শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫
২৩ কার্তিক ১৪৩২

জিম্মি নাবিকরা ভালো আছেন, উদ্ধারের দিনক্ষণ বলা কঠিন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

চট্টগ্রাম নগরীর ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
১০ এপ্রিল, ২০২৪ ১৬:২১
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ১০ এপ্রিল, ২০২৪ ১৬:১৫

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে আটক বাংলাদেশি নাবিকরা ভালো আছেন, তবে তাদের উদ্ধারের দিনক্ষণ বলা কঠিন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর লেনস্থ ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছে আটক জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও নাবিকদের কখন উদ্ধার করা সম্ভব - সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জলদস্যুদের হাত থেকে নাবিক এবং জাহাজ দুটোই উদ্ধার করার ক্ষেত্রেই অল্প সময়ের মধ্যে অনেক অগ্রগতি হয়েছে, আশা করছি শিগগির তাদেরকে মুক্ত করতে পারব। তবে উদ্ধারের দিনক্ষণ বলাটা কঠিন।

‘নাবিকদের পরিবারকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, সরকার সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করছে, প্রথমত যারা অপহরণ করেছে তাদের সঙ্গে বিভিন্ন পক্ষের মাধ্যমে আলোচনা চলছে। দ্বিতীয়ত তাদের ওপর মনস্তাত্বিক প্রচুর চাপ তৈরি করা হয়েছে। নাবিকরা ভালো আছেন, নিয়মিতভাবে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে, এমনকি ভিডিও কলেও কথা বলছে। সুতরাং যে উদ্বেগটা কিছুদিন আগে ছিল সেটি এই মুহূর্তে নেই। আমরা আশা করছি তাদেরকে শিগগির মুক্ত করতে পারব’- বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির নেতা ড. আবদুল মঈন খানের সাম্প্রতিক বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, ‘যাদের জন্মটাই অগণতান্ত্রিক আর প্রতিনিয়ত গণতন্ত্র ধ্বংস করার জন্য অপচেষ্টা চালায়, সেই বিএনপি এখন গণতন্ত্রের কথা বলে, এটিই হচ্ছে দুঃখজনক। এটি যেন, চোরের মায়ের বড় গলা।’

তিনি বলেন, ‘ক্যান্টনমেন্টের মধ্যে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করেছিল, ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়েছিল, ড. মঈন খান আর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তাদের শীর্ষস্থানীয় নেতারা যারা আছেন, তারা সেই ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট গ্রহণ করার জন্য সন্নিবেশিত হয়ে বিএনপি গঠন করেছিলেন।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শুধু বিএনপির জন্মই অগণতান্ত্রিক নয়, তারা দেশে সবসময় গণতন্ত্র হরণ করার জন্য অপচেষ্টা চালিয়েছে এবং এখনো চালিয়ে যাচ্ছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর বিডিআর বিদ্রোহের পিছনে তাদের হাত ছিল। নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত এবং গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার উদ্দেশেই সেটি ঘটানো হয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ১৩ সালে কী ধরনের সন্ত্রাসী ও জঘন্য মানুষ পোড়ানোর মহোৎসব করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা তারা চালিয়েছিল, আপনারা জানেন। ১৪ সালের নির্বাচনে ৫০০ নির্বাচনি কেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিল এবং নির্বাচনি কর্মকর্তা ও বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়েছিল। সেটির উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনকে ভণ্ডুল করা, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা। ১৮ সালের নির্বাচনেও একই প্রচেষ্টা ছিল। সর্বশেষ ২৪ সালের বিগত নির্বাচন বর্জন করার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা চালানো হয়।’

চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বৃদ্ধি এবং কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকরা পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘গত মন্ত্রিসভার মিটিংয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় কিশোর গ্যাং নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে বিভিন্ন জেলা শহরে এই কিশোর গ্যাং তৈরি হচ্ছে। তাদের ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যাতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয় সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘কিশোর গ্যাংদেরকে গ্রেপ্তারের পর স্বাভাবিক জেলে না রেখে সংশোধনাগারে পাঠানোর জন্য পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ, সাধারণ জেলে যদি তাদেরকে পাঠানো হয় সেখানে থাকা অন্যান্য সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তারা আরো ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হয়ে উঠতে পারে। দেশে এটি নতুন সমস্যা, এটিকে দূরীভূত করার জন্য সরকার কাজ করছে। কিশোর গ্যাংয়ের সাথে নেপথ্যে যেই থাকুক, সে যেই দলেরই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং হচ্ছে।’

