বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

গাইবান্ধায় কী কারণে ভোট বন্ধ হয়েছে স্পষ্ট নয়: ওবায়দুল কাদের

ফাইল ছবি।
প্রতিবেদক,
প্রকাশিত
প্রতিবেদক,
প্রকাশিত : ১৩ অক্টোবর, ২০২২ ১৫:৪১

গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে কী কারণে ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, প্রিসাইডিং অফিসারদের ভাষ্যমতে, নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশে ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হয়েছে। তবে ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা হয়নি বলেও উল্লেখ করেন প্রিসাইডিং অফিসাররা।

নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে সিইসি যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা নগর পরিবহন ২২ ও ২৬নং বাস রুট যাত্রাপথের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার করে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি বিএনপির ‘মামার বাড়ির আবদার’ উল্লেখ করে কাদের বলেন, যে নেতা রাজনীতি না করার স্বার্থে মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়েছে, আগে তার মুচলেকা প্রত্যাহার করুন তারপর দেখা যাবে।

বিএনপির সমাবেশ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ঘোষণা দিয়ে সমাবেশ করলে ১০ লাখের বেশি লোক হবে; যা বিএনপি ঘোষণা দিয়েও এক লাখের মতো লোক জমায়েত করতে পারেনি।

বিএনপির নেতা-কর্মীর উদ্দেশে তিনি বলেন, রাজপথে ফয়সালা হবে, আন্দোলন করছেন ভালো কথা, তবে আবারও লাঠিসোটা ও আগুন সন্ত্রাস করলে সমুচিত জবাব দেয়া হবে।

কাদের বলেন, পরিবহনে যদি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে না আসে, তাহলে কোনো উন্নয়নই সুফল বয়ে আসবে না

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, সংসদ সদস্য সাদেক খান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।


বর্তমান সরকার শ্রমিকদের জন্য যা করেছে, অন্য কোন সরকার তা করতে পারে নাই: শেখ পরশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মহান মে দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণ ও উত্তরের উদ্যোগে এলিফ্যান্ট রোড এবং মিরপুর-১ গোলচত্বরে তীব্র তাপদাহে শ্রমজীবী মানুষের মাঝে সুপেয় পানি, তরমুজ, স্যালাইন ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। এ সময় বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকআলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল এমপি।অনুষ্ঠানগুলোতেসভাপতিত্ব করেন- দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, সঞ্চালনা করেন-ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা ও উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, সঞ্চালনা করেন-যুগ্ম-সম্পাদক তাসবিরুল হক অনু।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন-আজকে মহান মে দিবস। এই মে দিবসে প্রথমে স্মরণ করতে চাই, সেই সকল শ্রমজীবী মানুষদের যারা আমাদের মত “গাড়িঘোড়া চড়ার” লোভ করে না, যাদের স্বপ্ন শুধু মাত্র ন্যায্য এবং মৌলিক অধিকারগুলো আদায় করার মাধ্যমে মর্যাদার সাথে বেঁচে থাকা। একটি ভালো পোশাক আর তিনবেলা দু’মুঠো খাবার, আর রাতে ঘুমাবার জন্য একটা ঘর, এসবই অগণিত শ্রমজীবী মানুষের কাছে ‘স্বাধীনতা’র সমার্থক। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের মাধ্যমেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্ম। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সবসময় এদেশের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছে, কথা বলেছে। তিনি বলেন-কিন্তু আমরা দেখেছি ১৯৭৫-এর পর দেশের স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির দীর্ঘ সামরিক স্বৈরশাসন আমলে এদেশের খেটে-খাওয়া সাধারণ মানুষকে নিষ্পেষিত করা হয়েছে, বঞ্চিত করা হয়েছে। ওদের সেই দুর্বিষহ শাসনামলে স্বাধীন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে নির্যাতিত হতদরিদ্র মানুষদের দীর্ঘশ্বাস আকাশে-বাতাসে প্রকম্পিত হয়েছে। সেই অভিশপ্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিয়ে আমাদের প্রজন্ম বেড়ে উঠতে বাধ্য হয়েছে। স্বৈরশাসকদের আমলে দু’মুঠো ভাতের জন্য শিশুদের পরিণত হতে দেখেছি সামান্য অর্থের বিনিময়ে মীমাংসার বলি হতে। আজকে সেই প্রতিক্রিয়াশীল মহলের প্রেতাত্মারা দেশে-বিদেশে বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার করছে। একটা নির্বাচিত সরকারকে অবৈধভাবে হটানোর চক্রান্তে ওরা মত্ত। আমাদের নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ থাকার পরেও, ভোটা উপস্থিতি সন্তোষজনক থাকার পরেও আমাদের নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে অবিরাম মিথ্যাচার এবং অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে এই দেশি-বিদেশী প্রতিক্রিয়াশীল চক্র।

