রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে জেলা মোটর মালিক সমিতির ডাকা বাস ধর্মঘট উপেক্ষা করে বিভিন্ন জেলা থেকে দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা সমাবেশস্থলে আসছেন।
সমাবেশ সফল করতে গতকাল শুক্রবার রাত থেকেই মোটরসাইকেল ও অটোরিকশায় চেপে রংপুরে আসেন শত শত নেতাকর্মী। পরে তারা আত্মীয় স্বজন ও জেলার বিভিন্ন ছাত্রাবাসে অবস্থান নেন। অনেকে এসেছেন ট্রেনে করে।
আজ শনিবার সকাল ৯টায় নগরীর কামাল কাচনা এলাকায় জড়ো হন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলা থেকে আসা বিএনপি নেতাকর্মীরা।
তাদের মধ্যে একজন হানিফ। তিনি জানান, ফজরের নামাজ পড়ে অটোরিকশা নিয়ে রওনা দেন তারা। খুব সকাল হওয়ায় কোথাও কোনো বাধার সম্মুখীন হননি। সমাবেশে যোগ দিতে তাদের আরও নেতাকর্মী আসছেন। সবাই এলে একসঙ্গে সমাবেশে অংশ নেবেন।
একই উপজেলা থেকে আসা আমিনুল হক নামের আরেক বিএনপি কর্মী জানান, সমাবেশে আসতে দশটি বাস ভাড়া নিয়েছিলেন তিনি। তবে ধর্মঘটের কারণে কোনো বাস আসতে পারেনি। পরে অটোরিকশায় করে তারা রংপুরে আসছেন।
সমাবেশে অংশ নিতে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা থেকে আসা কয়েকজন নেতাকর্মীরা জানান, রওনা দিতে দেরি হওয়ায় শুক্রবার সকালে তারা ট্রেন ধরতে পারেননি। পরে বিকেলে মোটরসাইকেলে করে রংপুরে এসেছেন।
বিএনপির রংপুর বিভাগী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবীব দুলু বলেন, ‘কোনো বাধাই মানবে না নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। রাতেই হাজার হাজার নেতাকর্মী এসেছেন। সমাবেশ সফল হবে।’
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও খালেদ জিয়ার মুক্তিসহ নানা দাবিতে বিএনপি দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশ করছে। ৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম, ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহ ও ২২ অক্টোবর খুলনায় সমাবেশ করেছে দলটি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ শনিবার রংপুর কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে চতুর্থ গণসমাবেশ করছে বিএনপি।
বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে রাজনীতিবিদকে চান আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা।
মঙ্গলবার রাতে সংসদ ভবনে সরকারি দলের সভাকক্ষে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে এ মত আসে বলে বৈঠক সূত্র জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থীর নাম এখনই প্রকাশ করবে না আওয়ামী লীগ
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি প্রার্থী মনোনীত করতে সংসদ নেতা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা দিয়েছে সংসদীয় দল।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রপতি প্রার্থী মনোনীত করতে যখন সংসদ নেতা শেখ হাসিনার উপর অর্পন করা হয় তখন তিনি বলেন, এ দায়িত্ব বেশ কঠিন। রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন এগুলো ভাবতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতি মনোনয়ন করা যেমন কঠিন, তেমনি চ্যালেঞ্জিংও।
এসময় সংসদ সদস্যরা বলেন, সেই কঠিন কাজ সহজ হয়ে যাবে আপনার জন্য। আপনার বিবেচনাবোধের প্রতি আমাদের সকলের আস্থা-বিশ্বাস রয়েছে।
সূত্র জানায়, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাক ওবায়দুল কাদের বক্তব্য দেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বাদে বাকী তিন জনই রাষ্ট্রপতি পদে দলীয় প্রার্থী হিসেবে রাজনীতিবিদের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি যিনি দলের প্রতি, দেশের প্রতি, শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থার প্রকাশ ঘটিয়েছেন তেমন একজনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচন করা যেতে পারে বলেও মত দেন তারা।
সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় দলটির মনোনীত প্রার্থীর রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়া প্রায় নিশ্চিত।
২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রথমে রাষ্ট্রপতি হন জিল্লুর রহমান। তার মৃত্যুর পরে ওই পদে বসেন মো. আবদুল হামিদ। রাষ্ট্রপ্রধানের পদে বসা এ দুজনই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মী এবং পোড় খাওয়া রাজনীতিক।
বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন পরোক্ষ ভোটে। সংসদ সদস্যরাই এই নির্বাচনে ভোট দেন। ৩৫০ আসনের আইনসভায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এখন ৩০৫।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ টানা দুই বার রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন। সংবিধান অনুযায়ী, দুই বারের বেশি রাষ্ট্রপতি পদে থাকার সুযোগ নেই। আবদুল হামিদের উত্তরসূরি নির্বাচনে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হবে। তবে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১২ ফেব্রুয়ারি।
আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসেবে কয়েকজনের নাম কিছু দিন ধরেই সংবাদ মাধ্যমে আলোচনায় রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মসিউর রহমান, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের নাম।
সংসদ উপনেতা হওয়ার আগে মতিয়ার চৌধুরীর নামও এসেছিল আলোচনায়। আলোচনায় ছিল ওবায়দুল কাদেরের নামও। নিজের নাম নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের এর আগে বলেছিলেন, ওই পদে বসার ‘যোগ্যতা’ তার নেই।
সংসদী দলের বৈঠক সূত্র জানায়, ওই সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল সংসদ সদস্যদের বেশি করে এলাকামুখী হতে নির্দেশ দেন। ভোটারদের দরজায় যেতে হবে জিততে হলে। তাদের কাছে ভোট ভিক্ষা চাইতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার দেশের উন্নয়ন করেছে। উন্নয়ন কাজ চলছে, চলবে। আর যারা আগে ক্ষমতায় ছিল তারা জনগণকে শাসন-শোষণ করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তিন মেয়াদের উন্নয়ন ও বিএনপির শাসণামলের দুর্নীতি-দুঃশাসনের তুলনামূলক চিত্র তুলে মানুষের কাছে ভোট চাইতে হবে।
জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে মাঠ পর্যায়ের জরিপের কথা আবারও উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। শেখ হাসিনা সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, আমি নিয়মিত জরিপ চালাচ্ছি। এলাকায় কার কী অবস্থা সেই তথ্য সংগ্রহ করছি। যার এলাকায় অবস্থান আছে, নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়নও তিনিই পাবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষকে জানাতে হবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখলকে অবৈধ ঘোষণা করেছে দেশের উচ্চ আদালত। সে অনুযায়ী জিয়াউর রহমানের সেই সময়ে গঠিত দল বিএনপিও অবৈধ।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দলের প্রার্থী মনোনীত করার ক্ষমতা দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিয়েছে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দল।
মঙ্গলবার রাতে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকশেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এই তথ্য জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সংসদীয় দলের বৈঠকে তিনি সংসদীয় দলের পক্ষ আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে রাষ্ট্রপতি মনোনীত করার ক্ষমতা অর্পণের প্রস্তাব করেন। সেটি সর্বসম্মতভাবে গ্রহণ করা হয়। এখন ঐক্যের প্রতীক প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটাবেন।
সংসদীয় দলের একটি সূত্র জানায়, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাক ওবায়দুল কাদের বক্তব্য দেন।
সূত্র জানায়, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেবেন। এর আগে দলের প্রার্থী কে তা প্রকাশ করা হবে না।
সূত্র জানায়, সভায় বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদ সদস্যদের এলাকামুখী হতে বলেন। তিনি বলেন, উন্নয়ন কাজ চলছে, চলবে। কিন্তু মানুষের কাছে ভোট চাইতে হবে।
রাজধানী ঢাকায় আবারও পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। আগামী ৯ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দলটির মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতা-কর্মীরা এ কর্মসূচি পালন করবে।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ফখরুল বলেন, সরকারের পদত্যাগ ও ১০ দফা দাবি আদায়ে বিএনপি ঢাকায় আবারও দুই দিন পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করবে। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি রাজধানীর গোপিবাগ ব্রাদার্স ক্লাব মাঠ থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত পালন করবে এ কর্মসূচি।
এ ছাড়া আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি রাজধানীর শ্যামলী ক্লাব মাঠ থেকে রিংরোড, শিয়ামসজিদ, তাজমহল রোড, নূরজাহান রোড ও মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড হয়ে বসিলা পর্যন্ত পদযাত্রা করবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিএনপি নেতা নাজিমুদ্দিন আলাম, কামরুজ্জামান রতন ও আমিনুল হক।
