রোববার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর আশা

নির্বাচনের আগে বিদেশিরা অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলবে না

ছবি: সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১৯ নভেম্বর, ২০২৩ ১৯:১২

জাতীয় নির্বাচনের আগে বিদেশিরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলবে না বলে মনে করছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘গণতন্ত্র ও নির্বাচন: দক্ষিণ এশিয়ান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা জানান।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে এখনো অনেকে বলার চেষ্টা করেন। তবে নির্বাচনের আগে এমন কিছু হবে না- এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করতে পেরেছি বলে বিশ্বাস করি। একটা সময় আসবে, যখন সত্যিকার অর্থেই দেশের মানুষ ও রাজনৈতিক দলগুলো যেভাবে ভাবছে, সেভাবে দেশ পরিচালিত হবে।’

বিদেশি কূটনীতিকদের ইঙ্গিত করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তারা যা করে, সেটা নিয়ে অনেক কথাই হয়েছে। এখন নির্বাচনেই মনোযোগ দিতে চাই। নির্বাচনকে কেউই বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।’

শাহরিয়ার আলম বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো বিভিন্ন রাষ্ট্রের কলোনি (উপনিবেশ) ছিল। এখানকার জিনের মধ্যেই বিদেশিদের হস্তক্ষেপ ঢুকে গেছে।

ভারত সবচেয়ে বড় ও সফল গণতান্ত্রিক দেশ এবং তাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়াও সফল বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। কোনো দেশের নাম উল্লেখ করতে চান না জানিয়ে তিনি বলেন, যারা গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকারের কথা বলে, তারা ভারতের চেয়ে অনেক বেশি ধনী ও উন্নত হওয়া সত্ত্বেও তাদের নির্বাচনেও অনেক সমস্যা থাকে।

দক্ষিণ এশিয়া প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি দেশের নির্বাচন, গণতন্ত্র প্রভাব ফেলবে কীভাবে তার ওপর দক্ষিণ এশিয়া গড়ে উঠছে। গণতন্ত্রের বিপক্ষে যারা, এই দেশগুলোর শত্রু যারা, তারা কিন্তু সক্রিয়। সেখানে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে হবে।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্তের সঞ্চালনায় সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন এডিটরস গিল্ডের প্রেসিডেন্ট মোজাম্মেল বাবু, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, ডিবিসি নিউজের প্রধান সম্পাদক মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, ইন্ডিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি গৌতম লাহিড়ী, টাইমস নাউয়ের কনসাল্টিং এডিটর সঞ্জয় চৌধুরী প্রমুখ।


প্রার্থিতা ফিরে পেলেন হিরো আলম

আপডেটেড ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৭:০৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন অরফে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রোববার বিকেল সাড়ে ৩টায় ইসির আপিল শুনানিতে তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে হিরো আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ আমার প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। এবার আমি কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে না, একটি পার্টি থেকে ডাব মার্কায় নির্বাচন করব।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের মাঠে থাকার পরিবেশ যদি থাকে তাহলে আমি নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকব। জয়ের ব্যাপারে আমি প্রতিবারই আশাবাদী ছিলাম এবারও আমি এ ব্যাপারে আশাবাদী। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি জয় লাভ করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার এলাকার লোকজনের আশ্বাসেই নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি।’

উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসন থেকে হিরো আলম মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। তবে যথাযথভাবে মনোনয়নপত্র পূরণ না করায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম তার প্রার্থিতা বাতিলের ঘোষণা দেন।

এ ছাড়া হিরো আলম তার হলফনামার সঙ্গে সম্পদের আয় ও ব্যয়ের বিবরণী জমা দেননি। তার হলফনামা নোটারি পাবলিক করা থাকলেও সেখানে স্বাক্ষর করেননি।


এবার মঙ্গলবারসহ ৩৬ ঘণ্টার অবরোধ দিল বিএনপি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৬:৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী মঙ্গলবার থেকে টানা ৩৬ ঘণ্টার অবরোধ ডেকেছে বিএনপি।

একাদশ দফায় ডাকা ওই দিন ভোর ৬টা থেকে পরের দিন বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ অবরোধ কর্মসূচি চলবে।

আজ রোববার বিকেলে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, চলমান একদফা আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে ১২ ডিসেম্বর ভোর ৬টা থেকে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা অবরোধ চলবে। বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো এ কর্মসূচি পালন করবে। বরাবরের মতো এবারও গণমাধ্যমের যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স এবং অক্সিজেন সিলিন্ডারবাহী পরিবহন অবরোধের আওতামুক্ত থাকবে।

উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির মহাসমাবেশ পুলিশ পণ্ড করে দিলে তারা এ সরকারের পদত্যাগের একদফাসহ মহাসমাবেশে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে। সমমনা জোটগুলোও এই কর্মসূচির যুগপৎভাবে পালন করেছে। এরপর থেকে পর্যায়ের ক্রমে তারা প্রতি সপ্তাহে মঙ্গলবার এবং শুক্রবার-শনিবার ছুটির দুইদিন বিরতি দিয়ে ৪৮ ঘন্টার করে অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে আসছিল। এ পর্যন্ত দলটি দশম দফায় অবরোধ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল। তবে এবার এগারোতম দফায় মঙ্গলবারও অবরোধ কর্মসূচির আওতায় এনে টানা ৩৬ ঘণ্টার নতুন এ কর্মসূচি দিল দলটি।


১৪ দলের বাইরে অন্যকোনো দলের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির সুযোগ নেই: হানিফ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

‘বিএনপি এখন বাস-ট্রাকে আগুন দিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে চাচ্ছে। এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে তারা মূলত আরও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে’ এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, ‘বারবার সরকার পতনের কথা বলে বিএনপি তাদের নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করে রাখতে চায়।’

শনিবার দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে শহর ও সদর আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় যোগ দেয়ার আগে হানিফ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

হানিফ বলেন, ‘নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু হবে। আওয়ামী লীগ ১৪ দলীয় জোটেই নির্বাচন করবে। ১৪ দলের বাইরে অন্যকোনো দলের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির কোনো সুযোগ নেই।’

তিনি বলেন, ‘নাশকতা যেগুলো হচ্ছে সেটা বন্ধ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইতিমধ্যে শক্ত পদক্ষেপ নিচ্ছে। যে এলাকায় নাশকতা হবে সেই এলাকার বিএনপি নেতাদের এর দায়ভার বহন করতে হবে। নাশকতা করলেই তাকে আইনের আওতায় আসতে হবে। আশা করছি দুই-একটি কঠোর পদক্ষেপ নিলেই এই চোরাগুপ্তা নাশকতা বন্ধ হয়ে যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা নিয়ে নিয়ে স্বপ্ন দেখছে বিএনপি, তারা ভাবছে কোনো বিদেশী প্রভূ তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। বিএনপির একটি গুজব সেল আছে এদের কাজই হলো গুজব সৃষ্টি করা। এগুলোর কোনো ভিত্তি নেই।’

সভায় মাহবুবউল আলম হানিফ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী রবিউল ইসলাম, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি তাইজাল আলী খান, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আ স ম আখতারুজ্জামান মাসুম।


বিএনপি আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে চায়: ওবায়দুল কাদের

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে সারাদেশে কর্মসূচির নামে বিএনপি সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ শনিবার দুপুরে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির আগামীকালের কর্মসূচির নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম রুখে দিতে দেশের মানুষসহ দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র চলছে। দেশে দুর্ভিক্ষ তৈরি করার অপচেষ্টাও চলছে। এতে আওয়ামী লীগ বিচলিত নয়। এসব মোকাবেলা করার মতো রাজনৈতিক দৃঢ়তা আওয়ামী লীগের আছে।’

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য ২০০৯ সালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। বর্তমানে দেশে মানবাধিকার কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারছে। আওয়ামী লীগ মানুষের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জন্মলগ্ন থেকেই হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মাওলানা ভাসানী থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আজকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই অব্যাহত রেখেছেন।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের সব ধরনের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য পদক্ষেপ নিয়ে যাচ্ছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন গণতান্ত্রিক শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করানো ও এ পথকে মসৃণ করার লক্ষ্যে আমরা বিরামহীন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন আমাদের নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। সুতরাং নিষেধাজ্ঞার যৌক্তিক কোনো কারণ আমরা দেখছি না। বরং নির্বাচনকে যারা বাধাগ্রস্ত করবার জন্য সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে, জ্বালাও- পোড়াও, গুপ্ত হামলা করছে এদের ওপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত।’

তিনি বলেন, ‘এদেশে মানবাধিকারের ইতিহাস বড়ই ট্র্যাজিক। শুরু করি যদি ১৫ই আগস্ট এ সপরিবারে অবলা নারী, অবুঝ শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা নারীকে বর্বরোচিত যে হত্যাকান্ড, এ ব্যাপারে মানবাধিকার নিয়ে যারা কথা বলে তাদের অনেককেই দেখেছি নীরব। তাদের অনেকেই স্বৈরশাসকদের তাঁবেদারি করেছে। অথচ এরা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে।’

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম ও সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনোয়ার হোসেন ও মেরিনা জাহান কবিতা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


