রোববার, ২ নভেম্বর ২০২৫
১৭ কার্তিক ১৪৩২

পাহাড়ে কুকিচিনের সশস্ত্র তৎপরতা বিচ্ছিন্ন ঘটনা: ওবায়দুল কাদের

বাসস
প্রকাশিত
বাসস
প্রকাশিত : ৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১৭:০৭

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘পাহাড়ে কুকিচিনের সশস্ত্র তৎপরতা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। সরকার এ নিয়ে অত্যন্ত সতর্ক এবং শক্ত অবস্থান নিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘কুকিচিন পুরো পাহাড়ে অশান্তি তৈরি করতে পারবে না। সরকার শক্ত অবস্থান নিয়েছে। এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। সার্বিকভাবে পাহাড়ে শান্তি বিঘ্নিত হবে না।’

ওবায়দুল কাদের আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওই এলাকা ঘুরে এসেছেন। সেখানে যৌথ অভিযান চলছে। বিএনপি তাদের ব্যর্থতা ঢাকতে ইস্যু খোঁজে। মিয়ানমার ইস্যুতে ব্যর্থ এখন কুকিচিন ইস্যু। এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এর দ্বারা গোটা পাহাড়ের সার্বিক শান্তি পরিস্থিতিতে ইমপ্যাক্ট পড়বে না। কাজেই এটা নিয়ে নতুন ইস্যু খুঁজেও ব্যর্থ হবে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন করার সামর্থ্য নেই। শক্তি সামর্থ্য সবই তারা হারিয়ে ফেলেছে। নেতা-কর্মীরা দলটির নেতৃত্বের উপর হতাশ। তারেকের উপর হতাশ। তাদের নেতা দেশে নেই, রিমোট কন্ট্রোলে আন্দোলন হবে? এটা কি সম্ভব! আন্দোলন করতে হলে রাজপথে এসে করতে হবে। রিমোট কন্ট্রোলের ডাকে জনগণ সাড়া দেবে না।’

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থার জন্য বিএনপিকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘একটা রাজনৈতিক দল যারা তাকে দেশনেত্রী বলেন, তাকে মুক্তির জন্য মির্জা ফখরুল কি আন্দোলন করেছেন? পাঁচশত লোকের একটা মিছিলও করতে পারেননি। আইনি লড়াইয়ে আদালত উপেক্ষা করে বার বার সময় ক্ষেপণ করেছেন। এটা না করলে বিষয়টা অনেক আগেই সেটেল হয়ে যেত। বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ। বেগম জিয়ার আইনি লড়াইয়েও ব্যর্থ। তাদের এখন চোখের পানি, কান্না, দীর্ঘশ্বাস- এগুলো সম্বল।’

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রার্থিতা উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। নির্বাচন উন্মুক্ত মানে উন্মুক্ত পরিবেশে নির্বাচন করার ইচ্ছা বাসনা অনেকেরই থাকতে পারে। আমাদের বক্তব্য এমপি সাহেবরা বা মন্ত্রী মহোদয়রা কোথাও কোন প্রভাব বিস্তার করবেন না। প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকবে। প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে কেউ হস্তক্ষেপ করলে তা যেন সফল করতে না পারে। আর প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর কেউ দলীয় নির্দেশ অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আওয়ামী লীগের আগাম সম্মেলন হবে কিনা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সম্মেলন করবে। এটা বিএনপি নয়। সময় মতো আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে, আগাম নয়।’

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম ও সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া এবং উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন।


নির্বাচন এলেই ধর্মকে ব্যবহারের চেষ্টা দেখা যায়: সালাহউদ্দিন আহমদ

আপডেটেড ২ নভেম্বর, ২০২৫ ০১:১৭
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘আমাদের দেশে নির্বাচন এলেই ধর্মকে ব্যবহারের চেষ্টা দেখা যায়।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ৯২ শতাংশ মানুষ মুসলমান। আমরা মদিনার ইসলামকে বিশ্বাস করি, আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ইসলামকে বিশ্বাস করি। কিন্তু আমরা মওদুদীর ইসলামে বিশ্বাস করি না। যারা ফিতনা সৃষ্টি করে বিভাজন তৈরি করতে চায়, তাদের থেকে আমাদের সাবধান থাকতে হবে।’