সাংবাদিকদের মাধ্যমে দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আপনারা জানেন আমাদের দেশে রমজান আসার আগে এবং রমজানের সময় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করার জন্য একটি অসাধু চক্র ও কিছু মজুদদার সবসময় সক্রিয় হয়। এবারও তার ব্যত্যয় হয়নি। সেটির সঙ্গে নতুনভাবে যুক্ত হয়েছিল বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাজারকে অস্থিতিশীল করা, পণ্যের মূল্য যাতে বাড়ে। কিন্তু সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এবার রমজানের সময় বাজার স্থিতিশীল ছিল এবং অনেক পণ্যের দাম কমেছে।’

তিনি বলেন, ‘আগামীকাল বৃহস্পতিবার দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। কয়েক কোটি মানুষ যার যার গন্তব্যে যাচ্ছেন। এই সুযোগে পরিবহণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউ কেউ বাড়তি ভাড়া আদায় করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সরকার বিষয়টি নজর রাখছে। এ ধরনের বাড়তি বাড়া আদায় অযৌক্তিক ও কোনভাবেই সমীচীন নয়।’


নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত বিএনপি নেতা: আমিনুর রশিদ 

আপডেটেড ৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২০:২২
কুমিল্লা প্রতিনিধি 

কুমিল্লা টাউন হলে ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন কুমিল্লা সদর আসনের মনোনয়ন বঞ্চিত চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাজী আমিনুর রশীদ ইয়াছিন।

শুক্রবার বিকালে কুমিল্লা জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছিলেন তিনি।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য বক্তব্য রাখতে গিয়ে আমিনুর রশীদ ইয়াছিন বলেন, দল আমাকে মনোনয়ন না দিলেও আপনারা যারা বিএনপি করেন, শহীদ জিয়ার আদর্শ লালন করেন তারা নানা কর্মসূচির মাধ্যমে আমাকে দল থেকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। আমি আপনাদের ভালোবাসায় সিক্ত। এক জীবনে এটা আমার বড় পাওয়া।

হাজী ইয়াছিন আরও বলেন, আল্লাহ নিশ্চয়ই আপনাদের মনের কষ্ট বোঝেন ও দেখেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ উত্তম পরিকল্পনাকারী। তিনি সত্য উন্নয়নের সাথেই থাকেন। আমার বিশ্বাস আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় আমি আমার স্বপ্নপূরণ করতে পারব।

এর আগে শহরের কান্দিরপাড় জেলা বিএনপির কার্যালয় প্রাঙ্গণে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সূচনা হয়। পরে টাউনহলে সমাবেশ করে দলটির নেতাকর্মীরা।

পরে হাজী আমিনুল রাশে ইয়াসিনের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালিতে জেলা ও মহানগর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।


বিএনপি থেকে তরুণদের অনেক কিছু পাওয়ার আছে: স্নিগ্ধ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত শিক্ষার্থী মীর মুগ্ধর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেছেন, তরুণ প্রজন্ম এবং জুলাই আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের জন্য বৃহৎ রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম থেকে কাজ করার উদ্দেশে বিএনপিতে যোগ দিয়েছি। তরুণদের এই দলটির কাছ থেকে অনেক কিছু পাওয়ার আছে, অনেক চাহিদা আছে। আমি মনে করি, এই প্ল্যাটফর্ম থেকে তরুণদের সেই চাহিদাগুলো পূরণে কাজ করতে পারব।
স্নিগ্ধ গত মঙ্গলবার বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে সদস্য ফরম জমা দিয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দলে যোগ দেন।
বিএনপিতে যোগ দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে স্নিগ্ধ গতকাল বৃহস্পতিবার বলেন, নিঃসন্দেহে বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। এই দলের মাধ্যমে আমি জুলাই আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের নিয়ে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করতে পারব। এছাড়া বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা রূপরেখার অনেকগুলোর সঙ্গে আমি সরাসরি কাজ করতে আগ্রহী।
এর আগে যোগদানের পর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে তিনি তার আকাঙ্ক্ষার কথা তুলে ধরেন। স্নিগ্ধ লেখেন, তার রাজনীতিতে আসার অন্যতম লক্ষ্য হলো সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে জুলাইকে প্রতিনিধিত্ব করা, শহীদ ও আহত যোদ্ধাদের ‘ভয়েস’ হয়ে ওঠা এবং রাজনীতিতে তরুণদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা।
স্নিগ্ধ উল্লেখ করেন, তার ভাই মুগ্ধ বা পরিবারের কেউ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। মুগ্ধকে ‘দেশের সম্পদ’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, তিনি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত থেকে এবং নিজ যোগ্যতায় রাজনীতিতে এসেছেন।
স্নিগ্ধ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাকে তরুণদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য দলে চেয়েছেন, যা তার নিজের রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা।