তিনি আরও বলেন-শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য যুগান্তকারী কাজ করছে বর্তমান সরকার। আরও যে কাজ করার যে সুযোগ রয়েছে, সেটা সবাই স্বীকার করবে। শ্রমিকদের জীবন মানেরও উন্নয়নে যুগান্তকারী কাজ করেছে বর্তমান সরকার, যার জলজ্যান্ত একটা নিদর্শন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য নির্মিত বিভিন্ন ভবনসমূহ। শ্রমিকদের কাজের উন্নত পরিবেশও খুব দরকার। বর্তমান শ্রমিকবান্ধব সরকার শ্রমিকদের জন্য যা করেছে, অন্য কোন সরকার করতে পারে নাই। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন, এদেশের খেটে-খাওয়া কর্মজীবী মানুষরাই আমাদের সকল শক্তির উৎস। তিনি আরও বলেন-আজকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে, এই গরমের মধ্যেও লোড শেডিং সহনীয় পর্যায় রেখেছেন। যদিও বর্তমান সরকারের আমলে শ্রমিকদের আয় রেকর্ড বুদ্ধি পেয়েছে কিন্তু বাজার দ্রব্যমূল্য অনুপাতে এবং বিবেচনা সপেক্ষে ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করা সরকার এবং এর মাধ্যমে সমাজের আয়-বৈষম্যও দুর করা সম্ভব।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল এমপি বলেন,তীব্র এই তাপদাহে গোটা বাংলাদেশের মানুষ যখন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। মানুষের নাভিশ্বাস ওঠার উপক্রম ঠিক সেই মুহূর্তে বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নির্দেশে বিগত কয়েক দিন সারা বাংলাদেশে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা সুপেয় পানি, খাবার স্যালাইন, ছাতা, রসালো ফল নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ মহান মে দিবসে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ ও ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের উদ্যোগে শ্রমজীবী মানুষের মাঝে খাবার স্যালাইন, সুপেয় পানি, তরমুজ ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করছে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় যুবলীগের নেতা-কর্মীরা বসে নেই। তারা সাধারণ মানুষের প্রতি মানবতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন-একটি গোষ্ঠী আছে বিএনপি-জামাত তারা এই দুর্যোগের দিনে মানুষের পাশে না দাড়িয়ে কিভাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ক্ষতি করা যায়, দেশের মানুষের ক্ষতি করা যায়, কিভাবে সরকারের পতন ঘটানো যায় সেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। কিন্তু তারা এদেশের খেটে-খাওয়া সাধারণ মানুষ, আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা শেখ হাসিনার কথা বলে। শেখ হাসিনার পতন ঘটানো তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ হাবিবুর রহমান পবন, মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, মোঃ আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, মোঃ রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাজহারুল ইসলাম, ডা. হেলাল উদ্দিন, মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ, মোঃ সোহেল পারভেজ, আবু মনির মোঃ শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মোঃ ফরিদ রায়হান, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মীর মোঃ মহিউদ্দিন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আব্দুল মুকিত চৌধুরী, ধর্ম সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মুক্তা আক্তার, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহাজাদা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. শেখ নবীরুজ্জামান বাবু, উপ-শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক কাজী খালিদ আল মাহমুদ টুকু, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এই আই আহমেদ, উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শামছুল ইসলাম পাটোয়ারী, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মোঃ গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্যসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।


‘বিএনপির হাতে শ্রমিকের রক্তের দাগ’

বুধবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আ: লীগের কার্যালয়ের সামনে জাতীয় শ্রমিক লীগের আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ মে, ২০২৪ ১৯:২৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির হাতে শ্রমিকের রক্তের দাগ, তারা আবার ক্ষমতায় আসতে পারলে রক্তে ভাসিয়ে দেবে। আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে জাতীয় শ্রমিক লীগের আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আন্দোলনের শক্তি তাদের (বিএনপি) নেই। আন্দোলনে জনগণ লাগে। তাদের সঙ্গে জনগণ নেই। তাদের হাতে ১৫ আগস্টের রক্তের দাগ, তাদের হাতে ২১ আগস্টের রক্তের দাগ, তাদের হাতে শ্রমিকের রক্তের দাগ। তারা আবার ক্ষমতায় আসতে পারলে রক্তে ভাসিয়ে দেবে।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কারো সঙ্গে কারো মিল নেই। একেকজনের একেক কথা। বিএনপির মধ্যে কাউকে পছন্দ না হলে বলে সরকারের এজেন্ট। এই বিএনপিকে আমরা ভাঙতে চাই না। তারা নিজেরা নিজেদের ভাঙনের জন্য দায়ী হবে। ঘরে এত শত্রু, নিজেদের ভাঙনের জন্য বাইরের শত্রুর প্রয়োজন হবে না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি কর্মীরা ক্লান্ত, নেতারা হতাশ, কেউ কেউ বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। বিএনপির মুখে আন্দোলনের কথাটা শুনলে ঘোড়ারও হাসি পায়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, রিমোট কন্ট্রোল নেতাকে এ দেশের মানুষ গ্রহণ করে না। সাহস থাকলে রাজপথে আসুন। লন্ডনে বসে আন্দোলন হবে না, এটা প্রমাণ হয়ে গেছে।

