প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের তোলা সেলফি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকারের কোনো বন্ধু নেই বলে বিএনপি নেতারা এত দিন ধরে যে অপপ্রচার চালিয়ে আসছেন, তার যথার্থ জবাব এই সেলফিতেই প্রতিফলিত হয়েছে।
সোমবার এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। এতে রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘শিষ্টাচারবিহীন ও অমার্জিত বক্তব্যে’র নিন্দা এবং প্রতিবাদও জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী পদক্ষেপ ও গৃহীত নীতির কারণে গত দেড় দশকে বাংলাদেশ যে সফলতা অর্জন করেছে তা নজিরবিহীন। সফলভাবে রাষ্ট্র পরিচালনায় অসাধারণ যোগ্যতা ও দক্ষতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশ্বনেতাদের সম্মানসূচক অভিব্যক্তিতে তারই প্রতিফলন ঘটেছে। যার মধ্য দিয়ে বিশ্বনেতারা শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।’
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাংলাদেশ সদস্য না হওয়া সত্ত্বেও বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর সমন্বয়ে গঠিত জি-২০ সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতি বিশ্বনেতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। সুদক্ষ নেতৃত্ব, অসাধারণ ব্যক্তিত্ব এবং কর্মকুশলতার উজ্জ্বল প্রভায় বিশ্বনেতাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন শেখ হাসিনা। রাষ্ট্র পরিচালনায় তার মেধা, মনন, সততা ও সাফল্যে এক সময়ের দারিদ্র্যপীড়িত অনিশ্চিত অর্থনীতির বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাখোঁসহ বিশ্বনেতারা শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর গৌরবোজ্জ্বল উপস্থিতি দেশের আপামর জনগণকে অনন্য মর্যাদায় অভিষিক্ত ও গর্বিত করেছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের তোলা সেলফি নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে বক্তব্য প্রদান করেছেন, তা শুভবোধ সম্পন্ন কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছ থেকে জাতি প্রত্যাশা করে না।’
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে ক্ষমতার উৎস দেশের জনগণ। জনগণই একটি রাজনৈতিক সংগঠনের প্রধান শক্তি। প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংগঠন জনগণের উপরই নির্ভর করে এবং জনমতকে ধারণ করেই সুসংগঠিত হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্টের তোলা সেলফি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনবে এমনটা নয়, তবে তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্কের ইঙ্গিত বহন করে। বর্তমান সরকারের কোনো বন্ধু নেই বলে বিএনপি নেতারা এত দিন ধরে যে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে, তার যথার্থ জবাব এই সেলফিতেই প্রতিফলিত হয়েছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টই নয়, অন্যান্য বিশ্বনেতারাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উষ্ণ মনোভাব নিয়ে কুশল বিনিময় করেছেন, যার ছবি ও সংবাদ ইতোমধ্যে পণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। দেশপ্রেমিক কোনো ব্যক্তি কিংবা রাজনৈতিক সংগঠন দেশকে বন্ধুহীন করার আকাঙ্ক্ষা লালন-পালন করতে পারে না। কিন্তু বিএনপি এই হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থেকে দীর্ঘদিন ধরে দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতৃবৃন্দ লাগাতারভাবে তাদের বিদেশি প্রভুদের দ্বারে দ্বারে ধর্ণা দিচ্ছে। একইসঙ্গে তারা বিদেশি প্রতিনিধি এবং সংস্থাগুলোর কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে। তাদের সরবরাহকৃত বানোয়াট ও মিথ্যা তথ্যে বিভ্রান্ত হয়ে কেউ কেউ বিরূপ মন্তব্য করলে বিএনপি পুলকিত বোধ করে এবং বিষয়টিকে রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে দাঁড় করানোর চক্রান্ত করে। আবার যখন সত্য উন্মোচিত হয়। তখন তারা নতুন ষড়যন্ত্রের জাল বোনে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে কথা বলেছেন। এই ভিসানীতিকে সরকারের পক্ষ থেকেও সাধুবাদ জানানো হয়েছে। ভিসানীতি নিয়ে সরকার কখনো কোনো অস্বস্তিতে ছিল না। বরং ভিসানীতির কারণে তথাকথিত আন্দোলনের নামে বিএনপির আগুনসন্ত্রাস এবং ধ্বংসাত্মক অপরাজনীতির উপর একটি বিধি-নিষেধ আরোপিত হয়েছে।’
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা প্রতিনিয়ত সাফল্য ও অগ্রগতির নতুন নতুন মাইলফলক অতিক্রম করছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা জাতির সামনে যে অঙ্গীকার করেছেন তিনি তা সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করে চলেছেন। এক সময় বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মঙ্গল-ঘরা পীড়িত এবং খাদ্য ঘাটতিতে জর্জরিত ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশ ছিল। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে সে সংকট জয় করে বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে এবং অতি দারিদ্র্যের হার ২৫ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে। দেশের শতকরা ২৯ ভাগ মানুষ বিভিন্ন ভাতার আওতায় এসেছে। সারাদেশে ১০ লাখের বেশি ভূমিহীন গৃহহীন পরিবারকে বিনামূল্যে ঘর দেয়া হয়েছে। পদ্মাসেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়েসহ একের পর এক মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ নেতৃত্বে ধারাবাহিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির মধ্য দিয়ে বিশ্বসভায় বাংলাদেশ আজ একটি আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি ভারতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে শেখ হাসিনার সরব উপস্থিতি তারই প্রমাণ।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশের সম্মান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করতে ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও নিরলস পরিশ্রমের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা, কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।’
বাংলাদেশের সীমান্তপথে ভারতীয় নাগরিকদের পুশ-ইন চলছে, অথচ সরকার এ বিষয়ে একটি কথাও বলছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ বিষয়ে সরকারের নীরবতার তীব্র সমালোচনা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শেখ হাসিনার নীতিকেই অনুসরণ করছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে রবিবার (১১ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ফোরামের আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘সাতক্ষীরা, কুড়িগ্রাম, খাগড়াছড়ি, মৌলভীবাজার—এসব সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে লোক ঢোকানো হচ্ছে, সরকার কিছু বলছে না। কোথায় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়?’
