বিএনপি প্রকাশ্যে সহিংসতার হুমকি দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ শান্তি চায়। তবে শান্তি সমাবেশে আক্রমণ হলে নেতা-কর্মীরা বসে থাকবে না। জনগণের জানমাল রক্ষায় আওয়ামী লীগ বদ্ধপরিকর।’
সেতুমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বনানীর সেতু ভবনে চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন। ২৮ অক্টোবর এই টানেলের উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি যদি গায়ে পড়ে আমাদের ওপর আক্রমণ করতে আসে, তখন তো আমরা চুপচাপ বসে থাকব না। আমাদের কর্মীরা কি তখন শান্ত থাকবে? আমরা বিএনপির সভাস্থলে হামলা করতে যাব না। কিন্তু আমাদের সমাবেশে হামলা করলে আমরাও বসে থাকব না। পাল্টা হামলা করব।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা বিএনপির সমাবেশে হামলা করিনি, করবও না। কারণ আমরা সরকারে আছি। আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। আমরা নির্বাচনে শান্তি চাই। নির্বাচনের আগের পরিবেশটাতেও শান্তি চাই। আমরা দেশ চালাচ্ছি, তাই অশান্ত পরিবেশ হতে দেব না।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আজকের এই উন্নয়ন, বিরোধীরা স্বপ্নেও কখনো এমন উন্নয়ন দেখেনি। এমন উন্নয়নের কথা ভাবতেও পারেনি। তারা আন্দোলন করছে। আমরা একদিকে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় রাজপথে সতর্ক পাহারায় আছি, অন্যদিকে আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। আমরা উসকানি দেব কেন? আমাদের উসকানি দেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। শান্তিপূর্ণভাবে দেশটাকে চালাতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই, নির্বাচনের আগে ও পরের পরিবেশ শান্ত চাই। বিএনপি আজকের এসব উন্নয়ন স্বপ্নেও দেখেনি। তারা শুধু আন্দোলনই করেছে। আওয়ামী লীগ যেমন কাজ করেছে, তেমনি রাজপথেও সতর্ক থেকেছে। বিএনপির সমালোচনার জবাব কাজের মাধ্যমে দিচ্ছি। বিদেশি চাপের বিষয়ে অবহিত নই, আমাদের নির্বাচন আমরা করব, বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে তারা নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে কি না, তা পর্যবেক্ষণ করতে পারে। ২৯ তারিখ মার্কিন রাষ্ট্রদূত সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়েছে।’
‘বিএনপি একাত্তরের চেতনাকে ধারণ করে না। তারা ধারণ করে সাতচল্লিশের দ্বিজাতিতত্ত্বে। তারা একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিয়েছে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। এর শেষ কোথায়? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠানো কি তাদের সর্বশেষ টার্গেট?’
ভারতে গিয়েও শেখ হাসিনা চুপচাপ বসে নেই। বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। এ সময় তিনি বিভেদ ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার কথাও উল্লেখ করেন।
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত পরিবারের মধ্য জিয়া প্রজন্ম দলের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
সেলিমা রহমান বলেন, স্বৈরাচারের দোসররা বিভিন্ন জায়গায় উসকানি দিয়ে বিশৃঙ্খলা এবং ঘেরাও করার চেষ্টা করছে। ভারত কোনো আগাম সতর্কবার্তা ছাড়াই ফারাক্কা বাঁধ খুলে দিয়ে উত্তরাঞ্চলকে বন্যায় ভাসিয়ে দিয়েছে। প্রতিবেশী এ দেশ বিভিন্নভাবে তাদের ষড়যন্ত্র চক্রান্ত অব্যাহত রেখেছে।
তিনি বলেন, গত ১৭ বছর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী জীবন দিয়েছেন। বহু ত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। তাদের স্যালুট ও নিহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
বিএনপির ৩১ দফা রূপরেখায় রাষ্ট্র সংস্কারের সব প্রস্তাব রয়েছে জানিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, এ রূপরেখা থেকে দেড় বছর আগেই দেওয়া হয়েছিল। প্রস্তাবে ছিল একজন দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট গঠন এবং জনগণের ভোটে সংসদ নির্বাচিত হবে। আগামীতে জাতীয় সরকারের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করা হবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বিজয় তখনই সুসঙ্গত হবে যদি এটা ধরে রাখতে পারি। সুপরিকল্পিতভাবে আমাদের ঐক্য বিনষ্টের চেষ্টা চলছে। সেটিকে রুখে দিতে হবে’। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে তিনি এ কথা বলেন।