সহিংস আন্দোলনের কারণে মানুষ আর বিএনপির সঙ্গে নেই: শেখ হাসিনা

মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

জিয়া পরিবার পুরোটাই একটা খুনি পরিবার উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনীর অফিসার, সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছিলেন। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে সেই একইভাবে এ দেশে হত্যাকাণ্ডের রাজনীতি শুরু করেন। ২০০৭ সালে আর জীবনে রাজনীতি করব না বলে তারেক জিয়া মুচলেকা দিয়ে দেশের বাইরে চলে যায়। সেখানে বসে এখন দেশের মানুষকে হুকুম দিয়ে মানুষ হত্যা করাচ্ছে।

তিনি বলেন, এবার প্রথম দিকে বিএনপি আন্দোলনে কিছু মানুষের সমর্থন পেয়েছিল। কিন্তু সহিংস আন্দোলন করায় মানুষ এখন আর তাদের সঙ্গে নেই।

গোপালগঞ্জ সফরের দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার নিজ নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়ায় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি মেনে দলীয় মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। নির্বাচনে আচরণবিধি মেনে চলার বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক থাকায় নিজ নির্বাচনী আসনে দুই দিনের সফরে সরকারি সুবিধা ও প্রটোকল কোনোটাই নেননি শেখ হাসিনা। গত বৃহস্পতিবার সরকারি প্রটোকল ছাড়াই পতাকাবিহীন ব্যক্তিগত গাড়িতে ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া যান আওয়ামী লীগ সভাপতি। সেখানে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবরে শ্রদ্ধার্ঘ্য দিয়েছেন, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতের পর টুঙ্গিপাড়ায় নিজ বাড়িতে করেছেন দলীয় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়। এ সময় ছিল না সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। রাতেও প্রটোকল ছাড়াই ছিলেন নিজ বাড়িতে। শুক্রবার সকালে টুঙ্গিপাড়া থেকে কোটালীপাড়ায় গেছেন পতাকাবিহীন ব্যক্তিগত গাড়িতে।

গোপালগঞ্জে নিজ আসনে সফরের সময় নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে শুক্রবারও প্রটোকল ছাড়াই টুঙ্গিপাড়া থেকে কোটালীপাড়ায় যান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আন্দোলনের নামে এখন তারা আগুন দিয়ে মানুষ পোড়াচ্ছে। পাকিস্তানের প্রেতাত্মা, হানাদার বাহিনীর প্রেতাত্মা এদের ওপর ভর করেছে। পুলিশকে যেভাবে মাটিতে ফেলে পেটাল, এর চেয়ে জঘন্য কাজ মনে হয় আর হতে পারে না। পুলিশ- একটা গরিব মানুষের ছেলে, একটা চাকরি করে। তাকে এভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হলো, সে যখন বেহুঁশ হয়ে গেছে, মৃতপ্রায় তার মাথা থেকে হেলমেট ফেলে দিয়ে মাথায় কোপাল, মারল। এ কোন দেশে আমরা বাস করি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরাই বিএনপির নেতা। কী বীভৎস এরা। এভাবে একটা পুলিশ পিটিয়ে মারল। অ্যাম্বুলেন্সে পুলিশ ঢোকার পর সেখানে আগুন দিল। ২-৩টা অ্যাম্বুলেন্স পোড়াল। সাধারণ রোগী নিয়ে যাচ্ছে, সেই অ্যাম্বুলেন্সের ওপর তারা আক্রমণ করে। রোগীসহ অ্যাম্বুলেন্সের ওপর আক্রমণ করে বিএনপি। এই হলো তাদের চরিত্র। তাদের ওপর মানুষের আস্থা-বিশ্বাস থাকবে কী করে। এখন আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও। এদের শিক্ষাটা বোধ হয় ওই ইসরায়েলের কাছ থেকে নেওয়া। যারা প্যালেস্টাইনের ওপর আক্রমণ করছে। হাসপাতালে রক্তের স্রোত বয়ে যাচ্ছে গাজায়। এরা মনে হয় ওইখান থেকে শিক্ষা নিয়ে চলে।

বিএনপিকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন আবার তারা আউটসোর্সিং আন্দোলন করে। সমাজের কিছু অবাধ্য লোকজনের হাতে টাকা দিয়ে আগুন দেওয়ায়। যুবদলের নেতা নিজে সরাসরি আগুন দিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছে। জনগণ কিন্তু সচেতন। তাদের ধরে ধরে পুলিশে দিয়ে দিচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বারবার আমি মৃত্যুকে সামনে দেখেছি। এই কোটালীপাড়াতেও বিশাল বিশাল বোমা মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছিল। মিটিংয়ে আক্রমণ, বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা এগুলো তো প্রতিনিয়ত ছিল। সরাসরি গুলি- এ অবস্থার মধ্য দিয়েও আল্লাহ বারবার আমাকে বাঁচিয়ে রাখলেন।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা ৯৬ সালে সরকার গঠন করি। আবার ২০০৯ সালে সরকার গঠন করি। ২০০৯ থেকে আমরা এ পর্যন্ত একটানা সরকারে আছি। অন্তত আজ এটুকু বলতে পারি, বাংলাদেশটা বদলে গেছে। বাংলাদেশের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতি হয়েছে, এখন আর খাদ্যের হাহাকারটা নেই। খাদ্য নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করতে পেরেছি। চিকিৎসাসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে পেরেছি। শিক্ষার সুযোগ আমরা সৃষ্টি করেছি। ঠিক যা জাতির পিতা চেয়েছিলেন। একটানা সরকারে থাকতে না পারলে আমাদের উন্নয়ন দৃশ্যমান হতো না।’

কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বক্তব্য দেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, শহীদ উল্লাহ খোন্দকার, আয়নাল হোসেন শেখ প্রমুখ।

কোটালীপাড়ায় মতবিনিময় শেষে তিনি সড়কপথে টুঙ্গিপাড়া যান। বিকেলে তিনি টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।


বিএনপি রোববার অবরোধ দেয়নি, সারাদেশে মানববন্ধন করবে

আপডেটেড ৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২১:৫১
নিজস্ব প্রতিবেদক

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আগামী রোববার ঢাকাসহ সারাদেশের জেলা সদরে গুম-খুন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মানবন্ধন করবে বিএনপি।

আজ শুক্রবার বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি আগামী ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে।

রিজভী বলেন, ঢাকায় মানববন্ধন হবে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ওইদিন সকাল ১১টায়। এই বিষয়ে ঢাকা মহানগর বিএনপি সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে এবং ঢাকার বাইরে অন্যান্য জেলাসমূহে মানববন্ধনে সফল করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সেদিন গুম ও খুনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সমন্বয়ে এ মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে বিএনপি ও এর সমমনা দলগুলো দফায় দফায় হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে আসছিল। দশম দফায় তারা অবরোধ ডাকার পর সামনের সপ্তাহে রোববার হরতাল-অবরোধ না দিয়ে এই কর্মসূচি দিল।


নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আওয়ামী লীগ উদ্বিগ্ন নয়: ওবায়দুল কাদের

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

কোনো নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আওয়ামী লীগ উদ্বিগ্ন নয় বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘সংবিধান মেনেই আমরা স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথে এগিয়ে যাচ্ছি। এখানে নিষেধাজ্ঞা আসবে কেন? কোনো নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আওয়ামী লীগের উদ্বেগ নেই।’

ওবায়দুল কাদের আজ শুক্রবার দুপুরে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি নিষেধাজ্ঞা দিতে চায় তাহলে বিএনপি ও তার দোসররাই নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। নিষেধাজ্ঞা আসলে বিএনপির বিরুদ্ধে আসবে। বিএনপিই নির্বাচনের পথে প্রধান অন্তরায়। তাদের বিরুদ্ধে এখনও কেন নিষেধাজ্ঞা আসছে না?’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পোশাক খাতের শ্রমিকদের নিজেদের স্বার্থে ব্যবহারের পায়তারা আছে। দেশেও আছে, বিদেশেও আছে। পোশাক খাতের স্বার্থেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিকদের বেতন বাড়িয়েছেন। এ খাতের শ্রমিকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বর্তমান সরকার আন্তরিক। পরবর্তীতেও এ সরকার ক্ষমতায় আসলে সংসদে নতুন শ্রম আইন প্রণয়নে ব্যবস্থা নেবে। এ নিয়ে পানি ঘোলা করার দরকার নেই। যারা করছেন নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে করছেন।’

জোটের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে তিনি বলেন, ‘যা হবার ১৭ তারিখের আগে হবে। এরপর আর এ সমস্যা থাকবে না।’

নির্বাচনের দিন ভোটার উপস্থিতি ভালো হবে এমন আশা প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোনো বাধা বিপত্তি, হুমকি, নাশকতা, অগ্নি সন্ত্রাস এ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধা হতে পারবে না। নির্বাচনমুখী ভোটাররাই যারা নির্বাচনে বাধা দিতে আসবে তাদের প্রতিহত করবে। আজকে বিএনপি ও তার সহযোগীরা নির্বাচনে অংশ নেয়নি। এরপরও নির্বাচন নিয়ে উৎসাহ উদ্দীপনা, জাগরণের কমতি নেই। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।’

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও সুজিত রায় নন্দী এবং দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।


হুছামউদ্দীনে দুশ্চিন্তায় নৌকার প্রার্থী

আপডেটেড ৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০৬:৪৯
দেবাশীষ দেবু, সিলেট

সিলেট-৫ আসনে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ। নৌকার টিকিট পেলেও স্বস্তিতে নেই মাসুক। তার দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন ধর্মভিত্তিক সংগঠন আনজুমানে আল ইসলাহর সভাপতি মাওলানা হুছামউদ্দীন চৌধুরী। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তিনি। মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার পর মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করে এসেছেন।

