সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫
২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

আ.লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি: দেশবাসীর দৃষ্টি এখন ২৮ অক্টোবরে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২৩ অক্টোবর, ২০২৩ ১৫:৫৭

আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে রাজপথের বিরোধী দল বিএনপি ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ওই দিন রাজধানীর নয়াপল্টন ও বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে দুই দলের ডাকা সমাবেশকে কেন্দ্র করে জনমনে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। ঢাকায় সমাবেশ হলেও দেশবাসীর নজর ২৮ অক্টোবর ঘিরে। সংঘাতের আশঙ্কা জনমনে থাকলেও বিশ্লেষকরা বড় ধরনের কিছু ঘটার আশঙ্কা নেই বলে মনে করছেন। তবে তারা ছোটখাটো কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না।

তারা মনে করছেন, যেহেতু ঢাকার বাইরে থেকে বহুসংখ্যক নেতা-কর্মী আসার সম্ভাবনা রয়েছে- তাই নাটকীয়ভাবে কিছু ঘটলেও ঘটতে পারে। তা ছাড়া তৃণমূলের কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সময় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজপথের বিরোধী দল তাদের দাবির পক্ষে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করবে। সেই শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের দাবি আদায় হবে কি না তা নির্ভর করবে আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা কতটুকু তার ওপর। অন্যদিকে, বড় ধরনের সংঘাত ও সহিংসতা এড়াতে সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি। নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশের অনুমতি চেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশকে (ডিএমপি) চিঠি দিয়েছে দলটি। একই দিনে ঢাকায় পৃথক পৃথক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীরাও। যদিও ওই দিনের মহাসমাবেশ সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ হবে বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আমরা কোনো নেতা-কর্মীকে অবস্থান নেয়ার নির্দেশ দিইনি। তিনি তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা না দিতে পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তবে বিএনপি ও তার আন্দোলন-সঙ্গীদের কর্মসূচির দিনে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তারাও রাজপথে তাদের শক্তির মহড়া দিয়ে নিজেদের শক্তি ও জনপ্রিয়তা প্রদর্শন করতে চায়। সমাবেশের অনুমতি এবং ট্রাফিক ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার বরাবর চিঠি দিয়েছে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। এর ফলে নিকট-দূরত্বে প্রধান দুই দলের সমাবেশ ঘিরে সহিংসতা ও নাশকতার শঙ্কা তৈরি হচ্ছে জনমনে।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ দৈনিক বাংলাকে বলেন, বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়, সরকারের পতন চায়। তারা এ দাবির পক্ষে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে সে দাবি আদায় হবে কি না তা নির্ভর করবে আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা কতটা পেল। একই দিনে ক্ষমতাসীনদের কর্মসূচি ডাকার সমালোচনা করেন তিনি।

২৮ অক্টোবর সমাবেশ ঘিরে বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে বিরোধীদের উচিত ইশতেহার নিয়ে হাজির হওয়া, আলাপ-আলোচনা করা। ক্ষমতাসীন দলের এ ধরনের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ এড়িয়ে চলা দরকার। কারণ বিরোধীরা তার দাবির পক্ষে যত কর্মসূচি ডাকবে, সব কর্মসূচিতেই যদি ক্ষমতাসীনরা পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ডাকে, তা হলে তার শক্তি ক্ষয় হবে, সে দুর্বল হয়ে পড়বে। তা হলে নির্বাচন কীভাবে করবে? বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা করছি না। যদি হয়ও, সেটা হবে বিচ্ছিন্ন অথবা নাটকীয় কিছু।

এদিকে ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে দুই দলের সমাবেশ এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। কী হচ্ছে, কী হবে, রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোনদিকে যাবে, এমন প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ মানুষের মাঝে। যদিও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা মনে করছেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে তেমন কিছুই হবে না। কারণ ওই দিন রাজপথ দখলে রাখবে আওয়ামী লীগ। আর বিএনপি নেতারা বলছেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করবেন তারা।

মহাসমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে গতকাল রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথসভা করে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে এ সভায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, যুগ্ম মহাসচিব, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব, সকল বিভাগের সাংগঠনিক ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক, ঢাকা বিভাগের সকল মহানগর ও জেলাগুলোর সভাপতি/আহবায়ক/সাধারণ সম্পাদক/সদস্য সচিব, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি/আহ্বায়ক/সাধারণ সম্পাদক/সদস্য সচিব, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রতিটি কর্মসূচি আমরা অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে করে আসছি। ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশও অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সমাপ্ত হবে। সিকিউরিটি জন্য আমাদের নিজস্ব যে ব্যবস্থা দরকার, সেটাও নিচ্ছি। কোনো নেতা-কর্মীকে ঢাকায় এসে বসে পড়তে তো বলিনি। বরং বলেছি, ২৮ তারিখের কর্মসূচির পরে যে যার জায়গায় চলে যাবে। পরবর্তী কর্মসূচির জন্য অপেক্ষা করবে। ২৮ অক্টোবর আমরা এমন কোনো কর্মসূচি দেব না যে, তারা (নেতা-কর্মীরা) ঢাকায় বসে থাকবে।

এদিকে ২৮ অক্টোবর দুপুর ২টা থেকে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ কর্মসূচির মাধ্যমে মাঠে থাকবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগের যৌথ আয়োজনে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করবে বলে দক্ষিণের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। এতে বক্তব্য রাখবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। সমাবেশ সঞ্চালনা করবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।

আওয়ামী লীগ শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত করতে চায় বলে দলটির বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়। সূত্রের দাবি অনুযায়ী, নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য ঢাকা মহানগরের থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রতিনিধি সম্মেলন করা হচ্ছে। ওইসব সম্মেলনে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা ঢাকার নেতা-কর্মীদের দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। ওই দিন সমাবেশের পাশাপাশি সকাল থেকে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সতর্ক অবস্থানে থাকবেন বলেও মহানগর আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের একজন নেতা জানান, শুধু ঢাকা মহানগর নয়- রাজধানীর আশপাশের গাজীপুর জেলা, মহানগর, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জের নেতা-কর্মীদেরও ঢাকায় আসার নির্দেশনা দেয়া হবে। একই সঙ্গে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগসহ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোকেও সর্বোচ্চ সংখ্যক নেতা-কর্মীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। সংগঠনগুলো এ নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করছে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে, গতকাল রোববার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সংবিধান মেনেই নির্বাচন হবে। অবরোধ, দখলের হুমকি দিয়ে তাদের খায়েশ পূর্ণ হবে না। ঢাকা অবরোধ, দখলের নামে আবার অগ্নিসন্ত্রাস, জ্বালাও–পোড়াওয়ের হুমকি আসছে। যাঁরা মনে মনে স্বপ্ন দেখছেন অবরোধ করে, রাস্তা দখল করে আগের মতো বাস, রেল, মানুষ পুড়িয়ে বাংলাদেশের সংবিধানকে কচুকাটা করবেন, সেটা কোনো দিন হবে না। আমরা হতে দেব না।’

বিএনপি সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সফল করতে সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। বিভিন্ন জেলা থেকে নেতা-কর্মীদের ঢাকায় এনে বড় লোক সমাগম করতে চায় দলটি। তার অংশ হিসেবে জেলায় জেলায় সফর করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তৃণমূল নেতা-কর্মীদের দিচ্ছেন প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা।

আগামী ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপির মহাসমাবেশ, ছোট সমাবেশ, মাঝারি সমাবেশ এবং তাদের হাঁটা, দৌড় বা বসা কর্মসূচি, ভবিষ্যতে হয়তো হামাগুড়ি দেয়া কর্মসূচি আসবে- এগুলোতে আমরা কখনো চাপ অনুভব করি নাই। আমরা রাজপথের দল, আমরা রাজপথে আছি, রাজপথে থাকব। ২৮ তারিখেও রাজপথ আওয়ামী লীগের দখলে থাকবে।’

তবে জনমনে যত শঙ্কাই থাকুক না কেন, ২৮ অক্টোবর ঢাকায় নাশকতার কোনো আশঙ্কা দেখছে না পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করবে। আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেব। আগামী ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে আমাদের কাছে নিরাপত্তার কোনো শঙ্কা নেই।’

তবে বিএনপি শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশের ডাক দিলেও তাদের যেসব নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা আছে তারা থাকবেন পুলিশের রেড মার্কিংয়ে। ডিবিপ্রধান জানিয়েছেন, ‘চেকপোস্টে পুলিশের কড়াকড়ি ও তল্লাশি অভিযান থাকবে। আদালতের পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেপ্তারেও পুলিশ সক্রিয় থাকবে।’