বিএনপি নেতাদের লজ্জা শরমও নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ বলেছেন একসময় মনে করতাম বাংলাদেশ আমাদের জন্য বোঝা। বাংলাদেশের যে উন্নয়ন, অগ্রগতি এটা দেখে আমি লজ্জা পাচ্ছি। পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী দেখতে পায়, বিএনপি কালো চশমা পরেছে, তারা দেখতে পায় না।

বিএনপিকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা বিদেশিদের কাছে নালিশ করে, কার কাছে নালিশ করবেন? যাদের কাছে নালিশ করতেন তাদেরও বেসামাল অবস্থা। এখন আমেরিকায় আরব বসন্ত। ৪০টা বিশ্ববিদ্যালয় ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করছে। পেছনের দরজা দিয়ে সমাবেশে উপস্থিত হয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীন সফরে গেছেন কয়দিন আগে, সে সময় সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করল আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন এত প্রতিবাদ? তখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, এটা গণতন্ত্রের অংশ। প্রফেসরকে লাঠিপেটা, কি নির্যাতন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে, কি যে বর্বরতা। তখন ভাবতে অবাক লাগে, এই দেশ নাকি গণতন্ত্রের প্রবক্তা, মানবাধিকারের কথা বলে।

তিনি আরও বলেন, আদমজীর মতো জোট মিল যাদের হাতে বন্ধ হয়েছে, শ্রমিক হত্যার রক্ত যাদের হাতে, এই দেশ তাদের ক্ষমা করবে না। শেখ হাসিনা শ্রমিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী। আজ কতবার বাড়িয়ে (মজুরি) ১২ হাজার ৫শ টাকা করেছে। শ্রমিকের ওপর কোনো নির্যাতন নেই। বঙ্গবন্ধু আন্দোলন করেছেন, শ্রমিকের আন্দোলন করেছেন। নুরু মিয়ার রক্ত ছয় দফা আন্দোলনকে স্বাধীনতার আন্দোলনে পরিণত করেছে।

শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, শ্রমিকদের অধিকার দিবসে আমি বলব আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। নেত্রী যা করেছেন, ভবিষ্যতে আরও করবেন। নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করে শত্রুতা সৃষ্টি করবেন না।

জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আফজাল হোসেন প্রমুখ। এতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগসহ অন্য ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


নির্বাচনের প্রস্তুতি-প্রচারণা দেখতে বিজেপির আমন্ত্রণ পেল আ: লীগ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ মে, ২০২৪ ১৯:২৫
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের জাতীয় নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে বাংলাদেশ থেকে আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। আজ বুধবার আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে সাতটি ধাপে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ক্ষমতাসীন বিজেপি এই নির্বাচনে তাদের সার্বিক প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখানোর জন্য বিদেশি কিছু রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে একমাত্র আওয়ামী লীগকে তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ভারতে বিজেপি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায়। অন্যদিকে, বাংলাদেশে পরপর চারটি জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশভাবে জয়লাভ করে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। এই সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে যুগান্তকারী উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়ন পুরো পৃথিবীকে অবাক করেছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এই সফরটি মূলত পাঁচ দিনের। ১ মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত। সফরে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধির সাথে বিজেপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক রয়েছে। দিল্লির বাইরে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারণা সরেজমিনে দেখানোর জন্য বিজেপি আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিকে ছত্রিশগড়ে নিয়ে যাবে। ভারতের নির্বাচন ১৯ এপ্রিল শুরু হয়েছে যা ১ জুন পর্যন্ত চলবে। ৪ জুন ভোটের ফলাফল ঘোষিত হবে।

বিজেপির নির্বাচনী প্রস্তুতি ও প্রচারণা পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে পাঠানো আমন্ত্রণপত্রে তারা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি পাঠাতে অনুরোধ করেছে। এই আমন্ত্রণের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে দলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ভারত সফরে মনোনীত করেছেন।

ভারতের ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণতন্ত্র ভারত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি যে আস্থাশীল এবং আওয়ামী লীগকে যে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও তাদের প্রকৃত বন্ধু মনে করে, এই আমন্ত্রণ সেই ইঙ্গিতই বহন করে।

বিষয়:

রাজধানীতে ১০ প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ৪০ লাখ টাকা জরিমানা

জব্দ করা নকল বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ২১:১৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার যাত্রাবাড়ী ও দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকা থেকে ভেজাল খাদ্যদ্রব্য এবং অনুমোদনহীন নকল বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করার অপরাধে ১০টি প্রতিষ্ঠানকে ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমান আদালতে। এ ছাড়া, জরিমানা প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় একটি প্রতিষ্ঠানের দুইজনকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

গতকাল সোমবার সকাল ১০টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত র‌্যাবের ভ্রাম্যমান আদালতে এই জরিমানা ও কারাদণ্ড প্রদান করে। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন র‌্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাজহারুল ইসলাম। আদালতকে সহায়তা করে র‌্যাব-১০ এবং বিএসটিআই এর প্রতিনিধি।