আমজনতার দল অবশ্যই নিবন্ধন প্রাপ্য: রুহুল কবির রিজভী

আমজনতার দলের সদস্য সচিব তারেক রহমানের কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে নির্বাচন কমিশনের সামনে আমরণ অনশন করছেন আমজনতার দলের সদস্য সচিব তারেক রহমান। তার এ কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, তারেক এ দেশের স্বার্থে কথা বলেছেন, আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্নে কথা বলেছেন। আমজনতার দলের অবশ্যই নিবন্ধন প্রাপ্য।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের প্রধান ফটকে গিয়ে সংহতি প্রকাশ করে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমজনতার দল এরই মধ্যে আবেদন করেছিল, সে আবেদনটি গ্রাহ্য করা হয়নি। আমি দেখেছি, আরও গুরুত্বহীন কিছু দল তারাও নিবন্ধিত হয়েছে। কিন্তু তারেকের দলের নিবন্ধন দেওয়া হলো না কেন, আমি বুঝতে পারলাম না। তারেক একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন। তার বৈধতার জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছিলেন। তিনি তো কোনো গোপন রাজনৈতিক দল করতে চাননি। আইনসম্মত রাজনৈতিক দল করতে চেয়েছে। যদি তার উদ্দেশ্য খারাপ থাকতো, তাহলে গোপন রাজনৈতিক দল করে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ করতেন। রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ তারেক করেননি।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে, স্বাধীনতার স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে এ নেতা (তারেক) কথা বলেছেন। আমি দেখেছি, তিনি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলেছেন। দেশকে যারা অর্থনৈতিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে এবং সাংস্কৃতিকভাবে আধিপত্য বিস্তার করতে চায়, সে আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন তারেক। আজ তার দলের নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে না, তাহলে নির্বাচন কমিশন কাদের নিবন্ধন দেবে?
রিজভী বলেন, কাউকে আমি ছোট করতে চাই না। কিন্তু তার (তারেক) যে চিন্তা, রাজনৈতিক সংগ্রাম এবং কর্মসূচি অনুযায়ী যে রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন, সে রাজনৈতিক দলের (আমজনতার দল) নিবন্ধন অবশ্যই প্রাপ্য। এ ন্যায়সংগত কারণে যে অনশন করছেন, তার এ অনশন কর্মসূচির প্রতি আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) পক্ষ থেকে পূর্ণ সংহতি জ্ঞাপন করছি।
গত মঙ্গলবার তারেক রহমান অনশন শুরুর পর নির্বাচন ভবনের সামনে আরও কয়েকটি দলের নেতাকর্মীরা সংহতি জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে নেমেছেন।


ঢাকায় ৮ ইসলামী দলের মহাসমাবেশ ১১ নভেম্বর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় নির্বাচনের আগে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি ও নভেম্বরে গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবিতে আগামী ১১ নভেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনরত আট দল।

বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদান শেষে রাজধানীর মৎস্য ভবন মোড়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

গোলাম পরওয়ার বলেন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মহাপরিচালক স্মারকলিপি গ্রহণের দায়িত্বে ছিলেন, তবে আমরা চাইছিলাম সরাসরি প্রধান উপদেষ্টার কাছেই স্মারকলিপি দিতে। পরে তার নির্দেশে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান আমাদের স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।

গোলাম পরওয়ার আরও জানান, আমরা আট দলের শীর্ষ নেতারা শিল্প উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করেছি। তিনি আমাদের দাবির সঙ্গে দ্বিমত করেননি এবং বলেছেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করবেন।

গোলাম পরওয়ার বলেন, শিল্প উপদেষ্টা আমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা জরুরি। আমরা সেটিকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছি।

সরকারের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে জামায়াতের এই নেতা বলেন, আগামী ১১ তারিখে ঢাকায় লাখো জনতার উপস্থিতির আগে আমাদের পাঁচ দফা দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন। তা না হলে ঢাকার চিত্র ভিন্ন হবে।

এ সময় জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিশ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আঙুল বাঁকা করব: জামায়াত নেতা তাহের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, ‘সোজা আঙুলে যদি ঘি না উঠে, তাহলে আঙুল বাঁকা করব।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর পল্টন মোড়ে গণমিছিল-পূর্ব সমাবেশে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। বলেন, ‘মরা আপনাদের চালাকি বুঝি। আপনাদের চালাকির ভিত্তিতেই দাবি আদায়ের পন্থাও আমরা আবিষ্কার করব। আমরা এখানো নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় আন্দোলনে আছি।

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দাবি ও নির্বাচনের আগে গণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন করছে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনসহ সমমনা আটটি দল। গণমিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ছিল দলগুলোর।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে দলগুলো আলাদা মিছিল নিয়ে পল্টন মোড়ে এসে সমবেত হয়। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে দুপুর ১২টার দিকে তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাত্রা শুরু করে।

সমাবেশে জামায়াতের নায়েবে আমির তাহের বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরেও গণভোট করতে আইনি বাধা নেই। এ বিষয়ে সময়ক্ষেপণ অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলবে।