শনিবার নারায়ণগঞ্জ শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে কাসেমী পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘আজমতে সাহাবা’ মহা সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘হাসিনার সরকার ইসলামবিদ্বেষী ও মুসলিমবিদ্বেষী ছিল। তারা আলেমদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। আল্লাহর হুকুমে কীভাবে তাদের রাজনীতির অবসান হয়েছে, আমরা তার সাক্ষী। আমাদের উচিত এমন রাজনীতি করা, যার মাধ্যমে আওয়ামী অপরাজনীতি বিলুপ্ত হবে। বাংলাদেশে আমরা আদর্শিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করব।’

তিনি বলেন, যারা দ্বীনকে আগে এবং দুনিয়াকে পরে মনে করেন। তারাই ইসলামের প্রকৃত অনুসারী। যারা ইসলামকে ব্যবহার করে রাজনীতিতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চায়, তাদের থেকে আমাদের দূরে থাকতে হবে। রাজনৈতিক কারণে কেউ বক্তব্য দিতেই পারে, সেটাকে স্বাগত জানাই—তবে কেউ যেন আমাদের দ্বিনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে।

এ সময় সালাহউদ্দিন আহমদ আহ্বান জানান, আওয়ামী লীগের এই অপরাধনীতি থেকে শিক্ষা নিয়ে ভালো রাজনীতি করতে হবে। মানুষের জন্য রাজনীতি করতে হবে, ইসলামের পক্ষে রাজনীতি করতে হবে।

সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, দেশ ও ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। ১৯৭১ ও ২০২৪ সালের পরাজিত শক্তিরা আবারও সক্রিয় হয়েছে। এই ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী বলেন, যারা নবীর সাহাবাদের নাম নিয়ে বেভিচারী বলেন, যারা পূজা-রোজা এক বলে, তাদের ভোট দেওয়া জায়েজ না। ঈমান ও ইসলাম রক্ষায় তাদের বিরোধিতা করতে হবে। যার আকিদা সহীহ, যারা শার্ট-প্যান্ট পড়েও সঠিক বিশ্বাসে অবিচল, তাদের ভোট দেওয়া যাবে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে এবং জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফেরদাউসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই মহাসম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, আওলাদে রাসূল আল্লামা সাইদ আল হোসাইনী (পানিস্তান), আল্লামা খলিল আহমাদ কুরাইশী (হাটহাজারী), আল্লামা শায়খ সাজিদুর রহমান, আল্লামা আবু তাহের নদভী (পটিয়া), আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক, ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী (পীর সাহেব জৈনপুরী), মুফতি জসিমুদ্দীন হাটহাজারী, আল্লামা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী, মুফতি মুবারকুল্লাহ প্রমুখ।


২১ দফা দাবি বাস্তবায়নে বৃষ্টি উপেক্ষা করে নীলফামারীতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাসির উদ্দিন শাহ মিলন, নীলফামারী

সাংবাদিকদের ন্যূনতম ৩৫ হাজার টাকা বেতন নির্ধারণ, চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের পুনর্বহাল ও সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচারসহ ২১ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে নীলফামারীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ঝুম বৃষ্টির মধ্যেও জেলা শহরের ডিসি মোড় এলাকায় নীলফামারী সাংবাদিক ইউনিয়নের আয়োজনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তৃতা দেন নীলফামারী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি তাহমিন হক ববি, বর্তমান সভাপতি আতিয়ার রহমান বাড্ডা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসান রাব্বি প্রধান, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নূর আলম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক-দৈনিক বাংলার প্রতিনিধি নাসির উদ্দিন শাহ মিলন প্রমুখ। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নীলফামারী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ইয়াসিন মোহাম্মদ সিথুন ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক রিপন ইসলাম শেখ।

এতে বক্তারা বলেন, জেলা পর্যায়ের সাংবাদিকরা রাজনীতি, সমাজ, উন্নয়ন ও খেলাধুলাসহ সব বিষয়েই কাজ করেন, তবু তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয় না। ‘মফস্বল সাংবাদিক’ বলে অবমূল্যায়ন বন্ধ করে সবাইকে স্টাফ রিপোর্টারের মর্যাদা দিতে হবে। সাগর-রুনি হত্যাসহ প্রতিটি সাংবাদিক হত্যার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন ও ন্যূনতম বেতন কাঠামো নির্ধারণ করে সাংবাদিকদের পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