ওয়াশিংটনভিত্তিক অধিকার সংস্থা রাইট টু ফ্রিডমের নির্বাহী পরিচালক মুশফিকুল ফজল আনসারীর বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয় প্রেস ক্লাব, বিএফইউজে, ডিইউজে, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ও সাংবাদিক সমবায় সমিতি লিমিটেড।
অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে অনেকেই নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। মুশফিকুল ফজল আনসারী তার মধ্যে অন্যতম। অনেকেই দেশে থাকতে পারেনি ফ্যাসিবাদী হাসিনার কারণে, অনেকে দেশের বাইরে থেকেও সংগ্রামের অংশ নিয়েছেন। আমরা দেশের ভেতরে থেকে আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলাম।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা যে বিজয় অর্জন করেছি, বিজয় তখনি সুসংহত হবে যদি এটা ধরে রাখতে পারি। সুপরিকল্পিতভাবে আমাদের ঐক্য বিনষ্টের চেষ্টা চলছে, সেটিকে রুখে দিতে হবে। যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে সেটিকে যেন কাজে লাগাতে পারি।
এসময় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীকে জাতীয় প্রেস ক্লাব, বিএফইউজে, ডিইউজে, ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির নেতৃবৃন্দ ফুলের তোড়া দিয়ে অভিবাদন জানান।
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা সময় দিতে চাই। এ ক্ষেত্রে যৌক্তিক সময় দেওয়া উচিত। খুব বেশিও দেওয়া উচিত না, কম দিয়ে তাড়াহুড়াও করা উচিত না।
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের রাজশাহী মহানগর আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শুক্রবার নগরের একটি রেস্তোরাঁয় এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, বিভিন্ন জায়গায় দলীয় প্রশাসনে বসে ছিল, পুলিশে হোক, বিজিবিতে হোক, আর্মিতে হোক, বিচারালয়, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিল্পপ্রতিষ্ঠানে যেখানে যাকে বসিয়েছিল, এই দলীয় লোকগুলোকে সরিয়ে সেখানে নিরপেক্ষ লোককে বসাতে হবে। এই কাজ করতে যতখানি সময় লাগে, সে সময় আমাদের দিতে হবে।
অতীতের কথা উল্লেখ করে রাজশাহীর সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, অতীতে আমরা কোনো স্বৈরশাসককে বরদাশত করিনি। ভবিষ্যতেও করব না। জনগণের কল্যাণে যারা কাজ করবে, আমরা তাদের সঙ্গে আছি। অতীতে কিছু লোক ক্ষমতায় গিয়ে, ক্ষমতার স্বাদ যখন পেয়ে যায়, ক্ষমতা আর ছাড়তে চায় না। তখন নিজেরা ক্ষমতায় থেকেই একটা আইন জারি করে দেয়। সরকারের ওই পর্যায়ে থেকে দল তৈরি করে তারা নিজেরাই ক্ষমতায় থাকার একটা পাকাপোক্ত ব্যবস্থা করেছিল। এ রকম যাতে না করে। অন্তর্বর্তী সরকারকে একটা নির্দিষ্ট সময়ে, যৌক্তিক সময়ের মধ্যে কাজগুলো সম্পন্ন করে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। এটিই এখন সময়ের দাবি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সমালোচনা করে অধ্যাপক মুজিবুর বলেন, তারা পুলিশকে দলীয়করণ করেছিল। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় দলীয় পুলিশকে নির্দেশ দিল, ‘দেখামাত্র গুলি কর’। তারা অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে। পুলিশ শ্রমিকদের টাকায় চলে, জনগণের টাকায় চলে। জনগণের টাকায় চলে পুলিশ অজস্র মানুষকে হত্যা করেছে। এর চাইতে জঘন্য কাজ আর হতে পারে না। এই পুলিশের বেশির ভাগই দলীয় সরকারের পক্ষ থেকে নিয়োগ করা পুলিশ।
মুজিবুর রহমান আরও বলেন, এই জন্য, তারা এই অপরাধ করার কারণে কিছু লোক পুলিশে আসেইনি। থানাতেও আসে নাই, ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করে নাই। এই দায়িত্ব পালন করেছে আমাদের ছাত্র ভাইয়েরা। তারা রোদে কষ্ট করে যেভাবে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেছে, যেভাবেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করেছে, ইতিহাসে তাদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
