শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

আমাদের স্বপ্ন বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষায় রূপান্তরিত করা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১৪:১৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১৪:১৩

আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের স্বপ্ন বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষায় রূপান্তরিত করা।

বুধবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি যে প্রতিবাদ দিবস হবে সেই সিদ্ধান্তটা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু; তখনকার তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান জেলাখানার মধ্যে বসে এই সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদ দিবস হিসেবে পালিত হবে। সেই একুশে ফেব্রুয়ারিতে মায়ের ভাষার দাবিতে আমাদের পূর্বসুরিরা জীবন দিয়ে ভাষার দাবি প্রতিষ্ঠা করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এর পরে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কানাডা প্রবাসী দুজন বাঙালি সালাম ও রফিকে উদ্যোগে এবং জাতিসংঘে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রস্তাব পাঠানোর পরিপ্রেক্ষিতে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছে। এটি জাতির জীবনে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি বিশাল অর্জন।’

বাংলা পৃথিবীর অন্যতম ভাষা। যে ভাষায় ব্যাপক সংখ্যক মানুষ কথা বলে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজকে আমাদের লক্ষ্য, আমাদের স্বপ্ন হচ্ছে, বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষায় রূপান্তরিত করা।’


সহিংসতাকারীদের রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে বিচার হোক: রওশন এরশাদ

জাপার একাংশের চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ। পুরোনো ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ে সারা দেশজুড়ে চলা সহিংসতা ও অরাজকতার প্রতি নিন্দা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) একাংশের চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ। তিনি বলেছেন, সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তার নিন্দা জানানোর ভাষা আমি হারিয়ে ফেলেছি। যারা দেশের এতবড় ক্ষতি করেছে, তাদের রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে বিচার করা হোক।

আজ শনিবার কোটা আন্দোলনের সময় চলা সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ভবন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মিরপুর-১০ নম্বরে ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ও রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়ে তিনি একথা বলেন।

জাপার একাংশের চেয়ারম্যান বলেন, আমি মিডিয়ার মাধ্যমে আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের ছবি দেখে বিশ্বাস করতে পারিনি। তাই আজ আমি নিজের চোখে এই ধ্বংসযজ্ঞ দেখতে এসেছি। আমার এই বয়সে দেশের এই ছবি দেখতে হবে তা ভাবতেও পারিনি। এই ক্ষতি হয়ত পুষিয়ে উঠতে সরকারের কষ্ট হবে কিন্তু মনের ক্ষত সারবে কীভাবে।

দেশের কোমলমতি ছাত্র সমাজ ন্যায়সংগত কিছু দাবি জানিয়েছিল উল্লেখ করে রওশন এরশাদ বলেন, আমরাও তাদের দাবির প্রতি সমর্থন দিয়েছিলাম। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ছাত্রদের দাবি বাস্তবায়িত হয়েছে। ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যে চক্রান্তকারীদের অনুপ্রবেশ ঘটায় আন্দোলনে সহিংসতা দেখা দেয়। তার জন্য অনেক ছাত্রের অমূল্য জীবন হারিয়ে যায়। পাশাপাশি সাধারণ অনেক মানুষ এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্যও প্রাণ হারিয়েছে। জীবন মৃত্যুর সঙ্গে অনেকে সংগ্রাম করছেন। এই ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জাপার এই অংশের কো-চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম সেন্টু, সুনীল শুভ রায় ও মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদ প্রমুখ।


শেখ হাসিনার সকল অর্জন ধ্বংস করতে চায় হামলাকারীরা: সেতুমন্ত্রী

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, হামলাকারীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সকল অর্জন ধ্বংস করতে চায়। আজ শনিবার কোটা আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত বনানীর সেতুভবন পরিদর্শনকালে সেতুমন্ত্রী একথা বলেন।

তিনি বলেন, হামলাকারীদের যে ফুটেজ ছিল, তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেওয়া হয়েছে। তারা পরপর দুইবার পদ্মা সেতুতে আগুন লাগাতে গিয়েছিলো। তারা শেখ হাসিনার সকল অর্জন ধ্বংস করতে চায়। এসব ধ্বংসযজ্ঞ দেখে প্রধানমন্ত্রী কষ্ট পাচ্ছেন।