তিনি বলেন, ‘শুনেছি একজন খুব শক্তিশালী উপদেষ্টা রয়েছেন—খোদা বখস। তিনি নাকি স্বরাষ্ট্র বিষয়ক সব কিছু দেখেন এবং খুবই ক্ষমতাবান। আবার শোনা যায়, তিনি বিএনপিকে পছন্দ করেন না। নিজের মতো করে সব গুছিয়ে রাখেন। তাহলে এত ক্ষমতাবান উপদেষ্টা থাকার পরও আজ সীমান্তে ভারতীয় নাগরিকদের পুশ-ইনের মতো ঘটনা ঘটছে কেন?’
অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘এই সরকারকে সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল সমর্থন করেছে। তারপরও পার্শ্ববর্তী দেশ কী সাহসে সীমান্ত দিয়ে জোর করে লোক ঢোকাচ্ছে? সরকার কেন এ নিয়ে নিশ্চুপ? শেখ হাসিনা যেমন সীমান্তে হত্যার সময় প্রতিবাদ করতেন না, বর্তমান সরকারও আজ নিরুত্তর।’
সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘এটি একটি রাষ্ট্রীয় অপরাধ। বাংলাদেশের জনগণকে কি এত দুর্বল জাতি ভাবছেন? মুক্তিযুদ্ধের দেশ, যে জাতি ৩০ লাখ শহিদ আর দেড় হাজার শিশু-কিশোরের রক্ত দিয়েছে, সে জাতিকে উপেক্ষা করে সীমান্ত দিয়ে লোক ঢোকানো হবে আর সরকার কিছুই বলবে না?’
রিজভীর অভিযোগ, ‘শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলেও জনগণের প্রত্যাশা পূরণে তারা ব্যর্থ।’
‘সরকার সংস্কারের কথা বলেছিল, জনগণ তা মেনে নিয়েছিল। বলা হয়েছিল, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, কিন্তু এখনও সে বিষয়ে সরকার নীরব। কেন এই নিশ্চুপতা?’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আব্দুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য রমেশ দত্ত এবং বৌদ্ধ ফোরামের নেতা সুশীল বড়ুয়া, প্রার্থ প্রতিম বড়ুয়া অপু প্রমুখ।
মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ বিশ্বের সকল মা’কে শ্রদ্ধা, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আজ মা দিবস উপলক্ষে তারেক রহমান তার ভেরিফাইড ফেসবুকে এক বাণীতে বলেন, ‘আজকের এই দিনে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মা’কে। আমি কামনা করি তাদের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক বিকাশ এবং অগ্রসর সমাজ বিনির্মাণে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জীবন কেটেছে নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম, ত্যাগ, নিরলস পরিশ্রম, জনগণের প্রতি মমতা ও অকৃত্রিম ভালবাসায়। তাঁর নেতৃত্বে বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় নারী শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটেছিল। বিএনপি’র শাসনামলে স্কুল থেকে ছাত্রীরা যাতে ঝরে না পড়ে তার জন্য দেশনেত্রী নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। আজকের এই দিনে নারী শিক্ষার আলোকবর্তিকা ‘গণন্ত্রের মা’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জানাই গভীর শ্রদ্ধা।’
মা দিবস একটি সম্মান প্রদর্শনজনক আন্তর্জাতিক দিবস উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘এই দিবস সমাজ ও পরিবারে মায়ের গুরুত্ব ও অবদানের জন্য উদযাপন করা হয়। এই দিবসে বিশ্বের সর্বত্র মায়ের এবং মাতৃত্বের অনুষ্ঠান করতে দেখা যায়। মায়ের জন্য প্রতিদিনই সন্তানের ভালবাসা থাকে, তবু স্বতন্ত্রভাবে ভালবাসা জানাতেই আজকের এই দিন।’
তারেক রহমান বলেন, ‘পরিবারে মা হচ্ছেন এক বিস্ময়কর প্রতিষ্ঠান। মহিয়সী মায়ের শিক্ষাতেই শিশুর ভবিষ্যৎ নির্মিত হয়। মা দিনের সব অবসাদ, ক্লান্তি ঘুচিয়ে সব সংগ্রামের মাঝেও সন্তানকে আগলে রাখেন। সুমাতার সাহচার্যে সন্তানের উৎকর্ষ ও প্রকৃত মানব-সত্ত্বার জাগরণ ঘটে, সন্তানের আত্মাকে করে নির্মল, স্বচ্ছ ও পবিত্র। বহু দেশ ও সংস্কৃতি মা দিবসের কর্মসূচি গ্রহণ করে এক অসাধারণ মাত্রা দিয়েছে। মাতৃত্বের প্রতি উৎসর্গিত এক অনন্য দিবস-মা দিবস। পৃথিবীর মধুরতম ডাক ‘মা’। ছোট এই শব্দের অতলে লুকানো থাকে গভীর স্নেহ, মমতা, আর পৃথিবীর সবচেয়ে অকৃত্রিম ভালবাসা।’
তারেক রহমান বলেন, ‘শৈশব থেকে আনন্দ-বেদনা-ভয় কিংবা উদ্দীপনার প্রতিটি মানবিক অনুভূতিতে জড়িয়ে থাকে মায়ের নাম। আজকের দিনে আমার প্রত্যাশা-সকল মা যেন তার সন্তানদের যোগ্য ও সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে সক্ষম হন। সন্তানকে নির্ভুল ও সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারেন কেবলমাত্র সুমাতা, যাতে জাতির আগামী ভবিষ্যত উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়।’
উল্লেখ্য পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র ও মধুর শব্দের নাম ‘মা’। প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার সারা বিশ্বে দিনটি ‘বিশ্ব মা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। সেই হিসাবে আজ ‘বিশ্ব মা দিবস’। দিবসটি এমন একটি বিশেষ দিন, যে দিন সব মায়েদের এবং যারা মায়েদের মতো, তাদেরকে পরিবার থেকে রাষ্ট্র পর্যন্ত সকল স্তরে সম্মান জানানো হয়।
দিবসটি উপলক্ষে আমাদের দেশের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
‘বিশ্ব মা দিবসের’ ইতিহাস অনেক বছরের পুরনো। মধ্যযুগে এক চর্চা চালু হয়েছিল যে, যারা কাজের জন্য যেখানে বড় হয়েছেন, সেখান থেকে চলে গিয়েছেন, তারা আবার তাদের বাড়িতে বা মায়ের কাছে ও ছোটবেলার চার্চে ফেরত আসবেন। সেটা হবে খ্রিস্টান ধর্মের উৎসব লেন্টের চতুর্থ রোববারে।