সমাবেশে প্রধান আলোচক ছিলেন জামায়াতের রাজশাহী মহানগরের আমির কেরামত আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, মহানগরের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুস সামাদ, সহসভাপতি আফাজ উদ্দিন সরকার, পবার হড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, তারেক রহমান যদি ২১ আগস্টের মামলায় বিনা কারণে আসামি হতে পারেন। খালেদা জিয়া যদি দুই কোটি টাকার মামলায় পাঁচ বছর জেল খাটতে পারেন তবে ১১৮ মামলার জন্য শেখ হাসিনার ১০০ বছর জেল হওয়া উচিত।
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব ষড়যন্ত্রমূলক মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিতে এ অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
শেখ হাসিনার উদ্দেশে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ইউটিউব থেকে শুনেছি তিনি বাংলাদেশের বর্ডারের কাছে আছেন। এমন কথা বলতে তার লজ্জা লাগে না? হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ তো চোর ছিলেন, বাটপার ছিলেন। ক্ষমতা দখল করেছিলেন জোরপূর্বক। তবুও তিনি দেশ থেকে পালিয়ে যাননি।
তিনি বলেন, আপনার পিতা ও পরিবারকে নিয়ে এত অহংকার, স্বাধীনতা নাকি আপনারা এনেছেন, তাহলে পালালেন কেন? পালালেন এই কারণে, আপনি ছিলেন চোর, আপনি ছিলেন ডাকাত, আপনি ছিলেন গণতন্ত্র হত্যাকারী। আপনি ছিলেন ইলিয়াস আলী চৌধুরী আলমকে গুমকারী, খালেদা জিয়াকে বিনা কারণে মামলা দেওয়ার হুকুমদাতা।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উদ্দেশে বিএনপির এ নেতা বলেন, যে লোকটি আমার পা অচল করে দেন, যে হারুন (ডিবির সাবেক প্রধান হারুন অর রশিদ) বিএনপির অফিস তছনছ করে দেন, যে বিপ্লব-মেহেদিরা বিএনপির অফিসে ঢুকে অস্ত্র রেখে আমাদের মামলা দেন, তাদের আইনের আওতায় আনুন। মানুষকে একটু দেখান। এরাই অত্যাচারী এরাই ছিল ক্ষমতালিপ্সু। এরাই শেখ হাসিনার ডান হাত।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, গত ১৬ বছরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, রুহুল কবির রিজভীসহ অসংখ্য নেতা-কর্মী যে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তা দেশের জনগণ আপনাকে মনে করিয়ে দেবে। ১৬ বছরের ৯ বছর আমি জেল খেটেছি। কোনোদিন বাইরের খাবার খেতে পারিনি। এখন ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পতিত সরকারের দোসর সালমান এফ রহমানকে গুলশান ও ধানমন্ডির রান্না করা খাবার খাওয়াবেন, তা বাংলাদেশের মানুষ কোনোদিনও মেনে নেবে না।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর ইউনুসের উদ্দেশে বিএনপির সাবেক এ চিফ হুইপ বলেন, আপনার বিরুদ্ধে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আমার নেতা তারেক রহমান বাংলাদেশের রাজনীতি করেন না। তিনি বলে দিয়েছেন, সময় দিলাম। মৃত ব্যক্তির ভোট যেন আর বাংলাদেশে না হয়।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, গত ১৬ বছরে ৯২ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে আওয়ামী লীগ। কানাডায় বেগমপাড়া করেছেন তাদের নেতারা। দুবাইয়ে বাড়ি করেছেন। আমাদের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী, যাকে আমরা মহামান্য বলি, ইউটিউবে শুনি তারও নাকি কিছু কিছু বাড়িঘর বাইরে দেখা যায়। লজ্জা হয় না। শরম লাগে না?
তিনি বলেন, বাংলাদেশ তারেক রহমানের নেতৃত্বে এমন এক দেশ হবে, যে দেশে গণতন্ত্র থাকবে, যে দেশে মিটিং করতে কোনো অনুমতি লাগবে না, যে দেশে মানুষ নিত্যপণ্যের সিন্ডিকেট তৈরি করবে না। এমন একটি সরকার বাংলাদেশের আসবে।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কোথায় মায়া, কোথায় মতিয়া চৌধুরী? কোথায় আবদুল হামিদ? কোথায় শাজাহান খান? কোথায় শামীম ওসমান? আপনাদের চেহারা তো দেখি না। পালিয়েছেন নাকি, বাংলাদেশে আছেন তা আমার বিষয় নয়। কতদিন পালিয়ে থাকবেন?
জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরামের সভাপতি মনজুর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আমির হোসেন আমুসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘দেশ থেকে এক ডাকাতকে সরিয়ে আরেক ডাকাতকে ক্ষমতায় বসাতে চাই না। গুণ্ডাপাণ্ডা শাসক হলে আমরা পারব না কেন?’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে বরিশালে ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতি ফয়জুল করীম এ কথা বলেছেন।
সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘জনগণ অতীতের প্রতিহিংসার রাজনীতিতে ফিরে যেতে চায় না। যারা দেশকে লুটেপুটে খেয়েছে, সেই রাজনীতির পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া যাবে না। জনগণ সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলদারির অবসান চায়। প্রতিহিংসার রাজনীতি ফিরে এলে ছাত্র-জনতা আবার জেগে উঠবে।’
নগরীর অশ্বিনীকুমার টাউন হলে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ, বরিশাল জেলা শাখার আয়োজনে এ সম্মেলন হয়। শাখা সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুল হালিম এতে সভাপতিত্ব করেন।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা হাফেজ মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুব, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ছাত্র ও যুববিষয়ক সম্পাদক মুফতি সৈয়দ এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করীম আবরার, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতি শামসুদ্দোহা আশরাফী প্রমুখ। আলোচনা শেষে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ বরিশাল জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা দেওয়া হয়। সভাপতি হয়েছেন হাফেজ মাওলানা আব্দুল হালিম, সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মাওলানা নেসার উদ্দিন কাসেমী।
বিগত সাড়ে ৪ বছরে ৪৭৯ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। আজ বৃহস্পতিবার রাজধনীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, আপনাদের বুঝতে হবে, ম্যাডামকে আওয়ামী লীগ সরকার জেলখানায় নেওয়া পর কারান্তরীণ করে একাকিত্বের মধ্যে রেখেছে। তাকে চিকিৎসা দেয়নি। তাকে আস্তে-আস্তে সংকটাপূর্ণ অবস্থার দিকে ঠেলে দিয়েছে। এগুলো ছিল সরকারের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অংশ।
কারাবন্দি থাকা অবস্থায় বিগত সরকার খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করলেও, তার যে ধরনের চিকিৎসার দরকার ছিল, সঠিক সে চিকিৎসা হয়নি বলে দাবি করেন ডা. জাহিদ।
তিনি আরও বলেন, আজকে ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা এই পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, কয়েকদিন পরপরই তাকে হাসপাতালে নিতে হচ্ছে। গত ২১ আগস্ট তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। ১২ সেপ্টেম্বর আবার তাকে ভর্তি করতে হয়েছে।
দ্রুত সময়ে বিদেশে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা
খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এখনও বাইরে না নেওয়ার প্রসঙ্গে ডা. জাহিদ বলেন, একজনকে বাইরে নেওয়ার জন্য শারীরিক সুস্থতা প্রয়োজন। প্লেনে উঠতে হলে নেগেটিভ চাপ সহ্য করার মতো সুস্থতা থাকতে হবে। প্লেন ল্যান্ড করার সময় কতটুকু সহ্য করার শারীরিক সক্ষমতা থাকতে হবে, সেটা কিন্তু গল্পের বিষয় না।
জাহিদ বলেন, ম্যাডামের চিকিৎসায় গঠিত দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড আলোচনা করছে, তারা ম্যাডামের শারীরিক অবস্থার বিষয়টি বিবেচনা নিয়ে দ্রুততম সময়ে সম্ভব তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি উন্নত সেন্টারে নেওয়ার বিষয়টি দেখছেন। খালেদা জিয়ার এমন কিছু রোগ সৃষ্টি হয়েছে যেগুলো বাইরে উন্নত সেন্টার ছাড়া সম্ভব নয়।
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস। এ উপলক্ষ্যে আগামী ১৪ ও ১৫ তারিখ দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। আজ বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের স্থায়ী কমিটিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে রূপ দেওয়ার জন্য এই দিনটিকে গুরুত্ব সহকারে পালন করার। সেই কারণে আমরা ২ দিনের কর্মসূচি দিয়েছি। কর্মসূচির মধ্যে ১৪ সেপ্টেম্বর শহীদ মিনারে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সেই সমাবেশে গত ১৫ বছরে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে যারা শহীদ হয়েছেন ও নির্যাতিত হয়েছেন, তাদের স্বজনদের নিয়ে সমাবেশ করা হবে। সেই সমাবেশে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকবে। আর ১৫ তারিখ নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে সমাবেশ হবে।