গণভোটে টাকার অভাব হবে না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, অনেকে গণভোটের ক্ষেত্রে খরচের কথা বলেন। একদিনে বাংলাদেশে যে পরিমাণ চাঁদাবাজি হয়, সেই টাকা দিয়ে একটা গণভোট করা সম্ভব।

জামায়াতের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনার আহ্বান জানানো হয়েছে জানিয়ে তাহের আরও বলেন, সরকারকেও এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করতে হবে। দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার জন্য জামায়াত একটি কমিটি গঠন করেছে। অন্য দলগুলোও যাতে আলোচনার জন্য কমিটি গঠন করে।

এই জামায়াত নেতার ভাষ্য, জাতি মনে করে মেজর দলগুলো বসে শুধু জুলাই সনদ নয়, আগামী নির্বাচন কীভাবে হবে সেই বিষয়েও আলোচনা করবে। সেই আলোচনায় নির্বাচনে ভোট ডাকাতি যে হবে না—দলগুলোকে এই বিষয়ে ঐক্যমত্য পোষণ করতে হবে। জাতির কাছে টেলিভিশনে ওয়াদা করতে হবে—কেন্দ্র দখল হবে না। করলে সেই কেন্দ্রের ভোট বাতিল হবে, এমন ঘোষণা দিতে হবে। প্রধান উপদেষ্টাকেও বলতে হবে, নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে সেটি বাতিল করে নতুন করে নির্বাচন দেবেন। এদেশের মানুষ আরেকটি প্রহসনের নির্বাচন দেখতে চায় না।

তিনি নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) তৈরির জন্য নির্বাচন কমিশন ও সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। এরপরও উন্নতি না হলে আগামী ১১ নভেম্বর ঢাকা মহানগরী হবে জনতার নগরী।

জাতীয় নির্বাচন পেছালেও গণভোট আগে হতে হবে বলে সমাবেশে দাবি জানান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান। বলেন, জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে গণভোট হবে না। যেদিনই নির্বাচন হোক, গণভোট আগে দিতে হবে। নির্বাচন পিছিয়ে গেলেও গণভোট আগে হতে হবে। যারা বলেছে, সংস্কার লাগবে না, তাদের সঙ্গে আলোচনা হবে না।

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী ও নায়েবে আমির আহমদ আলী কাসেমী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব ইউসুফ সাদিক হক্কানী, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুসা বিন ইযহার, জাগপার সহসভাপতি ও মুখপাত্র রাশেদ প্রধান প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে দুপুর ১২টার দিকে পল্টন থেকে গণমিছিল নিয়ে যমুনার অভিমুখে এগোতে থাকেন দলগুলোর নেতাকর্মীরা। সোয়া ১২টার পর মিছিলটি মৎস্য ভবন এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ বাধা দেয়। পরে আট দলের নয়জন নেতার একটি প্রতিনিধিদল যমুনায় প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিতে যান।

তারা হলেন—জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক মূসা, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির আহমদ আলী কাসেমী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব ইউসুফ সাদিক হক্কানী, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুসা বিন ইযহার, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সহসভাপতি ও মুখপাত্র রাশেদ প্রধান এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির সভাপতি একেএম আনোয়ারুল ইসলাম।


সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোট হতে দেওয়া হবে না: মির্জা ফখরুল

আপডেটেড ৬ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:৩০
যশোর প্রতিনিধি  

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোট হতে হবে। এ বিষয়ে আমরা একমত। সংসদ নির্বাচনের আগে কোনো গণভোট হতে দেওয়া হবে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছিলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার বিকালে যশোর টাউন হল মাঠে স্মরণসভায় বিএনপির মহাসচিব বলেন, কয়েকটি রাজনৈতিক দল বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করছে। নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এটা জনগণ মেনে নেবে না। অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন হয়েছি ফ্যাসিস্টের হাত থেকে। একটা সুযোগ পেয়েছি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার। কোনো মহলের চক্রান্তে আমরা এই সুযোগ বিনষ্ট হতে দিতে পারি না।

এসময় উপদেষ্টা পরিষদ পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। বলেন, প্রধান উপদেষ্টা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যেগুলোতে ঐকমত্য হবে সেটা থাকবে, আর যেটা হবে না, সেটা আগামী পার্লামেন্টে চলে যাবে, সেখানে নির্ধারিত হবে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের কথা, হঠাৎ করে দেখা গেল যে, এই উপদেষ্টা কমিটি একটা উপদেষ্টা মণ্ডলী সভা করলেন, সভা করার পরে আসিফ নজরুল সাহেব জাতিকে জানালেন, যে বিষয়গুলো এখনো সমাধান হয়নি, সেগুলো সমাধান করার জন্য আমরা রাজনৈতিক দলগুলোকে সাত দিনের সময় দিচ্ছি।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, আমরা তো প্রত্যেকটা সভায় গেছি। প্রত্যেকটা সভায় আমাদের মতামত দিয়েছি। আজকে কেন আবার এই প্রসঙ্গ উঠছে যে, রাজনৈতিক দলগুলোকে বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে! তাহলে আপনারা কী করলেন এত দিন ধরে?

