বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

সহিংস আন্দোলনের কারণে মানুষ আর বিএনপির সঙ্গে নেই: শেখ হাসিনা

মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২২:৪৬

জিয়া পরিবার পুরোটাই একটা খুনি পরিবার উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনীর অফিসার, সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছিলেন। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে সেই একইভাবে এ দেশে হত্যাকাণ্ডের রাজনীতি শুরু করেন। ২০০৭ সালে আর জীবনে রাজনীতি করব না বলে তারেক জিয়া মুচলেকা দিয়ে দেশের বাইরে চলে যায়। সেখানে বসে এখন দেশের মানুষকে হুকুম দিয়ে মানুষ হত্যা করাচ্ছে।

তিনি বলেন, এবার প্রথম দিকে বিএনপি আন্দোলনে কিছু মানুষের সমর্থন পেয়েছিল। কিন্তু সহিংস আন্দোলন করায় মানুষ এখন আর তাদের সঙ্গে নেই।

গোপালগঞ্জ সফরের দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার নিজ নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়ায় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি মেনে দলীয় মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। নির্বাচনে আচরণবিধি মেনে চলার বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক থাকায় নিজ নির্বাচনী আসনে দুই দিনের সফরে সরকারি সুবিধা ও প্রটোকল কোনোটাই নেননি শেখ হাসিনা। গত বৃহস্পতিবার সরকারি প্রটোকল ছাড়াই পতাকাবিহীন ব্যক্তিগত গাড়িতে ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া যান আওয়ামী লীগ সভাপতি। সেখানে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবরে শ্রদ্ধার্ঘ্য দিয়েছেন, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতের পর টুঙ্গিপাড়ায় নিজ বাড়িতে করেছেন দলীয় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়। এ সময় ছিল না সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। রাতেও প্রটোকল ছাড়াই ছিলেন নিজ বাড়িতে। শুক্রবার সকালে টুঙ্গিপাড়া থেকে কোটালীপাড়ায় গেছেন পতাকাবিহীন ব্যক্তিগত গাড়িতে।

গোপালগঞ্জে নিজ আসনে সফরের সময় নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে শুক্রবারও প্রটোকল ছাড়াই টুঙ্গিপাড়া থেকে কোটালীপাড়ায় যান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আন্দোলনের নামে এখন তারা আগুন দিয়ে মানুষ পোড়াচ্ছে। পাকিস্তানের প্রেতাত্মা, হানাদার বাহিনীর প্রেতাত্মা এদের ওপর ভর করেছে। পুলিশকে যেভাবে মাটিতে ফেলে পেটাল, এর চেয়ে জঘন্য কাজ মনে হয় আর হতে পারে না। পুলিশ- একটা গরিব মানুষের ছেলে, একটা চাকরি করে। তাকে এভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হলো, সে যখন বেহুঁশ হয়ে গেছে, মৃতপ্রায় তার মাথা থেকে হেলমেট ফেলে দিয়ে মাথায় কোপাল, মারল। এ কোন দেশে আমরা বাস করি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরাই বিএনপির নেতা। কী বীভৎস এরা। এভাবে একটা পুলিশ পিটিয়ে মারল। অ্যাম্বুলেন্সে পুলিশ ঢোকার পর সেখানে আগুন দিল। ২-৩টা অ্যাম্বুলেন্স পোড়াল। সাধারণ রোগী নিয়ে যাচ্ছে, সেই অ্যাম্বুলেন্সের ওপর তারা আক্রমণ করে। রোগীসহ অ্যাম্বুলেন্সের ওপর আক্রমণ করে বিএনপি। এই হলো তাদের চরিত্র। তাদের ওপর মানুষের আস্থা-বিশ্বাস থাকবে কী করে। এখন আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও। এদের শিক্ষাটা বোধ হয় ওই ইসরায়েলের কাছ থেকে নেওয়া। যারা প্যালেস্টাইনের ওপর আক্রমণ করছে। হাসপাতালে রক্তের স্রোত বয়ে যাচ্ছে গাজায়। এরা মনে হয় ওইখান থেকে শিক্ষা নিয়ে চলে।

বিএনপিকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন আবার তারা আউটসোর্সিং আন্দোলন করে। সমাজের কিছু অবাধ্য লোকজনের হাতে টাকা দিয়ে আগুন দেওয়ায়। যুবদলের নেতা নিজে সরাসরি আগুন দিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছে। জনগণ কিন্তু সচেতন। তাদের ধরে ধরে পুলিশে দিয়ে দিচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বারবার আমি মৃত্যুকে সামনে দেখেছি। এই কোটালীপাড়াতেও বিশাল বিশাল বোমা মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছিল। মিটিংয়ে আক্রমণ, বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা এগুলো তো প্রতিনিয়ত ছিল। সরাসরি গুলি- এ অবস্থার মধ্য দিয়েও আল্লাহ বারবার আমাকে বাঁচিয়ে রাখলেন।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা ৯৬ সালে সরকার গঠন করি। আবার ২০০৯ সালে সরকার গঠন করি। ২০০৯ থেকে আমরা এ পর্যন্ত একটানা সরকারে আছি। অন্তত আজ এটুকু বলতে পারি, বাংলাদেশটা বদলে গেছে। বাংলাদেশের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতি হয়েছে, এখন আর খাদ্যের হাহাকারটা নেই। খাদ্য নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করতে পেরেছি। চিকিৎসাসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে পেরেছি। শিক্ষার সুযোগ আমরা সৃষ্টি করেছি। ঠিক যা জাতির পিতা চেয়েছিলেন। একটানা সরকারে থাকতে না পারলে আমাদের উন্নয়ন দৃশ্যমান হতো না।’

কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বক্তব্য দেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, শহীদ উল্লাহ খোন্দকার, আয়নাল হোসেন শেখ প্রমুখ।

কোটালীপাড়ায় মতবিনিময় শেষে তিনি সড়কপথে টুঙ্গিপাড়া যান। বিকেলে তিনি টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।


সোনারগাঁওয়ে ইসলামী দলের প্রার্থীরা এক মঞ্চে ঐক্যের ঘোষণা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে ইসলামী দলের সংসদ সদস্য প্রার্থীরা এক মঞ্চে। তারা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইসলামী ৮ দলীয় ঐক্যজোটের কার্যক্রম জোরদারে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন।

গত মঙ্গলবার রাতে প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে নিজেদের উপস্থিতি শক্তভাবে জানান দিতে সোনারগাঁওয়ে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের হামছাদী এলাকায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কার্যালয়ে এক যৌথ আলোচনা সভা মিলিত হয়। সভায় ঐক্যজোটভুক্ত পাঁচ দলের এমপি পদপ্রার্থী একত্রে বসে নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণা দেন।

যৌথ আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জামায়েত ইসলামীর মনোনীত এমপি প্রার্থী প্রিন্সিপাল ড. মো. ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়া, খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রার্থী মাওলানা শাহজাহান শিবলী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. ফারুক আহমেদ মুন্সী, খেলাফত মজলিসের প্রার্থী মুফতি সিরাজুল ইসলামসহ স্থানীয় পাঁচ দলের থানা আমীর, সেক্রেটারি এবং আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সাধারণ মানুষ।

সভায় বক্তারা বলেন, আসন্ন নির্বাচনে ইসলামি ৮ দলীয় ঐক্যজোটের সম্মিলিত অংশগ্রহণকে জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন বলে দাবি করেন। তারা আরও বলেন, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ইসলামি মূল্যবোধ ও ন্যায়ভিত্তিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য এ ঐক্যের বিকল্প নেই।

প্রার্থীরা বলেন, মহান আল্লাহ জনগণের এই ঐক্য কবুল করুন। এবার ইসলামপন্থী শক্তিই সংসদে দায়িত্ব নেবে, এটাই আমাদের বিশ্বাস। প্রার্থীরা আরও বলেন, আমরা প্রতীক যাই হোক, লক্ষ্য এক -ধর্মীয় মূল্যবোধ রক্ষা করা এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। সোনারগাঁওবাসীর ভালোবাসাই আমাদের শক্তি।

