বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
১৯ আষাঢ় ১৪৩২

উন্নতি দেখতে গ্রাম ঘুরে আসুন, সমালোচকদের প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সোমবার সকালে এসডিজি অগ্রগতি পর্যালোচনাবিষয়ক দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিএমও
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ১৬ মে, ২০২২ ১৫:৩০

সরকারের সমালোচনা করার আগে দেশের অগ্রগতি প্রান্তিক মানুষের বদলে যাওয়া জীবনযাত্রা দেখে আসতে সমালোচকদের পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সোমবার সকালে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অগ্রগতি পর্যালোচনাবিষয়ক দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলনে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী পরামর্শ দেন।

বক্তব্যে করোনাভাইরাস মহামারির অভিঘাত এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানে তৈরি মন্দা খাদ্যসংকট মোকাবিলায় ব্যক্তিজীবন থেকে সরকারের কর্মসূচিসবখানে অপচয় বন্ধের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

আবাদযোগ্য এক ইঞ্চি জমিও যাতে খালি না থাকে, সেটা নিশ্চিত করারও তাগিদ দিয়েছেন সরকারপ্রধান।

গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ঢাকায় বসে অনেকে সমালোচনা করেন। তাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে, সারা বাংলাদেশেটা আপনারা একটু ঘুরে দেখুন, পরিবর্তনটা কোথায় এসেছে, কতটা এসেছে। গ্রাম পর্যায়ে একটু যোগাযোগ করলে সেটা জানতে পারবেন।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে দেশে সংবাদমাধ্যমের বিকাশ হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এখন সবাই কথা বলতে পারেন। টকশো করতে পারেন।

অবশ্য আমি জানি, অনেক কথা বলার পরে বলবেন, আমাদের কথা বলতে দেয়া হয় না, কিন্তু যখন টকশোতে কথা বলেন, কেউ আপনার মুখ চেপে ধরে না বা গলা টিপে ধরেনি।

সবাই যার যার ইচ্ছামতো কথা বলতে পারছে জানিয়ে তিনি বলেন, সবাইকে আমি বলব, আগে বাংলাদেশটা একটু ঘুরে আসেন। গ্রাম পর্যায়ে যান, সেখানে মানুষ কোন অবস্থায় আছে, সেটা দেখে এসে তার পরে কথা বললে, আপনারা হয়তো জানতে পারবেন।

বিদ্যুৎ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের ব্যয় নিয়ে সমালোচনাকারীদের জবাব দিয়েছেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, এখন হয়তো অনেকে সমালোচনা করে, এটা করা হচ্ছে কেন বা পরমাণু বিদ্যুৎ কেন করা হলো। এত টাকা খরচ হয়েছে।

খরচের দিকটা শুধু অনেকে দেখেন, কিন্তু এই খরচের মধ্য দিয়ে দেশের জনগণ যে কত লাভবান হবে, আমাদের অর্থনীতিতে কতটা অবদান রাখবে, আমাদের উন্নয়ন গতিশীল হবে, মানুষের জীবন পরিবর্তন হবে, সেটা বোধ হয় তারা বিবেচনা করেন না। এটা হচ্ছে খুব দুঃখজনক।

মন্দা মোকাবিলায় কমাতে হবে অপচয়

করোনাভাইরাস মহামারি এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানে গোটা বিশ্বজুড়ে মন্দা খাদ্যের অভাব দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আর সে জন্য সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, সারা বিশ্বব্যাপী একটা অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিচ্ছে। এমনকি খাদ্যের অভাবও দেখা দিচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে আমাদের দেশে যেহেতু আমাদের জমি আছে, মানুষ আছে, আমি ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছি, আমাদের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকবে না।

দেশের মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেকে, যার যতটুকু সামর্থ্য আছে, নিজের খাদ্য উৎপাদন করা, নিজের খাদ্য সাশ্রয় করা এবং নিজের খাদ্যকে ব্যবহার করা বা আমাদের যা আছে সবগুলো ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সবাইকে একটু সাশ্রয়ী হতে হবে।

আমাদের পানি ব্যবহারে, আমাদের বিদ্যুৎ ব্যবহারে, আমাদের খাদ্যশস্য ব্যবহারে, প্রতিটি ক্ষেত্রে সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে। কারণ আমরা জানি কোভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সারা বিশ্বব্যাপী যে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে বা এর একটা ধাক্কা যেসব ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, যার ফলে মানুষের অনেক কষ্ট হবে।

কাজেই সেটা যেন আমাদের দেশে না হয়, সে জন্য আমাদের দেশের মানুষকে, প্রতিটি মানুষ, প্রতিটি পরিবার, সবাইকে ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।

টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট নির্ধারণ

এসডিজি পর্যালোচনা করে লক্ষ্য নির্ধারণের তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সবাই মিলে কাজ করলে ২০৩০ সালের আগে লক্ষ্য অর্জন সম্ভব।

লক্ষ্যপূরণে সরকারের অর্থ সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিলেও অপচয় ঠেকাতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে আমরা নীতি সহায়তা এবং অর্থের জোগান অব্যাহত রাখব, তবে অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার এবং অপচয় রোধ নিশ্চিত করতে হবে।

আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করলে ২০৩০-এর আগেই আমরা নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হব।

বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় এসডিজি পর্যালোচনা প্রয়োজন বলেও মনে করেন সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, কোন কোন ক্ষেত্রে আমরা সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেব, সেগুলো নির্দিষ্ট করা দরকার। যেগুলো আমরা ইতিমধ্যে অর্জন করেছি, সেগুলো ধরে রাখা এবং আগামীতে আমরা কী কী অর্জন করব, কারণ এখনকার প্রেক্ষিত যথেষ্ট পরিবর্তন হয়ে গেছে।

প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সেখানে ক্ষেত্রগুলো সুনির্দিষ্টভাবে আমাদের নিতে হবে। কোনো রকম অপচয় যেন না হয়। অপচয় পরিহার করে সুষ্ঠু অর্জন যেন আমরা করতে পারি বা বাস্তবায়ন করতে পারি, সেদিকে আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে।

সে ক্ষেত্রে যে সমস্ত পদক্ষেপগুলো আমাদের আশু করণীয় বা এই মুহূর্তে করতে হবে, সেগুলো যেমন চিহ্নিত করতে হবে, আবার যেগুলো হয়তো এখনই প্রয়োজন নেই, একটু দীর্ঘমেয়াদি, সেগুলো আমাদের বেছে নিতে হবে। সেভাবে যদি আমরা পরিকল্পিতভাবে এগোতে পারি, তাহলে আমি মনে করি আমরা অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।

দেশের উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, এনজিও এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিরাও সমানভাবে অংশীদার বলে মনে করেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, সম্মেলনে সবার অংশগ্রহণ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে বেসরকারি খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বেসরকারি খাতের বিকাশে তার সরকারের নেয়া পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, সরকারের পাশাপাশি দেশের উন্নয়নের বেসরকারি খাতেরও দায়িত্ব রয়েছে।

এসডিজি বাস্তবায়ন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসডিজি একটি বৈশ্বিক উন্নয়ন ধারণা হলেও বাংলাদেশের উন্নয়নের পথ পরিক্রমার সঙ্গে এটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত আছে। এসডিজি প্রণয়নের প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

আমাদের দেশের সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের মতামত নিয়ে ২০১৩ সালে আমরা জাতিসংঘের কাছে মোট ১১টি অভীষ্টের প্রস্তাব করেছিলাম। এর মধ্যে ১০টি অভীষ্টই জাতিসংঘ হুবহু অনুসরণ করে।

২০১৬ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে বলেও জানান সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের সব মধ্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা দলিল এসডিজি লক্ষ্যমাত্রাকে বিবেচনায় নিয়ে প্রণয়ন করেছি। সর্বশেষ গৃহীত অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় এসডিজি লক্ষ্যমাত্রাকে পরিপূর্ণভাবে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। বাস্তবায়নে কাজও আমরা শুরু করেছি।

দেশের সব মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করাসহ সার্বিক উন্নয়নে সরকারের নেয়া উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমাদের দারিদ্র্য বিমোচন বা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, এটা শুধু আমরা শহরভিত্তিক বা রাজধানীভিত্তিক করিনি। আমাদের লক্ষ্য একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে অর্থাৎ গ্রামভিত্তিক, সাধারণ গ্রামের একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলের পড়ে থাকা একটা মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি যাতে হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে, আমরা আমাদের সব পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি।

বাংলাদেশের সব মানুষ বা পরিবারগুলোকে সম্পৃক্ত করেই আমাদের উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন। আমরা আমাদের ক্ষেত্রকে প্রসারিত করেছি একেবারে গ্রামভিত্তিক। অর্থাৎ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গ্রামভিত্তিক হবে এটাই আমাদের লক্ষ্য।

সরকারের নেয়া পল্লীসঞ্চয় ব্যাংক, আশ্রয়ণ প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, নারীর ক্ষমতায়ন, সবার জন্য বিদ্যুৎ, কমিউনিটি ক্লিনিক শিশুর মানসিক বিকাশ, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, পরিবেশ সুরক্ষা বিনিয়োগ বিকাশের উদ্যোগ দেশের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, পরিবেশ যেন সুরক্ষিত থাকে, সেদিকে আমি লক্ষ রাখি। কারণে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিয়েছি, যেন যত্রতত্র ইন্ডাস্ট্রি করে আমাদের পরিবেশ দূষণ করতে না পারে। বিনিয়োগ আকর্ষণ করাও আমাদের লক্ষ্য। চাষ উপযোগী ভূমি রক্ষা করাও আমাদের লক্ষ্য।

ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের চেয়ার হিসেবে বাংলাদেশ মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যানের খসড়া প্রণয়ন করেছে বলেও জানান শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, যার রূপকল্প হলো জ্বালানি খাতে স্বনির্ভরতা অর্জন এবং বাংলাদেশের পরিকল্পিত অগ্রযাত্রাকে সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়া।

২০২২ সালের এপ্রিলের মধ্যে সারা দেশে লাখ ৮৩ হাজার তিনটি গৃহহীন পরিবারকে বাড়ি তৈরি করে দেয়া হয়েছে বলেও জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা। তিনি বলেন, ‘কক্সবাজারে ৬৪০ জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারকে নতুন বাড়ি করে দিয়েছি। হাজার ৪০৯টি জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারকে আমরা ঘরে করে দেব।

এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের উদ্যোগ কার্যক্রম বিশ্ব দরবারেও সমাদৃত হয়েছে জানিয়ে টানা তিন মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের সব সদস্য দেশের মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম বছরে এসডিজি অর্জনে সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি করেছে।

সাসটেইনেবল ডেভেলপমন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্ক আমাদেরকে এসডিজিস গ্রগ্রেস অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করেছে।


নির্বাচনী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিএনপিকে সতর্ক থাকার আহ্বান তারেকের

বুধবার লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি পটুয়াখালী জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোটারদের ব্যালটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার প্রয়োগ থেকে বিরত রাখার যেকোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

তিনি বলেন, ‘আমরা সবাইকে এই বার্তা দিতে চাই যে, বাংলাদেশে প্রায় ১২ কোটি ৫০ লাখ ভোটার যাতে ব্যালটের মাধ্যমে তাদের মত প্রকাশের সুযোগ পান—তা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে—যাতে কেউ এটি নিয়ে ষড়যন্ত্র করতে না পারে।’

আজ বুধবার লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি পটুয়াখালী জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, আমরা প্রায়শই নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার প্রচেষ্টা সম্পর্কে গুজব এবং কানাঘুষা শুনতে পাই। ‘জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়ার অনুসারী হিসেবে, বাংলাদেশ জুড়ে আমাদের সকল নেতাকর্মীকে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।’

বিএনপি নেতা বলেন, গত ১৭ বছর ধরে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের অনেক নেতা-কর্মী নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন, পঙ্গু হয়েছেন, নিহত হয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন এবং জুলুমের শিকার হয়েছেন। ‘সুতরাং, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে—যাতে কেউ এই অধিকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে না পারে। আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।’

তিনি শিগগিরই বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেশের মাটিতে দেখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়—এমন কোনো কাজ না করার আহ্বান জানান।

দলীয় ভাবমূর্তি রক্ষা এবং জনসমর্থন ধরে রাখতে নেতাকর্মীদের প্রতি সতর্ক বার্তা দিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আপনার কোনো কাজ বা আচরণ যদি জনগণের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি করে, তার প্রভাব শুধু আপনার ওপর নয়—পুরো দলের ওপর পড়বে। তাই দেশের ৬৪ জেলার প্রতিটি নেতাকর্মীকে বলছি—এমন কিছু করবেন না, যা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে।’

তিনি দলের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের তাদের ভালো কাজ এবং ইতিবাচক আচরণের মাধ্যমে জনসাধারণের আস্থা অর্জনের নির্দেশ দেন।

বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমাদের কোনো সহকর্মী কেন এমন কিছু করবেন, যা দলের ক্ষতি করতে পারে? আপনি যদি দেখেন, কোনো সহকর্মীর আচরণ দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে বা জনসাধারণের আস্থা নষ্ট করতে পারে—তাহলে তা রোধ করা আপনার দায়িত্ব।’

তিনি বলেন, দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের সদস্য বা নেতা হিসেবে প্রত্যেকেরই দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করা উচিত এবং জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করা উচিত।

তারেক বলেন, বিএনপির প্রতিটি সদস্যের দায়িত্ব কেবল গণতন্ত্রের ভিত্তি মজবুত করাই নয়, বরং দলের সুনাম নষ্ট করে এমন কোনো কিছু যাতে তারা বা তাদের কোনো সহকর্মী না করেন—তা নিশ্চিত করা।

তিনি বলেন, ‘সকলকে এটা মনে রাখতে হবে। আজ, আমি দলের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে এই পবিত্র দায়িত্ব দিচ্ছি। যেকোনো মূল্যে দলের সুনাম রক্ষা করা সকলের কর্তব্য। যারা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করে, তাদের কোনো প্রকার প্রশ্রয় বা সুরক্ষা দেওয়া যাবে না।’


রংপুর-৪ আসনে আখতার হোসেনকে প্রার্থী ঘোষণা করলেন নাহিদ ইসলাম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৪ (কাউনিয়া-পীরগাছা) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র প্রার্থী হিসেবে দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেনের নাম ঘোষণা করেছেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

মঙ্গলবার রাত ১১টায় কাউনিয়া বাসস্ট্যান্ডে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত এক পথসভায় তিনি এ ঘোষণা দেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আখতার হোসেনের নেতৃত্বে কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলা উন্নয়ন ও অগ্রগতির মূলধারায় প্রবেশ করবে।

এ সময় এনসিপি’র দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রধান সংগঠক মো. হাসনাত আবদুল্লাহ, আখতার হোসেনকে কাউনিয়ার সন্তান হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন এনসিপি’র কেন্দ্রীয় নেতারা।

তাদের মধ্যে ছিলেন- দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্থা শারমিন ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা।

সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন দলের উত্তরাঞ্চলীয় প্রধান সংগঠক সারজিস আলম।

অনুষ্ঠানে এনসিপি’র মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসুদসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, এনসিপি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবানপুর গ্রামে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে জুলাই পদযাত্রা শুরু করে।

পদযাত্রা শুরু হয় সেই স্থান থেকে, যেখানে শহীদ আবু সাঈদকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গুলি করে পুলিশ।

সেখান থেকে রংপুর শহরের ডিসি মোড় পর্যন্ত হেঁটে যান নেতা-কর্মীরা।

পরে, পদযাত্রাটি কাউনিয়া উপজেলা শহরে পৌঁছায় এবং মধ্যরাতে পথসভার মাধ্যমে এর সমাপ্তি ঘটে।