আধুনিক যুগে, মা দিবসের উৎপত্তি যুক্তরাষ্ট্র থেকে। সেখানে প্রতি বছরের মে মাসের ২য় রোববার পালিত হয় এ দিবসটি। যুক্তরাষ্ট্রের আনা জারভিস নামের এক নারী মায়েদের অনুপ্রাণিত করার মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্য সচেতন করে তুলতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। ১৯০৫ সালে আনা জারভিস মারা গেলে, তার মেয়ে আনা মারিয়া রিভস জারভিস মায়ের কাজকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য সচেষ্ট হন। ওই বছরই তিনি তার সান ডে স্কুলে প্রথম এ দিনটিকে ‘মা দিবস’ হিসেবে পালন করেন।
১৯০৭ সালের এক রোববার আনা মারিয়া স্কুলের বক্তব্যে মায়ের জন্য একটি দিবসের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন। ১৯১৪ সালের ৮ মে মার্কিন কংগ্রেস মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এভাবেই শুরু হয় মা দিবসের যাত্রা।
এই ধারাবাহিকতায় আমেরিকার পাশাপাশি মা দিবস এখন বাংলাদেশসহ অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, রাশিয়া ও জার্মানসহ শতাধিক দেশে মর্যাদার সঙ্গে পালিত হচ্ছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নিবন্ধন দ্রুত সময়ের মধ্যে বাতিল করতে হবে।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতকাল রাতে উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এরপর নাহিদ ইসলাম তার ভেরিফাইড ফেসবুকে এক পোস্টে বলেন, ‘বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে অভিনন্দন। সরকারকেও সাধুবাদ। দ্রুত সময়ের মধ্যে সকল সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন চাই। তবে জুলাই ঘোষণাপত্র ও বিচার প্রশ্নে আমাদের সংগ্রাম জারি রাখতে হবে। সারাদেশের ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
ফেসবুক পোস্টে নাহিদ ইসলাম আরো বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নিবন্ধন দ্রুত সময়ের মধ্যে বাতিল করতে হবে।’
গতকাল রাতে উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই সভায় সভাপতিত্ব করেন। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় রাত আটটার দিকে এ সভা শুরু হয়। সভা শেষে যমুনার সামনে রাত ১১টার দিকে ব্রিফিং করেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। তিনি আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত সম্পর্কিত উপদেষ্টা পরিষদের লিখিত বিবৃতি পড়ে শোনান।
উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে। সংশোধনী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল কোনও রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে।’
‘উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাস বিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেস-সহ আওয়ামী লীগ এর যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে।’
এর পাশাপাশি, ‘আজকের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে।’
বাংলাদেশের জনগণ রাজনীতিতে কোনোভাবেই গুম-খুন-অপহরণ-দুর্নীতি-লুটপাট-টাকা পাচার-বর্বর আয়নাঘরের প্রতিষ্ঠাতা পতিত পলাতক পরাজিত অপশক্তির পুনর্বাসন চায় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ‘বিএনপিসহ বাংলাদেশের পক্ষের প্রতিটি রাজনৈতিক দল জনগনের এই দাবির সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট যারা সংবিধান বারবার লঙ্ঘন করেছেন, দেশে অবৈধ সংসদ এবং সরকার গঠন করেছে, যারা সংবিধান লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
গতকাল শনিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৌদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিএনপি।
বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারকে সফল দেখতে চায় উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, বিএনপি তাদের মতামত সরকারকে সুস্পষ্ট ভাবে ও আইনের ব্যাপারে সরকারকে জানিয়েছে। সরকারের কার্যক্রম সম্পর্কে জনগনের সামনে যাতে স্বচ্ছ ধারণা থাকে, এই কারণে বিএনপি প্রথম থেকে এই সরকারের কাছে তাদের একটি কর্মপরিকল্পনা-পথনকশা ঘোষণার আহ্বান বার বার জানিয়ে আসছে। সরকারের কার্যক্রম সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা যদি জনমনে থাকে তাহলে কোনো রকমের সংশয়-সন্দেহ কিংবা বিভ্রান্তি সৃষ্টির সুযোগ থাকে না।
কেউ যেন ভোটের অধিকার কুক্ষিত করার ষড়যন্ত্র করতে না পারে সেজন্য জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নাগরিকদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে বিএনপি দেশে এমন একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে চায় যে সরকার জনগনের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবে। আমাদের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অধিকার, জনগনের দায়বদ্ধ একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে যার অবস্থান থেকে সর্তক এবং সজাগ থাকতে হবে।
ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের দুঃশাসন ও দুষ্কর্মসমূহের চিত্র এবং জুলাই-আগস্টের ঘটনাবলী বেশি করে প্রকাশের জন্য বাংলাদেশের গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘দেশের ফ্যাসিবাদ পতনের পর এখন গত ১৫ বছরের দুর্নীতি, কুকর্ম কিন্তু আলোচনায় রাখা দরকার। ফ্যাসিবাদের অপকর্ম যদি নিয়মিত প্রচার করতে পারি তাহলে মানুষ সচেতন হবে এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোর মাঝে কেউ বিভেদ উস্কে দিতে পারবে না। ফ্যাসিবাদী শাসনের দীর্ঘ দেড় দশকে বিভিন্ন সময় জঙ্গী নাটক ও ধর্মীয় ব্যক্তিদের ওপর হামলা চালিয়ে ফ্যাসিস্টরা তাদের শোষণ-লুটপাটের ঘটনা আড়াল করতে চেয়েছিল।’