হুছামউদ্দীন চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আসার পর এ আসনে ভোটের হিসাব-নিকাশ নিয়ে নানামুখী আলোচনা চলছে। শেষ মুহূর্তে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাকে ছাড় দেওয়া হতে পারে বলেও আলোচনা চলছে। যদিও মাসুক উদ্দিন কিংবা হুছামউদ্দীন ছাড়ের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

এদিকে সিলেট-৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সীমান্তিকের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আহমদ আল কবির। এলাকায় তারও নিজস্ব ভোট ব্যাংক রয়েছে। ফলে মাসুক উদ্দিনের ভোটে ভাগ বসাতে পারেন আহমদ আল কবিরও।

সিলেট-৫ আসনে এ তিনজন ছাড়া আরও প্রার্থী হয়েছেন জাতীয় পার্টির শাব্বীর আহমদ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) মো. খায়রুল ইসলাম, তৃণমূল বিএনপির কুতুব উদ্দিন শিকদার ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. বদরুল আলম।

জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন না হলে এ আসনে ত্রিমুখী লড়াই হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে মূল লড়াই হতে পারে মাসুক উদ্দিন, আহমদ আল কবির এবং হুছামউদ্দীনের মধ্যে। তবে আওয়ামী লীগ থেকে হুছামউদ্দীনকে ছাড় দেয়া হলে পাল্টে যাবে এ হিসাব।
মাওলানা হুছামউদ্দীন চৌধুরীর বাবা ফুলতলী হুজুর হিসেবে পরিচিত আল্লামা আব্দুল লতিফ চৌধুরী। সিলেটজুড়ে রয়েছে তার অসংখ্য ভক্ত ও মুরিদ। আব্দুল লতিফ চৌধুরী গড়ে তোলেন ধর্মভিত্তিক সংগঠন আনজুমানে আল ইসলাহ। তার মৃত্যুর পর ছেলে হুছামউদ্দীনই এ সংগঠনটি পরিচালনা করছেন। তিনি ইসলামপন্থি নেতাদের মধ্যে আওয়ামী ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। সিলেট-৫ আসনের অন্তর্ভুক্ত জকিগঞ্জে তার বাড়ি। ফলে হুছামউদ্দীনকে শুরু থেকেই এখানে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে ধরা হচ্ছে।

মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সাক্ষাতের পর এখানে আওয়ামী লীগের ছাড়ের বিষয়টিও আলোচিত হচ্ছে। সাক্ষাতের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই তাকে ডেকে পাঠান বলে জানান মাওলানা হুছামউদ্দীন চৌধুরী।

সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে হুছামউদ্দীন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গত বছর ১২ জানুয়ারি নতুন কারিকুলাম ও পাঠ্যপুস্তক থেকে ইসলামি বিশ্বাসবিরোধী বিষয়গুলো বাদ দিয়ে তা সংশোধন, মাদ্রাসার জন্য স্বতন্ত্র কারিকুলাম প্রণয়নসহ ১০ দফা দাবি তুলে ধরেছিলাম। এবারও সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী সিলেট-৫ থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় আমাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে সিলেট বিভাগের অন্যান্য আসনে আওয়ামী লীগকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।

সিলেট-৫ আসন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে আশ্বস্ত করেছেন নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হবে। এ ছাড়া আমাকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন। দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। সবকিছু এ মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। তবে ছাড়ের বিষয়ে কোনো আলাপ হয়নি।’

সিলেট-৫ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য পূবালী ব্যাংক এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজ আহমদ মজুমদার। বয়সজনিত কারণে এবার প্রার্থী হননি এ আওয়ামী লীগ নেতা। তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগে তার নিজস্ব বলয় রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৫ আসনে আওয়ামী লীগ ত্রিধারায় বিভক্ত। এসব বলয়ের নেতৃত্বে রয়েছেন হাফিজ আহমদ মজুমদার, মাসুক উদ্দিন আহমদ এবং আহমদ আল কবির। এ কারণে এবার আওয়ামী লীগের ভোট ভাগ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর সুবিধা পেতে পারেন হুছামউদ্দীন। তবে এ সূত্র জানিয়েছে, জকিগঞ্জে হুছামউদ্দীনের শক্ত অবস্থান থাকলেও কানাঘাট উপজেলায় তার তেমন ভোট নেই।

তবে ছাড় বা দলে বিভক্তির কথা অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাসুক উদ্দিন বলেন, ‘নেত্রী আমাকে নৌকা দিয়ে এলাকায় পাঠিয়েছেন। জোট বা ছাড়ের বিষয়ে আমাকে কিছু বলেননি। এ ছাড়া জকিগঞ্জ-কানাইঘাটে আওয়ামী লীগও ঐক্যবদ্ধ। নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করে আমরা প্রধানমন্ত্রীকে এ আসনটি উপহার দিতে চাই।’


