বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জাতীয় পার্টির সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচন ও রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে: ওবায়দুল কাদের

বাসস
প্রকাশিত
বাসস
প্রকাশিত : ৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৫:৪৮

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের বৈঠক প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা আলাদাভাবে অংশগ্রহণ করবে।’

তিনি বলেন, ‘বৈঠকে আসন বন্টনের প্রসঙ্গ আসেনি, নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচনমুখী দলগুলোর সমন্বয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নাশকতা, গুপ্ত হামলার মতো নির্বাচন বিরোধী অপকর্ম প্রতিহত করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাজনৈতিক আলোচনাই ছিল মুখ্য।’

ওবায়দুল কাদের আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ বৈঠকের মূল বিষয়টি ছিল, নির্বাচনটাকে অবাধ শান্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠু করার জন্য যা করা দরকার তাই করা হবে। যারা নির্বাচনমুখী দল, তাদের নিয়ে সমন্বিতভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে গুপ্তহত্যা, নাশকতা ও গুপ্তহামলা প্রতিরোধ করা হবে। নির্বাচন বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোকাবিলা করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সম্পর্ক আরও জোরদার করা হচ্ছে। এজন্য ১৪ দল ও জাতীয় পার্টির সাথে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করা নিয়ে মূল আলোচনা হয়েছে। জাতীয় পার্টির সাথে আলোচনা নিয়ে এ নিয়ে ঢাকঢোল পেটানোর কিছু নাই।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনমুখী যত রাজনৈতিক দল আছে, যাদের সঙ্গে আমাদের জোট ছিল, মানে মহাজোটে ছিল তাদের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেছি। তাদের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা, আমরা আমাদের সম্পর্কটা আরও জোরদার করার তাগিদ অনুভব করছি। যে কারণে ১৪ দলের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, বিএনপি ততই নির্বাচন বানচালে মরিয়া হয়ে উঠছে। তাদের নাশাকতার মাত্রা আরও বিস্তৃত হতে পারে। মুরগির বাচ্চাও তাদের টার্গেট। নাশকতা, গুপ্ত হামলার ভয়াবহ যে চিত্র তা রেকর্ড স্থাপন করছে। গতকাল পর্যন্ত ছয়শ গাড়ি ভাংচুর করেছে, ১০টি রেলে আগুন দিয়েছে।’

পোশাকখাতে মার্কিন ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের নতুন শর্ত প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র চাইলেও একতরফা কিছু করতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপ এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার বন্ধু দেশগুলো বাংলাদেশের বিষয়ে চরম কোনো সিদ্ধান্ত নিতে এখন আর পক্ষপাতি নয়।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা বিদেশে বন্ধুহীন নেই। তারা জানে বাংলাদেশে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় শেখ হাসিনা কিভাবে নির্বাচন করছেন। দেশে যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য নির্বাচন করছেন। জনগণের ভোটের মাধ্যমেই সরকারি ও বিরোধী দল আসবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


সাড়ে ৪ বছরে ৪৭৯ দিন হাসপাতালে ছিলেন খালেদা জিয়া

রাজধানীর একটি হাসপাতালে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। পুরোনো ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

বিগত সাড়ে ৪ বছরে ৪৭৯ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। আজ বৃহস্পতিবার রাজধনীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, আপনাদের বুঝতে হবে, ম্যাডামকে আওয়ামী লীগ সরকার জেলখানায় নেওয়া পর কারান্তরীণ করে একাকিত্বের মধ্যে রেখেছে। তাকে চিকিৎসা দেয়নি। তাকে আস্তে-আস্তে সংকটাপূর্ণ অবস্থার দিকে ঠেলে দিয়েছে। এগুলো ছিল সরকারের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অংশ।

কারাবন্দি থাকা অবস্থায় বিগত সরকার খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করলেও, তার যে ধরনের চিকিৎসার দরকার ছিল, সঠিক সে চিকিৎসা হয়নি বলে দাবি করেন ডা. জাহিদ।

তিনি আরও বলেন, আজকে ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা এই পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, কয়েকদিন পরপরই তাকে হাসপাতালে নিতে হচ্ছে। গত ২১ আগস্ট তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। ১২ সেপ্টেম্বর আবার তাকে ভর্তি করতে হয়েছে।