ফ্যাসিবাদী দেড় দশকে কক্সবাজারের রামু, ব্রাক্ষণবাড়ীয়ার নাসিরনগর, রংপুর, গাইবান্ধা, সুনামগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু ধর্মীয় জনগোষ্ঠির বাড়ি-ঘর-উপাসনালয় ঘটনাবলী নিয়েও গণমাধ্যমের কাছে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের অনুরোধ করে তিনি বলেন, ‘কারা এসব ঘটনার নেপথ্যে ছিল? তাদের উদ্দেশ কি ছিল? এসব নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে আমি বিশ্বাস করি, আগামী দিনে আর কেউ দেশের ধর্মী জনগোষ্ঠিকে নিয়ে দলীয় রাজনীতিতে ব্যবহারের সাহস করবে না। আগামী দিনে বিএনপি জনগনের রায়ে রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে ফ্যাসিবাদী দেড় দশকে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সঙ্গে যে অপ্রীতিকর, অনাহত ঘটনা ঘটেছে তার নেপথ্য কারণ খুঁজে বের করতে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ের একটি সর্বদলীয়, সর্বধর্মীয় ‘নাগরিক তদন্ত কমিশন’ গঠন করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।’
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা যদি ’৭১ সাল, ৭৫ সালের ৭ নভেম্বর, ’৯০ সাল এবং সর্বশেষ ’২৪ সালে বীর জনতার রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের যে ধারাবাহিকতা দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ বর্তমান দুইটা বিষয়ে সম্পূর্ণ ভাবে একমত। এক, বাংলাদেশকে যাতে আর কেউ ভবিষ্যতে তাবদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে না পারে। এবং দুই- গণতন্ত্র বিরোধী পলাতক অপশক্তি যাতে আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। এই দুইটা বিষয়ে জনগন আর কোনো আপস করতে রাজি নয়।’
বৌদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে বক্তব্যর শুরুতে সব বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের প্রতি শুভেচ্ছা জানান তারেক রহমান। তিনি বলেন, সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু এটি কোনো পরিচয় হতে পারে না। দলমত ধর্ম নির্বিশেষে প্রত্যেক নাগরিকের পরিচয় হচ্ছে আমরা বাংলাদেশি। প্রতিটি নাগরিক রাষ্ট্রের প্রতিটি অধিকার সমানভাবে ভোগ করবে এটিই বিএনপি মনে করে।
তিনি বলেন, সব ধর্ম ও মতের মানুষ সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সরকার প্রতিষ্ঠার আমাদের গণতান্ত্রিক রীতি, পদ্ধতির চর্চা ও বাস্তবায়ন প্রয়োজন। একটি নিরাপদ রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্বে এখন পর্যন্ত গণতন্ত্রই একমাত্র উত্তম বিকল্প। মানুষের গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নিয়ে বাংলাদেশে বিগত দেড় দশক ধরে যারা অথবা যে দলটি ফ্যাসিবাদী শাসন-শোষণ চালিয়েছিল, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগনের কাছে এরই মধ্যে তাদেরকে অপশক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা আপনাদের সবাইকে আহ্বান জানাবো আসুন সবাই মিলে দেশের উন্নয়ন ও শান্তি-সমৃদ্ধিতে শামিল হই। বিএনপিও আপনাদের জন্য কাজ করছে।
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, গৌতম বুদ্ধের জীবনী থেকে বেশকিছু শেখার আছে। আসুন আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সবাই মিলে একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলি। যাতে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়। কেননা, আমরা একটি ক্রান্তিকালে তথা রুপান্তরের সময়ে উপণীত হয়েছি। ফ্যাসিজম থেকে গণতন্ত্রের পথে রূপান্তর।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা সাংবিধানিকভাবে সবাই নাগরিক। আমরা সবাই বাংলাদেশি। আমাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তনের মাধ্যমে এই স্বীকৃতি পেয়েছি। আমরা সবাই মিলে একটি সুখী সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলি এই কামনা করছি।
বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সহ-সম্পাদক দীপেন দেওয়ানের সভাপতিত্বে ও সুভাষ চন্দ্রা চাকমার সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, বিজন কান্তি সরকার, লন্ডন বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক, কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্ অধ্যাপক দিলীপ কুমার বড়ুয়া এবং বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যে মৈত্রী দেওয়ান, সমীর দেওয়ান, সাথী উদয় কুসম বড়ুয়া, প্রবীণ চাকমা, অনিমেষ চাকমা, নিকোলা চাকমা, প্রার্থ প্রীতম বড়ুয়া, চন্দ্রা চাকমা, মানস থু চাকমা, লু থু মু মারমা প্রমুখ। ত্রিপিটক পাঠ করে অনুষ্ঠান শুরু হয়। ত্রিপিটক পাঠ করেন, এম শ্রী ইন্দ্র বংশ ভিক্ষু, ভদন্ত সুধর্ম ভিক্ষু, ভদন্ত সমৈত্রী রতন ভিক্ষু ও আনন্দ প্রিয় শ্রমন।
এখনই সময় এসেছে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে বিদায় জানানোর বলে মন্তব্য করছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ আওয়ামী লীগকে চায় না।’
শনিবার (১০ মে) বিকেলে চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড ময়দানে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে আয়োজিত তারুণ্যের মহাসমাবেশে তিনি এমন কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একদিকে আমরা এখানে সমাবেশ করছি, আরেক দিকে ঢাকায় সমাবেশ হচ্ছে নিউ মার্কেটে। দাবি একটাই—আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। দেশে তারা বাকশাল কায়েম করেছে।’
