শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৩ আশ্বিন ১৪৩২

ওবায়দুল কাদের ডিমেনশিয়া রোগে ভুগছেন: রিজভী

শনিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে এক সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: দৈনিক বাংলা
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২৬ আগস্ট, ২০২৩ ১৭:১৬

বিএনপির আন্দোলনে লোকসমাগম দেখে সরকার দিশেহারা হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিএনপি আন্দোলনের বারটা বেজে গেছে এমন মন্তব্যের জবাবে বলেন, ‘তিনি (ওবায়দুল কাদের) ডিমেনশিয়া রোগে ভুগছেন।’

শনিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক ও অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (এ্যাব) সাবেক সভাপতি ও আমার দেশ সম্পাদক প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান ও যায় যায় দিনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে ‘ফরমায়েশি সাজার’ প্রতিবাদে ‘মাহমুদুর রহমানের সংগ্রাম ও সাংবাদিকতা’ শীর্ষক সভার আয়োজন করে এ্যাব।

রিজভী বলেন, ‘তারা তাদের নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙা রাখতে এসব বলছেন। আমি বলবো, ওবায়দুল কাদের এখনো সময় আছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিন। এটা চাওয়া, কোনো ষড়যন্ত্র নয়, এটা জনগণের দাবি।’

তিনি বলেন, ‘কুষ্টিয়ায় আদালতে মাহমুদুর রহমানের ওপর ভয়ংকর আক্রমণ করা হয়েছে। এটা কি একটা রাষ্ট্র? আজকে যে অভিযোগে আমেরিকার আদালত মামলা বাতিল করে দেয় সেখানে বাংলাদেশে একটা নিউজের কারণে বিচার করা হয়। এটা তো আওয়ামী লীগের আদালত।’

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘‘জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার ধারা ওয়ান ইলেভেনের সময় থেকেই শুরু হয়েছে। এ জন্য আজকের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন ‘ওয়ান ইলেভেন তাদের আন্দোলনের ফসল’। সে সময় সেনাপ্রধান মঈন উদ্দিন আহমেদ বললেন ‘হাওয়া ভবনের কারণে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নের নামে ২০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে’। পরে সেটার দাঁতভাঙা জবাব কলামের মাধ্যমে দিয়েছিলেন মাহমুদুর রহমান। তিনি লিখলেন,‘গোটা ৫ বছরে বাজেট হলো ১৩ হাজার কোটি টাকা’। সেখানে ২০ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে কীভাবে? আসলে দেশি-বিদেশি চক্রান্তের অংশ হলো ওয়ান ইলেভেন।’’

সংগঠনের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিজুর সভাপতিত্বে ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব আসাদুজ্জামান চুন্নুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে মাহমুদুর রহমানের ওপর প্রবন্ধ পাঠ করেন আমার দেশ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ। আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী, বিএফইউজের সভাপতি এম আবদুল্লাহ, বিএনপির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, বিএফইউজের মহাসচিব নূরুল আমিন রোকন, এ্যাব নেত আশরাফ উদ্দিন বকুল, মো. মোস্তাফা-ই জামান সেলিম, মহিউদ্দিন আহমেদ সেলিম, গোলাম মাওলা, সুমায়েল মল্লিক, মাহবুব আলম, শাহাদাত হোসেন বিপ্লব, মোতাহার হোসেনসহ অন্যরা।

বিষয়:

পিআর পদ্ধতির কোনো ভিত্তি নেই: মির্জা ফখরুল

‘আলোচনা মধ্যে কর্মসূচি গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়’
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পিআরের (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পক্ষে নয় বিএনপি। এটার কোনো ভিত্তি নেই। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে আজ বৃহস্পতিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের সিদ্ধান্ত নিজেদেরই নিতে হবে এবং সেটা ঐক্যবদ্ধভাবে। যেকোনো বিষয় আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধান হবে মনে করে বিএনপি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আলোচনার মধ্যে কর্মসূচি দেওয়ার অর্থ হচ্ছে অহেতুক চাপ সৃষ্টি করা। এটি গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়। রাজপথে নামলেই সমস্যার সমাধান হবে কি? আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান সম্ভব।

মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর বিএনপি কোনো ইস্যুতেই আন্দোলনে যায়নি। আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান সম্ভব। এ সময় বিএনপি কোনও রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে নয় বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের আগামী অধিবেশনে যোগ দেব। কিন্তু এজেন্ডা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।


বিশেষ সাক্ষাৎকারে যা বললেন- কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ড. রশিদ আহমেদ হোসাইনী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনের প্রস্তুতি নিয়ে এগুচ্ছে নির্বাচন কমিশন। আর প্রতিষ্ঠানটি একগুচ্ছ পরিকল্পনা হাতে নিয়ে প্রস্তুত করছে নির্বাচনী রোডম্যাপ।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, অক্টোবরের মধ্যে মূল প্রস্তুতির কাজ সীমানা নির্ধারণ, রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন, পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংস্কার, আচরণবিধিমালা জারি, ভোটার তালিকাসহ সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে যাবে। আর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ছোট-খাট সহ অন্তত ৪৪টি সংস্কার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। যা শীঘ্রই আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে ইসি।

এদিকে, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সারা বাংলাদেশের মত কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনেও বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থী যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক সদস্য এবং নেক্সাস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিল্পপতি, আনছারিয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, বিজিএমইএ ফোরামের মহাসচিব ও বিজিএমইএ পরিচালক -- ড. রশিদ আহমেদ হোসাইনী দীর্ঘদিন ধরে মাঠে আছেন দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করার কাজে। তবে গ্রুপিং দ্বন্দ্বে দিশেহারা লাকসাম-মনোহরগঞ্জের তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে আশার আলো জুগিয়েছেন দুর্দিনে দলের হাল ধরা নেতা ড. হোসাইনী।

