রোববার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিষিদ্ধ হলো জামায়াত-শিবির

ফাইল ছবি
আপডেটেড
৮ আগস্ট, ২০২৪ ১৭:৩২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১ আগস্ট, ২০২৪ ১৬:২৪

সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী ও একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ‘মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত’ জামায়াতে ইসলামী ও এর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ তাদের সব অঙ্গ সংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।

২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইন অনুযায়ী জামায়াত এবং এর সব অঙ্গ সংগঠনকে ‘সন্ত্রাসী সত্তা’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে আজ বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দলটির ওপর এটি দ্বিতীয় নিষেধাজ্ঞা। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মের অপব্যবহারের’ কারণে। পরে জিয়াউর রহমানের আমলে তারা রাজনীতি করার অধিকার ফিরে পায়।

দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি ছিল তখন থেকেই। চার দশক পর সেই দাবি পূরণ হলো, যদিও যুদ্ধাপরাধের জন্য জামায়াতের বিচারের দাবি এখনো অপূর্ণ রয়ে গেছে। জামায়াতে ইসলামের সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙালি নিধনযজ্ঞে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করেছিল।

শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন সহিংস রূপ নেওয়ার পর অনেকের প্রাণহানি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশের অভিযোগ করে আসছে সরকার।

আজ জারিকৃত সরকারের নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, ‘সরকার, সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ধারা ১৮ (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতা বলে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করিল এবং উক্ত আইনের তফসিল-২-এ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করিল।’

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ‘যেহেতু, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক কয়েকটি মামলার রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী (পূর্বনাম জামায়াত-ই-ইসলামী/জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ) এবং উহার অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির (পূর্বনাম ইসলামী ছাত্রসংঘ)-কে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ী হিসাবে গণ্য করা হইয়াছে; এবং যেহেতু, বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের প্রদত্ত রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এর রাজনৈতিক দল হিসাবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত/প্রাপ্ত নিবন্ধন বাতিল করিয়া দিয়াছে এবং বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের উক্ত রায়কে বহাল রাখিয়াছে।’

‘যেহেতু, সরকারের নিকট যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রহিয়াছে যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং উহার অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাম্প্রতিককালে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ, ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে সরাসরি এবং উসকানির মাধ্যমে জড়িত ছিল; এবং যেহেতু, সরকার বিশ্বাস করে যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সহিত জড়িত রহিয়াছে।’ সেহেতু দলটিকে নিষিদ্ধ করে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

সরকারের এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

১৯৭২ সালে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হলেও ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপট পাল্টাতে শুরু করে। ১৯৭৬ সালের ৩ মে রাষ্ট্রপতির এক অধ্যাদেশ জারি করে সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদ বাতিল করে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেন।

তবে জামায়াতে ইসলামী তাৎক্ষণিকভাবে জামায়াতে ইসলামী নামে পুনরায় আত্মপ্রকাশ করেনি। পরিবর্তে, তখন তারা একটি ভিন্ন রাজনৈতিক দল বেছে নেয়।

১৯৭৬ সালের ২৪ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য ধর্মভিত্তিক দল ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগ (আইডিএল) নামে একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গঠন করে। জামায়াতে ইসলামীর সদস্যরা এই দলে যোগ দিয়ে রাজনীতি শুরু করে।

ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগের ব্যানারে জামায়াতে ইসলামীর বেশ কয়েকজন নেতা ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে অংশ নেন এবং ছয়টি আসনে জয়লাভ করেন।

এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতারা প্রথমবারের মতো স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে প্রবেশ করেন।

১৯৭৯ সালের ২৫, ২৬ ও ২৭ মে ঢাকার ইডেন হোটেল প্রাঙ্গণে দলের এক কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয় এবং এই সম্মেলনে দলটির নতুন গঠনতন্ত্র অনুমোদিত হয়।

এরপর ১৯৭৯ সালের ২৭ মে চার দফা কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করে জামায়াতে ইসলামী।

জেনারেল এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ১৮টি আসনে জয়লাভ করে।

তৎকালীন বিএনপি জামায়াতে ইসলামীর সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে। সে সময় জামায়াতে ইসলামীর সমর্থন ছাড়া বিএনপির পক্ষে সরকার গঠন করা সম্ভব ছিল না। তখন থেকেই জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ শক্তিতে পরিণত হয়।

২০০৮ সালের শেষের দিকে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। এরপর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের বিচার শুরু হয়।

জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের আলোচনায় থাকলেও বিষয়টি গতি পায় সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনে ব্যাপক সহিংসতার পর।

২০১৮ সালে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে পরিপত্র জুনের শেষে হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করলে ছাত্ররা ফের মাঠে নামে। জুলাইয়ে তা সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছড়িয়ে যায়। পরে শিক্ষার্থী ও আন্দোলনকারীদের বিভিন্ন কর্মসূচিকে ঘিরে একপর্যায়ে তা সহিংসতায় গড়ায়।