নীলফামারী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ইয়াসিন মোহাম্মদ সিথুন বলেন, ‘সাগর-রুনি হত্যাসহ সাংবাদিক নির্যাতনের বিচার ও ২১ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’

মানববন্ধনে এটিএন নিউজের প্রতিনিধি মিল্লাদুর‌ রহমান মামুন, ৭১ টেলিভিশনের প্রতিনিধি বিজয় চক্রবর্তী কাজল, নিউজ টোয়েন্টিফোরের প্রতিনিধি আব্দুর রশিদ শাহ সহ জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।


জীবন যুদ্ধের লড়াকু সৈনিক গফুর মল্লিক, পাশে দাঁড়িয়েছেন তারেক রহমান

বাড়িতে খোঁজখবর নিলেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মইনুল হক মৃধা, রাজবাড়ী

রাজবাড়ী সদর উপজেলার পাঁচুরিয়া ইউনিয়নে জন্মান্ধ আব্দুল গফুর মল্লিকের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। পাঁচুরিয়া ইউনিয়নের খোলাবাড়িয়া গ্রামের এই বৃদ্ধ ব্যক্তিটি, জীবনের শেষ প্রান্তে বেঁচে থাকার সংগ্রামে লড়ছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওপরে শিরোনামে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রতিবেদন প্রকাশ হলে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমানের দৃষ্টিগোচর হয়। পরে তিনি এই বৃদ্ধের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।

তারেক রহমানের নির্দেশে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সংগঠনের একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় আ. গফুর মল্লিকের সাথে সাক্ষাৎ করতে আসেন এবং গফুর মল্লিকের হাতে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নগদ ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেন।

এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। এ অনুষ্ঠানে আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনের নেতৃত্বে সংগঠনটির উপদেষ্টা, সদস্য সচিব ও সদস্যরা, রাজবাড়ী-১ আসনের ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী রাজবাড়ী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহসভাপতি অ্যাড. মো. আসলাম মিয়া, রাজবাড়ী-২ আসনের ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর রশীদ, রাজবাড়ী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম. এ খালেদ পাভেলসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ৮০ বছর বয়সেও গফুর মোল্লা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ট্রেনে নাড়ু বিক্রি করে সংসার চালান। তার এই সংগ্রামী জীবনের গল্প সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নজরে আসে। মানবিক বিবেচনায় তিনি গফুর মল্লিকের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।

তিনি আরও বলেন, ‘পৃথিবীর কোন দেশে এ ধরণের কোনো ঘটনা নেই, এক কেন্দ্রিক, একদলীয় কর্তৃত্ববাদী দেশে সম্ভব। পার্লামেন্ট নির্বাচনের কী দরকার, গণভোট কী দরকার। সত্যিকার গণতন্ত্রের জন্য অফুরন্ত লড়াই আবু সাঈদ, মুগ্ধ, আহনাফ, ওয়াসিম আকরাম জীবন দিল, তার ঐক্যমত্যে কমিশনের এ ধরণের ভেজাল, জনগণের সাথে একটি প্রতারনামূলক জুলাই সনদ কিভাবে হয়। আমরা নিরাশাবাদী নই, আমরা আশাবাদী। ৫ আগস্টের ঘটনায় বিএনপির সাড়ে ৪শত ৫শত লোক মারা গেছে। আমরা জনগণের জন্য কাজ করব। গণতান্ত্রিক শাসনে আমরা কাজ করব। আগে খাতায় না লিখলেও পাশ করে দেওয়া হতো, এবার এইচএসসির রেজাল্ট দেখেছেন।

উল্লেখ্য, আ. গফুর মল্লিক জীবনের অধিকাংশ সময় বাসে ও ট্রেনে ফেরি করে নারকেলের নাড়ু, টেস্টি হজমি ও বাদাম, মটকা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। যিনি কখনোই ভিক্ষা করতে চাননি। বয়সের ভারে কুঁজো হয়ে গেছেন এবং শরীরের অধিকাংশ শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। তার স্ত্রীকে নিয়ে সংসার হলেও তাদের কোনো সন্তান নেই। কিন্তু নিজের সম্মান রক্ষার্থে আজও কাজ করে যাচ্ছেন, এমনকি নিজের হাতে তৈরি করা নারকেলের নাড়ু ও বাদাম বিক্রি করেই জীবনধারণ করতেন।