আজ মঙ্গলবার র‌্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এএসপি এম.জে. সোহেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় বেশ কিছুদিন ধরে অসাধু ব্যবসায়ীরা ভেজাল খাদ্যদ্রব্য এবং অনুমোদনহীন নকল বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি উৎপাদন, মজুদ ও বাজারজাত করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। আদালত ১০টি প্রতিষ্ঠানকে ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং জরিমানা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ১টি প্রতিষ্ঠানের ২জনকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে-আরআর ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড ইলেক্ট্রিক ইন্ডাস্ট্রিজকে ২ লাখ টাকা, ফাস্ট টেপস এন্ড ক্যামিকেল লিমিটেডকে ২ লাখ টাকা, প্রিমিয়াম এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডকে ৩ লাক টাকা, মেসার্স ইসলাম ক্যামিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে ৫ লাখ টাকা, শাওন কনজিউমার প্রোডাকশনকে ১ লাখ টাকা, মীম ক্যামিকেল কোম্পানীকে ৫০ হাজার টাকা, ইভানা ফুড এন্ড ক্যামিকেল ইন্ডাস্ট্রিজকে ১ লাখ টাকা, এমইপি এনার্জি সেভিং ল্যাম্প ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে ২০ লাখ টাকা, রাইজিং স্টার ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডকে ১ লাখ টাকা, এ্যানাজি টের‌্যা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া সিরাজ ট্রেডিং এর দুইজন ব্যক্তিকে ৩ রাখ টাকা জরিমানা, জরিমানা প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় উভয়কে ১ মাসের করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

বিষয়:

উপজেলা নির্বাচনে স্বজনরা অংশ নেওয়া এমপি-মন্ত্রীদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হতে পারে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০৬
ফারাজী আজমল হোসেন

আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠকে বসছে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি। আজ মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে মেয়াদোত্তীর্ণ সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন এবং দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে উপজেলা নির্বাচনে দলীয় এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হতে পারে।

এদিকে আজকের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় উপজেলা নির্বাচনে পরিবারের সদস্য কিংবা স্বজনদের প্রার্থী করার কারণে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে দল কী সিদ্ধান্ত নেয় এ নিয়ে দেশব্যাপী চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। তাই দলীয় নেতা-কর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষেরও দৃষ্টি রয়েছে আজকের এই সভার প্রতি।

আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সভায় মেয়াদোত্তীর্ণ সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন এবং দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে উপজেলা নির্বাচনে দলীয় এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হতে পারে বৈঠকে। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখতে আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীদের আত্মীয়-স্বজনদেরও প্রার্থী হতে নিষেধ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দলীয় কোন্দল নিরসন এবং নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতেই এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। দলের এই নির্দেশনা উপেক্ষা করে যারা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন, তাদের ব্যাপারে আলোচনা হতে পারে বৈঠকে। আগামী ৮ মে অনুষ্ঠেয় প্রথম ধাপের ১৫০ উপজেলা নির্বাচনে যেসব মন্ত্রী ও এমপির স্বজন প্রার্থী হয়েছেন তাদের তালিকাও ইতোমধ্যে তৈরি করা হয়েছে বলে দলের একজন কেন্দ্রীয় নেতা জানিয়েছেন।

এ ছাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চলাকালে আওয়ামী লীগের উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার ঘোষণা রয়েছে দলের পক্ষ থেকে। পরবর্তীতে এসব সম্মেলন বা কমিটি গঠনের বিষয়েও আলোচনা হতে পারে।

এদিকে, মন্ত্রী-এমপিরা যাতে উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে না পারেন, সে জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকেও নানাভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। আওয়ামী লীগের নেতারাও বিভিন্ন জেলায় প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার পরামর্শ দিচ্ছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই বৈঠকটি দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর উদযাপনসহ ১৬ এজেন্ডা নিয়ে কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক হবে। বিবিধ আলোচনায় অনেক বিষয় থাকবে। আমাদের দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন নিয়ে এখানে আলোচনা হবে। মেয়াদোত্তীর্ণ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সম্মেলন, উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের স্বজনদের যারা আওয়ামী লীগের নির্দেশনা উপেক্ষা করছে, তাদের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বৈঠকে দেশের সার্বিক অবস্থাসহ বিভিন্ন ইস্যু উঠে আসবে।

দলের শীর্ষ নেতারা জানান, প্রথম দুই ধাপের ভোটে টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, বগুড়া, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, নরসিংদী, কুমিল্লা, পিরোজপুরসহ অন্তত ২০ জেলার নানা উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের এমপি-মন্ত্রীদের স্বজনরা। অভিযোগ উঠেছে, এর লক্ষ্য স্থানীয় রাজনীতিতে নিজস্ব প্রভাব বলয় তৈরি করা। তবে নির্দেশ অমান্য করা এসব এমপি-মন্ত্রীদের কঠোর শাস্তি দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। কেন্দ্র বলার পরও স্বজনরা উপজেলার ভোটে থাকায় পদ থেকে বহিষ্কারসহ এমপি-মন্ত্রীদের আগামী জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন না দেওয়ার সিদ্ধান্তও আসতে পারে আজকের বৈঠকে। এ বিষয়ে নির্দেশনা দেবেন দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

