রোববার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩

উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হোন: মতিয়া

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী সোমবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক সড়কে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে বক্তব্য দেন। ছবি: ফোকাস বাংলা
আপডেটেড
২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২২:১৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২২:১১

দেশের উন্নয়নযাত্রা অব্যাহত রাখতে (প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে বেগবান করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী।

সোমবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক সড়কে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, দেশের চলমান উন্নয়ন ও অগ্রগতি ধরে রাখতে গণতন্ত্র ও স্থিতিশীল পরিবেশ প্রয়োজন। এটাই আমরা চাই, সবাই আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন বাংলাদেশে যেন গণতান্ত্রিক ধারাটা অব্যাহত থাকে।

সরকার পতনের হুমকি দিয়ে বিএনপি আবারও নিজেদের দেউলিয়াত্ব প্রকাশ করছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, দলটির হুমকিতে আওয়ামী লীগ আরও ঐক্যবদ্ধ হয়। বিএনপি কর্মগুণে নিজেরাই নিজ দলের জন্য হুমকিতে পরিণত হয়েছে।

দলটির সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য শাজাহান খান বলেন, বিএনপি শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বলে, যেন মামা বাড়ির আবদার।

তিনি বলেন, বিএনপির জনসমর্থন নেই অথচ বলে গণ-অভ্যুত্থানের কথা। এটা দলটির রাজনৈতিক অজ্ঞতা।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ দাবি করেন, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র করতেই বিএনপি নানা ধরনের কর্মসূচি দিচ্ছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে, আগামী নির্বাচনকে ভণ্ডুল করার উদ্দেশ্যে বিএনপি একের পর এক কর্মসূচি ঘোষণা করে যাচ্ছে। তবে সরকারি দল হিসেবে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব হচ্ছে দেশে যাতে কেউ শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট করতে না পারে। জনজীবনে নিরাপত্তা যাতে কেউ বিনষ্ট করতে না পারে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নূরুল আমিন রুহুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আব্দুর রহমান প্রমুখ।

বিষয়:

ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানী ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর বড় আকারের সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেইটে এ সমাবেশ আয়োজন করবে বলে জানিয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর বিকাল ৩টায় মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।

আজ শনিবার রাতে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

৭ জানুয়ারি ভোটের দিন রেখে তফসিল ঘোষণার পর ঢাকায় এটি হবে আওয়ামী লীগের প্রথম সমাবেশ। ভোট বর্জন করে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে হরতাল ও অবরোধ করছে। আর আওয়ামী লীগ ও তার শরিকসহ জাতীয় পার্টি ও অন্য দলগুলো নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে।

বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস ও পেট্রোল বোমা হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে এ সমাবেশ ডাকা হয়েছে। নিহত ও আহত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে সমাবেশ দ্রুত বিচার চাওয়া হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।

২০২২ সালের এ দিনে নয়া পল্টনে সমাবেশের ডাক দিয়েছিল বিএনপি। দলটির ওই কর্মসূচিকে ঘিরে রাজনীতিতে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। নয়া পল্টনে সমাবেশের অনুমতি না পেয়ে পরে সায়েদাবাদের গোলাপবাগে সমাবেশ করেছিল বিএনপি।

মহানগর আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, সমাবেশ সফল করতে ইতোমধ্যে মৌখিকভাবে ঢাকা মহানগরের ওয়ার্ড-থানা পর্যায়ের নেতাদের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সমাবেশে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি এ দিন রাজধানীর মূল সড়ক ও প্রবেশমুখগুলোতে সর্তক অবস্থান নেবে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা। ঢাকার প্রবেশমুখ যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, বুড়িগঙ্গা নদীতে থাকা দুই সেতুর মুখে অবস্থানে নেতাকর্মীরা থাকবেন বলে জানা যায় ।


ইসির সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগের আস্থা রয়েছে: ওবায়দুল কাদের