হাসিনার আমলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল ডাকাতদের গ্রাম: রিজভী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমরা যখন আগে নৌকায় করে অনেক দূরে যেতাম, মাঝি বলত চুপ থাকুন ওই গ্রাম ডাকাতদের গ্রাম। হাসিনার আমলে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল ডাকাতদের গ্রাম। অনেক আতঙ্ক নিয়ে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পার হতাম।

মঙ্গলবার (০১ জুলাই) প্রথম প্রহরে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্রদল আয়োজিত ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মৃতি স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন ও সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, মোমবাতি প্রজ্বলন আগামী দিনে গণতন্ত্রের পদযাত্রায় এগিয়ে যাওয়া। এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতন্ত্রের মিনার, অধিকার প্রতিষ্ঠার মিনার। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আমি সেই বায়ান্ন, ঊনসত্তরের বিশ্ববিদ্যালয় দেখছি, যেখানে বইছে শান্তির সুবাতাস।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বলেছিলেন, বাঁধা দিলে সব বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা সবকিছু দিয়ে ছাত্রদের স্তব্ধ করে দেব। এত কিছু থাকার পরেও গণতন্ত্রের জন্য ছাত্রদের যে সংগ্রাম তাকে শেখ হাসিনা ঠেকাতে পারেনি। আলোক প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে আমাদের ৩৬ দিনের কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন হলো।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, শেখ হাসিনার পেটুয়া বাহিনীর কাছে ছাত্রদলের কত নেতাকর্মী গুম, খুন হয়েছেন। তারা নব্বই, আশির দশকে যে ভূমিকা পালন করেছে সেভাবে তারা চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানেও ভূমিকা রেখেছে। এই সংগ্রাম বাস্তবায়ন করতে হলে আরও বাধা আসবে। সেই বাধা অতিক্রম করতে আমরা গণতন্ত্রের মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করব।

কর্মসূচিতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান বলেন, জুলাই মাসের শুরুতে ছাত্রদল যে আয়োজন করেছে সেজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। জুলাই আন্দোলন একদিনে হয় নাই। হাজার হাজার মানুষ এখানে জীবন দিয়েছে। ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান আসাদের রক্তের মাধ্যমে হয়েছে। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন সেদিন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সফল হয়েছিল। আজকে আমরা খুনি হাসিনামুক্ত বাংলাদেশ পেয়েছি। শহীদ ওয়াসিম, সাঈদের রক্ত কখনো বৃথা যাবে না।

তিনি বলেন, বিএনপি আল্লাহর রহমতে ক্ষমতায় আসবে এবং তারেক রহমান দেশ পরিচালনা করবে। ইনশাআল্লাহ তারেক রহমান কিছুদিনের মধ্যে বাংলাদেশে আসবে।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, জুলাই আন্দোলন শুরু করেছিল সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কিন্তু আন্দোলন শুরু হওয়ার পরে আন্দোলনের সম্মুখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে ছাত্রদল। রাজপথে একক ছাত্রসংগঠন হিসেবে ছাত্রদল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ছাত্রদলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সবচেয়ে বেশি হামলা ও মামলার শিকার হয়েছে। একক ছাত্রসংগঠন হিসেবে ছাত্রদলের শতাধিক নেতাকর্মী জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছে। আমরা তাদের আত্মত্যাগ কখনো ভুলে যাবো না।

কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির বলেন, পনেরো বছর ধরে বাংলাদেশে যে ফ্যাসিবাদ তৈরি হয়েছিল তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলসহ জাতীয়তাবাদী বিভিন্ন দল অংশ নিয়েছিল। ফ্যাসিবাদের আমলে তরুণদের মতামত দেওয়ার অধিকার রাখা হয়নি অথচ এই তরুণরাই চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়েছে।

কর্মসূচিতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকার চার মহানগরের বিভিন্ন থানা ও ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে দেশ গঠনে জুলাই পদযাত্রার কার্যক্রম শুরু করলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)’র নেতারা।

মোনাজাত শেষে আবু সাঈদের বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তারা।

আজ (১ জুলাই) দুপুরে কেন্দ্রীয় নেতারা আবু সাঈদের বাড়িতে যান।

পরে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শুধু স্বৈরাচারী সরকার পতনের আন্দোলন ছিল না, নতুন বন্দোবস্তের জন্য ছাত্র আন্দোলন ছিল। এই আন্দোলনে যারা সংহতি প্রকাশ করেছেন, তাদের চেতনাকে ধারণ করে নতুন বাংলাদেশ গড়তে বিচার ব্যবস্থা, নতুন সংবিধান, জুলাই সনদসহ তিন দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এনসিপি মাঠে থাকবে।

যৌক্তিক সংস্কারে প্রয়োজনে আবারো সংগঠিত হয়ে ছাত্র-জনতাকে নিয়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন নাহিদ ইসলাম। এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, জুলাই সনদ নিয়ে কোনো টালবাহানা সহ্য করা হবে না। দরকার হলে আবারো রাজপথে নামবো। প্রয়োজনীয় সংস্কারের পরেই নির্বাচন দিতে হবে, অন্যথায় সেই নির্বাচন মেনে নেওয়া হবে না।

দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, ন্যায়সঙ্গগত সংস্কার ও মানুষের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত এক পা পিছিয়ে আসবে না এনসিপি।

নেতারা জানান, গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে এই কর্মসূচি চালু হয়েছে। তারা বলেন, জনগণের সঙ্গে সরাসরি সংলাপে যেতে চায় এনসিপি, কারণ গণ-অভ্যুত্থানের স্বপ্ন এখনো অপূর্ণ। এই পদযাত্রার মাধ্যমে তারা সাধারণ মানুষের মতামত ও প্রত্যাশা সরাসরি জানার সুযোগ তৈরি করতে চায়।

বিকালে শহীদ আবু সাঈদ হত্যার ঘটনাস্থলসহ রংপুর নগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করবেন তারা।

শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিকতা ও পদযাত্রার সূচনা করেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতারা। ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ শীর্ষক কর্মসূচি চলবে ১ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত।

কবর জিয়ারতে অংশ নেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তর অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারাসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ শুরু হবে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর শহীদ মিনার থেকে। পরে রংপুরে পার্কের মোড় থেকে বিকেল ৩টায় পদযাত্রা শুরু হয়ে লালবাগ-শাপলা-জাহাজ কোম্পানির মোড় হয়ে টাউন হল মাঠে পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ডিসির মোড় হয়ে ধাপ হয়ে মেডিকেল মোড় হয়ে চেকপোস্টে সমাপনী হবে।

জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছর ১৬ জুলাই দুপুর আড়াইটা থেকে তিনটার দিকে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে। ছাত্রদের সবাই সরে গেলেও আবু সাঈদ হাতে একটি লাঠি নিয়ে দু’হাত প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে যান।

এই অবস্থায় পুলিশ আনুমানিক ৫০-৬০ ফুট দূর থেকে তার ওপর ছররা গুলি ছোড়ে। পুলিশের অবস্থানে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে। তারপরও অবস্থান থেকে একচুল সরেননি আবু সাঈদ, সেখানেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। একপর্যায়ে গুলিতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা আবু সাঈদকে মৃত ঘোষণা করেন।


জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি খালেদা জিয়া

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে, বিএনপির বিশেষ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

আজ বিকালে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এই আলোচনা সভা শুরু হবে। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি পালন কমিটির আহ্বায়ক রুহুল কবির রিজভী এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুলশানের বাসা থেকে ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিখি হিসেবে থাকবেন বলে আশা করছি।’

লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিকাল তিনটায় এই অনুষ্ঠান উদ্বোধন করা হবে। সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে।’

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ৩৬ দিনের কর্মসূচির প্রথম ধাপ এটি। এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও পেশাজীবীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

আলোচনা সভার ব্যানারে লেখা আছে, ‘গণঅভ্যুত্থান-২০২৪ : জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও শহীদ পরিবারের সম্মানে বিশেষ অনুষ্ঠান।

এই আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সভাপতিত্ব করবেন জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি পালন কমিটির আহ্বায়ক রুহুল কবির রিজভী।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান ও বিভিন্ন সময় সরকারবিরোধী আন্দোলনে নিহত ও নিখোঁজ হওয়া বিএনপির নেতাকর্মীদের পরিবার-পরিজন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন এবং স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য দেবেন। এছাড়া বিএনপির জাতীয় পর্যায়ের নেতারাও এতে বক্তব্য রাখবেন।

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে বিএনপি ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। কর্মসূচির মধ্যে আছে, বিজয় মিছিল, মৌন মিছিল, ছাত্র সমাবেশ, আলোচনা সভা, সেমিনার, রক্তদান, গ্রাফিতি অঙ্কন, পথনাটক, ফুটবল টুর্নামেন্ট, শিশু অধিকার বিষয়ক অনুষ্ঠান, ডেঙ্গু ও করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমসহ অন্তত ২২টি ভিন্নধর্মী আয়োজন।

মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ‘আলোর আলোয় স্মৃতি সমুজ্জ্বল’ শীর্ষক মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি পালিত হয়। এ কর্মসূচির মাধ্যমে জুলাই-আগস্টে বিএনপির কর্মযজ্ঞের সূচনা হয়েছে।


২ জুলাই পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সম্মেলন দীর্ঘ ২৩ বছর পর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পটুয়াখালী প্রতিনিধি

দীর্ঘ ২৩ বছর পর ২ জুলাই বুধবার সকাল ১০ টায় পটুয়াখালী ব্যায়ামাগার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি পটুয়াখালী জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। এ সম্মেলন সফল করতে জোরে সোরে চলছে সকল ধরনের প্রচার- প্রচারণা ও প্রস্তুতি।

উক্ত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুল হক নান্নু, সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন, সহ- প্রচার সম্পাদক মোঃ আসাদুল কবির শাহীন, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাসান মামুন, সদস্য মাওলানা শাহ নেছারুল হক, সদস্য ইঞ্জিঃ একেএম ফারুক আহমেদ তালুকদার, সদস্য মোঃ দুলাল হোসেন। সভাপতিত্ব করবেন পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়া ও সঞ্চালনা করবেন সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি।