মন্ত্রী বলেন, এটা সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের কাজ না। বিএনপি-জামায়াত এই আন্দোলনের ওপর ভর করেছে। তাদের দীর্ঘ দিনের ব্যর্থতার জন্য এমন হামলা। তারা গণতন্ত্র মানে না। তারা আগুন ও অস্ত্র নিয়ে নেমেছে।

মেট্রোরেল না থাকায় মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ৩০ মিনিটের পথ দুই ঘণ্টায়ও যেতে পারছে না। মেট্রোরেল কবে নাগাদ চালু হবে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলনের ওপর ভর করে যারা রাজনৈতিক রূপ দেয়ার চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যখন যেখানে যা করার, আমরা তাই করব।


আজ স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৭ জুলাই, ২০২৪ ০০:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ শনিবার (২৭ জুলাই)। এ দিন গৌরবোজ্জ্বল সংগ্রাম ও সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে আমাদের প্রিয় সংগঠন ৩১ বছরে পদার্পণ করবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন হিসেবে ১৯৯৪ সালের ২৭ জুলাই ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের সাবেক নেতাদের সমন্বয়ে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন বর্তমানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংগঠনটি আন্দোলন, সংগ্রাম ও দুর্যোগ মোকাবিলায় সব সময় মাঠে ছিল।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আজ সকাল ৬টায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ জেলা, মহানগর, উপজেলা, ওয়ার্ডসহ সব শাখার দলীয় কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন।

আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু এই দীর্ঘ পথচলায় সর্বস্তরের নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা ও প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।

নেতৃদ্বয় বিএনপি-জামায়াতের গত কয়েক দিনের নৈরাজ্য প্রতিরোধে অংশ নেওয়া সব নেতা-কর্মীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাকের মোল্লা ও সুমন হোসেনসহ নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে আহত নেতা-কর্মীদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

এ ছাড়া চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সব কর্মসূচি স্থগিত করে সংগঠনের জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা, পৌরসভা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও বৈদেশিক শাখাসমূহকে বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডবে নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং বিপুল সংখ্যক আহত নেতা-কর্মীর সুস্থতা কামনা করে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করতে নির্দেশনা দিয়েছেন।

বিষয়:

ব্যর্থতা আড়াল করতে সরকার নির্বিচারে গ্রেপ্তার করছে: ফখরুল

পুরোনো ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকার নিজেদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ব্যর্থতা আড়াল করতে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে গ্রেপ্তার করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর সরকার দলীয় সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে হামলা চালিয়ে ইতিহাসে হতাহতের যে বর্বরোচিত নজির স্থাপন করেছে তা দেশবিদেশের সব স্বৈরাচারের নির্মম নিষ্ঠুরতাকেও হার মানিয়েছে।

অব্যাহত গতিতে দেশব্যাপী বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি হচ্ছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টুর বাসাসহ অনেক সিনিয়র নেতার বাসায় তল্লাশি চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার নেতাদের গুম করে রেখে নির্যাতন চালিয়ে তিন, চার কিংবা পাঁচদিন পর আদালতে হাজির করা হচ্ছে, যা আইন ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। দেশের নাগরিকদের গুম করে রাখার ভয়াবহ সংস্কৃতি চালু রেখে মানুষের মনে ভীতি সঞ্চার করা হচ্ছে। সরকারকে এ ধরনের লোমহর্ষক কর্মকাণ্ড পরিহারের আহ্বান জানাচ্ছি।

এ ছাড়া তিনি মানুষকে গ্রেপ্তার, কারান্তরীণ ও জুলুম-নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।