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সকল সিদ্ধান্তের বিষয়ে আওয়ামী লীগের পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ দুপুরে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

নির্বাচন কমিশন এখন সম্পূর্ণ স্বাধীন উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার এখন রুটিন ওয়ার্ক করবে। কমিশনের ব্যবস্থা আমাদের বিরুদ্ধে গেলেও তাকে আওয়ামী লীগ সাধুবাদ জানাবে। নির্বাচন সংক্রান্ত সারাদেশে যে কোনো ঘটনার বিষয়ে প্রশাসনিক এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা সংক্রান্ত তথ্য নেওয়ার এখতিয়ার এখন নির্বাচন কমিশনের। কমিশন নির্বাচন সংক্রান্ত যে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তাতে আস্থা আছে আওয়ামী লীগের।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচন সংক্রান্ত কোথাও কোনো সংঘাত, বিশৃঙ্খলা হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পুরো দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিবে আওয়ামী লীগ তা মেনে নিবে।’

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা অপরাধ নয় জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শাজাহান ওমরের মতো অনেকেই ভেতরে ভেতরে বলছেন জীবনেও আর বিএনপি করবো না। প্রার্থী স্বতন্ত্র হোক বা দল মনোনীত হোক- এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। বিএনপির নেতৃত্বের প্রতি দলটির নেতা-কর্মীরা হতাশ এবং আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। এ থেকেই দলটির সাবেক ও বর্তমান নেতারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। কাজেই অংশগ্রহণমুলক নির্বাচন বলতে যা বোঝায় ২৯ টি নিবন্ধিত দল অংশ নিয়েছে।’

বিএনপির ভুল নীতির জন্য দলটির নেতাদের দায়ী করে তিনি বলেন, ‘বিএনপির কর্মীরা হতাশ। তারা আওয়ামী লীগের প্রতি নয়, তাদের নেতাদের প্রতিই হতাশ। কারণ, বিএনপি নিজেরাই ভুল নীতি নিয়েছে। এ জন্য আজ নিজেরাই বিভক্ত হয়ে গেছে।’

কোনো দলকে ভেঙ্গে দেওয়া আওয়ামী লীগের নীতি নয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির চলমান একদফা দাবি গভীর গর্তে পড়ে গেছে। তাদের আন্দোলন ভুলের চোরাবালিতে আটকে গেছে। এখন যত চেষ্টাই করুক লাভ নেই। বিএনপি আর আন্দোলন করতে পারবে না।’

দেশের জনগণ ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে আছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ‘কিছু কিছু দল নির্বাচন বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকলেও জনগণ নির্বাচনমুখী। আন্দোলনের নামে কিছু দল নির্বাচন ঠেকাতে চেয়েছে এখনও চাচ্ছে। কিন্তু বিজয়ের মাসে নবশক্তিতে বলিয়ান জনগণ ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে আছে। তারাই বিএনপিকে প্রতিহত করবে।’

সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও সুজিত রায় নন্দী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনোয়ার হোসেন ও নির্মল চ্যাটার্জী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আ. লীগের স্বতন্ত্ররা ঢালাওভাবে নির্বাচন করতে পারবেন না : ওবায়দুল কাদের

আপডেটেড ১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২২:৫৫
বাসস

দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ঢালাওভাবে নির্বাচন করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

শরিকদের সঙ্গে আসন সমঝোতাসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রেখে সমন্বয় হবে এসব বিষয়ে।

শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

এসময় বিএনপির ১৫ জন কেন্দ্রীয় নেতাসহ সাবেক ৩০ সংসদ সদস্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘৩০ দলের নির্বাচনে অংশ নেয়া বড় সাফল্য। বিএনপিরও ১৫ কেন্দ্রীয় নেতা, ৩০ সাবেক সংসদ সদস্য এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। ইউরোপ-আফ্রিকা-ল্যাটিন আমেরিকায় অনেক দেশেই নির্বাচনে বিরোধী দল অংশ নেয় না। তাতে কি নির্বাচন অবৈধ ধরা হয়? কিছু দল না এলেই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না, অবৈধ হবে, এমন তো কথা নেই।’

