারেক সাহেবের ওপরে আক্রমণ হয়েছে। আপনারা লক্ষ্য করেছেন নিশ্চয়ই তার নাম ধরে, তার কথা বলে, তাকে বিভিন্নভাবে মেলাইন করে, তার সম্পর্কে কথা বলেছে, যেটা খুব অ্যালার্মিং (বিপজ্জনক)।’

গণমাধ্যমের চিত্র পরিবর্তন হচ্ছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল দলের নেতা–কর্মীদের ‘সাইবার যুদ্ধের’ জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এখন কিন্তু মিডিয়া পাল্টে যাচ্ছে। এখন খবরের কাগজ, ইলেকট্রনিক মিডিয়া—এটাই শুধু প্রভাবিত করছে না। সোশ্যাল মিডিয়া (সামাজিক মাধ্যম) প্রচণ্ডভাবে প্রভাবিত করছে মানুষকে।

অপপ্রচারের জবাব দিতে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে তরুণদের প্রবলভাবে আসা দরকার। যে অপপ্রচার চলছে, তার উত্তর সঙ্গে সঙ্গে দিতে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপিকে এত সহজে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। বিএনপি প্রতিবাদ করেছে। প্রমাণ করেছে যে বিএনপি ধ্বংসস্তূপ থেকে জেগে উঠতে জানে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্পর্কে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) জেলে যাওয়ার পর থেকে ওনার (তারেক রহমান) সঙ্গে সরাসরি কাজ করছি। আমি দেখেছি যে তার অসাধারণ একটা সাংগঠনিক দক্ষতা আছে। এটা খুব কম রাজনীতিবিদের মধ্যে আছে। অতি অল্প সময়ের মধ্যে তিনি বিশাল অংশকে সংগঠিত করে ফেলতে পারেন। এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যে তিনি বাংলাদেশের গ্রামে পৌঁছে গেছেন।’

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মো. ইসমাইল জবিউল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, বিএনপির গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেন্টাল অনুষদের ডিন সাখাওয়াৎ হোসেন সায়ন্থ।

অনুষ্ঠানে ‘তারেক রহমান: দ্য হোপ অব বাংলাদেশ’ নামে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বিএনপির পক্ষে বইটি প্রকাশ করেছে ‘জেড ম্যান প্রোডাকশন’। এই বইয়ের সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান, নির্বাহী সম্পাদক আব্দুর রহমান নূর, সহসম্পাদক রেজওয়ানুল হক, উপসম্পাদক মেহেদী আরজান। বইটি ৩২৩ পৃষ্ঠার। এ বইয়ের ১১টি অধ্যায়ে তারেক রহমানের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন; রাজনীতিতে অভিযাত্রার সূচনালগ্ন; বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ; বিএনপিকে তৃণমূল পর্যায় থেকে চাঙা করার উদ্যোগ; ষড়যন্ত্রমূলক গ্রেপ্তার ও পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ; ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে তারেক রহমানের দায়িত্ব গ্রহণ; দেশ গঠনের রূপরেখা প্রণয়নে তার ভূমিকাসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।


দীর্ঘ ১৭ বছরে আওয়ামী লীগ বাকশাল ২ কায়েম করেছিল: ড. আব্দুল মঈন খান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আমিনুল ইসলাম বনি রাজশাহী

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, বিএনপি হচ্ছে জনগণের দল। দীর্ঘ ১৭ বছরে আওয়ামী লীগ বাকশাল ২ কায়েম করেছিল । বিএনপি জনগণের শক্তি, ভোট ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। এই দল তিনটি বিষয়ে বেশি বিশ্বাস করে। এক হচ্ছে সততা, আইনশৃঙ্খলার প্রতি বিশ্বাস ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের উৎপাদনমুখী রাজনীতি। তিনি আরও বলেন, বিএনপি জনগণের দল বলে দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্যাতনেও পিছুপা হয়নি। হাজার হাজার ও লাখ লাখ নেতা-কর্মী আসামি হয়ে দলের প্রতি আনুগত্য বজায় রেখেছে। দীর্ঘ ১৬ বছরে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের বিতারিত করতে তারুণ্যের অহঙ্কার তারেক রহমান দিকনির্দেশন দিয়ে এসেছেন। এরই ফলে হচ্ছে জুলাই-আগস্ট। ছাত্র-জনতা একসঙ্গে রাস্তার নেমে স্বৈরাচার হাসিনাকে বিদায় করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমরা অনেক রাজনীতিক দল বাংলাদেশে দেখেছি। পথভ্রষ্ট রাজনৈতিক দল দেখেছি। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সেই পথভ্রষ্ট রাজনীতিক দল। আওয়ামী লীগের যে পরিণতি হয়েছে, তাদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে। আগামীতে এরকম পরিস্থিত যেন কোনো দলের না হয় সেদিকে নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি। শনিবার (১২ জুলাই) দুপুর ১২টায় রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী ভবন মোহন পার্কে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচি উপলক্ষে ফরম বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এই সরকারে যারা এসেছে, জনগণ যাদের এই গুরুদায়িত্ব দিয়েছে। এদেশে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করে সারা বাংলাদেশকে পূর্ণরায় গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে আনার জন্য। আমরা জানি এখানে সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। দেশে ন্যায় বিচারের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই- সংস্কার এবং বিচার দুইটাই কিন্তু একটি চলমান প্রক্রীয়া। এটা এই রকম নয়, আমরা আজকে সংস্কার করে দিলাম, সব সংস্কার শেষ হয়ে গেল। আমরা সুবিচার করে দিলাম, সব সুবিচার আজকে শেষ হয়ে গেল। সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়া এরকম নয়। এটা হচ্ছে চলমান প্রধান অতিথি আরও বলেন, বিগত স্বৈরাচারী সরকার বলত আগে উন্নয়ন, পরে গণতন্ত্র। মনে আছে আপনারাদের? এটা ছিল ভুয়া কথা। আজকে কারও মুখে আমরা এটা শুনতে চাই না- আগে সংস্কার হবে, আগে বিচার হবে, পরে গণতন্ত্র হবে, পরে নির্বাচন হবে। এই কথা আজকে আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মুখে শুনতে চাই না। তিনি বলেন, এখন সময় হচ্ছে- আমরা শৃঙ্খলভাবে একটি পরিবেশ পরিস্থিতি বাংলাদেশে সৃষ্টি করব। যেখানে সুষ্টু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। আমরা ১৬ বছর ধৈর্য রেখেছি। আমরা আগামি কয়েক মাস ধৈর্য রাখব। আমরা নিয়মের বাইরে যাব না। আমরা শৃঙ্খলার বাইরে যাব না। আমরা কারও উপরে জোর করে কোনো কিছু চাপিয়ে দেব না। কেন না সেটা গণতন্ত্র নয়, সেটা স্বৈরাচার। স্বৈরাচারের রাজনীতিতে বিএনপি বিশ্বাস করে না। বিএনপি বিশ্বাস করে আইনের শাসনে। আমরা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করি। আমরা মানুষের ভোটে বিশ্বাস করি। আমরা মানুষের গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। যে যতই স্বড়যন্ত্র করুক, বাংলাদেশের মানুষের উপরে আমাদের আস্থা আছে। আগামি নির্বাচনে জনগণ তাদের প্রতিনিধিত্ব করার আমাদের সুযোগ দেবে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি একটি ভিন্নধর্মী রাজনীতিক দল। আমরা অনেক রাজনৈতিক দল বাংলাদেশে দেখেছি। পথভ্রষ্ট রাজনৈতিক দল দেখেছি। আওয়ামী লীগ হচ্ছে পথভ্রষ্ট রাজনীতিক দল। এই যে আওয়ামী লীগের যে পরিণতি হয়েছে, দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে। আজকে দীর্ঘ ১১ মাস অতিবাহিত হয়েছে। এই ১১ মাসের মধ্যে একজন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী কাউকে দেখাতে পারবেন যে সৎসাহস নিয়ে বলতে পেড়েছে- যে আমরা বাংলাদেশের মানুষের প্রতি অন্যায় করেছি। আমরা ক্ষমা চাই। কেউ বলে নাই।