ফখরুল বলেন, আমি আজ পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, যে দাবি-দাওয়াগুলো নিয়ে কয়েকটি রাজনৈতিক দল ঘেরাও করছে, অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে, আবার একটা চক্রান্ত করছে নির্বাচন বানচাল করার জন্য, নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য—এটা এই দেশের জনগণ মেনে নেবে না। আমরা অনেক দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিচ্ছি। আমরা এখন পর্যন্ত কোনো বিষয়ে রাস্তায় নামিনি কিন্তু মনে রাখবেন, বিএনপি কোনো ভেসে আসা দল নয়! বিএনপি এই দেশের জনগণের গড়া একটি দল। শহীদ জিয়াউর রহমানের দল, স্বাধীনতার ঘোষকের দল। এই দল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার, গণতন্ত্রের জন্য আপসহীন সংগ্রাম করা নেত্রীর দল। আমাদের ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, ২০ হাজার মানুষকে হত্যা, এক হাজার ৭০০ মানুষকে গুম করে দেওয়া—সেই অবস্থা থেকে উঠে আসা একটি দল। সুতরাং আমাদেরকে খাটো করে দেখবেন না, অবজ্ঞা করে দেখবেন না। আমরা যদি রাস্তায় নামি, তাহলে কিন্তু রাজনৈতিক বিষয়গুলো ভিন্নভাবেই আসবে।

রাজনৈতিক দলগুলো প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দয়া করে পানি ঘোলা করার চেষ্টা করবেন না। দয়া করে দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাবেন না। দয়া করে দেশের মানুষকে অশান্তিতে ফেলার কোনো ব্যবস্থা করবেন না। আমরা বহু সংগ্রাম-লড়াই করেছি। আপনারা আজকে নতুন করে শুরু করতে যাচ্ছেন আপনাদের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করার জন্য, সেটা এই দেশের মানুষ কিন্তু কোনো মতেই মেনে নেবে না।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকনের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক দপ্তর সম্পাদক, যশোর-১ (শার্শা) আসনে বিএনপির প্রার্থী মফিকুল হাসান তৃপ্তি, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক, যশোর-৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য, যশোর-২ আসনে দলীয় প্রার্থী সাবিরা সুলতানা মুন্নী, কেন্দ্রীয় সদস্য আবুল হোসেন আজাদ, কেন্দ্রীয় সদস্য, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি যশোর-৬ আসনে দলীয় প্রার্থী কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, জেলা কমিটির সাবেক নেতা অ্যাডভোকেট মুহম্মদ ইসহক, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলামসহ স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।

মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন- তরিকুল ইসলামের সহধর্মিণী, কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক নার্গিস বেগম, তরিকুলের ছেলে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনকি সম্পাদক ও যশোর-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।


শেরপুরে বিএনপির ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শান্ত শিফাত, ঝিনাইগাতী (শেরপুর) প্রতিনিধি

শেরপুর জেলা বিএনপি ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম ও সদস্য সচিব অধ্যক্ষ এবিএম মামুনুর রশিদ পলাশ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ দুটি কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয় বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

অনুমোদনপ্রাপ্ত কমিটিগুলোর মধ্যে ঝিনাইগাতী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক করা হয়েছে আলহাজ্ব মো. শাহজাহান আকন্দকে এবং সদস্য সচিব করা হয়েছে মো. লুৎফর রহমানকে। ১০১ সদস্য বিশিষ্ট এই আহ্বায়ক কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দেয় শেরপুর জেলা বিএনপি।

অন্যদিকে, শ্রীবরদী উপজেলা বিএনপির ১০১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটিতে আহ্বায়ক হয়েছেন মো. আব্দুর রহিম দুলাল এবং সদস্য সচিব হয়েছেন আবদুল্লাহ আল মামুন দুলাল।

কমিটি অনুমোদনের পর ঝিনাইগাতী উপজেলা বিএনপির নবনিযুক্ত সদস্য সচিব মো. লুৎফর রহমান এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আমি সর্বপ্রথম কৃতজ্ঞতা জানাই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের প্রতি। ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই শেরপুর-৩ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী, সাবেক তিনবারের এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জননেতা মাহমুদুল হক রুবেল ভাইকে। পাশাপাশি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ও সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ পলাশসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকেও ধন্যবাদ জানাই আমাদের প্রতি আস্থা রাখার জন্য। আমরা মাঠে থেকে মানুষের পাশে থেকে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করবো ইনশাআল্লাহ।”