দ্রুত সময়ে বিদেশে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা

খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এখনও বাইরে না নেওয়ার প্রসঙ্গে ডা. জাহিদ বলেন, একজনকে বাইরে নেওয়ার জন্য শারীরিক সুস্থতা প্রয়োজন। প্লেনে উঠতে হলে নেগেটিভ চাপ সহ্য করার মতো সুস্থতা থাকতে হবে। প্লেন ল্যান্ড করার সময় কতটুকু সহ্য করার শারীরিক সক্ষমতা থাকতে হবে, সেটা কিন্তু গল্পের বিষয় না।

জাহিদ বলেন, ম্যাডামের চিকিৎসায় গঠিত দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড আলোচনা করছে, তারা ম্যাডামের শারীরিক অবস্থার বিষয়টি বিবেচনা নিয়ে দ্রুততম সময়ে সম্ভব তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি উন্নত সেন্টারে নেওয়ার বিষয়টি দেখছেন। খালেদা জিয়ার এমন কিছু রোগ সৃষ্টি হয়েছে যেগুলো বাইরে উন্নত সেন্টার ছাড়া সম্ভব নয়।


আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসে ২দিনের কর্মসূচি দেবে বিএনপি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৪:৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস। এ উপলক্ষ্যে আগামী ১৪ ও ১৫ তারিখ দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। আজ বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আমাদের স্থায়ী কমিটিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে রূপ দেওয়ার জন্য এই দিনটিকে গুরুত্ব সহকারে পালন করার। সেই কারণে আমরা ২ দিনের কর্মসূচি দিয়েছি। কর্মসূচির মধ্যে ১৪ সেপ্টেম্বর শহীদ মিনারে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সেই সমাবেশে গত ১৫ বছরে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে যারা শহীদ হয়েছেন ও নির্যাতিত হয়েছেন, তাদের স্বজনদের নিয়ে সমাবেশ করা হবে। সেই সমাবেশে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকবে। আর ১৫ তারিখ নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে সমাবেশ হবে।

গতকাল বুধবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান ড. ইউনূসের ভাষণের বিষয়ে ফখরুল বলেন, গতকাল প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। সেখানে তিনি সংস্কারের কথা ঘোষণা করেছেন, তার জন্য একটি কমিটির নামও ঘোষণা করেছে। এই ভাষণে তিনি মোটামুটিভাবে তার লক্ষ্যের কথা ঘোষণা করেছেন।

জনপ্রশাসন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার তো সম্পূর্ণ নতুন। দ্বিতীয়ত, প্রশাসনে এতোদিন ধরে আওয়ামী লীগ যেটা করেছে, এটাকে রাজনীতিকরণ করতে গিয়ে এখানে বেশির ভাগই তাদের মতাবলম্বী লোকদের সেখানে প্রমোশন দিয়েছে। ফলে, এখানে শৃঙ্খলা আনতে সময় লাগবে। এখানে নতুন করে লোক নিয়োগ করে তো সম্ভব না। যা আছ, তা দিয়ে কাজ করতে হবে। সেই ধৈর্য আমাদের ধরতে হবে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার জন্য একটি চক্র অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা সেখানে বসে দেশের বিরুদ্ধে অপ্রচার চালাচ্ছে। একইসময়ে শিল্প ক্ষেত্রে একটা অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। দেশের মানুষকে এই চক্রান্ত রুখে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সংস্কারে জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচনের যে সংস্কার সেটি দ্রুত শেষ হবে বলে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে। এই সরকার আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এসেছে, আশা করি তারা জনগণের আশা-আশঙ্কা প্রতিফলন ঘটাবে।

এছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রুত তাদের সংস্কার কাজ শেষ করে নির্বাচনের দিকে মন দেবেন এই আশা করে ফখরুল বলেন, আমরা মনে করি তারা কাজ করছে। এই কাজের জন্য তাদেরকে সময়-সুযোগ দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আশা করি তারা যথাশীঘ্র সম্ভব ও স্বল্প সময়ের মধ্যে তাদের সংস্কার কাজ শেষ করে নির্বাচনের দিকে যাবে।

এসময় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের কীর্তিকলাপের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কয়েক হাজার নেতাকর্মী গুম ও খুনের শিকার হয়েছেন।নেতাকর্মীদের নামে প্রায় ৬০ লাখ মামলা হয়েছে। আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে প্রায় ৬ বছর কারারুদ্ধ করে রেখেছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে তিনি মুক্ত হয়েছেন।


নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের সহায়তা করতে ঢাবিতে ‘আইনি সেল’ গঠন