তিনি বলেন, আজকে সেই রাজনৈতিক দলকে বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যাক্ষাণ করেছে। আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে, আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে। বিএনপি যেন কোনো দিন আওয়ামী লীগের মতো এই ধরনের আচারণ না করে। আমরা মানুষের সেবা করার জন্য রাজনীতিতে এসেছি। আমরা রাজনীতিকে আওয়ামী লীগের মতো ব্যবসা হিসেবে নেয় নাই। আমরা মানুষের সেবা করব। আমরা সেই সেবার উদ্দেশ্যে নিয়ে রাজনীতিতে এসেছি। আপনারা মানুষের সেবা করবেন। মানুষে আপনাদের প্রতিদান দেবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। বক্তব্যে পূর্বে নেতা-কর্মীদের হাতে সদস্য ফরম তুলে দিয়ে এর শুভ উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট বীরমুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলী ঈশার সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত। বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা। রাজশাহী মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুন-অর-রশিদ সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আসলাম সরকার, শফিকুল ইসলাম শাফিক, জয়নুল আবেদন শিবলী, চন্দ্রিমা থানার থানা বিএনপির সভাপতি ফাহিজুল হক ফাহি, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম জনি, বোয়ালিায়া থানা (পশ্চিম) বিএনপির সভাপতি শামসুজ্জামান মিলু সাধারণ সম্পাদক বজলুজ্জামান মহন, বোয়ালিয়া (পূর্ব) বিএনপির সভাপতি আশরাফুল ইসলাম নিপু, সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন ও কাশিয়াডাঙ্গা থানা বিএনপির সদস্য সচিব মজিউল আহসান হিমেল।

আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম জনি, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান জনি, মহানগর কৃষক দলের আহ্বায়ক শরফুজ্জাামান শামীম, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট রওশন আরা পপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গুলসান আরা মমতা, রোজিনা, রিতা, ক্রীড়া সম্পদিক বিথি, সহক্রীড়া সম্পাদক লাভলীসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।


ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে বোরহানউদ্দিনে বিএনপির বিক্ষোভ

আপডেটেড ১২ জুলাই, ২০২৫ ২১:০১
ইউসুফ হোসেন অনিক, ভোলা

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল) সামনে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) হত্যার প্রতিবাদ ও হত্যাকারীদের ফাসির দাবিতে বোরহানউদ্দিনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বোরহানউদ্দিন উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতাকর্মীরা।

শনিবার ( ১২ জুলাই ) সন্ধ্যায় উপজেলা সড়কের বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উত্তর বাসষ্টান্ডে গিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে শেষ হয়।

এসময় উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতাকর্মীরা বিচার বিচার বিচার চাই, সোহাগ হত্যার বিচার চাই। আমার ভাই কবরে, খুনি কেনো বাহিরে। রশি লাগলে রশি নে, খুনীরে ফাসি দে সহ নানা স্লোগান দিতে থাকে।

ব্যাবসায়ী সোহাগ হত্যায় দ্রুত বিচার চেয়ে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জসিমউদ্দিন খাঁনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক সরোয়ার আলম খাঁন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী মো: আজম, যুগ্ন আহ্বায়ক মঞ্জুরুল আলম ফিরোজ কাজী, যুগ্ন আহ্বায়ক শহীদুল আলম নাসিম কাজী, পৌর বিএনপির সি: সহ সভাপতি বশির আহমেদ, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক ফাইজুল ইসলাম, উপজেলা যুবদল আহ্বায়ক শিহাব হাওলাদার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আতিফ আসলাম রুবেল, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি দানিশ চৌধুরী, পৌর ছাত্রদল সভাপতি রায়হান আহমেদ শাকিল প্রমুখ।