সোনাইমুড়ী নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

আপডেটেড ৩০ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:৪৮
খোরশেদ আলম, নোয়াখালী উত্তর

৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা তাসলিমা আক্তার। তার স্বামীর বাড়ির পার্শ্ববর্তী বেগমগঞ্জ উপজেলার নাজিরপুর গ্রামে। আর পিতার বাড়ি সোনাইমুড়ী উপজেলার মটুবি গ্রামে। সে অনলাইনে আবেদন করে গত ২৮ অক্টোবর সকাল ৯টায় পিতার বাড়ির ঠিকানায় ভোটার হতে আসে উপজেলা নির্বাচন অফিসে।

নির্বাচন কর্মকতা আবু তালেবের রুমে প্রবেশ করার পর ভোটার হতে টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তাকে ও তার বৃদ্ধ মা আলেয়া বেগমকে বের করে দেয়। পুনরায় আবার তার রুমে প্রবেশ করলে ওই কর্মকর্তা রাগান্বিত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালগাল শুরু করে। পরে মা-মেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ জানান।

সোনাইমুড়ীর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ড্রাইভার মনির হোসেন। এখন তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গাড়ি চালান। তার এক আত্মীয় ভোটার হতে উপজেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করে। তার জন্ম নিবন্ধনে বয়সের ত্রুটি দেখিয়ে হয়রানি করতে থাকে। পরে সে উপজেলা কর্মচারী পরিচয় দিয়ে নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে গেলে তিনি মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন বলে গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন। পরে ওই কর্মচারী তার সাথে দুর্ব্যবহার করেন।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল অফিসের পিয়ন সালাউদ্দিন জানান, তার চাচাতো ভাই মাইনুল ইসলাম ভোটার হতে নির্বাচন অফিসে যান। একইভাবে জন্ম নিবন্ধনে বয়সের ত্রুটি দেখিয়ে আবেদনের ফাইল ফেরত দেন ওই নির্বাচন কর্মকর্তা। পরে ওই অফিসের জনৈক্য এক ব্যক্তির মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা চুক্তি করে ভোটার হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন।

উপজেলার বারগাঁও ইউনিয়নের পলাশ জানান, তার ফুফাতো ভাইয়ের নামের আগে মো. নাই। তিনি মো. যুক্ত করতে অনলাইনে আবেদন করে উপজেলা নির্বাচন অফিসে গেলে নানা অজুহাদ দেখিয়ে ওই আবেদনটি বাতিল করে দেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে আবু তালেব যোগদান করার পরেই হয়রানি ও ঘুষ লেনদেন বেড়েছে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, দিনের পর দিন ঘুরলেও কাজ না করে দিয়ে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে অহেতুক হয়রানি করেন। তার রুমের প্রধান দরজা বন্ধ থাকে, জানালায় থাকে পর্দা দেখা করতেও লাগে অনুমতি। চাহিদামতো প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র জমা দিয়েও পাওয়া যায় না সমস্যার সমাধান জাতীয় পরিচয়পত্রের এসব গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে দেরি হওয়ায় অনেকেই পাসপোর্ট ও চাকরিসহ বিভিন্ন জরুরি কাজ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেকইে। এই অফিসে নতুন ভোটার হওয়া, জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল সংশোধন ও ভোটার স্থানান্তরসহ সব কাজেই গুণতে হয় টাকা। ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা নির্বাচন অফিস থেকে উপজেলায় যোগদান করেন নির্বাচন কর্মকর্তা আবু তালেব। এখানে যোগদান করার পরেই তিনি বিভিন্ন ঘুষ ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। প্রবাসীরা তাদের ভোটার আইডিকার্ড সংশোধন করতে এলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে তিনি ঘোরাতে থাকেন। পরে জরুরি ভিত্তিতে করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন ওই কর্মকর্তা। তিনি যোগদান করার পর ঘুষের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা পরিষদের এক কর্মচারী জানান, মায়ের সাথে সন্তানের বয়সের অমিল থাকলে নির্বাচন কর্মকর্তা ওই আবেদনগুলো বাতিল না করে তার ড্রয়ারে রেখে দেন। পরে আবেদনকারীরা নিরুপাই হয়ে টাকার মাধ্যমে ভোটার হয়েছেন বলে অনেকের অভিযোগ। এছাড়া ঠিকানা স্থানান্তর তদন্ত করতে সময়কাল ক্ষেপণ করেন বলেও অনেকে অভিযোগ তুলেছে। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা নেন। সেবাগ্রহীতারা তার কার্যালয়ে হয়রানি শিকার হয়ে ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন আক্তারের কাছে কয়েকটি অভিযোগ দিয়েছেন।

সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু তালেব দৈনিক বাংলাকে জানান, তিনি এ উপজেলায় যোগদান করার পরই বিভিন্ন সমস্যার মোকাবিলা করতে হয়েছে। তবে তিনি ওই অনিয়মের সত্যতা স্বীকার করেননি।

সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসিম আক্তার বলেন, নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে সেবাগ্রহীতারা হয়রানি হচ্ছে এটা সত্য। অভিযোগ পেয়ে কয়েকবার তাকে সতর্ক করা হয়েছে।

নোয়াখালী জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাদেকুল ইসলাম দৈনিক বাংলাকে বলেন, ভোটার হতে সেবাপ্রার্থী থেকে টাকা নিয়েছে, এমন প্রমাণ থাকলে দেন। ব্যবস্থা নেব।


জনগণের সম্মতি ছাড়া কোনো উদ্যোগই বেশি দূর এগোতে পারে না: হোসেন জিল্লুর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জনগণের সম্মতি ছাড়া কোনো উদ্যোগই বেশি দূর এগোতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও ব্র্যাকের চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, গণতন্ত্র চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, জনগণকে সেটা মেনে নিতে হবে। কারণ, জনগণই সমাজের সর্বশেষ অভিভাবক।
গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে তরুণদের নিয়ে আয়োজিত ‘ইউথ পারসপেকটিভস অন স্যোশাল প্রোগ্রেস: গ্রাসরুটস, নেটওয়ার্কস অ্যান্ড লিডারশিপ ভয়েসেস’ শীর্ষক জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী আয়োজনের সমাপনী বক্তব্যে হোসেন জিল্লুর রহমান এ কথা বলেন। সম্মেলনের আয়োজক পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি)। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে হলে নাগরিকদের সক্রিয় হতে হবে বলে মন্তব্য করেন হোসেন জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, নাগরিকদের সক্রিয়তা ছাড়া, চর্চা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। হতাশা আসতে পারে, কিন্তু সমস্যা থাকা সত্ত্বেও পরিবর্তন করা সম্ভব- এই আত্মবিশ্বাস বজায় রাখা, সেই পরিবর্তনের জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরি।
এর আগে সম্মেলনে সূচনা বক্তব্যে হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, তরুণদের কথা শোনা ও তাদের আকাঙ্ক্ষাগুলোকে বোঝার চেষ্টা করতে হবে। তরুণরা কীভাবে সমাজে সম্পৃক্ত হচ্ছেন, সমাজের পরিবর্তনগুলোর কোন কোন দিকে তাঁরা গুরুত্ব দিচ্ছেন, সেই প্রক্রিয়ায় তারা কীভাবে নিজেরা অংশগ্রহণ করবেন- সেই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে হবে।
হোসেন জিল্লুর রহমান আরও বলেন, ২৪-এর আন্দোলনের পরে যে পরিবর্তন হয়েছে, সেখানে ‘ইনক্লুসিভিটি অ্যান্ড জাস্টিস’ ও ‘কালেক্টিভ অ্যাকশন’ হচ্ছে মূল কথা।
সমাজে একটি শুভ পরিবর্তন আনতে এবং বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করতে হলে কেবল তরুণ নয়, সব প্রজন্মের ভূমিকা জরুরি বলে মন্তব্য করেন হোসেন জিল্লুর রহমান।


জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে সুপারিশ একপেশে : মির্জা ফখরুল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব এবং সুপারিশ একপেশে ও জবরদস্তিমূলক জাতির ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব এবং সুপারিশে প্রতীয়মান হয় দীর্ঘ এক বছরব্যাপী সংস্কার কমিশন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে রাজনৈতিক দলসমূহের দীর্ঘ ধারাবাহিক আলোচনা ছিল অর্থহীন, অর্থ ও সময়ের অপচয় প্রহশনমূলক এবং জাতির সঙ্গে প্রতারণা। গণতন্ত্রের রাজনৈতিক দলগুলো ভিন্ন মত থাকবে এটাই স্বাভাবিক।

সংবাদ সম্মেলনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, সালাহউদ্দিন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার রাতে দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি।


দুপুরে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জাতীয় স্থায়ী কমিটি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার এ তথ্য জানিয়েছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নীতিনির্ধারকরা দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উঠে আসা সিদ্ধান্ত এবং বর্তমান জাতীয় প্রেক্ষাপট নিয়ে গণমাধ্যমের সামনে কথা বলবেন।


নতুন বাংলাদেশে লাগবে শিক্ষা, বড় বড় ব্রিজ-দালান নয়: আমীর খসরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘আমাদের পেছনে তাকানোর সময় নেই, সামনের দিকে এগোতে হবে। নতুন বাংলাদেশে লাগবে শিক্ষা, বড় বড় ব্রিজ-দালান নয়। সুশিক্ষিত জাতি থাকলে দাঁড়াতে পারবে দেশ।’

বুধবার চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরে রাবেয়া বসরি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ হবে শিক্ষা খাতে। আগামীর নতুন বাংলাদেশ হবে শিক্ষানির্ভর, শিক্ষিত না হলে জাতি নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে না। আগামীর বাংলাদেশের যে স্বপ্ন আমরা দেখছি, তার জন্য বেশি জোর দিতে হবে শিক্ষায়।’

নারী ক্ষমতায়ন ছাড়া দেশ এগিয়ে যেতে পারে না উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, ‘নারীদের সঙ্গে নিয়ে দেশ গড়তে হবে।

মেয়েদের শিক্ষা বেশি প্রয়োজন। মেয়ে দর শিক্ষার ব্যাপারে বেশি জোর দিতে হবে, যাতে স্বামীর মুখাপেক্ষী হতে না হয়।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্বে প্রযুক্তিতে যে পরিবর্তন আসছে সেই প্রযুক্তির সঙ্গে আমাদের মেয়েরা যদি সংযুক্তি হতে না পারে, তাহলে তারা পিছিয়ে পড়বে, পড়ালেখা করেও কোনো লাভ হবে না। মেয়েদের কম্পিউটার শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।

সর্বক্ষেত্রে আমরা মেয়েদের দেখতে চাই। চাকরিতে দেখতে চাই, ক্রীড়াঙ্গনে দেখতে চাই, রাজনীতিতে দেখতে চাই।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া নারীশিক্ষার জন্য অনেক অবদান রেখেছেন। আগামীতেও নারীশিক্ষার অগ্রগতি নিয়ে তারেক রহমান নানা পদক্ষেপ নেবেন।’

আমীর খসরু আরো বলেন, ‘খেলাধুলা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, এগুলোও শিক্ষার অংশ।

এগুলো একসঙ্গে চালাতে হবে। বিগত দিনে আমরা অনেক স্কুলে দালান করে দিয়েছি, ভবিষ্যতে আমরা এ ব্যাপারে আরো বেশি খেয়াল রাখব, ইনশাআল্লাহ।’

বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি মো. শফিউল্লাহ সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব নাজিবুর রহমান, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুর রহমান স্বপন, মঞ্জুর আলম, সদস্য ও সাবেক কাউন্সিলর আবুল হাসেম, সাবেক কাউন্সিলর জেসমিন খানম, প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

পরে শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট ও পুরস্কার তুলে দেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।


নেত্রকোনায় জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল, গণভোটসহ ৫ দফা দাবি 