সাবেক ডাকসু সদস্য ও যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ড. রশিদ আহমেদ হোসাইনী দৈনিক বাংলাকে একান্ত স্বাক্ষাৎকারে এলাকার উন্নয়নে একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথা জানান।

ড. হোসাইনী বলেন, আমার এলাকার শিক্ষিত,আধা শিক্ষিত এবং সব শ্রেণীর মানুষ আমাকে ভালোবাসে। আর সব চেয়ে মজার ব্যাপার হলো আমি এলাকায় গেলে, আমার কোন সিকিউরিটি লাগে না, আমার কোন বডিগার্ড লাগে না। আমার কাছে সাধারণ মানুষরা খুব সহজেই কাছে আসতে পারে। আর আমি এলাকার মানুষকে বেশি ভালোবাসায় তারা সহজেই আমাকে গ্রহন করে। আমি ছাত্রদল-যুবদল করে আজ বিএনপিতে এসেছি। আমি বিএনপিতে সংস্কার, আবিস্কার ও বহিষ্কার নই। আমি কখনও দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাইনি। আমি যেদিন থেকে পয়সা কামানো শুরু করেছি ওই দিন থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি।

অতীত আর বর্তমান নিয়ে বিএনপির এই নেতা প্রসঙ্গ ক্রমে বলেন, ১৯৭১ সালে সাড়ে সাত কোটি বাঙালির কথা বলা হয়েছে। এখন যে প্রেক্ষাপট এসেছে আদম শুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৮ কোটি হলেও পক্ষান্তরে মানুষ কিন্তু আরও বেশি। যার কারণে প্রশাসনিক দিক দিয়ে বাংলাদেশ সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার স্বার্থে অনেকগুলি থানা, জেলা এমনকি বিভাগও বাড়িয়েছে। এর অংশ হিসেবে লালমাই (লাকসাম) থানা হয়েছে।

যখন ১৯৯৮ সালে আমি বৃহত্তর লাকসাম-এর যুবদলের আহ্বায়ক ছিলাম, তখন লালমাই আমাদের ছিল। আজকে যারা বিএনপি করে, তারা আমার হাতেই সৃষ্টি। আমি তখন যাদের সাথে বিএনপি করেছি তাদের মধ্যে আকতার ভাই,অলিউল্লাহ,সোলায়ইমান চেয়ারম্যান সহ অনেকে এখন নাই। আর লাকসাম যারা রাজনীতি করে তার মধ্যে বহুল আলোচিত শ্রদ্ধেয় বড় ভাই আবুল কালাম (চৈতী কালাম) আমরা একই ইউনিয়নের। তিনি ২০০১ সালে বিএনপিতে পদার্পণ করে। এটা উনার বক্তৃতা ও বিবৃতিতে উনি সদা বলেন।

১৯৯৬ সালে বিএনপি পরাজিত হবার পর ১৯৯৭ ও ১৯৯৮ সালে বিএনপির পক্ষ থেকে লাকসামে কথা বলার লোক ছিল না।

১৯৯১ সালে আলমগীর সাহেব এমপি হওয়ার পরেও দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে ব্যর্থ হন।উনি সাংগঠনিকভাবে তেমন তুখোর কোনো রাজনীতিবিদও ছিলেন না।

এ টি এম আলমগীর সাহেব এর আগে ছাত্র ইউনিয়ন করতেন। ১৯৯১ সালে নমিনেশন দেওয়ার পর থেকেই তিনি বিএনপির রাজনীতি শুরু করেন। তিনি বিএনপির কর্মী বা নেতা হিসেবে নমিনেশন নেয়নি। উনি তখন চাকরি করতেন । নমিনেশন কনফার্ম করার পরে চাকরি ছেড়ে দেন। দলের নেতাকর্মীদের সাথে তার সে সময় তেমন যোগাযোগ না থাকার কারণে সুসংগঠিত করতে পারেননি, যার ফলে লাকসামে নেতাকর্মী দের মাঝে একটা বিভেদ সৃষ্টি হয়েছিল।আর বিভেদ সৃষ্টি হওয়ার কারণে ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনার দাবিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পাস করতে পারেনি।উপ নির্বাচন করে পাস করতে হয়েছে।

বিএনপি নেতা ড. হোসাইনী আরো বলেন, পরবর্তীতে জাতীয় নির্বাচনে মোকসেদ আলী সাহেব নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং বিএনপি নেতারা তার সাথে চলে যাওয়ার কারণে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচিত হয়। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর থেকে বিএনপি’র হাল ধরার লোক ছিল না।তখন বৃহত্তর লাকসাম উপজেলার বিএনপির সভাপতি প্রয়াত নেতা ইঞ্জিনিয়ার আবু নাসের ভূঁইয়া,আমি, নুরুন্নবী চৌধুরী (ছাত্রদলের দায়িত্বে ছিল), সার্বিক দায়িত্বে আরও ছিলেন সাবেক এমপি রাশেদা বেগম হীরা,কাজী আবুল বাশার (শিল্প ব্যাংক কর্মকর্তা-করমচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক), গিয়াসউদ্দিন কালু(আদমজী জুট মিলের সিবিএ, সাধারণ সম্পাদক), এ,কে,এম আতিকুর রহমান লিটন (বৃহত্তর লাকসাম উপজেলা বিএনপি সদস্য)।

আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলাম। তৎকালীন জননেতা মির্জা আব্বাস যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন জননেতা বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র।তখন আমরা কুমিল্লার অবিসংবাদিত নেত্রী রাবেয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর ভাই,শাহ মোহাম্মদ সেলিম সবাই মিলে লাকসাম বিএনপি সুসংগঠিত করতে নানান ভাবে চেষ্টা করেও স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে এক করতে পারছিলাম না। এবং আমরা কাকে দিয়ে দল গোছাবো এর জন্য উপায় খুঁজে পাচ্ছিলাম না। ঠিক সেই সময়ে আমাকে যুবদলের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়। তখন কেন্দ্রীয় নেতা বাবু গয়েশ্বর চন্দ্রসহ সিনিয়র নেতাদের কথা অনুযায়ী আমি বৃহত্তর লাকসামের যুবদলের দায়িত্ব নেই। আর আমি ছাত্রদল যুবদল করার পরেই কিন্তু ওই সময় বিএনপি শুরু করি।

রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হোসাইনী বলেন, আমার রাজনীতির জন্ম ১৯৮৬ সালে ছাত্রদলের রাজনীতির মাধ্যমে। আমি ১৯৯০ সালে নির্বাচিত ডাকসুর মেম্বার ছিলাম। ১৯৮৬ সালে সর্বকনিষ্ঠ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলাম। ১৯৯৪ সালে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলাম। পরবর্তীতে দাদা গয়েশ্বর সভাপতি থাকাকালীন সময়ে যুবদলের কেন্দ্রীয় শ্রম বিষয় সম্পাদক ছিলাম। এরপরে আমি ঢাকায় এসে ব্যবসা শুরু করি। আর তখন প্রথম ২০০৭ সালে নির্বাচিত বিজিএমইএর পরিচালক হয়েছি। এবং সে সময়েই কুমিল্লা জেলা বিএনপি কমিটির আমি সদস্য ছিলাম। সামনে পূর্নাঙ্গ কমিটি আসছে, দলের স্বার্থে আশা করি তারা অবশ্যই আমাকে রাখবে হয়তো। তাই সবার উদ্দেশ্যে বলবো দলের জন্য আমাদের ত্যাগ, দলের জন্য শ্রম, দলের জন্য আমার কমিটমেন্ট যেমন ছিল, তেমনি আছে এবং ভর্বিষৎতেও থাকবে। মনে রাখতে হবে সবার আগে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের নির্বাচন প্রেক্ষাপট নিয়ে ড. হোসাইনী বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তারুণ্যের যে চাহিদা বিশেষ করে আমাদের অবিসংবাদিত নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব, উনি যে ভাবে মর্যাদাপূর্ণ দেশ গড়ার লক্ষ্যে ৩১ দফা দিয়েছেন এটা দেশ গড়ার জন্য তরুণদের কাজে আসবে। একটা কথা আছে,এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাওয়ার শ্রেষ্ঠ সময় তার। সোনার বাংলা গড়তে হলে যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে।

হোসাইনী আরো বলেন, যারা সত্যিকার অর্থে এই দলের একনিষ্ঠ কর্মী, যারা ছাত্রদল করেছে, যারা যুবদল করেছে, যাদের ছাত্রদল, যুবদলের ট্যাগ রয়েছে, যারা দুঃসময়ে দল থেকে সরে যায়নি, যাদের ক্লিন ইমেজ, যাদের চরিত্রে দোষ খুঁজে পাবেন না, শিক্ষিত এবং যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে, মাদকাসক্ত নয়,যাদের রাজনীতি করার ক্যাপাসিটি আছে,গ্রহণযোগ্যতা আছে তাদেরকে তারেক রহমান মূল্যায়ন করবে এটা আমার বিশ্বাস। আমার প্রত্যাশা,দল যদি ভালো মনে করে আমাকে নমিনেশন দেয় আমি দল ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করব। আর যদি দল মনে করে আমার চেয়ে ভালো কেউ আছে,তাহলে আমি মাথা পেতে নেব। এক কথায় দলের সাথে আমি কোনদিন বিরোধিতা করি নাই আর কোন দিন করবো ও না। সামনে নির্বাচন, আমি চাই সুন্দর সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। মানুষ তার পছন্দের প্রার্থীকে খুঁজে পাক।

দেশের নতুন প্রেক্ষাপটে গণ-অভ্যুত্থান প্রসঙ্গ নিয়ে ড. হোসাইনী বলেন, যে রক্তের বিনিময়ে আমরা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা পেয়েছিলাম তখনও আমরা পুরোপুরি স্বাধীন হতে পারিনি। আমরা ৯০ এর গণ-অভ্যুত্থান করেছি স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে, তখনও আমরা স্বাধীন হতে পারিনি, যার কারণে আরেকটি গণ-অভ্যুত্থান করতে হয়েছে যেটা ৩৬ জুলাই বা ৫ আগস্ট যেটাই বলি না কেন। আমি আশা করি, যারা শহীদ হয়েছে, রক্ত দিয়েছে সেই শহীদদের রক্তের সাথে কেউ বেইমানি করবেন না।

হোসাইনী আরো বলেন,একটা সত্যিকার চাঁদাবাজ মুক্ত,মাদকমুক্ত,সামাজিক স্থিতিশীলতা, আইনের শাসন, দুর্নীতিমুক্ত স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ, সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দৃঢ় কমিটমেন্ট ও তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশ ও দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবো অনন্য উচ্চতায়।