তারা বলেন, “৯ জুলাই মিটফোর্ড হাসাপাতালে সামনে যেভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে, আমরা বোরহানউদ্দিন উপজেলা ও পৌর বিএনপির সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা চাই, অনতিবিলম্বে সোহাগ হত্যাকাণ্ডের জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। সেই সাথে সম্প্রতি চাদপুরে মসজিদের ভিতরে এক ইমামের উপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তারা আরো বলেন, তারেক রহমান ও বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করতে একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে। বিএনপি শহীদ জিয়াউর রহমানের গড়া দল, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া তারেক রহমান সহ আমরা এই দলের জন্য অনেক শ্রম দিয়েছি আওয়ামীলীগের হামলা মামলার স্বীকার হয়ে রাজপথে টিকে ছিলাম। এসময় বক্তারা জামায়াত ও এনসিপির নানা সমালোচনা করে বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মেধাবী ছাত্র আবরার কে যখন হত্যা করা হয়েছে তখন কোথায় ছিলো আপনাদের প্রতিবাদ কই তখন তো আপনাদের প্রতিবাদ করতে দেখিনি। বিএনপি শহীদ জিয়াউর রহমানের গড়া দল এই দলে কোনো চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীর ঠাই নেই আমাদের নেতা খালেদা জিয়া তারেক রহমান সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পছন্দ করেনা আমরাও করিনা। যখনই নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষনা হবে ঠিক তখনই বিএনপিকে নতুন মিডিয়া ট্রায়ালে ফেলতে একটি মহল কাজ করে যাচ্ছে তাই আমাদের নেতাকর্মীদের আরো সজাগ থাকার আহ্বান জানান'।


জনগণের পক্ষে বাংলাদেশপন্থী রাজনীতি গড়ে তুলুন: নাহিদ ইসলাম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বাংলাদেশপন্থী রাজনীতি গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জনগণের পক্ষে বাংলাদেশপন্থী রাজনীতি গড়ে তুলুন।

বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলার পথসভায় নাহিদ এমন মন্তব্য করেন।

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও উন্নয়নের পক্ষে দাঁড়ান। দেশ গঠনে সংস্কারের পক্ষে দাঁড়াতে হবে।’

মুজিববাদী ফ্যাসিস্ট দল বাংলাদেশে আসতে হলে আমাদের জীবনের ওপর দিয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, বিচার সংস্কার ও নতুন সংবিধানের দাবিতে আপনারা আমাদের পাশে দাঁড়ালে হতাশ হবেন না। নাগরিক পার্টি আপনাদের ইনসাফভিত্তিক রাজনীতি উপহার দেবে।

বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধানের দাবিতে দেশব্যাপী ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করছে গণঅভ্যুত্থান থেকে গড়ে উঠা এই নতুন রাজনৈতিক দল। পদযাত্রাটি গত ১ জুলাই থেকে শুরু হয়ে ২৯ জুলাই পর্যন্ত চলবে।

নাহিদ বলেন, ভারত সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থনে শেখ হাসিনা সরকার এদেশের মানুষদের গুম, খুন করেছে। বাংলাদেশের সীমান্ত, মাটি, মানুষ ও মানচিত্রকে রক্ষা করা ছাত্র-তরুণদের দায়িত্ব। সেই দায়িত্বের ভিত্তিতে জাতীয় নাগরিক পার্টি কাজ করবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সকল হত্যাকাণ্ডের জন্য খুনি হাসিনা ও তার দল দায়ী। ভারত সরকার এই সন্ত্রাসী, খুনি বাহিনীকে নিজ দেশে আশ্রয় দিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতীয় আধিপত্যের দ্বারা বাংলাদেশের মানুষদের মানবিক মর্যাদা, সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন হয়েছে, তাদের দাসত্বের জীবনযাপন করতে হয়েছিল। ভারত আমাদের পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করছে। রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিকভাবে বারবার আমাদের অবনমন করা হয়েছে।

ভারতের সাথে সমতার ভিত্তিতে সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ভারত যদি বাংলাদেশের সাথে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক চায় তবে সেই সম্পর্ক হবে সমতা, ন্যায্যতা ও মর্যাদার ভিত্তিতে।


জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাশেদুর রহমান রাশু, বেনাপোল

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যশোর ১ শার্শা আসনে বাড়তে শুরু করেছে রাজনৈতিক উত্তাপ। দীর্ঘদিন পর ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশায় ভোটারদের মধ্যে দেখা দিয়েছে উৎসাহ ও আগ্রহ। এ আসনে বিএনপির চার জন মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা প্রতিটি ইউনিয়ন, পৌরসভা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে সমাবেশ মিছিল মিটিংসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে নির্বাচনী মাঠ বিএনপির দখলে আছে। এ আসনে বিএনপির একাধীক প্রার্থী থাকলেও সবাই এক কাতারে থেকে দলীয় প্রোগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। দলীয় স্বার্থে এবারের নির্বাচনে বিএনপিকে বিজয়ী করতে সবাই তারা প্রতিদিন শার্শার কোনো না কোনো ওয়ার্ড বা ইউনিয়নে নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন একই সঙ্গে। এদিকে জামায়াত ইসলামীর প্রকাশ্যে কোনো মিছিল মিটিং করতে দেখা না গেলেও বিভিন্ন এলাকার মাদ্রাসায় ঘরোয়াভাবে বৈঠক করতে দেখা যাচ্ছে। আর ঘর গোছাতে ফরম পূরণ করে বাড়াচ্ছেন সদস্য। এবারের নির্বাচনে যশোরের এ আসনে জামায়াত ইসলামীকে বিজয়ী করতে কাজ করছেন নেতাকর্মীরা।