এনসিপি’সহ ৩ দলের সমন্বয়ে নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এই তিনটি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট।

রবিবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে জোটটি আত্মপ্রকাশ করে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নতুন এই জোটের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা একটা ঐক্যপ্রক্রিয়ার মধ্যে ছিলাম। তিনদল মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, এই প্রক্রিয়া চলমান থাকবে। পরিবর্তনের পক্ষে থাকা অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে এই ঐক্যপ্রক্রিয়া যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানাই।’

এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য ঐক্যবদ্ধ চান সবাই।

পুরনো বন্দোবস্তে অতিষ্ঠ তারা। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে সবার সহযোগিতা পাই না। আমাদের ভুল-ত্রুটি আছে। তবে আমরা আজ একটা নতুন যাত্রা শুরু করেছি।

আমরা ঘোষণা করছি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে স্পিরিড নিয়ে তিনটি দলের ঐকবদ্ধভাবে চলব।’

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতিহাসনাত কাইয়ূম বলেন, ‘তিন দল নিয়ে এ জেটের যাত্রা শুরু হলেও আগামী তা আরও বর্ধিত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমসহ তিন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।


নিজ এলাকায় জনতার তোপের মুখে ব্যারিস্টার ফুয়াদ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বরিশাল প্রতিনিধি

বরিশালের রহমতপুর―বাবুগঞ্জ মুলাদী হিজলা আঞ্চলিক সড়কের আড়িয়াল খাঁ নদীর ওপর নির্মাণাধীন মীরগঞ্জ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে গিয়ে জনতার তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়েছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর ২ টার দিকে ঘটে এই ঘটনা।

স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ব্যারিস্টার ফুয়াদ অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছানোর পর বক্তব্য দিতে গিয়ে দাবি করেন স্থানীয়দের চাঁদা দাবির কারণে সেতুর কাজ স্থগিত ছিল। তার এমন মন্তব্যের পরপরই উপস্থিত জনতার মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তেই তাকে ঘিরে ভুয়া ভুয়াস্লোগান দিতে শুরু করেন স্থানীয়রা। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি এড়াতে ব্যারিস্টার ফুয়াদ দ্রুত গাড়িতে উঠে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।

স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে সেতুর নির্মাণকাজ বিলম্বিত হলেও এ বিষয়ে কাউকে দোষারোপ না করে স্বচ্ছ তদন্ত প্রয়োজন। তারা মনে করেন, চাঁদা দাবি অভিযোগ দিয়ে প্রকৃত সমস্যাকে আড়াল করা হচ্ছে। এ কারণে ব্যারিস্টার ফুয়াদের বক্তব্যের বিরোধিতা করেই প্রতিবাদে ফেটে পড়ে জনতা।

উল্লেখ্য, বরিশাল অঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি নির্মাণ হলে বাবুগঞ্জ, মুলাদী ও হিজলার সড়ক যোগাযোগে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

তবে কাজের ধীরগতির কারনে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে।


ধর্মের নামে দেশে বিভাজনের চেষ্টা চলছে: মির্জা ফখরুল

আপডেটেড ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:৪৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা ধর্মভীরু মানুষ, কিন্তু ধর্ম দিয়ে রাষ্ট্র বিভাজনে বিশ্বাস করি না। তবে একটি গোষ্ঠী ধর্মের নামে দেশে বিভাজনের পথ সৃষ্টি করতে চায়।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দলটির ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ১৫ বছর পর দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সেই পথেও অনেক বাধা আসছে। বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে। সাইবারওয়ারে সজাগ থাকতে হবে। একমাত্র বিএনপিই দেশকে সামনের দিকে নিয়ে যাবে।

এ সময় আওয়ামী লীগের আমলে ধ্বংস হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, তরুণ সমাজের মন-মানসিকতার অনেক পরিবর্তন এসেছে। সবাই সর্বক্ষেত্রে পরিবর্তন চায়। নতুন বাংলাদেশের চিন্তা সবার মধ্যে এসেছে। পুরানো ধাঁচের রাষ্ট্রকাঠামো আর উপযোগী থাকছে না। এ সময় বিএনপিকে নতুন চিন্তার আলোকে তৈরি করতে চান বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তারেক রহমান নিজেই পুরো চিকিৎসা কার্যক্রম তদারকি করছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা চিকিৎসা করছেন। এতো মানুষের প্রার্থনা স্রষ্টা নিশ্চয়ই কবুল করবেন।