বিএনপি রোববার হরতাল-অবরোধ দিচ্ছে না

আপডেটেড ৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২১:৩৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী রোববার কোনো হরতাল-অবরোধ দিচ্ছে না বিএনপি।

সরকার পতনের একদফা দাবিতে গত ২৯ অক্টোবর থেকে হরতাল ও অবরোধ দিয়ে আসছিল বিএনপি ও এর সমমনা দলগুলো। তবে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আগামী রোববার অবরোধ বা হরতালের মতো কর্মসূচি থেকে বিরত থাকবে দলটি।

হরতাল বা অবরোধ না করে দলটি 'সরকারি দমন-পীড়ন'র প্রতিবাদে সারা দেশে মানববন্ধন করবে।

আজ বৃহস্পতিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

বিএনপি সূত্র জানায়, গুম, মিথ্যা মামলা ও গ্রেপ্তারসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ধরতে ওইদিন ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করবে দলটির নেতাকর্মীরা। সেখানে ভুক্তভোগী বিএনপি নেতাকর্মীদের পরিবার উপস্থিত থাকবে।

অন্যান্য বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরেও একই ধরনের মানববন্ধনের আয়োজন হবে বলে জানিয়েছে বিএনপি’র সূত্রটি।

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে বিএনপির ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ আগামীকাল সকাল ৬টায় শেষ হবে। দশম দফায় অবরোধের কর্মসূচি পালন করছে দলটি।


জাতীয় পার্টির সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচন ও রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে: ওবায়দুল কাদের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের বৈঠক প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা আলাদাভাবে অংশগ্রহণ করবে।’

তিনি বলেন, ‘বৈঠকে আসন বন্টনের প্রসঙ্গ আসেনি, নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচনমুখী দলগুলোর সমন্বয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নাশকতা, গুপ্ত হামলার মতো নির্বাচন বিরোধী অপকর্ম প্রতিহত করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাজনৈতিক আলোচনাই ছিল মুখ্য।’

ওবায়দুল কাদের আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ বৈঠকের মূল বিষয়টি ছিল, নির্বাচনটাকে অবাধ শান্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠু করার জন্য যা করা দরকার তাই করা হবে। যারা নির্বাচনমুখী দল, তাদের নিয়ে সমন্বিতভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে গুপ্তহত্যা, নাশকতা ও গুপ্তহামলা প্রতিরোধ করা হবে। নির্বাচন বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোকাবিলা করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সম্পর্ক আরও জোরদার করা হচ্ছে। এজন্য ১৪ দল ও জাতীয় পার্টির সাথে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করা নিয়ে মূল আলোচনা হয়েছে। জাতীয় পার্টির সাথে আলোচনা নিয়ে এ নিয়ে ঢাকঢোল পেটানোর কিছু নাই।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনমুখী যত রাজনৈতিক দল আছে, যাদের সঙ্গে আমাদের জোট ছিল, মানে মহাজোটে ছিল তাদের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেছি। তাদের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা, আমরা আমাদের সম্পর্কটা আরও জোরদার করার তাগিদ অনুভব করছি। যে কারণে ১৪ দলের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, বিএনপি ততই নির্বাচন বানচালে মরিয়া হয়ে উঠছে। তাদের নাশাকতার মাত্রা আরও বিস্তৃত হতে পারে। মুরগির বাচ্চাও তাদের টার্গেট। নাশকতা, গুপ্ত হামলার ভয়াবহ যে চিত্র তা রেকর্ড স্থাপন করছে। গতকাল পর্যন্ত ছয়শ গাড়ি ভাংচুর করেছে, ১০টি রেলে আগুন দিয়েছে।’

পোশাকখাতে মার্কিন ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের নতুন শর্ত প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র চাইলেও একতরফা কিছু করতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপ এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার বন্ধু দেশগুলো বাংলাদেশের বিষয়ে চরম কোনো সিদ্ধান্ত নিতে এখন আর পক্ষপাতি নয়।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা বিদেশে বন্ধুহীন নেই। তারা জানে বাংলাদেশে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় শেখ হাসিনা কিভাবে নির্বাচন করছেন। দেশে যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য নির্বাচন করছেন। জনগণের ভোটের মাধ্যমেই সরকারি ও বিরোধী দল আসবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


ফখরুলকে কেন জামিন নয়, জানতে চেয়ে রুল জারি

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধান বিচারপতির বাস ভবনে হামলা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে তাকে জামিন না দিয়ে রুল জারি করেন বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, তার সঙ্গে আরও ছিলেন অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান খান, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ বিএনপির আইনজীবীরা। রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম রাফেল।