এ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নসহ তৃণমূল বিএনপির নেতা- কর্মীদের মাঝে এক ধরনের চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হচ্ছে। এ সম্মেলনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির ৩০ জনসহ ৮টি উপজেলা ও ৫টি পৌরসভার প্রায় ১৪০০ জন কাউন্সিলর উপস্থিত থাকার কথা বলেছেন জেলা বিএনপির সদস্য মোঃ সিদ্দিকুর রহমান। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন (কমিটি নির্বাচন) বিকেলে পটুয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজন করা হয়েছে বলে জেলা বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক এ তিনটি শীর্ষ পদে এক ডজন প্রার্থীর নাম নেতা-কর্মীদের মুখে চাউর হচ্ছে। এ তিনটি পদের মধ্যে সভাপতি পদে যাদের নাম উঠেছে, তারা হলেন বর্তমান জেলা বিএনপি কমিটির আহবায়ক আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়া, সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি ও অন্যতম সদস্য মাকসুদ আহমেদ বায়জীদ পান্না মিয়া।

সাধারণ সম্পাদক পদে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পিপি এ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান টোটন, সদস্য মোঃ দেলোয়ার হোসেন খান নান্নু, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ্যাডঃ মোহসীন উদ্দীন, জেলা বিএনপির সদস্য জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি বশির আহমেদ মৃধা, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোঃ মনিরুল ইসলাম লিটন ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ তৌফিক আলী খান কবির।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে জেলা বিএনপির সদস্য জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার ইমাম হোসেন নাসির, সাবেক জিএস আলমগীর হোসেন বাচ্চু, জেলা মৎস্য দলের সভাপতি ভিপি শাহীন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মশিউর রহমান মিলন ও জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডঃ মাকসুদুর রহমান মাকসুদ।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। এ সম্মেলনে এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) আলতাফ হোসেন চৌধুরী সভাপতি ও স্নেহাংশু সরকার কুট্টি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে মেয়াদউত্তীর্ন হওয়ায় কমিটি বিলুপ্ত করে ২০২০ সালের ২ নভেম্বর আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়াকে আহ্বায়ক এবং স্নেহাংশু সরকার কুট্টিকে সদস্য সচিব করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়


‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি এনসিপির

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

এবার ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আগামী ১ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত সারা দেশে এই পদযাত্রা পালওন করা হবে।

রবিবার (২৯ জুন) সকালে রাজধানীর বাংলামোটরে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

এতে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “আগামী ১ জুলাই থেকে আমরা ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর বর্ষপূর্তি উদযাপন করবো। দেখতে দেখতে একটি বছর পার হয়ে গেছে। আমাদের অনেক প্রাপ্তি যেমন আছে, তেমনি অপ্রাপ্তিও রয়েছে। জুলাই-আগস্টের ঐতিহাসিক ৩৬ দিন স্মরণ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।”

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, এনসিপির কর্মসূচি ও বাস্তবায়ন সেলের সম্পাদক অনিক রায়, যুগ্ম সদস্য সচিব লুৎফর রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।


প্রধান উপদেষ্টা-সিইসি বৈঠকের পর নির্বাচনের সময়সূচি চায় বিএনপি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এন নাসির উদ্দীনের বৈঠকের পর বিএনপি জাতীয় নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময়সূচি ঘোষণার প্রত্যাশা করছে বলে জানিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, নির্বাচনের দিন নির্ধারণ ও সময়সূচি ঘোষণায় জনগণের প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হবে।’

শনিবার (২৮ জুন) চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন রিজভী।

প্রধান উপদেষ্টা ও সিইসির বৈঠকের পর বিএনপি কি নির্দিষ্ট নির্বাচনের তারিখ প্রত্যাশা করে—এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, ‘আমরা নিশ্চয়ই তা আশা করি।’

এর আগে বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সিইসি নাসির উদ্দীন। বৈঠকটি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত হয়।

রিজভী বলেন, নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা ও আলোচনার বিষয়টি বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, দেশের জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলো বিশ্বাস করে, অধ্যাপক ইউনূস ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের কল্যাণ ও গণতন্ত্রের স্বার্থেই কাজ করবেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, তারাও বিশ্বাস করেন যে, প্রধান উপদেষ্টা একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন, যাতে জনগণ তাদের জবাবদিহিমূলক প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে।

বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি ও সামাজিক সংকট রয়েছে। মব কালচার আছে। এসব থেকে মুক্ত হতে হবে। গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে হবে। গত বছরেও আমাদের প্রবৃদ্ধি ছিল ৪.২। এবার সেটি হয়েছে ৩.৯। আমরা সরকারকে সেটি দেখার জন্য বলব। আমরা তো সমালোচনা করবই। অবশ্যই যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। আমরা প্রত্যাশা করি— নির্বাচন কমিশন দ্রুত একটি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিগত অগণতান্ত্রিক সরকার দেশের অর্থ লোপাট করেছে। দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে— যার অন্যতম নির্বাচন কমিশন ও মিডিয়া। তারা কখনও প্রকৃত গণতন্ত্র চায়নি। জনগণ মনে করে, ড. ইউনূস দেশবাসীর মনের প্রত্যাশা মোতাবেক ব্যবস্থা নেবেন।’


ইসি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বার্তা পেয়েছে কিনা স্পষ্ট করার দাবি সালাহউদ্দিনের

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতির বার্তা প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) জানিয়েছেন কিনা- তা জাতিকে নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘আমরা গণমাধ্যমে দেখেছি যে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছেন। লন্ডনের বৈঠকের পর, আমরা আশা করেছিলাম প্রধান উপদেষ্টা ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে এবং রমজান শুরুর আগে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করবেন।’