নির্বাচনী পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে বলে মনে করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তিনি বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে বলে মনে হয় না।
রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলোচনাকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সোমবার জি এম কাদের আরও বলেন, ‘সরকার চাইলে আমরা দলীয় ফোরামে আলোচনা করে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে প্রস্তাবনা দেব।’
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আদালতের ওপর শ্রদ্ধাশীল। আমরা আদালতের সব নির্দেশনা মেনেই চলেছি।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘সংবিধানের কয়েকটি ধারার কারণেই বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতায় ঘাটতি আছে। ওই ধারার কারণে বিচার বিভাগ কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তবে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় শুধু জাতীয় পার্টি নেতা-কর্মীই নয়, দেশের সাধারণ মানুষও খুশি হয়েছে।’
তিনি বলেন, মামলার কারণে স্বাভাবিক রাজনীতিতে কিছুটা বাধা এসেছে। কিন্তু আমরা আদালতের সব নির্দেশনা শ্রদ্ধার সঙ্গে ইতিবাচকভাবেই নিচ্ছি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে জি এম কাদের বলেন, ‘বর্তমান সরকার দীর্ঘ সময় রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে জনগণের আস্থা হারিয়েছে। আবার বিএনপিকেও দেশের সাধারণ মানুষ পছন্দ করে না। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে একটি তৃতীয় শক্তির প্রত্যাশা করছে। জাতীয় পার্টি সেই তৃতীয় শক্তি হিসেবে নির্বাচনে আবির্ভূত হতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
তিনি বলেন, দেশ থেকে দুর্নীতি, দুঃশাসন, দলবাজি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য দূর করতেই আমরা রাজনীতি করছি। দেশের মানুষ মনে করছেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির চেয়ে জাতীয় পার্টি দেশ পরিচালনায় অনেক বেশি সফলতা অর্জন করেছে। তাই দেশের মানুষ জাতীয় পার্টিকে বিকল্প শক্তি হিসেবে দেখতে চায়।
সদ্য প্রয়াত সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিন আহমেদকে কর্মী থেকে নেতা হওয়া ও নেতৃত্বের প্রতি অবিচল থাকার অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত আখ্যা দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘এক-এগারোর পট পরিবর্তের পর যে প্রান্তিক নেতৃবৃন্দ জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন, তার মধ্যে মোসলেম উদ্দিনও ছিলেন, আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।’
সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে চট্টগ্রাম-৮ আসনের সদ্যপ্রয়াত সংসদ সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদের জানাজা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী।
মোসলেম উদ্দিনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা এমন একজন নেতা হারিয়েছি, যার সঙ্গে আমাদের দীর্ঘ কয়েক দশকের সম্পর্ক। কীভাবে কর্মী থেকে নেতা হওয়া যায়, কর্মীদের সঙ্গে কীভাবে সার্বক্ষণিক থাকা যায় ও নেত্রী এবং নেতৃত্বের প্রতি কীভাবে অবিচল থাকা যায়, সেটি তার কাছ থেকে শেখার আছে।’
প্রয়াত সংসদ সদস্যের স্মৃতিচারণ করে মন্ত্রী বলেন, ‘মোসলেম উদ্দিন আহমেদ আমাদের দলের একজন পোড়খাওয়া কর্মী ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন। তিনি এবং এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী এক সঙ্গে পাকিস্তানিদের হাতে ধরা পড়েছিলেন। পরে পাগলের অভিনয় করে মুক্তি লাভ করেন।’
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘তার জীবন কর্মী থেকে নেতা হওয়ার জীবন। তখন চট্টগ্রাম শহর ছাত্রলীগ ছিলো, মোসলেম উদ্দিন চট্টগ্রাম শহর ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন, এরপর তিনি যুবলীগের সভাপতি হন। তারপর তাকে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। দীর্ঘ দুই দশক তিনি সেই দায়িত্ব পালন করেন এবং শেষে এক দশকের বেশি সময় তিনি সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।’
মোসলেম উদ্দিন আহমেদের জানায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী, সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ অন্যরা।
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বালিয়াডাঙ্গীতে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এই ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচার কার্যকর করা হবে।’
গত শনিবার রাত থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত সময়ে বালিয়াডাঙ্গীর ধনতলা, চাড়োল ও পাড়িয়া ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামের মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা।