নেত্রকোনায় জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনায় গণভোট, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নেত্রকোনা জেলা শাখা। গত রোববার বিকাল ৩ টায় নেত্রকোনা কালেক্টরেট মাঠ প্রাঙ্গনে এ সমাবেশের আয়োজন করে জেলা জামায়াত। জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা বদরুল আমিনের সঞ্চালণায় ও জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মাওলানা ছাদেক আহমাদ হারিছের সভাপতিত্বে এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ অঞ্চল টিম সদস্য, জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর ও নেত্রকোনা -২ আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক মাওলানা এনামুল হক। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক মাওলানা মাহবুবুর রহমান, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ও পূর্বধলা আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক মাছুম মোস্তফা, ময়মনসিংহ মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক ও নেত্রকোনার -৪ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক আল হেলাল তালুকদার,জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মো. জহিরুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য ও নেত্রকোনা-৩ আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক খায়রুল কবির নিয়োগী, জেলা শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য, নেত্রকোনা-১ আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী মাওলানা আবুল হাসিম, নেত্রকোনা পৌর জামায়াতের আমীর মো. রফিকুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেত্রকোনা জেলা সভাপতি ইয়াসিন মাহমুদ রাসেল, আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা ও উপজেলা জামায়াতের বিভিন্ন নেতারা। বক্তারা বলেন, নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট দিতে হবে। জুলাই সনদের আইনে ভিত্তি দিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, কোনো কোনো জায়গায় একটি দল আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর আক্রমণ করছে। আমরা বলতে চাই, এটি বন্ধ করুন। আওয়ামী লীগের মত ফ্যাসিস্ট হইয়েন না। তাহলে জনগণ আপনাদের সাথেও আওয়ামী লীগের মতোই আচরণ করবে। জেলা জামায়াতের আমীর সভাপতির বক্তব্যে বলেন, দেশের মানুষ যেনতেন কোনো নির্বাচন মেনে নিবে না। প্রশাসনকে বলবো নিরপেক্ষ আচরণ করুন। কোন দলের প্রতি আনুগত্য দেখাবেন না। এরপর মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নেত্রকোনা কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিলে জামায়াতের ২ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।


নীলফামারীতে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টায় জেলা শহরের পৌর সুপার মার্কেটস্থ কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের কর্মসূচি। এরপর বেলা ১১টায় পৌর সুপার মার্কেট চত্বরে জেলা যুবদলের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য রাখেন ইঞ্জিনিয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এ্যাব) আহ্বায়ক ও নীলফামারী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন। জেলা যুবদলের সভাপতি এ.এইচ.এম সাইফুল্লাহ রুবেলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মীর সেলিম ফারুক, যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল পারভেজ, মোস্তফা হক প্রধান বাচ্চু ও রিয়াজুল ইসলাম কালু বক্তৃতা দেন। সভা পরিচালনা করেন জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন চৌধুরী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী তরুণ সমাজই আগামী দিনের নেতৃত্ব দেবে, আর তাই আসন্ন নির্বাচনে যুবদলের নেতা-কর্মীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিটি নেতা-কর্মীকে দায়িত্বশীল, শৃঙ্খলাবদ্ধ ও সক্রিয় থাকার আহ্বান জানান তিনি।’

আলোচনা সভা শেষে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। কর্মসূচিতে জেলা বিএনপিসহ যুবদলের সকল ইউনিটের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করেন।


ফ্যাসিবাদবিরোধী সব দল নিয়ে জোট করবে বিএনপি: সালাহউদ্দিন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে বৃহৎ জোট গঠন করতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য অটুট রাখতে চায় বিএনপি। আর ঐক্য বজায় রাখতে কেউ যেন বিভেদের পথে না যায় সেই বার্তাও দিতে চায় দলটি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশের প্রার্থীদের সঙ্গে দলের হাইকমান্ডের বৈঠক হচ্ছে। দল ও নিজেদের মধ্যে ঐক্য ধরে রাখার বার্তা দিতেই হাইকমান্ডের এই বৈঠক করছে বিএনপি।

এ সময়, আগামীর বাংলাদেশ হবে তারুণ্যনির্ভর মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, তরুণ-যুবকদের রাজনৈতিক ভাবনাকে ধারণ করে সামনের দিনে জাতি বিনির্মাণে কর্মসূচি প্রণয়ন করবে বিএনপি।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের শ্রদ্ধা নিবেদন।


রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে বিএনপি নেতা নিহত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে আলমগীর আলম (৫৫) নামে এক বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার বিকেল ৫টার দিকে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কায়কোবাদ আহম্মদ জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় রিয়াজ ও আকিব নামে দুইজন যুবদল নেতাও গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া।
স্থানীয়রা জানান, নিহত আলমগীর আলম বিএনপি নেতা। তিনি রাউজান পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের পূর্ব রাউজানের সিদ্দিক চৌধুরী বাড়ির আবদুস সত্তারের ছেলে।
আলমগীরের ছেলে আসফায়েত হোসেন বলেন, শনিবার দুপুরে পরিবারের সবাই মিলে পূর্ব রাউজান রশিদ পাড়ায় ফুফুর বাড়িতে দাওয়াত খেতে গিয়েছিলাম। বিকেলে বাড়ি ফেরার পথে কায়কোবাদ আহম্মদ জামে মসজিদের সামনে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি করে আমার বাবাকে হত্যা করে।
রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, আলমগীর নামে এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ মরদেহ সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে কে বা কারা গুলি করে পালিয়ে গেছে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
এদিকে বিএনপি নেতা আলমগীর হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার। তিনি বলেন, আলমগীর আওয়ামী শাসনামলে দীর্ঘ ১২ বছর কারাভোগের পর সম্প্রতি কারামুক্ত হয়েছিল। তাকে প্রকাশ্যে গুলি করে যারা হত্যা করেছে- তাদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
গত ৭ অক্টোবর উপজেলার বিএনপি কর্মী মুহাম্মদ আবদুল হাকিমকে (৫২) রাউজানের খামার বাড়ি থেকে ফেরার পথে হাটহাজারীর মদুনাঘাটে চলন্ত গাড়িতে গুলি করে হত্যা করে অস্ত্রধারীরা। এ ঘটনার রেশ না কাটতেই উপজেলায় আরও একটি হত্যার ঘটনা ঘটল।
উল্লেখ্য, রাউজানে গত ৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক সহিংসতায় মোট ১৭টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১২টি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলে জানা যায়।


আ. লীগের প্রত্যাবর্তনের সব দরজা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: সালাহউদ্দিন আহমদ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন বলেছেন, ‘আদর্শ ও মতের পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও গণতন্ত্রের স্বার্থে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে এক হতে হবে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তনের সব দরজা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
গতকাল শনিবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের বিভেদের কারণে ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তন ঘটলে জাতি ক্ষমা করবে না।’
তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে রাজনৈতিক দলে মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও দেশ ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তন ঠেকাবো।’
আবেগাপ্লুত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘দুই-চার কলাম লেখার জন্য আমাকে প্রায় সাড়ে নয় বছর নির্বাসনে থাকতে হয়েছে, আয়নাঘরে থাকতে হয়েছে, নির্যাতনে কারাগারে থাকতে হয়েছে। কিন্তু কখনো সংগ্রামের পথ থেকে পিছিয়ে যাইনি।’
সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ‘এক সময় আমি ও আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান পিজি হাসপাতালের প্রিজন সেলে ছিলাম। করোনারি কেয়ার ইউনিটের একটি সেলে আমাদের রাখা হয়। তিনি অনশন শুরু করলে তাকে বলেছিলাম, আপনি মারা গেলে শেখ হাসিনা খুশি হবে, দয়া করে অনশন ভঙ্গ করুন। ছয়-সাত দিন পর মুরুব্বিরা দেখা করে তার অনশন ভাঙ্গান।’
ছাত্রদের অভ্যুত্থানের গৌরবময় ইতিহাস বুকে ধারণ করে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে বলেও উল্লেখ করেন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।
তিনি বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনের রক্তঝরা দিনগুলো স্মৃতিতে ধরে রেখে, তার ভিত্তিতেই আমাদের আগামীর বাংলাদেশ গড়তে হবে। সন্তানদের জন্য একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক সমাজ, রাষ্ট্র ও সরকার ব্যবস্থা গড়ে তোলাই হবে আমাদের দায়িত্ব।’
আমাদের সন্তানদের রক্তের অঙ্গীকার পূরণ করতে হবে বলে সকলের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।


banner close