অন্যদিকে ত্যাগী ও জনপ্রিয় নেতাদের সুযোগ দিতে এবং ভোট অংশগ্রহণমূলক করতে এবার দলীয় প্রতীক দেয়নি আওয়ামী লীগ। দলের সাধারণ সম্পাদক এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে বললেও দুয়েকজন ছাড়া তাতে কান দেননি কেউই। নিজ প্রার্থী জেতানোর এই মরিয়া চেষ্টায় ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় নেতারাও।

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য জানান, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আমাদের যেসব পদক্ষেপ নেওয়ার কথা সেসব পদক্ষেপ আমরা নিচ্ছি না। ফলে দিনের পর দিন দলের ভেতরের চেইন অব কমান্ড দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। আজকের বৈঠকে এসব নিয়ে আলোচনা হবে। দলের সাধারণ সম্পাদকের দেওয়া নির্দেশনা একান্তভাবে আমাদের মেনে চলতে হবে।’

২০১৯ সালে দলীয় প্রতীকে উপজেলার ভোটেও বিদ্রোহী প্রার্থী হন অনেকে। পরে তাদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলেও শেষ পর্যন্ত করা হয় ক্ষমা। তবে কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, এবার আর সে সুযোগ মিলছে না। অভ্যন্তরীণ বিরোধ বাড়ায়, দলে শৃঙ্খলা ফেরাতে কোনো ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। নির্দেশ অমান্যকারী সংসদ সদস্যদের তালিকা করছেন সাংগঠনিক সম্পাদকরা।’


তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের মুখোশ উন্মোচনের দাবি শেখ পরশের

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের মুখোশ উন্মোচনের দাবি জানিয়েছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।

তিনি বলেন, শেখ জামালসহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা সেনা অফিসারের রক্তে রঞ্জিত এই জিয়াউর রহমানের হাত। সুতরাং জিয়াউর রহমানের বিএনপির নেতারা যখন গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা বলে, ওদেরকে বড়ই নির্লজ্জ মনে হয়।

আজ সোমবার ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষে যুবলীগ আয়োজিত আলোচনাসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক অজয় দাস গুপ্ত, একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

অকালপ্রয়াত কিশোর মুক্তিযোদ্ধা, দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তা, বন্ধু-অন্তপ্রাণ ও দুঃসাহসিক তরুণের কথা স্মরণ করি শ্রদ্ধাভরে। এই মুক্তিযোদ্ধা সেনা অফিসারের রক্তপাত যে সেনাবাহিনীর সদস্যরা করেছিল তাদের সেনা আইনে বিচার করতে শুধু ব্যর্থ হন নাই সে সময়ের সেনা প্রধান সফিউল্লাহ ও উপসেনা প্রধান জিয়াউর রহমান, মেজর জিয়াতো শেখ জামাল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। যার ইঙ্গিত পাওয়া যায় জিয়াউর রহমানেরই পরবর্তী কার্যকলাপের মধ্যেই। মেজর জিয়ার অবৈধ সরকার খুনিদের পুরষ্কৃত করে। তাই একটা স্বাধীন তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের মুখোস উন্মোচনের দাবি জানান তিনি।

শেখ পরশ বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে শেখ জামালও গৃহবন্দি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করাই শেখ জামালের একমাত্র লক্ষ্য ও প্রত্যয় হয়ে উঠে। বন্দিজীবন থেকে পালিয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। শেখ জামালের গৃহবন্দি অবস্থা থেকে যুদ্ধে পালিয়ে যাওয়ার একটা বিশেষ রাজনৈতিক তাৎপর্য ছিল। কারণ রাজনৈতিক দূরদর্শীসম্পন্ন বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, পাল্টা তার সন্তানকে অপহরণের অভিযোগ তুললেন দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে। সারাবিশ্বে আলোড়ন, বিদেশি পত্রপত্রিকায় ছাপা হলো পাকিস্তান সরকার শেখ মুজিবের ছেলেকে গুম করেছে। শেখ জামালের পালিয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণের খবরটা কৌশলগত কারণেই একেবারে চেপে গিয়েছিল প্রবাসী মুজিবনগর সরকারও, কারণ এই ইস্যুতে মুজিবনগর সরকার এবং ভারত সরকারের তীব্র সমষ্টিগত চাপে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে প্রচণ্ড বেকায়দায় পড়েছিল পাকিস্তান সরকার।