এর মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলা শুরু হয়। রামপুরায় বিটিভি ভবন, বনানীতে সেতু ভবন, মহাখালীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ভাংচুর করে আগুন দেওয়া হয় এক্সপ্রেসওয়ের মহাখালীর টোল প্লাজা এবং মেট্রোরেলের দুটি স্টেশনে।

এই আন্দোলনকে ঘিরে সংঘাতের মধ্যে এক সপ্তাহে ১৫০ মানুষের মৃত্যুর তথ্য নথিভুক্ত করেছে সরকার, যদিও সংবাদমাধ্যমের খবরে দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর এসেছে।

সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে বলা হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে সংঘাতে জড়িয়ে নাশকতা করেছে একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামী, আর তাতে মদদ দিয়েছে তাদের দীর্ঘদিনের জোটসঙ্গী বিএনপি।

এই প্রেক্ষাপটে গত সোমবার আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে ঐকমত্য হয়। এরপর মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সরকারের নির্বাহী আদেশে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হবে এবং কোন আইনি প্রক্রিয়ায় তা করা হবে, তা চূড়ান্ত করা হবে বুধবারের মধ্যে।

বিষয়টি এগিয়ে নেওয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বুধবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণার প্রক্রিয়া চলছে।

জামায়াত নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন বুধবারই জারি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আইনি প্রক্রিয়া সারতে এক দিন সময় লেগে যায়।


অন্তর্বর্তী সরকারের স্থায়ী রূপ চায় বিএনপি: ফখরুল

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার স্বল্প সময়ে যে সিদ্ধান্তগুলো নিচ্ছে, তা যৌক্তিক ও সময়োপযোগী। এ সরকার ভালোই করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তারা সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করেছে। অনেক সমস্যার সমাধানও করেছে। অন্তর্বর্তী সরকার ব্যবস্থার স্থায়ী রূপ ও দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থার পক্ষে বিএনপি। নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সংস্কারের পক্ষে দলটি।

গতকাল শনিবার রাতে সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সংস্কার তো করতেই হবে। আমরা কীভাবে সংস্কার চাই, সে কথা তো আমরা আগেই বলেছি। যেমন আমরা কেয়ারটেকার সরকারকে একটা স্থায়ী ব্যবস্থা করার কথা ৩১ দফায় আগেই বলেছি। সংবিধানে আমরা দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট যুক্ত করার কথাও বলেছি। এই বিষয়গুলো আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করতে হবে। সুতরাং নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে সংস্কারের পক্ষে বিএনপি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর জনগণের সমর্থন ও সহযোগিতা দরকার। বিশেষ করে অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে গার্মেন্টগুলোকে সচল রাখতে হবে। আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রেও সব রাজনৈতিক দল, সব সংগঠন, ব্যক্তি, দেশপ্রেমিক মানুষ সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। এখন বড় রকমের ক্রান্তিকাল যাচ্ছে। একসঙ্গে কাজ করতে পারলে বিপ্লবের যে লক্ষ্য তা ধরে রাখতে পারব।’

৫ আগস্টের পর থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আসলে অপপ্রচার হচ্ছে বেশি। সাধারণত এ দেশের মিডিয়া খুব ভালো রোল প্লে করে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক কিছু মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হয় উদ্দেশ্যমূলকভাবে। আমি মনে করি, বিপ্লবের পরে একটু সমস্যা থাকে, এটা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে।’

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ১ সেপ্টেম্বর রাতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল।


কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় নাগরিক কমিটির আত্মপ্রকাশ

রোববার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ৫৬জন সদস্য নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় নাগরিক কমিটি। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৮:৫৯
ঢাবি প্রতিনিধি

জনতার অভ্যুত্থানের সঙ্গে সংহতি ও প্রতিরোধের চেতনাকে সামনে রেখে বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আত্মপ্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। আজ রোববার বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ৫৬ সদস্যে বিশিষ্ট এই কমিটির আত্মপ্রকাশ হয়। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে মুহাম্মাদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে আর আখতার হোসেনকে করা হয়েছে সদস্য সচিব। এছাড়া, কমিটির মুখপাত্র হিসেবে রয়েছেন সামান্তা শারমিন।