তিনি বলেন, ৩০টি নিবন্ধিত রাজনীতির দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এটা একটা বড় সাফল্য। বিএনপিরও অনেকে অংশ নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান, মনজুর আলম, শওকত মাহমুদ, তৈমুর আলম খন্দকার, শমসের মবিন চৌধুরী, শাহজাহান ওমর, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আহসান হাবীব, এ কে এম ফখরুল ইসলামসহ ১৫ জন কেন্দ্রীয় নেতা এবং শাহ মোহাম্মদ জাফর ও মেজর আখতারুজ্জামানসহ সাবেক ৩০ জন এমপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে বহুদিন পর উৎসবমুখর পরিবেশ দেখা যাচ্ছে সারা দেশে। চোখে পড়ার মতো উৎসব। জনগণের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশই হচ্ছে নির্বাচন, কোন দল এল, না এল সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।’

ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপি নেতা শাহজাহান ওমরকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতা শাহজাহান ওমর আওয়ামী লীগ করতে ভালোলাগা থেকেই এসেছেন। এটা দলের কৌশলগত সিদ্ধান্ত।

শরিকদের সঙ্গে আসন সমঝোতাসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রেখে সমন্বয় হবে এসব বিষয়ে। ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও ঢালাওভাবে নির্বাচন করতে পারবে না।

কারও কথায় বা বাধায় নির্বাচনের ট্রেন থামবে না বলে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণের অংশগ্রহণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন মূল বিষয়। কোনো রাজনৈতিক দল অংশ নেবে বা না নেবে সেটা নিয়ে ভাবনা নেই। সুন্দর অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বিরাজমান। সে জন্য আপসহীন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সময়মতোই দেয়া হবে ইশতেহার; প্রায় চূড়ান্ত। সুবিধাজনক সময়ে ঘোষণা করা হবে।’

তিনি বলেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে দেশে যে সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করছে সেই বিষয়ে টিআইবি কিংবা সুজনের (সুশাসনের জন্য নাগরিক) মুখে কোনো কথা নেই। অথচ তারা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা বলে।

কাদের বলেন, বিএনপি নামে একটি দল আন্দোলনের যে চক্রান্ত করছে, আমি চ্যালেঞ্জ করছি, তাদের একটা হরতাল-অবরোধ, কোনো আন্দোলন সফল হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। তবে সন্ত্রাস তারা করতে পেরেছে।

এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এবং কার্যনির্বাহী সদস্য শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।


শোকজের জবাব দিলেন সাকিব

শোকজের জবাব দিয়ে আদালত থেকে বের হচ্ছেন সাকিব আল হাসান। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাগুরা প্রতিনিধি

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করা শোকজের জবাব দিয়েছেন মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। শুক্রবার বিকেলে মাগুরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে উপস্থিত হয়ে তিনি এ জবাব দেন। এর আগে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তাকে শোকজ করে নির্বাচন কমিশন।

শোকজের জবাব দিয়ে বের হয়ে সাকিব আল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রথমবার আমি ইলেকশনে অংশগ্রহণ করছি। স্বাভাবিকভাবেই ভুলত্রুটি হতে পারে, তবে তা আমার অজান্তে। সেগুলো সংশোধন করা আমার দায়িত্ব। যখন আমি সব নিয়মকানুন জানব, পড়ব, বুঝব; তারপর যদি হয় তখন আমার দোষ হতে পারে। কিন্তু এখন যেটা হয়েছে এটা নিতান্তই অনাকাঙ্ক্ষিত। নেক্সট টাইম যাতে এমন না হয়, সে বিষয়ে আমি খেয়াল রাখব।’