তিনি আরও বলেন, ইতিহাসের গতিপ্রবাহে শেখ জামালের কীর্তি চিরভাস্বর হয়ে আছে। তার কৃতিত্ব যদি জাতির সামনে তুলে ধরা না হয় তবে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না। কিন্তু শেখ জামাল সম্বন্ধে লেখা-লেখি, গবেষণা ও তথ্য-উপাত্ত এখনো অপ্রতুল যা প্রকাশিত হচ্ছে বেশিরভাগই পুনরাবৃত্তি এবং সরলীকরণ। প্রকৃত গবেষণার এখনো বড়ই অভাব। শেখ জামাল মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একজন সাহসী বীরযোদ্ধা, বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর একজন গর্বিত সেনা অফিসার। বঙ্গবন্ধু তার সেনা অফিসারদেরও সন্তানদের মতোই ভালোবাসতেন। সেই সন্তানতুল্য একদল উচ্ছৃঙ্খল সেনা কর্মকর্তাদের হাতেই তার আদরের জামালের প্রাণ যেতে হলো। এ যেন গ্রিক ট্রাজেডির ড্রামাটিক আয়রনি।


বিএনপি সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হচ্ছে: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ ১৭:০০
বাসস

জনকল্যাণের রাজনীতি বাদ দিয়ে অপকৌশল গ্রহণ করায় বিএনপি দিন দিন সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে তিনি এ রকম বিবৃতি প্রদান করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসেবে গণরাজনীতিতে নতুন কোনো মাত্রা যোগ করতে পারছে না। তাই বিএনপির মহাসচিব নিয়মিতভাবে গণমাধ্যমে একই গীত গেয়ে চলেছেন; প্রতিনিয়ত অত্যাচার-নির্যাতনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন গল্পের অবতারণা করছেন।’

আরও পড়ুন: বিএনপি দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে:ওবায়দুল কাদের

তিনি বলেন, ‘জনগণের জন্য রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচি না দেওয়ার ব্যর্থতা ঢেকে রাখার জন্য তারা এই অপকৌশল অবলম্বন করছে। সন্ত্রাসীদল বিএনপি নেতারা নিজেদের অত্যাচারিত-নির্যাতিত দেখিয়ে ‘সিম্প্যাথি কার্ড’ খেলার অপচেষ্টা করছেন।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার সুদৃঢ় অবস্থানে রয়েছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আছে। বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা এবং তাদের নেতৃবৃন্দরা শেখ হাসিনাকে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং তার সরকারকে স্বীকৃতি প্রদান করেছেন।

তিনি বলেন, ‘অস্তিত্ব সংকটে থাকা রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া বিএনপি সরকারের অস্তিত্ব নিয়ে কথা বলছে! বিএনপি কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট একটি রাজনৈতিক দল। বিএনপির নেতৃবৃন্দরা টিকে থাকার জন্য সর্বদা মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য উপস্থাপনের মাধ্যমে রাজনীতিতে কৃত্রিম সংকট তৈরির অপচেষ্টা চালায়।’

সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দের বোঝা উচিত বিরোধীদল নয় বরং রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে সরকারকে কাজ করতে হয়। সুতরাং নিজেদের নেতাকর্মীদের রাষ্ট্রবিরোধী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে নিবৃত্ত রাখাটাই বিএনপির জন্য শ্রেয়।

সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করছে। জনগণের সেবা করাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির মূলনীতি। আওয়ামী লীগ সবসময় শাসন-শোষণ ও জুলুমের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করেছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের হাতেই দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপি শাসনমালের দুর্নীতি-লুটপাট ও দুঃশাসনের কথা জনগণ ভুলে যায়নি। কীভাবে সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারা দেশকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করা হয়েছিল! সে সকল কাহিনী যারা প্রত্যক্ষ করেছে তারা স্মরণ করলে বা কেউ শুনলে এখনও শিহরে ওঠে। জনগণ সেই দুঃসহ সময়ের দিনগুলোতে ফিরে যেতে চায় না। আমরা জনগণের জন্য শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ।


নেত্রীর জন্য জান দেওয়া নয়, সিদ্ধান্ত মানার আহ্বান দীপু মনির

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দলের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নেত্রীর জন্য জানও দিয়ে দেবেন বলেন, কিন্তু নেত্রীর নেতৃত্বে দলের যে সিদ্ধান্ত সেটা মানবেন না, নিজেরা নিজের মতো চলবেন- এটা তো আসলে হওয়া উচিত না।

আজ রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘১/১১-এর সময়ে কারাবন্দি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে ২৫ লাখ গণস্বাক্ষর জমা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আমরা কথায় কথায় বলি নেত্রীর জন্য জান দিয়ে দেব। কিন্তু কেউ জান দিয়ে দিক এটা নেত্রী চান না। নেত্রী যে সিদ্ধান্ত দেন, সেই সিদ্ধান্ত মানি কি না? সেটা কেন্দ্রে হোক, তৃণমূলে হোক, যেখানেই হোক। আমাদের সবার যদি এ রকম হয় যে বিচার মানি তালগাছ আমার, তাহলে কিন্তু হবে না। তাহলে কিন্তু নেত্রীর প্রতি ভালোবাসা হলো না।’

আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক দল, এর সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়াও গণতান্ত্রিক। নেত্রী কারও ওপর কিছু চাপিয়ে দিচ্ছেন না। প্রত্যেকের সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। মূল সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমাদের মত থাকতে পারে। কিন্তু যখন সিদ্ধান্ত হয়ে যায়, তখন সেটা দলীয় সিদ্ধান্ত। হয় আমি সেই সিদ্ধান্ত মানি, না হয় আমি দল করব না। সেই স্বাধীনতা আপনার আছে। কিন্তু আপনি দলও করবেন, নেত্রীর জন্য জানও দিয়ে দেবেন বলবেন, কিন্তু নেত্রীর নেতৃত্বে দলের যে সিদ্ধান্ত সেটা মানবেন না, তখন নিজেরা নিজের মতো চলবেন, এটা তো আসলে হওয়া উচিত না।’

ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আমাদের ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগসহ যত সংগঠন আছে সব সংগঠনের সবার সামগ্রিকভাবে আমাদের বৃহত্তর যে আওয়ামী পরিবার আছে- আমাদের ঐক্য, আমাদের আদর্শের প্রতি ষোলোআনা অঙ্গীকার ও শৃঙ্খলা থাকা জরুরি। কারণ, আমাদের যত অর্জন, বাংলাদেশের যত অর্জন- সবকিছু এসেছে আওয়ামী লীগের মাধ্যমে। আর সেই অর্জনকে নস্যাৎ করে দেওয়ার জন্য যে অপশক্তি, তারা বঙ্গবন্ধুর সময় যেমন ছিল, আজকেও তারা সক্রিয় আছে। অতএব, আমাদের ঐক্য, সংকল্পের দৃঢ়তা, দলীয় আনুগত্য যদি শুধরে রাখতে না পারি, তাহলে কিন্তু সেই অপশক্তি আবারও ছোবল হানবে। তাই দেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব- ওই অপশক্তি যেন কখনও ছোবল মারতে না পারে, সেটা লক্ষ্য রাখতে হবে। সেই দায়িত্ব পালনে যেন আমরা কখনও পিছপা না হই। আমি মনি করি, সেটিই আমাদের অঙ্গীকার হওয়া উচিত।’

সমাজকল্যাণমন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগকে ভাঙতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়ে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৮ সালের ১১ জুন জনতার চাপে বাধ্য হয়েছিল শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে। মাত্র ১৫ দিনে ২৫ লাখ স্বাক্ষর সেই সময় সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিল। আরেকটি ভূমিকা রেখেছিল আমাদের বর্ধিত সভা। যেখানে সারা দেশ থেকে নেতারা এসে জানিয়ে দিল ‘নো শেখ হাসিনা, নো ইলেকশন’।

সাপ্তাহিক গণবাংলার প্রধান উপদেষ্টা এম এ করিমের সভাপতিত্বে ও সাবেক ছাত্রনেতা চন্দন কুমার ঘোষের পরিচালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার প্রমুখ।


‘কালো চশমা পরা বিএনপি দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না’

রোববার শহীদ শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিনে বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ ১৬:৩১
বাসস

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কালো চশমা পরা বিএনপি নেতারা দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না। বাংলাদেশকে নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিএনপির লজ্জা পাওয়া উচিত। আজ রোববার শহীদ শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার মনে হয় বিএনপি পড়াশোনা করে না। ‘বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই’ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের এমন মন্তব্য উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, পাকিস্তান আজ বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখতে পায়। তবে বিএনপি নেতারা দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না।

পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব বিএনপির মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পাকিস্তান এক সময় বোঝা ভাবতো, এখন লজ্জিত হয়। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে রিজভীদেরই লজ্জা পাওয়া উচিত। তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না। কালো চশমা পরে শেহবাজ শরীফ যা দেখে বিএনপি সেটাও দেখে না। তারা কেন দেখে না, সেটা তাদেরকে জিজ্ঞাসা করুন।

জাতীয় পার্টিকে হুমকি দিয়ে নির্বাচনে নিয়ে আসা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, কে কাকে হুমকি দিয়েছে? তাদের জন্ম তো বন্দুকের নলে। তারা গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে আসেনি। গত নির্বাচনে বাংলাদেশের ৪২ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে। ভোটের দিন কোনো খুন খারাবি হয়নি। এখানে আমরা কোনো চাপ অনুভব করিনি। তিনি কোন কারণে, কার চাপে নির্বাচনে এসেছেন সেটা তাকেই (জিএম কাদের) পরিষ্কার করতে হবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতেই ৭৫'-এর ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড। খুনিদের মদদ দিয়েছে জিয়া-মোশতাক চক্র। এর মধ্য দিয়ে দেশে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু। শেখ হাসিনা দেশে ফিরে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধ করে উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা সূচিত করেন। বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতায় স্থিতিশীল পরিস্থিতিতে দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত আছে।

কবরস্থানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে প্রথমে ওবায়দুল কাদের শহীদ শেখ জামালের কবরে শ্রদ্ধা জানান। পরে দলের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি।

এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি ও আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, আফজাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন।


বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বিএনপি: কাদের

শনিবার সকালে শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১১:৪৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য, জনগণকে মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না, বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়? এখনও তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়?’