এদিকে সভাস্থলে উপস্থিত অনেকেই জানান, বহুদিন পর ইসলামি দলগুলোর এমন ঐক্যবদ্ধ উপস্থিতি তারা দেখলেন। কেউ কেউ মনে করেন, এতে নির্বাচনী মাঠে নতুন সমীকরণ তৈরি হতে পারে। আবার অনেকে মনে করেন, ঐক্যজোটের ভোটব্যাংক থাকলেও আসনটিতে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে প্রধান দুই রাজনৈতিক শক্তির মধ্যেই। স্থানীয়রা জানান, নারায়ণগঞ্জ-০৩ আসনটি সবসময় রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। শিল্পাঞ্চল, পর্যটনকেন্দ্র ও ঘনবসতিপূর্ণ এই সোনারগাঁও এলাকায় বিএনপির পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামী রাজনৈতিক মাঠে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৮ দলীয় ঐক্যজোটের এই যৌথ উপস্থিতি স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সভা শেষে প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে একযোগে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন এবং শিগগিরই বড় আকারের কয়েকটি জনসভা করার ঘোষণা দেন।


রাস্তায় কর্মী নামাইয়া ১৭ বছর কে কোথায় ছিল দেখেছি: হাসনাত আবদুল্লাহ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দেবিদ্বার ও কুমিল্লা প্রতিনিধি

‘গুলি করলে গুলি খাব, তবে আমাকে গুলি করে আমার কর্মীর কাছে যেতে হবে মন্তব্য করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠন হাসনাত আবদুল্লাহ বলছেন- ব্যাপারটা এমন না যে! রাস্তার মধ্যে কর্মী নামাইয়া পালাইয়া যামু। রাস্তার মধ্যে কর্মী নামাইয়া, গত ১৭ বছর কে কোথায় ছিল, আমরা দেখেছি। মঙ্গলবার দিনব্যাপী কুমিল্লার দেবিদ্বারের বিভিন্ন এলাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) পদযাত্রা ও গণযোগাযোগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন হাসনাত আবদুল্লাহ।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘মানুষের কাছে শুনতেছি, আমি নাকি ৫০০ ভোট পাব। ৯ মাসের একটা পার্টি- বাপ-দাদার পরিচয় ছাড়া যদি ৫০০ ভোট পায়, এটাই অনেক কিছু না? আপনারা যারা খেটে খাওয়া মানুষ, যারা কর্মজীবী- আপনাদের প্রতিনিধি হয়ে আমি আসছি। আমার খুব বড় বংশ নেই, আমার টাকা–পয়সা নেই, আমি বিদেশেও পড়াশোনা করি নাই, আমি ঘি খেয়েও বড় হই নাই। নেতারা উপর থেকে নিচে আসছেন, আর আমি আপনাদের মধ্য থেকে উপরে উঠেছি।’

হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, ‘গত ১৭ বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলের যারা রাস্তা–ঘাটে ছিলেন, আমরা তাদের দেখেছি। বিশেষ করে আমরা বিএনপির অনেক নেতা-কর্মীকেও রাস্তা-ঘাটে দেখেছি। অথচ এখন তাদের একতারা বলে- তারা নাকি আওয়ামী লীগ! বিষয়টা চিন্তা করে দেখছেন? তারা কারা?’

দিনব্যাপী গণসংযোগের অংশ হিসেবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসানাত আবদুল্লাহ দেবিদ্বার উপজেলার ভানী ইউনিয়নের সূর্যপুর গ্রামে শহীদ কাদির হোসেন সোহাগের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং এর আগে শহীদ কাদিরের কবর জিয়ারত করেন হাসনাত আবদুল্লাহ।

এ সময় তিনি দেবিদ্বারের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং শাপলা কলি প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন।


খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান

আপডেটেড ২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৫:০৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থার বিষয় নিয়ে গুজব না ছড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসা-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ আহ্বান জানান।

ব্রিফিংয়ে ডা. জাহিদ বলেন, ২৭ তারিখ থেকে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন বেগম খালেদা জিয়া। বর্তমানে তিনি চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন। বিভিন্ন গুজব, বিভিন্ন বক্তব্য দেখার পর থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন। যোগাযোগ করছেন দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সঙ্গে।