সাকিবের আইনজীবী সাজেদুর রহমান সংগ্রাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘২৯ নভেম্বর সাকিব আল হাসান মাগুরায় আসেন। তখন কামারখালী এলাকায় লোকজন জড়ো হন। সেখানে ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষিরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। সেখানে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না কিংবা দলীয় কাউকে তিনি রাখেননি। সুতরাং এতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়নি। তারপরও ভবিষ্যতে আমরা এ বিষয়ে সতর্ক থাকব। আইন মেনে চলব।’

এর আগে বৃহস্পতিবার মাগুরা-১ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধানী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সত্যব্রত শিকদার আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে সাকিব আল হাসানকে তলব করেন। তাকে শুক্রবার অনুসন্ধান কমিটির কাছে সশরীরে হাজির হয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তা ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। শোকজ পাওয়ার পর শুক্রবার সাকিব আল হাসান আদালতে উপস্থিত হয়ে তার ব্যাখ্যা দেন।


ত্রিশ দলের নির্বাচনে অংশ নেয়া বড় সাফল্য: ওবায়দুল কাদের

ছবি: বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ত্রিশ দলের নির্বাচনে অংশ নেয়া বড় সাফল্য। এমনকি বিএনপির ১৫ কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৩০ জন সাবেক সংসদ সদস্য এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ত্রিশ দলের নির্বাচনে অংশ নেয়া বড় সাফল্য এবং বিএনপিরও ১৫ কেন্দ্রীয় নেতা, ৩০ সাবেক সংসদ সদস্য এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। ইউরোপ-আফ্রিকা-ল্যাটিন আমেরিকায় অনেক দেশেই নির্বাচনে বিরোধী দল অংশ নেয় না। তাতে কি নির্বাচন অবৈধ ধরা হয়? কিছু দল না এলেই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না, অবৈধ হবে, এমনতো কথা নেই।’

তিনি বলেন, ৩০টি নিবন্ধিত রাজনীতির দল নির্বাচন অংশ নিচ্ছে। এটা একটা বড় সাফল্য। বিএনপিরও অনেকে অংশ নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে সৈয়দ একে একরামুজ্জামান, মনজুর আলম, শওকত মাহমুদ, তৈমুর আলম খন্দকার, শমসের মবিন চৌধুরী, শাহজাহান ওমর, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আহসান হাবীব, একে এম ফখরুল ইসলামসহ ১৫ জন কেন্দ্রীয় নেতা এবং শাহ মোহাম্মদ জাফর ও মেজর আখতারুজ্জামানসহ সাবেক ৩০ জন এমপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে বহুদিন পর উৎসবমুখর পরিবেশ দেখা যাচ্ছে সারাদেশে। চোখে পড়ার মতো উৎসব। জনগণের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশই হচ্ছে নির্বাচন, কোন দল এলো, না এলো সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।’

ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপি নেতা শাহজাহান ওমরকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিনেতা শাহজাহান ওমর আওয়ামী লীগ করতে ভালো লাগা থেকেই এসেছেন। এটা দলের কৌশলগত সিদ্ধান্ত।

শরিকদের সঙ্গে আসন সমঝোতাসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রেখে সমন্বয় হবে এসব বিষয়ে। ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও ঢালাওভাবে নির্বাচন করতে পারবে না।

কারও কথায় বা বাধায় নির্বাচনের ট্রেন থামবে না বলে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণের অংশগ্রহণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন মূল বিষয়।কোন রাজনৈতিক দল অংশ নেবে বা না নেবে সেটা নিয়ে ভাবনা নেই। সুন্দর অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বিরাজমান। সেজন্য আপসহীন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। সময়মতোই দেয়া হবে ইশতেহার; প্রায় চূড়ান্ত। সুবিধাজনক সময়ে ঘোষণা করা হবে।

কাদের বলেন, বিএনপি নামে একটি দল আন্দোলনের যে চক্রান্ত করছে, আমি চ্যালেঞ্জ করছি, তাদের একটা হরতাল-অবরোধ, কোনো আন্দোলন সফল হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। তবে সন্ত্রাস তারা করতে পেরেছে।