প্রতিমাগুলোর হাত-পা, মাথা ভেঙে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ফেলা হয়েছে। আবার কিছু প্রতিমা ভেঙে পুকুরের পানিতে ফেলে রেখেছে।
সড়ক পরিবাহনও সেতু মন্ত্রী বলেন, ‘ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় সংঘটিত সাম্প্রদায়িক হামলার মধ্য দিয়ে প্রতিক্রিয়াশীল উগ্র-সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বাংলাদেশের মৌলিক আদর্শ ও মূল্যবোধের ওপর আঘাত হেনেছে। সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অগ্রসরমান অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের সংগ্রামকে ব্যাহত করতেই একটি চিহ্নিত সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। এই আঘাত বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সংবিধান ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূলে আঘাত।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাংলাদেশ উদার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এদেশে সাম্প্রদায়িকতা ও উগ্রবাদের কোনো স্থান নেই। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার এই অপচেষ্টা কোনোভাবেই সফল হবে না। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরিচালিত বর্তমান সরকার সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে সমূলে উৎপাটন করতে বদ্ধপরিকর।’
মেগা প্রকল্পের নামে সরকার লুটপাট করে দেশের তহবিল খালি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘সরকার চরম দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে দেশের কোষাগার শূন্যের কোটায় নিয়ে গেছে। এরপর ব্যাংক থেকে টাকা ধার নিয়েছে, ৫০ হাজার কোটি টাকার নোট ছাপিয়েছে। সরকার কীভাবে দেশ চালাচ্ছে এটা মানুষের জানার দরকার।’
রাজধানীর বনানীতে নিজ কার্যালয়ে সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন আমীর খসরু। তিনি বলেন, ‘সরকার মেগা প্রকল্প, উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের টাকা লুটপাট করে তহবিল শুধু খালি করেনি, তারা এ টাকা বিদেশে পাচার করেছে। ডলারের অভাবে এলসি খোলা যাচ্ছে না। প্রতিনিয়ত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিটি জায়গায় লুটপাটের কারণে দাম বেড়ে যাচ্ছে।’
বর্তমান সরকার জনগণ থেকে সম্পূর্ণ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘এই সরকার আগুন সন্ত্রাসের কথা বলে। অথচ তারা বিরোধী দলে থাকতে আগুন সন্ত্রাস করেছে, সরকারি দলে থাকতেও আগুন সন্ত্রাস করেছে। কিন্তু, দেশের মানুষ সহিংসতা চাচ্ছে না।’
আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, জনগণের ওপর কোন শক্তি থাকতে পারে না। জনশক্তির বিরুদ্ধে কোন অপশক্তি থাকতে পারে না। এটা দেশের মানুষ স্বাধীনতার যুদ্ধে প্রমাণ করেছে, ভাষার জন্য প্রমাণ করেছে।
আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়েছে মন্তব্য করে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপির প্রথম ধাপের আন্দোলনের সব বাধা বিপত্তি মামলা, হামলা, সরকারের গণপরিবহন বন্ধের পরেও সফল হয়েছে। তারা (আওয়ামী লীগ) রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়েছে। যত বেশি রাজনৈতিকভাবে তারা পরাজিত হচ্ছে তত বেশি তারা শক্তি, সহিংসতার কথা বলছে। তারা আন্দোলনকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করছে।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করছে না। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগকে বিদায় দেয়ার জন্য।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই অবৈধ দখলদার সরকারকে বিদায় করবে। জনগণকে তাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। জনগণ একটি নির্বাচিত সংসদ দেখতে চায়। এই মডেলের বিপরীতে অন্য কোন মডেলের কাজ করার কোন সুযোগ নেই।’
রাষ্ট্রপতি কে হবেন-এ নিয়ে বিএনপির প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি কে হল এ নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। বাংলাদেশের মানুষ আগামী নির্বাচনে তার নিজের ভোট দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক সরকার দেখতে চায়। যে সরকারের জবাবদিহিতা থাকবে। এর বাইরে মানুষের কোন আগ্রহ নেই।’
গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবং গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী এমদাদুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার এক শোক বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, চৌধুরী এমদাদুল হক ছিলেন একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও কর্মঠ নেতা। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একজন নিবেদিতপ্রাণ রাজনীতিবিদকে হারালো।