আজ রোববার কমিটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের প্রাথমিক কাজ কী হবে তা জানানো হয়। ওই বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়, এই কমিটির প্রাথমিক কাজ ৮টি। সেগুলো হলো, ১. ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হওয়া সামষ্টিক অভিপ্রায় ও গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে সমুন্নত রাখা। ২. ছাত্র-জনতার উপর সংঘটিত নির্মম হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি গ্রহণ করা। ৩. রাষ্ট্রের জরুরি সংস্কার ও পুনর্গঠন করার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা ও জবাবদিহিতার পরিসর তৈরি করা। ৪. বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক উদ্যোগের সঙ্গে আলোচনা, মত বিনিময় ও গণমুখী কর্মসূচির মাধ্যমে সর্বস্তরের জনতাকে সংহত করার লক্ষ্যে কাজ করা। ৫. দেশের সর্বস্তরের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতৃত্বকে সংহত করে গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা সমুন্নত করে রাখার লক্ষ্যে ফ্যাসিবাদী কাঠামো ও শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অব্যাহত রাখা। ৬. জনস্বার্থের পক্ষে নীতি নির্ধারণের লক্ষ্যে বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষ এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক সংলাপের আয়োজন করা। ৭. রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নীতি নির্ধারণী প্রস্তাবনা তৈরি ও সেটা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক পদক্ষেপে গ্রহণ করা। ৮. গণপরিষদ গঠন করে গণভোটের মাধ্যমে নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান তৈরির জন্য গণআলোচনার আয়োজন করা।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এসব কাজের পরিধি ও পদ্ধতি সাপেক্ষে বাংলাদেশের জনগণকে নিজ নিজ এলাকায় সংঘবদ্ধ থাকার আহ্বান করছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা রক্ষার চালিকাশক্তি হয়ে উঠবে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অচিরেই জেলা ও উপজেলা, এলাকাভিত্তিক আলোচনা ও মত বিনিময় সভা আয়োজনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।

৫৬ জনের এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন ৫৩জন। তারা হলেন, আরিফুল ইসলাম আদীব, সাইফ মোস্তাফিজ, মনিরা শারমিন, নাহিদা সারোয়ার চৌধুরি, সারোয়ার তুষার, মুতাসিম বিল্লাহ, আশরাফ উদ্দিন মাহদি, আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, অনিক রায়, জাবেদ রাসিন, মো. নিজাম উদ্দিন, সাবহানাজ রশীদ দিয়া, প্রাঞ্জল কস্তা, মঈনুল ইসলাম তুহিন, আব্দুল্লাহ আল আমিন, হুযাইফা ইবনে ওমর, শ্রবণা শফিক দীপ্তি, সায়ক চাকমা, সানজিদা রহমান তুলি, আবু রায়হান খান, মাহমুদা আলম মিতু, অলিক মৃ, সাগুফতা বুশরা মিশমা, সৈয়দ হাসান ইমতিয়াজ, তাসনিম জারা, মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া, মো. আজহার উদ্দিন অনিক, মো. মেসবাহ কামাল, আতাউল্লাহ, এস. এম. শাহরিয়ার, মানজুর- আল- মতিন, প্রীতম দাশ, তাজনূভা জাবীন, অর্পিতা শ্যামা দেব, মাজহারুল ইসলাম ফকির, সালেহ উদ্দিন সিফাত, মুশফিক উস সালেহীন, তাহসীন রিয়াজ, হাসান আলী খান, মো. আব্দুল আহাদ, ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, মশিউর রহমান, আতিক মুজাহিদ, তানজিল মাহমুদ, আবদুল্ল্যাহ আল মামুন ফয়সাল, মো. ফারহাদ আলম ভূঁইয়া, এস.এম. সুজা, মো. আরিফুর রাহমান, কানেতা ইয়া লাম লাম, সৈয়দা আক্তার, স্বর্ণা আক্তার, সালমান মুহাম্মাদ মুক্তাদির ও আকরাম হুসেইন।

বিষয়:

এখন সময় হচ্ছে মানুষের আস্থার প্রতিদান দেওয়ার: সারজিস

বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সফরে রোববার মুন্সীগঞ্জে ছাত্র-জনতার সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বায়ক সারজিস আলম। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বায়ক সারজিস আলম বলেছেন, বিগত ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল তাদের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চেষ্টা করেছে। তারা ওই ফ্যাসিস্ট সরকারকে নাকি পতন ঘটাবে। তারা কি পেরেছে? বিগত ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন ঈদের পরে, পূজার পরে, বিভিন্ন সময়ের পরে বিভিন্ন প্রোগ্রাম দেওয়ার চেষ্টা করেছে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের জন্য, তারা কি পেরেছিলো? আপনাদের একটি জিনিস খুব ভালো মনে রাখতে হবে। যেদিন ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নেমেছে এবং ছাত্ররা সামনের সারিতে ছিল সেদিনই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটেছে।

আজ রোববার বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সফরে মুন্সীগঞ্জে ছাত্র-জনতার সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস বলেন, এই ছাত্র-জনতার ওপরে বর্তমান বাংলাদেশের মানুষের যেই আস্থাটি রয়েছে বাংলাদেশের তথাকথিত রাজনৈতিক দলগুলোর উপর বাংলাদেশের মানুষের সেই আস্থাটি আর নেই। আপনাদের উপরে বাংলাদেশের এত এত মানুষ যে আস্থাটি রেখেছে এখন সময় হচ্ছে তাদের আস্থার প্রতিদান দেওয়া।

সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে ছাত্র-জনতার উদ্দেশ্যে ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কে তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্যাতন-নিপীড়নের ডকুমেন্টসগুলো জীবন্ত রাখতে হবে। তারা চাইবে স্মৃতিগুলো ভুলিয়ে দিতে। যদি এগুলো ভুলে না যান তাহলে তারা আবার এসে ক্ষমতায় বসতে পারবে না। আগামীতে এই বাংলাদেশে যারা শাসন করবে কিংবা রাজনীতিতে নেতৃত্ব দিবে, যদি তাদের উদ্দেশ্য থাকে আবার কোন ফ্যাসিস্ট সরকার কায়েম করার তারাও চাইবে আপনার স্মৃতি থেকে ফ্যাসিজমগুলো মুছে দেওয়ার জন্য। তাই ফেসবুক পোস্ট, ছবি, ভিডিও, ডায়েরি লেখা বা বইয়ের মাধ্যমে সেগুলো লিপিবদ্ধ করতে হবে।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, কোয়ালিটির জায়গা থেকে স্কিলফুল হতে হবে। সময়ের প্রয়োজনে সবই করতে হবে। কিন্তু প্রথম ও প্রধান কাজটি হলো পড়াশোনা ঠিক রাখা।

এদিন বিকেলে সারজিস আলমসহ ১৪ সদস্যের দল সরকারি হরগঙ্গা কলেজ মাঠে গণঅভ্যুত্থানের প্রেরণায় শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময় সভায় অংশ নেয়। সেখানে ব্যানার-মিছিল নিয়ে সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেয়।

এর আগে সকালে জেলা শহরের খালইস্ট এলাকায় আফতাবউদ্দিন কমপ্লেক্সের একটি রেস্টুরেন্টে আন্দোলনে মুন্সিগঞ্জের নিহত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তারা। পরে সেখানেই জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন সমন্বায়করা। এতে জেলা জাতীয় পার্টির একাংশ, জামায়াতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

নিহত ও আহতদের পরিবারগুলো সারজিস আলমকে জানান, আন্দোলনের দিন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলাকারী অনেক ব্যক্তি এখন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মামলা থেকে যোগসাজশে তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। আসামিদের ব্যাপারে প্রশাসনও শক্ত অবস্থান নিচ্ছে না। এছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অনেকে ৪ আগস্ট শহরের সুপারমার্কেটে আন্দোলনের বিভিন্ন ভিডিও-ছবি সারজিস কে দেখান। সারজিস আলম সকলের কথাগুলো লিখে নেন এবং আহতদের চিকিৎসা ব্যয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ হতে বহন করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন।

বিষয়:

যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আগে আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগের দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গীর। সরকার পতনের পর আবারও জোটসঙ্গীদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে দলটি। আজ শুক্রবার বিকেলে গুলশান বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে এ বৈঠক হয়। প্রথম ধাপে ন্যাপ ভাসানীর সঙ্গে এ বৈঠক হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন দলটির চেয়ারম্যান মো. আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে ১২ সদস্যদের প্রতিনিধি দল। এরপর বৈঠক হয় বাংলাদেশ পিপলস পার্টির সঙ্গে। এতে দলটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বাবুল সরদার চাখারীর নেতৃত্বে ১২ সদস্যদের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। উভয় বৈঠকে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি ও দলটির ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু অংশ নেন।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া বিএনপি-জামায়াতের মধ্যেকার বৈরী সম্পর্কের বিষয়টিও বিএনপির কাছে জানতে চান যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীরা।

বিষয়:

পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের পরিণতি থেকে শিক্ষা নেবেন: নূর

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি (একাংশ) ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সব শ্রেণির মানুষের অপ্রতিরোধ্য সংগ্রামের মাধ্যমে দেড় দশকের স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে। আপনারা পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের পরিণতি থেকে শিক্ষা নেবেন। মানুষ যাতে আপনাদের ওপর ত্যক্ত বিরক্ত না হয়, সেভাবে কাজ করবেন। মানুষের পাশে থাকবেন।’

ভাঙ্গা বাজার বাসস্ট্যান্ডে আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত পথসভায় নুর এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ সরকার মনে করেছিল কেয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে। ছাত্র-জনতার অল্প কয়েক দিনের আন্দোলনে যেভাবে পতন হলো তা কল্পনাও করা যায়নি। এ কৃতিত্ব কোনো রাজনৈতিক দলের নয়। জনগণ ও ছাত্ররা রাস্তায় নেমেছে বলেই স্বৈরাচারের পতন হয়েছে।

তিনি বলেন, এক ফ্যাসিবাদ বাসস্ট্যান্ড, টেম্পোস্ট্যান্ড, সবজিবাজারসহ সারা দেশ দখল করেছিল। তাদের বিদায়ের মধ্য দিয়ে নতুন ফ্যাসিবাদ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাইছে। তাদের জায়গা এখানে হবে না।

নূর বলেন, ‘যদি কেউ মনে করেন আওয়ামী লীগ শেষ, আমরা বড় দল, আমরা চালাব। এক স্বৈরাচারকে হটিয়েছি, আর যেন কোনো স্বৈরাচার ক্ষমতায় আসতে না পারে সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।’