‘সরকারের অংশ হলে প্রাইভেট সেক্টরেও শুক্র-শনিবার ছুটি ঘোষণা করব’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সরকার গঠন করলে বা সরকারের অংশ হলে প্রাইভেট সেক্টরে শুক্র-শনিবার ছুটি ঘোষণা করব বলে মন্তব্য করেছেন, দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে জুলাই স্পিরিটে আলোকিত পেশাজীবীদের সংগঠন ‘ন্যাশনাল প্রফেশনাল অ্যালায়েন্সের’ আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘পাবলিক এবং প্রাইভেট উভয় সেক্টরে দলীয় দাস, পরিবারতন্ত্র, তৈলমর্দন—এসব ছিল চাকরি পাওয়ার মূল ক্রাইটেরিয়া।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন ভাগাভাগির প্রসঙ্গ নিয়ে পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা কোনো দলের কাছে সিট নেগোসিয়েশনে যাব না।

সিট বণ্টনের পলিটিকস বাংলাদেশে আর চলবে না। ছোট দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বড় দলগুলোর কাছে মাথা নত করবেন না। মেরুদণ্ড বিক্রি করবেন না। পরিবারতন্ত্র, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, ধর্মের রাজনীতি এগুলো আর চলবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন ভাঙা দিয়ে শুরু করেছি, এখন গড়ার সময়।’

ভারতকে উদ্দেশ করে পাটওয়ারী বলেন, ‘ভারতকে বলতে চাই, নির্বাচনে ডিস্টার্ব করতে আসবেন না। দক্ষিণ এশিয়ার বিজেপির সন্ত্রাস রুখে দিতে আমরা প্রস্তুত।


নির্বাচনী লড়াইয়ে মাঠে নামছেন চট্টগ্রামের ১৪টি আসনের প্রার্থীরা

২টি বাদে ১৪টি আসনে বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আহসান হাবিবুল আলম, চট্টগ্রাম

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দুই দফায় ১৪টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) ও চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) এ দুটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি দলটি। এই দুই আসনের প্রার্থীর নাম জানতে নেতাকর্মীদের আরো অপেক্ষা করতে হবে। তবে এই দুই আসনে কারা প্রার্থী হতে পারেন, তা নিয়ে দলের নানামুখী আলাপ-আলোচনা চলছে নেতা-কর্মীদের মধ্যে।

গত ৩ নভেম্বর প্রথম দফায় চট্টগ্রামের মোট ১৬ আসনের মধ্যে প্রথম দফায় ১১টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছিল, তবে পরে একজনের নাম প্রত্যাহার করা হয়। প্রত্যাহার হওয়া ওই আসনসহ গত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় ৪টিতে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। এ নিয়ে চট্টগ্রামের মোট ১৬ আসনের মধ্যে ১৪টিতে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রথম দফায় চট্টগ্রামের ১০টি আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরা হলেন, চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই) আসনে উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে উত্তর জেলার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সরওয়ার আলমগীর,চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে যুবদল নেতা কাজী সালাউদ্দিন, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে দক্ষিণ জেলার সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম, চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য সরওয়ার জামাল নিজাম এবং চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই প্রার্থী ঘোষণা করেন। ঘোষিত চার আসনের মধ্যে চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) আসনে আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে মোস্তফা কামাল পাশা এবং চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে নাজমুল মোস্তফা আমিনকে প্রার্থী করা হয়েছে।

এদের মধ্যে আবু সুফিয়ানের নাম প্রথম তালিকায়ও ছিল। কিন্তু ঘোষণার পরপরই অজ্ঞাত কারণে সেটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তবে এরপরও তিনি প্রচার-প্রচারণা, গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছিলেন। ছাত্রদলের রাজনীতি থেকে উঠে আসা আবু সুফিয়ান চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি দক্ষিণ জেলার আহ্বায়কেরও দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী ও নগরীর একাংশ) আসনে তিনি বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে দুইবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