গতকাল বুধবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান ড. ইউনূসের ভাষণের বিষয়ে ফখরুল বলেন, গতকাল প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। সেখানে তিনি সংস্কারের কথা ঘোষণা করেছেন, তার জন্য একটি কমিটির নামও ঘোষণা করেছে। এই ভাষণে তিনি মোটামুটিভাবে তার লক্ষ্যের কথা ঘোষণা করেছেন।
জনপ্রশাসন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার তো সম্পূর্ণ নতুন। দ্বিতীয়ত, প্রশাসনে এতোদিন ধরে আওয়ামী লীগ যেটা করেছে, এটাকে রাজনীতিকরণ করতে গিয়ে এখানে বেশির ভাগই তাদের মতাবলম্বী লোকদের সেখানে প্রমোশন দিয়েছে। ফলে, এখানে শৃঙ্খলা আনতে সময় লাগবে। এখানে নতুন করে লোক নিয়োগ করে তো সম্ভব না। যা আছ, তা দিয়ে কাজ করতে হবে। সেই ধৈর্য আমাদের ধরতে হবে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার জন্য একটি চক্র অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা সেখানে বসে দেশের বিরুদ্ধে অপ্রচার চালাচ্ছে। একইসময়ে শিল্প ক্ষেত্রে একটা অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। দেশের মানুষকে এই চক্রান্ত রুখে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সংস্কারে জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচনের যে সংস্কার সেটি দ্রুত শেষ হবে বলে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে। এই সরকার আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এসেছে, আশা করি তারা জনগণের আশা-আশঙ্কা প্রতিফলন ঘটাবে।
এছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রুত তাদের সংস্কার কাজ শেষ করে নির্বাচনের দিকে মন দেবেন এই আশা করে ফখরুল বলেন, আমরা মনে করি তারা কাজ করছে। এই কাজের জন্য তাদেরকে সময়-সুযোগ দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আশা করি তারা যথাশীঘ্র সম্ভব ও স্বল্প সময়ের মধ্যে তাদের সংস্কার কাজ শেষ করে নির্বাচনের দিকে যাবে।
এসময় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের কীর্তিকলাপের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কয়েক হাজার নেতাকর্মী গুম ও খুনের শিকার হয়েছেন।নেতাকর্মীদের নামে প্রায় ৬০ লাখ মামলা হয়েছে। আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে প্রায় ৬ বছর কারারুদ্ধ করে রেখেছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে তিনি মুক্ত হয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের হাতে নির্যাতনের শিকার হওয়া শিক্ষার্থীদের ন্যায় বিচার পাইয়ে দিতে এবং নির্যাতিতদের তথ্য সংরক্ষণ করতে আলাদা দু’টি সেল গঠন করেছে ছাত্রদল। সেল দু’টির নাম রাখা হয়েছে ‘শিক্ষার্থী নির্যাতনবিষয়ক তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ সেল’ ও ‘আইনি সহায়তা সেল’। আজ বুধবার সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেল দু’টি ফ্যাসিবাদী শাসনামলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া বিরোধী মত ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনের তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তা করবে। এ বিষয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে ছাত্রদল সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে।
শিক্ষার্থী নির্যাতনবিষয়ক তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ সেলের সদস্যরা হলেন, আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহইয়া, এ বি এম ইজাজুল কবির রুয়েল, মনজুরুল আলম রিয়াদ, খোরশেদ আলম সোহেল, আরিফুল ইসলাম, গণেশ চন্দ্র রায় এবং নাহিদুজ্জামান শিপন।
আইনি সহায়তা সেলের সদস্যরা হলেন, মো. সাজ্জাদ হোসেন সবুজ, এইচ এম জাহিদুল ইসলাম, মো. আল আমিন, মো. রফিকুল ইসলাম হিমেল, মল্লিক ওয়াসি উদ্দিন তামী এবং এস এম সাইফ কাদের রুবাব।
ঢাবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের জন্য হলে হলে টর্চার সেল গঠন করেছিলো এবং সেখানে প্রতিনিয়ত মুক্ত মতকে বাধাগ্রস্ত করতে ও বিরোধী মত দমনে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার মাধ্যমে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। সেই সকল ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যই এই সেল গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের এই সকল নির্যাতনের তথ্য সংগ্রহ করে জাতির সামনে উন্মুক্ত করা হবে যাতে ভবিষ্যতে ছাত্র রাজনীতির নামে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের ন্যূনতম সুযোগ কেউ না পায়।