বিএনপির এ নেতা আরও জানান, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার প্রতিটি ধাপ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে তার জন্য বিদেশে উন্নত চিকিৎসার প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন রয়েছে।

ডা. জাহিদ বলেন, ডাক্তাররা যে চিকিৎসা দিচ্ছেন, সেটি উনি গ্রহণ করতে পারছেন। তবুও বিদেশে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি আছে কি না মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের পরামর্শ নেয়া হচ্ছে। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ ছাড়া বিদেশে নেয়ার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, চিকিৎসায় সরকার সার্বক্ষণিকভাবে সহযোগিতা করছে। সংকটময় মুহূর্তে দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই। দোয়ার কারণেই হয়ত বেগম জিয়া সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আমরা আশা করি।

তিনি আরও জানান, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে কেবল তার এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য ছাড়া অন্য কারও বক্তব্য প্রচার না করতে সাংবাদিকদের অনুরোধ করা হয়েছে।

এসময় ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।


দেশবাসীর সম্মিলিত সমর্থনই আমাদের পরিবারের শক্তি ও প্রেরণার উৎস

আপডেটেড ২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪:৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার খবরে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও শুভকামনার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

তিনি বলেছেন, ‘দেশবাসীর সম্মিলিত সমর্থনই আমাদের পরিবারের শক্তি ও প্রেরণার উৎস।’

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার আগে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তারেক রহমান এ কথা বলেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মমতাময়ী দেশনেত্রীর দ্রুত আরোগ্যের জন্য আমরা সবাই নিরন্তর দোয়া করছি। এই কঠিন সময়ে ঐক্য, সহমর্মিতা ও সংহতির জন্য প্রতিটি মানুষের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা রইলো।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য যেভাবে সহযোগিতা ও শুভকামনা জানানো হচ্ছে, সেজন্য জিয়া পরিবার ও বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা সবার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ, কূটনীতিকবৃন্দ ও বন্ধুগণের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা, পাশাপাশি বাংলাদেশের মানুষের অপরিসীম ভালোবাসা ও দোয়া, সবকিছু আমাদের আবেগ ও অনুভূতিকে গভীরভাবে স্পর্শ করছে।’

গত ২৩ নভেম্বর থেকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে শয্যাশায়ী খালেদা জিয়া। বর্তমানে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। লিভারজনিত সংকট, কিডনির কর্মক্ষমতা হ্রাস, শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিসসহ একাধিক শারীরিক জটিলতা একসঙ্গে দেখা দেওয়ায় তাঁর চিকিৎসা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গত কয়েক দিনে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে আইসিইউ সমমানের হাইডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রাখা হয়েছিল। হঠাৎ তাঁর শারীরিক অবস্থা আরও অবনতি হওয়ায় গত রোববার মধ্যরাতের পর তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয় বলে জানা গেছে। সেখানে তার চিকিৎসকেরা খালেদা জিয়াকে ভেন্টিলেশনে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছেন।


খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ছাত্রদলের দেশব্যাপী মিলাদ-মাহফিল আজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় আজ মঙ্গলবার দেশব্যাপী মিলাদ ও দোয়া মাহফিল পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

গতকাল সোমবার সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার বাদ আসর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে বিশেষ মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

পাশাপাশি এদিন দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা ও মহানগরেও বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় অনুরূপ মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির আজ এক বিবৃতিতে এই কর্মসূচি যথাযথভাবে পালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল ইউনিটের প্রতি আহ্বান জানান।


খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান রিজভীর

আপডেটেড ২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৪১
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সিসিইউতে পূর্বের মতোই চলছে বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

দলের কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুব ইসলামের মোহাম্মদপুরস্থ বাসভবনে গতকাল সোমবার দুপুরে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় শেষ দোয়া অনুষ্ঠানে রিজভী এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শুধু বিএনপির নেত্রী নন, তিনি শুধু বিএনপির অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেত্রীও নন। আজ সারা বাংলাদেশের সকল মানুষ-পেশাজীবী, সুশীল সমাজ, ছাত্র, যুবক, শ্রমিক ও কৃষক সবাই তার জন্য দোয়া করছেন। তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ঘিরে গোটা জাতি আজ এক বেদনাবিধুর অবস্থার মধ্যে রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বন্দি থাকা অবস্থায় নিজের সন্তান হারিয়েছেন। তিনি অনেক নিপীড়ন ও নির্যাতন সহ্য করেছেন, তবুও তাঁকে নিজের দেশ থেকে সরাতে পারেনি।