এদিকে চট্টগ্রামের আলোচিত রাউজান-৬ আসনে শেষ পর্যন্ত বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন প্রয়াত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছোট ভাই গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী। তবে এ আসনে গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পাশাপাশি মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন আরেক হেভিওয়েট নেতা গোলাম আকবর খোন্দকার চৌধুরীও। আওয়ামী লীগ আমলে ১৬ এলাকা ছাড়া বিএনপি নেতাকর্মীরা ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর ঘরে ফেরে গোলাম আকবর ও গিয়াস কাদের- এ দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েন। তাদের অর্ন্তদ্বন্দ্বে ও আধিপত্য বিস্তারে গত ১৫ মাসে রাউজানে খুন হয়েছেন অন্তত ১৭ জন। তবে কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান (পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী রাউজান থেকে আগেও বিএনপির মনোনয়নে একাধিকবার সংসদ-সদস্য পদে নির্বাচন করেছেন। এর মধ্যে একবার তিনি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিভিন্ন সময়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ও শিল্প-বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক পদেও দায়িত্ব পালন করেন।

রাউজানের পাশের আসন রাঙ্গুনিয়ায় মনোনয়ন পেয়ে ইতোমধ্যে নির্বাচনের মাঠে নেমে পড়েছেন তার ভাতিজা, সালাহউদ্দিন কাদেরের ছেলে হুম্মাম কাদের। দেশের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপ আসনে আবারও মনোনয়ন পেয়েছেন মোস্তফা কামাল পাশা, যিনি আগেও দুই দফায় সেখান থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

এ ছাড়া সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনে মনোনয়ন পাওয়া নাজমুল মোস্তফা আমিন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র সদস্য ও লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক। এ আসনে তাকে জামায়াতে ইসলামীর হেভিওয়েট প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীকে নির্বাচনের মাঠে মোকাবিলা করতে হবে।

ঘোষিত আসনের প্রার্থীদের নিয়ে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত। পাড়ায়, মহল্লায় লিফলেট বিতরণ ও উঠোন কর্মসূচীর মাধ্যমে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিএনপি অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।


জামালপুরের মেলান্দহ -মাদারগঞ্জে গণ অধিকার পরিষদের গণসংযোগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুর-৩ মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ আসনে গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়ন প্রত্যাশী লিটন মিয়া ট্রাক মার্কায় ভোট চেয়ে মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে মাদারগঞ্জ থেকে মেলান্দহের হাজরাবাড়ি পৌর এলাকায় বিভিন্ন সড়কে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করা হয়। এতে পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী অংশ নেয়।
পরে একটি পথ সভার মধ্য দিয়ে শেষ করা হয়। এ সময় জাতীয় সংসদে তরুণ নেতৃত্ব পৌছে দিতে আগামীতে ট্রাক মার্কায় ভোট চান তারা।
পথসভায় লিটন মিয়া বলেন, গত ১৬ বছর মানুষ তার ভোটের অধিকার পায়নি। এবার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচন করতে পারবে। আর আমরা তরুণরা সংসদে গেলে মানুষের সকল অধিকার নিয়ে কথা বলার সুযোগ থাকবে। তাই ট্রাক মার্কা মানুষের উন্নয়নের মার্কা৷ শেষে মেলান্দহ-মাদারগঞ্জের মানুষের জন্য নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।


সোনারগাঁওয়ে ইসলামী দলের প্রার্থীরা এক মঞ্চে ঐক্যের ঘোষণা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে ইসলামী দলের সংসদ সদস্য প্রার্থীরা এক মঞ্চে। তারা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইসলামী ৮ দলীয় ঐক্যজোটের কার্যক্রম জোরদারে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন।

গত মঙ্গলবার রাতে প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে নিজেদের উপস্থিতি শক্তভাবে জানান দিতে সোনারগাঁওয়ে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের হামছাদী এলাকায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কার্যালয়ে এক যৌথ আলোচনা সভা মিলিত হয়। সভায় ঐক্যজোটভুক্ত পাঁচ দলের এমপি পদপ্রার্থী একত্রে বসে নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণা দেন।

যৌথ আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জামায়েত ইসলামীর মনোনীত এমপি প্রার্থী প্রিন্সিপাল ড. মো. ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়া, খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রার্থী মাওলানা শাহজাহান শিবলী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. ফারুক আহমেদ মুন্সী, খেলাফত মজলিসের প্রার্থী মুফতি সিরাজুল ইসলামসহ স্থানীয় পাঁচ দলের থানা আমীর, সেক্রেটারি এবং আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সাধারণ মানুষ।