এসময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এবং কার্যনির্বাহী সদস্য শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।


ঝালকাঠি-১ আসনে নৌকার প্রার্থী হলেন 'বিএনপি' এর শাহজাহান ওমর

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ঝালকাঠি-১ আসনে (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর (বীরউত্তম)।

ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর রাজধানীর কারওয়ান বাজারে তার চেম্বারে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের বিষয়টি জানিয়েছেন। এ সময় তিনি বিএনপির সব পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন অনলাইনে মনোনয়নপত্র প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াও নৌকা প্রতীকে শাহজাহান ওমরের মনোনয়ন পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শাহজাহান ওমর বিএনপির মনোনয়নে ১৯৭৯, ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জোট সরকারের আমলে তিনি আইন প্রতিমন্ত্রী ও ভূমি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।


নির্বাচন সুষ্ঠু হবে এবং আন্তর্জাতিক মহলও একে সাধুবাদ জানাবে: কৃষি মন্ত্রী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে এবং আন্তর্জাতিক সচেতন মহলও এ নির্বাচনকে সাধুবাদ জানাবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইল-১ আসনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমিনের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। কিন্তু তারা বার বার ভুল করছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমা রয়েছে। আদালত কর্তৃক তারা অপরাধী। বেগম খালেদা জিয়াও এতিমের টাকা চুরি করায় তার বিরুদ্ধে শাস্তি হয়েছে। কাজেই তারা মনে করেন নির্বাচন হওয়া উচিত নয় এবং তারা নির্বাচন এলে দাঁড়াতে পারেন না।

এ সময় তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক মহলও পর্দার অন্তরাল থেকে বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বলেছে। কিন্তু তারা নির্বাচনে আসছে না। এ দেশে মুসলিম লীগ নামে একটি দল ছিল, সেটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপিও বিলুপ্ত হবে।


৮২ আসনে প্রার্থী দিল বিএনএম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ৮২টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)। বৃহস্পতিবার দলটির পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চলতি বছরের আগস্টে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেয়ে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল বিএনএম। তবে মাত্র ৮২ আসনে প্রার্থী দেয়ার ব্যাখ্যায় দলটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ‘আমাদের মনোনীত প্রার্থীদের তালিকা দেখলেই বুঝতে পারবেন যে আমরা কোয়ান্টিটিতে নয়, বরং কোয়ালিটিতে বিশ্বাস করি। এ কারণে দেশের বিভিন্ন আসন থেকে ৪৭৮ জন মনোনায়নপ্রত্যাশীর মধ্যে ৮২ জনকে চূড়ান্ত করেছি।’

বিএনএম মহাসচিব মো. শাহজাহানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে অবশ্যই বিপুল ভোটে তাদের প্রার্থীরা জয়ী হয়ে সংসদে অর্থপূর্ণ ও বলিষ্ঠ বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে পারবে। এসব চৌকস সদস্যকে নিয়ে সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে পারলে শিগগিরই দেশের রাজনীতিতে আমূল পরিবর্তন ঘটবে। জনগণ তাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত গণতান্ত্রিক পরিবেশ এবং সুশাসন ফিরে পাবে।

বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সাবেক নেতাদের দলে ভিড়িয়ে আলোচনায় উঠে এসেছিল বিএনএম। তাদের মধ্যে ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক এমপি শাহ মোহাম্মদ আবু জাফরকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়েছে দলটি। তিনি একই আসন থেকে বিএনএমের ‘নোঙ্গর’ প্রতীকে নির্বাচন করবেন।