তিনি বলেন, কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) বা লালমাই আমি মনে করি, বাংলাদেশের যে কোন জায়গা থেকে নির্বাচন করার জন্য আমি প্রস্তুত আছি। আমি বাংলাদেশের কোন আসনেই ভয় পাই না। আমি মনে করি সারা বাংলাদেশ আমাদের, আমাদের প্রতীক একটাই “ধানের শীষ” আমাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ, আমার নেতা তারেক রহমান। আমাদের আদর্শ ৩১ দফা। তারেক রহমানের নেতৃত্বেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ এবং ধানের শীষের বিজয় হবে ইনশাল্লাহ।

এলাকার জনগণের উদ্দেশে ড. হোসাইনী বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকার জনগণকে ধন্যবাদ জানাতে চাই; তারা এখন পর্যন্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার। অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে নাই। তারা সবাই প্রতিবাদ মুখর। একসাথে আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়বো, আমরা কোন চাঁদাবাজ, দখলবাজ মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্তকে প্রশ্রয় দিবো না এবং সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাব।যারা এই অপকর্ম করবে আপনারা সাংবাদিকগন স্থানীয় জনগণ থেকে খোঁজ খবর নিয়ে সত্য প্রকাশ করুন। ইনশাল্লাহ সুদিন আমাদের আসবেই।

সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোঃ সোহেল রানা- প্রতিবেদক: দৈনিক বাংলা


ফুলবাড়িয়ায় বিএনপি নেতা এডভোকেট রেজাউল করিম চৌধুরীর লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফুলবাড়িয়া ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের ৩১ দফা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেছেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও মোমেনশাহী ল কলেজের সভাপতি এডভোকেট রেজাউল করিম চৌধুরী।

আজ শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পরে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে উপজেলার আছিম পাটুলি ইউনিয়নের আছিম বাজারে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন তিনি।

এ সময় অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম চৌধুরী বাজারের ব্যবসায়ী ও পথচারীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের খোঁজ খবর নেন। পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা করেন।

এর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এডভোকেট রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, তারেক রহমানের ৩১ দফা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যথেষ্ট। এই দফাগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমেই দেশের আপামর জনসাধারণের উন্নয়ন সম্ভব হবে। এসময় তিনি ময়মনসিংহ ৬ ফুলবাড়িয়া আসনে আগামী নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী বলেও জানান।

গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন রাধাকানাই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. লুৎফর রহমান মাস্টার, বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম, যুবদল নেতা আশিকুর রহমান রুপক, আরাফাত রহমান ক্রীড়া পরিষদের আহ্বায়ক মোস্তফা হোসাইন, সদস্য সচিব জাহিদুল হাসান রনি, ইউনিয়ন যুবদল নেতা জাহিদ হাসান রুবেল, আনিসুর রহমান, জহিরুল ইসলাম সহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।


জনগণের ভালোবাসাই বিএনপির শক্তি: কুলাউড়ায় জি. কে. গউছ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুলাউড়া প্রতিনিধি

আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে কঠিন লড়াইয়ের- এমন মন্তব্য করে বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি. কে. গউছ বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারালেও তাদের বীজ দেশে রয়ে গেছে, যা বিএনপির বিরুদ্ধে কাজ করছে। তবে জনগণের ভালোবাসা যদি বিএনপির সঙ্গে থাকে, দেশি-বিদেশি কোনো ষড়যন্ত্রই দলকে দমিয়ে রাখতে পারবে না। শনিবার দুপুরে কুলাউড়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জি. কে. গউছ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে ৩১ দফা কর্মসূচি দিয়েছেন, সেটিই জাতির মুক্তির রক্ষাকবচ। দুই বছর আগেই তিনি ভবিষ্যতের চিত্র জাতির সামনে তুলে ধরেছিলেন। বিএনপি কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি করছে, এই নেতৃত্বই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে।

তিনি আরও বলেন, যে জাতি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে, যে জাতি নিজের অধিকারের জন্য বুক পেতে দিয়েছে, সেই জাতিকে কোনো শক্তিই দমাতে পারেনি, পারবেও না। বিএনপি আজও সারাদেশের মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায়।

উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. রেদওয়ান খানের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপনের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির সিলেট বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি এম নাসের রহমান, জেলা বিএনপির আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন, সদস্য অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানসহ জেলা ও উপজেলা নেতারা। প্রয়াত নেতাদের স্মরণে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন বহির্বিশ্ব জাতীয়তাবাদী ফোরামের সভাপতি ড. সাইফুল আলম চৌধুরী।


ডাকসু নির্বাচন: ছাত্র রাজনীতির এক নতুন বার্তা

লেখক: ড: তারনিমা ওয়ারদা আন্দালিব এবং দাউদ ইব্রাহিম হাসান
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

অসম্ভবকে সম্ভব করার এই গল্পটি প্রতিটি ছাত্রের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। স্বপ্ন পূরণের পথে সাহস আর নিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। মনে রাখতে হবে, কেবল বিজয়ের জন্য নয়, বরং একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার জন্যই লড়াই করতে হয়। সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছাতে মেধা ও পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই, আর সেই পথেই রচিত হয় নতুন ইতিহাস। এই ডাকসু নির্বাচন সেই ইতিহাসেরই একটি অংশ, যেখানে মেধা আর সততা পেয়েছে সর্বোচ্চ সম্মান।