অন্যদিকে আহ্বায়ক আলহাজ্ব মো. শাহজাহান আকন্দ বলেন,
“দল আমাদের ওপর যে আস্থা রেখেছে, তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে বিজয়ী করতে কাজ করবো। এখন সময় মানুষের মনে জায়গা করে নেওয়ার। আমরা চাই, আগামীর প্রতিটি পদক্ষেপ হোক দলের, দেশের ও জনগণের কল্যাণে।”

স্থানীয় রাজনীতিতে এই দুই উপজেলা কমিটি অনুমোদনকে আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।


বিএনপিতে যোগদানের বিষয়ে যা বললেন রেজা কিবরিয়া

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ও রাজনীতিক রেজা কিবরিয়া। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-১ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তার। গতকাল বুধবার (৫ নভেম্বর) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।

রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘আমি ইতিমধ্যেই বিএনপিতে যোগদান করেছি এবং প্রাথমিক সদস্য ফরম পূরণ করেছি।

কয়েক দিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করব।’

হবিগঞ্জ-১ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনের আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।’

রেজা কিবরিয়ার এর আগে গণফোরামে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন, ঐক্যফ্রন্ট ব্যানারে ধানের শীষে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং গণ অধিকার পরিষদে আহ্বায়কের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।


পাঁচ দফা দাবিতে আট ইসলামি দলের পদযাত্রা আজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজ রাজধানীতে পদযাত্রা করবে আট ইসলামি দল। এর মধ্যে রয়েছে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি)।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১১টায় পল্টনে সমবেত হয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে স্মারকলিপি প্রদানের লক্ষ্যে এ পদযাত্রা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

এর আগে গত সোমবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন আট দলের নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, “দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে জুলাই সনদের পূর্ণ বাস্তবায়ন জরুরি।”

এ সময় ইসলামি দলগুলোর নেতারা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন, রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি, এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধা নিশ্চিত করার দাবিও জানান।

সংবাদ সম্মেলনের আগে পুরানা পল্টনে দলগুলোর শীর্ষ নেতারা বৈঠক করেন। সেখানে জামায়াতে ইসলামী নেতারা অন্তর্বর্তী সরকারের আলোচনার তাগিদকে স্বাগত জানান। তবে একই সঙ্গে ‘আলোচনায় রেফারি নিয়োগের’ দাবি তোলেন দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

জামায়াতসহ অংশগ্রহণকারী দলগুলোর নেতারা জানিয়েছেন, তাদের এই কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করা হবে এবং স্মারকলিপিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে রাজনৈতিক সংস্কার, ন্যায্য নির্বাচন ব্যবস্থা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবি জানানো হবে।


আগামী নির্বাচনে আ. লীগের অংশগ্রহণের সুযোগ নেই: জামায়াত আমির

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সিলেট প্রতিনিধি

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতেই আগামী নির্বাচন হতে হবে। তা না হলে নানা বিশৃঙ্খলার সুযোগ তৈরি হবে।’ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বুধবার সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তৃতীয় মেয়াদে জামায়াতের আমির নির্বাচিত হওয়ার পর দুদিনের সফরে সিলেটে এসে পৌঁছান ডা. শফিকুর রহমান। বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে ভিড় করেন হাজার হাজার নেতাকর্মী। বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগ তো নিজেরাই নির্বাচন চায় না। আপনারা কি জোর করে তাদের ওপর নির্বাচন চাপিয়ে দিতে চান? তারা যদি নির্বাচন চাইতো তাহলে গত তিনটি নির্বাচনের সুযোগ পেয়েছে, হাতছাড়া করলো কেন? তারা যে নির্বাচনে বিশ্বাসী সেটা তারা প্রমাণ করতে পারেনি। যে জিনিস তারা পছন্দ করে না সেটা উপহার দিতে গেলে তাদের ওপর জুলুম করা হবে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কোনো জোটে যাচ্ছে না জানিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা জোট করছি না, বরং জনগণকেই সঙ্গে নিয়ে ভোটের ময়দানে নামবো। ইসলামী দলগুলোর পাশাপাশি দেশপ্রেমিক, প্রতিশ্রুতিশীল ও সৎ মানুষরাও আমাদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। আমরা সবাইকে নিয়েই দেশ গড়তে চাই।

দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। মানুষ ভোট দিতে চায়, পরিবর্তন চায়। সুশাসনের পরিবর্তে দেশে দুঃশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দুর্নীতি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনগণ রাস্তায় নেমেছে। আমরা জাতিকে আহ্বান জানাচ্ছি—দুর্নীতিকে ‘না’ বলুন। কেউ নিজে দুর্নীতি করবেন না, অন্যকেও করতে দেবেন না। তাহলেই আমাদের দেশটা সুন্দর হবে।