এ ছাড়া দলটিতে যোগ দিয়ে মনোনয়ন নেয়া সাবেক এমপিদের মধ্যে আছেন নীলফামারী-১ আসনে জাফর ইকবাল সিদ্দিকী (জাতীয় পার্টি), বরগুনা-২ আসনে আব্দুর রহমান (বিএনপি), সাতক্ষীরা-৪ আসনের এইচ এম গোলাম রেজা (জাতীয় পার্টি ও বিকল্পধারা), সুনামগঞ্জ-৪ আসনে দেওয়ান শামসুল আবেদীন (বিএনপি) ও জামালপুর-৪ আসনে মামুনুর রশিদ (জাতীয় পার্টি, এরশাদ)।


বিএনপি নামক ‘কারাগারে’ বন্দি দলটির নেতারা

আপডেটেড ৩০ নভেম্বর, ২০২৩ ২০:১০
তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপির মূল নেতৃত্ব কার্যত তাদের দলের নেতাদের বিএনপি নামক কারাগারে বন্দি করে রেখেছে, যেখান থেকে বের হয়ে কেউ নির্বাচন করতে পারবে না।’

সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘এর কারণ হচ্ছে বিএনপি সমর্থন করলে কোনো নির্বাচন করা যায় না, সংসদ নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনও করা যায় না। আর তাদের সিদ্ধান্ত হয় ‘সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপার থেকে’ যার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিএনপির আজ অনেকেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বিএনপি নামক এই কারাগার থেকে অনেকেই বের হয়ে এসেছেন। সাবেক সংসদ সদস্যসহ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা অনেকেই দিয়েছেন। বিএনপির অনেক নেতা স্বীকার করেন এই সিদ্ধান্তগুলো বিএনপিকে ধীরেধীরে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’

হাছান মাহমুদ বলেন,‘ বিএনপি এখন আকাশের দিকে আর পশ্চিম দিকে তাকিয়ে থাকে- যদি কিছু হয়। এভাবে তো একটি দল টিকে থাকতে পারে না। বিএনপি আজকে আবার হরতাল ডেকেছে এবং আরও কর্মসূচি দেবে। কিন্তু এই হরতালে জনগণের কোনো উৎসাহ নেই। বিএনপির মূল নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীরা কেউ একমত নন। নির্বাচনী আমেজ ও ডামাডোলে বিএনপির সব কর্মসূচি হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে। তারা একটি হাস্যকর দলে রূপান্তরিত হয়েছে। আমি আশা করব বিএনপি এই অপরাজনীতির পথ থেকে বের হয়ে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসবে।’

‘ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)’ বলেছে, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না- এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন টিআইবি নির্বাচনের দিনেই দেখতে পাবে। টিআইবির প্রতি আমার প্রশ্ন, ২৮ অক্টোবর থেকে দেশে সহিংসতা চলছে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে, জাজেস কমপ্লেক্সে এমনকি পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালানো হলো, নার্সদেরকে অপদস্ত করা হলো, অ্যাম্বুলেন্সসহ ১৯টি গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হলো, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে হামলা চালানো হলো, জীবন্ত মানুষকে বাসের মধ্যে পুড়িয়ে হত্যা করা হলো, এ নিয়ে টিআইবির কী বক্তব্য?’

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘কাউকে ঘুষি মারলে, ধাওয়া করলে টিআইবি বিবৃতি দেয় আর অথচ এত চোরাগোপ্তা হামলা, অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা হচ্ছে সে নিয়ে আপনাদের জোরালো কোনো বক্তব্য দেখতে পাচ্ছি না। এভাবে টিআইবি আসলে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে। টিআইবি যদি মনে করে একটি দল অংশগ্রহণ না করলে সেটি অংশগ্রহণমূলক নয়, তাহলে সেটি টিআইবির চিন্তা বা বোঝার দৈন্য। আজকে দেশে যে উৎসাহ উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে ইনশাআল্লাহ নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে। গণতন্ত্রে দল নয়, জনগণের অংশগ্রহণই হচ্ছে মুখ্য।’

বিষয়:

নির্বাচনে বাধা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা নীরব কেন : ওবায়দুল কাদের