যশোরের-১ শার্শা আসনের ১১টি ইউনিয়নে মোট ভোট কেন্দ্র ১০২টি। এ আসনে বর্তমানে ভোটার সংখ্যা ২৯৯২৮০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৫০৪৪০ জন এবং নারী ভোটার সংখ্যা ১৪৮৮৮৩ জন।

বিএনপির পক্ষে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে মাঠে রয়েছেন দলের সাবেক কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মফিকুল হাসান তৃপ্তি। দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ মফিকুল হাসান তৃপ্তি গত ১৭ বছরে নানাভাবে মামলা হামলার শিকার হওয়া ছাড়াও জেল খেটেছেন কয়েকবার। বিগত সরকারের আমলে প্রশাসন দ্বারা নানাভাবে হয়রানির স্বীকার হলেও দল ছেড়ে যাননি তিনি। মফিকুল হাসান তৃপ্তি এবারও বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী। এ লক্ষ্যে শার্শার প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের নিয়ে মিছিল মিটিং ও পথ সভা করে যাচ্ছেন।

শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দল প্রিয় ও সুপরিচিত আলহাজ নুরুজ্জামান লিটন নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। তিনি এবার যশোর ১ শার্শা আসন থেকে এনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনিও গত সরকারের আমলে নানাভাবে মামলা হামলার স্বীকার হয়েছেন। তারপরও দল থেকে বিচ্যুত হননি। বিগত সরকারের আমলে নেতা কর্মীদের আগলে রেখেছেন তিনি। পাশে থেকেছেন সবসময়। এবারের নির্বাচনে বেনাপোলসহ শার্শাবাসীর দাবি নুরুজ্জামান লিটনই হবে বিএনপির প্রার্থী। এদিকে, বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক শার্শা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও বর্তমানে উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা আলহাজ খাইরুজ্জামান মধু। ওয়ান ইলেভেনের সময় সেনাবাহিনীর হাতে নির্যাতনের স্বীকার হওয়া ত্যাগী নেতা খাইরুজ্জামান মধুর বিগত ১৭ বছর জেলখানায়ই ছিল বাড়ি। তিনি বিএনপির মনোনয়ন পেতে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের কাছে ছুটে বেড়াচ্ছেন।

অন্যদিকে, নির্বাচনী মাঠে পিছিয়ে নেই শার্শা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক্ ও বর্তমানের সভাপতি আবুল হাসান জহির। তিনি শার্শা আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী।

বিগত সরকারের আমলে জেলখাটাসহ নানা হযরানির স্বীকার হওয়া ছাড়াও আবুল হাসান জহিরের বিরুদ্ধে হয়েছে অগণিত মামলা।

তবে এ আসনে এবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী থাকায় ফুরফুরে মেজাজে নেতাকর্মীরা। জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য মাওলানা আজীজুর রহমান দলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে যাচ্ছেন। নেতাকর্মীরা প্রতিদিন সকালে দল বেধে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ফরম পূরণ করে সদস্য সংগ্রহ করছেন।

এ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা প্রতিদিন মিছিল ও জনসমাবেশ করে তাদের নির্বচনী মাঠ গরম করছেন। তবে যশোর ১ শার্শা আসনে বিএনপি ও জামায়াত ইসলামী ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের কাউকে দেখা যাচ্ছে না।

বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা বলছেন আমাদেন রাজনৈতিক দলের প্রধান যেভাবে আমাদের নির্দেশ দেবেন আমরা সেভাবেই কাজ করব।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকেই দলীয় ব্যানারে নির্বাচন করার টিকিট দেবেন। আমাদের মধ্যে দলীয় কোনো কোন্দল নেই। দল যাকে মনোনয়ন দেবেন আমরা সবাই তার পক্ষেই নির্বাচনী কাজ করব।


তরুণ ভোটারদের পছন্দের শীর্ষে বিএনপি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) এবং অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, আগামী নির্বাচনে তরুণদের চোখে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

জরিপে অংশ নেওয়া তরুণরা জানিয়েছেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি সবচেয়ে বেশি ভোট পাবে।

সানেম-অ্যাকশনএইড পরিচালিত ‘যুব জরিপ-২০২৫’ শীর্ষক এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীদের অংশগ্রহণে সারা দেশের আট বিভাগের ২ হাজারের বেশি পরিবারের ওপরে এ জরিপ চালানো হয়েছে।

জরিপের তথ্যানুযায়ী, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি আনুমানিক ৩৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ ভোট পাবে। বিএনপির পড়েই আছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ ভোট পাবে বলে মনে করছেন তরুণরা।

অন্যান্য ইসলামপন্থি দল, এনসিপি ও জাতীয় পার্টির অবস্থান আরও নিচে। এছাড়াও, যদি আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারত, তবে ১৫ শতাংশ ভোট পেত বলে মনে করেছেন জরিপে অংশ নেওয়া তরুণরা। বিএনপির প্রতি পুরুষ ভোটারদের সমর্থন নারীদের তুলনায় একটু বেশি। জামায়াতের ক্ষেত্রেও পুরুষ সমর্থন বেশি নারীর তুলনায়। অন্যদিকে, এনসিপির প্রতি নারীদের সমর্থন পুরুষদের চেয়ে বেশি, এবং শহরাঞ্চলে এই দলের জনপ্রিয়তা গ্রামাঞ্চলের তুলনায় বেশি।