সংখ্যালঘু কার্ড ব্যবহার করে আওয়ামী লীগকে খেলতে দেওয়া হবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। গতকাল মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রামের হাটহাজারী শ্রী শ্রী পুন্ডরীকধামে রাধাষ্টমীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি হচ্ছে বিভাজনের রাজনীতি। তারা সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু বিভাজনের মাধ্যমে সব সময় দেশে অস্থিতিশীল করে রাখার চেষ্টা করেছে। কিন্তু হিন্দুদের সবচেয়ে ক্ষতি আওয়ামী লীগই করেছে। দেশ থেকে গত ১৫ বছরে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা পাচার করা হলো। কার টাকা পাচার করা হলো? আমার আপনার টাকা পাচার করা হলো। কারা করলো? সব অপরাধের শাস্তি তাদের পেতে হবে। বিচার এই বাংলাদেশের মটিতে হবে।
তিনি বলেন, ছাত্র জনতাকে পাখির মতো গুলি করে মারা হয়েছে। গত ১৫ বছর মানুষ কথা বলতে পারেনি, ভোট দিতে পারেনি। সবকিছু একটি দল এবং একটি পরিবার কেন্দ্রিক হয়ে পড়েছিল। কিন্তু ৫ আগস্ট পরবর্তী আওয়ামী লীগের কাউকে মারা হয়েছে? তারা সাধারণ মানুষের ভয়ে পালিয়ে গিয়েছে। কারণ তাদের রাজনীতি ছিল জনগণের বিরুদ্ধে এবং শোষণের রাজনীতি। আমরা বিএনপির নেতাকর্মীরা ভয় পাই না। আমরা জনগণের জন্য রাজনীতি করি। গত ১৫ বছর কত মামলা, কত নির্যাতন করা হলো। বিএনপি নেতাকর্মীরা কষ্ট করে তাদের আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এদেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়নি। এটিই হচ্ছে দেশ ও জনগণের প্রতি বিএনপির কমিটমেন্ট।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক বিএনপির কেন্দ্রীয়সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য নজির হাটহাজারী। এখানে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সব ধর্মের মানুষ নিরাপদে নির্ভীকচিত্তে নিজ নিজ ধর্মের আচার-অনুষ্ঠান পালন করছেন। সব ধর্মের মানুষের মেলবন্ধনে আমাদের মধ্যে চমৎকার ধর্মীয় সম্প্রীতি বিরাজ করছে। বিভিন্ন সময়ে ধর্মীয় নানা ইস্যুতে দেশের বিভিন্ন স্থানে দাঙ্গা-হাঙ্গামা হলেও এ এলাকার মানুষ শত বছর ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে চলছেন নিখুঁতভাবে। এখানেই একশ বছরের বেশি সময় আগে গড়ে উঠেছে দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহ্যবাহী হাটহাজারী মাদ্রাসার জামে মসজিদ (বড় মসজিদ) এবং ‘শ্রী শ্রী সীতাকালী কেন্দ্রীয় মন্দির’। এক দেয়ালের এক পাশে মসজিদ থেকে প্রতিদিন ভেসে আসছে আজানের ধ্বনি। পাশের মন্দিরেও নিয়ম করে বেজে উঠছে উলুধ্বনি। কারও বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ নেই।
মীর হেলাল আরও বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসররা শান্তিপ্রিয় হাটহাজারীতে বারবার ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করেছিল কিন্তু হাটহাজারীর সচেতন জনতা ষড়যন্ত্রকারীদের ফাঁদে পা দেয়নি এবং ভবিষ্যতেও দিবে না। আমাদের নেতা দেশনায়ক তারেক রহমান বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মানচিত্রে ঠিকানা আমাদের যেখানেই হোক পরিচয় একটাই, আমরা সবাই বাংলাদেশি’। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
সাংবাদিক বিপ্লব পার্থ ও প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের সদস্য স্বতন্ত্র গৌরাঙ্গ দাসের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন পুণ্ডরীক বিদ্যানিধি স্মৃতি সংসদের সহ সভাপতি স্বপন চৌধুরী। উদ্বোধক ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয়সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, পুণ্ডরীক বিদ্যানিধি স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার অশোক কুমার নাথ। আর্শীবাদক ছিলেন ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ গৌর দাস ব্রহ্মচারী, রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠের প্রতিনিধি শ্রীমৎ স্বামী পূর্ণব্রতানন্দ মহারাজ, শ্রীমৎ পুলকানন্দ। প্রধান বক্তা ছিলেন পুন্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম সাইফুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কুশল বরণ চক্রবর্তী, হাটহাজারী বিএনপির সদস্য সচিব গিয়াস উদ্দিন চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের যুগ্ম মহাসচিব আর কে দাশ রুপু, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব ধর তমাল, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সংসদের সদস্য সচিব উজ্জ্বল বরণ বিশ্বাস, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সংসদের সদস্য সচিব জুয়েল চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সদস্য সচিব বাপ্পী দে, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ হাটহাজারী শাখার সভাপতি গৌবিন্দ প্রসাদ মহাজন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসন। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে দু’দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও চেয়ারপারসনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে খসরু বলেন, বৈঠকে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং বিভিন্ন বিনিময় কর্মসূচি ও সহায়তাসহ দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, তারা শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজকর্ম এবং বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়েও আলোচনা করেছেন।