আওয়ামী লীগ সভাপতি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী এমদাদুল হক সকালে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। তিনি ৩ ছেলে ও ১ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দাবি করেছেন, তিনি সাম্প্রতিক উপনির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে নিয়ে কিছুই বলেননি। তিনি কেবল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন।
সোমবার চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমেদের জানাজার নামাজ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কাদের এ কথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ জানাজা সম্পন্ন হয়।
গত ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়ায় দুটি আসনে উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন আলোচিত কনটেন্ট নির্মাতা হিরো আলম। এর মধ্যে বগুড়া-৪ আসনে মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি। নির্বাচনে ফলাফল পাল্টে দেয়ার অভিযোগ করেন হিরো আলম। এই প্রার্থীকে ‘রাষ্ট্রযন্ত্র’ ব্যবহার করে হারানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও।
বগুড়া-৪ আসনের উপনির্বাচনের ভোট পুনঃগণনা করতে রোববার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আবেদন জমা দিয়ে হিরো আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের স্যার আমাকে তাচ্ছিল্য করে কথা বলেছেন। একজন মন্ত্রী দেশের নাগরিককে তাচ্ছিল্য করে কথা বলতে পারেন না।’ কাদেরকে বগুড়া-৪ আসনে ভোটে লড়ারও চ্যালেঞ্জ দেন হিরো আলম।
তার এ চ্যালেঞ্জের বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি তাকে (হিরো আলম) কিছুই বলিনি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাব দিয়েছি। সে (হিরো আলম) প্রান্তিক মানুষের প্রতিনিধি হিসাবে (নির্বাচন) করেছে। ভালো ভোটও পেয়েছে। তার সম্পর্কে আমার কোনো মন্তব্য নেই। আমি যা বলেছি সেটা মির্জা ফখরুলের মন্তব্যের জবাব।’
প্রয়াত সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিনকে স্মরণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মোছলেম উদ্দিন নেতা থেকে কর্মী হয়েছেন, দলের নিবেদিতপ্রাণ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর চেতনার সৈনিক ছিলেন। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আওয়ামী লীগকেই লালন করেন তিনি। তার জীবনে এমপি হওয়ার স্বপ্ন ছিল। সেটা শেখ হাসিনা পূরণ করেছেন। তার মনে কোনো না পাওয়ার বেদনা ছিল না।’
বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর চলমান আন্দোলনের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ‘শান্তি সমাবেশ’ কর্মসূচি পালন করে আসছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এবার আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি বিএনপির নতুন কর্মসূচির দিনে সারা দেশে ‘শান্তি সমাবেশ’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমতাসীন দল। এ উপলক্ষে দেশের ৪০ জেলায় যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের ৫৩ জন কেন্দ্রীয় নেতা।
গত রোববার আওয়ামী লীড়ের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের অভ্যন্তরীণ এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
সভা সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি সারা দেশের প্রতিটি জেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে একযোগে ‘বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য ও সহিংসতার প্রতিবাদে’ শান্তি সমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন দল।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জেলার নেতাদের সঙ্গে যোগ দেবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের বিভিন্ন জেলায় গিয়ে সমাবেশে অংশ নেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের জেলা ভাগ করে দেয়া হয়েছে। দেশের ৪০টি জেলায় দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে ৫৩ জন কেন্দ্রীয় নেতাকে।
শান্তি সমাবেশ উপলক্ষে লালমনিরহাটের দায়িত্ব পেয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমি। রংপুর যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান, রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া।
জয়পুরহাটে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।