উল্লেখ্য, জরিপের ফল গত রোববার প্রকাশ করেছে সানেম, যা তরুণদের রাজনৈতিক ঝোঁক ও আগ্রহের একটি সময়োপযোগী প্রতিফলন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

দেশের তরুণদের মধ্যে ৯৩ দশমিক ৯৬ শতাংশই আশাবাদী আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। তবে ৬ দশমিক ০৪ শতাংশ ইতোমধ্যেই নির্বাচন প্রক্রিয়ার ওপর আস্থা হারিয়েছেন। আগামী নির্বাচনে ভোট দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ৭৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ তরুণ, অন্যদিকে ৪ দশমিক ১৪ শতাংশ তরুণ ভোট দিতে অনাগ্রহী বলে জরিপে উঠে এসেছে।

জুলাই আন্দোলনের পরবর্তী রাজনীতি ও সংস্কার নিয়ে তরুণদের দৃষ্টিভঙ্গি জরিপে উঠে এসেছে। রাজনৈতিক সচেতনতার দিক থেকে মাত্র ২৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ তরুণ নিয়মিত দেশের রাজনীতির হালচাল অনুসরণ করেন, ৩৯ দশমিক ০৯ শতাংশ মাঝে মাঝে করেন, আর ৩৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ এ ব্যাপারে একেবারেই আগ্রহী না।

নারীদের মধ্যে ২৪ দশমিক ২৭ শতাংশ জাতীয় রাজনীতিতে আগ্রহী না, যেখানে পুরুষদের মধ্যে এ হার ১৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ। ঘনিষ্ঠভাবে রাজনীতি অনুসরণকারী তরুণের হারও খুব কম—পুরুষদের মধ্যে ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ ও নারীদের মধ্যে মাত্র ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ। আঞ্চলিক রাজনীতির ক্ষেত্রেও একই চিত্র—পুরুষদের মধ্যে ১২ দশমিক ৩৮ শতাংশ ও নারীদের মধ্যে ১৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ।

জরিপে রাজনৈতিক দলের কার্যকারিতা নিয়ে তরুণদের মধ্যে আস্থার ঘাটতি স্পষ্ট। মাত্র ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ মনে করে, রাজনৈতিক দলগুলোর এজেন্ডায় দেশের প্রকৃত সমস্যার প্রতিফলন ঘটে, যেখানে ৪৯ দশমিক ৪২ শতাংশ একেবারেই এ বিষয়ে একমত না। দেশের ৫০ শতাংশ তরুণ মনে করেন, রাজনৈতিক দলগুলো তাদের সঙ্গে কোনো সংযোগ স্থাপন করতে পারেনি, আর বিপরীতে ১৬ দশমিক ১ শতাংশ তরুণ মনে করেন যে দলগুলো তরুণদের সঙ্গে যুক্ত।

রাজনৈতিক পরিবর্তনের সম্ভাবনা নিয়েও তরুণদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। মাত্র ৩ দশমিক ৩ শতাংশ মনে করেন সংস্কার ছাড়াই পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব। তবে ৫৬ দশমিক ৪ শতাংশ বিশ্বাস করেন, যদি প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়ন করা হয়, তাহলে পরিবর্তন সম্ভব। অপরদিকে, ১১ দশমিক ৩ শতাংশ তরুণ ভবিষ্যতে পরিস্থিতির আরও অবনতি দেখছেন এবং ১৩ দশমিক ১ শতাংশ মনে করেন, কিছুই পরিবর্তন হবে না।

দেশের ৮২ দশমিক ৭ শতাংশ তরুণ কোনোভাবেই রাজনীতিতে যুক্ত হতে আগ্রহী না। ১১ দশমিক ৫ শতাংশ তরুণের মধ্যে কিছুটা আগ্রহ আছে এবং মাত্র ১ দশমিক ৬ শতাংশ বর্তমানে কোনো না কোনোভাবে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছেন।

রাজনীতি ও রাজনৈতিক দল নিয়ে তরুণদের প্রত্যাশা অনেকটাই আদর্শভিত্তিক। ৬০ শতাংশ তরুণ রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে প্রত্যাশা করেন তারা পৃষ্ঠপোষকতা, স্বজনপ্রীতি ও রাজনৈতিক সহিংসতা দূর করবে। ৫৪ শতাংশ চায় নিয়মিত নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক প্রথা পুনঃপ্রতিষ্ঠা হোক। পাশাপাশি, ৪৮ দশমিক ২৩ শতাংশ তরুণ মনে করেন ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য উপযুক্ত নয়।

জরিপ পরিচালনা করা সংস্থা দুটি জানিয়েছেন, জুলাই আন্দোলনের পরবর্তী সময়ে তরুণরা রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের গতিপথ, অন্তর্ভুক্তি ও কার্যকারিতা সম্পর্কে কীভাবে চিন্তা করছে—তাও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়েছে জরিপটিতে। জরিপটি তরুণদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সংস্কারের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছে। সার্বিকভাবে, এই গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল তরুণদের দাবি ও আকাঙ্ক্ষাগুলো আরও জোরালোভাবে তুলে ধরা, যেন তা নীতিনির্ধারক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয় এবং যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়।


জাতীয় পার্টিতে চরম অস্থিরতা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক
    * আনিসুল ইসলাম, রুহুল আমিন হাওলাদার ও মুজিবুল হককে অব্যাহতি * শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে মহাসচিব করলেন জি এম কাদের

জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন ঘিরে দলের শীর্ষ নেতাদের দুটি পক্ষের চলা উত্তেজনার মধ্যে জ্যেষ্ঠ তিন নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ও মো. মুজিবুল হককে (চুন্নু) দলীয় সব পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন জাতীয় পাটির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের। প্রেসিডিয়াম সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে দলের নতুন মহাসচিব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