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ২১:১০
ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের হাতে নির্যাতনের শিকার হওয়া শিক্ষার্থীদের ন্যায় বিচার পাইয়ে দিতে এবং নির্যাতিতদের তথ্য সংরক্ষণ করতে আলাদা দু’টি সেল গঠন করেছে ছাত্রদল। সেল দু’টির নাম রাখা হয়েছে ‘শিক্ষার্থী নির্যাতনবিষয়ক তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ সেল’ ও ‘আইনি সহায়তা সেল’। আজ বুধবার সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেল দু’টি ফ্যাসিবাদী শাসনামলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া বিরোধী মত ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনের তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তা করবে। এ বিষয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে ছাত্রদল সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে।

শিক্ষার্থী নির্যাতনবিষয়ক তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ সেলের সদস্যরা হলেন, আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহইয়া, এ বি এম ইজাজুল কবির রুয়েল, মনজুরুল আলম রিয়াদ, খোরশেদ আলম সোহেল, আরিফুল ইসলাম, গণেশ চন্দ্র রায় এবং নাহিদুজ্জামান শিপন।

আইনি সহায়তা সেলের সদস্যরা হলেন, মো. সাজ্জাদ হোসেন সবুজ, এইচ এম জাহিদুল ইসলাম, মো. আল আমিন, মো. রফিকুল ইসলাম হিমেল, মল্লিক ওয়াসি উদ্দিন তামী এবং এস এম সাইফ কাদের রুবাব।

ঢাবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের জন্য হলে হলে টর্চার সেল গঠন করেছিলো এবং সেখানে প্রতিনিয়ত মুক্ত মতকে বাধাগ্রস্ত করতে ও বিরোধী মত দমনে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার মাধ্যমে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। সেই সকল ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যই এই সেল গঠন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের এই সকল নির্যাতনের তথ্য সংগ্রহ করে জাতির সামনে উন্মুক্ত করা হবে যাতে ভবিষ্যতে ছাত্র রাজনীতির নামে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের ন্যূনতম সুযোগ কেউ না পায়।

বিষয়:

সংখ্যালঘু কার্ড নিয়ে আ. লীগকে খেলতে দেওয়া হবে না: গয়েশ্বর

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সংখ্যালঘু কার্ড ব্যবহার করে আওয়ামী লীগকে খেলতে দেওয়া হবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। গতকাল মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রামের হাটহাজারী শ্রী শ্রী পুন্ডরীকধামে রাধাষ্টমীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি হচ্ছে বিভাজনের রাজনীতি। তারা সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু বিভাজনের মাধ্যমে সব সময় দেশে অস্থিতিশীল করে রাখার চেষ্টা করেছে। কিন্তু হিন্দুদের সবচেয়ে ক্ষতি আওয়ামী লীগই করেছে। দেশ থেকে গত ১৫ বছরে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা পাচার করা হলো। কার টাকা পাচার করা হলো? আমার আপনার টাকা পাচার করা হলো। কারা করলো? সব অপরাধের শাস্তি তাদের পেতে হবে। বিচার এই বাংলাদেশের মটিতে হবে।

তিনি বলেন, ছাত্র জনতাকে পাখির মতো গুলি করে মারা হয়েছে। গত ১৫ বছর মানুষ কথা বলতে পারেনি, ভোট দিতে পারেনি। সবকিছু একটি দল এবং একটি পরিবার কেন্দ্রিক হয়ে পড়েছিল। কিন্তু ৫ আগস্ট পরবর্তী আওয়ামী লীগের কাউকে মারা হয়েছে? তারা সাধারণ মানুষের ভয়ে পালিয়ে গিয়েছে। কারণ তাদের রাজনীতি ছিল জনগণের বিরুদ্ধে এবং শোষণের রাজনীতি। আমরা বিএনপির নেতাকর্মীরা ভয় পাই না। আমরা জনগণের জন্য রাজনীতি করি। গত ১৫ বছর কত মামলা, কত নির্যাতন করা হলো। বিএনপি নেতাকর্মীরা কষ্ট করে তাদের আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এদেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়নি। এটিই হচ্ছে দেশ ও জনগণের প্রতি বিএনপির কমিটমেন্ট।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধক বিএনপির কেন্দ্রীয়সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য নজির হাটহাজারী। এখানে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সব ধর্মের মানুষ নিরাপদে নির্ভীকচিত্তে নিজ নিজ ধর্মের আচার-অনুষ্ঠান পালন করছেন। সব ধর্মের মানুষের মেলবন্ধনে আমাদের মধ্যে চমৎকার ধর্মীয় সম্প্রীতি বিরাজ করছে। বিভিন্ন সময়ে ধর্মীয় নানা ইস্যুতে দেশের বিভিন্ন স্থানে দাঙ্গা-হাঙ্গামা হলেও এ এলাকার মানুষ শত বছর ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে চলছেন নিখুঁতভাবে। এখানেই একশ বছরের বেশি সময় আগে গড়ে উঠেছে দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহ্যবাহী হাটহাজারী মাদ্রাসার জামে মসজিদ (বড় মসজিদ) এবং ‘শ্রী শ্রী সীতাকালী কেন্দ্রীয় মন্দির’। এক দেয়ালের এক পাশে মসজিদ থেকে প্রতিদিন ভেসে আসছে আজানের ধ্বনি। পাশের মন্দিরেও নিয়ম করে বেজে উঠছে উলুধ্বনি। কারও বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ নেই।