আজ শুক্রবার গুলশানের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সিইসির বৈঠক হয়। বৈঠকটি নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন বলেন, আমরা আশা করছি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অথবা নির্বাচন কমিশন আলোচনার বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানাবে।

তিনি বলেন, ‘সবাই এখন ধরে নিচ্ছে যে, প্রধান উপদেষ্টা ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে, রমজান শুরুর আগের সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে তার বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন। আমাদের ধারণা এটাই।’

বিএনপি নেতা অবশ্য বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আসলেই এই বার্তা দিয়েছেন কিনা বা নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো পরামর্শ বা নির্দেশনা দিয়েছেন কিনা তা তারা জানেন না। ‘উভয় পক্ষই যদি জাতির সামনে বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেন—তাহলে আমরা আশ্বস্ত হব।’

এর আগে বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এন নাসির উদ্দিন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

সালাহউদ্দিন বলেন, নির্বাচন কমিশন অতীতে বেশ কয়েকবার বলেছে যে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ক্রয় প্রক্রিয়াসহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হবে।

তিনি বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ক্রয় প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘শুধুমাত্র সীমানা নির্ধারণ প্রক্রিয়া বাকি আছে। তা তিন মাসের মধ্যে শেষ করা যেতে পারে। তফসিল ঘোষণার পর, পোলিং অফিসার এবং প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগ, ভোটকেন্দ্র স্থাপন এবং প্রশিক্ষণ পরিচালনাসহ অনেক কার্যক্রম থাকবে। এগুলো চলমান প্রক্রিয়া। এর জন্য কোনো বিশেষ প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই।’

সংসদ নির্বাচনের আগে জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) স্থানীয় নির্বাচনের দাবি সম্পর্কে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন এই ধারণাটি প্রত্যাখ্যান করে বলেন যে এটি কার্যকর নয়।

তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন দাবি করতে পারে। তবে বেশিরভাগ দল প্রধান উপদেষ্টার উল্লেখিত সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে একমত। এই বিষয়ে কোনো দ্বিমত নেই।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের পক্ষে এই সময়ের মধ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচন পরিচালনা করা প্রায় অসম্ভব হবে। এই নির্বাচনগুলো- ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা বা সিটি করপোরেশন যাই হোক না কেন- আয়োজন করতে কমপক্ষে ছয় মাস সময় লাগে। যদি তারা এখন স্থানীয় নির্বাচন করতে যায়- তাহলে তারা সময়মতো জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে সক্ষম নাও হতে পারে।’

সালাহউদ্দিন বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য নয়, আমাদের ভোটাধিকারের জন্য লড়াই করেছি। নির্বাচন কমিশনের এখন প্রধান দায়িত্ব হলো জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া।’


বিএনপির নাম ব্যবহার করে সরকারি অফিসে ‘কুচক্রী মহল’ বিশৃঙ্খলা করছে: রিজভী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

আয়কর অফিসসহ সরকারি বিভিন্ন অফিসে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য বিএনপির নামে আন্দোলন চালিয়ে একটি ‘কুচক্রী মহল’র বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টার সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘যারা আয়কর অফিসে বা অন্যান্য বিভাগে বিএনপির নামে আন্দোলন করছেন—তারা বিএনপির অংশ নয়। তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্যই এটা করছে।’

শুক্রবার (২৭ জুন) রথযাত্রা উৎসব উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনের ভাসানী ভবনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় রিজভী এই মন্তব্য করেন।

তিনি সতর্ক করে বলেন, কিছু ব্যক্তি বিভিন্ন ক্ষেত্র এবং সরকারি অফিসে তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির নামে নতুন নতুন কার্যকলাপ শুরু করার চেষ্টা করছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যারা জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী তাদের সকলেরই তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত। তারেক রহমান তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন। কিন্তু তারপরও অনেকে বিএনপির নাম ব্যবহার করে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন।’

রিজভী বলেন, তিনি এমন একজনের কথা শুনেছেন যিনি বিএনপির নাম ব্যবহার করে আয়কর অফিসে আন্দোলন করছেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘তিনি (সেই ব্যক্তি) এখন (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে অপসারণের চেষ্টা করছেন এবং ভবিষ্যতে অন্য কাউকে অপসারণের চেষ্টা করবেন। কে তাকে এই দায়িত্ব দিয়েছে? আমি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব—আমি এ বিষয়ে জানি না। আপনি নিজেই বিএনপির নাম ব্যবহার করে একটি অফিসে আন্দোলন শুরু করেছিলেন। সেখানে আরও অনেক বিএনপি নেতা আছেন, কেউ এ সম্পর্কে জানেন না।’

বিএনপির নামে যারা অপকর্ম করছে তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকার জন্য বিএনপি নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান রিজভী। বলেন, ‘রক্তপাত এবং সংগ্রামের মাধ্যমে সৃষ্ট সুযোগ আগামী দিনে একটি উন্নত রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।’

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ত্রুটি-বিচ্যুতির সমালোচনা করলেও সরকারের ভালো কাজের প্রতি সমর্থন জানায় বিএনপি।