সভায় বক্তারা বলেন, আসন্ন নির্বাচনে ইসলামি ৮ দলীয় ঐক্যজোটের সম্মিলিত অংশগ্রহণকে জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন বলে দাবি করেন। তারা আরও বলেন, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ইসলামি মূল্যবোধ ও ন্যায়ভিত্তিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য এ ঐক্যের বিকল্প নেই।

প্রার্থীরা বলেন, মহান আল্লাহ জনগণের এই ঐক্য কবুল করুন। এবার ইসলামপন্থী শক্তিই সংসদে দায়িত্ব নেবে, এটাই আমাদের বিশ্বাস। প্রার্থীরা আরও বলেন, আমরা প্রতীক যাই হোক, লক্ষ্য এক -ধর্মীয় মূল্যবোধ রক্ষা করা এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। সোনারগাঁওবাসীর ভালোবাসাই আমাদের শক্তি।

এদিকে সভাস্থলে উপস্থিত অনেকেই জানান, বহুদিন পর ইসলামি দলগুলোর এমন ঐক্যবদ্ধ উপস্থিতি তারা দেখলেন। কেউ কেউ মনে করেন, এতে নির্বাচনী মাঠে নতুন সমীকরণ তৈরি হতে পারে। আবার অনেকে মনে করেন, ঐক্যজোটের ভোটব্যাংক থাকলেও আসনটিতে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে প্রধান দুই রাজনৈতিক শক্তির মধ্যেই। স্থানীয়রা জানান, নারায়ণগঞ্জ-০৩ আসনটি সবসময় রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। শিল্পাঞ্চল, পর্যটনকেন্দ্র ও ঘনবসতিপূর্ণ এই সোনারগাঁও এলাকায় বিএনপির পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামী রাজনৈতিক মাঠে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৮ দলীয় ঐক্যজোটের এই যৌথ উপস্থিতি স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সভা শেষে প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে একযোগে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন এবং শিগগিরই বড় আকারের কয়েকটি জনসভা করার ঘোষণা দেন।


রাস্তায় কর্মী নামাইয়া ১৭ বছর কে কোথায় ছিল দেখেছি: হাসনাত আবদুল্লাহ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দেবিদ্বার ও কুমিল্লা প্রতিনিধি

‘গুলি করলে গুলি খাব, তবে আমাকে গুলি করে আমার কর্মীর কাছে যেতে হবে মন্তব্য করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠন হাসনাত আবদুল্লাহ বলছেন- ব্যাপারটা এমন না যে! রাস্তার মধ্যে কর্মী নামাইয়া পালাইয়া যামু। রাস্তার মধ্যে কর্মী নামাইয়া, গত ১৭ বছর কে কোথায় ছিল, আমরা দেখেছি। মঙ্গলবার দিনব্যাপী কুমিল্লার দেবিদ্বারের বিভিন্ন এলাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) পদযাত্রা ও গণযোগাযোগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন হাসনাত আবদুল্লাহ।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘মানুষের কাছে শুনতেছি, আমি নাকি ৫০০ ভোট পাব। ৯ মাসের একটা পার্টি- বাপ-দাদার পরিচয় ছাড়া যদি ৫০০ ভোট পায়, এটাই অনেক কিছু না? আপনারা যারা খেটে খাওয়া মানুষ, যারা কর্মজীবী- আপনাদের প্রতিনিধি হয়ে আমি আসছি। আমার খুব বড় বংশ নেই, আমার টাকা–পয়সা নেই, আমি বিদেশেও পড়াশোনা করি নাই, আমি ঘি খেয়েও বড় হই নাই। নেতারা উপর থেকে নিচে আসছেন, আর আমি আপনাদের মধ্য থেকে উপরে উঠেছি।’

হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, ‘গত ১৭ বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলের যারা রাস্তা–ঘাটে ছিলেন, আমরা তাদের দেখেছি। বিশেষ করে আমরা বিএনপির অনেক নেতা-কর্মীকেও রাস্তা-ঘাটে দেখেছি। অথচ এখন তাদের একতারা বলে- তারা নাকি আওয়ামী লীগ! বিষয়টা চিন্তা করে দেখছেন? তারা কারা?’