প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে: কাদের

শুক্রবার আ. লীগের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও বিচার হবে। আজ শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সকল দাবি মেনে নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। আমরা বরাবরই শিক্ষার্থীদের দাবি সমর্থন করে আসছি। ৭১-এ যারা বেইমানি করেছে, হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তারা এখনো বেইমান। ৭১-এর খুনি, ৭৫-এর খুনি, ২১ আগস্টের খুনি, ২৪ সালেও একই খুনিরা। তারা হচ্ছে বিএনপি জামায়াত।

আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীদের হত্যা করে দায় চাপানো হচ্ছে অভিযোগ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে। নজিরবিহীন তাণ্ডব চালিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানো।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আ. লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, ইকবাল হোসেন অপু, আনিসুল হক প্রমুখ।


সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করে বিচার করতে কমিটি গঠন করা হয়েছে

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহিংসতার ঘটনায় নিহত পরিবারের সদস্যদের দায়িত্ব নেবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক সমন্বয় সভায় তিনি এ কথা জানান।

সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করে বিচার করতে কমিটি গঠন করা হয়েছে। সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হবে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করে বিএনপি-জামায়াত তাদের পরিচিত আগুন সন্ত্রাস করেছে, দেশের অর্জন ধ্বংসস্তূপে পরিণত করতে চেয়েছে। বিএনপি সারিসারি লাশের ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ নিহত ও আহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াবে। জনগণের মুক্তির জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করাই সরকারের লক্ষ্য। কোটা আন্দোলনে ভর করে বিরোধীরা যে ধ্বংসস্তূপ করেছে তা বিদেশিরা পরিদর্শন করে কম্পিত হয়ে গেছে। তারেক রহমান কোটা আন্দোলনে কুশীলব। আন্দোলন যতক্ষণ পর্যন্ত ছাত্রদের ছিল ততক্ষণ কোনো সংঘর্ষ হয়নি। পূর্বপরিকল্পিতভাবে বিএনপি-জামায়াত দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সন্ত্রাসী এনে ২০১৪ সালের অগ্নি সন্ত্রাস বাস্তবায়ন করেছে। ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কোটা নিয়ে একদিনের জন্যও আন্দোলন হয়নি। তবে কেন হঠাৎ করে এ মরণপণ আন্দোলন।

কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কী করে বলতে পারেন বিএনপি আগুন সন্ত্রাস করে না, এ মিথ্যাচারের জন্য নোবেল পুরস্কার দেওয়া উচিত। রাষ্ট্রের মেগা উন্নয়ন মেট্রোরেল, সেতু ভবন ও বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ সব সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এগুলো দেখলে বোঝা যায় কারা এসব করেছে। যারা সরকারের উন্নয়ন দেখতে চায় না তারাই করেছে।


বিএনপি এখনো ধ্বংসের সুরে কথা বলছে: কাদের

আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতাদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নেই, তারা এখনো ধ্বংসের সুরে কথা বলছেন। আজ বুধবার রাজধানীর শ্যামলী-আদাবর রিং রোডে মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সমালোচনা করে কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল এখনো মিথ্যাচার করছেন। এদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নেই। মির্জা ফখরুল এখনো ধ্বংসের সুরে কথা বলছেন, আগুনের কথা বলছেন। আপনারা (বিএনপি) এ দেশ চাননি, মুক্তিযুদ্ধ চাননি। আপনারা পদ্মা সেতু চাননি, মেট্রোরেল চাননি। আজ মেট্রোরেল বন্ধ, ধ্বংসলীলায় পরিণত হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকাবাসী চেয়েছিল মেট্রোরেল। আজ ধ্বংস হয়ে গেছে। মিরপুর স্টেশনে যে হামলা হয়েছে সেগুলো সারাতে এক বছর লাগবে। আমাদের যত অর্জন আছে, সন্ত্রাসীদের আক্রমণে সেগুলো ধ্বংসলীলায় পরিণত হয়েছে। যে সেতুভবন পদ্মাসেতু করেছে সেই সেতুভবন আক্রান্ত, দোতলায় আমার অফিস কয়লা হয়ে গেছে, বিআরটিএ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যে অর্জনগুলো বাংলাদেশকে প্রশংসিত করেছে, সম্মানিত করেছে, শেখ হাসিনার এই অর্জনগুলো আজকে অগ্নিসন্ত্রাসের আক্রমণে ধ্বংস লীলায় পরিণত হয়েছে। আজকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের মুল্যবোধ জয় বাংলা আক্রান্ত, একাত্তরের মহাবিজয় আজ আক্রান্ত।