তাঁর বিরুদ্ধে অনেক চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র হয়েছে, অনেক নির্যাতন হয়েছে। একটি ভগ্নস্তূপের মতো জেলখানায় তাকে বছরের পর বছর রাখা হয়েছে। তারপরও তাকে এই দেশ ও মাটি থেকে সরানো সম্ভব হয়নি। আজ সারা জাতি তার জন্য দোয়া করছেন।’

বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, বেগম জিয়া অত্যন্ত গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বর্তমানে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আমরা সবাই আল্লাহর কাছে দোয়া করি, আল্লাহ তাকে খুব দ্রুত আরোগ্য দান করুন, সুস্থ করে তুলুন এবং আবারও এ দেশের মানুষের কাছে, জনগণের কাছে তাকে ফিরিয়ে দিন।

বেগম খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে রিজভী বলেন, ‘তিনি বর্তমানে সিসিইউতে আছেন। পূর্বে যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল, গতকাল ও গত পরশু যেমন ছিল, আজও তেমনভাবে সেই চিকিৎসা চলছে। এর বাইরে আর কোনো নতুন আপডেট নেই। অন্য যে যা-ই বলুক, এতে কেউ যেন বিভ্রান্ত না হয়।’

রিজভী আরও বলেন, ‘বেগম জিয়া এখনও সংকটজনক অবস্থায় আছেন। তিনি গুরুতর অসুস্থ, ত গতকাল বা গত পরশু যে অবস্থায় ছিলেন, আজও তিনি সেই একই অবস্থায় আছেন। নানা ধরনের গুজব ও বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে, এতে কেউ যেন কান না দেয়।’


খালেদা জিয়া কোনো দলের নয়, সমগ্র দেশের নেত্রী: ডা. তাহের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কোনো নির্দিষ্ট দলের নন, তিনি সমগ্র দেশের মানুষের নেত্রী।

সোমবার রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে হৃদরোগের চিকিৎসা শেষে বাসায় ফেরার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ডা. তাহের বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আগামী রাজনীতি ও নির্বাচন সামনে রেখে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা, বোঝাপড়া ও নীতিগত ঐক্য আরও বাড়ানো প্রয়োজন। তিনি সব রাজনৈতিক দল ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান, যেন সবাই ধৈর্য ও প্রজ্ঞার সঙ্গে দেশকে অগ্রাধিকার দিয়ে দায়িত্ব ঠিক করে।

নিজের চিকিৎসা প্রসঙ্গে তিনি জানান, হৃদযন্ত্রে ব্লক অনুভব করায় তিনি ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসক মনিরুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা হয়। ব্লকটি শক্ত থাকায় চিকিৎসকদের মধ্যে মতভেদ ছিল। কেউ সিঙ্গাপুরে নেওয়ার পরামর্শ দিলেও তিনি ঢাকাতেই চিকিৎসা নিয়ে সফল হন।

বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ডা. তাহের বলেন, তিনি একজন দেশনেত্রী ও গণতান্ত্রিক নেত্রী। তার আপসহীন নেতৃত্বের কারণেই দেশ গত সাড়ে ১৫ বছরে অন্য দেশের আধিপত্যে পড়েনি। তিনি কোনো দলের নয়, পুরো দেশের মানুষের নেত্রী। জামায়াতের পক্ষ থেকে তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন তিনি।