বগুড়ায় আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা। নওগাঁয় কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাখাওয়াত হোসেন শফিক।
রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বেগম আখতার জাহান।
সিরাজগঞ্জে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য প্রফেসর মেরিনা জাহান, পাবনায় কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, ঝিনাইদহে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পারভিন জামান কল্পনা, যশোরে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মাগুরায় কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্মল কুমার চ্যাটার্জী।
নড়াইলের আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাশরাফি-বিন-মর্তুজা, বাগেরহাটে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আমিরুল ইসলাম মিলন, খুলনায় সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা।
বরগুনায় কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. সিদ্দিকুর রহমান, পটুয়াখালীতে সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, বরিশালে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনিসুর রহমান।
পিরোজপুরে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গোলাম কবির রব্বানী চিনু, টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ও শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বেগম শামসুন্নাহার, মানিকগঞ্জে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট তারানা হালিম, মুন্সীগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, গাজীপুরে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সিমিন হোসেন রিমি, নরসিংদীতে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম।
রাজবাড়ীতে বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, ফরিদপুর আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান।
গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত মুহাম্মদ ফারুক খান এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আওয়াল শামীম।
মাদারীপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ ও কেন্দ্রীয় কমিটির দুই সদস্য আনোয়ার হোসেন এবং শাহাবুদ্দিন ফরাজী।
শরীয়তপুরের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, জামালপুরে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শেরপুরে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মারুফা আক্তার পপি, নেত্রকোনায় আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল ও কেন্দ্রীয় সদস্য উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং যাচ্ছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শান্তি সমাবেশে যোগ দিতে বলা হয়েছে আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরুকে। কুমিল্লা উত্তরে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুস সবুর, চাঁদপুরে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. দীপু মনি এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ যাচ্ছেন।
লক্ষ্মীপুরে যাচ্ছেন কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী।
চট্টগ্রাম উত্তরে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম দক্ষিণে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।
কক্সবাজারে ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, রাঙ্গামাটিতে কেন্দ্রীয় সদস্য দীপঙ্কর তালুকদার এবং বান্দরবানে অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া যেসব জেলার নাম উল্লেখ করা হয়নি, সেগুলোতে স্থানীয় নেতা এবং স্থানীয় সংসদ সদস্যদের অংশগ্রহণে ইউনিয়ন পর্যায়ের শান্তি সমাবেশ আয়োজন করতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দল ও মন্ত্রণালয়ের অনেক কাজ বাকি থাকায় রাষ্ট্রপতি পদের জন্য আগ্রহী নন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আর কেউ তাকে রাষ্ট্রপ্রধানের পদের জন্য প্রস্তাবও দেয়নি বলে জানান তিনি।
সমসাময়িক বিষয় নিয়ে রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিন ঠিক করেছে নির্বাচন কমিশন। রাষ্ট্রে সর্বোচ্চ এই পদটিতে আলোচনায় থাকা প্রার্থীদের মধ্যে ওবায়দুল কাদেরের নামও বিভিন্ন মহলে শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে একজন সাংবাদিক ওবায়দুল কাদেরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি আমার মতামত আগেই বলে ফেলেছি। এটা বার বার বলতে ভালো লাগে না। আমার যদি প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ থাকত আমি প্রকাশ্যে বলতাম। এখানে হাইড অ্যান্ড সিকের কী প্রয়োজন?’