রাজনৈতিক দল হিসেবে গণসংহতি আন্দোলনকে নিবন্ধন দিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। আজ মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের সচিবালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বিধিমালা ২০০৮- এর বিধি ৭(২) এর অধীনে ‘গণসংহতি আন্দোলন’ কে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য দলের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এবং নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি দরখাস্ত দিয়েছেন। উক্ত দলের প্রতীক ‘মাথাল’।
ওই রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের বিষয়ে কারও কোনো আপত্তি থাকলে প্রয়োজনীয় দলিলাদি ও কারণ উল্লেখসহ ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবের কাছে লিখিতভাবে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
এর আগে সকালে নির্বাচন কমিশন হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল তুলে নেওয়ায় রাজনৈতিক দল হিসেবে গণসংহতি আন্দোলনকে নিবন্ধন দিতে কোনো আইনি বাধা নেই বলে জানান দলটির আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
এ সময় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘হাইকোর্টের রায় থাকা সত্ত্বেও এতদিন নিবন্ধন না দেওয়ার পেছনে আওয়ামী কর্তৃত্ববাদী সরকারের অসৎ উদ্দেশ্য ছিল। বঞ্চিত করা হয়েছিল তাদের। হয়রানি ও নির্যার্তনের শিকার হতে হয়েছে তার রাজনৈতিক দলকে।’
উল্লেখ্য, রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর ইসিতে আবেদন করে গণসংহতি আন্দোলন। কিন্তু নিবন্ধন না দিয়ে দলটির পক্ষে করা আবেদন খারিজ করে দেয় কমিশন। এর পর ২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাজনৈতিক দল হিসেবে গণসংহতি আন্দোলনের নিবন্ধন আবেদন খারিজ করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার বা পুনর্বিবেচনা করতে ইসিকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গণসংহতি আন্দোলনের নিবন্ধন চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সাকি। হাইকোর্ট পক্ষে রায় দিলেও আপিলের সিদ্ধান্তের কারণে এতদিন ঝুলে ছিল নিবন্ধন।
জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, ‘আমরা কখনোই আওয়ামী লীগের দোসর ছিলাম না, আমরা সব সময় জনগণের দোসর ছিলাম। জাতীয় পার্টির সঙ্গে বিএনপির আদর্শগত মিল আছে কিন্তু চরিত্রগত কোনো মিল নেই। জাতীয় পার্টিকে সব সময় ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে। ১৯৯০ সালের পর থেকে জাতীয় পার্টি নির্যাতন ও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে। সেই ষড়যন্ত্র এখনও চলছে।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগ জোর করে নির্বাচনে নিয়েছে। এতে আমাদের দল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি কি মন্ত্রী হতে নির্বাচনে গিয়েছি? আমি তো ২০০৮ সালে মন্ত্রী ছিলাম। তখনকার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মতবিরোধের কারণে পদত্যাগ করেছিলাম। আমি কখনও মন্ত্রিত্বের জন্য রাজনীতি করি না।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে জাতীয় মহিলা পার্টির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জি এম কাদের এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচন জাতীয় পার্টি বর্জন করেছিল। ৩০০ আসনের মধ্যে আমিসহ ২৭০ জনের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। ২০১৪ সালের নির্বাচনে যাইনি এবং সংসদেও যাইনি। তখন আওয়ামী লীগ আমাকে মন্ত্রিত্ব দিতে চেয়েছিল, আমি রাজি হইনি।’
জাপা প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা জনগণের কোনো ক্ষতি করিনি, জনগণের উপকার করতে চেষ্টা করেছি। ২০১৪ সালে যখন আমরা নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তখন আরেকটা গ্রুপ বানিয়ে তাদের লাঙ্গল মার্কা দিয়ে নির্বাচনে নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল সরকার। আমি বিশ্বাস করিনি। তাই ২০১৪ সালের নির্বাচনে আমরা ২৭০ জন প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছিলাম।’