‘অথচ বহুদলীয় গণতন্ত্রের ভিত্তি দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়েছিলেন তিনিই। আর গার্মেন্টস শিল্পের ভিতও তার হাতে গড়া। কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা এনেছিলেন খালেদা জিয়া। আজ যারা বিদেশ থেকে এসে বড় বড় কথা বলেন, তারা যেন এই ইতিহাস ভুলিয়ে দিতে না পারেন,’ যোগ করেন তিনি।
তরুণদের উদ্দেশ্যে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তোমরা চাকরি চাও, ব্যবসা চাও, শান্তিপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চাও— এসব কিছুই তখনই সম্ভব, যখন দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র থাকবে। আজকের সমাবেশের আহ্বান, তরুণরা জেগে উঠো— ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াও, অধিকার ছিনিয়ে আনো।’
‘এক-দুজন নয়, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার অত্যাচারে লাখ লাখ মানুষ নির্যাতিত হয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ জীবন দিয়েছেন। ১৫ বছর সে গোটা জাতির ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। ২০ হাজারের মতো মানুষকে হত্যা করেছে। এক হাজার ৭০০ এর বেশি মানুষকে গুম করেছে।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে ছয় বছর কারাগারে অন্যায়ভাবে আটকে রেখেছিল। আমাদের নেতা তারেক রহমান, যার দিকে বাংলাদেশ তাকিয়ে রয়েছে, তিনি এখনো দেশে ফিরতে পারেননি। এই অবস্থার অবসান হয়েছে শুধু আমাদের তরুণ ভাইদের জন্য।’
তারেক রহমান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তিনি আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেন। দেশের স্বার্থের সঙ্গে আপস করবেন না। তিনি বলেছেন, ফয়সালা হবে রাজপথে— আজ সেটাই বাস্তব।’
তিনি আরও বলেন, ‘যুবদল স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের প্রচেষ্টায় প্রলোগ্রাউন্ড মাঠে আজ অভাবনীয় এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। চট্টগ্রামকে আমরা সবাই বিশেষ চোখে দেখি, কারণ আপনাদের এই শহর থেকেই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান।’
বক্তব্যের একপর্যায়ে শহীদ ওয়াসিমকে স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘ওয়াসিমের রক্তের বিনিময়ে এসেছে নতুন স্বাধীনতার সূচনা। তাকে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানাই।’
সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির।
উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল, যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এস এম জিলানী, ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদুল্লাহ ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান নাজিম।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধসহ তিন দাবিতে 'ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য'র ব্যানারে শাহবাগে শুরু হয়েছে গণজমায়েত।
শনিবার বিকেল তিনটা থেকে এই গন জমায়েত শুরু হয়। এর আগে গতকাল তিন দফা দাবিতে এই গণ জমায়েতের ডাক দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ।
তবে তিনি বলেছেন, এটি কোন নির্দিষ্ট দলের প্রোগ্রাম নয়। এটি সব দলের স্বতঃস্ফূর্ত প্রোগ্রাম। এরপর তিনি এক ঘোষণায় বলেন, আজকের এই গণজমায়েত 'ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য'র ব্যানারে অনুষ্ঠিত হবে।
তিন দাবিগুলো হলো—আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করা; আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করা এবং জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করা।
বিকেল তিনটা থেকে গনজমায়েত শুরু হলেও শাহবাগ অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল থেকেই শাহবাগ অবরোধ করে রেখেছে বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আজ সারাদিনও ছিলো শাহবাগ অবরোধ।
বিকেল তিনটার কিছু আগে শাহবাগে এসে উপস্থিত হন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, ইসলামি ছাত্রশিবিরের সাহিত্য সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ সিবগা, ইনকিলাব মঞ্চের শরীফ ওসমান হাদী, জুলাই ঐক্যের সংগঠক মোসাদ্দিক আলী ও এবি জুবায়ের। এরপর শুরু হয় গণজমায়েতের আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি।
এরপর একে একে শাহবাগে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের মিছিল। বিকেল চারটায় বড় একটি মিছিল নিয়ে শাহবাগে উপস্থিত হোন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এসময় সকলে সমস্বরে 'লীগ ধর জেলে ভর', 'ব্যান ব্যান আওয়ামী লীগ' স্লোগান দিতে থাকেন।
গণজমায়েতে সারজিস আলম বলেন, এই শাহবাগে ফ্যাসিবাদ শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। আজ সেই শাহবাগ থেকেই আওয়ামী ফ্যাসিবাদ নিষিদ্ধ করা হবে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত আমরা শাহবাগ ছাড়বো না।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেন, এই সরকার আমাদের। আমরা এই সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে নামতে আগ্রহী না। কিন্তু সরকারকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আজ উপদেষ্টা পরিষদের সভা থেকে কোন সিদ্ধান্ত না আসলে ভালো হবে না বিষয়টি। সভা থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত আসতে হবে।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধসহ তিন দাবিতে হওয়া শাহবাগ অবরোধ কর্মসূচিসহ নানা কর্মসূচি এখন থেকে 'ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য' ব্যানারে পালিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ।