কাদের বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি পদের যে যোগ্যতা দরকার, এ যোগ্যতা আমার আছে বলে মনে হয় না। এ পদে বসার যোগ্যতা আমার নেই, এ কথা আমি বলেছি। আলোচনা হয়তো হতে পারে। কিন্তু আমি আগ্রহী নই বা আমাকে এ ধরনের কোনো প্রস্তাবও কেউ দেননি। আমি নিজে কাজের মানুষ। দৌড়াদৌড়ি, ছুটাছুটি করি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তৃতীয়বার সাধারণ সম্পাদক (আওয়ামী লীগের) হয়েছি, দলের অনেক কাজ আমার বাকি আছে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়েও অনেক কাজ বাকি আছে। দায়িত্ব অসম্পূর্ণ রেখে এত বড় পদে যেতে ব্যক্তিগতভাবে আমার কোনো আগ্রহ নেই।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যে দায়িত্ব দিয়েছেন সেগুলো পালন করাই আমার কর্তব্য। এটাই আমার কমিটমেন্ট, নতুন করে কোনো কমিটমেন্ট দিতে চাই না।’
‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে তোড়জোড় নেই কেন?’— এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে কখনো তোড়জোড় হয় নাকি? তোড়জোড়ের ব্যাপার নয়, সময়মতো আমরা আমাদের প্রার্থিতা ঘোষণা করব। এটা নিয়ম অনুযায়ী হবে। সংসদীয় দলের প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আছেন, তিনিই এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছেন। সময়মতো জানতে পারবেন।’
রাজনীতিবিদদের মধ্যে থেকে, নাকি অরাজনৈতিক কাউকে রাষ্ট্রপতি করা হবে? প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘বাইরে না, পলিটিশিয়ান— সেটা তো আমি এ মুহূর্তে বলতে পারছি না। এটা কয়েক দিনের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।’
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বিচারিক আদালতের আদেশ ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই আদেশ কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
জি এম কাদেরের রিভিশন আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি আব্দুল হাফিজের একক বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেন। তার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে জিএম কাদেরের ওপর নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রুল জারি করেছেন আদালত। এ আদেশের ফলে আপাতত তার দায়িত্ব পালনে বাধা নেই।’
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর থেকেই তার প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টিতে বিভেদ দেখা দেয়। এরশাদের স্ত্রী ও দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের সঙ্গে জি এম কাদেরের বিরোধ অনেকটাই প্রকাশ্য হয়ে পড়ে। ব্যাংককে চিকিৎসাধীন থাকালে রওশন দলের কেন্দ্রীয় সম্মেলন আহ্বান করলে উভয়পক্ষের তরফ থেকে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য আসে। সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার পদ থেকে রওশনকে সরাতে সচেষ্ট হন কাদেরপন্থিরা। যদিও পরে রওশন সম্মেলন স্থগিত করলে বিষয়টি নিয়ে সমঝোতার পথ খোলে। পরে দুজন একসঙ্গে বিবৃতি দিয়ে বলেন তারা ঐক্যবদ্ধ।
ওই বিরোধ চলাকালে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় পার্টি থেকে জিয়াউল হক মৃধাকে জি এম কাদেরের সিদ্ধান্তে বহিষ্কার করা হয়। তার তিন দিন আগে বহিষ্কার করা হয় রওশনপন্থি আরেক নেতা মসিউর রহমান রাঙ্গাকে।
মৃধা এই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ না করে চ্যালেঞ্জ করেন জি এম কাদেরের চেয়ারম্যান হওয়ার সিদ্ধান্তকেই। তিনি চেয়ারম্যান পদে জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়েই মামলা করেন।
মৃধার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ অক্টোবর জি এম কাদেরের দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে অস্থায়ী আদেশ দেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন জি এম কাদের। তার আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোট বিচারিক আদালতের আদেশ স্থগিত করেন।
হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন জিয়াউল হক মৃধা। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ বিচারিক আদালতের আদেশই বহাল রাখেন। পাশাপাশি বিষয়টি নিষ্পত্তির ভার দেন নিম্ন আদালতকেই।
পরে গত ১৯ জানুয়ারি ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়ার আদালত জি এম কাদেরের দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞার আদেশই বহাল রাখেন।
ওই আদেশের রিভিশন চেয়ে হাইকোর্টে ফের আবেদন করেন জি এম কাদের। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট আজ এ আদেশ দিলেন।
মামলার বাদী ও জাতীয় পার্টির বহিষ্কৃত নেতা জিয়াউল হক মৃধাকে আট সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত।
বগুড়ায় উপনির্বাচনে বিএনপির উদ্দেশ্য সফল হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি দাবি করেছেন, আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপি পথ হারিয়ে এখন নীরব পদযাত্রা কর্মসূচিতে নেমেছে।
সমসাময়িক বিষয়ে রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
বগুড়ায় উপনির্বাচনের প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘যার কথা বলছেন, এ নাম নিয়ে অহেতুক আমি আর বিতর্কে যেতে চাই না। বিএনপি একটা উদ্দেশ্য নিয়ে যা করেছে, সে উদ্দেশ্যটা সফল হয়নি।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর সব দেশেই উপনির্বাচনে মানুষের আগ্রহ কম থাকে। কেননা এটা দিয়ে তো সরকারের বা এটা দিয়ে খুব বেশি লাভ-ক্ষতি কেউ খুঁজে পায় না।’
গত ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়ায় দুটি আসনে উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম। এর মধ্যে বগুড়া-৪ আসনে মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি। নির্বাচনে ফলাফল পাল্টে দেয়ার অভিযোগ করেন হিরো আলম। এই প্রার্থীকে ‘রাষ্ট্রযন্ত্র’ ব্যবহার করে হারানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে কাদের বলেন, ‘তাদের বলব নির্বাচন ছাড়া কোনো দল বড়, আর কোনো দল ছোট সেটি নিরূপণ করা যাবে না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলনের টার্গেট ফেল করেছে। তারা ডিসেম্বরের ১০ তারিখে সরকার পতনের টার্গেট নিয়ে নেমেছিল। কত কিছু দেখলাম, লাল কার্ড, গণ-অভ্যুত্থান। ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ, এরপর ১১ জানুয়ারি, সবশেষে আমরা ৪ ফেব্রুয়ারিও দেখলাম।’
‘তারা (বিএনপি) যে টার্গেট নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছিল, গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পতন, গণ-অভ্যুত্থানে জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া গণ-বিস্ফোরণ কী করে হয়, যেখানে জনগণই নেই। যে আন্দোলন সেটা তাদের নেতা-কর্মীদের আন্দোলন। তাদের আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা ঘটেনি বলে তারা পথ হারিয়ে নীরব পদযাত্রায় নেমে এসেছে।’
কাদের বলেন, ‘এ দেশে আন্দোলনে হেরে গেলে নির্বাচনে তাদের জেতার সম্ভাবনা থাকে না। আমাদের দেশে যে দল আন্দোলনে বিজয়ী হয়, নির্বাচনেও তারা বিজয়ী হয়। এখন আন্দোলনে তাদের পরাজয় ঘটেছে। কাজেই নির্বাচনে হেরে যাওয়ার আশঙ্কায় তারা এখন এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চায়, যাতে অনির্বাচিত সরকার আসে। আরেকটা ওয়ান-ইলেভেন আসে।’
‘হাসিনাকে হটাতে অন্য যে কেউ ক্ষমতায় আসুক তাতে বিএনপির আপত্তি নেই, এটা হলো তাদের মনোভাব। তাদের আজকের গোপন অভিসন্ধি, তাদের গোপন কর্মকাণ্ডের ধরন, তা থেকে এটা স্পষ্ট হয়ে উঠছে।’
নির্বাচন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ রাজপথে থাকবে জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এটা আমাদের কর্মসূচি, আমাদের এজেন্ডা। আমরা এটা থেকে সরে দাঁড়াব না। কারণ আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ।’