নিজ দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে নুরুল হক বলেন, ‘জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকবেন। কৃষক যাতে থানায় গিয়ে সম্মান পান, হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা পান সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন। জনগণই সব ক্ষমতার উৎস।’

তিনি বলেন, ‘এ আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, আপনারা তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়াবেন। অপরাধী পুলিশের শাস্তি হবে। বাকি পুলিশদের সহযোগিতা করবেন। পুলিশ না থাকলে আইনশৃঙ্খলা থাকবে না। আর কোনো রাজনৈতিক নেতার কথায় মামলা হবে না।’

দেশে থাকা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘আল্লাহর কাছে মাফ চান। এ দেশের জনগণ আপনাদের মাফ করবে না। খুনের বিপরীতে খুনের রাজনীতি আর চলবে না। ভালো মানুষদের রাজনীতিতে এগিয়ে আসতে হবে। এ বিজয় ধরে রাখতে হবে, তা না হলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার।’

এ সময় ভাঙ্গা উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সমন্বয়ক আনিসুর রহমান, ফরিদপুর জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ফরহাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ মিয়াসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


সাংবাদিক শফিক রেহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন রিজভী

প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে শুক্রবার তার বাসায় যান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে শফিক রেহমানের বাসায় তার সঙ্গে রিজভীর এই সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। সৌজন্য সাক্ষাতে শফিক রেহমানের সঙ্গে মতবিনিময় করেন রিজভী। তিনি শফিক রেহমানের স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট রাজধানীর পল্টন থানায় শফিক রেহমানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলায় ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পেয়ে যুক্তরাজ্যে চলে যান।

মামলায় ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট এই মামলায় রেহমানসহ পাঁচজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। সে দিন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা ভারতে চলে যান। গত ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। ছয় বছর যুক্তরাজ্যের লন্ডনে থাকার পর গত ১৮ আগস্ট দেশে ফেরেন প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমান।


বাংলাদেশে আর সংখ্যালঘু নির্যাতন হবে না: মামুনুল হক

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

আগস্ট বিপ্লবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এখনো চলছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক বলেছেন, শেখ হাসিনা পাপের ফসল পেয়েছে। পালিয়ে যাওয়ার জন্য দেশে এক ইঞ্চি মাটি পাননি তিনি। সে আকাশে উড়ে গিয়ে নরেন্দ্র মোদির উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের পুরাতন বাসস্টেশনে গণ-সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদি শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের চেয়ে প্রিয় মনে করেছিলেন। ১৫ বছর ধরে তোমরা বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিলে। আমরা বলেছিলাম, তোমরা শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ নয়, বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব কর। তোমরা কূটনৈতিক শিষ্টাচার, গণমানুষের রায়কে উপেক্ষা করেছ। নির্লজ্জভাবে ভারত শেখ হাসিনাকে আশ্রয়-প্রশ্রয়, লালনপালন করেছে।গত ৫ আগস্ট বৈষম্যকে উপড়ে ফেলা হয়েছে। ধনী-গরিব বৈষম্য আমরা মানি না। সরকার এবং বিরোধী দলের বৈষম্যও আমরা স্বীকার করি না।

মামুনুল হক বলেন, শেখ হাসিনার বিদায়ে বাংলার মানুষ মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস নিতে পারছে। আজ ৫ আগস্ট বিপ্লবের এক মাস পূর্তি হয়েছে। ১৯৭১ সালে রক্ত দিয়ে বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাংলার মানুষ সংগ্রাম করেছিল। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে একটি ভিনদেশি দালাল চক্র স্বাধীনতাকে ছিনতাই করেছিল। দেশ স্বাধীন হয়েছিল দেশের মাটিতে কোরআন, সুন্নাহ বিরোধী আইন রচনা না করা কমিটমেন্টের ভিত্তিতে। স্বাধীনতার যুদ্ধ ছিল জালিমের বিরুদ্ধে মজলুমের লড়াই। ন্যায়, ইনসাফ ও বৈষম্যবিরোধী সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে। কিন্তু বিজয় অর্জিত হওয়ার কিছুদিনের মধ্যে একটি প্রতিবেশী, একটি আধিপত্যবাদী রাষ্ট্র প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমে তার দালাল গোষ্ঠীর দ্বারা দেশের মানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে এক দলীয় সংবিধান চাপিয়ে দিয়েছিল।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার বাংলার মাটিতে করতে হবে। বিচার করতে ব্যর্থ হলে দেশের মানুষ বরদাস্ত করবে না। শেখ হাসিনা ও তার খুনি মন্ত্রী সভার সদস্য, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। বিগত দিয়ে দেশের মানুষকে খোকলা করে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনতে হবে, সেই অর্থ দেশের মানুষের কল্যাণে ব্যয় করতে হবে।