আদেশের পরে আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘এই মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলামের কোনো সম্পৃক্ততাই ছিল না। তিনি নির্দেশ দিবেন সেই পরিস্থিতিও সেখানে ছিল না। এ মামলায় তার কোনো সম্পৃক্ততা নাই। তিনি বয়স্ক মানুষ। তিনি জামিন পাওয়ারযোগ্য।’

‘আমি আদালতে আরও বলেছি, এ মামলায় ব্যারিস্টার শাজাহান ওমরও ছিলেন। তিনি জামিন পেয়েছেন। তাহলে মির্জা ফখরুল ইসলাম কেন পাবেন না। সব শুনে আদালত সাত দিনের একটা রুল জারি করেছেন। আদালত। আশা করি রুল শুনে আদালত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জামিন দেবেন।’

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের দিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনের হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মির্জা ফখরুলসহ ৫৯ বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে রমনা থানায় একটি মামলা করা হয়। এরপর ২৯ অক্টোবর গুলশান-২ এর ৭১ নম্বর সড়কের ১৮ নম্বর বাড়ি থেকে মির্জা ফখরুলকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পরবর্তীতে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদন নিম্ন আদালতে কয়েক দফায় নামঞ্জুর হলে গত ৩ ডিসেম্বর তিনি হাইকোর্টে এই জামিন আবেদন করেন।

সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত আজ রুল জারি করেন।


নিজ দলে বঞ্চিত ‘হুইপ-প্রতিমন্ত্রী এমপিরা’ ঘোর অন্ধকারে

ছবি কোলাজ: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০৭:০৪
আওয়াল শেখ, খুলনা

মাত্র কয়েক দিন আগেও যাদের ক্ষমতার দাপট ছিল প্রবল। সংসদীয় আসনের সব সিদ্ধান্ত হতো তাদের ইশারায়। এলাকায় চলতেন পুলিশ প্রহরায়। দলের নেতা-কর্মীরা প্রতিনিয়ত ভিড় জমাতেন তাদের কার্যালয়ে। খুলনা বিভাগের এমন ৯ জন সংসদ সদস্য এবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমান সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্য শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান ও জাতীয় সংসদের সরকার দলীয় হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস। নিজ দল থেকে বঞ্চিত হওয়ার পরে তারা কমিয়ে দেন জনসম্পৃক্ততা। ফলে তাদের এখন দিন কাটছে নিজ বাড়ির চার দেয়ালের মধ্যে ঘোর অন্ধকারে।

দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত ৯ জনের মধ্যে ৭ জন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেননি। বাকি দুজন মনোনয়ন জমা দিলেও একজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিতে চেয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, বিভাগের খুলনা জেলায় এবার তিনজন দলীয় এমপিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।

খুলনা-১ আসনে পঞ্চানন বিশ্বাসের বদলে মনোনয়ন পেয়েছে ননী গোপাল মণ্ডল। পঞ্চানন বিশ্বাস ১৯৯৬ সালে উপনির্বাচনে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ২০০১, ২০১৪ ও ২০১৮ সালেও তিনি জয় লাভ করেন। তিনি বর্তমানে জাতীয় সংসদের হুইপ হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন। দল থেকে মনোনয়ন না পাওয়ায়, তাকে আর মাঠের রাজনীতিতে দেখা যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘অসুস্থ বলে আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। যদিও আমি বাস্তবে অসুস্থ না। এখন দল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাই মেনে নিয়েছি।’

এ ছাড়া খুলনা-৩ আসনে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ানের বদলে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের অন্যতম সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেনকে। মুন্নুজান সুফিয়ান ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে খুলনা-৩ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। একই সঙ্গে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে দুই মেয়াদে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। দাপুটে এ নেতা এবার মনোনয়ন না পাওয়ার পর লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে গেছেন। বাদ পড়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দল যা ভালো মনে করে, আমার জন্য তাই ভালো।’

খুলনা-৬ আসনে মো. আক্তারুজ্জামানের বদলে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে মো. রশীদুজ্জামানকে। মো. আক্তারুজ্জামান ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পূর্বে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত। মনোনয়ন না পাওয়ার পর থেকে তাকে আর নিজ সংসদীয় এলাকায় দেখা যায়নি। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে একবার সংসদ সদস্য হওয়ার সুযোগ দিয়েছেন। এটা আমার ভাগ্যের ব্যাপার। আমি দলের জন্য কাজ করব।’

অন্যদিকে যশোর-২ আসনে নাসির উদ্দিনের বদলে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তৌহিদ উজ জামানকে। মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে তিনিও নেতা-কর্মীদের লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে গেছেন। তিনি ক্ষোভ নিয়ে বলেন, ‘আমার আসনে এক অরাজনৈতিক নেতাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তবে দলের সিদ্ধান্ত মেনে আমি নির্বাচনে অংশ নিব না।’