তিনি বলেন, পদ্মাসেতু মাওয়া প্রান্ত, জাজিরা প্রান্ত বার বার আগুন দেওয়ার চক্রান্ত হয়েছে, স্থানীয় জনগণ প্রতিরোধ করেছে। আমার দেশ ও অর্জন যখন আক্রান্ত হয় আমরা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে পারি না। আমাদের ইতিহাস ও সংস্কৃতির ধারক বাহক বিটিভিকে পুড়ে ছাই করে দিয়েছে। মির্জা ফখরুল এখনো ধ্বংসের সুরে কথা বলে। আর কত ধ্বংস চান?

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান প্রমুখ।


শিক্ষার্থীদের পরিবর্তে বিএনপি-জামায়াত মাঠে নেমেছে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৮ জুলাই, ২০২৪ ১৬:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার পর শিক্ষার্থীদের পরিবর্তে বিএনপি-জামায়াত তাদের পুরনো আগুন সন্ত্রাস নিয়ে মাঠে নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নিরাপদ জায়গা হিসেবে ব্যবহার করে ইতোমধ্যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিধানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। প্রথম থেকেই পুলিশ সহনীয় ভূমিকা পালন করেছে, যার কারণে রাষ্ট্রপতি বরাবর শিক্ষার্থীরা তাদের স্মারকলিপি সরাসরি দিতে পেরেছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আহমদ হোসেন, এস এম কামাল হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।


সন্ত্রাস-সহিংসতা সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া হবে না: কাদের

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ঘোষিত কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিকে পুঁজি করে কাউকে সন্ত্রাস ও সহিংসতা সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল বুধবার রাতে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

কাদের বলেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তাকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কোনো কর্মকাণ্ডকে সহ্য করা হবে না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সর্বস্তরের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে রাজপথে থাকবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আজ (গতকাল) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সকলকে ধৈর্য ধারণ এবং সহনশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি উচ্চ আদালতের রায় ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত ধৈর্য ধরার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত বলেছেন, আমার বিশ্বাস, আমাদের ছাত্রসমাজ উচ্চ আদালত থেকে ন্যায়বিচারই পাবে। তাদের হতাশ হতে হবে না।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুঁজি করে বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক এবং দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গে সন্ত্রাস ও সহিংসতার বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। সাধারণ শিক্ষার্থী ও দেশের জনগণ যখন প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে আশ্বস্ত হয়েছে, ঠিক তখন কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে এবং আমরা দেখতে পাচ্ছি, এই কর্মসূচিকে পুঁজি করে বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি সারা দেশে সন্ত্রাস ও অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শুরু থেকেই ছাত্রদল ও শিবিরের সন্ত্রাসী ক্যাডারবাহিনী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। এখন তারা ব্যাপক সন্ত্রাস ও অরাজকতার মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুঁজি করে বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসাত্মক অপরাজনীতির ফলে ইতোমধ্যে কয়েকটি তাজা প্রাণ ঝরে গেছে। বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির সন্ত্রাসী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সকল দেশপ্রেমিক নাগরিককে সচেতন এবং সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, এই সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর যে কোনো অপতৎপরতার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের রাজপথে থেকে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে সহযোগিতা প্রদানের জন্য সাংগঠনিক নির্দেশনা প্রদান করছি।


আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নিতে যারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারা শিগগিরই গ্রেপ্তার হবে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নিতে যারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে তারা শিগগিরই গ্রেপ্তার হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ।

আজ বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনের পর টিএসসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, কোমলমতি ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র। আগ্নেয়াস্ত্র, লাঠিসোটা, খিচুরী ও পানি সাপ্লাই দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে। যারা এগুলো করছে, তাদের নাম ও ফোন নম্বর পেয়েছি শিগগিরই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।