তিনি বলেন, এই আন্দোলন কোনো একক দলের বা মতের নয়।
বাংলাদেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে একত্রিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন হাসনাত।
শনিবার দুপুরে নিজের ভ্যারিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি এই ঘোষণা দেন।
ফেসবুকে হাসনাত লিখেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গত দুই দিন ধরে ছাত্র-জনতা রাস্তায় অবস্থান করছে। এখনো পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফ্যাসিস্ট ও সন্ত্রাসী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারেনি।
বিভিন্ন মহল থেকে এই আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে দাবি করেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
তিনি বলেন, নানাভাবে আন্দোলনকে বিতর্কিত ও বিভক্ত করার প্রচেষ্টা চলছে। আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিচ্ছি, এই আন্দোলন কোনো একক দলের বা মতের নয়। সবার ঐক্যমতের ভিত্তিতে এখন থেকে আমাদের সব কর্মসূচি "ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য" ব্যানারে পালিত হবে।
ঢাকাসহ সারাদেশের ছাত্র-জনতাকে রাজপথে নেমে আসার আহবান জানিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আসুন, আমরা সবাই জুলাইয়ের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হই। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত গণঅভ্যুত্থানপন্থী সকল মত ও দল একত্রে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, জুলাই এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে গণঅভ্যুত্থানের শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ থাকবে, ইনশাআল্লাহ।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ছাত্র জনতার শাহবাগ অবরোধ কর্মসূচি গতকাল বিকেল পাঁচটা থেকে শুরু হয়ে এখন পর্যন্ত চলছে। আজ বিকেল থেকে আর দুইটি দাবি যোগ করে আন্দোলন কর্মসূচি পালিত হবে বলে ঘোষণা দেন হাসনাত।
দাবিগুলো হলো—আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করা; আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করা এবং জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করা।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধসহ তিনদফা দাবিতে শাহবাগে গণসমাবেশের ডাক দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এসসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
শুক্রবার ( ৯ মে) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এই কর্মসূচী ঘোষণা দেন তিনি। আজ (শনিবার) বিকাল ৩টা থেকে এই সমাবেশ শুরু হবে বলে জানান তিনি।
এছাড়াও, দেশের বিভিন্ন স্থানে জুলাই অভ্যুত্থানের সঙ্গে সম্পর্কিত স্থানগুলোতে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ জড়ো হওয়ার জন্য আহ্বান জানান হাসনাত।
দাবিগুলো হলো— আওয়ামী লীগকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচার সংক্রান্ত ধারা অন্তর্ভুক্ত করতে করা এবং জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র জারি করা।
এর আগে শুক্রবার ( ৯ মে) জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) হাসনাত আবদুল্লাহ বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটের দিকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ ঘোষণা দেন হাসনাত। পরে সেখানে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা।
তিনি বলেন, ‘ইন্টেরিমের (অন্তর্বর্তী সরকারের) কানে আমাদের দাবি পৌঁছায়নি। তাই আমরা সমাবেশস্থল থেকে শাহবাগ অবরোধে যাচ্ছি। দাবি না আদায় পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করব।’
ষড়যন্ত্র রুখে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়। এই দেশ জনগণের। আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। শুক্রবার রাজধানীর খামারবাড়িতে ইস্টার পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, যে প্রত্যাশা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, দেশ স্বাধীনের পর থেকে সেই প্রতিচ্ছবি আওয়ামী লীগের আমলে দেখা যায়নি। আওয়ামী লীগ সংবিধানকে নিজেদের দলীয় সংবিধানে পরিণত করেছিল। তাই সংবিধান সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই।
তারেক রহমান বলেন, ৫ আগস্ট যেভাবে হাসিনা পালিয়ে গেছেন সেভাবেই পালিয়ে গেছেন আবদুল হামিদ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নাকি কিছুই জানে না! তাহলে তারা জানেন কী? তিনি বলেন, জনমনে প্রশ্ন উঠছে, সংস্কারের নামে একদিকে অন্তর্বর্তী সরকার যেমন পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের দেশত্যাগের সুযোগ করে দিচ্ছে, অন্যদিকে ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোর মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে, দোসরদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। কিন্তু এই দেশ কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়, এই দেশটা জণগণের।
ফ্যাসিস্টরা দেশ ছেড়ে পালানোর পর দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুযোগ হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ ষড়যন্ত্র করতে না পারে। আমাদের যে যার জায়গা থেকে ভূমিকা রেখে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কার্টার সেন্টারের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। এসময় বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