মীর হেলাল আরও বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসররা শান্তিপ্রিয় হাটহাজারীতে বারবার ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করেছিল কিন্তু হাটহাজারীর সচেতন জনতা ষড়যন্ত্রকারীদের ফাঁদে পা দেয়নি এবং ভবিষ্যতেও দিবে না। আমাদের নেতা দেশনায়ক তারেক রহমান বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মানচিত্রে ঠিকানা আমাদের যেখানেই হোক পরিচয় একটাই, আমরা সবাই বাংলাদেশি’। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

সাংবাদিক বিপ্লব পার্থ ও প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের সদস্য স্বতন্ত্র গৌরাঙ্গ দাসের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন পুণ্ডরীক বিদ্যানিধি স্মৃতি সংসদের সহ সভাপতি স্বপন চৌধুরী। উদ্বোধক ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয়সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, পুণ্ডরীক বিদ্যানিধি স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার অশোক কুমার নাথ। আর্শীবাদক ছিলেন ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ গৌর দাস ব্রহ্মচারী, রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠের প্রতিনিধি শ্রীমৎ স্বামী পূর্ণব্রতানন্দ মহারাজ, শ্রীমৎ পুলকানন্দ। প্রধান বক্তা ছিলেন পুন্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম সাইফুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কুশল বরণ চক্রবর্তী, হাটহাজারী বিএনপির সদস্য সচিব গিয়াস উদ্দিন চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের যুগ্ম মহাসচিব আর কে দাশ রুপু, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব ধর তমাল, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সংসদের সদস্য সচিব উজ্জ্বল বরণ বিশ্বাস, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সংসদের সদস্য সচিব জুয়েল চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সদস্য সচিব বাপ্পী দে, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ হাটহাজারী শাখার সভাপতি গৌবিন্দ প্রসাদ মহাজন।


বিএনপির মহাসচিবের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসন। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে দু’দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও চেয়ারপারসনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে খসরু বলেন, বৈঠকে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং বিভিন্ন বিনিময় কর্মসূচি ও সহায়তাসহ দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, তারা শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজকর্ম এবং বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়েও আলোচনা করেছেন।


গণসংহতি আন্দোলনকে নিবন্ধন দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজনৈতিক দল হিসেবে গণসংহতি আন্দোলনকে নিবন্ধন দিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। আজ মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের সচিবালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বিধিমালা ২০০৮- এর বিধি ৭(২) এর অধীনে ‘গণসংহতি আন্দোলন’ কে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য দলের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এবং নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি দরখাস্ত দিয়েছেন। উক্ত দলের প্রতীক ‘মাথাল’।

ওই রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের বিষয়ে কারও কোনো আপত্তি থাকলে প্রয়োজনীয় দলিলাদি ও কারণ উল্লেখসহ ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবের কাছে লিখিতভাবে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে।

এর আগে সকালে নির্বাচন কমিশন হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল তুলে নেওয়ায় রাজনৈতিক দল হিসেবে গণসংহতি আন্দোলনকে নিবন্ধন দিতে কোনো আইনি বাধা নেই বলে জানান দলটির আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