একটি রাজনৈতিক দল বিএনপি ও দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্তে নেমেছে: মির্জা আব্বাস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, একটি রাজনৈতিক দল বিএনপি তথা দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্তে নেমেছে। তারা দেশি-বিদেশি মদতপুষ্ট হয়ে এদেশের মানুষকে একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। ধর্মীয়ভাবে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আমাদের মা-বোনদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
গতকাল রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যদি বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন না করতেন, আর দেশনেত্রী খালেদা জিয়া যদি সেই গণতন্ত্রকে লালন না করতেন, তাহলে আজকের মতো নির্বাচনের সম্ভাবনা কখনোই হতো না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা এদেশের মানুষকে এক মিনিটের জন্যও শান্তিতে থাকতে দেননি। গত ১৭ বছরে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে, আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা যে আন্দোলন করেছি—সেই আন্দোলনের সুফল দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছি।
‘আমরা ভোটের অধিকার আদায় করেছি। এখন ভোট প্রয়োগের সময় এসেছে। আগামী যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, সেই নির্বাচনে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন—সবার প্রতি এই আহ্বান থাকবে। কারণ, খালেদা জিয়ার হাতেই বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিরাপদ ছিল, বিএনপির হাতেই বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব নিরাপদ ছিল।’
মির্জা আব্বাস বলেন, আমার নেত্রী যে গণতন্ত্রের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন, সেই গণতন্ত্রকে অপব্যবহার করে আওয়ামী লীগ গত ১৭ বছর দুঃশাসন চালিয়েছে। এখন যখন আবারও আমরা গণতন্ত্রের স্বাদ পেতে শুরু করেছি—ঠিক সেই সময় আরেকটি রাজনৈতিক দল বিএনপির বিরুদ্ধে তথা দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে।
‘তারা দেশি-বিদেশি মদতপুষ্ট হয়ে এদেশের মানুষকে একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা ধর্মীয়ভাবে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তারা আমাদের মা-বোনদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে’— যোগ করেন তিনি।
মির্জা আব্বাস বলেন, খালেদা জিয়া জেলখানায় অপচিকিৎসার শিকার হয়ে আজ অসুস্থ। অথচ তাকে আজ জাতির সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তি যদি মাথাচাড়া দেয় তাহলে ফ্যাসিবাদের চেয়ে তারা ভয়ঙ্কর হবে। এরা ধর্মে ধর্মে বিভেদ তৈরি করে। এদেশের মানুষ ধর্মমনা হলেও ধর্মান্ধ নয়।


৫ দফা দাবিতে ৮ দলের উদ্যোগে রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজশাহী প্রতিনিধি

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও ওই আদেশের উপর গণভোট আয়োজনসহ ৫ দফা দাবিতে ৮ দলের উদ্যোগে ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে রোববার রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সমাবেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, আগামীর সংসদ হবে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসমুক্ত সংসদ। চাঁদাবাজদের প্রতিহত করব ইনশাআল্লাহ। অতীতে যারা চাঁদাবাজি করেছে, তাদের আর খাওয়া নাই। আগামীর সংসদ হবে কোরানের সংসদ। আগামীতে সচিবালয় চলবে সংসদ চলবে বিচারালয় চলবে কোরান দিয়ে। সবকিছু চলবে কোরান দিয়ে।

সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ৮ দলের জোট নতুন জাগরণ তৈরি হয়েছে। অবশ্যই জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে। সরকার একইদিনে গণভোটের সিদ্ধান্ত কারও কুপরামর্শে করেছে।

এ সময় সমাবেশের সভাপতি সহকারী সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম খান বলেন, জুলাই বিপ্লব কোনো একক দলের নেতৃত্বে হয়নি। কিন্তু এই সরকার একটি দলের পকেটে ঢুকে যাচ্ছে। আমরা বলব, নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করুন। গণভোট আগে হতে হবে। ষড়যন্ত্র চলছে। যথাসময়ে নির্বাচন হতে হবে। গণভোট আগে দিতে হবে। গণহত্যার বিচার করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে হবে।

রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি ও সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ইমাজ উদ্দিন মণ্ডল ও মুফতি ইমরানের যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি শেখ মো. নুরুন্নবী, বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিসের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি শেখ মো. সালাউদ্দিন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যক্ষ রোকনুজ্জামান রোকন, জামায়াতে ইসলামীর রাজশাহী মহানগরীর আমির ড. মাওলানা কেরামত আলী, নায়েবে আমির ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, রাকসুর ভিপি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদসহ স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।