শুক্রবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে ঘন্টাব্যাপী এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
কার্টার সেন্টারের ডেমোক্রেসি প্রোগ্রামের সিনিয়র সহযোগী পরিচালক জোনাথন স্টোনস্ট্রিট বৈঠকে ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ ইসমাইল জবিউল্লাহ, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিএনপি শামা ওবায়েদ ও বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তারও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে ড. আব্দুল মঈন খান আলোচনার ফলাফল বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
তিনি বলেন, দুটি প্রধান বিষয়—বাংলাদেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আসন্ন নির্বাচনের উপর বিশেষভাবে আলোকপাত করে গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, কার্টার সেন্টার আসন্ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারে। সম্ভাব্য সময়সীমার মধ্যে নির্বাচনের প্রক্রিয়াটি কীভাবে সম্ভব, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. মঈন স্মরণ করিয়ে দেন, ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
তিনি উল্লেখ করেন, সেই সরকার ৯০ দিনের মধ্যে সফলভাবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনা করেছে, যা আজ পর্যন্ত কোনো উল্লেখযোগ্য সমালোচনার মুখোমুখি হয়নি।
ড. মঈন বলেন, ‘একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রয়োজনীয় দাবি করা অযৌক্তিক। এটি অবশ্যই ৯০ দিনের মধ্যে করা যেতে পারে। ইতোমধ্যে ৯ মাস পার হয়ে গেছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই, মানুষ এটি নিয়ে কথা বলবে। বিএনপি এই বিষয়টি না তুললেও, জনগণ চুপ থাকবে না।’
তিনি বলেন, তাদের বৈঠকে নির্বাচন কখন অনুষ্ঠিত হতে পারে এবং এই বিষয়ে বিএনপির প্রত্যাশা কী তা নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি, যদি এই বছরের শেষের দিকে অথবা ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়—
তাহলে তা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।’
সাবেক মন্ত্রী ড. মঈন সতর্ক করে বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় দেরি হলে দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ৯ মাস আগের পরিস্থিতির চেয়ে ভালো নয়।’
স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য, একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিত্বশীল সরকার থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ড. মঈন বলেন, ‘যদি কোনো কারণে দেশের স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত হয়, তাহলে তা ১৮ কোটি মানুষের জন্য সুখকর হবে না...। যত তাড়াতাড়ি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের জন্য ততই ভালো হবে...। আমরা তাদের এটাই বলেছি।’
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থান ও সংগ্রামের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন পরিস্থিতির পার করে জনগণের সামগ্রিক কল্যাণের জন্য একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে যেতে চাই।
১৯৮২ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের প্রতিষ্ঠিত কার্টার সেন্টার বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার প্রচার এবং মানবিক দুর্ভোগ লাঘবের জন্য কাজ করে।
আসন্ন নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে চলমান আলোচনার অংশ হিসেবে বিএনপির সঙ্গে বৈঠকটি করেছে প্রতিনিধিদল।
সংস্কারের নামে সময় নষ্ট না করে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবেদীন ফারুক।
বুধবার (৭ মে) রাজধানীতে এক প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এই আহ্বান জানান। বাংলাদেশ জাতীয় নাগরিক পরিষদ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
ফারুক বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষ এখনই নির্বাচন চায়। নির্বাচন আয়োজনে আর দেরি করা উচিত নয়, কারণ এখনই এটি প্রয়োজন।’
তিনি সংসদ নির্বাচনের জন্য একটি রোডম্যাপ এবং জনগণের উপর অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারকারী আওয়ামী মাফিয়া শাসকদের গ্রেপ্তার এবং নির্বাচনের আগে তাদের বিচারের দাবিও জানান।
সংসদে বিরোধী দলের সাবেক প্রধান হুইপ ফারুক বলেন, সরকারের সংস্কার উদ্যোগ প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এমন কোনো সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ না করার আহ্বান জানান, যা ১/১১-এর মতো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নির্বাচন বিলম্বিত করতে পারে।
অধ্যাপক ইউনূসকে একজন সম্মানিত ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে বর্ণনা করে বিএনপির নেতা। তিনি তাকে এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানান। বলেন, ‘দয়া করে এর ব্যবস্থা করুন।’
তিনি বলেন, দেশের জনগণ একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সংসদ গঠন করবে।