জি এম কাদের উল্লেখ করেন, ‘২০২৪ সালের নির্বাচন আমরা বর্জন করতে চেয়েছিলাম। আমাদের বাধ্য করা হয় নির্বাচনে যেতে, এটা সবাই জানে। ১৭ ডিসেম্বর ছিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন, আমরা সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থার লোকজন আমাদের অফিস ঘেরাও করে রাখে। আমাদের সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জন করতে দেয়নি।’
‘জোর করে নির্বাচনে নেওয়ার কারণে আমাদের রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী নির্বাচন বর্জন করতে পারিনি। আওয়ামী লীগের পতন না হলে আমাদের দল বিলীন হয়ে যেত। আওয়ামী লীগের পতন না হলে কোনো দলই বাংলাদেশে থাকত না। শুধু আওয়ামী লীগ থাকত।’
জাপার এই নেতা বলেন, ‘১৯৯১ সালের নির্বাচনে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জেলে থেকেই ৫টি আসনে জয়লাভ করেছিল। ৫টি আসনের জনগণ এরশাদকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছে, তাকে আপনারা কীভাবে স্বৈরাচার বলেন? আপনি যদি গণতন্ত্রমনা হন, তাহলে এরশাদকে কখনোই স্বৈরাচার বলতে পারবেন না।’
এরশাদ সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ‘হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছিলেন জননন্দিত নেতা। কোনো নির্বাচনে তিনি পরাজিত হননি। প্রতিটি নির্বাচনে জনগণ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে নির্বাচিত করে জানিয়ে দিয়েছেন, এরশাদ কখনোই স্বৈরাচার ছিল না। ’৯১ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মাঠে থাকতে পারেনি, তারপরও এরশাদ সাহেব জেলে থেকেই ৫টি আসনে জয়ী হয়েছেন। জাতীয় পার্টি ওই নির্বাচনে ৩৬টি আসনে জয়ী হয়েছিল।’
জি এম কাদের বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে আমরা যাইনি। আমাদের কিছু লোককে বাধ্য করে নির্বাচনে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২০১৪ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তো বিএনপি অংশ নিয়েছিল। মার্কা ছিল না কিন্তু ২ ধাপ পর্যন্ত বিএনপি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। ২০১৮ সালে বিএনপিসহ সকল দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল, আমরাও নির্বাচনে ছিলাম।’
প্রেসিডিয়াম সদস্য নাজমা আক্তারের সভাপতিত্বে এই মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব মীর আব্দুস সবুর আসুদ, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি কেউ কেউ আবার বলেছে শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপ করা দরকার, দেশে একটি স্থিতিশীল পরিবেশের জন্য। কেন? হিটলারের সঙ্গে কী সংলাপ করা যায়? আবার কী আমরা ইয়াহিয়া খান, টিক্কা খানকে ডেকে নিয়ে এসে সংলাপ করব? এসব বলা লোক সৈয়দ জামিল আহমেদকে শিল্পকলা একাডেমির ডিজি বানানো হয়েছে। এগুলো হচ্ছে কেন? তিনি কয়েক দিন আগে বলেছেন রামেন্দু মজুমদার, নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু এদের নিয়ে আসা দরকার। আমার প্রশ্ন তারা পালিয়েছে কেন? ওরা আত্মগোপনে আছে কেন? আমরা তো দেখছি যারা ভদ্র আওয়ামী লীগার, তারা দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে।’
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল এলাকায় আজ মঙ্গলবার বিএনপি পরিবারের উদ্যোগে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত তিনটি পরিবারের মধ্যে অর্থ সহায়তা দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্য রিজভী বলেন, ‘আপনাদের দুর্বলতার সুযোগে কিংবা ভালো মানসিকতার সুযোগে ওই পরাজিত স্বৈরাচারের লোকেরা যেন কোনোভাবেই প্রতিষ্ঠা না পায়। হিটলারের যারা সহযোগী ছিল তাদের কি পরবর্তী সরকার কোনো জায়গায় দিয়েছিল? এটা-তো আমরা কখনো শুনিনি।’
তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা নানা কথা বলছেন উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘আপনি সৈয়দ জামিল আহমেদ এসব বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে কীসের রাষ্ট্র তৈরি করতে চান। আবার শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে চান? আপনি শেখ হাসিনাকে ফিরে আনলে হয়তো আপনাদের আবার সুবিধা হবে কিন্তু গোটা জাতি আবার ক্রীতদাস হয়ে যাবে।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, আজ ২৫ জন ডিসি দিয়েছেন। এই ২৫ জন ডিসির সবই ছিল ছাত্রলীগের। এরা তো গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ করবে না। আজকে যারা আয়না ঘর করেছে, সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডকে যারা ধামাচাপা দিয়েছে, একের পর এক কুকর্ম করেছে তাদেরই তো এরা প্রশ্রয় দেবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন, সদস্য সচিব মিথুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।