আমরা একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ দেখতে চাই উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করেছে। কিন্তু বিগত এক মাসে কোন সংখ্যালঘু নির্যাতন হয়নি। শেখ হাসিনা মুক্ত, আওয়ামী লীগ মুক্ত বাংলাদেশে আর সংখ্যালঘু নির্যাতন হবে না। সংখ্যালঘু ভাই-বোনেরা আপনারা নির্বিঘ্নে আপনাদের ধর্ম পালন করুন। আপনাদের রক্ষার দায়িত্ব আমাদের।

শ্রমিকদেরকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, দেশ পুনর্গঠনের কাজ চলছে। উৎপাদন ব্যাহত হয় এমন কাজ আপনারা করবেন না। মালিকরাও শ্রমিকদের সঙ্গে ভ্রাতৃত্ব সুলভ আচরণ করুন। আগামীর বাংলাদেশ ইসলামের বাংলাদেশ, ইনসাফের বাংলাদেশ, বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ। আমরা সকলকে নিয়ে সমাজ বিপ্লব করতে চাই। বৈষম্য অবসানে আল্লাহ প্রদত্ত খেলাফতের রাষ্ট্র ব্যবস্থা আমরা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এজন্য আমাদের সংগ্রাম চলছে, চলবে।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মুফতি আজিজুল হকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক হাফিজ সৈয়দ জয়নুল ইসলামের সঞ্চালনায় গণ-সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন মাও. দিলওয়ার হুসাইন, হাফিজ মাওলানা এনামুল হক, মাও. সাইফুর রহমান সাজাওয়ার, মাওলানা কামাল উদ্দিন, মাওলানা আব্দুল হক, ডা. আতাউর রহমান, হাফিজ মাওলানা সৈয়দ ফেদাউল হক, মাওলানা আব্দুল জলিল, মাওলানা তাহির আহমদ, মাওলানা মুখলেছুর রহমান, মাও. মুছা মোল্লা, মাও. নূর উদ্দিন, মাও. আবুল কালাম, মাও. আলি হায়দর দোয়ারা প্রমুখ।

বিষয়:

অপরাধীদের ক্ষমা নয়, বিচার করতে হবে: রিজভী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ছাত্রজনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার নির্দেশে যাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে তাদের হত্যাকারীদের ক্ষমা করলে নিহতদের আত্মার সঙ্গে বেইমানি করা হবে। নিরপরাধ কেউ যেন মামলার শিকার না হয়। কিন্তু যারা অপরাধী তাদের ক্ষমা করা যাবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

আজ বুধবার শাহবাগে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের পাশে আন্দোলনে নিহত গোলাম রাব্বানীর বাবার হাতে অনুদান তুলে দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

একটি রাজনৈতিক দলের প্রতি ইঙ্গিত করে রিজভী বলেন, ‘ট্রাইব্যুনাল করে প্রতিটি হত্যার বিচার করতে, প্রতিটি অপরাধের বিচার করতে হবে। যদি শেখ হাসিনাসহ অপরাধীদের বিচার করা না হয়, তাহলে বাংলাদেশ কবরস্থানে পরিণত হবে।’

রিজভী বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি নিরপরাধ কেউ যেন মামলার শিকার না হয় কিন্তু যারা অপরাধী তাদের ক্ষমা করা যাবে না। কিন্তু কেউ কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে তাদের কাজ করতে দিন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান এ বিষয়ে কঠোর বার্তা দিয়েছেন।

তিনি বিএনপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা কেউ আইন হাতে তুলে নেবেন না। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে তাদের কাজ করতে দিন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান এ বিষয়ে কঠোর বার্তা দিয়েছেন।’

এ সময় চাঁদপুর জেলা বিএনপি সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, বিএনপি সমর্থক চিকিৎসক নেতা ডা. মনোয়ারুল কাদির বিটু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


সকলকে নিয়ে বিএনপি এগিয়ে যেতে চায়: আমির খসরু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, স্বৈরাচারমুক্ত নতুন বাংলাদেশে বিএনপি সকলকে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চায়।

তিনি আজ বুধবার দুপুরে নোয়াখালী সদর উপজেলার খলিফার হাটে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের পক্ষ থেকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আগামী দিনের রাজনীতি হবে ভিন্ন রাজনীতি। নতুন বাংলাদেশে বিএনপি সকলকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চায়। তারেক রহমান যে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছেন, এর মধ্যে দেশের মৌলিক সমস্যার সমাধান রয়েছে।

জাতীয় সরকারের মাধ্যমে তারেক রহমান এসব সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের কথা বলেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালানোর পর দেশের মানুষের যে মনোজগত সৃষ্টি হয়েছে তা বুঝতে হবে। মানুষের প্রত্যাশা ও আকাঙ্খা কি বুঝতে হবে। যুব সমাজের আকাক্সক্ষা কি তাও বুঝতে হবে।

আগামী দিনের রাজনীতি ভিন্ন রকম হবে উল্লেখ করে আমির খসরু বলেন, ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আরও কোনো সংস্কার প্রয়োজন হলে বিএনপি সেটা করতেও প্রস্তুত রয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়:

চাঁদাবাজি, ভাঙচুর ও মিথ্যা মামলা চলছে: মুফতি ফয়জুল করিম

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির (শায়খে চরমোনাই) মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম বলেছেন, ‘৫ আগস্টের পরে (শেখ হাসিনার পতনের দিন) দেশে আবারও অত্যাচার শুরু হয়েছে। যেই কারণে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থী জীবন দিয়েছে সেই একই আচরণ করা হচ্ছে এখন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। চাঁদাবাজি, ভাঙচুর ও মিথ্যা মামলা চলছে।’ নরসিংদীর মাধবদী এসপি ইনস্টিটিউট মাঠে আজ মঙ্গলবার বিকালে ‘ভারতীয় পানি আগ্রাসনের’ প্রতিবাদ সমাবেশের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ফয়জুল করিম বলেন, ‘আমরা চাই, দেশের শ্রমিক, মজুর সবাই সমান মর্যাদা পাক। হিন্দু মুসলিম সবাই সমান। মসজিদ নিয়ে কেউ রাজনীতি করে না, কিন্তু মন্দির নিয়ে রাজনীতি করে। একটা দল মন্দির ভেঙে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। আমরা মন্দির পাহারা দিয়েছি। ইসলামী দল ক্ষমতায় এলে সবাই দরজা খুলে ঘুমাতে পারবে। সরকারি এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই, গত ১৬ বছরে যেখানে ধ্বংস হয়নি। আগামী সরকার হবে ইসলামী সরকার, আগামীর রাষ্ট্র হবে ইসলামী রাষ্ট্র। সেই রাষ্ট্রে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই তাদের সমান অধিকার পাবে।’

এ সময় তিন দফা দাবি রাখে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সেগুলো হলো- জুলাই হত্যাকাণ্ড ও গত ১৬ বছরে সংগঠিত রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক হত্যা-গুমের সুষ্ঠু বিচার করতে হবে, বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের সম্পত্তি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা রাখতে হবে এবং সবশেষ নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করে তোলা।

সমাবেশের বিশেষ অতিথি মাওলানা গাজী আতাউর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়েছে, ভারতের দালালদের পতন হয়েছে। এবার আমাদের সময় এসেছে দায়িত্ব নেওয়ার। ১৬ বছরের আওয়ামী দুঃশাসনের প্রতিবাদ যারা করেছে সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। যেসব শিক্ষার্থী দেশের জন্য জীবন দিয়েছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আমরা চাই, দ্রুত নির্বাচন হোক। তবে এর আগে সব প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের প্রয়োজন। এখনো অনেক কাজ বাকি। সামনের নির্বাচনে জনগণই তাদের সরকার বেছে নেবে। এই দেশের যেকোনো ধর্মের মানুষ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কাছে নিরাপদ। ইসলামী আন্দোলনের হাতে নারীদের অধিকারও সুরক্ষিত থাকবে।’

মাধবদী থানা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে সমাবেশ সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির মাধবদী থানার সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করিম আবরার, শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক মাওলানা মুহাম্মদ বদরুজ্জামান, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আরিফ বিন মেহের উদ্দিন, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের নরসিংদী জেলা শাখার সভাপতি আশরাফ হোসেন ভূঁইয়া, সহসভাপতি আব্দুল ওয়াহাব ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক মুসা বিন কাসিম প্রমুখ।


পাঁচ মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া

বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বিভিন্ন অভিযোগে মানহানির পাঁচ মামলায় খালাস পেলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক চারটি ও তোফাজ্জল হোসেন একটি মামলায় তাকে খালাসের আদেশ দেন। বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘এসব মামলায় আজ মঙ্গলবার চার্জ শুনানির দিন ধার্য ছিল। বাদী পক্ষ হাজির না হওয়ায় আমরা খালাস চেয়ে আবেদন করি। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে খালেদা জিয়াকে এসব মামলা থেকে খালাস দেন।’

জননেত্রী পরিষদ নামে একটি সংগঠনের সভাপতি এবি সিদ্দিকীর আনা একাধিক মামলাসহ মানহানির পাঁচ মামলায় খালাসের এ রায় দিয়েছেন আদালত।

আজ মামলার বাদীরা আদালতে হাজির হননি। একাধিক মামলার বাদী এবি সিদ্দিক মারা গেছেন। এ অবস্থায় খালেদা জিয়াকে মামলা থেকে খালাসের আবেদন করেন তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ। পরে আদালত তাকে মামলাগুলো থেকে খালাস দেন।

বিষয়:

ইসির নিবন্ধন পেল নাগরিক ঐক্য ও গণঅধিকার পরিষদ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে নিবন্ধন পেয়েছে মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্য ও নুরুল হক নূরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ। নাগরিক ঐক্যের প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে কেটলি আর গণঅধিকার পরিষদ প্রতীক পেয়েছে ট্রাক। আজ দল দুটিকে নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন সচিব শফিউল আজিম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে দলটি দুটিকে পৃথকভাবে এসব নিবন্ধন দেওয়া হয়।