দিনব্যাপী গণসংযোগের অংশ হিসেবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসানাত আবদুল্লাহ দেবিদ্বার উপজেলার ভানী ইউনিয়নের সূর্যপুর গ্রামে শহীদ কাদির হোসেন সোহাগের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং এর আগে শহীদ কাদিরের কবর জিয়ারত করেন হাসনাত আবদুল্লাহ।

এ সময় তিনি দেবিদ্বারের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং শাপলা কলি প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন।


খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান

আপডেটেড ২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৫:০৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থার বিষয় নিয়ে গুজব না ছড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসা-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ আহ্বান জানান।

ব্রিফিংয়ে ডা. জাহিদ বলেন, ২৭ তারিখ থেকে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন বেগম খালেদা জিয়া। বর্তমানে তিনি চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন। বিভিন্ন গুজব, বিভিন্ন বক্তব্য দেখার পর থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন। যোগাযোগ করছেন দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সঙ্গে।

বিএনপির এ নেতা আরও জানান, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার প্রতিটি ধাপ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে তার জন্য বিদেশে উন্নত চিকিৎসার প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন রয়েছে।

ডা. জাহিদ বলেন, ডাক্তাররা যে চিকিৎসা দিচ্ছেন, সেটি উনি গ্রহণ করতে পারছেন। তবুও বিদেশে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি আছে কি না মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের পরামর্শ নেয়া হচ্ছে। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ ছাড়া বিদেশে নেয়ার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, চিকিৎসায় সরকার সার্বক্ষণিকভাবে সহযোগিতা করছে। সংকটময় মুহূর্তে দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই। দোয়ার কারণেই হয়ত বেগম জিয়া সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আমরা আশা করি।

তিনি আরও জানান, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে কেবল তার এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য ছাড়া অন্য কারও বক্তব্য প্রচার না করতে সাংবাদিকদের অনুরোধ করা হয়েছে।

এসময় ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।


দেশবাসীর সম্মিলিত সমর্থনই আমাদের পরিবারের শক্তি ও প্রেরণার উৎস

আপডেটেড ২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪:৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার খবরে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও শুভকামনার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

তিনি বলেছেন, ‘দেশবাসীর সম্মিলিত সমর্থনই আমাদের পরিবারের শক্তি ও প্রেরণার উৎস।’

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার আগে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তারেক রহমান এ কথা বলেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মমতাময়ী দেশনেত্রীর দ্রুত আরোগ্যের জন্য আমরা সবাই নিরন্তর দোয়া করছি। এই কঠিন সময়ে ঐক্য, সহমর্মিতা ও সংহতির জন্য প্রতিটি মানুষের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা রইলো।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য যেভাবে সহযোগিতা ও শুভকামনা জানানো হচ্ছে, সেজন্য জিয়া পরিবার ও বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা সবার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ, কূটনীতিকবৃন্দ ও বন্ধুগণের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা, পাশাপাশি বাংলাদেশের মানুষের অপরিসীম ভালোবাসা ও দোয়া, সবকিছু আমাদের আবেগ ও অনুভূতিকে গভীরভাবে স্পর্শ করছে।’

গত ২৩ নভেম্বর থেকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে শয্যাশায়ী খালেদা জিয়া। বর্তমানে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। লিভারজনিত সংকট, কিডনির কর্মক্ষমতা হ্রাস, শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিসসহ একাধিক শারীরিক জটিলতা একসঙ্গে দেখা দেওয়ায় তাঁর চিকিৎসা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গত কয়েক দিনে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে আইসিইউ সমমানের হাইডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রাখা হয়েছিল। হঠাৎ তাঁর শারীরিক অবস্থা আরও অবনতি হওয়ায় গত রোববার মধ্যরাতের পর তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয় বলে জানা গেছে। সেখানে তার চিকিৎসকেরা খালেদা জিয়াকে ভেন্টিলেশনে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছেন।


খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ছাত্রদলের দেশব্যাপী মিলাদ-মাহফিল আজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় আজ মঙ্গলবার দেশব্যাপী মিলাদ ও দোয়া মাহফিল পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

গতকাল সোমবার সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার বাদ আসর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে বিশেষ মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

পাশাপাশি এদিন দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা ও মহানগরেও বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় অনুরূপ মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির আজ এক বিবৃতিতে এই কর্মসূচি যথাযথভাবে পালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল ইউনিটের প্রতি আহ্বান জানান।


খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান রিজভীর

আপডেটেড ২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৪১
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সিসিইউতে পূর্বের মতোই চলছে বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

দলের কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুব ইসলামের মোহাম্মদপুরস্থ বাসভবনে গতকাল সোমবার দুপুরে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় শেষ দোয়া অনুষ্ঠানে রিজভী এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শুধু বিএনপির নেত্রী নন, তিনি শুধু বিএনপির অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেত্রীও নন। আজ সারা বাংলাদেশের সকল মানুষ-পেশাজীবী, সুশীল সমাজ, ছাত্র, যুবক, শ্রমিক ও কৃষক সবাই তার জন্য দোয়া করছেন। তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ঘিরে গোটা জাতি আজ এক বেদনাবিধুর অবস্থার মধ্যে রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বন্দি থাকা অবস্থায় নিজের সন্তান হারিয়েছেন। তিনি অনেক নিপীড়ন ও নির্যাতন সহ্য করেছেন, তবুও তাঁকে নিজের দেশ থেকে সরাতে পারেনি।

তাঁর বিরুদ্ধে অনেক চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র হয়েছে, অনেক নির্যাতন হয়েছে। একটি ভগ্নস্তূপের মতো জেলখানায় তাকে বছরের পর বছর রাখা হয়েছে। তারপরও তাকে এই দেশ ও মাটি থেকে সরানো সম্ভব হয়নি। আজ সারা জাতি তার জন্য দোয়া করছেন।’

বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, বেগম জিয়া অত্যন্ত গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বর্তমানে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আমরা সবাই আল্লাহর কাছে দোয়া করি, আল্লাহ তাকে খুব দ্রুত আরোগ্য দান করুন, সুস্থ করে তুলুন এবং আবারও এ দেশের মানুষের কাছে, জনগণের কাছে তাকে ফিরিয়ে দিন।

বেগম খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে রিজভী বলেন, ‘তিনি বর্তমানে সিসিইউতে আছেন। পূর্বে যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল, গতকাল ও গত পরশু যেমন ছিল, আজও তেমনভাবে সেই চিকিৎসা চলছে। এর বাইরে আর কোনো নতুন আপডেট নেই। অন্য যে যা-ই বলুক, এতে কেউ যেন বিভ্রান্ত না হয়।’

রিজভী আরও বলেন, ‘বেগম জিয়া এখনও সংকটজনক অবস্থায় আছেন। তিনি গুরুতর অসুস্থ, ত গতকাল বা গত পরশু যে অবস্থায় ছিলেন, আজও তিনি সেই একই অবস্থায় আছেন। নানা ধরনের গুজব ও বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে, এতে কেউ যেন কান না দেয়।’


খালেদা জিয়া কোনো দলের নয়, সমগ্র দেশের নেত্রী: ডা. তাহের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কোনো নির্দিষ্ট দলের নন, তিনি সমগ্র দেশের মানুষের নেত্রী।

সোমবার রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে হৃদরোগের চিকিৎসা শেষে বাসায় ফেরার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ডা. তাহের বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আগামী রাজনীতি ও নির্বাচন সামনে রেখে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা, বোঝাপড়া ও নীতিগত ঐক্য আরও বাড়ানো প্রয়োজন। তিনি সব রাজনৈতিক দল ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান, যেন সবাই ধৈর্য ও প্রজ্ঞার সঙ্গে দেশকে অগ্রাধিকার দিয়ে দায়িত্ব ঠিক করে।

নিজের চিকিৎসা প্রসঙ্গে তিনি জানান, হৃদযন্ত্রে ব্লক অনুভব করায় তিনি ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসক মনিরুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা হয়। ব্লকটি শক্ত থাকায় চিকিৎসকদের মধ্যে মতভেদ ছিল। কেউ সিঙ্গাপুরে নেওয়ার পরামর্শ দিলেও তিনি ঢাকাতেই চিকিৎসা নিয়ে সফল হন।

বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ডা. তাহের বলেন, তিনি একজন দেশনেত্রী ও গণতান্ত্রিক নেত্রী। তার আপসহীন নেতৃত্বের কারণেই দেশ গত সাড়ে ১৫ বছরে অন্য দেশের আধিপত্যে পড়েনি। তিনি কোনো দলের নয়, পুরো দেশের মানুষের নেত্রী। জামায়াতের পক্ষ থেকে তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন তিনি।


banner close