গতকাল বিকালে দলের নতুন মহাসচিব নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়। এর আগে মুজিবুল হক চুন্নুকে মহাসচিবের পদ থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত জানায় দলটি। ঘণ্টাখানেক পর দলের জ্যেষ্ঠ তিন নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ও মো. মুজিবুল হককে (চুন্নু) দলীয় সব পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দেন জি এম কাদের।

রাজধানীর বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে গত ২৮ জুন জাতীয় পার্টির (জাপা) দশম জাতীয় সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১৬ জুন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সম্মেলন স্থগিতের কথা জানায় জাপা। দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের প্রেসিডিয়াম সদস্যদের সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই এই সম্মেলন স্থগিত করেছেন বলে অভিযোগ করেন জাপার জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার।

উল্লেখ্য, সম্মেলনের আয়োজনে বিলম্ব, চেয়ারম্যানের একক ক্ষমতা, আর্থিক স্বচ্ছতার অভাবসহ নানা ইস্যুতে জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে প্রবল বিভক্তির সৃষ্টি হয়। এই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে সম্মেলন স্থগিত হওয়ার পর।

গতকাল জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির গত ২৫ জুনের মতবিনিময় সভায় জেলা, মহানগর কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা সিনিয়র কো চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ও মো. মুজিবুল হক চুন্নুর বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনে এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। ২৮ জুন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যদের সভায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ওই তিন নেতাকে সব পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ অবস্থায় পার্টির চেয়ারম্যান গঠনতন্ত্রের ক্ষমতাবলে সিনিয়র কো চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ও মহাসচিব মো. মুজিবুল হককে অব্যাহতি দিয়েছেন। এ সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে অব্যাহতি পাওয়ার কিছুক্ষণ আগে জাতীয় পার্টির দুই জ্যেষ্ঠ নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও রুহুল আমিন হাওলাদার বর্তমান মহাসচিব মো. মুজিবুল হককে (চুন্নু) বাদ দিয়ে শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে মহাসচিব পদে নিয়োগের বিরোধিতা করে বিবৃতি দেন। বিবৃতিতে তারা এই নিয়োগকে চরম অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক এবং গঠনতন্ত্রের সরাসরি লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেন। জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ এই দুই নেতা বলেন, এটি এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক স্বেচ্ছাচারিতার বহিঃপ্রকাশ, যা পার্টির অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে।

গতকাল বিকালে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় দপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে মহাসচিব পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের গঠনতন্ত্রের ক্ষমতাবলে মহাসচিব মো. মুজিবুল হককে (চুন্নু) অব্যাহতি প্রদান করেছেন। সেই শূন্য পদে শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে মহাসচিব নিয়োগ প্রদান করেছেন।

এরপরই আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও রুহুল আমিন হাওলাদার যৌথভাবে এই প্রতিক্রিয়া জানান। বিবৃতিতে এই দুই নেতা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মুজিবুল হকই জাতীয় পার্টির বৈধ ও সম্মানিত মহাসচিব। ঘোষিত কাউন্সিলের আগে চেয়ারম্যানের একক সিদ্ধান্তে কোনো নিয়োগ বা বহিষ্কার কার্যকর নয়। মুজিবুল হককে কোনো কারণ ছাড়াই অব্যাহতি দিয়ে শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে একক সিদ্ধান্তে মহাসচিব নিয়োগ চরম অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক এবং গঠনতন্ত্রের সরাসরি লঙ্ঘন।

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও রুহুল আমিন হাওলাদার বিবৃতিতে আরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়ামের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইতোমধ্যে জাতীয় কাউন্সিল ঘোষিত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোনো প্রকার নিয়োগ, অব্যাহতি বা বহিষ্কার সম্পূর্ণ বেআইনি ও অবৈধ। এই ধরনের সিদ্ধান্ত দলের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে ভেঙে ফেলছে। আমরা বিস্মিত যে দায়িত্বশীল প্রেসিডিয়াম সদস্যদের নিয়মিত চাঁদা প্রদান সত্ত্বেও মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে যেভাবে অব্যাহতির চিঠি প্রদান করা হয়েছে, তা শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়, বরং নীতিহীন ও সম্মানহানিকর আচরণ।’

বিবৃতিতে জাতীয় পাটির দুই নেতা আরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টিকে ব্যক্তি নয়, গঠনতন্ত্র ও আদর্শে পরিচালিত হতে হবে। দলে গণতন্ত্র, শৃঙ্খলা ও সম্মিলিত নেতৃত্ব ফিরিয়ে আনাই এখন সময়ের দাবি।‘

বিবৃতিতে তারা জাতীয় পার্টির ত্যাগী, আদর্শবান নেতা-কর্মীদের প্রতি অন্যায় ও একনায়কতান্ত্রিক আচরণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য আহ্বান জানান।


আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের আশা মির্জা ফখরুলের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (৭ জুলাই) সকালে সিলেটের হযরত শাহজালাল (রহ.) ও হযরত শাহপরাণ (রহ.) মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এসব বলেন তিনি।

এ সময় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশ সঠিক পথে অগ্রসর হবে।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলন, বিশেষ করে জুলাইয়ের রক্তাক্ত ছাত্র গণঅভ্যুত্থান যে নতুন পথ দেখিয়েছে তা বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে সবাইকে।’

এ ছাড়া, বিএনপির প্রায় ৬০ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে এবং এসব মামলা ও দমন-পীড়নের কারণে অনেক নেতা-কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

এর আগে, সকাল ৯টা ২৫ মিনিটির দিকে বিএনপি মহাসচিবসহ দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা ঢাকার একটি ফ্লাইটে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।