দুর্ধর্ষ জয়, না অভিস্মরণীয় বিজয়! ডাকসুতে শিবিরের এই জয়কে আপনি কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন? সাদিক কায়েম, এস এম ফরহাদ এবং মহিউদ্দিন খান তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি ভোট পেয়েছেন, মানে এক কথায় অলআউট উইন। জয়ের ব্যবধানটাই সবচেয়ে বড় চমক সৃষ্টি করেছে এখানে। ডাকসুর ইতিহাসে এমন ঘটনা খুব বেশি ঘটেনি। ভিপি পদে সাদিক কায়েম পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪২ ভোট, ছাত্রদলের আবিদ পেয়েছেন ৫৬৫৮ ভোট, অর্থাৎ অর্ধেকেরও কম। জিএস পদে এস এম ফরহাদ পেয়েছেন ১০,৭৯৪ ভোট, অন্যদিকে ছাত্রদলের হামিম পেয়েছেন ৫২৮৩ ভোট। এখানেও রয়েছে দ্বিগুণ ব্যবধান। এজিএস পদে মহিউদ্দিন খান পেয়েছেন ৯৫০১ ভোট, অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের মায়েদ পেয়েছেন ৪২৫৪ ভোট। অর্থাৎ ৫২৪৭ ভোটের ব্যবধান রয়েছে এখানে। শিবিরের এই তিন নায়ক সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দেওয়া যাক।

শুরুতেই আলোচনা করা যাক মহিউদ্দিন খান মহিকে। চোখে চশমা, পরনে পাঞ্জাবি আর চেহারায় ভদ্রতার ছাপ সুস্পষ্ট। শিক্ষার্থীরা তো বটেই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যেও মহিউদ্দিনের জনপ্রিয়তা আছে। ভদ্রতার পাশাপাশি মেধাতেও যে কারো চেয়ে এগিয়ে তিনি। মহিউদ্দিন খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি অনার্সে ৩.৯৩ সিজিপিএ অর্জন করে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম এবং মাস্টার্সে ৪.০০ সিজিপিএ অর্জন করতে সক্ষম হন। এরপর তিনি মাস্টার্সের পূর্ণাঙ্গ ফলাফলে ৩.৯৭ সিজিপিএ পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেন। তিনি বিজয় '৭১ হলের সাবেক শিক্ষার্থী। ছাত্র রাজনীতিতে দাপট বজায় রাখার জন্য হলে বছরের পর বছর সময় কাটানোর নজির আছে, সেখানে মহিউদ্দিন খান বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। স্নাতকোত্তর শেষ হওয়ার তিন দিনের মাথায় তিনি হল ছেড়ে দেন যা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয় তখন। তাই এজিএস হিসেবে ডাকসু নির্বাচনে মহিউদ্দিন খানের এই জয়টা মোটেও অবাক করার মতো নয়।

এবার আসবে এস এম ফরহাদের নাম। দেখতে সে ছোটখাটো হলেও তার দায়িত্বটা বিশাল। একজন ডিবেটর হিসেবে তার বেশ খ্যাতি আছে। কখনো কখনো তিনি বাম রাজনীতির সমালোচনা করেছেন, আবার কখনো ছাত্রদলের ভুলগুলোকে ধরিয়ে দিয়েছেন। আবার প্রতিপক্ষের দিক থেকেও কেউ কেউ ফরহাদকে নিয়ে নানা সময় নানা আলোচনা ও সমালোচনা করেছেন। তিনি সেসব সমালোচনার সুস্পষ্ট জবাব দিয়েছেন তার দায়িত্বশীল আচরণের মাধ্যমে। ছাত্রলীগের সাথে তার অতীত সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রচুর সমালোচনা আছে, কিন্তু ফরহাদের দাবি সেটা ছিল তার চৌকস কৌশল। তিনি নাকি পরিচয় লুকিয়ে শিবির করতেন। ফরহাদের যে রুমমেট তার সঙ্গে দীর্ঘ চার বছর থেকেছে, সেও ফরহাদের আসল রাজনৈতিক পরিচয় জানতো না। ২০০৪ সালের ৫ই আগস্টের পর ফরহাদের পরিচয় সামনে আসার পর, অন্য অনেকের মতো তার রুমমেটও অবাক হয়েছিল। ফরহাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ১৭-১৮ সেশনের এবং পাশাপাশি কবি জসীমউদ্দীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। ডাকসু নির্বাচনের সময় ফরহাদকে তেমন প্রচারণা করতে দেখা যায়নি, অথচ তার জয় আল্লাহ সহজভাবে এনে দিয়েছেন।