ফারুক বলেন, জনগণ যদি তার দলকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনে তবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্রীয় সংস্কার প্রস্তাব পরবর্তী সংসদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। ‘কোথাও, একটি দাবার খেলা চলছে এবং সঠিক সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান থেকে আপনাকে বিরত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। আপনাকে এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে এবং আপনার উপদেষ্টাদেরও এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’
বিএনপি নেতা বলেন, সংস্কার এবং সংস্কার কমিশনের জন্যই সময় ব্যয় করা হচ্ছে। ‘নির্বাচনের আসল উদ্দেশ্য ব্যাহত করা হচ্ছে। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ বাংলাদেশপন্থী শক্তিগুলোকে ক্ষমতায় আনবে, যারা দেশের সমস্যা সমাধান করবে।’
মিয়ানমারের রাখাইনের জন্য একটি মানবিক করিডোর দেওয়ার সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টাকে তার অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা ও সরকার গঠনকারী দলের উপর বিষয়টি ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হয়ে লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছেন।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে চিকিৎসা পরবর্তী সময়ে তাঁর (খালেদা জিয়া) শারীরিক অবস্থা অনেকটাই সুস্থ এবং মানসিকভাবেও তিনি স্ট্যাবল (স্থিতিশীল)। তাঁর প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করায় তিনি দলীয় নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চেয়ারপার্সনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে দলীয় চেয়ারপার্সনের বাসভবন ‘ফিরোজা’র সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহর গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় প্রবেশের পর দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি এই ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখেন।
ডা. জাহিদ বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখন অনেকটাই সুস্থ। মানসিকভাবেও উনি স্ট্যাবল (স্থিতিশীল) আছেন। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হয়ে লন্ডন থেকে তিনি দেশে ফিরে এসেছেন।
তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ ও মানসিকভাবে দৃঢ় রয়েছেন। তার প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করায় তিনি নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, গত ৭ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত লন্ডনে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতা করায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যমকর্মীদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া।
তবে ১৪ ঘণ্টার জার্নি এবং দীর্ঘ সময়ের এ জার্নির কারণে উনি শারীরিকভাবে একটু অবসন্ন। তারপরও মানসিক ভাবে উনার অবস্থা অত্যন্ত স্থিতিশীল আছে বলেও ডা. জাহিদ উল্লেখ করেন।
বেগম খালেদা জিয়ার এই সুস্থতা যাতে অব্যাহত থাকে সেজন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন ডা. জাহিদ।
ডা. জাহিদ বলেন, বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের জন্য কাতারের ‘রাজকীয় বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’ ‘বিনাভাড়ায়’ দেয়ার জন্য কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং কাতার কর্তৃপক্ষের প্রতি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কতৃজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
আগামী ৯ মে (শুক্রবার) আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ। যার সংক্ষিপ্ত রূপ ইউপিবি বা আপ বাংলাদেশ। তবে এটি রাজনৈতিক দল নয়, রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম বলে জানিয়েছেন প্ল্যাটফরমের উদ্যোক্তা আলী আহসান জুনায়েদ।
গতকাল সোমবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানান তিনি।
তবে এর আগে জানা গিয়েছিল, রাজনৈতিক দল হিসেবে ঘোষণা হচ্ছে আপ বাংলাদেশ।
ওই পোস্টে জুনায়েদ বলেন, আগামী ৯ মে (শুক্রবার) বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (ইউপিবি/আপ বাংলাদেশ)। এটি মূলত একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম, দল নয়।
জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন করাই হবে এই প্ল্যাটফরমের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা বলে জানিয়েছেন তিনি।
জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের মধ্যে আলী আহসান জুনায়েদ অন্যতম। গত ফেব্রুয়ারিতে ঘোষণা হওয়া নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষ পদগুলোর মধ্যে একটি পদ পাওয়ার গুঞ্জন ছিল। পরে এক পোস্টে তিনি ওই দলে যাচ্ছেন না বলে জানান।
আজকের পোস্টে জুনায়েদ আরও বলেন, ‘দীর্ঘ মেয়াদে আমরা বাংলাদেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন করে যোগ্য ও নৈতিক নেতৃত্বের বিকাশ, সুবিচার ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করতে চাই। ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধের আলোকে সামাজিক চুক্তির পুনর্বহাল করে সাম্প্রদায়িক বন্ধন ও পারষ্পরিক শ্রদ্ধাপূর্ণ সমাজ গড়ায় কাজ করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ, আধিপত্যবাদ, ধর্মবিদ্বেষ ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে এই প্ল্যাটফরম কাজ করবে ইনশাআল্লাহ। আপনাদের সবার পরামর্শ, দোয়া ও সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। ৯ মে শহীদ মিনারে আপনাদের আমন্ত্রণ রইল।’