এ সময় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘হাইকোর্টের রায় থাকা সত্ত্বেও এতদিন নিবন্ধন না দেওয়ার পেছনে আওয়ামী কর্তৃত্ববাদী সরকারের অসৎ উদ্দেশ্য ছিল। বঞ্চিত করা হয়েছিল তাদের। হয়রানি ও নির্যার্তনের শিকার হতে হয়েছে তার রাজনৈতিক দলকে।’

উল্লেখ্য, রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর ইসিতে আবেদন করে গণসংহতি আন্দোলন। কিন্তু নিবন্ধন না দিয়ে দলটির পক্ষে করা আবেদন খারিজ করে দেয় কমিশন। এর পর ২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাজনৈতিক দল হিসেবে গণসংহতি আন্দোলনের নিবন্ধন আবেদন খারিজ করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার বা পুনর্বিবেচনা করতে ইসিকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গণসংহতি আন্দোলনের নিবন্ধন চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সাকি। হাইকোর্ট পক্ষে রায় দিলেও আপিলের সিদ্ধান্তের কারণে এতদিন ঝুলে ছিল নিবন্ধন।

বিষয়:

আমরা কখনও আ.লীগের দোসর ছিলাম না: জিএম কাদের

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, ‘আমরা কখনোই আওয়ামী লীগের দোসর ছিলাম না, আমরা সব সময় জনগণের দোসর ছিলাম। জাতীয় পার্টির সঙ্গে বিএনপির আদর্শগত মিল আছে কিন্তু চরিত্রগত কোনো মিল নেই। জাতীয় পার্টিকে সব সময় ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে। ১৯৯০ সালের পর থেকে জাতীয় পার্টি নির্যাতন ও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে। সেই ষড়যন্ত্র এখনও চলছে।’

তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগ জোর করে নির্বাচনে নিয়েছে। এতে আমাদের দল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি কি মন্ত্রী হতে নির্বাচনে গিয়েছি? আমি তো ২০০৮ সালে মন্ত্রী ছিলাম। তখনকার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মতবিরোধের কারণে পদত্যাগ করেছিলাম। আমি কখনও মন্ত্রিত্বের জন্য রাজনীতি করি না।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে জাতীয় মহিলা পার্টির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জি এম কাদের এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচন জাতীয় পার্টি বর্জন করেছিল। ৩০০ আসনের মধ্যে আমিসহ ২৭০ জনের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। ২০১৪ সালের নির্বাচনে যাইনি এবং সংসদেও যাইনি। তখন আওয়ামী লীগ আমাকে মন্ত্রিত্ব দিতে চেয়েছিল, আমি রাজি হইনি।’

জাপা প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা জনগণের কোনো ক্ষতি করিনি, জনগণের উপকার করতে চেষ্টা করেছি। ২০১৪ সালে যখন আমরা নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তখন আরেকটা গ্রুপ বানিয়ে তাদের লাঙ্গল মার্কা দিয়ে নির্বাচনে নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল সরকার। আমি বিশ্বাস করিনি। তাই ২০১৪ সালের নির্বাচনে আমরা ২৭০ জন প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছিলাম।’

জি এম কাদের উল্লেখ করেন, ‘২০২৪ সালের নির্বাচন আমরা বর্জন করতে চেয়েছিলাম। আমাদের বাধ্য করা হয় নির্বাচনে যেতে, এটা সবাই জানে। ১৭ ডিসেম্বর ছিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন, আমরা সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থার লোকজন আমাদের অফিস ঘেরাও করে রাখে। আমাদের সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জন করতে দেয়নি।’

‘জোর করে নির্বাচনে নেওয়ার কারণে আমাদের রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী নির্বাচন বর্জন করতে পারিনি। আওয়ামী লীগের পতন না হলে আমাদের দল বিলীন হয়ে যেত। আওয়ামী লীগের পতন না হলে কোনো দলই বাংলাদেশে থাকত না। শুধু আওয়ামী লীগ থাকত।’

জাপার এই নেতা বলেন, ‘১৯৯১ সালের নির্বাচনে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জেলে থেকেই ৫টি আসনে জয়লাভ করেছিল। ৫টি আসনের জনগণ এরশাদকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছে, তাকে আপনারা কীভাবে স্বৈরাচার বলেন? আপনি যদি গণতন্ত্রমনা হন, তাহলে এরশাদকে কখনোই স্বৈরাচার বলতে পারবেন না।’