হারুন অর রশীদ বলেন, শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে একটি চক্র বাসে আগুন, রেলের স্লিপার তুলে দেওয়া, মেট্রো বন্ধ করার চেষ্টা করছে। এসব অপরাজনীতি করে তারা যদি মনে করে সফল হবে, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। দেশের জনগণ এসব অপরাজনীতি অতীতেও গ্রহণ করেনি এখনও করবে না।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাতে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে তাজা ককটেল, লাঠি ও দেশি-বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করেছি। এ ঘটনায় সাতজনকে আটক করা হয়েছে। তারা অনেক তথ্য দিয়েছে। কারা এসব ষড়যন্ত্র করছে, কারা খাবার, অস্ত্র ও লাঠিসোটা সাপ্লাই দিচ্ছে তাদের নাম ফোন নম্বর দিয়েছে। তারা গোয়েন্দা জালে রয়েছে, শিগগিরই গ্রেপ্তার হবে।


আ. লীগ নেতাদের ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে প্রস্তুত হতে বললেন কাদের

আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রস্তুত হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পাশাপাশি অশুভ অপশক্তিকে প্রতিহত করতে সারা দেশে নেতাকর্মীদের সতর্ক হয়ে শক্ত অবস্থান নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

আজ বুধবার তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের এক মতবিনিময় সভায় ওবায়দুল কাদের এ নির্দেশ দেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনারা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রস্তুত হয়ে যান। যার যার এলাকায় যান। আজও তাদের ভয়াবহ তাণ্ডব সৃষ্টির এজেন্ডা আছে। বিধ্বংসী এজেন্ডা আছে। এখানে শুধু পুলিশের শক্তি নয়, আমাদের দলের যে শক্তি— যে শক্তি বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ করেছে, যে শক্তি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করেছে, সেই শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, আমাদের এ শক্তিকে আজ কাজে লাগতে হবে। যার যার দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতাকর্মীকে আমাদের নেত্রীর পক্ষ থেকে নির্দেশ দিচ্ছি, সারা দেশে সতর্ক হয়ে শক্ত অবস্থান নিয়ে অশুভ অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। কোনো অপশক্তির সঙ্গে আপস করা যাবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীদের আমরা কোনো ছাড় দেব না। স্বাধীনতাবিরোধীদের আমরা কোনো ছাড় দেব না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি-জামায়াত যদি মনে করে, এসব করে তারা ছাড় পাবে, তবে তাদের বলতে চাই, কোনো ছাড় আওয়ামী লীগ দেবে না। এখন কোটা নিয়ে আন্দোলন আর সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নেই। এখানে সরাসরি বিএনপি-জামায়াত, ছাত্রদল-ছাত্র শিবির জড়িয়ে আন্দোলনকে সরকার উৎখাতের আন্দোলনে পরিণত করতে চাইছে।

তিনি বলেন, আমরা কিছু পত্রিকার হেডিং দেখলে অবাক হয়ে যাই, সব জায়গায় ছাত্রলীগের হামলা। অথচ ধরে ধরে হল থেকে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের মেয়েদের বের করে দেওয়া হয়েছে। হলে হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পোশাক-পরিচ্ছদ, তাদের বই-পুস্তক পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখনো এ অবস্থা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ ঘটনা কোনো গুরুত্বপূর্ণ হেডিং হলো না। কাল আমরা টেলিভিশনে দেখলাম যে, শহীদ মিনার এলাকায় সহকারী প্রক্টরকে দৌড়াতে দৌড়াতে লাঠি দিয়ে পেটানো হয়েছে, কত যে বর্বর, চোখে না দেখলে বিশ্বাস হয় না।