সর্বশেষে আসবে এই ডাকসুর ইতিহাসের অন্যতম নাম, যার দ্বারা পুরো ডাকসু আগামী কয়েক বছর পরিচালিত হবে, তার নাম হলো সাদিক কায়েম। তিনি হলেন শিবিরের অন্যতম ফ্রন্টলাইনার। ডাকসুতে তিনি শিবিরের হয়ে প্রচার-প্রচারণা করেছেন সবচেয়ে বেশি। সাদিক কায়েমের প্রচারণা সবসময়ই ছিল একদম সাদামাটা। কিন্তু তার জয় আল্লাহ দিলেন অনেক বড়সড় করে। তিনি বর্তমান ডাকসুর ইতিহাসে শিবিরের প্রথম এবং একমাত্র ভিপি। মাঝরাতে গতকাল সবাই যখন বিজয় উল্লাসের অপেক্ষায়, সাদিক কায়েমকে তখন নামাজরত অবস্থায় একটি ভিডিও চিত্রে দেখা যায়। ভিপি হওয়ার আগেই আল্লাহর নাম স্মরণ করে সাদিক কায়েম বলেছিলেন, “ডাকসুর কাজ নেতা তৈরি করা নয়, বরং শিক্ষার্থীদের স্বার্থ হাসিল করা। এই স্বার্থগুলোর মধ্যে রয়েছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ: আবাসন সংকট দূর করা, শিক্ষার্থীদের খাবার এবং সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা, এবং বিশেষ করে রেজিস্টার ভবনে শিক্ষার্থীদের অনেককালের ভোগান্তি থেকে চির বিদায় দেওয়া।” এবার মূলত সেসব বাস্তবিকতার চিত্র প্রমাণ করার পালা। তিনি শিক্ষার্থীদের পার্টটাইম চাকরির সুযোগ, আধুনিক লাইব্রেরি ব্যবস্থা, মসজিদের আধুনিকায়ন, শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসনের প্রসারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক সমস্যা সমাধানে কাজ করতে চান। শিক্ষাজীবনের প্রতিটি ধাপে সাদিক কায়েম অপূর্ব মেধার পরিচয় দিয়ে এসেছেন। সাদিক কায়েম যে এলাকা থেকে উঠে এসেছেন, সেখান থেকে খুব কম সংখ্যক ছেলে এ যাবৎ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গা করে নিতে পেরেছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় খুব ভালোভাবে টিকে যান এবং একাধিক সংগঠনের প্রধান হিসেবে তিনি কাজ করেছেন। তার নেতৃত্বের গুণটা তার ভেতর আগে থেকেই আছে। এবার ভিপি হিসেবে তিনি কতটা সফল হবেন, তা সময় বলে দেবে।

জীবনে বড় কিছু অর্জন করতে হলে শুধু মেধা থাকলেই চলে না, তার সাথে দরকার দৃঢ় সংকল্প আর সততা। এই নির্বাচন প্রমাণ করলো যে, যখন মেধা আর সততার সমন্বয় ঘটে, তখন যেকোনো বাধা অতিক্রম করা সম্ভব। ছাত্র রাজনীতিকে কলঙ্কমুক্ত করে নতুন একটি উদাহরণ সৃষ্টি করার এই সুযোগ এসেছে, যা আগামী প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। বিজয় শুধু একটি পদের নয়, বরং লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীর প্রত্যাশার। এই পথচলা যেন নতুন দিনের সূচনা করে।

সংক্ষিপ্ত জীবনী :

ডঃ তারনিমা ওয়ারদা আন্দালিব, বর্তমানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক এবং যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইমপ্যাক্ট গ্রুপে গ্লোবাল কনসালট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত আছেন।

দাউদ ইব্রাহিম হাসান, বর্তমানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় একজন রিসার্চ এসিস্ট্যান্ট হওয়ার পাশাপাশি ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য এবং যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে নিয়োজিত থাকার পাশাপাশি আইডিএলসি ফাইনান্স পিএলসিতে মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টের একজন সদস্য হিসেবে নিয়োজিত আছেন।


সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ৬১৮টি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে মোট ৪২ হাজার ৬১৮টি ভোটকেন্দ্র স্থাপনের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে ব্রিফিংকালে ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, 'আমাদের রোডম্যাপের আওতায় আজ ভোটকেন্দ্রের সংখ্যাগত একটি হিসাব প্রকাশ করছি। বর্তমানে ১০টি অঞ্চলের আওতায় ৬৪ জেলায় ৩০০ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৬১ লাখ ৬১ হাজার ২০১ জন। এবার গড়ে প্রতি ৩ হাজার ভোটারের জন্য একটি ভোটকেন্দ্র করার ভিত্তিতে মোট ৪২ হাজার ৬১৮টি ভোটকেন্দ্র প্রস্তাব করা হয়েছে।'

ইসি সচিব আরও জানান, ভোটকেন্দ্রে পুরুষ ও মহিলা ভোটকক্ষের পৃথক হিসাব করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে গড়ে ৬০০ পুরুষ ভোটারের জন্য একটি এবং ৫০০ মহিলা ভোটারের জন্য একটি করে ভোটকক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ হিসাবে পুরুষ ভোটকক্ষ হবে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৩৯টি এবং মহিলা ভোটকক্ষ হবে ১ লাখ ২৯ হাজার ১০৭টি। সব মিলিয়ে মোট ভোটকক্ষ দাঁড়াবে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৬টি।

তিনি বলেন, গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র ছিল ৪২ হাজার ১৫০টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৬১ হাজার ৪৭২টি। এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে, তবে ভোটকক্ষের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কমেছে।

সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, আজ প্রকাশিত খসড়া তালিকার ওপর দাবী-আপত্তি ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গ্রহণ করা হবে। দাবী-আপত্তি নিষ্পত্তি হবে ১২ অক্টোবর। এরপর ২০ অক্টোবর চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করা হবে।


স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের পথে মির্জা ফখরুল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার সহধর্মিণী রাহাত আরা বেগমের চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন।

আজ সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান সাংবাদিকদের জানান, রাহাত আরা বেগমের চিকিৎসকের শিডিউল আগে থেকেই নেওয়া ছিল। সেই অনুযায়ী আজ তারা সিঙ্গাপুর গেছেন।

তিনি জানান, সকাল ৮টা ১০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তারা রওনা হন। তবে, চিকিৎসার জন্য তারা কতদিন সিঙ্গাপুরে থাকবেন, তা জানাননি শায়রুল।


বিএনপি হলো সেই রাজনীতিক দল যে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছে: মির্জা ফখরুল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিবরমির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একটা কথা সব সময় মনে রাখতে হবে। বিএনপি হলো সেই রাজনীতিক দল যে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছে।