আজ শনিবার সকালে শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না। তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনও নজির নেই। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোনও দিন মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লা মেরিডিয়ানে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে।’

দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় নেতা শেরে বাংলা ছিলেন অন্যতম মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এ সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলাকে গ্রাম বাংলার কৃষকরা কোনোদিনও ভুলতে পারবে না। তিনি চিরদিন তাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘আজ আমাদের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাচ্ছি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সেটাই শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্বপ্ন এবং সেটা আজ আমাদের অঙ্গীকার।’


বিএনপি দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে: ওবায়দুল কাদের

ছবি: বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বিএনপি দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে; তাই কারা বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ শুক্রবার দুপুরে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে এতটা হীন মনোবৃত্তির পরিচয় তারা দিচ্ছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে তাদের বাস্তবতা বোঝা উচিত।’

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বক্তব্য থেকে বিএনপি নেতাদের প্রকৃত সত্য শিক্ষা নেওয়ার আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের যে উন্নতি ও উচ্চতা, এটা দেখে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ লজ্জিত। তখন পূর্ব পাকিস্তানকে তাদের কাছে মনে হতো বোঝা। এখন সে বোঝাই অনেক উন্নয়নে এগিয়ে গেছে। সে উন্নয়ন দেখে তিনি লজ্জিত হন। বিএনপি যতটা অপপ্রচার করে তাদের পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে প্রকৃত সত্য শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু আছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্ব যুদ্ধ-সংঘাতে ভয়ংকর পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েছে। আমিরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-হামাস পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে রেখেছে। বিশ্ব জনমতকে উপেক্ষা করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী আগ্রাসী অভিযান শুরু করেছেন। এই পরিস্থিতিতে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে চলেছেন। সকল প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ও এ যুদ্ধকে না বলার জন্য বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার করাচিতে সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বাসায় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় দেওয়া বক্তব্যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিকে তাকালে এখন তাঁদের লজ্জা হয়। সে সময় ‘পূর্ব পাকিস্তানকে’ দেশের বোঝা মনে করা হতো। কিন্তু তারা শিল্পায়নের প্রবৃদ্ধিতে বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জন করেছে।’

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


বিএনপি ক্ষমতায় আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে: কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ১৫:৫৯
বাসস

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে পড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের বোধগম্য হয় না যে, আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে; জনকল্যাণের পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে। আমরা সর্বদা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। অন্যদিকে বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে।’

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিমরোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকার বিরোধী তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নেয়। বিএনপি ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডার বাহিনী সরকারের সুসমৃণ পথচলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ।

তিনি বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পূর্বের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। আর দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও মহামান্য আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতৃবৃন্দ সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডার বাহিনীর পাশাপাশি বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে রক্ষা করার জন্য ‘বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অর্গল ভেঙে বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে সন্ত্রাসীদের রক্ষার অপকৌশল সফল হবে না।


মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে ব্যবস্থা: কাদের

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ব্যাপারে দলের পক্ষ থেকে যে ঘোষণা আছে তা অমান্য করলে সময় মতো ব্যবস্থা নেয়া হবে-বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ বুধবার দুপুরে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ আছে। তাই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আনুষ্ঠানিক প্রত্যাহারের সময়সীমা ছাড়াও নিজে নিজেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা সম্ভব। তাই শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করবে দল। এখানে কেউ অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে দলে। সময় মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন কমিশনে সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে কেউ ইচ্ছা করলে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে পারেন। এদের মধ্যে অনেকেই বলেছেন যে, আমরা বিষয়টি আরও আগে অবহিত হলে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হতো। তারপরও কেউ-কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন কেউ করেননি। এ বিষয়টা চূড়ান্ত হতে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এখানে দলের সিদ্ধান্ত কেউ অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের দলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের বিষয়টি আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিবেচনায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নিয়ে থাকে। চূড়ান্ত পর্যায়ে যারা প্রত্যাহার করবে না তাদের ব্যাপারে সময়মতো দলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। চূড়ান্ত পর্যায়েও কেউ প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাধারণ ক্ষমা একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে দলীয় রণকৌশল-সেটা হতেই পারে। সেটা দলের সভাপতি নিতে পারেন। নির্বাচন হওয়া পর্যন্ত প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সুযোগ আছে।

বিএনপির সমাবেশের দিনে আওয়ামী লীগেরও সমাবেশ থাকে-সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির সন্ত্রাস থেকে জনগণকে রক্ষায় কর্মসূচি দেয় আওয়ামী লীগ। বিএনপি একতরফা সমাবেশ করতে গেলে সন্ত্রাস, আগুন-সন্ত্রাসের আশঙ্কা থেকেই যায়। জনগণের জানমাল রক্ষায় সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব আছে। আমরা মাঠে থাকলে তারা এসব অপকর্ম করতে মানসিকভাবে চাপে থাকবে, সেজন্য আমরা কর্মসূচি দেই। বিএনপির চোরাগোপ্তা হামলা প্রতিহত করতে জনগণের স্বার্থে আমাদের কর্মসূচি থাকা উচিত।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ও সুজিত রায় নন্দী, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।


banner close