এরশাদ সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ‘হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছিলেন জননন্দিত নেতা। কোনো নির্বাচনে তিনি পরাজিত হননি। প্রতিটি নির্বাচনে জনগণ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে নির্বাচিত করে জানিয়ে দিয়েছেন, এরশাদ কখনোই স্বৈরাচার ছিল না। ’৯১ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মাঠে থাকতে পারেনি, তারপরও এরশাদ সাহেব জেলে থেকেই ৫টি আসনে জয়ী হয়েছেন। জাতীয় পার্টি ওই নির্বাচনে ৩৬টি আসনে জয়ী হয়েছিল।’

জি এম কাদের বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে আমরা যাইনি। আমাদের কিছু লোককে বাধ্য করে নির্বাচনে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২০১৪ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তো বিএনপি অংশ নিয়েছিল। মার্কা ছিল না কিন্তু ২ ধাপ পর্যন্ত বিএনপি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। ২০১৮ সালে বিএনপিসহ সকল দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল, আমরাও নির্বাচনে ছিলাম।’

প্রেসিডিয়াম সদস্য নাজমা আক্তারের সভাপতিত্বে এই মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব মীর আব্দুস সবুর আসুদ, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ।


যারা ভদ্র আওয়ামী লীগার, তারা দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে: রিজভী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি কেউ কেউ আবার বলেছে শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপ করা দরকার, দেশে একটি স্থিতিশীল পরিবেশের জন্য। কেন? হিটলারের সঙ্গে কী সংলাপ করা যায়? আবার কী আমরা ইয়াহিয়া খান, টিক্কা খানকে ডেকে নিয়ে এসে সংলাপ করব? এসব বলা লোক সৈয়দ জামিল আহমেদকে শিল্পকলা একাডেমির ডিজি বানানো হয়েছে। এগুলো হচ্ছে কেন? তিনি কয়েক দিন আগে বলেছেন রামেন্দু মজুমদার, নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু এদের নিয়ে আসা দরকার। আমার প্রশ্ন তারা পালিয়েছে কেন? ওরা আত্মগোপনে আছে কেন? আমরা তো দেখছি যারা ভদ্র আওয়ামী লীগার, তারা দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে।’

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল এলাকায় আজ মঙ্গলবার বিএনপি পরিবারের উদ্যোগে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত তিনটি পরিবারের মধ্যে অর্থ সহায়তা দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্য রিজভী বলেন, ‘আপনাদের দুর্বলতার সুযোগে কিংবা ভালো মানসিকতার সুযোগে ওই পরাজিত স্বৈরাচারের লোকেরা যেন কোনোভাবেই প্রতিষ্ঠা না পায়। হিটলারের যারা সহযোগী ছিল তাদের কি পরবর্তী সরকার কোনো জায়গায় দিয়েছিল? এটা-তো আমরা কখনো শুনিনি।’

তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা নানা কথা বলছেন উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘আপনি সৈয়দ জামিল আহমেদ এসব বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে কীসের রাষ্ট্র তৈরি করতে চান। আবার শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে চান? আপনি শেখ হাসিনাকে ফিরে আনলে হয়তো আপনাদের আবার সুবিধা হবে কিন্তু গোটা জাতি আবার ক্রীতদাস হয়ে যাবে।’

বিএনপির এ নেতা বলেন, আজ ২৫ জন ডিসি দিয়েছেন। এই ২৫ জন ডিসির সবই ছিল ছাত্রলীগের। এরা তো গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ করবে না। আজকে যারা আয়না ঘর করেছে, সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডকে যারা ধামাচাপা দিয়েছে, একের পর এক কুকর্ম করেছে তাদেরই তো এরা প্রশ্রয় দেবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন, সদস্য সচিব মিথুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

বিষয়:

৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সিলেট ব্যুরো

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌর শহরের একটি রেস্টুরেন্টের হল রুমে বিয়ানীবাজারে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, যদি ইসলামী দলগুলো কিংবা ভিন্ন দলগুলো নির্বাচনে সহযোগিতা চান তাহলে জামায়াতে ইসলামী থেকে তাদেরকেও সহযোগিতা করা হবে। বিগত সরকার দেশকে কেবল পেছনের দিকে নিয়ে গেছে। সর্বক্ষেত্রে দলীয়করণ করে দেশে সহিংস ও প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু করেছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতনের পর দেশের সাধারণ মানুষ এক নতুন বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে।