এ সময় সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি কাইয়ুম চৌধুরী জানান, সোমবার বিকালে সিলেটের পাঠানটুলা এলাকার সানরাইজ কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় মিলাদ মাহফিলে অংশ নেবেন মির্জা ফখরুল।

পাশাপাশি সিলেটের দরগাহ গেট এলাকার হোটেল স্টার প্যাসিফিকে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সিলেটে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে প্রধান অতিথি থাকবেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিবের সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইকবাল মাহমুদ টুকু, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনসহ অন্যান্য নেতারা।


নতুন বাংলাদেশ পুরোনো ব্যবস্থায় চলতে পারে না: নাহিদ ইসলাম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যে নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা পুরোনো ব্যবস্থায় চলতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

রবিবার (৬ জুলাই) চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘বিচার, সংস্কার, তারপর নির্বাচনের’ দাবিতে চলমান জুলাই পদযাত্রার পথসভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন। এরআগে পাশের জেলা নওগাঁ থেকে দুপুর ২টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের শান্তিমোড়ে উপস্থিত হন এনসিপির নেতারা। এরপর পদযাত্রা শুরু হয়।

পরে এটি বাতেনখাঁ মোড়, নীমতলা মোড়, বড় ইন্দারা মোড়, গাবতলা মোড় ও ক্লাব সুপার মার্কেট হয়ে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে এসে শেষ হয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন নতুন এই রাজনৈতিক দলের নেতারা।

পথসভায় নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা এসেছি, জুলাই অভ্যুত্থানের বার্তা নিয়ে, যে বার্তা একটি ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র কায়েমের স্বপ্ন দেখায়। বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখায়।’

‘গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা নতুন বাংলাদেশ চেয়েছি, আমরা রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার চেয়েছি, আমরা গণত্যাকারীদের বিচার চেয়েছি। আমরা জুলাই ঘোষণাপত্র এবং জুলাই সনদ চেয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ খাতে বৈষম্যের শিকার। বাংলাদেশের সব জেলায় এমন বৈষম্য দূর হবে আমরা সেই স্বপ্ন দেখি।’

সীমান্ত হত্যা নিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কঠোর সমালোচনা করে নাহিদ বলেন, ‘সীমান্তে বিএসএফ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে গ্রেনেড মারে, এখানে বোমার বিস্ফোরণ ঘটনায়। আমরা কিন্তু এইসব আগ্রাসন আর মেনে নেব না।’

‘সীমান্তে দাদাদের বাহাদুরির দিন শেষ হয়েছে। আর আগ্রাসন চালানো হলে, আমার ভাইদের হত্যা করা হলে আমরা লং মার্চ ঘোষণা করবো। আমাদের সীমান্ত আমরাই রক্ষা করবো।’

দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন, সদস্যসচিব আখতার হোসেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ওপর দীর্ঘদিন ধরে ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ নির্মম নির্যাতন করেছে। সেই নির্যাতনকে সায় দিয়ে দিল্লির সরকারও সীমান্তে হত্যা চালিয়েছে।’

সাবেক এই ছাত্র নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াই চলবে। ভারত আর কোনোদিন আঙুল উঁচিয়ে কথা বলতে পারবে না। চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ আঞ্চলিক বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন। আগামীর বাংলাদেশে আর কোনো বৈষম্য দেখতে চাই না। ছাত্র-জনতার জীবনের বিনিময়ে যে নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হয়েছে, আর পুরোনো সিস্টেমে চলতে পারে না ‘

এ সময়ে এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিতি ছিলেন। পরে এনসিপির চাঁপাইনবাবগঞ্জ কার্যালয় উদ্বোধন শেষে রাজশাহীর উদ্দেশে রওয়ানা দেন তারা।


জামায়াত ‘ঘোলা পানিতে’ মাছ শিকারের চেষ্টা করছে: অভিযোগ রিজভীর

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকার’ করার চেষ্টা করার অভিযোগ তুলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘যে দল স্বৈরাচারী সরকারের অধীনে ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল, তারা এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।’

আজ শনিবার ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব মাঠে এক ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। দলের ঘোষিত মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির ঢাকা উত্তর সিটি ইউনিট এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

রিজভী বলেন, বিশ্ব ইতিহাসের নানা পর্বে জনগণ আন্দোলন ও সংগ্রামের মাধ্যমেই নিজেদের অধিকার আদায় করেছে। একটি নির্বাচিত সংসদ ও জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক প্রতিনিধি থাকা রাজনৈতিক অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য।

‘কিন্তু আপনি এমন নির্বাচনকে সমর্থন না দিয়ে রাজনৈতিক বুলি আউড়ে নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছেন। আপনি নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, কিন্তু আমরা আপনার অতীত জানি। এক সময় আপনি স্বৈরাচারের অধীনে কোনো দ্বিধা ছাড়াই নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, শেখ হাসিনার পথ অনুসরণ করে,’ বলেন বিএনপির এই নেতা।

এর আগে শুক্রবার জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান রংপুরে এক সমাবেশে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান বাস্তবতায় একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অসম্ভব। বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য আগে একটি সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে হবে, আর সে জন্য প্রয়োজন মৌলিক সংস্কার।’

রিজভী বলেন, জামায়াত আমির এমনভাবে কথা বলেছেন যেন তিনি পরিবেশকর্মী, যিনি নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। ‘হঠাৎ করে আপনি পরিবেশবাদী হয়ে গেলেন! যদি আপনি পরিবেশ নিয়ে এতই উদ্বিগ্ন হন, তবে বৈশ্বিক পরিবেশ সংকটের বিপর্যয়ের দিকেই মনোযোগ দিন।’

তিনি বলেন, দেশের মানুষের রাজনৈতিক, গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার ফিরিয়ে আনতে এখন একটি নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন।