The Representation of the People's Order, 1972 এর Chapter VIA , এর বিধান অনুযায়ী দল দুটো নিবন্ধন দেওয়ার কথা ওই প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করে দল দুটোর ঠিকানায় নিবন্ধনের চিঠি পাঠানো হয়।

প্রধান কার্যালয় ২২/১, তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০-এ অবস্থিত নাগরিক ঐক্যকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন করেছে। ইসিতে গণঅধিকার পরিষদের নিবন্ধন নম্বর ৫১ ও নাগরিক ঐক্যের নিবন্ধন নম্বর ৫২।

উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগমুহূর্তে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনের তালিকা থেকে বাদ পড়ে নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদ। পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ওই আবেদন পুনর্বিবেচনা চায় দলটি।

এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের (জিওপি) নিবন্ধন প্রাপ্তির পর নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এসে রেজা কিবরিয়া নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের নেতারা হট্টগোল বাঁধিয়েছেন। আজ ইসি সচিবের দপ্তরের বাইরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন তারা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন নির্বাচন ভবনে দায়িত্বরত ২৯ ব্রিগেডের সেনা সদস্যরা।

আজ দুপুরে নূরের দল নিবন্ধন পাওয়ার ঘণ্টা দেড়েক পরেই গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামানের নেতৃত্বে বেশকিছু নেতাকর্মী নির্বাচন ভবনে আসেন। এরপর তারা ইসির সচিবের দপ্তরেও প্রবেশ করেন। সেখানে অযৌক্তিকভাবে আজকের মধ্যেই নিবন্ধন দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন, যে ঘটনাকে ‘সীমা অতিক্রম’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে ইসি সচিব শফিউল আজিম।

তিনি বলেন, ঠিক অবরুদ্ধ নয়, অনেকটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন। একজনের আচরণ লিমিট ক্রস করেছে। বিষয়টি আমরা সরকারকেও জানিয়েছি। এভাবে তো হয় না। আমরা বলেছি একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। সেই প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু সেটা তারা মানতে নারাজ।

২০২১ সালে নুরুল হক নূর ও তার সমমনারা গণঅধিকার পরিষদ গঠন করেছিলেন। এতে আহ্বায়ক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন রেজা কিবরিয়া। তবে ২০২৩ সালের জুনে এসে দলটি দুইভাগে ভাগ হয়ে যায়। ইতিমধ্যে তারা নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের আবেদনও করে। সেই প্রক্রিয়ার মধ্যেই দুই শীর্ষ নেতা নূর ও রেজা পরস্পরকে বহিষ্কার করেন। এতে দলটির নেতৃত্ব ও কার্যালয় নিয়ে প্রশ্ন উঠলে নিবন্ধন তালিকা থেকে শেষ পর্যায়ে এসে বাদ পড়ে গণঅধিকার পরিষদ।

এরপর কাউন্সিল করে নূরের অংশ কমিটি গঠন করে ইসিতে নথি জমা দেয়। এবং দুই দফায় পুনর্বিবিচেনার আবেদন করে অবশেষে নিবন্ধন পায় গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি)। আর এই খবর রটে যাওয়ার পরই ইসিতে আসে রেজা কিবরিয়া নেতৃত্বাধীন অংশটিও। অবশ্য তারা সন্ধ্যার পরে চলে যায়।

এদিকে, নির্বাচন কমিশন নতুন করে দলগুলোর নিবন্ধন দেওয়া শুরু করায় দলীয় নিবন্ধন প্রতীকসহ ফেরত পাওয়ার আশায় রয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও। তবে এ জন্য জামায়াতে ইসলামী আইনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার কথা বলছে। ধারাবাহিকতাগুলো হচ্ছে, প্রথমে নিবন্ধনের জন্য আপিলের পুনরুজ্জীবন। আর সেটার অনুমতি পাওয়া গেলে আপিলের পূর্ণাঙ্গ শুনানি হবে।


সাবেক মন্ত্রী ও জেপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিবির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. রবিউল হোসেন ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিকেলে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ ৫টি মামলা রয়েছে। পরে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।

আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বাংলাদেশের একজন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক। তিনি পিরোজপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী। এর আগে তিনি দুইবার দুই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী (যোগাযোগ মন্ত্রী, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি, খনিজ সম্পদ বিভাগের মন্ত্রী) ছিলেন।

তিনি পিরোজপুর-২ আসন থেকে ছয়বারের (১৯৮৬, ১৯৮৮, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০১৪) নির্বাচিত সংসদ সদস্য। তিনি জাতীয় পার্টির একটি অংশের (জেপি) নেতা। তার বাবা তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া একজন নামকরা রাজনীতিবিদ এবং দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি স্বৈরশাসক জেনারেল এরশাদ সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। পরে তিনি ১৯৯৬-২০০১ সময়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন করেন এবং তিনি সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী হন।


banner close