তিনি আরও বলেন, বিয়ানীবাজারের মতো সীমান্তের একটি জনপদ থেকে বৃহৎ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্বকালেও রাজনীতির অপব্যবহার করিনি। আগামীতেও রাজনীতিকে ব্যবহার করে কোনো অপকর্ম করা কিংবা টাকা-পয়সা বানানোর খায়েস আমার নেই।

সেলিম উদ্দিন বলেন, বিগত সরকারের সময়ে বিচারের নামে প্রহসন হয়েছে। কোরআনের পাখি আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মিথ্যা অভিযোগে সাজা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে পরিকল্পিতভাবে সরকারের দোসর চিকিৎসকরা অপচিকিৎসা দিয়ে তাকে হত্যা করেছেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মাওলানা সাঈদীকে হত্যার বিচার দাবি করছে।

বিষয়:

খালেদা জিয়ার পরবর্তী হাজিরা ৩১ অক্টোবর

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

হত্যা ও নাশকতার ১০ ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে দায়ের করা এক মামলাসহ মোট ১১টি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হাজিরার নতুন তারিখ ধার্য করা হয়েছে আগামী ৩১ অক্টোবর।

আজ সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এই তারিখ ধার্য করেন।

রানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনের দুই নম্বর ভবনে স্থাপিত বিশেষ এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। আজ মামলাগুলোর শুনানির তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় পৃথক পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানির নতুন তারিখ ধার্য করা হয়। আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে, ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ীতে একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা হামলায় ৩১ যাত্রী দগ্ধ ও জখম হয়। এর মধ্যে নূর আলম নামে একজনের মৃত্যু হয় চিকিৎসাধীন অবস্থায়। এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলা এই আদালতে বিচারাধীন।

একই বছরের ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের এক আলোচনা সভায় খালেদা মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বলেন, ‘আজ বলা হয়, এত লক্ষ লোক শহীদ হয়েছেন। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে যে, আসলে কত লক্ষ লোক মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। নানা বই-কিতাবে নানা রকম তথ্য আছে।’

ওই বক্তব্যে ‘দেশদ্রোহী’ মনোভাবের পরিচয় রয়েছে অভিযোগ করে ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে খালেদার বিরুদ্ধে মামলা করেন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী।

অন্যদিকে রাজধানীর দারুস সালাম থানায় ২০১৫ সালে করা নয়টি নাশকতার মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয় বিভিন্ন সময়ে। সেসব মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়ার পর তা মহানগর দায়রা আদালতে বিচারের জন্য স্থানান্তর করা হয়।


যাত্রীর লাগেজ থেকে বিদেশি মুদ্রা চুরি, বিমানের ৫ কর্মী আটক

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

যাত্রীর লাগেজ থেকে ৬ হাজার ৮০০ ইউরো চুরির ঘটনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স তাদের পাঁচজন কর্মীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। এ ঘটনায় শনাক্ত বিমানের আরেক কর্মী পলাতক রয়েছেন।

আজ সোমবার বিমানের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গেল ২ আগস্ট ওই যাত্রী বিমানের একটি ফ্লাইটে (বিজি-৩৬৩) ঢাকা থেকে চেন্নাই যান। সেখানে পৌঁছে লাগেজে তার ইউরো না পেয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। এরপরই ঘটনার তদন্তে শুরু করে বিমান কর্তৃপক্ষ। এরপর বিমানের নিরাপত্তা বিভাগ বিষয়টি তদন্ত করে ঢাকা স্টেশনে কর্মরত ছয় ট্রাফিক হেলপারকে চিহ্নিত করে। তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকারও করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ ঘটনায় ঢাকা বিমানবন্দর থানায় মামলা করে বিমান কর্তৃপক্ষ। চুরির সঙ্গে জড়িত থাকায় পাঁচজনকে থানায় সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত অপর ব্যক্তি পলাতক রয়েছেন। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে চুরি হওয়া অর্থ দ্রুত উদ্ধার করে যাত্রীকে ফেরত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। পাশাপাশি যাত্রীদের ব্যাগেজে মূল্যবান সামগ্রী, টাকা-পয়সা ও অলংকার পরিবহনে নিরুৎসাহিত করে এসব সামগ্রী চেকড ব্যাগেজে বহন না করে নিজের হাতে থাকা ব্যাগেজে বহনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।

এদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ সব ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি ও যাত্রী হয়রানির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে জানিয়ে জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক বোসরা ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ ঘটনার নেপথ্যদের খুঁজে বের করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় নেওয়া হবে।’