সোমবার(৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ঠাকুরগাঁও বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বড় মাঠে জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি হলো সেই রাজনীতিক দল যে আমাদের মিডিয়ার স্বাধীনতা নিশ্চিৎ করেছে। বিএনপি হলো সেই রাজনীতিক দল যে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ২১ দফাকে কেন্দ্র করে বেগম জিয়া নতুন বাংলাদেশের রুপকল্প দিয়েছিলেন। ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থা বাংলাদেশ তছনছ হয়েগেছে, ভেঙ্গে গেছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে গেছে সেগুলোকে আবার নতুন করে গড়ে তুলবার জন্য। দেশের সকল রাজনৈতিক কাঠামো গড়ে তুলবার জন্য, নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবার জন্য ৩১ দফা কর্মসূচী প্রণয়ন করেছে।

তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আজকে সম্মেলনের মধ্য দিয়ে এ জেলায় নতুন একটি বিএনপি গঠন করবেন। যে বিএনপি একদিকে নতুন পথ দেখাবে। তেমনি অন্যদিকে গণতান্ত্রিক ঠাকুরগাঁও প্রতিষ্ঠিত করবে।

এ সময় তিনি সম্মেলনের সফলতা কামনা করেন এবং সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়াও বিএনপির কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাসুজ্জামান দুদু সহ স্থানীয় অন্যান্য নেতাকর্মীরা।


ঠাকুরগাঁওয়ে ৮ বছর পর জেলা বিএনপির সম্মেলন ঘীরে উচ্ছাসিত নেতাকর্মীরা 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

দীর্ঘ ৮ বছর পর আগামী ৮ই সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেলা বিএনপির দ্বি-বাষিক সম্মেলন। এই সম্মেলন ঘিরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে উচ্ছাস, উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে।

সর্বশেষ ২০১৭ সালে বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন বাঁধার মুখে আর হতে পাড়েনি কোন সম্মেলন। এবারে অভ্যুত্থানে পরে অনেকটাই আন্দন ও উৎসাহ নিয়েই প্রস্তুতী চলছে এই সম্মেলনের। ইতিমধ্যে মঞ্চ তৈরীর কাজ চলছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে টাঙ্গানো হয়েছে ব্যানার ফেস্টুন। তবে প্রার্থী,কাউন্সিলর ও বিএনপির বিভিন্ন স্থরের নেতারা বলছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

সম্মেলনের নির্বাচন কমিশনের দেয়া তথ্য মতে, সম্মেলনে ১১ জন প্রার্থী মনোনয়ন নিয়েছিলেন। এর মধ্যে ৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহারও করেছেন। সবশেষ সভাপতি পদে রয়েছেন ১জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করবেন ৪জন প্রার্থী। এছাড়া সম্মেলনে কাউন্সিলর রয়েছেন ৮০৮জন।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়া সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান দুদু। এছাড়াও রংপুর বিএনপির তিনজন সাংগঠনিক সম্পাদক সহ বিভিন্ন স্থরের নেতাকর্মীরা থাকবেন।

সম্মেলনের প্রার্থীরা বলছেন বিএনপির এই সম্মেলন আগামী জাতীয় নির্বাচনে জোড়ালো ভূমিকা রাখবে। দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে যেই আসুক না কেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের নির্দেশেই এগিয়ে যাবে দলটি।

এদিকে সম্মেলনের কাউন্সিলর ও বিএনপির বিভিন্ন স্থরের নেতা-কর্মীরা বলছেন,এই সম্মেলনের মাধ্যমেই জেলায় আরো বেশি শক্তিশালী হবে বিএনপি। আমরা প্রত্যাশা করছি কর্মীবান্ধব নেতৃত্বই আসবে এই সম্মেলন থেকে। তবে মহাসবিচ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যা বলছেন তাই মাথা পেতে নেবে সকলে। তঢাগীদের দলে পদ পদবিতে জায়গা হবে এটাই প্রত্যাশা দলের নেতাকর্মীদের।

সম্মেলনের নির্বাচন কমিশন অ্যাডভোকেট বদিউজ্জামান চৌধুরী বলেন,সম্মেলন নিয়ে সকল প্রস্তুতী সম্পূর্ণ রয়েছে বলে জানালেন নির্বাচন কমিশনার। আমরা আশা করছি একটি সুষ্ঠু সুন্দর সম্মেলন উপহার দিতে পাড়বো।

ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, সম্মেলন ঘিরে পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন স্থরের নেয়া হয়েছে ব্যবস্থা। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও থাকবে আমাদের সাথে।


নুরকে দেখতে হাসপাতালে মির্জা ফখরুল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে তিনি ঢামেক হাসপাতালে যান। এ সময় তিনি নুরের শারীরিক অবস্থার ও চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।

মির্জা ফখরুল নুরের চিকিৎসকের সাথে কথা বলেন এবং দ্রুত সুস্থতা নিশ্চিত করতে চিকিৎসার বিষয়ে সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।

এ সময় মহাসচিবের সাথে ছিলেন বিএনপির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন।

এর আগে রাজধানীর কাকরাইলে ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানকে দেখতে গিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব। গতকাল রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় দুষ্কৃতিকারীদের হামলার শিকার হন খন্দকার লুৎফর রহমান।


রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

সোমবার (০১ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তার বাসভবন যমুনায় সাক্ষাৎ করেন সেনাপ্রধান। পরে সেখান থেকে বেরিয়ে বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