তিনি বলেন, আমরা আশা করি, সত্যিকারভাবে যা ঘটেছে, আমাদের গণমাধ্যম তা তুলে ধরবে। এটিই আমরা চাই, সত্যকে বিকৃত করা উচিত নয়। আজ বেশিরভাগ হামলাই ছাত্রলীগের ওপর, এখনো চলছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কেন রাস্তাঘাট দখল করতে যাবে, সহিংসতায় জড়াবে? এ আন্দোলনের নেতৃত্ব নিঃসন্দেহে অশুভ শক্তির হাতে চলে গেছে। এ অবস্থায় আমরা নিশ্চুপ থাকতে পারি না। আমরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীরা চুপ করে বসে থাকতে পারি না। আমাদের অস্তিত্বের প্রতি হামলা আসছে, হুমকি আসছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলা আমাদের করতেই হবে।


ঢাবি অধ্যাপক মুহিতের ওপর হামলা: ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের নিন্দা

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের হামলার শিকার ঢাবির সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক আব্দুল মুহিত আহত। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৭ জুলাই, ২০২৪ ০০:৩৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

কোটা সংস্কার আন্দোলনে উত্তাল পুরো দেশ। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) আন্দোলনকারীদের হামলার শিকার হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক আব্দুল মুহিত। হামলার শিকার হয়েছেন আরও চার শিক্ষক।

বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটের দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদ।

মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় এই প্রতিবাদ জানানো হয়।

বার্তায় সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সরদার মাহামুদ হাসান রুবেল বলেন, ‘শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড- এই প্রবাদ সবাই জানি। জাতির উন্নতি-অগ্রগতি শিক্ষার ওপর নির্ভর করে। সেই শিক্ষা দান করেন একজন শিক্ষক। শিক্ষক হলেন জাতি গড়ার কারিগর। দুঃখজনক হলেও সত্য, আন্দোলনের নামে তারা শিক্ষকদের ওপর হামলা করেছে। এটা সমাজে এবং রাষ্ট্রের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আইনের চোখে অপরাধী যে হোক না কেন তার বিচার হওয়া উচিত। কিন্তু কেউ আইন হাতে নিয়ে বিচার করবে, লাঞ্ছিত করবে, তা কখনো কাম্য নয়। শিক্ষককে অপদস্ত করার বিরুদ্ধে সবার সোচ্চার হওয়া জরুরি।’

যা ঘটেছিল

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাবির প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা শহীদ মিনার এলাকা থেকে শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের চলে যাওয়ার জন্য লাউড স্পিকারে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিয়ে প্রক্টরিয়াল টিমের ওপর হামলা চালায়।

এ সময় ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল মুহিত পায়ে আঘাত পেয়ে রাস্তায় পড়ে যান। সেখান থেকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।


এই সরকারকে আর সময় দেওয়া যাবে না: ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

‘স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও আমাদের অধিকার নিয়ে লড়াই করতে হচ্ছে। ২০১৮ সালে কোটা ব্যবস্থা তো প্রধানমন্ত্রীই বাতিল করেছিলেন। এখন আবারও আদালতকে ব্যবহার করে একটা ইস্যু বানিয়েছেন। এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য। একটা কথা বলতে চাই, আমাদের সবাইকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। এই সরকারকে আর সময় দেওয়া যাবে না’

আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং বিএনপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মশিউর রহমান যাদু মিয়ার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, স্বাধীনতার আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানের ছাত্র সংগঠন এনএসএফ পৈশাচিক নির্যাতন করত। বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকারের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ সেটিই করছে। তারা অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমানোর চেষ্টা করছে। অথচ শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত।

ফখরুল বলেন, তারা হাসপাতালে গিয়ে হামলা চালিয়েছে। স্বাধীনতার আগে পাকিস্তানের ছাত্র সংগঠন এনএসএফ পৈশাচিক নির্যাতন করত। বর্তমানেও ছাত্রলীগ সেটিই করছে। তারা অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমানোর চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, ঘৃণা এবং ক্ষোভের সঙ্গে বলতে হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ বর্বর হামলা চালিয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এখন সবার উচিত আন্দোলন করা। আমাদের সন্তানদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। এই সময়ে রুখে দাঁড়াতে না পারলে দেশ ও জাতির অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. মাহবুবউল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাৎ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, নূর মোহাম্মদ খান প্রমুখ।

বিষয়:

banner close