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে আলোচনা অনুসারে, সরকার যুক্তিসঙ্গত সময়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে বলে আশা প্রকাশ করেন রিজভী।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তার সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়াল স্বীকার করেছেন যে, ২০২৪ সালের নির্বাচন ছিল একটি ভুয়া নির্বাচন। ‘তার এই মন্তব্য স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে (শেখ) হাসিনার আমলে সমস্ত নির্বাচন অবৈধভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।’

বিএনপি নেতা দাবি করেন, প্রশাসনের ভেতরে লুকিয়ে থাকা কিছু লোক—যারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী। তারা বিভিন্ন বিভাগে বিভিন্নভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।’


প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির সৌজন্য সাক্ষাৎ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ কথা জানিয়েছে।


নির্বাচনের তফসিলের পর আসন নিয়ে জোটের সঙ্গে আলোচনা করবে বিএনপি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরেই বিএনপি তার রাজনৈতিক জোটের শরীকদের সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা শুরু করবে বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা করার জন্য আমরা এখনও সেই পর্যায়ে পৌঁছাইনি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা এবং নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু হওয়ার পরে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে।’

আজ বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির যোগাযোগ কমিটি এবং গণ অধিকার পরিষদের মধ্যে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে খসরু এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়ার পরেই আসন বণ্টনের বিষয়টি সমাধান করা হবে। ‘তফসিল ঘোষণার পরেই আমরা সকল সমমনা দলের সঙ্গে আলোচনা করব।’

গণ অধিকার পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠককালে খসরু বলেন, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে সাম্প্রতিক বৈঠকের ফলাফল নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন।

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘোষণায় উভয় দলই সন্তুষ্ট বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বিএনপি নেতা আরও বলেন, তারা ৩১ দফা সংস্কার এজেন্ডা বাস্তবায়নসহ নির্বাচনের আগে কীভাবে এগিয়ে যাওয়া এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। ‘আন্দোলনের সময় আমরা যেমন ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, তেমনি আগামী দিনেও—নির্বাচনের সময়, সরকার গঠনে এবং ৩১ দফা সংস্কার বাস্তবায়নে—একসঙ্গে এগিয়ে যাব।’

জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের চলমান বৈঠক সম্পর্কে বলতে গিয়ে খসরু বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যেখানে একমত হতে পারে সে বিষয়ের ভিত্তিতে সংস্কার করা হবে। ‘এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’

তিনি বলেন, প্রতিটি দলের নিজস্ব রাজনৈতিক ধারণা, দর্শন এবং ভবিষ্যৎ লক্ষ্য রয়েছে। ‘সুতরাং, সবকিছুর উপর ঐকমত্যে পৌঁছানোর প্রয়োজন নেই। কিছু বিষয় বিএনপির কাছে গুরুত্বপূর্ণ, আবার কিছু বিষয় বিভিন্ন দলের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই পার্থক্যগুলো থাকবে। সেই কারণেই সংস্কারগুলো একমত হওয়া বিষয়গুলোর উপর আলোকপাত করবে এবং অন্যান্য বিষয়গুলো নির্বাচনে জনগণের কাছে উপস্থাপন করা হবে।’

খসরু বলেন, বিএনপি তাদের নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা করার পর সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছে।

তিনি বলেন, ‘ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে বিচার বিভাগ একটি স্পষ্ট সিদ্ধান্ত দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনও এটি অনুমোদন করেছে এবং মতামত দিয়েছে। তাই, আইনত তার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করা উচিত।’

খসরু বলেন, বিএনপি এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উভয়ই আইনের শাসনে বিশ্বাস করে। ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে আমরা যদি সত্যিই আইনের শাসন অনুসরণ করি—তাহলে ইশরাকের মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়া স্বাভাবিক। আমরা এখন এই বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছি।’


জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি পালনে ৭ উপ-কমিটি বিএনপির

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি পালনে সুনির্দিষ্ট বিষয়ে ৭ টি উপ-কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সই করা এই কমিটি বিএনপি’র মিডিয়া সেলের ফেসবুক পেইজে প্রকাশ করা হয়েছে।

ব্যবস্থাপনা উপ-কমিটিতে শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিকে আহ্বায়ক ও ড. আবদুল্লাহ আল-মামুনকে সদস্য সচিব, প্রচার ও মিডিয়া উপ-কমিটিতে অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেলকে আহ্বায়ক ও আতিকুর রহমান রুমনকে সদস্য সচিব, শৃঙ্খলা উপ-কমিটিতে সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুকে আহ্বায়ক ও আমিনুল হককে সদস্য সচিব, অভ্যর্থনা উপ-কমিটিতে হাবিব-ঊন-নবী খান সোহেলকে আহ্বায়ক ও মিসেস শামা ওবায়েদকে সদস্য সচিব, যোগাযোগ উপ-কমিটিতে ড. মাহদী আমিনকে আহ্বায়ক ও এহসান মাহমুদকে সদস্য সচিব, আপ্যায়ন উপ-কমিটিতে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সকে আহ্বায়ক ও নুরুল ইসলাম নয়নকে সদস্য সচিব এবং দাপ্তরিক উপ-কমিটিতে অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদকে আহ্বায়ক ও মো. আবদুস সাত্তার পাটোয়ারীকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

আগামী ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত নানা কর্মসূচি পালিত হবে বলে জানা গেছে।


banner close