বিজয় দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি স্থগিত করল বিএনপি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণে পূর্বঘোষিত বিজয় দিবসের কর্মসূচি স্থগিত করেছে বিএনপি।
রোববার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় বিজয় দিবসের গৃহীত কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
জনগণের কাছে দোয়া কামনা করেছেন তিনি।

তিনি আরও জানান, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত। বিদেশ যাওয়ার ব্যাপারে তার মেডিকেল বোর্ড এখনও কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।

এর আগে শনিবার (২৯ নভেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী নানা কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।


বেগম জিয়ার আজকের অসুস্থতা স্বাভাবিক নয়: মির্জা আব্বাস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আজকের অসুস্থতা স্বাভাবিক অসুস্থতা নয় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতির শিকার হয়ে তিনি এমন অসুস্থ হয়েছেন।

গতকাল শনিবার বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত রূপসী বাংলা আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান-২০২৫ এ তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমি সবসময় কারা কর্মকর্তাদের থেকে সতর্ক থেকেছি। কারণ, কারাগারে স্লো পয়জন দেওয়া হয়। ভারতীয় একজন সাংবাদিক ঢাকায় এসেছিল। যখন আমার সঙ্গে দেখা হয় উনি বললেন, আমরা কী নিয়ে লাফালাফি করতেছি, উনি তো বাঁচবেন না দুই বছর। আমি বললাম কেন? তিনি বললেন, ওভাবেই ডিজাইন করা আছে। অর্থাৎ এমন করে ডিজাইন করা হয়েছে, উনি ধীরে ধীরে মৃত্যুবরণ করবেন। আল্লাহর রহমত, এখন পর্যন্ত তিনি বেঁচে আছেন। আমরা আল্লাহর কাছে তার সুস্থতা কামনা করব।

তিনি বলেন, বুধবার রাত একটার সময় নেত্রীকে দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানে এক ঘণ্টার মতো ছিলাম। আজকে যে খবরটা জানলাম, উনি আগের চেয়ে ভালো আছেন। আল্লাহ তাকে সুস্থ করে তুলবেন, এ কামনা করি।

নির্বাচন নিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, আজকে যারা দেশের বাইরে থেকে চক্রান্ত করছে, তারা দেশটাকে বছরের পর বছর দখল করে রেখেছিল। তারা দেশটাকে একেবারে শেষ করে দিয়ে গেছে। তারা এখন বিদেশে বসে বক্তব্য দিচ্ছে, আওয়ামী লীগকে ছাড়া নির্বাচন হবে না। আপনারা বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন করেন নাই? সুতরাং নির্বাচন বাংলাদেশে হবেই। এই ফেব্রুয়ারিতেই হবে, এতে কোনো ভুল নাই।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম মহসীন, সাবেক সভাপতি এ বি এম রফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বাবুল তালুকদার, রূপসী বাংলা-২০২৫ আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতার আহ্বায়ক নাসিম শিকদার, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম প্রমুখ।

রূপসী বাংলা-২০২৫ আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন এম হায়দার আলী (চট্টগ্রাম), দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন শামসুল হক রিপন (ঢাকা) এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন এম রাশেদ (চট্টগ্রাম)।


চাঁদাবাজির সিস্টেমে জীবনের বরকত নষ্ট হয়েছে: সিবগাতুল্লাহ সিবগা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের দপ্তর সম্পাদক ও জুলাই আন্দোলনের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড সিবগাতুল্লাহ সিবগা বলেছেন, দেশে মানুষের চাওয়া–পাওয়া খুবই অল্প, কিন্তু বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এক শ্রেণির নেতা-কর্মী চাঁদাবাজিকে একটি সিস্টেম হিসেবে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। কৃষকের পণ্য, মিল-ফ্যাক্টরি—সবখানেই তাদের আধিপত্য। এই চাঁদাবাজির কারণে দেশের জীবনে বরকত নষ্ট হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। শুক্রবার সকালে গাজীপুরের কালীগঞ্জ আর আর এন পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘যুব সমাবেশ ২০২৫’-এ প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