এর আগে রোববার সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সেনাপ্রধান।

এদিকে ২১ আগস্ট সরকারি সফরে চীনে যান সেনাবাহিনী প্রধান। বুধবার রাতে তিনি দেশে ফেরেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, সফরে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) স্থলবাহিনীর পলিটিক্যাল কমিসার জেনারেল চেন হুইসহ চীনের উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়সহ রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে সহায়তা নিয়ে আলোচনা করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআরের পক্ষ থেকে বলা হয়, সেনাবাহিনী প্রধান ২২ আগস্ট চীনের পিএলএ সদরদপ্তরে পৌঁছালে তাকে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে তিনি পিএলএর স্থলবাহিনীর পলিটিক্যাল কমিসার জেনারেল চেন হুইর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে তারা দু-দেশের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা, জনগণের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রত্যাবর্তনে সহায়তা বিষয়ে আলোচনা করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশের সামরিক শিল্পের উন্নতিতে চীনের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।

অন্যদিকে রোববার দেশের প্রধান তিনটি দল বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। ওই বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এ ছাড়া আগামীকাল মঙ্গলবার (০২ সেপ্টেম্বর) আরও ৭টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা।

সোমবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, আরও সাতটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।


আজ বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আজ ১ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে আলোচনা সভা, শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে বিএনপি। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের এই দিনে বিএনপি গঠন করেন। তিনি ছিলেন দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।

১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে জিয়াউর রহমান শহীদ হন। এরপর নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে ১৯৮৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বিএনপির হাল ধরেন তার সহধর্মিণী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি দলের চেয়ারপারসন। ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করে এবং মিথ্যা মামলায় কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন তারেক রহমান। তিনি ২০০৭ সালের সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় থেকে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। সেখান থেকেই দক্ষতার সঙ্গে দল পরিচালনা করছেন তিনি।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকাল ছয়টায় বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। বেলা ১১টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফাতেহা পাঠ করা হবে। জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। এতে অংশ নেবেন বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা। এদিন দেশব্যাপী জেলা ও মহানগরে আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য র‍্যালি হবে।

দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া এক বাণীতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের অধিকার আদায়, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করাই বর্তমানে বিএনপির মূল লক্ষ্য।

তিনি বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী আদর্শের সঙ্গে জনগণকে একত্রিত করার লক্ষ্যে মহান স্বাধীনতার ঘোষক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। দিনটি বাংলাদেশি মানুষের জন্য আনন্দ, উদ্দীপনা ও প্রেরণার। দলটি দেশের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা এবং শক্তিশালী সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রকে স্থায়ী রূপ দেওয়ার নীতিতে অঙ্গীকারবদ্ধ।’

তারেক রহমান বলেন, স্বাধীনতার পরপরই একদলীয় বাকশালী শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়, যা গণতন্ত্রকে হত্যা করে। সেই সময়ের আওয়ামী শাসন ব্যবস্থায় সহিংসতা, বিশৃঙ্খলা এবং রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। যার ফলে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে ১০ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করে। তৎকালীন আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী বাকশাল কায়েম করে স্বৈরশাসনকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করে এবং বিচার বিভাগ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্ব করে।

শহীদ জিয়াউর রহমান পুনরায় বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত করেন এবং নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন। তার নেতৃত্বে বিএনপি বিগত ৪৭ বছরে কয়েকবার নির্বাচনে অংশ নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেছে।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরউত্তম-এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘নানামুখী চক্রান্তের মধ্যেও দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিএনপি অতন্দ্র প্রহরীর মতো দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। নির্বাসিত গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে অসংখ্য নেতাকর্মী জীবন উৎসর্গ করেছেন।’

তিনি ৮০’র দশকে ৯ বছরের সামরিক স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপির আপসহীন ভূমিকার কথা স্মরণ করেন। ১৯৯১ সালে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালনকালে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করে দেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান দৃঢ় করা হয়।

তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপি বারবার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। তাই আজ বিএনপি সমধিক জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দলের আদর্শিক ভিত্তি উদারনীতি এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক নীতি উদারপন্থি রাজনীতির দ্বারা অনুপ্রাণিত। দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ও নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য, ব্যাংক ঋণ, বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও রেমিট্যান্স ব্যবস্থায় যুগান্তকারী অগ্রগতি এনেছে। এর ফলে দেশীয় অর্থনীতি শক্ত ভিত্তিতে দাঁড়াতে শুরু করেছে।’

তিনি বলেন, ‘জনগণের আস্থা অটুট রেখে বিএনপি দেশের সেবায় নিবেদিত থাকবে। যারা দলের জন্য জীবন দিয়েছেন, তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা। প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে আইনের শাসন, স্বাধীন মত প্রকাশ, সংবাদপত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, সুশাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাই বিএনপির অঙ্গীকার।’

তারেক রহমান দেশের গুম, গুপ্তহত্যা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নারী ও শিশুদের ওপর সহিংসতা, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তি রোধেও গুরুত্বারোপ করেন।


চীন থেকে ফিরেই নুরের খোঁজ নিতে ঢামেকে নাহিদ-সার্জিস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সম্প্রতি চীন সফর শেষে দেশে ফিরেই গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম, সার্জিস আলমসহ দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।

রোববার (৩১ আগস্ট) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নুরের খোঁজ নিতে যান এনসিপি নেতারা। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হাসপাতালে পৌঁছান তারা।

এনসিপি নেতারা নুরের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন এবং হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

এ সময় এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিবসহ আরও কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের সংঘর্ষের পর আল রাজী টাওয়ারের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিপেটায় গুরুতর আহত হন নুরসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। ঘটনাস্থল থেকে নুরকে উদ্ধার করে হাসপাতালের দিকে নিয়ে যান সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।


banner close