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

যারা প্রকাশ্যে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে কর্মসূচি দিচ্ছে তাদের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা ও দেশের তথাকথিত সুশীল সমাজ নীরব কেন এ প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনকে বাধা দিতে হরতাল, অবরোধ, নাশকতা চালানোর পর তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে কেউ কথা বলছে না। তার প্রশ্ন, তারা যা করছে এটা কী আন্দোলন? এটা তো নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করা। নির্বাচনকে যারা বাধাগ্রস্ত করছে, তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আসার কথা। এসব যে চলছে, এ ব্যাপারে কারো কোনো কথা নেই, সভ্য গণতান্ত্রিক দেশ অনেক বিষয়ে কথা বলে, কিন্তু এখানে নীরব কেন?

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে যারা মানবাধিকারের কথা বলে, বাংলাদেশের সুশাসনের কথা বলে, যারা ফ্রি ফেয়ার নির্বাচনের কথা বড় গলায় বলে, তারা আজকে একটা পক্ষের এসব অপকর্ম, গণতন্ত্র ও সংবিধানবিরোধী কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে কেন নীরব। এটা নিয়ে তো কেউ কিছু বলছে না। নির্বাচনকে যারা প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, যারা বাধা দিচ্ছে, তাদের ব্যাপারে তারা কেন নীরব? আমাদের দেশে যারা সুশীল সমাজ যারা মানবাধিকারের কথা বলেন, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন।’

বিএনপি অবরোধ কার বিরুদ্ধে করছে প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা হরতাল ডাকছে কার বিরুদ্ধে, এটা তো নির্বাচনের বিরুদ্ধে, নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে এসব কর্মকাণ্ড করছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা শুনেছিলাম আন্তর্জাতিকভাবে, নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হবে এমন কোনো কর্মকাণ্ড হলে, সেটা নির্বাচনবিরোধী কর্মকাণ্ড বলে বিবেচিত হওয়ার কথা। এখন তো সবাই নীরব। এখন কেউ কিছু বলে না। ইউরোপও কিছু বলে না, আমেরিকাও কিছু বলে না।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘হরতাল অবরোধকে কি কোনোভাবে ঢেকে রাখা যায়? পুলিশ হত্যাকে কী কোনোভাবে ঢেকে রাখা যায়? প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা, গাড়িতে অগ্নি সংযোগ করছে, এগুলো কী অন্ধকারে ঢেকে রাখা যাবে? এগুলো তো প্রকাশ্যে হচ্ছে।’

তিনি বলেন, আজকের বিশ্বে এখানকার খবর সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে যেতে কতক্ষণ লাগে? এখানকার কোনো খবর ল্যাটিন আমেরিকার কোনো দেশ বা দক্ষিণ আফ্রিকার কোনো দেশে পৌঁছতে কি দেরি হচ্ছে? ওয়াশিংটনের পৌঁছতে কি দেরি হচ্ছে? এসব নিয়ে তো কোনো কথা আমরা শুনছি না।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা অপকর্ম ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা তো হবে। আপনি প্রকাশ্যে পুলিশকে খুন করেছেন, সেটার সঙ্গে যে বা যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে না? তাদের জেলে পাঠানো হবে না? এটা কোন সভ্য দেশে আছে?
তিনি বলেন, ‘একটি পক্ষ নিজেরাই নির্বাচনের বাইরে আছে। কেউ তাদের বাইরে রাখেনি। আমরা বারবার বলে যাচ্ছি, আমরা চাই না কেউ নির্বাচনের বাইরে থাকুক।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে সংবিধানে একটি সময়সীমা আছে, সেই সময়সীমা অতিক্রম করে তফসিল পরিবর্তন আমরা কখনো সমর্থন করব না। সময়সীমাকে অতিক্রম করবে এমন কোনো পদক্ষেপ, এমন কোনো পরিবর্তন আমরা সমর্থন করব না।’