প্রশাসনের নিরপেক্ষতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশন ও সরকারের কাছে ইতোমধ্যে প্রস্তাব দিয়েছি- অতীতে যারা নির্বাচনে পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে, তাদের সরিয়ে দিতে হবে। কারণ জনগণ যখন জেগে ওঠে, তখন কোনো প্রশাসনিক প্রভাব টিকতে পারে না। জনগণের ইচ্ছারই প্রতিফলন ঘটে।

নির্বাচনের সময়সূচি প্রসঙ্গে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা ফেব্রুয়ারির নির্বাচন আদায় করে ছাড়ব। বেশি দেরি হলে বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খলা ও অস্থিতিশীলতা দেখা দিতে পারে। তাই সময়মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়াই শ্রেয়।

তিনি আরও বলেন, জামায়াত ইতোমধ্যে বিভিন্ন আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। তবে এটা চূড়ান্ত নয়। আমরা সবাইকে নিয়ে চলছি, তাই প্রয়োজন হলে প্রার্থী তালিকায় পরিবর্তন আসবে।

এ সময় সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির ফখরুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হাবিবুর রহমানসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


১৫ নভেম্বর এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা: নাহিদ ইসলাম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, এ মাসের ১৫ তারিখ আমরা প্রাথমিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা করব। আমরা এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং ৩০০ আসনে আমাদের প্রার্থী দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে।

বুধবার নারায়ণগঞ্জে সিদ্ধিরগঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত হয়ে মৃত্যুবরণকারী শহীদ গাজী সালাউদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘কোন দলের সাথে জোট অবশ্যই রাজনীতিক বা আদর্শিক জায়গা থেকে হতে পারে। জুলাই সনদে আমাদের সংস্কারের দাবিগুলোর সঙ্গে যদি কোন দল সংহতি প্রকাশ করে সেক্ষেত্রে জোটের বিষয় বিবেচনা করবো। কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

বিএনপির কয়েকটি আসন ছেড়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘৩০০ আসনে আমাদের প্রার্থী দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে। তবে যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন, সেখানে খালেদা জিয়ার (বিএনপির সাবেক প্রধানমন্ত্রী) কথা আমাদের নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী বলেছেন। তার সম্মানে সেই সব আসনে আমরা প্রার্থী দেব না। এছাড়া সর্বাধিক আসনে আমরা ‘শাপলা কলি’ প্রতিকের জন্য প্রার্থী দেব।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে নির্বাচনের যে সংস্কৃতি যাদের টাকা আছে, যারা গডফাদারগিরি করে তারা নির্বাচনে দাঁড়ায়। আমরা সেই সংস্কৃতিকে এবার চ্যালেঞ্জ করতে চাই। এলাকার গ্রহণযোগ্য, সাধারণ ও খেটে খাওয়া মানুষকে আমরা জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদে দেখতে চাই। আমরা সেই উদ্দেশ্যে কাজ করছি।’

অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের হাজারো যোদ্ধারা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকারের ছিল। তারা তা সম্পূর্ণরুপে পালন করতে পারেনি বিধায় এখনো লাশের সারি বাড়তেছে। আমাদের শহীদদের সংখ্যা বাড়তেছে। আমরা সরকারের প্রতি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, আহত যোদ্ধাদের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা ব্যবস্থা অব্যাহত না থাকলে এরকম মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে থাকবে। এমনকি পরবর্তীতে নির্বাচিত সরকার যে আসুক না কেন, চিকিৎসার বিষয়ে সবার কমিটমেন্ট থাকা প্রয়োজন।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির নারায়ণগঞ্জ জেলা সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক আহমেদ তনু, সদস্য সালেহ আহমেদসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের ছোড়া গুলিতে এক চোখের দৃষ্টি হারানো ও গলায় স্প্লিন্টার নিয়েই টানা ১৫ মাস বেঁচে থাকার পর গত ২৬ অক্টোবর রাতে মৃত্যুবরণ করেন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার গোদনাইল এলাকার গাজী সালাউদ্দিন। তার মৃত্যুতে শোকাহত পরিবারকে শান্তনা ও সমবেদনা জানাতে তার গোদনাইলের বাড়িতে যান এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এ সময় নিহতের স্ত্রী রানী বেগমসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন।


নিজ গ্রাম থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছে চৌধুরী নায়াব ইউসুফ

ফরিদপুর-৩ সদর আসনে বিএনপির প্রার্থী
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুর

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনোনয়ন পাবার পর ফরিদপুর-৩ সদর আসনের ধানের শীষের প্রার্থী চৌধুরী নায়াব ইউসুফ তার নিজ মহল্লা শহরের কমলাপুর ২২ নং ওয়ার্ড তেতুলতলা থেকেই দলীয় নেতা কর্মী নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন। যদিও তিনি গত এক বছরেরও বেশি সময় ফরিদপুর সদর আসনের শহর থেকে প্রতান্ত গ্রামাঞ্চল-এ ভোটের মাঠ চষে বেড়িয়েছেন। বুধবার সকাল দশটায় ফরিদপুর শহরের কমলাপুর সমগ্র এলাকায় সাধারণ মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে এবং পথচারী, রিকশাচালক, দোকানদারদের কাছে গিয়ে ধানের শীষের জন্য ভোট ও দোয়া চেয়েছেন তিনি ।

এ সময় চৌধুরী নায়াব ইউসুফ বলেন, আমার পিতা চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ তার প্রতিটা নির্বাচনের সময় তার নিজ এলাকা কমলাপুরের মানুষদের কাছ থেকে দোয়া ও ভালোবাসা নিয়ে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু করতেন। আমিও সেই ধারা অব্যাহত রেখে আমার এলাকার প্রতিবেশী ও মহল্লার মানুষের কাছে থেকে দোয়া নিয়ে আমার নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু করলাম। আমি আনন্দিত যে আমার মহল্লার প্রতিটা নেতাকর্মী মুরুব্বী নারী-পুরুষ সাধারণ জনগণ সহ সকলে আমার সঙ্গে আছেন। তারা নিজেরাও আমার জন্য কাজ করছেন। আগামীতে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে ও তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষকে বিজয় করতে হবে।

চৌধুরী নায়াব ইউসুফ বলেন, আমি আমার নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুর সদর ৩ আসনকে একটি মডেল ফরিদপুর হিসেবে গড়ে তুলবো ইনশাল্লাহ।

এ সময় ফরিদপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এফ এম কাইয়ুম জঙ্গি, সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এ বি সিদ্দিকী মিতুল, যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান অপু, এমদাদুল হক ইমদাদ, নাসির উদ্দিন আহমেদ মিলার, ফরিদপুর সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বেনজির আহমেদ তাবরিজ, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আলী রেজওয়ান বিশ্বাস তরুণ, জেলা মহিলা দলের সভাপতি চৌধুরী নাজরিন রহমান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সৈকত হাসান, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি মুনিব হাসান সোহাগ, বিএনপি নেতা আসিফ ইমতিয়াজ বুলুসহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


এই নির্বাচন হয়তো আমার শেষ নির্বাচন: মির্জা ফখরুল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিএনপি। তালিকা ঘোষণা অনুযায়ী ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

দলীয় প্রার্থী মনোনীত হওয়ার পরে এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার দুপুর ১টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বিএনপি মহাসচিব লিখেন, এই নির্বাচন হয়তো আমার শেষ নির্বাচন।

পোস্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও লিখেছেন, মহান আল্লাহর রহমতে বিএনপি আমাকে ঠাকুরগাঁও ১ আসনে মনোনীত করেছে! আমি বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ সকল নেতা ও নেত্রীকে আমার কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানাই। দলের সকল কর্মীকে জানাই আমার আন্তরিক ধন্যবাদ আজীবন আমার সঙ্গে থাকার জন্য!

তিনি লিখেন, আমরা যারা সারাজীবন রাজনীতি করেছি, জেলে গেছি, আমাদের নিজেদের একটা গল্প থাকে! অনেকেই তা জানে না! আমি যখন ১৯৮৭ তে সিদ্ধান্ত নেই, আবার রাজনীতিতে ফিরব, আমার মেয়ে দুটি একদমই ছোট ছিল! ঢাকায় পড়ত। আমার স্ত্রীর বয়স অনেক কম ছিল! সে প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল! বুঝতে পারছিল কী ভয়াবহ অনিশ্চিত জীবনে পা দিতে যাচ্ছে!

পোস্টে মির্জা ফখরুল আরো লিখেন, আমার মেয়ে দুটির হাত ধরে সেই নিয়ে গেছে স্কুলে, ডাক্তারের কাছে! মনে পড়ে আমার বড় মেয়ের একটা অপারেশন হবে, আমি সারারাত গাড়িতে ছিলাম, ঢাকার পথে! যাতে মেয়ের পাশে থাকতে পারি! গল্পগুলো অন্য কোনও দিন বলব যদি আল্লাহ চান! এ রকম গল্প আমাদের হাজার-হাজার নেতাকর্মীর আছে!

পরিশেষে তিনি লিখেন, আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, আমাদের দলের প্রতিটি নেতাকর্মীর জন্য দোয়া করবেন! আমরা সবাই মিলে আপনাদের পাশে থাকব এবং কাজ করব ইনশাআল্লাহ! বিএনপির সেই যোগ্যতা আছে দেশকে মর্যাদার সঙ্গে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার! ইনশাআল্লাহ! আপনারা পাশে থাকেন।


banner close