মাগুরা-১ আসনে মো সাইফুজ্জামান শিখরের বদলে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে। এ প্রসঙ্গে শিখর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান হয়ে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়া সুযোগ নেই। এখন দলের জন্যই কাজ করতে হবে।’

বাগেরহাট-৪ আসনে আমিরুল ইসলাম মিলনের বদলে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনের জন্য দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আমিরুল ইসলাম মিলন ২০১৬ ও ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মনোনীত হন। ২০২০ সালের উপনির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন না পেয়ে তিনিও নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা কমিয়ে দিয়েছেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দলের সিদ্ধান্তের বাইরে আমার কোনো সিদ্ধান্ত নেই। যাকে মনোনয়ন দিয়েছে, তার পক্ষেই কাজ করব।’

এ ছাড়া, সাতক্ষীরা-৪ আসনে জগলুল হায়দারের পরিবর্তে এস এম আতাউল হককে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। জগলুল হায়দার ২০১৮ ও ২০১৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ব্যাপকভাবে এলাকার মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তবে এবার মনোনয়ন না পেয়ে অনেকটা নিজেকে লুকিয়ে রেখেছেন। তিনি বলেন, ‘নেত্রী আমার ওপর আগের দুই বার আস্থা রেখেছেন। এবার আমি নেত্রীর ওপর আস্থা রাখলাম। দলের জন্য কাজ করতে মাঠে নামব।’

দুই এমপির মনোনয়ন সংগ্রহ

যশোর-৪ আসনে সংসদ সদস্য রণজিত কুমার রায়ের বদলে এনামুল হক বাবুলকে ও সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবির জায়গায় আসাদুজ্জামান বাবুকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে দলীয় মনোনয়ন না পেলেও রণজিত কুমার রায় ও মীর মোস্তাক আহমেদ রবি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন।

যশোর-৪ আসনে ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন রণজিত কুমার রায়। তিনি বলেন, ‘মনোনয়নপত্র উইথড্র করার সুযোগ রয়েছে। আমি নৌকার বিপক্ষে ভোট করব না।’

অন্যদিকে সাতক্ষীরা-২ আসনে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নৌকমান্ড মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। তিনি মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চান বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া মাঠ না ছাড়ার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন।


তথ্যমন্ত্রীর আয় কমেছে,ঋণ বেড়েছে

 সম্পদ কমেছে স্ত্রীরও
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনের এমপি তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের আয় কমেছে এবং ঋণ বেড়েছে । মনোনয়নপত্রের সঙ্গে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে দেওয়া হলফনামা ঘেঁটে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী।

হলফনামা সূত্রে জানা গেছে, গত পাঁচ বছরে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ এই মন্ত্রীর আয় বাড়েনি, বরং কমেছে। অন্যদিকে তাঁর ঋণ বেড়েছে। একইভাবে তাঁর স্ত্রী নুরান ফাতেমার সম্পদও কমেছে।

হলফনামা বিশ্লেষণে দেখা যায়, তথ্যমন্ত্রীর এবার সব ধরনের ঋণের পরিমাণ গতবারের চেয়ে বেড়েছে। গত নির্বাচনের সময় হলফনামায় সর্বমোট ঋণের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ২১ লাখ টাকা। অথচ এবার তাঁর সর্বমোট ঋণ ২ কোটি ২৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ১ কোটি ৭ লাখ টাকা।

হলফনামায় দেখা গেছে, গত ৫ বছরে হাছান মাহমুদের আয় ও ব্যয় দুটোই উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। গতবারের হলফনামায় বাৎসরিক আয় ছিল ২৬ লাখ ৬২ হাজার টাকা। এবার সেখানে আয় ১৭ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। আয়ের উৎস হিসেবে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া কৃষিজমি, বাড়িভাড়া, মন্ত্রী হিসেবে প্রাপ্ত বেতন-ভাতাদি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন/ভিজিটিং শিক্ষক হিসেবে প্রাপ্ত বেতন দেখিয়েছেন সরকারের এই মন্ত্রী।

একইভাবে তাঁর স্ত্রী নুরান ফাতেমার নামে হলফনামায় ঘোষিত স্থাবর সম্পত্তি ২০১৮ সালের তুলনায় চলতি বছর ২০২৩ সালে অনেক কমেছে। ২০১৮ সালের হলফনামায় স্ত্রীর নামে রাঙ্গুনিয়ার যে ৩ একর জায়গা ছিল, সেটি এখন আর নেই। কিছু জমি এতিমখানার জন্য দান করা হয়েছে বলে তথ্যে প্রকাশ।

উল্লেখ্য, প্রতি বছর নির্বাচনে যারা প্রার্থী হতে চান, তাদের আয়-ব্যয় ও সম্পদের তথ্য হলফনামায় উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হয়।


banner close