সিবগাতুল্লাহ সিবগা বলেন, ‘অন্যের সম্পদ ও অধিকার ভক্ষণ করা আগুন ভক্ষণ করার চেয়েও ভয়ঙ্কর। স্বাধীনতার পর বারবার ভোট দিয়েছি—চিন্তা করেছি, হয়তো পরিবর্তন আসবে। কিন্তু যারা নিজেদের দলের দুর্নীতি রুখতে পারে না, তারা জনগণের পক্ষে অবস্থান নিতে পারে না। সময় বদলেছে, এখন আমরা হজরত ওমরের মতো যোগ্য নেতাকে ভোট দিবো, ইনশাআল্লাহ।’

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কালীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর মো. আফতাব উদ্দিন এবং সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলা সেক্রেটারি মো. তাজুল ইসলাম।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি ও নির্বাহী পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ। অনুষ্ঠানে গাজীপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও গাজীপুর মহানগরের নায়েবে আমীর মো. খায়রুল হাসান কালীগঞ্জের উন্নয়ন নিয়ে একটি বিস্তারিত রূপকল্প উপস্থাপন করেন। তিনি রাজনৈতিক বিবেচনার ঊর্ধ্বে উঠে ‘সেক্টর ভিত্তিক উন্নয়ন কমিটি’ গঠনের ঘোষণা দেন, যেখানে সৎ ও দক্ষ ব্যক্তিদের সমন্বয় করে স্থানীয় উন্নয়নকে দ্রুততর করার পরিকল্পনা তুলে ধরেন।

সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন গাজীপুর মহানগর আমীর অধ্যাপক মুহাম্মদ জামাল উদ্দীন, গাজীপুর জেলা আমীর ও গাজীপুর-৩ আসনের প্রার্থী ড. মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, গবেষক আলী আহমাদ মাবরুর (শহীদ আলী আহসান মুজাহিদের পুত্র), গাজীপুর-৪ আসনের প্রার্থী মো. সালাহ উদ্দিন আইউবী, গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শামসুল হক ভূঁইয়া প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে একটি বিশাল মিছিল কালীগঞ্জ উপজেলার প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে থানা গেটের সামনে এসে শেষ হয়।


সীতাকুণ্ডে বিএনপি প্রার্থী কাজী সালাউদ্দিনের গণসংযোগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম–৪ (সীতাকুণ্ড, আকবর শাহ, পাহাড়তলী ও খুলশী আংশিক) আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন টানা গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতিদিনই কখনো বাঁশবাড়িয়া, কখনো কুমিরা কখনো সোনাইছড়ি, কখনো সৈয়দপুর, কখনো মুরাদপুর কখনো সীতাকুণ্ড পৌরসদর, কখনো পাড়া–মহল্লা, কখনো বাজারপাড়া-যেখানেই মানুষ আছে, সেখানেই তিনি উপস্থিত।

শুক্রবার তিনি বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডজুড়ে গণসংযোগ করেন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষের খোঁজখবর নেন, তাদের সমস্যা শোনেন, আর বদলের প্রত্যাশা নিয়ে আলোচনা করেন।

বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল এবং অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতারা তার সঙ্গে সারাদিন মাঠে ছিলেন। এলাকাজুড়ে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি আর সাধারণ মানুষের আগ্রহ পুরো পরিবেশকে সরব করে তুলেছে।

গণসংযোগ চলাকালে মানুষের মুখে উঠে আসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক দাম, কর্মসংস্থানের অভাব, নিরাপত্তাহীনতা, কৃষক–জেলে–শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের দুর্দশা।

কাজী সালাউদ্দিন তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং বলেন, এই এলাকার উন্নয়ন, ন্যায্য অধিকার আর ভরসার রাজনীতি প্রতিষ্ঠার জন্যই আমি মাঠে আছি। গণসংযোগে ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, শ্রমিক দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন। এলাকাজুড়ে ব্যানার, লিফলেট আর হ্যান্ড মাইকে প্রচারণা মানুষের আগ্রহ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। কাজী সালাউদ্দিন জানান, এই এলাকার রাস্তা, ড্রেনেজ, স্বাস্থ্যসেবা, জীবনমান-সবকিছুতেই নতুনভাবে কাজ প্রয়োজন। তাই মানুষ পরিবর্তন চায়।


banner close