ছাত্র-জনতা আন্দোলনের সুফল পেতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান বলেছেন, ছাত্র-জনতা সফল আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে যে পরিবর্তন নিয়ে এসেছে এ পরিবর্তনের সুফল যাতে দেশ ও জনগণ পায় সেজন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আজ সোমবার বেলা ১১টায় ভোলা সার্কিট হাউজে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে বিশেষ সভায় এ কথা বলেন তিনি।

নৌপ্রধান আরও বলেন, সশস্ত্র বাহিনী সব সময় জনগণের পাশে ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আমরা বেসামরিক প্রশাসনকে যথাযথ সহায়তা দিয়ে থাকি। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে বর্তমানে যৌথ বাহিনীর কার্যক্রম চলছে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ অন্যান্য কার্যক্রমে সহায়তা করে যাচ্ছি এবং যতদূর পর্যন্ত এটার প্রয়োজন হবে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক আমরা সেই সহায়তা করে যাব।

৫ আগস্টের পর দেশের বিভিন্ন সহিংসতার বিষয়ে নৌবাহিনী প্রধান আরও বলেন, সারা দেশে বেশ কিছু অরাজকতা ও নাশকতা হয়েছে যা দুঃখজনক। কে বা কারা জড়িত ছিল, অনেক চিহ্নিত সন্ত্রাসী, অনেকে প্রতিহিংসা বা আক্রোশের চরিতার্থ করেছে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ অবস্থার উন্নতি হয়েছে। বর্তমানে এ ধরনের সহিংসতা অনেকটাই কমে এসেছে।

নাজমুল হাসান বলেন, আমার বিশ্বাস আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সবাই মিলে কার্যক্রম জোরদার করলে অস্থিরতা অনেকটাই কমে আসবে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান করব সামরিক প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করবেন।

সভায় বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী, জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহিদুজ্জামানসহ বিভিন্ন দপ্তর প্রধানরা ছিলেন।


প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে বারবার আধিপত্যের রাজনীতি করছে ভারত: ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভারতের আধিপত্যবাদী মনোভাবের সমালোচনা করে বলেছেন, ভারত প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আধিপত্যবাদের রাজনীতি করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি রাজনীতি ও আচরণের কারণগুলো ভারত ভালোভাবেই বোঝে।

আজ সোমবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। ফখরুল দুঃখের সঙ্গে বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের সঙ্গেও ভারতের সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে।

তিনি বলেন, আমার মতে এর প্রধান কারণ এই প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের ধারাবাহিক আধিপত্যের রাজনীতি। এই দৃষ্টিভঙ্গি ভারত বা তার প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনবে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, তাদের দল বিশ্বাস করে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক পারস্পরিক শ্রদ্ধা, মর্যাদা ও অভিন্ন স্বার্থের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা উচিত।ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ফখরুল এসব কথা বলেন।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং শান্তি বজায় রাখতে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।

বিএনপির জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নেতাকর্মীদের নিয়ে শেরেবাংলা নগরে জিয়ার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মির্জা ফখরুল।তারা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন।

এ সময় বিএনপিার স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান ও এ জেড এম জাহিদ হোসেন, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ১৯৭৮ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পর ৯ সেপ্টেম্বর জিয়াউর রহমান মহিলা দল প্রতিষ্ঠা করেন।

ফখরুল বলেন, ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রায় ১৬ বছর পর দেশ ফ্যাসিবাদী আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর হাত থেকে মুক্ত হয়েছে। তিনি বলেন, এই বিপ্লবে বহু ছাত্রের পাশাপাশি নারী ও শিশু তাদের জীবন উৎসর্গ করেছে।

বিএনপির এই নেতা জোর দিয়ে বলেন, গণতন্ত্রের জন্য এই আন্দোলন পুনরুদ্ধারে নারীর অবদান কেউ অস্বীকার করতে পারে না। তিনি বলেন, আজকের এই দিনে আমদের যে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে তা সুসংহত করা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং দেশে আইনের শাসন ও জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত রাখার শপথ নিয়েছি।

একই সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় সংস্কার সম্পন্ন করে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব।

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দু'বার সাক্ষাৎ করেছেন এবং সংস্কার প্রস্তাবগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরার এবং একটি সময়সীমা নির্ধারণ করার অনুরোধ করেছেন, যাতে সুনির্দিষ্ট ও যুক্তিসঙ্গত সময়সীমার মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করা যায়।


banner close