১৪ দলের শরিকদের আসন ছেড়ে দেয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘শরিক হলেই তাকে নমিনেশন দেয়া হবে না। নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার যোগ্য প্রার্থী না হলে শুধু শরিক বলেই কাউকে মনোনয়ন দেবে না আওয়ামী লীগ।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস এবং উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।


প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে গোপালগঞ্জ-৩ আসনের মনোনয়নপত্র দাখিল

আপডেটেড ২৯ নভেম্বর, ২০২৩ ১৮:৪৭
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া, সংসদীয় আসন-২১৭) আস‌নে আওয়ামী লীগ সভাপ‌তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনার প‌ক্ষে ম‌নোনয়নপত্র জমা দি‌য়ে‌ছেন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

বুধবার প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার চাচাতো ভাই সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলমের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়।

এসময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মো. শহিদ উল্লা খোন্দকার, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম. কামাল হোসেন, সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়, কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ ফজলে নাঈম, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী নাজমা আক্তার, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-০২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জিএম সাহাব উদ্দিন আজম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুন্সি আতিয়ার রহমান, পৌর মেয়র শেখ রকিব হোসেন, কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুলসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

গোপালগঞ্জ-৩ আসনে এ পর্যন্ত দুটি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। একটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবং অপরটি এনপিপির শেখ আবুল কালামের।


১২৩ আসনে প্রার্থী দিল তরীকত ফেডারেশন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়তে ১২৩ আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন। মঙ্গলবার দলটির যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র মো. আলী ফারুকী এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১২৩ আসনের প্রার্থীদের নাম জানান।

আরও বেশ কিছু আসনের জন্য আরও প্রার্থী অপেক্ষমাণ তালিকায় আছেন বলে জানিয়েছেন দলটির মুখপাত্র।

তাদের দেয়া তালিকা অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে ৩৮ আসনে, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৮ আসনে, রাজশাহী বিভাগে ১৬ আসনে, বরিশাল বিভাগে ১৪ আসনে, ময়মনসিংহ বিভাগে ১১ আসনে, রংপুর বিভাগে আট আসনে এবং খুলনা ও সিলেট বিভাগে চারটি করে আসনে প্রার্থী দিয়েছে তরীকত ফেডারেশন।

তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।


পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির বিষয় সমন্বয় হবে: কাদের

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৮ নভেম্বর, ২০২৩ ১৬:৫৩
বাসস

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির বিষয়টি সমন্বয় করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ৩০০ আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী থাকবে। তবে সমঝোতা হলে জোটের শরিকদের জন্য কিছু আসন ছেড়ে দেয়া হবে।

শরিক দলের মধ্যে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। এর মধ্যে আমরা পর্যবেক্ষণ করবো, সমন্বয় করবো। যেখানে যা প্রয়োজন তা করবো। ১৭ তারিখের মধ্যে সবকিছু ফাইনাল করা হবে।’

নৌকা মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতারাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে বিশৃঙ্খলা হবে কি না প্রশ্নের জবাবে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা দেখছি কারা কারা (নির্বাচনে অংশ নিতে) চাইছে। আমাদের কৌশলগত সিদ্ধান্ত আছে, ১৭ তারিখ পর্যন্ত সময় আছে। এর ভেতরে আমরা পরিবর্তন, সংশোধন করতে পারবো। আমাদের কৌশলগত দিক থাকবে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপিকে নির্বাচনে আনার কৌশল আমাদের নেই। তারা এলে স্বাগতম। তাদের দলের কেউ কেউ আসতে পারেন। কেউ কেউ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছেন। ৩০ তারিখের পর সব ঠিক হয়ে যাবে।’

সুষ্ঠু-অবাধ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা দলের মনোনীত প্রার্থী ও নেতা-কর্মীদের নির্বাচনী আচরণবিধি মানার নির্দেশ দিয়েছেন। আমাদের টার্গেট হলো শান্তিপূর্ণ, অবাধ-সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।’


banner close