‘এই কারণেই অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি—উপযুক্ত সংস্কার সম্পন্ন করে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করুন এবং সেটা যেন একটি যথাযথ সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন হয়,’ বলেন রিজভী।

সূত্র: ইউএনবি


দলের যেকোনো পদধারীর অন্যায়ের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ বিএনপি: রিজভী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বিএনপি অনৈতিক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বজায় রেখেছে বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি সতর্ক করে বলেন, বিএনপির কোনো সদস্যও যদি অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত থাকে— তবে তাকেও ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, ‘যে কেউ যেকোনো ধরণের অবৈধ, অনৈতিক বা সহিংস কার্যকলাপে জড়িত থাকে—তবে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। যেকোনো ঘটনা ঘটার পর আমরা তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত করতে এবং সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে দ্বিধা করি না। কাল ক্ষেপণ না করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

শুক্রবার (৪ জুলাই) বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, দলের ভেতরে, প্রতিবেশীদের সঙ্গে বা অন্য কোনো ব্যক্তির সঙ্গে যাতে আর কেউ সহিংস আচরণ করার সাহস না করে। ‘২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে আমরা যখনই অভিযোগ পেয়েছি, তখনই আমরা এই ধরণের সমস্ত ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিয়েছি। তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।’

তিনি বলেন, দলের নামে কী ঘটছে এবং কী করা হচ্ছে, তা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিয়মিতই পর্যবেক্ষণ করছেন।

রিজভী বলেন, ‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং অন্যায় কাজে লিপ্ত থাকার জন্য আমরা বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের চার থেকে পাঁচ হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি।’

তিনি বলেন, দল এবং এর সহযোগী সংগঠনের কোনো নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উঠলেই তারা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছেন। ‘এক্ষেত্রে, বিএনপি এবং এর নেতৃত্ব আপসহীন। তারেক রহমান জিরো টলারেন্স নীতিতে এটি করছেন।’

রিজভী বলেন, যে কেউ অপরাধ করলে—সে দলের নেতা হোক বা সদস্য—তাকে শাস্তি ভোগ করতে হবে। ‘দলের মধ্যে কেউ যাতে কোনো সন্ত্রাসী বা বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত না হয়—তা নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’

গণতান্ত্রিক নীতির প্রতি দলের স্থায়ী অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে রিজভী বলেন, বিএনপি গত ১৬ বছর ধরে গণতন্ত্রের জন্য ক্রমাগত সংগ্রাম করে আসছে। ‘গণতন্ত্রকে কবর দেওয়া শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে বিএনপি তার আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। তীব্র দমন-পীড়ন সত্ত্বেও আমাদের দল কখনও তা থেকে পিছু হটেনি।’

অবিলম্বে, অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের জন্য দলের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘কেবলমাত্র একটি সত্যিকারের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনই বিএনপির জনপ্রিয়তা প্রকাশ করবে।’


নির্বাচন নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই

বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: বিএনপি মিডিয়া সেল
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই।

তিনি বলেন, ভোটার ও রাজনৈতিক দলগুলো চায় নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ একটা স্থিতিশীল অবস্থায় থাকুক, যার ক্রেডিট সবাই নিতে চায়।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার সুসান রাইলের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলে।

এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন। পরে বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

নির্বাচনে রোডম্যাপ ও নির্বাচন নিয়ে শংকার কোনো জায়গা আছে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, শঙ্কার কোন জায়গা নেই। বাংলাদেশে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে যখনই নির্বাচন হয়েছে, নির্বাচনের পরিবেশ ভালো ছিল। বিগত দিনগুলোতে তাই দেখা গেছে। এটা কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে চায়।

তিনি বলেন, পুলিশ আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাইরে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ক্ষেত্রটা এমন যে ভোটাররা এবং রাজনৈতিক দলগুলো চায় একটা স্থিতিশীল অবস্থা থাকুক। সংস্কারের বিষয়ে আমীর খসরু বলেন, 'সংস্কারের উদ্যোক্তা হচ্ছে বিএনপি। এখন থেকে নয়, অনেক আগে থেকেই। বাংলাদেশের সব সংস্কারের উদ্যোক্তা হচ্ছে বিএনপি। এবারও তাই হয়েছে। আমাদের ভিশন ৩১ দফা জনগণের কাছে নিয়ে যাওয়া, বাস্তবায়নের জন্য একটা জাতীয় সরকার গঠন করা।

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা-সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'হ্যাঁ, আলোচনা হবে এটাই স্বাভাবিক। এটা উঠে এসেছে যে, বাংলাদেশের মানুষ বিগত তিন-চারটা নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে ভোট দেয়ার জন্য। বিশেষ করে নতুন জেনারেশন, যাদের বয়স ৩০ বা ৩০ এর আশেপাশে, তারা তো ভোটাধিকার মোটেই প্রয়োগ করতে পারেনি। তাই আমরা সবাই মনে করছি, আগামী নির্বাচনে ভোটার 'টার্ন আউট' খুবই ভালো হবে। জনগণ অত্যন্ত উৎসাহের সাথে, আগ্রহের সাথে, ভোট কেন্দ্রে যাবে। পুরুষ-মহিলা, সব বয়সের ভোটাররা যাবে এবং একটি ভালো নির্বাচন হবে। নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে একটি সরকার নির্বাচিত হবে যা গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে আমাদেরকে এগিয়ে নেবে।

অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের নির্বাচনে সহযোগিতা করবে জানিয়ে সাবেক এই বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, 'স্বাভাবিকভাবে নির্বাচন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, ওটা উঠে আসছে আলোচনায়। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া ইলেকশন কমিশনকে বড় ধরনের সহায়তা করে।


banner close